Quantcast
Channel: My story Troubled Galaxy Destroyed dreams
Viewing all 6050 articles
Browse latest View live

শাসকের রক্তচক্ষুকে কিসের ভয়, ওদেরই তো সবচেয়ে বেশি ভয়! হংকং লড়ছে, আমরা নামছি... তোমাদের আছে গুন্ডা,পুলিস,কমান্ডো আমাদের আছে বন্ধু,বান্ধবী,কমরেড। তোমাদের আছে লাঠি, বন্দুক,জলকামান আমাদের আছে কবিতা,গিটার,গান। তোমাদের আছে আইন,আদালত,মামলা আমাদের আছে প্রেম,লড়াই,জনতা। #হোককলরব বন্ধ হয় না । না ।না ।না । রাজা ক্রমশ ন্যাংটো হচ্ছেন... সপ্তমীতে যোধপুর পার্ক, অষ্টমীতে ম্যাডক্স স্কোয়ারের পর নবমীতে লাবণিতে চলছিল ‪#‎হোককলরবের‬ সমর্থনে শান্তিপূর্ণ জমায়েত,পোষ্টার লেখা,গান বাজনা। পুলিশ সেখান থেকে আমাদের ১৩জন বন্ধুকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়!! পূজোর মধ্যেও ছাত্রীছাত্ররা যাদবপুরের সমর্থনে রাস্তায় জেগে ছিলেন । পলাশ বিশ্বাস

$
0
0

শাসকের রক্তচক্ষুকে  কিসের ভয়, ওদেরই তো সবচেয়ে বেশি ভয়!

হংকং লড়ছে, আমরা নামছি...

তোমাদের আছে গুন্ডা,পুলিস,কমান্ডো

আমাদের আছে বন্ধু,বান্ধবী,কমরেড।

তোমাদের আছে লাঠি, বন্দুক,জলকামান

আমাদের আছে কবিতা,গিটার,গান।

তোমাদের আছে আইন,আদালত,মামলা

আমাদের আছে প্রেম,লড়াই,জনতা।

#হোককলরববন্ধ হয় না । না ।না ।না ।

রাজা ক্রমশ ন্যাংটো হচ্ছেন... সপ্তমীতে যোধপুর পার্ক, অষ্টমীতে ম্যাডক্স স্কোয়ারের পর নবমীতে লাবণিতে চলছিল ‪#‎হোককলরবের‬ সমর্থনে শান্তিপূর্ণ জমায়েত,পোষ্টার লেখা,গান বাজনা। পুলিশ সেখান থেকে আমাদের ১৩জন বন্ধুকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়!! পূজোর মধ্যেও ছাত্রীছাত্ররা যাদবপুরের সমর্থনে রাস্তায় জেগে ছিলেন ।


পলাশ বিশ্বাস

শাসকের রক্তচক্ষুকে কিসের ভয়,ওদেরই তে সবচেয়ে বেশি ভয়!

ছাত্র দলের ঐক্য সুর

শহবাগ থেকে যাদবপুর

জামাতঃসঙ্ঘী ভাই ভাই

এক দড়িতে ফাঁসি চাই


রাজা ক্রমশ ন্যাংটো হচ্ছেন... সপ্তমীতে যোধপুর পার্ক, অষ্টমীতে ম্যাডক্স স্কোয়ারের পর নবমীতে লাবণিতে চলছিল ‪#‎হোককলরবের‬ সমর্থনে শান্তিপূর্ণ জমায়েত,পোষ্টার লেখা,গান বাজনা। পুলিশ সেখান থেকে আমাদের ১৩জন বন্ধুকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়!! পূজোর মধ্যেও ছাত্রীছাত্ররা যাদবপুরের সমর্থনে রাস্তায় জেগে ছিলেন ।


এখনো বন্ধুরা লিখে চলেছেনঃ

লাঠির ঘায়ে যে তরুণের ফাটল মাথা সে হতে পারত তোমার ভাই, তবে আজ তুমি কেন চুপচাপ ? চলো, নামতে হবে রাস্তায়। রাস্ট্রযন্ত্র নাড়ুক কলকাঠি তবু প্রতিবাদের গান গাই, প্রেম বেমানান কন্ঠস্বরে চলো, নামতে হবে রাস্তায়। যারা নিন্দা করে, করুক, জেনো শত্তুরের মুখে ছাই বিক্ষুব্ধ সময় দিচ্ছে ডাক, চলো, নামতে হবে রাস্তায়।

এখনো বন্ধুরা লিখে চলেছেনঃ

বৃষ্টির শব্দ ছাপিয়ে স্লোগান আঁছড়ে পড়েছে মায়ও রোডে. কমরেড ব্যারিকেড গড় ; ব্যারিকেড ! রাজপথ তোমার আমার ;. কলকাতার গাঢ়তম লাল ফুল ফুটবেই ! কলকাতার দৃঢ়তম মুঠোবাঁধা. সেই লক্ষ জনতার মিছিল আমার জীবনের ! শাসক-শাসক-অপশাসক তুমি নিপাত যাও ,. লক্ষজোড়া হাত একসারে. মহানগর জুড়ে সাহসী কথারা. ভয় কাটুক ; ভয় !


কেন ছিলাম?? স্ল্যাশ হোককলরব কোন সেলিব্রিটি নয়, ইন্টেলেকচুয়াল নয়, আঁভা গার্দ নয়, রেট্রো নয়… কারন তাকে গলার গর্জনে অনায়াসে বসানো যায়, হোককলরব… কারন তাকে হাততালিতে দোলানো যায়, হোককলরব… কারন তাকে ফিসফিস থেকে চীৎকার সমস্তকিছু অর্পন করা যায়,হোককলরব…

#hokkolorob_live

সপ্তমীতে যোধপুর পার্ক, অষ্টমীতে ম্যাডক্স স্কোয়ারের পর আজ নবমীতে লাবণিতে চলছিল হোককলরবের সমর্থনে শান্তিপূর্ণ জমায়েত,পোষ্টার লেখা,গান বাজনা। পুলিশ সেখান থেকে আমাদের ১৩জন বন্ধুকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়!!

খবরের কাগজ বেরোয় নি মমম মহোত্সবে!!

চক্ষুদান যিনি করেছেন.বিসর্জনেও তিনিই নিয়ে যাবেন!!

মাঝখানে ধানাই পানাই প্যানপ্যানানি বাদে,এমনকি সবজান্তা প্যানেল বোদে সারা বঙ্গে গাজনের মেলা!!

প্যান্ডেনে প্যান্ডেলে ধুনুচি নাচ,সিন্দুর খেলা,আরও বনেদি বাড়ির পুজোর গুঁতো!!


লাল সুতো নীল সুতো একাকার!!



কোথায কে মরল,কি ঘটল দেশে কিংবা বিদেশে,কি জানার দরকার পড়েছে!!

তথ্য প্রযুক্তি অত্যাধুনিকতায় তথ্য অন্ধকার!!

সোশাল মীডিয়ায় আবাহন করে তবু ছেলে মেয়েগুলো  সপ্তমীতে যোধপুর পার্ক, অষ্টমীতে ম্যাডক্স স্কোয়ারের পর নবমীতে লাবণিতে জড়ো হয়েছিল প্রতিবাদের আগুন মশাল হাতে হাতে নিয়েসপ্তমীতে যোধপুর পার্ক, অষ্টমীতে ম্যাডক্স স্কোয়ারের পর আজ নবমীতে লাবণিতেো!!

নিঃশব্দ ঘাতকের মতো পুলিশ তাঁদের তুলে নিয়ে গেল,আমরা জানতেই পারলাম না!!

কোথাো কোনো খবর নেই মমম মহোত্সব ছাড়া!!


তোমাদের আছে গুন্ডা,পুলিস,কমান্ডো

আমাদের আছে বন্ধু,বান্ধবী,কমরেড।

তোমাদের আছে লাঠি, বন্দুক,জলকামান

আমাদের আছে কবিতা,গিটার,গান।

তোমাদের আছে আইন,আদালত,মামলা

আমাদের আছে প্রেম,লড়াই,জনতা।

দেখা যাক কে জেতে...

ভেবেছে পূজোর আনন্দে সব থিতিয়ে যাবে,

ভেবেছে যেই ভিসি রাতের অন্ধকারে ছাত্রছাত্রী পেটালো

সেই ভিসি ফের হাসতে হাসতে ক্যাম্পাসে ঢুকবে।

ভেবেছে আইন,পুলিস দিয়ে ফের ছাত্র আন্দোলন ভেংগে দেবে।

ভুল ভেবেছো।

লাখো জনতার হাতে মশালে বারুদে আমরা তৈরী।

যত হামলা করো,সব সামলে নেব।

বিদ্রোহ কখনো শীতল হবে না।।

ক্লাস ক্লাস সে, স্কুল কলেজ সে, গাঁও শহর সে

হোককলরব হোককলরব ‪#‎HokKolorob‬

বুদ্ধ হাসছে, সততা ফাঁসছে, মোদী দিচ্ছে ঝাঁট

১টা যাদবপুর নগ্ন করেছে রাজনীতির সাঁট ‪#‎হোককলরব‬

Just like yesterday's rally in front of Maddox square a similar peace protest was going on at Laboni today round 5:30.


Within few moments as they started singing 15-20 who were there were all arrested by police and have been taken to Bidhan Nagar Thana North simply on this ground that they did not had the permission to conduct a peace protest rather simply they did not had the permission to sing.


It isn't democracy.

We demand their quick release.

সল্টলেক অঞ্চলে যাদবপুর কাণ্ডে প্রতিবাদরত ১৩জন ছাত্র-ছাত্রীকে আটক করে বিধাননগর উত্তর থানায় তুলে নিয়ে গেল পুলিস। এখনও পর্যন্ত থানায় আটক করে রাখা হয়েছে তাদের।

যাদবপুরে ছাত্রীর শ্লীলতাহানি ও উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে 'হোক কলরব' নামে নবমীর দিন লাবণীতে প্রতীকী প্রতিবাদের আয়োজন করেছিলেন বিভিন্ন কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা। সঙ্গে ছিলেন এই আন্দোলনের সমর্থনকারী বেশ কিছু সাধারণ মানুষও।

প্রতিবাদকারীদের অভিযোগ তাঁরা বাস স্টান্ডে বসে পোস্টার লিখছিলেন ও গান করছিলেন হঠাৎ করেই পুলিস সেখানে এসে তাঁদের জানায় তাঁরা সেই জায়গায় প্রতিবাদ জানাতে পারবেন না। ছাত্র-ছাত্রীরা তা অস্বীকার করায় পুলিস তাঁদের আটক করে। আটক করা ছাত্র-ছাত্রীদের বিরুদ্ধে ১৫১ ধারায় মামলা তৈরি করা হয়েছে।


#hokkolorob

তবু কিল্তু বন্ধুরা লিকে চলেছেন মুক্তির গান

লিখেছেনঃ

#হোককলরববন্ধ হয় না ।


হোক কলরব 'বাম'আমলের কারখানা নয় যে লকআউট হয়ে যাবে । হোক কলরবের কোন সাসপেনসন অফ ওয়ার্ক নেই । চারিদিকে একটা অদ্ভুত প্রশ্নহীন সময়ের মধ্যে দিয়ে আমরা যাচ্ছিলাম । মেনে নিচ্ছিলাম । কষ্ট হলেও, নম্বর কমিয়ে দেবে, ইউনিয়ন রুমে ঢুকিয়ে থ্রেট করবে বলে ভয়ে কুঁকড়ে গেছিলাম । কালান্তরে রবীন্দ্রনাথ লিখছেন "আমি যখন প্রশ্ন করতে যাই, বিচার করতে যাই, আমার হিতৈষীরা ব্যাকুল হয়ে আমার মুখ চাপা দিয়ে ….


তবু কিল্তু বন্ধুরা লিকে চলেছেন মুক্তির গান

লিখেছেনঃ

#হোককলরববন্ধ হয় না ।



বিশাল পুলিশ বাহিনী গ্রেপ্তার করলো ‪#‎হোককলরব‬

আজ লাবনীতে (সল্টলেক) ছাত্রীছাত্ররা গান বাজনা করছিলেন । VC'পদত্যাগের দাবীতে পোস্টার লেখা । পূজোর মধ্যেও ছাত্রীছাত্ররা যাদবপুরের সমর্থনে রাস্তায় জেগে ছিলেন । খবর পেলাম পুলিশের বিশাল বাহিনী এসে তাদের তুলে নিয়ে গেছে ।

তুমি দেহটাকে ধরলে পুলিশ । আমাদের গানওলা তো গেয়েছেন ধরা পড়ে গেল দেহটাই শুধু, ধরা পড়বেনা মন । যত হামলা করো সব সামলে নেব, চ্যালেঞ্জ তোমায় যদি রুখতে পারো... পুজো শেষ এবার আবার দেখা হবে সম্মুখ সমরে...

হংকং লড়ছে, আমরা নামছি...

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক, টুইটারে 'হোককলরব'হ্যাশ ট্যাগ ব্যাবহার করে আন্দোলনের কথা ছড়িয়ে দিচ্ছেন তারা। #হোককলরব লেখা ব্যানারও ব্যাবহার করছেন ক্যাম্পাসে অবস্থানরত শিক্ষার্থীরা।

রাজা রানি ক্রমশঃ প্রকাশ্য পারদর্শী পোশাকের এই জ্বালা।

কাগজ বোরোক না বেরোক,খবর হোক না হোক,চ্যানেলে লাইভ হোক না হোক,#হোককলরববন্ধ হয় না ।


তাঁরা কিন্তু আবাহন করছেনঃ"পাখিদের মতো তুমি আমি দুই মিলে আগামীর সুরে প্রাণে #হোক_কলরব #হোককলরব!!


ফেসবুক এবং অন্যান্য সোশাল মিডিয়ায়, যেখানে প্রতিবাদজনিত যাবতীয় সংবাদ পর্যায়ক্রমিক ভাবে সম্প্রচারিত হতে থাক #হোককলরব (#hokkolorob) হ্যাশট্যাগের সাথে!!

#HokKolorob #হোক_কলরব #হোক #Hok #হোককলরব !!


সীমানা ডিঙিয়ে শাহবাগ যাদবপুর একাকার,যাদের চোখে শুধুই অন্ধকারের রাজত্ব তাঁরা দেখেও দেখছেন না

সীমানা ডিঙিয়ে শাহবাগ যাদবপুর একাকার,যাদের কানে বাজে না প্রতিবাদের সুর,তাঁরা শুনেও শুনছেন না

আওয়াজ দিচ্ছে শাহবাগঃ


অনেক দূর থেকেও তোমাদের পাশে আছি, আমার মানচিত্র থেকে তোমাদের মানচিত্রে । #হোককলরব!!


শাহবাগ থেকে যাদবপুর, এক বাংলার একই সুর। #জয়বাংলা... #হোককলরব!!


#হোককলরব. যদি ওরা কামান আনে পথে, আমরা হাত মেলাবো হাতে; যদি করতে চাই বিরোধ- করুক, loss টা খাবে খোদ। আরে মশাই আছে সময় ভাবুন করবেন কোনটা যপ ।


লিখেছেন কবীর সুমনঃ কলকাতা। 56.158 জনের পছন্দ · 5.270 জন এটা নিয়ে কথা বলছেন। কবীর সুমনেরফ্যান পেইজ। ... না কি ছাত্ররা সত্যি সত্যিই একটা ছোট ঘটনাকে খুঁচিয়ে ঘা করেছে?? কিন্তু আজ আমার সব সংশয়ের অবসান হল। ধন্যবাদ দিয়ে আপনার অবদানকে ছোট করব না কিন্তু আপামর ছাত্রসমাজের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আপনার কাছে কৃতজ্ঞ থাকলাম। #হোককলরব.


আরো লেখা হলঃরাণীমা ছি পি এমের সুযোগ্যা উত্তরসূরী, নতুনত্ব বলতে তিনি রাজনীতিতে কিছু রংচং মাখা সং আমদানি করেছেন (দয়া করে কবীর সুমনকে এই দলে ফেলবেন না)। আমাগো পেরাক্তন মুখ্যমন্ত্রী নন্দীগ্রামে "সূর্যোদয়"-র (বাপ্‌রে বঙ্গীয় ছি পি এম "সূর্যোদয়" ও ঘটাতে পারে) পর কইসিল "We have paid them by their own coins".আর অখন রাণীমাও…


শামসুন্নাহার হল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (২০০২) ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (২০১৪): হোক কলরব,'ইস্ক্রা' ছড়াক এপারে ওপারে ... ও অরাজনৈতিক ছাত্র-ছাত্রী, বিভিন্ন পত্রিকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস প্রতিবেদক সহ সবাই আমরা প্রশাসন ও পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙ্গে শুরু করলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন। 'ছি: ছি: আনোয়ার! তুই একটা জানোয়ার!' ক্ষমতাসীন দলের বশংবদ ভিসি অধ্যাপক আনোয়ারুল্লাহ চৌধুরীর নামে এই শ্লোগানেই ২০০২-এর অগ্নিগর্ভ জুলাইয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজার হাজার ছাত্র-ছাত্রী (বিদ্যমান ও প্রাক্তন …


কলকাতা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশি নিগ্রহের প্রতিবাদ করতে গিয়ে সল্টলেকে গ্রেফতার পড়ুয়ারা। প্রায় দেড় ঘণ্টা পর জামিনে মিলল মুক্তি। পুলিশের দাবি, পড়ুয়ারা রাস্তা অবরোধের চেষ্টা করছিলেন, তাই তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। যদিও পড়ুয়াদের অভিযোগ, প্রতিবাদের কণ্ঠরোধ করতেই পুলিশের এই তৎপরতা।

ক্যাম্পাসের মধ্যে শান্তিপূর্ণ অবস্থান বিক্ষোভ করতে গিয়ে মাঝরাতে পুলিশের হাতে লাঠিপেটা হয়েছিলেন তাঁরা।। সেই ঘটনার প্রতিবাদ করতে গিয়ে ফের গ্রেফতারি।

যাদবপুরকাণ্ডের পর প্রতিবাদীদের 'হোক কলরব'স্লোগান ঝড় তুলেছিল শহর জুড়ে। পুজোর মধ্যেও প্রতিবাদের সেই স্বর মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে তৎপর হন তাঁরা। সেই কর্মসূচিতে তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছেন অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরাও। শুক্রবার তাঁরা সল্টলেকে একটি আবাসন চত্বরে গান-আবৃত্তি, পোস্টার-স্লোগানের মাধ্যমে তুলে ধরেছিলেন নিজেদের প্রতিবাদের ভাষা। পড়ুয়াদের দাবি, সন্ধে ছ'টায় আচমকাই সেখানে হাজির হয় বিধাননগর উত্তর থানার পুলিশ। প্রথমে তাঁদের সেখান থেকে চলে যেতে বলা হয়। তাঁরা রাজি না হলে পুলিশকর্মীরা জোর করে ১৩ জনকে গাড়িতে তুলে থানায় নিয়ে যান। সেখানে তাঁদের গ্রেফতার দেখানো হয়। ধৃতদের মধ্যে যাদবপুর ছাড়াও ছিলেন সেন্ট জেভিয়ার্স, প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন পড়ুয়া।

পুলিশের দাবি, ওই ছাত্র-ছাত্রীরা রাস্তা অবরোধের চেষ্টা করছিলেন। তাই ফৌজদারি দণ্ডবিধির ১৫১ ধারায় তাদের গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু সেই দাবি মানতে নারাজ প্রতিবাদী পড়ুয়ারা। তাঁদের অভিযোগ, প্রতিবাদ পণ্ড করতেই পুলিশের এই তৎপরতা।

যাদবপুরকাণ্ডের পর এই ঘটনাতেও পুলিশের ভূমিকার প্রতিবাদে সোচ্চার যাদবপুরের ছাত্র-ছাত্রী থেকে প্রাক্তনীরা। গ্রেফতারির প্রায় দেড় ঘণ্টা পর এদিন সন্ধে সাতটা নাগাদ বিধাননগর উত্তর থানা থেকে জামিনে মুক্তি পান ১৩ জন পড়ুয়া। পুলিশের গাড়িতেই তাঁদের উল্টোডাঙায় নিয়ে গিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।

http://abpananda.abplive.in/kolkata/2014/10/04/article413408.ece/Students-protesting-against-alleged-police-torture-in-JU-arrested-in-saltlake.#.VDBKN2eSxJk


#hokkolorob_live

Such a nice feeling to see that supporters have joined us during the puja . A nice protest is going on just outside the main entrance of Maddox Square.

You can also join in

LATHIR MUKHE GANER SURE

JANIO DILO JADAVPUR E.


#hokkolorob

Hokkolorob's photo.

Hokkolorob's photo.





Status Update

By Hokkolorob

IF YOU ARE A TRUE SUPPORTER YOU WILL SHARE IT AND YOU WILL SPREAD IT AND YOU WILL READ IT.


Source: Times of India Page-4


Hokkolorob, the social networking page that triggered a students' movement just a week ago, is under scanner. The cyber cell of the DETECTIVE department has lodged an FIR based on a complaint filed by the Jadavpur University molestation survivor. Ironically, the entire movement owns its genesis to the "injustice" that this survivor was subjected to by the administration of her alma mater, Jadavpur University.


According to top Lalbazar sources, the girl had herself come down to Lalbazar and lodged the written complaint to what she claimed was "a deliberate attempt" to malign her image on the popular social networking site. The objectionable post came after her father expressed hope in the government probe and said he was no more supporting the stepping down of Jadavpur VC Abhijit Chakraborti. He also urged the students to return to the classes.


"We have registered a case under the IT Act," said Pallab Kanti Ghosh, joint CP (crime) refusing to elaborate further. The FIR has been registered under section 66 of the IT Act. "Any person who sends, by means of a computer resource or a communication device, — (a) any information that is grossly offensive or has menacing character; or (b) any information which he knows to be false, but for the purpose of causing annoyance, inconvenience, danger, obstruction, insult, injury, criminal intimidation, enmity, hatred or ill will, persistently by making use of such computer resource or a communication device," the law reads. The crime, if proved, shall be punishable with imprisonment for a term which may extend up to three years and with fine.


ANSWER TO THE ACCUSED CRIME


To this my answer: "Our page has never used anything that has been or even in the future will be harmful for the Girl who has accused us of such crime. We demanded for her justice and didn't point a finger towards her. Second our page makes it clear that the Finger is not pointed to any individual but all that belong to this society. The society is not only police and political parties but the common man in each and every one of them. Our culprit is the common man for resisting all malice's till this date. After this statement if we are believed to be your culprits then we have nothing more to say."


When the situation demanded we supported JU students in spite of not being from JU. Now time demands your help. We just expect support from the odd 50,000 people on this page. Hope all the Hokkolorobi understands us well. We also want legal advisers in this page to message us. Thank you.


From a Fellow Hokkolorobi."

হোক্কলরব গ্লোববরাবর

দময়ন্তী এর ছবি

লিখেছেন দময়ন্তী (তারিখ: রবি, ২৮/০৯/২০১৪ - ৯:১৭অপরাহ্ন)

ক্যাটেগরি:

'হোক্কলরব' নামে এই যে শ্লোগান এবং হ্যাশট্যাগটা এখন আন্তর্জাতিক মিডিয়াতেও দিব্বি জায়গা করে নিয়েছে, তার শুরুটা কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের এই পচাগলা রাজনীতির আর পাঁচটা ঘটনার মতই হয়েছিল| পশ্চিমবঙ্গে 'শ্লীলতাহানি' আর 'ধর্ষণ' আজকাল 'হাসি' আর খুশী'র মতই হরহামেশা খবরের কাগজের পাতায় বা মানুষের আলোচনায় থাকে| তো সেই নিত্যনৈমিত্তিক প্রাত্যহিকতায় 'যাদবপুরের এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানি'র অভিযোগকে তেমন গুরুত্ব দিয়ে ফলো করার কথা অনেকেই ভাবেন নি| বরং বিশ্বভারতীর যে ছাত্রী ধর্ষণের বিচার চেয়ে না পেয়ে পড়া ছেড়ে সিকিমে ফেরত চলে গেল, তাকে নিয়ে কিছু আন্দোলন হল না কেন সেই নিয়েই আলোচনা চলছিল কোথাও কোথাও| তো, আসুন প্রথমে একটু ঘটনাক্রমটা দেখে নিই

২৮ আগস্ট-- যাদবপুরের উৎসব 'সংস্কৃতি ' চলাকালীন ইতিহাসের দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রী কিছু ছাত্রের হাতে নিগৃহীত হন বলে অভিযোগ। 'ইউথ কি আওয়াজ' এ সৃষ্টি দত্ত চৌধুরির প্রতিবেদন অনুযায়ী, অভিযোগকারিণী বাথরুমের অভাবে ছেলেদের হস্টেলে ঢুকেছিলেন, তাঁর এক 'বহিরাগত' পুরুষবন্ধুর সঙ্গে। বেরোনোর সময় হস্টেলের একদল ছেলে কটুক্তি করে। বচসা হয়, এবং, টেনে নিয়ে যাওয়া হয় হস্টেলের ভিতরে। পুরুষবন্ধুকে মারা হয়। মেয়েটিকে মারধন ও নিগ্রহ করা হয় বলে অভিযোগ।

২৯ আগস্ট -- য়েটি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন। ভিসির সঙ্গে মিটিং হলে তিনি জানান, বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করতে হলে ১৫ দিন সময় লাগবে। ততদিন নিরাপত্তাজনিত কারণে যেন মেয়েটি কলেজ থেকে দূরে থাকেন।

২ সেপ্টেম্বর -- মেয়েটি যাদবপুর থানায় এফ আই আর করেন| এখানে উল্লেখ করে রাখা যাক ছাত্রীটি তৃণমুল ছাত্র পরিষদের হয়ে প্রাথী হয়েছিলেন|

৩ সেপ্টেম্বর -- ত্র-ছাত্রীরা একটি সাধারণসভা করে ডিন অফ স্টুডেন্টের কাছে একটি ডেপুটেশন দেয়। সেখানে একটি "নিরপেক্ষ" তদন্ত কমিটির দাবী করা হয়। তদন্ত কমিটির মধ্যে একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি, একজন মানবাধিকার কর্মী থাকবেন, এরকম সুনির্দিষ্ট কিছু প্রস্তাবও দেওয়া হয়। সাতদিনের মধ্যে এই অনুযায়ী কাজ করে সকলকে অবহিত করারও দাবী জানানো হয়।

৫ সেপ্টেম্বর -- ছাত্রছাত্রীরা মিছিল করে যাদবপুর থানা পর্যন্ত যায়| মেয়েটি হামলাকারী বলে একজনকে চিহ্নিত করেন| পুলুশ বলে ব্যবস্থা নিতে আরও সময় প্রয়োজন|

৮ সেপ্টেম্বর -- -আই-পি-ডাব্লিউ-এ ও সাধারণ ছাত্রদের একটি প্রতিনিধিদল প্রো-ভিসির কাছে যান। কিন্তু কোনো খবর পান না। একটি মিছিল হয় ক্যাম্পাসে। আইসিসি (ইনটারনাল কমপ্লেন কমিটি) থেকে কলা বিভাগ ছাত্র সংসদের প্রতিনিধি পদত্যাগ করেন। আইসিসি সদস্যদের আটকে রাখা হয়।

৯ সেপ্টেম্বর -- বাংলা সংবাদপত্র 'এই সময়' এ আইসিসির একজন সদস্যের বয়ান প্রকাশিত হয়, যেখানে তিনি তাঁকে শারীরিক নিগ্রহ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন। ছাত্রছাত্রীরা একটি সাধারণ সভা ডাকে। যেহেতু ঘটনাটা পুরোটাই সিসিটিভির আওতায় ঘটেছে, তাই সিসিটিভির ফুটেজ দেখিয়ে অভিযোগের প্রমাণ দাবী করা হয়।

১০ সেপ্টেম্বর -- অরবিন্দ ভবনের সামনে ধর্ণা শুরু হয়|

১৬ সেপ্টেম্বর রাত ১০টা -- লিশ, র‌্যাফ, এবং শাসকদলের লোকজন জড়ো হয় ক্যাম্পাসে। বড়ো গন্ডগোলের আশঙ্কায় ছাত্রছাত্রীরা ফেসবুকে সকলকে জড়ো হবার আহ্বান জানান। পুলিশকে জানানো হয় ভিসি একটি বিবৃতি দিলেই তাঁরা এলাকা ছাড়বেন। পুলিশ ভিসির সঙ্গে দেখা করতে যায়।

রাত ১১টা -- প্রেসিডেন্সির একটি দল যাদবপুরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়| ছাত্ররা বিভিন্ন উপায়ে জানান, সংঘর্ষ শুধু সময়ের অপেক্ষা। পুলিশ শুধু প্রেসের এলাকা ছাড়ার অপেক্ষা করছে।

১৭ সেপ্টেম্বর ভোর ২টো --- পুলিশ সম্পূর্ণ তৈরি হয়ে ক্যাম্পাসে আবার প্রবেশ করে। কিছুক্ষণ পরেই আক্রমন শুরু হয়। হঠাৎ অরবিন্দ ভবন এলাকার সমস্ত আলো নিভে যায়| লাঠি চলে। মারধোর করা হয়। হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয় কিছু ছাত্রকে, একজনকে তৎক্ষণাৎ আইসিইউতে নিতে হয়। গ্রেপ্তারও হন কিছু ছাত্র। ছাত্রদের পোস্টারে দেখা যাচ্ছে, ৩৬ জন হাসপাতালে।, ৪০ জন গ্রেপ্তার।

১৭ সেপ্টেম্বর ভোর ৪টে --- ছাত্রছাত্রীরা ক্লাস বয়কটের ডাক দেন, ভিসির পদত্যাগ দাবী করেন|

ঘটনার ভিডিও

এরপরে অনেককিছু একসাথে ঘটে যেতে থাকে| প্রকাশ্যে আসে ঘটনার ভিডিও| আবাপ-আনন্দ দেখায় হঠাত করে একসাথে অরবিন্দ ভবনের সামনের আলো নিভে যাওয়া আর তারপরেই পুলিশের মার, সাথে কিছু টি-শার্টপরা লোকও লাঠি নিয়ে নির্মমভাবে মারছে| এদের আনন্দ নাম দেয় 'গেঞ্জি পুলিশ'| আরো দেখায় তার আগে ছাত্রছাত্রীরা বসে বসে কেউ গান গাইছিল, কেউ মাউথ অর্গ্যান বা গীটার বাজাচ্ছিল| তৃণমুল শিবির থেকে প্রচার শুরু হয় ছাত্রছাত্রীরা এ ওর গায়ে হেলান দিয়ে বসে আছে - এ কি আন্দোলন না অন্য কিছু? ছাত্রীদের পরণের হটপ্যান্টের দিকে কটাক্ষ করে মুলোদের কদর্য্য সব পোস্ট আসতে থাকে ফেসবুকে| খেয়াল রাখতে হবে ইতিমধ্যে পশ্চিমবঙ্গের দুটি বিধানসভা আসনের অন্তর্বর্তী নির্বাচনের ফল বেরিয়েছে| বসিরহাটে বিজেপী এবং কলকাতার চৌরঙ্গীতে তৃণমুল জিতেছে এবং সিপিএম একটিতে পঞ্চম ও অন্যটিতে চতুর্থ স্থানে আসায় পুরোপুরি জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে| ক্রমশ প্রকাশ হয় পুলিশবাহিনীতে দশ জনের একটি কম্যান্ডো বাহিনীও ছিল| ভিসি নাকি জানিয়েছিলেন ছাত্ররা তাঁকে মেরে ফেলতে চলেছে, অতএব অবিলম্বে পুলুশ নামিয়ে তাঁকে মুক্ত করা হোক| ধর্ণার সময় ছাত্রদের দাবীমত তিনি তাঁদের সাথে কোনও আলোচনায় বসেন নি কেন? সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের উত্তরে ভিসি জানান ছাত্রদের সাথে কথা বলতে তাঁর ডিগনিটিতে বাধে, এর জন্য তাঁকে রাখা হয় নি| তাছাড়া ছাত্ররা তাঁর 'চামড়া গুটিয়ে নেবে' বলে শাসিয়েছে| ডিজি সুরজিত কর পুরকায়স্থ জানান ছাত্ররাই আসলে পুলিশকে মেরেছে, কোনও ছাত্রকেই মারা হয় নি আর ছাত্ররাই সমস্ত লাইট ভেঙে দিয়েছিল| আনন্দ বারবার ভিডিও ক্লিপ দেখায় হঠাৎ একসাথে সমস্ত আলো নিভে যাবার, সমস্ত আস্ত বালবের, জানায় আলোর স্যুইচ আছে ভেতরে, ছাত্ররা যেখানে বসেছিল ধর্ণায়, তাদের আওতার বাইরে| ডিজি জানান ছাত্রদের সাথে বহিরাগত মাওবাদীরা ছিল হাতে মারাত্মক অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে| টিভি চ্যানেলগুলোতে বারবার দেখানো হয় গীটার মাউথ অর্গ্যানের ছবি ছাত্রদের হাতে|

সমাজের সর্বস্তরে এই নিয়ে প্রবল ক্ষোভ সৃষ্টি হয়| প্রতিবাদ আসে শঙ্খ ঘোষ, সুমন মুখোপাধ্যায়, কৌশিক সেন, মীরাতুন নাহার, বিভাস চক্রবর্তী, প্রতুল মুখোপাধ্যায় প্রমুখ বিশিষ্ট্ট গুণীদের তরফ থেকেও| ২০শে সেপ্টেম্বর মিছিলের ডাক দেওয়া হয়| শ্লোগান ওঠে হোক্কলরব গ্লোববরাবর| অর্ণবের একটি গান থেকে নেওয়া 'হোক হোক হোক কলরব' শব্দগুচ্ছ| ১৯ তারিখ রাতে অভিষেক ব্যানর্জী ফেসবুকে লেখে(ইচ্ছে করে ন বাদ দিলাম) 'মদ গাঁজা বন্ধ তাই কি প্রতিবাদের গন্ধ'| উদ্দেশ্য খুব স্পষ্ট, আন্দোলন আসলে মদ গাঁজা বন্ধের প্রতিবাদে হচ্ছে, এটাই দেখানোর চেষ্টা| এই অভিষেক ব্যানার্জী হল মমতা ব্যানার্জীর ভাইপো, সেইই তার ক্লেম ট্যু ফেম| তা ছেলেপুলেরা আরো ক্ষেপে ওঠে, অনেকে গিয়ে অভিষেকের প্রোফাইলে মদ-অন'এর সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করেও আসেন| এখানে সচলের পাঠকদের জানিয়ে রাখি পশ্চিমবঙ্গের পরিবহনমন্ত্রী মদন মিত্র সম্পর্কে কথিত আছে যে বিকেল চারটের পর থেকে ওঁর কথার গ্রহণযোগ্যতা কমতে থাকে, সন্ধ্যে সাতটার পর আর কোনও কথাই ধরতে নেই| ২০ তারিখ সকাল থেকে আকাশ উপুড় করে আঝোরে বৃষ্টি শুরু হয়, আর কলকাতা দেখে এক অবাক মিছিলের| পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্ত, কলকাতার প্রায় সমস্ত কলেজ থেকে ছাত্রছাত্রী এসে পা মেলায় মিছিলে, আসে অজস্র সদ্য পাশ করা না-ছাত্রছাত্রীরা, আসেন অনেক বিশিষ্ট গুণী, আসেন মধ্যবয়সী ও প্রায় বৃদ্ধের দিকে যাওয়া নারীপুরুষ| গান গাইতে গাইতে, হাততালি দিয়ে শ্লোগান দিতে দিতে সুচারু শৃঙ্খলায় সব হাঁটতে থাকেন রাজভবনের দিকে, উদ্দেশ্য রাজ্যপালের সাথে দেখা করা| মেয়ো রোডে পুলিশ আটকে দেয় মিছিল| সবাই ওখানেই রাস্তায় বৃষ্টির মধ্যে বসে পড়েন, গান গাওয়া, শ্লোগান দেয়াঅ চলতে থাকে| ৮ জনের এক প্রতিনিধিদল গিয়ে রাজ্যপালের সাথে দেখা করে তাঁদের দাবীদাওয়াগুলি জমা দিয়ে আসেন| মুখ্য দাবী হল বিশাখা গাইডলাইন অনুযায়ী নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গড়ে মেয়েটির অভিযোগের বিচার করে তার ফল জানাতে হবে| পুলিশে করা এফ আই আরের এগেইনস্টেও চার্জশীট জমা দিয়ে উপযুক্ত শাস্তির বিধান করতে হবে| ভিসির পদত্যাগ চাইই চাই| আরো বেশ কিছু ন্যায়সঙ্গত দাবী| রাজ্যপাল অনেকক্ষণ ধরে মন দিয়ে ছাত্রদের কথা শোনেন, আশ্বাস দেন ব্যবস্থা নেওয়ার| প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখি রাজ্যপালই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য্য|

২২ তারিখ কলকাতায় পাল্টা মিছিলের ডাক দেয় তৃণমূল ছাত্র পরিষদ এবং কুখ্যাত শঙ্কুদেব পান্ডা| সেই মিছিলে টিভি চ্যানেলের লোকজন আসার কারণ জিগ্যেস করলে অনেকেই জানান যাদবপুরে পুলুশ ঢুকে ছাত্রদের পেটানোর প্রতিবাদে তাঁরা এসেছেন| এই নিয়ে চ্যানেলে চ্যানেলে চ্গলে তুমুল খিল্লী, তাতে অবশ্য শঙ্কুপান্ডার বা শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কোনও কিছু আসে যায় না| সেই মিছিল নিয়ে গিয়ে শঙ্কু পান্ডাও চেষ্টা করে খুব রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করার| রাজ্যপাল কিন্তু দেখা করেন না| স্বভাবতই ২০র মিছিলের উদ্যোক্তারা ছাত্রছাত্রীরা খুবই উল্লসিত হন| এর মধ্যে রবিবার রাতে আবার পার্থ চট্টো এবং শঙ্কুপান্ডা গিয়ে সেই মেয়েটির বাড়ীতে দেখা করে কথাবার্তা বলে আসেন| যে বাবা শনিবার ২০ তারিখে ছাত্রদের মিছিল দেখে আপ্লুত হয়েছিলেন এরা ওঁর মেয়ের জন্য, ন্যায়বিচারের দাবীতে লড়ছে, সেই তিনিই এবারে বিবৃতি দিয়ে জানান তিনি মনে করেন রাজ্য সরকার এবং বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে ঠিকই ন্যায়বিচার দেবে, ছাত্ররা যেন আর ক্লাস নষ্ট না করে ক্লাস শুরু করে দেয়| কিছু লোক আবার শুরু করে মেয়েটি ও তাঁর বাবা বিক্রী হয়েছেন ইত্যাই| এবারে আবার হোক্কলরব টিম রুখে দাঁড়ায়, বিবৃতি দিয়ে জানায় কেউ যেন ওঁদের একটিও কটুবাক্য না বলে, কারণ আমরা কেউ জানি না ঠিক কি পরিস্থিতিতে উনি কী বলেছেন| আর সবচেয়ে বড় কথা এতদিন বাদে শিক্ষামন্ত্রী বাড়ী এসে উপস্থিত হলে একজন নির্বিরোধী ভালমানুষ, হঠাৎ করে মিডিয়ার অনাকাঙ্খিত অ্যাটেনশান পেয়ে যাওয়া নিরীহ মানুষ কী-ই-বা করতে পারেন!

২৫ তারিখ থেকে বিশ্বজুড়ে 'হোক্কলরব'এর ডাক দেওয়া হয়| সাড়া আসছে সমস্ত্ অঞ্চল থেকে| মূলত যাদবপুরের প্রাক্তনীরাই উদ্যক্তা, কিন্তু আন্দোলনে সহমর্মিতা জানাচ্ছেন বহু বহু মানুষ| ২০ তারিখ মিছিলের কিছু শ্লোগান

এই ভিসিকে চিনে নিন/ ওএলএক্সে বেচে দিন

পুলিশ পেলে জাপটে ধরে/গান শোনাব বিশ্রী সুরে (বোধহয় রোদ্দুর রায়ের গান শোনাবে বলে ভেবেছিল)

ভিসি তুমি বাজে লোক/তোমার মাথায় উকুন হোক

আরো বেশ কিছু মজার মজার ছিল| আর চলছে পোস্টার বানান| ছাত্রছাত্রীদের আন্দোলন, ক্লাস বয়কট চলছে| এরমধ্যে শিক্ষামন্ত্রী একটি নতুন তদন্ত কমিটি বানিয়ে দিয়েছেন, বিশাখা গাইডলাইনের ধার না ধেরেই| আর নিরপেক্ষতার বদনাম তাঁর কোনওদিনই নেই| কাজেই সেই কমিটি নিয়েও শুরু হয়ে গেছে তুমুল বিক্ষোভ| এই নতুন কমিটি আবার ৪৮ ঘন্টার মধ্যে একটা রিপোটর্ও জমা দিয়েছে| দুজন ছাত্রকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে, বলাবাহুল্য ছাত্রছাত্রীদের বক্তব্য এটা আসল দোষীদের আড়াল করা ও বিক্ষুব্ধদের টাইট দেওয়া জন্য একটি চাল এবং উদ্দেশ্যমূলকভাবেই ভুল লোকদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে|

ব্যক্তিগতভাবে ছাত্ররাজনীতির অতি দেউলিয়া চেহারা দেখে কলেজ লাইফ কাটানো আমি এই আন্দোলনের শুরুতে যথেষ্ট সিনিক ছিলাম| কিন্তু পরে এদের ম্যাচিওরিটি দেখে নিজেদের বক্তব্যে অবিচল থাকা দেখে, অত্যন্ত স্বচ্ছ ভাবনাচিন্তা দেখে একেবারে অবাক ও মুগ্ধ|

শেষে ওদের সাথে গলা মিলিয়েই বলি হোক হোক হোক্কলরব

সংযোজনঃ

এই মুহূর্ত্তে তদন্তের কী অবস্থা

http://www.epaper.eisamay.com/epaperimages/2992014/2992014-md-em-6/3244265.jpg

## খুব তাড়াহুড়োয় লেখা পরে কিছু ভুল চোখে পড়লে সংশোধন করে দেব| আর সময় করে বিশ্বের বিভিন্ন কোণে যে প্রতিবাদের ঝড়্ উঠেছে তার কিছু ছবিছাবা জুড়ে দেব|


২০১৪-এর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র আন্দোলন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

২০১৪-এর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র আন্দোলন



তারিখ

১৩ সেপ্টেম্বর২০১৪

অবস্থান

কলকাতা

প্রক্রিয়াসমূহ

  • নাগরিক প্রতিরোধ

  • বিক্ষোভ

  • অনলাইন কার্যক্রম



ক্ষয়ক্ষতি





আঘাত

৪০

গ্রেপ্তার

৩৭



২০১৪ সালের 'হোক কলরব' আন্দোলনবা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হওয়া ছাত্র আন্দোলন শুরু হয় ভারতেরকলকাতাশহরের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়েসেপ্টেম্বরের ১৩ তারিখে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী ঐ বিশ্ববিদ্যালয়েরই কিছু ছাত্রের বিরুদ্ধে তার উপর শ্লীলতাহানির অভিযোগ আনলে বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ সেই অভিযোগের যথাযথ মর্যাদা দেননি বলে জানা যায়। কতৃপক্ষের কাছে এই ঘটনার নিরপেক্ষ বিচারের দাবি নিয়ে প্রতিবাদে এগিয়ে আসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল ছাত্রছাত্রী। এরপর তাদের এই ধারাবাহিক বিক্ষোভ ও অবস্থানের খবর ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়তে থাকে ফেসবুক এবং অন্যান্য সোশাল মিডিয়ায়, যেখানে প্রতিবাদজনিত যাবতীয় সংবাদ পর্যায়ক্রমিক ভাবে সম্প্রচারিত হতে থাকে #হোককলরব (#hokkolorob) হ্যাশট্যাগের সাথে। সেপ্টেম্বরের ১৬ তারিখ অব্দি ঘটতে থাকা ধারাবাহিক বিক্ষোভের পরও সমঝোতার সিদ্ধান্তে না-পৌঁছনো গেলে উপাচার্য সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কিছু অধ্যাপককে ঘেরাও করেন বিক্ষুব্ধ ছাত্রছাত্রীদের দল।

১৭ তারিখ মধ্যরাত্রে এই বিক্ষোভ সামলানোর জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গনে পুলিশের দল আসে এবং নির্মম ভাবে লাঠিচার্জ করে বিক্ষোভকারীদের উপর। পুলিশের লাঠিচার্জের সাথে সাথে তৃণমুল কংগ্রেসের কর্মচারীরাও ওইদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করে ছাত্র দের গায়ে হাত তোলেন বলে জানা যায়। সংঘর্ষে গুরুতর ভাবে জখম হন ৪০ জন ছাত্র, সাথে গ্রেপ্তার করা হয় ৩৭ ছাত্রকে। এই ঘটনা সংবাদমাধ্যম এবং সোশাল মিডিয়ায় সম্প্রচারিত হলে প্রতিবাদে ফেটে পড়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এবং প্রতিবাদ সংক্রামিত হতে থাকে কলকাতার বিভিন্ন স্কুল কলেজের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে। আন্দোলনে ধীরে ধীরে এগিয়ে আসে দিল্লি, মুম্বাই, হায়দ্রাবাদ, বেংগালুরু সহ ভারতের বিভিন্ন শহরের আপামর ছাত্রসমাজ।[১][২][৩][৪]আন্দোলনের ঢেউ এমনকি ছড়াতে থাকে দেশের বাইরেও। অচিরেই হোক কলরব শব্দবন্ধটি হয়ে যায় বিশ্বব্যাপী এক ছাত্র আন্দোলনের মুখে মুখে ফেরা স্লোগান। ১৭ তারিখের পর থেকেই ধারাবাহিক ভাবে নানান মিছিল সংগঠিত হতে থাকে কোলকাতা শহরে, তা বিপুল আকার নেয় ২০ সেপ্টেম্বরের মহামিছিলে। ঐদিন দুপুর ২'টোয় নন্দন থেকে যে মিছিলটি বেরোয় তাতে হাঁটতে দেখা যায় অসংখ্য মানুষকে, কোলকাতা শহরের বিভিন্ন স্কুল কলেজের ছাত্রছাত্রীরা তো বটেই, মিছিলে ওদের সমর্থনে পা মেলান নানা বয়সের ও নানা পেশার মানুষও। মিছিলের শেষে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে থেকে কয়েকজনের প্রতিনিধিদল দল যখন দেখা করেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল কেশরী নাথ ত্রিপাঠির সাথে, বাকিরা তখন অবস্থানে বসেন কলকাতার মেয়ো রোডে পুলিশের ব্যারিকেডের মুখে।[৫][৬]

বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম কতৃক প্রচারিত পরিসংখ্যান গুলি থেকে অনুমান করা যায় ঐদিনে মিছিলের জনসমুদ্রে ছিলেন ত্রিশ হাজার থেকে এক লক্ষ মানুষ। বিক্ষুব্ধ মানুষের জোট ঐদিন একসাথে দাবি জানিয়েছিলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে মধ্যরাতে লাঠিচার্জের মত ঘটনার প্রতিবাদে তার যোগ্য বিচার হিসেবে উপাচার্য অভিজিত চক্রবর্তীর পদত্যাগ এবং নির্যাতিতা মেয়েটির শ্লীলতাহানির উপযুক্ত নিরপেক্ষ তদন্ত জন্য।[৬][৭][৮]

পরিচ্ছেদসমূহ

 [আড়ালে রাখো]

আন্দোলনের প্রকৃতি[সম্পাদনা]

এই আন্দোলনের মূল ধারা কোনও রাজনৈতিক দল দ্বারা প্রভাবিত নয়। লক্ষ্য করার মত বিষয় হল এই যে আন্দোলনের ধারায়, প্রথম দিন থেকেই ছাত্রছাত্রীদের তৈরি অগণিত গান, ছড়া, কবিতা, পথনাটিকাই ছিল এই আন্দোলনের প্রধান হাতিয়ার।[৭][৮]স্বভাবতই এই আন্দোলনের সাথে বারংবার তুলনা টানা হয়েছে সত্তরের দশকের ছাত্র আন্দোলনগুলির। সোস্যাল মিডিয়া এবং অন্যান্য অনলাইল কার্যক্রমের মধ্যে দিয়ে গণ-অভ্যুত্থান অবশ্য ইতিপূর্বে ভারতে খুব বিশেষ দেখা যায়নি।[৯]

প্রতিক্রিয়া[সম্পাদনা]

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হওয়া এই ছাত্রদের ধারাবাহিক বিক্ষোভ সামান্য কিছুদিনের মধ্যেই রাজ্যব্যাপী এক ছাত্র অভ্যুত্থানের চেহারা নেয়। রাজ্যের বিভিন্ন ছোট-বড় স্কুল কলেজ তো বটেই আন্দোলনে অংশ নেয় দিল্লির জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়, ইংলিশ আণ্ড ফরেন ল্যাঙ্গোয়েজ ইউনিভার্সিটি, আই আই টি বম্বে, প্রমুখ জাতীয় স্ততরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিও। আন্দোলন ক্রমশই দানা বাঁধতে থাকলে পাশে এসে দাঁড়ায় বিদেশের বহু স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ছাত্রছাত্রীদের দল।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]

উইকিমিডিয়া কমন্সে ২০১৪-এর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র আন্দোলনসংক্রান্ত মিডিয়া রয়েছে।


উইকিসংবাদেনিম্নের বিষয় সংক্রান্ত খবর আছে: Students protest against police action in Jadavpur University, Kolkata

বিষয়শ্রেণীসমূহ:

পশ্চিমবঙ্গের ছাত্র আন্দোলন

তারিখ: ২৪ ডিসে ২০১১

প্রকাশক: মঙ্গলধ্বনি

মন্তব্য: 0

ট্যাগসমূহ: অধিকার, অল বেঙ্গল স্টুডেন্ট ইউনিয়ন, ছাত্র আন্দোলন, ছাত্র নির্যাতন, ছাত্র সংগঠন, তৃনমূল কংগ্রেস, পশ্চিমবঙ্গ, প্রতিবাদ, বাম ফ্রন্ট, বিদ্রোহ,মমতা ব্যানার্জী, মুক্তি, রাজ্য সরকার, রাষ্ট্রীয় দমন, রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস, লড়াই, শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণ, সংগ্রাম,সারা বাংলা ছাত্র সংসদ, সিপিএম

লিখেছেন: শিহাব ইশতিয়াক সৈকত

প্রসঙ্গঃ সারা বাংলা ছাত্র সংসদ

১৯৯১ সাল থেকে ভারতে গ্লোবালাইজেশনের হাওয়া বইতে থাকায় আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে বিপর্যয় আরো দ্রুতগামী হয়েছে। গত দশকের মাঝামাঝি থেকে এই হাওয়া ঝড়ে পরিণত হয়। কর্মী সংকোচন,বেসরকারীকরণ, গণহত্যাসহ গ্লোবালাইজেশনের একাধিক বৈশিষ্ট্য ফুটে উঠে 'মরূদ্যান'বাংলায়। আক্রমণ যত তীব্র হয়েছে, জনগণ তত বেশি করে আন্দোলনে নেমেছে, ঘটে গেছে একের পর এক গণ-আন্দোলন। ২০০৬ সাল থেকে এখন পর্যন্ত এই সময়টাকে গণ-সংগ্রামের পূনর্জাগরণ বলা যেতে পারে।

সিঙ্গুর থেকে শুরু, তারপর নন্দীগ্রাম, ভাঙ্গরসহ একাধিক জায়গায় জমি বাঁচাবার আন্দোলন, কালোবাজারির বিরুদ্ধে আন্দোলন, পরবর্তীকালে আত্মমর্যাদা, বিকল্প উন্নয়ন ও সামাজিক কাঠামোর আন্দোলন- লালগড় আন্দোলন গড়ে উঠে। স্বাভাবিকভাবেই এই সমস্ত আন্দোলনে সামনের সারিতে ছিল ছাত্ররা। জনগণ 'নেতা'-দের থেকে ছাত্রদের বেশি বিশ্বাস করে। তাই ২০১১ এর আগে বাম ফ্রন্ট সরকার গরীব, নিপীড়িত মানুষের আন্দোলনকে নারকীয়ভাবে দমন করার সাথে সাথে নিপীড়িত গণ-মানুষের আন্দোলনের সমর্থক, প্রচারক ছাত্রদের উপর একাধিকবার হুমকি দিয়েছে, আক্রমণ করেছে। আর এই হুমকির সামনে দাঁড়িয়ে ছাত্ররা বারবার কলকাতার রাজপথে নেমেছে, পুলিশের সন্ত্রাস তথা রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে, ফাঁস করেছে একের পর এক সরকার ও রাষ্ট্রীয় দালাল মিডিয়ার অপপ্রচার। এর জন্য তারা গ্রেপ্তার হয়েছে, মার খেয়েছে ভাড়াটে গুন্ডাদের হাতে।

কিন্তু ২০১১ এর পর বাম ফ্রন্ট সরকারকে হটিয়ে গণতন্ত্রের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় আসা মমতার সরকারের সময়ও অবস্থার কোন পরিবর্তন হলনা। বাম ফ্রন্ট আমলের মতই এই সরকারের সময়েও ছাত্ররা পথে নেমেছে ভোটের প্রতিশ্রুতিমত রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্তি, নিজের দেশের জনগণের উপর সামরিক অভিযান বন্ধের দাবী, সিঙ্গুর এ জমি ফেরত এর দাবী, পুলিশের সন্ত্রাস বা বিশ্ববিদ্যলয়ে অর্ডিন্যান্স জারি করে ছাত্রদের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণের প্রতিবাদ জানাতে। পুরনো বাম ফ্রন্ট আমলের মতো এ আমলেও ছাত্ররা সরকারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে। আর গ্লোবালাইজেশনের নীতিগুলোকে বিনা বাধায় প্রয়োগ করতে গেলে আগে ছাত্রদের মুখ বন্ধ করা প্রয়োজন; তাই শুরু হয়ে গেল হুমকি দেয়া। এবার একেবারে সংগঠন-প্রতিষ্ঠানের নাম ধরে ধরে মূখ্যমন্ত্রী হুমকি দিলেন ছাত্র সংগঠনগুলোকে, সেই সাথে অধ্যাপকদের। 'ছাত্র সংগঠনগুলোর সাথে মাওবাদী যোগাযোগ', 'মাওবাদীদের সাহায্য'ছাড়াও মেয়েদের 'ইজ্জত, অপহরণ', 'পুরুলিয়ার হোটেলে শুধুমাত্র খেয়ে এক লাখ টাকা বিল!!!', অপহরণ, খুন সহ একাধিক কিছু সুলভ মিথ্যা অভিযোগ আনেন।

শিক্ষা ব্যবসায়ীদের প্রতিহত করতে, শিক্ষায় সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসন ঠেকাতে, অ-বৈজ্ঞানিক পাঠক্রমের বিরুদ্ধে,শিক্ষার মৌলিক অধিকার রক্ষা করার জন্য, মাতৃভাষায় শিক্ষার অধিকার সুনিশ্চিত করার দাবীতে,শিক্ষাক্ষেত্রে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এবং ঐক্যবদ্ধ ছাত্র আন্দোলন গড়ে তোলার শ্লোগান নিয়ে এই নভেম্বরে 'সারা বাংলা ছাত্র সংসদ (ALL BENGAL STUDENTS' UNION)'এর প্রথম রাজ্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। নভেম্বরের ৯ তারিখে এর প্রকাশ্য সভা অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু স্বাভাবিকভাবেই এই নবগঠিত সংগঠনটিও রক্ষা পায়নি নিপীড়ন থেকে। শিক্ষাসংক্রান্ত বিষয়ে গড়ে উঠা 'সারা বাংলা ছাত্র সংসদ'সহ আরো কিছু ছাত্র সংগঠনকে মাওবাদী তকমা, সংগঠনগুলোর নেতা কর্মীদের গ্রেপ্তার করার হুমকি দেয়া হল। কিন্তু মূখ্যমন্ত্রী এটা স্পষ্ট করেননি যে তার রাজ্যে বাকস্বাধীনতা, প্রতিবাদ করার স্বাধীনতা আছে কিনা, মাওবাদী দর্শনে বিশ্বাস করাটা তিনি অপরাধ বলে মনে করেন কিনা, কেউ মাওবাদী হলেই তার উপর যাবতীয় অত্যাচার করার বৈধতা চলে আসে কিনা, অথবা কাউকে একবার মাওবাদী ছাপ মেরে দিলে তার হয়ে কথা বলাটা অপরাধ কিনা। বন্দীমুক্তি, লালগড় থেকে যৌথবাহিনী প্রত্যাহার, সিঙ্গুরের জমি ফেরত সহ যে যে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি তিনি ভঙ্গ করেছেন, সেই বিষয়ে তার মতামত তিনি পরিষ্কার করেননি।

শিক্ষা কি শুধুমাত্র বড়লোকের ছেলে-মেয়েদের সম্পত্তি নাকি প্রত্যেক শিক্ষার্থীর?

