Quantcast
Channel: My story Troubled Galaxy Destroyed dreams
Viewing all 6050 articles
Browse latest View live

উত্সবে উত্কন্ঠা মহামারী কাজে আসিছে না কারণবারি উদ্বোধনেও বিপদ ভারি পলাশ বিশ্বাস

$
0
0

উত্সবে উত্কন্ঠা মহামারী

কাজে আসিছে না কারণবারি

উদ্বোধনেও বিপদ ভারি

পলাশ বিশ্বাস

উত্সবে উত্কন্ঠা মহামারী

কাজে আসিছে না কারণবারি

উদ্বোধনেও বিপদ ভারি

বাবু বিবিদের বিপদ ভারি ,মো্ত্সবের মেজাজ গুরুগম্ভীর!


যেখানে যত ছিলেন গৌরী সেন একে একে গেলেন জেলে!

জাল গোটানোররকম সকম দেখে

মনে হচ্ছে ভয় ভয়!

কি হয়,কি যে হয়!

ভয় গোপন জবানবন্দীতে

ভয় ইকবালিযয়া বযান

মিললে পর কি হয় না হয়!

যদি অসুর ব্যাটারা

রাজসাক্ষী হয়!

যদি সব কেলো ফাঁস হয়

ভয় শুধু ভয়,কি যে হয়!



তাই এই বঙ্গে এত রঙ

গাজনের ছড়াছড়ি

তবু কেলোর কেত্তনে

মমম গন্ধ গাযেব,কি যে করি!


আ মরি আমার সোনার বাংলাদেশ!

শষে কি তেতুল গোলা হবে ঘরে ঘরে!

মেঠাই মন্ডা মত্স মাংস ছেড়ে

শেষে কে ইডলি দোসা হবে ঘরে ঘরে!


খেলার মাঠ বা কেকে আর

সব হল দিনে দিনে কাবার!

প্যান্ডেল আছে,আলো আছে

আরো আছে থিম

সভাপতি  লাপতা একুনি!


বোধনেই বিসর্জন হয় হয়

কে দেবে রে মালপানি!

পুষিবে কে মস্তানি

কে দেবে ঠ্যাঙানি!

রেপ করাবে কারা

সবইতা কারাগার!


দ্বিতীয়াতেই মোত্সব শুরু

রাজকাজ শুধু মোত্সবে তালে তাল

কাজের কাজ হচ্ছে না!

ফ্যাতাড়ুরা পাখনা মেলে

গু ফেলে দখলদারির তালে!

ফেল কবিরা সারি সারি

ফেসবুকে করিছে দফা রফা!



কোথায যে জ্বালামুখি

শুয়ে আছে গোপনে!

কোথায় কবে হবে বিস্ফোরণ!

হাসতে হাসত পাহাড়ে

কি জঙ্গল মহলে কি হয় হয়!


কাছাকাছি যত জন

কিনা কি করছে সাজিশ!

ধরে যদি সিবিআই

কি আবার বলে ফেলে!

গোপন জবান বন্দির ফাঁস

গলায় আটো আটো!


মোমবাতি জ্বলে না কলা

কি কচু হবে ধুনুছি নাচ

ধুনুচি নাচিছে কপালে!

যত গরুচোর,আঙুল ফুল

কলাগাছ পালে পালে

আছে সব পিঠ বাঁচানোর তালে!



আপন প্রাণ বাঁচা চাচা

বোকচা বোকচি সব

সরিয়ে সরে পড়ার তালে!

তিল হলে তাল বেতাল

বড় ভয় মাগো,বড় ভয়!

উত্কন্ঠা .বড়ই উত্কন্ঠা!


সবাই আছে ফাঁকতালে

কে যে কবে কি কোথায়

বেফাঁস বলে ফেলে!


অসুর যেখানে সেখানে

ক্যামেরা ভাঙ্গলেও

বাগে আসে না!

আনাচে কানাচে

গোপন বৈঠকেও

আড়িপাতা শালা অসুর!


মীডিযা,বুম তার হাতিযার!


যাদবপুরে মোবাইল লাইভ

ছাত্র ছাত্রিরা ও অসুর!



দেবি যে কি করেন!

কত কাল থাকেন!

থাকবেন কতক্ষণ!


তালে কি অকালে

বিসর্জন দশমীর আগে!

তাই দ্বিতীয়াতে এত

উদ্বোধন উদ্বোধন!


সারাক্ষণ ভয় ভয়!

উত্কন্ঠা ভযাবহ!

বীভত্স ভয় ভয়!


ঢাকের আওয়াজ

জেলে বসে শুনছে যেন কারা!


ফাঁসিযে না দেয় তাঁরা!


কি ভয় কি ভয়!

উত্ত্কন্ঠা শুধু উত্কন্ঠা!

কন্ঠা শুকায়ে যায়!

দেবির বাক্যি হারায়ে যায়!


ছবি হল কত বিকিকেনা!

ছবি হোল কত পোস্টো!

উন্নয়ন হল আরো বেশি

সবকিছু হল কাঁচকলা!

মন আনচান,উত্কন্ঠা

উত্কন্ঠা মহামারী!


হাসপাতালে লাইন লম্বা!

সেখানেও সিবিআই!

পুজো প্যান্ডেলে ইডি!

মাঠে ময়দানে ফিলিমে

যাত্রাপালায সিবিআই!

কি যে করি কি যে করি!


অসুর নিধনে দেবির অকাল বোধন

অসুরের বড় বাড়াবাড়ি!

অসুরের হাতে দেবির হায়রানি!

দেবির বাকরুদ্ধ বাণী!


সিংহে কুলোচ্ছে না!

লাঠি পেটা শ্লীলতাহানি

তাও  কুলোচ্ছে না!

সর্বত্র কামদুনি হচ্ছে না!


বরং দফায় দফায়

সিবিআই!  সিবিআই!

এমন কি রেপ করিয়েও

মুন্ডু ছিঁড়েও কুলোচ্ছে না!



অসুর সামলানো দায়!

দেবির এই বুঝি হয়ে যায়!

উর্দি ছাডা় পুলিশের

রাম ক্যালানিতেও

থামচে না সুনামি!


সিবিআই পিছে পিছে

জাঁক জৌলুস সব হল মিছে!

শিবসেনাও লাগছে না কাজে!


অসুর ব্যাটারা!

বিটিরাও অসুর!

এই অসুরের দ্যাশে!


ভুলচে না ক্যামনে বাজল

বারোটা তাঁদের জীবন জীবিকার!

ক্যামনে লুঠ হল সবকিছু

পরিবর্তনের কল কৌশলে!


নাচন কোঁদন, চক্ষুদানেও

ভোলে না শালা, সেই ঈলিশে

চাই কচু,প্রসাদে চাই পুঁইশাক!


কুমড়ো ল্যাবড়া খিচুড়ি

খাবি খা, চুপ চাপ থাক

তা কিন্তু হচ্ছে না!


ইবোলার ভয নাই

উত্কন্ঠা চিকিত্সে হলে

প্রাণে বেঁচে যাই!


উদ্বোধনে কাটবে কতক্ষন!

চক্ষুদানও হল!

এবার কি প্রাণদান!


হরিবোলে মাতাম!

তাতেই তেঁতুল গোলা হল!


খেতে হবে তাই ইডলি দোসা!

যত যা ফলাফল

থাকবে না তার খোসা!


শেষে জেলে সুগার বাড়লে

পাই না পাই শশা!

যা জবর মশা!

ঘুম হয়ম না হয়!


এর চেয়ে দেবি না হয়ে

রাস্তায় ভালো ছিল দিনকাল!

ছবি ছিল উজ্জ্বল,হায়!


বামাসুর বধে শেষে

মহিষমর্দিনীর এই হাল!


বদলে গেল দিন কাল

উত্কন্ঠা উত্কন্ঠা!


ন্ন্দি ভৃঙ্গিরাও আছে তালে

কি যে আছে কপালে!

উত্কন্ঠা উত্কন্ঠা!


নবারুণদা থাকলে!

ফ্যাতাড়ুরা ঠেক ছেড়ে

খোলা গলায় বলত

কি যে হচ্ছে বাল!

গু মাখিয়ে ছাড়ত

যত আছে নীল লাল!


মরে গেছে নবারুণ!

তবু যেন ভয়

ফ্যাতাড়ুরা বোমচাক

ঝিনচাক দখল না করে ফেলে!


সব সালা অসুরের ব্যাটা বেটি

নবারুণ আজকাল!

অসুর ফ্যাতাড়ু এক হল

কি যে হল দিনকাল!



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে ভর্তির যোগ্যতা অর্জন করেছেন মাত্র দুইজন শিক্ষার্থী।

$
0
0
By বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন (Bangladesh Students' Union)
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে ভর্তির যোগ্যতা অর্জন করেছেন মাত্র দুইজন শিক্ষার্থী। এর দায় ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের নয়, বরং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের। বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সভাপতি মারুফ বিল্লাহ তন্ময় ও সাধারণ সম্পাদক লিটন নন্দী আজ এক যৌথ বিবৃতিতে একথা বলেন। 

বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় আরো বলেন, ইলেক্টিভ ইংরেজী বাধ্যতামূলক করার মাধ্যমে শুধু ও লেভেল, এ লেভেল পড়ুয়া বিত্তবান শিক্ষার্থীদের ইংরেজি বিভাগে ভর্তির সুযোগ দেয়ার চেষ্টা চলছে। এ প্রক্রিয়ায় ইংরেজী বিভাগে ভর্তিচ্ছু বাংলা মাধ্যমে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের বঞ্চিত করার সুস্পষ্ট প্রয়াস লক্ষ্যণীয়।

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ২ হাজার ২২১ আসনের বিপরীতে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন ৪০ হাজার ৫৬৫ জন। আগে সাধারণত জাতীয় কারিকুলামে (এনসিটিবি) অধ্যয়নকারী অর্থাৎ এসএসসি, এইচএসসি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা সাধারণ ইংরেজি ও ব্রিটিশ কারিকুলাম(ও লেভেল, এ লেভেল) এর শিক্ষার্থীরা ইলেক্টিভ ইংরেজী উত্তর করতেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ভর্তি নিয়ম অনুযায়ী ইংরেজি বিভাগে ভর্তি হতে চাইলে এখন একজন শিক্ষার্থীকে সাধারণ ইংরেজীতে ন্যূনতম ২০ নম্বরের পাশাপাশি বাধ্যতামূলকভাবে ইলেকটিভ ইংরেজী উত্তর করতে হবে, পেতে হবে ন্যূনতম ১৫ নম্বর। 

ভর্তি পরীক্ষার প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে, এ বছর ইংরেজী বিভাগে ভর্তি হতে মোট ভর্তিচ্ছুদের মধ্যে ইলেকটিভ ইংরেজী অংশের উত্তর করেছিল মাত্র ১ হাজার ৩৬৪ জন। উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিষয়টির উত্তর করেছেন মাত্র ১৭ জন। এর মধ্যে ইংরেজী বিভাগে ভর্তির যোগ্যতা অর্জন করেছেন মাত্র ২ জন। অথচ বিভাগটিতে আসন সংখ্যা রয়েছে ১৩২টি।

অবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে এই অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত বাতিল করার আহবান জানান নেতৃবৃন্দ।

ছয় দফা ভুলি নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই। জয় বাংলা জয় জনতা

Next: Mars mileage handed over! Making up India with plastic surgery.Let Netanyahu come! গর্বে ভরে যায় মনপ্রাণ,তবু লজ্জায় ঢেকে যায় মুখ। মার্কিন মুক্তবাজারে অভূতপূর্ব প্রধানমন্ত্রী ভারতের,যার বিরুদ্ধ বক্তৃতার আগে দাঙ্গার অভিযোগে সমন জারি করল মার্কিন আদালত। এবং তিনি বললেন দেশের সব আইন খারাপ,সব আইন পালটে দেবেন,সার্বভৌম রাষ্ট্র ভারতেরপ্রধানমন্ত্রীর বিদেশে মাটিতে অভূতপূর্ব যুদ্ধঘোষণা ভারতীয় সংবিধানের বিরুদ্ধে। গণসংহারের অভিযোগে অভিযুক্ত প্রধানমন্ত্রী বললেন মুক্তবাজার,পিপিপি মডেল এবং মার্কিন নাগরিকদের ভারতে ঢালাও সুযোগ,সুবিধা ও ছাড়ের। হরিকথা অনন্ত,আসুন আমরা পায়দল ফৌজ মহোত্সবে মাতি,অশ্বমেধে যারা মরার জন্যই জন্মজন্মান্তরের পাপে অভিশপ্ত,তারা মরুক আগে। সাবধান যেহেতু রীতিমত তালিম নিয়ে পুরোদম প্রস্তুতির ফসল হিন্দি ইংরেজি ও সংস্কৃততে তিনি খারিজ করলেন ভারতীয় সংবিধান,পেশ করলেন মুক্তবাজারি মনুস্মৃতি বিধান। অথচ দক্ষিন এশিয়ার যুদ্ধোন্মাদি ধর্মজিহাদি পরিবেশ বদলানোর জন্য প্রধানমন্ত্রীর মার্কিন সফর পুরোপুরি ব্যর্থ। Palash Biswas
$
0
0

গণজাগরণ মঞ্চের আজকের মশাল মিছিল।

ছয় দফা ভুলি নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই।

জয় বাংলা
জয় জনতা
ঢাকা মহানগরের ৩৪২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ২৮টির জমি ও শ্রেণিকক্ষ বেদখল হয়ে গেছে। ১০ থেকে ১৫ বছর ধরে দখল হওয়া এসব জমির পরিমাণ ২৪০ দশমিক ৯৫ শতাংশ বা প্রায় সাড়ে সাত বিঘা।
দখল করে ছাগলের স্থায়ী হাট বসানোয় একটি বিদ্যালয় বন্ধই হয়ে গেছে। একটি বিদ্যালয় বিলীন হওয়ার পথে। কোনো কোনো বিদ্যালয়ে ভবন, দোকান নির্মাণ বা বস্তি বানিয়ে ভাড়া দিচ্ছেন স্থানীয় লোকজন। আবার কোনো বিদ্যালয়ে কক্ষ বানিয়ে বসবাস ও কমিউনিটি সেন্টার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। একটিতে বানানো হয়েছে ব্যক্তিগত গাড়ি রাখার স্থান (গ্যারেজ)। 
ঢাকা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ের তৈরি একটি প্রতিবেদনে এ চিত্র উঠে এসেছে। গত মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে প্রতিবেদনটি জমা দেওয়া হয়। এতে দখলের পাশাপাশি এ নিয়ে মামলা-মোকদ্দমা ও উচ্ছেদে গৃহীত পদক্ষেপের কথাও তুলে ধরা হয়েছে।
'গরিবের বিদ্যালয়'হিসেবে পরিচিত এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সরকারের নজরদারিও যে পুরোপুরি রয়েছে, তা বলা যাবে না। প্রতিবেদনে উল্লিখিত জায়গায় বেদখল হওয়া বিদ্যালয়গুলো গত চার দিনে ঘুরে দেখা গেছে নানা সমস্যার চিত্র।
৩৪২টি বিদ্যালয়ের মধ্যে ২৮টির জমি বেদখলে চলে গেলেও বাকিগুলোর অবস্থাও ভালো নয়।


স্কুল ভেঙে দেয়ায় আমাদের মন ভেঙে গেছে। আমরা রাস্তায় পরীক্ষা দিয়েছি। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন- আমরা স্কুল ফিরে চাই, রাস্তায় পরীক্ষা দিতে চাই না।'

খোলা আকাশের নিচে ফুটপাতে বসে পরীক্ষা দিয়ে প্রথম শ্রেণির শিশু শিক্ষার্থী মরিয়ম উর্মি জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনে এসে এভাবেই স্কুল ফিরিয়ে দেয়ার আকুতি জানালেন। 

মঙ্গলবার রাজধানীর বেইলী রোডে সামাজিক শিক্ষাকেন্দ্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভেঙে ফেলার প্রতিবাদে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী, তাদের অভিভাবক এবং ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকগণ মানববন্ধন করেছে রাজপথে। 

ঈদের ছুটির আগে গার্লস গাইড অ্যাসোসিয়েশনের মধ্যে স্কুলটি ভাল থাকলেও ছুটি শেষে গত ৭ আগস্ট শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা এসে দেখেন তাদের প্রতিষ্ঠানটি মাটির সঙ্গে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে।

স্কুলটি ভাঙ্গার প্রতিবাদে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, ঢাকা মহানগর সংসদ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে প্রতিবাদী মানববন্ধন পালন করে, সে মানববন্ধনেই অংশ নেন ওই স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

১৯৬২ সালে গার্লস গাইড অ্যাসোসিয়েশন প্রতিষ্ঠিত স্কুলটি ১৯৭৩ সালে জাতীয়করণ হয়। কিন্তু সম্প্রতি গার্লস গাইড অ্যাসোসিয়েশন স্কুলটি স্থানান্তরে হাইকোর্টে মামলা করে। 

জাতীয়করণ হলে স্কুলের সম্পদ সরকারের অধিকারে চলে গেলেও অভিযোগ রয়েছে, এ তথ্যটি গোপন করে গার্লস গাইড। এতে স্কুলটি অন্য স্কুলের সঙ্গে স্থানান্তর করার নির্দেশ দেয় আদালত।

ওই রায় নিয়ে নিজেরাই স্কুলটি ভেঙে ফেলে, যা বেআইনি বলে অভিযোগ করেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক রওশন আরা বেগম।

তিনি বলেন, ম্যাজিস্ট্রেট ছাড়াই সিলগালা করা হয়েছে বিদ্যালয়ের সকল ডকুমেন্ট। তিনি অবিলম্বে তাদের সিলগালা করা সকল সম্পত্তি ও কাগজ পত্র ফেরৎ দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

পুরাতন এই স্কুলটিতে গরীব শিক্ষার্থীরাই পড়াশোনা করে। এই বিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থীই গরিব, দিনমজুর, রিক্সাওয়ালা, ড্রাইভার, ঝাড়ুদার, বস্তিবাসী মেহনতি মানুষের সন্তান।

সকাল ১১টা থেকে দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষার দ্বিতীয় দিনের পরীক্ষা স্কুলের সামনে ফুটপাতে দিয়ে এসে মানববন্ধনে আসা পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী নূর মোহাম্মদ শান্ত ও সোহানুর রহমান বলেন, স্কুলটি ভেঙে ফেলায় খুব খারাপ লাগছে। আমরা স্কুলটি ফিরে চাই।

ঢাকা মহানগর ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি বিধান বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক সুমন সেন গুপ্তের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ছাত্র ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক লাকী আক্তার, স্কুলের গর্ভনিং বডি সভাপতি মোর্শেদা বানু এবং স্কুলের শিক্ষার্থীবৃন্দ। 

সরকার যখন প্রাথমিক শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করেছে তখন বেইলী রোডে সাড়ে ৮ কোটি টাকার জমির লোভে শিশুদের স্কুলটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তারা।

তারা অবিলম্বে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রাখার জন্য বিকল্প ক্লাস রুমের ব্যবস্থা এবং বিদ্যালয় ভবনটি দ্রুততম সময়ে পুনঃনির্মাণ করার দাবি জানান। 

অন্যদিকে এই স্কুলের দাবির সঙ্গে একাত্মতা জানিয়ে সকালে প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেন রমনা আইডিয়াল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবকগণ।

এদিকে স্কুলের পক্ষে আপিল করা হলে মঙ্গলবার আপিল বিভাগ সামাজিক শিক্ষা কেন্দ্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি অন্যস্থানে স্থানান্তর করার হাইকোর্টের রায় স্থগিত করেননি। এ বিষয়ে শুনানির জন্য পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন অবকাশকালীন চেম্বার বিচারপতি। শুনানীর তারিখ ৭ সেপ্টেম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে।



বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি সংক্রান্ত বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) এর বিবৃতি















Mars mileage handed over! Making up India with plastic surgery.Let Netanyahu come! গর্বে ভরে যায় মনপ্রাণ,তবু লজ্জায় ঢেকে যায় মুখ। মার্কিন মুক্তবাজারে অভূতপূর্ব প্রধানমন্ত্রী ভারতের,যার বিরুদ্ধ বক্তৃতার আগে দাঙ্গার অভিযোগে সমন জারি করল মার্কিন আদালত। এবং তিনি বললেন দেশের সব আইন খারাপ,সব আইন পালটে দেবেন,সার্বভৌম রাষ্ট্র ভারতেরপ্রধানমন্ত্রীর বিদেশে মাটিতে অভূতপূর্ব যুদ্ধঘোষণা ভারতীয় সংবিধানের বিরুদ্ধে। গণসংহারের অভিযোগে অভিযুক্ত প্রধানমন্ত্রী বললেন মুক্তবাজার,পিপিপি মডেল এবং মার্কিন নাগরিকদের ভারতে ঢালাও সুযোগ,সুবিধা ও ছাড়ের। হরিকথা অনন্ত,আসুন আমরা পায়দল ফৌজ মহোত্সবে মাতি,অশ্বমেধে যারা মরার জন্যই জন্মজন্মান্তরের পাপে অভিশপ্ত,তারা মরুক আগে। সাবধান যেহেতু রীতিমত তালিম নিয়ে পুরোদম প্রস্তুতির ফসল হিন্দি ইংরেজি ও সংস্কৃততে তিনি খারিজ করলেন ভারতীয় সংবিধান,পেশ করলেন মুক্তবাজারি মনুস্মৃতি বিধান। অথচ দক্ষিন এশিয়ার যুদ্ধোন্মাদি ধর্মজিহাদি পরিবেশ বদলানোর জন্য প্রধানমন্ত্রীর মার্কিন সফর পুরোপুরি ব্যর্থ। Palash Biswas

Next: palashbiswaskl.sujarpana@blogger.com, palashbiswaskl.bangla@blogger.com, edit.bsntt.buno@blogger.com,palashbiswaskl.khapra@blogger.com, palashbiwaskl.taklu@blogger.com, bangaindigenous.dhemna@blogger.com, palashbiswaskl.burbaka@blogger.com,bangaindigenous.tarit@blogger.com,palashbiswaskl.primski@blogger.com,palashbiswaskl.tolsto@blogger.com,palashbiswaskl.tultiki@blogger.com,palashbiswaskl.lublove@blogger.com,palashbiswaskl.kurla@blogger.com,palashbiswaskl.thamba@blogger.com,palashbiswaskl.barobor@blogger.com,palashbiswaskl.shamp@blogger.com,palashbiswaskl.dokri@blogger.com,palashbiswaskl.mulga@blogger.com,palashbiswaskl.chhemdi@blogger.com,palashbiswaskl.kishssy@blogger.com,palashbiswaskl.jumbish@blogger.com,palashbiswaskl.sholkolha@blogger.com,palashbiswaskl.satarapune@blogger.com,palashbiswaskl.thanenaka@blogger.com,palashbiswaskl.elephanta@blogger.com,palashbiswaskl.nalasupara@blogger.com,bangaindigenous.khargargh@blogger.com,palashbiswaskl.belabeli@blogger.com,bangaindigenous.na
$
0
0

Mars mileage handed over!

Making up India with plastic surgery.Let Netanyahu come!


গর্বে ভরে যায় মনপ্রাণ,তবু লজ্জায় ঢেকে যায় মুখ।


মার্কিন মুক্তবাজারে অভূতপূর্ব প্রধানমন্ত্রী ভারতের,যার বিরুদ্ধ বক্তৃতার আগে দাঙ্গার অভিযোগে সমন জারি করল মার্কিন আদালত।

এবং তিনি বললেন দেশের সব আইন খারাপ,সব আইন পালটে দেবেন,সার্বভৌম রাষ্ট্র ভারতেরপ্রধানমন্ত্রীর বিদেশে মাটিতে অভূতপূর্ব যুদ্ধঘোষণা ভারতীয় সংবিধানের বিরুদ্ধে।

গণসংহারের অভিযোগে অভিযুক্ত প্রধানমন্ত্রী বললেন মুক্তবাজার,পিপিপি মডেল এবং মার্কিন নাগরিকদের ভারতে  ঢালাও সুযোগ,সুবিধা ও ছাড়ের।

হরিকথা অনন্ত,আসুন আমরা পায়দল ফৌজ মহোত্সবে মাতি,অশ্বমেধে যারা মরার জন্যই জন্মজন্মান্তরের পাপে অভিশপ্ত,তারা মরুক আগে।


সাবধান যেহেতু  রীতিমত তালিম নিয়ে পুরোদম প্রস্তুতির ফসল হিন্দি ইংরেজি ও সংস্কৃততে তিনি খারিজ করলেন ভারতীয় সংবিধান,পেশ করলেন মুক্তবাজারি মনুস্মৃতি বিধান।

অথচ দক্ষিন এশিয়ার যুদ্ধোন্মাদি ধর্মজিহাদি পরিবেশ বদলানোর জন্য প্রধানমন্ত্রীর মার্কিন সফর পুরোপুরি ব্যর্থ।



Palash Biswas

Unprecedented Modi in America!Let there be Modi in Israel and let Modi come India to make India a full fledged Gaza.Not the Hindutva forces,I am very very sorry to be a part of Indian media for four decades that I have to pronounce this that Anti muslim Indian media wants Netanyahu to readjust Indian demography for the Hindutva agenda and this anti Muslim, anti Adivasi,anti Dalit media makes a rocking rockster of a first time OBC prime minister of India.


I am just ashamed.


I am just ashamed that the fantastic achievement of our Indian scientists,the Mars mileage has been handed over to NASA,NATO and Pentagon.


I am ashamed as a citizen of free,democratic,sovereign people's republic India,that the nation,the national resources,the manpower on wholesale have been auctioned in America by an Indian Prime minister.


Unprecedented that a seniormost journalist was hackled as MODI in America was questioned.


Unprecedented that a larger section of Indian pro America pro Israel pro activist Hindutva corporate FDI fed media justifies the blatant brutal attack on the freedom of expression.


Unprecedented that Indian Prime minister is reduced to a rocking rockster.


Unprecedented that the Indian prime minister dismisses Indian law on a foreign soil and promises to change all.


Unprecedented that role of government is zeroed down to open all the doors and widows of foreign capital,foreign companies and foreign interests.


Unprecedented that American citizens get VISA at arrival,permanent VISA and every concession,an Indian citizen might never never imagine.Keeping in mind that Narendra Bhai Modi had been denied US VISA quite reluctantly until he managed the landslide mandate.


Unprecedented that the Indian Prime minister lost no opportunity to showcase global hindutva.


Unprecedented that an Indian prime minister had to cover himself with US diplomatic umbrella because of a summon issued against him by an American court in a case related to Gujarat genocide for which hitherto he had been denied US VISA.


গর্বে ভরে যায় মনপ্রাণ,তবু লজ্জায় ঢেকে যায় মুখ।


মার্কিন মুক্তবাজারে অভূতপূর্ব প্রধানমন্ত্রী ভারতের,যার বিরুদ্ধ বক্তৃতার আগে দাঙ্গার অভিযোগে সমন জারি করল মার্কিন আদালত।

এবং তিনি বললেন দেশের সব আইন খারাপ,সব আইন পালটে দেবেন,সার্বভৌম রাষ্ট্র ভারতেরপ্রধানমন্ত্রীর বিদেশে মাটিতে অভূতপূর্ব যুদ্ধঘোষণা ভারতীয় সংবিধানের বিরুদ্ধে।

গণসংহারের অভিযোগে অভিযুক্ত প্রধানমন্ত্রী বললেন মুক্তবাজার,পিপিপি মডেল এবং মার্কিন নাগরিকদের ভারতে  ঢালাও সুযোগ,সুবিধা ও ছাড়ের।

হরিকথা অনন্ত,আসুন আমরা পায়দল ফৌজ মহোত্সবে মাতি,অশ্বমেধে যারা মরার জন্যই জন্মজন্মান্তরের পাপে অভিশপ্ত,তারা মরুক আগে।


সাবধান যেহেতু  রীতিমত তালিম নিয়ে পুরোদম প্রস্তুতির ফসল হিন্দি ইংরেজি ও সংস্কৃততে তিনি খারিজ করলেন ভারতীয় সংবিধান,পেশ করলেন মুক্তবাজারি মনুস্মৃতি বিধান।

অথচ দক্ষিন এশিয়ার যুদ্ধোন্মাদি ধর্মজিহাদি পরিবেশ বদলানোর জন্য প্রধানমন্ত্রীর মার্কিন সফর পুরোপুরি ব্যর্থ।

AMERICAN PRESS







NEW YORK TIMES

Modi is here to sell a new New India, with himself as the man who can be trusted to deliver on its promise His speech at Madison Square Garden telegraphed a wish list on the eve of his first meeting with President Obama, while also deftly rallying an influential diaspora to his side The report wondered "whether he is willing or able to bridge India's wide differences with the United States on tax policy, climate change, outsourcing, intellectual property rights and other issues."

WASHINGTON POST

Modi will arrive in Washington Monday a hero to a majority of the region's large and successful Indian American community. But he will also face protests from some Indian minority groups who call him a Hindu extremist and say he failed to control deadly religious riots a decade ago.

USA TODAY

Modi, speaking in Hindi, used the rally that included members of Congress and other dignitaries to list what the world's most populous democracy offers to the world and to point out common ground with the United States, the world's first democracy





Sep 30 2014 : The Economic Times (Kolkata)

THE MARS CLUB - After all, 2's Company


Agencies





Nasa says keen on sharing maven Mars data with India's Mangalyaan probe

Nasa'sMAVEN spaccraft began orbit ing Mars on Sunday,on a mission to study how the Red Planet's climate changed over time from warm and wet to cold and dry. The unmannedorbiter has traveled more than 10 months and 442 millionmiles (711 million kilometers) to reach Mars for a first-of-itskind look at the planet's upperatmosphere. "Wow, what a night.You get one shot with Mars orbit insertion and MAVEN nailed it tonight," said project manager David Mitchell. The data from the Mars Atmosphere and Volatile Evolution (MAVEN) spacecraftaims to help scientists understandwhat happened to the water on Mars and the carbon dioxide in itsatmosphere several billion years ago.How Mars lost its atmosphere is one of science's biggest mysteries. The answers couldshed light on the planet's potential to support life -even if that was just microbial life -long ago.

MAVEN's findingsare also expected to help add to knowledge ofhow humans could survive on a future visit to the Red Planet, perhaps as early as 2030."Mars is a cool place, but there is not much atmosphere," said John Clarke of the MAVEN science team."It is very cold, it is well below zero.The atmosphere is about half a percent of what we are breathing," he added. "But we know that Mars could change and it was probably different in the past. There is a lot of evidence of flowing water on the surface from Mars' ancient history."

Next, MAVEN will enter a six-week phase for tests. It will then begin a one-year mission of studying the gases in Mars' upper atmosphere."We are looking at early November as the official start of science," said MAVEN principal investigator Bruce Jakosky. Much of MAVEN's year-long mission will be spent circling the planet 3,730 miles above the surface. An Indian spacecraft, Mangalyaan, is expected to reach Mars."We are anxiously awaiting the arrival in two days of Mangalyaanand we are hoping for their success," said Jakosky."We are sending them the best wishes from the entire MAVEN team ."












  1. Rajdeep Sardesai Scuffle: Journalist Seen Hitting Back at Modi ...

  2. International Business Times, India Edition-3 hours ago

  3. Senior journalist Rajdeep Sardesai, who was caught in a much-publicized scuffle with a group of pro-Modi supporters outside Madison Square ...

  4. Rajdeep Sardesai heckled, manhandled: Senior journalist shares ...

  5. Daily News & Analysis-29-Sep-2014

  6. Attack on Rajdeep Sardesai: Editors Guild condemns assault

  7. Firstpost-21 hours ago

  8. Pro-Narendra Modi supporters beat up TV anchor Rajdeep Sardesai...

  9. Financial Express-29-Sep-2014

  10. Journalist Rajdeep Sardesai manhandled outside Madison Square ...

  11. Times of India-28-Sep-2014

  12. Zee News

  13. Zee News

  14. Daily News & Analysis

  15. Firstpost

  16. Financial Express

  17. Times of India

  18. Explore in depth (74 more articles)


Sep 30 2014 : The Times of India (Ahmedabad)

Sep 30 2014 : The Economic Times (Kolkata)

Aryan Migration Theory may Soon Become History

Ritika chopra

New Delhi:





DU's Sanskrit dept kickstarts project to prove Aryans were not foreigners

Delhi University's Sanskrit department has thrown its weight behind a project that could possibly re write history to fit the Sangh Parivar's view of India's past -a move that's likely to gain political colour considering the resounding victory of the Narendra Modi-led BJP in the general election.

Here's what most history books tell us -first there wa the Indus Valley Civilization that flourished in places such as Mohenjo-Daro and Harappa. Then, around 3,500 years ago, this went into decline as the Aryan nomadic tribes crossed the mountains and s entered India. But the Hindu nationalist narrative, as es poused by the Sangh Parivar and its affiliates, says the Aryans were an indigenous people -not migrants.



NAMORICA - Modi pledges stable tax policy to woo US business


New York New Delhi

TNN & AGENCIES





`We Can Use Coalgate Verdict To Clean Up Past'

Prime Minister Narendra Modi on Monday pitched for investments from some of the largest American corporations with the promise of a stable tax policy and an assertion that he wants to convert the Supreme Court ruling on coal block allocation into an opportunity to move forward and "clean up the past".

"It is my conviction that tax stability is essential for confidence building," said Modi, who hosted 11 CEOs for breakfast. The Prime Minister's comment on a stable tax regime comes amidst severe criticism of the policies followed during the UPA regime, including retrospective amendments to the law to claim taxes from Vodafone that acquired Hutch's telecom assets in India. Modi and his colleagues have not shied away from referring to the policies as "tax terrorism".

His candidness extended to the coal block allocations as well since the court ruling is seen to be harsh by corporates as it impacts awards go ing back two decades and comes at a time when the government is keen to boost investor sentiment.

The PM -who has given economic turnaround top billing in his scheme of things -told CEOs including Google chairman Eric Schmidt, Citigroup CEO Michael Corbat, PepsiCo's Indra Nooyi, GE's Jeff Immelt and drugmaker Merck's Kenneth C Frazier that the government is open to suggesti ons to speed up activity in Asia's third largest economy.

While hearing out the concerns expressed by business leaders, Modi assured them that his government would address the problems and try to make the overall environment more businessfriendly. "India is openminded. We want change.Change that is not one-sided.Am discussing with citizens, industrialists & investors," Modi was quoted as saying in a tweet by the MEA spokesperson.

He flagged infrastructure development as a key activity for overseas investors, arguing that it creates jobs and improves the quality of life.The government is keen to ensure that every village has 24x7 electricity supply, road development picks up speed again, ports have enough capacity to boost trade and airports are modernized.

Modi repays ban with visa on arrival

In a rather ironic twist to a well-chronicled episode, Modi on Sunday announced visa on arrival facility for Americans, whose government revoked his US visa and kept him out of the country for nearly a decade.Modi has made no direct reference to the ban, but is showing his host country his power base in the US despite a decade-long absence.

Obamas too may skip food at dinner

At the time of going to press, PM Modi had not yet begun his ''private dinner'' with the Obamas. The buzz was that in keeping with his fast, he would only be offered hot water, lemon juice, perhaps some tea, and honey from the White House's own beehive to lace any of the beverages. Even the First Couple were expected to not be chowing down any dinner.

Prime Minister Narendra Modi flagged infrastructure development as a key activity for overseas investors, arguing that it creates jobs and improves the quality of life.The government is keen to ensure that every village has 24x7 electricity supply, road development picks up speed again, ports have enough capacity to boost trade and airports are modernized.

In the past, tax administration and frequent changes in government policies have been cited as major hurdles to investing in India. In recent years, even Indian business houses have often shunned investing in the country and gone overseas.The Modi government is keen to revive the investment cycle and is wooing investors, especially in the manufacturing sector, although the PM made it clear last week that the government does not believe in doles and concessions to attract flows into the country .

Describing the meeting as "excellent and very good", business leaders said that the PM heard their concerns and listed out the government's priority areas."He answers questions brilliantly and is very focused on improving India. So, we are thrilled to be working with him," Nooyi said. TNN & AGENCIES For the full report, log on to http:www.timesofindia.com


Sep 30 2014 : The Economic Times (Kolkata)

BOOST TO MANUFACTURING- Foreign-Funded Cos Making Here may Sell Online

Dilasha Seth & Shambhavi Anand

New Delhi





Retailers such as Fabindia, with 34th local manufacturing, to benefit the most

The government is likely to allow foreign-funded Indian companies to sell goods online if they make more than three-fourths of their product range themselves at home as part of Prime Minister Narendra Modi's wider push to promote manufacturing and in order to boost homegrown brands such as Fabindia.

Finance Minister Arun Jaitley had said in his July 10 budget that manufacturers will be allowed to sell goods online even if they have foreign investment provided they manufacture locally. The existing foreign investment policy does not allow any foreign direct investment (FDI) in ecommerce.It also does not define `manufacturing'.

Fabindia, which makes 80% of the merchandise it sells on its own but is registered as a single-brand retailer, has written to the Department of Industrial Policy & Promotion (DIPP) asking to be treated as a manufacturer. This would enable the Indian-owned and controlled garment, fabric and furnishings company to take advantage of the budget proposal and also freely access foreign funds for expansion. Fabindia couldn't be immediately reached for comment. "We are trying to find some solution to that and help an Indian brand grow big. Those manufacturing in India should be allowed to sell online. We will need to tweak the policy suitably ," said a DIPP official who didn't want to be named. "In normal cases, money comes through foreign brands, Gucci or L'Oreal. All those are foreign brands coming. Here it is a reverse process. We should permit this. It must be promoted and the government is looking at it positively," he added.

Just before leaving for the US, the prime minister had on September 25 kicked off the `Make in India' campaign in the presence of CEOs and industry captains, promising a transparent and secure environment to do business in the country as part of a strategy to boost domestic manufacturing, create more jobs and thus add to the growth impetus.

Fabindia is 60% owned by Indian shareholders while JLB Canton holds a 23% stake and WCP Mauritius has 16%. The company procures 98% of the products it sells from India, of which 80% come from its own manufacturing units and the rest from small and medium enterprises. It sells some goods through ecommerce using permission obtained in the early 1990s.

"It is an Indian brand, producing in India. But they are also sourcing from other places...organic teas and all. It is not allowed under the existing policy. But we are determined to sort it out," said the official cited above.

The government is not keen on opening up ecommerce to FDI as it sees this as a backdoor entry for overseas investment in multi-brand retail.


Sep 30 2014 : The Economic Times (Kolkata)

Offline March of the Online Brigade

shelley singh






More and more niche e-commerce players are setting up physical stores to build brand awareness, trust and the market. The big idea is to not just drive traffic online, but also to see if they can leverage their online equity in the physical retail space, reports Shelley Singh

In mid-October, online furniture retailer Pepperfry will do something it never imagined: open a 2,500 sq ft store at Powai in Mumbai. An "experience centre", the two-year-old company calls it. Here, buyers can check out about 25 pieces of sofas and dining sets. They can obtain interior-design tips.They can engage with iPad-wielding staffers and see the entire 10,000-odd Pepperfry range online.

Its rivals on the web have a similar idea.Fabfurnish, which already has four physical stores, plans to increase it to nine, across four cities, in the next 12 months.And Urbanladder, for the past two months, has been sending three single-seater sofa samples to homes of interested buyers so that they can feel first-hand aspects like make, foam, inners and spring. "We cannot address furniture completely online -it's a pain point," says Rajiv Srivastava, COO and co-founder of Urbanladder. "That's how the `trial room' idea came about."

Their online peers in other specialised shopping categories have similar designs.On August 24, jewellery retailer CaratLane opened its fourth store, in Bangalore. Child products retailer Firstcry will hit 100 franchisees in December. Eyewear retailer Lenskart has 25 stores and 100 optometrists -diploma holders, not doctors -who come home to do eye-checkups. "Going offline is important for us as an element of eye checkup is involved in our business," says Peyush Bansal, co-founder-CEO of Lenskart. "It's also a good way to build trust for the brand."

The narrative is of online players trying to change mindsets about Internet shopping in a country that has just begun its online initiation. So, they see these stores not as outand-out shopping hubs, but as spokes that feed the online hub by giving users a `live' experience, building brand awareness and watering the online habit.

But, at some level, it's also about diffusing the boundaries between online and offline, at times even the bold ambition of building a national brand that is equally dominant and omnipresent in both spaces. "Smart digital retailers are starting to recognise they too need a broader, multi-channel approach for many of the same reasons as offline retailers need to go online," says Pragya Singh, associate vice-president, retail & consumer, Technopak, a retail consultancy."Customers don't come only online or only offline -they come anywhere."

Nature Of Niche

Players in niche product categories -like furniture, jewellery and child products --are at the forefront of this offline drive. These are categories where look and feel matters to a consumer, more so as the product value increases. An online-only presence was not facilitating the conversion of customer clicks to sales at the scale or frequency they would have liked.

The solitaires at CaratLane, for example, start at Rs 50,000 and go up to Rs 4 crore."Buyers want to see and try before they pay," says Calvin John, vice-president, marketing, CaratLane. "Virtual try-rooms do not complete the experience." Supam Maheshwari, co-founder of Firstcry, too cites the shopping experience. "For any couple, parenting is a new experience and they like to go out to shop," he says. "Only online does not complete the experience that new parents look forward to."

Anil Jaggia, CIO of HDFC Bank, offers an analogy from the banking sector as another compelling reason why a physical presence helps. "Today, I can take banking to the masses via smartphones and Internet banking," he says. "But a customer in a remote town is unlikely to open an account with a bank he can't physically see. So, I need to open a branch in a city. It adds to trust and comfort."

One estimate of how much that comfort adds up to comes from John of CaratLane."We have seen the bill value triple when the customer has an option to try and buy," he says. CaratLane stocks about 125,000 solitaires on its webstore, but just 40-60 pieces in its physical stores.

Cost And Benefits

A similar variance in product range is seen across all e-commerce players that are establishing an offline presence too. Lenskart, which expects about 20% of its business to come from offline sales, has 4,000 spectacle frames on its webstore, but 400 in its shops. At Firstcry, the split is 70,000 online and 2,000 offline. "For example, we have 60 (baby) car seats online and only the fast-selling four or five in stores," says Maheshwari.

Product range is a function of store size. Lenskart's strategy is to open 200-300 sq ft. And increasingly, it is looking to go beyond metros, to towns like Agartala, Bhubaneshwar, Nagpur and Tinsukia.

"Lenskart is in a niche," says Sanjeev Aggarwal, senior managing director of Helion Venture Partners, a VC fund that has invested in the company. "Repeat buyers is a problem. Hence, it's tapping the offline market as well.' Costs are a limiting factor for these of fline plays. Each CaratLane store requires an investment of Rs 60 lakh, plus running e cost of Rs 1 lakh to Rs 3 lakh a month, though John expects break-even from year one.

Similarly, Pepperfry is paying a rent of Rs 3.75 lakh for its store in Powai, Mumbai. "If we go to a mall, the rental will be thrice that," : says Ambareesh Murty, founder & CEO of Pepperfry.

The other option is to take the franchisee route, as Firstcry and Fabfurnish are doing.

Each Fabfurnish store is about Rs 5,000 sq ft in size and requires the franchisee to spend about Rs 15 lakh to set it up. According to Vikram Chopra, CEO of Fabfurnish, its physical stores average 100 customers a day, against 150,000 online. "I can't open a 30,000 sq ft store (typical size of furniture stores) on a high street," he says. "Also, my USP is a 60,000 products catalogue online. Instead we are focusing on 5,000 sq feet stores to build the brand and build customer connect."

National Ambitions

While brand building for online traffic is their primary objective to set up physi cal stores, some businesses harbour the hope this can evolve into a one-two punch.

Fabfurnish, Firstcry and Lenskart all see an opportunity to build a national brand of some scale, which is currently absent in their respective segments. "Retailing in India is still unorganised," says Maheshwari of Firstcry. "There's no nation al retail chain catering to babies. We also see an opportunity to capture that space."

Companies are framing that opportunity not just in the online context, but are also seeing it through the prism of organised re tail. Retail in India is a $500 billion industry; of this, organised retail accounts for 8% and web stores 0.5%. "We have leapfrogged from unorganised retail to e-commerce," says Mukul Arora, vice-president of SAIF Partners. "Penetration of organised retail in the US is 70% and less than 10% in India. It is a unique opportunity for Indian startups to grab the offline space as well."

Furniture, for example, is a $20 billion market in India, across unorganised and organised. According to Srivastava of Urbanladder, the online segment has increased from 0 to Rs 250 crore in two years, and he expects it to double this year. And it's also powering offline sales. "70% of our (Urbanladder's) sofa business is online, while 30% is offline," adds Srivastava.

Today, in a new market like India, customer addition in the online space is brisk, but it will normalise at some point."If India follows a similar pattern as developed markets, online retail will be no more than 10% of the total business," says Rachna Nath, leader, retail & consumer, PricewaterhouseCoopers (PwC) India."There's plenty of headroom for e-tailers to grow. But most shoppers come offline and that's where setting up shops fits in."

There are global precedents. Mielele, the largest online furniture seller in China, also has 250 stores. In the US, garment retailers Indochino and Bonobos, and eyewear maker Warby Parker, run what they call `guide shops' and `pop-up' physical stores to get buyers check out collection offline."Vertical players have strong margins -40-50% -to forge a strong offline play," says Niren Shah, managing director of Norwest Venture Partners.

For now, though, these niche online businesses are unsure of a full-scale offline play."There are certain advantages that online offers -like I can display all products without paying high retail rentals," says Murty of Pepperfry. "Besides, we are a marketplace and don't want to take the focus off our core strength."

shelley.singh@timesgroup.com












Sep 30 2014 : The Times of India (Ahmedabad)

NAMORICA - Modi's master card: Easy visas for US

Chidanand Rajghatta

New York:





Country That Denied Him Visa To Get Smooth Entry

Mastercard worldwide is headed by an Indian (Ajay Banga), but it was visa (albeit with a lower case v) that's talk of the town among PIOs, Indian-Americans, and American Indophiles. In a twist to a now well-chronicled episode, Narendra Modi on Sunday announced visa on arrival in India facility for Americans, whose government revoked his US visa and kept him out of the country for nearly a decade.

PM Modi has made no direct reference to the ban on him, but he's showing his host country his power base in the US despite his decadelong absence. "You've given me a lot of love. This kind of love has never been given to any Indian leader, ever," Modi told an adoring crowd at Madison Square Garden, his words seemingly aimed at Washington, where successive administration ostracized him and was deeply respectful of his predecessors, PMs Manmohan Singh and Atal Bihari Vajpayee.

Some 40 American lawmakers and politicians were on hand to witness (and carry home to Washington and their constituencies) the adoring reception Modi received in New York City , from the moment he alighted at the New York Palace Hotel to the Madison Square Garden gala.With a median annual income of $ 88,000 (national average $ 54,000) Indian-Americans are by far the wealthiest ethnic group in the US (more than white native-born Americans or even Jewish-Americans), and their political lolly is as important to American pols as their skills and the positive mood and image they can generate is to India.

Which is why Modi is almost falling over his fasting self to please this constituency , announcing everything from visa on arrival (to US citizens) to life-long visa to those with the PIOOCI card (which will soon be merged).The logistics and timeline for this is yet to be laid out, but home ministry and internal security officials tasked with keeping the next Dav id Coleman Headley out of India are tearing their hair out at how to construct the filters while fulfilling Modi's sweeping promises. Mercifully for the Election Commission and others, it does not for now include the right to vote and the dual citizenship some PIOs have long sought.

The background to Modi's deep affection for Indians in America goes back to his visits to this country in the early 1990s, as first reported in this newspaper. The story goes that during his first America visit, Modi bought a Delta Airlines ticket that in those days al lowed unlimited month-long t flying within the continental s US (there had to be an empty seat on the flight and you were r the last to board). That is how d he travelled across the country (29 states) going from Califore nia to Texas to Florida, often s taking a redeye to save on lodging.s In many places, he stayed with friends, mostly Gujarati (Gujarati columnist emeritus Kanti Bhatt once told this correspondent in the 1990s he could have a free meal and bed in any US town by looking up the phone book for Patels and Shahs). Modi did pretty much the same, arriving with a thaila (sling bag) with one spare set of clothes. Some of those hosts, like Indiana physician Dr Bharat Barai and his wife Panna, are now key frontpersons of Modi's overseas fan club that's expanded vastly because of its disappointment with the previous political dispensation, and its hopes in this one.

This is the constituency (which turned up in strength at Madison Square Gardens) that Modi is rewarding with the `'Visa...whenever you want to come'' announcement, although it will mean challenges for the security bureaucracy at a time they and their counterparts are facing growing threats. But the PM sees it as an opportunity to bump up tourism, one of the world's largest foreign exchange earners, hoping to see Americans stream into India and travel the same way he trawled across the US. "Terrorism divides, tourism unites," he said at Ambassador S Jaishankar's reception, asking Indians in America to each send at least five American families to India for holidays.


Sep 30 2014 : The Times of India (Ahmedabad)

PM charms 2 powerpuff girls

Indrani Bagchi

New Delhi:





Among Narendra Modi's numerous meetings in New York, two stood out for the quality of his interlocutors. Tulsi Gabbard, the first Hindu Congresswoman (from Hawaii), gifted the PM the copy of the Gita she used to take oath of office.

His second meeting was with Nikki Haley, the feisty Republican governor from South Carolina, a child of Punjabi immigrants, whose political future is particularly bright.

Gabbard became a practising Hindu from her mother who practises Chaitanya Vaishnavism propagated by ISKCON. Her father, a Christian, is believed to be a singer of kirtans. She is not only the first Hindu but also among the first combat veterans, having served two deployments in the Middle East.

Gabbard is a passionate yoga practitioner, and, according to the MEA spokesperson has enthusiastically greeted Modi's suggestion that the world celebrate an international yoga day . Gabbard will probably make her first visit to India as a guest of the PM.

"She discussed her approach towards issues of defence as well as international cooperation in terms of working against common threats that are posed through terror," The MEA spokesperson said.Actually, in the face of the ISIS threat, Gabbard has proposed that the US revoke its visa-waiver programme for UK, France and Germany, given the number of their citizens who have embraced the global terror group.

