Quantcast
Channel: My story Troubled Galaxy Destroyed dreams
Viewing all 6050 articles
Browse latest View live

On Saradha Scam Mamata cries CBI-BJB nexus and remains Mum as Protests Against Her Grow Louder! I am least bothered with political equations.For me, the scam itself is all about financial management of India.It is all about day light robbery by politically protected free market forces,listed unlisted companies blooming with economic reforms and hindutva.Writing in English so that the Geo politics unit should be communicated. সারদার টাকায় জামায়াতের নাশকতা মমতার সাংসদের মাধ্যমে দফায় দফায় বিপুল পরিমাণ অর্থ সন্ত্রাসের জন্য Palash Biswas

$
0
0

On Saradha Scam Mamata cries CBI-BJB nexus and remains Mum as Protests Against Her Grow Louder!

I am least bothered with political equations.For me, the scam itself is all about financial management of India.It is all about day light robbery by politically protected free market forces,listed unlisted companies blooming with economic reforms and hindutva.Writing in English so that the Geo politics unit should be communicated.

সারদার টাকায় জামায়াতের নাশকতা

মমতার সাংসদের মাধ্যমে দফায় দফায় বিপুল পরিমাণ অর্থ সন্ত্রাসের জন্য


Palash Biswas

আজকালের প্রতিবেদন: কে কী বলল, সমালোচনা করল, সেদিকে কান না দিয়ে নিজের কাজে বিশ্বাস ও ভরসা রাখার কথা বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি৷‌ বৃহস্পতিবার নজরুল মঞ্চে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'আসল হচ্ছে নৈতিকতা৷‌ নিজের ওপর ভরসা রাখতে হবে৷‌ নৈতিক চরিত্র গঠন করতে হবে৷‌ আয়নায় অন্যের মুখ দেখে লাভ নেই৷‌ নিজের মুখ দেখতে হবে৷‌ কে কী বলল, সমালোচনা করল তাতে কিছু এসে যায় না (হার্ডলি ম্যাটার)৷‌ নিজের কাজে বিশ্বাস রাখতে হবে৷‌ নিজের ওপরও ভরসা এবং বিশ্বাস রাখতে হবে৷‌'স্বামী বিবেকানন্দের শিকাগো বক্তৃতার ১২১ বছর উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে রামকৃষ্ণ ইনস্টিটিউট অফ কালচার৷‌ এই অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে স্বামীজির জীবনদর্শনের কথাও উল্লেখ করেন৷‌ বলেন, 'একতাই বল৷‌ কোনও ভাগাভাগি নয়, কুসংস্কার নয়, সাম্প্রদায়িকতা নয়৷‌ আমরা সবাই সবার জন্য (উই আর ফর অল)৷‌ স্বামীজি বারবারই একতার ওপর জোর দিয়েছেন৷‌'মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'স্বামীজির আর্দশে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশ গড়ার কাজে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে৷‌ ধ্বংস নয়, আমাদের সৃষ্টির দিকে থাকতে হবে৷‌'এদিন মুখ্যমন্ত্রী স্বামীজির মূর্তি দিয়ে সাজানো একটি রথের উদ্বোধন করে৷‌ আয়োজকদের তরফে তাঁকে বই উপহার দেওয়া হয়৷‌

নজরে সাংসদের মৌলবাদী যোগ,জামাতের সন্ত্রাসেও সারদার টাকা  

সে দেশের গোয়েন্দা সংস্থার দাবি, বাংলাদেশে অস্থিরতা তৈরি করতে কাজে লাগানো হয়েছে সারদার কোটি কোটি টাকা। আর তার সঙ্গে জড়িত তৃণমূল সাংসদ আহমেদ হাসান ইমরান। ...  আরও»


সারদাকাণ্ডে গ্রেফতার অসমের গায়ক সদানন্দ গগৈ

Last Updated: Friday, September 12, 2014 - 19:54

সারদাকাণ্ডে গ্রেফতার অসমের গায়ক সদানন্দ গগৈ


কলকাতা: সারদা কেলেঙ্কারির তদন্তে অসমের প্রখ্যাত গায়ক এবং অ্যাড ফিল্ম মেকার সদানন্দ গগৈকে গ্রেফতার করল সিবিআই। সদানন্দ গগৈ সারদার জন্য একটি প্রমোশনাল অ্যাডফিল্ম বানাতে সুদীপ্ত সেনের থেকে চার কোটি টাকা নিয়েছিলেন। সেই টাকার অনেকটাই তিনি তছরুপ করেন বলে অভিযোগ। এছাড়াও সদানন্দ গগৈ অসমের প্রাক্তন মন্ত্রী ও প্রখ্যাত রাজনীতিক হিমন্ত বিশ্বশর্মার ঘনিষ্ঠ। হিমন্ত বিশ্বশর্মা তাঁর কাছ থেকে চাপ দিয়ে টাকা আদায় করেছিলেন বলে অভিযোগ সুদীপ্ত সেনের।

এতেও সদানন্দ গগৈয়ের বড় ভূমিকা ছিল বলে অভিযোগ। সদানন্দ গগৈকে আর্থিক তছরুপ এবং ষড়যন্ত্রের অভিযোগে গ্রেফতার করেছে পুলিস। আগামিকাল তাঁকে আলিপুর আদালতে পেশ করা হবে।

তৃণমূল নেতাদের শাস্তি দাবিতে সোচ্চার বাম জোট ও কংগ্রেস

সারদা কেলেঙ্কারি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকার এবং শাসক দল যখন কোণঠাসা ঠিক সেই সময় প্রতারিত আমানতকারীদের নিয়ে আবার আন্দোলনে নামলেন বিরোধীরা। প্রতারিতদের নিয়ে নতুন উদ্যমে রাজপথে দেখা গেল সিপিএম ও কংগ্রেস নেতাদের। সঙ্গে ছোট দলের নেতারাও ছিলেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে কলকাতায় কলেজ স্কয়ার থেকে রানী রাসমণি এ্যাভিনিউ পর্যন্ত মিছিলে জনতার ভিড় উপচে পড়ে। 'চিটফান্ড সাফারার্স ইউনিটি ফোরাম'নামে মঞ্চের ডাকে এই মিছিল শুরু হয়। আমানতকারীদের টাকা ফেরতে দেয়ার দাবিতে বিভিন্ন সময় সরব হলেও ভুক্তভোগীদের এতবড় জমায়েত এর আগে হয়নি। কেবল টাকা ফেরতের দাবি জানিয়েই ওই মঞ্চের নেতারা থেমে থাকেননি বরং সারদা কেলেঙ্কারিতে জড়িত রাজনৈতিক ব্যক্তিদের শাস্তি দাবি করেন। শুধু সারদা কেলেঙ্কারি নিয়েই নয়, অন্য সব বেআইনী অর্থলগ্নি সংস্থার বিরুদ্ধেও তদন্ত করার দাবি জানান তারা। পূজার পরে বৃহত্তর আন্দোলনের হুমকিও দেয়া হয়। সারদা কেলেঙ্কারি প্রকাশিত হবার পরে বিভিন্ন বেআইনী অর্থলগ্নি সংস্থার প্রতারিত আমানতকারীরাও একজোট হন। তারা টাকা ফেরতে দেয়ার দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন। -আনন্দবাজার পত্রিকা