বিশ্ববিদ্যালয়ে যে শিক্ষার্থীরা সংখ্যাগরিষ্ঠ, তাদের বাদ দিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়াটা কোন ধরণের গণতান্ত্রিক চরিত্রের মধ্যে পড়ে?

মূখ্যমন্ত্রীর হুমকিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে অর্ডিন্যান্স এর বিরোধিতা, বন্দীমুক্তি, লালগড় এ প্যারা মিলিটারি অভিযানের বিরোধিতা (সরকারের কাছে যার অর্থ দাঁড়ায় মাওবাদীদের সমর্থন করা) করাসহ একাধিক দাবীতে ছাত্ররা কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবে ঢুকে পোস্টার নিয়ে দাঁড়িয়ে পরে। এটা মূখ্যমন্ত্রীর হুমকির বিরুদ্ধে একটা থাপ্পর। ছাত্রদের বক্তব্য পরিষ্কার, তাহলো- চেতনাকে জেল এ ঢোকানো বা ভয় দেখানো যাবেনা বা এইসমস্ত হুমকিতে ছাত্র আন্দোলন শেষ হয়ে যায়না। চলচ্চিত্র উৎসব থেকে ৫ জনকে পুলিশ ধরে নিয়ে যায়,যদিও জনমতের চাপে ঐ রাতেই তাদের ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়।

ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করা, অধিকাংশ ছাত্র বা ব্যাপক জনসাধারণের স্বার্থে কথা বলা মুখ বন্ধ করার আকাঙ্ক্ষাতেই হোক, চক্রান্তের অংশ হিসেবে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আঙ্গুল উঠেছে এই ছাত্র মঞ্চটির বিরুদ্ধে। সরকারের এই চক্রান্তের আভাস পাওয়া যায় সেদেশের পত্র-পত্রিকাতে। ১০ নভেম্বর, 'সংবাদ প্রতিদিন'পত্রিকায় ছাত্রদের যৌক্তিক কর্মকান্ডের বিরুদ্ধবাদিতা করা হয়, কোন কোন ক্ষেত্রে সিপিএম'এর সাথে মিলিয়ে দেয়া হয়। রাষ্ট্রের অংশ হিসেবে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার কর্তৃক এদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়াটাই স্বাভাবিক। এই সমস্ত ছাত্ররাই সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামসহ আরো বিভিন্ন সংগ্রামে যুক্ত ছিল- এই একটা উদাহরণই মনে হয় যথেষ্ট সরকারের ভন্ডামীর কারণ বোঝার জন্য।

এবারে আসা যাক এই নবগঠিত ছাত্র সংগঠন 'সারা বাংলা ছাত্র সংসদ (All Bengal Students' Union)'এর প্রসঙ্গে। এটি মূলতঃ 'ইউনাইটেড স্টুডেন্টস ডেমক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউএসডিএফ)', 'ঝাড়খন্ড স্টুডেন্টস ফেডারেশন (জেএসএফ)'এবং 'ছাত্র সমাজ'; এই তিনটি সংগঠন একীভুত হয়ে গড়ে উঠেছে। ২০০৫'এর ১০ জুন, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে অনশনরত শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশ হামলা চালায়। সেসময় বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩টি অনুষদের মধ্যে শুধুমাত্র কলা অনুষদে ক্ষময়তায় ছিল স্টুডেন্টস ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া (এস এফ আই)। অনশনরত শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশের এই হামলার ঘটনার পর তাদের সরকার বিরোধী ক্ষোভকে সংগঠিত করতে বিপ্লবী ছাত্র সংগঠন 'রেভল্যুশনারি স্টুডেন্টস ফ্রন্ট (আর এস এফ)'এর সদস্যবৃন্দ এবং গণতন্ত্রপ্রিয় শিক্ষার্থীরা কলা অনুষদে তৈরি করে 'ফোরাম ফর আর্টস স্টুডেন্টস (এফএএস)'। উল্লেখ্য আরএসএফ ছিল অল-ইন্ডিয়া স্টুডেন্টস ফেডারেশন (এআইএসএফ)'এর পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য শাখা। অপরদিকে, প্রেসিডেন্সী কলেজে সংসদে ছিল স্বাধীন ছাত্র সংগঠন 'ইন্ডিপেন্ডেন্ট কন্সোলাইডেশন'বা আইসি। এই এফএএস এবং আইসি'এর যৌথ মঞ্চ হিসেবে তৈরি হয় ইউএসডিএফ। ২০০৬'এ এই ইউএসডিএফ ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে এসএফআই'এর একচেটিয়া প্রভাব এবং খবরদারীর বিরুদ্ধে বহু স্বাধীন ছাত্র মঞ্চ গড়ে তোলে। আর সেই সাথে সিঙ্গুর,নন্দীগ্রাম, ডানকুনিসহ একের পর এক কৃষক আন্দোলনে অংশ নিতে থাকে। তারা আন্দোলনকে জাগিয়ে তুলতে গ্রামে চলে যায়। সেসময় যারা সখের রাজনীতি করত, তাদের বেশিরভাগ অংশ ইউএসডিএফ'এর বিরোধিতা শুরু করে। এর পর ২০০৯ সালে এই মঞ্চ থেকেই ইউএসডিএফ একটি বিপ্লবী ছাত্র সংগঠন হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। অন্যদিকে, যে জেএসএফ দীর্ঘদিন ধরে আদিবাসী সমাজ এর দাবী, শিক্ষা সঙ্ক্রান্ত দাবী নিয়ে আন্দোলন করে আসছে, লালগড় আন্দোলনেও তাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। আর লালগড় আন্দোলনের সময় স্কুল থেকে পুলিশ ক্যাম্প তুলে দেওয়ার দাবীতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মঞ্চ ছাত্র সমাজ গড়ে উঠে।

ঘোষণাপত্র অনুযায়ী, সারা বাংলা ছাত্র সংসদ দলতন্ত্র এবং শিক্ষাকে বাণিজ্যিক পণ্যে রূপান্তরিত করার বিরোধী। আমরা দেখতে পাই, প্রচলিত রাষ্ট্র ব্যবস্থায় রাষ্ট্রক্ষমতার একটা শক্তিশালী অংশীদার হচ্ছে সাম্রাজ্যবাদনির্ভর পুঁজিবাদ। দালাল বা লুটেরা পুঁজিপতিরা তাদের শাসন-শোষণ টিকিয়ে রাখার স্বার্থে 'বিরাজনীতিকরণ'নামক এক নোংরা রাজনীতির ধ্বজাধারী। নিজেদের অন্তর্দ্বন্দ্ব ঢাকতে বা নিজেদের অমানবিক শোষণকে চিরস্থায়ী করার স্বপ্নে তারা বিরাজনীতিকরণের বুলি আওড়ায়। রাষ্ট্রের অংশ হিসেবে,বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনও একই কায়দা অনুসরণ করে। শিক্ষা ক্রয়-বিক্রয়ের দোকান খুলে বসেছে প্রশাসন। প্রশাসন এর স্বৈরশাসন প্রক্রিয়া বাণিজ্যিক এবং সেই সাথে সামরিক। 'স্থিতিশীলতা আনয়ন'এর নামে নীল নকশা এঁকে শিক্ষাঙ্গনকে সামরিকায়ন করাসহ শিক্ষার্থীদের মুখ বন্ধ করে দেয়ার অপচেষ্টা করা হয়। এর ফলাফল অত্যন্ত ভয়াবহ। এভাবে একসময় নির্যাতিতদের হাতে কলমের পরিবর্তে বন্দুক উঠবে। কারণ এটা করতে তারা বাধ্য। তাদের রাজনৈতিক শ্লোগান শুনতে প্রশাসন রাজী নয়। যে সামরিক বাহিনি তাদের হাত বেঁধে রেখেছিল, সেই সামরিক বাহিনীর অস্ত্র সেইসমস্ত নির্যাতিতের হাতে উঠবে। ঐ রাষ্টীয় বাহিনীর অস্ত্রই শিক্ষাঙ্গনে নিজেদের কবর খুড়বে। রাজনীতি বিকাশ লাভ করবে জন-যুদ্ধে।

নিজেদের অধিকারকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য সংগঠিত আন্দোলন এর বিকল্প নেই। 'সারা বাংলা ছাত্র সংসদ'ঘোষণা করেছে যে তারা যেকোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রীদের স্বাধীন উদ্যোগে নিজস্ব সংগঠন গড়ে তোলার প্রচেষ্টাকে সমর্থন ও সহযোগিতা করবে। সংগঠিত আন্দোলন শুধুমাত্র নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠার বিষয়ে নয়,বরং এতে নিজেদের মুক্তচিন্তা বিকাশ লাভ করে। সংগঠিত আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমে নতুন চিন্তাধারার উদ্ভব হয়। আমরা দেখেছি যে, আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে বিকশিত চিন্তাধারা, মাও সে-তুঙ চিন্তাধারাকে মানবজাতি নিজেদের মুক্তির দিশারী হিসেবে পেয়েছে, যা আজ মাওবাদ'এ প্রমাণিত সত্য। সংগঠিত আন্দোলনের মাধ্যমে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মুক্তচিন্তা চর্চার মতো সুব্যবস্থা, 'মুক্তবুদ্ধি বিকাশের উর্বর ক্ষেত্র'বিশ্ববিদ্যালয়ের নিপীড়ক প্রশাসক করে দিবেনা; তাই শিক্ষাঙ্গনে এধরণের সংগঠন গড়ে তোলাটা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ, যা আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ক্রমেই বিকশিত হবে।

শিক্ষার কেন্দ্রীকরণ বা শিক্ষা-সংকোচন আর কার স্বার্থেই বা হতে পারে?

নিজের ভাষায় শিক্ষাগ্রহণের অধিকার মানুষের, সেই সাথে নিজের জীবিকা নির্বাহের ক্ষেত্রেও মাতৃভাষা ব্যবহারের অধিকারও রয়েছে। 'অন্যায়ের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ন্যায়সঙ্গত', যাবতীয় অন্যায়, নিপীড়ণ, কুশাসনের বিরুদ্ধে লড়তে হবে। প্রতিষ্ঠিত করতে হবে মানবতা। এই সংগঠন মানবতা প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে শামিল হতে অঙ্গীকারাবদ্ধ।

রাষ্ট্রীয় দমন-পীড়ন, সন্ত্রাস, বিভ্রান্তি মোকাবেলা করে এগিয়ে যাওয়া বা ব্যাপক জনসাধারণের সাথে সম্মিলিত রক্তক্ষয়ী আন্দোলনের অভিজ্ঞতা নিয়ে গড়ে উঠেছে 'সারা বাংলা ছাত্র সংসদ'। এই সংগঠনটি গড়ে তোলার নায়কেরা দেখিয়েছেন যে, লড়াইয়ে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পথে সংগঠন আবশ্যক, লড়াইয়ের স্বার্থে আরো হাজারটা সংগঠন গড়ে উঠতে পারে, হাজারটা মুষ্টিবদ্ধ হাত এক হয়ে আঘাত করতে পারে। এই ছাত্ররাই দেয়ালে দেয়ালে লিখেছিল-

ভেঙ্গেছি বলেই সাহস রাখি গড়ার//

ভেঙ্গেছি বলেই সাজিয়ে দিতে পারি

স্বপনের পর স্বপ্ন সাজিয়ে আজ//

আমরা এখনো স্বপ্নের কারবারি//

প্রবুদ্ধ ঘোষ

সভাপতি,

সারা বাংলা ছাত্র সংসদ।


রক্তিম ঘোষ

সাধারণ সম্পাদক,

সারা বাংলা ছাত্র সংসদ।

যোগাযোগঃ

সৌম মন্ডল

পত্রিকা সম্পাদক,

সারা বাংলা ছাত্র সংসদ।

ইমেইল: absu2011@gmail.com

শেয়ার করুন:

http://www.mongoldhoni.net/student-movement-in-west-bengal/


রাজনৈতিক বন্দী মুক্তকরণ কমিটি (পশ্চিমবঙ্গ শাখা)

১৮ সূর্য্যসেন স্ট্রিট

কোলকাতা ৭০০০০৯

.

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

গতরাতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে শান্তিপূর্ণ অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচী পালনরত ছাত্র-ছাত্রীদের উপর পুলিশি হামলার ঘটনায় আমরা গভীরভাবে মর্মাহত। ২৮ আগস্ট, উৎসব চলাকালে ক্যাম্পাসের ভেতরে একজন ছাত্রীর যৌন নিগ্রহের অভিযোগের বিষয়টিকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যেভাবে সামাল দিচ্ছে তার বিরুদ্ধে ছাত্র-ছাত্রীরা প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে গত কয়েকদিন ধরে। ঘটনার তদন্তে নিয়োজিত "অভ্যন্তরীণ অভিযোগ কমিটি"র একজন নারী সদস্যের বিরুদ্ধে ঘটনার শিকার ছাত্রীকে আপত্তিকর প্রশ্ন করার অভিযোগ ওঠলে, আন্দোলনরত ছাত্র-ছাত্রীরা তার নিন্দা জানায়। তারা তদন্তকারী দল থেকে দুইজন নারী সদস্যেকে অপসারণের এবং সেইসাথে একজন আইনজীবী ও একজন মনোবিদকে বহিরাগত জুরি হিসেবে তদন্তদলে অন্তর্ভূক্ত করার দাবী জানায়। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য জনাব অভিজিৎ চক্রবর্তী তাদের দাবী প্রত্যাখ্যান করে। কিন্তু এর পরিবর্তে কতৃপক্ষ একটি আচরণবিধি প্রকাশ করে এবং ক্যাম্পাসের ভেতরে নজরদারীর জন্য একটি নতুন দল গঠনের ঘোষণা দেয়। এই পদক্ষেপটি ছাত্র-ছাত্রীদের আরও ক্ষুব্ধ করে তোলে এবং অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচীটি ঘেরাও কর্মসূচীতে রূপ নেয় এবং মিটিং চলাকালে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাহী পরিষদের সদস্যদের তারা ঘেরাও করে।

জানা যায় যে, নির্বাহী পরিষদের কিছু সদস্যের পুলিশি হস্তক্ষেপের বিরোধিতা সত্ত্বেও বিক্ষোভ দমন ও ঘেরাও মুক্ত করতে উপাচার্য পুলিশি পদক্ষেপ গ্রহণ করে। পরিস্থিতির আরও অবনতির আশঙ্কায়,ছাত্র ও কতৃপক্ষের মধ্যে মধ্যস্ততাকারী শিক্ষকদের অনেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে পুলিশ তলব করতে উপাচার্যকে নিষেধ করেছিলেন। যাই হোক, উপাচার্য তার সিদ্ধান্তে অনড় থাকেন। ফলশ্রুতিতে, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪, উপাচার্যের নির্দেশে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে। শান্তিপূর্ণ অবস্থান আন্দোলন কর্মসূচীকে ছত্রভঙ্গ করতে, কিছু অচিহ্নিত সাদা পোশাকের পুলিশ ও নিয়মিত পুলিশ অগণিত ছাত্র-ছাত্রীদের লাঠিপেটা করে। এতে ত্রিশ জনের অধিক ছাত্র-ছাত্রী আহত হয়। পুরুষ পুলিশই ছাত্রীদের টানা-হেঁচড়া করে। টিমটিতে কোন মহিলা পুলিশ ছিল না। একজন ছাত্রীসহ প্রায় পঁয়ত্রিশ জন ছাত্রকে তারা গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়। এই ঘটনাটি ২০০৫ সালে বুদ্ধদেবের আমলে অনশন ধর্মঘটে চালানো পুলিশি হামলার কথা আমাদেরকে মনে করিয়ে দেয়।

পুরো ঘটনাটি কেবলমাত্র ছাত্র সমাজ থেকে কতৃপক্ষের সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্নতাকেই তুলে ধরে না,আন্দোলনরত ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে বোঝাপড়ায় প্রশাশনের সম্পূর্ণ অদক্ষতাকেও ফুটিয়ে তোলে। কয়েক বছর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন শিক্ষক একটি যৌথ বিবৃতি দিয়েছিলেন। বিবৃতিতে তারা বলেন যে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় একটি পুলিশি বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হয়েছে। কারণ, ক্যাম্পাসে অসংখ্য সাদা পোশাকের পুলিশের উপস্থিতি আছে। পরিস্থিতি কতোটা ভয়াবহ হয়েছে, কিভাবে প্রতিনিয়ত মানবাধিকার পদদলিত হচ্ছে এবং কিভাবে বাকস্বাধীনতা ও চলাচলের স্বাধীনতা খর্ব হচ্ছে, তা ফুটে উঠেছে নজরদারীর জন্য পৃথক দল গঠনের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তে। আমরা ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪ তারিখে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশি হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। গ্রেফতারকৃত ছাত্র-ছাত্রীর অনতিবিলম্ব মুক্তি ও ক্যাম্পাস থেকে সাদা পোশাকের গোয়েন্দা কর্মকর্তা ও সকল পুলিশের তাৎক্ষণিক প্রত্যাহার দাবী করছি।।

.

অমিত ভট্টাচার্য

সাধারণ সম্পাদক, রাজনৈতিক বন্দী মুক্তকরণ কমিটি (সিআরপিপি)

.

সুজাতো ভদ্র

সহ-সভাপতি, সিআরপিপি

.

সুখেন্দু ভট্টাচার্য

সহ-সভাপতি, সিআরপিপি

.

অরুণ চক্রবর্তী

আহবায়ক, সিআরপিপি(পশ্চিমবঙ্গ শাখা)

—————————————

অনুবাদ: সুলতান মাহমুদ


                                                                                                                               ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪

প্রথমেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আন্দোলনে যুক্ত সকল আন্দোলনকারী সহযোদ্ধাদের জানাই লাল সালাম!

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক ছাত্র আন্দোলনে আমরা একই সাথে উজ্জীবিত এবং মর্মাহত। পুলিশি ও সন্ত্রাসী হামলায় আহতদের কষ্টে আমরা মর্মাহত। আবার স্বৈরতান্ত্রিক, ফ্যাসিবাদী,নিপীড়ক ব্যবস্থার বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলনে আমরা উজ্জীবিত।

২৮ আগস্ট, ক্যাম্পাসের ভেতরেই একজন ছাত্রী সন্ত্রাসীদের দ্বারা যৌন নিগ্রহের শিকার হন। অভিযোগ করা হলে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তা সালিশী ঢঙে মিটমাট করার উদ্যোগ নেয়। শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদের মুখে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তদন্ত কমিটি গঠন করে। প্রশাসনের তদন্ত কমিটি হতে তখন নির্যাতিত ছাত্রীর "চরিত্র"নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। আন্দোলনরত ছাত্র-ছাত্রীরা এর তীব্র নিন্দা জানায়।

আন্দোলন ফুঁসে ওঠছে লক্ষ্য করে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য অভিজিৎ চক্রবর্তী, তা দমনে সচেষ্ট হন। আন্দোলনকারীদের দাবী না মেনে বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ উল্টো একটি আচরণবিধি প্রকাশ করে এবং ক্যাম্পাসের ভেতরে নজরদারীর জন্য একটি নতুন দল গঠনের ঘোষণা দেয়। সেই সাথে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে গোয়েন্দা বাহিনী ও সাদা পোশাকের পুলিশের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এমন পদক্ষেপে ছাত্র-ছাত্রীদের আরও বিক্ষুব্ধ করে তোলে।

শিক্ষার্থীরা এর প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাহী পরিষদের মিটিংয়ে ঘেরাও করে। রাজ্য সরকার বা তৃণমূলের পকেটস্থ উপাচার্য এবং শিক্ষকেরা নির্বাহী পরিষদের কিছু সদস্যের বিরোধিতা সত্ত্বেও আন্দোলন দমনে পুলিশি পদক্ষেপ গ্রহণ করে। ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪, উপাচার্যের নির্দেশে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে। শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন কর্মসূচীকে ছত্রভঙ্গ করতে,কিছু সাদা পোশাকের পুলিশ ও নিয়মিত পুলিশ ছাত্র-ছাত্রীদের লাঠিপেটা করে। এতে ত্রিশ জনের অধিক ছাত্র-ছাত্রী আহত হয়। বেশ কয়েকজন জন আন্দোলনকারীকে এসময় গ্রেফতার করা হয়। তবে এমন ঘটনা নতুন কিছু নয়। তা এই ব্যবস্থার ধারাবাহিকতা মাত্র। ২০০৫ সালে ক্ষমতাসীন ছিল সিপিএম। সেই বুদ্ধদেবের আমলে অনশন ধর্মঘটে চালানো হয়েছিল পুলিশি হামলা। এখন ক্ষমতা হারিয়ে সিপিএম তৃণমূলের সমালোচনা করলেও আদতে শাসকশ্রেণীর এই দুই অংশের মাঝে কোন পার্থক্য যে নাই, তা বলাই বাহুল্য।

hok-kolorob-653423যাই হোক, ১৭ স্বপ্টেম্বর হামলার পর শিক্ষার্থীরা দমে যাননি। বরং দেশে বিদেশে বিভিন্ন ব্যক্তি,সংগঠন, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তারা সমর্থন পেয়েছেন। পুলিশ কমিশনার সুরজিৎ করের "বহিরাগত তত্ত্ব"শতভাগ সফল!হ্যাঁ, এতে বহিরাগতরা অংশ নিয়েছে, নিচ্ছে ও নিবে। কারণ, এটি কেবলমাত্র কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এটি এই সমাজে বিরাজমান পুরুষতান্ত্রিক চেতনার বিরুদ্ধে, শাসকশ্রেণীর ফ্যাসিস্ট চেতনার বিরুদ্ধে, এই সিস্টেমের বিরুদ্ধে আন্দোলন। তাতে গণতন্ত্রমনা জনগণের যেকোন অংশই সামিল হতে পারে খুব স্বাভাবিকভাবেই। আর এটিই আমরা লক্ষ্য করেছি মহামিছিলে।

একটি সমাজের প্রগতি প্রধানত নির্ভর করে তার শিক্ষাব্যবস্থার ওপর। অর্থাৎ সমাজের উৎপাদন ব্যবস্থার সাথে তার শিক্ষাব্যবস্থা উৎপ্রোতভাবে জড়িত। তা সমাজের মরুদণ্ড স্বরূপ। উৎপাদন ব্যবস্থা যদি গণমুখী হয়, তবে শিক্ষাব্যবস্থাও হবে গণমুখী। অপরদিকে, যদি এই উৎপাদনব্যবস্থা গণমুখী না হয়, তবে শিক্ষাব্যবস্থাও হবে তার অনুরূপ। কর্পোরেট সাম্রাজ্যবাদ পীড়িত বাঙলাদেশ-ভারতের মতো দেশসমূহে উৎপাদনব্যবস্থা নয়া-ঔপনিবেশিক হওয়ায়, প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থাও ক্রমেই কর্পোরেট পুঁজি ও সাম্রাজ্যবাদের কাছে নতি স্বীকার করেছে ও করছে। যার মূল উদ্দেশ্য কেবলই মুনাফা অর্জন, বা শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণ। এই ব্যবস্থা ক্রমেই মানুষকে ব্যক্তিকেন্দ্রিক করে তোলে, যা শাসকশ্রেণী এবং কর্পোরেট সাম্রাজ্যবাদের স্বার্থ সংরক্ষণ করে। এর সঙ্গে মিশেছে কর্পোরেট সংস্কৃতি, ইতিহাস বিকৃতি আর সযতনে লালিত পুরুষতন্ত্র।

এমন শিক্ষাব্যবস্থা শিক্ষার্থীদের শুধু পরীক্ষায় পাশ করতেই শেখাচ্ছে, নৈতিক গুণাবলী বৃদ্ধিতে যা তেমন কোনো ভূমিকাই রাখছে না। ফলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মাঝে দিনদিন আত্মকেন্দ্রিক প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে, যাদের মা-মাটি-মানুষ নিয়ে ভাবনার চেতনাটুকুও অবশিষ্ট নাই। ভোগবাদীতায় আচ্ছন্ন হয়ে তারা নারীদের যৌনবস্তু, ভোগ্যপণ্য বলে মনে করতেই শিখছে। ফলে এক ভোগবাদী চেতনার ধারক প্রজন্ম গড়ে ওঠছে প্রতিনিয়ত।

সাম্প্রতিক সময়ে বাঙলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়েও সরকারদলীয় সন্ত্রাসীদের দ্বারা, এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দ্বারা ছাত্রীদের যৌন নিপীড়নের ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু সামান্য প্রতিবাদেই যেন তার সমাপ্তি। প্রকৃতার্থে যাদবপুরের আন্দোলন দিশা দেখাতে পারে এমন হাজারো প্রতিবাদকে আন্দোলনে রূপ দেওয়ার ক্ষেত্রে।

hok-kolorob-76425এক সময় ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষকদের একটা বড় অংশ যুক্ত হতে দেখা যেত। কিন্তু ১৯৯০ সালের পর থেকে কথিত বিশ্বায়নের নামে কর্পোরেটদের অবাধ আগমণ নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে এখন শিক্ষক নিয়োগের বিষয়টিও অনেকাংশেই নির্ভর করে, সেই শিক্ষক কোন চিন্তাধারার ধারক, তার ওপর। সেই সাথে এই শিক্ষকরাও কিন্তু এই নয়া-উপনিবেশবাদী ব্যবস্থাতেই বেড়ে ওঠেছেন,অনেকে প্রগতিশীলতা ঝেরে ফেলে গড্ডালিকা প্রবাহে গা ভাসিয়েছেন। আর তাদের চিন্তা-কাঠামোটিও কিন্তু সেভাবেই গড়ে ওঠেছে। যে কারণে এখানকার সাম্প্রতিক ছাত্র আন্দোলনগুলোতে নগণ্য সংখ্যক শিক্ষককেই শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়াতে দেখা গেছে। যাদবপুরের আন্দোলন এ ক্ষেত্রেও বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। তাতে সমর্থন রয়েছে অনেক শিক্ষকদের, গায়ক, অভিনেতা, সংবাদকর্মী, পেশাজীবী এবং নিপীড়িত জনগণের।

সাম্প্রতিক ছাত্র আন্দোলনগুলো মূলতঃ বেতন, ফি বাড়ানো বা নাইটকোর্সের প্রতিবাদেই গড়ে ওঠে। সেখানে শিক্ষার্থীদের পড়ার বিষয়বস্তু, কারিক্যুলাম - যা এনজিও আর কর্পোরেটদের স্বার্থে নির্ধারিত, এর বিরুদ্ধে তেমন কোন প্রতিরোধই গড়ে তোলা যায়নি। বিশ্বভারতী থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, যাদবপুর থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, অথবা কলকাতা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়;সবখানেই রয়েছে যৌন নিপীড়ন। এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদও হয়েছে, কিন্তু তাতে গড়ে তোলা যায়নি আন্দোলন। এ ক্ষেত্রেও যাদবপুরের আন্দোলনকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবে ভাববার অবকাশ নাই। ভারতীয় উপমহাদেশে ছড়িয়ে থাকা পুরুষতন্ত্রকেই তা নির্দেশ করে মাত্র।

এমতাবস্থায় গণতান্ত্রিক বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের দাবীটাই হওয়া উচিৎ মূল দাবী। কারণ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা নির্মাণের মাধ্যমেই কেবল স্বৈরতন্ত্র -পুরুষতন্ত্র ধ্বংসের দিকে ধাবিত হওয়া সম্ভব। আর এ কারণেই গণতান্ত্রিক বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবীটি বিপ্লবী রাজনীতির সাথে সরাসরি জড়িত। এক্ষেত্রে আন্দোলনের নেতৃস্থানীয় অংশ এই বিষয়টি বিভিন্ন সময়ে অনুধাবন করতে ব্যর্থ হয়েছে। আর তাই আন্দোলনগুলোও দীর্ঘসময় টিকে থাকেনি। অর্জিত হয়নি কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য।

বাঙলাদেশের ছাত্র আন্দোলনের ক্ষেত্রে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উল্লেখ করা দরকার। রাজনৈতিক ব্যানার ব্যবহার না করে"সাধারণ শিক্ষার্থীদের"নামে ব্যানার ব্যবহার করাটা ছিল এখানকার বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলোর আরেকটি বড় ব্যর্থতা। অনেকেই সাফাই দিচ্ছেন যে, রাজনৈতিক সংগঠনের নামে ব্যানার ব্যবহার করা হলে শিক্ষার্থীরা আসবেন না, কিন্তু তা কখনোই সঠিক চিন্তা নয়। পৃথিবীর সবকিছুতেই যেখানে রয়েছে রাজনৈতিকতা, সেখানে এই আন্দোলন অরাজনৈতিক থাকে কিভাবে। আর তাকে অরাজনৈতিক বলার মানে হলো - বিরাজনীতিকরণের রাজনীতিকে সমর্থন করা। আর আন্দোলনের এই ব্যর্থতায়, এই আন্দোলন অর্থনীতিবাদী আন্দোলনে আবদ্ধ হয়েই থেকেছে। যে কারণে এই আন্দোলনগুলো একটা ধাপ পেরিয়েই থমকে যাচ্ছে।

উল্লেখ্য, ছাত্র রাজনীতি যদি শ্রমিক-কৃষক-মেহনতি জনগণের আন্দোলন সংগ্রামের সাথে যুক্ত হতে পারে, তবেই তা বিপ্লবী রাজনীতির পক্ষে পরিচালিত হওয়া সম্ভব। অপরদিকে, যখন তা কেবল শিক্ষার্থীদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধির বিরুদ্ধে পরিচালিত আন্দোলনেই আবদ্ধ হয়ে পড়ে, তখন সে আন্দোলন যে অল্প সময়েই নেতিয়ে পড়বে, তা বলাই বাহুল্য।

বিপ্লবী রাজনৈতিক চেতনাকে দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরে শুধু শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণ নয়, বেতন-ফি কমানোর আন্দোলন নয়, কেবল পুরুষতন্ত্রের বিরুদ্ধে আন্দোলন নয়; বরং শাসকশ্রেণীর প্রভাব বলয় থেকে মুক্ত, এক গণতান্ত্রিক বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের আন্দোলনকে এগিয়ে নিতে পারলেই কর্পোরেট, এনজিওবাদীদের অপশক্তিকে মোকাবেলা করা সম্ভব হবে।।

.

সংগ্রামী শুভেচ্ছাসহ

শাহেরীন আরাফাত

(মঙ্গলধ্বনি-র পক্ষে)

———————-

# হোক কলরব

শেয়ার করুন:

http://www.mongoldhoni.net/to-the-comrades-of-jadavpur-university/



হিন্দুত্ববাদিরা তসলিমাকে জুতো পেটা করলেন? ইসলামি মৌলবাদিদের মহাউল্লাস! এই দুর্ঘটনার নিন্দার কোনো ভাষা নেই, চরিত্রহননের স্ত্রীবিরোধী অভিযানের বিরুদ্ধে ধিক্কার জানাই! পলাশ বিশ্বাস

Previous: শাসকের রক্তচক্ষুকে কিসের ভয়, ওদেরই তো সবচেয়ে বেশি ভয়! হংকং লড়ছে, আমরা নামছি... তোমাদের আছে গুন্ডা,পুলিস,কমান্ডো আমাদের আছে বন্ধু,বান্ধবী,কমরেড। তোমাদের আছে লাঠি, বন্দুক,জলকামান আমাদের আছে কবিতা,গিটার,গান। তোমাদের আছে আইন,আদালত,মামলা আমাদের আছে প্রেম,লড়াই,জনতা। #হোককলরব বন্ধ হয় না । না ।না ।না । রাজা ক্রমশ ন্যাংটো হচ্ছেন... সপ্তমীতে যোধপুর পার্ক, অষ্টমীতে ম্যাডক্স স্কোয়ারের পর নবমীতে লাবণিতে চলছিল ‪#‎হোককলরবের‬ সমর্থনে শান্তিপূর্ণ জমায়েত,পোষ্টার লেখা,গান বাজনা। পুলিশ সেখান থেকে আমাদের ১৩জন বন্ধুকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়!! পূজোর মধ্যেও ছাত্রীছাত্ররা যাদবপুরের সমর্থনে রাস্তায় জেগে ছিলেন । পলাশ বিশ্বাস
$
0
0

হিন্দুত্ববাদিরা তসলিমাকে জুতো পেটা করলেন?

ইসলামি মৌলবাদিদের মহাউল্লাস!

এই দুর্ঘটনার নিন্দার কোনো ভাষা নেই, চরিত্রহননের স্ত্রীবিরোধী অভিযানের বিরুদ্ধে ধিক্কার জানাই!

পলাশ বিশ্বাস

বাংলালাদেশে হিন্দুদের উত্পীড়ন নিয়ে তসলিমার উপন্যাস নিয়ে ভারতবর্ষের হিন্দুত্বকারোবারিরা কম ব্যবসা করে নাইবাংলায় হিন্দুত্ভের পদ্মপ্রলয়েও গত একবছর ধরে তসলিমাকে কম ব্যবহার করেননি হিন্দুত্ববাদিরা

লজ্জার একতরফা বিবরণ আমি সাহিত্যের মানদ্ন্ডে সেরা সাহিত্য মানতে কখনো রাজি ছিলাম না।কিন্তু নির্বাচিত কালমের তসলিমা এবং কবিতায় পুরষতন্ত্রে বিরুদ্ধে তাঁর বিদ্রোহের তুলনা নাই।ধর্মকে খারিজ করার মত প্রবল কন্ঠস্বরও তাঁর মত কোথাও শুনি নাই।

ব্যক্তিগত ভাবে তসলিমাকে চিনি শুরু থেকেই ,যখন তিনি কলকাতায় বসবাস করতেন।তারপর তিনি কলকাতা থেকে উত্খাত হলেন বাম জমানায়। বাংলায় পরিবর্তন হল।দিদির রাজ্যাভিষেকে মা মাটি মানুষের সরকার হল।

তসলিমার বাংলায় প্রত্যাবর্তন হল না।

তসলিমা পশ্চিম প্রবাস তুলে দিয়ে পাতকাপাকি এখন দিল্লীতে।

তসলিমার বাণিজ্যিক লেখা, তাঁর দেহগাথাকে আমি সমর্থন করি না,কিন্তু নাগরিকত্ব,মানবিকতা ও নাস্তিকতার সমর্থনে তাঁর লেখাকে গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার নিরিখে অতিশয় মূল্যবান মনে করি।

বাংলাদেশে প্রবল ধর্মনিরপেক্ষ এবং গণতান্ত্রিক আনদোলন অবিরাম থাকা সত্বেও আজ অবধি তসলিমার পক্ষে কোনো প্রবল কন্ঠস্বর শুনতে পাই নি।

তাঁ কালম লেখার ঘরানার সমর্থনে তাঁকে বাংলার বাইরের বাঙালিদের আওয়াজে শামিল হতে ইদানিং ফেসবুকে খোলা আমন্ত্রণও জানিয়েছি।

কিন্তু দিল্লিতে তসলিমার এখন অনেক বন্ধু বান্ধব।

তাঁর জবাবের প্রতীক্ষায়৤আছি।

আসামে আমাদের প্রচটন্ড শক্তিশালী লেখক বন্ধু ঈশানের পুন্জমেঘ ও ফেলানি খ্যাত সুশান্ত কর এই আমন্ত্রণের বিরোধিতা করে মন্তব্য করেছেন যে ভারতে থাকা কালীন তিনি গুজরাট বা অন্যান্য ইস্যু নিয়ে কোনো মন্তব্য করেন নি।

তসলিমার সীমাবদ্ধতা,তিনি নাগরিকত্ব বন্চিত.সেটা বোঝা প্রয়োজন।

তসলিমাকে সঙ্ঘপরিবারের খোলা সমর্থনের জন্য ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রথম থেকেই সমর্থন করে আসছেন।

হাল ফিলে ভারতে তাঁর ভিসার মেয়াদ খতম হলে মোদীর হস্তক্ষেপেই ভিসার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।

আজ পিসিতে বসেই বাংলাদেশের মীডিয়ায় দশেরার তুবড়ের মত তসলিমার জুতাপেটার খবর ও ভিডিও দেখে ভড়কে গিয়েছি।৤সঙ্গে ৤চলছে জঘন্য চরিত্র হনন অভিযান,এই মহাদেসের বিতর্কিত কিন্তু বলিষ্ঠ লেখিকাকে বেশ্যা,নষ্ট মেযে প্রমাণিত করার অপচেষ্টা৤লিন্ক গুলি দিচ্ছি তথ্যের প্রয়োজনে।

তসলিমাকে মৌলবাদিরা কতটা ঘৃণা করতে পারে,তাঁর হাতে গরম প্রমাণ হিসাবে।

তসলিমার জুতাপেটার খবর কিন্তু হিন্দি বা ইংরেজি কোনো খবরে পেলাম না।

বলা হচ্চে হিন্দুত্ববাদিরা নাকি হিন্দু ধর্মের অবমাননার জন্য তসলিমাকে জুতাপেটা করেছেন ভারতের মাটিতে।


এক্সক্লুসিভ ভিডিও >> তসলিমা নাসরিন কে  জুতা পেটা




https://www.youtube.com/watch?feature=player_embedded&v=Hf_kvX-Fiec


http://www.bdmonitor.net/newsdetail/detail/200/93374


taslima-বাংলাদেশি মীডিয়ার আক্ষেপঃহিন্দুদের একটি অনুষ্ঠানে হিন্দু ধর্ম নিয়ে বাজে মন্তব্য করায় Nasreen Taslima কে সরাসরি জুতা পেটা করলো কিছু হিন্দুপ্রেমিরা ।আর মুসলমান দের নিয়ে বাজে উক্তি করেও তসলিমা নাসরিন এর কিছুই হয়নি শুধু মাত্র বাংলাদেশ থেকে নিষিদ্ধ হয়েছেন । কিন্তু এই নাস্তিক এখন ও নিজেকে বাংলাদেশী পরিচয় দিয়ে বিশ্বের মাঝে বুক ফুলিয়ে চলে । আজ পর্যন্ত তাকে মুসলমানদের কেউ একটা টোকা ও দিতে পারেনি ।


মৌলবাদিদের আক্ষেপ ও উল্লাসের এই রসায়ণে.যারা সত্যিকারে ধর্মনিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক তাঁদের বোঝা প্রয়োজন মৌলবাদিদের কত বড় শত্রু এই লেখিকা।

তসলিমাকে যদি সত্যি সত্যি হিন্দুত্ববাদিরা জজুতাপেটা করে থাকেন,তাহলে বোঝা প্রয়োজন তিনি হিন্দুত্ববাদিদের চোখে বালি এখন।

আমি এক দশক আগে তসলিমার একটি দীর্ঘ সাক্ষাত্কার নিয়েছিলাম।তখন তিনি বলে ছিলেন ,ভারতের আশ্রযে থাকাকালীন নাগরিক্বহীনতার পরিস্থিতিতে ভারতের অভ্যন্তরিন ব্াপার স্যাপোরে তিনি মন্তব্য করতে পারবেন না।

তবু জিনি বলেছিলেন যে ধর্মেরই হোক,মৌলবাদিরা সমাজের ও সভ্যতার শত্রু।

তসলিমা বলেছিলেন, ধর্ম যতদিন থাকবে,বর্ণ শ্রেণী আধিপাত্য থাকবে।

তসলিমা বলেছিলেন, ধর্ম যতদিন থাকবে,ধর্ম যতদিন থাকবে ,ততদিন সাম্য,ভ্রাতৃত্ব ও সামাজিক ন্যায়ের স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যাবে।

তসলিমা বলেছিলেন,ধর্মে নারির কোনো অধিকার নেই,ব্রাত্যদের কোনো অধিকার নেই।

তসলিমা বলেছিলেন,মানবাধিকার ও নাগরিকত্ব এবং সভ্যতার প্রয়োজণে,বর্ণআধিপাত্য ও স্ত্রী উত্পীড়নের রাষ্ট্রযন্ত্রের বদলে সমাজ বিপ্লবের জন্য ধ্রম বিরোধিতা ছাড়া লেখা চলে না।

তিনি সাফ বলে ছিলেন,তিনি হিন্দু ও ইসলামি ছাড়া জাযনি ও খ্রীস্টান ও অন্নাযন্য ধর্মের মৌলবাদি যারা যেখানে আছেন,সবারই বিরুদ্ধে তিনি।

আমি এই তসলিমাকে সম্মান করি,তাঁকে প্রাণের কাছাকাছি আত্মীয় মনে করি।

যদিও তসলিমার জুতাপেটার খবর হিন্দিতে বা ইংরেজিতে নেই,বাংলাদেশের খবরে তাঁর বিরুদ্ধে এি নূতনকরে জুতাপেটা অভিযানে অত্যন্ত ব্যাথিত।

আশা করি বাংলাদেশী ধর্ম নিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক মানুষ এবং এপার বাংলা ছাডা় বাঙালি যেখানে যারা আছেন তাঁরা মৌলবাদিদের সঙ্গে তসলিমা হত্যার এই মহোত্সবে যোগ দেবেন না।

ভালো খবরও আছে একখানি,


নারীদের খৎনার বিরুদ্ধে আন্দোলনকারী সোমালিয়ায় জন্ম নেয়া সাফিয়া আব্দি হাসিকে নরওয়ের নাইটহুড খেতাব 'দি অর্ডার অব সেন্ট ওলাভ'দেয়া হয়েছে।

আফ্রিকার প্রথম মানুষ হিসেবে তিনি নরওয়ের এ খেতাবটি পেলেন বলে বিবিসি জানিয়েছে।


শুক্রবার নরওয়ের রাজধানী ওসলোর রাজপ্রাসাদে খেতাবটি গ্রহণ করেছেন তিনি। নারী ও শিশুদের নিয়ে তার কাজের স্বীকৃতি হিসেবে তাকে এ সম্মাননা দেয়া হয়।


১৯৯২ সালে নিজের তিন কন্যাকে সঙ্গে নিয়ে তিনি সোমালিয়া ছেড়ে নরওয়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন। তিনি নিজেও পারিবারিক সহিংসতা ও খৎনার শিকার হয়েছিলেন।


বিবিসিকে তিনি বলেছেন, তার আন্দোলন তার নিজ জীবনের অভিজ্ঞতার ফসল।


"সব ধরনের সহিংতার শিকার আমি, সহিংসতার বিরুদ্ধে আমার সংগ্রামে আমার নিজের গল্পই ব্যবহার করি,"বলেন তিনি।


খৎনা ছাড়াও তিনি জোরপূর্বক বিবাহ, পারিবারিক সহিংসতা এবং দারিদ্রের পাশাপাশি পাচারেরও শিকার হয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন তিনি।


"আফ্রিকা থেকে বের হয়ে ইউরোপে আসার জন্য নিজের শরীরকে ব্যবহার করতে বাধ্য হয়েছি আমি। আমার তিন কন্যার সহিংসতামুক্ত জীবনের জন্যই এসব করেছি আমি,"বলেছেন তিনি।


হাসি যখন নরওয়ে আসেন তার কোনো আনুষ্ঠানিক শিক্ষা ছিল না। এখানে তিনি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পড়া শেষ করে নার্সিংয়ের ওপর বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি অর্জন করেন।


এরপর নরওয়ের দাতব্য প্রতিষ্ঠান আমাথিয়া'তে কাজ করার সময় তিনি নারী খৎনার বিরুদ্ধে প্রবল এক আন্দোলনকারী হয়ে উঠেন।


নারী খৎনার বিরুদ্ধে নরওয়ে সরকারের কর্ম পরিকল্পনা প্রণয়ণে তিনি সহায়তা করেন এবং নারী সহিংসতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের একজন দূত হিসেবে পরিচিতি পান।


তিনি জাতিগত বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের লক্ষ্যে গঠিত নরওয়ের একটি জাতীয় বোর্ডের হয়ে কাজ করছেন এবং বিভিন্ন সংস্কৃতি বোঝায় ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখছেন।

আবদুল লতিফ সিদ্দিকী পশ্চিমা কোনো দেশে রাজনৈতিক আশ্রয় চাবেন না।তাই মহিমামন্ডিত তিনি।





lotib

হজ্জ নিয়ে মন্তব্য করে বিতর্ক সৃষ্টিকারী ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী পশ্চিমা কোনো দেশে রাজনৈতিক আশ্রয় চাবেন না। তিনি বরং দেশে ফিরে পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে চান। তবে পরিবারের সদস্যরা ধীরে সুস্থিরে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পক্ষে। লতিফ সিদ্দিকীর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে এই তথ্য জানা গেছে।

এদিকে আবদুল লতিফ সিদ্দিকী নিজেই বিদেশে রাজনৈতিক আশ্রয় চাওয়ার সম্ভাবনা নাকচ করে বলেছেন, আমেরিকা কিংবা ব্রিটেনে রাজনৈতিক আশ্রয় নেব কেন। আমি দেশে ফিরে জেলে যেতেও প্রস্তুত।

ঢাকা তিনি জানিয়েছেন, তিনি আমেরিকার ডালাসে অবস্থান করছেন। ঈদের পর সিঙ্গাপুর হয়ে দেশে ফিরবেন। ঢাকায় তাকে ঢুকতে দেওয়া না হলে কলকাতায় চলে যাবেন।

হজ্জ নিয়ে লতিফ সিদ্দিকীর বক্তব্যে বিতর্ক সৃস্টির পর পরই এক শ্রেণীর মিডিয়া সংবাদ পরিবেশন করে যে, লতিফ সিদ্দিকী রাজনৈতিক আশ্রয় লাভের জন্য এই ধরনের বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন। মিডিয়া অবশ্য এই বক্তব্য বা ব্যাখ্যাদাতা হিসেবে কোনো সূত্র উল্লেখ করেনি। বেনামি বিশ্লেষক এবং সূত্রের বরাত দিয়ে ঢাকার মিডিয়া লতিফ 'সিদ্দিকী রাজনৈতিক আশ্রয় চাইবেন'মর্মে গুজব রটিয়ে দেয়।

এ ব্যাপারে লতিফ সিদ্দিকীর পরিবারিক এবং অন্যান্য ঘনিষ্ঠসূত্রদের সঙ্গে কথা বললে ভিন্ন ধারনা পাওয়া যায়। সূত্রগুলো জানায়, বিতর্ক এবং উত্তপ্ত পরিস্থিতি সত্বেও লতিফ সিদ্দিকী পূর্ব নির্ধারিত সময়েই দেশে ফেরার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। কিন্তু পরিবারের সদস্য এবং ঢাকায় সরকার ও রাজনীতিতে তার শুভাকাংখীরা এই মুহুর্তে দেশে না ফেরার পরামর্শ দেন।

একটি সূত্র জানায়, লতিফ সিদ্দিকী তার শুভাকাংখীদের বলেছেন- লতিফ সিদ্দিকী তাসলিমা নাসরিন নন- তিনি লতিফ সিদ্দিকী। যেই দেশটির জন্মের জন্য তিনি প্রাণবাজি রেখে যুদ্ধ করেছেন, তিনি সেই দেশেই ফিরে যাবেন।

উৎসঃ সমকাল


Search Results

  1. India Today

  2. I did not criticise Islam in 'Lajja': Taslima Nasrin

  3. Indian Express-22-Sep-2014

  4. Bangladeshi author Taslima Nasrin says she did not criticise Islam in her controversial novel "Lajja" and the fatwa against her is because of her ...