Haley, on the other hand, burst on the US political scene after she was elected South Carolina governor. She plans to lead a trade delegation to India in November and was one of the 30-odd politicians who listened to Modi in Madison Square.

Haley is currently the youngest governor in the US and with Bobby Jindal of Louisiana, the shining brown hope of the Republican Party -both will be people to watch out for in the run-up to the 2016 presidential elections.









Rajdeep Sardesai Scuffle: Journalist Seen Hitting Back at Modi Supporters [VIDEOS]

Journalist Rajdeep SardesaiTwitter

Senior journalist Rajdeep Sardesai, who was caught in a much-publicized scuffle with a group of pro-Modi supporters outside Madison Square Garden ahead of Narendra Modi's speech on Sunday is also facing the heat from several netizens on social media after videos showed him getting abusive as well.

According to reports, a mob of supporters of Modi were peeved at the journalist for taking up touchy issues about the Prime Minister even as thousands of Indians had assembled at the iconic venue for his address. Sardesai was interviewing several members of the Indian community in the run-up to Modi's speech, when the first incident occurred.

Did Rajdeep Sardesai Attack First? New Versions of Incident Go Viral on Social Media

While the video of the first assault on Sardesai outside the venue was circulated online, he also reportedly came under a second line of assault on the same day, as narrated by a fellow journalist.

However, another video has also surfaced showing Sardesai himself getting down to a fistfight with one of the members in the crowd, also hurling abuses at him, to which the crowd reacted angrily.

What had reportedly angered the crowd was Sardesai's tweet earlier in the day, about businessman Gautam Adani staying in the same hotel as Modi's in New York.

Sardesai had tweeted on Saturday, saying, "Guess who is the high profile Indian staying in the hotel where Indian PM is and attending all events?" And later followed it up with another tweet

- "Ans to yday question: Gautam Adani is the other VIP guest at Hotel New York Palace. Many of you got it right!"

The crowd hurled abuses at Sardesai with the chant "Rajdeep Sardesai Murdabad."

Here is the video of the incident that was posted on Youtube showing Sardesai being assaulted. However, its authenticity has not been verified.

Another video shows Sardesai getting aggressive at the crowd.

However, Sardesai's ordeal was not over with that incident, and he came under a second round of abuse by a group of Indians towards the end of Modi's speech as well, as brought out by journalist Achint Sharma in a Facebook post in which he describes the "Story Part II'.

Sardesai's fellow journalist Achint Sharma has come out with a post about the incident that he himself witnessed, in which he highlights how a mob of 50 people attacked the journalist and the camera person.

Here's an excerpt from the post:

The Story Part II ( Right after the event at Madison Square Garden)

I was at Times Square when I heard or in fact read about it as the screen out there flashed a tweet about Rajdeep's episode earlier in the day.

Once done interviewing and usual stuff, I took a walk down to the Madison Square Garden, the Venue where Rajdeep was heckled in the morning.... while I interviewed the last family, I hear some noise, quite different from 'Har Har Modi' or the 'Modi Modi' chant across the 7th Avenue. I turn around only to find Rajdeep Sardesai and a senior cameraperson in the middle of a mob trying to calm down a group of approximately 50 people around him."

"I barge in, just to check if Rajdeep was alright. Yes, he was. Smiling, calm, and trying to reason out a crowd which wasn't prepared to listen to anything he said. Then the pushing and shoving begins. A barrage of abuses follow.

Why? Probably because of Rajdeep's tweet about an influential person staying in the same hotel as Narendra Modi's.

The mob called him names and hurled the choicest of words towards him. When I tried to shield the fellow journalist, I realised, that I became a target as well. This went on for good 10-15 minutes. The NYPD was right there, but won't blame them for not knowing what was going on in the middle of that crowd of 50-odd people. The cameraman had to ensure his equipment was safe, so he was trying his best to fend off a few people who tried to come closer to Rajdeep. This went on for good 10 minutes.

Despite my repeated requests to stay away from Rajdeep, the mob continued to shout pro-Modi slogans right in his face to instigate him. A particular person wearing glasses, and an orange attire, almost shoved his phone into the cameraman's lens to which Rajdeep protested."

Sardesai has urged people to read the account.

Earlier on Sunday, Sardesai had taken to Twitter to vent about the first assault incident.

Rajdeep Sardesai


palashbiswaskl.sujarpana@blogger.com, palashbiswaskl.bangla@blogger.com, edit.bsntt.buno@blogger.com,palashbiswaskl.khapra@blogger.com, palashbiwaskl.taklu@blogger.com, bangaindigenous.dhemna@blogger.com, palashbiswaskl.burbaka@blogger.com,bangaindigenous.tarit@blogger.com,palashbiswaskl.primski@blogger.com,palashbiswaskl.tolsto@blogger.com,palashbiswaskl.tultiki@blogger.com,palashbiswaskl.lublove@blogger.com,palashbiswaskl.kurla@blogger.com,palashbiswaskl.thamba@blogger.com,palashbiswaskl.barobor@blogger.com,palashbiswaskl.shamp@blogger.com,palashbiswaskl.dokri@blogger.com,palashbiswaskl.mulga@blogger.com,palashbiswaskl.chhemdi@blogger.com,palashbiswaskl.kishssy@blogger.com,palashbiswaskl.jumbish@blogger.com,palashbiswaskl.sholkolha@blogger.com,palashbiswaskl.satarapune@blogger.com,palashbiswaskl.thanenaka@blogger.com,palashbiswaskl.elephanta@blogger.com,palashbiswaskl.nalasupara@blogger.com,bangaindigenous.khargargh@blogger.com,palashbiswaskl.belabeli@blogger.com,bangaindigenous.na

Previous: Mars mileage handed over! Making up India with plastic surgery.Let Netanyahu come! গর্বে ভরে যায় মনপ্রাণ,তবু লজ্জায় ঢেকে যায় মুখ। মার্কিন মুক্তবাজারে অভূতপূর্ব প্রধানমন্ত্রী ভারতের,যার বিরুদ্ধ বক্তৃতার আগে দাঙ্গার অভিযোগে সমন জারি করল মার্কিন আদালত। এবং তিনি বললেন দেশের সব আইন খারাপ,সব আইন পালটে দেবেন,সার্বভৌম রাষ্ট্র ভারতেরপ্রধানমন্ত্রীর বিদেশে মাটিতে অভূতপূর্ব যুদ্ধঘোষণা ভারতীয় সংবিধানের বিরুদ্ধে। গণসংহারের অভিযোগে অভিযুক্ত প্রধানমন্ত্রী বললেন মুক্তবাজার,পিপিপি মডেল এবং মার্কিন নাগরিকদের ভারতে ঢালাও সুযোগ,সুবিধা ও ছাড়ের। হরিকথা অনন্ত,আসুন আমরা পায়দল ফৌজ মহোত্সবে মাতি,অশ্বমেধে যারা মরার জন্যই জন্মজন্মান্তরের পাপে অভিশপ্ত,তারা মরুক আগে। সাবধান যেহেতু রীতিমত তালিম নিয়ে পুরোদম প্রস্তুতির ফসল হিন্দি ইংরেজি ও সংস্কৃততে তিনি খারিজ করলেন ভারতীয় সংবিধান,পেশ করলেন মুক্তবাজারি মনুস্মৃতি বিধান। অথচ দক্ষিন এশিয়ার যুদ্ধোন্মাদি ধর্মজিহাদি পরিবেশ বদলানোর জন্য প্রধানমন্ত্রীর মার্কিন সফর পুরোপুরি ব্যর্থ। Palash Biswas
$
0
0

লতিফ সিদ্দিকীর ৪৬ অনিয়ম 


Artile

কোনো নিয়মই মানেন না মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী। ২০০৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী থাকার সময় সব ধরনের আইনকানুন, নিয়মনীতি ভঙ্গ করে তিনি সরকারি সম্পত্তি হস্তান্তর করেছেন। আইন বা নীতিমালা মানার ক্ষেত্রে তাঁর বক্তব্য ছিল 'নীতিমালা বঙ্গোপসাগরে নিক্ষেপ কর।

রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গঠিত উচ্চপর্যায়ের একটি কমিটি বলেছে, পাঁচ বছরে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় ৪৮টি সরকারি প্রতিষ্ঠান বেসরকারি খাতে হস্তান্তর বা বিক্রি করেছে। এ সময় দুটি ছাড়া বাকি সব প্রতিষ্ঠান বিনা দরপত্রে, অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ায়, বিনা মূল্যে বা কম মূল্যে বেসরকারীকরণ বা বিক্রি করা হয়। সেই সময়ের বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এককভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে এ ধরনের কর্মকাণ্ড করেছেন।
আবদুল লতিফ সিদ্দিকী এখন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ধর্মসহ বিভিন্ন বিষয়ে মন্তব্য করার জন্য তিনি সব মহলে সমালোচিত হচ্ছেন। এর আগেও তিনি সমালোচিত ছিলেন নানা ধরনের অনিয়মের জন্য। এ কারণে গত ২২ ফেব্রুয়ারি তাঁর মন্ত্রণালয়ের ওপর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে কমিটি গঠন করা হয়। মূলত বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সম্পত্তি বেসরকারীকরণের ক্ষেত্রে আইন ও বিধি মানা হয়েছে কি না এবং চুক্তির শর্ত মেনে সম্পত্তি বিক্রি বা হস্তান্তর হয়েছে কি না, তা যাচাই করার জন্যই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক পবন চৌধুরীকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছিল। এই কমিটি গত ৩১ আগস্ট বিস্তারিত প্রতিবেদন তৈরি করেছে। প্রতিবেদনে মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর নানা অনিয়মের বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া হয়েছে।
লতিফ সিদ্দিকীকে সরানোর গুঞ্জনপ্রতিবেদনে কমিটি সুপারিশ করে বলেছে, অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় ও বিনা মূল্যে বা কম মূল্যে যেসব সম্পত্তি হস্তান্তর করা হয়েছে, সেগুলো আবার রাষ্ট্রের অনুকূলে ফেরত আনার বিষয়টি যাচাই করে দেখতে হবে। এ ছাড়া কমিটি 'রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি জনগণের সম্পত্তি'মন্তব্য করে জনস্বার্থ ক্ষুণ্নের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলেছে।
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১৫ সেপ্টেম্বর প্রতিবেদনটি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব ফণীভূষণ চৌধুরী গতকাল মঙ্গলবার প্রথম আলোকে বলেন, 'প্রতিবেদনটি মাত্রই আমরা হাতে পেয়েছি। প্রতিবেদনে যে সুপারিশগুলো করা হয়েছে, সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে আমরা কাজ শুরু করেছি। যারাই সম্পত্তি হস্তান্তর বা বিক্রয়ের ক্ষেত্রে অনিয়ম করেছে, তাদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
লতিফ সিদ্দিকীর গ্রেপ্তার দাবি এরশাদেরপ্রতিবেদনে বলা হয়, মহাজোট সরকারের পাঁচ বছরে (২০০৯-১৩) বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের বিটিএমসি, তাঁত বোর্ড, বিলুপ্ত জুট করপোরেশন (বিজেসি) এবং বিজেএমসির মোট ৪৮টি প্রতিষ্ঠান বেসরকারীকরণ ও হস্তান্তর করা হয়েছে। এর মধ্যে চট্টগ্রামের ঈগল স্টার টেক্সটাইল মিলের ঋণের সুদ মওকুফ করা হয়। ৩০টি প্রতিষ্ঠান পূর্ণাঙ্গ হস্তান্তর করা হয়েছে, ১৭টি হস্তান্তরের প্রক্রিয়াধীন। এর মধ্যে বিনা দরপত্রে দেওয়া হয়েছে ১২টি। এভাবে সম্পত্তি হস্তান্তরের কারণে জনস্বার্থ ক্ষুণ্ন হয়েছে। তা ছাড়া, এ ক্ষেত্রে বেসরকারীকরণ কমিশন আইন ও নীতিমালাও মানা হয়নি।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৪৬টি প্রতিষ্ঠান বা ভূমি হস্তান্তরের ক্ষেত্রে করা অনিয়মগুলো হচ্ছে: যথাযথ মূল্য নির্ধারণ না করা, বিনা দরপত্রে হস্তান্তর, কেবল মন্ত্রীর সিদ্ধান্তে বিনা মূল্যে স্থায়ী বন্দোবস্ত দেওয়া, বিক্রির আগে অর্থনৈতিক সম্পর্কবিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদন না নেওয়া, বিক্রির শর্ত না মানা, আইনগত জটিলতা নিরসন না করেই হস্তান্তর ইত্যাদি।
লতিফ সিদ্দিকীর সমালোচনায় বিএনপিসাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এম হাফিজউদ্দিন খান প্রথম আলোকে বলেন, 'প্রতিবেদনে যা তুলে ধরা হয়েছে এবং নোটশিটে তিনি যা লিখেছেন, তাতে পরিষ্কারই বোঝা যায় যে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের তৎকালীন মন্ত্রী কাউকে পরোয়া করেননি। তিনি ইচ্ছেমতো ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। আশা করব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রতিবেদনে যেসব সুপারিশ তুলে ধরা হয়েছে, তা বাস্তবায়ন করা হবে এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
সুদ মওকুফ: চট্টগ্রামের ঈগল স্টার টেক্সটাইলের কাছে সরকারের পাওনা বিপুল অঙ্কের সুদ একক সিদ্ধান্তে মওকুফ করেন মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকী। সরকারের পাওনা ছয় কোটি ৬২ লাখ টাকা। এই মিলের দায়দেনা মওকুফের জন্য বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হলে লিখিতভাবে জানানো হয়, 'মওকুফের ক্ষমতা এককভাবে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীর নেই। এ ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক মন্ত্রিসভার অনুমতি লাগবে।'কিন্তু নথিটি মন্ত্রীর কাছে গেলে লতিফ সিদ্দিকী মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য নাকচ করে দিয়ে সিদ্ধান্ত দেন, 'এই মিলের দায়দেনা সরকারের মালিকের ওপর চাপিয়ে দেওয়া ঠিক হয়নি, তাই মূল অর্থ ও সুদ মাফ করা যায়।'কিন্তু এর পরেও ওই মালিক আসল টাকা পরিশোধ না করে এখনো মিলটি ভোগদখল করছেন।
মুখফোঁড় নেতারা এমন কথা বলতে পারেন: সাজেদাএকক সিদ্ধান্তে বিক্রি: কুষ্টিয়ার মোহিনী মিলস লিমিটেড লোকসানের কারণে ১৯৮২ সালে বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে ১৯৮৪ সালে মিলটি বিক্রির জন্য দরপত্র আহ্বান করা হলে নজরুল ইসলামে নামের এক ব্যক্তি সেটি কিনে নিয়ে নামকরণ করেন শাহ মখদুম টেক্সটাইল মিলস। তখন মিলটির বিক্রয়মূল্য ছিল ১১ কোটি ২৬ লাখ টাকা এবং দীর্ঘমেয়াদি ঋণ ছিল প্রায় ১৩ কোটি টাকা। নজরুল ইসলাম টাকা ঠিকমতো পরিশোধ করতে না পারায় দরপত্র বাতিল করা হলে তিনি আদালতে মামলা করেন। ২০০৯ সালে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি ফয়সালার নির্দেশ দিলে মামলা প্রত্যাহারের শর্তে ওই প্রতিষ্ঠানকে কিস্তি, দায়দেনাসহ ৪৯ কোটি টাকা পরিশোধের জন্য বলা হয়। পরে শাহ মখদুম টেক্সটাইল মিলের পক্ষে দ্য পিপলস ডেভেলপমেন্ট করপোরেশন নামে একটি মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠান টাকা পরিশোধে রাজি হয়। কিন্তু মামলা প্রত্যাহার বা টাকা পরিশোধ না করায় মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকী মিলটি ফেরত না নিয়ে একক সিদ্ধান্তে আবদুল মতিন নামের আরেক ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রির নির্দেশ দেন। শেষ পর্যন্ত তিনিও কোনো টাকা পরিশোধ করেননি। এরপর এনারগোটেক নামে আরেকটি প্রতিষ্ঠানের মালিক আরিফুর রহমানের সঙ্গে মিলটি বিক্রির জন্য চুক্তি করা হয়। তিনিও সম্পূর্ণ অর্থ পরিশোধ করেননি। এরপর অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ বারবার মিলটি বেসরকারি কমিশনের কাছে ন্যস্ত করার কথা বললেও মন্ত্রী নিজেই মিলটি বিক্রির কার্যক্রম চালিয়ে গেছেন।
এখনো তাঁর মন্ত্রী থাকা আশ্চর্যের বিষয়: বি চৌধুরীকমিটি বলেছে, বিক্রির পুরো প্রক্রিয়াটিই ছিল অবৈধ। এ ছাড়া মিলটি প্রাক্কলিত মূল্যের চেয়ে অনেক কম মূল্যে বিক্রি করা হয়েছে।
অবৈধভাবে বিক্রয় ও হস্তান্তর: গাজীপুরের কালীগঞ্জের মসলিন কটন মিলটি বাংলাদেশ জুট মিল করপোরেশনকে (বিজিএমসি) ন্যস্ত করা হয়। এর পরও ২০১১ সালে এটি রিফাদ নামে একটি পোশাক কারখানার কাছে ১৩৫ কোটি টাকায় বিক্রি করা হয়, যা সম্পূর্ণ বেআইনি বলে মন্তব্য করেছে তদন্ত কমিটি। কমিটির মতে, মিলটি অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় হস্তান্তর করা ছাড়াও এর দায়দেনা ও মূল্য যথাযথভাবে নির্ধারণ করা হয়নি।
সমঝোতা করে সম্পত্তি বিক্রি: বিলুপ্ত বিজেসির সম্পত্তি পাট বেলিং কেন্দ্র খুলনার দৌলতপুরে অবস্থিত। এই কেন্দ্রটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর ২০০৯ সালে সম্পত্তিটির দাম ধরা হয় ১৪ কোটি ৪২ হাজার ২১৩ টাকা। কিন্তু বিক্রির জন্য দরপত্র আহ্বান করা হলে উত্তরা জুট ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী সুজিত কুমার ভট্টাচার্য সর্বোচ্চ দাম দেন পাঁচ কোটি পাঁচ লাখ টাকা। কিন্তু এই দর প্রস্তাব নাকচ করা হলে সুজিত কুমার সম্পত্তিটি পাঁচ কোটি পাঁচ লাখ টাকায় কেনার জন্য মন্ত্রীর কাছে আবেদন করেন। মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকী তা অনুমোদন দেন।
কমিটির মতে, মন্ত্রীর নির্দেশমতো সবকিছু হয়েছে। তা ছাড়া, সমঝোতার মাধ্যমে দাম ঠিক করে জমি বিক্রি করা হয়েছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে কমিটি।
যুক্তরাষ্ট্রে লতিফ সিদ্দিকীর মন্তব্যে ক্ষোভ, প্রতিবাদপ্রতিবেদন অনুযায়ী, এ ছাড়া নেত্রকোনার সাবেক জুট বোর্ড ও বগুড়ার সুরজমহল আগরওয়ালা মিলটি দরপত্র ছাড়াই বিক্রি করা হয়েছে। আর কুড়িগ্রামের ঘেঊরচাঁদ মাঙ্গিলাল জমিটি নিষ্কণ্টক না করে দরপত্র আহ্বান ও বিক্রি করেছে মন্ত্রণালয়। আবার তাঁত বোর্ডের নিয়ন্ত্রণাধীন নোয়াখালীর টেক্সটাইল ফ্যাসিলিটিজ সেন্টারের জমি দরপত্র মূল্য অনুযায়ী না নিয়ে অনেক কম মূল্য হস্তান্তর করা হয়েছে।
কমিটি আরও বলেছে, শ্রমিক ও কর্মচারীদের কাছে হস্তান্তর করা প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রামের ফৌজদারহাটের ফ্যারিলিন সিল্ক মিলস নীতিমালা ভেঙে তৃতীয় পক্ষের কাছে বিক্রি করা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জের গোদনাইলে অবস্থিত নিউ লক্ষ্মী কটন মিলটিও চুক্তি ও নীতিমালাবহির্ভূতভাবে তৃতীয় পক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। শর্ত ভঙ্গ করলে চুক্তি বাতিল ও মিল অধিগ্রহণের নিয়ম থাকলেও তা করা হয়নি।
লতিফ সিদ্দিকীর পদত্যাগ দাবি বিএনপিরএ ছাড়া টঙ্গীর নিশাত জুট মিলের কিছু জমি মতিঝিলে মধুমতি সিনেমা হলের পাশে ছিল। সেই জমি ঢাকাস্থ চট্টগ্রাম সমিতির হাসপাতাল বানানোর জন্য ৯৯ বছরের জন্য এক লাখ এক হাজার ১০১ টাকায় ইজারা দেওয়া হয়। গণপূর্ত ও গৃহায়ণ মন্ত্রণালয় প্লটটি বিক্রি বা হস্তান্তর না করার শর্ত দিয়েছিল। তার পরও ইজারা দেওয়া হয় এবং জমির মূল্যও নির্ধারণ হয়নি। এর কারণ হিসেবে মন্ত্রী লিখেছেন, '....ব্যক্তিগত জীবনে আমি চট্টলা কন্যার পাণি গ্রহণ করেছি।....মানবতার সেবায় তাদের সহযোগিতা করার নৈতিক দায়িত্ববোধ করছি।'
কমিটির মতে, কুমিল্লার দৌলতপুরের চিশতী টেক্সটাইল মিলস বিনা দরপত্রে ও কম মূল্যে বিক্রি করা হয়েছে। চট্টগ্রামের ফৌজদারহাটের ন্যাশনাল কটন মিল বিক্রির আগে অর্থনৈতিক মন্ত্রিসভা কমিটির মতামত নেওয়া হয়নি, রাজধানীর হাটখোলার ঢাকেশ্বরী কটন মিলটি বিনা মূল্যে হস্তান্তর করা হয়েছে, নাসিরাবাদের ভ্যালিকা উলেন মিল বাস্তব মূল্য অপেক্ষা কম মূল্যে বিক্রি করা হয়েছে, জামালপুরের আর সিম প্রেস হাউস বিক্রির ক্ষেত্রে নীতিমালা অনুসরণ করা হয়নি। ফেনীর রানীর হাটের দোস্ত টেক্সটাইল হস্তান্তরের ক্ষেত্রেও বেসরকারীকরণ কমিশন আইন ও নীতিমালা মানা হয়নি।

'http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/334891/%E0%A6%B2%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AB-%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%80%E0%A6%B0-%E0%A7%AA%E0%A7%AC-%E0%A6%85%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%AE

মূল্যবোধের অবক্ষয় ও বাম রাজনীতি ।। অরূপ বৈশ্য ।।

Previous: palashbiswaskl.sujarpana@blogger.com, palashbiswaskl.bangla@blogger.com, edit.bsntt.buno@blogger.com,palashbiswaskl.khapra@blogger.com, palashbiwaskl.taklu@blogger.com, bangaindigenous.dhemna@blogger.com, palashbiswaskl.burbaka@blogger.com,bangaindigenous.tarit@blogger.com,palashbiswaskl.primski@blogger.com,palashbiswaskl.tolsto@blogger.com,palashbiswaskl.tultiki@blogger.com,palashbiswaskl.lublove@blogger.com,palashbiswaskl.kurla@blogger.com,palashbiswaskl.thamba@blogger.com,palashbiswaskl.barobor@blogger.com,palashbiswaskl.shamp@blogger.com,palashbiswaskl.dokri@blogger.com,palashbiswaskl.mulga@blogger.com,palashbiswaskl.chhemdi@blogger.com,palashbiswaskl.kishssy@blogger.com,palashbiswaskl.jumbish@blogger.com,palashbiswaskl.sholkolha@blogger.com,palashbiswaskl.satarapune@blogger.com,palashbiswaskl.thanenaka@blogger.com,palashbiswaskl.elephanta@blogger.com,palashbiswaskl.nalasupara@blogger.com,bangaindigenous.khargargh@blogger.com,palashbiswaskl.belabeli@blogger.com,bangaindigenous.na
$
0
0

Sushanta Kar

11:30am Oct 1

কলেজ কর্তৃপক্ষ ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমাদেরকে এ পদক্ষেপ নেওয়া থেকে বিরত রাখার প্রচেষ্টা করা হয়। কিন্তু সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ছাত্ররা জমায়েত হতে শুরু করলে মিছিল বন্ধ করে দেওয়ার জন্য পুলিশ প্রশাসনকে ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে প্রবেশের পক্ষে কলেজ অধ্যক্ষ সায় দেননি। শিলচর মেডিক্যাল কলেজ পার হতেই মিছিলের সামনে ব্যারিক্যাড তৈরি করে পুলিশ। রাস্তা অবরূদ্ধ হয়ে যায়, ছাত্ররা রাস্তায় বসে পড়ে। সামনের সারিতে থাকা ছাত্ররা ব্যারিক্যাড ভাঙার প্রচেষ্টা করে। সেসময়ের উঁচুপদের এক পুলিশকর্তা বর্তমান লেখকের সোয়েটারের কলার ধরে টানলে বর্তমানে প্রয়াত আমাদের এক সহপাঠী যশোবন্ত দত্ত আমাকে জাপটে ধরে। পুলিশ দুজনকেই টেনে হেঁচড়ে ভ্যানে উঠিয়ে সদর থানার নিয়ে গিয়ে লক-আপে ঢুকিয়ে দেয়। সন্ধ্যার সময় আমাদের দুজনকে সসম্মানে নিয়ে যাওয়া হয় সার্কিট হাউসের একটি ঘরে। এই ঘরের বৃহৎ আকৃতির এক টেবিলের একদিকে বসে ছিলেন সবার পরিচিত বিশিষ্ট অসমীয়া বুদ্ধিজীবী ও আমাদের অধ্যক্ষ নির্মল কুমার চোধুরী ও অন্যপাশে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী। টেবিলের বাকী চেয়ারে আমাদের দুজনকে বসতে বলা হয়।...অরূপ বৈশ্যের (Arup Baisya) লেখা বাকিটা পড়ুন...


       ।। অরূপ বৈশ্য ।।


(এই লেখাটি যাদবপুর ছাত্র আন্দোলনের সমর্থনে শিলচরে ছাত্র মিছিলের দিনেই মিছিলের প্রতিক্রিয়ায় লেখা)


যাদবপুরে পুলিশ


যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে একপ্রস্ত কুনাট্য হয়ে গেল। এখান থেকে ছাত্র রাজনীতি নিয়েই শুধুমাত্র নতুন প্রশ্ন উত্থাপিত হলো না, উন্মোচিত হলো সর্বস্তরে মূল্যবোধের অবক্ষয়ের বাস্তব চেহারা। যাদবপুরের উপাচার্য ছাত্র-বিক্ষোভকে প্রশমিত করতে নির্ভর করলেন পাশবিক রাষ্ট্রশক্তির উপর। বর্তমান লেখকের ছাত্র-রাজনীতির কিছু ঘটনার উল্লেখ শিক্ষাক্ষেত্রের শিক্ষক প্রশাসকের  মূল্যবোধের তূলনামূলক বিচার করার সহায়ক হতে পারে।


উত্তরণকালীন পর্যায়


যে ঘটনার উল্লেখ এখানে করা হচ্ছে সেই ঘটনার সময়কাল আশির দশক। অর্থাৎ এটা এমন এক সময় যখন সত্তরের দশকের বিদ্রোহী ছাত্র রাজনীতি ম্রিয়মাণ হয়ে আসছে এবং উদার-অর্থনীতির জীয়ন কাঠির ছোঁয়ায় ক্যারিয়ার-সর্বস্ব প্রতিষ্ঠার দিকে ছাত্র-সমাজ আকৃষ্ঠ হয়ে পড়ছে। স্বাভাবিকভাবেই এই উত্তরণকালীন পর্যায়ে এমন কিছু সংখ্য্যক ছাত্র ছিল যারা সত্তরের বিদ্রোহী সত্তাকে বহন করে চলেছিল। বর্তমান লেখক এই বিদ্রোহী-চেতনারই একজন বাহক। এভাবে বাহক হয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে জ্ঞানচর্চার অনেক ত্রুটি ও দুর্বলতা ছিল কিনা এ প্রশ্ন উঠতেই পারে এবং এধরনের প্রশ্ন বর্তমান লেখককেও ভাবিত করে। কিন্তু এই বহমানতার মধ্যে যে একধরনের মানবিক হৃদয়বৃত্তি ছিল তা অনস্বীকার্য। এই হৃদয়বৃত্তি ছাড়া মানব সমাজ মানবিক হয়ে উঠার ঈপ্সিত লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যেত পারে না। মানব সভ্যতার বিকাশের জন্য এটাকে একমাত্র বিশেষত্ব হিসেবে ধরে নিলে নিশ্চয়ই ভুল হবে, কিন্তু এটা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় সামাজিক বিশেষত্ব। যারা মানব সমাজের স্বার্থে ভাড়াটে সৈন্য হিসেবে নয়, স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে জান বাজি রেখে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে চান তাঁরা নিশ্চিতভাবে মহান। কিন্তু যুদ্ধ কী, কার জন্য, কাদের স্বার্থে - সেই বুদ্ধিবৃত্তিগত চর্চা ছাড়া বিভিন্ন অংশগ্রহণের মধ্যে পার্থক্যরেখা টানা যায় না। উঁচুদরের পদার্থবিদ হওয়ার ক্ষমতাসম্পন্ন ছাত্র কডওয়েল যখন মাত্র পনেরো বছর বয়সে স্কুল ছেড়ে দিয়ে প্রথমে সাংবাদিক, কবিতা-সংস্কৃতি-পদার্থবিদ্যার লেখক হয়ে উঠেন ও পরে ফ্যাসিবিরোধী যুদ্ধে কম্যুনিস্ট সৈনিক হিসেবে অল্প বয়সেই আত্মবলিদান করেন, তাঁর প্রতি সম্মানে আমাদের মাথা হেঁট হয়ে যায়। যাইহউক, প্রারম্ভেই যে উদাহরণের মাধ্যমে সময়ের বিভাজনের সাথে মূল্যবোধের পার্থক্যরেখার কথা উল্লেখ করেছি সেখানে ফিরে আসা যাক।


সময়ের সাথে মূল্যবোধের পার্থক্য


যে কোন কারণেই হোক দুই বছরের সিনিয়র প্রার্থীকে পরাজিত করে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাত্র ইউনিয়নের সর্বোচ্চ পদে নির্বাচিত হই। ব্যক্তিগতভাবে পরীক্ষা ও সিলেবাসের পাঠের প্রতি অনীহা থাকা সত্ত্বেও সময়মত পরীক্ষা নেওয়ার দাবিতে ধর্মঘটে আগসারির ভূমিকা নিতে ছাত্র-রাজনীতির মূল্যবোধই বাধ্য করে। গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকায় পরীক্ষার সময়সূচী, পাঠ্যসূচী, প্রশ্নপত্র তৈরি ইত্যাদি কোন বিষয়েই শিলচর রিজিওন্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের বিশেষ কোন ভূমিকা ছিল না। তাই আন্দোলনই ছিল একমাত্র হাতিয়ার এবং দাবি আদায়ের জন্য এ আন্দোলন অনেক দূর গড়াত। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় তদানীন্তন শিক্ষামন্ত্রীর শিলচর সফরসূচী উপলক্ষে সার্কিট-হাউস অব্দি মিছিল করে যাওয়া হবে। কলেজ কর্তৃপক্ষ ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমাদেরকে এ পদক্ষেপ নেওয়া থেকে বিরত রাখার প্রচেষ্টা করা হয়। কিন্তু সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ছাত্ররা জমায়েত হতে শুরু করলে মিছিল বন্ধ করে দেওয়ার জন্য পুলিশ প্রশাসনকে ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে প্রবেশের পক্ষে কলেজ অধ্যক্ষ সায় দেননি। শিলচর মেডিক্যাল কলেজ পার হতেই মিছিলের সামনে ব্যারিক্যাড তৈরি করে পুলিশ। রাস্তা অবরূদ্ধ হয়ে যায়, ছাত্ররা রাস্তায় বসে পড়ে। সামনের সারিতে থাকা ছাত্ররা ব্যারিক্যাড ভাঙার প্রচেষ্টা করে। সেসময়ের উঁচুপদের এক পুলিশকর্তা বর্তমান লেখকের সোয়েটারের কলার ধরে টানলে বর্তমানে প্রয়াত আমাদের এক সহপাঠী যশোবন্ত দত্ত আমাকে জাপটে ধরে। পুলিশ দুজনকেই টেনে হেঁচড়ে ভ্যানে উঠিয়ে সদর থানার নিয়ে গিয়ে লক-আপে ঢুকিয়ে দেয়। সন্ধ্যার সময় আমাদের দুজনকে সসম্মানে নিয়ে যাওয়া হয় সার্কিট হাউসের একটি ঘরে। এই ঘরের বৃহৎ আকৃতির এক টেবিলের একদিকে বসে ছিলেন সবার পরিচিত বিশিষ্ট অসমীয়া বুদ্ধিজীবী ও আমাদের অধ্যক্ষ নির্মল কুমার চোধুরী ও অন্যপাশে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী। টেবিলের বাকী চেয়ারে আমাদের দুজনকে বসতে বলা হয়। পুলিশের ভূমিকার প্রতিবাদ করতে গিয়ে ছিন্নভিন্ন হয়ে যাওয়া আমার প্রিয় সোয়েটার (লণ্ডন-নিবাসী আমার এক দাদা আমাকে এটি উপহার দিয়েছিল) টেবিলের উপর রাখি। আলোচনা শেষে আমরা আবার হোষ্টেলে ফিরে যাই এবং পরদিন থেকে আন্দোলন স্থগিত হয়ে যায়। আমাদের অধ্যক্ষ তাঁর নিজের ভূমিকার মাধ্যমেই ছাত্রদের সমীহ আদায় করে নেন, তারজন্য কোন নৈতিক শিক্ষার পাঠ কিংবা নিয়মের শেকল তৈরি করার প্রয়োজন পড়েনি। সত্তর দশকের শেকল ভাঙার সংস্কৃতির প্রভাব আশির প্রথম ভাগেও বিদ্যমান ছিল, তাই কোন শেকল তৈরির প্রচেষ্টাকে অঙ্কুরেই বিনাশ করে দেওয়ার জন্য ছাত্ররা প্রস্তুত ছিল। আশির দশক এমন এক সময় যখন ছাত্র-আন্দোলন, ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্ক, শিক্ষকের ভূমিকা সবকিছুতেই একটা বিপরীত যাত্রা শুরু হয়ে গেছে, এটা এমন পর্যায় যখন ন্যায় প্রতিষ্ঠার ও বৃহদের চিন্তা এবং যেনতেনপ্রকারেণ তথাকথিত উন্নতি ও ক্ষমতা প্রাপ্তির চিন্তার টানাপোড়েনে দ্বিতীয়টির বিজয় পতাকা বাস্তবের মাটিতে প্রোথিত হতে চলেছে।


বামপন্থীদের অবস্থান


ন্যায়সঙ্গত ছাত্র আন্দোলনে বরাবরই বামপন্থীদের এক সদর্থক ভূমিকা ছিল। ব্যক্তি, গোষ্ঠী, আত্মীয়-পরিজন বা দলীয় সংকীর্ণতার উর্ধে উঠে বৃহদের স্বার্থে ভাবনা ও কাজ করার অনুপ্রেরণাই ছিল এই ভূমিকার অন্তর্বস্তু। কিন্তু বামেদের এই আদর্শচ্যুতির চরম প্রকাশ ঘটতে শুরু করে আশির দশক থেকে যখন সংকীর্ণ গোষ্ঠী ও দলীয় স্বার্থে সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রবণতা প্রকট হয়ে দেখা দিতে আরম্ভ করে। এর প্রভাব পরে সর্বত্র। এই বিচ্যুতির নগ্ন ও বিভৎস রূপে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ যে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেন তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ তৃণমূল কংগ্রেসের উত্থান ও বামেদের পিছু হঠার যাত্রা প্রায় সম্পূর্ণ হয়ে যাওয়ার মধ্যে। আমাদের এওঞ্চলেও আশির দশকের বিভিন্ন ছাত্র আন্দোলনে, এমনকি ছিয়াশির ভাষা আন্দোলনেও বিভিন্ন বামপন্থী সংগঠনের সংকীর্ণতার নজির রয়েছে। এই বিপরীত যাত্রা কোন আকস্মিক ঘটনা নয়। এর ঐতিহাসিক ও আর্থ-সামাজিক বাস্তবতা রয়েছে। এই প্রেক্ষাপট ব্যাখ্যা করা এই নিবন্ধের উদ্দেশ্য না হলেও কিছু প্রাসঙ্গিক কথা এখানে উল্লেখ করা জরুরি। পশ্চিমবঙ্গের টালমাটাল সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে যে বাঙালি-মার্কসবাদ বা বাঙালি-বামপন্থার জন্ম হয় তা একদিকে পতোনোন্মুখ জমিদারি ব্যবস্থা, চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের মাধ্যমে ব্রিটিশ ত্রাতার প্রতি আনুগত্য ও ইংরেজি শিক্ষার মাধ্যমে আলোকপ্রাপ্ত ভদ্দরলোকদের মধ্যে একদিকে উপনিবেশিক মনস্তত্ব ও অন্যদিকে বিশ্ব-পুঁজিবাদের ছত্রছায়ায় বিকশিত নতুন শ্রেণিশক্তির জন্য প্রয়োজনীয় ও ইউরোপীয় রেনেসাঁ প্রভাবিত যুক্তিবাদের সাথে মার্কসবাদ মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়। মতাদর্শ সবসময়ই ভ্রমাত্মক। সাম্যবাদী মতাদর্শের বহিরঙ্গে লুকিয়ে থাকতে পারে জাতি-ধর্ম-বর্ণগত বৈষম্য ও ঘৃণার মানসিকতা। পশ্চিমবাংলার বাঙালি সাম্যবাদের আড়ালে এই ঘৃণার মানসিকতা ও যুক্তিবাদী অবস্থান এই দুয়ের সংমিশ্রণ বরাবরই বজায় ছিল। তাই 'মার্কসবাদ একটি বিজ্ঞান'– এই যান্ত্রিক ঘোষণার আড়ালে স্তালিনীয় রাশিয়ার অন্ধ অনুগামী হওয়ার ক্ষেত্রে কোন প্রশ্ন দেখা দেয়নি। কারণ এই বিজ্ঞান চর্চায় দলীয় নেতারাই একমাত্র বিজ্ঞান শিক্ষক, মেহনতি জনগণ শুধুমাত্র এই শিক্ষকদের অন্ধ অনুগামী। জীবনের অভিজ্ঞতার সাথে বৌদ্ধিক চর্চার দ্বান্দ্বিক সংঘাতের মধ্য দিয়ে বিজ্ঞান চর্চা ও সচতেনতা বিকশিত হওয়ার একমাত্র পথকে এভাবেই পরিহার করা হয়। পুঁজিবাদী ব্যবস্থায় প্রশিক্ষণের মাধ্যমে যেভাবে বৈজ্ঞানিক স্কিল ডেভেলাপম্যান্ট করা হয় বামেদের অনুসারিত পথ এর সাথে মিলে যায়। প্রাণশক্তি, সৃষ্টিশীলতা ও গণ-সচেতনতা বৃদ্ধির প্রশ্ন যেখানে উপেক্ষিত সেখানে পুঁজিবাদী ব্যবস্থা অনেক বেশি অগ্রণী ও কার্যকরী ভূমিকায় অবতীর্ণ থাকায় বামেদের অস্তিত্ত্ব বিপন্ন হয়ে উঠে।


মানব প্রজাতির স্বাভাবিক প্রবণতা


প্রতিটি প্রজাতির এক একটি স্বাভাবিক প্রবণতা থাকে। অসুস্থ বিপদাপন্ন পথচারীকে পাশ কাটিয়ে কোন দামী গাড়ির আরোহী দ্রুতগতিতে চলে যেতে পারেন এবং সেটাই আজকের জীবন বাস্তবতার প্রধান দিক। কিন্তু এই প্রধান দিকটি মানব প্রজাতির স্বাভাবিক প্রবণতা হতে পারে না। ভবিষ্যতের মধ্যে বেঁচে থাকার ইচ্ছার মধ্যেই লুকিয়ে আছে মানব প্রজাতির বেঁচে থাকার রহস্য। এই মানব সমাজ হিসেবে বেঁচে থাকার রহস্যকে আড়াল করে রাখে সম্পত্তি সম্পর্ক। এই সম্পত্তি সম্পর্কে সে দেখতে পায় তার সন্তানকে, তার পরিবার-পরিজনকে, তার গোষ্ঠী-সম্প্রদায় ইত্যাদিকে। সম্পত্তি মালিকানা তাকে মানব প্রজাতির সদস্য হিসেবে ভাবতে অপারগ করে তুলে। সেজন্যই মার্কস বলে ছিলেন যে একমাত্র সর্বহারা শ্রমিকশ্রেণিই সবার হয়ে কথা বলতে পারে, কারণ তার হারাবার কিছু নেই। কিন্তু সবার হয়ে কথা বলার প্রশ্নটি সচেতন হয়ে উঠার জটিল প্রক্রিয়ার সাথে যুক্ত, সেটা বামপন্থী শিক্ষকদের ট্রেনিং ক্যাম্পে নির্ধারিত হওয়ার বিষয় নয়। সেটা বাস্তব অন্যায় ও শোষণ বঞ্চনার বিরুদ্ধে নিরন্তর সংগ্রামের এক প্রক্রিয়া যে বাস্তবতায় মুনাফা, আরও মুনাফা ও মুষ্ঠিমেয়র হাতে সম্পদের কেন্দ্রীভবন পৃথিবীকে করে তুলছে মানুষের বাসের অনুপযোগী। প্রতিনিয়ত মনুষ্য সৃষ্ট প্রাকৃতিক দুর্যোগ, প্রলয়, যুদ্ধ, হানাহানি, ধ্বংসের হাত থেকে কি মানব সমাজ বাঁচতে চাইবে না? নিশ্চয়ই চাইবে, কারণ এটাই মানব প্রজাতির সাধারণ প্রবৃত্তি এবং এখানেই আশার আলো এখনও জ্বলছে। মানব প্রজাতির বেঁচে থাকার এই রহস্যের মধ্যেই লুকিয়ে আছে বামেদের পুনরুত্থানের রহস্য। কারণ অসাম্য, লুণ্ঠন ও সম্পদের কেন্দ্রীভবনের বর্তমান ব্যবস্থার নীতিতে তথাকথিত উন্নয়ন মানেই যে ধ্বংস, বিপর্যয়, যুদ্ধ ও হানাহানি তা আর বুঝিয়ে বলার অপেক্ষা রাখে না। গুয়াহাটি- উত্তরাখন্ড-কাশ্মীরের বন্যা, গাজা-সিরিয়া-ইউক্রেনে মানব সংকট, চারিদিকে যুদ্ধ ও ফ্যাসিবাদী উত্থান কিংবা ইংলেণ্ড থেকে স্কটল্যাণ্ডের আলাদা হয়ে যাওয়ার বাসনা সবকিছুই বর্তমান ব্যবস্থায় মানব সমাজের সংকটকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে। সুতরাং বামপন্থী সাম্যবাদের ঘুরে দাঁড়ানোর মধ্যেই মানব প্রজাতির মানবিক মূল্যবোধ নিয়ে বেঁচে থাকার একমাত্র গ্যারান্টি। কিন্তু এটা তখনই সম্ভব যখন বামপন্থীরা অতীত থেকে শিক্ষা নেবে, বাস্তব পরিস্থিতির বাস্তব ব্যাখ্যা করার বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিকে আয়ত্ত করবে, কথা ও কাজের মধ্যে ব্যবধান ঘোচাতে সচেষ্ট হবে এবং সমস্ত দলীয় ও গোষ্ঠী সংকীর্ণতার উর্ধে উঠে মানব সমাজের অগ্রগতি ও মেহনতি মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধির মানদণ্ডে সমস্ত ঘটনাকে বিচার করবে।


জীবনমুখী পরিবর্তন


যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আন্দোলনকে পরিস্থিতির আরেকটি বাঁক নেওয়ার সূচক হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে। নিষ্ক্রিয় ক্যারিয়ার সর্বস্ব ছাত্র সমাজ বোধহয় আড়মোড়া ভাঙছে, এই মোচড় আসলে সমাজের সর্বত্র বিরাজমান এক অস্থিরতার পরোক্ষ প্রভাব। অস্থিরতা পরিস্থিতির আরেকটি পরিবর্তনের লক্ষণ মাত্র। পরিস্থিতি ভালর দিক মোড় নেওয়ার জন্য যারা উদগ্রীব – তাদেরকে সক্রিয় হতেই হবে। অশুভের দাপটে শুভর বিজয় কামনা সাধারণ বুদ্ধিতে ইউটোপিয়ানই মনে হয়, কারণ এই কামনার বাস্তবায়ন জ্ঞান ও কর্মের এক সামগ্রিক জীবনমুখী পরিবর্তনের সাথে যুক্ত।     


For PPP Gujarati Model,NO NGO Please! Ten Thousand NGOs to get their license cancelled! Modi invites American defence companies, Obamas to India Home Ministry Showcause Notices to Over 10,000 NGOs Palash Biswas

$
0
0

For PPP Gujarati Model,NO NGO Please! Ten Thousand NGOs to get their license cancelled!

Modi invites American defence companies, Obamas to India

Home Ministry Showcause Notices to Over 10,000 NGOs

Palash Biswas

Here you are!

Modi invites American defence companies to invest in India,that`s it what is defined as make in India,which task Dr.Manmohan Singh failed to accomplish and Modi finished it with surgical precision in his saffron Rockstar Avatar.


For my earlier Hindi post on hinduisation of corporate media,the Bajrangi brigade brands me anti development as well as anti national.They do brand Jansatta as yellow journalism for not any fault on its part,but it employed scriibes like us most disobedient to the system.Mind you,I do not waste space in my newspaper and independently address my readership on social media.


Eminent poet Pankaj Chaturvedi has felt the burn also as his post on Rajdeep Sardesai has drawn multimedia threatening to teach lessons to disobedient activists,writers and scribes.


Just awesome!

Ananatmurthi ji had not to migrate as MF Hussain had to do.He left this world for peace.


Festival season with triangular fascist imperialist flavour heralds total blackout of criticism of the hegemonial ruling saffron chemistry.Perhaps we may not survive the Lotus tsunami so violent with a meaningful Netanyahu Modi meeting followed by Indo US joint statement signed by mass destruction itself as Business after Agrarian India follows suit.


PMO has already invited projects to be funded by minimum PPP governance.

Now,the GOI has served notice to ten thousand NGOs why their license should not be cancelled.Personally,I am not charmed with NGO blitz.Rather I am against NGOs hijacking mass movement in India.NGOs tried to capture power during last elections and miserably failed.


But some NGOs are doing excellent job to protect green,civic and human rights,no doubt.Millions of young activists are attached with all kinds of NGOs and most of them are very very genuine activists.I stand with them always whatsoever may come!


On the other hand,quite amusing it may sound as reported in print media that  this could well be the beginning of a Sino-Japanese war on Indian soil. On a day when Chinese President Xi Jinping was shaking hands with Prime Minister Narendra Modi in Ahmedabad, a Japanese NGO was all set to deliver one of Modi's dreams- toilets.


The NGO, Dhillon Marty Foundation has chalked out a plan to construct cost effective toilets beginning from Amritsar and then spreading to rest of Punjab, Chandigarh and Haryana.


"The Foundation has chosen Amritsar since it is visited by over a lakh tourists including thousands of foreigners every day and when they go back they carry imprints of dirty India with them " said President of Foundation Sonia Dhillon while talking to TOI over phone from Tokyo on Wednesday.


Just read the Aman Sharma strory from New Delhi published in Economic Times:





MHA ASKS: Why licences should not be cancelled after they failed to file annual returns?

In a major crackdown, the Union Ministry of Home Affairs has sent show-cause notices in one go to over 10,000 non-governmental organisations, asking why their licenses should not be cancelled after they failed to file their annual returns of foreign receipts.

"The mandatory annual returns for the years 2009-2010, 2010-2011 and 2011-2012 have not been received from the associations whose names appear in the annexure. Notices are being sent to these associations by post at their known addresses," the Home Ministry said in a notice, listing out 10,331 NGOs.

NGOs that had filed returns should immediately furnish copies and proof of submission, the ministry said. Where returns have not been filed, the NGOs have been advised to immediately justify why their registration under the Foreign Contribution (Regulation) Act should not be cancelled.

The Home Ministry under Rajnath Singh has been serious about NGOs not filing their annual returns with the Centre. In a report earlier this year, the ministry said it was a "matter of concern" that 22,702 of the 43,527 registered NGOs under FCRA had not filed returns detailing receipts of foreign funds and how they were spent.

http://epaperbeta.timesofindia.com/Article.aspx?eid=31817&articlexml=Home-Ministry-Showcause-Notices-to-Over-10000-NGOs-01102014002023

Washington: Furthering Indo-US cooperation on terrorism, Prime Minister Narendra Modi and PresidentBarack Obama on Tuesday agreed to make "joint and concerted efforts" to dismantle safe havens for terror and criminal networks like LeT, JeM, D-company, al Qaeda and Haqqani network.

In their first Summit meeting spread over two hours at the White House, the two leaders also agreed that the two countries will take steps to disrupt financial and tactical support to these terror outfits. After the meeting between Modi and Obama, officials made it clear that India was not going to join "any coalition" in fight against terrorism in West Asia. Likewise, they clarified that a trilateral partnership agreed on Afghanistan, would be developmental in nature and not military cooperation.

They also said that the "joint and concerted efforts" on dismantling safe havens for terrorist groups and criminal networks do not mean that India and the US were not going to launch operations but carry out any UN-mandated task.

Modi and Obama, whose discussions covered a broad range of issues including cooperation in defence, security, energy economic and space, took a significant decision to break the impasse on implementation of civil nuclear deal.

"We are serious about resolving issues on both sides in civil nuclear energy cooperation. This is important to India for meeting energy security needs," Modi said.

An inter-agency contact group will be set up to address the issues of liability, administrative and technical issues. From the Indian side, agencies like DAE, MEA and Finance Ministry will be involved.