দৈনিক জনকন্ঠের প্রতিবেদন

সারদার টাকায় জামায়াতের নাশকতা

মমতার সাংসদের মাধ্যমে দফায় দফায় বিপুল পরিমাণ অর্থ আসে

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি করতে ভারতের সারদা গ্রুপ জামায়াতে ইসলামীকে কোটি কোটি টাকা দিয়েছে এমন দাবি করা হয়েছে ভারতের শীর্ষ বাংলা দৈনিক আনন্দবাজার-এ। শুক্রবার পত্রিকাটিতে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, এর সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল সাংসদ আহমেদ হাসান ইমরান জড়িত। সরকারিভাবে এ ঘটনার তদন্ত চেয়ে জামায়াতের রাজশাহীর আমির আতাউর রহমানকে গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন রাজশাহীর সংসদ সদস্য ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা ও সাতক্ষীরার সংসদ সদস্য মুস্তাফা লুৎফুল্লাহ। ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, 'গত সপ্তাহে যমুনা টেলিভিশনের টকশোতে রাজশাহী জামায়াতের আমির আতাউর রহমান বলেছেন, ভারতের কিছু রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ আছে।'এর মাধ্যমে আনন্দবাজারে শুক্রবার প্রকাশিত সংবাদের সত্যতা নিশ্চিত হয় বলে মনে করেন ফজলে হোসেন বাদশা এমপি। তিনি বলেন, তৃণমূল নেত্রী মমতার বিরোধিতার কারণে ভারতের সঙ্গে তিস্তা চুক্তি এবং সীমান্ত চুক্তি থেমে আছে। এ ঘটনার সঠিক তদন্ত করে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধী শক্তির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ভারত এবং বাংলাদেশে ব্যবস্থা নিলে তিস্তা চুক্তি এবং সীমান্ত চুক্তি সম্পাদিত হবে। ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রীর সম্পর্কের মধ্যে বিরাজমান সঙ্কট কেটে যাবে।

ফজলে হোসেন বাদশা জনকণ্ঠকে বলেন, ভারত বাংলাদেশ পরীক্ষিত সম্পর্ক। এ দেশে ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীকে নির্মূল করতে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি শাসিত সরকার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে ভারতের কোন রাজনৈতিক দল বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তিকে অস্ত্র এবং টাকা দিয়ে সহযোগিতা করে যাবে- এটা কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না। তিনি সংসদে তার প্রতিবাদ উপস্থাপন করবেন জানিয়ে বলেন, রাষ্ট্রীয়ভাবে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ভারত সরকারের কাছে এর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানাতে হবে। মনে করেন পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূলের অনেক সাংসদ এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত।'

তিনি জানান, ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে সাতক্ষীরা থেকে জয়পুরহাট পর্যন্ত সীমান্তপথে প্রচুর অস্ত্র এবং গানপাউডার আনার তথ্য তারা নিশ্চিত হন। তিনি বলেন, তখন আমাদের সন্দেহ হয়, সীমান্তের ওপার থেকে কেউ না কেউ জামায়াতকে মদদ দিচ্ছে। এর পর কানসাটে গানপাউডার দিয়ে হামলা হলো, রাজশাহীর ট্রেন পুড়িয়ে দেয়া হলো। এ সব নাশকতার ঘটনা প্রমাণ করে সারদার দুর্নীতির টাকা বাংলাদেশে এসেছে। আর এই দুর্নীতির টাকা পেয়ে বিএনপির মদদে জামায়াত একের পর এক নাশকতা করে যাচ্ছে। আগামীতে জামায়াতের আরও ভয়াবহ হামলা করার আশঙ্কা রয়েছে বলে মনে করেন ফজলে হোসেন বাদশা এমপি। তিনি বলেন, বিএনপি এ ঘটনায় তাদের সম্পৃক্ততা অস্বীকার করতে চাইলে জামায়াতের বিরুদ্ধে তাদের অবস্থান প্রকাশ্যে জানাতে হবে।

বাংলাদেশের গোয়েন্দা প্রতিবেদন উদ্ধৃত করে পত্রিকাটিতে বলা হয়েছে, ২০১২-১৩ সালে ইমরানের মাধ্যমে ভারত থেকে দফায় দফায় বিপুল পরিমাণ অর্থ পৌঁছেছে জামায়াতে ইসলামী ও তাদের বিভিন্ন শাখা সংগঠনের হাতে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার জামায়াতের প্রথম সারির নেতাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের মামলা শুরুর পর বাংলাদেশে দাঙ্গা, নাশকতা ও সন্ত্রাস শুরু করেছিল মৌলবাদীরা। সরকার জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার হুঁশিয়ারি দিলে 'হেফাজতে ইসলাম'নামে বকলমে নাম সর্বস্ব আরও একটি মৌলবাদী সংগঠন গজিয়ে ওঠে। তারা ঢাকা অবরোধ করে সরকার ফেলার ষড়যন্ত্র করেছিল।

গোয়েন্দা সূত্র অনুসারে, সেই কাজে ইন্ধন জোগাতেই এই বিপুল পরিমাণ অর্থ বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছিল। যার একটা বড় অংশ সারদা অর্থলগ্নি সংস্থার। ঢাকার অভিযোগের সত্যতা নয়াদিল্লী পেয়েছে, যার ভিত্তি ভারতের গোয়েন্দা প্রতিবেদন।

বাংলাদেশের গোয়েন্দা প্রতিবেদনে ইমরানের মাধ্যমে অর্থের পাশাপাশি আগ্নেয়াস্ত্র ও বিস্ফোরকের কয়েকটি চালানও ভারত থেকে জামায়াতের হাতে দেয়া হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়। আনন্দবাজার জানায়, ভারতের তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ ইমরান তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, জামায়াতের সঙ্গে তাঁর কোন সম্পর্ক নেই।

আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের গোয়েন্দা প্রতিবেদন অনুযায়ী, সারদার বেশকিছু এ্যাম্বুলেন্সে কাঁচা টাকার বান্ডিল ভরে তা নিয়ে যাওয়া হতো বনগাঁ, বসিরহাট, নদিয়া, মালদহ, বালুরঘাট ও কোচবিহারের সীমান্ত সংলগ্ন অঞ্চলে। পরে তা বাংলাদেশী টাকা, ডলার বা ইউরোতে পরিবর্তন করে জামায়াতের এজেন্টদের হাতে তুলে দেয়া হয়। তৃণমূলের সাসপেন্ড হওয়া সাংসদ কুণাল ঘোষও ইডিকে লেখা চিঠিতে সারদার এ্যাম্বুলেন্সে করে বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামীর কাছে টাকার বান্ডিল চালান যাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন। এছাড়া হাওয়ালা ও হুন্ডির মাধ্যমেও গেছে সারদার টাকা। বাংলাদেশের গোয়েন্দা রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, জামায়াত পরিচালিত বেশকিছু হাসপাতাল, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে বেনামে লগ্নিও করেছে সারদা। সেই অর্থও কার্যত জামায়াতের 'জ্বালাও-পোড়াও আন্দোলনে'খরচ হয়েছে।

'পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা ভোটের আগে থেকেই বাংলাদেশের জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের কিছু উর্দুভাষী নেতার দহরম মহরম শুরু হয়। ২০১১ সালের ভোটে সীমান্ত এলাকায় জামায়াতকর্মীরা তৃণমূলের হয়ে কাজ করে। সে সময়ে তৃণমূলকে অর্থেরও যোগান দিয়েছিল জামায়াতে ইসলামী।

গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেই সুসম্পর্ক থেকেই পরবর্তীকালে জামায়াতকে তৃণমূল শুধু পাল্টা সাহায্যই করেনি, তিস্তা চুক্তি ও স্থলসীমান্ত চুক্তি আটকে দিয়ে বাংলাদেশ সরকারকেও বিপদে ফেলার চেষ্টা করে।

বাংলাদেশ সংক্রান্ত নীতির বিষয়ে মমতা বরাবর জামায়াতের সঙ্গে নিত্য যোগাযোগ রাখা উর্দুভাষী নেতাদের মতামতই মেনে চলেছেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে।

এ সব কর্মকাণ্ডের প্রেক্ষিতে প্রাক্তন সিমি নেতা, বর্তমান তৃণমূল সাংসদ ইমরানকে নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি।

দলের কেন্দ্রীয় নেতা সিদ্ধার্থনাথ সিংহ আনন্দবাজারকে বলেন, সিমিকে নিষিদ্ধ করার সময়ে মমতা কেন্দ্রে মন্ত্রী ছিলেন। তিনি সবই জানতেন। তারপরও কেন তিনি ইমরানকে রাজ্যসভায় পাঠালেন?

তার দাবি, জামায়াতের সঙ্গে বোঝাপড়া করেই তৃণমূল নেত্রী এই প্রার্থী বাছাই করেছেন। মমতার এই কাজকে 'দেশদ্রোহ'বলে মন্তব্য করে ওই বিজেপি নেতার অভিযোগ, একজন মুখ্যমন্ত্রীর এমন কাজের জন্য রাজ্যে জঙ্গী ও দুষ্কৃতকারীরা সীমান্ত পেরিয়ে ঢুকছে। নাগরিকদের নিরাপত্তা বিপন্ন হচ্ছে।

সারদা মামলায় প্রভাবশালীরা বাইরে, বোঝাতে পার্থর বিরুদ্ধে কোর্টে 'নথি'পেশ কুণালের

রাজর্ষি দত্তগুপ্ত, এবিপি আনন্দ

Friday, 12 September 2014 05:57 PM

কলকাতা: সারদা মামলায় তৃণমূলের সাসপেন্ডেড সাংসদ কুণাল ঘোষের নিশানায় মুখ্যমন্ত্রীর পর এবার শিক্ষামন্ত্রী। জেলের বাইরে থাকা প্রভাবশালীরা প্রভাব খাটাচ্ছেন, এই দাবির স্বপক্ষে সওয়াল করতে গিয়ে শুক্রবার নগর দায়রা আদালতে, সারদাকাণ্ডে ধৃত কুণাল আঙুল তুললেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দিকে।

নিজের জামিনের আর্জি জানাতে গিয়ে কুণাল এদিন আদালতে বলেন, সিবিআই আমাকে প্রভাবশালী আখ্যা দিয়ে জেলবন্দি করে রাখতে চাইছে। কিন্তু, আমি তেমন প্রভাবশালী নই। একথা বলেই ২০১২ সালের দক্ষিণ কলকাতার একটি পুজো কমিটির একটি কার্ড বের করে বিচারকের দিকে বাড়িয়ে দেন তিনি। তাঁকে কুণাল বলেন, কার্ডটা দেখুন। কার্ডে সারিবদ্ধভাবে চিটফান্ড সংস্থার নাম রয়েছে। পুজোর কর্পোরেট পার্টনার হিসেবে তাদের দেখানো হয়েছে। পুজো কমিটির প্রধান পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি এখন শিক্ষামন্ত্রী।

সিবিআই আমাকে প্রভাবশালী বলে জেলবন্দি করে রাখতে চাইছে। অথচ, বাইরে প্রভাবশালীরা রয়েছেন, প্রভাব খাটাচ্ছেন। এসব সিবিআই দেখুক।

সারদা-মামলার সঙ্গে সম্পর্ক নেই, এমন অনেক তৃণমূলপন্থী আইনজীবী এদিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা কুণালের মন্তব্যের বিরোধিতায় রে রে করে ওঠেন। তাঁরা বলেন, রাজ্যের কোনও মন্ত্রীর নাম নেওয়া যাবে না। মামলা সম্পর্তিত বক্তব্য বলতে হবে। সিবিআইয়ের আইনজীবী এর বিরোধিতা করেন। শুরু হয়ে যায় বাদানুবাদ। সারদাকাণ্ডে ধৃত তৃণমূল নেতা রজত মজুমদার বৃহস্পতিবার আলিপুর আদালতে যে দাবি করেছিলেন, তা অসত্য বলেও এদিন পাল্টা দাবি করে কুণাল বলেন, তিনি মোটেই সিবিআইকে বলেননি যে, রজত মজুমদারের হাত দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ও মুকুল রায়ের কাছে টাকা পাঠাতেন সুদীপ্ত সেন।

কুণাল এদিন আবেদন জানান, তাঁকে যেন আর জেল হেফাজতে পাঠানো না হয়ষ প্রয়োজনে ফের সিবিআই হেফাজতে পাঠানো হোক। দু'পক্ষের বক্তব্য শুনে, বিচারক কুণাল ঘোষকে ১৮ তারিখ পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।

গত শনিবার  আদালতে উপস্থিত হয়ে কুণাল দাবি করেছিলেন, মুখ্যমন্ত্রী ও সুদীপ্ত সেনের সঙ্গে মুখোমুখি বসিয়ে তাঁকে জেরা করুক সিবিআই। এরপর সিবিআইয়ের অফিসে ঢোকার মুখেও ফের বোমা ফাটান তৃণমূলের সাসপেন্ডেড সাংসদ কুণাল। আঙুল তোলেন একেবারে মুখ্যমন্ত্রীর দিকে। বলেন, সারদা মিডিয়ার প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ সুবিধা যদি সব থেকে বেশি কারও কাছে পৌঁছে থাকে, তাহলে তাঁর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়!