  5. Didn't criticise Islam in 'Lajja', fatwa was due to other books, says ...

  6. Firstpost-22-Sep-2014

  7. I did not criticise Islam in 'Lajja': Taslima

  8. India Today-22-Sep-2014

  9. Explore in depth (9 more articles)

  10. Taslima Nasrin Looks Back at her Anger

  11. The New Indian Express-28-Sep-2014

  12. BANGALORE: Taslima Nasrin's Lajja, one of the most controversial bestsellers ... In an exclusive conversation with City Express, Nasrin offers ...

  13. One can't live in fear for 25 years: Taslima Nasrin

  14. Daily News & Analysis-26-Sep-2014

  15. The threats are increasing, says Taslima Nasrin, whose controversial novel Lajja is being re-released more than 20 years after it was written.

  16. Book Review | Lajja

  17. Livemint-26-Sep-2014

  18. Explore in depth (3 more articles)

  19. I Didn't Insult Islam in 'Lajja', Says Taslima Nasrin

  20. The New Indian Express-22-Sep-2014

  21. New Delhi: Bangladeshi author Taslima Nasrin said that she didn't criticise Islam in her controversial novel 'Lajja' and the fatwa against her is ...

  22. Taslima nasreen I did not criticise Islam in Lajja bangladesh

  23. indiatvnews.com-22-Sep-2014

  24. Explore in depth (3 more articles)

  25. Sahara Samay

  26. 'Lajja' reminds Bangladesh that it failed to protect Hindus: Taslima...

  27. Scroll.in-15-Sep-2014

  28. 'Lajja' reminds Bangladesh that it failed to protect Hindus: Taslima Nasrin. Taslima Nasrin. I wrote Lajja when I saw Muslim fundamentalists in Bangladesh ...

  29. taslima nasrin s lajja completes 20 years translated afresh

  30. Sahara Samay-15-Sep-2014

  31. Explore in depth (6 more articles)

  32. Taslima Nasrin celebrates 20 years of Lajja

  33. Mid-Day-18-Sep-2014

  34. It's been two decades since Taslima Nasrin, the Bangladesh-born, writer-activist, voiced the truth through her novel, Lajja. The year 1994 ...

  35. The return of Taslima Nasrin

  36. DhakaTribune-03-Oct-2014

  37. The return of Taslima Nasrin. In a Bangladeshi Lux Channel I Superstar Competition, a girl wore a blouse over her sari. Girls, these days ...

  38. Still a shame

  39. The Hindu-20 hours ago

  40. Twenty years ago, Taslima Nasrin wrote Lajja, the book that brought her fame on the one hand and threats on the other. As its success grew, ...

  41. Radio Netherlands

  42. [Opinion] Sakharov laureates: EU states wrong to pressure Palestine ...

  43. EUobserver-08-Sep-2014

  44. By Salima Ghezali, Taslima Nasrin, and Nurit Peled-Elhanan. JERUSALEM - Dear president of the European Parliament and EU high ...

  45. NIA probe in Saradha after Bangladesh foreign minister's complaint

  46. Bangladesh News 24 hours-01-Oct-2014Share

  47. He was said to be the mastermind behind the orchestrated violence that forced writer Taslima Nasrin to leave Kolkata and the protests against ...


আমারে কেউ চুদেনা:তসলিমা নাসরিন | দৈনিক মজিদকন্ঠ

mozidkantha.wordpress.com/.../আমারে-কেউ-চুদেনাতসলিমা-ন/

১১ আগস্ট, ২০১৪ - মজিদিপোর্টার: কা সে ম মা লা মজিদেস্ক| বেশ্যাবিখ্যাত চটি লেখক তসলিমা নাসরিনতার একটি ফেসবুক স্ট্যাটাসে আক্ষেপ করে বলেছেন ,আমারে কেউ চুদেনা । সম্প্রিতি মুদী সরকারের চুদা খাইয়া আক্ষেপে তিনি এই কথা বলিয়াছেন । এদিকে মুদী এই কথা শুনিয়া তাঁকে আরো ২মাস থাকিবার অনুমতি দিয়া বলেন, আমি মুদি, তাসলিমারে আমি ...

মামার সাথে সেক্স করেছেন তসলিমা নাসরিন : শুনুন তার মুখ থেকে ...

sorejominbarta.com/.../মামার_সাথে_সেক্স_করেছেন_তসলিম...

১২ মার্চ, ২০১৪ - বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিনসেক্স নিয়ে আবারো বিতর্কের ঝড় তুলতে যাচ্ছেন। কলকাতার বিতর্কিত নির্মাতা সুশান্ত বসু তসলিমার সেক্সসিম্বল গল্প ও উপন্যাসের ওপর ভিত্তি করে একটি টেলিভিশন সিরিয়াল নির্মাণ করতে যাচ্ছেন। সিরিয়ালটিতে তসলিমা নিজেও দুরান্ত চরিত্রে অভিনয় করবেন। এতে তসলিমা নতুন করে. বিতর্কের ...

তসলিমা নাসরিনএর 'বিয়ের বয়স' | Hello Today

hello-today.com/তসলিমা-নাসরিন-এর-বিয়ের-বয়

মানুষ যত সভ্য হয়, মেয়েদের বিরুদ্ধে বর্বরতা তত কমিয়ে ফেলে। যে দেশে মেয়েরা বাল্যবিবাহের শিকার, সে দেশে মেয়েদের বিয়ের বয়স বাড়ানোটা সে দেশের সভ্য হবার লক্ষণ। বাংলাদেশেও তাই করা হয়েছিল, কিন্তু এখন আবার কমানো হচ্ছে সেই বয়স। আঠারো থেকে ষোলোতে নামানো হচ্ছে। কচি কুমারী মেয়েকে যেন আইনের কোনো ঝামেলা ছাড়াই পুরুষেরা ভোগ ...

[ছোট্টগল্প] সেক্সবয় - তসলিমা নাসরিন - Amarboi.com

www.amarboi.com/2013/10/shortstory-sexboy-taslima-nasrin.html

লিঙ্গসূত্র তসলিমা নাসরিন. Labels: Short-stories, Taslima Nasrin, ছোটগল্প, তসলিমা নাসরিন. + comments + 18 comments. Reply. Jon Lung. October 19, 2013 at 12:50 PM. darun.তসলিমা নাসরিন -er golpo ,kintu sex nei! Reply. Supratim Sarkar. October 19, 2013 at 3:38 PM. darun..onek dhonnobad eto sundor 1ta choto golpo ...

তসলিমা নাসরিনেরসঙ্গে আমার শারীরিক সম্পর্ক ছিল... - মাহতাব ...

www.somewhereinblog.net/blog/mahatab007/29672634

একদিন আমার এলাকা থেকেই প্রকাশিত একটি লিটল ম্যাগ পাই। লেখা পাঠাতে গিয়ে অবাক হই। সম্পাদনা একজন মেয়ের তাও আবার আমার আবাসনের নিকটবর্তী এলাকায়। আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বন্ধু সেই সম্পাদিকাকে একদিন দুর থেকে দেখিয়ে দেয়। প্রায়ই দেখি আমার বাসার সামনে দিয়ে এক সে যায়, আসে। পড়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে। নাম তসলিমা নাসরিন

তসলিমা নাসরিন - সামহোয়্যার ইন ব্লগ

www.somewhereinblog.net/blog/01674473496/29676734

আর তাছাড়া এক অজানা অচেনা উদ্ভ্রান্ত পল্লীতে তসলিমা নাসরিনকে তার শারাফ মামা যেই কুৎসিত জিনিশ শিখিয়েছিলেন, সেই কুৎসিত জিনিশ লেখিকার শত-লক্ষ পাঠক-পাঠিকা কে শেখানর কি এমন দরকার পড়ল তা আমি ভেবে পাচ্ছিনা। পৃথিবীতে কোটি কোটি মামা আছে। আমার বিশ্বাস এমন মামার সংখ্যা খুব বিরল। বেক্তিগত ভাবে আমি প্রাত্থনা করি, এই বিরল ...

ভারতে থাকার আশ্বাস পেয়েছি: তসলিমা নাসরিন - BBC Bangla

www.bbc.co.uk/bengali/news/2014/.../140802_pg_ind_taslima_india_sta...

২ আগস্ট, ২০১৪ - বাংলাদেশের বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিনতাঁর ভারতে বসবাসের অনুমতির বিষয়ে সৃষ্ট জটিলতা নিয়ে আজ ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে দেখা করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, মন্ত্রী তাঁকে আশ্বস্ত করেছেন যে তাঁর দীর্ঘদিন ভারতে থাকতে অসুবিধা হবে না।


সাংবিধানিক ভারতের নির্মাতা বাবাসাহেব ডঃ আম্বেদকর ও মহাপ্রাণ যোগেন্দ্রনাথ মন্ডল

$
0
0
সাংবিধানিক ভারতের নির্মাতা বাবাসাহেব ডঃ আম্বেদকর ও মহাপ্রাণ যোগেন্দ্রনাথ মন্ডল 
পুস্তক সমীক্ষাঃজগদীশ রায়


মহাপ্রাণ যোগেন্র্েনাথ মন্ডল-এর উপর থিসিস করেছেন নাগপুরের ডঃ সঞ্জয় গাজভিয়ে । তিনি মহাপ্রাণ সম্পর্কে বলেছেন- সাংবিধানিক ভারতের নির্মাতা বাবাসাহেব ডঃ আম্বেদকর ও মহাপ্রাণ যোগেন্দ্রনাথ মন্ডল –ডঃ সঞ্জয় গাজভিয়ে ।
আবার নাগপুর উনিভারসিটির অধ্যাপক ডঃ প্রদীপ আগলাবে বলেছেন- 
বাবাসাহেব ডঃ আম্বেদকর সামাজিক রাজনৈতিক শৈক্ষনিক ধার্মিক ইত্যাদি সব ক্ষেত্রে যে পরিবর্তন আনার জন্য ঐতিহাসিক আর ক্রান্তিকারী কাজ করেছেন; সেই মহান ক্রান্তিকারী কাজ করার জন্য যে মহামানব বাবাসাহেবকে সহযোগীতা করেছেন, সেই মহাপ্রাণ যোগেন্দ্রনাথ মন্ডলের আবদান খুব মহত্ত্বপূর্ণ । যদি মহাপ্রাণ যোগেন্দ্রনাথ মন্ডলের এই সহযোগীতা বাবাসাহেব না পেতেন, তাহলে তিনি সংবিধান তৈরী করতে পারতেন না । ঐতিহাসিক সত্য ।
- ডঃ প্রদীপ আগলাবে ।
বাবাসাহেব যদি সংবিধান সভায় যেতে না পারতেন তাহলে এই দেশের সংবিধান ব্রাহ্মণদের পক্ষেই লেখা হ'ত । তাই যোগেন্দ্রনাথ মন্ডল আম্বেদকরী আন্দোলনে যে সহযোগীতা করেছেন এবং মূলনিবাসীদের উদ্ধারের জন্য যে কাজ করেছেন সেটা অসাধারণ কাজ । - ডঃ প্রদীপ আগলাবে।
বাঙ্গলা বিভাজন যাতে না হয় তার জন্য ১৯৪৭ সালে যোগেন্দ্রনাথ মন্ডল বাংলার বিভিন্ন জায়গায় বাংলা বিভাজনের বিরুদ্ধে লোকদের জাগৃত করার কাজ করেন । খড়িবাড়ি(দার্জিলিং) , জলপাইগুড়ী, দিনাজপুর, হরিনারায়নপুর, খোলাপোতা গ্রাম(২৪ পরগনা ) কলকাতা, বর্ধমান, বীরভুম, হুগলী ইত্যাদি জায়গায় বাংলা বিভাজনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেন । যেকোন পরিস্থিতিতে তিনি বাংলাকে বিভাজিত হ'তে বন্ধকরার চেষ্টা করেছিলেন ।
বাংলা বিভাজনের পক্ষে কংগ্রেস আর উচ্চবর্নীয়রা কেন ছিল সেটা জানা খুব দরকার । 
প্রথমকারনঃ- বাংলা প্রান্তে মুসলিম এবং পিছিয়ে পড়া শ্রেনীর(বিশেষ করে নমঃশুদ্র) লোকদের সংখ্যা সর্বাধিক ছিল । সেখানে মুসলিম লীগের সরকার ছিল। যদি বাংলার বিভাজন না হয় তাহলে মুসলিম আর পিছিয়ে পড়া শ্রেনীর সত্তা চিরস্থায়ী হবে। সেখানে উচ্চবর্ণীয়দের কোন অধিকার থাকবে না । 
দ্বিতীয় কারনঃ- বাংলার খুলনা, যশোর, ফরিদপুর, বরিশাল এই এলাকা থেকে বাবা সাহেবকে নির্বাচিত করে সংবিধান সভায় পাঠানো হয় । তাই বাংলা বিভাজন করে বাবাসাহেব যে ক্ষেত্র থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন সেখান থেকে বাবাসাহেবের সদস্য পদ খারিজ করার উদ্দেশ্যে বাংলা ভাগ করে ছিল । 
তৃতীয়কারনঃ- যে নমঃ(শুদ্র)রা বাবাসাহেবকে সংবিধান সভায় নির্বাচিত করে পাঠিয়েছেলেন তাদেরকে সাজা দেওয়ার জন্য যাতে তারা আজীবন মুসলমানদের আধীন থাকে, এই শিক্ষা দেওয়ার জন্য বাংলা ভাগ করেছিল । 
কিছুলোক এটা মনে করে যে, যোগেন্দ্রনাথ মন্ডল ১৯৫০ সালে ভারতে এসে কোন কাজ করেননি । তিনি বাবা সাহেবের আন্দোলন থেকে পৃথক হয়ে গেছেন ! 
এবিষয়ে ডঃ গাজভীয়ে প্রমান দিয়ে বিশ্লেষণ করে দেখিয়েছেন যে, যোগেন্দ্রনাথ মন্ডল ভারতে আসার পর পূর্ব পাকিস্থান থেকে আসা নির্বাসিতদেরকে পুর্নবসন দেওয়ার কাজ করেন । তিনি এই কাজ করার জন্য "পশ্চিমবঙ্গ তফশিলি জাতি ও উপজাতি পরিষদ গঠন করেন । ধর্মান্তরিত বৌদ্ধ ও তফশিলি জাতির লোকরা যাতে তাদের সংরক্ষনের সুযোগ পায় তার জন্য খুব চেষ্টা করেন । 
যোগেন্দ্রনাথ মন্ডলের জীবনের কর্মধারাই হচ্ছে-ব্যাতিক্রমি । তিনি যেকাজ করেন বা করেছেন সেটা দ্বিতীয় বার কেঊ করার সাহসও দেখাতে পারেননি । তাঁর প্রধান কাজ গুলির মধ্যে একটা হচ্ছে- ৬ জানুয়ারী ১৯৩৬ সালে বাংলার বিধান সভায় নির্বাচনের জন্য সাধারণ সিটে প্রতি দ্বন্দ্বিতা । আর প্রতিদ্বন্দ্বি এক অসাধারণ ব্যাক্তি । যিনি জমিদার অশ্বিনী কুমার দত্তের ভাইপো কংগ্রেসের প্রার্থী সরল দত্ত । শত চেষ্টা করেও কংগ্রেস যখন যোগেন্দ্রনাথের বিজয়কে রুদ্ধ করতে পারল না তখন এক ঘটনা গান্ধীর কাছে কাঁটা 'ঘা'-এ নুনের ছিটা লাগল । তিনি যোগেন্দ্রনাথের ব্যাপারে বাংলার কংগ্রেস কমিটিকে একটা পত্র লেখেন-"প্রকৃত সেবকে তার সফলতার জন্য কোন বিশেষ চিহ্নের দরকার হয়না। তার নির্বাচনী চিহ্ন তো বাস্তবে তার দ্বারা জনতাকে 'সেবা করা আর প্রেম করা'।" For the Success of real public worker no tread mark is required real service and love for the masses are only trade mark .
যোগেন্দ্রনাথের সর্বোত্তম ও অনন্য সাধারণ কৃতিত্ত্ব তো সবাই জানেন যে, তাঁর সংগ্রামী প্রচেষ্টার জন্যই তিনি বাবাসাহেবকে সংবিধান সভায় পাঠিয়ে সক্ষম হয়ে ছিলেন । এখানেও তিনি ব্যাতিক্রমি কাজ একটা করেছেন যে, তিনি একক সদস্য হয়ে বাবা সাহেবের পক্ষে আরও ৫টি ভোট সংগ্রহ করেছিলেন, এবং সেটা কংগ্রেসকে ভাঙিয়ে । যে ঘটনা ভারতের ইতিহাসে বিরল ঘটনা ।

Jagadish Roy's photo.
Jagadish Roy's photo.
LikeLike ·  · Share

बंगाली भूगोल में अभूतपूर्व धर्मोन्मादी ध्रूवीकरण,हसीना का तख्ता उलटने के लिए तसलिमा का चरित्रहनन भी। एक्सकैलिबर स्टीवेंस विश्वास

$
0
0

बंगाली भूगोल में अभूतपूर्व धर्मोन्मादी ध्रूवीकरण,हसीना का तख्ता उलटने के लिए तसलिमा का चरित्रहनन भी।

एक्सकैलिबर स्टीवेंस विश्वास

बंगाली भूगोल में अभूतपूर्व धर्मोन्मादी ध्रूवीकरण हो रहा है।विजया दशमी के दिन जिन प्रतिमाओं का विसर्जन नहीं हो सका,आज पुलिस ने बकरीद के बहाने उनका विसर्जन रोक दिया।बकरीद लेकिन कल है और फिलहाल बंगाल में कोई सांप्रदायिक तनाव का माहौल है ही नहीं।इसपार बंगाल में जो धर्मोन्मादी ध्रूवीकरण है,उसकी पृष्ठभूमि लेकिन वैज्ञानिक वर्णवर्चस्व की वाम विरासत है.जिसे पूरी ताकत लगाकर सत्तादल की राजनीति मजबूत करने लगी है वोटबैंक गणित के हिसाब से,जिसका असर बेहद खराब होने लगा है।


वर्दवान में हुए बम विस्फोट के बाद भाजपा ने सीधे आरोप लगा दिया कि ममता बनर्जी के राजकाज में बंगाल में जिहादियों का मुक्तांचल बन गया है।पुलिस तहकीकात कर रही है और बम विस्फोट बंगाल की राजनीतिक हिंसा और सत्तासंघर्ष के अनिवार्य अंग के अलावा रोजमर्रेकी कानून व्यवस्था भी है।


साबित अभी नहीं हुआ है कि अभियुक्त सकल जिहादी है।इससे बड़ी वारदातें जिन राज्यों में होती रही हैं ,उन्हें अब तक जिहादियों का मुक्तांचल कहने से बाज आते रहे हैं लोग।अब आंतर्जातिक सैन्य गठबंधन के तहत आतंक के विरुद्ध तेज होते जा रहे अमेरिका के युद्ध में भारत की सक्रिय हिस्सेदारी के मुताबिक मुस्लिम विद्वेष का परिपक्व हो रहा यह माहौल है।


दूसरी ओर,बांग्लादेश में प्रधानमंत्री हसीना वाजेद का तख्त पलटने के मकसद से भारत विरोधी अभियान के तहत भारत में शरण लेने वाली मशहूर विवादित लेखिका तसलिमा के चरित्रहनन अभियान को अचानक तेज कर दिया गया है। इससे वहां अल्पसंख्यकों की कभी भी शामत आ सकती है।


यह अत्यंत गंभीर मामला है और भारत सरकार को बाकायदा राजनयिकतरीके से इसका संज्ञान लिया जाना चाहिए कि बांग्लादेशी मीडिया में दो साल पहले हैदराबाद में मुस्लिम कट्टरपंथियों के तसलिमा पर हमले की घटना को मोदी के हिंदुत्वराज में तसलिमा पर हिंदू कट्टरपंथियों का हमला बताया जा रहा है।


यहीं नहीं,तसलिमा की हिंदुत्ववादियों के हाथों  जूतों से पिटाई के वीडियो जारी करते हुए अत्यंत अश्लील तरीके से तसलिमा का चरित्रहनन किया जा रहा है।


मुसलमानों को चुनौती दी जा रही है कि हिंदुत्व के खिलाफ बोलने पर हिंदुत्व ब्रिगेड ने उनकी जूतों से पिटाई की है और मुसलमान उनसे अपने ध्रम के अपमान का बदला नहीं ले सके हैं।


कट्टरपंथी किस तरह के बदले की बात कर रहे हैं,समझ में आनेवाली बात है।यह बदला जाहिर है कि बाबरी विध्वंस के बाद धर्मोन्मादी लज्जा की ही ने सिरे से तैयारी है।


तसलिमा फिलहाल नागरिकता विहीन है और धर्म के खिलाफ उनका जिहाद एक नास्तिक के विचार हैं जो किसी भी धर्म का निषेध का मामला है।लेकिन इसे इस्लाम के खिलाफ मानकर लज्जा के प्रकाशन के बाद से हिंदुत्ववादी ताकतें तसलिमा साहित्य का बेजां इस्तेमाल करती रही हैं जबकि तसलिमा दरअसल किसी भी तरह के कट्टरपंथ के खिलाफ हैं।


भारत के अभ्यंतरीन मामलों में वे मंतव्य नहीं कर सकतीं,उनकी शरणागत स्थिति के मद्देनजर इसे समझना चाहिए। लेकिन बांग्लादेश में इस्लामी कट्टरपंथी तसलिमा को कट्टर इस्लम विरोधी और भारत में हिंदू राष्ट्र की समर्थक बतौर पेश करते हुए उसी जूते से पिटाई हिंदुत्ववादियों के हाथों करवा रही है तो इसका मकसद धार्मिक आदार पर ध्रूवीकरण है।


बांग्लादेश में धर्मनिरपेक्ष छात्र युवा बंगाल के जादपुर छात्र आंदोलन के फक्ष में देश भर में आंदोलन ते ज कर दिया है और नारा दिया है कि शाहबाग जादवपुर,छात्रों का एक ही सुर, जमायत संघी भाई भाई,एक ही रस्सी पर दोनों की फांसी चाई।


इस शाहबाग आंदोलन की नयी धारा से निपटने की कट्टरपंथियों की अलग रणनीति के तहत ऐसा नही हो रहा है,यह कहना मुश्किल है।


दूसरी ओर अभी हिदुत्ववादियों ने तसलिमा के स्त्री विमर्श,समता और सामाजिक न्याय,अस्पृश्यता, नागरिक अधिकारों और मानवोधिकारों के बारे में सिलसिलेवार लगता है,पढ़ा भी नहीं है।


नागरिकता हीनता के हाल मे जब वे बंगाल से वामशासन में वोट बैंक समीकरण की तरह खदेड़ दी गयी और परिवर्तन के बाद भी वे बंगाल में अवांछित हैं.तो भारतीय नागरिकता तो क्या स्थाई वीसा न मिलने की स्थिति में जायनी युद्धक वैश्विक व्यवस्था के खिलाफ मुंह खोल पाने की हालत में भी वे नहीं हैं।जबकि इस ग्लोबल साम्राज्यवाद सामंतवाद के मुख्य तत्व बतौर वे स्त्री विरोधी धर्म को जिम्मेदार मानती है।


जाहिर है कि असहिष्णु बजरंगी उनपर कभी भी हमला कर दें तो कोई ताज्जुब की बात नहीं होगी।


ऐसा होने पर हिंदुत्व के इस आक्रामक तेवर से बांग्लादेश और बाकी इस्लामी दुनिया के कट्टरपंथी ज्यादा खुश होंगे। जैसा हैदराबाद हमले के वीडियो आधारित दुष्परचार से जाहिर है।


ছাঁকনি বসছে দেশের অনলাইনে ইমদাদুল হক

$
0
0
ছাঁকনি বসছে দেশের অনলাইনে

ইমদাদুল হক
নতুন বার্তা ডটকম

ঢাকা: তৃতীয় দফা উদ্যোগে দেশের ভার্চুয়াল জগতে ছাঁকনি বসাতে যাচ্ছে সরকার। অনলাইনের কনটেন্ট ফিল্টারিংয়ে নতুন করে আরোপ করা হচ্ছে 'ইন্টারনেট সেফটি সলিউশন'প্রযুক্তি। বিশেষ করে অনলাইন সামাজিক মাধ্যম, ব্লগ, মাইক্রোব্লগ ও অনলাইন মিডিয়ায় প্রকাশিত তথ্যের ওপর নজরদারি করবে এই প্রযুক্তি।  

অনলাইনে প্রকাশিত যেকোনো কনটেন্টের ওপর নিজেদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা বা তা সরিয়ে ফেলার এই সক্ষমতা অর্জনে কাজ করছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন  (বিটিআরসি)। পাশাপাশি ডাটাভিত্তিক সেবা পর্যবেক্ষণ প্রকল্প বাস্তবায়নে কাজ করছে ন্যাশনাল টেলিকম মনিটরিং সেল (এনটিএমসি)।

রাজনৈতিক উসকানিমূলক; ধর্মীয়, সামাজিক ও জাতীয় জীবনের হুমকি এমন তথ্য ও মতামত প্রচার নিয়ন্ত্রণ করতে গত বছর প্রথম উদ্যোগ নেয় বিটিআরসি। তবে দুই দফার উদ্যোগ আলোর মুখ না দেখায় এবার জোরেশোরে এই ব্যবস্থা চালু করতে কাজে নেমেছে তারা। এ জন্য প্রয়োজনীয় হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার কিনতে দ্বিতীয় দফায় নতুন করে 'এক্সপ্রেশন অব ইন্টারেস্ট' (ইওআই) আহ্বানের উদ্যোগ নিয়েছে সংস্থাটি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, প্রথম দফায় গত বছর এপ্রিলে ইন্টারনেট সেফটি সলিউশনের জন্য হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার কিনতে ইওআই আহ্বান করে বিটিআরসি। দরপত্র অনুযায়ী আবেদন করা নয়টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সাতটি প্রতিষ্ঠানকে যোগ্য হিসেবে তালিকাভুক্তও করা হয়।

তবে ইওআই অনুযায়ী, এ ফিল্টারিং ব্যবস্থার আওতায় ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইআইজি) পর্যায়ে নিজেদের প্রয়োজনীয় হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার স্থাপন করার কথা ছিল সংশ্লিষ্ট আইআইজি প্রতিষ্ঠানের। পাশাপাশি ইন্টারনেট থেকে অভিযুক্ত বিষয়বস্তু যাচাই-বাছাইয়ের ব্যবস্থা যেন আইআইজির স্বাভাবিক কার্যক্রমে বিঘ্ন না ঘটায় সে বিষয়েও সতর্কতার উল্লেখ ছিল এই ইওআই-তে।

কিন্তু সব শর্ত মেনে প্রয়োজনীয় হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার কিনে তা কমিশনের মাধ্যমে বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হলেও পরে এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে কমিশন।
 
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, প্রথম দফার ইওআই বাতিল করে চলতি বছরের এপ্রিলে আবার আবেদন আহ্বান করে বিটিআরসি। দ্বিতীয় দফার ইওআইর প্রক্রিয়া নিয়ে আপত্তি জানায় সিপিটিইউ। এর পরিপ্রেক্ষিতে তা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। পরে এ ব্যবস্থাটি বাস্তবায়নে সাতটি প্রতিষ্ঠানের বদলে কোনো একটি প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ফের ইওআই আহ্বানের উদ্যোগ নিয়েছে কমিশন।
 
এদিকে ইতিমধ্যে ডাটাভিত্তিক সেবা পর্যবেক্ষণে সমান্তরাল প্রকল্প বাস্তবায়নে কাজ করছে ন্যাশনাল টেলিকম মনিটরিং সেল (এনটিএমসি)। প্রকল্পের জন্য গত বছরের অক্টোবরে সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিল (এসওএফ) থেকে ৬০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিতে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় এবং কমিশনের কাছে আবেদন করে এনটিএমসি।

পরবর্তী সময়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে একই বিষয়ে বিটিআরসিকে চিঠি দেয়া হয়। রাষ্ট্রীয় শৃঙ্খলা রক্ষা ও সামাজিক কর্তব্য পালনের লক্ষ্যে এনটিএমসিকে এ অর্থ বরাদ্দ দেয়ার সুপারিশ করা হয়।
 
ফলে অনলাইন কনটেন্ট পর্যবেক্ষণ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য নেয়া এই উদ্যোগ থেকে বিটিআরসি ফের সরে গেলেও এনটিএমএসের মাধ্যমে দেশের অনলাইন পর্যবেক্ষণের ব্যবস্থাপনার কার্যক্রম অচিরেই চালু হবে বলে মনে করেন অভিজ্ঞজনরা।  

নতুন বার্তা/আইএইচ/মোআ

http://www.natunbarta.com/si-tech/2014/10/05/100994/%E0%A6%9B%E0%A6%BE%E0%A6%81%E0%A6%95%E0%A6%A8%E0%A6%BF+%E0%A6%AC%E0%A6%B8%E0%A6%9B%E0%A7%87+%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%B0+%E0%A6%85%E0%A6%A8%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%A8%E0%A7%87

বাংলা ভাগ ও নেপথ্য ইতিহাস : শরদিন্দু উদ্দীপন

$
0
0
বাংলা ভাগ ও নেপথ্য ইতিহাস : শরদিন্দু উদ্দীপন
তথ্য সূত্রঃ শ্রদ্ধেয় জগদীশ চন্দ্র মণ্ডলকোলকাতা-৭০০১৫২  
(Jagadish Chandra Mandal is the worthy son of Mahapran Jogendra Nath Mandal,who wrote on Mandals personality and works in four volumes which had been highly appreciated by mainstream media.He explained the complicated Ambedkar Mandal relationship bringing front the back scenario of partition.-Palash Biswas)

"১৯৩৭ সালের সাধারণ নির্বাচনের পরে যখন কংগ্রেস দল বাংলা সহ সকল প্রদেশেই মন্ত্রী সভা গঠনে অস্বীকৃত হইলেন তখন বাংলার দ্বিতীয় সংখ্যা গরিষ্ঠ " কৃষক প্রজা " দলের নেতা মৌলভী  কে ফজলুল হক তৃতীয় সংখ্যা গরিষ্ঠ লীগ দলের নেতা খাজা স্যার নাজিমুদ্দিনের সহিত কোয়ালিশন মন্ত্রীসভা গঠন করেন ইহারএক বছর পরেই মৌলভী  কে ফজলুল হক লীগ দলে যোগদান করেন এবং বাংলার মন্ত্রীসভা কার্যত লীগ মন্ত্রীসভায় পরিণত হয় ১৯৪০ সালে লাহোরে অনুষ্ঠিত অল ইন্ডিয়া লীগের সাধারণ কনফারেন্সে বাংলার লীগের প্রতিনিধিগ  ফজলুল হক সাহেবের নেতৃত্বে পত্রপুষ্পে শোভিত একখানি স্পেসাল ট্রেনে লাহোর গমন করেনলাহোরের লীগ কাউন্সিল অধিবেশনে পাকিস্তান প্রস্তাব রূপে যে প্রস্তাব গৃহীত হয় সেই প্রস্তাবটি বাংলার ফজলুল হক সাহেবই উত্থাপন করেন সম্মেলন অন্তে অনুরূপ সজ্জিত স্পেশাল ট্রেনে "শেরে বাঙ্গাল জিন্দাবাদধ্বনি দ্বারা অভি নন্দিত হইয়া হক সাহেব বাংলায় প্রত্যাবর্তন করেন তখন তিনি বাংলার প্রধান মন্ত্রী কিন্তুবিস্ময়ের বিষয় এই যেপাকিস্তান প্রস্তাবের প্রস্তাবক  ওয়া সত্বেও বাংলাদেশে হক সাহেবের বিরুদ্ধে কোন প্রতিক্রিয়া দেখা দিল না তাঁহার মন্ত্রীসভায় যে সব হিন্দু মন্ত্রীগণ ছিলেন - যথা নলিনী রঞ্জন স্রকারস্যার বিজয় প্রাসাদ সিংহ রায়কাসিম বাজারের মহারাজা শ্রীশচন্দ্র নন্দীপ্রসন্ন দেব রায়কত এবং মুকুন্দ বিহারীমল্লিক,তাহেদের কেহই পদত্যাগ করিলেন না কোথা হইতেও কোনরূপ প্রতিবাদ ধ্বনিত হইল নাআমার দু-চারটি কথাশ্রী যো গেন্দ্রনাথ মণ্ডল... 


এর পর আমরা জানি যেশ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির সহযোগিতায় হক সাহেব দ্বিতীয়বার মন্ত্রীসভা গঠন করেন কিন্তু বিরোধীদের অনাস্থা প্রস্তাবে সেই মন্ত্রীসভাও ভেঙে যায় তপশীল জাতির অধিকংশ এম এল  দের নিয়ে মহাপ্রান যোগেন্দ্রনাথ মণ্ডল এই অনাস্থা প্রস্তাব সমর্থন করেন এই অনাস্থা প্রস্তাবের পর যোগেন্দ্রনাথ মণ্ডলদাবী করেন যে যারা তাদের দাবী মেনে নেবেন তাদেরকেই তাঁরা সমর্থন জানাবেন 
এই দাবীগুলি হল  
তপশীল এম এল  দের মধ্যে  জন মন্ত্রী   জন পার্লামেন্টারি সেক্রেটারি নিযুক্ত করতে হবে
তপশীল জাতির শিক্ষার জন্য প্রতিবছর   ক্ষ টাকা বরাদ্দ করতে হবে
সরকারী চাকরীতে জাতির ভাগিদারী পুরোপুরি মেনে নিতে হবে এবং 
উচ্চ পদের সরকারি চাকরিতে তপশীল জাতির প্রার্থী গ্রহণ করতে হবে 
হক সাহেব এই দাবী গ্রহণ করতে অস্বীকার করেন  নাজিমুদ্দিন দাবীগুলি মেনে নেয় তপশীল জাতির ২২ জন এম এল  নাজিমুদ্দিনকে সমর্থন করায় তিনি ১৯৪৩ সালে মন্ত্রীসভা গঠন করেন এই মন্ত্রীসভাকে আরো  জন হিন্দু নেতা সমর্থন করেন এবং মন্ত্রিত্ব অর্জন করেন 
তারা হলেনঃ 
)তুলসী চরণ গোস্বামী
)হাওড়ার কংগ্রেস নেতা বরদা প্রসন্ন পাইন
)উত্তর পাড়ার বিক্ষাত জমিদার তারক নাথ মুখার্জি,
)প্রেম হরি বর্মা  
)পুলীন বিহারী মল্লিক 
এছাড়াও এই মন্ত্রীসভার আরো  জন হিন্দু পার্লামেন্টারি সেক্রেটারি ছিলেন 
তারা হলেন  
পাবনার নরেন্দ্র নারায়ণ চক্রবর্তী 
জে এন গুপ্ত (নেতাজী সুভাষের জীবনী রচয়িতা)
রংপুরের যতীন্দ্র চক্রবর্তী 
রায় বাহাদুর অনুকুল চন্দ্র দাস
আসানসোলের বঙ্কু বিহারী মণ্ডল  
যশোরের রসিকলাল বিশ্বাস 

যোগেন্দ্রনাথে যুক্তি ছিল যেতপশীল জাতির অধিকাংশ মানুষ গরীব তারা কৃষক  শ্রমিক শিক্ষা দীক্ষায় অন গ্রসর মুসলমানদের অধিকাংশ তাই এই মন্ত্রীসভা দ্বারা অনগ্রসর মানুষের কল্যাণ সাধিত হবে উল্লেখ করা দরকার যে যোগেন্দ্রনাথ মণ্ডল এই মন্ত্রী সভার সদস্য ছিলেন না কিন্তু তার এই ভাগীদারী মডেল যেপরবর্তীকালে সাধারণ মানুষের ক্ষমতায়ণের এক বৃহত্তম নিদর্শন হয়ে উঠবে তা সবর্ণ সমাজের কাছে পরিষ্কার হয়ে যায় তারা বুঝতে পারেন যে এই মডেল কার্যকরী থাকলে সবর্ণ সমাজ তাদের কৌলীন্য হারাবে এবং কোনদিনই ক্ষমতার শীর্ষ পদটি দখল করতে পারবে না 
শ্যামাপ্রসাদ ফজলুল হককে এবং মুসলিম লীগকে সমর্থনের পেছনে ছিল বাংলার জমিদারদের সমর্থন 
তারা ফজলুল হককে সামনে রেখে তাদের হাতে নিয়ন্ত্রণ রাখতে চেয়েছিলেন এই সময় সবর্ণ সমাজের জমিদারেরা ছিলেন কংগ্রেস পার্টির প্রত্যক্ষ সমর্থক 
কিন্তু নাজিমুদ্দিন  পরবর্তী কালে সোহরাবর্দী বাংলার প্রধানমন্ত্রী হলে তাদের সেই প্রচেষ্টা মার খেয়ে যায় সক্রিয় হয়ে ওঠে হিন্দু মহাসভা  কট্টর পন্থী মুসলিম লীগ লীগ ১৯ জুলাই ১৯৪৬ সালে প্রত্যক্ষ সংগ্রাম প্রস্তাব গ্রহণ করে ১৬ আগস্ট ১৯৪৬ বিক্ষোভ প্রদর্শনের দিন ধার্য করা হয় ভারতের কম্যুনিস্ট পার্টিও মুসলিমলীগকে সমর্থন করে 
এই সময় ভারতীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ  আইনসভায় নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সঙ্গে "সম্মানের সাথেক্ষমতার হস্তান্তর বিষয়টি আলোচনা করার জন্য ক্যাবিনেট মিশন ভারতে আসে দুইটি যুযুধান রাজনৈতিক দলের মধ্যে শুরু হয় ভাগ বাটোয়ারার হিসেব নিকেশ ইংরেজরা কংগ্রেসের হাতে ক্ষমতার ভার দিয়ে যাবার প্রস্তাবদিলে জিন্না বেঁকে বসে ১৯৪৬ সালে দিল্লীতে মুসলিম লীগের সম্মেলনে জিন্না ফজলুল হকের দেখানো পথে পাকিস্তান রাষ্ট্রের দাবী তোলেন এই সুযোগে কংগ্রেস ভারতের কয়েকটি বিশেষ পরদেশের বিভাগের জন্য দাবী তুলতে শুরু করে এই বিভাগের প্রশ্নে কংগ্রেস বাংলা  পাঞ্জাবের উপর বেশি গুরুত্ব দেয় করাণ আইন সভারনির্বাচনে এই দুটি প্রদেশ থেকে তারা প্রায় নির্মূল হয়ে যায় 
১৯৪৭ সালের ২০শে জুন বাংলা ভাগের আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয় এই সভায় কংগ্রেসের হিন্দু সদস্যগণ বাংলা ভাগের পক্ষে কিন্তু মুসলমান সদস্যরা বাংলা ভাগের বিপক্ষে ভোট দেয় যোগেন্দ্রনাথ মণ্ডলের নেতৃত্বে তপশীল জাতি ফেডারেশন বাংলা বিভাগের পূর্নত বিরোধিতা করে তখন তিনি অন্তর্রর্তী কালীনভারতবর্ষের আইন মন্ত্রী ১৯৪৭ সালের ২৩শে এপ্রিল হিন্দুস্থান টাইমসে একটি পূর্ণ বয়ান দিয়ে তিনি জানান যেতপশীল জাতি বাংলা বিভাগের সম্পূর্ণ বিরোধী 

জিন্না কিন্তু বাংলা ভাগের বিরোধী ছিলেন বড়লাটকে একটি চিঠি দিয়ে তিনি বাংলা  পাঞ্জাব ঐক্য না ভাঙার কথাই বলেন তিনি জানান যেবাংলা  পাঞ্জাবের একটি সাধারণ চরিত্র আছেযা এদের কংগ্রেসের সদস্য হওয়ার থেকেও অনেক বেশি তিনি আরো জানান যেএরা নিজেরাই ঠিক করুক তারা কোন গ্রুপেথাকবে ২৬শে এপ্রিল জিন্না মাউন্ট ব্যাটেন কে বলেছিলেন যেতিনি অত্যন্ত আনন্দিত হবেন যদি বাংলা ঐক্যবদ্ধ ভাবে স্বাধীন রাষ্ট্র হয় 

এই সময় অবিভক্ত বাংলার নেতৃত্ব দেন শরৎচন্দ্র বসু তিনি তখন বাংলা কংগ্রেসের সভাপতি হলেও কার্যত তার হাতে কোন ক্ষমতা ছিলনা তার চেষ্টায় ফজলুল হকের নেতৃত্বে একটি কোয়ালিশন সরকার গঠন হয় কংগ্রেসি চক্রান্তেই তাকে জেলে যেতে হয় জেল থেকে বেরিয়ে তিনি কংগ্রেস থেকে ইস্তফা দেন এবং সার্বভৌমবাংলা গড়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করেন শরৎচন্দ্র বসু মহাপ্রাণকে তপশীল জাতির নেতা হিসেবে গ্রহণ করেন

অমৃতবাজার পত্রিকাও বাংলা ভাগের পক্ষে জনমত গঠন করতে সক্রিয় ছিল তারা জানায় যেবাংলার ৯৮. শতাংশ মানুষ দেশভাগ চাইছেএটা নাকি তারা একটি ওপিনিয়ন পোল করে সংগ্রহ করেছে পার্টিশান লীগের পক্ষ থেকে পশ্চিম বাংলাকে আলাদা করে তাকে ভারত রাষ্ট্রের অন্তর্ভুক্ত করার উপরে ব্যপক প্রচার শুরুহয় এই বিভাগে এগিয়ে আসে মাড়োয়ারি ব্যবসাদারবিড়লা,গোয়েঙ্কাঈশ্বর দাস জালান তারা প্রচুর পরিমাণে অর্থ ঢালতে শুরু করে দেশ বিভাগের পক্ষে কারণ এই বিভাগে তারাই সবথকে বেশি লাভবান হবেন তাদের পয়সা দিয়েই তখন শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জিবিধান রায়নলিনী সরকারএন সি চ্যাটার্জিদের আন্দোলনচলে  এপ্রিল ১৯৪৭ সালেতারকেশ্বরে হিন্দু মহাসভার একটি সম্মেলনে এন সি চ্যাটার্জি বলেন,"বিষয়টা আর দেশভাগের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেইবাংলার হিন্দুরা আলাদা প্রদেশ গড়ে শক্তিশালী দিল্লী কেন্দ্রিক জাতীয় সরকারের অধীনে থকাবে শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি একই সুরে বলেন যেদেশ ভাগই সাম্প্রদায়িক সমস্যার একমাত্রসমাধান 

'আওয়ামী মন্ত্রীদের যতো বেফাঁস মন্তব্য': এস এম নূর মোহাম্মদ

$
0
0
'আওয়ামী মন্ত্রীদের যতো বেফাঁস মন্তব্য': 

এস এম নূর মোহাম্মদ


'আওয়ামী মন্ত্রীদের যতো বেফাঁস মন্তব্য'














 বেফাঁস মন্তব্যের জন্য বরাবরই চ্যাম্পিয়ন আওয়ামী লীগের মন্ত্রীরা। বিভিন্ন সময় মন্ত্রীরা অপ্রয়োজনীয় ও বিতর্কিত মন্তব্য করে খবরের শিরোনাম হয়েছেন। ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে মহাজোট সরকারের কিছু মন্ত্রী নানা সময়ই অশালীন ও অনাকাঙ্খিত মন্তব্য করেছেন। অনেক দায়িত্বশীল মন্ত্রীর অশালীন মন্তব্যে বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়েছে সরকার ও দলকে। আর এ নিয়ে দলের ভেতরে-বাইরে সমালোচনাও হয়েছে বেশ।

সর্বশেষ গত ২৮ সেপ্টেম্বর  মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে হজ, হযরত মুহাম্মদ (সা:), জামায়াতে ইসলামী ও তাবলীগ জামাতকে নিয়ে কটূক্তি করে বাংলাদেশের ১৬ কোটি মুসলমানের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য (সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম) এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী। তার ওই দিনের বক্তব্যে আক্রমণ করতে ছাড়েননি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও তার আইটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কেও। ফলে ওই দিন থেকে এখনো বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রতিবাদের ঝড় বইছে। ক্ষোভে উত্তাল সমগ্র বাংলাদেশ।

আজ শুক্রবার রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর ফাঁসির দাবিতে রাস্তায় বেড়িয়ে এসেছে। তাকে গ্রেফতার করে শাস্তির আওতায় না আনা পর্যন্ত সাধারণ মানুষরা ঘরে ফিরে যাবে না বলেও সরকারকে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন।

তবে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানায় মন্ত্রিসভা থেকে লতিফ সিদ্দিকীকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্তও নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার ব্যাপারে দলীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

এদিকে, মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীকে মুরতাদ আখ্যা দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম। আর তার কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছে বিএনপি-জামায়াতসহ ২০ দলীয় জোট। অন্যদিকে ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।  

কিন্তু মন্ত্রী হিসেবে আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর এটাই প্রথম ঘটনা নয়। এর আগেও বহু বিতর্কিত কর্মকাণ্ড এবং কথা বলে সমালোচিত হন এ নেতা।  

তবে শুধুমাত্র লতিফ সিদ্দিকীই নন। তার আগেও নানা বিতর্কিত মন্তব্য করে সমালোচিত হয়েছেন মহাজোট সরকারের বেশ কয়েকজন মন্ত্রী। মাত্র কয়েকদিন আগেই ধানমন্ডিতে এক সমাবেশে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদকে স্মরণকালের শ্রেষ্ঠ বেয়াদব বলে আখ্যা দেন দলের ওই সময়ের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও জাতীয় সংসদের উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী। আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পদ্ধতিকে ত্রুটি পূর্ণ আখ্যা দিয়ে সমালোচিত হন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।

এর কিছুদিন আগেই সিলেটে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে বক্তব্য দেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সৈয়দ মহসিন আলী। পরে তার ওই বক্তব্যে সমালোচনার ঝড় উঠলে ক্ষমা চেয়ে ওই যাত্রায় রক্ষা পান তিনি। তবে আগেও এ মন্ত্রীর বেশ কিছু কর্মকাণ্ডে দলকে বিব্রত হতে হয়েছে একাধিকবার। যৌন কর্মীদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী আলেমদের শাস্তির কথা বলে এর আগেও রোষাণলে পড়েন মহসীন আলী। সমাজকল্যাণ মন্ত্রী হিসেবে এতিমখানায় পরিদর্শনের সময় শিক্ষার্থীদের অভিযোগ শুনে ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো অভিযুক্তদের পক্ষে সাফাই গেয়ে সমালোচনায় পড়েন তিনি।    

গত ৪ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের এক সভায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে ইঙ্গিত করে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেন, মানুষ বাপ-মার ঘরে জন্ম নিলে তার একটি জন্মদিন থাকে এবং মানুষ তা জানে। পক্ষান্তরে ডাস্টবিনে জন্ম নিলে তার জন্মদিন ৩/৪টা কেন আরো বেশিও থাকতে পারে। এতে কোনো সমস্যা নেই।

তবে সবচেয়ে হাস্যরস বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। গত ২০ জুলাই গাজায় হামলার ঘটনায় ইসরাইলি ইহুদিদের সঙ্গে বিএনপির যোগাযোগ থাকতে পারে বলে মন্তব্য করে আলোড়ন সৃষ্টি করেন তিনি।  সাবেক ওই মন্ত্রী বলেন, গতবার যখন ইসরাইল গাজায় হামলা চালালো তখন তারা (বিএনপি) ক্ষমতায় ছিল। আমরা বিরোধী দলে থেকে সংসদে শোক প্রস্তাব গ্রহণ করতে আহ্বান জানাই। কিন্তু তারা রাজি হয়নি। এখন আবারো হামলা হচ্ছে। আর সেই বিষয়েও তারা নীরব ভূমিকা পালন করছে, যা ইহুদিদের সঙ্গে যোগাযোগ থাকার প্রমাণ দিচ্ছে।

এর আগে গত ৯ ফেব্রুয়ারি পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা সদরের সরকারি পাবলিক মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজকে গণসংবর্ধনা দেওয়া হয়। সে সময় জাতীয় সংসদের হুইপ বলেন, "ক্রেস্ট না, ক্যাশ চাই"। যদি কারো উপঢৌকন দেওয়ার ইচ্ছা থাকে, দলীয় কার্যালয়ে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বসব। নিয়ে আসবেন। প্রকাশ্যে এমন বক্তব্য দেওয়ায় সমালোচনার ঝড় ওঠে তার বিরুদ্ধে। পরে অবশ্য চিফ হুইপ তার বক্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন।

বেফাঁস মন্তব্য থেকে বিরত নন সিনিয়র অনেক মন্ত্রীও। কথায় কথায় 'স্টুপিড', 'বোগাস''ফটকাবাজ'ও 'রাবিশ'উচ্চারণে অভ্যস্ত অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতেরও অনেক অনভিপ্রেত বক্তব্য রয়েছে। মন্ত্রী শেয়ারবাজারকে কখনো 'দুষ্ট বাজার', কখনো বিনিয়োগকারীদের 'ফটকাবাজ'মন্তব্য করেন। আর বহুল আলোচিত হলমার্ক কেলেঙ্কারিতে শুধু সোনালী ব্যাংক থেকেই চার হাজার কোটি টাকা লুটপাট হলে অর্থমন্ত্রী বিষয়টিকে হালকা করে বলেন, 'ব্যাংকিং খাতে আমরা ৪০ হাজার কোটি টাকা ঋণ দেই। আর মাত্র চার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি তেমন কিছু নয়'।

২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল রানাপ্লাজা ধসের পর আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহিউদ্দিন খান আলমগীর বলেন, বিএনপি-জামায়াতের হরতালকারীরা গেট ধরে ধাক্কা-ধাক্কি করায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। পরে তার বক্তব্য নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠে দেশে-বিদেশে। এমনকি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে তাকে নিয়ে বেশ সমালোচিত কার্টুনও প্রকাশ করেন অনেকে।

২০১২ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি রাতে পশ্চিম রাজাবাজারের বাসায় নৃশংসভাবে খুন হন মাছরাঙা টিভির বার্তা সম্পাদক সাগর সরোয়ার এবং এটিএন বাংলার সিনিয়র রিপোর্টার মেহেরুন রুনি। ১১ ফেব্রুয়ারি লাশ উদ্ধারের পর সেখানে ছুটে যান তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এডভোকেট সাহারা খাতুন, পুলিশের মহাপরিদর্শক হাসান মাহমুদ খন্দকার এবং র‌্যাবের ডিজি মোখলেছুর রহমানসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। সে সময় খুনিদের গ্রেফতারে ৪৮ ঘণ্টার সময়সীমা বেধে দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। কিন্তু দীর্ঘ দিনেও খুনিরা গ্রেফতার না হলে সাংবাদিক মহল এ নিয়ে তার কড়া সমালোচনা করেন।

এর আগে ২০১০ সালের ১৬ এপ্রিল জাতীয় প্রেসক্লাবে 'যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও সাম্প্রদায়িকতা'শীর্ষক আলোচনা সভায় তখনকার সময়ের আইনপ্রতিমন্ত্রী এডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, 'জিয়াউর রহমান পাকিস্তানের চর হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। জিয়া প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না।'আইন প্রতিমন্ত্রীর এমন বক্তব্যও সমালোচিত হয় সারাদেশে।

২০০৯ সালের ২৯ এপ্রিল তৎকালীন পানিসম্পদমন্ত্রী রমেশ চন্দ্র সেনের বেফাঁস বক্তব্যও ব্যাপক সমালোচিত হয়েছিল। ওই সময় মন্ত্রী বলেন, 'ভারত আগে টিপাইমুখ ড্যাম চালু করুক। ড্যামের কারণে বাংলাদেশের কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়-সেসব দেখার পর সরকার সিদ্ধান্ত নেবে, ভারতের কাছে প্রতিবাদ জানানো হবে কি-না।'

এদিকে, সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের এমন বেফাঁস মন্তব্যে দলের ভাবমর্যাদা ক্ষুন্ন হচ্ছে বলেই মনে করছেন নেতা-কর্মীরা। অনেককে আবার ক্ষোভ প্রকাশ করতেও দেখা গেছে।

তবে দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী বলেছেন 'মুখফোড়'লোকদের কথার গ্রহণযোগ্যতা নেই।

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, মন্ত্রী হলে সবাইকে কৌশলী ও খুব ঠান্ডা মাথার হতে হবে। চট করে উত্তেজিত হলে চলবে না। আগের দিন গরম কথা বলে পরের দিন দুঃখ প্রকাশ করলাম এটা তো কোনো কথা হলো না।

এছাড়া আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারাও মন্ত্রীদের চিন্তাভাবনা করে কথা বলার পরামর্শ দিয়েছেন।
- See more at: http://www.sheershanews.com/2014/10/03/53630#sthash.mvydIMJs.dpuf

__._,_.___

আব্দুল লতিফ মন্ত্রীত্ব হারাচ্ছেন, কারণ হজ্ব না জয়? ফরীদ আহমদ রেজা

$
0
0

আব্দুল লতিফ মন্ত্রীত্ব হারাচ্ছেন, কারণ হজ্ব না জয়?