"We are setting up an inter-agency contact group to be able to resolve all issues that are outstanding and hindering the rapid deployment of US-origin nuclear reactors in India, that includes by liability, it includes administrative issues and it includes technical issues," Vikram Doraiswami, Joint Secretary (Americas), in the MEA, told reporters while briefing on the meeting between Modi and Obama.

Doraiswamy said while India was not going to join any coalition against terrorism, the two sides had agreed on the need to deal with "travellers of terrorism" -- radicalised people who travel for participating in terror activities in West Asia.

"This is a very major issue for us," he said.

On Afghanistan, Modi and Obama discussed the political, security and economic transition which is underway. "We continue to be very supportive of the transition process in Afghanistan," the Indian official said.

Holding that India and the US are natural global partners, the two countries extended defence cooperation for another 10 years. Modi invited US companies to participate in defence manufacturing sector in India, which has recently raised the FDI cap from 26 to 49 percent.

Expanding on the strategic partnership, Obama said India meets the standards of the Missile Technology Control Regime (MTCR) and is "now ready" for the membership of the elite Nuclear Suppliers Group (NSG), a 48-member body which controls global nuclear trade.

Obama also reaffirmed US support for India's membership of the expanded UN Security Council and backed it for "voice and vote" in international financial institutions like IMF and World Bank.

During the meeting, Modi asked Obama to take steps which would ensure easier access to Indian companies in services sector in the US markets.

Pledging to intensify cooperation in counter-terrorism and security, the two countries agreed to step up intelligence sharing.

The US will also cooperate as knowledge partner for India's planned National Defence University as well as technology partner in the Indian Navy.

The US will also participate in expansion of India's infrastructure projects.

The US will also be the lead partner in developing Allahabad, Ajmer and Vishakapatnam as 'Smart Cities'.

The two countries will also cooperate in the Mars Mission.

In the economic area, the two countries discussed FDI and portfolio investment and participation in Indian manufacturing sector, in tune with Modi's 'Make in India' campaign.

They also agreed on cooperation between their central banks on regulation of their financial institutions and cross-border banking arrangements.

The US will also participate in India's endeavour in the renewable energy sectory with one billion dollars being pledged by the EXIM bank.

The two sides also agreed to set up Water and Sanitation Alliance (WASH).Modi and Obama pledged to push the bilateral relationship to "new levels".

At a joint media appearance with Obama, Modi expressed the hope that India-US relations will make fast progress.

"Both of us are committed taking forward the civil nuclear partnership agreement. We are serious about resolving at the earliest issues relating to civil nuclear energy cooperation. This is important for India for meeting energy security needs," he said.

The Indo-US nuclear deal concluded between the previous Manmohan Singh government and the Bush Administration has been stalled because of issues relating to liabality laws.

Obama said India was emerging as a major power for peace and security in the region.

Both of them had a candid discussion about WTO issues. "India supports trade facilitation but it is my wish that a solution should take care of our food security concerns. I am sure that it is possible to do that early."

"I am looking forward to building up on relationship and make more progress," he said.

The President said the two leaders discussed various issues including trade and economic cooperation, cooperate in exploration of space and scientific developments especially to deal with challenges like Ebola. Obama said he was impressed by Modi's pro-poor policies and efforts to revitalise the Indian economy.

"Throughout this conversation, I`ve been impressed with the Prime Minister`s interest in not only addressing the needs of the poorest of the poor in India and revitalising the economy there but also its determination to make sure that India is serving as a major power that can help bring about peace and security for the entire world."

"So I want to wish him luck in what I`d sure will be a challenging but always interesting tenure as prime minister in India," Obama said.

"I'm very grateful for the friendship between the United States and India, and I'm looking forward to building on this meeting so that we can continue to promote progress in both countries and around the world."

Obama said the two leaders have had an outstanding discussion around a range of issues.

During our discussions, we reaffirmed that, as two of the world's largest democracies, vibrant people-to-people contacts between India and the United States, including an incredible Indian-American population that contributes so much, that we have so much in common it is critical for us to continue to deepen and broaden the existing framework of partnership and friendship that already exists, the President said.

On Monday night, during a private dinner, Obama said he and Modi spent most of their time talking about the economy.

"We agreed that, in both countries, one of our primary goals is to improve education and job training so that our young people can compete in the global marketplace."

"The Prime Minister shared with me his vision for lifting what is still too many Indians who are locked in poverty into a situation in which their lives can improve," he added.

Obama said they also time talking about the international situation and security issues.

"We addressed challenges in the Middle East and violent extremism and the fight against ISIL."

They also discussed issues of trade, and ?issues of making sure that maritime rules are observed.

And the two leaders discussed how they can continue to work together on a whole host of issues, from space exploration and scientific endeavor to dealing with humanitarian crises like Ebola in West Africa.

After their Summit talks, Modi was hosted a lunch by Vice President Joe Biden in which Secretary of State John Kerry was present.

Addressing the luncheon, Modi said India is committed to fulfilling the hopes and aspirations that the world, especially the US, has with regard to the country.



NGO Registration Methods - 1

1. Trust 2. Society, and 3. Non profit Company

In India non profit / public charitable organisations can be registered as trusts, societies, or a private limited non profit company, under section-25 companies. Non-profit organisations in India (a) exist independently of the state; (b) are self-governed by a board of trustees or 'managing committee'/ governing council, comprising individuals who generally serve in a fiduciary capacity; (c) produce benefits for others, generally outside the membership of the organisation; and (d), are 'non-profit-making', in as much as they are prohibited from distributing a monetary residual to their own members.


Section 2(15) of the Income Tax Act – which is applicable uniformly throughout the Republic of India – defines 'charitable purpose' to include 'relief of the poor, education, medical relief and the advancement of any other object of general public utility'. A purpose that relates exclusively to religious teaching or worship is not considered as charitable. Thus, in ascertaining whether a purpose is public or private, one has to see if the class to be benefited, or from which the beneficiaries are to be selected, constitute a substantial body of the public. A public charitable purpose has to benefit a sufficiently large section of the public as distinguished from specified individuals. Organisations which lack the public element – such as trusts for the benefit of workmen or employees of a company, however numerous – have not been held to be charitable. As long as the beneficiaries of the organisation comprise an uncertain and fluctuating body of the public answering a particular description, the fact that the beneficiaries may belong to a certain religious faith, or a sect of persons of a certain religious persuasion, would not affect the organisation's 'public' character.


Whether a trust, society or section-25 company, the Income Tax Act gives all categories equal treatment, in terms of exempting their income and granting 80G certificates, whereby donors to non-profit organisations may claim a rebate against donations made. Foreign contributions to non-profits are governed by FC(R)A regulations and the Home Ministry.

CAF would like to clarify that this material provides only broad guidelines and it is recommended that legal and or financial experts be consulted before taking any important legal or financial decision or arriving at any conclusion.


Formation and Registration of a Non -Profit organisations in India

1) Trust

2) Society

3) Section-25 Company  

Additional Licensing/ Registration


I. Trusts

A public charitable trust is usually floated when there is property involved, especially in terms of land and building.


Legislation : Different states in India have different Trusts Acts in force, which govern the trusts in the state; in the absence of a Trusts Act in any particular state or territory the general principles of the Indian Trusts Act 1882 are applied.


Main Instrument : The main instrument of any public charitable trust is the trust deed, wherein the aims and objects and mode of management (of the trust) should be enshrined. In every trust deed, the minimum and maximum number of trustees has to be specified. The trust deed should clearly spell out the aims and objects of the trust, how the trust should be managed, how other trustees may be appointed or removed, etc. The trust deed should be signed by both the settlor/s and trustee/s in the presence of two witnesses. The trust deed should be executed on non-judicial stamp paper, the value of which would depend on the valuation of the trust property.

Trustees : A trust needs a minimum of two trustees; there is no upper limit to the number of trustees. The Board of Management comprises the trustees.


Application for Registration :

The application for registration should be made to the official having jurisdiction over the region in which the trust is sought to be registered.


After providing details (in the form) regarding designation by which the public trust shall be known, names of trustees, mode of succession, etc., the applicant has to affix a court fee stamp of Rs.2/- to the form and pay a very nominal registration fee which may range from Rs.3/- to Rs.25/-, depending on the value of the trust property.


The application form should be signed by the applicant before the regional officer or superintendent of the regional office of the charity commissioner or a notary. The application form should be submitted, together with a copy of the trust deed.


Two other documents which should be submitted at the time of making an application for registration are affidavit and consent letter.


II. Society

According to section 20 of the Societies Registration Act, 1860, the following societies can be registered under the Act: 'charitable societies, military orphan funds or societies established at the several presidencies of India, societies established for the promotion of science, literature, or the fine arts, for instruction, the diffusion of useful knowledge, the diffusion of political education, the foundation or maintenance of libraries or reading rooms for general use among the members or open to the public, or public museums and galleries of paintings and other works of art, collection of natural history, mechanical and philosophical inventions, instruments or designs.'


Legislation : Societies are registered under the Societies Registration Act, 1860, which is a federal act. In certain states, which have a charity commissioner, the society must not only be registered under the Societies Registration Act, but also, additionally, under the Bombay Public Trusts Act.

Main Instrument : The main instrument of any society is the memorandum of association and rules and regulations (no stamp paper required), wherein the aims and objects and mode of management (of the society) should be enshrined.


Trustees : A Society needs a minimum of seven managing committee members; there is no upper limit to the number managing committee members. The Board of Management is in the form of a governing body or council or a managing or executive committee


Application for Registration :

Registration can be done either at the state level (i.e., in the office of the Registrar of Societies) or at the district level (in the office of the District Magistrate or the local office of the Registrar of Societies).(2)


The procedure varies from state to state. However generally the application should be submitted together with: (a) memorandum of association and rules and regulations; (b) consent letters of all the members of the managing committee; (c) authority letter duly signed by all the members of the managing committee; (d) an affidavit sworn by the president or secretary of the society on non-judicial stamp paper of Rs.20-/, together with a court fee stamp; and (e) a declaration by the members of the managing committee that the funds of the society will be used only for the purpose of furthering the aims and objects of the society.


All the aforesaid documents which are required for the application for registration should be submitted in duplicate, together with the required registration fee. Unlike the trust deed, the memorandum of association and rules and regulations need not be executed on stamp paper.


III. Section-25 Company

According to section 25(1)(a) and (b) of the Indian Companies Act, 1956, a section-25 company can be established 'for promoting commerce, art, science, religion, charity or any other useful object', provided the profits, if any, or other income is applied for promoting only the objects of the company and no dividend is paid to its members.


Legislation : Section-25 companies are registered under section-25 of the Indian Companies Act. 1956.


Main Instrument : For a section-25 company, the main instrument is a Memorandum and articles of association (no stamp paper required)


Trustees : A section-25 Company needs a minimum of three trustees; there is no upper limit to the number of trustees. The Board of Management is in the form of a Board of directors or managing committee.


Application for Registration :

1.An application has to be made for availability of name to the registrar of companies, which must be made in the prescribed form no. 1A, together with a fee of Rs.500/-. It is advisable to suggest a choice of three other names by which the company will be called, in case the first name which is proposed is not found acceptable by the registrar.


2.Once the availability of name is confirmed, an application should be made in writing to the regional director of the company law board. The application should be accompanied by the following documents:

Three printed or typewritten copies of the memorandum and articles of association of the proposed company, duly signed by all the promoters with full name, address and occupation.


A declaration by an advocate or a chartered accountant that the memorandum and articles of association have been drawn up in conformity with the provisions of the Act and that all the requirements of the Act and the rules made thereunder have been duly complied with, in respect of registration or matters incidental or supplementary thereto.


Three copies of a list of the names, addresses and occupations of the promoters (and where a firm is a promoter, of each partner in the firm), as well as of the members of the proposed board of directors, together with the names of companies, associations and other institutions in which such promoters, partners and members of the proposed board of directors are directors or hold responsible positions, if any, with description of the positions so held.


A statement showing in detail the assets (with the estimated values thereof) and the liabilities of the association, as on the date of the application or within seven days of that date.

An estimate of the future annual income and expenditure of the proposed company, specifying the sources of the income and the objects of the expenditure.


A statement giving a brief description of the work, if any, already done by the association and of the work proposed to be done by it after registration, in pursuance of section-25.


A statement specifying briefly the grounds on which the application is made.


A declaration by each of the persons making the application that he/she is of sound mind, not an undischarged insolvent, not convicted by a court for any offence and does not stand disqualified under section 203 of the Companies Act 1956, for appointment as a director.

3.The applicants must also furnish to the registrar of companies (of the state in which the registered office of the proposed company is to be, or is situate) a copy of the application and each of the other documents that had been filed before the regional director of the company law board.


4.The applicants should also, within a week from the date of making the application to the regional director of the company law board, publish a notice in the prescribed manner at least once in a newspaper in a principal language of the district in which the registered office of the proposed company is to be situated or is situated and circulating in that district, and at least once in an English newspaper circulating in that district.


5.The regional director may, after considering the objections, if any, received within 30 days from the date of publication of the notice in the newspapers, and after consulting any authority, department or ministry, as he may, in his discretion, decide, determine whether the licence should or should not be granted.


6.The regional director may also direct the company to insert in its memorandum, or in its articles, or in both, such conditions of the licence as may be specified by him in this behalf.


IV. Special Licensing

In addition to registration, a non-profit engaged in certain activities might also require special license/permission. Some of these include (but are not limited to):


A place of work in a restricted area (like a tribal area or a border area requires a special permit – the Inner Line Permit – usually issues either by the Ministry of Home Affairs or by the relevant local authority (i.e., district magistrate).


To open an office and employ people, the NGO should be registered under the Shop and Establishment Act.


To employ foreign staff, an Indian non-profit needs to be registered as a trust/society/company, have FCRA registration and also obtain a No Objection Certificate. The intended employee also needs a work visa.


A foreign non-profit setting up an office in India and wanting staff from abroad needs to be registered as a trust/society/company, needs permission from the Reserve Bank of India and also a No Objection Certificate from the Ministry of External Affairs.

Comparision among Trust, Society and Non profit Company

Trust

Society

Section-25 Comapny

Statute/Legislation

Relevant State Trust Act or Bombay Public Trusts Act, 1950

Societies Registration Act, 1860

Indian Companies Act, 1956

Jurisdiction

Deputy Registrar/Charity commissioner

Registrar of societies (charity commissioner in Maharashtra).

Registrar of companies

Registration

As trust

As Society

In Maharashtra, both as a society and as a trust

As a company u/s 25 of the Indian Companies Act.

Registration Document

Trust deed

Memorandum of association and rules and regulations

Memorandum and articles of association. and regulations

Stamp Duty

Trust deed to be executed on non-judicial stamp paper, vary from state to state

No stamp paper required for memorandum of association and rules and regulations.

No stamp paper required for memorandum and articles of association.

Members Required

Minimum – two trustees. No upper limit.

Minimum – seven managing committee members. No upper limit.

Minimum three trustees. No upper limit.

Board of Management

Trustees / Board of Trustees

Governing body or council/managing or executive committee

Board of directors/ Managing committee

Mode of Succession on Board of Management

Appointment or Election

Appointment or Election by members of the general body

Election by members of the general body


Non-governmental organization

From Wikipedia, the free encyclopedia
"NGO" redirects here. For other uses, see NGO (disambiguation).
Valdis Dombrovskis, then Prime Minister of Latvia, meeting an NGO representative

non-governmental organization (NGO) is a term for an organization that is neither a part of a government nor a conventional for-profit business. Usually set up by ordinary citizens, NGOs may be funded by governments, foundations, businesses, or private persons. Some avoid formal funding altogether and are run primarily by volunteers. NGOs are highly diverse groups of organizations engaged in a wide range of activities, and take different forms in different parts of the world. Some may have charitable status, while others may be registered for tax exemption based on recognition of social purposes. Others may be fronts for political, religious or other interest groups.

The number of NGOs operating in the United States is estimated at 1.5 million.[1]Russia has 277,000 NGOs.[2] India is estimated to have had around 2 million NGOs in 2009, just over one NGO per 600 Indians, and many times the number of primary schools and primary health centres in India.[3][4]

NGOs are difficult to define, and the term 'NGO' is not used consistently. As a result, there are many different classifications in use. The most common focus is on 'orientation' and 'level of operation'. An NGO's orientation refers to the type of activities it takes on. These activities might include human rights, environmental, or development work. An NGO's level of operation indicates the scale at which an organization works, such as local, regional, national or international.[5]

The term "non-governmental organization" was first defined in 1945, when the United Nations (UN) was created. The UN, itself an inter-governmental organization, made it possible for certain approved specialized international non-state agencies—i.e., non-governmental organizations—to be awarded observer status at its assemblies and some of its meetings. Later the term became used more widely. Today, according to the UN, any kind of private organization that is independent from government control can be termed an "NGO", provided it is not-for-profit, non-criminal and not simply an opposition political party.

One characteristic these diverse organizations share is that their non-profit status means they are not hindered by short-term financial objectives. Accordingly, they are able to devote themselves to issues which occur across longer time horizons, such as climate change, malaria prevention or a global ban on landmines. Public surveys reveal that NGOs often enjoy a high degree of public trust, which can make them a useful - but not always sufficient - proxy for the concerns of society and stakeholders.[6]

Types[edit]

NGO/GRO (governmental related organisations) types can be understood by their orientation and level of operation.

By orientation[edit]

  • Charitable orientation often involves a top-down paternalistic effort with little participation by the "beneficiaries". It includes NGOs with activities directed toward meeting the needs of the poor.
  • Service orientation includes NGOs with activities such as the provision of health, family planning or education services in which the programme is designed by the NGO and people are expected to participate in its implementation and in receiving the service.
  • Participatory orientation is characterized by self-help projects where local people are involved particularly in the implementation of a project by contributing cash, tools, land, materials, labour etc. In the classical community development project, participation begins with the need definition and continues into the planning and implementation stages.
  • Empowering orientation aims to help poor people develop a clearer understanding of the social, political and economic factors affecting their lives, and to strengthen their awareness of their own potential power to control their lives. There is maximum involvement of the beneficiaries with NGOs acting as facilitators.[7]

By level of operation[edit]

  • Community-based organizations (CBOs) arise out of people's own initiatives. They can be responsible for raising the consciousness of the urban poor, helping them to understand their rights in accessing needed services, and providing such services.
  • City-wide organizations include organizations such as chambers of commerce and industry, coalitions of business, ethnic or educational groups, and associations of community organizations.
  • National NGOs include national organizations such as the YMCAs/YWCAsprofessional associationsSamriddhi Foundation etc. Some have state and city branches and assist local NGOs.
  • International NGOs range from secular agencies such as Ducere Foundation and Save the Children organizations,OXFAM, CARE, Ford Foundation, and Rockefeller Foundation to religiously motivated groups. They can be responsible for funding local NGOs, institutions and projects and implementing projects.[7]

Apart from "NGO", there are many alternative or overlapping terms in use, including: third sector organization (TSO), non-profit organization (NPO), voluntary organization (VO), civil society organization (CSO), grassroots organization (GO), social movement organization (SMO), private voluntary organization (PVO), self-help organization (SHO) and non-state actors(NSAs).

Governmental related organizations / non-governmental organizations are a heterogeneous group. As a result, a long list of additional acronyms has developed, including:

  • BINGO: 'Business-friendly international NGO' or 'Big international NGO'
  • TANGO: 'Technical assistance NGO'
  • TSO: 'Third-sector organization'
  • GONGO: 'Government-operated NGOs' (set up by governments to look like NGOs in order to qualify for outside aid or promote the interests of government)
  • DONGO: 'Donor organized NGO'
  • INGO: 'International NGO'
  • QUANGO: 'Quasi-autonomous NGO,' such as the International Organization for Standardization (ISO). (The ISO is actually not purely an NGO, since its membership is by nation, and each nation is represented by what the ISO Council determines to be the 'most broadly representative' standardization body of a nation. That body might itself be a nongovernmental organization; for example, the United States is represented in ISO by the American National Standards Institute, which is independent of the federal government. However, other countries can be represented by national governmental agencies; this is the trend in Europe.)
  • National NGO: A non-governmental organization that exists only in one country. This term is rare due to the globalization of non-governmental organizations, which causes an NGO to exist in more than one country.[8]
  • CSO: 'Civil Society Organization'
  • ENGO: 'Environmental NGO,' such as Greenpeace and WWF
  • NNGO: 'Northern NGO'
  • PANGO: 'Party NGO,' set up by parties and disguised as NGOs to serve their political matters.
  • SNGO: 'Southern NGO'
  • SCO: 'Social change organization'
  • TNGO: 'Transnational NGO.' The term emerged during the 1970s due to the increase of environmental and economic issues in the global community. TNGO includes non-governmental organizations that are not confined to only one country, but exist in two or more countries.
  • GSO: Grassroots Support Organization
  • MANGO: 'Market advocacy NGO'
  • NGDO: 'Non-governmental development organization'

USAID refers to NGOs as private voluntary organizations. However, many scholars have argued that this definition is highly problematic as many NGOs are in fact state- or corporate-funded and -managed projects and have professional staff.[citation needed]

GRO/NGOs exist for a variety of reasons, usually to further the political or social goals of their members or founders. Examples include improving the state of the natural environment, encouraging the observance of human rights, improving the welfare of the disadvantaged, or representing a corporate agenda. However, there are a huge number of such organizations and their goals cover a broad range of political and philosophical positions. This can also easily be applied to private schools and athletic organizations.

Development, environment and human rights NGOs[edit]

NGOs are organizations that work in many different fields, but the term is generally associated with those seeking social transformation and improvements in quality of life. Development NGOs are the most highly visible sector, and includes both international and local organizations, as well as those working in humanitarian emergency sector. Many are associated with international aid and voluntary donation, but there are also NGOs that choose not to take funds from donors and try to generate funding in other ways, such as selling handicrafts or charging for services.

Environmental NGOs are another sub-sector, and sometimes overlap with development NGOs. An example is Greenpeace. (see: List of Environmental NGOs). Just like other NGOs networks, transnational environmental networks might acquire a variety of benefits in sharing information with other organizations, campaigning towards an issue, and exchanging contact information. Since transnational environmental NGOs advocate for different issues like public goods, such as pollution in the air, deforestation of areas and water issues, it is more difficult for them to give their campaigns a human face than NGOs campaigning directly for human rights issues.Some of the earliest forms of transnational environmental NGOs started to appear after the Second World War with the creation of the International Union for the Conservation of Nature and Natural Resources (IUCN). After the UN was formed in 1945, more environmental NGO started to emerge in order to address more specific environmental issues.

In 1946, the UN Educational, Scientific, and Cultural Organization (UNESCO) was created with the purpose of advocating and representing scientific issues and collaboration among environmental NGOs. In 1969, the Scientific Committee on Problems of the Environment (SCOPE) was funded to increase and improve collaboration among environmentalists. This collaboration was later reinforced and stimulated with the creation of UNESCO's Man and the Biosphere Program in 1971. In 1972, the UN Conference on the Human Environment in Stockholm, tried to address the issues on Sweden's plead for international intervention on trans-boundary pollution from other European industrialized nations.

Transnational environmental NGOs have taken on diverse issues around the globe, but one of the best-known cases involving the work of environmental NGO's can be traced back to Brazil during the 1980s. The United States got involved with deforestation concerns due to the allegations of environmentalists dictating deforestation to be a global concern, and after 1977 the U.S. Foreign Assistance Act added an Environmental and Natural Resources section.

Human rights NGOs may also overlap with those in development, but are another distinct category. Amnesty International is perhaps one of the best-known.

During the early 1980s the Brazilian government created the Polonoreste developing program, which the World Bank agreed to finance. The Polonoreste program aimed at urbanizing areas of the Amazon, which were already occupied by local indigenous groups. Rapid deforestation in the Brazilian Amazon called the attention and intervention of UNESCO, who utilized its Program on Man and the Biosphere to advocate against the Polonoreste program, on the grounds of violating the rights of the indigenous groups living in the Amazon. In the case of deforestation of the Brazilian Amazon, the environment NGOs were able to put pressure on the World Bank to cancel the loans for the Polonoreste program. Due to the leverage that the U.S. has over the bank, in 1985 the World Bank suspended the financial aid to the Polonoreste Program. The work of environmental NGOs in the Brazilian case was successful because there was a point of leverage that made the targeted actor vulnerable to international pressure.[9]

Even though NGOs might have common goals relating to development or environment issues, interests and perspectives are diverse. A distinction can be made between the interests and goals among those NGOs located in industrialized countries—often referred to as the states of the North—and NGOs from nations located in developing countries—referred to as states of the South. There is sometimes tension between them. Southern states blame the developed nations for over-consumption and pollution resulting from industrialization, and for sustaining inequalities in the international economic system

There is also a distinction among groups that take on particular and specific socio-economic issues. The Women's Environment and Development Organization was created in 1990 with the purpose to advocate for gender inclusion in work related to the Earth Summit. Other groups might focus on issues that include racial minorities and individuals from lower income backgrounds.[10]

Track II diplomacy[edit]

Main article: Track II diplomacy

Track II dialogue, or Track II diplomacy, is a transnational coordination that involves non-official members of the government including epistemic communities as well as former policy-makers or analysts. Track II diplomacy aims to get policymakers and policy analysts to come to a common solution through discussions by unofficial figures of the government. Unlike the Track I diplomacy where government officials, diplomats and elected leaders gather to talk about certain issues, Track II diplomacy consists of experts, scientists, professors and other figures that are not involved in government affairs. The members of Track II diplomacy usually have more freedom to exchange ideas and come up with compromise on their own.

Activities[edit]

There are also numerous classifications of NGOs. The typology the World Bank uses divides them into Operational and Advocacy:[11]

NGOs vary in their methods. Some act primarily as lobbyists, while others primarily conduct programs and activities. For instance, an NGO such as Oxfam, concerned with poverty alleviation, might provide needy people with the equipment and skills to find food and clean drinking water, whereas an NGO like the FFDA helps through investigation and documentation of human rights[citation needed] violations and provides legal assistance to victims of human rights abuses. Others, such asAfghanistan Information Management Services, provide specialized technical products and services to support development activities implemented on the ground by other organizations.

NGOs were intended to fill a gap in government services, but in countries like India and China, NGOs are slowly gaining a position in decision making. In the interest of sustainability, most donors require that NGOs demonstrate a relationship with governments.[12] State Governments themselves are vulnerable because they lack economic resources, and potentially strategic planning and vision. They are therefore sometimes tightly bound by a nexus of NGOs, political bodies, commercial organizations and major donors/funders, making decisions that have short term outputs but no long term affect.[13] In India, for instance, NGOs are under regulated, political, and recipients of large government and international donor funds. NGOs often take up responsibilities outside their skill ambit. Governments have no access to the number of projects or amount of funding received by these NGOs. There is a pressing need to regulate this group while not curtailing their unique role as a supplement to government services.

Operational[edit]

Operational NGOs seek to "achieve small-scale change directly through projects."[8] They mobilize financial resources, materials and volunteers to create localized programs in the field. They hold large-scale fundraising events, apply to governments and organizations for grants and contracts in order to raise money for projects. They often operate in a hierarchical structure; with a main headquarters staffed by professionals who plan projects, create budgets, keep accounts, report, and communicate with operational fieldworkers who work directly on projects[8] Operational NGOs deal with a wide range of , but are most often associated with the delivery of services and welfare, emergency relief and environmental issues. Operational NGOs can be further categorized, one frequently used categorization is the division into relief-oriented versus development-oriented organizations; they can also be classified according to whether they stress service delivery or participation; or whether they are religious or secular; and whether they are more public or private-oriented. Operational NGOs can be community-based, national or international. The defining activity of operational NGOs is implementing projects.[8]

Campaigning[edit]

Campaigning NGOs seek to "achieve large-scale change promoted indirectly through influence of the political system."[8]Campaigning NGOs need an efficient and effective group of professional members who are able to keep supporters informed, and motivated. They must plan and host demonstrations and events that will keep their cause in the media. They must maintain a large informed network of supporters who can be mobilized for events to garner media attention and influence policy changes. The defining activity of campaigning NGOs is holding demonstrations.[8] Campaigning NGOs often deal with this issues relating to human rights, women's rights, children's rights. The primary purpose of an Advocacy NGO is to defend or promote a specific cause. As opposed to operational project management, these organizations typically try to raise awareness, acceptance and knowledge by lobbying, press work and activist event.

Both operational and campaigning[edit]

It is not uncommon for NGOs to make use of both activities. Many times, operational NGOs will use campaigning techniques if they continually face the same issues in the field that could be remedied through policy changes. At the same time, Campaigning NGOs, like human rights organizations often have programs that assist the individual victims they are trying to help through their advocacy work.[8]

Public relations[edit]

Non-governmental organizations need healthy relationships with the public to meet their goals. Foundations and charities use sophisticated public relations campaigns to raise funds and employ standard lobbying techniques with governments. Interest groups may be of political importance because of their ability to influence social and political outcomes. A code of ethics was established in 2002 by The World Association of Non Governmental Organizations.

Project management[edit]

There is an increasing awareness that management techniques are crucial to project success in non-governmental organizations.[14] Generally, non-governmental organizations that are private have either a community or environmental focus. They address varieties of issues such as religion, emergency aid, or humanitarian affairs. They mobilize public support and voluntary contributions for aid; they often have strong links with community groups in developing countries, and they often work in areas where government-to-government aid is not possible. NGOs are accepted as a part of the international relations landscape, and while they influence national and multilateral policy-making, increasingly they are more directly involved in local action.

Corporate structure[edit]

Staffing[edit]

Some NGOs are highly professionalized and rely mainly on paid staff. Others are based around voluntary labour and are less formalized. Not all people working for non-governmental organizations are volunteers.

Many NGOs are associated with the use of international staff working in 'developing' countries, but there are many NGOs in both North and South who rely on local employees or volunteers. There is some dispute as to whether expatriates should be sent to developing countries. Frequently this type of personnel is employed to satisfy a donor who wants to see the supported project managed by someone from an industrialized country. However, the expertise of these employees or volunteers may be counterbalanced by a number of factors: the cost of foreigners is typically higher, they have no grassroot connections in the country they are sent to, and local expertise is often undervalued.[11]

The NGO sector is an essential employer in terms of numbers.[citation needed] For example, by the end of 1995, CONCERN worldwide, an international Northern NGO working against poverty, employed 174 expatriates and just over 5,000 national staff working in ten developing countries in Africa and Asia, and in Haiti.

Funding[edit]

Whether the NGOs are small or large, various NGOs need budgets to operate. The amount of budget that they need would differ from NGOs to NGOs. Unlike small NGOs, large NGOs may have annual budgets in the hundreds of millions or billions of dollars. For instance, the budget of the American Association of Retired Persons (AARP) was over US$540 million in 1999.[15]Funding such large budgets demands significant fundraising efforts on the part of most NGOs. Major sources of NGO funding are membership dues, the sale of goods and services, grants from international institutions or national governments, and private donations. Several EU-grants provide funds accessible to NGOs.

Even though the term "non-governmental organization" implies independence from governments, many NGOs depend heavily on governments for their funding.[16] A quarter of the US$162 million income in 1998 of the famine-relief organization Oxfamwas donated by the British government and the EU. The Christian relief and development organization World Vision United States collected US$55 million worth of goods in 1998 from the American government.

Government funding of NGOs is controversial, since, according to David Rieff, writing in The New Republic, "the whole point of humanitarian intervention was precisely that NGOs and civil society had both a right and an obligation to respond with acts of aid and solidarity to people in need or being subjected to repression or want by the forces that controlled them, whatever the governments concerned might think about the matter."[17] Some NGOs, such as Greenpeace do not accept funding from governments or intergovernmental organizations.[18][19]

Overhead costs[edit]

Overhead is the amount of money that is spent on running an NGO rather than on projects.[20] This includes office expenses,[20] salaries, banking and bookkeeping costs. What percentage of overall budget is spent on overhead is often used to judge an NGO with less than 4% being viewed as good.[20] The World Association of Non-Governmental Organizations states that ideally more than 86% should be spent on programs (less than 20% on overhead).[21] The Global Fund to Fight AIDS, Tuberculosis and Malaria has specific guidelines on how high overhead can be to receive funding based on how the money is to be spent with overhead often needing to be less than 5-7%.[22] While the World Bank typically allows 37%.[23] A high percentage of overhead to total expenditures can make it more difficult to generate funds.[24] High overhead costs may also generate criticism with some claiming the certain NGOs with high overhead are being run simply to benefit the people working for them.[25]

While overhead costs can be a legitimate concern, a sole focus on them can be counterproductive.[26] Research published by the Urban Institute and the Center for Social Innovation at Stanford University have shown how rating agencies create incentives for nonprofits to lower and hide overhead costs, which may actually reduce organizational effectiveness by starving organizations of the infrastructure they need to effectively deliver services. A more meaningful rating system would provide, in addition to financial data, a qualitative evaluation of an organization's transparency and governance: (1) an assessment of program effectiveness; (2) and an evaluation of feedback mechanisms designed for donors and beneficiaries; and (3) such a rating system would also allow rated organizations to respond to an evaluation done by a rating agency.[27] More generally, the popular discourse of nonprofit evaluation should move away from financial notions of organizational effectiveness and toward more substantive understandings of programmatic impact.

Monitoring and control[edit]

In a March 2000 report on United Nations Reform priorities, former U.N. Secretary General Kofi Annan wrote in favor of international humanitarian intervention, arguing that the international community has a "right to protect"[28] citizens of the world against ethnic cleansing, genocide, and crimes against humanity. On the heels of the report, the Canadian government launched the Responsibility to Protect R2P[29] project, outlining the issue of humanitarian intervention. While the R2P doctrine has wide applications, among the more controversial has been the Canadian government's use of R2P to justify its intervention and support of the coup in Haiti.[30] Years after R2P, the World Federalist Movement, an organization which supports "the creation of democratic global structures accountable to the citizens of the world and call for the division of international authority among separate agencies", has launched Responsibility to Protect - Engaging Civil Society (R2PCS). A collaboration between the WFM and the Canadian government, this project aims to bring NGOs into lockstep with the principles outlined under the original R2P project.

The governments of the countries an NGO works or is registered in may require reporting or other monitoring and oversight. Funders generally require reporting and assessment, such information is not necessarily publicly available. There may also be associations and watchdog organizations that research and publish details on the actions of NGOs working in particular geographic or program areas.[citation needed]

In recent years, many large corporations have increased their corporate social responsibility departments in an attempt to preempt NGO campaigns against certain corporate practices. As the logic goes, if corporations work with NGOs, NGOs will not work against corporations. Greater collaboration between corporations and NGOs creates inherent risks of co-optation for the weaker partner, typically the nonprofit involved.[31]

In December 2007, The United States Department of Defense Assistant Secretary of Defense (Health Affairs) S. Ward Casscells established an International Health Division under Force Health Protection & Readiness.[32] Part of International Health's mission is to communicate with NGOs in areas of mutual interest. Department of Defense Directive 3000.05,[33] in 2005, requires DoD to regard stability-enhancing activities as a mission of importance equal to combat. In compliance withinternational law, DoD has necessarily built a capacity to improve essential services in areas of conflict such as Iraq, where the customary lead agencies (State Department and USAID) find it difficult to operate. Unlike the "co-option" strategy described for corporations, the OASD(HA) recognizes the neutrality of health as an essential service. International Health cultivates collaborative relationships with NGOs, albeit at arms-length, recognizing their traditional independence, expertise and honest broker status. While the goals of DoD and NGOs may seem incongruent, the DoD's emphasis on stability and security to reduce and prevent conflict suggests, on careful analysis, important mutual interests.

History[edit]

International non-governmental organizations have a history dating back to at least 1839.[34] It has been estimated that by 1914, there were 1083 NGOs.[35] International NGOs were important in the anti-slavery movement and the movement forwomen's suffrage, and reached a peak at the time of the World Disarmament Conference.[36] However, the phrase "non-governmental organization" only came into popular use with the establishment of the United Nations Organization in 1945 with provisions in Article 71 of Chapter 10 of the United Nations Charter[37] for a consultative role for organizations which are neither governments nor member states—see Consultative Status. The definition of "international NGO" (INGO) is first given in resolution 288 (X) of ECOSOC on February 27, 1950: it is defined as "any international organization that is not founded by an international treaty". The vital role of NGOs and other "major groups" in sustainable development was recognized in Chapter 27[38] of Agenda 21, leading to intense arrangements for a consultative relationship between the United Nations and non-governmental organizations.[39] It has been observed that the number of INGO founded or dissolved matches the general "state of the world", rising in periods of growth and declining in periods of crisis.[40]

Rapid development of the non-governmental sector occurred in western countries as a result of the processes of restructuring of the welfare state. Further globalization of that process occurred after the fall of the communist system and was an important part of the Washington consensus.[16]

Globalization during the 20th century gave rise to the importance of NGOs. Many problems could not be solved within a nation. International treaties and international organizations such as the World Trade Organization were centered mainly on the interests of capitalist enterprises. In an attempt to counterbalance this trend, NGOs have developed to emphasizehumanitarian issuesdevelopmental aid and sustainable development. A prominent example of this is the World Social Forum, which is a rival convention to the World Economic Forum held annually in January in DavosSwitzerland. The fifth World Social Forum in Porto AlegreBrazil, in January 2005 was attended by representatives from more than 1,000 NGOs.[41] In terms of environmental issues and sustainable development, the Earth Summit in Rio in 1992 was the first to show the power of international NGOs, when about 2,400 representatives of NGOs came to play a central role in deliberations. Some have argued that in forums like these, NGOs take the place of what should belong to popular movements of the poor. Whatever the case, NGO transnational networking is now extensive.[42]

Legal status[edit]

The legal form of NGOs is diverse and depends upon homegrown variations in each country's laws and practices. However, four main family groups of NGOs can be found worldwide:[43]

The Council of Europe in Strasbourg drafted the European Convention on the Recognition of the Legal Personality of International Non-Governmental Organizations in 1986, which sets a common legal basis for the existence and work of NGOs in Europe. Article 11 of the European Convention on Human Rights protects the right to freedom of association, which is also a fundamental norm for NGOs.

Critiques[edit]

Issa G. Shivji is one of Africa's leading experts on law and development issues as an author and academic. His critique on NGOs is found in two essays: "Silences in NGO discourse: The role and future of NGOs in Africa" and "Reflections on NGOs in Tanzania: What we are, what we are not and what we ought to be". Shivji argues that despite the good intentions of NGO leaders and activists, he is critical of the "objective effects of actions, regardless of their intentions".[44] Shivji argues also that the sudden rise of NGOs are part of a neoliberal paradigm rather than pure altruistic motivations. He is critical of the current manifestations of NGOs wanting to change the world without understanding it, and that the imperial relationship continues today with the rise of NGOs.

James Pfeiffer, in his case study of NGO involvement in Mozambique, speaks to the negative effects that NGO's have had on areas of health within the country. He argues that over the last decade, NGO's in Mozambique have "fragmented the local health system, undermined local control of health programs, and contributed to growing local social inequality"[45]

He notes further that NGO's can be uncoordinated, creating parallel projects among different organizations, that pull health service workers away from their routine duties in order to serve the interests of the NGO's. This ultimately undermines local primary health care efforts, and takes away the governments' ability to maintain agency over their own health sector.[46] J. Pfeiffer suggested a new model of collaboration between the NGO and the DPS (the Mozambique Provincial Health Directorate). He mentioned the NGO should be 'formally held to standard and adherence within the host country', for example reduce 'showcase' projects and parallel programs that proves to be unsustainable.[47]

Jessica Mathews wrote in Foreign Affairs in 1997: "For all their strengths, NGOs are special interests. The best of them ... often suffer from tunnel vision, judging every public act by how it affects their particular interest".[48] Since NGOs have to worry about policy trade-offs, the overall impact of their cause might bring more harm to society.[49]

Vijay Prashad argues that from the 1970s "The World Bank, under Robert McNamara, championed the NGO as an alternative to the state, leaving intact global and regional relations of power and production."[50]

Others argue that NGOs are often imperialist[51] in nature, that they sometimes operate in a racialized manner in third worldcountries, and that they fulfill a similar function to that of the clergy during the high colonial era. The philosopher Peter Hallward argues that they are an aristocratic form of politics.[52] He also points to the fact that NGOs like Action Aid andChristian Aid "effectively condoned the [2004 US backed] coup" against an elected government in Haiti and argues that they are the "humanitarian face of imperialism."[53] Popular movements in the global South such as the Western Cape Anti-Eviction Campaign in South Africa have sometimes refused to work with NGOs arguing that this will compromise their autonomy.[54][55]It has also been argued that NGOs often disempower people by allowing funders to push for stability over social justice.[56]

Another criticism of NGOs is that they are being designed and used as extensions of the normal foreign-policy instruments of certain Western countries and groups of countries.[57] Russian President Vladimir Putin made this accusation at the 43rdMunich Conference on Security Policy in 2007, concluding that these NGOs "are formally independent but they are purposefully financed and therefore under control."[58] Also, Michael Bond wrote "Most large NGOs, such as Oxfam, the Red Cross, Cafod and Action Aid, are striving to make their aid provision more sustainable. But some, mostly in the US, are still exporting the ideologies of their backers."[59]

NGOs have also been accused of using white lies or misinformed advise to enact their campaigns, i.e., accusations that NGOs have been ignorant about critical issues because, as chief scientist at Greenpeace Doug Parr said, these organizations appear to have lost their efforts in being truly scientific and now seem to be more self-interested. Rather than operating through science so as to be rationally and effectively practical, NGOs have been accused of abusing the utilization of science to gain their own advantages. In the beginning, as Parr indicated, there was "a tendency among our critics to say that science is the only decision-making tool ... but political and commercial interests are using science as a cover for getting their way."[60]At the same time, NGOs can appear to not be cooperative with other groups, according to the previous policy-maker for the German branch of Friends of the Earth, Jens Katjek. "If NGOs want the best for the environment, he says, they have to learn to compromise."[61]

Challenges to legitimacy[edit]

The issue of the legitimacy of NGOs raises a series of important questions. This is one of the most important assets possessed by an NGO, it is gained through a perception that they are an "independent voice".[62][63] Their representation also emerges as an important question. Who bestows responsibilities to NGOs or INGOs and how do they gain the representation of citizens and civil society is still not scrutinized thoroughly. For instance, in the article, it is stated, "To put the point starkly: are the citizens of countries of the South and their needs represented in global civil society, or are citizens as well as their needs constructed by practices of representation? And when we realize that INGOs hardly ever come face to face with the people whose interests and problems they represent, or that they are not accountable to the people they represent, matters become even more troublesome."[64]

Moreover, the legitimacy and the accountability of NGOs on the point of their true nature are also emerging as important issues.[65] Various perceptions and images on NGOs are provided, and usually implemented in an image as 'non-state actors' or 'influential representatives of civil society that advocate the citizen.' Accountability may be able to provide this and also be able to assist activities by providing focus and direction[66] As non-state actors with considerable influence over the governance in many areas, concerns have been expressed over the extent to which they represent the views of the public and the extent to which they allow the public to hold them to account.[67]

The origin of funding can have serious implications for the legitimacy of NGOs. In recent decades NGOs have increased their numbers and range of activities to a level where they have become increasingly dependent on a limited number of donors.[67]Consequently competition has increased for funding, as have the expectations of the donors themselves.[68] This runs the risk of donors adding conditions which can threaten the independence of NGOs; for example, an over-dependence on official aid has the potential to dilute "the willingness of NGOs to speak out on issues which are unpopular with governments".[63] In these situations NGOs are being held accountable by their donors, which can erode rather than enhance their legitimacy, a difficult challenge to overcome. Some commentators have also argued that the changes in NGO funding sources has ultimately altered their functions.[63][69][70]

NGOs have also been challenged on the grounds that they do not necessarily represent the needs of the developing world, through diminishing the so-called "Southern Voice". Some postulate that the North–South divide exists in the arena of NGOs.[71] They question the equality of the relationships between Northern and Southern parts of the same NGOs as well as the relationships between Southern and Northern NGOs working in partnerships. This suggests a division of labour may develop, with the North taking the lead in advocacy and resource mobilisation whilst the South engages in service delivery in the developing world.[71] The potential implications of this may mean the needs of the developing world are not addressed appropriately as Northern NGOs do not properly consult or participate in partnerships. The real danger in this situation is that western views may take the front seat and assign unrepresentative priorities.[72]

The flood of NGOs has also been accused of damaging the public sector in multiple developing countries, e.g. accusations that NGO mismanagement has resulted in the breakdown of public health care systems. Instead of promoting equity and alleviating poverty, NGOs have been under scrutiny for contributing to socioeconomic inequality and disempowering services in the public sector of third world countries.[73][74]

The scale and variety of activities in which NGOs participate has grown rapidly since the 1980s, witnessing particular expansion in the 1990s.[75] This has presented NGOs with a need to balance the pressures of centralisation and decentralisation. By centralising NGOs, particularly those that operate at an international level, they can assign a common theme or set of goals. Conversely it may also be advantageous to decentralise as this can increase the chances of an NGO responding more flexibly and effectively to localised issues by implementing projects which are modest in scale, easily monitored, produce immediate benefits and where all involved know that corruption will be punished.[74][76]

See also[edit]

References[edit]

  1. Jump up^ "Fact Sheet: Non-Governmental Organizations (NGOs) in the United States «". Humanrights.gov. January 12, 2012. Retrieved 2013-12-24.
  2. Jump up^ "Hobbled NGOs wary of Medvedev"Chicago Tribune. May 7, 2008.
  3. Jump up^ "India: More NGOs, than schools and health centres".OneWorld.net. July 7, 2010. Retrieved 2011-10-07.
  4. Jump up^ "First official estimate: An NGO for every 400 people in India"The Indian Express. July 7, 2010.
  5. Jump up^ Vakil, Anna (December 1997). "Confronting the classification problem: Toward a taxonomy of NGOs".World Development 25 (12): 2057–2070. doi:10.1016/S0305-750X(97)00098-3(subscription required (help)).
  6. Jump up^ "The rise and role of NGOs in sustainable development". Iisd.org. Retrieved 2013-12-24.
  7. Jump up to:a b Lawry, Lynn (2009). Guide to Nongovernmental Organizations for the Military (PDF). pp. 29–30.
  8. Jump up to:a b c d e f g Willetts, Peter. "What is a Non-Governmental Organization?"UNESCO Encyclopaedia of Life Support Systems. City University London. Retrieved 18 July 2012.
  9. Jump up^ Keck and Sikkink (1998). Environmental Advocacy Networks. Cornell University Press. Retrieved 2011-12-20.
  10. Jump up^ McCormick, John. "The Role of Environmental NGOs in International Regimes". Books.google.com. Retrieved 2011-12-20.[verification needed]
  11. Jump up to:a b World Bank Criteria defining NGO[dead link]
  12. Jump up^ Jennifer Hsu, Reza Hasmath (2014). "The Local Corporatist State and NGO Relations in China"Journal of Contemporary China 23 (87).
  13. Jump up^ Hasmath, R. and Hsu, J. (Forthcoming) "Isomorphic Pressures, Epistemic Communities and State-NGO Collaboration in China", The China Quarterly.
  14. Jump up^ 100  LSE.ac.uk, Mukasa, Sarah. Are expatriate staff necessary in international development NGOs? A case study of an international NGO in Uganda. Publication of the Centre for Civil Society at London School of Economics. 2002, p. 11–13.
  15. Jump up^ "Poll shows power of AIPAC drops slightly". Jewish News Weekly of Northern California. 1999-12-19. Retrieved 2007-06-25.
  16. Jump up to:a b Pawel Zaleski Global Non-governmental Administrative System: Geosociology of the Third Sector, [in:] Gawin, Dariusz & Glinski, Piotr [ed.]: "Civil Society in the Making", IFiS Publishers, Warszawa 2006
  17. Jump up^ David Rieff (June 10, 2010). "NG-Uh-O - The trouble with humanitarianism"The New Republic.
  18. Jump up^ Sarah Jane Gilbert (2008-09-08). "Harvard Business School, HBS Cases: The Value of Environmental Activists". Hbswk.hbs.edu. Retrieved 2011-12-20.
  19. Jump up^ "Greenpeace Annual Report 2008" (PDF). Greenpeace.org. 2008. Retrieved 2013-12-24.
  20. Jump up to:a b c "Defining certain terms in a budget". Funds for NGOs. 2011-09-18. Retrieved 2013-12-24.
  21. Jump up^ "Code of Ethics & Conduct for NGOs". Retrieved 11 April 2012.
  22. Jump up^ "National NGOs Serving as PRs Excluded from the Global Fund's Policy on Percentage-Based Overhead Costs". 2012.
  23. Jump up^ Kuby, Christopher Gibbs ; Claudia Fumo ; Thomas (1999).Nongovernmental organizations in World Bank supported projects : a review (2nd ed.). Washington, D.C.: World Bank. p. 21. ISBN 978-0-8213-4456-9.
  24. Jump up^ Crowther, edited by Güler Aras, David (2010). NGOs and social responsibility (1st ed. ed.). Bingley, UK: Emerald. p. 121. ISBN 978-0-85724-295-2.
  25. Jump up^ Kassahun, Samson (2004). Social capital for synergistic partnership : development of poor localities in urban Ethiopia (1. Aufl. ed.). Göttingen: Cuvillier. p. 153.ISBN 978-3-86537-222-2.
  26. Jump up^ Schmitz, Hans Peter and George E. Mitchell 2010.Navigating Effectiveness, Humanitarian&Development NGOs Domain Blog, The Hauser Center for Nonprofit Organizations, Harvard University (March 9)
  27. Jump up^ Lowell, Stephanie, Brian Trelstad, and Bill Meehan. 2005.The Ratings Game. Evaluating the three groups that rate the Charities. Stanford Social Innovation Review: 39-45.
  28. Jump up^ "Background Information on the Responsibility to Protect — Outreach Programme on the Rwanda Genocide and the United Nations". Un.org. Retrieved 2013-12-24.
  29. Jump up^ "International Coalition for the Responsibility to Protect (ICRtoP)". Responsibilitytoprotect.org. Retrieved 2013-12-24.
  30. Jump up^ Engler, Fenton, Yves, Anthony (2005). Canada in Haiti: Waging War on the Poor Majority. Vancouver, Winnipeg: RED Publishing. p. 120. ISBN 978-1-55266-168-0. Retrieved 2011-10-30.
  31. Jump up^ Dorothea Baur, Hans Peter Schmitz (2012). "Corporations and NGOs: When Accountability Leads to Co-optation".Journal of Business Ethics 106 (1): 9–21.doi:10.1007/s10551-011-1057-9(subscription required (help)).
  32. Jump up^ http://www.ha.osd.mil/FHPR/default.cfm
  33. Jump up^ "Department of Defense Directive 3000.05" (PDF). United States Department of Defense. September 16, 2009. Retrieved 2013-12-24.
  34. Jump up^ The Rise and Fall of Transnational Civil Society: The Evolution of International Non-Governmental Organizations since 1839. By T. R. Davies City University London Working Paper. Steve Charnovitz, "Two Centuries of Participation: NGOs and International Governance, Michigan Journal of International Law, Winter 1997.
  35. Jump up^ Oliver P. Richmond; Henry F. Carey, eds. (2005).Subcontracting Peace - The Challenges of NGO Peacebuilding. Ashgate. p. 21.
  36. Jump up^ Davies, Thomas Richard (2007). The Possibilities of Transnational Activism: the Campaign for Disarmament between the Two World WarsISBN 978-90-04-16258-7.[page needed]
  37. Jump up^ Charter of the United Nations: Chapter X[dead link]
  38. Jump up^ United Nations Conference on Environment and Development. "Agenda 21 - Chapter 27: Strengthening the Role of Non-governmental Organizations: Partners for Sustainable Development, Earth Summit, 1992". Habitat.igc.org. Retrieved 2011-12-20.
  39. Jump up^ "1996/31. Consultative relationship between the United Nations and non-governmental organizations". Un.org. Retrieved 2011-12-20.
  40. Jump up^ Boli, J. and Thomas, G. M. (1997) World Culture in the World Polity: A century of International Non-Governmental Organization. American Sociological Review. pp. 177
  41. Jump up^ Bartlett, Lauren (2005). "NGO Update". Human Rights Brief12 (3): 44–45.
  42. Jump up^ Stone, Diane (2004). "Transfer Agents and Global Networks in the 'Transnationalisation' of Policy". Journal of European Public Policy.austiniskewl 11 (3): 545–66.
  43. Jump up^ Grant B. Stillman (2007). Global Standard NGOs: The Essential Elements of Good Practice. Geneva: Lulu: Grant B. Stillman. pp. 13–14.
  44. Jump up^ Shivji, Issa G. (2007). Silence in NGO discourse: the role and future of NGOs in Africa. Oxford, UK: Fahamu. p. 84.ISBN 978-0-9545637-5-2.
  45. Jump up^ Pfeiffer, J. 2003. International NGOs and primary health care in Mozambique: the need for a new model of collaboration. Social Science & Medicine 56 (4):725.
  46. Jump up^ Pfeiffer, J. 2003. International NGOs and primary health care in Mozambique: the need for a new model of collaboration. Social Science & Medicine 56 (4):725-738.
  47. Jump up^ J. Pfeiffer. (2003). International NGOs and primary health care in Mozambique: the need for a new model of collaboration. Social Science & Medicine 56 (2003) 725-738
  48. Jump up^ Jessica T. Mathews (January–February 1997). "Power Shift"Foreign Affairs. Retrieved 2012-06-01.
  49. Jump up^ Bond, M. (2000) The Backlash against NGOs. Prospect (magazine).
  50. Jump up^ Mother Teresa: A Communist View at the Wayback Machine (archived July 24, 2008), Vijay Prashad, Australian Marxist Review, No. 40 August 1998
  51. Jump up^ Abahlali baseMjondoloRethinking Public Participation from below, 'Critical Dialogue', 2006
  52. Jump up^ See his Damming the Flood (Verso, London, 2007.)
  53. Jump up^ Peter Hallward responds to BBC Radio 4 program on HaitiTanbou, 11/01/2011
  54. Jump up^ Building unity in diversity: Social movement activism in the Western Cape Anti-Eviction Campaign, Sophie Oldfield & Kristian Stokke, 2004
  55. Jump up^ Ashraf Cassiem: South African Resistance Against Evictions, Marlon Crump, Poor Magazine, 2009
  56. Jump up^ Are NGOs enemies of SA's rural folk?, Youlendree Appasamy, Grocott's Mail, July 2013
  57. Jump up^ 'NGO': The Guise of Innocence, by Jenny O'Connor,New Left Project, 2012
  58. Jump up^ Putin, Vladimir (February 10, 2007). Speech and the Following Discussion at the Munich Conference on Security Policy (Speech). 43rd Munich Conference on Security Policy. MunichGermany. Retrieved February 28, 2012.
  59. Jump up^ Bond, Michael. "The Backlash against NGOs." Prospect, April 2000, pp.321. Print
  60. Jump up^ Bond, Michael. "The Backlash against NGOs." Prospect, April 2000, pp. 323. Print
  61. Jump up^ Bond, Michael. "The Backlash against NGOs." Prospect, April 200, pp. 323. Print
  62. Jump up^ Weber, N. and Christopherson, T. (2002) The influence of non-givernmental organisations on the creation of Natura 2000 during the European policy process. Forest policy and Economics. 4(1), pp. 1-12.
  63. Jump up to:a b c Edwards, M. and Hulme, D. (2002) NGO Performance and Accountability: Introduction and Overview. "In: Edwards, M. and Hulme, D., ed. 2002." The Earthscan Reader on NGO Management. UK: Earthscan Publications Ltd. Chapter 11.
  64. Jump up^ Neera Chandhoke. (2005) "How Global Is Global Civil Society?" Journal of World-Systems Research, 11, 2, 2005, pp.326-327.
  65. Jump up^ Hasmath, R. and Hsu, J. (2008) "NGOs in China: Issues of Good Governance and Accountability", Asia Pacific Journal of Public Administration 30(1): 1-11.
  66. Jump up^ Edwards, M. and Hulme, D. (2002) Beyond the Magic Bullet? Lessons and Conclusions. "In: Edwards, M. and Hulme, D., ed. 2002." The Earthscan Reader on NGO Management. UK: Earthscan Publications Ltd. Chapter 12.
  67. Jump up to:a b Edwards, M. and Hulme, D. (1996) Too Close for comfort? The impact of official aid on Non-Governmental Organisations. "World Development." 24(6), pp. 961-973.
  68. Jump up^ Ebrahim, A. (2003) Accountability in practice: Mechanisms for NGOs. "World Development." 31(5), pp.813-829.
  69. Jump up^ Brought to You by Wall Street, CORY MORNINGSTAR,CounterPunch, 2013.05.17
  70. Jump up^ The Climate Wealth Opportunists, CORY MORNINGSTAR, CounterPunch, 2014.03.14
  71. Jump up to:a b Lindenberg, M. and Bryant, C. (2001) Going Global: Transforming Relief and Development NGOs. Bloomfield: Kumarian Press.
  72. Jump up^ Jenkins, R. (2001) Corporate Codes of Conduct: Self-Regulation in a Global Economy. "Technology, Business and Society Programme Paper Number 2." United Nations Research Institute for Social Development.
  73. Jump up^ Pfeiffer, J. 2003. International NGOs and primary health care in Mozambique: the need for a new model of collaboration. Social Science & Medicine 56(4):725-738.
  74. Jump up to:a b How NGOs Failed AfghanistanPatrick Cockburn,CounterPunch, 2014.03.25
  75. Jump up^ Avina, J. (1993) The Evolutionary Life Cycles if Non-Governmental Development Organisations. "Public Administration and Development." 13(5), pp. 453-474.
  76. Jump up^ Anheier, H. and Themudo, N. (2002) Organisational forms of global civil society: Implications of going global. In: Anheier, H. Glasius, M. Kaldor, M, ed 2002.