কুণালের এই বিস্ফোরক মন্তব্য ঘিরে রাজ্য রাজনীতিতে ব্যাপক শোরগোল পড়ে যায়। তারপর থেকেই কুণাল যাতে মুখ না খুলতে পারে, তা নিশ্চিত করতে পুলিশ অতি তৎ‍পর বলে অভিযোগ বিরোধীদের। এদিনও কুণালকে নিরাপত্তার ঘেরাটোপে আদালতে পেশ করা হয়। আদালতকক্ষেও ছিল তৃণমূলপন্থী আইনজীবীদের ভিড়। কিন্তু, এরপরও কুণাল মুখ বন্ধ রাখেননি। এবার তিনি আঙুল তুললেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দিকে, যা বিরোধীদের হাতে নয়া অস্ত্র তুলে দিল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

মন্ত্রিসভার বৈঠকে নেই মদন,শ্যামাপদ, সারদাকাণ্ডের জেরে ডানা ছাঁটা গেল? জল্পনা

সুমন ঘরাই, এবিপি আনন্দ

Friday, 12 September 2014 04:41 PM

সারদা কেলেঙ্কারিতে সিবিআই তদন্ত ঘিরে রাজ্য রাজনীতিতে উত্তাপের মধ্যেই মন্ত্রিসভার বৈঠকে মদন মিত্র এবং শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের অনুপস্থিতি ঘিরে জল্পনা। বৈঠকে পরিবহণমন্ত্রী ও বস্ত্রমন্ত্রীর গরহাজিরার খবর ছড়িয়ে পড়তেই গুঞ্জন ছড়ায় নবান্নের অন্দরে। যদিও এ নিয়ে ফোনে যোগাযোগ করা হলে মদন মিত্রের দাবি, তিনি গড়িয়ায় কাজে গিয়েছিলেন। ফেরার পথে যাদবপুরে যানজটে আটকে পড়েন। পরিবহণমন্ত্রীর দাবি, বৈঠকের নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে যাওয়ায় তিনি নবান্নে না গিয়ে সিটিসির দফতরে বসেন। শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠমহলের তরফে জানানো হয়েছে, ভাইরাল ফিভার হওয়ায় মন্ত্রিসভার বৈঠকে আসতে পারেননি বস্ত্রমন্ত্রী।

দুপুর ২টোয় বৈঠক শুরু হয়। ৩৫ মিনিটের বৈঠকের পর দুই গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীর গরহাজিরার বিষয়টি এড়িয়ে যান শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুপস্থিতি নিয়ে দুই মন্ত্রীও কারণ খাড়া করেছেন। যদিও ঘটনাক্রম থেকে অন্য গন্ধ পাচ্ছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। কারণ ইতিমধ্যেই সারদা কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে গিয়েছে বস্ত্রমন্ত্রী ও পরিবহণমন্ত্রীর নাম। বাঁকুড়ায় বস্ত্রমন্ত্রীর মালিকানাধীন একটি  লোকসানে চলা সিমেন্ট কারখানা লাটে ওঠা সংস্থার সারদার কর্ণধার সুদীপ্ত সেনকে বিক্রয় করার জন্য এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-র জিজ্ঞাসাবাদের সম্মুখীণ হয়েছেন বস্ত্রমন্ত্রী শ্যামাপ্রসাদ। মদন মিত্রর প্রাক্তন সিএ বাপি করিমকে জেরা করেছে সিবিআই, গোয়েন্দা নজরে পরিবহণমন্ত্রীর আর এক ঘনিষ্ঠ প্রশান্ত প্রামাণিকও।

দলের অন্য নেতা, সাংসদদের জেরা-গ্রেফতারের পাশাপাশি, সারদাকাণ্ডে এই দুই মন্ত্রীর নাম জড়ানোয় অস্বস্তি বেড়েছে তৃণমূলের। প্রশ্ন উঠছে, সরকারের শীর্ষ মহল থেকে তাহলে কি বৈঠকে আসতে বারণ করা হয়েছে মদন ও শ্যামাপ্রসাদকে? সারদাকাণ্ডের জেরে কি তাহলে শুরু হল অভিযুক্ত মন্ত্রীদের ডানা ছাঁটা?

আনন্দবাজারের খবরঃ

জামাতের সন্ত্রাসেও সারদার টাকা

সারদার জল এ বার গড়াল বাংলাদেশেও। সে দেশের গোয়েন্দা সংস্থার দাবি, বাংলাদেশে অস্থিরতা তৈরি করতে কাজে লাগানো হয়েছে সারদার কোটি কোটি টাকা। আর তার সঙ্গে জড়িত তৃণমূল সাংসদ আহমেদ হাসান ইমরান। এ ব্যাপারে ভারতের কাছে সরকারি ভাবে অভিযোগও জানিয়েছে বাংলাদেশ। এই ঘটনার তদন্ত চেয়ে সরব হয়েছেন বাংলাদেশের জামাত-উপদ্রুত দুই এলাকা রাজশাহি ও সাতক্ষীরার দুই সাংসদ। যদিও ইমরান নিজে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, জামাতের সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই। কী বলা হয়েছে বাংলাদেশের গোয়েন্দা রিপোর্টে?

অনমিত্র চট্টোপাধ্যায়

১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

eee


নবান্নেও এসেছে সতর্কবার্তা, প্রশাসন অনড়ই

তৃণমূল সাংসদ আহমেদ হাসান ইমরানের সঙ্গে একাধিক মৌলবাদী সংগঠনের যোগাযোগ নিয়ে রিপোর্ট দিয়েছে ঢাকার ভারতীয় দূতাবাসও। দূতাবাস থেকে পাঠানো ওই রিপোর্টে ভারতে নিষিদ্ধ মৌলবাদী সংগঠন, স্টুডেন্টস ইসলামিক মুভমেন্ট অব ইন্ডিয়া বা সিমি-র সঙ্গেও ইমরানের যোগসূত্রের কথা বলা হয়েছে। ইমরান রাজ্যসভার সাংসদ নির্বাচিত হওয়ার ঠিক পরেই বাংলাদেশে ভারতীয় হাইকমিশনার পঙ্কজ সারন নয়াদিল্লিকে একটি 'ডশিয়ার'পাঠান। সেখানে বাংলাদেশের মাটিতে সক্রিয় ভারত-বিরোধী গোষ্ঠীগুলির সঙ্গে ইমরানের যোগাযোগের কথা ছিল।

জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়

১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

eee


জেলে বসে কুণাল ঘোষের লেখা

সারদা সংস্থার সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'স্বার্থের সম্পর্ক'নিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে ইতিমধ্যেই মুখ খুলেছেন কুণাল ঘোষ। তাঁর দাবি, মমতা 'সচেতনভাবে'সারদা মিডিয়া থেকে 'সবচেয়ে বেশি সুবিধা'নিয়েছেন। তদন্তকারীদের হাতে থাকা তাঁর ৯১ পাতার লিখিত বয়ানেও আছে এই প্রসঙ্গের বিশদ বর্ণনা। মুখ্যমন্ত্রী মমতার একদা ঘনিষ্ঠ এবং সারদা কাণ্ডের জেরে বহিষ্কৃত তৃণমূল সাংসদ লিখেছেন, "মমতা ব্যানার্জির কাছাকাছি থেকেও তাঁর অন্যায় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে লড়াই কতটা কঠিন এবং চাপের, বাইরে থেকে বোঝা যাবে না।"