ফরীদ আহমদ রেজা

আওয়ামী লীগের মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর ফাঁসির দাবিতে বাংলাদেশ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। সরকার বিরোধী এক সিনিয়র আইনজীবী তাঁকে ক্রস-ফায়ারে নিয়ে মেরে ফেলার দাবি জানিয়েছেন। কাউকে ক্রসফায়ারে হত্যা করা একটা জঘন্য কাজ। এটা বিনা বিচারে হত্যা এবং নীতিগত কারণে আমরা চাই না কাউকে, সে যত বড় অপরাধী হোক, ক্রসফায়ারে হত্যা করা হোক। এ ধরণের হত্যা কখনো বৈধ হতে পারে না। যে কোন অপরাধীকে আইনের আওতায় এনে আত্মপক্ষ সমর্থনের পূর্ণ সুযোগ দিতে হবে। শুধু ন্যায় বিচার করলে হবে না, ন্যায়বিচার হয়েছে বলে প্রমাণও রাখতে হবে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত মন্ত্রীর বক্তৃতার ভিডিও ফুটেজে দেখেছি মন্ত্রী বলেছেন, জামাতে ইসলামেরও তিনি বিরোধী। তবে হজ্জ এবং তাবলিগ জামাতের ঘোর বিরোধী। এটা দেখার পর ফেইসবুকে আমি একটা স্টেটাস দেই। সেখানে বলেছি, 'জামাতে ইসলামী একটি রাজনৈতিক দল। তবলিগ জামাত একটি অরাজনৈতিক ধর্মীয় দল। এ দু দলের বিরোধিতা করার অধিকার যে কারো আছে। কিন্তু বাংলাদেশের এক মন্ত্রী হজ্জ নিয়ে এবং নবী মুহাম্মদ (স) সম্পর্কে যে কটুক্তি করলেন তা শোনে আমরা অবাক। পৃথিবীর কোন অমুসলিম দেশের কোন সরকারী দায়িত্বশীল হজ্জ এবং নবী মুহাম্মদ (স) সম্পর্কে এ রকম কথা বলেছেন বলে আমাদের জানা নেই। মহানবী মুহাম্মদ (স) হজ্জের বিধান প্রবর্তন করেছেন বলে মন্তব্য করে তিনি মুর্খতার পরিচয়ও দিলেন। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। তবে হ্যাঁ, তিনি সজিব ওয়াজেদ জয় সম্পর্কেও কটুক্তি করেছেন। অন্ততঃ শেষোক্ত কারণে তাঁকে জবাবদিহি করতে হবে এবং মূল্য দিতে হবে।'

গতকাল প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ট লোকেরা সাংবাদিকদের বলেছেন, পবিত্র হজ্জ, মহানবী (স) ও সজিব ওয়াজেদ জয়কে নিয়ে কটুক্তি করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলির সদস্য আবদুল লতিফ সিদ্দিকীকে মন্ত্রিসভা ও দল থেকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। পরে প্রধানমন্ত্রী ঢাকায় সাংবাদিক সম্মেলন করে তা নিশ্চিত করে বলেছেন, নিয়মতান্ত্রিকতা রক্ষার স্বার্থে তা কার্যকরী হতে কিছুটা সময় লাগবে। প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্যের পরও সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের বিষয় যাদের মনে আছে তাদের সন্দেহ কাটেনি। টেলিযোগাযোগমন্ত্রীর কোনটা যাবে এবং কোনটা সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের মতো ফিরে আসবে কেউ বলতে পারে না। তবে মন্ত্রীত্ব চলে গেলেও মিলিয়ন ডলারের প্রশ্ন থেকে যাবে, কোন অপরাধে তিনি মন্ত্রীত্ব হারাচ্ছেন? হজ্জের বিরুদ্ধে বা রাসুলের বিরুদ্ধে কটুক্তি করার জন্যে, না কি জয়ের বিরুদ্ধে কথা বলার জন্যে? 

পত্রপত্রিকার খবর থেকে আমরা জানতাম সজীব ওয়াজেদ জয় প্রধানমন্ত্রীর এবং কারো মতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর উপদেষ্টা। আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী বলেছেন, জয় সরকারের কেউ নয়। জয় বেতন নেন কি না আমরা জানতাম না। সরকারের কাজ করে কেউ বেতন নিলে দোষের কিছু নয়। তাই বলে এতো বড় বেতন, মাসিক ২ লাখ ডলার? এটা অবিশ্বাস্য। আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী এটা যখন বলেছেন, তখন ধরে নেয়া যায় এর মধ্যে কিছুটা হলেও সত্যতা আছে। সরকারের পক্ষ থেকে এ ব্যপারে সাফাই দিলেও মানুষের মনে সন্দেহ থেকে যাবে। ৫ জানুয়ারীর নির্বাচনের পর সরকারের মন্ত্রীদের লুটপাঠের খবর মানুষ ভুলে যায়নি। তাই সজীব ওয়াজেদ জয়কে জড়িয়ে বলা অভিযোগ আরো ডালপালা মেলে বড় হবে। আওয়ামী লীগের নেতা-নেত্রীর কাছে যিনি বাংলাদেশের ভবিষ্যত তাঁর বিরুদ্ধে এ রকম ধৃষ্টতামূলক কথা বলে আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী পার পেয়ে যাবেন, এটা হতেই পারে না।

বাংলাদেশে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার অপরাধে শাস্তির বিধান রয়েছে। কিন্তু এ কারণে কাউকে কখনো শাস্তি পেতে হয়নি। যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে আটক জামাতে ইসলামীর কয়েকজন নেতাকে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার নাটক তৈরি করেই প্রথমে আটক করা হয়। পরে তাদের যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে গ্রেফতার দেখানো হয়। ইসলামের বিরুদ্ধে কথা বলার কারণে অবশ্য এর আগে দাউদ হায়দার এবং তাসলিমা নাসরিন দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন। কিছুদিন আগে প্রধানমন্ত্রী এবং বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ব্যঙ্গাত্মক গান রচনা অপরাধে তন্ময় মজুমদার নামক এক তরুণকে সাত বছরের সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে সাইবার অপরাধ ট্রাইবুনালের বিচারক। প্রধানমন্ত্রী এবং বঙ্গবন্ধুর সাথে বেয়াদবী করার কারণেও ইতোপূর্বে কয়েকজনকে শাস্তি দেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কথা বললে শাস্তির বিধানকে কেউ কেউ সত্যজিৎ রায়ের বিখ্যাত ছবি 'হীরক রাজার দেশে'র সাথে তুলনা করছেন। প্রধানমন্ত্রী প্রায়ই নিজের ধার্মিকতার কথা প্রচার করেন, সুযোগ পেলে হজ্জ এবং ওমরাহ করতে যান। শেখ হাসিনার এটাও কৃতিত্ব যে যারা এক সময় ইসলাম এবং মুসলমানদের ব্যাপারে ব্যঙ্গ-বিদ্রƒপ করেছেন তাদের অনেকে সরকারী টাকায় হজ্জে যাচ্ছেন। আলোচিত মন্ত্রীও একবার হজ্জ করে এসেছেন। বাংলাদেশের অনেক মানুষের প্রশ্ন, আওয়ামী লীগ সরকারের দৃষ্টিতে প্রধানমন্ত্রী বা বঙ্গবন্ধু কি ইসলাম বা নবী-রাসুল থেকে অধিক সম্মানিত?

কাদের সিদ্দিকী আপত্তিকর বক্তব্যের জন্যে নিজের ভাইকে ক্ষমা প্রার্থনার অনুরোধ করেলেও মেক্সিকো থেকে বিবিসি বাংলাকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী বলেন, স্বাধীন ও আধুনিক মানুষ হিসেবে তিনি হজ্জ সম্পর্কে মন্তব্য করেছেন। এ বক্তব্য প্রত্যাহার বা এর জন্যে ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্নই ওঠেনা। তবে প্রধানমন্ত্রী যে নির্দেশ দেবেন তা তিনি প্রতিপালন করবেন। এ থেকে বোঝা যায়, আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী প্রধানমন্ত্রীর আনুকল্য অর্জনের আশা পরিত্যাগ করেননি। কাদের সিদ্দিকী শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে বলেছেন, শামিম ওসমানের পক্ষে যদি প্রধানমন্ত্রী দাঁড়াতে পারেন তা হলে তাঁর ভাইয়ের পক্ষে কেন দাঁড়াবেন না? আমরা জানি শুধু শামিম ওসমান নয়, এর আগে সৈয়দ আবুল হোসেন এবং সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের পক্ষেও প্রধানমন্ত্রী কথা বলেছেন। ব্লগার রাজিব নিহত হবার পর দেশবাসী সে হত্যার নিন্দা করার সাথে সাথে নবীর বিরুদ্ধে কটুক্তি করারও নিন্দা করেছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নবীর বিরুদ্ধে কটুক্তির নিন্দা করেননি। দেশের বর্তমান উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর পক্ষে কোন কথা বলবেন বলে হয় না। তবে তাঁকে শাস্তির আওতায় আনা হবে কি না তা এখনো পরিস্কার নয়।

আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে হাজারো অভিযোগ থাকলেও প্রধানমন্ত্রীর শুভদৃষ্টিতে থাকার কারণে পত্রপত্রিকায় তা তেমন প্রকাশিত হয়নি। তাঁর খুঁটি নড়বড়ে হয়ে যাবার সাথে সাথে এখন তা আলোচনায় আসছে। জানা গেছে, আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী ৪৬টি সরকারি প্রতিষ্ঠান বিনা দরপত্রে এবং কখনো বিনা মূল্যে তাঁর নিজের লোকদের কাছে হস্তান্তর করেছেন। নিজের হাতে সরকারি কর্মকর্তাকে প্রহার করেছেন। হরতালকারীদের বাড়িতে ঢুকে তাঁদের হত্যা করার জন্য ছাত্রলীগের কর্মীদের প্রকাশ্যে নির্দেশ দিয়েছেন। হাইকোর্টের প্রতি চরম অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন। সাবেক রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবু সাঈদের পৈতৃক বাড়ি অবৈধভাবে দখল করেছিলেন। সে বাড়ি তাঁর নিকট থেকে পুনরুদ্ধারের জন্যে বঙ্গবন্ধুকে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছিল।

প্রধানমন্ত্রীকে অবমাননা করার কারণে দেশের বিভিন্ন আদালত মানুষকে চাকরিচ্যুত করেছে, সাত বছর কারাদন্ড পর্যন্ত দিয়েছে। আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী বিভিন্ন মহানবী (সা), হাইকোর্ট, বিরোধী দলের নেতা-নেত্রী, সংখ্যালঘু মানুষ, বুদ্ধিজীবী বা সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে যাচ্ছে তাই বলার পরও কোন শাস্তি পেতে হয়নি। ধর্ম এবং ধর্মীয় বিশ্বাস নিয়ে তিনি যেসব মন্তব্য করেছেন এর জন্যে বাংলাদেশের পেনাল কোডের ২৯৫-ক ধারা অনুসারে সর্বোচ্চ দুই বছরের সশ্রম কারাদন্ডের বিধান রয়েছে। কিন্তু তিনি ছিলেন এতদিন আইনের উর্ধে। এখন শোনা যাচ্ছে, বিভিন্ন অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে সরকার ৫০টি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে। প্রশ্ন হচ্ছে, সরকার এতোদিন কি করেছে? আপত্তিকর মন্তব্য করার পর মামলা হবার অর্থ হচ্ছে, সরকারে থাকলে তিনি সাধু এবং সরকার থেকে চলে গেলে তিনি চোর? এটা কোন নীতির কথা নয়, এর নাম স্বেচ্ছাচারিতা। 

আমাদের বিরেবচনায়, আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী মন্ত্রীত্ব হারালেও তাঁকে বিচারের আওতায় আনা হবে না, তাঁকে নিয়ে যতই হৈ চৈ হোক না কেন। তিনি বিদেশেই থেকে যাবেন। রাজনৈতিক প্রয়োজনে তাঁর বিরুদ্ধে হুমকি-ধমকি দেয়া হবে। কিন্তু সরকার তাঁকে দেশে ফিরিয়ে এনে শাস্তি দিবে না। এর কারণ, সরকারের হাঁড়ির খবর তাঁর জানা। তাঁকে নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করলে তিনি সরকারের আরো অনেক গোপন তথ্য ফাঁস করে দিতে পারেন। তবে হ্যাঁ, এরশাদের মতো মামলার খড়গ চালু রেখে তাঁকে চাপের মধ্যে রাখা হবে, যাতে তিনি আর বাড়াবাড়ি না করেন।

বাংলাদেশের কোন কোন বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক এবং স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীকে পাগল বা পাগল বংশের লোক বলে অভিহিত করেছেন। পাগল হলে তিনি এতোদিন মন্ত্রীত্ব করতে পারেন না। পাগল হলে তাঁর কোন অপরাধ আর অপরাধ বলে গণ্য হতে পারে না। এ জন্যে যারা তাঁকে পাগল বলছেন তারা ঠিক বলছেন না। তিনি যা করেছেন তা ইচ্ছে করেই করেছেন। কেন করেছেন তা নিশ্চয়তা করে বলা না গেলেও আমরা অনুমান করতে পারি। হতে পারে কোন কারণে জয়ের উপর তিনি সন্তুষ্ট নহেন। জয় এবং হজ্বের বিরুদ্ধে বলে তিনি হয়তো নিজের জন্যে বিদেশে স্থায়ীভাবে বসবাস নিশ্চিত করেছেন। আওয়ামী লীগের নেতারা বিদেশে টাকা পাচার করছেন, বাড়ি করছেন, এ সকল অভিযোগ অনেক দিন থেকেই উচ্চারিত হচ্ছে। আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী এর আগে এক দেশে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছিলেন বলেও খবরে জানা গেছে। কিন্তু সে আবেদন পরিপক্ক হবার আগেই তিনি দেশে চলে আসেন। এবার তিনি কৌশলের সাথে এক-ই সাথে আওয়ামী লীগের ভবিষ্যত নেতা এবং ধর্মপ্রাণ মানুষকে আক্রমণ করেছেন। তিনি জানেন, এর ফলে তাঁর বিরুদ্ধে ফাঁসির আওয়াজ উঠবে। জয়ের বিরুদ্ধে বলার পর সরকারও তাঁর বিরুদ্ধে চলে যাবে। এখন তিনি যে কোন দেশে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করলে এটা প্রমাণ করতে সক্ষম হবেন যে দেশে তাঁর জীবনের নিরাপত্তা নেই।

আইনের আওতায় আনার কথা না বলে অনেকে আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর ফাঁসি দাবি করছেন। তাদের কাছে প্রশ্ন, আপনারা কেন তাঁর ফাঁসি চান? তিনি কি ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করেছেন? তিনি কি মুসলমান ছিলেন? আপনারা তাঁর সম্পর্কে কতটুকু জানেন? এটা ঠিক, তিনি একবার হজ্ব করেছেন। হজ্ব করলেই কি মুসলমান হওয়া যায়? ঈমান হচ্ছে একটি বিশ্বাসের নাম, কাজের নাম নয়। দেশে মতামত প্রকাশের স্বাধীনতা না থাকলে কারো চিন্তাধারা জানার উপায় নেই। তাই তাঁর ঈমান ছিল কি না তা আমরা জানি না। কেউ যদি সাবালক হবার পর বুদ্ধি-বিবেচনা প্রয়োগ করে ঈমান গ্রহণ না করে থাকে তা হলে কি তাঁকে মুসলমান বলা যায়? আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী মুসলমান না হলে ধর্মত্যাগী হবার প্রশ্নই আসে না। কেউ স্বেচ্ছায় ইসলাম ত্যাগ করলে তাকে মুরতাদ বা ধর্মত্যাগী বলা হয়। ধর্ম ত্যাগ করলেই কি তাঁকে ফাঁসি দিতে হবে? তিনি কেন ধর্ম ত্যাগ করলেন তা কি আপনারা জানবেন না? তাঁকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিবেন না? তাঁর কোন ভুল ধারণা বা অস্পষ্টতা থাকলে তা দূর করার চেষ্টা করবেন না? তাঁকে তওবা করার সুযোগ না দিয়ে ফাঁসি দিলে অধর্ম হবে। আবার ইসলামের প্রাথমিক যুগে ধর্মত্যাগীর জন্যে রাজনৈতিক বিবেচনায় চালুকৃত আইন বর্তমান যুগে কতটুকু প্রযোজ্য তা কি বিবেচনা করবেন না?

একজন আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীকে ফাঁসি দিয়ে আপনারা কি অর্জন করবেন? ইসলাম সম্পর্কে ঠিক তাঁর মতো মনোভাব পোষণকারী লোক বাংলাদেশে বা সরকারে কি আর নেই? ইসলাম এবং এর বিভিন্ন বিধি-বিধান সম্পর্কে খারাপ ধারণা পোষণকারী লোকের সংখ্যা বাংলাদেশে কম নয়। আপনারা কি আইনের ভয় দেখিয়ে তাদের ইসলাম শিক্ষা দিতে পারবেন? আমরা মনে করি, যাদের মনে ইসলাম সম্পর্কে প্রশ্ন আছে তাদের কথা বলার সুযোগ দেয়া উচিত। কথা বললে তাদের মনোভাব জানা যাবে। কথা বললে তাদের সংখ্যাটাও জানা যাবে। মানুষের মনের জিজ্ঞাসা জানলে এর জবাব দেয়ার সুযোগ থাকবে, তাদের সাথে মতবিনিময় বা ডায়লগ করা যাবে। ইসলাম সম্পর্কে দেশে-বিদেশে হাজারো প্রশ্ন উচ্চারিত হচ্ছে। ধমক দিয়ে মুখ বন্ধ করে অথবা মিছিল করে কি সে সকল প্রশ্নের সমাধান সম্ভব? আলোচনার মাধ্যমে ইসলামের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করুন। ধমক দিয়ে কারো মুখ বন্ধ করতে যাবেন না। আল্লাহ কাউকে দারোগা করে পাঠাননি।

http://www.bdmonitor.net/newsdetail/detail/49/93318



2014-10-05 11:36 GMT+06:00 Isha Khan <bdmailer@gmail.com>:
জয় ভাইটা কে? তার বেতন কত?

অক্টোবর ৪, ২০১৪

প্রভাষ আমিন॥
অ্যাসোসিয়েট হেড অব নিউজ, এটিএন নিউজ।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অনেক ধন্যবাদ। এই ধন্যবাদটি সব সময়ের জন্য। কারণ শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকার সময় বরাবরই বিদেশ থেকে ফিরে দ্রুততম সময়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। ইচ্ছামত সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, সময়েরও কোনো ধরাবাধা থাকে না। আজও প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তারা একাধিকবার তাগাদা দিয়েও প্রধানমন্ত্রীকে বিরত করতে পারেননি।

শেষ পর্যন্ত আজান দেওয়ায় তাকে থামতে হয়। আমার ধারণা সাংবাদিকদের সাথে এই সময় কাটানোটা প্রধানমন্ত্রী উপভোগ করেন। বরাবরই তিনি স্মার্টলি, আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।

নিউইয়র্কে লতিফ সিদ্দিকীর মহা বিতর্কিত বক্তব্যের পর এই প্রথম সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু লতিফ সিদ্দিকীর পুরো বিষয়টি পরিস্কার হওয়া গেল না। একাধিক প্রশ্নের পর লতিফ সিদ্দিকীর ভবিষ্যৎ মোটামুটি পরিস্কার।

রিপোর্টিং করার সময় অনেকবার কাভার করার অভিজ্ঞতা থেকে জানি, প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন খুবই উপভোগ্য। তার তীক্ষ্ম রসবোধ, সাংবাদিকদের সাথে মজা করা, খোঁচা দেয়া, আগে-পরে বা চা খাওয়ার সময় নানা টুকরো কথা- সব মিলিয়ে পুরো বিষয়টি চমৎকার অভিজ্ঞতা হয়ে থাকে। বাংলাদেশের অনেক নেত্রীর ক্ষেত্রে যা বিরল। আমি যতদূর জানি, প্রধানমন্ত্রীকে কী প্রশ্ন করা যাবে বা যাবে না; কখনওই তেমন কোনও নির্দেশনা থাকে না। কিন্তু তারপরও প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনে আমরা হতাশ হই। সব প্রশ্নের জবাব পাই না। এখানে প্রধানমন্ত্রীর কোনো দায় নেই। যা প্রশ্ন, তাই তো জবাব দেবেন তিনি। নিজে থেকে তো আর উত্তর দিতে পারেন না। ভাসা ভাসা প্রশ্ন হলে তিনি ভাসা ভাসা উত্তরই দেন।

নিউইয়র্কে লতিফ সিদ্দিকীর মহা বিতর্কিত বক্তব্যের পর এই প্রথম সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু লতিফ সিদ্দিকীর পুরো বিষয়টি পরিস্কার হওয়া গেল না। একাধিক প্রশ্নের পর লতিফ সিদ্দিকীর ভবিষ্যৎ মোটামুটি পরিস্কার। তিনি সরকার বা দলে আর থাকছেন না। রাষ্ট্রপতি হজ্ব থেকে ফিরলে সংবিধান অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী তার আকাঙ্ক্ষার কথা বলে দিয়েছেন।

আরেকটা প্রশ্ন ছিল। গণমাধ্যমে না দেখলেও গত কয়েকদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখছি, সজীব ওয়াজেদ জয়ের মাসিক বেতন নিয়ে একটি প্রোপাগাণ্ডা চলছে। জয় নাকি সরকার থেকে মাসে ২ লাখ ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় এক কোটি ৬০ লাখ টাকা বেতন নেন। এই তথ্যটি যে সত্য নয়, তা জানতে ব্যাপক অনুসন্ধান লাগে না।

সেই অনুষ্ঠানে লতিফ সিদ্দিকী আরও অনেক বিষয়ে বলেছিলেন। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রীর পুত্র এবং তার তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে তাচ্ছিল্য করে কিছু কথা বলেছিলেন। এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে লতিফ সিদ্দিকী বলেছিলেন, জয় ভাইটা কে? সে করার কে? এই উত্তরটাই আমার জানার আকাঙ্ক্ষা ছিল প্রধানমন্ত্রীর কাছে। যদি তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি মন্ত্রী না জানেন, জয় ভাইটা কে? তাহলে প্রধানমন্ত্রীই শুধু পারেন, সরকারে তার অবস্থান পরিস্কার করতে।

আরেকটা প্রশ্ন ছিল। গণমাধ্যমে না দেখলেও গত কয়েকদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখছি, সজীব ওয়াজেদ জয়ের মাসিক বেতন নিয়ে একটি প্রোপাগাণ্ডা চলছে। জয় নাকি সরকার থেকে মাসে ২ লাখ ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় এক কোটি ৬০ লাখ টাকা বেতন নেন। এই তথ্যটি যে সত্য নয়, তা জানতে ব্যাপক অনুসন্ধান লাগে না। প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা নিশ্চয়ই প্রধানমন্ত্রীর চেয়ে বেশি বেতন পাবেন না বা দেশের রাষ্ট্রপতির চেয়ে বেশি বেতন পাবেন না। তাই এই তথ্যটিকে উড়িয়ে দিতে এক সেকেন্ডও সময় লাগার কথা নয়। কিন্তু কেউ সরকারে জয়ের অবস্থান এবং তার মাসিক বেতন নিয়ে কোনো প্রশ্ন করেননি বলে উত্তরও আসেনি। সরকারে সজীব ওয়াজেদ জয়ের সঠিক অবস্থান কী, আদৌ তিনি সরকারের কাছ থেকে মাসিক সম্মানি নেন কিনা, আমি জানি না। নিলেও সেটা নিশ্চয়ই বাংলাদেশ সরকারের বেতন কাঠামো অনুযায়ীই হবে।

গত বছরের ৫ মে মতিঝিলে শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের অবস্থানের আগে-পরের ঘটনায় ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ মিলে সর্বোচ্চ ২০ লোক মারা গিয়েছিল। এটা হলো তথ্য। সরকারি-বেসরকারি নানা অনুসন্ধানে এরচেয়ে বেশি নিখোঁজ বা নিহতের সন্ধান মেলেনি। কিন্তু ধারণাটি কি? হেফাজত, বিএনপি, জামায়াতসহ একটি মহল বারবার দাবি করে আসছে, মতিঝিলে হাজার হাজার লোক মারা গেছে।

একটা আশঙ্কা থেকে এই প্রশ্ন দুটির উত্তর জানাটা জরুরি বলে মনে করছি। প্রচার-অপপ্রচার, সত্য আর ধারণার মধ্যে অনেক পার্থক্য। কিন্তু সেই পার্থক্য অনেক সময় গুলিয়ে ফেলি আমরা। শেখ কামাল ব্যাংক ডাকাতি করেননি, এটা হলো সত্য। বাংলাদেশেই আমরা দেখেছি, টাকার জন্য একজন প্রধানমন্ত্রীর পুত্রকে ব্যাংক ডাকাতি করতে হয় না। ব্যাংক চাইলে তার ভবনের বারান্দায় চলে আসে। কিন্তু শেখ কামাল ব্যাংক ডাকাতি করেছিলেন বলে দিনের পর দিন অপপ্রচার চালানো হয়েছে। বাংলাদেশে যদি ৫ শতাংশ লোকও এই ধারণাটি বিশ্বাস করে, সেটিও সেই অপপ্রচারকারীদের সাফল্য।

গত বছরের ৫ মে মতিঝিলে শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের অবস্থানের আগে-পরের ঘটনায় ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ মিলে সর্বোচ্চ ২০ লোক মারা গিয়েছিল। এটা হলো তথ্য। সরকারি-বেসরকারি নানা অনুসন্ধানে এরচেয়ে বেশি নিখোঁজ বা নিহতের সন্ধান মেলেনি। কিন্তু ধারণাটি কি? হেফাজত, বিএনপি, জামায়াতসহ একটি মহল বারবার দাবি করে এসেছে, মতিঝিলে হাজার হাজার লোক মারা গেছে। তাহলে লাশ কই? সরকার রাতারাতি হাজার হাজার সরকার মানুষ মেরে আবার সেই লাশ গায়েবও করে ফেলেছে! এই গাজাখুঁড়ি অপ্রপ্রচারটিও বাংলাদেশের কেউ কেউ বিশ্বাস করে। এমনিতে আমরা জানি এবং বিশ্বাস করি, সত্যের চেয়ে শক্তিশালী কিছু নেই। কিন্তু মাঝে মাঝে ধারণা সত্যির চেয়ে বেশি গ্রহণযোগ্যতা পেয়ে যায়। গোয়েবলসের সেই পুরোনো কায়দায় একটি ধারণাকে বারবার সত্যে মত পরিবেশন করে, এক ধরনের বিভ্রম তৈরি করা হয়।

বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়নে প্রধানমন্ত্রীর পাঁচ উপদেষ্টার তথ্য আছে। রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম, অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী এবং নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক। এই তালিকায় সজীব ওয়াজেদ জয়ের নাম নেই।

গত কয়েকদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সজীব ওয়াজেদ জয়ের বেতন নিয়ে যে অপ্রপ্রচারটি চালানো হচ্ছে, তা দেখে এই শঙ্কাটি আমার জোরালো হচ্ছে। যারা অপপ্রচারটি চালাচ্ছেন, তাদের খুব সংগঠিত মনে হচ্ছে। তাই জয় ভাইটা কে? তার মাসিক বেতন কত? এই দুটি প্রশ্নের উত্তর জানা খুব জরুরি।

সজীব ওয়াজেদ জয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ছেলে, বঙ্গবন্ধুর নাতি। ৭৫এর ১৫ আগস্ট মায়ের সাথে দেশের বাইরে থাকায় ঘাতকরা তার নাগাল পায়নি। বোধগম্য কারণেই তাকে দেশের বাইরে পড়াশোনা করতে হয়েছে। তিনি পড়াশোনা করেছেন, তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে। আনুষ্ঠানিকভাবে তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা হওয়ার আগে থেকেই তিনি মা শেখ হাসিনাকে ডিজিটাল বাংলাদেশের গল্প শুনিয়েছেন, স্বপ্ন দেখিয়েছেন। শেখ হাসিনা নিজে তার প্রযুক্তিপ্রীতির জন্য জয়কে কৃতিত্ব দিয়েছেন। সেই স্বপ্ন আজ বাংলাদেশেকে অনেক এগিয়ে দিয়েছে। কিন্তু এর বিনিময়ে তিনি যদি নিয়মের বাইরে কোনো অর্থ নিয়ে থাকেন, অবশ্যই সেটা নিন্দনীয়। কিন্তু নিচ্ছেন কিনা, সেটা আগে জানতে হবে।

আর সজীব ওয়াজেদ জয় কি ছেলে হিসেবে মায়ের তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা, নাকি আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা নাকি বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা? বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়নে প্রধানমন্ত্রীর পাঁচ উপদেষ্টার তথ্য আছে। রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম, অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী এবং নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক। এই তালিকায় সজীব ওয়াজেদ জয়ের নাম নেই।

তবে এর বাইরেও শেখ হাসিনার আরও একাধিক উপদেষ্টাকে চিনি আমরা, তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, সম্ভবত বেসরকারিকরণ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। তারা সম্ভবত আওয়ামী লীগ সভাপতির উপদেষ্টা। জয়ও তেমন হতে পারেন। মন্ত্রিসভার একজন সদস্য যেহেতু প্রশ্নটি তুলেছেন, তাই এই প্রশ্নের উত্তর জানাটা জরুরি। আমরা চাই না কোনো বিভ্রান্তি তৈরি হোক, ঘোলা পানিতে কেউ মাছ শিকারের সুযোগ নিক।

লেখক: সাংবাদিক ও অ্যাসোসিয়েট হেড অব নিউজ, এটিএন নিউজ।

ইমেইল: Probhash2000@gmail.com

http://www.banglatribune.com/%E0%A6%9C%E0%A7%9F-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%9F%E0%A6%BE-%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%A4%E0%A6%A8-%E0%A6%95%E0%A6%A4/

'द न्यू यॉर्क टाइम्स'के कार्टून से भारत के प्रति अमेरिकी नजरिये का खुलासा गौरतलब है कि यह माफीनामा भारत सरकार, भारतीय जनता को संबोधित तो है ही नहीं।

$
0
0

'द न्यू यॉर्क टाइम्स'  के कार्टून से भारत के प्रति अमेरिकी नजरिये का खुलासा

गौरतलब है कियह माफीनामा भारत सरकार, भारतीय जनता को संबोधित तो है ही नहीं।


पलाश विश्वास

हंगामा है बरपा।आखिरकार एक माफीनामा अमेरिका से हासिल हो गया।हमारे संघी मित्र इस पर इतरा ही सकते हैं कि पाकिस्तान और चीन को सबक सिखाने की तर्ज पर उनकी सरकार ने अमेरिका को भी झुका दिया और कोई अचरज नहीं कि चालू विधानसभा चुनाव अभियान में इस माहन उपलब्धि का भी यथासंभव नकदीकरण हो जाये।


गौरतलब है कि अखबार के अनुसार कार्टूनिस्ट हेंग किम सांग ने अपने इस कार्टून के जरिए यह दिखाने की कोशिश की थी कि अंतरिक्ष में संभावनाएं तलाशना अब सिर्फ अमीर या पश्चिमी देशों का विशेषाधिकार नहीं है।


गौरतलब है किहेंग सिंगापुर के रहने वाले हैं ,विशुद्ध अमेरिकी नहीं और उनके बारे में मशहूर है कि अंतरराष्ट्रीय घटनाक्रमों पर अपनी राय व्यक्त करने के लिए वो अपने उत्तेजक तस्वीरों का इस्तेमाल करते हैं। इसके बाद अ़खबार ने उन पाठकों से माफी मांगी है जो कार्टून में इस्तेमाल की गई तस्वीरों से नाराज हैं।


गौरतलब है कियह माफीनामा भारत सरकार,भारतीय जनता को संबोधित तो है ही नहीं।

अपेन एशियाई कार्टूनिस्ट के कार्टून के लिए माफी न अमेरिकी की शर्म है न अमेरिकी अखबार की शर्म है और न इससे सर्वव्यापी अमेरिकी वर्चस्व को कोई आंच आने वाली है।


अंध राष्ट्रवादियों केलिए बहरहाल यह खुशी का मौका है।


भारत का सत्ता तबका भारत को अमेरिका बनाने के लिए बेहद जल्द बाजी से पिछले तेइस साल से आर्थिक सुधारों के मार्फत देश के अमेरिकीकरण को अंजाम दे रहा है।अमेरिकी नजरिये से उभरते हुए बाजार बतौर मुक्त बाजार बंदोबस्त में भारत अब भी वही सांपों और जादूगरों का देश है।


मोदी अपना माउस दिखाने के राकस्टार करतब से या वाशिंगटन पोस्ट में अमेरिकी राष्ट्रपति बाराक ओबामा के साथ अभूतपूर्व साझा संपादकीय लिखकर इस नजरिये को बदल पाये हैं,इस कार्टून प्रकरण से कमस कम ऐसा नहीं लगता।


वाशिंगटन पोस्ट का प्रतिद्वंदी अखबार 'द न्यू यॉर्क टाइम्स' की उस साझा संपादकीय पर तिलमिलाहट समझकर चाहे तो आप इस मामले को खारिज समझ सकते हैं।


मुद्दे की बात तो यह है कि भारत की संपूर्ण वित्तीय व्यवस्था,राजकाज और नागरिकों के निजी जीवन की गोपनीयता,निजता परइस वक्त अमेरिकी नियंत्रण है और निगरानी है.इसके सबूत असांज के खुलासे से बहुत पहले हो चुका है।पश्चिमी देशों की निगरानी के लिए अमेरिका को पछतावा जताना पड़ा,लेकिन भारत के साथ किये पर न अमेरिका को शर्म है और न भारत के सत्ता वर्ग को।बहरहाल एक नकचढ़े अमेरिकी अखबार में प्रकाशित कार्टून के लिए क्षमायाचना जले पर नमक के छिड़काव जैसा होने के बावजूद आयातित सुगंध जरुर है जो सड़ांध के अहसास को भी खत्म कर सकता है।


बहरहाल खबर यह है कि अमेरिका के सबसे प्रतिष्ठित समाचार पत्रों में गिने जाने वाले 'द न्यू यॉर्क टाइम्स' नेअपने उस कार्टूनके लिए माफी मांगीहै जिसमें कथित तौर पर भारतके मंगलयान अभियान का मजाक उड़ाया गया था। समाचार पत्र नेअपने फेसबुक वॉल परलिखा है कि बहुत सारे पाठकों ने'न्यू यॉर्क टाइम्सइंटरनैशनल' में छपे उस संपादकीय कार्टूनकी शिकायत की है जो भारतके अंतरिक्ष में सशक्त प्रयासों पर बनाया गया था।


हम तो लगातार लिखते रहे हैं कि कृत्तिम उपग्रह तंत्र से सूचना तकनीक जुड़ जाने से हम विश्वव्यापी सूचना विस्फोट के हिस्सेदारजरुर हो गये हैं,लेकिन भारत का यह अंतरिक्ष कार्यक्रम सीधे तौर पर व्हाइट हाउस, पेंटागन, नाटो और नासा के साथ नत्थी है।


इसी सिलसिले में सझें कि क्यों इस कार्टून में भारत के मंगलयान अभियान का मखौल उड़ाया गया ।


कुछ पाठकों द्वारा इसका विरोध किए जाने के बाद अ़खबार ने अपने फेसबुक वॉल पर लिखा है कि बहुत सारे पाठकों ने न्यूयॉर्क टाइम्स इंटरनेशनल में प्रकाशित उस संपादकीय कार्टून की शिकायत की है जो भारत के अंतरिक्ष में बढ़ते मजबूत कदमों पर आधारित था।



अखबार ने सफाई दी है कि कार्टूनिस्ट हेंग अपने कार्टून से किसी भी तरह से भारत, देश की सरकार या यहां के नागरिकों को खारिज नहीं करना चाहते थे। उल्लेखनीय है कि न्यूयॉर्वâ टाइम्स में एक कार्टून छपा था जिसमें दिखाया गया था कि मंगल पर पहले से ही पहुंच चुके एलीट स्पेस क्लब के लोग अ़खबार में भारत के पहले ही प्रयास में मंगल पर पहुंचने की अखबर पढ़ रहे हैं और भारत का प्रतिनिधि उनके कमरे के बाहर गाय के साथ खड़ा होकर दरवाजा खटखटा रहा है।


बल्कि मोदी महाशय के अमेरिका दौरे के दौरान मैंने अंगेजी में लिखा भी थाः

Mars mileage handed over!

Making up India with plastic surgery.Let Netanyahu come!

Palash Biswas


Unprecedented Modi in America!Let there be Modi in Israel and let Modi come India to make India a full fledged Gaza.Not the Hindutva forces,I am very very sorry to be a part of Indian media for four decades that I have to pronounce this that Anti muslim Indian media wants Netanyahu to readjust Indian demography for the Hindutva agenda and this anti Muslim, anti Adivasi,anti Dalit media makes a rocking rockster of a first time OBC prime minister of India.


I am just ashamed.


I am just ashamed that the fantastic achievement of our Indian scientists,the Mars mileage has been handed over to NASA,NATO and Pentagon.


I am ashamed as a citizen of free,democratic,sovereign people's republic India,that the nation,the national resources,the manpower on wholesale have been auctioned in America by an Indian Prime minister.


Unprecedented that a seniormost journalist was hackled as MODI in America was questioned.


Unprecedented that a larger section of Indian pro America pro Israel pro activist Hindutva corporate FDI fed media justifies the blatant brutal attack on the freedom of expression.


Unprecedented that Indian Prime minister is reduced to a rocking rockster.


Unprecedented that the Indian prime minister dismisses Indian law on a foreign soil and promises to change all.


Unprecedented that role of government is zeroed down to open all the doors and widows of foreign capital,foreign companies and foreign interests.


Unprecedented that American citizens get VISA at arrival,permanent VISA and every concession,an Indian citizen might never never imagine.Keeping in mind that Narendra Bhai Modi had been denied US VISA quite reluctantly until he managed the landslide mandate.


Unprecedented that the Indian Prime minister lost no opportunity to showcase global hindutva.


Unprecedented that an Indian prime minister had to cover himself with US diplomatic umbrella because of a summon issued against him by an American court in a case related to Gujarat genocide for which hitherto he had been denied US VISA.


গর্বে ভরে যায় মনপ্রাণ,তবু লজ্জায় ঢেকে যায় মুখ।


মার্কিন মুক্তবাজারে অভূতপূর্ব প্রধানমন্ত্রী ভারতের,যার বিরুদ্ধ বক্তৃতার আগে দাঙ্গার অভিযোগে সমন জারি করল মার্কিন আদালত।

এবং তিনি বললেন দেশের সব আইন খারাপ,সব আইন পালটে দেবেন,সার্বভৌম রাষ্ট্র ভারতেরপ্রধানমন্ত্রীর বিদেশে মাটিতে অভূতপূর্ব যুদ্ধঘোষণা ভারতীয় সংবিধানের বিরুদ্ধে।

গণসংহারের অভিযোগে অভিযুক্ত প্রধানমন্ত্রী বললেন মুক্তবাজার,পিপিপি মডেল এবং মার্কিন নাগরিকদের ভারতে  ঢালাও সুযোগ,সুবিধা ও ছাড়ের।

হরিকথা অনন্ত,আসুন আমরা পায়দল ফৌজ মহোত্সবে মাতি,অশ্বমেধে যারা মরার জন্যই জন্মজন্মান্তরের পাপে অভিশপ্ত,তারা মরুক আগে।


সাবধান যেহেতু  রীতিমত তালিম নিয়ে পুরোদম প্রস্তুতির ফসল হিন্দি ইংরেজি ও সংস্কৃততে তিনি খারিজ করলেন ভারতীয় সংবিধান,পেশ করলেন মুক্তবাজারি মনুস্মৃতি বিধান।


(मज़दूर बिगुल के सितम्‍बर 2014 अंक में प्रकाशित लेख। अंक की पीडीएफ फाइल डाउनलोड करने के लिए यहाँ क्लिक करें और अलग-अलग लेखों-खबरों आदि को पढ़ने के लिए उनके शीर्षक पर क्लिक करें)

Next: হটাত কর‍্যা ঘুর্নি ঝড় আসে মানষের মেলা ক্ষতি হছে বারে। আসিছে ঘুর্নি ঝড়,এপার ওপার অশনিসংকেত ফেরার হওয়ার আগে এক প্রভাবশালীকে বিশাল অঙ্কের টাকা দিয়ে গিয়েছিলেন সুদীপ্ত সেন কে যে কবে ঝড়ের কাছে রেখে গেছেন ঠিকানা অচিন পাখিরা ঘরে ফিরে গেছে। আমরা যারা বেঁচে আছি,নীরার হাত ধরে দিবাস্বপ্নের রসগোল্লা নিয়ে বিজয়া উত্সবে মহিসাসুর বধের বর্ণ বৈষম্যে খন্ড বিখন্ড দ্বীপ হয়ে বিচ্ছিন্ন উটপাখী। পলাশ বিশ্বাস
$
0
0

(मज़दूर बिगुल के सितम्‍बर 2014 अंक में प्रकाशित लेख। अंक की पीडीएफ फाइल डाउनलोड करने के लिए  यहाँ क्लिक करें और अलग-अलग लेखों-खबरों आदि को पढ़ने के लिए उनके शीर्षक पर क्लिक करें)

Thumbnail_Mazdoor Bigul_September 2014



मज़दूर बिगुल' के पाठकों से एक जरूरी अपील
प्रिय पाठको, 
बहुत से सदस्यों को 'मज़दूर बिगुल'नियमित भेजा जा रहा है, लेकिन काफी समय से हमें उनकी ओर से न कोई जवाब नहीं मिला और न ही बकाया राशि। आपको बताने की ज़रूरत नहीं कि मज़दूरों का यह अख़बार लगातार आर्थिक समस्या के बीच ही निकालना होता है और इसे जारी रखने के लिए हमें आपके सहयोग की ज़रूरत है। अगर आपको 'मज़दूर बिगुल'का प्रकाशन ज़रूरी लगता है और आप इसके अंक पाते रहना चाहते हैं तो हमारा अनुरोध है कि आप कृपया जल्द से जल्द अपनी सदस्यता राशि भेज दें। आप हमें मनीआर्डर भेज सकते हैं या सीधे बैंक खाते में जमा करा सकते हैं। बहुत सारे पाठकों को ये अखबार ईमेल से भी नियमित तौर पर मिलता है। ऐसे सभी संजीदा पाठकों से भी अनुरोध है कि वो बिगुल की सदस्‍यता ले लें व अपने आसपास रिश्‍तेदारों, दोस्‍तों आदि को भी दिलायें। मनीआर्डर के लिए पताः मज़दूर बिगुल, द्वारा जनचेतना, डी-68, निरालानगर, लखनऊ-226020 बैंक खाते का विवरणः Mazdoor Bigul खाता संख्याः 0762002109003787, IFSC: PUNB0076200 पंजाब नेशनल बैंक, निशातगंज शाखा, लखनऊ सदस्यताः (वार्षिक) 70 रुपये (डाकखर्च सहित) (आजीवन) 2000 रुपये मज़दूर बिगुल के बारे में किसी भी सूचना के लिए आप हमसे इन माध्यमों से सम्पर्क कर सकते हैं: फोनः 0522-2786782, 8853093555, 9936650658, ईमेलः bigulakhbar@gmail.comफेसबुकः www.facebook.com/MazdoorBigul

হটাত কর‍্যা ঘুর্নি ঝড় আসে মানষের মেলা ক্ষতি হছে বারে। আসিছে ঘুর্নি ঝড়,এপার ওপার অশনিসংকেত ফেরার হওয়ার আগে এক প্রভাবশালীকে বিশাল অঙ্কের টাকা দিয়ে গিয়েছিলেন সুদীপ্ত সেন কে যে কবে ঝড়ের কাছে রেখে গেছেন ঠিকানা অচিন পাখিরা ঘরে ফিরে গেছে। আমরা যারা বেঁচে আছি,নীরার হাত ধরে দিবাস্বপ্নের রসগোল্লা নিয়ে বিজয়া উত্সবে মহিসাসুর বধের বর্ণ বৈষম্যে খন্ড বিখন্ড দ্বীপ হয়ে বিচ্ছিন্ন উটপাখী। পলাশ বিশ্বাস

$
0
0

হটাত কর‍্যা ঘুর্নি ঝড় আসে মানষের মেলা ক্ষতি হছে বারে।

আসিছে ঘুর্নি ঝড়,এপার ওপার অশনিসংকেত

ফেরার হওয়ার আগে এক প্রভাবশালীকে বিশাল অঙ্কের টাকা দিয়ে গিয়েছিলেন সুদীপ্ত সেন


কে যে কবে ঝড়ের কাছে রেখে গেছেন ঠিকানা

অচিন পাখিরা ঘরে ফিরে গেছে।


আমরা যারা বেঁচে আছি,নীরার হাত ধরে দিবাস্বপ্নের রসগোল্লা নিয়ে বিজয়া উত্সবে মহিসাসুর বধের বর্ণ বৈষম্যে খন্ড বিখন্ড দ্বীপ হয়ে বিচ্ছিন্ন উটপাখী


পলাশ বিশ্বাস


আমি ঝড়ের কাছে রেখে গেলাম আমার ঠিকানা.

আমি কাঁদলাম বহু হাসলাম এই জীবন জোয়ারে ভাসলাম.

আমি বন্যার কাছে ঘূণীর কাছে রাখলাম নিশানা

ঝড়ের কাছে রেখে গেলাম আমার ঠিকানা.