Further reading[edit]

  • Susan Cotts Watkins, Ann Swidler, and Thomas Hannan. 2012. "Outsourcing Social Transformation: Development NGOs as Organizations." Annual Review of Sociology, Vol. 38, pp. 285–315, PDF
  • Velusamy M. Non Governmental Organisation, Dominant Publishers & Distribution Ltd, New Delhi
  • Mark Butler, with Thulani Ndlazi, David Ntseng, Graham Philpott, and Nomusa Sokhela. NGO Practice and the Possibility of FreedomChurch Land Programme, Pietermaritzburg, South Africa 2007 Churchland.co.za[dead link]
  • Olivier Berthoud, NGOs: Somewhere between Compassion, Profitability and Solidarity Envio.org.ni, PDF Edinter.net Envio, Managua, 2001
  • Terje Tvedt, 19982/2003: Angels of Mercy or Development Diplomats. NGOs & Foreign Aid, Oxford: James Currey
  • Steve W. Witt, ed. Changing Roles of NGOs in the Creation, Storage, and Dissemination of Information in Developing Countries (Saur, 2006). ISBN 3-598-22030-8
  • Cox, P. N. Shams, G. C. Jahn, P. Erickson and P. Hicks. 2002. Building collaboration between NGOs and agricultural research iNGOs – Die Gewerkschaften in Guinea während der Unruhen 2007] – EPU Research Papers: Issue 03/07, Stadtschlaining 2007 (German)
  • Lyal S. Sunga, "Dilemmas facing INGOs in coalition-occupied Iraq", in Ethics in Action: The Ethical Challenges of International Human Rights Nongovernmental Organizations, edited by Daniel A. Bell and Jean-Marc Coicaud, Cambridge Univ. and United Nations Univ. Press, 2007.
  • Lyal S. Sunga, "NGO Involvement in International Human Rights Monitoring, International Human Rights Law and Non-Governmental Organizations" (2005) 41-69.
  • Werker & Ahmed (2008): What do Non-Governmental Organizations do?
  • Steve Charnovitz, "Two Centuries of Participation: NGOs and International Governance," Michigan Journal of International Law, Vol. 18, Winter 1997, at 183-286.
  • Abahlali baseMjondolo Rethinking Public Participation from Below, 'Critical Dialogue', 2006
  • Akpan S. M (2010): Establishment of Non-Governmental Organizations (In Press).
  • Edward A. L. Turner (2010) Why Has the Number of International Non-Governmental Organizations Exploded since 1960?,Cliodynamics, 1, (1).
  • Eugene Fram & Vicki Brown, How Using the Corporate Model Makes a Nonprofit Board More Effective & Efficient - Third Edition (2011), Amazon Books, Create Space Books.

The de facto reference resource for information and statistics on International NGOs (INGOs) and other transnational organisational forms is the Yearbook of International Organizations, produced by the Union of International Associations.

  • David Lewis and Nazneen Kanji (2009): Non-Governmental Organizations and Development. New York: Routledge.
  • Issa G. Shivji (2007): Silence in NGO Discourse: The Role and Future of NGOs in Africa. Nairobi: Fahamu.
  • Jens Steffek and Kristina Hahn (2010): Evaluating Transnational NGOs: Legitimacy, Accountability, Representation. New York: Palgrave, Macmillan.

External links[edit]

    মোহনবাগান ইস্টবেঙ্গল সহ চারটি ক্লাবের একাউন্ট সিজ নির্বাচনের আগে দশ সিন্দুক টাকার খোঁজে সিবিআই,মহিষাসুর বধেও নিস্তার নেই দেবির,সারদায় নিমজ্জিত বাঙালির ফুটবল পলাশ বিশ্বাস

    $
    0
    0

    মোহনবাগান ইস্টবেঙ্গল সহ চারটি ক্লাবের একাউন্ট সিজ

    নির্বাচনের আগে দশ সিন্দুক টাকার খোঁজে সিবিআই,মহিষাসুর বধেও নিস্তার নেই দেবির,সারদায় নিমজ্জিত বাঙালির ফুটবল

    পলাশ বিশ্বাস

    মীডিয়ার খবরঃ



    চার ক্লাব অ্যাকাউন্টে তালা ইডি-র, নিঝুম ময়দান

    আনন্দবাজারঃএত দিন ক্লাবের কর্তাদের ডেকে হিসেব চাওয়ার মধ্যেই তদন্ত সীমাবদ্ধ ছিল। এ বার ইডি নিজেই সটান ঢুকে পড়ল ক্লাবের কোষাগারে! সোমবারই কিংফিশার ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সিল করেছিল ইডি। মঙ্গলবার আরও তিনটি ক্লাব মোহনবাগান, ভবানীপুর এবং কালীঘাটের অ্যাকাউন্টও সিল করে দেওয়া হয়েছে বলে খবর। পুজোর ছুটি পড়ে যাওয়ায় ইডি-র অফিসাররা অনেকেই অবশ্য ছুটিতে চলে গিয়েছেন।

    বিধানসভা ভোটের আগে ১০ স্যুটকেস, নজর সিবিআইয়ের

    আনন্দবাজারঃশেয়ার কেলেঙ্কারির নায়ক হর্ষদ মেটার স্যুটকেস-কাণ্ড এক সময়ে তোলপাড় করেছিল দেশের রাজনীতি। খোদ হর্ষদের দাবি ছিল, স্যুটকেসে কোটি টাকা ভরে তিনি দিয়ে এসেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নরসিংহ রাওয়ের হাতে! ওই অভিযোগের অবশ্য প্রমাণ মেলেনি। প্রায় কুড়ি বছর পরে ফের স্যুটকেস-তদন্তে নেমেছে সিবিআই। তবে এ বার আর একটি নয়, দশ-দশটি স্যুটকেস ভর্তি টাকা নিয়ে শুরু হয়েছে তদন্ত। এ বার অভিযুক্তের তালিকায় রয়েছেন রাজ্য রাজনীতির অন্যতম শীর্ষ কয়েক জন নেতা।




    কোলকাতার প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে মানুষের ঢল

    গৌরী সেনেরা জেলের অন্তরালে তবু মোত্সবে খামতি নেই

    কিন্তু মহাবিপদ দেবির ঘনায়ে আসিছে

    অবৈদিকী গপ্পো ও মিথকে আঁকড়ে গণসংহারের জয়গানে এই প্রথম সিবিআই হস্তক্ষেপ

    মহিষাসুর বধ ত হচ্ছেি প্রতিক্ষণ৷

    যাহারাই ক্ষমতার অন্নপ্রাশনে বাধ সাধিতেছে,তাহারাই মহিষাসুর,যেমন ইদানিং যাদবপুরের বিদ্রোহী পড়ুয়ারা.তাহাদের বধ না হইলে শাসন চলে না৤

    কিন্তু মহিষাসুর বধেও যে দেবির নিস্তার নেই৷

    সবে সপ্তমী,কিন্তু দেওয়াল লেখন উত্কন্ঠার জযগান৷

    হাসপাতালে লম্বা লাইন৷

    গোপন জবনাবন্দীতে কি যে হয়৷

    ঢাকের বাদ্যিতে জেল খানার লৌহকপাটে প্রলয় বিস্ফোরণ৷

    নির্বাচনের আগে দশ সিন্দুক টাকার খোঁজে সিবিআই,মহিষাসুর বধেও নিস্তার নেই দেবির,সারদায় নিমজ্জিত বাঙালির ফুটবল

    সেপ্টেম্বর থেকে ভারতে শুরু হচ্ছে ফুটবলের 'ইন্ডিয়া সুপার লিগ', যেখানে কলকাতার দলটির সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছে স্পেনের এক নম্বর ক্লাব অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ৷ তাহলে বাঙালির প্রিয় ফুটবলও কি এবার বিদেশের মাটিতে যেতে পারবে?সে প্রশ্নের জবাব এখন ভবিষতের গর্ভে

    রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত অভিনীত নান্দীকারের ফুটবল নাটকটি বোধহয় আবার নূতন করে লিখতে হয়৷

    বাঙালির ফুটবল উন্মাদনার ইতিহাস ঘেঁটে দেখা যায়, এর সূচনাটা ১৩৬ বছর আগে, পরাধীন ভারতে। শুরুটা করেছিলেন নগেন্দ্র প্রসাদ সর্বাধিকারী নামের এক বাঙালি ছাত্র, সেই ১৮৭৮ সালে।অবশ্য ক্রিকেটের কাছে ফুটবল তার সেই পুরনো জনপ্রিয়তা হারিয়ে ফেলেছে। বাংলাদেশের ক্রিড়াঙ্গনের সবচেয়ে বড় দুটি খেলার সামপ্রতিক অবস্থাটা এমনই।

    কলকাতার কল্যাণে,চিটফান্ড প্রযোজনায় বাংলা ফিল্ম এবং ফুটবলের রমরমা।

    ফিলিমের কুশীলবরা এখনো ধরা ছোঁযার বাইরে।

    তবে পুজো মরশুমে,মোহনবাগান ইস্টবেঙ্গল সহ চারটি ক্লাবের একাউন্ট সিজ,তাহলে বাঙালির ফুটবলও সারদায় নিমজ্জিত কিনা ভাইব্যা বলুন।

    প্রথম আলোয় লিখেছে বেশঃআরে, কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ফুটবল খেলা পছন্দ করতেন কি না, তার কোনো ঠিক আছে? - আরে না, উনি অবশ্যই পছন্দ করতেন। - তুই কীভাবে জানলি? - উনার একটা কবিতা আছে না 'বল দাও মোরে বল দাও...' আমার মনে হয় উনি ফুটবল খেলেছেনও এবং স্ট্রাইকার পজিশনে খেলেছেন। নইলে বল চাইবেন কেন?' -

    খবরে প্রকাশ,সারদাকাণ্ডের ছায়া আরও দীর্ঘ হল ময়দানে। একাধিক ক্লাবের ভাঁড়ারেই এবার সরাসরি টান পড়তে চলেছে। তদন্তের জেরে ইষ্টবেঙ্গল ক্লাবের দুটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সিল করল ইডি। মোহনবাগানের মূল অ্যাকাউন্টটিও সিল করার জন্য ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে ইডি সূত্রের খবর। ইউনাইটেড ইস্টবেঙ্গল ফুটবল ক্লাবের নামে ওই দুটি অ্যাকাউন্ট ইডি সিল করায় ঘোর বিপাকে পড়েছেন ক্লাব কর্তারা।

    কারণ, ওই অ্যাকাউন্টগুলি থেকেই ফুটবলারদের টাকা দেওয়া হয়। ফুটবল দলের যাবতীয় খরচও চলে। সেই দুটি অ্যাকাউন্ট ইডি সিল করে দেওয়ায় আজ জরুরি বৈঠকে বসেন ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে ক্লাবের তরফে ইডি দপ্তরে চিঠি পাঠানো হয়েছে।  ভবানীপুর এবং কালীঘাট  ক্লাবের অ্যাকাউন্ট সিল করার জন্যও ইডি সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছে বলে  জানা গেছে।

    এদিকে, সারদা কনস্ট্রাকশন সংক্রান্ত মামলায় নয়া মোড়। সুদীপ্ত সেনের বিরুদ্ধে  বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগ আনতে এবার আদালতের দ্বারস্থ হল সিবিআই। এই মামলায় সুদীপ্ত সেনের বিরুদ্ধে ৪০২,১২০বি এবং ৪০৬ ধারায় আগেই অভিযোগ এনেছিল পুলিস। এবার তাঁর বিরুদ্ধে ৪০৯ ধারায় বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগ আনতে আলিপুর আদালতে আবেদন করল সিবিআই। জানা গেছে, ওই মামলায় চার্জশিট দেওয়ার জন্য বাড়তি সময় পেতেই এই সিদ্ধান্ত। কারণ, 409 ধারা যুক্ত করলে ওই মামলায় চার্জশিট পেশের সময়সীমা বেড়ে হবে নব্বই দিন। এই মামলায় সুদীপ্ত সেনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার দেখিয়েছে সিবিআই।


    এম পি এসের কর্ণধার প্রমথনাথ মান্না ও ডিরেক্টর প্রবীর চন্দকে ২৯ অক্টোবর পর্যম্ত জেল হাজতে পাঠাল বাঁকুড়া আদালত৷‌ তিন দিন পুলিস হেফাজতে থাকার পর মঙ্গলবার তাঁদের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (থার্ড কোর্ট) তনুশ্রী দত্তের এজলাসে তোলা হলে তিনি এই রায় দেন৷‌ প্রমথ মান্নার পক্ষের আইনজীবী অজিত আকুলি আদালতে বলেন, তাঁর প্রথম মক্কেল প্রমথ মান্না কৃষ্ণনগর আদালত থেকে একটি রায় পেয়েছেন, যাতে তাঁর সংস্হাকে চলতি বছরের নভেম্বর পর্যম্ত বাজার থেকে অর্থ সংগ্রহ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে৷‌ তিনি তাঁর দ্বিতীয় মক্কেল প্রবীর চন্দের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে কোনও আমানতকারীর অথবা এজেন্ট কোথাও কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি৷‌ তাই তিনি উভয় মক্কেলের জামিনের আবেদন জানাচ্ছেন৷‌ বিচারক তাঁর আবেদন খারিজ করে দেন৷‌ এদিনও এজেন্ট ও আমানতকারীরা আদালতে ভিড় করেন৷‌ আদালতে তোলার সময় ও বাঁকুড়া জেলে নিয়ে যাওয়ার সময় তাঁরা গাড়ি ঘিরে প্রবল বিক্ষোভ দেখান৷‌ বাঁকুড়া আদালতে তাঁদের বিরুদ্ধে দুটি মামলা হয়েছে৷‌ ৩০ অক্টোবর দুটি মামলাতেই তাঁদের ফের আদালতে তোলা হবে৷‌ এদিনও আদালতে প্রমথ কোনও কথা বলেননি৷‌ সাংবাদিকদের বলেন, সেবি-র কাছে সমস্ত কাগজ জমা দেওয়া আছে৷‌

    অগ্নি পান্ডেলিখেছেন আজকালেঃময়দানে এত বড় ধাক্কা এর আগে দেখা যায়নি৷‌ কলকাতা ময়দান তো বটেই, ভারতীয় ফুটবলের ইতিহাসেও আগে এমনটা দেখা যায়নি৷‌ কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ময়দানের দুই বড় ক্লাবের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার নির্দেশ জারি করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট৷‌


    সারদা-কাণ্ডের তদম্তে নামার পর ই ডি কর্তারা ময়দানের চারটি ক্লাবকে তলব করেছিল হিসেব দেখানোর জন্য৷‌ সেইমতো দুই বড় প্রধানের কর্তারা একাধিকবার ই ডি দপ্তরে গিয়ে হাজিরা দিয়ে এসেছিলেন৷‌ কিন্তু পঞ্চমীর রাত ও ষষ্ঠীর দুপুরে পরপর ই ডি-র তরফে ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগানের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার কথা জানিয়ে দেওয়া হল৷‌ ই ডি-র চিঠি ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট দুই ক্লাবের ব্যাঙ্কে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে৷‌ ইতিমধ্যে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের অ্যাক্সিস ব্যাঙ্কের দমদম শাখা ও টালিগঞ্জ শাখা ক্লাবকে ফোন করে জানিয়ে দিয়েছে৷‌ মোহনবাগানের যে অ্যাকাউন্টে ইউ বি-র টাকা থাকে, সেই অ্যাকাউন্টটি বন্ধের নির্দেশ জারি করা হয়েছে ই ডি-র তরফ থেকে৷‌ এর পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবারই এক লিখিত আবেদন পাঠানো হল ই ডি-র কাছে ইস্টবেঙ্গলের তরফে৷‌ গোটা বিষয়টা আরও একবার যেন বিবেচনা করা হয়৷‌ বাগান কর্তারা নিজেদের মধ্যে সপ্তমীর দিন মিটিংয়ে বসছেন বলে জানা গেছে৷‌ ইস্টবেঙ্গলও একই পথে হাঁটতে চলেছে৷‌


    ময়দানের দুই বড় ক্লাবেরই স্পনসর ইউ বি গ্রুপ৷‌ কিংফিশার ইস্টবেঙ্গল ও ম্যাকডাওয়েল মোহনবাগানের যে কোম্পানি অ্যাকাউন্ট আছে, সেগুলোই বন্ধ করার আদেশ ই ডি-র৷‌ কারণ, ওই অ্যাকাউন্টে ৭৫ শতাংশ টাকা প্রধান স্পনসর ইউ বি-র হলেও, বাকি ২৫ শতাংশ টাকা ক্লাব দুটির৷‌ ই ডি সূত্রে খবর, সেই টাকার মধ্যেই সারদার কয়েক কোটি টাকা রয়েছে৷‌ সেই কারণে এমন সিদ্ধাম্ত৷‌ ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগানের পাশাপাশি কালীঘাট ও ভবানীপুরের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ব্যাঙ্কগুলোকে৷‌ এই চারটি ক্লাবেরই সহ-স্পনসর ছিল সারদা, বিভিন্ন সময়ে৷‌ সারদা তদম্তে সি বি আই এবং ই ডি নামার পর ময়দানের এই চারটি ক্লাবকে তদম্তের জালে নিয়ে আসা হয়৷‌ বারবার দুই প্রধানের কর্তারা গিয়ে দেখা করেন ই ডি কর্তাদের সঙ্গে৷‌ নানান কাগজপত্রও দিয়ে আসেন বলে দাবি ক্লাবগুলোর৷‌ কিন্তু তার পর হঠাৎ কেন ই ডি এভাবে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিল, তা বুঝতে পারছে না ক্লাবগুলো৷‌ পেছনে 'চক্রাম্তের'কথা বলছেন কর্তারা৷‌


    মাথায় হাত পড়ে গেছে ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের৷‌ যে দুটি অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার নির্দেশ এসেছে, সেই অ্যাকাউন্ট থেকে ক্লাব ফুটবলারদের মাইনে দেয়৷‌ এমনকী মালিদেরও মাইনে দেওয়া হয়৷‌ সবচেয়ে বড় অ্যাকাউন্ট৷‌ সেই অ্যাকাউন্ট বন্ধ হওয়ার ফলে ফুটবলারদের কীভাবে মাইনে দেওয়া হবে তা নিয়ে জরুরি ভিত্তিতে মিটিংয়ে বসেন ক্লাব কর্তারা৷‌ ষষ্ঠীর দুপুরে লাল-হলুদ সচিব কল্যাণ মজুমদার, সহ-সচিব শাম্তিরঞ্জন দাশগুপ্ত, কার্যকরী সমিতির সদস্য ঋত্বিক দাস, কোষাধ্যক্ষ দেবু সমাদ্দার ও রাজা গুহরা জরুরি মিটিংয়ে বসেন৷‌ ইস্টবেঙ্গল সচিব কল্যাণ মজুমদার জানিয়েছেন, মঙ্গলবারই একটি লিখিত আবেদনপত্র পাঠানো হয়েছে ই ডি-কে৷‌ যেখানে বলা হয়েছে বিষয়টি আবার পুনর্বিবেচনা করার জন্য৷‌ সচিব কল্যাণ মজুমদারের বক্তব্য হল, 'আমাদের আবেদন করা ছাড়া এই মুহূর্তে কোনও উপায় নেই৷‌ সত্যি, বারবার আমাদের যাওয়ার পরও ই ডি কেন এমন সিদ্ধাম্ত নিল তা বুঝতে পারছি না৷‌ আমরা তদম্তে কোথাও অসহযোগিতা করিনি৷‌ সব সময় সাহায্য করেছি৷‌ এখন উৎসবের সময়৷‌ আগামী কাল থেকে দীর্ঘ ছুটি৷‌ জানি না আমরা কোথা থেকে কী করব৷‌ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টস বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে৷‌ কোথা থেকে এবার আমরা ফুটবলারদের টাকা দেব? আমরা আরও আতঙ্কিত হতাম যদি সামনেই কোনও খেলা থাকত৷‌ তখনই ফুটবলারদের টাকা দিতে হত৷‌ সেটা না পারলে তার প্রভাব ম্যাচে পড়তে বাধ্য৷‌'ই ডি-কে লেখা চিঠিতে ইস্টবেঙ্গল জানিয়েছে, ক্লাব কোনও বাণিজ্যিক সংগঠন নয়৷‌ প্রায় ১০০ বছরের একটা সামাজিক সংগঠন৷‌ সুতরাং এটা বিবেচনা করে দেখা উচিত৷‌ লাল-হলুদ কর্তারা চিম্তিত বিদেশি ফুটবলারদের মাইনে দেওয়া নিয়েই৷‌ 'আমরা জানি না বিদেশিদের কীভাবে মাইনে দেব৷‌ বিদেশিরা টাকা না পেলে একবার যদি ফিফায় নালিশ করে, তা হলে সর্বনাশ হয়ে যাবে৷‌ ভারতীয় ফুটবলের বদনাম হবে৷‌ আবেদনপত্রে আমরা ই ডি ডিরেক্টরের কাছে সময় চেয়েছি৷‌ উনি যদি সময় দেন তা হলে তাঁর সঙ্গে আমরা গিয়ে সরাসরি কথা বলব৷‌'ইস্টবেঙ্গল সচিব সবচেয়ে বেশি ভয় পাচ্ছেন যাতে ডিফল্টার না হয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল৷‌ 'দয়া করে আমাদের ডিফল্টার করবেন না৷‌ ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের একটা সুনাম আছে৷‌ আমাদের ডিফল্টার করতে দেব না৷‌ যেভাবে হোক খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলব৷‌'তার পরেই বলে ওঠেন ইস্টবেঙ্গল সচিব যে, 'কোনও রাজনৈতিক তকমা নেই বলেই বোধহয় আমাদের এই অবস্হা৷‌'


    ব্যাঙ্ক মঙ্গলবার বন্ধ হয়ে যাওয়ার দরুন মোহনবাগান ক্লাবকে ফোন করে জানাতে পারেনি৷‌ ই ডি-র নির্দেশ পৌঁছে গেছে ব্যাঙ্কে৷‌ পুজোর পরেই ব্যাঙ্ক খুললেই অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে যাবে৷‌ বাগানের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টটিও অ্যাক্সিস ব্যাঙ্কের৷‌ মোহনবাগান সচিব অঞ্জন মিত্র বলেন, 'আমরা শুনেছি৷‌ এখনও ব্যাঙ্কের সরকারি ফোন পাইনি৷‌ পেলেই জরুরি ভিত্তিতে আমি কার্যকরী সমিতির সভা ডাকব৷‌ সেই সভায় যা সিদ্ধাম্ত নেওয়া হবে সেইমতো ব্যবস্হা নেওয়া হবে৷‌ তবে এই মুহূর্তে সিকিম গভর্নর্স গোল্ড কাপে আদৌ খেলতে যাওয়া হবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ আছে৷‌ চূড়াম্ত সিদ্ধাম্ত নেওয়া হয়নি৷‌'মুখে এ কথা বাগান-সচিব বললেও, বুধবার বাগানের শীর্ষ কর্তারা নিজেদের মধ্যে বৈঠক করবেন৷‌ ক্লাবের এক শীর্ষ কর্তা বলেই ফেললেন, 'সমস্যা ভয়ঙ্কর বাড়ল৷‌ জানি না কীভাবে ফুটবলারদের পেমেন্ট করা হবে৷‌ সত্যি ঘোরতর সঙ্কটে পড়লাম আমরা৷‌'অপর ক্লাব ভবানীপুরের কর্তা বিষ্ণু চক্রবর্তী জানিয়েছেন, 'অনেক দিন ধরেই শুনেছি ই ডি আমাদের ডাকবে৷‌ আমরা মানসিকভাবে তৈরি৷‌ কাগজপত্র নিয়ে চলে যাব৷‌'কালীঘাট ক্লাবের কর্তা বাবলু কোলের বক্তব্য হল, 'এখনও ফোন পাইনি৷‌ দেখা যাক কী করব৷‌ ক্লাবের বাকিদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধাম্ত নেওয়া হবে৷‌'ইস্টবেঙ্গল সচিব জানিয়েছিলেন, প্রয়োজনে মোহনাবাগানের সঙ্গে ই ডি-র কাছে দরবার করতে রাজি৷‌ শুনে বাগান সচিব অঞ্জন মিত্র বলেন, 'এখনও কথা হয়নি৷‌ ইস্টবেঙ্গল জানালে নিশ্চয়ই ভেবে দেখব৷‌'



    দুর্গাপূজা না নরমেধ যজ্ঞ ঃশরদিন্দু উদ্দীপন

    $
    0
    0
    দুর্গাপূজা না নরমেধ যজ্ঞ ঃশরদিন্দু উদ্দীপন

    দুর্গাপূজা না নরমেধ যজ্ঞ

    অসুরদেরকাছেবেধড়কমারখেয়েস্বর্গথেকেবিতাড়িতহওয়ারকাহিনীআর্যদেরপ্রতিটিগ্রন্থেই ক্ষোভেরসাথেউল্লেখআছেএইস্বর্গেকিএমনমধুক্ষরাঢালাও ব্যবস্থাপনাছিলযেসেখানথেকেঅপমানিতহয়েবনবাদাড়েঘুরেবেড়ানোরগ্লানিআর্যরাকিছুতেইভুলতেপারেনাএবং যার জন্যে এই ভূদেবতারা রাশিকৃত বাইয়ের পাহাড় তৈরি করে তাদের জিঘাংসাকে ব্যক্ত করেছে। ক্ষোভ উজাড়া করে দিয়েছে এবং অসুরদের নিধন করার জন্য অস্ত্র-শস্ত্র, ধর্ম-অধর্ম; অন্যায়-অপকর্ম এবং দুষ্কর্মের পথ গ্রহণ করতে কার্পণ্য করেনি!  এই আজগুবি গাঁজাখুরি মাইথলজির চরিত্রগুলিকে ঐতিহাসিক চরিত্র বলে জণমানসের মধ্যে সঞ্চালিত করে দেবার মধ্যে কী এমন গূঢ়ার্থ রয়েছে যে এগুলি না থাকলে ভূদেবতারা অপাংক্তেয় হয়ে পড়বে বলে আশঙ্কা বোধ করছে! এই চালিয়াতি, ধাপ্পাবাজি ও চালাকিগুলি কালে মিথ্যে বলে প্রমানিত হওয়ার ঝুঁকি থাকা সত্যেও কেন তারা পাহাড় প্রমান পুঁথি তৈরি করে করে নিজেদের চৌর্য বৃত্তি, লাম্পট্য ও নীতিহীনতা লিপিবদ্ধ করে রাখল তার মূল রহস্য জানা দরকার। এই রহস্য উদ্ঘাটন করতে পারলেই বোধহয় দেবাসুরের মৌলিক লড়াই এবং নিরন্তর দ্বন্দ্বের রহস্যভেদ করা সম্ভব হবে।    

    স্বর্গকোথায়?

    ভুদেবতাদেরবর্ণনাঅনুসারেস্বর্গেরঅবস্থানটা বেশহেঁয়ালিপূর্ণকিন্তু তারা প্রতিনিয়ত দাবী করেছে স্বর্গইদেবতাদেরআদিনিবাসতাদের পিতৃভূমি। যেখান থেকে দেবতারা তিন ভূবনের কোথায় কি হচ্ছে দেখতে পায়। যেখানে কোনদিন রাত হয় না। সহস্র সূর্য আলোকিত করে রাখে। কিন্নরীদের নুপুর নিক্কন আর অনন্ত যৌবনা অপ্সরাদের দেহ মধু ভাণ্ড পান করে গন্ধর্ব, কিন্নর ও দেবতারা যেখানে অন্তহীন সুখ ভোগ করতে থাকে। দেবতাদের কাঙ্ক্ষিত এই অমর লোকের হদিসপেতেহলেঋকবেদেরদশমমণ্ডলেরপুরুষসূক্তের৯০শ্লোকথেকেখুঁজতেহবে।এতেবলাহয়েছে 

    -      পুরুষ নিজেই হল সমস্ত বিশ্ব। তিনি অমর জগতের প্রভু ...

    -      এই পুরুষকে উৎসর্গ করে দেবতারা যখন যজ্ঞ করলেন তখন বসন্ত ছিল তার মাখন, গ্রীষ্ম হল তার আগুন এবং শরৎ হল তার নৈবেদ্য।

    -      এই পুরুষকে দেবতারা ঘাসের উপর বলি দিলেন। ব্রাহ্মণ হল তার মুখ, রাজন্য হল তার বাহু, বৈশ্য হল তার উরু এবং পায়ের থেকে সৃষ্ট হল শূদ্র।

    -      নাভি থেকে উঠে এল বাতাস, মাথা থেকে আকাশ, পা থেকে পৃথিবী, কান থেকে চতুর্দিক।

    -      দেবতারা আকাশকে স্বর্গ ও পৃথিবীর মাঝখানে স্থাপন করলেন।

    মনু সংযোজন করলেন, "স্বয়ম্ভু জীব সৃষ্টি করার জন্য প্রথমে জল ও তার মধ্যে বীজ (বীর্য) প্রথিত করলেন। সেটা ডিমের আকার নিল। এই ডিমের থেকে ব্রহ্মা জন্ম নিল। এই ডিম দুই ভাগে ভাগ হল। এক ভাগ হল স্বর্গ এবং অন্য ভাগ হল পৃথিবী। এই দুইয়ের মাঝখানে আকাশকে স্থাপন করা হল। অর্থাৎ বেদের দশম মণ্ডল ও মনুর সংযোজনের মধ্যে স্বর্গ ও পৃথিবীর অবস্থান নিয়ে একটি সাযুজ্য আমারা দেখতে পাচ্ছি। কিন্তু পরবর্তী কালের রচিত পুরাণ, শ্রুতি শাস্ত্র, রামায়ন, মহাভারত ইত্যাদি  গ্রন্থগুলির বর্ণনাশুনেমনেহতেপারেযেস্বর্গটা হিমালয়েরকোনএকটিঅঞ্চল হবে  কৈলাসপাহাড়েরআসেপাসেকোনএলাকা, অথবা মানস সরোবরের সন্নিকটে অপূর্ব সুন্দর কোন এক বিস্তীর্ণ অঞ্চল মহাভারতের পঞ্চ পান্ডব তো পায়ে হেঁটেই স্বর্গে পৌঁছে যাবার বন্দোবস্ত করেছিল। ধন্ধটাবেসমজাদারযদি আমারাজায়গাটাকেহিমালয়েরকৈলাসেরআশেপাশেরকোনএলাকাধরিতবেবেজায়ফ্যাসাদেপড়েযেতেহবেকেননা  আর্যদেরআসারবহুকালআগেইঅঞ্চলপ্রোটো অস্ট্রাল ও মঙ্গোলয়েডমানুষেরদখলেএসে গেছেআবারযদিআকাশেরওপারেরকোনজায়গাধরিযে,সেখানেগিয়েঅসুরেরা  দেবতাদেরঘাড়ধাক্কাদিয়েবেরকরেদিয়েছিল;এটাবড়বেমানানলাগবেএবংভীষণহাস্যরসেরউপাদানজোগাবে। এবং এই হাস্যরস শেষ পর্যন্ত নিজেদের অশিক্ষিত ও অসভ্য হিসেবে প্রতিপাদিত করবে  

    তবেদেবতারাস্বর্গপ্রাপ্তিরজন্যএতলালায়িতকেন? কিএমনআলাদারসনালয়এইস্বর্গ?

    হেঁয়ালিরখানিকটালিখিতউপাদনজোগাতেপারেসিরিয় সভ্যতারঅসুরনগরীসম্রাটঅসুরবাণীপালেরলাইব্রেরীতেপ্রাপ্ত২৫০০০ক্লেটেবলেটসপৃথিবীর সর্ব প্রাচীন এই  লাইব্রেরী থেকে জানা যায় যে, একদিকে অসুর নগরী যেমন  শিল্প সভ্যতা ও স্থাপত্যে সর্বোচ্চতা লাভ করেছিল; অন্যদিকে এর তাক লাগিয়ে দেওয়া বৈভব বহু দস্যু, লুঠেরাদের আক্রমণ করার জন্য প্রলুব্ধ করেছিল। বাইবেলেরকালশুরুহওয়ারবহুআগেইএইঅসুরনগরীসুখ্যাতছিলবাইবেলের old Testament-এরশুরুতেএইনগরীউল্লেখকরেছে

    "A river watering the garden flowed from EDEN, and from there it divided, had four head streams …….The name of the third is the Tigris, it runs along the east of ASSUR. And the fourth river is the Euphrates". ...Genesis, Old Testament, Holly Bible.

    এখনে অনেক টা কাজ বাকি আছে। মেসোপটেমিয়ার ইতিহাসটি দিতে হবে।

    ইউফ্রেটিসটাইগ্রিসনদীদ্বয়েরমাঝেঅবস্থিতঅঞ্চলেগড়েউঠেছিলসুমহানঅসুরসভ্যতাবাআসিরিয়ানসভ্যতাদক্ষিনেরঅংশটিসুমেরবাসুমের-আক্কাদগ্রীকলেখকেরাএইসভ্যতাকেমেসোপটেমিয়াহিসেবেউল্লেখকরেছেনমেসোপটেমিয়াকথারঅর্থহলদুইনদীরমধ্যবর্তীদেশএইদেশেররাজধানী"অসুর" তাদেরসুমহানঈশ্বরেরনামেপরিচিতছিলনিনেভশহরছিলউন্নতঅসুরসভ্যতারপ্রাণকেন্দ্রএকটিজাঁকজমকপূর্ণশহরআরমেহেরগড়, হড়প্পামহেঞ্জোদড়োছিলএই সুউন্নতঅসুরসভ্যতার সহ নাগরিক , যাদেরযৌথপ্রচেষ্টায়গড়েগড়েউঠেছিলসম্মিলিতরাষ্ট্রপুঞ্জেরভাবনা

    অসুর রাজারা ছিলেন প্রজ্ঞাবান ও ন্যায় পরায়ণ। একদিকে তারা ছিলেন প্রজাবৎসল কিন্তু অন্যায়কারীদের কাছে বিভীষিকা। নিষ্ঠুর ও একরোখা। ক্লটেবলেটস ও পরবর্তী কালের জেন্দাবেস্তায় অসৎ অন্যায়কারী ও দুশ্চরিত্রদের আরিয়াম্যান-বারিয়্যাম্যান ("বার‍্যুয়া"শব্দটি এখনো চন্ডালী ভাষায় দুশ্চরিত্রকে বোঝায়) হিসেবে বর্ণনা করা হয়। এই সকল অকর্মা, অসৎ অন্যায়কারী ও দুশ্চরিত্র আরিয়াম্যান-বারিয়্যাম্যানদের নির্বাসন দেওয়াই ছিল  অসুর নগরীর বিধান। অসুর রাজারা এদের কঠোর হাতে দমন করেছে এবং নির্বাসন দন্ড দিয়ে বিতাড়িত করেছে দূরে। কিন্তু সম্পত্তি লুন্ঠন ও লাম্পট্ট বজায় রাখার জন্যই আরিয়াম্যান-বারিয়্যাম্যানেরা সংগঠিত ভাবে বহুবার অসুর নগরী আক্রমণ করছে, নগর ধ্বংস করেছে, পুরুষদের খুন করেছে এবং মহিলাদের বন্দী করে দুর্গে নিয়ে গেছে। যথেচ্ছ যৌনাচার চালানো হয়েছে তাদের উপর। লুণ্ঠন করা সম্পদ, নারী ও সুরার এই ত্রয়ী সমন্বয়ে দুর্গ হয়ে উঠেছে স্বর্গের ছাউনি। অন্তহীন সুখসাগর। আর এই প্রক্রিয়ার মধ্যেই   আরিয়াম্যান-বারিয়্যাম্যানদের ধর্ম, অর্থ, কাম ও মোক্ষের ভাবনা তাদের জীবন দর্শণের মধ্যে চিরস্থায়ী ভাবে প্রথিত হয়ে গেছে

    আরিয়াম্যান-বারিয়্যাম্যানদের এরকম একটি আক্রমণের প্রেক্ষাপ্ট ঐতিহাসিক গুস্তাভ তুলে ধরেছেনঃ   

    "About 2500 B.C.  the Accaddian dybasty had reigned for long period in Babylon the Aryans invaded Chaldia and pressing at the same time on the Kannanites of the Persian Gulf and Dravidian in Persia, drove the formers towards North-west and the later to the South-East of India". Dr. BR Ambedkar, W &S-Vol-12 P. 14.           

    অর্থাৎ খ্রিষ্ট পূর্ব ২৫০০ বছর আগে থকেই আরিয়াম্যান-বারিয়্যাম্যানদের বেলেল্লাপনার ইতিহাস আমরা জানতে পারছি বিভিন্ন সূত্র থেকে। একই ভাবে খ্রিষ্ট পূর্ব ১৫০০ বছর আগে তারা যে খাইবার-বোলান গিরি পথ ধরে অনুপ্রবেশ করে হড়প্পা, মহেঞ্জোদড়োর, লোথাল, ধলাভিরা, কালিবঙ্গান প্রভৃতি সুমহান অসুর নগরগুলিকে লুণ্ঠন করে ধ্বংস করেছিল, পুরুষদের হত্যা করে নারীদের বন্দী করে দুর্গে নিয়ে এসে ভোগ করেছিল তা লিপিবদ্ধ হয়েছে বেদ, পুরান, উপনিষদ ও পরবর্তী কালে মহাকাব্যগুলিতেবেদের ৭ম মণ্ডলে  দেবাসুরের  এমনই এক যুদ্ধের কথা বর্ণীত হয়েছে যা দশহরা (Battle of Ten Kings)বা দশেরা নামে পরিচিত।

    Battle of Ten Kings -দশহরা বা দশেরা

    এই যুদ্ধের বর্ণনা হিসেবে বেদের সপ্তম মণ্ডলের ১৮ তম লোকটি দেখুনঃ

    purolaa it turvasho yakshur aasheed raaye matsyaaso nishitaa apeeva |
    shrushtim cakrur bhrgavo druhyavash ca sakhaa sakhaayam atarad vishuco || 7.018.06

    Eager for spoil was Turvaśa Purodas, fain to win wealth, like fishes urged by hunger.
    The Bh
    gus and the Druhyus quickly listened: friend rescued friend mid the two distant peoples.


    aa pakthaaso bhalaanaso bhanantaalinaaso vishaninah shivaasah |

    aa yo anayat sadhamaa aaryasya gavyaa trstubhyo ajagan yudhaa nrn || 7.018.07

    Together came the Pakthas, the Bhalanas, the Alinas, the Sivaas, the Visanins.
    Yet to the Trtsus came the Ārya's Comrade, through love of spoil and heroes' war, to lead them.

     

     

    arāsi cit paprathānā sudāsa indro gādhāni akṛṇot supārā |

    śardhantaśimyum ucathasya navyaśāpa sindhūnām akṛṇod aśastī || 7.018.05

     

    What though the floods spread widely, Indra made them shallow and easy for Sudās to traverse.

    He, worthy of our praises, caused the Simyu, foe of our hymn, to curse the rivers' fury.