নিজস্ব সংবাদদাতা

১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

eee


কৌশলে নিলেন মমতা-মুকুলের নাম, সিবিআই হেফাজতে রজত

সারদার টাকা কে বা কারা নিয়েছেন, এ নিয়ে আদালতে কেউই তাঁকে কোনও প্রশ্ন করেনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা মুকুল রায়ের নামও ওঠেনি। কিন্তু তিনি নিজে থেকেই আগ বাড়িয়ে সারদার লেনদেনের সঙ্গে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক মুকুল রায়ের নামটা জড়িয়ে দিলেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

eee


রোগের দেখা নাই, হাসপাতাল ছুটি দিল রজতকে

শেষরক্ষা হল না! বৃহস্পতিবার দুপুরে নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে ছুটি নিতেই হল রজত মজুমদারকে। যদিও বুধবার রাতে অসুস্থতা আরও বেড়েছে বলে দাবি করেছিলেন তিনি। এ দিন সকালে ডাক্তারদের উদ্দেশে তাঁর কাতর অনুরোধ ছিল, "শরীর খুব খারাপ। আমাকে দয়া করে ছুটি দেবেন না।"

নিজস্ব সংবাদদাতা

১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

eee


বিবেক ঢালেই বিরোধিতা সামাল মমতার

অনেকটাই এক বছর আগের বক্তৃতার 'অ্যাকশন রিপ্লে'। তবু স্বামী বিবেকানন্দের শিকাগো বক্তৃতার উদ্যাপন-মঞ্চে ফের তাঁকে ঢাল করেই সমালোচকদের জবাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রামকৃষ্ণ মিশনের ইনস্টিটিউট অব কালচার আয়োজিত অনুষ্ঠানটিতে নিজেই আসতে আগ্রহী ছিলেন তিনি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

eee


শাসককে বাগে পেয়ে সুর চড়ল বিরোধীদের

সারদা-কাণ্ডে রাজ্য সরকার এবং শাসক দল যখন কোণঠাসা, সেই সময়ে প্রতারিত আমানতকারীদের নিয়ে একযোগে ফের ময়দানে নামলেন বিরোধীরা। প্রতারিতদের নিয়ে নতুন উদ্যমে রাজপথে দেখা গেল সিপিএম ও কংগ্রেস নেতাদের। সঙ্গে আরও কিছু ছোট দলের নেতারাও।

নিজস্ব সংবাদদাতা

১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

eee


তৃণমূলের বিক্ষোভ দেখে অবাক অসম-ওড়িশা

বাধা দিচ্ছে শুধু পশ্চিমবঙ্গ সরকার ও পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল। সারদা-সহ বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থাগুলির কেলেঙ্কারির তদন্তে নেমে সিবিআইকে অসম বা ওড়িশায় কোনও সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে না। পড়শি রাজ্যগুলির তুলনায় একেবারে বিপরীত মেরুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল ও তাঁর সরকার।

নিজস্ব প্রতিবেদন

১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

eee


চন্দ্রিমা, সোনালিরাও কি গণ্ডি ছাড়ালেন, প্রশ্ন ধর্নায়

সল্টলেকে সিজিও কমপ্লেক্সের মূল ফটক বন্ধ। সামনের রাস্তার উপরে বসে বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার সোনালি গুহ এবং রাজ্যের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত আইন প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য! তাঁদের নেতৃত্বে ধর্না-অবস্থান চালাচ্ছেন তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের শ'খানেক কর্মী-সমর্থক। পুলিশে ঘেরা জমায়েত থেকেই মাইকে বারবার সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে স্লোগান উঠছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

eee


ধর্না দিয়ে অস্বস্তিই বাড়াল তৃণমূল

চাপে পড়ে পাল্টা চাপ দেওয়ার চেষ্টা। আর তাতে উল্টে বেড়ে গেল আরও অস্বস্তি! রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সিবিআই কাজ করছে, এমন অভিযোগ তুলে বৃহস্পতিবার সল্টলেকে সিজিও কমপ্লেক্সের বাইরে ধর্না-অবস্থানে বসল, টানা স্লোগান দিল তৃণমূলের প্রমীলা বাহিনী! যার পুরোভাগে মহিলা তৃণমূলের রাজ্য সভানেত্রী এবং রাজ্যের আইনমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য! অবস্থানে সামিল ছিলেন বিধাননগর পুরসভার তৃণমূল চেয়ারপার্সন কৃষ্ণা চক্রবর্তীও।

নিজস্ব সংবাদদাতা

১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

eee


সারদার ভূত, বিজেপির তাড়ায় ছুটছে শাসক দল

অতৃপ্ত আত্মা আছে একাধিক! কিন্তু তারা প্রতিশোধ নেবে কি? অন্য ভূত যে ঘাড়ের উপরে চেপে বসেছে! শিখা মিত্র দান ছেড়ে দেবেন, অনেক দিন ধরেই ক্ষেত্র প্রস্তুত ছিল। ঝোপ বুঝে কোপ মারবেন ভেবে ঘুঁটি সাজাচ্ছিলেন শঙ্কুদেব পণ্ডা। শাসক দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়ের হাত মাথার উপরে ছিল। তৃণমূলের ছাত্র নেতা ভাবছিলেন, চৌরঙ্গি থেকেই বুক ফুলিয়ে সোজা বিধানসভায় পদার্পণ ঘটাবেন! কিন্তু সংসার-ধর্ম থেকে বেরিয়ে টিকিট নিয়ে চলে গেলেন নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়। ছাত্র সংগঠনের নানা কাজে বিব্রত তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে মুকুলও রক্ষা করতে পারলেন না ছাত্র নেতার স্বপ্ন!

রোশনী মুখোপাধ্যায়

১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

eee


Writing in English so that the Geopolitics unit should be communicated.


Mamata speak:And not 17 lakh but 12 lakh investors were duped in the Saradha scam. He should cross check his facts from his friends," Banerjee said. She went on to claim, "We from our government treasury had returned money to five lakh investors.


Saradha Scam in Bengal seems to be a political civil war as ruling TMC is trapped top to bottom and discredited Marxists may not return so soon. BJP is emerging as third alternative.It seems very interesting as daily exposure is covered with full details.

For me,it is nothing but the result of decontrolled,deregulated free open market under minimum governance which runs a systematic ponzi economy injected with free flow of black money in FDI mode.It is the exposure of great Indian growth story based onbull run.