কখন জানিনা সে তুমি আমার জীবনে এসে,

যেন সঘন শ্রাবনে প্লাবনে দুকূলে ভেসে,

শুধু হেসে ভালোবেসে.

যতো যতো নেশা যেন স্বপ্ন হলো সকলি নিমেষে ভগ্ন.

আমি দূর্বার স্রোতে ভাসলাম তরী অজানা নিশানায়,

আমি ঝড়ের কাছে রেখে গেলাম আমার ঠিকানা.

ওগো ঝড়া পাতা যদি আবার কখনো ডাকো,

সেই শ্যামল হারানো স্বপ্ন মনেতে রাখো,

যদি ডাকো যদি ডাকো.

আমি আবার কাঁদবো হাসবো এই জীবন জোয়ারে ভাসবো.

আমি বজ্রের কাছে মৃত্যুর মাঝে রেখে যাবো নিশানা.

আমি কাঁদলাম বহু হাসলাম এই জীবন জোয়ারে ভাসলাম.

আমি বন্যার কাছে ঘূণীর কাছে রাখলাম নিশানা

ঝড়ের কাছে রেখে গেলাম আমার ঠিকানা.


বিশ্বকবির কথায় সুরের বাঁধনে গণ নাট্যসঙ্ঘের,তেভাগা সময়ের  সলিল চৌধুরী

ঝড়ের কাছে রেখে গেছেন ঠিকানা,যিনি আবার সংগীতে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের মিশেল ঘটিয়েছেন। সে কারণেই তাঁর গান সাধারণ মানুষ গ্রহণ করেছে। আধুনিক বাংলা গানের নতুন ধরার প্রবর্তন হয়েছে তাঁরই হাতে।পার্টিবদ্ধ সংস্কৃতিতে চিত্রার্পিত যে সময়ে বসবাস আমাদের,সেই ছঠিকানার খোঁজে সাগর পাড়ি দিয়ে সারদার টাকায় সিঙাপুরে গড়ে ওঠা হোটেলেই তাহলে উঠতে হয়।


ফেরার হওয়ার আগে এক প্রভাবশালীকে বিশাল অঙ্কের টাকা দিয়ে গিয়েছিলেন সুদীপ্ত সেন

দেওয়ালি ধমাকা জি বাংলা নিউজে: ফেরার হওয়ার দিন কয়েক আগে রাজ্যের এক প্রভাবশালী ব্যক্তিকে বিশাল অঙ্কের নগদ টাকা দিয়ে গিয়েছিলেন সুদীপ্ত সেন। তাঁর অনুপস্থিতিতেও যাতে মিডিয়ার ব্যবসা চলে, সে জন্যই ওই ব্যক্তিকে বিশাল অঙ্কের টাকা দেন সুদীপ্ত। সাক্ষী এবং অভিযুক্তদের জেরা করে এমনই কিছু চাঞ্চল্যকর অভিযোগ পেয়েছেন সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা। সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা অভিযোগ পেয়েছেন, সেই টাকা লেনদেন হয় ২০১৩ সালের এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহে।

যদিও সুদীপ্ত সেন পালিয়ে যাওয়ার পর কলম পত্রিকা ছাড়া তাঁর মালিকানাধীন বাকি প্রায় সমস্ত সংবাদমাধ্যমই অর্থের অভাবে বন্ধ হয়ে যায়। তাহলে কোথায় গেল এই বিশাল অঙ্কের টাকা? অভিযোগ উঠেছে, ওই প্রভাবশালী ব্যক্তি সমস্ত টাকাই আত্মসাত্ করেছেন। অভিযুক্ত এবং সাক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এই অভিযোগের বাস্তবভিত্তি নিয়ে কিছু সূত্রও পেয়েছে সিবিআই। তদন্তকারী অফিসারদের সন্দেহ, এই টাকা বেনামে বিদেশে লগ্নিও হতে পারে।

এই অভিযোগের আদৌ কতটা সত্যতা আছে, তা খতিয়ে দেখতে প্রয়োজনীয় তথ্য প্রমাণ জোগারে ব্যস্ত গোয়েন্দারা। সিবিআইকে দেওয়া বয়ানে, ৫ এপ্রিল নিজাম প্যালেসে রজত মজুমদার, সোমনাথ দত্তের উপস্থিতিতে সুদীপ্ত সেনের যে গোপন বৈঠকের কথা প্রকাশ্যে এনেছেন অরবিন্দ সিং চহ্বান, এই টাকা লেনদেনের সঙ্গে তারও একটি যোগ আছে বলে জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা।



যত কান্ড সেই খাগড়াগড়ে, যা এপার ওপার এক করে দিচ্ছে প্রবল ভাবে।ক্ষমতার খূটি ধরে দিচ্ছে টান,রাজা রাণি যে হতেছে খান খান। হাসিনা ওয়াজেদের তখতা পালডের ষঢ়যন্ত্রের সূত্র যেমন আসছে হাতে,এপার বাংলায় ক্ষমতার রাজনীতির অন্ধ সর্বনাশা খেলা ততই খুলছে ভালো।শুধু নেই গো আলো।না জানি কোথা লুকিয়ে রন্জন,নন্দিনীর চিত্কারে কারো ঘুম ভাঙ্গছে না যে আজ।এ কি নিবিড় অন্ধকার ,অন্ধাকারের রাজত্বে বসবাস এই প্রজন্মের!


ঘোড়ার মুখে টাটকা খবরঃএনআইএকে সাহায্য করুক রাজ্য। এবারে এই মর্মে নবান্নে চিঠি পাঠাচ্ছে কেন্দ্র। এর আগে রাজ্যের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে রিপোর্ট দিয়েছিল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই এবারে রাজ্যের কাছে সহযোগিতার আবেদন জানাচ্ছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। তবে রাজ্য না চাওয়ায় এখনই তদন্তভার নিজেদের হাতে নিতে পারছে না এনআইএ।

বর্ধমানকাণ্ডে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে দেওয়া রিপোর্টে রাজ্য পুলিসের বিরুদ্ধে  অসহযোগিতার অভিযোগ তুলেছিল এনআইএ। রিপোর্টে বলা হয়েছিল, তদন্তের স্বার্থে রাজ্য পুলিস যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ দিয়ে এনআইএ-কে সাহায্য করেনি। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব। রাজ্য সরকার অসহযোগিতার অভিযোগ মানতে না চাইলেও এনআইএর রিপোর্টের ভিত্তিতেই এবারে নড়ে চড়ে বসেছে কেন্দ্র। এবারে তাই এনআইকে সবরকম সাহায্য করতে বলে রাজ্যকে চিঠি দিচ্ছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।

এদিকে বিস্ফোরণ কাণ্ডে এপর্যন্ত মোট চারজনকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। সোমবারই ধৃত হাসেম মোল্লার বারোদিনের সিআইডি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

বিস্ফোরণস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া একটি চিরকুট থেকে মুর্শিদাবাদের বেলডাঙার বরুয়ামোড়ে একটি  কাপড়ের দোকানের হদিশ পান গোয়েন্দারা। জানা গিয়েছে দোকানটি বিস্ফোরণে নিহত বাংলাদেশের বাসিন্দা শাকিল গাজি ওরফে শাকিল আহমেদের। সেই দোকানে অভিযান চালিয়ে উদ্ধার হয়েছে জেহাদি নথি ও পুস্তিকা। অভিযান চলেছে বীরভূম, নদীয়ার বেশ কয়েকটি জায়গাতেও।

বর্ধমানকাণ্ডের জেরে এরাজ্যের সীমান্ত সিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। ঘটনার তদন্ত নিয়ে সোমবার ডিআইজি সিআইডি দময়ন্তী সেনের সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্য পুলিসের ডিজি। বিস্ফোরণের পর নড়েচড়ে বসেছে রেল  প্রশাসনও।বিভিন্ন ট্রেন ও রেলস্টেশনে নিরাপত্তা জোরদার করতে ডিআরএমদের নির্দেশ দিয়েছেন পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার।


সিবিআই জাল গুটিয়ে আসছে এবং আমরা সক্কলে ইডলি দোসার দেশের কাছাকাছি হলাম এবার বোধ হয়।দিদির সবুজ কেল্লা এখন যে হানাবাড়ি হানাবাড়ি গন্ধে মম।ভূতের ভবিষত্ নূতন করে দেখা আবার।অশবীবীদের দৌরাত্বে উথাল পাথাল বঙ্গ আজ বাস্তবিকই ঝঢ়ে মুখে।অপ্রত্যাশিত যদি কিছু ঘটে যায়,সততার মুখে ছাই দিয়ে যদি জ্বলে ওঠে আগুন,সেই আঘুনে বাঁচবে কারা ,মরবে কারা,অতিশয় সংশয়।প্রাণ সংশয় বটে।ইজ্জত তা কোনো বাঙালির আজ আর হাটে বিকোবার মত জমা পুঁজি নেই।সবজান্তা প্যানেল সর্বস্ব প্যানপ্যানানি সর্বস্ব বাঙালির সীমানার বেড়া ডিঙিয়ে বড়ই দুর্দিন আজ।

তথ্যসূত্র আনন্দবাজারঃজন্মসূত্রে কলকাতার বাসিন্দা, বর্তমানে সিঙ্গাপুরের এক নাগরিকের মাধ্যমে সারদার টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে বলে দাবি করছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রের খবর, প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে তাঁরা এমন তথ্যই পেয়েছেন। সূত্রটির দাবি, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে যে বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের খোঁজে সিবিআই তদন্ত করছে, এটা তারই অংশ। এ ব্যাপারে ইন্টারপোলের সাহায্য নেওয়ার কথাও ভাবছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাটি।


ভারতের পশ্চিমবঙ্গে এবার সারদা কেলেঙ্কারি নিয়ে সিবিআইয়ের জেরার মুখে বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী  শুভাপ্রসন্ন। আগামী ৯ অক্টোবর তাঁকে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই দফতরে উপস্থিত হতে বলা হয়েছে।

তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, শুভাপ্রসন্ন বাবু একসময় 'এখন সময়'নামে একটি চ্যানেল সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেনের কাছে বিক্রি করেছিলেন বলে জানতে পেরেছেন। সেই চুক্তির বিষয়েই তাঁর সাথে কথা বলতে চান সিবিআই আধিকারিকরা। যদিও এই বিষয়ে শুভাপ্রসন্ন বাবু সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে  কোনো কথা  বলতে চান না বলে শিল্পীর ঘনিষ্ঠ মহল থেকে জানানো হয়েছে।

এদিকে রাজ্যের বস্ত্রমন্ত্রী শ্যামাপদ মুখোপাধ্যায়কেও ডেকে পাঠিয়েছে সিবিআই। আগামী সপ্তাহেই তাঁকে সিবিআই দফতরে হাজির হতে বলা হয়েছে।

জানা গেছে, সুদীপ্ত সেনের কাছে সিমেন্ট কারখানা বিক্রি করার জন্য বাঁকুড়ার বিধায়ক ও পশ্চিমবঙ্গের বস্ত্রমন্ত্রী শ্যামাপদ মুখোপাধ্যায়কে ডেকে পাঠিয়েছে সিবিআই। সুদীপ্ত বাবুর সাথে বস্ত্রমন্ত্রীর চুক্তি নিয়ে কথা বলবেন তারা।

এদিকে সারদা কেলেঙ্কারির শিকড় খুঁজতে এবার দেশ ছেড়ে বিদেশেও পা বাড়ালেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। সিঙ্গাপুরে এক শীর্ষ তৃণমূল নেতার ব্যবসা সংক্রান্ত বিষয়ের খোঁজ পেতে এবং সেখানকার একটি ট্রাস্টে সারদার  তাকা সরানোর খবর পেয়ে সিবিআই অফিসাররা মোট ৭ টি জায়গায় খোঁজখবর চালান। তবে সেখানে গিয়ে তারা কোনো সূত্র পেয়েছেন কি না সে বিষয়ে কিছুই জানানো হয়নি।

গত ২৮ সেপ্টেম্বর সিবিআই অফিসাররা সেখানে গিয়ে ১ অক্টোবর ফিরে আসেন। সিবিআই সূত্রের খবর সারদা কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চলতি অক্টোবর মাসের শেষের দিকে প্রথম দফার চার্জশীট দেয়া হবে। এজন্য আগামী কয়েকদিনে বেশ কয়েকজন প্রভাবশালীকে জেরা করার জন্য প্রস্তুতি শুরু করেছেন তদন্তকারী অফিসারেরা।#



ঠারেঠোরে বলেছেন আগে। দাবি করেছিলেন, সারদার টাকা নেননি এমন নেতা বা নেত্রী খুঁজে পাওয়া যাবে না। একাধিক বার তাঁর মুখে শোনা গিয়েছে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক মুকুল রায় এবং তাঁর বিধায়ক-পুত্র শুভ্রাংশু রায়ের নামও। এ বার কিন্তু প্রাক্তন তৃণমূল নেতা আসিফ খানের নিশানায় সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীই। সোমবার এবিপি-আনন্দের অনুষ্ঠানে প্রকাশ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিঁধেছেন আসিফ। বলেছেন, "কেউ যদি বলেন যে, পয়লা বৈশাখের আগে কিছু জানতেন না তা হলে বাংলায় তাঁর চেয়ে বড় মিথ্যেবাদী আর নেই।"


২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের খরচ বাবদ সারদাগোষ্ঠীর কাছ থেকে ১৩০ কোটি টাকা নিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। সারদাগোষ্ঠীর মালিক সুদীপ্ত সেনের কাছ থেকে নেয়া টাকা নিয়ে ওই নির্বাচনী বৈতরণী পার হয় মমতা ব্যানার্জির দল। ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (সিবিআই) এ তথ্য পেয়েছে। সিবিআই গোয়েন্দাদের উদ্ধৃত করে সিপিএমের মুখপত্র 'গণশক্তি' পত্রিকায় এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়েছে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সল্টলেকে সারদাগোষ্ঠীর কার্যালয় 'মিডল্যান্ড পার্ক' থেকে ১৩০ কোটি পেঁৗছে গিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে। লেনদেনে মুখ্য ভূমিকা নিয়েছিলেন মমতার দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায় ও সদ্য গ্রেপ্তার হওয়া সাবেক আইপিএস রজত মজুমদার। এই ১৩০ কোটি টাকা থেকে ৩৪ কোটি বিলানো হয় তৃণমূল কংগ্রেসের ২২৬ প্রার্থীর মধ্যে। ভোটের খরচ জোগাতে এই প্রার্থীরা পান ১৫ লাখ টাকা। আরো ৪১ কোটি টাকা অন্যান্য খাতে খরচ করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, হেলিকপ্টারে করে মমতা ব্যানার্জি যে নির্বাচনী প্রচারে যেতেন, তার খরচও জোগানো হয়েছিল সারদার টাকা থেকে। নির্বাচনী খরচের পর বাকি টাকার কোনো হদিস পাওয়া যায়নি। বাকি টাকার একটা বড় অংশ কোথায় গেল, তা কেউ জানেন না। কারাগারে আটক এমপি (তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত) কুণাল সেন সিআইবিকে চিঠি লিখে সারদার কাছ থেকে তৃণমূলের টাকা নেয়ার তথ্য জানিয়েছিলেন। এ তথ্যের সূত্রে তদন্ত শুরু করে সিবিআই। অবশেষে এর সত্যতা মিলেছে। কুণালের দাবি, বাকি টাকা কোথায় গেল তা জানেন মুকুল রায় ও রজত মজুমদার। খানিকটা জানেন আসিফ খান। বলা হচ্ছে, মুকুল রায় নাকি আশ্বাস দিয়েছিলেন, ওই টাকা পেলে নির্ভয়ে ব্যবসা চালাতে পারবে সারদা। শাসক দল বা রাজ্য সরকার এতে নাক গলাবে না। বিরোধী দলের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি টাকা নেয়ার কথা সবই জানতেন। অথচ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি সম্প্রতি বলেছিলেন, দু-চারটি অনুষ্ঠানের মঞ্চে দেখা হওয়া ছাড়া তার সঙ্গে সারদা কর্ণধার সুদীপ্ত সেনের কোনো যোগাযোগ কোনোদিনই ছিল না


আজকালের প্রতিবেদন: সারদার লুকনো টাকা, সম্পদের হদিশ পেতে আরও ৩০ জনকে জেরা করবে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট৷‌ সেই সব তথ্য যাচাই করতে এর পর সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন এবং ধৃত তৃণমূল সাংসদ কুণাল ঘোষকে জেরা করা হতে পারে৷‌ এদিকে সারদার বিষয় নিয়ে বিষ্ণুপুর কেন্দ্রের সি পি এম-এর বহিষ্কৃত প্রাক্তন বিধায়ক আনন্দ বিশ্বাসের সঙ্গে ফের কথা বললেন বিধাননগর কমিশনারেটের আধিকারিকরা৷‌ প্রায় ঘণ্টা খানেক তাঁর সঙ্গে কথা বলা হয়৷‌ ই ডি সূত্রে খবর, এখনও পর্যম্ত সারদার ৩৯০টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ পাওয়া গেছে৷‌ সেই অ্যাকাউন্টগুলি থেকে কার কাছে, কবে, কোথায় টাকা গেছে জানতে প্রতিটি ট্রানজাকশন খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷‌ এখনও পর্যম্ত সারদা-কাণ্ডের সঙ্গে সম্পর্কিত বা তথ্য পাওয়া যেতে পারে এমন ৭০ জনের সঙ্গে কথা বলেছে ই ডি৷‌ বেশ কিছু তথ্য পাওয়া গেছে৷‌ বিশদ জানতে আরও অম্তত ৩০ জনের সঙ্গে কথা বলা হবে৷‌ সুদীপ্ত সেনের দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী পিয়ালি এবং ছেলে শুভজিৎকে জেরা করে নতুন কিছু তথ্য পাওয়া গেছে৷‌ এগুলি যাচাই করে তারপর ই ডি-র গোয়েন্দারা বসবেন সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেনকে নিয়ে৷‌ প্রয়োজনে তাঁকে হেফাজতেও নেওয়া হতে পারে৷‌ জেরা করা হতে পারে কুণাল ঘোষকেও৷‌ ই ডি সূত্রে খবর, শুভজিতকে জেরা করে জানা গেছে, দেশের বিভিন্ন প্রাম্তের বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীর কাছে সারদার টাকা সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল৷‌ এ রাজ্যের পাশাপাশি ভিন রাজ্যের কয়েকজন ব্যবসায়ীর কাছে রয়েছে সেই টাকা৷‌ তাঁদের বলা হয়েছিল তাঁরা সেই টাকা তাঁদের ব্যবসায় খাটাতে পারেন৷‌ প্রয়োজনে আবার সেই টাকা চেয়ে নেওয়া হবে৷‌ যদিও কাকে কাকে সেই টাকা দেওয়া হয়েছিল, তা বলেননি শুভজিৎ৷‌ ই ডি-র গোয়েন্দারা জানার চেষ্টা করছে কারা সেই ব্যবসায়ী৷‌ জানা গেছে, কাগজ-কলমে চুক্তি করে নয়, মৌখিক কথার ভিত্তিতে সেই টাকা দেওয়া হয়েছিল৷‌ জানার চেষ্টা চলছে কাদের মাধ্যমে হুন্ডিতে সারদার টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে৷‌ এদিকে বাগডোগরা থানায় থাকাকালীন গত ৩ মার্চ তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়কে চিঠি দিয়েছিলেন কুণাল ঘোষ৷‌ বিভাগীয় ও পুলিসি হয়রানি নিয়ে দলীয় হস্তক্ষেপের দাবি করেছিলেন৷‌ কেন এই চিঠি দেওয়া হয়েছিল, তা খতিয়ে দেখছে ই ডি.

অচিন পাখিরা ঘরে ফিরে গেছে।


আমরা যারা বেঁচে আছি,নীরার হাত ধরে দিবাস্বপ্নের রসগোল্লা নিয়ে বিজয়া উত্সবে মহিসাসুর বধের বর্ণ বৈষম্যে খন্ড বিখন্ড দ্বীপ হয়ে বিচ্ছিন্ন উটপাখী


পাশে আছি যাদবপুর।

প্রশ্ন হল এই নিরন্কুশ রাষ্ট্রব্যবস্থায় প্রতিরোধ এই অরাজনেতিক আন্দোলন টিকবে কতদিন।সেই ভিসি ত পিসির কল্যাণে অস্থায়ীত্ব থেকে প্রোমোটেড স্থায়ী।অন্য দিকে প্রবল ঘুর্ণ ঝড়।ভয়ন্কর পদ্ম প্রলয়।


জি বাংলা নিউজের প্রতিবেদনঃপ্রবল আন্দোলন। ছাত্র, অধ্যাপক, সমাজের সাধারণ মানুষ থেকে বুদ্ধিজীবী- প্রত্যেকেই সামিল  হয়েছিলেন সেই আন্দোলনে। দাবি একটাই পদত্যাগ করতে হবে উপাচার্য অভিজিত চক্রবর্তীকে।  কিন্তু  যাদবপুরের স্থায়ী উপাচার্য হিসেবে রাজ্যপাল বেছে নিলেন সেই অভিজিত চক্রবর্তীকেই।  কিন্তু কেন ?যাদবপুর কান্ডের গোড়া থেকেই  রাজ্য সরকার উপাচার্যের পাশে  দাঁড়িয়েছিল।  বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশ ডাকা থেকে শুরু করে  ছাত্রদের সঙ্গে পুলিশের আচরণ সব কিছুতেই খোদ শিক্ষামন্ত্রী বারেবারেই  উপাচার্যের হয়ে মুখ খুলেছেন । উপাচার্য বলেছিলেন পুলিশ না ডাকলে তিনি সেদিন রাতে খুন হয়ে যেতেন।

অভিজিত চক্রবর্তী শিক্ষা দফতরকে বুঝিয়েছিলেন, সেদিন রাতে পুলিশ না ডাকলে মারাত্মক ঘটনা ঘটে যেত। কারণ নকশালরাই নাকি গোটা ঘটনা পরিচালনা করেছে। এমনকি  উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে যে আন্দোলন হয়েছে তার পিছনে রয়েছে মাওবাদীদের প্রত্যক্ষ মদত। মুখ্যমন্ত্রীকে এইসব বক্তব্য বোঝাতে সক্ষম হয়েছিলেন  অভিজিত চক্রবর্তী।  যাদবপুরে বর্তমানে নানা দুষ্কর্ম করা হয় বলেও জানানো হয়েছে।  একই জিনিস বারেবারে রাজ্যপালকেও বোঝানো হয়েছে।  একটি অসম্পাদিত ভিডিও ফুটেজ মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপালকে পাঠানো হয়। ওই ফুটেজ দেখেই নাকি মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপাল মনে করেছেন অভিজিত চক্রবর্তী কোনও ভুল করেননি। উঠে আসছে  অন্য  তথ্যও। অভিজিত্ চক্রবর্তী এই মুহুর্তে শাসকদলের খাস লোক। বি এড কলেজ কেলেঙ্কারিতে তাঁর তৈরি রিপোর্টে মুখ রক্ষা হয়েছিল তৃণমূলের। বিভিন্ন সময়ে তৃণমূলের প্রতি তিনি নানাভাবে আনুগত্যও দেখিয়েছেন। অনেকেই মনে করছেন সেই রাজনৈতিক আনুগত্যেরই পুরস্কার হিসেবে এবার গোটা শাসক দল দাঁড়াল অভিজিত চক্রবর্তীর পাশে।  


আরো ভয়।


পুলিশি অভিযানের ভয়ে অশ্রুসিক্ত চোখে হংকংয়ের মং কক এলাকা ছাড়তে শুরু করেছেন গণতন্ত্রপন্থি আন্দোলনকর্মীরা।






হংকংয়ের প্রধান নির্বাহী লেয়ুঙ চুং-ইং এর কার্যালয়ের বাইরে অবস্থান করা বিক্ষোভকারীরাও ধীরে ধীরে চলে যেতে শুরু করেছেন। বিক্ষোভকারীদের ঠেকাতে পুলিশ যে ব্যারিকেড দিয়েছিল সেগুলোও তুলে নেয়া হচ্ছে।

ধারণা করা হচ্ছে, সরকারি কার্যালয়গুলো দখলমুক্ত করতে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পুলিশি অভিযান শুরু করার নির্দেশ দিতে পারে হংকংয়ের প্রশাসন।

১৬ বছর বয়সী ছাত্রনেতা ট্যাং সিন-টুং বলেন, "আমরা চাই সবাই চলে যাক। কারণ আমরা আর কোনো রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ দেখতে চাই না। যদি সরকার আমাদের প্রস্তাবে (সরাসরি আলোচনার প্রস্তাব) সাড়া না দেয় তবে আমরা আবার ফিরে আসবো।"

সিন-টুং এর দাবি গণতন্ত্রপন্থি কয়েকজন নারী আন্দোলনকর্মী আন্দোলন চলার সময় বিরোধীদের হাতে হেনস্তা ও যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।

চলে যাওয়ার সময় বিক্ষোভকারীরা 'আমরা ফিরে আসবো এবং শেষ পর্যন্ত লড়ে যাব'বলে স্লোগান দিচ্ছিলেন।

যেসব বিক্ষোভকারী তখনও অবস্থান করছিল তারা 'মং কক মং কক কখনও পিছিয়ে যাবে না'বলে চিৎকার করছিলেন।

যাদবপুরের স্হায়ী উপাচার্য হচ্ছেন অভিজিৎই

আজকালের প্রতিবেদন: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে স্হায়ী উপাচার্য হচ্ছেন অভিজিৎ চক্রবর্তীই৷‌ এতদিন পর্যম্ত তিনি অস্হায়ী উপাচার্যের দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন৷‌ এবার তাঁকে স্হায়ী করল রাজ্য সরকার৷‌ অভিজিৎবাবুর পদত্যাগের যে দাবি পড়ুয়ারা তুলেছিলেন, তা খরিজ করে দিল রাজ্য সরকার৷‌ ১৬ সেপ্টেম্বর, মঙ্গলবার আন্দোলনরত পড়ুয়াদের হাতে তাঁর প্রাণ সংশয় হতে পারে– এই দাবি করে মধ্য রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিস ডেকে ছিলেন অভিজিৎবাবু৷‌ ওই রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকে আলো নিভিয়েছাত্রছাত্রীদের মারধর করার অভিযোগ ওঠে পুলিসের বিরুদ্ধে৷‌ তাঁর পদত্যাগ ও অপসারণ চেয়ে পথে নামেন পড়ুয়ারা৷‌ মহামিছিল হয়৷‌ প্রতিবাদে সরব হন শিক্ষামহল৷‌ দেশ-বিদেশে প্রতিবাদে সেচ্চার হন প্রাক্তনীরাও৷‌ তাঁর পদত্যাগের দাবিতে শুধু পড়ুয়ারা নন, শিক্ষক সংগঠন জুটা, শিক্ষাকর্মী ও গবেষকদের একাধিক সংগঠনও একই দাবি তোলে৷‌ যদিও অভিজিৎবাবু পাশে এসে দাঁড়ান রাজ্য সরকার, শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জি ও পুলিস-প্রশাসন৷‌ আন্দোলনরত ছাত্ররা রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর সঙ্গে দেখা করেন৷‌ একাধিক বার শিক্ষামন্ত্রী ও পুলিস-প্রশাসনের শীর্ষকর্তারা রাজভবনে যান৷‌ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর প্রতিবাদে ওই আন্দোলন ও ঘেরাও শুরু হয়েছিল৷‌ এর পর রাজ্য সরকার শ্লীলতাহানির ঘটনা খতিয়ে দেখতে তদম্ত কমিটি গঠন করে৷‌ তদম্ত কমিটির রিপোর্টেও অভিজিৎবাবুকেই কাঠগড়ায় করা হয়েছে৷‌ অভিজিৎবাবু পদত্যাগের দাবিতে সি পি এম, কংগ্রেস, বি জে পি-ও সরব হয়৷‌ এতকিছুর পরও সেই অভিজিৎ চক্রবর্তীকেই স্হায়ী উপাচার্য করায় হতবাক সংশ্লিষ্ট মহল৷‌ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাংশের বক্তব্য, সেই রাতের ঘটনায় এখন কার্যত একঘরে অভিজিৎবাবু৷‌ তিনি স্হায়ী উপাচার্য হিসেবে কাজ করবেন কীভাবে, যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষিকা, গবেষকরাই বিমুখ! শিক্ষা দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, পুজোর ছুটির মধ্যেই রাজ্যপাল এই সংক্রাম্ত ফাইলে সই করেন৷‌ স্হায়ী উপাচার্যের প্যানেলে অভিজিৎবাবু ছাড়াও আই আই টি খড়গপুরের কম্পিউটার সায়েন্সের অধ্যাপক অনুপম বসু ও শিবপুর আই আই ই এস টি মেক্যানিকাল ইনজিনিয়ারিংয়ের অধ্যাপক সুজিত সাহার নাম ছিল৷‌ ২৫ অক্টোবর অস্হায়ী উপাচার্য হিসেবে কার্যকালের মেয়াদ শেষ হচ্ছে৷‌ এরপরই তিনি আগামী ৪ বছরের জন্য স্হায়ী উপাচার্যের দায়িত্ব নেবেন৷‌ পুজোর ছুটি মিটলে দপ্তর থেকে এই সংক্রাম্ত বিজ্ঞপ্তি জারি হবে৷‌ এদিকে, পুরুলিয়ার সিধো-কানহু-বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হলেন ড. দীপকরঞ্জন মণ্ডল৷‌ উনি ডি পি আই পদে ছিলেন৷‌

তথ্যসূত্রআজকালঃবুধবার, মহাসপ্তমীর দিন থেকে আচমকাই বন্ধ হয়ে গেল উত্তর হাওড়ার মালিপাঁচঘড়া এলাকার তিরুপতি জুট মিল৷‌ এর জেরে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মহীন হয়ে পড়েছেন সেখানকার প্রায় দেড় হাজার শ্রমিক৷‌ কাঁচামালের জোগানের অভাবে এই জুট মিলে ২৬ সেপ্টেম্বর থেকেই উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছিল৷‌ ফলে সেখানকার কয়েকটি বিভাগে শ্রমিকদের হাজিরা কার্যত বন্ধ হয়ে গিয়েছিল৷‌ এর জেরে শ্রমিকদের বেতন কাটা হতে পারে এই আশঙ্কায় সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর মিলের গেটে জমায়েত করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন এখানকার শ্রমিকেরা৷‌ এরপরেই ১ অক্টোবর, বুধবার থেকে শ্রমিক অসম্তোষের জেরে উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার কারণ উল্লেখ করে মিলের গেটে সাসপেনসন অফ ওয়ার্কের নোটিস ঝুলিয়ে দেন কর্তৃপক্ষ৷‌ ওই দিন সকালের শিফটের শ্রমিকেরা কাজে যোগ দিতে এসে কারখানা বন্ধের নোটিস দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়েন৷‌ এ ব্যাপারে আই এন টি ইউ সি-র হাওড়া জেলা সভাপতি রবীন মণ্ডল বলেন, কর্তৃপক্ষের কাছে অবিলম্বে ফের মিল চালুর দাবি জানানো হয়েছে৷‌ কিন্তু প্রশাসনের তরফে শ্রমিকদের পাশে এখনও কেউ দাঁড়াননি৷‌ এ বিষয়ে প্রশাসনিক হস্তক্ষেপেরও দাবি জানাচ্ছি৷‌

তথ্য সূত্র আনন্দ বাজার পত্রিকাঃবাংলাদেশি জঙ্গি সংগঠন জামাতুল মুজাহিদিন-বাংলাদেশের (জেএমবি) সঙ্গে হাত মিলিয়েই ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের (আইএম) একটি গোষ্ঠী বর্ধমানের খাগড়াগড়ে বোমা ও গোলাবারুদের গবেষণাগার তৈরি করেছিল বলে সন্দেহ গোয়েন্দাদের। বিস্ফোরণস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া একাধিক মোবাইল ফোন ও নথিপত্র ঘেঁটে এবং ধৃতদের জেরা করে এমনই ইঙ্গিত মিলেছে বলে তাঁদের দাবি। ওই গবেষণাগারে এত দিন তৈরি হওয়া বিস্ফোরক কোথায় গিয়েছে, সেটাই আপাতত গোয়েন্দাদের মূল মাথাব্যথা।

ভয়েরই কথাঃদেখলে মনে হবে তারা যেন আর দশটা গাঁয়ের সাধারণ মেয়ে-বৌয়েরই এক জন। কিন্তু, এতটাই শক্ত মন তাদের যে তাবড় পুলিশ ও গোয়েন্দাদের জেরার মুখে একবারের জন্যও কেঁপে উঠছে না ঠোঁট, চোখের পাতা। তদন্তকারীদের চোখে চোখ রেখে, চোয়াল শক্ত করে উত্তর দিচ্ছে তারা। অবশ্য সেই সব প্রশ্নেরই উত্তর পাওয়া যাচ্ছে, যেটা তারা দিতে চাইছে। না-পসন্দ প্রশ্ন শুনে এক দৃষ্টে চেয়ে থাকছে উল্টো দিকে বসা অফিসারের দিকে।


আরও ভয়ের কথাঃঅষ্টমীর মাঝদুপুরে বিকট আওয়াজে গোটা পাড়া যখন কেঁপে উঠেছে, অনেকে ভেবেছিলেন, বাড়িটাতে বুঝি গ্যাসের সিলিন্ডার ফেটেছে। কিন্তু, তার পরে বাড়ির ভিতরে সব অস্বাভাবিক রকমের চুপচাপ। এমনকী, শিশুদের কান্নারও কোনও আওয়াজ মেলেনি। কিছু ক্ষণ পরে বাড়ির নীচে নর্দমা দিয়ে রক্ত আর জল বয়ে যেতে দেখে সন্দেহ হয়েছিল বাসিন্দাদের। নীচের গেটে তালা লাগানো থাকায় তাঁরা চিৎকার করেন। দুই মহিলা দোতলা থেকে চিৎকার করে তাঁদের চলে যেতে বলেন।


এক সময় সাত চড়ে রা না কাড়া মেয়ে নাকি অস্ত্র তাক করেছিল পুলিশের দিকে আগের রাজিয়া বিবির সঙ্গে খাগড়াগড় বিস্ফোরণ কাণ্ডে অভিযুক্ত মহিলাকে এখনও মেলাতে পারছে না নদিয়ার বারবাকপুর। একই দশা মুর্শিদাবাদের তালগড়িয়া গ্রামেরও। রাজিয়ার মতো একই ধরনের অভিযোগে ধরা হয়েছে সে গ্রামের মেয়ে আলিমা বিবিকে। কিন্তু শান্ত, সাধারণ বলেই আলিমাকে মনে রেখেছেন তার বাপের বাড়ির এলাকার লোকজন।


পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানের একটি বাড়িতে বিস্ফোরিত বোমা বাংলাদেশে হামলার জন্য তৈরি করা হচ্ছিল বলে জানিয়েছে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তারা।






নিহতদের জঙ্গি সম্পৃক্ততাসহ বিস্ফোরণের বিষয়টি নিয়ে এর মধ্যেই নয়াদিল্লি ঢাকাকে সতর্ক করেছে বলে ভারতের গণমাধ্যমের খবর।

টেলিগ্রাফের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বর্ধমানের যে বাড়িতে বোমা বানানোর সময় বিস্ফোরণ হয় সেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের একটি কার্যালয় ছিল।

গত ২ অক্টোবর ওই বাড়িতে বোমা বানানোর সময় বিস্ফোরণে নিহত হন শামীম ওরফে শাকিল আহমেদ ও স্বপন ওরফে সুবহান মণ্ডল, যারা বাংলাদেশে নিষিদ্ধ সংগঠন জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) একটি শাখার সদস্য বলে জানিয়েছেন ভারতীয় কর্মকর্তারা।

ভারতীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়, বিস্ফোরণের পর গ্রেপ্তার দুই নারীর একজন নিরাপত্তা বাহিনীকে জানিয়েছেন, তারা গত তিন মাসে চার দফায় 'কাউসার'ও 'রাসিক'নামে দুই বাহকের মাধ্যমে বাংলাদেশে বোমা পাঠিয়েছেন। ওই দিনও তারা বাংলাদেশে পাঠানোর জন্যই বোমা বানাচ্ছিলেন।

হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, এ বিষয়ে ভারতীয় শীর্ষ গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) ও ডিজিএফআইকে অবহিত করেছেন।

ভারতীয় নিরাপত্তা সংস্থার কর্মকর্তারা জানান, বোমা বানানোর সঙ্গে জড়িত আব্দুল হাকিম নামে ওই ঘটনায় গ্রেপ্তার আরো একজন বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকলেও জিজ্ঞাসাবাদে মুখ খোলেননি তিনি।

ভারতীয় গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, বর্ধমানে ওই বিস্ফোরণের পর গুরুতর আহত শামিম ওরফে শাকিল আহমেদ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান। আর হাসপাতালে নেওয়ার পর মৃত্যু হয় স্বপন ওরফে সুবহান মণ্ডলের। গুরুতর আহত আব্দুল হাকিম চিকিৎসাধীন।

আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, শাকিলের বাড়ি নদিয়ার করিমপুরের বারবাজপুরে, সুবহানের বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরে ও আব্দুলের বীরভূমের মহম্মদবাজারে।

ঘটনার দিনই শাকিলের স্ত্রী গুলশানা বিবি ওরফে রাজিয়া বিবি এবং হাকিমের স্ত্রী আমিনা বিবিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

আইএনএনএস জানিয়েছে, ২ অক্টোবর বিস্ফোরণের ঘটনার পর আটকের ওই দুই নারীকে রোববার গ্রেপ্তার দেখায় নিরাপত্তাবাহিনী।

বিস্ফোরণের দিনই পশ্চিমবঙ্গে জেএমবি সদস্যদের সম্ভাব্য অন্তত তিনটি 'ঘাটিতে'পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে অভিযান চালায় ভারতীয় নিরাপত্তা সংস্থার সদস্যরা।

এসময় তারা 'মুর্শিদাবাদ ভিত্তিক'এক ধর্মীয় 'গুরু'কেও খুঁজছিলেন বলে খবর প্রকাশিত হয়েছে।

হিন্দুস্তান টাইমস বলছে, 'বাংলাদেশে সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ডে যুক্ত'থাকা এই তিন জঙ্গির নাম ও পশ্চিমবঙ্গে তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিষয়টি সম্ভবত বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ভারত সরকারকে জানানো হয়েছে।

বিস্ফোরণে নিহত স্বপন মণ্ডলের স্ত্রী আকিনাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ।

বিস্ফোরণের ঘটনাস্থল ভবনের মালিক হাসান চৌধুরী এবং আমিনাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে তারা। আমিনার বাবা মুর্শিদাবাদের একটি গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে লড়েছেন। তাছাড়া ওই ভবনে তৃণমূল কংগ্রেসের একটি অফিসও রয়েছে।

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

এর আগে মমতা বন্দোপ্যাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে গত ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে সহিংসতা সৃষ্টিকারী জামায়াতের নেতাদের ভারতে আশ্রয় দেয়ার অভিযোগ উঠে।

এমনকি তৃণমূল থেকে নির্বাচিত এমপিদের বিরুদ্ধেও বাংলাদেশ থেকে পলাতক জামায়াত নেতা ও উগ্র ইসলামপন্থি নেতাদের সহযোগিতার অভিযোগ রয়েছে।

বিস্ফোরণস্থল থেকে ২৫টি গ্রেনেড,  ১০টি হাতবোমা এবং অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট, আইরন অক্সাইড, হাইড্রোজেন পার অক্সাইডসহ প্রচুর পরিমাণে বিস্ফোরক তৈরির উপাদান পাওয়া গেছে খবরে বলা হয়েছে।

জিজ্ঞাসাবাদে শাকিলের স্ত্রী জানিয়েছে, এসব উপাদানগুলো কোলকাতা থেকে আনা হয়েছে। বিস্ফোরণস্থল থেকে বোমার সঙ্গে সংযুক্ত করার জন্য ঘড়িও পাওয়া গেছে। পাওয়া গেছে একটি লেদ মেশিন যা পিস্তল তৈরির কাজে ব্যবহার করা হত।

নিরাপত্তাবাহিনী গত শনিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল গোস্বামীর সঙ্গে এক বৈঠকে এ বিষয়ে সমস্ত তথ্য সরবরাহ করেছে বলে হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে।  

ওই বৈঠকে ঘটনার তদন্তের ভার জাতীয় তদন্ত সংস্থার সন্ত্রাস বিরোধী দপ্তরের হাতে ন্যস্ত করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

কিন্তু মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের 'স্পর্শকাতরতা'এবং রাজ্য সরকারের ব্যাপারে কেন্দ্রের নাক না গলানোর বিষয়ে যে আইন রয়েছে তা বিবেচনা করেই পরামর্শটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে খবরে বলা হয়েছে।





আজকালের প্রতিবেদনঃসারদা-কাণ্ডের তদম্তে সিঙ্গাপুরে গিয়ে ৬টি ট্রাস্টের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সন্ধান পেল সি বি আই৷‌ সম্প্রতি সারদা-কাণ্ডের এক সাক্ষীকে নিয়ে সি বি আই-এর বিশেষ তদম্তকারী দল ২৮ সেপ্টেম্বর সিঙ্গাপুর যায়৷‌ সেখানে কলকাতারই এক প্রভাবশালীর কিছু সম্পত্তির সন্ধান পাওয়া গেছে, যা কেনা হয়েছে সারদার টাকায় বলে সন্দেহ কেন্দ্রীয় তদম্তকারী সংস্হার৷‌ যে ৬টি ট্রাস্টের সন্ধান পাওয়া গেছে, সেগুলিতে সুদীপ্ত সেনের টাকা রাখা হয়েছে৷‌ এই ঘটনার তদম্তে দীর্ঘদিন ধরেই এনফোর্সমেন্ট ডাইরে'রেট (ই ডি) টাকা পাচারের বিষয়ে নানা তথ্য পাচ্ছিল৷‌ সেই তদম্তে শেষ পর্যম্ত সিঙ্গাপুরের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলির সন্ধান মিলল৷‌ সি বি আই জানতে পেরেছে, কলকাতারই এক প্রভাবশালীরও টাকা রয়েছে একটি ট্রাস্টের অ্যাকাউন্টে৷‌ অন্য এক প্রভাবশালীর হোটেলও রয়েছে৷‌ এ ছাড়া সারদার বেশ কিছু সম্পত্তির কাগজপত্র উদ্ধার হয়েছে৷‌ সারদা-কাণ্ডের তদম্তে এবার বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী শুভাপ্রসন্নর সঙ্গে কথা বলবে সি বি আই৷‌ আগামী ৯ অক্টোবর৷‌ ওই দিনই বস্ত্রমন্ত্রী শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জিকে সিমেন্ট কারখানার জমিজমা সংক্রাম্ত কাগজপত্র জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সি বি আই৷‌ অন্য দিকে সিঙ্গাপুরে সারদা-কাণ্ডের তদম্তে যে দল গিয়েছিল, তারা সে দেশ থেকে বেশ কিছু তথ্য এনেছে৷‌ সারদা-কাণ্ডে সেগুলি বড় ধরনের সাহায্য করবে বলেই সি বি আই সূত্রের খবর৷‌ শিল্পী শুভাপ্রসন্ন একটি বাংলা সংবাদ চ্যানেল কয়েক কোটি টাকায় সারদা গোষ্ঠীকে বিক্রি করেছিলেন৷‌ চ্যানেলটি অনুমোদন করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের সঙ্গে সে সময় যোগাযোগ করা হয়েছিল৷‌ কয়েকজন প্রভাবশালীও ছিলেন, ওই চ্যানেলটি সারদার কাছে বিক্রির পেছনে৷‌ চ্যানেলটি অনুমোদন করানোর জন্য প্রায় সাড়ে ১১ লাখ টাকা খরচ হয়েছিল৷‌ সি বি আই জানতে চায় শুভাপ্রসন্ন চ্যানেলটি সারদা গোষ্ঠীর কাছে বিক্রি করলেন, কোন পরিস্হিতিতে৷‌ এবং কেনাবেচা সংক্রাম্ত সমস্ত কাগজপত্রও দেখবে সি বি আই৷‌ এদিকে আমানতকারীদের টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য সেবি একটি ই-অকশন চালু করার ভাবনা চিম্তা করছে৷‌ বাজেয়াপ্ত হওয়া জমি, বাড়িঘর ও সংস্হাগুলির বিস্তারিত জানিয়ে নিলামের জন্য তা নির্দিষ্ট সাইটে দিয়ে দেওয়া হবে৷‌ আগামী ৩০ অক্টোবর থেকে নিলামের বিষয়ে সাধারণ মানুষরা জানতে পারবেন৷‌ শুধু চিটফান্ডের বাজেয়াপ্ত হওয়া সম্পত্তিই নয়, এমন কয়েকটি সংস্হারও খোঁজ মিলেছে, যারা ঋণের টাকা শোধ করতে পারেনি৷‌ সেই সমস্ত কোম্পানির শেয়ার বিক্রি করে দেওয়া হবে৷‌ সেবি সেই সমস্ত সংস্হার সম্পত্তিই বাজেয়াপ্ত করবে, যে সমস্ত সংস্হা ১০০ কোটি টাকার বেশি বাজার থেকে তুলেছে৷‌ সি বি আই সূত্রের খবর অক্টোবর মাসের শেষ সপ্তাহে চার্জশিট দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে৷‌ প্রথম পর্যায়ে চার্জশিটে ৬ জনের নাম থাকছে বলে জানা গেছে৷‌ পরবর্তী সময়ে তদম্ত যেমন এগোবে, সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট দেওয়া হবে৷‌ অন্যদিকে সারদা-কাণ্ডে ধৃত সদানন্দ গগৈকে ২২ দিনের জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক৷‌



আজকালের প্রতিবেদনঃকালীঘাটে যাঁরাই তাঁর সঙ্গে বিজয়া সারতে এসেছেন, সেই সব নেতাকে মমতা স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন, সি পি এম, বি জে পি বাংলায় নতুনভাবে অশাম্তি করার চেষ্টা করছে৷‌ আপনারা যে যার নিজের এলাকায় থাকুন, কড়া নজর রাখুন৷‌ বর্ধমানের ঘটনা নিয়ে সি পি এম, বি জে পি গুজব ছড়াচ্ছে৷‌ কলকাতায় নেতাদের মমতা বলেছেন, আপনারা এলাকায় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবেন৷‌ জেলার নেতাদের বলেছেন, সামনের ২-৩ দিন বেশি করে নজর দিন৷‌ রবিবার মমতার বাড়িতে বিজয়া করতে এসেছিলেন পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখার্জি, সেচমন্ত্রী রাজীব ব্যানার্জি, মুখ্য সচেতক শোভনদেব চ্যাটার্জি, সাংসদ কল্যাণ ব্যানার্জি, অভিষেক ব্যানার্জি, তাপস রায়, নির্মল মাজি, সোনালি গুহ, ইন্দ্রনীল সেন, সস্ত্রীক মেয়র শোভন চ্যাটার্জি, দেবাশিস কুমার, অসীমা পাত্র, মিতালি ব্যানার্জি, রাজকিশোর গুপ্তা প্রমুখ৷‌ কল্যাণ, তাপস, সোনালি, অসীমা সকলকেই মমতা নিজেদের এলাকায় পাঠিয়ে দেন৷‌ নেতাদের এও বলেন মমতা, পুজো শাম্তিতে কেটেছে৷‌ বিসর্জন সুন্দরভাবে হচ্ছে৷‌ তাই এ-সব দেখে বি জে পি, সি পি এমের হিংসে হচ্ছে৷‌ বর্ধমানের ঘটনার এখনও কোনও তদম্তই হল না, তার আগে সি পি এম, বি জে পি সব জেনে গেল৷‌ অদ্ভুত ব্যাপার৷‌ নেতাদের মমতা বলেন, তোমাদের এ-সব নিয়ে চিম্তার কোনও কারণ নেই৷‌ এলাকার কর্মীরা যেন কোনও প্ররোচনায় পা না দেন৷‌ বিকেল থেকেই কালীঘাটে ভিড়৷‌ দূরের জেলা থেকে বহু মানুষ এসেছেন মমতার সঙ্গে বিজয়া করতে৷‌ মমতা সকলের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন৷‌ কালীঘাটের অফিসে মানিক মজুমদারের তত্ত্বাবধানে কর্মীরা সকলকে মিষ্টি বিতরণ করেন৷‌ মমতা বলেন, ভোর ৫টা অবধি জেগে ছিলাম৷‌ বিসর্জনের খবরাখবর নিতে হয়েছে আমাকে৷‌ আগে তো কেউই এই সব কাজ করেননি৷‌ তাই সি পি এম-বি জে পি নেতাদের আমার ওপর যত রাগ৷‌ বাংলাকে অশাম্ত করতে দেব না৷‌ আমি মনে করি, পুজো যেভাবে নির্বিঘ্নে কেটেছে, ঠিক একইভাবে শাম্তিপূর্ণ পরিবেশে ইদ ও লক্ষ্মীপুজো পালিত হবে৷‌ তা সত্ত্বেও সকলকে সতর্ক থাকতে হবে৷‌ সি পি এম-বি জে পি ধর্মের সুড়সুড়ি দিচ্ছে৷‌ সাধারণ মানুষকে বিব্রত করার চেষ্টা করছে৷‌ বাংলায় এ-সব চলবে না৷‌ অন্য দিকে এদিন তৃণমূল ভবনে বসে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায় বর্ধমানের ঘটনা সম্পর্কে বলেন, সি পি এম-বি জে পি বর্ধমানের ঘটনা নিয়ে মিথ্যে প্রচার শুরু করে দিয়েছে৷‌ সি পি এম নেতা বিমান বসু দায়িত্বজ্ঞানহীন মম্তব্য করছেন৷‌ সারা রাত জেগে যখন মমতা বাংলাকে ঠিক রাখার চেষ্টা করছেন, তখনই সি পি এম-বি জে পি সরকার ও তৃণমূলকে বিব্রত করছে৷‌ তৃণমূলকে হেয় করার জন্য এ ধরনের মম্তব্য করছে৷‌ এটা অনুচিত৷‌ তদম্ত ঠিক পথেই এগোছে৷‌ তৃণমূলের পার্টি অফিস রয়েছে বলে বিমানবাবু যে অভিযোগ করেছেন, সে সম্পর্কে মুকুল বলেন, কোথায় আমরা তো জানি না৷‌ ওখানে পার্টি অফিস রয়েছে কে লিখেছে৷‌ এই ঘটনার সঙ্গে সি পি এম, বি জে পি-র কোনও যোগ নেই তো?