    এই যুদ্ধে অসুরদের মধ্যে সুদাস দেবতাদের পক্ষ নেয়দেবরাজ ইন্দ্র সুদাসের সহযোগিতায় অসুর রাজ দ্রুহু, ভৃগু, তুরবাস, পাক্তা, ভালানাস, আলিনা, ভিসানী ও শিবকে পরাজিত করে। বর্তমান পাঞ্জাবের রাবি নদীর তীরে এই যুদ্ধে দশ অসুর রাজাকে পরাজিত করে দেবতারা তাদের সমস্ত সম্পদ লুট করে নেয়। দাসসুলভ আনুগত্যের জন্য সুদাস কে পুরস্কৃত করা হয়। অসুর রাজাদের পরাজিত করে যে বিজয় উৎসব পালন করা হয় তার নাম দশহরা বা দশেরা।  দশহরা মূলনিবাসিদের নিধন যজ্ঞ। ভূদেবতাদের বিজয় উল্লাস। 

     

    কৃষ্ণ ও ইন্দ্রের যুদ্ধ ঃ  

    এই যুদ্ধের কথা এখানে উল্লেখ না করলে আলোচনাটি অসম্পূর্ণ থেকে যাবে বলে মনে করি।   সম্ভবত এরকম একটি যুদ্ধের পরেই ভূদেবতাদের কায়েমী দর্শন ভারতবর্ষে প্রসারিত হতে আর তেমন বাঁধা থাকেনি । এটি  "অংশুমতি"র যুদ্ধ নামেও পরিচিত। বেদঅনুশারেকৃষ্ণছিলেনঅসুররাজাযিনিতারমাতৃভূমিরস্বাধীনতারক্ষারজন্যঅংশুমতিনদীরতীরেদশহাজারসৈন্যসহআর্যসেনাপতিইন্দ্রেরবিরুদ্ধেলড়াইকরার প্রস্তুতি নেনইন্দ্রতারমহিলাগুপ্তচরদেরকাছ থেকেকৃষ্ণেরঅবস্থানজানতেপারে (/৯৬/১৩-১৪ঋকবেদ) সরাসরিআক্রমণনাকরেঘুরপথেকৃষ্ণেররাজধানীআক্রমণকরেএবংরাজাহৃজিশ্বনসহকৃষ্ণেরগর্ভবতীস্ত্রীদেরহত্যাকরে (/১০১/১ঋকবেদ)এরপরইন্দ্র কৃষ্ণকে আক্রমণকরেতারসৈন্যদেরহত্যাকরেএবংতাঁকেপুড়িয়েমেরেফেলে (/১৩০/ঋকবেদ) 

    কিন্তুকৃষ্ণ, ভারতবর্ষেরএমনকিংবদন্তিরাজাছিলেনযে,তারপ্রজাবর্গদীর্ঘদিনধরেবৈদিকশাসনগ্রহণকরেনিবিশেষকরেনাগ, চন্ডাল, কোল,মুন্ডাপ্রভৃতিপ্রাগার্যমূলনিবাসীজনপুঞ্জএতশক্তিশালীছিলযে, তারাআর্যদেরশাসনসংস্কৃতিবর্জনকরেছিলখ্রিস্টপূর্ব১৮৭সালেসম্রাটঅশোকেরপ্রোপৌত্রঅসুর-চন্ডালরাজাবৃহদ্রথকেহত্যাকরেপুষ্যমিত্রশুঙ্গমূলনিবাসীদেরবিরুদ্ধেপ্রতিশোধমূলকআক্রমণম্ভকরে

    এই আক্রমণ  রাজা পুষ্যমিত্রের অশ্ব মেধ যজ্ঞ নামে পরিচিত।  

     

     

    ধ্বংসকরেদেয়মূলনিবাসীবহুজনেরদর্শন,সংস্কৃতিসভ্যতারইমারতপুড়িয়েফেলেবিশ্বেরসর্বচ্চজ্ঞানেরসম্পদশাস্ত্ররাশিমূলনিবাসীররক্তস্নানেরপূণ্যেপ্রতিষ্ঠিতহয়নরমেধ যজ্ঞের চিরস্থায়ী বন্দবস্ত। চতুর্বর্ণসমাজপুষ্যমিত্রশুঙ্গেরপৃষ্ঠপোষকতায়রচিতহয়রামায়ণ,মহাভারত,মনুস্মৃতিনামকআর্যসমাজেরঅমৃতকথাফিরিয়েআনাহয়কৃষ্ণকেঅসুরেরবেশেনয়, একেবারেব্রাহ্মণদেরবিধাতাঈশ্বরহিসেবেতারমুখদিয়েইঅমৃতবর্ষণকরাহয়

    "yada yada hi dharmasya glanir bhavati bharata

    abhyutthanam adharmasya tadatmanam srjamy aham"

    paritranaya sadhunam vinasaya ca duskrtam

    dharma-samsthapanarthaya sambhavami yuge yuge"

    TEXT 7(চতুর্থঅধ্যাআয়, গীতা)

    ব্রাহ্মন্যবাদীকৃষ্ণকেদিয়েশুরুহয়অসুরবধেরমহাযজ্ঞমানুষকেহত্যাকরাহয়েওঠেধর্মযুদ্ধধর্মের নামেই চলতে থাকে অবাধ নরমেধ।   

    "dharma-ksetre kuru-ksetre samaveta yuyutsavah

    mamakah pandavas caiva kim akurvata sanjaya"

    একই ভাবাবে পৌরাণিক যুগে মহাজ্ঞানী গোতমের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ফিরিয়ে আনা হয় অসুর শিবকে। পৌরাণিক কাহিনীতে শিব আর দাস বা অসুর রাজা নন তিনি দেবাদিদেব মহাদেব। 

     

    অপসরা মেনকার বিনিময়ে ইন্দ্রপ্রস্তের সন্ধি ঃ

    (মহাভারতের বনপর্ব বা মার্কেন্ডেয় পুরান অনুশারে)  

    যুদ্ধ, নরহত্যা, সম্পদ লুন্ঠন, নারীদের বন্দী বানিয়ে দুর্গে নিয়ে এসে তাদের উপর যথেচ্ছ যৌন নির্যাতন চলতে থাকে নির্বিচারে। বেদের অমৃত বাণী  (যে যত অসুরদের হত্যা করতে পারবে, তাদের সম্পদ লুণ্ঠন করতে পারবে স্বর্গে তার তত বেশি সুখ ভোগের ব্যবস্থা হবে। ইন্দ্র তাকে নারী, সুরা ও সম্পদ দান করবে) এই সকল নরমেধকে উৎসাহিত করতে থাকে।

    "হে ইন্দ্র, আমাদের পাপ সকল লঘু করো। আমাদের ঋকের শক্তি দাও, যেন ঋক হীন মানুষদের আমরা বধ করতে পারি। যারা  ঋক শূন্য যজ্ঞ শূন্য ও ব্রাহ্মণ হীন তাদের শেষ করো"। ঋক ১০/১০৫/৮  

    নরমেধের এই মহামন্ত্র ধ্বনিত করে ইন্দ্রের বাহিনী অসুর মহামতি গিরিরাজের অঙ্গরাজ্যে অনুপ্রবেশ করে। গিরিরাজ ইন্দ্রকে চতুর্দিক থেকে ঘিরে ফেলে। বাঁচার উপায় না দেখে ইন্দ্র যুদ্ধ বিরামের প্রতীক হিসেবে শ্বেত পতাকা উড়িয়ে দিয়ে সন্ধির প্রস্তাব দেয়। এই সন্ধির বিনিময়ে গিরিরাজ ইন্দ্রকে এক খন্ড ভূমি প্রদান করেন যা ইন্দ্রপ্রস্ত নামে পরিচিত। আর স্বর্গের প্রধান অপসরা মেনকাকে পান গিরিরাজ।  এই যুদ্ধে গিরিরাজ ইন্দ্রকে বন্দী করতে পারতেন, হত্যা করতে পারতেন। কিন্তু তাতে যুদ্ধের নীতি লঙ্ঘিত হতো। প্রজ্ঞাবানেরা তা করতে পারেন না। তাদের শীল, পারমিতা ও মার্গ দর্শনের মধ্যে জিঘাংসা অনুপস্থিত। ভূদেবতাদের দর্শনের সাথে অসুর দর্শনের এটাই মূলগত পার্থক্য।  

     

    মেনকা দান আসলে অসুর নিধনের সামাজিক প্রকৌশল ঃ     

    এ আর এক নতুন যুদ্ধ। নতুন প্রকৌশল। যে কৌশলের মধ্যদিয়ে ভূদেবতারা অসুর পুরীর একেবারে অন্দরে ঢুকে তাদের কায়েমী স্বার্থ চরিতার্থ করতে সক্ষম হয়েছিল। বিষকন্যা ও সেক্স গার্লদের ব্যবহার করার উল্লেখও পাওয়া যায় বিভিন্ন গ্রন্থে। প্রজনন বিদ্যাকে কাজে লাগিয়ে বর্ণ সংকর তৈরি করে চতুর্বর্ণ প্রথা কায়েম রাখাই ছিল ভূদেবতাদের উদ্দেশ্য। এই ভাবেই ভুদেবতারা   ধ্বংস করে দিতে সক্ষম হয়েছিল অসুরদের বল, বীর্য ও মেধা।

    মেনকা ও গিরিরাজের কন্যা উমা। শিবের সাথে তার বিয়ে হয়। এই শিবের আবার বহু পত্নী। বহুগামী সে। ব্রহ্মবৈবর্ত পুরান মতে আবার শিবের দুই পত্নী গৌরী ও উমা। গৌরি ফর্সা আর উমা কালো। শিব গৌরীকে বেশি পছন্দ করে। এই নিয়ে দুই সতীনের চুলোচুলি। শিব উমাকে অপমান করলে সে জঙ্গলে চলে আসে। সাধনা শুরু করে। তার রুদ্রমূর্তি দেখে ব্রহ্মা তাকে দুর্গে নিয়ে আসে। তাকে "দুর্গা রূপেন সংস্থিতায়"রূপান্তরিত করা হয়। দেবতারাতাকেইমহিশাসুরনিধনেরজন্যবিষকন্যাহিসেবেপ্রেরণকরে।কেননা মহিসাসুর নাকি দেবতাদের পেদিয়ে স্বর্গ থেকে বিদায় করে দিয়েছে। কিন্তুদুর্গামহিশাসুরেররূপ,গুনখ্যাতিদেখেতারপ্রতিআকৃষ্টহয়তার গুন, শীল, পারমিতায় মুগ্ধ হয়ে সধর্মিণীহিসেবেঅসুরপুরীতেসন্তানদেরনিয়েদিনকাটায়।কাপালিকইন্দ্রব্রহ্মাএতেভয়ানকক্ষেপেযায়।এরপরেইঘটেবালকশুম্ভ-নিশুম্ভের হত্যালীলামহিশাসুরবধ।দুর্গাকে মহিসাসুরকে ভুলিয়ে তাদের ছাউনির কাছে নিয়ে আসতে বাধ্য করে দেবতারা।  দুর্গা এখানে মহামায়া। কাত্যায়নী, ভৈরবী। তার মোহ জালে আচ্ছন্ন তিন ভূবন। দেবতাদের কথামত কাজ করে দুর্গা। মহিসাসুর সেনা ছাউনির কাছে এলে  দেব সেনাপতি কার্তিক পিছন থেকে তীর মেরে তাকে হত্যা করে। (মহাভারত, বন পর্ব)। 

       

    ধম্ম বিজয়ার দিনে কেন এই দশেরা বা দশহরা ?

    কলিঙ্গবিজয়সম্রাটঅশোকেরজীবনেধম্মানুভুতিরএকটিমাইলস্টোন।শোকাহতরাজাঘোষণাকরলেনতিনিআরযুদ্ধবিজয়  করবেননাকরবেনধম্ম-বিজয়। মানবতা ও সখ্যতার মাধ্যমেগুড়িয়েদেবেনজাত-পাতেরপ্রাচীর ও দেশ কালেরসীমানা।বিশ্বভ্রাতৃত্বএবংবসুধৈবকুটুম্বকমএর নিবিড়বন্ধনেসবমানুষেরমনজয়করবেন

    ১৩নংরকএডিক্ট -ঘোষণাকরেন'অসুপুত্তপৌত্তমেনবম্বিজয়বিজিতব্যম'আমারপুত্রএবংপ্রপৌত্ররাওকোননতুনরাজ্যযুদ্ধবিজয়করবেনাযদিবিজয়করতেহয়তাহবেধম্ম-বিজয়।

    দিনেইঅশোকধম্মবিজয়পালনকরেছিলেন।অসুর দর্শনের এই মূল বাণীকে ধ্বংসকরারজন্যই ভুদেবতারা এইদিনেদশেরাবাবিজয়াদশমীপালন করার সিদ্ধান্ত নেয়।

    আজওএইমূলনিবাসীগণনায়কেরপ্রতিকীপুতুলপুড়িয়েব্রহ্মণ্যবাদীবর্বরেরাবিজয়উল্লাসপালনকরে।রাষ্ট্রীয়ব্যবস্থাপনায়৮৫% অসুরভারতবাসীররক্তশুষেএইপৈশাচীকউৎসবমূলনিবাসীদেরআত্মমর্যাদা, আত্মপরিচয়স্বধম্মেরউপরএকসামাজিকবলাৎকারএবংঘৃণ্যচক্রান্ত।মানুষকেজ্বালানো, মানুষকেহত্যাকরারএইপ্রতীকিউৎসব পালন করতে ওরা কুন্ঠিত হয় না কেননা মূলনিবাসী অসুরদের পরাজয়ের মধ্যেই দেবতাদের বিজয় উল্লাস প্রতিষ্ঠিত হয়। 

    আত্মবিস্মৃতঅসুরবাঙ্গালীরা আবার ভৈরবীরমোহেআচ্ছন্নঢাকেরগগনভেদীগর্জনেঢাকাপড়েগেছেতাঁদেরপূর্বপুরুষেরআর্তনাদ ধুপেরধোঁয়াআরফুলবেলপাতারগন্ধেঝাপসাহয়েগেছেদৃষ্টিব্রাহ্মন্যবাদেরহাড়িকাঠেঅসুরবাঙ্গালীরনির্বীর্যকরনেরএটাইএখন সবথেকেশক্তিশালীনিধনযজ্ঞ    

     

          

     

    চিটফান্ড আসলে বহুজনের বিরুদ্ধে ডিভাইন প্রভুদের যুদ্ধের শঙ্খনাদ।

    $
    0
    0

    চিটফান্ড আসলে বহুজনের বিরুদ্ধে ডিভাইন প্রভুদের যুদ্ধের শঙ্খনাদ।

    শরদিন্দু বিশ্বাস

    চিটফান্ড আসলে বহুজনের বিরুদ্ধে ডিভাইন প্রভুদের যুদ্ধের শঙ্খনাদ। 

    সারদার জালিয়াতি কান্ড সামনে আসার পরে বেশ কয়েকটি আশঙ্কার কথা আলতো করে বাতাসে ভাসিয়ে দেবার চেষ্টা হচ্ছে। 
    ক্রমশঃ জোরালো করে তোলা হচ্ছে এই আশঙ্কার পরিবেশ। পালা বন্দনার মতো গাওনা শুরু হয়েছে যে চিটফান্ড বন্ধ হলেঃ 
    ১) বাংলার ফুটবলের উপর বিরাট প্রভাব পড়বে।
    ২) বাংলার সুমহান ঐতিহ্য দুর্গা পূজার জৌলুস কমে যাবে।
    ৩) টিভি সিরিয়ালগুলির উপর প্রভাব পড়বে।
    ৪) সিনেমা শিল্পের অনেক তাবড় প্রযোজক পালিয়ে যাবেন।
    ৫) যাত্রা শিল্প পাততাড়ি গুটাতে বসবে। বড় চিত্র তারকাদের
    পাওয়া যাবে না। 
    ৬) অনেক খবরের কাগজ কোম্পানি পথে বসবে।
    ৭) অনেক টিভি চ্যানেল বন্ধ হয়ে যাবে।
    ৮) বড় বড় আবাসন প্রকল্প মুখ থুবড়ে পড়বে।
    ৯) সান সিটি,ফান সিটি,গ্রীন সিটি বা হাইল্যান্ড,স্কাইল্যান্ড আগাছায় ভরে যাবে। 
    ১০) সাংবাদিকরা বেকার হয়ে রাস্তায় রাস্তায় কেঁদে বেড়াবে। ইত্যাদি...ইত্যাদি।

    অর্থাৎ চিটফান্ড  যদি বন্ধ হয়ে যায় বাবুবিবিদের ও তাদের ছানাপুনাদের সব ফুটানি বন্ধ হয়ে যাবে। তাদের ঝাঁচকচকে
    গাড়িগুলির তেল ফুরিয়ে যাবে। কেতাদুরস্ত ব্রান্ড অ্যাম্বাসেডারদের জলপানি বন্ধ হয়ে যাবে। বুদ্ধিজীবীরা উচ্ছিষ্ট পাবেনা।  টিভি চ্যানেলে এসে গুলতানী করা যাবেনা। রোজ রোজ মোচ্ছব করার ভাঁড়ারে টান পড়বে। বেকার হয়ে রাস্তায় রাস্তায় ফেউ ফেউ করে ঘুরে বেড়াতে হবে তাদের চাঁদির চামচ মুখে নিয়ে জন্মানো ছানাপুনাদের। সুতরাং যে ভাবেই হোক বহুজন সমাজের নিরন্ন মানুষের রক্ত শুষে খাবার এই জালিয়াতি ব্যবসার সুযোগ করে দিতে হবে বাবু-বিবির ছানাপুনাদের এবং তাদের পোষ্য বশংবদদের। তাদের শ্রম এবং উৎপাদনের সমস্তটাই আত্মসাৎ করতে হবে। তাই যে যাই বলুক না কেন, বহুজন সমাজের মাথার উপর কাঁঠাল রেখে কোষ কেঁড়ে খাওয়ার নীতিকে চিরস্থায়ী বন্দোবস্তে পরিণত করে ফেলতে হবে। এটাই উন্নয়নের আধুনিক পরিভাষা। অর্থনৈ্তিক বিকাশের একমাত্র অভিমুখ!   

    বহুজন সমাজ কি এমনই? এতোটা সহিষ্ণু ! রক্ত বীজের ভান্ডার! মারলেও মরেনা। পদ দলিত করলেও অবনত হয়ে সহ্য করে নেয় অনন্ত ক্লেশ। ধ্বংস করে দিলেও থেকে যায় ধ্বংসাবশেষ। উজাড় করে দিলেও থেকে যায় অস্তিত্ব। একী ভীরুতা না ক্ষমাশীলতা! অজ্ঞতা না অমায়ীকতা! মূর্খতা না জ্ঞানশীলতার ভবিষ্যবানী!মৃত্যু পথযাত্রী না সঞ্জীবনী সুধা প্রাপ্ত মেধা। পথভোলা পথিক না যুগ থেকে যুগান্তরের প্রাজ্ঞ  মুসাফির!

    এমনি একটি আত্মান্বেষণের অবকাশ অবশ্যই দরকার ছিল বহুজন সমাজের পুনর্বিন্যাসের জন্য। দরকার ছিল আত্মবিশ্লেষণের। কার্যকারণের ফলাফলের উপর এমন নির্মম অভিঘাত না এই বোধদয় সম্ভব হতনা। এমন নিশ্চিত ভাবে চিহ্নিত হত না নিজেদের আর্থ সামাজিক অবস্থান।  চিহ্নিত হতনা শোষক ও শোষণ যন্ত্রের ছলাকলা বিদ্যার কারিকুরি। শুধু এটুকু বলতে পারি যে, নিজেদের ভিটে-মাটি,সঞ্চয়-সম্পদ সব কিছু খুইয়েও বহুজন সমাজের হাতে বেঁচে থাকবে একটা অভিজ্ঞতা।  যে অভিজ্ঞতা সঞ্জাত জ্ঞান আবার তাদের আন্তসামাজিক পুনর্গঠনের সহায়ক হয়ে উঠবে।   

    এমনি হয়। এমনি হয়ে আসছে। বিবর্তনের সরণী বেয়ে বহুজন সমাজই রুখা মাটিকে রূপময় করে তুলছে। উশর মরুভূমিতে গড়ে তুলছে মরূদ্যান। অনাবাদী পতিত জমি হয়ে উঠছে শ্যামল শোভন। আর সেই সম্পদকে করায়ত্ব করতে, লুন্ঠন করতে নিরন্তর রচিত হয়েছে দুর্বৃত্তায়নের ফাঁদ। শোষণ যন্ত্রকে কাজে লাগিয়ে উৎপাদকদের উৎপন্ন ফসল যুগ ধরে কেড়ে খাচ্ছে অনুৎপাদ অমানুষেরা। এতে ওরা লজ্জিত হয় না। কুণ্ঠিত হয় না। বরং দুর্বল হলেই ভোজের উৎসবে মেতে ওঠে। দাঁত নখ বেরিয়ে আসে। জিভ লকলক করে ওঠে। নিজেরাতো চেটেপুটে খায়। ভবিষ্যতের বালবাচ্চাদের জন্যেও তুলে রাখে বহুজনের হাড়। এটাই ওদের ধর্ম। এটাই  ওদের অর্থ। এটাই ওদের কাম। এটাই ওদের মোক্ষ। 

    এবার নির্মাণের কাল। রাষ্ট্রীয় ভাগিদারী বুঝে নেবার কাল। ওদের তৈরি করা বিভেদের বেড়াকে দুপায়ে মাড়িয়ে ভাইয়ের আঙিনায় গিয়ে ভাইচারা স্থাপনের কাল। শুধু এই কাজটি সুনিশ্চিত ভাবে করতে পারলে বাকি কাজ এমনি হয়ে যাবে। এমনিতেই ওরা বহুজন সমাজকে খতম করার জন্য ময়দানে নেমে পড়েছে। এবার যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়বে। বহুজন সমাজের সারল্যের সুযোগ নিয়েই ওরা জালিয়াতির ব্যবসা চালিয়ে এসেছে এতদিন। ধ্বংস করে দিয়েছে বহুজনের স্থিতিশীল সমাজ। বৈচিত্রময় প্রকৃতির সুনিবিড় বন্ধনের সাথে সাথে নষ্ট করে দিয়েছে বর্ণময় সংস্কৃতি। ভুলিয়ে দিয়েছে আত্মপরিচয় ,আত্মগৌরব ও আত্মমর্যাদা।

    এবার পরিষ্কার হয়ে গেছে যে এই আর্থ সামজিক ব্যবস্থায় কেবল বহুজনের ঘর লুণ্ঠিত হয়। বহুজন পথে বসে। লাভবান হয় ডিভাইন প্রভুর,তাদের বংশধরেরা এবং বশংবদেরা। ডিভাইন প্রভুদের মুখে উন্নয়নের এই উচ্চকিত অমৃতভাষণ আসলে বহুজনের বিরুদ্ধে পৈশাচিক যুদ্ধের শঙ্খনাদ।



    শরদিন্দু উদ্দীপন 
    আহ্বায়ক, সচেতন বাংলা 

    দুর্গা রূপেনঃ সংস্থিতাঃ শরদিন্দু বিশ্বাস

    $
    0
    0
    দুর্গা রূপেনঃ সংস্থিতাঃ 
    শরদিন্দু বিশ্বাস
    ভারতীয় ইতিহাসে অসুরভাষী রাজাদের শাসনে নারীকে সমান ভাবে মর্যাদা দোওয়া হয়েছে তার ইতিহাস নান সূত্র থেকে আমরা পাই। মূলতঃ মাতৃতান্ত্রিক সমাজের মাধুর্যতায় গড়ে উঠেছিল ভারতের কৌম সমাজের ভিত। আর অসুর রাজারা তাকে মান্যতা দিয়ে গড়ে তুলেছিল বিভিন্ন জনপদ। সাওতাল সমাজের জোম–সিম-বিন্তির মধ্যে মানব সমাজের বিবর্তনে পিলচু হড়াম ও পিলচু বা বুড়িকে সমান গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, বরং নারীর ইচ্ছাকেই সৃষ্টির প্রেরণা হিসেবে দেখানো হয়েছে এই সব বিন্তিগুলিতে। হরপ্পার (আদি অস্ট্রিক শব্দ, যা হড় ও হপ্পন দুটি শব্দের সমাহার) খননকার্যে যে প্রত্ন নিদর্শনগুলি উঠে এসেছে তাতে নিশ্চিত ভাবে প্রমাণিত হয় যে সেকালে নারীকে পুরুষের সাথে সমান গুরুত্ব দেওয়া হত। হরপ্পায় মাতৃ মূর্তিগুলি শৈল্পিক ভাবনায় অনন্য। মহামতি গোতমা বুদ্ধের সময় ভিক্ষুনী সংঘ গড়ে ওঠে। মাতা গোতমীর নেতৃত্বে ৫০০ শতাধিক নারী প্রবজ্জা গ্রহণ করেন। প্রতিষ্ঠিত হয় ভিক্ষুনী সংঘ। ভিক্ষুদের মতই ভিক্ষুনীরা সমান মর্যাদায় ধম্ম প্রচারের সর্বোচ্চ সম্মান পান। নারী পুরুষের সমমর্যাদা ও সমানধিকার প্রতিষ্ঠার এটাই সর্বপ্রথম নিদর্শন। এই নারীদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় লেখা "থেরীগাঁথা"যা বুদ্ধ সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ সম্পদ। বুদ্ধের অন্যতম অনুগামী "তারা"তার জীবিত কালেই বুদ্ধের সমান খ্যাতি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। কালচক্রযানী, প্রজ্ঞা ও পারমিতার সুষম অভিধায় ভূষিতা 'তারা'তিব্বত, চীন, জাপান ও দক্ষিণপূর্ব দীপ রাষ্ট্রগুলিতে বুদ্ধের মতই আদরণীয়া। নারীর সৃজনে ও মননে আপন মহিমায় বিকশিত হওয়ার অনন্য প্রতীক এই 'তারা'। 
    বৈদিক যুগে নারীর অধিকারঃ 
    বৈদিক সমাজের প্রথম দিকেও নারীর বিভিন্ন সামাজিক অধিক স্বীকার করা হয়েছিল। ঘোষা, লোপামূদ্রা, মৈত্রেই ও গার্গীর মত মহীয়সী নারীরা বেদের শ্লোক রচনার কাজেও অবদান রাখতে পেরেছিলেন। সামাজিক নানা কাজে নারীদের স্বতন্ত্র ভুমিকা মেনে নিয়েছিল বৈদিক সমাজ। নিজের ইচ্ছায় তারা পুরুষ সঙ্গী নির্বাচন করতে পারত, এমনকি বিধবাদের পুনর্বিবাহের স্বীকৃতিও ছিল। "Women enjoyed far greater freedom in the Vedic period than in later India. She had more to say in the choice of her mate than the forms of marriage might suggest. She appeared freely at feasts and dances, and joined with men in religious sacrifice. She could study, and like Gargi, engage in philosophical disputation. If she was left a widow there was no restrictions upon her remarriage." Will Durant - Story of Civilization: Our Oriental Heritage. 
    তবে পরবর্তী কালে নারীর সমস্ত অধিকার কেড়ে নেওয়া হল কেন? বিশেষত মনুর কাল থেকে নারীকে কেন পশু ও শূদ্রের পর্যায়ে নামিয়ে দেওয়া হল? "একজন বালিকা বা যুবতী বা বৃদ্ধা গৃহে স্বাধীন ভাবে কিছু করবেনা। স্ত্রীলোক বাল্যে পিতার বশ্য থাকবে, যৌবনে স্বামীর অধীনে, স্বামী প্রেতলোক প্রাপ্ত হলে পুত্রের অধীনে থাকবে। কোন পরিস্থিতিতে নারী স্বাধীন থাকবে না'। 
    (মনুস্মৃতি, ৫/১৪৭-১৫০) 
    অথবা "mam hi partha vyapasrit ya
    ye 'pi syuh papa-yonayah
    striyo vaisyas tatha sudras
    te 'pi yanti param gatim"…… Bhagvat Gita, Chapter Nine text 32
    "নারী, বৈশ্য এবং শূদ্রগণ পাপ যোনিতে জন্ম"। 
    ব্রাহ্মণ্য সাহিত্যের পরতে পরতে নারীর প্রতি এই বিদ্বেষ জন্মেছিল কোন কারণে? এই বিদ্বেষ কি ব্রাহ্মন্যবাদের স্বাভাবিক নিয়ম? নাকি শিকারজীবি যাযাবরদের ভোগ্য বস্তু সংগ্রহের মত নারীও ছিল তাদের ভোগের বস্তু? ইতিহাসের প্রেক্ষাপটে কিন্তু এটাই প্রমান হিসেবে উঠে আসছে যে অসুর রাজাদের সম্পদ লুন্ঠনের সাথে সাথে তাদের নারীদের লুণ্ঠনও ছিল বর্বর আর্যদের অন্যতম লালসা। নারীদের বন্দী করা। তাদের সেনা শিবিরে বা দুর্গে নিয়ে গিয়ে যার যেমন খুশি যৌন ক্ষুধা মেটানোর লালসা। মূলত আর্য সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে সব থেকে বেশি নির্যাতনের শিকার হয়েছে নারী। 
    বেদের দশম মণ্ডলের পর বতুর্বর্ণ ব্যবস্থা সুদৃঢ় হলে ক্ষমতার বলেই বর্ণশ্রেষ্ঠ ব্রহ্মনেরা সব থেকে বেশী লাভবান হয়। এই সময় থেকেই শুরু হয় দেবায়নের প্রক্রিয়া। দেবশক্তি হিসেবে ব্রাহ্মনেরাই ক্ষমতার শীর্ষে অধিষ্ঠিত হয়। আর্য বা বৈদিক সমাজের বল্গাহীন শারীরিক সুখ ভোগের আকাঙ্ক্ষা তাদের ধর্ম অর্থ কাম ও মোক্ষের সাথে এমন ভাবে একাকার হয়ে যায় একে সার্বিক বৈধতা দিতে হয়। ধর্মের নামে, রীতিনীতির নামে, লোকাচারের নামে ব্যাভিচার হয়ে ওঠে সর্বত্রগামী। নারী পুরুষ নির্বিশেষে জৈবিক সুখ ভোগের প্লাবনে সমাজকে ভাসিয়ে দিতে চায় ব্রাহ্মণ্য দর্শন। এই দুর্দম্য লালসাকে সুরক্ষা ও বৈধতা দেওয়ার জন্য বৈদিক কাল থেকেই চলে নিরন্তর প্রয়াস। বেদ, ব্রাহ্মণ, পুরাণ, উপনিষদ এমনকি রামায়ণ ও মহাভারত কাব্যকে ব্যবহার করে চলে ব্যাপক প্রচার। ভোগবাদ ও যৌনাচারের এই প্রচার ও প্রসার এমন পর্যায়ে চলে যায় যে যৌন সঙ্গী নির্বাচনের ক্ষেত্রে মা, মেয়ে, ভাই, বোন প্রভৃতি বাঁধ বিচারের বাঁধন ধ্বংস হয়ে যায়। শতপথ ব্রাহ্মণ ও সরস্বতী পুরানে ব্রাহ্মাকে তার নিজের কন্যা সরস্বতীর সাথে যৌনাচারে লিপ্ত হতে দেখা যায় এবং এই যৌন মিলনে যে সন্তানের জন্ম হয় তার নাম স্বয়ম্ভূ মনু। মনু আবার তার মা সরস্বতীকে সম্ভোগ করে এবং তাদের একাধিক সন্তানের জন্ম হয়। নারী পুরুষ নির্বিশেষে এই বহুগামিতা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে সত্যাকাম গুরু গৌতমের কাছে তার নিজের পিতার নাম বা গোত্র বলতে পারেনি। সত্য কামের মা জবালাও বলতে পারেনি কোন পুরুষ সত্যকামের আসল পিতা। দেবারত পুত্র শিশু যাজ্ঞবল্ককে কোলের থেকে নামিয়ে তার মা অন্য ঋষির সাথে সহবাস করতে বাধ্য হয়েছিল এমন কাহিনী আমরা যাজ্ঞবল্ক স্মৃতিতেই দেখতে পাই। অর্থাৎ দেবতার নামে, ঈশ্বরের নামে সামাজিক রীতিনীতির নামে নারীকেই নিষ্পেষণের সহজ ক্ষেত্র হিসেবে চিহ্নিত করেছিল ব্রাহ্মন্যবাদ। 

    উত্তরকালে নারীদের উপর এই আধিপত্যবাদের চরম পরিণতি হিসেবে শুরু হয় পতিতাবৃত্তি, বাল্য বিবাহ, বহুবিবাহ, দেবদাসী ও সতী প্রথা। এবং এই সমস্ত কাদাচারই একটি বৃত্তকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়েছে। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের বহুবিবাহ এবং সম্বন্ধ নির্ণয় গ্রন্থে কুল রক্ষার নামে একজন কুলিন ব্রাহ্মণ যে একাধিক বিবাহ করতেন তার তালিকা তুলে ধরেছেন। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় তার বিভিন্ন উপন্যাসে নারীদের উপর যে কী নিষ্ঠুর সামাজিক নিপীড়ন চলেছে তা রাজলক্ষ্মী, কমললতা, অন্নদা প্রভৃতি চরিত্রগুলির মধ্যে তুলে ধরেছেন। বামুনের মেয়ে উপন্যাসে দেখাগেছে যে, নারীর কুল রক্ষার্থে ৮০-৯০ বছরের একজন কুলীন বামুনকে মৃত্যুর আগের দিন পর্যন্ত ৯-১১ বছরের বালিকার সাথে বিয়ের পিড়িতে বসতে হয়েছে। কুল রক্ষার তালিকা এত দীর্ঘ হয়েছে যে তা খাতায় লিখে রাখতে হয়েছে। অকাল বৈধব্য হলে সেই বালিকাকে হয় সতী হিসেবে পুড়িয়ে মারা হয়েছে নতুবা তার জীবন থেকে কেড়ে নেওয়া হয়েছে বেঁচে থাকার সমস্ত উপায়। একবেলা খাওয়া, এক কাপড় পরিধান করা, মাথার চুল কেটে ফেলা এবং সমস্ত সামজিক ক্রিয়াকর্ম থেকে তাকে বঞ্চিত করা ছিল ব্রাহ্মন্যবাদী নিদান। অন্যদিকে এই নিদানগুলি পালন না করতে না পারলে তার জায়গা হয়েছে পতিতালয়। নতুবা ধর্মের নামে নির্বাসিত হয়েছে কাশী, বৃন্দাবন বা মথুরা। জীবিকা হয়েছে ভিক্ষাবৃত্তি অথবা বেশ্যা বৃত্তি। সেন আমল থেকে একেবারে লর্ড বেন্টিং এর শাসনকাল পর্যন্ত এই জুলুম চলেছে নির্বিবাদে। 

    নারীর ক্ষমতায়নে মঙ্গল কাব্যের অবদানঃ 
    বাংলায় নারীদের ক্ষমতায়নের পরিকল্পনা রচিত হয় কবিদের কল্পনায়। সম্ভবত মায়েদের উপর এই দীর্ঘ নির্যাতন গ্লানি তাদের কোমল হৃদয়কে ব্যথিত করে তোলে। পুঞ্জিভূত যন্ত্রণা আবেগঘন করে তোলে কবি মন। বিভিন্ন কবি নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় অসির থেকে মসিকেই শক্তিশালী আয়ূধ হিসেবে বেছে নেয়। বাংলার পদাবলী সাহিত্য, অনুবাদ সাহিত্য ও মঙ্গলকাব্যগুলি নারী শক্তি জাগরণের অন্যতম অধ্যায়। পদাবলী সাহিত্যে নারী মনের আকুতি বর্ণিত হলেও তা পুরুষ মননে নারীর প্রতি প্রেম ভালবাসারই বহিঃপ্রকাশ। নারী এখানে ভোগের বস্তু থেকে প্রেমের নম্র সহচরী হিসেবে উঠে আসে। 

    কৃত্তিবাসের পণ্ডিতের অমৃত লহরীঃ 
    অকাল বোধন কৃত্তিবাসের কীর্তি। বাল্মীকি রামায়ণে রাম কোন দুর্গাকে পূজা করেননি। বা দুর্গা পূজা করার জন্য রাবণকে পুরোহিত হতে হয় নি। বরং রাবনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জয় লাভ করার জন্য রাম সূর্যের পূজা করেছিলেন এবং সেই পূজায় পুরোহিত ছিলেন অগস্ত মুনি। Valmiki Ramayana - Yuddha Kanda in Prose Sarga 105। কৃত্তিবাস পণ্ডিত তবে মিথ্যে ঝুঁকি নিলেন কেন? তিনি তো জানতেন কালে তার এই শঠতা মিথ্যে বলে প্রতিপাদিত হবে। সম্ভবত কৃত্তিবাস জেনেবুঝেই এই ঝুঁকি নিয়ে ছিলেন কেননা মিথ্যের শাস্তির থেকে তিনি ব্রাহ্মন্যবাদী সমাজের ভবিষ্যৎ নির্মাণ করার উপর বেশি চিন্তিত ছিলেন। এ বিষয়ে ভাষাবিদ্ সুকুমার সেন তার ' ভারতীয় আর্য সাহিত্যে ইতিহাস ' পুস্তকে বিশেষ ভাবে যা আলোচনা করেছেন তার খানিকটা তুলে দিলামঃ 
    "বাংলায় প্রথম শারদীয় দূর্গাপূজা আরম্ভ হয় ১৫ শতকের শেষ ভাগে নদীয়া জেলার তাহেরপুরের জমিদার রাজা কংসনারায়ণ খান মহাশয়ের রাজবাটিতে ৷ নদীয়ার ফুলিয়ার কবি কৃত্তিবাস ওঝা সেই রাজা কংসনারায়ণ খানের সভাপন্ডিত ছিলেন ৷ নিজের প্রতি-পত্তি জাহির করবার জন্য রাজা কংসনারায়ণ প্রাচিন কালের দিগ্বিজয়ী সম্রাটদের মত " অশ্বমেধ " যজ্ঞ করিবার বাসনা করেন ৷ কিন্তু তাঁহার কুলপুরোহিত রমেশচন্দ্র শাস্ত্রী মহাশয় বলেন যে এই যুগে ' অশ্বমেধ ' যজ্ঞ সম্ভব নয় ৷ তবে সভা পন্ডিত কৃত্তিবাস ওঝা মহাশয়ের সহিত সলাপরামর্শ করিয়া পুরোহিত রমেশ শাস্ত্রী মহাশয় রাজাকে বুঝাইলেন যে কলিযুগে অকালবোধন ' শারদীয় দূর্গাপূজা ' করিলে অশ্বমেধ যজ্ঞের সমতুল্য রাজ-খ্যাতি প্রচারিত হইবে ৷ রাজা কংসনারায়ণ খান তাহাই করিয়াছিলে".........৷ 
    এই পূজায় রাজা কংসনারায়ণ খান তৎকালীন ৮ লক্ষ টাকা ব্যয় করে বিপুল লোক লস্কর লাগিয়ে পূজা শুরু করলেন। কয়েক বছর ধরে এই পূজার অর্থ যোগান দিতে গিয়ে তিনি সর্বস্বান্ত হলেন। তার রাজ্য এবং রাজবংশ নিশ্চিহ্ন হল কিন্তু ঠিকে গেল কৃত্তিবাসী রামায়ন এবং তার "অকাল বোধন"। এখানে রচিত হল নতুন রাম কাহিনী। এই রাম্যানের রাম বসন্ত কালের পরিবর্তে যুদ্ধে জয় লাভ করার জন্য শরত কালে করলেন দুর্গা পূজা। আর সেই পূজায় নিজের মৃত্যু মহিমান্বিত করার জন্য রাবণ হলেন পুরোহিত! অর্থাৎ কৃত্তিবাস পুনরায় প্রতিষ্ঠা করলেন যে প্রজাপতি ব্রহ্মার বিস্তারের জন্য পুরুষকে বলি প্রদত্ত হতে হবে এবং ব্রাহ্মণের ইচ্ছা পূর্ণ করার জন্য শূদ্র নিজের মৃত্যুকে ডিভাইন মৃত্যু হিসেবে মেনে নেবে। আর একটি কথা এখানে একান্ত বলা প্রয়োজন যে বাংলার ব্রহ্মনেরা তখন বেশ বুঝতে পেরেছিলেন যে নারী শক্তি আত্মস্ত করার মধ্য দিয়েই ব্রাহ্মণের ভবিষ্যৎ টিকে থাকবে এবং এই কথা বুঝতে পেরেই নারীকে "দুর্গা রুপেন সংস্থিতায়"রূপদান করার জন্য রাজশক্তি ব্যবহার করে ঝাঁপিয়ে পড়লেন নব নির্মাণে। এই নির্মাণ প্রক্রিয়াকে সংবদ্ধতা দিলেন মঙ্গল কাব্যে। নিজেদের প্রয়োজনেই ব্রাহ্মনেরা মঙ্গলকাব্যে পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থার উপরে নারীদের দেবী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করলেন এবং এই নারী শক্তি ব্যবহার করেই প্রচলিত লোকাচার ও লোকসংস্কৃতিকে ধ্বংস অথবা তাকে পরিবর্তিত করে দেবায়নের মোড়কে বাজারজাত করলেন। বিদ্যাপতি কালীকা পুরাণের থেকে উদ্ধৃতি দিয়ে এমন এক শবরোৎসবের উদাহরণ দিয়েছিলেনঃ 'কুমারী, বেশ্যা, নর্তকীদের নিয়ে শঙ্খ, তূর্য, মৃদঙ্গ, ঢোল বাজিয়ে বহুবিধ ধ্বজা বস্ত্র সহ খৈ, ফুল ছড়িয়ে, পরস্পরের প্রতি ধুলো কাঁদা ছিটিয়ে ক্রীড়া ও কৌতুক গান করতে করেতে যাত্রা করবে। ভগলিঙ্গ, যৌনউত্তেজক গান এবং তদৃশ্য বাক্যালাপ করে আনন্দ করবে, এই সময় যে ব্যক্তি অশ্লীলতা ভালোবাসেনা বা নিজেও অপরের বিরুদ্ধে এরূপ শব্দ ব্যবহার করেনা ভগবতী ক্রুদ্ধ হয়ে তাকে শাপ দেবেন এবং বিনাশ করবেন'।
    বৃহদ্ধর্ম পুরাণেও এই শবরোৎসবের বর্ণনা আছেঃ
    'ভগ লিঙ্গাভিধানৈশ্চ শৃঙ্গার বচনৈ স্তথা –
    গানং কার্যং ভোজয়চ্চ ব্রাহ্মনাৎ স্তোষয়েস্ত্রিয়া'।
    ( বৃহদ্ধর্ম পুরাণ ২২ অধ্যায় ২০-৩০পৃ ) 
    পৌরাণিক আখ্যান কাব্যের উপর রচিত অন্নদামঙ্গল ও শাক্ত পদাবলীতে কবিরা সযত্নে দেবদেবীদের স্বর্গের মহিমা পরিত্যাগ করে বাংলার নরনারীতে পরিণত কারেছেন যাতে দেবায়ন লোকায়ত হয় এবং দেবসমাজ আরো বেশী গ্রহণযোগ্য হয়ে ওঠে। অর্থাৎ কার্যত পূজার ছলে নারীকে আবার বাজারী পণ্যদ্রব্যে পরিণত করে খোলাহাটে পশরা সাজিয়ে বসলেন ব্রাহ্মণ সমাজ। এতে বৈষ্ণবীয় প্রেমের মাধুর্য নিস্প্রভ হল বটে ভোগের বজার বন্ধ হলনা। বন্ধ হল না পতিতাবৃত্তি,বাল্য বিবাহ, বহু বিবাহ, গুরুকরণী এবং সতী প্রথা। বরং ব্রাহ্মণ্যবাদীদের ভোগের বাজারে আর একটি নতুন গণসম্মোহনী পণ্য যুক্ত হল। 
    সতীদাহ বা সহমরণপ্রথা এবং বিধবা বিবাহঃ 
    সম্ভবত মানব সমাজের বিবর্তনের ইতিহাসে নারীর উপর পুরুষতান্ত্রিক বর্বরতার সবথেকে নিষ্ঠুর প্রথা সতীদাহ বা সহমরণ। যেখানে পরলোকের লোভ দেখিয়ে নারীকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হত। কিশোরী, গর্ভবতী বা শিশু সন্তানের জননী হলেও তাকে রেহাই দেওয়া হতনা। বরং এই মৃত্যুকে স্বর্গীয় মহিমাতে রূপদান করার সার্বিক প্রচেষ্টায় নিয়োজিত ছিল ব্রাহ্মণসমাজ। ব্রাহ্মণ সমাজপতিরা একে সর্বশ্রেষ্ঠ পুণ্যকাজ বলে পরচার করতেন। ১৮১৩ সালের "লর্ড মিন্টোর সংস্কার আইন"অনিচ্ছুক নারীকে পুড়িয়ে মারা যাবেনা বলে ঘোষণা করে। ১৮১৭ সালে সতীদাহকে নরহত্যার পর্যায়ভুক্ত করে শাস্তির নির্দেশ দেওয়া হয়। সতীদাহ নিষিদ্ধ করার আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েন রামমোহন রায় ও দ্বারকানাথ ঠাকুর। ১৮২৮ সালের ৪ঠা ডিসেম্বর লর্ড উইলিয়াম বেন্টিঙ্ক আইন করে সতীদাহ বন্ধ করে দেন। সতীদাহ বন্ধ হলে ভূদেবতাদের সব রাগ গিয়ে পড়ে বিধবাদের উপর। তারা দুর্বিষহ সামাজিক ও ধর্মীয় শৃঙ্খলে বেঁধে ফেলতে চাইল বিধবাদের। নিরম্বু উপবাস, একাদশী পালন, দিনে একবার খাওয়া, একবস্ত্র পরিধান, তেল না মাখা, নিরামিষ ভোজন এমন নানাবিধ অনুশাসনের নাগপাশে রুদ্ধ হল তাদের জীবন। অন্যদিকে গোপনে ভুদেবতাদের জৈবিক কামনার শিকার হতে লাগল বিধবা যুবতীরা। এই সব যুবতী মহিলাদের পুনর্বিবাহের কোন সুযোগ ছিলনা। ফেলে সমাজের অভ্যন্তরে দিনে দিনে বাড়তে লাগল অনাচারের আবর্জনা। কিন্তু লাম্পট ও চরিত্রহীনদের কদাচারের ফল ভোগ করতে হল নারীকে। বহু নারী পতিতাবৃত্তিতা বেছে নিল। ধর্মান্তরিত হল অনেকে। আবার অনেকে কাশী, বৃন্দাবনে আশ্রয় নিয়ে ভিখারির জীবন অথবা পতিতার জীবন গ্রহণ করতে বাধ্য হল। 
    বিদ্যাসাগর বিধবাদের উপর প্রভূসমাজের এই নির্যাতন বন্ধ করার জন্য তার পাণ্ডিত্য, বাগ্মিতা ও বিতর্ককে অস্ত্র করলেন। বামুন সমাজের প্রবল বাঁধা পেরিয়ে ১৮৬৫ সালে বিধবা বিবাহ আইনসিদ্ধ হল। এখানে বলে রাখা ভাল যে সতীদাহ বা বিধবা বিবাহের সমস্যা কৌম সমাজ বা অসুর সমাজে একেবারেই ছিলনা। তাদের সামাজিক আন্তর্গঠনের মধ্যে নিহিত ছিল নারীর সমানাধিকারের সম্মান। 
    অসুর নয়, বামুনই কদাচারের আসল মুখঃ 
    মানবেতিহাসে অশুভ শক্তির বিনাশ ও শুভ শক্তির বিকাশ হল দুর্গা পূজার অন্যতম অভিধা। কিন্তু এই ধাঁধার উত্তর খোঁজা জরুরী যে বাংলার ইতিহাসে কারা এই অশুভ শক্তির প্রতীক! কাদের দুর্দম্য, দুর্বিনীত আচরণের জন্য বাংলা কলুষিত হয়েছে বার বার? কারাই বা নারীকে ক্লেদাক্ত পঙ্কে নিক্ষিপ্ত করেছে। কারা নিমজ্জিত হয়েছে লুন্ঠন, ধর্ষণ ও জিঘাংসায়? কারা পূজার অছিলায় দুর্গা শক্তির নামে সমগ্র নারীসমাজকে গণিকার পর্যায়ে নামিয়ে দিয়েছে? কারা এখনো পর্যন্ত নারীকে নরকের দ্বার মনে করে? কারাই বা শুধুমাত্র পুত্র কামনার্থে নারীকে ভোরগের সামগ্রী মনে করে? কারাইবা নারীকে বহুগামিতা ও বহুবিবাহে প্রলুব্ধ করে? এই সমস্ত কাজ যদি সমাজ বিকাশে অকল্যাণকারী হয় এবং এদেরকেই যদি অশুভ শক্তির ধারক বাহক হিসেবে চিহ্নিত করতে হয়; তবে নিশ্চিত ভবেই ভারতের ব্রাহ্মণ সমাজ এই অশুভ শক্তি হিসেবে চিহ্নিত হবে। সেই অশুভ শক্তিকে বিনাশ করার জন্য অসুর মূরতির পরিবর্তে টিকি এবং পৈতেধারী ভুঁড়িওয়ালা বামুনের মূর্তি বসানো হোক। লোভ, লালসা, কামনা, বাসনা, জিঘাংসা ও কদাচারের বীভৎস মুখোশ খুলে যাক। কদাচারীদের মুখ মানুষের সামনে প্রকাশিত হোক যাতে কল্যাণকারী সমাজ পুনর্গঠনে মানুষ আরো সচেতন প্রয়াস গ্রহণ করতে পারে। 

    কাশিয়্যা বনে শিয়ালগুলি উঠতিছে সব ডাকিয়্যা

    $
    0
    0
     কাশিয়্যা বনে শিয়ালগুলি উঠতিছে সব ডাকিয়্যা 
    শরদিন্দু বিশ্বাস

    শরৎকালের এই ছোট হয়ে আসা দিনে পুরোনো দিনের কথা খুব মনে পড়ে,আমার দিদিমা এখনো বেঁচে আছে বাংলা দেশে তাঁর সঙ্গে শেষ দেখা হয়েছে 29 বছর আগে।তাঁর সঙ্গে গল্পের স্মৃতি কিছু তুলে ধরলাম- - শরৎকাল- স্যার কোহানে হুড়ুম খাব প্যাটে ধরছে টান ছোট খুড়িরি বলরে টেপি অসায় 
    নইছি ধান। শরৎ আইছে তাইরে আমি ঢেঁকিতি দেই পার ইষ্টিকুটুম আসবে কত নাইরে সময় আর । কাশিয়্যা বনে শিয়ালগুলি উঠতিছে সব ডাকিয়্যা মানির ছবি চোখির পরে উঠতিছেরে ভাসিয়্যা, ধান বোলোতি গিয়্যা উঠ্যনে হঠাৎ গেল পড়িয়্যা সন্নাস রোগে নেল মানিরে তুষির নাগাল কাড়িয়্যা। শরৎ আলি সুখির সাথে দুখ্যির বাজনা বাজে এসব কথা পড়লি মনে পিছোই কেবল কাজে॥


    Modi overlapped RSS and How RSS used Vijaya Dashami,it`s a lesson for those who killed society,mother tongue,culture,Ideology and People`s Mass Movement! As long as you practice blind nationalism, as long as you invoke a goddess to kill the black,RSS or Congress or the Left would misuse it. Palash Biswas

    $
    0
    0

    Modi overlapped RSS and How RSS used Vijaya Dashami,it`s a lesson for those who killed society,mother tongue,culture,Ideology and People`s Mass Movement!

    As  long as you practice blind nationalism, as long as you invoke a goddess to kill the black,RSS or Congress or the Left would misuse it.

    Palash Biswas

    Beg your pardon sir,I am not in a position to be jealous of Narendra Bhai Modi nor I have to streamline any vote bank equation!


    The content of high voltage Hindutva celebration of genocide culture is that Modi overlapped RSS and How RSS used Vijaya Dashami,it`s a lesson for those who killed society,mother tongue,culture,Ideology and People`s Mass Movement!


    I see a silver lining as the first Shudra prime minister discarded the topmost priority of Hindutva agenda,the Ram Mandir and replacing it with Shauchalay movement,the RSS is eclipsed.


    Just see, a Shudra Prime minister has overlapped the omnipotent god of Hindutva ,the RSS head.


    Yes,it is silverlining.


    For the first time we see an interactive prime minister who loves to address and communicate and connect the people of this country.

    I do not support Modi anyway.But this very positive unprecedented initiative on the part of an Indian Prime minister is very very welcome.



    Ironically, our comrades sitting in the the Polit Bureau of the CPI(M) condemn the decision of Doordarshan to telecast live the speech of the RSS Chief Mohan Bhagwat on the occasion of Vijaya Dashami.  The RSS uses the occasion to propagate its Hindutva ideology.


    The the Polit Bureau of the CPI(M) complains that the national public broadcaster has no business to telecast live the speech of the Chief of an organisation like the RSS.  Such an action shows how the public broadcaster is being misused by the Modi government.


    It must be reminded that our comrade friends ruling in Bengal did everything to glorify the racial genocide rituals branding it as a compulsory cultural event and the baton has been transferred to Ms Mamta Banerjee who has stopped life just because of Puja celebration.Every information is blacked out.It is darkness all the wy all round.


    The Banks remain closed for a week.


    Industries stand standstill.


    No newpaper at the stands.No newsbreak on TV.


    The government has taken a commercial break.


    Saradha CBI investigation,ED,IT,SEBI everything on the occasion made so sacred which is virtually a monopolistic dominance of the hegemonial ruling class over the productive nature associated.



    Our dearest respected comrades,the recentmost rulers of Bengal for thirty five years made Bijaya Dashami an ideological disaster which destroyed them,their ideology,movement and support.


    On what ground do they complain?


    Whose vijay is this?



    Whose Vijaya dashami is this?


    Which communities represent the evil forces so much so hyped whom the invoked provoked Devi Durga has to kill?


    Who happens to be the Black Asura killed by the white goddess?