I have been  covering the  day to day updates in Bengali inserting some English content. But it is crossing the borders.Bangladesh is involved as Saradha group is alleged to finance fundamental and terror network there to upset the apple cart of Hasin Wajed.It did vot succeed as Mamata succeeded to bring out the so called Parivartan killing the left and the project has been funded by Saradha group.Now,Mamata is dumping everyone exposed including her ministers in self defence and intensified her secular jihad against BJP and Modi.Her ministers are cying foul and trying their best to dismiss the case crying CBI BJP nexus.

I am least bothered with political equations.For me, the scam itself is all about financial management of India.It is all about day light robbery by politically protected free market forces,listed unlisted companies blooming with economic reforms and hindutva.


Thus, Trinamool Congress today alleged that there was a 'nexus' between BJP and CBI to malign the party and its chief Mamata Banerjee ahead of the Assembly by-polls in the state.Mind you,the Supreme Court had handed over the Saradha chit fund scam probe to CBI and asked the state governments to provide all logistical help to the CBI team investigating the matter. CBI has formed a Special Investigating Team (SIT) headed by Joint Director Rajeev Singh to also probe the role of Securities Exchange Board of India (SEBI) and RBI.

"There is a nexus and a conspiracy which is going on to malign Trinamool Congress and our party supremo Mamata Banerjee, who is the most honest leader of the country, before the by-polls," prominent TMC leader Partha Chatterjee said.

Chatterjee also alleged that the 'nexus' between the two was also aimed at 'politicising' the Saradha scam probe.

"The way things have been politicised by the CBI is a shame and a day will come when the truth will come out. If they are talking about chit fund then we also need an answer to the question about where the huge money that was spent during the BJP's election campaign came from," he said.

He said measures should be taken to return the money of all the duped investors who lost their money in various chit funds from 1980s.

Chatterjee's outburst came after state Congress president Adhir Chowdhury questioned the silence of Trinamool Congress leadership on the arrest of Rajat Majumdar in the Saradha Ponzi scam.

Chowdhury also said that days were not far off when several top TMC leaders would be arrested by the CBI in the Saradha case.

Hindustan Times reports:

Financial investigation agencies are probing whether a UAE-based financial firm linked to Trinamool Congress MP KD Singh was the destination of some of the funds raised from investors in the Saradha scam.

The ED and the Serious Fraud Investigation Office (SFIO) are understood to be looking at whether Saradha used the hawala route to siphon off funds collected from its depositors and park them at Al Masah Capital Ltd, an asset management firm where Singh was vice-chairman.

Sources in the Enforcement Directorate, which investigates foreign exchange violations and money laundering, said that Singh was likely to be examined soon.

"We are trying to tap all possible links of Saradha Group both nationally as well as overseas. During the course of our investigations on these lines, we tracked Saradha's links in the UAE and there the name of Al Masah surfaced. We are going into details in the probe regarding Saradha's tax-haven links," said an SFIO official.

Singh's office did not respond to repeated queries, but in an earlier conversation with HT, Singh had denied knowledge of any links between Saradha and Al Masah. He had said that he was offered the post of honorary vice-chairman of the UAE company for a year and had quit before entering the world of parliamentary politics.

The Saradha scam, caused by the collapse of a Ponzi scheme run by the Saradha group, a consortium of over 200 companies running a wide variety of collective investment schemes in mainly in West Bengal, Assam and Odisha. The group collapsed in April 2013, causing an estimated loss of about Rs. 10,000 crore to over 1.7 million depositors.

The Bengal government instituted an inquiry commission to probe the scam and set up a Rs. 500-crore fund to ensure that low-income investors got back some part of their investments. The Centre also launched a multi-agency probe.




Manideepa Banerjee writes for NDTV,"Gali gali may shor hai, Mamata Banerjee chor hai" (In every lane, they are saying Mamata Banerjee is a thief).


A year ago, even after the Saradha chit fund group collapsed, taking millions in depositors' hard-earned money with it, such a slogan against the West Bengal Chief Minister in Kolkata would have been considered as blasphemy. But now, Mamata Banerjee's image is taking a beating.


On Thursday, hundreds of agents and investors of several chit funds, including Saradha, shouted that slogan as they held a march in Kolkata. They have been watching one leader after another of the ruling Trinamool Congress, led by Ms Banerjee, being called by the Central Bureau of Investigation or CBI for questioning in connection with the scam; and they are angry.


"There is still time. Let Mamata Banerjee admit she is involved in wrong-doing. Let her try and return the money to the poor. This is our appeal," says Chittaranjan Das, a chit fund agent. He warns that the protests will become much stronger if their appeal is not heard.


Meanwhile, members of the Trinamool Congress' woman's unit sat on adharna outside the CBI office in Salt Lake near Kolkata. They were protesting, according to them, the CBI's "political vendetta" against their leaders. Leading the dharna was Chandrima Bhattacharya, Law Minister and Minister of State for Health.


"Their attitude and the steps they are taking, it proves they are only bent on maligning Trinamool Congress," she said as her supporters shouted, "CBI hai hai".


In the last fortnight, many leaders of the Trinamool Congress have been called in for questioning by the CBI. Yesterday, Member of Parliament Srinjoy Bose was questioned for almost seven hours.


Rajat Majumdar, who Trinamool leaders described as a "party associate", was arrested on Tuesday and taken into CBI custody today. Another party MP, Ahmed Hassan Imran, was quizzed recently, so was Asif Khan, who publicly quit the Trinamool yesterday after calling it "not clean".


Trinamool Congress's Rajya Sabha lawmaker Kunal Ghosh was arrested last year and is currently being questioned by the CBI. All these leaders allegedly had some link or the other with the Saradha group or its boss Sudipta Sen.


The Opposition is also piling up the charges.


"85 lakh people have suffered in the chit fund scam and many of your ministers and MPs appear to be involved. There are newspaper reports about some of the Saradha money going to terrorist organisations too. Mamata Banerjee, you took a high moral ground on Tehelka(magazine's expose on the coffin scam, over which Ms Banerjee had resigned from the then NDA government), but as the Chief Minister, will you abandon your morality," said BJP leader Siddharth Nath Singh.


The silence of Mamata Banerjee, who attended an event on Swami Vivekananda today, on her party men being allegedly tangled in the Saradha web is deafening.


Indian Express reports:Chief Minister Mamata Banerjee in an interview to ETV News Bangla said, "Acche din nehi, ronek a din aa gaya."(the days of tears have come). she said this when asked about the first 100 days of Modi government in office. she further added, "the BJP government has committed no less than 100 mistakes in 100 days. They have sold the country in 100 days."


On Saradha financial scam she said that her patience is being tried by the BJP government and the media. "None from my party took money from Saradha. Congress-CPM-BJP helped this chit fund companies to grow during their regime. The TMC government took action against the company and is now being targeted. "The moment the scam came to our notice, we took action and arrested the kingpin."


"The BJP government has committed no less than 100 mistakes in 100 days. They have sold the country in 100 days," said Mamata Banerjee.


On BJP president Amit Shah's statement on Saradha that 17 lakh people were cheated during an election rally in Kolkata on September 7, she said, "I have all evidence against the person who spoke here against me.