আজকালের প্রতিবেদন: বর্ধমান বিস্ফোরণ-কাণ্ডে কলকাতায় ভবানীভবনে জরুরি বৈঠকে বসলেন রাজ্য পুলিসের ডিরেক্টর জেনারেল জি এম পি রেড্ডি-সহ পদস্হ কর্তারা৷‌ রবিবার৷‌ ছিলেন কলকাতা পুলিসের এস টি এফ এবং আই বি-র অফিসারেরা৷‌ দীর্ঘ বৈঠকের পর সাংবাদিক সম্মেলনে স্বরাষ্ট্র সচিব বাসুদেব ব্যানার্জি বলেন, 'কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে তদম্ত চালানো হচ্ছে৷‌ গঠন করা হয়েছে একটি টাস্ক ফোর্স৷‌ সি আই ডি, আই বি, জেলা পুলিস এবং কলকাতা পুলিস অফিসারেরা ওই দলে রয়েছেন৷‌ নেতৃত্বে রয়েছেন রাজ্য পুলিসের ডি জি এবং ডি আই জি, সি আই ডি৷‌ ঘটনাস্হল থেকে উদ্ধার হয়েছে ৫৫ ইম্প্রোভাইস ডিভাইস, গ্রেনেড ও বিভিন্ন ধরনের বিস্ফোরক৷‌ আর ডি এ'পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র সচিব৷‌ তিনি বলেন, সি আই ডি-র বোমা বিশেষ: দল উদ্ধার করেছে কেমিক্যাল, কয়েকটি মোবাইল এবং সিমকার্ড. ইন্টারনেট থেকে বোমা তৈরির কিছু নথিপত্র নিয়ে জোগাড় করেছিল অভিযুক্তেরা৷‌ যদিও তিনি আল-কায়দার যোগের সম্ভাবনা খারিজ করে বলেন, ঘটনাস্হল থেকে আল-কায়দার কোনও পোস্টার উদ্ধার হয়নি৷‌ এন আই এ-র সঙ্গে সবসময় যোগাযোগ রাখা হচ্ছে৷‌ তাদের সহযোগিতাও নেওয়া হচ্ছে৷‌ তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দিতে অস্বীকার করেন৷‌ বলেন, তদম্ত চলছে৷‌ বেশি কিছু বলা যাবে না৷‌ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে তদম্ত শুরু হয়েছে৷‌ এই ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছেন মৃত শাকিল আহমেদের স্ত্রী গুলসানা বিবি৷‌ আবদুল হাকিমের চিকিৎসা চলছে৷‌ তার স্ত্রী আমিনা বিবিকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷‌ ধৃত দু'জনের ৯ দিনের পুলিসি হেফাজত হয়েছে৷‌ মৃত্যু হয়েছে সোবান মণ্ডল নামে আরেক সন্দেহভাজনের৷‌ অভিযুক্তেরা মহম্মদ হাসান চৌধুরি নামে প্রাক্তন সরকারি কর্মীর বাড়িতে ভাড়া থাকতেন৷‌



ইছামতীতে মিলল না দুই বাংলা

বসিরহাটে বিসর্জনে উত্তেজনা, বিক্ষোভ, অবরোধ, নামল র্যাফ





আজকালের খবরঃবিবর্ণ বিজয়া টাকিতে, বিতর্ক বসিরহাটে৷‌ পাশাপাশি দুই সীমাম্ত শহরে বিসর্জনের উৎসব ডুবল হতাশা, উত্তেজনায়৷‌ টাকিতে ইছামতীর বুকে মিলল না দুই বাংলা৷‌ অন্য দিকে বসিরহাট শহরে রাস্তায় প্রতিমা নামিয়ে চলল অবরোধ-বিক্ষোভ-ঘেরাও৷‌ আটকানো হল ট্রেনও৷‌ প্রশাসনের ফতোয়ার বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করে বারোয়ারি পুজো উদ্যোক্তারা বসিরহাটকে কার্যত অচল করে দিলেন রবিবার৷‌ পুলিস প্রশাসনের ব্যর্থতাকে দায়ী করল বসিরহাটবাসী৷‌ বিজয়ার উৎসবে কালি ঢেলে দিল রাজনীতি৷‌ এবারে ক্লাব সমন্বয় কমিটির বৈঠকে বসিরহাটে বিসর্জনের দিন স্হির হয় শনিবার৷‌ বসিরহাটের বিজয়ার ঐতিহ্য হল ইছামতী নদীবক্ষে প্রতিমা নিয়ে নৌকা পরিক্রমা৷‌ তা দেখতে ঢল নামে বসিরহাটে৷‌ মেলা বসে যায়৷‌ কিন্তু শনিবার বিসর্জন করা হবে না বলে কিছু লোক বেঁকে বসে৷‌ জামরুলতলা ঘাটে পোস্টার পড়ে 'আজ বিজয়া হবে না'৷‌ পাশে বি জে পি-র পতাকা৷‌ নৌকা নিয়ে আসা মাঝিদের মারধর করে তাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে৷‌ পুলিস ২ জনকে আটক করে৷‌ এর পরই শনিবার কয়েক হাজার লোক বসিরহাট থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায়৷‌ বিক্ষোভকারীদের দাবি ছিল শনিবার কোনওমতে বিজয়া করা হবে না৷‌ রবিবার বিসর্জন হবে নদীতে৷‌ প্রশাসন কার্যত মেনে নেয় সেই দাবি৷‌ বসিরহাটের এস ডি পি ও-সহ পুলিস আধিকারিকরা জানিয়ে দেন, শনিবার প্রতিমা নিরঞ্জন করতে চাইলে বাধা দেওয়া যাবে না৷‌ পাশাপাশি রবিবার প্রতিমা বিসর্জনের দায়িত্ব ক্লাব কর্তৃপক্ষের৷‌ কিন্তু এদিন সকালে পুলিস জানিয়ে দেয় রবিবার কোনও প্রতিমা বিসর্জন করা যাবে না৷‌ মণ্ডপে মণ্ডপে পুলিস মোতায়েন করা হয়৷‌ মহিলাদের প্রতিমা বরণ করতে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ৷‌ এতে আগুনে ঘি পড়ে৷‌ বারোয়ারি পুজো উদ্যোক্তারা মণ্ডপ থেকে প্রতিমা বার করে রাস্তার ওপর দাঁড় করিয়ে দেয়৷‌ বরণডালা হাতে মহিলারা দাঁড়িয়ে যান রাস্তায়৷‌ টাকি রোড, ইটিন্ডা রোড, এস এন ব্যানার্জি রোড, মার্টিন বার্ন রোড অবরুদ্ধ হয় সকাল থেকে৷‌ র্যাফ, পুলিস, কমব্যাট বাহিনী টহল শুরু করে৷‌ তাতে নেতৃত্ব দেন অতিরিক্ত পুলিস সুপার ভাস্কর মুখার্জি, এস ডি পি ও অভিজিৎ ব্যানার্জি৷‌ এদিন 'বিসর্জন করতে দেওয়া হবে না'পুলিসের এই অনড় মনোভাবে ক্ষোভ বাড়তে থাকে৷‌ ভ্যাবলা, ধোপাপাড়ার কাছে রেল অবরোধ হয়৷‌ রেল লাইনের ওপর প্রতিমা দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়৷‌ এই ঘটনায় পুলিস দিশেহারা হয়ে শেষ পর্যম্ত পুজো উদ্যোক্তাদের দাবি মেনে ইছামতী নদীতে বিসর্জনের অনুমতি দেয়৷‌ তবে নৌকায় প্রতিমা তোলা হয়নি৷‌ অন্য দিকে টাকির বিজয়া ছিল ম্লান৷‌ চেষ্টা করেও দুই বাংলার মিলনোৎসবের ঐতিহ্য ধরে রাখা গেল না৷‌ টাকির ইছামতীতে বিজয়ার উৎসবে দুই বাংলা মিলে যায়৷‌ এই দৃশ্য দেখতে দূরদূরাম্ত থেকে মানুষ ছুটে আসেন টাকিতে৷‌ এপার বাংলা, ওপার বাংলা মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়৷‌ গত ২০১১-তে প্রশাসনের ঢিলেমিতে ব্যাপক অনুপ্রবেশ ঘটে৷‌ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান যাদবপুরের গবেষক সুজয় দাস-সহ ২ জন৷‌ তার পর রাশ টানে প্রশাসন৷‌ গরিমা হারায় টাকির বিজয়া৷‌ এবারে চেষ্টা হয়েছিল যাতে আবার নিরাপত্তা বেষ্টনীতে দুই বাংলা আবার নদীবক্ষে এক হয়৷‌ কিন্তু তা হল না৷‌


আজকালের প্রতিবেদন: বর্ধমানে বিস্ফোরণ-কাণ্ডে শাসকদল তৃণমূলের যোগ নিয়ে সরব বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি৷‌ বামফ্রন্টের অভিযোগ, বিস্ফোরণে তৃণমূল কংগ্রেসের নাম জড়িয়ে গেছে৷‌ যে বাড়িতে বিস্ফোরণ হয়েছিল, তার একতলায় স্হানীয় তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যালয় ছিল৷‌ বাড়ির মালিক-সহ স্হানীয় তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে দুষ্কৃতীদের যোগসাজশের ইঙ্গিত অত্যম্ত স্পষ্ট৷‌ বি জে পি অভিযোগ করেছে, তৃণমূল-শাসনে রাজ্য দেশবিরোধী শক্তি, জেহাদিদের স্বর্গ হয়ে উঠেছে৷‌ বামফ্রন্ট, বি জে পি দু'পক্ষই প্রশ্ন তুলেছে, জাতীয় নিরাপত্তা সংস্হাকে কেন দেরিতে খবর দেওয়া হয়েছে? তদম্তে কেন বাধা দেওয়া হয়েছে? বৃহস্পতিবার বর্ধমানের খাগড়াগড় গ্রামের এক বাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটে৷‌ সেখান থেকে উদ্ধার হয়েছে বেশ কিছু বিস্ফোরক৷‌ পাওয়া গেছে জঙ্গি সংগঠনের কাগজপত্রও৷‌ এই বাড়ির মালিক তৃণমূল নেতা বলে পরিচিত৷‌ সেই সূত্র ধরেই শাসক দলকে আক্রমণ করে বিরোধী বাম, বি জে পি৷‌ রবিবার বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু আশঙ্কা করেছেন, বর্ধমানের ঘটনা এ রাজ্যে আগামী দিনে আরও বড় বিপদের ইঙ্গিত বহন করছে৷‌ এদিন সি পি এম রাজ্য দপ্তরে বিমান বসু সাংবাদিক বৈঠকে অভিযোগ করেন, ওই বাড়ির একতলায় তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যালয় ছিল৷‌ বিস্ফোরণের পর তৃণমূল কংগ্রেসের সাইনবোর্ডটি দ্রুত সরিয়ে ফেলা হয়৷‌ এলাকার রিপোর্ট অনুযায়ী, বাড়ির মালিক-সহ স্হানীয় তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে দুষ্কৃতীদের যোগসাজশের ইঙ্গিত স্পষ্ট৷‌ জেলা পুলিস কোনও এক রহস্যজনক কারণে তদম্তের কাজে বাধা সৃষ্টি করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে৷‌ জাতীয় নিরাপত্তা সংস্হা তদম্ত করতে এলে তাদের কাজেও জেলা পুলিস বাধা দিয়েছে বলে অভিযোগ৷‌ শাসকদল তথা পুলিস-প্রশাসন কার স্বার্থে এই তদম্তে বাধা সৃষ্টি করছে, তা রাজ্যবাসীর কাছে পরিষ্কার হওয়া প্রয়োজন৷‌ তিনি বলেন, রাজ্য বামফ্রন্ট বারবার সতর্ক করেছে যে, সংখ্যাগুরু মৌলবাদী শক্তির উত্থান ঘটলে এবং তাদের তৎপরতা বৃদ্ধি হলে সংখ্যালঘু মৌলবাদী শক্তিও তৎপর হয়ে ওঠে৷‌ তাঁর অভিযোগ, রাজ্যে শাসকদলের চরম সুবিধাবাদী অবস্হানের জন্য উভয় মৌলবাদী শক্তিই তাদের স্বার্থসিদ্ধির অপচেষ্টায় রত৷‌ তিনি বলেন, প্রশাসনের কাছে আমাদের দাবি, এই ধরনের অপরাধীদের প্রকৃত পরিচয় উন্মোচন করা হোক৷‌ উপযুক্ত ব্যবস্হা নেওয়া হোক৷‌ উৎসবের দিনগুলিতে শাম্তি ও সম্প্রীতি রক্ষা করার জন্য ধর্মনিরপেক্ষ, দেশপ্রেমিক ও গণতন্ত্রপ্রিয় মানুষকে সতর্ক থাকার আবেদন করছি৷‌ মৌলবাদী শক্তি যাতে কোনও বিপদ সৃষ্টি করতে না পারে, সেজন্য সমস্ত রকম সতর্কতামূলক ব্যবস্হা গ্রহণ করতে প্রশাসনের কাছে দাবি জানাচ্ছি৷‌ তাঁর সংযোজন, ঘটনাস্হল থেকে প্রচুর পরিমাণে বিস্ফোরক তৈরির সরঞ্জাম এবং বোমা উদ্ধার করা হয়েছে৷‌ সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী ঘটনাস্হল থেকে মুসলিম মৌলবাদী নিষিদ্ধ সংগঠনের পোড়া হ্যান্ডবিল ও অন্যান্য কাগজপত্র পাওয়া গেছে৷‌ এই ঘটনাটি আমাদের রাজ্য তথা গোটা দেশের পক্ষে উদ্বেগজনক৷‌ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি মম্তব্য করেন, নরম সাম্প্রদায়িকতার মোড়কে তৈরি তৃণমূল কংগ্রেসের মতাদর্শ৷‌ শাসকদলকে কাঠগড়ায় তুলেছেন বি জে পি কেন্দ্রীয় নেতা সিদ্ধার্থনাথ সিং৷‌ তাঁর বক্তব্য, খুব সহজেই এ কথা বলা যায় যে, মমতা ব্যানার্জির শাসনে এ রাজ্য দেশবিরোধী শক্তি, জেহাদিদের জন্য স্বর্গ হয়ে উঠেছে৷‌ জাতীয় নিরাপত্তা সংস্হাকে প্রায় একদিন পর খবর দেওয়া হল কেন? তাঁর অভিযোগ, বর্ধমান জেলার পুলিস ঘটনাস্হল থেকে পাওয়া নমুনাগুলি জাতীয় নিরাপত্তা সংস্হাকে হস্তাম্তর করেনি৷‌ উল্টে সেগুলি নষ্ট করে দিচ্ছে! তাঁর প্রশ্ন, তৃণমূল কি অস্বীকার করতে পারবে ওই বাড়ির প্রথম তলে তাদের অফিস ছিল না? বি জে পি দাবি তুলেছে, নিহতদের সঙ্গে সরকারের কী সম্পর্ক, সেটা খোলসা করুক৷‌ কেন নমুনা নষ্ট করা হয়েছে, তা স্পষ্ট করুক৷‌ এদিন বি জে পি রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহা বামনগাছির এক সভায় মম্তব্য করেন, সারদার পাশাপাশি নাশকতায় নাম জড়াচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসের৷‌ তৃণমূল নেতাদের বাড়ি থেকে দুষ্কৃতী ধরা পড়ছে!


আজকালের প্রতিবেদন: প্রতিবছরের মতো এবারও পুরস্কৃত করা হল কলকাতার নজরকাড়া মণ্ডপগুলোকে৷‌ রাজ্য সরকারের তরফ থেকে চালু হওয়া বিশ্ব বাংলা শারদ সম্মান-এর ফল ঘোষণা হয়েছে পুজোর মধ্যে৷‌ সেরার সেরা বিভাগে প্রথম স্হান পেয়েছে কলকাতার ৬ নজরকাড়া পুজো৷‌ এই ৬টি পুজো হল চেতলা অগ্রণী, সুরুচি সঙঘ, ভবানীপুর ৭৫ পল্লী, রাজডাঙা নবউদয় সঙঘ, নাকতলা উদয়ন সঙঘ ও ঢাকুরিয়া সার্বজনীন (বাবুবাগান)৷‌ এই বিভাগে দ্বিতীয় স্হানে রয়েছে হরিদেবপুরের বিবেকানন্দ পার্ক অ্যাথেলেটিক ও টালা বারোয়ারি৷‌ তৃতীয় হয়েছে চক্রবেড়িয়া সার্বজনীন৷‌ বিশ্ব বাংলা শারদ সম্মানে সেরা মণ্ডপ বিভাগে প্রথম হয়েছে ত্রিধারা সম্মিলনী ও বিধাননগর এফ ডি ব্লক৷‌ দ্বিতীয় হয়েছে মুদিয়ালি ক্লাব আর যুগ্মভাবে তৃতীয় হয়েছে উল্টোডাঙা সংগ্রামী ও বেহালা নতুন দল৷‌ সেরা প্রতিমা বিভাগে প্রথম হয়েছে সেলিমপুর পল্লী ও হাতিবাগান সার্বজনীন৷‌ দ্বিতীয় হয়েছে বড়িশা উদয়ন পল্লী, ২৫ পল্লী ও কাঁকুড়গাছি মিতালি৷‌ তৃতীয় স্হানে এসেছে বুড়ো শিবতলা জনকল্যাণ সঙঘ, শিকদারবাগান ও বোসপুকুর তালবাগান৷‌ সেরা আলোকসজ্জা বিভাগে প্রথম স্হান পেয়েছে সম্তোষপুর ত্রিকোণ পার্ক৷‌ এই বিভাগে দ্বিতীয় স্হানে আছে বেহালা মুকুল সঙঘ ও সিমলা স্পোর্টিং৷‌ তৃতীয় স্হান পেয়েছে কলেজ স্কোয়্যার সার্বজনীন ও বেহালা আদর্শ পল্লী৷‌ সেরা ভাবনা বিভাগে যুগ্মভাবে প্রথম হয়েছে অ্যাভিনিউ সাউথ পল্লীমঙ্গল সমিতি ও কালীঘাট মিলন সঙঘ৷‌ দ্বিতীয় হয়েছে আদি বালিগঞ্জ ও সঙঘশ্রী৷‌ তৃতীয় স্হানে আছে রূপচাঁদ মুখার্জি লেন ও আলাপি৷‌ সেরা পরিবেশ বান্ধব বিভাগে প্রথম হয়েছে বাগবাজার সার্বজনীন৷‌ ওই বিভাগে দ্বিতীয় বড়িশা যুবকবৃন্দ আর তৃতীয় হয়েছে সাতপুকুর সার্বজনীন (দমদম) ও বিবেকানন্দ পার্ক স্পোর্টিং৷‌ সেরা শিল্পী বিভাগে প্রথম স্হানে আছে অজেয় সংহতি ও ৯৫ পল্লী৷‌ দ্বিতীয় হয়েছে বেলতলা রোড, শক্তি সঙঘ ও তেলেঙ্গা বাগান৷‌ তৃতীয় হয়েছে বকুলবাগান সার্বজনীন৷‌ সেরা আবিষ্কার বিভাগে প্রথম হয়েছে আলিপুর সার্বজনীন৷‌ ওই বিভাগে দ্বিতীয় স্হানে আছে নলিন সরকার স্ট্রিট ও ২৫ পল্লী৷‌ তৃতীয় হয়েছে ভবানীপুর মুক্তদল, বিবেকানন্দ ইয়ুথ ক্লাব ও কোলাহল গোষ্ঠী৷‌ সেরা আবহ বিভাগে প্রথম হয়েছে সমাজসেবী, দ্বিতীয় ৬৬ পল্লী ও তৃতীয় শিবমন্দির৷‌ সেরা ব্রান্ডিং বিভাগে প্রথম হয়েছে বোসপুকুর শীতলা মন্দির, দ্বিতীয় হয়েছে বড়িশা ক্লাব আর তৃতীয় হয়েছে সম্তোষপুর লেকপল্লী ও হিন্দুস্তান পার্ক সার্বজনীন৷‌ সেরা ঢাকেশ্রী বিভাগে প্রথম হয়েছে ৪১ পল্লী৷‌ দ্বিতীয় হয়েছে ডায়মন্ডপার্ক আর যুগ্মভাবে তৃতীয় হয়েছে বাদামতলা আষাঢ় সঙঘ ও যুবমৈত্রী৷‌ এ বছর দেশ ও বিশ্বের বিভিন্ন স্হানের পুজো উদ্যোক্তাদেরও বিশ্ব বাংলা শারদ সম্মান দেওয়া হবে৷‌ আগামী ৭ নভেম্বর নজরুল মঞ্চে এই পুরস্কার তুলে দেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি৷‌ ওই অনুষ্ঠানে কলকাতা পুরসভার তরফ থেকে কলকাতাশ্রী পুরস্কারও দেওয়া হবে৷‌ এ বছর কলকাতার প্রায় ৭২টি দুর্গা পুজো কমিটি কলকাতাশ্রী পুরস্কার পাবে৷‌ ২০১৪ সালে এশিয়ান পেইন্টের শ্রেষ্ঠ পুজো পুরস্কার পেয়েছে সুরুচি সঙঘ, বুড়ো শিবতলা জনকল্যাণ সঙঘ ও কাঁকুড়গাছি যুবক বৃন্দ৷‌ অবসরের দুর্গামূর্তি গড়ে শ্রেষ্ঠ প্রতিমা শিল্পীর পুরস্কার পেয়েছেন গৌরাঙ্গ কুইলা৷‌ বছরের বিস্ময় পুরস্কার পেয়েছে রানীকুঠির নেতাজি জাতীয় সেবাদল৷‌ নতুন প্রতিমা শিল্পীদের মধ্য থেকে বেছে নেওয়া শ্রেষ্ঠ প্রতিমা শিল্পী বছরের বিস্ময় পুরস্কারটি পেয়েছেন নেপাল ভট্টাচার্য স্ট্রিটের পুজোর প্রতিমা শিল্পী কাঞ্চি পাল৷‌ ছাত্রদের বিচারে এম পি বিড়লা ফাউন্ডেশন পুজো উৎকর্ষ সম্মান ঘোষিত হয়েছে৷‌ সেরা প্রতিমা নির্বাচিত হয়েছে কৃষ্ণচন্দ্র পালের গড়া ভবানীপুর স্বাধীন সঙেঘর দুর্গা৷‌ সেরা মণ্ডপ পুরস্কার পেয়েছে বিধাননগরের এ ই পার্ট-১ ব্লকের পুজো৷‌ সেরা পরিবেশ দমদম পার্ক ভারতচক্র৷‌ এ ছাড়া এভেনিউ সাউথ পল্লীমঙ্গল সমিতির প্রতিমা, হরিদেবপুর আদর্শ সমিতির মণ্ডপ আর বেহালা বুড়ো শিবতলা জনকল্যাণ সঙঘ পরিবেশের জন্য শংসাপত্র পেয়েছে৷‌ এ ছাড়া বিভিন্ন সংস্হা ও সংগঠনের তরফ থেকে পুরস্কৃত করা হয়েছে নজরকাড়া মণ্ডপগুলোকে৷‌

হাওলার মাধ্যমে সারদার বিপুল টাকা বিদেশে?

ধারণা এনফোর্সমেন্টের, তদন্ত করতে চাইলেও আপত্তি পুলিসের

নিজস্ব প্রতিনিধি

কলকাতা, ১৪ই মে— ভুয়ো পলিসির মাধ্যমেই কোটি টাকা তুলেছে সারদা। কিন্তু আমানতকারীদের কষ্টার্জিত বিপুল পরিমাণ টাকা কোথায় গেলো? তদন্তের প্রাথমিক পর্বেই সেই ধাঁধার মুখোমুখি হয়েছিল পুলিস। সারদার যে ২৯৪টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিস মিলেছে, তাতে মাত্র একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সর্বাধিক পাঁচ লক্ষ টাকা ছাড়া বাকি অ্যাকাউন্টগুলিতে কার্যত টাকাই নেই। তাহলে কোথায় গেলো সারদার এই বিপুল পরিমাণ টাকা?


এখানেই এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ই ডি) সন্দেহ, হাওলার মাধ্যমে এই টাকা সম্ভবত চলে গেছে বিদেশে, মূলত আরব দেশগুলিতে। আর সেখানেই বিধাননগর কমিশনারেটের তদন্তের সীমাবদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। প্রথম দফায় ১৪দিন ও দ্বিতীয় দফায় ৫দিন পুলিসী হেফাজতে সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন, দেবযানী মুখার্জিকে জেরা করার সুযোগ পেলেও এখন পর্যন্ত সারদার মাথা ঘোরানো সম্পত্তি, বিপুল পরিমাণ টাকার সম্পূর্ণ হদিস পাননি তদন্তকারী আধিকারিকরা। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সমস্ত স্ট্যাটাস রিপোর্ট পাওয়ার জন্য রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কাছ থেকেও কোনো 'সুযোগ'নিয়ে উঠতে পারেনি বিধাননগর কমিশনারেট। 'মানি রুট'-এর তদন্তে আমানতকারীদের বিপুল পরিমাণ টাকার গন্তব্য কোথায়, এই গুরুতর প্রশ্নকে ব্যাকসিটে রেখেই বিধাননগর কমিশনারেট তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। সারদা কাণ্ডকে পর্যবেক্ষণে রেখে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের অধীনস্ত এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট তাই স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে তদন্ত করতে চেয়েছে।


ই ডি'র দৃঢ় ধারণা, 'পাওয়ার লবি'র মদতেই সুদীপ্ত সেন বিপুল পরিমাণ টাকা দেশ থেকে সরিয়ে ফেলেছেন। শুধু চিট ফান্ড কেলেঙ্কারির বিষয় নয় এটি, প্রভাবশালী মহলের একাংশের মদতে এদেশের টাকা চলে গেছে বিদেশের মাটিতে। বিদেশী মুদ্রা পরিচালনা আইন এবং অর্থ নয়ছয় প্রতিরোধ আইনের আওতাতেই এই ঘটনার তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। অবশ্য পরিকাঠামোর দিক থেকে বিধাননগর কমিশনারেট এত বড় বিষয়ে সার্বিক তদন্ত করতে পারে বলেই মনে করছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।


কিন্তু পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে রাজ্য সরকার সারদা কাণ্ডে কোনো রকমের ঝুঁকি নিতে চাইছে না। এই কারণে ই ডি'র তরফে আবেদন জানানো হলেও বিধাননগর কমিশনারেটের তরফে তদন্তের নথিপত্র তাদের দেখতে দেওয়া হয়নি। এক তদন্তকারী আধিকারিকের কথায়, 'এখনও পর্যন্ত আমরা সঠিক পথেই তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি, অসুবিধা হচ্ছে না, ফলে এই সব প্রশ্নেরও কোনো মানে নেই।'স্পষ্টতই রাজ্য সরকারের ইচ্ছার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির সঙ্গে সরাসরি অসহযোগিতায় নেমেছে বিধাননগর কমিশনারেট। এর আগে দিল্লি থেকে সারদা কাণ্ডের তদন্তের অগ্রগতি দেখতে কলকাতায় পৌঁছেছেন সিরিয়াস ফ্রড ইনভেস্টিগেশন অফিসের (এস এফ আই ও) চার আধিকারিক। তাঁরা সারদা কাণ্ডের তদন্তকারীদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেন। সেক্ষেত্রেও তদন্তের গুরুত্বপূর্ণ নথি আদালতের নির্দেশ ছাড়া দিতে অস্বীকার করেছে বিধাননগর কমিশনারেট।


এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট মনে করছে, সারদা কাণ্ডের তদন্তের ফলাফল গোটা দেশের পরিপ্রেক্ষিতেই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, একটি সংস্থা সরাসরি রাজনৈতিক নেতা থেকে শুরু করে সমাজের প্রভাবশালী অংশকে কার্যত টাকার বিনিময়ে প্রভাবিত করে জালিয়াতি, টাকা নয়ছয় এমনকী বিদেশের মাটিতে টাকা পাচারের মতো কাজ চালিয়ে এসেছে। তবু বিধাননগর কমিশনারেট কার্যত তদন্তের পরিধিকে একটি নির্দিষ্ট গণ্ডীর মধ্যে আটকে রেখেছে, সারদার কিছু স্থাবর, অস্থাবর সম্পত্তির হদিস ছাড়া এত বড় আর্থিক জালিয়াতির তদন্তে অগ্রগতিও ঘটাতে পারেনি।


বরং তদন্তের দ্বিতীয় পর্বে এসে সুদীপ্ত সেনের আবেদন গ্রহণ করার ক্ষেত্রে বাড়তি তৎপরতা দেখাচ্ছে বিধাননগর কমিশনারেট। গত ৯ই মে বিধাননগর মহকুমা আদালতে এ সি জে এমের এজলাসে শুনানি চলাকালীন সুদীপ্ত সেনের আইনজীবী বলেছিলেন, সুদীপ্ত সেনকে পুলিসী নজরদারিতেই অফিস চালাতে সুযোগ দেওয়া হোক, যাতে তিনি আমানতকারীদের টাকা ফেরত দিতে পারেন। একই সঙ্গে ওই আইনজীবী দাবি করেছিলেন, সুদীপ্ত সেনের অন্তত একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা রাখার নির্দেশ দেওয়া হোক। কারণ, যেসব সংস্থায় লগ্নি করেছিলেন সুদীপ্ত সেন, সেখান থেকে টাকা পাওয়ার কথা তাঁর। সমস্ত অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়ার ফলে যাঁরা সুদীপ্ত সেনকে টাকা দিতে পারেন, তাঁরা কোথায় টাকা জমা দেবেন, বুঝতে পারছেন না। এই আবেদনের পরেই এদিন বিধাননগর কমিশনারেটর তরফে আদালতকে জানানো হয়, এতে তাদের আপত্তি নেই। সারদায় সেনের ছ'টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফের চালু করা হোক। তবে প্রতিটির ক্ষেত্রে ডেবিট ট্রানজাকশন অর্থাৎ অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তোলা বন্ধ রাখা হবে। জানা গেছে, সল্টলেকে ইন্ডিয়ান ওভারসিজ ব্যাঙ্কের পাঁচটি শাখায় অ্যকাউন্ট এবং বেহালায় ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্কের একটি শাখায় অ্যাকাউন্ট খুলেও দেওয়া হয়েছে।


এদিকে এদিনই প্রথম সুদীপ্ত সেনকে সঙ্গে নিয়ে সল্টলেকের এফ ডি ব্লকে তাঁর একটি বাড়িতে এবং সেক্টর ফাইভে মিডল্যান্ড পার্কের অফিসে তল্লাশি চালায় পুলিস। বাড়িতে এবং অফিসে বেশ কিছু আমানতকারী এবং জমি সংক্রান্ত নথির হদিস মিলেছে বলে জানা গেছে। এর আগে মিডল্যান্ড পার্কের অফিসে দেবযানী মুখার্জিকে সঙ্গে নিয়ে তল্লাশি চালিয়েছিল পুলিস। জানা গেছে, জেল হেফাজতে থাকাকালীন মাঝেমাঝেই বুকে ব্যথা অনুভব করছেন সুদীপ্ত সেন। ডাক্তার দেখানো হয়েছে।

- See more at: http://ganashakti.com/bengali/news_details.php?newsid=40630#sthash.EgVdR75V.dpuf

সারদার টাকায় ব্যবসা সিঙ্গাপুরে

নিজস্ব প্রতিনিধি

কলকাতা, ৫ই অক্টোবর- সারদা কাণ্ডে সিঙ্গাপুর যোগ!


শারদোৎসবের আগেই শিল্পের সন্ধানে বিরাট প্রতিনিধিদল নিয়ে সিঙ্গাপুর সফরে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপরে এরাজ্যে কত বিনিয়োগ এসেছে তা এখন রীতিমত গবেষণার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। শারদোৎসব চলাকালীন সেই সিঙ্গাপুরেই এবার সারদার বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পত্তির হদিশ পেলো কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সি বি আই। এরাজ্যে শাসকদলের এক প্রভাবশালীর যোগও মিলেছে সিঙ্গাপুরে সারদার টাকা পাচারের কারবারে।


সারদায় লগ্নি করা আমানতকারীদের বিপুল পরিমাণ অর্থ কোথায় গেলো? এস এফ আই ও, ইডি'র মত কেন্দ্রীয় সংস্থার পাশাপাশি সেই তদন্ত চালাচ্ছে সি বি আই। আর, সেই তদন্তেই এই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার হাতে এসেছে রীতিমত চাঞ্চল্যকর তথ্য। সারদার আমানতকারীদের জমা হওয়া বিপুল পরিমাণ টাকা অত্যন্ত সুকৌশলে বিদেশে পাচার হয়েছে। হাওলার মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ টাকা সরিয়ে ফেলা হয়েছে এদেশ থেকে। ইতোমধ্যে এস এফ আই ও'র রিপোর্টে সেবিষয়ে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। কীভাবে বিপুল পরিমাণ টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে সে বিষয়ে ইতোমধ্যে ইডি'র রিপোর্ট তৈরি করেছে। এর মধ্যেই সি বি আই'র হাতে এসেছে সারদা কাণ্ডে এযাবৎকালের অন্যতম চাঞ্চল্যকর তথ্য।


সিঙ্গাপুরের বাসিন্দা এক ব্যবসায়ীর মাধ্যমে গোটা প্রক্রিয়া চালিয়েছিল সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন। সিঙ্গাপুরবাসী এই ব্যবসায়ীর সঙ্গে কলকাতার একটি মহলের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ আছে। শাসকদলের সঙ্গেই যোগাযোগ রয়েছে। এই ব্যক্তিকেই সুদীপ্ত সেন ব্যবহার করেছিলেন সিঙ্গাপুরে টাকা পাচারের জন্য। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা আধিকারিকরা তদন্তে নেমে জানতে পেরেছেন, মূলত দুটি পদ্ধতিতে টাকা সরানোর হতো। ঐ দেশে বিভিন্ন ট্রাস্টি, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থায় টাকা ঢালা হতো যা আসলে ঐ টাকাকে সুরক্ষিত রাখতো। দ্বিতীয় পদ্ধতিটি হলো, ঐ দেশে হোটেল এবং পরিবহন ব্যবসায় বিনিয়োগ করা। সি বি আই আধিকারিকরা সেখানে সরেজমিনে তদন্তে গিয়েছিলেন। সারদার টাকায় এরকম হোটেল সহ একাধিক সম্পত্তির হদিশ মিলেছে।


সি বি আই'র তদন্তকারী আধিকারিকরা সেই সূত্রেই তদন্তের শিকড় পর্যন্ত পৌছাতে গিয়ে খোঁজ পেয়েছেন আরও চমকে ওঠার মতো তথ্যের। সিঙ্গাপুরে প্রায় ৩০-৩৫টি ট্রাস্টির হদিশ পেয়েছেন সি বি আই'র আধিকারিকরা। বিপুল পরিমাণ টাকা সেখানে সরানো হয়েছে। তার মাধ্যমে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতেও টাকা পাচার করা হতো। সেই সূত্রেই এরাজ্যের এক প্রভাবশালী শাসকদলের নেতার নাম উঠে এসেছে। সেই সংক্রান্ত কিক্ষছু কাগজপত্রও হাতে এসেছে সি বি আই'র। শাসকদলের ঐ শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে সারদা কাণ্ডে যুক্ত থাকার অভিযোগ বারংবার উঠছে। সি বি আই'র হাতেও এসেছে একাধিক তথ্য প্রমাণ। যদিও এখনও পর্যন্ত ঐ প্রভাবশালী নেতাকে জেরার জন্য তলব করেনি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।


এদিকে শারদোৎসবের মাঝেই ফের বিধাননগর কমিশনারেটে হাজিরা দিতে গিয়ে সারদা কাণ্ডে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন সদ্য তৃণমূল ছেড়ে নতুন দল গড়া ব্যবসায়ী আসিফ খান। এই প্রথম সারদা কাণ্ডে মুকুল পুত্র শুভ্রাংশু রায়ের নাম প্রকাশ্যে এলো। আনলেন একদা মুকুল ঘনিষ্ঠ ঐ প্রাক্তন তৃণমূল নেতা আসিফ খান। সাংবাদিকদের কাছে আসিফ খান বলেন, গত বছরের ১৫ই এপ্রিল কলম পত্রিকার অফিসে সারদার পত্রিকাগুলি বাঁচাতে যে বৈঠক হয়েছিল তাতে মুকুল রায়, রজত মজুমদারের পাশাপাশি শুভ্রাংশু রায়ও উপস্থিত ছিলেন। আসিফ খানের কথায়, সি বি আই তদন্ত করে দেখুক সারদার পত্রিকা বাঁচাতে কেন শুভ্রাংশু রায় ঐ বৈঠকে হাজির ছিলেন। ২০১৩ সালের ১৫ই এপ্রিলের ঐ বৈঠকের বিস্তারিত বিবরণ ইতোমধ্যে সি বি আই'র হাতে এসেছে। যে সময়ে ঐ বৈঠক হয়েছিল তখন সারদা কাণ্ডের জেরে রাজ্যজুড়ে বিক্ষোভ চলছিল। সুদীপ্ত সেন তখন পলাতক। সেই সময়েই সুদীপ্ত সেনের অনুপস্থিতিতে তাঁর কাগজ কীভাবে চালানো হবে সেই সংক্রান্ত বৈঠক হয়েছিল মুকুল রায়ের নেতৃত্বে। সেই বৈঠকে তাঁর পুত্রের উপস্থিতির কারণ এবার জানতে চাইছেন সি বি আই'র তদন্তকারী আধিকারিকরা।


এই সূত্র ধরে ফের গত বছরের ৫ই এপ্রিল নিজাম প্যালেসের বৈঠকের বিষয়টি উঠে এসেছে সি বি আই'র তদন্তে। এ যে কেঁচো খুঁড়তে কেউটে। ৫ই এপ্রিলের বৈঠকের বিস্তারিত হাতে এলেও তার পরবর্তীতে একটি ঘটনার কথা সদ্য জানতে পেরেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। এবার সেই ৫ই এপ্রিলের মিটিংয়ের তদন্তে নেমে সি বি আই হদিশ পেলো বিপুল পরিমাণ টাকার। এবিষয়ে রীতিমত আঁটঘাট বেধেই এগোচ্ছে সি বি আই। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে জানা গেছে, সেদিন অর্থাৎ ২০১৩ সালের ৫ই এপ্রিল সুদীপ্ত সেন নিজাম প্যালেসে গাড়ি নিয়ে আসে। তার পিছনেই আরও একটি গাড়ি ছিল। সেই গাড়িতে স্যামসোনাইটের আটটি প্যাকেট ছিল। তাতে নগদ টাকা ছিল বলে জানতে পেরেছে সি বি আই। টাকার পরিমাণ প্রায় দুশো কোটি। গাড়িটি নিজাম প্যালেসে ডি ব্লকে অপেক্ষা করছিল। মিটিং শেষ হওয়ার পর একে একে সবাই বেরোনোর পরে গাড়িটিও বেরিয়ে যায়। সোজা উত্তর চব্বিশ পরগনার বারাকপুর মহকুমার একটি জায়গায় যায় গাড়িটি, পরে সেখান থেকে টাকার ভাগ বাঁটোয়ারা হয়। শাসকদলের মাধ্যমে সেই বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা সারদা কিছু কাগজ, চ্যানেলের জন্য দেওয়া হয়েছিল বলেই জানতে পেরেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। ইতোমধ্যে ঐ ভাড়া গাড়ির হদিশ মিলেছে। কোন্‌ ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে ঐ গাড়ি গেছে তাও জানতে পেরেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।


৫ই এপ্রিল নিজাম প্যালেসে মুকুল রায়ের উপস্থিতিতে সুদীপ্ত সেনের ঐ বৈঠকের কথা ইতোমধ্যে কুণাল ঘোষ, সারদা কর্তার গাড়ি চালক অরবিন্দ চৌহান এবং আসিফ খান প্রকাশ্যেই স্বীকার করেছেন। কুণাল ঘোষ সি বি আই'র কাছে দেওয়া লিখিত বয়ানে তার উল্লেখ করেছিলেন,'বিপদ দেখে যখন সরকারের হস্তক্ষেপ চেয়েছি, সি এম কে বলেছি, তখন মুকুল রায় নিজাম প্যালেসে বৈঠক ডাকলো।(৫ই এপ্রিল,২০১৩??)সুদীপ্ত এলেন। পুরোটাই অস্বাভাবিক। রজত মজুমদারকে রেখেছিল মুকুল। আমি,সোমনাথ ছিলাম।অত গুরুত্বপূর্ণ পরিস্থিতি। কোনও আলোচনা হলো না। সুদীপ্ত বললেন, দেরি হয়ে গেলো,আমি যাই। মুকুল বলল, ঠিক আছে। রজতদা কাল আপনার সঙ্গে এ গিয়ে কথা বলে নেবে'। সারদা কাণ্ডে জামিনে মুক্ত হওয়ার পরে অরবিন্দ চৌহান সাংবাদিকদের কাছে বলেছিলেন, '২০১৩ সালের ৫ই এপ্রিল মিডল্যান্ড পার্ক অফিস থেকে আমি নিজেই গাড়ি চালিয়ে সুদীপ্ত সেনকে নিজাম প্যালেসে নিয়ে যাই।সেখানে মুকুল রায়কে নিজে দেখেছি'। ঐ বৈঠকের পরেই সুদীপ্ত সেন পালিয়ে যায় বলেও দাবি করেছিলেন তিনি।


এদিকে রবিবার সি বি আই সূত্রে জানা গেছে, তৃণমূল কর্মী চিত্রশিল্পী শুভাপ্রসন্নকে জেরার জন্য তলব করা হয়েছে। আগামী সপ্তাহের মধ্যেই তাঁকে কিংবা তাঁর কোন প্রতিনিধিকে সি বি আই দপ্তরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। বিপুল পরিমাণ টাকায় সারদা কর্তাকে একটি চ্যানেল বিক্রি করা হয়। তাঁর সংস্থা দেবকৃপা ব্যাপার লিমিটেডের আর্থিক লেনদেন হিসাব ও অডিট রিপোর্ট খতিয়ে দেখতে চাইছে সি বি আই।


এরই পাশাপাশি রাজ্যের বস্ত্র মন্ত্রী শ্যামপাদ মুখার্জিকেও এবার নথিপত্র জমা দেওয়ার জন্য তলব করেছে সি বি আই। আগামী বুধবারের মধ্যে তাঁর সেই সিমেন্ট কারখানা যা বাজারদরের চেয়ে বেশি দামে সারদার কাছে বিক্রি করা হয়েছিল সেই সংক্রান্ত কাগজপত্র পাঠাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, বাকুঁড়ার বড়জোড়ায় যে ১৫বিঘা জমিতে ঐ সিমেন্ট কারখানা করেছিলেন বস্ত্রমন্ত্রী তাতে প্রায় সাত বিঘা বনাঞ্চলের জমিও রয়েছে। ইডি'র পরে এবার সি বি আই রাজ্যের বস্ত্রমন্ত্রীর কাছে সেই কারখানা ও জমি সংক্রান্ত নথিপত্র চেয়ে পাঠালো।




শাসকদলের নেতার সিঙ্গাপুর যোগ নিয়ে নিশ্চিত হয়েছে সি বি আই


নিজাম প্যালেসের বৈঠকে মুকুল-পুত্র ছিলেন, দাবি আসিফের


নগদ টাকা চালানের গাড়িও চিহ্নিত


সি বি আই'র তলব এবার শুভাপ্রসন্নকে, চাওয়া হলো বস্ত্রমন্ত্রীর কারখানার নথিও

- See more at: http://ganashakti.com/bengali/news_details.php?newsid=60668#sthash.jlpBWX3y.dpuf

সারদার টাকা সরকারঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীর মাধ্যমে আবাসন খাতে!অন্যান্য, সাক্ষাৎকার

আইএনবি নিউজ টোয়েন্টিফোর.কম

Top 2

সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৪

কলকাতা :: ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সারদা কেলেঙ্কারির টাকা বাংলাদেশের সরকারবিরোধী আন্দোলনে জামায়াতকে দেয়ার খবরের পর এবার সরকারঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীর মাধ্যমে আবাসন খাতে বিনিয়োগের তথ্য উঠে এসেছে।

ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই তদন্তে নেমে তথ্য পেয়েছে, সারদা গ্রুপের প্রধান সুদীপ্ত সেন আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ এক ব্যবসায়ীর মাধ্যমে বেশ কয়েকবার ঢাকায় এসেছেন এবং ওই ব্যবসায়ীর মাধ্যমে ঢাকার আবাসন খাতে বিনিয়োগ করেছেন। এখনো সে বিনিয়োগ রয়েছে। তবে কে সেই সরকারঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী এবং কত টাকা বিনিয়োগ রয়েছে তা বের করার চেষ্টা করছেন ভারতীয় গোয়েন্দারা।

বৃহস্পতিবার কলকাতার দৈনিক বর্তমান পত্রিকায় এ খবর দিয়েছে।

পত্রিকাটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একদিকে জামায়াতকে অর্থ সাহায্য দেয়ার মাধ্যমে নিজের টাকা বিদেশে পাঠানো, অন্যদিকে নিজের বাংলাদেশে যাতায়াতের ক্ষেত্রে যাতে কোনো বাধা না আসে সেজন্য শেখ হাসিনা সরকারের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে সারদা কর্তা এই কৌশল নিয়েছিলেন বলে মনে করছেন সিবিআই কর্মকর্তারা।

গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআাইয়ের বরাত দিয়ে বর্তমানের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১২ সালের মাঝামাঝি বাংলাদেশে আসেন সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন। সে সময় সরকারঘনিষ্ঠ এক ব্যবসায়ীকে সারদা কর্তা জানান, আবাসন ব্যবসায় তার অভিজ্ঞতা রয়েছে। বাংলাদেশে আবাসন ব্যবসা করতে চান তিনি। সরকারঘনিষ্ঠ ওই ব্যবসায়ী সারদা কর্মকর্তাকে জানান, এ বিষয়ে তিনি তাকে সব রকমের সাহায্য করবেন এবং সরকারের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে যেতে এই প্রকল্পে যেতে তার কোনো সমস্যা হবে না। সরকারের সঙ্গে চুক্তি করতে সাহায্য করবেন বলে সুদীপ্তের কাছে থেকে তিনি কয়েক লাখ টাকা নেন বলে অভিযোগ। কীভাবে এ প্রকল্প গড়ে তোলা হবে,তা নিয়ে আলোচনা করতে এরপর সুদীপ্ত তার ঘনিষ্ঠদের নিয়ে কয়েকদিন পরেই বাংলাদেশে আসেন। এ বিষয়ে কয়েকজন ব্যবসায়ীর সঙ্গে আলোচনাও হয়।

পত্রিকাটির প্রতিবেদনে বলা হয়, সুদীপ্তের এই প্রস্তাব নিয়ে গেলে শেখ হাসিনা সরকার জানিয়ে দেয় বেসরকারি কোনো সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে কোনো প্রকল্প করবে না।

তদন্তকারী এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে পত্রিকাটি বলেছে, এই পরিকল্পনা ব্যর্থ হওয়া সুদীপ্ত সেন ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে বাংলাদেশের আবাসন খাতে বিনিয়োগ করে। এখনো সে বিনিয়োগ রয়েছে। এই বিনিয়োগের টাকা কোন ব্যবসায়ীর কাছে আছে তা জানার চেষ্টা করছে সিবিআই। পাশাপাশি টাকার অংকও বের করার চেষ্টা চলছে।

সম্পাদনায় / নূরে আলম জীবন

- See more at: http://inbnews24.com/inb-news-19924.php#sthash.RUl4jb1r.dpuf

সারদার সফটওয়্যার আবিষ্কার করবেন সিবিআইয়ের সাইবার বিশেষজ্ঞরা

সারদার সফটওয়্যার আবিষ্কার করবেন সিবিআইয়ের সাইবার বিশেষজ্ঞরা

ঢাকা, ২৪ জুন, এবিনিউজ : ভারতে সারদার কাণ্ডের তদন্তভার হাতে পেয়েই সুপরিকল্পিত পথে এগোচ্ছে সিবিআই। ধীরে ধীরে তদন্তের জাল গুটিয়ে আনছে সিবিআই। তদন্তে জানা গেছে সারদায় আমানতের টাকা একটি সফটওয়্যারের মাধ্যমে লেনদেন করা হত। ওই সফটওয়্যারই হিসেব রাখত কে কত টাকা রাখছেন বা কত টাকা তুলছেন। আমানত সংগ্রহে ব্যবহত সেই সফটওয়্যার নির্মাতা সংস্থাকেই এবার ডেকে পাঠাচ্ছে সিবিআই। আজ মঙ্গলবার সিবিআই সূত্রে এমন খবর পাওয়া গেছে।

সূত্রের খবর, সারদা গোষ্ঠী যে সফটওয়্যার ব্যবহার করত, তার সার্ভার বিদেশে থেকে পরিচালিত হয়। সারদা সংস্থার ওয়েবসাইটটিও এখনও বহাল রয়েছে। সারদা কর্তা পুলিশি হেফাজতে থাকাকালীন জানা গেছে সারদার টাকা লেনদেন সফটওয়্যারটির সার্ভার বিদেশে রাখার পেছনে সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্য ছিল। কোনও কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়লে যাতে পুলিশ বা তদন্তকারী সংস্থা সার্ভারের টিকি না পায় তাই বিদেশ থেকে সার্ভারটি পরিচালিত হত। সেই সফটওয়্যার থেকেই আমানতকারীদের দেয়া হত রশিদ। সিবিআইয়ের অভিযোগ, এ সফটওয়্যারে মধ্যে রয়েছে আমানতকারীদের দেউলিয়া হবার রহস্য।

কারণ সিবিআই সূত্রে খবর, এ সফটওয়্যারে বেশ কিছু অসংগতি ধরা পরেছে। কারা কখন এর সার্ভারে লগ ইন করেছেন তা জানা যাচ্ছে না। যেমন জানা যাচ্ছে না ঠিক কত টাকা তোলা বা রাখা হয়েছে। সারদার তৈরি অত্যাধুনিক সফটওয়্যারের সাহায্যেই আমানতকারীর টাকা নয়ছয় করা হয়েছে। এ সফটওয়্যারের হদিশ পুলিশ পেলেও সফটওয়্যারে কারচুপি কার পরিকল্পনা, তা জানতে পারেনি রাজ্য পুলিশের কর্তারা।

অন্যদিকে সিবিআই সুদীপ্ত সেনকে কয়েকদফা জেরা করে সারদা গোষ্ঠীর কয়েকজন শীর্ষ স্থানীয় কর্মচারীর নাম জানতে পরেছে। দুজন বাঙালি এই সফটওয়্যারটি পরিচালনা করতেন। যাদের মধ্যে একজন বাঙালি যিনি সারদারই কর্মী। ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য বাজেয়াপ্ত করা হতে পারে সারদার সব কম্পিউটার।


এবিএন/মঙ্গল-২য়/শুভদীপ বকসী/মুসতাফিজ/ফাতেমা

24 ঘন্টার খবরঃ

বর্ধমান কাণ্ড: আবু কালাম ও কওসরের খোঁজ করছে পুলিস

বর্ধমান কাণ্ড: আবু কালাম ও কওসরের খোঁজ করছে পুলিস

বর্ধমান বিস্ফোরণের তদন্তে এবার রহস্যময় তিন ব্যক্তির খোঁজে তল্লাসি শুরু করল পুলিস। তার মধ্যে দুজনের পরিচয় জানা গেছে। একজন মঙ্গলকোটের বাসিন্দা আবুল কালাম। অন্যজন কওসর। ধৃত রাজিয়া বিবি ও আমিনা বিবিকে জেরা করে এঁদের দুজনের নাম জানতে পেরেছে সিআইডি। দুজনেরই যাতায়াত ছিল খাগড়াগড়ের ভাড়াবাড়িতে।

বর্ধমান কাণ্ড: বাংলাদেশের জঙ্গিগোষ্ঠী না সিমি? কেন্দ্রীয় গোয়ান্দা সংস্থা-রাজ্যের রিপোর্টের ফারাকে বাড়ছে রহস্যবর্ধমান কাণ্ড: বাংলাদেশের জঙ্গিগোষ্ঠী না সিমি? কেন্দ্রীয় গোয়ান্দা সংস্থা-রাজ্যের রিপোর্টের ফারাকে বাড়ছে রহস্য

বর্ধমান বিস্ফোরণের পিছনে কারা? এ নিয়ে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ও রাজ্যের রিপোর্টে বিস্তর ফারাক। বিস্ফোরণের জন্য বাংলাদেশের জঙ্গিগোষ্ঠীকেই দায়ী করেছেন রাজ্য সরকার। বাংলাদেশের যোগের উল্লেখ NIA -রিপোর্টেও রয়েছে। কিন্তু, তাঁরা আরও বেশি জোর দিয়েছে সিমির ওপর। সিমি প্রশ্নে আবার রাজ্যের রিপোর্ট নীরব। বর্ধমান বিস্ফোরণ নিয়ে রাজ্যের রিপোর্টে বাংলাদেশের জঙ্গিগোষ্ঠীর দিকেই আঙুল তোলা হয়েছে। বলা হয়েছে অভিযুক্তেরা সকলেই বাংলাদেশের জামাত-উল-মুজাহিদিন সংক্ষেপে JMB-র সদস্য। এবং সেই যোগসূত্রের মূলে রয়েছেন নিহত শাকিল গাজি। রিপোর্টে উল্লেখ,

বর্ধমান কাণ্ড: তল্লাসিতে আল জেহাদের গানের টেপ, আল কায়দার প্রশিক্ষণ ভিডিও, কোনদিকে জঙ্গীযোগের ইঙ্গিত? বর্ধমান কাণ্ড: তল্লাসিতে আল জেহাদের গানের টেপ, আল কায়দার প্রশিক্ষণ ভিডিও, কোনদিকে জঙ্গীযোগের ইঙ্গিত?