    Marxists have nothing to complain against the ritual as they themselves promote,endorse and bank on religious linguistic communal identity based blind nationalism.


    Only difference is this that Sangh Pariwar sidelined the soft Hinduism of the destruction master congress and scientific racial apartheid practiced by the Left all on the name of progress,secularism and democracy,


    They expelled Taslima Nasrin just to appease the bulk of their vote bank.

    That beautiful apple cart is upset now and Sangh Pariwar has captured the nation,the people and the government.It is all round saffron.All the way saffron.


    Other brands of Hindutva are not allowed,that`s the problem.


    Nobody seems to feel the truth that all these years we had been building a Hindu nation outcasting, excluding the agrarian nature associated communities,the untouchables and non hindus by whom we do identify the Asuras or the evils to be killed.


    It is essentially genocide culture.


    It is essentially racial apartheid.

    As  long as you practice blind nationalism, as long as you invoke a goddess to kill the black,RSS or Congress or the Left would misuse it.


    PM Narendra Modi to speak on All India Radio today

    Times of India - ‎7 hours ago‎

    NEW DELHI: Prime Minister Narendra Modi is going to connect with the people today through national broadcaster All India Radio. The speech, which will be exclusive to AIR, will also be telecast on all news channels of Doordarshan, AIR director general ...

    India PM Narendra Modi makes first radio address

    BBC News - ‎3 hours ago‎

    Prime Minister Narendra Modi has made his first radio speech in a bid to reach out to tens of millions of Indians with no access to television. The address, titled Man ki Baat (A talk from the heart), ran on state-run All IndiaRadio (AIR), as well as all FM channels ...

    Modi highlights Clean India and khadi on radio debut

    Hindustan Times - ‎5 hours ago‎

    Together let us serve India and take our nation to newer heights," Modi said. Modi cited some suggestions received by him through emails, which included that skill development should start from 5th standard, special programmes for specially-abled children ...

    Narendra Modi focusses on the 'use of khadi' in maiden radio speech

    Oneindia - ‎3 hours ago‎

    New Delhi, Oct 3: In his maiden radio speech that was aired today on All India Radio (AIR) Prime Minister Narendra Modi urged all Indians to promote the use of 'khadi'. "We must promote the use of khadi. Buy at least one khadi article. It will help the poor and ...

    PM Narendra Modi shares Mann ki Baat in first radio address

    Deccan Chronicle - ‎5 hours ago‎

    New Delhi: Prime Minister Narendra Modi connected with the people through national broadcaster All India Radioon Friday. The speech, titled 'Man ki Baat', is exclusive to AIR and will also be telecast on all news channels of Doordarshan. A "recording point" ...

    PM Narendra Modi to deliver first radio address at 11 am today

    Zee News - ‎8 hours ago‎

    A senior official said that post recording of Modi's address, the All India Radio will prepare a transcript to be later translated in regional languages. The AIR would repeat the telecast in regional languages on its regional channels on the evening of October 3, ...

    Listen Live Streaming of Narendra Modi's Maiden Speech on Radio- PM's 'Mann ...

    India.com - ‎7 hours ago‎

    Ever heard of Prime Minister expressing his 'Mann Ki Baat' to the people of his country on a radio? Well, if you have not heard about it, you are in for a treat on October 3 in the morning at 11 a.m. as Prime Minister NarendraModi is slated to deliver a speech ...

    PM Narendra Modi delivers first radio address: Hear LIVE

    Zee News - ‎6 hours ago‎

    New Delhi: Prime Minister Narendra Modi is delivering his first radio address, which is being broadcast on the state-owned All India Radio. The initiative would help Modi connect directly with millions across the country who have no access to TV.

    PM Narendra Modi to Deliver First Radio Address Today

    NDTV - ‎9 hours ago‎

    ... interested in conveying their thoughts, ideas or questions to PM Modi should do it through the 'myGOV' website (http://mygov.nic.in/). The Prime Minister, they said, is expected to respond to some of the feedback received on the website in his radio address.

    Narendra Modi's Radio Address - Listen Live and Read MyGov Inputs

    Niticentral - ‎3 hours ago‎

    Prime Minister Narendra Modi once again proved that he writes his own rule book and has unique style of connecting with people, whether from a regular podium or ramparts of Red Fort. It was during his maiden Independence Day speech that he gave his ...

    Narendra Modi debuts on Radio: On Dussehra, PM Modi to express his 'Mann Ki ...

    India.com - ‎8 hours ago‎

    'Mann Ki Baat'- a show that will be telecast on radio on October 3rd in the morning at 11 a.m. will feature none other than Prime Minister Narendra Modi, addressing the nation. The live feed of the same will be broadcast by All India Radio (AIR) and ...

    We must realise our internal strengths… the power of 125 crore people: PM Modi...

    Indian Express - ‎5 hours ago‎

    Seeking to reach out to more people, Prime Minister Narendra Modi Friday addressed the countrymen over radiofor the first time, giving a pep talk about how to shed despondency and use their skills for betterment and prosperity of the country. He advocated ...

    Live: PM Modi's address to the nation on All India Radio

    IBNLive - ‎6 hours ago‎

    In future too I will keep talking to you on the Radio. It will be on a Sunday at 11:00 AM: PM. 11:13 am: I want you to keep sharing these things with me. Together let us serve India and take our nation to newer heights: PM. 11:13 am: I welcome your suggestions.

    PM Narendra Modi makes radio medium for change

    Reuters - ‎54 minutes ago‎

    "A lot of us think that it is the government's responsibility to do everything...if we want to develop, then 1.2 billion will have to work towards it," he said in the radio show titled "Mann ki Baat", or "Talking from the Heart". Modi, who came to power in May, plans to ...

    PM Narendra Modi to address nation via All India Radio today

    IBNLive - ‎9 hours ago‎

    New Delhi: After making his presence felt in social media platforms like Facebook and Twitter, Prime Minister Narendra Modi is all set to connect with the masses through radio. In an attempt to reach out to the rural populace, PM will address the nation on ...

    Live Narendra Modi's Maiden Speech on Radio Updates: This is just the start ...

    India.com - ‎5 hours ago‎

    Talking about having such interactions regularly, Narendra Modi says, "I would like you people to share these things with me. We should work and serve together and take our India to newer heights. This is just the beginning. We would have such interactions ...

    PM Narendra Modi delivers first radio address, urges people to be part of India's ...

    Zee News - ‎5 hours ago‎

    This is also a good point: Modi; On e-mail, a lot of people wrote to me that children should begin skill development courses at a very young age. This is a good suggestion: PM Modi; This nation belongs to everyone. It is important for people to be a part of the ...

    Narendra Modi's All India Radio chat show starts Friday

    Livemint - ‎Oct 1, 2014‎

    New Delhi: Building on the Bharatiya Janata Party's (BJP's) success in getting its message across to voters in areas with no access to television, Prime Minister Narendra Modi is starting a new communication initiative on Friday to try and reach out to some ...

    Modi to Launch 'Swachh Bharat' Mission on Thursday; India Awaits PM's Radio...

    International Business Times, India Edition - ‎Oct 1, 2014‎

    The citizens of India will get the opportunity to chat with Modi over radio on Friday. Modi, who will be live on All India Radio on 3 October at 11am, will discuss people's concerns and invite their suggestions on India's development. Thereafter, Modi will be ...

    Nation belongs to people, not the govt: Modi

    India Today - ‎4 hours ago‎

    Prime Minister Narendra Modi in his address on All India Radio (AIR) on Friday said the country belongs to its people, the nation does not belong to the government. Reaching out to almost 99 per cent of the country's population, he said if each citizen walks ...

    PM Narendra Modi's first radio address to be aired today

    Oneindia - ‎7 hours ago‎

    A senior official said that post recording of Modi's address, the All India Radio will prepare a transcript to be later translated in regional languages. AIR is reportedly planning to provide the audio feed and visuals of Modi'sspeech free of cost to all private radio ...

    In first radio address, PM Modi urges people to use khadi

    Business Standard - ‎29 minutes ago‎

    Prime Minister Narendra Modi today delivered his first radio broadcast with the objective to reach out to more people, and a promise that he would make it a regular exercise. Modi, among other things, appealed to people to shed despondency and believe in ...

    PM's first radio address 'Man ki Baat' to be aired today

    India Today - ‎7 hours ago‎

    <a href="http://indiatoday.intoday.in/people Narendra ModiPrime Minister Narendra Modi will make his first radioaddress "Man ki Baat" which will be broadcast at 11 am on Friday. The programme will be aired through All IndiaRadio network covering medium ...

    PM Modi shares Man ki Baat on All India Radio

    Jagran Post - ‎6 hours ago‎

    New Delhi: Prime Minister Narendra Modi made his first radio address on the All India Radio. His speech was telecast on all news channels of Doordarshan. During his speech Modi said 'there should be no reason for despondency'. NDA government moving ...

    Live: PM Narendra Modi to address nation through 'man ki baat' on AIR

    Firstpost - ‎6 hours ago‎

    Prime Minister Narendra Modi will on Friday address the nation through national broadcaster All India Radio. The programme, which will air at 11 am, is expected to be widely covered by private channels as well with the Ministry of Information and ...

    PM Modi to deliver first radio address today

    Jagran Post - ‎8 hours ago‎

    The show titled 'Man ki Baat', will be aired at 11 am and is likely to be carried on all FM and community radio stations. PM Modiaims to connect directly with millions across the country who have no access to television and discuss and share with them ideas of ...

    PM Modi Promotes Khadi, Cleanliness In Maiden Radio Address

    Businessinsider India - ‎5 hours ago‎

    New Delhi, Oct. 3 (ANI): Prime Minister Narendra Modi on Friday urged the nation to adopt khadi products and pay special attention to cleanliness in his maiden address to the nation through the medium of radio. "Let us pledge to affirm to remove dirt.

    Modi's first radio interaction on October 3

    The Hindu - ‎Sep 30, 2014‎

    Eager to ensure widest possible reach for Prime Minister Narendra Modi's first radio interaction on October 3, Union Information & Broadcasting Ministry has said that private television news channels, FM radio stations and community radio stations can take ...

    PM Narendra Modi: Radio 7RCR

    Financial Express - ‎Oct 1, 2014‎

    If prime minister Narendra Modi does open up 7, Race Course Road, New Delhi—the PM's official residence—to state-owned All India Radio (AIR) and Doordarshan (DD) to interact with the masses on important matters, this would work towards meeting two ...

    Narendra Modi to connect with people through radio on Oct 3

    Indian Express - ‎Sep 30, 2014‎

    Prime Minister Narendra Modi will connect with the people through radio on Friday when he will share his thoughts on a variety of issues. While deciding to reach out to the people through radio, Modi had sought suggestions from the public on the format as ...




    RSS chief Mohan Bhagwat praises Modi govt for good governance

    Times of India - ‎3 hours ago‎

    The basis of selfish interest by the western countries is fully responsible for a new incarnation of terror and fundamentalism that emerged in West Asia in the name of ISIS which is terrorizing the world," Bhagwat said. More than 10 private chnls covered ...

    Text of RSS chief Mohan Bhagwat's Vijayadashami speech

    Times of India - ‎56 minutes ago‎

    We have gathered here once again after a year on this auspicious and holy occasion of Vijaya Dashami. This year the environment is quite different and everyone can feel it. . The grand success of our scientists in sending our 'Mangal Yaan' into the orbit of ...

    RSS chief Mohan Bhagwat claims Western selfish interests leading to spread of ...

    Daily News & Analysis - ‎6 hours ago‎

    Blaming Western nations for the spread of international terrorism, RSS chief Mohan Bhagwat on Friday claimed that the 'selfish interests' of the West had led to a growth in newer incarnations of terrorism around the world. Hinting at the United States, Bhagwat ...

    Doordarshan to Telecast Live RSS Chief Mohan Bhagwat's Vijaya Dashami ...

    NDTV - ‎9 hours ago‎

    Nagpur: In a first, public broadcaster Doordarshan, and a few private broadcasters, will live telecast the annual Vijaya Dashmi address of Rashtriya Swayamsevak Sangh chief Mohan Bhagwat from Nagpur. On the eve of the Vijaya Dashmi rally, the official ...

    PM Modi backs Mohan Bhagwat, says issues raised by RSS chief are relevant

    Zee News - ‎3 hours ago‎

    New Delhi: Prime Minister Narendra Modi today hailed the Dusshera address of RSS Chief Mohan Bhagwat and said the issues of social reform he raised are "very relevant" on Friday. "Mohan Bhagwat ji talked about important national issues in his speech.

    Boycott Chinese goods, says RSS chief Mohan Bhagwat in DD telecast

    India Today - ‎2 hours ago‎

    Making a strong Swadeshi pitch, the Rashtriya Swayamsevak Sangh chief Mohan Bhagwat on Friday called for a boycott of goods made in China. In a controversial speech telecast on Doordarshan, Bhagwat said, ""We speak about self-dependence and ...

    Mohan Bhagwat praises Narendra Modi government for good governance

    Indian Express - ‎1 hour ago‎

    RSS chief Mohan Bhagwat speaks during the Vijay Dashmi function at RSS headquarters in Nagpur on Friday. (Source: PTI). The hour-long broadcast by DD for the first time of an RSS function stoked a controversy with Congress and CPI(M) attacking the ...

    RSS chief Mohan Bhagwat's speech to be aired on national television on Friday

    Daily News & Analysis - ‎19 hours ago‎

    RSS chief Mohan Bhagwat is all set to deliver a speech on national television on the occasion of Vijayadashami. This will be aired on Doordarshan and other television channels on Friday. He will speak at Nagpur at 7: 30 PM at their annual function. Mohan ...

    Doordarshan may live telecast RSS chief Mohan Bhagwat's Vijay Dashmi speech

    Zee News - ‎10 hours ago‎

    New Delhi: In an unprecedented move, Doordarshan along with some private TV channels is likely to telecast live the Rashtriya Swayamsevak Sangh chief Mohan Bhagwat's address to the nation from Nagpur on the occasion of Vijay Dashmi on Friday.

    RSS chief Mohan Bhagwat raises concern on surge in jihadi activities, Naxal threat

    Daily News & Analysis - ‎3 hours ago‎

    Voicing concern over upsurge in jihadi activities across the country especially in Southern states of Kerala and Tamil Nadu, the RSS on Friday said the nation is yet to see the impact of an effective policy to curb such threats to national security. Addressing the ...

    RSS chief Mohan Bhagwat's speech covered just like a news event: Doordarshan

    Indian Express - ‎2 hours ago‎

    Amidst a controversy over the national broadcaster telecasting live a speech of RSS chief Mohan Bhagwat, Doordarshan on Friday said it was covered like any other news event and no special arrangements had been made. "It was just like a news event to us ...

    RSS chief Mohan Bhagwat blames West for rise of ISIS and spread of terrorism

    Deccan Chronicle - ‎3 hours ago‎

    Nagpur: Blaming Western nations for the spread of international terrorism, RSS chief Mohan Bhagwat said the selfish interest of western countries for procuring oil in West Asia for rise in terror activities of the Islamic State (IS). "Self-centred collective greed ...

    Row over Mohan Bhagwat speech telecast on Doordarshan; Congress, Left ...

    Daily News & Analysis - ‎3 hours ago‎

    A controversy broke out on Friday over the live telecast by state broadcaster of RSS chief Mohan Bhagwat's address at Nagpur with Congress and Left parties slamming the "misuse" of Doordarshan but BJP defended it. Congress spokesman Sandeep Dikshit ...

    PM Modi lauds RSS chief Mohan Bhagwat's speech, tweets about it

    India Today - ‎50 minutes ago‎

    Prime Minister Narendra Modi on Friday hailed the Rashtriya Swayamsevak Sangh chief Mohan Bhagwat's annual Vijaya Dashmi speech and even tweeted a link of its full text for his followers to read. "Mohan Bhagwat ji talked about important national issues ...

    Doordarshan defends RSS chief Mohan Bhagwat's speech coverage

    Livemint - ‎1 hour ago‎

    New Delhi: Doordarshan on Friday said it has covered the speech of RSS chief Mohan Bhagwat like any other news event and no special arrangements had been made. "It was just like a news event to us. So we covered it," Doordarshan's DG (News) ...

    PM's US visit makes us confident: RSS chief Bhagwat

    India Today - ‎7 hours ago‎

    Addressing cadres on the 89th Foundation Day celebrations of Rashtriya Swayamsevak Sangh (RSS), Sangh chief Mohan Bhagwat on Friday said Prime Minister Narendra Modi's trip to US has made us confident and ushered a new enthusiasm among ...

    RSS chief Mohan Bhagwat praises Modi govt, stresses on Swadeshi model of ...

    Indian Express - ‎3 hours ago‎

    ... in national interest on the fronts of economy, national security, international relations and many other areas in a very short period of six months", RSS chief Mohan Bhagwat has called for a model of development based on the Swadeshi ideas propagated by ...

    Full Text of RSS Chief Mohan Bhagwat's Vijaya Dashami Speech

    NDTV - ‎2 hours ago‎

    Here is the text of the speech made today by RSS chief Mohan Bhagwat as made available on RSS website www.samvada.org. We have gathered here once again after a year on this auspicious and holy occasion of Vijaya Dashami. This year the ...

    Left parties slam Doordarshan's decision to broadcast Mohan Bhagwat's speech

    Zee News - ‎3 hours ago‎

    New Delhi: Condemning Doordarshan's decision to broadcast RSS chief Mohan Bhagwat's speech live, Left parties on Friday attacked the Narendra Modi government for "misusing" the public broadcaster. "The RSS uses the occasion to propagate its ...

    RSS Chief Mohan Bhagwat speech coverage: DD defends, Congress questions ...

    Oneindia - ‎3 hours ago‎

    New Delhi, Oct 3: The Rashtriya Swayamsevak Sangh chief Mohan Bhagwat customary Dussehra rally at its headquarters in Reshmbagh ground, Nagpur became a controversial issue when the Doordarshan broad-casted it 'live for the first time', on Friday.

    RSS chief Mohan Bhagwat's annual speech shown on DD for the first time

    Livemint - ‎5 hours ago‎

    New Delhi: Rashtriya Swayamsevak Sangh (RSS) chief Mohan Bhagwat on Friday morning addressed a special programme in Nagpur in Maharashtra to mark the Hindu festival of Dussehra. However, in what may be a first ever, the speech was telecast on ...

    Mohan Bhagwat addresses RSS cadres on Dusshehra

    IBNLive - ‎7 hours ago‎

    Nagpur: On the occasion of Dusshehra, Rashtriya Swayamsevak Sangh chief Mohan Bhagwat addressed cadres at Sangh headquarters in Nagpur on Friday. Bhagwat lauded the athletes winning laurels in the Incheon Asian Games. He was also all praise ...

    PM Modi praises RSS chief Mohan Bhagwat's speech

    ABP News - ‎45 minutes ago‎

    New Delhi: Prime Minister Narendra Modi praised RSS chief Mohan Bhagwat for raising "very relevant" issues of social reform in his annual Dussehra speech earlier Friday. "Mohan Bhagwatji talked about important national issues in his speech. The issues of ...

    LIVE: RSS chief Mohan Bhagwat lauds India's Mars mission, PM Modi's US visit

    Zee News - ‎7 hours ago‎

    New Delhi: In an unprecedented move, Doordarshan and some private TV channels aired the Rashtriya Swayamsevak Sangh chief, Mohan Bhagwat's address to the nation from Nagpur on the occasion of Vijay Dashmi on Friday. Here are the Live updates:.

    On Doordarshan live, RSS' Mohan Bhagwat praises Narendra Modi, but mum on ...

    Financial Express - ‎4 hours ago‎

    Rashtriya Swayamsevak Sangh (RSS) chief Mohan Bhagwat today came out in fulsome praise of the PM Narendra Modi government for initiatives on national security, economy and international relations in a short period of six months. In his customary ...

    Mohan Bhagwat's Vijayadashmi speech makes news

    Niticentral - ‎3 hours ago‎

    This was the crux of Sarasanghchalak Mohan Bhagwat's annual address at the Marg Darshan Session of the RSS on the occasion of Vijayadashmi. "India is witnessing a new enthusiasm. The sense of pride of citizens has increased manyfold. The world is ...

    CPI attacks government over live telecast of RSS chief Mohan Bhagwat's speech

    Daily News & Analysis - ‎4 hours ago‎

    CPI on Friday attacked the government over Doordarshan's live telecast of RSS chief Mohan Bhagwat's Vijaydashmi address saying it was the misuse of the public broadcaster for saffron propaganda. Party MP D Raja said the government, specifically the ...

    RSS chief Mohan Bhagwat pats Modi government

    indiatvnews.com - ‎4 hours ago‎

    Mumbai: The Rashtriya Swayamsevak Sangh (RSS) chief Mohan Bhagwat Friday patted the government headed by Prime Minister Narendra Modi, saying in the past six months it "is moving in the right direction". In his customary Dussehra rally at the RSS ...

    Doordarshan live coverage of RSS chief Mohan Bhagwat's speech on Dussehra ...

    Daily Bhaskar - ‎3 hours ago‎

    Mohan Bhagwat address people in Nagpur every year on the occasion of Dussehra. The speech is considered very important and guide the members of RSS. But this time many channels covered the speech live unlike several years which has passed without ...

    PM Narendra Modi praises issues raised by Mohan Bhagwat in his address on ...

    Daily Bhaskar - ‎1 hour ago‎

    New Delhi: Prime Minister Narendra Modi praised the address of RSS chief Mohan Bhagwat on the occasion of Dussehra which was also covered by many news channels. Modi said that social reform issues raised by Bhagwat were very relevant. He also ...





    Maestro of Identity Politics by| Anand Teltumbde

    $
    0
    0

    Maestro of Identity Politics

    Vol - XLIX No. 40, October 04, 2014 |
     Anand Teltumbde 
    • Kanshiram: Leader of the Dalits by Badri Narayan (New Delhi: Penguin Books), 2014; pp 263, Rs 499.

      Anand Teltumbde (tanandraj@gmail.com) is a writer and civil rights activist with the Committee for the Protection of Democratic Rights, Mumbai.

      Now that Kanshi Ram's tryst with resolving the caste tangle by using the master key of political power is ending with the electoral debacles of the Bahujan Samaj Party (BSP) in Uttar Pradesh (UP), one can dispassionately look at the phenomenon he was. As such, there could not have been a better time for Badri Narayan's ably crafted biography.

      Whatever little has been written on Kanshi Ram has been heavily affected by the electoral successes of the BSP. A man who came from nowhere; who forsook all ties to shape the future with only grit and determination as his resources; and who raised an army of the most unlikely people – government dalit employees – to catalyse a political movement that captured power in the most unlikely state, can only be described as a phenomenon. He made the ideological B R Ambedkar stand on his head, and still claimed to pursue his mission; he made a virtue of the vice of opportunism that plagued the post-Ambedkar dalit leadership, and still succeeded. Whichever way history pronounces its verdict on him, it cannot ignore the fact that he was an extraordinary strategist, an organiser of people, and focused on what he wanted to carry out. Whether he contributed to the empowerment or emancipation of dalits, as he and many others apparently believed, is difficult to answer.

      A Strange By-product

      The trajectory of the dalit movement under Ambedkar was conditioned by the expediencies of the politics of his time. Although firmly moored to universalist values, it appeared tactical, often contradictory and informed by pure pragmatism. Those after Ambedkar failed to comprehend its intricacies, and constructed "Ambedkars" and "Ambedkarisms" of their convenience, splintering the movement into numerous factions. The Republican Party of India (RPI), which came into being in 1957 as a political party of the non-Congress, non-Communist opposition, proved to be just a new label for the Scheduled Castes Federation, but even this could not hold itself together. It split, and its members joined the Congress, the party Ambedkar fought all his life and termed a burning house. The deserters, however, remained Ambedkarites. Later, the Congress consciously carried out a co-option strategy through Yashwantrao Chavan, reducing dalit politics to the art of brokering dalit interests.

      With the weakening of the dalit organisations, their cultural assertion of converting to Buddhism in Maharashtra was met with brute reaction from other castes, resulting in rising atrocities against them. These shocking developments apparently did not affect Kanshi Ram, who was working in Pune as a research assistant in the Explosives Research and Development Laboratory. He was awakened by a small but symbolic incident that took place at his workplace in which a class IV employee was fired for protesting against the scrapping of holidays on Buddha Jayanti and Ambedkar Jayanti. Kanshi Ram successfully followed up the case and ensured his reinstatement. This episode impelled him into social activism, from which he was never to turn back. He tried to work for the RPI, but was soon disillusioned with it. Curiously, an alternative in the form of Dalit Panthers had emerged in those days with a radical interpretation of Ambedkar, but it did not attract Kanshi Ram. It was indeed amazing that being geographically not very far from the epicentre of the Panther movement, he spoke about the RPI, but never the Dalit Panthers.

      Strategist Extraordinaire

      The strategist in Kanshi Ram studied the situation and identified an opportunity to organise educated government employees belonging to the scheduled castes (SCs), scheduled tribes (STs), Other Backward Classes (OBCs), and minorities. These people comprised not only the brain bank, but also the money bank of these communities. SC and ST employees who secured government/public sector jobs through reservations were discriminated against by upper-caste administrators. These people needed organisational protection. The OBCs and minorities, though not eligible for reservations, also felt neglected. Organising these people would mean representing about 85% of the population against the remaining 15% comprising the dwija (twice-born) castes. This would be a winning constituency in any future contest for political power. The strategy Kanshi Ram formulated is worth teaching in management schools. In 1971, the Backward (SC, ST, OBC) and Minority Communities Employees' Federation, with the acronym Bamcef, was born. Badri Narayan provides a graphic description of how hard Kanshi Ram worked, with great devotion and sacrifice, to realise his goal.

      Although Bamcef was confined to government employees who were constrained by service rules from taking part in political activities, its emergence as a strong nationwide organisation played a role in mobilising many youth to enter politics. More importantly, it provided funds for Kanshi Ram's political activities. After nurturing it for a decade, Kanshi Ram took a qualitative leap by stepping into the political arena, launching the Dalit Soshit Samaj Sangharsh Samiti (DS4) on 6 December 1981. It unnerved some people in Bamcef who naively believed that they should continue working as a social club. Kanshi Ram, however, went ahead, using the DS4 platform to contest the Haryana assembly poll a year later. The manner in which he organised this "intermediate" outfit (it was divided into 10 wings, each with a different role and responsibility); used bicycle rallies as the campaign mode; came up with creative and catchy slogans in a language provocative to the upper castes (tilak taraju aur talwar, inko maro jute char; Brahmins, Baniyas and Kshatriyas, kick them out); and set himself up as a model for young activists is detailed in the book. In just three years, Kanshi Ram accomplished a level of mobilisation that would enable him to transform the DS4 into the BSP. When it happened in 1984, it was a logical next step that surprised nobody.

      The electoral strategy Kanshi Ram followed was a master stroke. He used election after election to consolidate his constituency, with its core in the Jatav/Chamars (untouchable lower castes), who constituted 57% of the total dalit population, which, in turn, was 21% of the total population. With the addition of the next populous caste, Pasi, 16% of the dalit population, this constituency potentially had nearly 15% of the votes, sufficient to attract unaffiliated dalits, Muslims, and others who were not particularly enamoured with the Bharatiya Janata Party (BJP), Congress, or Samajwadi Party (SP). When this strategy began paying off, reflected in a consistent rise in the BSP's vote share, Kanshi Ram could negotiate with various political parties from a position of strength. In the mid-term assembly poll in 1993, which came right after the demolition in Ayodhya rendering the BJP a political untouchable, he struck a seat-sharing alliance with the SP. After the election, the BSP joined a coalition government with Mulayam Singh Yadav as the chief minister. It was no mean achievement to reach where Kanshi Ram had in less than a decade. It, however, proved short-lived. In 1995, he withdrew support to the Mulayam Singh government and made Mayawati, his protégé, the chief minister with support from the BJP, a party of Manuwadis, to the utter dismay of all. However, it was a dream come true for dalits. This helped the BSP to consolidate and expand its constituency, which resulted in its vote share rising to a peak of 30.46% in the 2007 assembly elections.

      Kanshi Ram and Mayawati knew that the bonhomie with the BJP would not last long, and they planned to exploit it to the hilt. The government went on a spending spree on building memorials of dalit icons, and naming various institutions after saints from the dalit pantheon. Ambedkar statues were installed all over the state, dalits were placed in a number of top positions, and festivals to honour dalit and backward class heroes were introduced. As expected, after 136 days, the BJP withdrew its support to the government and president's rule was imposed. In the election held in 1996, the BSP failed to secure a majority despite support from the Congress. The strategic dexterity of Kanshi Ram saw him again strike a deal with the BJP to make Mayawati the chief minister. She feverishly continued renaming institutions and unveiling monuments, distributing largesse to her dalit supporters. The aggressiveness of the BSP made the dalits feel empowered, but at the same time rendered them vulnerable, which, in turn, helped the BSP stay in power. They voted zealously for the BSP in election after election, even after Mayawati migrated to sarvajan, embracing brahmins on the eve of the 2007 election. While this strategy paid her rich dividends, it exacted a disproportionate political price – the importance of dalits declined in the BSP's scheme of things.

      Post-Kanshi Ram BSP

      Kanshi Ram died on 9 October 2006 after a prolonged illness that began in 1995. Realising his health was failing, he bequeathed the BSP mantle on Mayawati in 2001. She proved to be a true disciple in matters of strategy and political dexterity, but lacked Kanshi Ram's austerity, sacrifice, dedication, and foresight. The pomp and personal aggrandisement she indulged in gradually alienated her from the people. Many castes and communities that thronged behind her, giving her an absolute majority in 2007, were soon disillusioned. It showed in the 2009 general elections when the BSP's vote share fell from 30.46% in 2007 to 27.42%, a decrease of 3.02%. In three years, it dropped by 1.52% to 25.90% in the 2012 assembly elections. In 2014, it came down to 19.60%, a sharp drop of 6.30%. This clearly shows that other castes and minorities are fast deserting the BSP and that even dalits may soon follow suit. The BSP's national vote share declined from 6.17% in 2009 to 4.1% in 2014. This does not mean the BSP is finished. In our first-past-the-post system, where caste-community equations and money-muscle power play a decisive role, it will still carry on. But surely it is past its zenith, and has wandered too faraway from its pretence of participating in emancipatory politics for dalits.

      It is interesting to speculate what Kanshi Ram would have done now. One expects he would have somehow stemmed the decline and reconfigured political equations to stay longer in power. Maybe, if he was around, he would have catapulted the BSP to power at the centre and given it a new shine. That incidentally would have been his ultimate goal, where he would have received the master key to all the problems dalits suffer. It certainly goes to his credit that the goalpost was within sight. What if Mayawati became prime minister? Would discrimination against dalits stop? Would atrocities against them come to an end? Would they have basic security? The inevitable answer to these questions is a resounding no. Mayawati has been the chief minister of UP four times, and these questions can be asked in relation to the state's dalits. The fact is that their condition, on most developmental parameters, is worse than that of dalits in other states. Statues and memorials intoxicate people with identity pride, which the ruling classes always relish. It is beneficial to them that the dalits stay drunk, oblivious to reality. That is what took place in UP when Mayawati was the chief minister. If she had thought of altering the structure of the society in any manner, she would have realised what it took. Blissfully, both she and her mentor did not speak the language of radical transformation.

      Limitation of Identity Politics

      One might note that what annoyed Kanshi Ram initially was basically an emotional issue of celebrating jayantis, not the spate of caste atrocities in Maharashtra that provoked others to become Panthers. His diagnosis was symptomatic of this provocation. While what he did makes great strategic sense, it makes equally poor sense if seen in terms of comprehending the core problem. Kanshi Ram saw that if dalits had political power, issues like demanding holidays on Ambedkar or Buddha jayanti or naming universities after Ambedkar would not arise. This diagnosis informed his entire mission. He derived support from a dictum of Ambedkar that political power was the gurukilli (master key) to all problems. True, but what constitutes political power and for whom? If Ambedkar had seen politics as Kanshi Ram did, he would not have warned the nation that equality in politics but inequality in economics and society would be an explosive contradiction. He explicitly said,

      Politics is not the be-all and end-all of the nation's life. We must study the Indian Problem in all its aspects, political, social, religious, and economic and fight with own accords for the solution of the downtrodden.

      What Kanshi Ram excelled in was taking identity politics to new highs. All played caste politics, but he beat them hollow. Identity politics can massage your ego, make you feel good, but cannot feed your hunger, or liberate you from bondage. It can give you statues and memorials, but not what those icons lived for. Kanshi Ram emphasised the humiliation the middle classes faced, but not the exploitation and oppression of the masses. He never agitated on any real issue, and harped on an abstraction of political power. The BSP's accomplishments are painted by protagonists as an empowerment of dalits, a silent revolution, without realising that it was all confined to the realm of notions. It does not reflect reality of any kind. It verily spells the limitation of identity politics.

      Kanshi Ram's conception of bahujan glosses over the material disparities between various castes and communities. There is a class contradiction between rich shudra farmers and dalit farm labourers. Caste atrocities are manifestations of these contradictions, and the perpetrators are invariably people belonging to the shudra castes, assumed to be a constituent of bahujan. There is plenty of evidence, right from Jyotirao Phule's attempt to bring shudras and ati-shudras (dalits) together, to indicate that the much-desired unity of the working castes has never materialised. In the wake of the Mandal reservations, dalits supported reservations, thinking that it would bind them together. There is not the slightest evidence that it has happened anywhere. On the contrary, it can be easily seen, if statistics on atrocities are taken as a proxy, that the contradiction between haves and have-nots has only grown. Even SCs and STs, which are taken as a conjoint category, have not been homogenised in the last six decades. The castes demanding reservations, such as Gujars in Rajasthan in 2008 and Dhangars in Maharashtra now want them as STs, not SCs.

      Castes are inherently divisive, they can never integrate. It could be said of Kanshi Ram's bahujan strategy that it basically rested on the Jatav/Chamars. It never was duplicated anywhere despite the monumental efforts he invested. Lastly, the success of Kanshi Ram or the BSP in UP could be explained by a unique combination of factors that obtained there than by the idea of a bahujan, which has not worked anywhere else and is appearing to be ephemeral even in the state. It follows therefore that the conception of a bahujan on the basis of caste identities leads only to self-deception. The only viable way to conceive of a bahujan is by transcending castes, and bringing people together on the basis of class.

      Readable and Valuable

      Badri Narayan is a capable writer, and discusses some of these questions beyond taking a third-person view of critics. But he appears to have intentionally confined himself to a biographer's role. One must respect his decision, and probably thank him for providing the pertinent facts to ignite a discussion among readers. It is an important contribution, and Kanshi Ram surely deserves it.

      There are some minor errors in the book, which may be corrected in the next edition. A few I casually noted: the People's Education Society was established by Ambedkar in July 1944 in Bombay and not in Poona (p 30). The RPI was formed in 1957, not in 1956 (p 30). The public declaration of its formation was made at the first anniversary of the Dhammachakra Parivartana Day in Nagpur on 3 October 1957, which is taken as its establishment year, although the decision to form it was taken at a two-day meeting in Ahmednagar, chaired by Rajabhau Khobragade, on 31 December 1956 and 1 January 1957. The RPI-Congress alliance in Maharashtra did not have anything to do with "the rise of parochial right-wing politics in Maharashtra (Shiv Sena was established in 1966)" (p 31). The people behind the Dalit Panthers were Namdeo Dhasal and J V Pawar, not Daya Pawar (p 32). Ambedkar returned to India after higher studies in the US and UK in economics and law, not the US alone (p 82). These errors, however, in no way diminish the readability or the value of the book.

    नस्ली वर्चस्व की नरसंहारी संस्कृति के विरोध बिना संघी प्रवचन का यह विरोध कैसा? असली ताकत जनता में होती है।मोदी वह ताकत बटोर रहे हैंं और संघ परिवार को छापने भी लगे हैं,इससे सबक लें तो बेहतर! पटना में रावण दहन के दौरान मची भगदड़, 32 की मौत पलाश विश्वास

    $
    0
    0

    नस्ली वर्चस्व की नरसंहारी संस्कृति के विरोध बिना संघी प्रवचन का यह विरोध कैसा?

    असली ताकत जनता में होती है।मोदी वह ताकत बटोर रहे हैंं और संघ परिवार को छापने भी लगे हैं,इससे सबक लें तो बेहतर!

    पटना में रावण दहन के दौरान मची भगदड़, 32 की मौत



    पलाश विश्वास

    ब्राह्मण पुत्र की अकाल मृत्यु पर संबूक हत्या का आयोजन हुआ था।इसीतरह मर्यादा पुरुषोत्तम ने मनुस्मृति अनुशासन लागू किया था।तो कृपया बताये कि पटना में जो मारे गये,वह राजकाज कामामला बनता है या नहीं और यह न बता सकें तो यह बतायें कि यह किसके पाप का दुष्परिणाम है।


    जो लोग दशहरे के महोत्सव को इस हादसे की दर्दनाक खबर के बावजूद स्थगित करने की तनिक संवेदना का प्रदर्शन नहीं करते,उनके हिंदुत्व का गुजरात दर्शन पर मंतव्य निष्प्रयोजन है।बंगाल में खबरें जनता को मिल नहीं रही है।सरकार कामर्शियल ब्रेक पर है।मुख्यमंत्री दशहरे में चक्षुदान से लेकर विसर्जन तक हर पर्व पर है।टीवी पर अनंत दुर्गामूर्तियों और अनंत महिषासुर वध का सिलसिला है।सारधा तूफान थम सा गया है।बैंक बंद।कार्यालय बंद।अखबार बंद।लोगों को मदहोशी केआलम में कब खबर होगी कब जाने,खबर होगी तो वे अपना ज्श्न रोकने के मिजाज में होंगे,कहना मुश्किल है।


    बहरहाल बंगाल में पैतृक गांव कीर्णाहार के दुर्गोत्लव के पौराहित्य ठोड़कर जिस रावण दहन के लिए राजधानी नई दिल्ली के रामलीला मैदान तक पहुंचे चंडीपाठ से दिनचर्या शुरु करने वाले भारत के महामहिम राष्ट्रपति.उसी रावण दहन उत्सव में अभूतपूर्व हादसा हो गया पटना में।पटना में रावण दहन के दौरान बड़ा हादसा हो गया। यहां भगदड़ में करीब 32 लोगों की मौत हो गई और दो दर्जन से ज्यादा लोग घायल हुए हैं। हादसा पटना के गांधी मैदान के पास एक्जीबिशन रोड पर हुई। यहां हजारों की संख्या में लोग रावण दहन देखने आए थे। रावण दहन के बाद लोग वापस लौट रहे थे तभी हादसा हो गया। बताया जा रहा है कि बिजली का तार गिरने की वजह से भगदड़ मची।


    जश्न में शोक का चेहरा क्या होता है,उसे भी आप देख लीजिये।यही भारत के लोकगणराज्य का समाज वास्तव है,क्रूर और अमानवीय।कुंभ में अक्सर भगदड़ होती है।तीर्थस्थलों और धार्मिक अनुष्ठानों में बार बार हादसे होते हैं।हाल में केदार जलप्रलय जैसा हुआ।लाशों का अता पता चलता नहीं।जश्न का सिलसिला जारी रहता है।


    नस्ली वर्चस्व की नरसंहारी संस्कृति के विरोध बिना संघी प्रवचन का यह विरोध कैसा?

    असली ताकत जनता में होती है।मोदी वह ताकत बटोर रहे हैंं और संघ परिवार को छापने भी लगे हैं,इससे सबक लें तो बेहतर।सरसंघचालक के राष्ट्रीय प्रबोधन के दिन ही सीधे जनता के बीच पहुंचकर भारत के सर्वशक्तिमान प्रधानस्वयंसेवक ने क्यों अपने मन की बात बताने का यह महाउपक्रम कर डाला,मेरे लिए रहस्य यही है।दूरदर्शन प्रसारण तो जावड़ेकर महिमा है और उसमें विवाद चाहे कुछ हो,उसका कोई मतलब है नहीं।


    मोदी के राजकाज और संघ के हिंदुत्व एजंडे में जो विरोधाभास है,उसके राष्ट्रीय फलक पर यह सर्वोत्तम प्रदर्शन है,यह हमारा आकलन है।इसे बड़ी बात मोदी यह तो सीखा ही रहे हैं कि हमें माध्यमों का स्रवोत्तम उपयोग कैसे करनी चाहिए।मोदी ने भारतीय राजनीति को बुलेट युग में पहुंचा दिया है,देश को जब पहुंचा पायेंगे ,तब पहुंचायेंगे।


    अगर बिना मुद्दा बैसिर पैर मोदी पर आक्रमण और उनके अच्छे कामकाज का भी विरोध इसीतरह चलता रहेगा,तो गैरकेसरिया राजनीति का अवसान समझिये।अंबेडकरी पक्ष पहले ही केसरिया में समाहित है तो वाम पक्ष बी केसरिया होता जा रहा है।कांग्रेस की मुश्किलें बढ़ती जा रही है।उपचुनाव में छुटपुट फेरबदल और राज्यों में सत्तादखल से केद्रीकृत संघी सत्ता केंद्र का मुकाबला असंभव है।


    अब दूसरी ओर,इस पद्म प्रलय में मामूली खर पतवार का जीना भी मुश्किल होने लगे हैं।राजदीप सरदेसाई तो बड़ी तोप हैं।हमारा तो पत्रकारिता में कोई वजूद नहीं है।न पहचान है और न बड़ी पगार है। न सर छुपाने को कोई छत है।न रिटायर के बाद केसे जियेंगे ,इसका कोई जुगाड़ है।


    हमारा अपराध यह है कि धर्म निरपेक्ष खेमे की तरह हम संघ परिवार पर अंधाधुंध प्रहार नहीं कर रहे हैं बल्कि मुद्दों और मौके के हिसाब से उनके नेता,मंत्री प्रधानमंत्री और भूतपूर्व प्रधानमंत्री की तारीफ ही कर रहे हैं।लेकिन थोक भाव से संघी फेंस से मुझे जो गालियां पड़ रही है और मुझे जो धनाढ्य टुकड़खोर पीत पत्रकार साबित करने की मुहिम चली है,यह मेरी वास्तविक औकात से कुछ ज्यादा हैं।


    ऐसे जो भी प्रियभाषी भाषिणी हैं,उनका सादर आभार।हमें अपने लोग तो पूछते भी नहीं है और न राजदीप सरदेसाई तो क्या अपने संपादक सीईओ तक पहचानते हैं।और तो और,प्रभाषजी मुझे मंडल कहकर संबोधित करते थे।जर्रा नवाजी के लिए आपका आभार।


    आपके लिए हो सकता है कि हमारी बातें बड़ी पीड़ा दायक हो,लेकिन हकीकत तो यही है कि शूद्र प्रधानमंत्री चुनकर ब्राह्मणवादी संघपरिवार की समरसता का दांव खतरे में है।


    सर पर मैला ढोने की प्रथा न अंबेडकर खत्म करा पाये और न बहुजनवाद और अंबेडकरी मिशन के दूसरे मसीहा और न ही गरीबी उन्मूलन,समाजवाद,साम्यवाद,धर्मनिरपेक्षता के दूसरे झंडेवरदार।अकेले यह काम भी मोदी कायदे से कर दें  तो वे हिंदुत्व को ब्राह्मणवादी वर्ण वर्चस्वी शिकंजे से बाहर निकालने में कामयाब होंगे।


    कल्कि अवतार जिसे बनाकर पेश किया गया,आगामी युग शूद्रों का होगा,स्वामी विवेकानंद की भविष्यवाणी साबित करते हुए कल्कि अगर महिषासुर में तब्दील हो गये तो हिंदू राष्ट्र का सपना तो गयो।


    उलट इसके हो सकता है कि अंबेडकरी मिशन पूरा होने का कोई रास्ता निकल ही आये।हम बेसब्री से भाजपाी प्रधानमंत्री से इस चमत्कार की प्रतीक्षा में हैं और संघी जितना बुरा भला कहें,मोदी के हैरत्ंगेज कामकाज के बारे में अपनी राय भी देते रहेंगे।


    हमारे लिए महत्वपूर्ण है संघी प्रवचन को जो प्रधानमंत्री ने छाप दिया,वह,न कि दूरदर्शन विवाद।दूरदर्शन कोई पवित्र गाय नहीं है।बाकी माध्यमों में लाइव प्रसारण तो हो ही रहा था।एक दूरदर्शन में नहीं होता तो क्या होता।फिर दूरदर्शन सत्तावर्ग के हितों के अलावा कब जनपक्षधर रहा हो,बताइये।


    पहली बार संघ प्रमुख के संबोधन के समांतर भाजपाई प्रधानमंत्री ने अलग से राष्ट्र को संबोधित किया है और संघ के एजंडे के मुताबिक हिंदुत्व की संस्कृति का प्रबोधन कर रहे भागवत के मुकाबले आम जनता से मन की बाते करके अपनी ताकत बटरी मोदी ने राष्ट्र निर्माण का आवाहन करते हुए।


    हालांकि सरसंघचालक मोहन भागवत के विजयादशमी संबोधन की सराहना करते हुए प्रधानमंत्री नरेन्द्र मोदी ने कहा कि सामाजिक सुधार से जुड़े जो मुद्दे उन्होंने उठाये हैं, वे आज अत्यंत प्रासंगिक हैं। प्रधानमंत्री ने ट्वीट किया कि मोहन भागवतजी ने अपने भाषण में महत्वपूर्ण राष्ट्रीय मुद्दों पर बात की। उनकी ओर से उठाये गए सामाजिक सुधार के मुद्दे आज अत्यंत प्रासंगिक हैं।हमें मालूम नहीं है कि यह मोदी का मन की बात है या नहीं।एक दूसरे की सराहना करते हिुए दोनों तो सही मायने में एक दूसरे की काट निकालते दखे गये।सांस्कृतिक आंदोलन की राजनीति और सत्ता की राजनीति को अलग रखने की संघ की जो अति दक्षता है,विजया दशमी पर उसका भी दहन संप्न्न हो गया कि नहीं,बाद में देखते रहेंगे।


    अपने प्रबोधन के सात साथ हालांकि मोदी ने भागवत के संबोधन के सारांश का ऑनलाइन लिंक भी जारी किया। उन्होंने संघ की स्थापना दिवस पर आरएसएस कार्यकर्ताओं को बधाई दी। राष्ट्रीय प्रसारक दूरदर्शन पर अपने संबोधन में भागवत ने गौवध एवं मांस के निर्यात पर पूर्ण प्रतिबंध लगाने पर जोर देते हुए लोगों से चीन के उत्पाद खरीदना बंद करने की अपील की।मौजूदा सरकार की नीतियां और राजकाज में इसके आसार लेकिन दूर दूर तक हैं नहीं।


    आतंकवाद का जिक्र करते हुए भागवत ने कहा कि केरल और तमिलनाडु में जिहादी गतिविधियां बढ़ रही हैं । साथ ही उन्होंने आरोप लगाया कि पश्चिम बंगाल, असम और बिहार में बांग्लादेश से अवैध रूप से आने वाले लोगों के कारण हिन्दू समाज का जीवन प्रभावित हो रहा है।मोदी भा इस मामले में आक्रामक रहे हैं और यह राष्ट्र को सैन्य तंत्र में बदलने का मामला है,जिसपर वैश्विक व्यवस्था की मुहर है और फिलहाल इस परिपाडी को उलट देने की ताकत मोदी को मिली नहीं है।


    सरसंघचालक ने भागवत ने चार महीने की अल्पावधि में राष्ट्रीय सुरक्षा, अर्थव्यवस्था और अंतरराष्ट्रीय संबंधों से जुड़े विषयों पर की गई पहलों के लिए मोदी सरकार की प्रशंसा की। आरएसएस के 89वें स्थापना दिवस के अवसर पर अपने संबोधन में उन्होंने कहा कि सकारात्मक संकेत मिल रहे हैं जिससे लोगों में यह उम्मीद जगी है कि अंतराष्ट्रीय मंच पर भारत मजबूत बनकर उभर रहा है।

    सरकार के कामकाज के बारे में सरसंघ चालक की यह टिप्पणी और मोदी का प्रसारण दोनों एक दूसरे के क्षेत्र का अतिक्रमण है जबकि सरसंघचालक को तो प्रधानमंत्री ने अपनी सत्ता के वजन से बाकायदा छाप भी दिया।सरसंघचालक दूरदर्शन पर बोले तो मोदी रेडियो माध्यमे 24 भाषाओं में जनता के दिलोदिमाग में छा गये।




    अजीब संजोग है कि कांग्रेसी प्रधानमंत्री ने राम मंदिर का ताला खुलवाकर संघ परिवार को मजबूर कर दिया राममंदिर मुद्दा अपनाने के लिए तो कांग्रेशी भ्रष्टाचार के खिलाफ जनांदोलन से सत्ता में आये मंडल मसीहा ने उन्हें राममंदिर का कंमंडल कायाकल्प कर दिया।तो अब देखिये,संघ परिवार से चुने हुए सर्वशक्तिमान प्रधानमंत्री ने उसी राममंदिर आंदोलन की बाट लगाकर उसे मैला ढोने की प्रथा के अंत का अंबेडकरी कार्यक्रम बना डाला।धर्मोन्मादी राममंदिर आंदोलन स्वच्छता अभियान में अभी नहीं धुला है तो धुल जायेगा,जैसे कि भागवत जी ने कहा है,थोड़ा इंतजार भी करें।


    धार्मिक कर्मकांड आप करें,धर्मोन्मादी राष्ट्रवाद के तहत आप वर्णवर्चस्वी, आधिपात्यवादी आक्रामक बहिस्कारी नरसंहारी दुर्गोत्सव का पौराहित्य करें,वंचित आम जनता के विरुद्ध सलवा जुड़ुम का विजयोत्सव मनाये और राष्ट्रतंत्र का रावन दहन में लगा दें,वह धर्मनिरपेक्षता हुई और मोहन भागवत दशहरे पर दूरदर्शन पर संदेश मार्फते हिंदू राष्ट्र का दर्शन प्रस्तुत करें तो बाकायदा पोलित ब्यूरो लेवेल से निंदा प्रस्ताव जारी कर दें लेकिन नरसंहारी नस्लवादी संस्कृति के विरुद्ध एक शब्द कोई न कहें,इस पर क्या कहा जाये।