The people of Gujarat handed several pen drives to me which had all evidence against these leaders. they themselves are accused in several cases and how dare point finger at me ?" The Trinamool Congress is the most transparent party in the country. There can be some rotten staff within but the moment they are identified action is taken against them.

- See more at: http://indianexpress.com/article/cities/kolkata/bjp-committed-100-mistakes-in-100-days-mamata-banerjee/#sthash.jJKsGGmw.dpuf


Central Bureau of Investigation on Friday arrested Assamese singer Sadananda Gogoi in connection with the Saradha scam.

CBI spokesperson Kanchan Prasad said in Delhi that Gogoi has been arrested in Kolkata on the allegations of "conspiracy and misappropriation of funds" and he will be produced in Alipore court tomorrow.

Gogoi was summoned at its CGO complex office in Kolkata for the fourth time today and was arrested after interrogation, CBI sources said.

Saradha scam: CBI arrests Assamese singer Sadananda Gogoi

Gogoi has been charged with criminal conspiracy and misappropriation of funds and will be produced in court on Saturday.

Gogoi was allegedly acting as a conduit for Saradha Chairman-cum-Managing Director Sudipta Sen and lured influential people using his contacts, the sources said.

With this arrest, a total of 10 persons have been nabbed by the CBI in connection with the scam which includes six who were arrested by West Bengal Police and taken into custody by the agency.

A prominent lawyer from Odisha is expected to be questioned by CBI soon, the sources said.

The agency has recently arrested former West Bengal DGP Rajat Majumdar for his alleged involvement in the scam.

Majumdar, who had worked as Director General (Armed Police) in West Bengal, was allegedly associated with Saradha Group, which has been accused of duping thousands of investors of crores of rupees, they said.

The agency has also arrested East Bengal club official Debabrata Sarkar and businessman Sandhir Agarwal

CBI has registered four FIRs against Saradha Group in the chit fund scam in West Bengal whereas 44 cases have been registered in Odisha.

The Supreme Court had handed over the Saradha chit fund scam probe to CBI and asked the state governments to provide all logistical help to the agency's team investigating the matter.

CBI has formed a Special Investigating Team (SIT) headed by Joint Director Rajiv Singh also probe the role of some officials of Securities Exchange Board of India (SEBI) and RBI, the sources said.



Saradha scam shocker: Mamata Banerjee's aide, TMC MP's link with terror group SIMI, Jamat exposed

Kolkata, Sept 12: In a shocking twist in Saradha scam case, it has been alleged that money from the chief of the Saradha Group -- Sudipto Sen was collected by a Trinamool Congress (TMC) MP -- Ahmed Hasaan Imran. West Bengal BJP leaders on Thursday, Sept 11 held a press conference in Kolkata. The BJP leaders irked an old controversy after accusing Imran of sending huge amount of money to banned terror outfit in India -- SIMI and terror outfit in Bangladesh -- Jamat e Islam. Trinamool Congress supremo Mamata Banerjee had faced tremendous criticism over her decision of electing Imran as the Rajya Sabha MP. Media reports had claimed that Imran had direct connection with terror group. Now, BJP's latest allegations cornered Mamata government in West Bengal. Imran allegedly had siphoned off money to the banned Islamic fundamentalists in Bangladesh with Sudipto Sen's help. The Indian currency was then secretly converted to Bangladeshi Taka Media reports took information from sensation report of investigating agencies -- Central Bureau of Investigation (CBI) and Enforcement Directorate (ED). According to sources, many departments of Home Ministry were aware of Imran's alleged link with banned terror group SIMI (Students Islamic Movement of India). The CBI and ED reportedly had learnt that the funds collected from the public, through Saradha's chit fund schemes, were centrally deposited at the group's offices in Salt Lake in Kolkata. After being accounted for, hundreds of crores were transported to various centres close to the Indo-Bangladesh border, informed media reports. The cash was put in huge bags and taken by ambulances belonging to the Saradha group. The Indian currency was then secretly converted to Bangladeshi Taka and European currencies at a "Foreign Currency Convertor Centre", belonging to a man from Kolkata, added The New Indian Express report. The daily report also stated that armed couriers of radical Islamic outfits would then smuggle the converted currency across the border, under the cover of darkness. Former Special Director, Intelligence Bureau, Dhanesh Chandra Nath was quoted as saying, "We all know who this man is. It is unfortunate that West Bengal Chief Minister and TMC chief Mamata Banerjee sent Ahmed Hassan, alias Imran, to the Rajya Sabha, despite knowing his antecedents." Continuing his statement, he also added, "When SIMI was banned in 2001, Mamata was a Union Minister and she should have known about its leader's activities in the state. What is of serious concern to us is the planned infiltration of the known subversive elements, into the most sacred and highest corridors of power." OneIndia News Read in Bengali: সারদার পর দেশের দুশমনদের সঙ্গেও যোগ তৃণমূল সাংসদের, অভিযোগ


Read more at: http://news.oneindia.in/india/mamata-banerjee-close-aide-tmc-mp-connection-with-terror-outfit-simi-bangladesh-1520240.html


Saradha scam: CBI makes first arrest with direct TMC link

Agency raided residence of a TMC leader and former DG of Armed Police Rajat Majumdar, Saradha employee

BS Reporter  |  Kolkata  

September 10, 2014 Last Updated at 00:39 IST

CBI recently quizzed Asif Khan, an aide of TMC general secretary and Rajya Sabha MP Mukul Roy and conducted searches at his residence


The Central Bureau of Investigation (CBI) on Tuesday arrested former West Bengal police chief and Trinamool Congress (TMC) leader Rajat Majumdar in connection with the multi-crore Saradha chit fund scam. While this is the third set of arrest by CBI in connection to the scam, Majumdar is the first TMC leader to be arrested by the investigative agency.


Majumdar used to serve Sudipta Sen-led Saradha Group as 'security advisor'. Last month, CBI raided the residence of a TMC leader and former director general of armed police Rajat Majumdar, who was once an employee at Saradha group.


Incidentally, former TMC MP and journalist Kunal Ghosh before being arrested by West Bengal police in connection to Saradha, in a 36-minute video broadcast on a local Bengali channel last year named Majumdar and several other TMC leaders for their alleged complicity in the Saradha scam.