বর্ধমান বিস্ফোরণে সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সূত্রে খবর, ওই বাড়িতে বানানো হচ্ছিল হ্যান্ড গ্রেনেড। খাগড়াগড়ের ভাড়াবাড়িতে বড়সড় নাশকতার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছিল বলেই সন্দেহ তদন্তকারীদের। যদিও তথ্যপ্রমাণ লোপাট ও এনআইএ-কে অসহযোগিতার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্বরাষ্ট্রসচিব। রাজ্যবাসী যখন উত্‍সবে মজে তখন বর্ধমানের এক ভাড়াবাড়িতে তৈরি হচ্ছিল মৃত্যুবাণ।

অন্য দেশে নাশকতা চালাতে ব্যবহৃত হত খাগড়াগড়ের কারখানা, সরকারের রিপোর্টে নতুন বিতর্ক অন্য দেশে নাশকতা চালাতে ব্যবহৃত হত খাগড়াগড়ের কারখানা, সরকারের রিপোর্টে নতুন বিতর্ক

বর্ধমান-কাণ্ডে রাজ্য সরকারের রিপোর্ট তৈরি করেছে আরেক বিতর্ক। রিপোর্টে বলা হয়েছে, খাগড়াগড়ের অস্ত্র কারখানা ভারত-বিরোধী কাজে ব্যবহার করা হতো না। বাংলাদেশে নাশকতা চালানোই উদ্দেশ্য ছিল বলে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। অন্য দেশে নাশকতা চালাতে আমার দেশের মাটি ব্যবহার করা হতো - এই ধরনের রিপোর্ট আন্তর্জাতিক মহলে ভারতের  অবস্থান দুর্বল করতে পারে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

দিঘা- মেচেদা জাতীয় সড়কে মর্মান্তিক দুর্ঘটনাদিঘা- মেচেদা জাতীয় সড়কে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা

দিঘা- মেচেদা জাতীয় সড়কে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। বাস-মারুতির মধ্যে সংঘর্ষে মৃত্যু হল দুজনের। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় আহত সাত। আজ সকালে দুর্ঘটনাটি ঘটে পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুরে। দিঘা-মেচেদা জাতীয় সড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে চলন্ত বাসে ধাক্কা মারে মারুতি।

বর্ধমান বিস্ফোরণ- সিমির দিকে সন্দেহের তির জোরালো হচ্ছেবর্ধমান বিস্ফোরণ- সিমির দিকে সন্দেহের তির জোরালো হচ্ছে

ক্রমশই নিষিদ্ধ সংগঠন সিমির দিকে সন্দেহের তির জোরালো হচ্ছে। বিস্ফোরণে মৃত সাকিল গাজি সম্পর্কেও বেশকিছু অজানা তথ্য পেয়েছেন গোয়েন্দারা।

খাগড়াগড়ের সেই বাড়িতে বানানো হচ্ছিল হ্যান্ড গ্রেনেডখাগড়াগড়ের সেই বাড়িতে বানানো হচ্ছিল হ্যান্ড গ্রেনেড

বর্ধমানের খাগড়াগড় বিস্ফোরণে সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, ওই বাড়িতে বানানো হচ্ছিল হ্যান্ড গ্রেনেড। তেমনই না ফাটা কিছু হ্যান্ড গ্রেনেড উদ্ধার হয়েছে ওই বাড়ি থেকে। সেগুলি, দামোদরের চরে নিয়ে গিয়ে নিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরণের মাধ্যমে নিষ্ক্রিয় করে পুলিস। কিন্তু, কেন্দ্রীয় ফরেনসিক দলকে না জানিয়ে কেন গ্রেনেডগুলি নিষ্ক্রিয় করা হল, তা নিয়ে দানা বেঁধেছে বিতর্ক। হ্যান্ড গ্রেনেড ছাড়াও ওই বাড়িতে মিলেছে, আল কায়দার গানের টেপ, প্রশিক্ষণের ভিডিও। মিলেছে একই ব্যক্তির একাধিক ভোটার কার্ড। উদ্ধার হয়েছে কেমিস্ট্রির বই এবং বিস্ফোরক। সমস্ত তথ্য এবং প্রমাণ খতিয়ে দেখে তদন্তকারীরা নিশ্চিত, রাজ্যে বড়সড় নাশকতার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছিল খাগড়াগড়ের ওই বাড়িতে।

বর্ধমান বিস্ফোরণকাণ্ডে বাংলাদেশ যোগের ইঙ্গিত, গ্রেফতার ২ মহিলাবর্ধমান বিস্ফোরণকাণ্ডে বাংলাদেশ যোগের ইঙ্গিত, গ্রেফতার ২ মহিলা

বর্ধমানের খাগড়াগড়কাণ্ডের সঙ্গে বাংলাদেশ যোগের ইঙ্গিত পেলেন গোয়েন্দারা। খাগড়াগড় বিস্ফোরণে মৃত শাকিল গাজির স্ত্রী রাজেরা বিবিকে জেরার সুবাদেই এই সন্দেহ করছেন গোয়েন্দারা। জানা গেছে, শাকিল গত সাতবছর ধরে নদিয়ার করিমপুরে শ্বশুরবাড়িতে থাকত। কিন্তু সে আসলে বাংলাদেশের বাসিন্দা। বিস্ফোরণকাণ্ডে সিমি-র যোগাযোগের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেননি তদন্তকারীরা। এই সূত্রে উঠে আসছে সিমি নেতা সাফদার নাগোরির নাম।

দ্রুত বিসর্জনের নির্দেশের প্রতিবাদে পথ অবরোধ বসিরহাটেদ্রুত বিসর্জনের নির্দেশের প্রতিবাদে পথ অবরোধ বসিরহাটে

বিসর্জন ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল বসিরহাটে। প্রশাসনের তরফে দ্রুত বিসর্জনের নির্দেশের প্রতিবাদে পথ অবরোধে নামল বসিরহাটের বিভিন্ন ক্লাব। অবরোধ করা হয় রেলও। অবরোধ তুলতে গেলে র‍্যাফ ও পুলিসের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন বাসিন্দারা।

জোড়া খুনে থমথমে বাঁকুড়ার ইন্দপুরের হাটগ্রাম, খুনের অভিযোগ উঠল সিপিআইএম ও বিজেপির বিরুদ্ধে  জোড়া খুনে থমথমে বাঁকুড়ার ইন্দপুরের হাটগ্রাম, খুনের অভিযোগ উঠল সিপিআইএম ও বিজেপির বিরুদ্ধে

পুজোর আমেজ শেষ হতেই বাঁকুড়া উত্তাল হয়ে ওঠে শনিবার রাত্রে। বাঁকুড়ার ইন্দপুরে জোড়া খুনে থমথমে সারা গ্রাম।  ইন্দপুরের হাটগ্রামে খুন হলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা। তাঁর বাবাকেও খুন করে দুষ্কৃতীরা।

আসানসোলের কোলিয়ারিতে আগুন আসানসোলের কোলিয়ারিতে আগুন

বর্ধমান বিস্ফোরণের তদন্তে এনআইএ বর্ধমান বিস্ফোরণের তদন্তে এনআইএ

বর্ধমান বিস্ফোরণের তদন্তভার হাতে তুলে নিল এন আই এ। শুক্রবার ঘটনার তদন্তে যায় চার সদস্যের এন আই এর প্রতিনিধি দল।

খাগড়াগড়ে বিস্ফোরণ তদন্তে সিআইডিখাগড়াগড়ে বিস্ফোরণ তদন্তে সিআইডি

বর্ধমানের খাগড়াগড়ের বিস্ফোরণস্থলে তদন্তের  কাজ শুরু করল সিআইডি ও বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াড।  গতকাল  ওই বাড়িতে বিস্ফোরণে মৃত্যু হল দুজনের।   গতকালই বাড়িটি সিল করে দিয়েছিল পুলিস।

সপ্তমীতে অন্ধকারে ডুবে রইল হাওড়া সপ্তমীতে অন্ধকারে ডুবে রইল হাওড়া

পুজোতেও পিছু ছাড়ল না অন্ধকার। প্রতিমা, মণ্ডপের পাশাপাশি দুর্গাপুজোর অন্যতম আকর্ষণ আলোকসজ্জা উপভোগ করা থেকে বঞ্চিত থাকলেন দর্শনার্থীরা। মহাসপ্তমীর রাতে লাগাতার লোডশেডিংয়ে জেরবার ছিল হাওড়ার বিস্তীর্ণ এলাকা। সন্ধে থেকেই অন্ধকারে ডুবে যায় হাওড়ার কোনা, দাসনগর, বালিটিকুরি, বেলগাছিয়ার মতো জায়গাগুলি।

নবরাত্রিতে পদযাত্রা, ডান্ডিয়ায় মাতল শিলিগুড়ি নবরাত্রিতে পদযাত্রা, ডান্ডিয়ায় মাতল শিলিগুড়ি

শিলিগুড়ি শহরকে বলা হয় মিনি ইন্ডিয়া। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের এই শহরে বিভিন্ন প্রদেশের মানুষের বাস। প্রত্যেক উত্‍সবই নিজের মত পালন করে এই শহর। দুর্গাপুজো ও নবরাত্রির ক্ষেত্রেও তাই পিছিয়ে নেই শিলিগুড়ি। গুজরাটের আদলে একটি বিশাল ডান্ডিয়া উত্‍সবের আয়োজন করা হয়েছে এখানে। আট থেকে আশি। প্রায় সব বয়সের মানুষই নিজ নিজ সংস্কৃতি ও লোকনৃত্যকে তুলে ধরেন এই ডান্ডিয়া উত্‍সবে।

হাত ভেঙে আলিপুর-দুয়ারে ফুটল ঘাসফুলহাত ভেঙে আলিপুর-দুয়ারে ফুটল ঘাসফুল

কংগ্রেসের ছয় কাউন্সিলরের দলত্যাগকে হাতিয়ার করে আলিপুরদুয়ার পুরসভা দখল করল তৃণমূল কংগ্রেস। গোপন ব্যালটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন তৃণমূলের আশিসচন্দ্র দত্ত। ভাইস চেয়ারম্যান হয়েছেন তৃণমূলেরই রুমা চট্টোপাধ্যায়।

এবিপি আনন্দের খবরঃ

Sharad Ananda

মানুষ কোতল করতেও শিখেছি, জানাল রাজিয়া  

দেখলে মনে হবে তারা যেন আর দশটা গাঁয়ের সাধারণ মেয়ে-বৌয়েরই এক জন। কিন্তু, এতটাই শক্ত মন তাদের যে তাবড় পুলিশ ও গোয়েন্দাদের জেরার মুখে একবারের জন্যও কেঁপে উঠছে না ঠোঁট, চোখের পাতা। ...আরও»

আজ কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো, ঘরে ঘরে ধনদেবীর আরাধনা  

আজ কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো, ঘরে ঘরে ধনদেবীর আরাধনা। আগুন বাজার। ...  আরও»

তিন দিনের লক্ষ্মীপুজোর আগে রাত জাগছে গ্রাম  

দুর্গাপুজো আসে, চলেও যায়। গ্রামের বারোয়ারিতে পুজো হয় ঠিকই, তবে তা নামমাত্র সরঞ্জাম নিয়ে। আসল জাঁক তোলা থাকে লক্ষ্মী পুজোর জন্য। লক্ষ্মীপুজোর অপেক্ষায় বাক্সবন্দি থাকে নতুন জামাকাপড়ও। ...  আরও»

TOP STORIES

মোদির প্রশংসা বন্ধ করুন, তারুরকে সাবধান করল কেরল কংগ্রেস  

তারুরও আত্মপক্ষ সমর্থনে মুখ খুলেছেন। ...  আরও»

বিতর্কের পরও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী উপাচার্য হচ্ছেন অভিজিত্ চক্রবর্তী  

শত বিতর্কের পরও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী উপাচার্য হচ্ছেন অভিজিৎ চক্রবর্তী। শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর, অভিজিত চক্রবর্তীর নামে রাজভবনের সম্মতি মিলেছে। ...  আরও»

শাহরুখ-পুত্র ও অমিতাভের নাতনীকে জড়িয়ে নকল এমএমএস ক্লিপ ঘিরে ঝড় সোস্যাল নেটওয়ার্কে  

কিছুদিন আগে সত্যিই লন্ডনের এক নাইটক্লাবে একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল শাহরুখ-তনয়, বিগ-বি-র নাতনীকে। ...আরও»

টানা ২০বছর চলার পর মুম্বইয়ের মরাঠা মন্দিরে বন্ধ হতে চলেছে 'দিলওয়ালে দুলহনিয়া লে জায়েঙ্গে'র প্রদর্শন  

টানা প্রায় ২০ বছর চলার পর মুম্বইয়ের মরাঠা মন্দির প্রেক্ষাগৃহে বন্ধ হতে চলেছে 'দিলওয়ালে দুলহনিয়া লে জায়েঙ্গে'-এর প্রদর্শন৷ বলিউড এই ছবিটিই সিঙ্গল স্ক্রিনে দীর্ঘতম প্রদর্শনের রেকর্ড গড়েছে৷ শোনা যাচ্ছে, ...আরও»

মুক্তির চারদিনের মধ্যে ১৭৫ কোটি ৬১লক্ষ টাকার ব্যবসা করল হৃত্বিক-ক্যাটরিনার 'ব্যাং ব্যাং' 

মুক্তির পর চারদিনের মধ্যেই প্রায় ১৭৫ কোটি ৬১ লক্ষ টাকার ব্যবসা করল হৃত্বিক ক্যাটরিনার 'ব্যাং ব্যাং'৷ এর মধ্যে ভারতে ব্যবসার অঙ্ক ৯৪ কোটি ১৩ লক্ষ টাকা৷ ...  আরও»

সবাইয়ের থেকে টাকা নিন,কিন্তু ভোট একমাত্র বিজেপিকেই দিন:নিতিন গডকড়ী  

নয়াদিল্লিঃ মহারাষ্ট্রের লাতুরে এক নির্বাচনী জনসভায় আজ বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি ও কেন্দ্রীয়মন্ত্রী নিতিন গডকড়ী বলেন, যে যা দেবে তা অবশ্যই নিয়ে নেবেন, কিন্তু ভোট একমাত্র বিজেপিকেই দেবেন। ...  আরও»

বর্ধমান বিস্ফোরণ: মৃত শাকিলকে ঘিরে রহস্য  

...  আরও»

ছত্তিশগড়ের জঙ্গলে শীর্ষ মাওবাদী নেতা গণপতিকে ঘিরে ফেলেছে নিরাপত্তাবাহিনী?  

বিভিন্ন সূত্রে শোনা যাচ্ছে, গত ৯ মাসে দলে দলে মাওবাদী ক্যাডাররা সংগঠন ছাড়তে থাকায় পার্টির নেটওয়ার্ক দুর্বল হয়ে পড়তে থাকায় পরিস্থিতি বিশ্লেষণে দক্ষিণ ছত্তিশগড়ের অবুঝমারের জঙ্গলে গণপতি জরুরি বৈঠক কর ...  আরও»

ফেসবুকে বান্ধবীর দিকে হাত বাড়ানোয় বন্ধুকে খুন করে জেলে ব্রিটিশ যুবক  

হামফ্রি রাতের এক পার্টি থেকে ফেরার পথে রাগের মাথায় ২৯ বছরের রিচার্ড রোভেট্টোকে গাড়ির ভিতরেই এমন জোরে ঘুঁষি মারে যে ছেলেটি পড়ে যায়, গাড়ির মেঝেতে তার  মাথা ঠোক্কর খায়। ...  আরও»


সহস্রাব্দের সেরা মনিষী : ডঃ বি আর আম্বেদকর শরদিন্দু উদ্দীপন

Previous: হটাত কর‍্যা ঘুর্নি ঝড় আসে মানষের মেলা ক্ষতি হছে বারে। আসিছে ঘুর্নি ঝড়,এপার ওপার অশনিসংকেত ফেরার হওয়ার আগে এক প্রভাবশালীকে বিশাল অঙ্কের টাকা দিয়ে গিয়েছিলেন সুদীপ্ত সেন কে যে কবে ঝড়ের কাছে রেখে গেছেন ঠিকানা অচিন পাখিরা ঘরে ফিরে গেছে। আমরা যারা বেঁচে আছি,নীরার হাত ধরে দিবাস্বপ্নের রসগোল্লা নিয়ে বিজয়া উত্সবে মহিসাসুর বধের বর্ণ বৈষম্যে খন্ড বিখন্ড দ্বীপ হয়ে বিচ্ছিন্ন উটপাখী। পলাশ বিশ্বাস
$
0
0
সহস্রাব্দের সেরা মনিষী : ডঃ বি আর আম্বেদকর
শরদিন্দু উদ্দীপন 

এই আলোচনার শুরুতেই পাকিস্তানের ভূতপূর্ব প্রধান মন্ত্রী জুলফিকার আলি ভূট্টোর ফাঁসির আগের দিনের (৩রা এপ্রিল, ১৯৭৯) একটি বিরলতম বক্তব্যের উল্লেখ করা সমীচীন মনে করছি। , The New York Times ৪ঠা এপ্রিল যে বক্তব্যটি প্রকাশিত করে। ভুট্টো সাহেব কৌতুকের সাথে বলেছিলেন, "জিয়া-উল-হক আমাকে ফাঁসি দেবে কারণ এখানে মিলিটারী রাজ কায়েম হয়েছে। ১৯৪৭ সালে মুসলমানরা পেয়েছে পাকিস্তান আর হিন্দুরা পেয়েছে ইন্ডিয়া। অবশ্যই আমরা স্বাধীনতা স্বরূপ পাকিস্তান নামক ভূখণ্ড পেয়েছি; কিন্তু হায়! আম্বেদকর নামক মহামানবের পথ অনুসরণ করে জ্ঞান ইন্ডিয়ার সাথে মিলিত হয়েছে। আম্বেদকর মহম্মদ আলি জিন্নাকে ভারত ভাগ না করার জন্য অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু তাঁর সতর্ক বানী জিন্না উপেক্ষা করেছিলেন। আম্বেদকর ছিলেন কাল দ্রষ্টা। তিনি জানতেন যে, স্বাধীনতা সহজে পাওয়া যায়, কিন্তু শাসন পরিচালনা করা, গণতান্ত্রিক সংবিধান প্রবর্তন করার জন্য প্রয়োজন হয় জ্ঞানের এবং এই জ্ঞান সহজ লভ্য নয়। পাকিস্তানের নেতারা জ্ঞান লব্ধ করতে পারেনি যা আম্বেদকর অর্জন করেছিলেন"। আনন্দের কথা যে, মুসলমানেরা পাকিস্তান পেয়েছে। কিন্তু জ্ঞানের অভাবে পাকিস্তানের সংবিধানে থেকে গেছে দুর্বলতা ও অসংখ্য ছিদ্র এবং স্বৈরতান্ত্রিক পরিকাঠামো। এই স্বৈরতান্ত্রিক পরিকাঠামোয় রাজা হলেন সিংহ আর জনগণ হলেন মেষ। সিংহ যে কোন মেষকে ভক্ষণ করতে পারে।...কিন্তু মহাজ্ঞানী আম্বেদকর অসাধারণ প্রজ্ঞায় সংবিধান রচনা করে ভারতকে রক্ষা করেছেন এবং জ্ঞানকে জনগণের মধ্যে সঞ্চালিত করেছেন"। (Ref : Dalit Voice, 1-15 June, 2005, ) 
ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গোড়ার কথাঃ 
কিছুদিন আগে (২৮শে মে ২০১১) গোয়া থেকে প্রকাশিত "দি নভহিন্দ টাইমস"নামে একটি পত্রিকায় আর সি রাজামনির The Less Known Side of B. R Ambedkar নামক একটি প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়। এই প্রবন্ধে তিনি উল্লেখ করেন যে, বিংশ শতকের গোড়া থেকেই ভারতের অর্থনীতি ও মুদ্রা ব্যবস্থা একটি ভয়ঙ্কর সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিল। এই সমস্যা সমাধান করার জন্য ব্রিটিশ সরকার Hilton Young Commission গঠন করেন। এই কমিশন যখন ভারতবর্ষে আসেন তখন কমিশনের সদস্যদের হাতে হাতে ডঃবিআর আম্বেদকরের লেখা "The Problem of the Rupee – Its origin and its solution."ঘুরতে দেখা যায়। বাবা সাহেব হিল্টন কমিশনের সামনে তাঁর লেখা "Evidence before the Royal Commission on Indian Currency and Finance"এবং "The Problem of the Rupee – Its origin and its solution."থেকে বক্তব্য রাখেন। তিনি অকপটে বলেন যে, "অর্থনৈতিক ও সামাজিক শোষণের অন্তরায় সমস্ত উপাদানগুলিকে দূর করতে হবে। আমরা জমিদারতন্ত্রের দখলদারী ও ভূমিহীন সর্বহারা শ্রমিক দেখতে চাইনা। আদর্শ অর্থনীতির ভিত্তি হল স্বাধীনতা ও কল্যাণ। পুঁজিপতিদের দ্বারা পরিচালিত সামজিক ও অর্থনৈতিক ভারসাম্যহীন উৎপাদনের পরিসমাপ্তি ঘটাতেই হবে"।
সংসদে এই বক্তব্য গৃহীত হয় এবং ১৯৩৪ সালে আরবিআই অ্যাক্ট পাশ হয়। অর্থাৎ বাবা সাহেবের প্রদর্শিত পথেই অর্থনৈতিক ও মূদ্রা ব্যবস্থার গতিমুখ পুঁজিপতি কেন্দ্রীক প্রবণতা থেকে জনমুখী বাস্তবতায় পরিণত হয়। এমন জনমুখী অর্থনৈতিক নীতি নির্ধারণের ফলেই রাষ্ট্রীয় সমস্ত সম্পদের ভাগীদার হয়ে ওঠে জনগণ। রাষ্ট্র হয়ে ওঠে নিয়ন্ত্রক শক্তি। এখানে বলে রাখি যে আম্বেদকর তাঁর মাষ্টার ডিগ্রীর জন্য Ancient Indian Commerce'এর উপরে থিসিস করেন এমএসসিতে থিসিস করেন 'The Evolution of Provincial Finance in British India'এর উপর এবং ডিএসসি তে "The Problem of the Rupee – Its origin and its solution."নিয়ে গবেষণা পূর্ণ করেন।
Tribute to Dr. Ambedkar at Columbia University:
আর একটি মহান ঘটনার কথা এখানে উল্লেখ করছি এই কারণে যে এই ঘটানার মাধ্যমে ডঃ বি আর আম্বেদকর এমন উচ্চতায় প্রতিষ্ঠিত হন যে তাঁর অতিবড় সমালোচকেরাও বিস্ময়ে হতবাক হয়ে যান। কারণ অনেক সামালোচকই তখন পর্যন্ত বাবাসাহেবকে জাতীয় নেতা হিসেবেও মেনেনিতে দ্বিধা করতেন। তারা আম্বেদকরকে একটি প্রাদেশিক নেতা হিসেবে প্রচার করতে ভালবাসতেন। ঘটনাটি ২০১০ সালের (Tribute to Dr Ambedkar at Columbia University: Prof. Nicolas Dirks,http://c250.columbia.edu/c250_celebrates/remarkable_columbians/bhimrao_ambedkar.html published: 04 Nov 2010)। 
এই সময় আমেরিকার কলোম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৫০ বছরের ইতিহাসের উপর একটি গবেষণা মূলক সমীক্ষা চালায়। কলোম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক সম্মান লাভ করেছেন এরকম ৬৪ জন জগৎবিখ্যাত মনিষীর মধ্যে এই সমীক্ষা চালানো হয়। ২০১০ সালের ১৫ এপ্রিল রাত ৮ঃ০৫ টায় একটি ওয়েব সাইট থেকে আমরা জানতে পারি যে, এই জগত বিখ্যাত শ্রেষ্ঠ মনিষীদের মধ্যে যিনি সর্ব প্রথম স্থান অধিকার করেছেন তিনি বাবা সাহেব ডঃ বি আর আম্বেদকর। এযুগের বোধিসত্ব। কসমিক মার্গ দর্শনের একনিষ্ঠ পরিব্রাজক। 
যার ওয়েবসাইট থেকে আমরা এখবর জানতে পারি তিনি প্রফেসর গেইল ওমভেট। যিনি বাবা সাহেব ডঃ বি আর আম্বেদকরের জীবন ও আদর্শের উপর পি এইচ ডি করেছেন এবং আমেরিকার সম্ভ্রান্ত পরিবারের বৈভব ছেড়ে দিয়ে আম্বেদকর এবং গোতমা বুদ্ধের জ্ঞান সমুদ্রের সন্ধানে নিজেকে উৎসর্গ করেছেন। মহারাষ্ট্রে এসে দীর্ঘদিন গবেষণা করেছেন এবং মারাঠি সন্তান ডঃ পতঙ্কর কে বিয়ে করে আম্বেদকরের জীবনাদর্শকে সর্বশ্রেষ্ঠ স্থানে তুলে ধরছেন। তিনি কৃতজ্ঞ চিত্তে উল্লেখ করেছেন যে এই মহামানবদের প্রদর্শিত পথেই আছে পৃথিবী ও মানুষের নিশ্চিত কল্যাণের পথ। There is no parallel to these philosophies". ২০১২ সালের ১০ই জুলাই, London School of Economics সারা বিশ্বের একজন সেরা মনিষী হিসেবে সম্মানিত করে। ঠিক একই বছরে Oxford University তাঁকে ১০০০ বছরের সেরা মনীষী হিসেবে সম্মানিত করে। কিন্তু এই খবরটি চক্রান্তকারীরা হ্যাক করে দেয়। 
এর পরেই সিএন আই বি এন এবং দি হিষ্ট্রি চ্যানেল আয়োজিত জনমতের ভিত্তিতে একটি প্রতিযোগিতা আয়োজিত হয় ভারতবর্ষে। এই অনুষ্ঠানের নাম ছিল The Greatest Indian After Gandhi (জনান্তিকে বলে রাখি এই বিতর্ক শুরু হয়েছিল মাত্র দুজন মানুষের মধ্যে। এরা ছিলেন মোহন দাস করমচাঁদ গান্ধী ও ডঃ ভীম রাও রামজী আম্বেদকর। জনমতের ভিত্তিতে গান্ধী কেবল ২২% ভোট পায়। এবং বাবা সাহেব পান ৭৮% ভোট। কোন অজ্ঞাত কারণে সেই প্রক্রিয়াটি বাতিল হয় এবং পরে গান্ধীকে বাদ দিয়ে ভারতের ৫০ জন ব্যক্তিকে The Greatest Indian এর তালিকায় রাখা হয়।)
২০১২ সালের ১১ই আগস্ট। সাবানা আজমী, অমিতাভ বচ্চন সহ সমস্ত জুরীদের বিচারে বাবা সাহেব ডঃ বি আর আম্বেদকর কে The Greatest Indian হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
কিন্তু এর পরেও কি প্রতিক্রিয়াশীলরা বাবা সাহেবের বিরুদ্ধে তাদের চক্রান্ত বন্ধ করেছেন? মেনে নিয়েছেন তার শ্রেষ্ঠত্ব? আমরা যদি এমন মনে করে থাকি তা হবে বাস্তব থেকে আমাদের দূরে থাকার একটি নির্মম পরিহাস। আমরা যা বরাবরই করে এসেছি বা করতে ভালবাসি। আর আমাদের এই নির্লিপ্ততার বা অজ্ঞতার পূর্ণ সুযোগ নিয়ে প্রতিক্রিয়াশীলেরা বাবা সাহেবকে সাম্রাজ্যবাদীদের মদতদাতা হিসেবে প্রমান করার চরম খেলায় মেতে উঠেছে। এরকম দুটি খেলার প্রামান্য উদাহরণ আমি এর আগের লেখাগুলিতে আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। তার খানিকটা এই আলোচনার সাথেও সংযোজন করলাম।
ডঃ বি আর আম্বেদকরের ভাগিদারী দর্শনঃ 
ভারতীয় বহুজন সমাজ জাতপাতের কারণেই বঞ্চনার স্বীকার । হিন্দু বর্ণ ব্যবস্থায় সংখ্যা গরিষ্ঠ মানুষকেই জাতের জাঁতাকলে সর্বহারা করা হয়েছে যুগ যুগ ধরে। জাতপাতকে ধর্মীয় মহিমা দিয়ে মুষ্টিমেয় কিছু মানুষ রাষ্ট্রীয় উৎপাদনের প্রায় সবটাই আত্মসাৎ করছে। যে রাজনীতির পেষা কলে ফেলে সংখ্যা গরিষ্ঠ মানুষকে শুধু সম্পদ থেকে বঞ্চিত করা হয়নি,মর্যাদাহীন করে পশুসুলভ জীবন যাপন করতে বাধ্য করা হয়েছে। বঞ্চিতের আত্ম বিকাশের অন্তরায়,শোষণ যন্ত্রের এই জগদ্দল পাথরটাকে গুড়িয়ে দেওয়াই আম্বেদকরের মিশন । 
বহুজনের পারস্পরিক সহাবস্থানের ভিত্তিতে বিভেদের শেকড় সমূলে উৎপাটন করার কথা বলে এই দর্শন। আম্বেদকর দর্শণের এটাই সব থেকে বড় মূলধন।
এই মিশন "Survival for the fittest"নয় । নয় struggle for exhistance এর উন্মত্ত রণহুঙ্কার। বা প্রতিশোধ পরায়ণ ক্ষমতা দখলের দস্তাবেজ । যে লড়াইয়ের অন্য প্রান্তে অবস্থান করে শ্রেণী শ্ত্রু। যাকে রণনীতি বা রণকৌশলের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মাধ্যমে পরাভূত করে প্রোলেতারিয়েতের শাসন কায়েম করতে হয় । এই আদিম হিংস্র মানবিকতার বৈদেশিক ব্যখ্যা আম্বেদকরবাদে জায়গা পায়নি। বরং পরম মিত্রতা বা ভাইচারাই চিরস্থায়ী ভাবে বৈরিতার অবসান ঘটাতে পারে, ভারতীয় দর্শনের এই অমর বাণী তিনি মেনে নিলেন।
সমাজ বিবর্তনের ইতিহাসে বাবা সাহেব ডঃ বি আর আম্বেদ করের মতাদর্শ কালের এক অনিবার্য ভবিষ্যলিপি। এ মতাদর্শ শুধুমাত্র ভারতবর্ষে নয় বরং সমগ্র পৃথিবীর মঙ্গল বার্তা হিসেবে প্রতিধ্বনিত হচ্ছে। পৃথিবীর সর্বজনের কল্যাণে ক্রমপ্রকাশিত এই আলোক বর্তিকা যে মহামিলনের এক ক্ষেত্রে পরিণত হবে তার আভাস কিন্তু পাওয়া যাচ্ছে দিকে দিকে।
এতে প্রোমাদ গুনতে শুরু করেছে মনুবাদীরা। যাদের এক এবং অদ্বিতীয় এজেন্ডা বর্ণ ব্যবস্থা কায়েম রাখা। এবং আম্বেদকর নির্মিত ভারতীয় সংবিধান সম্পূর্ণ ধ্বংস করে মনুস্মৃতিকে সংবিধান হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা। 
সাম্প্রতি বিজেপির ঘোষিত প্রধান মন্ত্রী পদের দাবিদার গুজরাট গণহত্যার নায়ক মোদির ভাষণে এই জায়নবাদী যুদ্ধের দামামা আমরা শুনতে পেয়েছি। শুরু হয়েছে হুঁকার র্যাবলি।
কিন্তু সব থেকে অবাক করে দিয়েছে বামপন্থীদের আগাম বার্তা। মনুবাদীদের সাথে একই সুরে সুর মিলিয়ে বাবা সাহেব ডঃ বি আর আম্বেদ করের বিরুদ্ধে তারাও ষড়যন্ত্রে সামিল হয়েছে। এই যুদ্ধের মাষ্টার প্লান যে একই চৌখুপির আদলে তৈরি হয়েছে তা বোঝা যায় পরপর দুটি সম্মেলন থেকে। প্রথমটি সমাজবিজ্ঞানী আশিস নন্দীর জয়পুর কর্পোরেট বই মেলা এবং অপরটি চন্ডীগড়ে আয়োজিত কোলকাতার বামপন্থী বুদ্ধিজীবীদের দ্বারা পরিচালিত সেন্টার ফর সোস্যাল স্টাডিজ এর জাতি বিমর্শ সম্মেলন। এই দুটি সম্মেলনের চরিত্রই এক। একই সুরে ভিন্ন গান। একটিতে মূলনিবাসী বহুজন সমাজকে ভ্রষ্টাচারের জন্য অপরাধী ঘোষণা। অন্যটিতে মুলনিবাসী বহুজন সমাজের রাষ্ট্র ক্ষমতা অর্জনের ভাগিদারী সামাজিক শৈলীর নির্মাতা বাবা সাহেব ডঃ বিআর আম্বেডকরকে খারিজ করে দেওয়া !
জয়পুর সাহিত্য সম্মলনের মতই চণ্ডীগড় সম্মেলনও বহুজনবিরোধী মঞ্চে পরিণত হয় এবং সেখানে আম্বেডকরকে ভারতীয় আর্থ সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে অপ্রাসঙ্গিক হিসেবে ঘোষণা করা হয় এবং তাঁকে পুঁজিবাদ ও সাম্রাজ্যবাদের সমর্থক সাব্যস্ত করার প্রবল চেষ্টা হয়!
অর্থাৎ মূলনিবাসী বহুজনের স্বাধিকার, আত্তবিকাশ, আত্তমর্যাদা,স্বশক্তিকরন ও সক্ষমতা আর্জনের বিপক্ষে মাক্সবাদী-গান্ধীবাদী-মনুবাদীরা সব এক। একই সঙ্গে এটাও পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে যে, বিভিন্ন মতাদর্শের বিচিত্র রঙা সাইনবোর্ডের আড়ালে লুকিয়ে থাকলেও আসলে ওরা এক। ওরা বুঝতে পেরেছে যে, বাবা সাহেবের Social inclusive doctrine ৮৫% মূলনিবাসী বহুজন সমাজকে কেন্দ্রীভূত করে তুলবে। এবং এই ভাগিদারী সামাজিক শৈলী মুলনিবাসী বহুজনদের রাষ্ট্র ক্ষমতার কেন্দ্র বিন্দুতে নিয়ে আসবে। 
এবং শ্রেণি-সংগ্রামহীন, হিংসাশ্রয়ী রক্তরঞ্জিত যুদ্ধ ছাড়াই সংঘটিত হবে এক নিঃশব্দ রাষ্ট্র বিপ্লব। সর্বজনের কল্যাণে সর্বজনের রাষ্ট্রীয় উত্থান। আত্তউপলব্ধি ও আত্তিকরণের এমন নিঃশব্দ সামাজিক নির্মাণ সাধিত হলে একই সঙ্গে চতুর্বর্ণের ঘৃণার পাহাড় এবং শোষক-শোষিতের আজন্ম লড়াইয়ের মিথ্যে ধাপ্পা আস্তাকুড়ে জায়গা নেবে।
এটাই ওদের ভয়। তাই সব শিয়ালের এক রা ! একই সঙ্গে (মাক্সবাদ +মনুবাদ+গান্ধীবাদ)আক্রমণ শানাও। ত্রিশূল আর কাস্তেতে শান দাও। রামধুন জপ করো। মাওবাদীদের আমদানি করো। মোদির সাথে গলা মিলিয়ে বল ভারত নির্মাণের জন্য যুদ্ধ চাই। মহাপ্রলয় ছাড়া মহা নির্মাণ হয়না।
না, এ আশঙ্কা একেবারে অনৈতিহাসিক নয়। বরং বাবাসাহেব এমনটাই ভবিষ্যবানী করেছিলেন। মাক্সবাদকে সমাজ পরিবর্তনের একটি অনবদ্য পন্থা হিসেবে স্বীকার করলেও ভারতীয় মাক্সবাদীদের প্রতি তার কোন বিশ্বাস ছিলনা। বরং তিনি বলেছিলেন যে, এরা সবুজ ঘাসের আড়ালে লুকিয়ে থাকে দুমুখো বিষধর সাপ। সুজোগ পেলেই ছোবল মারবে। মনুবাদীদের বংশধরেরাই মাক্সবাদীদের ডিক্লাসড লিডার। তাই মার্ক্সবাদের নামে এরা মনুবাদকেই কায়েম করবে। 
এই বিষয়টি আরো পরিষ্কার করে দিয়েছিলেন মান্যবর কাশীরাম জি। তার অমোঘ ঘোষণা ছিল, মূলনিবাসীরা রাজনৈতিক উত্থানের মাধ্যমে রাষ্ট্র ক্ষমতা অর্জনের দিকে এগিয়ে গেলে সব মনুবাদী শক্তি এক হয়ে যাবে। 
কারণ সব রসুনের গোড়া এক জায়গায়। যার নাম মনুবাদ। বহিরাগত শোষকদের Divine প্রভুত্বের জীয়ন কাঠি"। 

মাতৃভাষা প্রসঙ্গে

Buy 100% Genuine Approved Google Adsense Account (Guaranteed)

Next: अलकायदा और जिहाद के नेटवर्क में बंगाल के मुसलमानों की व्यापक भागेदारी का किस्सा जो भयंकर है हीरक चतुर्भुज के हर मोड़ पर मौत दबे पांव कटखने भेड़ियों की तरह घात लगाकर बैठी है। जिस मकान की दूसरी मंजिल पर अलकायदा और जिहाद का कारखाना रहा है और जहां बम विस्फोट हुआ,उसी मकान की पहली मंजिल पर सत्तादल का कार्यालयबम विस्फोट से पहले से मौजूद रहा है।तो क्या अलकायदा और जिहादियों का यह नेटवर्क सत्तादल के संरक्षण के बिना चल सकता है,यह सवाल मौजूं है।लेकिन राजनीतिक भूमिका की जांच पड़ताल किये बिना जिस तरह बंगाल में वर्दमान के एक कस्बे पूर्वस्थली में एक बम विस्पोट के मामले को नाइन एलेविन और इलेविन नाइन बतौर पेश करके जांच पूरी होने से पहले इसे धर्मोन्मादी चेहरा दिया जा रहा है,वह भारतीय लोकतंत्र,नागरिक और मानवाधिकार के लिए बेहद चिंताजनक है। पलाश विश्वास
$
0
0
Are you tired of applying for your Google Adsense Account?
Do you get Rejected everytime when your apply for Adsense? 
AdSense account disabled or Suspended before ?
Getting traffic but not makeing money out of it ?
we provide you Full Appoved adsense for your website 
website+adsense= $$$$
see below link to see detils to buy account  

we have 4.5 year Experience in online marketing 
we earning 2000 to 3000 USd per month from adsense
we have  700 + Satisfied Customers Over 4.5 years

Bulk price would be considered on very low rate.
We are providing Google Adsense Account For All over the World 
Australia, Canada ,Finland, New Zealand, Switzerland United States ,United Kingdom, India

if you have any Query please let me know
Skype:- Anil.verma1392

अलकायदा और जिहाद के नेटवर्क में बंगाल के मुसलमानों की व्यापक भागेदारी का किस्सा जो भयंकर है हीरक चतुर्भुज के हर मोड़ पर मौत दबे पांव कटखने भेड़ियों की तरह घात लगाकर बैठी है। जिस मकान की दूसरी मंजिल पर अलकायदा और जिहाद का कारखाना रहा है और जहां बम विस्फोट हुआ,उसी मकान की पहली मंजिल पर सत्तादल का कार्यालयबम विस्फोट से पहले से मौजूद रहा है।तो क्या अलकायदा और जिहादियों का यह नेटवर्क सत्तादल के संरक्षण के बिना चल सकता है,यह सवाल मौजूं है।लेकिन राजनीतिक भूमिका की जांच पड़ताल किये बिना जिस तरह बंगाल में वर्दमान के एक कस्बे पूर्वस्थली में एक बम विस्पोट के मामले को नाइन एलेविन और इलेविन नाइन बतौर पेश करके जांच पूरी होने से पहले इसे धर्मोन्मादी चेहरा दिया जा रहा है,वह भारतीय लोकतंत्र,नागरिक और मानवाधिकार के लिए बेहद चिंताजनक है। पलाश विश्वास

$
0
0

अलकायदा और जिहाद के नेटवर्क में बंगाल के मुसलमानों की व्यापक भागेदारी का किस्सा जो  भयंकर है

हीरक चतुर्भुज के  हर मोड़ पर मौत दबे पांव कटखने भेड़ियों की तरह घात लगाकर बैठी है।


जिस मकान की दूसरी मंजिल पर अलकायदा और जिहाद का कारखाना रहा है और जहां बम विस्फोट हुआ,उसी मकान की पहली मंजिल पर सत्तादल का कार्यालयबम विस्फोट से पहले से मौजूद रहा है।तो क्या अलकायदा और जिहादियों का यह नेटवर्क सत्तादल के संरक्षण के बिना चल सकता है,यह सवाल मौजूं है।लेकिन राजनीतिक भूमिका की जांच पड़ताल किये बिना जिस तरह बंगाल में वर्दमान के एक कस्बे पूर्वस्थली में एक बम विस्पोट के मामले को नाइन एलेविन और इलेविन नाइन बतौर पेश करके जांच पूरी होने से पहले इसे धर्मोन्मादी चेहरा दिया जा रहा है,वह भारतीय लोकतंत्र,नागरिक और मानवाधिकार के लिए बेहद चिंताजनक है।


पलाश विश्वास


ईमानदारी की छवि दांव पर है लेकिन महिषासुर मर्दिनी को उनके चक्षुदान करने के बाद अभी बंगाल में अवकाश और उत्सव का सिलसिला दिवाली तक जारी रहना है।बहुत कोफ्त हो रही थी कि दुर्गोत्सव के नाम पर खबरें बिल्कुल पोत दी गयी कार्निवाल कालर में और पूरा बंगाल थोक रिटेल मार्केट में बदल गया।


बंगाल में सारे अखबार बंद थे।आज अखबार प्रकाशित हुए।टीवी चैनलों पर उत्सव का माहौल।आज से समाचारों का स्पेस खुला।


लेकिन सुबह अखबारों में हमेशा की तरह जनसमस्याएं गायब और जनता के सारे मुद्दे गायब,धार्मिक सांप्रदायिक ध्रूवीकरण का फूल तड़का देखकर बहुत कोफ्त इस बात को लेकर हुई कि आखिर हम अखबार देखने से बाज क्यों नहीं आते और इन विज्ञापनी वियाग्रा विकाससूत्रों की हमें क्योंकर जरुरत है।


टीवी चैनल पर पैनल लौट आये हैं।


राष्ट्रीय चैनलों पर धर्म,ज्योतिष,सेक्स ,खेल,सोप कार्निवाल के साथ सत्ता राजनीति की मारकाट के युद्धक आयोजन है तो बंगाल में सारे मुद्दे किनारे रखकर बांग्लादेश और पश्चिम बंगाल में मुसलमानों के आतंकवादी बनाये जोने की खबरें और मुहिम अखबारों से बढ़चढ़कर है।


ईटेलिंग की महिमा से साड़ी गहना मोबाइल से लेकर किराना और मछली सब्जी खुदरा बाजार भी बेदखल हो गया है।


कंपनियां जो इंडिया इंकारपोरेशन में नहीं हैं,जिनका विदेशी बहुराष्ट्रीय कंपनियों से साझा नहीं है,उनका भी दफा रफा।


हम शुरु से लिखते रहे हैं कि अब मृत्युजुलूस हमारे खुदरा बाजार से निकलने वाला है और कृषि के बाद व्यवसाय से बेदखल कर रही है आम जनता को,छोटे और मंझोले कारोबारियों को बनियों की यह बिजनेस फ्रेंडली सरकार।


अमाजेन,स्नैपडील,फ्लिपकार्ट के बड़बोले दावों,छूट के छलावा में फंसती जा रही है जनता तो त्योहारी सीजन में बड़ी पूंजी को छोड़कर हर तरह का कारोबार संकट में है।


फ्लिपकार्ट वैब क्रैश फ्लिप कार्ट का पर्दाफास नहीं है लेकिन,यह खुदरा कारोबार की मौत की घंटी है।उपभोक्ता भारत के डिजिटल देश में फिजिकल खुदरा बाजार में मांग का अवसान है यह।


यही वह हीरक चतुर्भुज बहुराष्ट्रीय है।जिसके हर मोड़ पर मौत दबे पांव कटखने भेड़ियों की तरह घात लगाकर बैठी है।


त्योहारी सीजन का दूसरा बड़ा उपहार प्रीमियम रेलवे टिकट है।


रेलवे के निजीकरण के बाद बुलेट ट्रेन देने का सपना दिखा रही सरकार ने रेल किराये का विनियंत्रण कर दिया है और अब रेलवे टिकट एडवांस खरीदने पर वास्तविक यात्रा के वक्त बदले हुए किराये के साथ अतिरिक्त भुगतान के लिए भी तैयार रहे।


पेट्रोल डीजल चीनी के बाद अब बाजार के सारे मूल्य प्रतिमान विनियंत्रित होने हैं और जयजयकार सत्तावर्ग की क्रयशक्ति की।


आम जनता के लिए आस्था में जिंदगी और भगदड़ में मौत के अलावा प्राकृतिक जीवन कुछ भी बचा नहीं है।


इसीलिए धर्मोन्मादी कार्निवाल में धर्मोन्मादी ध्रूवीकरण।


इसीलिए बदनाम गुजरात और असम के बदले बंगाल में यह खतरनाक आत्मघाती खेल।


नब्वे फीसद अरण्य सारे कायदे कानून और भारतीय संविधान को कारपोरेट हवाले करके जनता से बेदखल किये जाने हैं तो बाकी सारे संसाधनों से हाथ धोने वाली है जनता।


रोजी रोटी से हाथ धोकर रोज रोज मंहगाई और भुखमरी के आलम में मर मरकर जीने वाली है जनता।




देशभक्त नागरिक बतौर हमें कानून के राज में पूरी आस्था है।हम न लालू की जेल यात्रा पर रोये और न हम जयललिता के लिए आंसू बहा रहे हैं जबकि तमिल जनाता की भावनाओं का हम पूरा सम्मान करते हैं।


कानून को कानून का काम करने देना चाहिए।

ऐसा लेकिन हो नहीं रहा है।


बंगाल में हर चैनल पर,हर अखबार में दावे के साथ अलकायदा और जिहाद के नेटवर्क में बंगाल के मुसलमानों की व्यापक भागेदारी का किस्सा है।एक इंच स्पेस,सिंगल बाइट को भी बेजां जाने नहीं दिया जा रहा है।जबकि हिंसा,बमविस्फोट और खून की नदियां बंगाल में सत्ता समीकरण और वोट बैंक पोषण के अनिवार्य अंग है।


जिस मकान की दूसरी मंजिल पर अलकायदा और जिहाद का कारखाना रहा है और जहां बम विस्फोट हुआ,उसी मकान की पहली मंजिल पर सत्तादल का कार्यालयबम विस्फोट से पहले से मौजूद रहा है।तो क्या अलकायदा और जिहादियों का यह नेटवर्क सत्तादल के संरक्षण के बिना चल सकता है,यह सवाल मौजूं है।लेकिन राजनीतिक भूमिका की जांच पड़ताल किये बिना जिस तरह बंगाल में वर्दमान के एक कस्बे पूर्वस्थली में एक बम विस्पोट के मामले को नाइन एलेविन और इलेविन नाइन बतौर पेश करके जांच पूरी होने से पहले इसे धर्मोन्मादी चेहरा दिया जा रहा है,वह भारतीय लोकतंत्र,नागरिक और मानवाधिकार के लिए बेहद चिंताजनक है।