    वर्षो से झारखंड की सुषमा असुर दशहरे से पहले अपील जारी करती है कि असुर जातियां अब भी आदिवासी इलाकों में रहती हैं तो कृपया उनके वध का उत्सव न मनायें।इसका हमारे आस्था अंध विवेक पर कोई असर हुआ नहीं है।


    संजोग से दुर्गा और रावण दोनों वैदिकी धर्म के पात्र भी नहीं हैं।प्राचीन भारतीय हिंदू धर्मग्रंथों में उनकी कोई भूमिका नहीं है।उनका सृजन रामायण महाकाव्य माध्यमे है,जो चरित्र से मिथकीय है।मिथ और टोटेम से धर्म का कितना नाता है,विद्वतजन बतायेंगे। लेकिन यह तयहै कि जिस मर्यादा पुरुषोत्तम राम के अश्वमेधी मनुस्मृति अनुशासनबद्ध हिंदुत्व के एजंडे पर संघ परिवार का हिंदू राष्ट्र आधारित है,वहां दुर्गोत्सव और रावणलीला के रंगभेदी महोत्सव धर्मोन्मादी राष्ट्रवाद के लिए अनिवार्य है।


    विजय दशमी पर संघ सरसंचालक का वक्तव्य उनकी परंपरा है और अब चूंकि सरकार भी संघ परिवार की है और सूचना प्रसारण मंत्री जावड़ेकर साहब मूलतः संघी है,तो दूरदर्शन पर इस वकत्वय के सीधे प्रसारण को मुद्दा बनाकर कुछ हासिल होने नहीं जा रहा है।


    जाहिर है कि हिटलरी चरण चिन्हों पर संघ परिवार का धर्मोन्माद जितना नस्ली है,वर्णवर्चस्वी है,विडंबना है कि बाकी भारतीय राजनीति का भी कुल मिलाकर चरित्र वहीं है।बहुसंख्यकों की आस्था और भावनाओं के आधार पर राजनीतिक समीकरण बनते हैं।समाज वास्तव और भौतिकवादी तथ्यों के आधार पर नहीं।


    वामशासकों ने दशहरा और दुर्गोत्सव को बंगीय वैज्ञानिक वर्ण वर्चस्व और नस्ली भेदभाव का सांस्कृतिक उत्सव बना डाला तो ममता बनर्जी उसका इस्तेमाल करेंगी ही,यह तार्किक परिणति है।अब उसी धर्मोन्मादी राष्ट्रवाद का इस्तेमाल करके वाम और ममता को बंगदाल से बेदखली का सामान जुडाने में लगा है संघ परिवार।


    इसीतरह रामलीला मैदान में भारत के राष्ट्रपति,उपराष्ट्रपति,प्रधानमंत्री पक्ष प्रतिपक्ष के नेता मंत्री संतरी मिलकर रावण दहन करेंगे तो संघ परिवार के दशहरे पर आपत्ति का कोई वास्तविक आधार नहीं है।


    सबसे पहले जरुरी यह है कि आप नरसंहार उत्सव के परित्याग करके भारतीय बहुलता संस्कृति के मुताबिक शारदोत्सव का कोई लोकतांत्रिक पद्धति अपनायें,जिससे किसी भी समुदाय के दमन की गंध न आती हो और जनिकी आस्था जैसी हो,वह निजी जीवन में वैसा आचरण करने को स्वतंत्र हो।


    समझा जाना चाहिए कि धार्मिक स्वतंत्रता का तात्पर्य बहुसंख्यकों का विजयोल्लास नहीं है और न ही रंगभेद और वर्ण आधिपात्य है।अश्वेतों के वध का यह तंत्र मंत्र यंत्र का निषेध भारतीय लोकतंत्र की सेहत के लिए बेहद जरुरी है।


    बाकी जो राष्ट्रीय तंत्र है,स्वाभाविक है सत्ता में जो होते हैं,वे उनका वैसा ही इस्तेमाल करते रहेंगे,जैसे पूर्ववर्ती करते रहे हैं।


    विजया दशमी और दशहरे का मौजूदा स्वरुप ही नरसंहारी अश्वमेध का समाज वास्तव है,यह जब तक रहेगा,राजनीति इसका मनचाहा उपयोग करती रहेगी।चिल्लपो मचाने से कुछ नहीं होता।




    देश के दूरदराज के क्षेत्रों में लोगों से संपर्क साधने के प्रयास के तहत प्रधानमंत्री नरेंद्र मोदी ने आज पहली बार रेडियो के माध्यम से लोगों को संबोधित किया और उनसे निराशा त्यागने तथा अपने सामर्थ्य, क्षमता और कौशल का उपयोग देश की समृद्धि के लिए करने की अपील की।


    महात्मा गांधी की प्रिय खादी के उत्पादों के महत्व को रेखांकित करते हुए प्रधानमंत्री ने लोगों से कम से कम खादी के एक वस्त्र का उपयोग करने का आग्रह किया। इसके साथ ही उन्होंने विशेष रूप से अशक्त बच्चों के बारे में समाज की जिम्मेदारी का बोध कराने का प्रयास किया। रेडियो के जरिये समय समय पर लोगों से सम्पर्क करने का वादा करते हुए मोदी ने नागरिकों से सुझाव मांगे। साथ ही उन्होंने बताया कि उन्हें काफी संख्या में सुझाव मिल रहे हैं। उन्होंने कहा कि वह रेडियो पर मन की बात में इसका जिक्र करेंगे।


    करीब 15 मिनट के संबोधन में प्रधानमंत्री ने कहा कि जब वह सवा सौ करोड़ लोगों की बात करते हैं तब उनका आशय खुद की शक्ति को पहचानने और मिलकर काम करने से होता है। हम विश्व के अजोड़ लोग हैं। हम मंगल पर कितने कम खर्च में पहुंचे। हम अपनी शक्ति को भूल रहे हैं। इसे पहचानने की जरूरत है। लोगों से निराशा त्यागने की अपील करते हुए प्रधानमंत्री ने कहा कि मेरा कहना है कि सवा सौ करोड़ देशवासियों में अपार सामर्थ्य है। इसे पहचानने की जरूरत है। इसकी सही पहचान कर अगर हम चलेंगे, तब हम विजयी होंगे। सवा सौ करोड़ देशवासियों के सामर्थ्य और शक्ति से हम आगे बढ़ेंगे।


    प्रधानमंत्री ने इस सिलसिले में स्वामी विवेकानंद की एक कथा का जिक्र किया, जिसमें भेड़ों के बीच पले बढ़े, शेर के एक बच्चे के एक अन्य शेर के सम्पर्क में आने पर अपनी ताकत फिर से पहचानने के बारे में बताया गया है। मोदी ने कहा कि अगर हम आत्म सम्मान और सही पहचान के साथ आगे बढ़ेंगे, तब हम विजयी होंगे। महात्मा गांधी को प्रिय खादी का जिक्र करते हुए मोदी ने कहा, आपके परिधान में अनेक प्रकार के वस्त्र होते हैं, कई तरह के फैब्रिक्स होते हैं। इसमें से एक वस्त्र खादी का क्यों नहीं हो सकता, मैं आपसे खादीधारी बनने को नहीं कह रहा हूं, लेकिन आपसे आग्रहपूर्वक कह रहा हूं कि आपके वस्त्र में कम से कम एक तो खादी का हो। भले ही अंगवस्त्र हो, रूमाल हो, बेडशीट हो, तकिये का कवर या फिर और कुछ। उन्होंने कहा कि अगर आप खादी का कोई वस्त्र खरीदते हैं तो गरीब का भला होता है। इन दिनों दो अक्टूबर से खादी वस्त्रों पर छूट होती है। इसे आग्रहपूर्वक करें और आप पायेंगे कि गरीबों से आपका कैसा जुड़ाव होता है।


    आकाशवाणी पर मन की बात कार्यक्रम में प्रधानमंत्री ने कहा कि देश के सवा सौ करोड़ लोगों में असीम सामर्थ्य और कौशल है। जरूरत इस बात की है कि हम इसे पहचाने। प्रधानमंत्री ने इस सिलसिले में उन्हें ईमेल से मिले एक सुझाव का जिक्र किया, जिसमें उनसे कौशल विकास पर ध्यान देने का आग्रह किया गया था। मोदी ने कहा कि यह देश सभी लोगों का है, केवल सरकार का नहीं है। उन्होंने कहा कि कुछ लोगों ने लघु उद्योगों की पंजीकरण प्रक्रिया को सरल बनाने का सुझाव दिया है। इनका सुझाव है कि बच्चों के लिए स्कूलों में पांचवी कक्षा से कौशल विकास का कार्यक्रम होना चाहिए, ताकि जब वे पढ़ाई खत्म करके निकलें तब अपने हुनर की बदौलत रोजगार प्राप्त कर सकें।


    मोदी ने कहा कि उन्हें प्रत्येक एक किलोमीटर पर कूड़ेदान लगाने, पॉलीथीन के इस्तेमाल पर पूर्ण प्रतिबंध लगाने जैसे सुझाव भी मिले। प्रधानमंत्री ने कहा कि अगर आपके पास कोई विचार है, सकारात्मक सुझाव है, तब आप इसे मेरे साथ साझा करें। यह मुझे और देशवासियों को प्रेरित करेगा, ताकि हम सब मिलकर देश को नयी उंचाइयों पर पहुंचा सकें। मोदी ने विशेष रूप से अशक्त बच्चों के बारे में गौतम पाल नामक व्यक्ति के सुझाव का भी जिक्र किया, जिसमें उन्होंने नगरपालिका के स्तर पर योजना बनाने की बात कही थी।


    प्रधानमंत्री ने कहा कि 2011 में जब वह गुजरात के मुख्यमंत्री थे, जब उन्हें अशक्त बच्चों के लिए एथेंस में आयोजित ओलंपिक में विजयी होकर लौटे बच्चों से मिलने का मौका मिला था। उन्होंने कहा कि यह मेरे जीवन की भावुक कर देने वाली घटना थी। ऐसे बच्चों केवल मां-बाप की जिम्मेदारी नहीं होते, बल्कि पूरे समाज का दायित्व होते हैं। पूरे समाज का दायित्व है कि वह विशेष रूप से अशक्त बच्चों से खुद को जोड़े। उन्होंने कहा कि हमने इसके बाद ही विशेष रूप से अशक्त एथलीटों के लिए खेल महाकुंभ का आयोजन शुरू किया और मैं खुद इसे देखने जाता था।


    प्रधानमंत्री ने कल शुरू किये गए स्वच्छ भारत अभियान का जिक्र करते हुए कहा कि उन्होंने इसमें हिस्सा लेने के लिए नौ लोगों को आमंत्रित किया है और उन सभी से नौ और लोगों को जोड़ने तथा इस तरह से इस श्रृंखला को आगे बढ़ाने का आग्रह किया है। मोदी ने कहा कि हम सब मिलकर गंदगी को समाप्त करने का संकल्प करें। कल हमने स्वच्छ भारत अभियान शुरू किया है और मैं चाहता हूं कि आप सभी इससे जुड़ें।


    आकाशवाणी पर अपने संबोधन मन की बात में प्रधानमंत्री ने एक और कथा का जिक्र किया। उन्होंने कहा कि एक बार एक राहगीर एक स्थान पर बैठ कर आते जाते लोगों से रास्ता पूछ रहा था। उसने कई लोगों से रास्ता पूछा। इस पूरी घटना को दूर बैठे एक सज्जन देख रहे थे। कुछ देर बार राहगीर ने खडे होकर एक व्यक्ति से रास्ता पूछा। इसके बाद वह सज्जन उसके पास आए और उसे रास्ता बताया। प्रधानमंत्री ने कहा, राहगीर ने उस सज्जन से कहा कि आप इतने समय से मुझे रास्ता पूछता देख रहे थे लेकिन क्यों नहीं बताया। तब उस सज्जन ने कहा कि इससे पहले तुम बैठकर रास्ता पूछ रहे थे और मुझे लगा कि तुम यूं ही रास्ता पूछ रहे हो। लेकिन जब तुम उठ खडे हुए तब मुझे लगा कि वास्तव में अपनी राह जाना चाहते हो।


    प्रधानमंत्री ने कहा कि मेरा कहना है कि सवा सौ करोड़ देशवासियों में अपार सामर्थ्य है। इसे पहचानने की जरूरत है। इसकी सही पहचान कर अगर हम चलेंगे, तब हम विजयी होंगे। सवा सौ करोड़ देशवासियों के सामर्थ्य और शक्ति से हम आगे बढ़ेंगे। मोदी ने विजयादशमी पर अपने पहले रेडियो संबोधन को शुभ शुरुआत बताया और कहा कि वह रेडियो पर लोगों से रविवार को संवाद करेंगे और महीने में कदाचित एक और दो बार।


    रेडियो पर राष्ट्र को संबोधित करने के निर्णय का उल्लेख करते हुए प्रधानमंत्री ने कहा कि यह सरल माध्यम है और इसके जरिये वह दूर दराज और गरीब लोगों के घरों तक पहुंच सकते हैं। प्रधानमंत्री ने कहा, देश की शक्ति गरीबों की झेपड़ी में है, मेरे देश की ताकत गांवों में बसती है, मेरे देश की ताकत मां, बहन, युवा और किसानों में है। देश आप सब की ताकत की बदौलत ही आगे बढेगा, ऐसा मेरा मानना है। आपके सामर्थ्य में मेरा विश्वास है, इसलिए मुझे भारत के भविष्य में विश्वास है। मोदी के संबोधन को विशेष तौर पर आकाशवाणी ने रिकार्ड कर प्रसारित किया और इसका दूरदर्शन पर प्रधानमंत्री के चित्र के साथ श्रव्य प्रसारण किया गया।



    दशहरे पर हर साल नागपुर में होने वाला राष्ट्रीय स्वयं सेवक के कार्यक्रम का प्रसारण आज दूरदर्शन पर किया गया। सुबह सबसे पहले झांकी दिखाई गई, इसके बाद संघ प्रमुख मोहन भागवत का भाषण लगातार दिखाया गया, जिसमें संघ प्रमुख ने अपने विचारों को रखा।


    जाहिर है कि ये विचार राष्ट्रीय स्वयं सेवक संघ के हैं। ऐसे में क्या मोहन भागवत का यह भाषण राष्ट्रीय चैनल दूरदर्शन पर प्रसारित होना ठीक है। इस पर सवालिया निशान लग रहे हैं।


    क्या किसी संगठन के कार्यक्रम को प्रसारित करने के लिए दूरदर्शन के पास कोई मानक हैं। साथ ही यह सवाल कि किस आधार पर आरएसएस का यह कार्यक्रम दूरदर्शन पर प्रसारित हुआ। ऐसे में सवाल यह भी है कि क्या देश के दूसरे धार्मिक-सांस्कृतिक संगठनों के कार्यक्रमों का प्रसारण भी दूरदर्शन करेगा।


    आखिर कौन-सी कसौटी है, जिसके आधार पर संघ का यह कार्यक्रम प्रसारित हुआ। बीते दस सालों से देश में यूपीए की सरकार थी, कभी भी आरएसएस प्रमुख के कार्यक्रम का प्रसारण दूरदर्शन पर नहीं हुआ था और इससे पहले भी जब बीजेपी की सरकार केंद्र में थी तब भी दूरदर्शन पर इस कार्यक्रम का इस तरह प्रसारण नहीं हुआ था।


    उधर, कांग्रेस और वामदलों ने दूरदर्शन के 'दुरुपयोग'की कड़ी आलोचना की, लेकिन भाजपा ने इसका बचाव किया। कांग्रेस प्रवक्ता संदीप दीक्षित ने करीब घंटे भर के इस प्रसारण को एक 'खतरनाक परंपरा'बताते हुए कहा कि आरएसएस एक विवादास्पद संगठन है।


    उन्होंने कहा, यह एक खतरनाक परंपरा है। यह कोई ऐसा संगठन नहीं है, जो पूरी तरह से निष्पक्ष हो। यह एक विवादास्पद संगठन है। उन्होंने कहा कि यह सरकार का एक राजनीतिक फैसला है।


    कांग्रेस नेता एवं पूर्व केन्द्रीय मंत्री सलमान खुर्शीद ने कहा कि हमारी राष्ट्रीय आकांक्षाओं के मामले में हम आरएसएस के रिकार्ड को संदेह से परे नहीं मानते। माकपा ने कहा, आरएसएस इस अवसर का इस्तेमाल अपनी हिन्दुत्व की विचारधारा को फैलाने के लिए करती है। राष्ट्रीय सार्वजनिक प्रसारक को आरएसएस जैसे संगठन के प्रमुख के भाषण को सीधा प्रसारित नहीं करना चाहिए था। भारतीय कम्युनिस्ट पार्टी ने भी भागवत के भाषण को सीधा प्रसारित किए जाने की निंदा की और कहा कि यह सरकारी प्रसारक का दुरुपयोग है।


    भाकपा के महासचिव डी राजा ने कहा कि सरकार और खासकर सूचना एवं प्रसारण मंत्रालय को दूरदर्शन को आरएसएस का मुख्यपत्र बनने की इजाजत देने के लिए जनता को स्पष्टीकरण देना चाहिए ।


    भागवत के भाषण के प्रसारण का बचाव करते हुए भाजपा की शाइना एन सी ने कहा कि आरएसएस एक मात्र राष्ट्रवादी संगठन है, जो भारत सबसे पहले (इंडिया फर्स्ट) में विश्वास करता है और साथ ही देश को व्यक्तिगत हित से ऊपर मानता है।

    इस विवाद पर दूरदर्शन ने कहा कि इसे अन्य समाचार कार्यक्रमों की तरह ही प्रसारित किया गया और इसके लिए कोई विशेष व्यवस्था नहीं की गई थी।


    दूरदर्शन की महानिदेशक अर्चना दत्त ने कहा, यह हमारे लिए महज किसी अन्य समाचार से जुड़े कार्यक्रम की तरह ही था। इसलिए हमने इसे कवर किया। दत्त ने कहा कि इस समारोह के लिए कोई विशेष व्यवस्था नहीं की गई थी और राज्य में चुनाव को कवर करने के लिए उपयोग किये जा रहे कई डिजिटल सेटेलाइट न्यूज गैदरिंग वैन (डीएसएनजी) में से एक का उपयोग इस समारोह के लिए किया गया।



    BAN OUTDATED FESTIVALS THAT PROMOTE SUPERSTITION, CASTEISM, RACIALISM, CORPORATISM, INHUMANITY, EXPLOITATION, IN THE NAME OF RELIGION.

    $
    0
    0
    BAN OUTDATED FESTIVALS THAT PROMOTE SUPERSTITION, CASTEISM, RACIALISM, CORPORATISM, INHUMANITY, EXPLOITATION, IN THE NAME OF RELIGION.

    BAN OUTDATED FESTIVALS THAT PROMOTE SUPERSTITION, CASTEISM, RACIALISM, CORPORATISM, INHUMANITY, EXPLOITATION, IN THE NAME OF RELIGION.

      1. Udayan roy
      2.  
      3. Petition by

        Udayan roy

        Patna, India

    In no part of the world today, any cruel and gruesome victory is celebrated in the manner it is being done in India. Some of the examples are 

    <!--[if !supportLists]-->·         <!--[endif]-->Holi 

    <!--[if !supportLists]-->·         <!--[endif]-->Durga Puja

    <!--[if !supportLists]-->·         <!--[endif]-->Dashahra      

    Holi is celebrated in the name of Holika who was cruelly burnt down for allegedly trying to kill her own nephew. This is debatable as no aunt would try to kill her own nephew. 

    Durga puja is the most controversial racial festival where a fair skinned beautiful goddess Durga is depicted brutally killing a dark skinned native named Mahishasur. accirding to popular folklore, Mahishasur was a brave and self-respecting leader of dravidians, who wad tricked into marriage by Aryans after they failed to defeat him. They hired a sex worker called Durga, who enticed mahishasur into marriage and killed him after nine nights of honeymooning during sleep. Every year thousands of pooja pandals are erected with idols of goddess Durga astride a lion, killing Mahishasur in the most gory and cruel manner.

    http://shyamasundaradasa.com/jyotish/images/general/jadabharata_kali.jpg

    Effigies of Ravan, along with his son and brother are burnt every year, to celebrate victory of Rama.

    http://d33p.jagranjunction.com/files/2012/10/ravana-dahan.jpeg

     

    At the time of petitioning some 35 people died due to stampede while watching Ravan dahan. I request all to sign this petition and help in putting an end to this gory manner of celebrating festivals.

    To: 
    Prime Minister of India, President of India, UNO General Secretary 
    BAN OUTDATED FESTIVALS THAT PROMOTE SUPERSTITION, CASTEISM, RACIALISM, CORPORATISM, INHUMANITY, EXPLOITATION, IN THE NAME OF RELIGION.

    Sincerely, 
    [Your name]

    আমার বন্ধু কালায়ন চাকমাঃবিপ্লব রহমান

    $
    0
    0

    আমার বন্ধু কালায়ন চাকমা

    বিপ্লব রহমান

    প্রথম যৌবন বেলায় রাঙামাটির নান্যাচরের মাওরুম গ্রামে গিয়েছি সমীরণ চাকমার বিয়েতে। সমীরণ দা পরে শান্তিচুক্তি বিরোধী ইউপিডিএফ'র সঙ্গে যুক্ত হন। সেই গ্রুপ ছেড়েছেন, সে-ও অনেকদিন আগের কথা।
    এরআগেও বহুবার চাকমাদের বিয়ের নিমন্ত্রণে গিয়েছি। কিন্তু ১৯৯৩ সালের শেষের দিকে, সমীরণ দা'র ওই বিয়েটি ছিলো খুবই জাঁক-জমকপূর্ণ। একদম আদি চাকমা সংস্কৃতির কোনো বিয়েতে অংশগ্রহণ সেই প্রথম।

    কয়েকটি গ্রামের নানা বয়সী নারী-পুরুষ এসেছে সেই বিয়ের নিমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে। বলতে দ্বিধা নেই, ঢাকা থেকে নিমন্ত্রিত তো বটেই, এমন কি পুরো বিয়ের অনুষ্ঠানে একমাত্র বাঙালি অতিথি আমি একাই। বরের বাড়িটিকে সাজানো হয়েছে রঙিন কাগজ, ফুল, লতা-পাতায়। পাশের মাঠে নিমন্ত্রিতদের বসার জন্য টাঙানো হয়েছে বিশাল সামিয়ানা। সেখানে পাতা হয়েছে সারি সারি মাদুর। এক দল ছেলেমেয়ে গিটার বাজিয়ে মাইকে গান করে চলেছে অবিরাম।
    আমার পাহাড়ি বন্ধুরা জানান, এই গ্রামটি হচ্ছে 'নতুন মাওরুম'। অবশ্য আনুষ্ঠানিক বাংলায় এর নাম 'মহাপ্রুরম'। আর নান্যাচর থানাটি কাগজ-পত্রে ষোলআনা বাঙালিয়ানায় হয়েছে 'নানিয়ারচর'। তো আদি মাওরুম গ্রামটি এখন কাপ্তাই বাঁধের ফলে জলের তলায়। সেখানেই জন্মগ্রহণ করেছিলেন জুম্ম (পাহাড়ি) জাতির মহান নেতা এমএন লারমা।
     
    নয়া মাওরুম গ্রামের একটি ছোট্ট এক চালা বেড়ার ঘরের প্রাথমিক বিদ্যালয় দেখিয়ে আরকজন বন্ধু কল্পনার জের টেনে বলেন, এমএন লারমার সেই বিলুপ্ত গ্রামটিতেও হয়তো একই রকম স্কুল ছিল। যেখানে তিনি পড়াশুনা করেছিলেন। আবার বড় হয়ে ওই স্কুলেই শিক্ষকতা করেছেন।... 


    এরই মাঝে বিয়ের কনে চলে আসে। কনেটি ঐতিহ্যবাহী পিনন-খাদি (লুঙ্গি-ওড়না), সোনার গহনায় মোড়া একদম পরীর মতো। বরের বাড়িতে ঢুকতে হলে তাকে আবার ছোট্ট একটি পরীক্ষা দিতে হবে। প্রধান ফটকের দুপাশে পোঁতা হয়েছে দুটি কলাগাছ। গাছ দুটির দুপাশে রাখা হয়েছে জলভর্তি মাটির কলস। আর কলস দুটির দুমুখে সাদা সুতো বেধে তৈরি করা হয়েছে একটি ব্যারিকেড। চাকমা রীতি হচ্ছে, কন্যাকে এক লাফে এই সুতো পেরিয়ে কলা-গেট দিয়ে প্রবেশ করতে হবে ছেলের বাড়িতে। 

    তো মেয়েটি গ্রামের হলেও বেশ চটপটে। ওই জবর-জং সাজ-পোশাকসহ, পিননটি একটু উঁচু করে ধরে একলাফে পেরিয়ে যায় পুলসেরাত। চারিদিকে তুমুল উল্লাস ধ্বনী উঠে।


    সামিয়ানায় মাদুর পেতে বসা অতিথিদের জন্য সেচ্ছা-সেবকরা দেন পান-সুপারি-সিগারেট। আসে 'চোয়ানি'নামক কড়া স্বাদের মদের বোতল, ছোট্ট ছোট্ট কাঁচের গ্লাস। এরপর একটি আশির্বাদের ট্রে ঘুরতে থাকে। সেখানে যারযেমন সামর্থ সে অনুযায়ী নগদ টাকা উপহার দেন। এরই মধ্যে বরপক্ষের লোকজন বিয়ে উপলক্ষে কাটা শুকরের মাথা কলাপাতায় মুড়ে এসে অতিথিদের দেখান। অর্থাৎমান্যবরগণ, দেখুন, আমরা কিন্তু সব চাকমা সংস্কৃতি-রীতি-নীতি মেনে এই বিয়ের আয়োজন করেছি, ইত্যাদি। 


    বলা ভাল, বিয়ের আসরে প্রবীনদের পাত পড়েছে একদিকে। আর নবীনরা বসেছেঅন্যদিকে। আমি যেন, বিয়ের আচার-অনুষ্ঠান সব ভাল করে দেখতে পাই, এ জন্য আমার বন্ধুরা আমাকে বসিয়েছে সামিয়ানার সামনের সারিতে, ওই বয়স্কদের মাঝেই। 


    আমি চোয়নি খেতে খেতে মঞ্চের দিকে তাকাই। কয়েকজন ভান্তে (বৌদ্ধ পুরহিত) মন্ত্র পাঠ করে বিয়ে পড়ান। মাইকে আবারও বাজতে থাকে আধুনিক চাকমা গান। এরই মধ্যে ছেদ ঘটান হাড্ডিসার কালো মতো এক পাহাড়ি ছেলে। তার গলায় গামছা বাধাএকটি সিঙ্গেল রিডের হারমোনিয়াম। নাম শুনতে পাই 'কালায়ন চাকমা'। এক সময় পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) করেছেন। এখন গান-বাজনা নিয়েই আছেন।


    কালায়ন দা মাইক টেনে নিয়ে বলেন, আজ এই আনন্দের দিনে অনেক আনন্দ সঙ্গীত তোহলো। এবার একটি অন্যরকম গান হোক। আমি পার্বত্য চট্টগ্রামের বাস্তবতা নিয়ে গান লিখেছি, তারই একটি আপনাদের শোনাতে চাই। এরপর তিনি বাংলা গানে শোনান রোমহর্ষক নান্যাচর গণহত্যার কথা। তার গানের প্রথম কলিটি এরকম:

    ১৭ তারিখ নভেম্বর/ ৯৩ ইংরেজী...

    ওই তারিখেই নান্যাচর বাজারে পাহাড়িদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে হামলা চালায়সেটেলার বাঙালিরা। খুব ঠাণ্ডা মাথায় দা দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয় অন্তত ২৯ জন পাহাড়িকে। সেনা সমর্থিত ওই হত্যাযজ্ঞে আহত হয়েছিলেন আরো অনেকে। ধর্ষিত হতে হয়েছে কয়েকজন পাহাড়ি নারীকে। ...কালায়ন দা গানে গানে বর্ণনা করেন গণহত্যার কথা। মনে করিয়ে দেন লংগদু, লোগাং, বরকলসহ আরো অনেক হত্যাযজ্ঞ, অগ্নি সংযোগ, ধর্ষণ এবং জুম্ম নিধনের কথা।...
    পুরো বিয়ের অনুষ্ঠানটি যেন একটি গানেই পরিনত হয় শোক সভায়। শত শত নিমন্ত্রিত অতিথি শব্দহীন কান্নায় আকুল হন। বার বার গামছায় চোখ মোছেন তারা। কেউ কেউ বুক ফাটা আর্তনাদ চাপা দিতে মুখ চেপে ধরেন গামছায়, কি খাদির আঁচলে।
    আমি আর থাকতে না পেরে সামিয়ানা ছেড়ে উঠে পড়ি। বিয়ের অনুষ্ঠানের বাইরে, মাঠ পেরিয়ে একটু দূরে এক কাঁঠাল গাছের ছায়ায় দাঁড়িয়ে সিগারেট ধরাই। দূর মাইকে তখনো ভেসে আসে কালায়ন দা'র গানের বোল:


    ১৭ তারিখ নভেম্বর/ ৯৩ ইংরেজী...

    খানিক পরে আমাকে খুঁজতে বের হওয়া পাহাড়ি বন্ধুরা দেখা পায় আমার। তারা বলেন, খাবার দেওয়া শুরু হয়েছে। এখনই খেয়ে নেওয়া ভাল। এই খাবার-দাবারটিও আদি চাকমা বিয়ের রীতি মেনে করা হচ্ছে।
    আবার সামিয়ানার নীচে মাদুর পেতে বাবু হয়ে বসি। টুকরো কলাপাতায় আতপ চালের ভাত, কয়েক রকম পাহাড়ি সব্জি, মাছ, শুকর ও মুরগীর মাংস পরিবেশন করা হয়। সবশেষে দই-মিষ্টি।

    ...আমি অনেকটা খাবার ছড়াই। প্রচণ্ড ক্ষুধার্ত হলেও ভাল করে কিছুই খেতেপারি না। পরে সামিয়ানার বাইরে এসে একটি ঝোপের পাশে বসে হরহর করে সব খাবার বমি করে দেই। অদেখা নান্যাচর গণহত্যা, আর ঠিক আগের বছর একদম ভেতর থেকে দেখা লোগাং গণহত্যার ফিনকি দিয়ে ছোটা রক্ত যেন আমার পোষাক-আশাকে, চোখে-মুখে লেগেছে বলে ভ্রম হয়। এমনকি আমি খানিকটা জুম্ম রক্তের ঘ্রাণও যেন পাই। 


     কালায়ন দা, তুমি কি নিষ্ঠুর গো!...
    --
    ছবি: কালায়নদার সঙ্গে লেখক, আগস্ট ২০১৪, রাঙামাটি।

    একটি রোমহর্ষক গণহত্যার কাহিনী

    $
    0
    0

    একটি রোমহর্ষক গণহত্যার কাহিনী

    বিপ্লব রহমান
    (ফুন্দুরী রাঙ্গা ঝুরবো ফেগ, তম্মা মইলে মুইদো এজ…চাকমা ছড়াগান…রাঙালেজের কান্ত পাখি, তোমার মা মারা গেলে আমার কাছে এসো…)
    ০১। কোনো পেশাগত কারণে নয়, স্রেফ বেড়াতে যাওয়ার জন্যই সেবার পাহাড়ে যাই চাকমা আদিবাসীদের সবচেয়ে বড় উৎসব বিঝুর আমন্ত্রণে। ১৯৯২ সালের ১১ এপ্রিল সকালে কলাবাগান থেকে বিশাল দলবলসহ লক্কড়-ঝক্কড় বাস 'ডলফিন'ছাড়ে পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির উদ্দেশ্যে। সেটা শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরেরও বছর পাঁচেক আগের ঘটনা [লিংক]। পাহাড় তখন দারুন অশান্ত, যুদ্ধ — বিক্ষুব্ধ। জনসংহতি সমিতির সাবেক গেরিলা গ্রুপ শান্তিবাহিনীর সঙ্গে সেনাবাহিনীর রক্তক্ষয়ী বন্দুক যুদ্ধ লেগেই আছে [লিংক]



    বাসে আমার সহযাত্রী প্রধীরদা (প্রধীর তালুকদার, অখণ্ড পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সাবেক নেতা, পরে তিনি শান্তিবাহিনীতে যোগ দেন) পাহাড়ের রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে বর্ণনা করছিলেন। বলছিলেন জলপাই শাসনের ভয়াল রূপ। আশৈশব থেকে দেখা তার চিরচেনা পাহাড় দিনের পর দিন বহিরাগত বাঙালি সেটেলারদের দখলে চলে যাওয়ার বেদনাদায়ক ইতিহাস।
     

    কুমিল্লা সেনানিবাস পার হওয়ার পথেই বুঝতে পারি আতংকিত জনপদে প্রবেশের যন্ত্রণা। বেশ কয়েক জায়গায় বাঁশ-কল দিয়ে গাড়ি আটকে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা যাত্রীদের নাম-ধাম ইত্যাদির তালিকা তৈরী করেন। লাগেজ-ব্যাগেজও তল্লাসী হয় কয়েকবার। চেকপোস্টগুলোতে তখন এমন সাইনবোর্ড দেখি: থামুন। আপনার পরিচয় দিন। পাহাড়ি-বাঙালি দুই লাইনে দাঁড়ান। নিরাপত্তা তল্লাসীতে সহায়তা করুন– ইত্যাদি।

    সফরসঙ্গী ইলিয়াস ভাই (প্রয়াত লেখক আখতারুজ্জামন ইলিয়াস), আনু ভাই (অর্থনীতিবিদ ও লেখক আনু মুহাম্মদ), শাজাহান ভাই (প্রয়াত ব্যারিস্টার লুৎফর রহমান শাজাহান), সারা আপা (ব্যারিস্টার সারা হোসেন), আহাদ ভাই (আহাদ আহমেদ খন্দকার, তৎকালীন অখন্ড ছাত্র ফেডারেশন সভাপতি) — তারাই নিরাপত্তা বাহিনীর বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।

    বাস রামগড় প্রবেশের সময় চোখে পড়ে পথের দুপাশের উঁচু উঁচু পাহাড়ে ও টিলায় এক কিলোমিটার অন্তর অন্তর সেনাবাহিনীর ওয়াচ-পোস্ট।

    বাস খাগড়াছড়ি পৌঁছানোর আগেই পথের মধ্যে দু-এক জায়াগায় কয়েকজন পাহাড়ি বাস থামিয়ে সঙ্গী অপরাপর পাহাড়ি বন্ধুদের সঙ্গে কথোপকথন সেরে নেন। এভাবে বাসের মধ্যেই লোকমুখে জানতে পারি, রোমহর্ষক এক গণহত্যার কাহিনী।

    আগের দিনই (১০ এপ্রিল, ১৯৯২) তুচ্ছ এক গ্রাম্য বিরোধকে কেন্দ্র করে খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলার লোগাং নামক একটি পাহাড়ি গ্রামে সেনাবাহিনী, আনসার, ভিডিপি ও সেটেলাররা একযোগে আক্রমণ চালায়। ওরা নিরস্ত্র, হত-দরিদ্র সাধারণ পাহাড়িদের বাড়ি-ঘর জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে নির্বিচারে গুলি করে। সেটেলারদের দায়ের আঘাতে প্রাণ যায় অনেকের। হতাহতের সংখ্যা কত হবে, কেউ তাৎক্ষণিকভাবে কিছু বলতে পারছেন না। পুরো এলাকায় নাকি কারফিউ জারি করা হয়েছে।…

    খাগড়াছড়ি পৌঁছানোর পর পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের ছেলে-মেয়েরা ফুল দিয়ে আমাদের স্বাগতঃ জানায়। তবে লোগাঙের কথা শুনে সবারই চোখ-মুখ কেমন যেনো শুকনো বলে মনে হয়। শান্তিবাহিনীর প্রতিশোধমূলক পাল্টা আক্রমণ, আর নিরাপত্তা বাহিনীর পাল্টা আক্রমণের আশংকায় ছোট্ট পাহাড়ি শহর খাগড়াছড়ি একেবারেই শুনশান হয়ে পড়ে। ঝপ করে সন্ধ্যা নামে কালা পাহাড়ের দেশে।

    ০২। জেলা সার্কিট হাউজে অতিথিদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সাড়ে সাতটার বিবিসির রেডিওতে খাগড়াছড়ি সংবাদদাতার বরাত দিয়ে প্রচার করা উল্টো খবর। লোগাঙে নাকি শান্তিবাহিনীর আক্রমণে মাত্র ১০ জন পাহাড়ি ও তিনজন বাঙালিসহ মোট ১৩ জন মারা গেছেন!

    হাড়ের তথ্য-সাংবাদিকতার সুবাদে আমার জানা ছিলো, খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি ও বান্দরবান — এই তিন পার্বত্য জেলার সাংবাদিকদের তখন আসলে নিয়ন্ত্রণ করতো নিরাপত্তাবাহিনী। সেনা নিয়ন্ত্রণের বাইরে তথ্য-সংবাদ পরিবেশনের উপায় ছিলো না। তিন জেলার তিনটি প্রেসক্লাবও উদ্বোধন করেছেন তিন জন মেজর জেনারেল। আমার পাহাড়ি বন্ধুদের ভাষায়, প্রেসক্লাবগুলো হচ্ছে সাংবাদিকদের কবরখানা!

    তো সব মিলিয়ে বিবিসির ওই খবর বিশ্বাস করতে ইচ্ছে করে না।…

    সার্কিট হাউজে যখন অতিথিদের রাতের খাবার হিসেবে পাহাড়ি ছেলে-মেয়েরা যখন প্লেটে পোলাও-মাংস তুলে দিচ্ছিলেন, তখন বাইরের বারান্দায় দেখি একজন পাহাড়ি লোককে এক গামলা মুড়ি খেতে দরিদ্র। তার কোলে একরত্তি একটি দুধের শিশু। লোকটিকে কান্তি আর অজানা এক অনুভূতি ঘিরে রাখে। সে যত না মুড়ি খায়, তার চেয়েও বেশী পানি খায় ঢক ঢক করে। কোলের শিশুটিকেও পানি খাওয়ায় কয়েকবার।

    তার পরিচর্যা করছিলেন যে সব ছেলে-মেয়েরা তাদের কাছ থেকে জানতে পাই, এই ভাগ্যহতের ইতিকথা। দ্রুত নোট প্যাড বের করে টুকে নিতে থাকি নাম বিস্তৃত পাহাড়ি লোকটির চাকমা ভাষার ভাষ্য। এনালগ ইয়াশিকা ক্যামেরায় তার দু-একটি সাদাকালো ছবিও তুলি। লোকটি হচ্ছেন লোগাং গণহত্যার প্রত্যক্ষদর্শি; প্রাণে বেঁচে যাওয়া সৌভাগ্যবানদের একজন।

    তাদের গ্রামে আক্রমণ হতেই শিশুটিকে কোলে করে দুর্গম পাহাড়-জঙ্গল ভেঙে প্রায় ৩০ কিলিমিটার পথ পাড়ি দিয়ে তিনি প্রথমে পৌঁছান জেলা সদরে। পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ নেতারা সার্কিট হাউজে আছেন — এই খবর শুনে তিনি আসেন সেখানে। অনর্গল চাকমা ভাষায় শুধু একটা কথাই বলেন তিনি, বাবারা আমাকে একটু আশ্রয় দাও! চিদরেরা (সেনা বাহিনী) আমার কথা জানতে পারলে হয়তো আমাকেও মেরে ফেলবে!


    ছাত্র নেতারা নিজেদের মধ্যে আলাপ করে সিদ্ধান্ত নেন, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কাছে ভাষ্য দেওয়ার ‌'অপরাধে'লোকটিকে নিরাপত্তা বাহিনী হয়তো ছেড়ে কথা বলবে না। তাই দ্রুত তাকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় কোনো একটি নিরাপদ আশ্রয়ে।

    সেদিন আমার রাত কাটে বর্ষিয়ান পাহাড়ি নেতা অনন্ত মাস্টার তথা রামগড়ের স্কুল শিক্ষক অনন্ত বিহারী খীসার (অখন্ড পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সাবেক নেতা, বর্তমানে শান্তিচুক্তি বিরোধী ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট– ইউপিডিএফের সভাপতি প্রসিত বিকাশ খীসার বাবা) নারানখাইয়ার বাসায়[লিংক]

    ০৩। পরদিন ১২ এপ্রিল ছিলো ফুল বিঝু। খুব ভোরে নাস্তার টেবিলে অনন্ত মাস্টার সুন্দর করে বুঝিয়ে বলছিলেন চাকমাদের চৈত্র সংক্রান্তির তিন দিনের বিঝু উৎসব–ফুল বিঝু, মূল বিঝু ও গইজ্যাপইজ্যা বিঝুর কথা।

    এমন সময় কোথা থেকে যেনো একদল পাহাড়ি শিশু-কিশোর কিচির-মিচির করতে করতে হাজির হয় সেখানে। ঝুপ ঝুপ করে তারা অনন্ত মাস্টারকে ফুল বিঝুর প্রণাম করে। 'বাঙাল'অতিথির দিকে ওরা ফিরেও তাকায় না। …

    সার্কিট হাউজে এসে শুনতে পাই, ইলিয়াস ভাই, আনু ভাই, শাজাহান ভাই — সকলে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ নেতাদের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, ওই সকালেই লোগাং যাওয়া হবে। সরেজমিনে দেখা হবে আসলে কী ঘটেছে সেখানে। আমাদের সঙ্গে যোগ দেন পাহাড়ি গজদন্ত-কারুশিল্পী বিজয় কেতন চাকমা।

    কয়েকটি ভাঙাচোরা জিপ (স্থানীয় নাম– চাঁদের গাড়ি) ভাড়া করে আমরা রওনা দেই লোগাঙের উদ্দেশ্যে।

    আবারও পথে পথে চলে নিরাপত্তা তল্লাসী, জেরা, তালিকা নির্মাণ– ইত্যাদি। লোগাঙের আগেই চাঁদের গাড়িগুলোকে আটকে দেওয়া হয় পানছড়ি বাজার সংলগ্ন সেনা চেকপোস্টে।

    সেখানে হাজির হন ৩৩ নম্বর ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের জোন কমান্ডার মেজর খালিদ রেজা। তিনি তখন পানছড়ির ক্যাম্পের দায়িত্বে। লোগাং যাওয়া না যাওয়ার প্রশ্নে তুমুল তর্কাতর্কি বাধে দুপক্ষের মধ্যে।

    মেজর খালিদের কথা একটাই, লোগাঙে যাওয়া নাকি নিরাপদ নয়। যে কোনো মুহূর্তে সেখানে নাকি শান্তিবাহিনী আবারও পাল্টা হামলা করতে পারে। তাছাড়া তার সন্দেহ, আমারাই হয়তো শান্তিবাহিনীর আমন্ত্রণে লোগাং যাওয়ার জন্য ঢাকা থেকে খাগড়াছড়ি এসেছি। তাই লোগাং 'অঘটনের'জন্য পরোক্ষভাবে আমরাও হয়তো জড়িত। নইলে ঘটনার পর পরই আমরা সেখানে হাজির হবো কী ভাবে? বিঝু-টিঝু আসলে নাকি ফালতু অজুহাত!

    তর্কাতর্কির সময় পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ নেতা (বর্তমানে ইউপিডিএফের দলছুট নেতা) সঞ্চয় চাকমাকে দেখতে পাই চেক পোস্টের কাছেই একজন পাহাড়ি লোকের সঙ্গে কথা বলতে। লোকটির পিঠে এক টুকরো কাপড়ে বাধা ছোট্ট একটি শিশু। তার হাত ধরে আছে একটু বড় আরেকটি শিশু। তার সর্বাঙ্গে শুকিয়ে যাওয়া রক্তের ছোপ ছোপ ছিট!

    লোকটি কথা বলছিলেন ফিসফিসিয়ে। সেখানে উপস্থিত হতেই তার কথাবার্তা বন্ধ হয়ে যায়। পরিস্থিতি বুঝে সঞ্চয়কে ক্যামেরা দিয়ে বলি, তার একটি ফটো তুলে রাখতে। আর তার ভাষ্য সবই যেনো সঞ্চয় নোট করে রাখে।

    পরে জানতে পাই, তিনিও লোগাং গণহত্যার আরেক প্রত্যদর্শি। সামান্য এক গ্রাম্য কোন্দালকে উপলক্ষ করে সেটেলার ও নিরাপত্তা বাহিনীর লোকজন একসঙ্গে কেরোসিন দিয়ে আগুন ধরায় লোগাং গ্রামে। নিরাপত্তা বাহিনীর লোকজন গুলি চালায়, আর সেটেলাররা কসাইয়ের মতো কুপিয়ে কাটে নিরাপরাধ পাহাড়িদের। প্রাণে বেঁচে যাওয়া লোকটির চোখের সামনেই কুপিয়ে খুন করা হয় তার স্ত্রী ও এক শিশুকে। কোনো রকমে গহিন জঙ্গলে শিশু দুটিকে নিয়ে লুকিয়ে থেকে প্রাণে রক্ষা পান তিনি। জঙ্গলে পালানোর সময়ে বুনো কাঁটার আঘাতে তার ছড়ে যায় সর্বাঙ্গ। গত দুদিন তাদের দানা-পানি কিছুই জোটেনি।

    সঞ্চয় তাকে সামান্য কিছু টাকা দিয়ে খাবার কিনে বাচ্চাদের খাওয়াতে বলেন। তাকে পরামর্শ দেন, অন্য কোনো পাহাড়ি গ্রামে আপাতত লুকিয়ে থাকতে।…

    সেনা বাধার মুখে সেদিন লোগাং যাওয়া সম্ভব হয়নি। তবে খবংপুইজ্জা নামক পাহাড়ি গ্রামে রাতে আমাদের দেখা হয় লোগাং গণহত্যার প্রত্যক্ষদর্শি আরো কয়েকজনের সঙ্গে।

    এদের মধ্যে এক চন্দ্র সাগর চাকমা নামে এক কিশোর রয়েছে; তার মা-বাবা, ভাই -বোন সবাইকে কুপিয়ে হত্যা করেছে সেটেলার বাঙালিরা। কিশোরটি জঙ্গলের ভেতর লুকিয়ে থেকে দূর থেকে প্রত্যক্ষ করে এই বেদনাদায়ক নৃশংস দৃশ্য।…

    রাতে 'ইয়ং স্টার'ক্লাবে ছাত্র নেতা প্রধীরদা কাপড়ে মুড়িয়ে নিয়ে আসেন আগুনে পুড়ে কালো হয়ে যাওয়া এক শিশুর কংকাল। লোগাং হত্যাযজ্ঞ এই নাম না জানা অবোধ শিশুটিকেও রেহাই দেয়নি।…

    ০৪। পরে ঢাকায় ফিরে আরো এক সহকর্মী প্রিসিলা রাজের সঙ্গে 'পাহাড়ে বিপন্ন জনপদ: শোকার্ত লোগাং'শীর্ষক দুই পর্বের সচিত্র প্রতিবেদন লিখি সাপ্তাহিক 'প্রিয় প্রজন্মে' (তখন এর সম্পাদক ছিলেন ফজলুল বারী, বর্তমানে প্রবাসী)।

    ওই প্রতিবেদনটিতে হামলার শিকার লোগাং গ্রামবাসী, স্থানীয় একজন স্কুল শিক্ষিকা, পানছড়ি হেলথ কমপ্লেক্সের সরকারি চিকিৎসক, খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি আহত কয়েকজনসহ অন্তত ১০ জন প্রত্যদর্শিকে উদ্ধৃত করে আমরা জানাই, লোগাং গণহত্যার লোমহর্ষক সব তথ্য। এতে বলা হয়, পাহাড়ের অসুস্থ রাজনীতি এই একটি গণহত্যাতেই কেড়ে নিয়েছে অন্তত ২০০ জন নিরপরাধ পাহাড়ির জীবন। নিখোঁজ ও আহতদের একটি আনুমানিক সংখ্যাও উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনটিতে। পাশাপাশি দেওয়া হয় স্থানীয় প্রশাসন পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর ভাষ্য।

    প্রতিবেদনটি প্রকাশের পরই পরেই সে সময় ফজলুল বারী ভাইয়ের ওপর উর্দ্ধতন মহলের চাপ আসে। জানতে পারি, সেনা সদস্যরা সে সময় পার্বত্য চট্টগ্রামের সব কয়েকটি 'প্রিয় প্রজন্মের'কপি কিনে ফেলেছিলো, যেনো এর কোনো সংখ্যাই আর সাধারণ পাঠকের হাতে না পৌঁছে।

    তবে পাহাড়ি বন্ধুরা প্রতিবেদনটি ফটোকপি করে নিজস্ব উদ্যোগে পাহাড়ে বিলি করেন; এভাবে তারা প্রচার করেন ওই প্রতিবেদনটি। এই কাজ করতে গিয়ে সে সময় পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ নেতা সঞ্চয় চাকমা 'শান্তিবাহিনী'অভিযোগে প্রথমবারের মতো গ্রেফতারও হন। তিনি তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্সের ছাত্র।

    বলা বাহুল্য, সেবার আর বিঝু উৎসব দেখা হয়নি। লোগাঙের শোকে পাহাড়িরা বিঝু বর্জন করেন সেবার।



    ছবি: প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে লোগাং গণহত্যার প্রতিবাদ জানাচ্ছেন পাহাড়ি জনতা, ১৩ মে ১৯৯২, খাগড়াছড়ি, সংগৃহিত, লেখক ।

    Darkest Dussehra for Indian people! In this dangerous times ,we have no option but to differentiate the genuine initiative of the prime minister with all his limitation to support him so that he could break away the shackles of Hindu nation agenda.

    $
    0
    0

    Darkest Dussehra for Indian people!

    In this dangerous times ,we have no option but to differentiate the genuine initiative of the prime minister with all his limitation to support him so that he could break away the shackles of Hindu nation agenda.

    Palash Biswas

    Darkest Dussehra for Indian people!

    Religious wartime nationalism invoked unprecedented which is followed by unprecedented violence on the earth on fire.


    What a scenario?


    Four-year-old Lucky Kumari and two-year-old Lado stand outside their home in Patna's Azad Colony, staring at an uncertain future. For the sisters, a fun-filled outing with family on Friday amid Dussehra festivities turned into a terrible tragedy in a matter of hours as a stampede outside the Gandhi Maidan killed over 40 people, including their mother. Their father is battling for his life at the Intensive Care Unit (ICU) of the Patna Medical College and Hospital.