यूपी,गुजरात और महाराष्ट्र में तो ऐसा पहले से होता रहा है।लेकिन बंगाल में ऐसा तब हो रहा है जबकि छात्र आंदोलन में शाहबाग और जादवपुर एकाकार है,जबकि इस उपमहाद्वीप की युवाशक्ति सीमाओं के आर पार न्याय,लोकतंत्र और धर्मनिरपेक्षता के लिए साथ साथ समांतर तरीके से सड़कों पर मानव बंधन रच रही है।तब यह धर्मोन्मादी रंगरोगन है जबकि शाहबाग और जादवपुर दोनो अराजनीतिक आंदोलन के मार्फत कट्टरपंथ के बिभिन्न धड़ों को हमसक्ल मेले में बिछुड़े मौसेर भाई बताकर उन्हें एक ही रस्सी पर फांसी देने का नारा बुलंद करने लगी है।


इसी बीच, बांग्लादेश में हसीना के तख्ता पलट की हरसंभव कोशिशें जारी हैं।सीमापार भी सांप्रदायिक उन्माद भड़काये जाने की साजिशें चल रहीं हैं।तसलिमा नसरीन परहैदराबाद में दो साल पहले हुए मुस्लिम कट्टरपथियों के हमले को हिंदुत्ववादियों का हमला बताकर तसलिमा के अश्लील चरित्रहनन के साथ बांग्लादेश के मुसलमानों को बदले के लिए उकसाया जा रहा है।


राममंदिर आंदोलन को शौचालय आंदोलन में बदलकर  जनता से सीधे कनेक्ट करने की भारतीय प्रधानमंत्री नरेंद्र मोदी की पहल का इस तरह जवाब दिया जा रहा कि दर्मस्थल आंदोलन न सही,भारत के सारे विधर्मियों को राष्ट्रद्रोही साबित करा दिया जाये और यह मुहिम कल तक प्रगतिशील वाम आंदोलन के गढ़ बंगाल में चल रहा है।


ममता बनर्जी ने जादवपुर में पुलिस बुलाकर एक मुश्त नंदीग्राम और रवींद्रसरोवर दोहराने वाले अस्थाई उपकुलपति को अब पूजा अवकाश की आड़ में स्थाई बना दिया है।पूजा के दौरान भी होक कलरव की गूंज थी।गूंज थी इस नारे की भी,इतिहासेर दुटि भूल,सीपीएम और तृणमूल।गिरफ्तारियां जारी हैं।और अवकाश के बाद इसपार उसपार सम्मिलित छात्र युवाशक्ति का लोकतंत्र,न्याय,समता,धर्म निरपेक्षता का आंदोलन फिर तेज होनेवाला है।लेकिन इस मामले में राजनीति न ममता केखिलाफ गोलबंद है और न छात्रों के हक में मोर्चाबंद है।


शारदा समूह का पैसा बंगाल की सत्ता राजनीति ने जमायत हिफाजत तक हसीना का तख्ता पलट करके वहां कट्टरपंथी इस्लामी गठबंधन के हवाले करने के लिए जो भेजा,आतंकी उग्रवादी संगठनों की मदद की जो राष्ट्रद्रोही हरकतें हुई,उसके विरुद्ध वाम दक्षिण राजनीति में सन्नाटा है।


लेकिन सारा जोर बंगाल और बांग्लादेश के बंगदाली साझा भूगोल की मुसलमान आबादी को राष्ट्रद्रोही और आतंकवादी साबित करने की है।अगर वे हैं तो तहकीकात के तहत उन्हें कड़ी से कड़ी सजा मिले ,इसमें दो राय नहीं हो सकती।


लेकिन कुछ भी साबित होने से पहले अंधेरे में तीर छोड़कर बेगुनाहों को लहूलुहान करने के इस खतरनाक केल का असली मकसद शारदा सीबीआई जाल में फंसी बड़ी मछलियों से आम जनता औरकानून व्यवस्ता,जांच एजंसियों का ध्यान बंटाने का कोई वैज्ञानिक करिश्मा नहीं है,ऐसा दावे के साथ कही नहीं जा सकता।


इसके अलावा सत्ता की राजनीति छात्रों और युवाओं को जब सत्ता समीकरण के मुताबिक हांक नहीं सकती,तो उसे भटकाने के लिए भी ऐसा करतब दोहरा सकती है।

जनता के मुद्दों और मुक्त बाजार में नरकयंत्रणा के अंधकार को पीछे छोड़कर लाल हरी केसरिया रोशनियों से सराबोर यह सत्ता की राजनीति हम भारतीयों नागरिकों को एक दूसरे केखिलाफ खड़ा कर रही है



একটি সহজ কথায় সরল জিজ্ঞাসা ঃ- 'মতুয়া'ধর্মাবলম্বী কোনো মৃত ব্যক্তির নামের আগে 'স্বর্গীয়'শব্দ ব্যবহার করা উচিৎ কি না ।

Previous: अलकायदा और जिहाद के नेटवर्क में बंगाल के मुसलमानों की व्यापक भागेदारी का किस्सा जो भयंकर है हीरक चतुर्भुज के हर मोड़ पर मौत दबे पांव कटखने भेड़ियों की तरह घात लगाकर बैठी है। जिस मकान की दूसरी मंजिल पर अलकायदा और जिहाद का कारखाना रहा है और जहां बम विस्फोट हुआ,उसी मकान की पहली मंजिल पर सत्तादल का कार्यालयबम विस्फोट से पहले से मौजूद रहा है।तो क्या अलकायदा और जिहादियों का यह नेटवर्क सत्तादल के संरक्षण के बिना चल सकता है,यह सवाल मौजूं है।लेकिन राजनीतिक भूमिका की जांच पड़ताल किये बिना जिस तरह बंगाल में वर्दमान के एक कस्बे पूर्वस्थली में एक बम विस्पोट के मामले को नाइन एलेविन और इलेविन नाइन बतौर पेश करके जांच पूरी होने से पहले इसे धर्मोन्मादी चेहरा दिया जा रहा है,वह भारतीय लोकतंत्र,नागरिक और मानवाधिकार के लिए बेहद चिंताजनक है। पलाश विश्वास
$
0
0
একটি সহজ কথায় সরল জিজ্ঞাসা ঃ- 'মতুয়া' ধর্মাবলম্বী কোনো মৃত ব্যক্তির নামের আগে 'স্বর্গীয়' শব্দ ব্যবহার করা উচিৎ কি না ।
পবিত্র বিশ্বাস ।

'মতুয়া' ধর্মাবলম্বী কোনো মৃত ব্যক্তির নামের আগে 'স্বর্গীয়' শব্দ ব্যবহার করা কী উচিৎ ? এ বিষয়ে প্রথমেই একটা কথা সকলেরই জেনে রাখা দরকার - " স্বর্গ " কী ? এর অবস্থান কোথায় ? " স্বর্গ " শব্দটি কোথা থেকে এসেছে ? " স্বর্গ " শব্দটি সংস্কৃত শব্দ । বিশ্লেষণ করলে দাঁড়ায় সু + _/ঋজ্‌+অ । অর্থাৎ সু উপসর্গের সঙ্গে ঋজ্ ধাতু এবং অ প্রত্যয় সহযোগে স্বর্গ । সু অর্থাৎ উত্তম বা উৎকৃষ্ট । ঋজ্ অর্থাৎ অর্জন । তাহলে স্বর্গের অর্থ দাঁড়ায় উৎকৃষ্টতা অর্জন বা যে স্থান উত্তমরূপে সমৃদ্ধময় । কিন্তু , বৈদিকবাদীরা এর অর্থ করেছেন দেবলোক বা পূণ্যবানেরা মৃত্যুর পরে যে স্থানে বাস করেন । তাহলে এই স্বর্গ কোথায় ? আমরা পুরাণে , শাস্ত্রে যত্রতত্র দেখতে পাই স্বর্গ নিয়ে দেব এবং অসুরের যুদ্ধ । শেষ পর্যন্ত ছলে বলে কৌশলে দেবগণই স্বর্গের দখল নেয় । অদ্যাবধি তারা নাকি সেখানে বিরাজ করছেন বলে বৈদিকবাদী ধর্মভীরুরা বিশ্বাস করেন । আমরা যদি একটু বাস্তব দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে এই স্বর্গের ঠিকানার অনুসন্ধান করি , তাহলে নিশ্চই এর সন্ধান পাবো । আর সেখানে মৃত্যুর পরে মানুষ যেতে পারে কি না তাও অনুধাবন করতে পারবো । 
আজ থেকে প্রায় পাঁচ হাজার বছর আগে অর্থাৎ আনুমানিক খ্রিষ্টপূর্ব ৩০০০ থেকে ২৫০০ অব্দ সময়কালে মধ্য এশিয়ার এক মানবগোষ্ঠী নর্ডিক জাতির আর্যভাষীরা ছিলো যাযাবর , পশুচারী এক অসভ্য জনগোষ্ঠী । তাদের পোশাকী নাম ছিলো 'দেব' । এদের না ছিলো স্থায়ী ঠিকানা , না ছিলো ঘরদোর , না ছিলো শিক্ষাদীক্ষা , না ছিলো কোনো আচার-সংস্কার। এরা যেখানে পশু-খাদ্যের সন্ধান পেতো , সেখানেই কিছু দিনের জন্য আস্তানা গাড়ত । যতদিন তাদের পালিত পশুর খাবার জোটে । ভ্রাম্যমান এই অসভ্য জনজাতির দুর্ভোগের শেষ ছিলো না । ঝড় , বৃষ্টি , খরা প্রভৃতি নানা প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে এরা সারা বছরই থাকতো বিপর্যস্ত । এদের পালিত পশু ঘাস-পাতা খেয়ে জীবন ধারণ করত , আর এদের জীবন ধারণের একমাত্র উপায় ছিলো গাছের ফল-মূল , আর ওই পালিত পশুর দুধ , মাংস । কৃষিকাজ বা বাণিজ্য বিষয়টি তখনও এদের কাছে অজ্ঞাত । এই যাযাবর জাতির মানুষদের এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাওয়ার একমাত্র বাহন ছিলো ঘোড়া । যেহেতু এদের পশুদের মেরে কেটে খেতে হতো এবং বিভিন্ন হিংস্র বন্য পশু বা অন্য কোনো জনগোষ্ঠীর আক্রমনকে প্রতিহত করার জন্য এদের কাছে থাকত ধারালো অস্ত্র । এদের জীবনে না ছিলো কোনও সুখ স্বাচ্ছন্দ্য , না ছিলো কোনও আরাম , আয়েশ , বিলাসিতা । জীবনের প্রতি মুহূর্তই এরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতো । এরাই একদিন পশুখাদ্যের সন্ধান করতে করতে এসে পড়ল বর্তমান ভারত ভূখণ্ডের মধ্যে । তখন উত্তর পশ্চিম ভারতে উৎকৃষ্ট নগর সভ্যতা গড়ে তুলে নিশ্চিন্তে বসবাস করত আলপাইন মানবগোষ্ঠীর অসুর ও নাগ জাতির মানুষেরা । যা আমরা ইতিহাসে হরপ্পা , মহেঞ্জোদারো সভ্যতা হিসাবে উল্লেখ পাই । এই সভ্যতাই আলপাইন তথা অসুর জাতির মানুষের গড়ে তোলা এক অতি উৎকৃষ্ট সভ্যতা । এদের ভাষা ছিলো আসুরিক ভাষা । তৎকালীন সময়ে সারা পৃথিবীর মধ্যে অন্যতম উন্নত নগর সভ্যতা ছিলো এই হরপ্পা , মহেঞ্জদারো সভ্যতা । এই সভ্যতার স্রষ্টা অসুর ও নাগ জাতির মানুষেরা তখন শিক্ষায় , সম্পদে ছিলো উত্তম রূপে সমৃদ্ধ । এদের জীবিকা ছিলো কৃষিকাজ এবং বাণিজ্য। সারা বছরের খাদ্য এদের শস্যাগারে মজুত থাকতো । এই অসুর এবং নাগ জাতির মানুষেরাই মূলত ভারতবর্ষের মূলনিবাসী । এদের ছিলো সুপরিকল্পিত নগর জীবন , সুখ , স্বাচ্ছন্দ্য , শিক্ষা , সংস্কৃতি , আরাম , আয়েশ , বিলাসিতা সবই । সমস্ত দিক দিয়ে এরা ছিলো উৎকৃষ্ট অবস্থানে । প্রতিনিয়ত দুঃখ দুর্দশার সঙ্গে সংগ্রাম করে বেঁচে থাকা পশুচারী যাযাবর নর্ডিক শ্রেণির বহিরাগত আর্যভাষীরা , যারা 'দেব' নামে পরিচিত , তারা অসুরদের এরকম সাজানো গোছানো জীবনযাপন দেখে তো হতবাক । তারা ভাবলো আমাদের ঘর নেই দোর নেই , থাকার স্থায়ী ঠিকানা নেই ; রোদ , বৃষ্টি , ঝড়ে আশ্রয় নেই , আর এই অসুরেরা কত সুখে নিশ্চিন্তে জীবনযাপন করছে । এরা তো স্বর্গে বসবাস করে । এই স্বর্গ আমাদের যেনতেন প্রকারে দখল করতেই হবে । তারপরের ইতিহাস আমরা বেদ-স্রষ্টাদের রচিত হেয়ালিময় গল্পকাহিনি থেকে অনেকটা জানতে পারি , ঐতিহাসিকদের গবেষণা থেকে অনেকটা বুঝতে পারি । এক সময় হরপ্পাবাসীদের উপর অতর্কিতে আক্রমণ চালিয়ে বহিরাগত আলপাইন মানবগোষ্ঠীর দেবগণ সেই হরপ্পা সভ্যতা তথা স্বর্গ দখল নিলো । দেবগণের হল স্বর্গ বিজয় । ভারতবর্ষে তারা স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করলো । শৌর্য-বীর্যের দিক থেকে অসুর জাতির কাছে এরা দুর্বল হলেও অসুর জাতির নির্বিবাদী সরলতার সুযোগ নিয়ে নানা ছলে বলে কৌশলে আক্ষরিক অর্থে তাদেরকে পরাজিত করে এক সময় ক্ষমতার শীর্ষে অবস্থান করে দেবগণ । অসুর জাতির শৌর্য-বীর্যের প্রমাণ শাস্ত্রাদিতে প্রায় সর্বত্রই পাওয়া যায় । ক্ষমতা দখলের পরই দেবগণের শুরু হলো অসুরদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র রচনা । এই অসুর জাতির কাছ থেকে লেখাপড়ার কৌশল অর্জন করে বুঝতে পারলো এতো মহাসম্পদ । পুরাণে যার নাম "সুধা" । এ সম্পদ শুধুমাত্র দেবগণের মধ্যেই কুক্ষীগত করে রাখতেই হবে । নিজেদের আধিপত্য দীর্ঘকাল কায়েম রাখার জন্য অসুরদের উপর জারি হলো নানা ফতোয়া । মূলনিবাসীদের শিক্ষা অর্জন নিষিদ্ধ হলো । এই ফতোয়ার শিকার হয়ে দীর্ঘকাল অশিক্ষার অন্ধকারে থেকে থেকে মূলনিবাসী জনজাতির মস্তিষ্কের উর্বরতা ক্রমে লোপ পেতে থাকে । আর সেই দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে শুধুমাত্র হাতে নয় , ভাতেও মারার ষড়যন্ত্র রচনা করলো ওই বহিরাগত আর্যভাষী দেবগণ । তারা আসুরিক ভাষা এবং নিজেদের প্রাকৃত ভাষার মিশ্রণ ঘটিয়ে নানা সংস্কারের মাধ্যমে সৃষ্টি করলো এক নতুন ভাষা- 'সংস্কৃত' ; যার অপর নাম দিল 'দেবভাষা' বা 'দেবনাগরী ভাষা' । সেই ভাষাতেই রচিত হলো মূলনিবাসীদের দমিয়ে রাখার নানা ষড়যন্ত্রের দলিল । নিজেদের অতীত ইতিহাসকে লিপিবদ্ধ করে রাখার জন্য ছদ্মকাহিনির আড়ালে রচনা করল গ্রন্থাদি । যার নাম দিয়ে দিলো শাস্ত্র । কিছু সত্যের সঙ্গে অজস্র মিথ্যা , কল্পকাহিনি যোগ করে এবং মূলনিবাসী অসুর , নাগ , দৈত্য ,রাক্ষস , দানবদের যৎপরোনাস্তি কুৎসিত , কদাকার , হীন , নীচ অপবাদ দিয়ে রচিত হল পুরাণ-কাহিনি । দীর্ঘকাল অস্তিত্ত্বের সংকট মোকাবিলা করতে করতে মূলনিবাসীরা একসময় ভুলেই গেলো তাদের পূর্বেকার শৌর্য-বীর্যের ইতিহাস । দীর্ঘকাল অশিক্ষার অন্ধকারে থাকা মূলনিবাসীরা তাদের স্থূল বোধে সরল মনে বিশ্বাসও করে নিলো ওই সব কল্পকাহিনি । বড়রা যেমন শিশুদের ভুলিয়ে রাখে রঙিন খেলনা দিয়ে; তেমনি কুচক্রী ওই দেবগণও মূলনিবাসীদের মুগ্ধ করে রাখল অলীক কল্পকাহিনির ছলনায় । দেবগণ শাস্ত্রের মাধ্যমে নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠা করলো শুভ শক্তি , অলৌকিক ক্ষমতা সম্পন্ন মানবজাতির মঙ্গলকারী ও ত্রাতা রূপে । আর অসুরদের বানিয়ে দিলো অশুভশক্তি , খল , কদাকার , কুৎসিত , ভয়ঙ্কর ইত্যাদি ইত্যাদি রূপে । অতীত-স্মৃতি বিস্মৃত মূলনিবাসীরা সেই কাহিনি এবং বর্ণনা অনুধাবন করে নিজেদের কে আর অসুরের উত্তরসূরী ভাবতে পারলো না এবং ভাবতে চাইলোও না । যেহেতু তারা মানুষ , তাই দেবগণকেই তারা মুক্তিদাতা হিসাবে মেনে নিলো । এই মেনে নেওয়ায় দেবগণের সুবিধা হল আরো সুগভীর ষড়যন্ত্র রচনা করার । কল্পকাহিনির মধ্যে অসুর আর দেবগণের সংগ্রামের কথা আছে । অসুরদের অতীত-স্মৃতি চিরতরে ভুলিয়ে দেওয়ার জন্য দেবগণ নিজেদের কে মানব দেহে অস্তিত্ত্বকে আত্মগোপন করল । কারণ , দেবগণ যদি বাস্তবের মানুষ হিসাবে থেকে যায় , তাহলে মানুষ বাস্তবের অসুরের খোঁজ করবে । আর তাতে সমস্ত ষড়যন্ত্রের ভাণ্ড ফুটে যাবে । তাই নিজেরা দেব নাম বদলে বেদের মাধ্যমে বর্ণবিভাজনের নীতিতে নিজেদের ব্রাহ্মণ বলে পরিচয় দেওয়া শুরু করলো । সেই সঙ্গে প্রচার করলো দেবতাদের সঙ্গে তাদের সরাসরি যোগাযোগ আছে । ব্রাহ্মণরা তাদের ইতিহাস লিখে রাখলো , কিন্তু, ছদ্মনামের আড়ালে । আর সেই ছদ্মকাহিনির ছলনায় বাস্তবের উত্তর পশ্চিম ভারতের অসুর জাতির গড়ে তোলা উন্নত নগর সভ্যতা ( হরপ্পা ও মহেঞ্জোদারো সভ্যতা ) সমৃদ্ধ সাম্রাজ্য , যা বহিরাগত দেবগণের কাছে ছিলো স্বর্গ ; সেই স্বর্গ ও চলে গেলো ওই আকাশের দিকে কোনো এক অজ্ঞাত স্থানে । আর পরসম্পদ লুন্ঠনকারী ,কুচক্রী , শঠ , প্রবঞ্চক দেবগণেরা হয়ে গেলো সেই স্বর্গের অনন্তকালের অধিবাসী । দেবতারা অমর হয়ে থাকলো তাদের রচিত নানা গ্রন্থাদির মাধ্যমে ভগবান হয়ে , শুভশক্তির প্রতীক হয়ে । আর অসুরেরা পরিচয় পেল কুৎসিত , খল চরিত্র রূপে । অসুরদের আর অশুভ শক্তির প্রতীক আলাদা করে বলতে হয় না , শুধু অসুর বললেই সবাই বুঝে নেয় । এমনই মহিমা ব্রাহ্মণ্যবাদীদের ষড়যন্ত্রের । বেদ বর্ণিত ব্রাহ্মণরা কোনো এক অজ্ঞাত লোকে দেবতা রূপে অমর হয়ে থাকলো । আর ব্রাহ্মণরাই তাদের সেই ছদ্মরূপকে কেন্দ্র করে মূলনিবাসীদের শোষণের নানা কৌশল রচনা করে আজও চলছে । নিরাপদে লুন্ঠন করার জন্য সৃষ্টি করেছে বিভিন্ন উপায়। ষড়যন্ত্রের তালিকায় সংযোজন করেছে - বুজরুকির নানা তত্ত্ব । যেমন - জন্মান্তরবাদ , স্বর্গ-নরক , ইহকাল-পরকাল , পাপ-পূণ্য , ব্রাহ্মণকে দান , ব্রাহ্মণ সেবা , ব্রাহ্মণ ভোজন , তন্ত্র-মন্ত্র , পূজা-পার্বন , উচ্চবর্ণ-নিম্নবর্ণ ইত্যাদি ইত্যাদি আর কত কী তার ইয়ত্তা নেই । মূলনিবাসী জনজাতিকে দুর্বল থেকে দুর্বলতর করে তোলার জন্য হাজার হাজার জাতিতে করলো বিভক্ত । আবার এই সহজ সরল শিক্ষিত মূলনিবাসী মানুষের উপাসনার জন্য যাতে দেবতার টান না পড়ে , তার জন্য দেবতার সংখ্যাও পর্যাপ্ত করে বানিয়ে দিল ৩৩,০০০০০০০০ ( তেত্রিশ কোটি ) । বর্তমান এই জনবিস্ফোরণের যুগে এখনও অবধি তেত্রিশ কোটি ব্রাহ্মণের জন্ম হয়েছে কি না সন্দেহ । আর দুই-তিন হাজার বছর আগেই ছদ্ম কাহিনিতে নিজেদের সংখ্যা কি না তেত্রিশ কোটি বানিয়ে দিলো ! একেই বলে কূটনীতি । বলে না পেরে বোলে জেতা । 
কিন্তু , যুগের চিত্রপট বদলাচ্ছে । ইতিহাসের নিয়মে এই সব ছল চাতুরী , বুজরুকির জামানার একদিন শেষ হবেই । শিশু চিরকাল শিশু থাকে না । সেও একদিন বড় হয় । চিরকাল তাকে রঙিন খেলনা দিয়ে ভুলিয়ে রাখা যায় না । সে একদিন বুঝতে শেখে কোনটা সত্য , কোনটা মিথ্যা ।এ দেশের মূলনিবাসী জনেরা নানা সময়ে , নানা ভাবে এর প্রতিবাদ করেছে । খ্রিষ্ট পূর্ব ষষ্ঠ শতকে এই অপশাসন , শোষণের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে ছিলেন বুদ্ধ গৌতম । পুনরায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল মূলনিবাসীদের সনাতন ধর্ম বৌদ্ধ ধর্ম রূপে । দীর্ঘকাল পরে অষ্টাদশ - উনবিংশ শতকে এই বৈদিকবাদী আচার সর্বস্ব হিন্দু ধর্মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে গর্জে উঠেছিলেন একদিকে শাহুজী মাহারাজ , পেরিয়ার রামস্বামী , জ্যোতিবা ফুলে , ভীমরাও আম্বেদকর প্রমুখ , আর অন্য দিকে প্রবল পরাক্রমশালী মহামানব হরিচাঁদ ঠাকুর , গুরুচাঁদ ঠাকুর । হরিচাঁদ ঠাকুর ব্রাহ্মণ-সৃষ্ট বেদ-বিধি , শৌচাচার কে কুকুরের উচ্ছ্বিষ্টের চাইতেও নিকৃষ্ট বলে মনে করতেন । সত্যিকারের বিশ্ব মানব ধর্মের আদর্শ এবং দর্শন নির্ভর "মতুয়া" ধর্ম প্রতিষ্ঠা করলেন পতিত , ধর্মহারাকে ধর্ম দিতে । যে ধর্মের মধ্যে মানুষে মানুষে কোনো ভেদাভেদ নেই , নেই মানুষের স্বার্থ চরিতার্থের আচার সংস্কার , নেই মানুষ হয়ে মানুষকে দূরে সরানোর জাত-পাত । মিথ্যাচার ,ছলনা , প্রবঞ্চনা বর্জিত সত্য , প্রেম , পবিত্রতার ধর্ম "মতুয়া" ধর্ম । পতিত জাতির জাগরণে শিক্ষার বার্তা নিয়ে যে ধর্মের প্রচার প্রসার ঘটালেন গুরুচাঁদ ঠাকুর। এই মতুয়া ধর্মাবলম্বী কোনো মানুষ যদি সেই বৈদিক ধর্মজাত ব্রাহ্মণদের জালিয়াতির তত্ত্ব জন্মান্তরবাদ , স্বর্গ-নরক , আত্মা-পরমাত্মা , পাপ-পূণ্য , তন্ত্র-মন্ত্র , পূজা-পার্বন ইত্যাদির কোনো নীতিকে মেনে নেন , তাহলে তিনি আর মতুয়া থাকলেন কোথায় ? আমরা যদি কোনো মৃত ব্যাক্তির নামের পূর্বে স্বর্গীয় শব্দ প্রয়োগ করি , তাহলে আত্মা-প্রেতাত্মা স্বীকার করতে হয় , আত্মা-প্রেতাত্মা স্বীকার করলে জন্মান্তরবাদ স্বীকার করতে হয় , জন্মান্তরবাদ স্বীকার করলে ব্রাহ্মণের জালিয়াতি , প্রবঞ্চনা স্বীকার করতের হয় ; ব্রাহ্মণের জালিয়াতি মেনে নিলে , তার শ্রেষ্ঠত্ত্ব স্বীকার করতে হয় , ব্রাহ্মণের শ্রেষ্ঠত্ত্বকে স্বীকার করলে দেব-দেবতার অলৌকিক অস্তিত্ত্বকে স্বীকার করতে হয় , আর তা স্বীকার করলে অবতারবাদকেও মেনে নিতে হয় । কারণ , থেকে দেব-দেবতারা নাকি মর্ত্যে অর্থাৎ এই পৃথিবীতে অবতরণ করে মনুষ্য রূপে জন্ম নেন বলে তাকে অবতার বলা হয় । এবার ভাবুন , যাকে স্বর্গীয় করা হল , তিনি যদি মতুয়া হন , মৃত্যুর পর তাঁকে পাকা বৈদিকবাদী হিন্দু বানানো হল নাকি ? 
যদিও এখনও পর্যন্ত বহু ব্যাক্তি মতুয়া হয়েও বৈদিক দেব-দেবীর পূজা - অর্চনা করেন তন্ত্র-মন্ত্র- ব্রাহ্মণ সহকারে । হরিচাঁদ , শান্তিমাতা , গুরুচাঁদ এঁদের মূর্তি বা ছবির পাশে মন্দিরে নানা দেব-দেবীর মুর্তি বা ছবি স্থাপন করেন । যারা এসব করেন , তাঁরা হয়তো মতুয়া দর্শনকে না বুঝে বা 
মনের সান্ত্বনার জন্য করেন । কিন্তু , হরি-গুরুচাঁদের কৃপায় লেখা-পড়া জানা মানুষেরা যদি সেই একই ভুল করেন , তাহলে মতুয়া ধর্মের স্বতন্ত্র অস্তিত্বের সংকট দেখা দেবে অচিরেই । হরি-গুরুচাঁদের পতিত উদ্ধারের সংগ্রাম ব্যর্থতায় পর্যবশিত হবে । এ ব্যাপারে প্রত্যেক মতুয়ারই সচেতন হওয়া ভীষণ ভাবে প্রয়োজন । সত্য অপ্রিয় হলেও সত্যকে গ্রহণ করা উচিৎ । 
______________________ 
পবিত্র বিশ্বাস ।

আরেক ব্রিটিশ ত্রাণকর্মীর শিরচ্ছেদ প্রকাশিত ভিডিওতে এবার সাবেক মার্কিন সেনা রেঞ্জারকেও হত্যার হুমকি

$
0
0
আরেক ব্রিটিশ ত্রাণকর্মীর শিরচ্ছেদ
প্রকাশিত ভিডিওতে এবার সাবেক মার্কিন সেনা রেঞ্জারকেও হত্যার হুমকি
যুক্তরাজ্যের আরেক ত্রাণকর্মী ও ট্যাক্সিচালক এ্যালান হেনিংয়ের শিরচ্ছেদের ভিডিও প্রকাশ করেছে জঙ্গী সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস)। ইউটিউবে শুক্রবার ভিডিওটি পোস্ট করা হয়। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন এই হত্যাকাণ্ডের তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। ভিডিওতে আরেক বন্দী মার্কিন সাবেক সামরিক রেঞ্জার ও ইরাক যুদ্ধফেরত সেনাকে শিরচ্ছেদের হুমকি দেয়া হয়েছে। ভিডিওটি প্রকাশের পর পরই ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে ব্রিটিশ ও যুক্তরাষ্ট্র সরকার। খবর ওয়াশিংটন পোস্ট ও বিবিসি অনলাইনের।
হেনিংকে নিয়ে চারজনকে হত্যার ভিডিওটি প্রকাশ করল আইএস এবং একই জঙ্গী এ বন্দীর শিরচ্ছেদ করেছে। এই সংগঠনটি এর আগে দুই মার্কিন সাংবাদিক ও এক ব্রিটিশ ত্রাণকর্মীকে হত্যা করেছে। ব্রিটেনে 'জিহাদী জন'নামে পরিচিত ওই জঙ্গী এবারও ভিডিওর শেষে পিটার এ্যাডওয়ার্ড ক্যাসিং (২৬) নামে ওই মার্কিনীকে হত্যার হুমকি দিয়েছে। সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় দেইর আল-জোর থেকে ২০১৩ সালের ১ অক্টোবর তাকে অপহরণ করা হয়। ক্যাসিংয়ের পরিবার জানায়, তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন এবং তার নাম এখন আবদুল রহমান ক্যাসিং। ভিডিওতে ওই জঙ্গী মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে উদ্দেশ করে বলেছেন, আপনি সিরিয়ায় আমাদের লোকদের ওপর বোমা হামলা শুরু করেছেন। এর ফলে আমরাও আপনাদের লোকদের ঘাড়ে হামলা অব্যাহত রাখব। ওই ভিডিওতে কালো পোশাক পরা এক জঙ্গীর পাশে মরুভূমিতে কমলা জামা পরা ৪৭ বছর বয়সী হেনিংকে হাঁটুগেড়ে বসে থাকা অবস্থায় দেখা গেছে। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের দুই সাংবাদিক ও এক ব্রিটিশ ত্রাণকর্মীর শিরচ্ছেদের প্রকাশিত ভিডিওতেও এই একই ধরনের দৃশ্য ছিল। শিরচ্ছেদের আগের ভিডিওগুলোর মতো এই ভিডিওতেও নিহত হওয়ার আগে হেনিং একটি লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান। ওই বক্তব্যে তিনি বলেন, যেহেতু আমাদের পার্লামেন্ট ইসলামিক স্টেটের ওপর হামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাই ব্রিটিশ জনগণের অংশ হিসেবে আমাকে এখন ওই সিদ্ধান্তের মূল্য দিতে হবে। এরপর ব্রিটিশ উচ্চারণে ওই জঙ্গী ক্যামেরনকে উদ্দেশ করে বলেন, ক্যামেরন, আপনার হাতে ডেভিড হেইন্সের রক্ত লেগে আছে। এ্যালান হেনিংকেও জবাই করা হবে, তবে এবার তার রক্ত ব্রিটিশ পার্লামেন্টের হাতে লেগে থাকবে। উত্তর ইংল্যান্ডের সেলফোর্ডের বাসিন্দা ৪৭ বছর বয়সী হেনিং পেশায় একজন ট্যাক্সিচালক ছিলেন। গত ডিসেম্বরে উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ার একটি হাসপাতালে চিকিৎসা সামগ্রী বহনকারী একটি ত্রাণবহর থেকে বন্দুকধারীরা তাকে অপহরণ করেছিল। এর পরে তার পরিবারের সদস্যরা হেনিংকে মুক্তি দেয়ার জন্য জঙ্গীদের কাছে আবেদন জানান। তবে জঙ্গীরা তাতে কোন সাড়া দেয়নি। 
ক্যামেরন শুক্রবার রাতে টুইটারে বলেছেন, এই সন্ত্রাসীরা যে কতটা বর্বর ও বীভৎস আইএসের হাতে এ্যালেন হেনিংয়ের নৃশংস হত্যাকা- তারই প্রমাণ। এই হত্যাকারীদের ধরতে ও বিচারের আওতায় আনতে আমরা সবই করব। আমার সমবেদনা হেনিংয়ের স্ত্রী ও তার সন্তানদের সঙ্গে রয়েছে। প্রেসিডেন্ট ওবামা এক বিবৃতিতে বলেছেন, আইএসের হাতে যুক্তরাজ্যের নাগরিক এ্যালান হেনিংয়ের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। আইএসকে সম্পূর্ণভাবে পরাজিত করতে বড় একটি জোটের মিত্র ও অংশীদার হিসেবে আমরা আমাদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া অব্যাহত রাখব। কমলা রংয়ের পোশাক পরা ক্যাসিং ওই ভিডিওতে কোন কথা বলেননি। ২০০৭ সালে ইরাকে চার মাস কাজ করার পর শারীরিক সমস্যার কারণে তিনি চাকরি থেকে অব্যাহতি নেন। এর পর তিনি জরুরী চিকিৎসা কর্মী হিসেবে প্রশিক্ষণ নেন। সিরিয়ায় চলা সংঘর্ষে আহতদের সহায়তা করতে তিনি লেবানন, তুরস্ক ও সিরিয়ায় কাজ করেন। তাঁর বাবা ও মা এ্যাড ও পলা ক্যাসিং এক বিবৃতিতে বলেন, হেনিংয়ের পরিবার, আমাদের ছেলে এবং মধ্যপ্রাচ্য ও সারা বিশ্বে যত নিরাপরাধ বন্দী আছে তাঁদের মুক্তির জন্য আমরা বিশ্ববাসীকে প্রার্থনা করার অনুরোধ করছি।

পাকিস্তানে সংখ্যালঘু নির্যাতনে সরকারকে দোষারোপ ইসলামাবাদভিত্তিক গবেষণা সংস্থার জরিপ

$
0
0
পাকিস্তানে সংখ্যালঘু নির্যাতনে সরকারকে দোষারোপ
ইসলামাবাদভিত্তিক গবেষণা সংস্থার জরিপ
পাকিস্তানে এক জরিপে দেশটিতে সংখ্যালঘু নির্যাতনে জড়িত থাকার দায়ে রাষ্ট্রকে দোষারোপ করা হয়েছে। এতে বলা হয়, পরম্পরাগত সরকারগুলো ধর্মীয় সহিংসতা রোধ করতে এবং বিতর্কিত ব্লাসফেমি আইন সংশোধন করতেই কেবল ব্যর্থ হয়নি, অনেক রাষ্ট্রীয় কর্মকর্তাও ঘৃণা ছড়ানোর অপরাধে জড়িত আছেন। ইসলামাবাদভিত্তিক এক গবেষণা সংস্থা পরিচালিত ওই জরিপে এ কথা বলা হয়। খবর ডন অনলাইনের। 
এতে দেখা যায় যে, সংখ্যালঘুদের প্রতি বৈষম্যের বিষয়টি সামগ্রিক অসাম্য ও সরকারের অমনোযোগিতা, সহিংসতা, ভীতি প্রদর্শন ও অসহিষ্ণুতার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার অভাবের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। জরিপে বলা হয়, ব্লাসফেমির অভিযোগই হলো অমুসলিম সম্প্রদায় এবং এমনকি অনেক ক্ষেত্রে মুসলমানদের নির্যাতন করার সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হাতিয়ার। পাকিস্তান ইনস্টিটিউট ফর পিস স্টাডিজ (পিআইপিএস) 'পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের অধিকার : ঐতিহাসিক অবহেলা না রাষ্ট্রের যোগসাজশ?'শীর্ষক ওই জরিপ চালায়। জরিপে চাকরিপ্রার্থী হওয়ার সুযোগসহ অন্যান্য ধরনের বৈষম্য নিয়ে আলোচনা করা হয়। সিন্ধু প্রদেশের অমুসলিম সংখ্যালঘু সম্প্রদায়গুলোর শতকরা প্রায় ৭৩ ভাগ উত্তরদাতা তাঁরা তাদের ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে বৈষম্যের সম্মুখীন হন বলে জানান।
খাইবার পাখতুন খাওয়ায় শতকরা ৫০ ভাগ, বেলুচিস্তানে শতকরা ৩১ ভাগ এবং পাঞ্জাবে শতকরা ২৯ ভাগ উত্তরদাতা একই জবাব দেন।
সরকার অন্যান্য ধর্মের অনুসারীদের প্রয়োজন যতখানি পূরণ করে, আপনাদের প্রয়োজনও ততখানি পূরণ করে বলে আপনি মনে করেন কি? এ প্রশ্নের জবাবে শিখ সম্প্রদায়ের সদস্যদের শতকরা ৯২ ভাগ 'হ্যাঁ', আর শতকরা ৬৩ ভাগ খ্রীস্টান উত্তরদাতা 'না'জবাব দেন।
জরিপে এটা স্পষ্টভাবে দেখা যায় যে, ধর্মভিত্তিক সহিংসতা, বাছাই করে লোকহত্যা, মুক্তিপণের জন্য অপহরণ এবং ঘৃণা সৃষ্টিতে উস্কানিদান কেবল অমুসলিমদের ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ নয়।
এতে বলা হয়, বেলুচিস্তানের হাজারাসহ প্রধানত শিয়া মুসলিম সম্প্রদায় তাদের ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে প্রায়ই সহিংসতার শিকারে পরিণত হয়েছে। রাষ্ট্রের যোগসাজশ আরও একটি উপাদান, যা সংখ্যালঘু নির্যাতনকে নিয়ন্ত্রণের বাইরে নিয়ে গেছে এবং বিনা শাস্তিতে অপরাধীদের পার পাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে। 
এতে বলা হয়, যখন বিক্ষুব্ধ জনতার তাণ্ডব ব্লাসফেমির মামলায় আদালতের রায় নির্ধারণ করে এবং শুনানিরত বিচারকদের হুমকি ও হত্যা করা হয়, তখন অভিযুক্ত ব্যক্তিদের এবং তাদের পক্ষ সমর্থনকারীদের নিরাপত্তা দেয়া জরুরী। ২০১৪ সালে চারটি প্রদেশের ৩২৭ জন উত্তরদাতার ওপর ওই জরিপ চালানো হয়। তারা ছিলেন খ্রীস্টান, হিন্দু, বাহাই ও শিখ সম্প্রদায়ের অন্তর্গত।
জরিপে দেখা যায় যে, চরমপন্থী মতবাদ মূল ধারায় পরিণত হচ্ছে এবং রাষ্ট্র এতে উৎসাহ যোগাচ্ছে।
এতে পাকিস্তানের মানবাধিকার কমিশনের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়, ২০১৩ সালে ১৪ ব্যক্তিকে ব্লাসফেমির দায়ে অভিযুক্ত করা হয়। পাকিস্তানে ব্লাসফেমির দায়ে কারও মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়নি, কিন্তু ১৬ ব্যক্তির নামে মৃত্যুদ-ের রায় দেয়া হয়েছে এবং ২০ জন যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ করছে।

5,000-year Harappan stepwell found in Kutch, bigger than Mohenjo Daro's

$
0
0

5,000-year Harappan stepwell found in Kutch, bigger than Mohenjo Daro's

,TNN | Oct 8, 2014, 01.20 AM IST
5,000-year Harappan stepwell found in Kutch, bigger than Mohenjo Daro's

AHMEDABAD: A 5,000-year-old stepwell has been found in one of the largest Harappan cities, Dholavira, in Kutch, which is three times bigger than the Great Bath at Mohenjo Daro. 

Located in the eastern reservoir of Dholavira by experts from the Archaeological Survey of India working with IIT-Gandhinagar, the site represents the largest, grandest, and the best furnished ancient reservoir discovered so far in the country. 

It's rectangular and 73.4m long, 29.3m wide, and 10m deep. Another site, the ornate Rani ki Vav in Patan, called the queen of stepwells, is already on Unesco list. 

"This is almost three times bigger than the Great Bath of Mohenjo Daro that's 12m in length, 7m in width, and 2.4m in depth," said V N Prabhakar, visiting faculty at IIT and superintending archaeologist, ASI. 

"We will conduct spot analysis in December as various surveys have indicated other reservoirs and stepwells may be buried in Dholavira," Prabhakar told TOI. 

"We also suspect a huge lake and an ancient shoreline are buried in the archaeological site that's one of the five largest Harappan sites and the most prominent archaeological site in India belonging to the Indus Valley civilization," he added. 

Experts will investigate the advanced hydraulic engineering used by Harappans for building the stepwell through 3D laser scanner, remote sensing technology and ground-penetrating radar system.





"We will study how water flowed into the well and what was the idea behind water conservation," said Prabhakar. The IIT Gandhinagar team and ASI officials will also excavate various tanks, stoneware, finely furnished brick blocks, sanitation chambers and semi-precious stones hidden at the site. 

Precious stones like carnelian were in great demand during the Harappan era. Gujarat was the hub of bead and craft manufacturing industries. "Agate carnelian beads were also coveted," Prabhakar said. 

Siddharth Rai and V Vinod of IIT-Gn are working on characterization of internal structures of various forms of pottery unearthed from the site to identify the diet followed by Harappans. "Through pottery typology, we'll find out whether different communities lived in Dholavira," Rai said. The team will also analyze precious copper and bronze artefacts.


Reliance bags defence deal! Indian Incs as well as Anti Democracy Pro America Pak Spring supported by army urgently needs Indo Pak conflict! Palash Biswas

$
0
0

Reliance bags defence deal!

Indian Incs as well as Anti Democracy Pro America Pak Spring supported by army urgently needs  Indo Pak conflict!

Palash Biswas

Indian villagers take shelter inside an army bunker at Devi Garh village near Jammu October 7, 2014. REUTERS-Mukesh Gupta

An Indian villager clears the debris from his house, which locals said was damaged by firing from the Pakistan side of the border, at Trewa village near Jammu October 7, 2014. REUTERS-Mukesh Gupta


1 OF 3. Indian villagers take shelter inside an army bunker at Devi Garh village near Jammu October 7, 2014.

CREDIT: REUTERS/MUKESH GUPTA

Indian Incs as well as Anti Democracy Pro America Pak Spring supported by army urgently needs  Indo Pak conflict.Hence,Fighting intensified between India and Pakistan in the disputed Himalayan region of Kashmir on Wednesday, wounding a dozen along a more than 200-km (124-mile) stretch of border.


Indira Gandhi had been the goddess supreme for Dhiru Bhai Ambani who helped her to win the corporate war against Nusli Wadia and journalist like Arun Shourie,world bank return could not spoil his game.Indira made the pillars of Reliance empire,but the fact remains, global Hindutva made the empire global.


Mukesh Ambani and sibling Anil Ambani were not fools as they crossed fence and sacrificed his fathers great relationship with Congress and declared Narendra Bhai Modi,the King of the heaven at the occasion of vibrant Gujarat long before the Lok sabha election.


Here you are.Reliance is the master of growing Indian war economy as Modi makes in an America in India at the cost of Indian people, Indian democratic republic,democracy itself,Indian constitution, Indian security and internal security,green, civic and human writes privatising everything ,even the sovereignty of India,the defence for which he opted for a corporate defender in the high profile defence minister tagged with finance,making the Gujarati PPP Hindutva model single window apps technically.


Now the great Indian dragon enters the scene and scenario turns to be relance empire.It is the climax of magic Indian realism,of course.As so much so hyped it is that Narendra Modi has launched an ambitious plan to streamline a bloated and inefficient welfare system by paying for everything from cooking gas to university stipends via a bank account, in a bid to save billions of dollars a year. But resistance among more than 800 million people entitled to subsidised food is high.


The shafron PPP Gujarati ends in a war economy so fast as Modi quickly makes an America in India.


What a wonder friends! A small change in foreign investment rules-by doing away with minimum 51% holding by a single Indian entity in a defence venture-has helped Mukesh Ambani's Reliance Aerospace and Punj Lloyd bag licences that they had been waiting for.



Government has cleared 33 pending defence projects, including those of Reliance Aerospace, Bharat Forge, Mahindra Telephonic Integrated Systems and Tata Advanced Materials, a move that is expected to boost advanced manufacturing and attract huge investments.


The Licensing Committee, chaired by Secretary in the Department of Industrial Policy and Promotion (DIPP), has cleared these long pending applications last week and granted industrial licences to them, an official statement said.


The 33 projects include 14 cases whose applicants have been informed that licences were not required anymore as a vast number of defence items have been delicensed, it added.


"It has been possible to approve these cases as a consequence of the simplification of FDI policy," the release said, adding that the development would give a big boost to 'Make In India' campaign which seeks to make the country a hub for global manufacturing.


The Narendra Modi-led government has liberalised the FDI policy in the defence sector by hiking the cap from 26 percent to 49 percent.


India imports up to 70 percent of its military hardware.


"It is expected that clearance of these 33 applications and the deregulation of defence product list excluding a large number of components from purview of industrial licensing will provide a major impetus to advanced manufacturing in defence sector," the statement said.


According to sources, the decision is expected to result in investments of billions of dollars.


The Licensing Committee also discussed the possibility of removal of stipulation of annual capacity in the industrial licence as also to permit sale of licensed items to other entities under the control of Home Ministry, state governments, PSUs and other defence licensed companies without requiring approval of the Department of Defence Production.


"It was agreed that the above stipulation would be relaxed subject to submission of bi-annual returns by the unit. The DIPP would be shortly notifying the above decision by issue of a Press Note," the release said.


The government today said it has cleared 19 long-pending defence sector projects, including that of Reliance Aerospace Technologies, Bharat Forge, Mahindra Telephonic Integrated Systems, Tata Advanced Materials and Punj Lloyd.


"Giving a big boost to 'Make In India', the Licensing Committee chaired by Secretary, Department of Industrial Policy & Promotion (DIPP), said it last week cleared 19 proposals for grant of industrial licence," the Commerce and Industry Ministry said in a statement.


In addition, applicants in 14 pending cases have been informed that licences were not required anymore as a vast number of defence items have been delicensed, it added.


"It is expected that clearance of these 33 applications and the deregulation of defence product list excluding a large number of components from purview of industrial licensing will provide a major impetus to advanced manufacturing in defence sector," the statement said.


Many of the 19 proposals, have pending with the government for last several years.


"It has been possible to approve these cases as consequence of the simplification of FDI policy," the Ministry said.


As per the liberalised policy, the FDI cap in defence has raised from 26 per cent to 49 per cent.


It also permitted portfolio investments of up to 24 per cent of the total equity of the investee/joint venture company under automatic route and doing away with requirement of 51 percent equity ownership by a single Indian investor/company.


India imports up to 70 per cent of its military hardware.


Meanwhile,Pakistan's military fired machine guns and mortars at about 60 Indian army posts, a senior Indian border security force official said, adding that India retaliated.

"Pakistani rangers targeted the entire Jammu border during the night and the firing is still going on," said Indian police official Uttam Chand.Eight Indian civilians and a member of India's border security force were wounded, Chand said. Three Indian soldiers were also injured, a senior army officer said.

The mostly Muslim Himalayan region of Kashmir is claimed by both India and Pakistan and has been a major focus of tension in South Asia. The nuclear-armed neighbours have fought two wars over the territory and there have been regular clashes along their de facto border, known as the Line of Control.

Thousands of Indians living in Indian-controlled Kashmir have fled their homes as the fighting moves to civilian areas. The shooting, which started more than a week ago, has seen some of the most intense violence between the two nations since they agreed a border truce in 2003.

Indian and Pakistani politicians have accused each other of unprovoked violations of their border truce, as goodwill that had built up after Prime Minister Narendra Modi took office in May evaporates in the face of weeks of sporadic fighting.

"It is very unusual that we are seeing both sides targeting civilian areas and buildings," said S. Chandrasekharan, director of the South Asia Analysis Group in New Delhi. "At the moment neither side seems willing to back down."


RIL, Punj Lloyd bag defence deals


NEW DELHI: A small change in foreign investment rules-by doing away with minimum 51% holding by a single Indian entity in a defence venture-has helped Mukesh Ambani's Reliance Aerospace and Punj Lloyd bag licences that they had been waiting for.


While increasing the foreign direct investment (FDI) cap for defence to 49%, the government did away with the clause that had been in the policy for years, as part of a strategy to attract investment in local manufacturing units. In special cases, 100%FDI has been allowed. The earlier rule did not allow Reliance Aerospace to get the licences to manufacture weapon launchers for combat aircraft as the promoters hold 45.3% in Reliance Industries. Similarly, the promoters of Punj Lloyd together have a 37% stake, which restricted a wholly owned subsidiary's ability to bag licences to manufacture torpedoes, rocket launchers and combat vehicle, sources familiar with the development told TOI.


While the government did not disclose any details, an official statement said that a committee had cleared 19 proposals from several large Indian corporate houses - including the Tatas, Mahindra and Bharat Forge - to bag licences for defence manufacturing.


In at least 14 other cases, the government has informed companies that licences are no longer required. These included Tata Advanced System's proposal to manufacture aircraft and spacecraft components, Mahindra Aerostructure, which wants to make parts of aircraft and Reliance Aerospace's flight control system manufacturing plans. Even before FDI rules were changed, the department of industrial policy and promotion had reduced the number of items in the defence sector that need licences and freed dual-use items, such as radars and aircraft components that have civilian use too, from licensing requirement.



For years, the defence ministry has frowned upon the entry of the private sector into the arena even as it had relied on imports, often involving middlemen. In fact, during UPA's term in office, the commerce and industry ministry's plea to increase the FDI cap for the sector was repeatedly blocked by A K Antony, the then defence minister. In recent months, however, the mood has changed as the department of defence production has backed private and foreign capital in local ventures.


Now, the government is working on further easing the rules, including doing away with annual capacity ceiling in industrial licences and also permit of sale of licensed items to other entities under the control of the home ministry, state governments, PSUs and other valid defence licensed companies without approval.

http://timesofindia.indiatimes.com/business/india-business/RIL-Punj-Lloyd-bag-defence-deals/articleshow/44659903.cms?intenttarget=no&utm_source=newsletter&utm_medium=referral&utm_campaign=Top_Headlines


Viewing all 6050 articles
Browse latest View live