    The tragical Patna stampede might be yet another accident with religious flavour.We had a major water tsunami not very long ago in the Himalayas,mind you.


    Whatever may be the faith,whatever might be the religion,it is a matter of personal privacy with some social bondage as it had been for thousands of years.Major events like the Kumbha with millions of participants had been managed quite peacefully for centuries.


    But then the religious rituals meant religious rituals and it had nothing to do with power politics.


    But then the religious rituals meant religious rituals and it had nothing to do with identity politics.


    But then the religious rituals meant religious rituals and it had nothing to do with ambush marketing.


    But then the religious rituals meant religious rituals and it had nothing to do with event management.


    But then the religious rituals meant religious rituals and it had nothing to do with desi or Videsi companies.


    All types of myths,religious icons,totems,rituals and occasions are events managed with marketing strategy for the sustenance of the ruling hegemony connected to the global illuminati zionist.


    I have been explaining all these years in my speeches and writing how hindutva agenda is an ingredient part of destructive reforms,the genocide culture.


    I have explained it earlier why the Indian retailers must die.


    No,not only the retailers,but all those who are not members of India incs aligned with multi national companies and US interests may not survive at all and they have no idea about this despite being so connected.


    Mergers and acquisitions involving domestic companies jumped to the highest level since 2011 to $26.1 billion during the first nine months this year.


    What does it mean?


    While RIL began oil production from its KG-D6 block in September 2008 and gas output in April 2009, ONGC, which has made 11 oil and gas discoveries in KG-D5 block, is at least four years away from first gas


    What does it mean?


    Power generation in the country during April-June was 22 per cent higher than in the same period last year. This was also when there were several reports of coal stocks with power plants close to critical levels.

    What does it mean?


    Falling for the fourth week in a row, India's foreign exchange reserves fell by $1.415 billion to $314.181 billion in the week to September 26 on account of a hefty drop in non-US currency assets.

    What does it mean?


    Gold should be put to work for the Indian economy, creating jobs, developing skills, generating exports and revenues, the World Gold Council (WGC) said on Saturday unveiling its Vision 2020 for the industry.

    What does it mean?

    Just read:

    New Delhi: E-commerce major Amazon's chief executive, Jeffrey P Bezos, called on Prime Minister Narendra Modi on Friday.


    "Jeffrey P. Bezos, President, Chairman and CEO of Amazon.com, called on the Prime Minister, Narendra Modi today," an official release said.


    Mr Bezos have been visiting Indian cities this week. Amazon, the world's largest e-tailer, has already committed $2 billion investment in the country.


    Earlier this week, he had said that Amazon is evaluating setting up a data centre in India to tap into the multi-billion cloud opportunity.


    "We are always evaluating new locations. We have AWS (Amazon Web Services) . We started it long time ago and it has grown into a very large business, separate from our consumer business," Mr Bezos had said.


    "We are building new data centres and are looking where we should put them and evaluating these in India as well," he had said.


    For Amazon, which launched its marketplace in India last year, the country is one of its fastest growing markets and is on track to touch $1 billion in gross sales.


    Mr Bezos had said the pace at which internet penetration was increasing in India was stunning and that was one of the tailwinds for the growth of e-commerce.


    "India is unbelievably energising; the people are focused on learning and extremely inventive," he had said.


    In this dangerous times ,we have no option but to differentiate the genuine initiative of the prime minister with all his limitation to support him so that he could break away the shackles of Hindu nation agenda.


    Though they spoke different.The Voice remained the same.Though the prime minister is trying his best to break the shackles of RSS branded Hindutva,I am afraid,it would end in the same way as first time Black President of United States mandated twice Barack Obama completes his second term under a long long shadow of ruling satanic illuminati zionist.Though Modi is trying to take over RSS having finished his party and seems all set to become the Hitler of India playing BR Ambedkar inclusive,the first Shudra OBC prime minister may not be able to liberate India from the destructive corporate global hindutva agenda and has to meet the fate of the first black president of United States of America.


    The joint Indo US statement on the summit released by white house speaks on consent only,speaks on bilateral relations,strategic relations,trade and defence,but it might not disclose the personal details of the talk of the twin leaders in interactive position and no way,we may know whether they tried to resolve the stand off they face within.


    We may not resist either the global orders of overwhelming reforms or the emerging global hindutva as majority of Indian communities,classes and demographies have been already recruited as Hindutva cadres all on the name of identity and religion.


    In this dangerous times ,we have no option but to differentiate the genuine initiative of the prime minister with all his limitation to support him so that he could break away the shackles of Hindu nation agenda.


    Mind you,the global trends seem to be most volatile as Barack Obama is trapped in yet another oil war.


    US President Barack Obama has strongly condemned the "brutal murder" of British national Alan Henning, and vowed to bring to justice those who were responsible for it.


    "The United States strongly condemns the brutal murder of United Kingdom citizen Alan Henning by the terrorist group ISIL," Obama said yesterday.


    Henning worked to help improve the lives of the Syrian people and his death is a great loss for them, for his family and the people of the UK, he said.


    "Standing together with our UK friends and allies, we will work to bring the perpetrators of Alan's murder – as well as the murders of Jim Foley, Steven Sotloff and David Haines – to justice," he added.


    "Standing together with a broad coalition of allies and partners, we will continue taking decisive action to degrade and ultimately destroy ISIL," Obama said.


    The 47-year-old from Manchester in northwest England had volunteered to help drive an aid convoy to Syria for a Muslim charity, and was kidnapped 10 months ago.


    This is the fourth such video released by the Islamic State group.


    Oct 04 2014 : The Economic Times (Delhi)

    One Voice, Different Stages


    Nagpur

    Our Political Bureau

    

    

    PATTING EACH OTHER RSS chief praises Modi, says there is a sense of optimism about new govt's policies, Modi praised back too; Bhagwat also calls for ban on beef exports; says Islamic terrorism blowback of western greed

    Bhagwat Slams India's `Lust for Chinese Goods'

    RSS chief Mohan Bhagwat has demanded a ban on beef exports from India, slammed Indians' lust for cheap Chinese imports and called Islamic terrorism a blow back of western greed in an ad dress to cadres that surprised many with its largely concilia tory tone but raised the hack les of several others with its live telecast on state TV.

    In his annual Vijayadashami speech at ReshimBagh headquar ters of the RSS, Bhagwat on Friday touched upon topics ranging from ecology to cow slaughter to Islamic jihad as he lauded the Modi-led BJP government's performance and hinted at four states ­ Kerala, Tamil Nadu, West Bengal and Assam ­ as being possible focus areas for the Sangh's future political activities.

    Bhagwat's address this year was being especially watched for his observations on the BJP government's performance and also cues on its future social and economic policies. Also being closely watched was for any signs of triumphalism especially after the active role Sangh cadres played to bring the BJP to power and whether it would use its influence with the government to re-assert India's Hindu identity . The RSS chief has in recent speeches asserted India's identity as a Hindu nation and said that all Indians are Hindus.

    Bhagwat didn't mention any border incursions by the Chinese unlike his last year's speech, but he slammed Indian consumer's attitudes towards encouraging China which affected any possibility of increase in "self-reliance" and "Swadeshi" consumption. "Our tendency of buying daily need goods, even buying foreign made-especially Chinese--statues of our Gods and Goddesses, simply because they are cheaper in price, needs to be abandoned," he said.

    The RSS leader said there was a sense of optimism prevalent in the country on account of the new government's policies. "The government should now ensure that these policies maintain their momentum in a determined and well organized manner. We need to wait for some more time, with a sense of hope and faith," he said.

    Suhas Palshikar, veteran political scientist, who have been tracking Sangh Parivar politics, said there was hardly anything new in Bhagwat's speech. "There always is a certain variation, but the issues of cow slaughter, Bangladeshi immigrants etc have their usual community-oriented message," said "These are mentioned not as a hint to the government or the BJP , but to the cadres. Through these issues, the RSS would like to exert pressure on the party and the government," Palshikar said.






    Oct 04 2014 : The Economic Times (Delhi)

    We're on Mars, You Can Rule the Earth: Modi to Indians


    New Delhi:

    Our Political Bureau

    

    

    TWO SPEECHES, ONE DISCOURSE Modi's first radio address & RSS chief's Dussehra speech attempt to goad countrymen to take big strides with supreme confidence

    Two of the country's most powerful figures ­ Prime Minister Narendra Modi and RSS chief Mohan Bhagwat ­addressed the nation on Friday , the many unprecedented characteristics of their speeches laying down new political markers in both form and substance amid laments and protests.

    Prime Minister Narendra Modi, for long a regular tenant of television screens, gave his first sound-only address to the na tion on All In dia Radio, kicking off what he said will be monthly or fortnightly radio addresses to the people under the `Talking from the Heart' banner. It was the first time in decades that a prime minister has used only the radio to address people, and predictably the speech was picked by most television channels.

    The 15-minute radio address also saw Modi adopt a different style, one that was more conversational and personal and in sharp contrast to his recent addresses at Red Fort in New Delhi and New York's Madison Square Garden. Modi sought to inspire 1.2 billion Indians to do their part and get the economy moving. Modi encouraged citizens to reach him through all channels available with suggestions to improve the state of the nation. He even named some people who had written to him with suggestions, a rare instance of a prime minister acknowledging ordinary citizens by name in a national address.

    While Thursday saw Modi embrace one of Mahatma Gandhi's core tenets of cleanliness as part of his Swachh Bharat campaighn, on Friday, he sought to co-opt another one ­ khadi. Modi exhorted people to buy at least one khadi product a year, an act, he said, would help better the lot of millions of poor people.

    It was at this point that his speech aligned with that of Mohan Bhagwat, Sar Sangchalak of the Rashtriya Syayamsevak Sangh (RSS), the intellectual fountainhead of the Sangh parivar of which Modi and the BJP are part. Bhagwat, who delivered his annual Vijay Dashami and spoke a few hours before Modi in Nagpur, created history as his speech was for the first time telecast live by state-broadcaster Doordarshan, attracting howls of protests from the BJP's opponents and some commmentators.

    The RSS chief praised the Modi government for initiatives on national security, economy and international relations in a short period. "We don't have a magic wand to change, but the government seems committed," the RSS chief said in his address to the cadres that spanned disparate topics such as banning beef exports to in ternational relations to rekin dling a sense of national pride.

    Bhagwat said Modi's recent visit to the US has sent positive signals and has ushered a new enthusi asm among people of the country.

    "A new ray of hope has entered in the hearts of the people. The en tire country was feeling proud of the visit and the subsequent talks with the US government," he said, adding the world needs India.

    His address, while criticized by opposition parties such as the Congress and the Communists and also the Sangh's ideological opponents, found endorsement from Modi, a former swayamsevak who was deputed to BJP in the late 1980s.i "Mohan Bhagwat ji talked about important national issues in his speech. The issues of social ret form that he raised are very rele vant today," Modi said on Twitter.







    A multi-faceted relationship

    But Prime minister's US trip reveals limits of summit meetings

    Business Standard Editorial Comment  |  New Delhi  

    October 1, 2014 L

    Prime Minister Narendra Modi's trip to the United States can be called a success because of the manner in which it has helped the ties between the two countries blossom into a multi-faceted relationship of a kind that does not exist with any other country, ranging as it does from investments, infrastructure collaboration, urban development, technology, trade, space, health co-operation and skills development to climate change and energy. He has also succeeded in keeping interest in India's potential at an elevated level, and the optimism that surrounds the existence of a government with a majority and, thus, the ability to take tough decisions has not dwindled. In terms of ensuring concrete results and forward movement in this multi-faceted bilateral relationship, however, the trip could have achieved a lot more.


    For instance, the security aspects of the joint statement issued after the meeting between Mr Modi and United States President Barack Obama were largely aspirational, although security co-operation is unquestionably the strongest leg of the relationship at the moment. The United States affirmed that India is "ready for membership" of the Nuclear Suppliers Group; and there was a strong statement about freedom of navigation, including in the South China Sea. However, the nature of any maritime co-operation was not really spelt out. Counter-terrorism provided the most specific commitment. Intriguingly, of the five terror groups mentioned, while Al Qaeda was first, three India-focused ones occupied the next three slots, with the United States' Afghan bugbear, the Haqqani Network, bringing up the rear. The happy serendipity of the United States Treasury Department finally making a long-planned move on the financing of Pakistan-based terror groups added to the sense that here, at least, there was some commonality of interests.


    If, however, there is an overall impression of stasis, this is because there is little chance of major breakthroughs at such summit meetings. It is unwise to expect major visits to move relationships forward. The actual spadework has to be done through massive official-to-official contact on a regular basis, particularly in areas that have become irritants to the overall relationship. On this trip, for example, consider the various areas in which progress might have been hoped for, and which were in fact discussed, according to the joint statement. India will have hoped for some sort of concession when it comes to the treatment of immigration of high-skilled Indians, or Indian companies that rely on temporary workers to be profitable in the United States. None was forthcoming. The United States, in turn, got nothing but a working group - to meet annually - on intellectual property. India did not get the "totalisation agreement" on social security payments non-resident Indians want; the United States did not get the bilateral treaty on investment protection that its companies want.


    Clearly, Mr Modi's own presence can not substitute for the hard preparatory work required, and the compromises that need to be made on the minutiae in order to get the big, headline-grabbing breakthroughs. The biggest lesson from the prime minister's summit is that the real work is at home. The United States trip was perhaps politically necessary for Mr Modi. But repair of the relationship must begin with greater reform at home.

    http://www.business-standard.com/article/opinion/a-multi-faceted-relationship-114100101341_1.html

    Modi, Obama take defence ties to advanced stage

    US to boost investments in India capital markets

    BS Reporter  |  New Delhi  

    October 2, 2014

    Prime Minister Narendra Modi wound up his five-day visit to the US on Tuesday night with an agreement with US President Barack Obama to renew the 2005 Framework forUS-India Defense Relationship for another 10 years taking strategic ties between both countries to an advanced stage. India and US also agreed to set up an institutional mechanism to boost investment into Indian capital marketsand infrastructure, increase trade between the two countries fivefold to $500 billion and resolve issues related tointellectual property rights through talks.


    During the first ever summit level meeting between both leaders that went on for over 110 minutes, Modi and Obama decided to give a fresh lease of life to the Political-Military Dialogue in an effort to develop a robust platform for co-production of defence items.


    "To facilitate deeper defense cooperation, they welcomed the decision to renew for ten more years the 2005 Framework for the U.S.-India Defense Relationshipand directed their defense teams to develop plans for more ambitious programs and activities. The two leaders also agreed to reinvigorate the Political-Military Dialogue and expand its role to serve as a wider dialogue on export licensing, defense cooperation and strategic cooperation," said the joint statement.


    Additionally, both sides also decided to boost maritime security to ensure freedom of navigation and movement of shipping and commercial activity.


    "To achieve this objective, the two sides considered enhancing technology partnerships for India's Navy including assessing possible areas of technology cooperation. They also agreed to upgrade their existing bilateral exercise MALABAR."


    The two sides also agreed to jointly address the issue of terror by dismantling the havens of Al Qaida and Dawood Ibrahim, wanted for masterminding the 1993 serial bomb blasts in Mumbai.


    To boost investment by institutional investors and corporate entities, Modi and Obama promised to establish a joint investment initiative, led by the Indian finance ministry and the US Department of Treasury. The initiative will focus on capital market development and financing infrastructure.


    Besides, an infrastructurecollaboration platform will be established. The platform, to be convened by the finance ministry and the commerce department, would enhance participation of US companies in infrastructure projects in India, said a joint statement, issued after strategic talks between Modi and Obama.


    The statement didn't mention any targeted investment related to infrastructure development. While Japan had agreed to invest $35 billion in this segment in India through five years, China had promised $20 billion.


    Through the next five years, India needs about $1 trillion for infrastructure development, 40 per cent of which is to come from the private sector, according to a study by the Confederation of Indian Industry.


    In 2013-14, US inflows of foreign direct investment (FDI) into India were the fifth-highest ($806 million), after Mauritius, Singapore, the UK and Japan. However, this was lower than over $ one billion that India received from US in 2009-10, 2010-11 and 2011-12 each.


    Before leaving for Frankfurt en route to New Delhi , Modi also addressed the US-India Business Council (USIBC, urging top US companies to expand their base in India before "it is too late".


    USIBC told him it had identified investment of $41 billion by its members in India, through the next three years.


    Modi told USIBC in the next six months, he would effect all that was necessary to ease the business environment in India.


    On Wednesday night, Modi returned to the national Capital on a Special Air India plane after a five-day visit to the US. Union Minister Ram Vilas Paswan and a few of his ministerial colleagues were present at the Palam Technical area to receive Modi, in a departure from normal practice where ministers no longer line up to see off or receive the Prime Minister during his foreign trips .


    Modi and Obama committed themselves to promoting an environment attractive for companies to invest and manufacture, through the Trade Policy Forum. Amid differences over intellectual property rights, the two sides promised to set up an intellectual property working group, as part of the forum.


    Modi invited US industry to be the lead partner in developing smart cities in Ajmer, Visakhapatnam and Allahabad. India plans to develop 100 smart cities, for which an allocation of Rs 7,060 crore was proposed in the Union Budget.


    The two sides also established a contact group on civil nuclear energy cooperation to deliver electricity from US-built nuclear power plants in India.


    "They looked forward to advancing the dialogue to discuss all implementation issues, including, but not limited to, administrative issues, liability, technical issues and licensing to facilitate the establishment of nuclear parks, including power plants, with Westinghouse and GE-Hitachi technology," the joint statement said.


    Obama affirmed India met the requirements of the missile technology control regime and was ready for membership to the Nuclear Suppliers Group (NSG). He also supported India's membership to the Wassenaar Arrangement and the Australia Group.


    To tackle climate change, India and the US signed a memorandum of understanding (MoU) to provide up to $1 billion to aid India's transition to a low-carbon and climate-resilient energy economy. The MoU was signed between Export-Import Bank and the Indian Renewable Energy Development Agency.


    Other initiatives include a new programme to scale up renewable energy integration into India's power grid and setting up the Clean Energy Finance Forum to promote investment and trade in clean-energy projects.


    Both leaders said they were committed to working towards a successful outcome of the 2015 UN Framework Convention on Climate Change in Paris.


    Given the current logjam in World Trade Organization (WTO) talks, owing to India's tough stance on food security, the two sides directed their officials to hold talks with each other, as well as with other WTO members, on steps in this regard.


    With the threat of the Islamic State looming large, Obama and Modi underlined the need for continued global efforts to combat and defeat terrorism.


    "The leaders stressed the need for joint and concerted efforts, including the dismantling of safe havens for terrorist and criminal networks to disrupt all financial and tactical support for networks such as Al Qaida, Lashkar-e Taiba, Jaish-e-Mohammad, the D-Company (the network of Dawood Ibrahim) and the Haqqanis," the joint statement said.


    The two leaders reiterated their call to Pakistan to bring the perpetrators of the November 28 terrorist attack in Mumbai to justice.


    'THANK YOU AMERICA...'


    ... is what Prime Minister Narendra Modi said, as he concluded his five-day visit. A snapshot of the agreements between the countries

    • To intensify cooperation in maritime security; important as China's maritime ambitions expand

    • Both leaders express concern about rising tensions over maritime territorial disputes

    • Obama promises to enhance India's voice and vote in international financial institutions

    • USAID to support the national urban development mission and Clean India campaign

    • Both sides discuss role US can play in modernising India's railway network

    • Modi and Obama to hold public-private discussions in early 2015 on new areas of cooperation, including advanced manufacturing

    • To strengthen US-India Partnership to Advance Clean Energy

    • To ease travel between the two countries, India to introduce visa-on-arrival for US citizens in 2015

    • Obama to support Modi achieve his goal of preparing young Indians for 21st century jobs

    • Leaders commit to partner on the Digital India initiative

    • To launch new phase of programme to develop affordable vaccines for dengue, malaria and tuberculosis

    • New pact likely soon to support the Nasa-Isro Synthetic Aperture Radar mission, to be launched in 2021

    http://www.business-standard.com/article/economy-policy/modi-obama-take-defence-ties-to-advanced-stage-114100200029_1.html


    India says US agrees to its stand on IPR

    Says bilateral forum, mentioned in Obama-Modi statement, already exists

    BS Reporter  |  New Delhi  

    October 4, 2014



    "The US agreeing to discuss IPR issues through the bilateral mechanism of the Trade Policy Forum is in fact a re-affirmation of India's stand that issues need bilateral discussion and not unilateral action," the department of industrial policy and promotion said in an official statement.


    However, the department clarified that there already existed the Innovation and Creativity Focus Group in the forum since 2010 to consult not less than twice a year on improving IPR protection. Besides, the group is expected to foster innovation, creativity and collaboration between US and Indian innovators.


    The DIPP, a department in the commerce and industry ministry, said the joint statement iterated what had existed in the earlier forum.


    It added IPR issues were critical for both countries and India had been repeatedly raising the issue of copyright piracy and misappropriation of traditional knowledge with the US.


    The official statement said India had consistently pointed out that its IPR regime was compliant with the agreement on Trade Related Aspects of Intellectual Property Rights (TRIPs) and that any issues had to be discussed in the forum.


    The Indo-US joint statement on the IPR issue would only strengthen the bilateral institutional mechanism, the statement added. Earlier this year, the US Trade Representative's much-awaited Annual Special 301 Report had maintained a status quo on India, by keeping it on a "priority watch list" for an allegedly lax IPR regime but refrained from labelling it a "priority foreign country", which might have led to sanctions.


    However, the report expressed growing concerns over India's IPR protection and enforcement. The report had said Indian laws and their enforcement would be closely monitored by initiating an "out of cycle" review. India has been on the priority watch list since 1989, when the Special 301 was first released. Special 301 is a trade and industry practices report maintained by the USTR in which the US designates certain countries under two categories, priority foreign country and priority watch list. This is for IPR violators and offenders. The first designation is for the worst offenders that could face trade sanctions. India was earlier designated a priority foreign country in 1994. India has, however, consistently been urging the US to hold bilateral talks to resolve IPR issues, instead of taking unilateral steps. In today's statement as well, the DIPP said, "India has refused to be subjected to unilateral action proposed by the US under the Special 301 report."


    US companies, especially pharmaceutical firms, have been pressuring the administration to take strict action against India over its IPR policy.


    The US was particularly miffed with the Supreme Court's judgment in April 2013 rejecting the patent application by Swiss company Novartis for its cancer drug, Glivec. Prior to this, American companies were upset when the controller general of patents, designs and trademarks granted a compulsory licence to Natco Pharma to sell a generic version of Bayer-Onyx's cancer drug, Nexavar.


    SPECIAL 301

    Special 301 is a trade and industry practices report of the USTR that designates certain countries for IPR violations. India does not accept report as it is unilateral

    • India wants US to resolve differences over IPR through bilateral talks

    • But the US had kept India on priority watch list allegedly due to lax regime

    • Tag of priority foreign country might have led to sanctions

    • India was designated a priority foreign country in 1994

    • India-US statement talks of resolving issues by setting up bilateral mechanism under Trade Policy Forum

    • India says mechanism already exists; the US has agreed to bilateral talks to resolve IPR differences, instead of unilateral action

    http://www.business-standard.com/article/economy-policy/india-says-us-agrees-to-its-stand-on-ipr-114100400062_1.html

    Oct 04 2014 : The Times of India (Ahmedabad)

    Political row erupts after DD telecasts RSS chief's speech


    New Delhi

    TIMES NEWS NETWORK

    

    

    Oppn: Misuse Of State Machinery

    Public broadcaster Doordarshan's live telecast of RSS chief Mohan Bhagwat's customary Vijaydashmi speech triggered a controversy on Friday , with the political class and social commentators calling it a dangerous trend of state patronage of majoritarian politics.

    In RSS's Foundation Day address, Bhagwat was beamed live nationally as he touched upon issues like illegal immigration from Bangladesh, jihadi activities and threats to Hindus. Even universal concerns like terror, when spoken about by RSS, acquire a sensitive edge. The opposition parties, which did not expect the Modi government to openly patronize the RSS like this, reacted with alarm. The Congress and Left parties hit out at the DD broadcast, while some public intellectuals described it as "misuse of state machinery".

    But brushing aside the criticism, Narendra Modi hailed Bhagwat's address and the issues raised by him as "very relevant". The PM also tweeted an online link to the summary of the speech from his personal Twitter handle, indicating that he was not apologetic about his government's decision to put the RSS chief 's speech live on Doordarshan. BJP , too, backed the decision, while the broadcaster said it had covered the speech as a news event.

    Calling it as setting a "dangerous trend", Congress spokesman Sandeep Dikshit said, "This is not an organization which is completely neutral. It is a controversial orga nization." He asked what would happen if other religious outfits like Jamaat-e-Islami or Church of North India sought similar coverage from DD. Another Congress spokesman Abhishek Singhvi said this reinforced the fear that the country was ruled "from and for Nagpur" -a shorthand for Hindutva agenda. For the first time in years, an RSS chief 's annual Vijaydashmi speech contained no criticism of the Union government and instead had generous doses of praise. The 64-year-old sarsanghachalak Mohan Bhagwat, without mentioning the name of Prime Minister Narendra Modi, said the new government was moving in the right direction in "making the Bharat of our dreams".

    "The people brought a drastic change in the government.

    This change is not even six months old but positive signs from time to time give hope of the emergence of Bharat on the international horizon," Bhagwat said, adding, "It appears the people's desire for a secure and progressive life will soon start reflecting in governance." Holding the Western nations responsible for the spread of international terrorism, Bhagwat said the "selfish interests" of the West had led to the growth of newer incarnations of terrorism across the world.

    Slamming the US for the West Asian crisis and the rise of ISIS, he said some countries are "expanding their empires" in the name of globalization.

    Bhagwat indicated a larger role for the RSS in the come days, asking people not to depend on the government to do every thing and said socio-cul tural organizations like the RSS could be put to greater use, particularly in areas of encouraging the use of Swadeshi and containing Left-wing violence.

    The RSS chief said policy initiatives in the first 100 days by the government on the economy, security, international relations and several other areas have raised hopes of the common man. Oct 3 marked the 89 th anniversary of the organization.

    "The government must now ensure these policies maintain their momentum in a determined and well-organized manner. We need to wait for some more time, with a sense of hope and faith," the Sarsanghachalak said. He praised the Modi government for improving the country's image during his US visit and congratulated the scientists for the successful mission to Mars.

    The RSS chief 's Vijaya Dashmi speech is the most important public event in the organization's calendar and provides a policy direction to its supporters. Last year, Bhagwat had exhorted the people to come out and vote ("poll turnout must be 100%") and urged lakhs of swayamsevaks to pitch in with mobilizing opinion. Incidentally, the voting percentage in the general elections touched 80% in several states.

    Union transport and rural development minister Nitin Gadkari, Maharashtra BJP chief Devendra Fadnavis and several party MLAs sat through the speech that lasted more than an hour, and was preceded by a drill and martial arts demonstration by hundreds of swayamsevaks.

    In the past, every RSS chief has targetted the government's failures on issues ranging from security dangers from China, to FDI threatening local traders.



    

    


    Oct 04 2014 : The Times of India (Ahmedabad)

    Pvt firms to make UAVs for defence

    Sidhartha

    New Delhi

    

    

    Govt To Issue 6 Licences | B'lore Co To Benefit Most | Civilian Use Not Allowed

    It's raining UAVs in India. After years of delay , the government is set to issue at least half-a-dozen licences for manufacturing unmanned aerial vehicles (UAVs) to private players, although civilian use still remains a closed area.

    Sources in the government told TOI that the department of telecommunications, which was the main stumbling block, has agreed to allow the UAV manufacturers to use the spectrum band allocated to defence forces, paving the way for issuing licences. During the UPA regime, it was the defence ministry which was holding up proposals as it did not want the private sector to enter the defence production arena, even if no foreign investment was permitted.

    But, a change of guard at the Centre and the BJP government's push to cut the import bill by allowing private partici pation in the defence sector seems to have paved the way for a consensus between the ministries, at least on the issue of UAVs. The sources said that last month, the licensing committee decided on seven licences, several of which will go to littleknown names. Bangalore-based Dynamatic Technology is expected to bag the biggest block of licences from the panel, comprising representatives from several ministries, clearing a plan to allow it to make 10,000 unmanned aerial systems and vehicles.

    Among the bigger players is Ashok Leyland, whose proposal to manufacture 600 UAVs along with armoured vehicles, unmanned ground vehicles, was pending with the government.

    There are others that have smaller orders. For instance, Taneja Aerospace & Aviation is expected to be given a licence to manufacture only 10 UAVs, while Avaana Software & Services can make 200. Then, there is Basant Aerospace, SasMos HET Tech, Swallow Systems and Om UAV Systems, which are likely to get permission to manufacture up to 100 units each for the defence. Sources said there are close to a dozen other proposals for manufacturing UAVs that are pending, including those from Punj Lloyd, Mahindra Aero Structures, Piramal Systems & tech, Idea Forge, Aman Aviation & Aerospace Solutions, OIS Aerospace, Kadet Defence, Deepti Electronics and Spectrum Infotech.

    Several companies, whose proposals have been cleared, will only get licences when their FDI proposals are cleared by the Foreign Investment Promotion Board, said an official, adding that the process may take around two to three months.


    

    




    'ਕਾਲ਼ੇ ਕਾਨੂੰਨ ਵਿਰੋਧੀ ਸਾਂਝਾ ਮੋਰਚਾ ਪੰਜਾਬ'ਦੇ ਸੱਦੇ 'ਤੇ ਪੁਲਸ ਰੋਕਾਂ ਤੇ ਗ੍ਰਿਫ਼ਤਾਰੀਆਂ ਦੇ ਬਾਵਜੂਦ ਬਠਿੰਡਾ ਵਿੱਚ ਰੋਸ ਮੁਜ਼ਾਹਰਾ

    Next: শাসকের রক্তচক্ষুকে কিসের ভয়, ওদেরই তো সবচেয়ে বেশি ভয়! হংকং লড়ছে, আমরা নামছি... তোমাদের আছে গুন্ডা,পুলিস,কমান্ডো আমাদের আছে বন্ধু,বান্ধবী,কমরেড। তোমাদের আছে লাঠি, বন্দুক,জলকামান আমাদের আছে কবিতা,গিটার,গান। তোমাদের আছে আইন,আদালত,মামলা আমাদের আছে প্রেম,লড়াই,জনতা। #হোককলরব বন্ধ হয় না । না ।না ।না । রাজা ক্রমশ ন্যাংটো হচ্ছেন... সপ্তমীতে যোধপুর পার্ক, অষ্টমীতে ম্যাডক্স স্কোয়ারের পর নবমীতে লাবণিতে চলছিল ‪#‎হোককলরবের‬ সমর্থনে শান্তিপূর্ণ জমায়েত,পোষ্টার লেখা,গান বাজনা। পুলিশ সেখান থেকে আমাদের ১৩জন বন্ধুকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়!! পূজোর মধ্যেও ছাত্রীছাত্ররা যাদবপুরের সমর্থনে রাস্তায় জেগে ছিলেন । পলাশ বিশ্বাস
    $
    0
    0
    By ਪੰਜਾਬ ਸਰਕਾਰ ਦੇ ਕਾਲ਼ੇ ਕਨੂੰਨਾਂ ਵਿਰੋਧੀ ਮੁਹਿੰਮ
    'ਕਾਲ਼ੇ ਕਾਨੂੰਨ ਵਿਰੋਧੀ ਸਾਂਝਾ ਮੋਰਚਾ ਪੰਜਾਬ' ਦੇ ਸੱਦੇ 'ਤੇ ਪੁਲਸ ਰੋਕਾਂ ਤੇ ਗ੍ਰਿਫ਼ਤਾਰੀਆਂ ਦੇ ਬਾਵਜੂਦ ਬਠਿੰਡਾ ਵਿੱਚ ਰੋਸ ਮੁਜ਼ਾਹਰਾ

    'ਕਾਲ਼ੇ ਕਾਨੂੰਨ ਵਿਰੋਧੀ ਸਾਂਝਾ ਮੋਰਚਾ ਪੰਜਾਬ' ਦੇ ਸੱਦੇ 'ਤੇ ਬਠਿੰਡਾ ਦਾਣਾ ਮੰਡੀ ਵਿੱਚ ਹੋਣ ਵਾਲੇ ਸਾਂਝੇ ਇਕੱਠ ਤੇ ਪੁਲਸੀ ਰੋਕਾਂ ਮੜੇ ਹੋਣ ਦੇ ਬਾਵਜੂਦ ਤੇ ਗ੍ਰਿਫਤਾਰੀਆਂ ਦੇ ਬਾਵਜੂਦ ਸ਼ਹਿਰ ਅੰਦਰ ਮਿੱਨੀ ਸਕੱਤਰੇਤ ਨੇੜੇ ਪਾਵਰ ਹਾਊਸ ਰੋਡ ਤੇ ਰੋਸ ਮਾਰਚ ਕੀਤਾ ਗਿਆ ਤੇ ਜ਼ੋਰਦਾਰ ਨਾਅਰੇਬਾਜ਼ੀ ਹੋਏ 'ਨਿੱਜੀ ਤੇ ਜਨਤਕ ਜਾਇਦਾਦ ਦਾ ਨੁਕਸਾਨ ਰੋਕੂ ਕਾਨੂੰਨ' ਵਾਪਸ ਲੈਣ ਦੀ ਮੰਗ ਕੀਤੀ ਗਈ। ਪੰਜਾਬ ਭਰ ਵਿੱਚ ਡੀ.ਸੀ ਦਫਡਤਰਾਂ ਅੱਗੇ ਰੋਸ ਪ੍ਰਦਰਸ਼ਨ ਕਰਕੇ ਮੰਗ ਪੱਤਰ ਦੇਣ ਦੇ ਸੱਦੇ ਤਹਿਤ ਅੱਜ ਡੀ.ਸੀ. ਬਠਿੰਡਾ ਨੂੰ ਮੰਗ ਪੱਤਰ ਦੇਣ ਲਈ ਇਕੱਤਰ ਹੋਣ ਆ ਰਹੇ ਵੱਖੋ ਵੱਖਰੀਆਂ ਜਥੇਬੰਦੀਆਂ ਦੇ ਸੈਂਕੜੇ ਕਿਸਾਨ, ਮਜ਼ਦੂਰ, ਮੁਲਾਜ਼ਮ, ਨੌਜਵਾਨ ਤੇ ਔਰਤ ਕਾਰਕੁੰਨਾਂ ਨੂੰ ਬਠਿੰਡਾ ਪੁਲਸ ਵੱਲੋਂ ਗ੍ਰਿਫ਼ਤਾਰ ਕੀਤਾ ਗਿਆ ਹੈ।

    ਪ੍ਰੈੱਸ ਦੇ ਨਾਮ ਬਿਆਨ ਜਾਰੀ ਕਰਦੇ ਹੋਏ ਅੱਜ ਨੌਜਵਾਨ ਭਾਰਤ ਸਭਾ ਦੇ ਸੂਬਾ ਕਮੇਟੀ ਮੈਂਬਰ ਸੁਮੀਤ ਤੇ ਅਸ਼ਵਨੀ ਕੁਮਾਰ ਨੇ ਦੱਸਿਆ ਕੇ ਨੌਜਵਾਨ ਭਾਰਤ ਸਭਾ ਦੇ ਕਾਰਕੁੰਨਾਂ ਸਮੇਤ ਲਗਭਗ ਦੋ ਢਾਈ ਸੌ ਦੇ ਕਰੀਬ ਕਾਰਕੁੰਨ ਗ੍ਰਿਫ਼ਤਾਰ ਕੀਤੇ ਗਏ ਹਨ। ਜਿਨਾਂ ਵਿੱਚ 150 ਦੇ ਕਰੀਬ ਸ਼ਹਿਰ ਨੇੜਲੇ ਪਿੰਡ ਭੁੱਚੋ ਖੁਰਦ, 60 ਦੇ ਕਰੀਬ ਬਠਿੰਡਾ ਸ਼ਹਿਰ ਵਿੱਚੋਂ ਤੇ 10 ਦੇ ਕਰੀਬ ਜੱਸੀ ਪੌ ਵਾਲੀ ਕੋਲੋਂ ਗ੍ਰਿਫਤਾਰ ਕੀਤੇ ਗਏ ਹਨ। ਗ੍ਰਿਫਤਾਰ ਕੀਤੇ ਗਏ ਕਾਰਕੁੰਨਾਂ ਵਿੱਚ 30 ਦੇ ਕਰੀਬ ਔਰਤਾਂ ਵੀ ਸ਼ਾਮਲ ਹਨ। 50 ਦੇ ਕਰੀਬ ਸੰਘਰਸ਼ੀਲ ਕਾਰਕੁੰਨਾਂ ਦੇ ਕਾਫ਼ਲੇ ਵੱਲੋਂ ਪਾਵਰ ਹਾਊਸ ਰੋਡ 'ਤੇ ਰੋਸ ਮਾਰਚ ਕਰਦੇ ਹੋਏ ਡੀ.ਸੀ. ਦਫ਼ਤਰ ਵੱਲ ਵਧਿਆ ਗਿਆ ਤੇ ਪੰਜਾਬ ਸਰਕਾਰ ਖਿਲਾਫ਼ ਜੋਰਦਾਰ ਨਾਅਰੇਬਾਜ਼ੀ ਕਰਦੇ ਹੋਏ ਗ੍ਰਿਫ਼ਤਾਰੀਆਂ ਦਿੱਤੀਆਂ ਗਈਆਂ।

    ਆਗੂਆਂ ਨੇ ਪ੍ਰੈੱਸ ਨੂੰ ਜਾਣਕਾਰੀ ਦਿੰਦੇ ਹੋਏ ਦੱਸਿਆ ਕਿ ਸੱਦੇ ਅਨੁਸਾਰ ਅੱਜ ਸਮੁੱਚੀਆਂ ਜਥੇਬੰਦੀਆਂ ਦੇ ਕਾਰਕੁੰਨਾਂ ਨੇ ਬਠਿੰਡਾ ਦਾਣਾ ਮੰਡੀ ਵਿੱਚ ਇਕੱਠੇ ਹੋਣਾ ਸੀ। ਇੱਥੇ ਕਾਨਫਰੰਸ ਕਰਨ ਤੋਂ ਬਾਅਦ ਦਾਣਾ ਮੰਡੀ ਤੋਂ ਚੱਲ ਕੇ ਸ਼ਾਂਤਮਈ ਰੋਸ ਪ੍ਰਦਰਸ਼ਨ ਕਰਦੇ ਹੋਏ ਡੀ.ਸੀ. ਬਠਿੰਡਾ ਨੂੰ ਮੰਗ ਪੱਤਰ ਸੌਂਪਣਾ ਸੀ। ਪਰ ਸੰਘਰਸ਼ਾਂ ਪ੍ਰਤੀ ਸਿਰੇ ਦਾ ਜ਼ਾਬਰ ਰਵੱਈਆ ਅਖ਼ਤਿਆਰ ਕਰਕੇ ਬੈਠੀ ਪੰਜਾਬ ਦੀ ਹਕੂਮਤ ਨੂੰ ਇਹ ਗੱਲ ਵੀ ਹਜ਼ਮ ਨਾ ਆਈ ਬਠਿੰਡਾ ਪੁਲਸ ਪ੍ਰਸ਼ਾਸਨ ਵੱਲੋਂ ਬਿਨਾਂ ਕਿਸੇ ਉਕਸਾਹਟ ਦੇ ਦਾਣਾ ਮੰਡੀ ਨੂੰ ਸਵੇਰੇ ਹੀ ਪੁਲਸ ਛਾਉਣ ਵਿੱਚ ਬਦਲ ਦਿੱਤਾ ਗਿਆ। ਸਵੇਰੇ ਸਵੱਖਤੇ ਪੰਡਾਲ ਵਿੱਚ ਪਹੁੰਚੇ 20 ਦੇ ਕਰੀਬ ਆਗੂਆਂ ਤੇ ਕਾਰਕੁੰਨਾਂ ਨੂੰ ਸ਼ਹਿ ਲਾ ਕੇ ਬੈਠੇ ਕਮਾਂਡੋਆਂ ਨੇ ਗ੍ਰਿਫ਼ਤਾਰ ਕਰ ਲਿਆ। ਇਥੋਂ ਗ੍ਰਿਫਤਾਰ ਹੋਏ ਮੁੱਖ ਆਗੂਆਂ ਵਿੱਚ ਦਿਹਾਤੀ ਮਜ਼ਦੂਰ ਸਭਾ ਦੇ ਸੂਬਾ ਕਮੇਟੀ ਮੈਂਬਰ ਮਹੀਪਾਲ, ਜਮਹੂਰੀ ਅਧਿਕਾਰ ਸਭਾ ਦੇ ਪ੍ਰਿਤਪਾਲ ਸਿੰਘ, ਭਾਰਤੀ ਕਿਸਾਨ ਯੂਨੀਅਨ (ਉਗਰਾਹਾਂ) ਦੇ ਦਰਸ਼ਨ ਮਾਈਸਰਖਾਨ, ਨੌਜਵਾਨ ਭਾਰਤ ਸਭਾ ਦੇ ਅਮਰਜੀਤ ਭੁੱਚੋ ਖੁਰਦ ਆਦਿ ਸ਼ਾਮਲ ਹਨ।

    ਸ਼ਹਿਰ ਵੱਲ ਆ ਰਹੇ ਕਿਸਾਨਾਂ ਮਜ਼ਦੂਰਾਂ ਦੇ 150 ਦੇ ਲਗਭਗ ਕਾਫ਼ਲੇ ਨੂੰ 9 ਕਿ.ਮੀ. ਦੂਰ ਭੁੱਚੋ ਖੁਰਦ ਵਿਖੇ ਗ੍ਰਿਫਤਾਰ ਕਰ ਲਿਆ ਗਿਆ। ਇਸ ਕਾਫ਼ਲੇ ਵਿੱਚ ਬੀ.ਕੇ.ਯੂ ਉਗਰਾਹਾਂ ਦੀ ਆਗੂ ਪਰਮਜੀਤ ਕੌਰ ਪਿੱਥੋ, ਕਰਮਜੀਤ ਲਹਿਰਾ ਖਾਨਾ, ਹਰਪ੍ਰੀਤ ਕੌਰ ਜੇਠੂਕ ਆਦਿ ਆਗੂ ਸ਼ਾਮਲ ਸਨ। ਏਸੇ ਦੌਰਾਨ ਸ਼ਹਿਰ ਇਕੱਠ ਦਾ ਸਥਾਨ ਬਦਲ ਕੇ ਬਾਕੀ ਬਚੇ ਕਾਰਕੁੰਨ ਪਾਵਰ ਹਾਊਸ ਰੋਡ ਵਿਖੇ ਇਕੱਠੇ ਹੋਏ ਤੇ ਇਹਨਾਂ ਕਾਰਕੁੰਨਾਂ ਨੇ ਨਾਅਰੇ ਮਾਰਦੇ ਹੋਏ ਪਾਵਰ ਹਾਊਸ ਰੋਡ ਤੇ ਰੋਸ ਮਾਰਚ ਕੀਤਾ ਤੇ ਗ੍ਰਿਫ਼ਤਾਰੀਆਂ ਦਿੱਤੀਆਂ। ਇਨਾਂ ਵਿੱਚ ਨੌਜਵਾਨ ਭਾਰਤ ਸਭਾ ਦੇ ਸੂਬਾ ਜਥੇਬੰਦਕ ਸਕੱਤਰ ਪਾਵੇਲ ਕੁੱਸਾ, ਬਲਕਰਨ ਸਿੰਘ, ਜਸਕਰਨ ਸਿੰਘ ਕੋਟਗੁਰੂ, ਕੁਲਵਿੰਦਰ ਸਿੰਘ ਚੁੱਘਾ ਤੋਂ ਇਲਾਵਾ ਭਾਰਤੀ ਕਿਸਾਨ ਯੂਨੀਅਨ (ਉਗਰਾਹਾਂ) ਦੇ ਬਾਬੂ ਸਿੰਘ ਜੈ ਸਿੰਘ ਵਾਲਾ, ਕੁਲਵੰਤ ਸਿੰਘ ਰਾਏ ਕੇ ਕਲਾਂ, ਸੁਖਜੀਵਨ ਮਹਿਮਾ ਭਗਵਾਨਾ, ਸੁਖਪ੍ਰੀਤ ਕੌਰ ਮਹਿਮਾ, ਬੇਅੰਤ ਕੌਰ ਸਿਵੀਆਂ ਤੇ ਜਮਹੂਰੀ ਕਿਸਾਨ ਸਭਾ ਦੇ ਦਰਸ਼ਨ ਸਿੰਘ ਫੁੱਲੋ ਮਿੱਠੀ ਆਦਿ ਆਗੂ ਸ਼ਾਮਲ ਹਨ।

    ਇੱਕ ਵੱਖਰੀ ਜਾਣਕਾਰੀ ਦਿੰਦੇ ਹੋਏ ਉਨਾਂ ਨੇ ਦੱਸਿਆ ਕਿ ਕੇਂਦਰੀ ਜੇਲ ਬਠਿੰਡਾ ਵਿੱਚ ਕੈਦ ਭਾਰਤੀ ਕਿਸਾਨ ਯੂਨੀਅਨ ਏਕਤਾ (ਉਗਾਰਾਹਾਂ), ਪੰਜਾਬ ਖੇਤ ਮਜ਼ਦੂਰ ਯੂਨੀਅਨ ਤੇ ਪੀ.ਆਰ.ਟੀ. ਸੀ. ਵਰਕਰਜ਼ ਯੂਨੀਅਨ (ਆਜ਼ਾਦ) ਪੰਜਾਬ ਦੇ ਕਾਰਕੁਨਾਂ ਨੇ ਵੀ ਕਾਲ਼ੇ ਕਾਨੂੰਨ ਖਿਲਾਫ਼ ਜ਼ੇਲ ਦੇ ਅੰਦਰ ਇਕੱਠ ਕੀਤੇ ਤੇ ਰੋਸ ਮੁਜ਼ਾਹਰਾ ਕੀਤਾ ਤੇ ਸੰਘਰਸ਼ਾਂ ਦੀ ਆਵਾਜ਼ ਦਬਾਉਣ ਵਾਲੀ ਪੰਜਾਬ ਸਰਕਾਰ ਖਿਲਾਫ਼ ਜੋਰਦਾਰ ਨਾਅਰੇਬਾਜ਼ੀ ਕਰਦੇ ਹੋਏ ਇਸ ਕਾਨੂੰਨ ਨੂੰ ਵਾਪਸ ਲੈਣ ਦੀ ਮੰਗ ਕੀਤੀ।

    ਨੌਜਵਾਨ ਭਾਰਤ ਸਭਾ ਦੇ ਆਗੂਆਂ ਨੇ ਪੰਜਾਬ ਦੀ ਹਕੂਮਤ ਦੇ ਰਵੱਈਏ ਦੀ ਸਖ਼ਤ ਸ਼ਬਦਾਂ ਵਿੱਚ ਨਿਖੇਧੀ ਕਰਦੇ ਹੋਏ ਕਿਹਾ ਕਿ ਪੰਥ ਦੇ ਨਾਮ ਦੇ ਮੋਰਚੇ ਲਾਉਣ ਦੇ ਦਾਅਵੇ ਕਰਨ ਵਾਲੀ ਹਕੂਮਤੀ ਪਾਰਟੀ ਆਮ ਲੋਕਾਂ ਦੀ ਗੱਲ ਸੁਣਨ ਲਈ ਵੀ ਤਿਆਰ ਨਹੀਂ ਹੈ ਤੇ ਮੰਗ ਪੱਤਰ ਫੜਨ ਦੀ ਬਜਾਏ ਸੰਘਰਸ਼ਸ਼ੀਲ ਲੋਕਾਂ ਨੂੰ ਚੁੱਕ ਕੇ ਜੇਲਾਂ ਥਾਣਿਆਂ ਵਿੱਚ ਸੁੱਟ ਰਹੀ ਹੈ। ਅਜ ਦੇ ਵਿਹਾਰ ਨੇ ਅਕਾਲੀ ਹਕੂਮਤ ਦਾ ਗੈਰ-ਜਮਹੂਰੀ ਤੇ ਧੱਕੜ ਰਵੱਈਆ ਇੱਕ ਵਾਰ ਫਿਰ ਨੰਗਾ ਕਰ ਦਿੱਤਾ ਹੈ। ਪਰ ਉਨਾਂ ਕਿਹਾ ਕਿ ਹਕੂਮਤੀ ਫਤੂਰ ਵਿੱਚ ਨਸ਼ਿਆਈ ਬਾਦਲ ਸਰਕਾਰ ਨੂੰ ਭੁਲੇਖਾ ਹੈ ਕਿ ਲੋਕਾਂ ਦੇ ਸੰਘਰਸ਼ਾਂ ਨੂੰ ਜੇਲਾਂ, ਥਾਣਿਆਂ ਤੇ ਹਕੂਮਤੀ ਜ਼ਬਰ ਦੇ ਸਿਰ 'ਤੇ ਦਬਾ ਕੇ ਉਹ ਆਪਣੀ ਲੁੱਟ ਦਾ ਕੁਹਾੜਾ ਬੇਰੋਕ ਵਾਹ ਸਕਣਗੇ। ਨਾ ਹੀ ਅਜਿਹਾ ਕਰਕੇ ਉਹ ਬਠਿੰਡਾ ਸ਼ਹਿਰ ਅੰਦਰ ਸੰਘਰਸ਼ ਗੂੰਜਾਂ ਉੱਠਣੋਂ ਰੋਕ ਸਕਦੇ ਹਨ। ਉਨਾਂ ਕਿਹਾ ਕਿ ਹਕੂਮਤ ਦਾ ਇਹ ਰਵੱਈਆ ਕਾਲੇ ਕਾਨੂੰਨ ਵਿਰੋਧੀ ਸੰਘਰਸ਼ ਨੂੰ ਹੋਰ ਵੀ ਤੇਜ਼ ਕਰੇਗਾ।

    ਵੱਲੋਂ ਨੌਜਵਾਨ ਭਾਰਤ ਸਭਾ
    ਅਸ਼ਵਨੀ ਕੁਮਾਰ (95010-57052)
    ਸੁਮੀਤ (9417024641
    Viewing all 6050 articles
    Browse latest View live