After taking over the investigation following Supreme Court order, CBI had earlier arrested East Bengal Football Club official Debabrata Sarkar and city-businessman Sandhir Agarwal. CBI recently quizzed Asif Khan, a close aide of TMC general secretary and Rajya Sabha MP Mukul Roy and conducted searches at his residence. The enforcement directorate, which is also carrying out a parallel probe into the money trail of Saradha, had earlier quizzed TMC Lok Sabha MP Arpita Paul and Rajya Sabha MP Ahmad Hassan Imran. Both were associated with Saradha group's media arm.

http://www.business-standard.com/article/current-affairs/saradha-scam-cbi-makes-first-arrest-with-direct-tmc-link-114090901100_1.html



সি বি আই-কে রজতের চ্যালেঞ্জ


Google plus share

Facebook share

Twitter share

LinkedIn share


সব্যসাচী সরকার




সি বি আইয়ের সঙ্গে সারদা তদম্তে সহযোগিতা করবেন না রজত মজুমদার, আদালতে তাঁর বক্তব্য থেকেই তা পরিষ্কার৷‌ সারদা-তদম্তে খোদ সি বি আইকেই চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন গ্রেপ্তার-হওয়া রাজ্য পুলিসের প্রাক্তন ডি জি রজত মজুমদার৷‌ 'অসুস্হ'হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন, সুস্হ হয়ে ওঠেন বৃহস্পতিবার দুপুরে৷‌ তার পরেই তাঁকে আদালতে পেশ করে সি বি আই৷‌ আলিপুর আদালতে বিচারক হারাধন মুখোপাধ্যায়ের এজলাসে যখন শুনানি চলছিল, সেসময় রজতবাবু নিজেই কিছু বলতে চাওয়ার অনুমতি চান৷‌ বিচারক অনুমতি দিলে রজতবাবু সরাসরি সি বি আই-কে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে বলেন, আমাকে দিয়ে কিছু বলিয়ে নিতে পারবেন না৷‌ ৭ দিন কেন ৭০ দিন রাখলেও না! এদিন, আদালত তাঁকে ৫ দিন সি বি আই হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয়৷‌ রজতবাবু সে-নির্দেশ শোনার পর বলেন, 'আমাকে পেটাতেও পারবে না৷‌ আমি সারদার টাকা দিয়েছি কাউকে, এ সমস্ত কথা আমাকে বলিয়ে নিতে পারবে না৷‌'রজতবাবুর বক্তব্যে স্বভাবতই আদালতের ভেতরে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়৷‌ সি বি আই এদিন চার্জশিট পেশ করতে পারেনি৷‌ সি বি আই তদম্তভার হাতে নেওয়ার পর বৃহস্পতিবার ছিল ৮৮ দিন৷‌ আরও দু'দিন সময় চেয়ে নেয় আদালতের কাছে৷‌ আগামী কাল, শনিবার চার্জশিট পেশ করবে৷‌ চার্জশিট দিলে এই মুহূর্তে এই মামলা থেকে জামিন পেতে পারেন আপাতত তিনজন৷‌ তাঁরা হলেন অরবিন্দ চৌহান, মনোজ নাগেল ও সোমনাথ দত্ত৷‌ তবে চার্জশিট দিলেও জামিন পাচ্ছেন না সুদীপ্ত সেন, দেবযানী মুখার্জি ও কুণাল ঘোষ৷‌ কেননা, ব্যাঙ্কশাল আদালতে তাঁদের অন্য মামলা রয়েছে৷‌ মঙ্গলবার সারদা-কাণ্ডে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল প্রাক্তন ডি জি রজত মজুমদারকে৷‌ গ্রেপ্তারের দিন রাতেই তিনি বুকে ব্যথা অনুভব করেন৷‌ তাঁকে নীলরতন সরকার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়৷‌ যদিও চিকিৎসকেরা সব ধরনের পরীক্ষা করেই দেখেছেন, তাঁর কোনও অসুখ নেই৷‌ এর পরেই তাঁকে ছুটি দেওয়ার সিদ্ধাম্ত নেন৷‌ অবশ্য রজতবাবু দুর্বল বোধ করায় তাঁকে হুইলচেয়ারে বসিয়ে আদালতে আনা হয়৷‌ আদালতে আনার পর অবশ্য তিনি আর অসুস্হ বোধ করেননি৷‌ সি বি আইয়ের বক্তব্য শুনেছেন৷‌ তার পরেই আদালতে নিজের বক্তব্য পেশ করেছেন৷‌ এদিকে, এই সংস্হার টাকা লগ্নি করা হয়েছিল অন্য চিট ফান্ডে৷‌ তদম্তে এমনই তথ্য পাচ্ছে সি বি আই৷‌ ২০১০ সাল থেকে সারদার যে বাড়বাড়ম্ত তার ফলেই বহু 'মুনি'র আগমন ঘটেছিল ওই সংস্হায়৷‌ রজত মজুমদার অবসর নেওয়ার পর সারদায় চলে আসেন কাজ করতে৷‌ তাঁকে বড় পদে বসিয়ে সারদা গোষ্ঠী কোন উদ্দেশ্য সাধন করছিল তদম্তে সেটা যেমন এক দিক, তেমনই অন্য দিক হল, তিনি জড়িয়ে পড়েছিলেন বহুমুখী কাজকর্মেও৷‌ পরামর্শদাতার পদে বসে মাইনে নিতেন৷‌ কিন্তু সেই পরামর্শটি কী এবার তা জানার চেষ্টা করবে সি বি আই৷‌ বৃহস্পতিবার সকালে সৃঞ্জয় বসু ও সমীর চক্রবর্তীর সি বি আই দপ্তরে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল৷‌ কিন্তু তাঁরা এদিন আসতে পারবেন না বলে সি বি আই-কে জানিয়েছেন৷‌ রজত মজুমদার, নীতু, সন্ধির এই সমস্ত মান্যবরদের নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ ছিল কি না সেটাও এই মুহূর্তে তদম্তের বিষয়৷‌ পরামর্শদাতা রজতবাবু ছিলেন শীর্ষে৷‌ সেবি-র কাজকর্ম সামলে দেওয়ার জন্য সুদীপ্ত সেন ধরেছিলেন সন্ধির আগরওয়ালকে৷‌ এই বৃত্তে কারা কারা শ্রেষ্ঠত্বের দাবি রেখেছেন তা দেখবে সি বি আই৷‌ সারদা গোষ্ঠীর জমি কেনাবেচা সংক্রাম্ত বিষয়ে পরামর্শদাতা রজতবাবুর আদৌ কি ভূমিকা ছিল? এই প্রশ্নে সি বি আইয়ের এক কর্তা জানান, সম্পত্তি বাড়ানোর ক্ষেত্রে সুদীপ্তবাবুর উদ্যোগে বহু মানুষই জড়িত ছিলেন৷‌ সন্দেহভাজন ১১ জনের তালিকা তৈরি করা আছে৷‌ সি বি আই এবং ই ডি ইতিমধ্যেই এ যাবৎ তদম্তের পর্যালোচনা করে আগামী দিনের তদম্ত-কৌশল ঠিক করেছে৷‌ গতকাল কাঁথিতে সারদার যে সম্পত্তি তালিকাভুক্ত করা হয়েছে, সেগুলির কাগজপত্র দেখা হচ্ছে৷‌ সারদার বাড়ি-জমি সংক্রাম্ত সাড়ে তিনশো কোটি টাকার সম্পত্তি ইতিমধ্যেই উদ্ধার হয়েছে৷‌ সি বি আই দিল্লি সূত্রের খবর, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সারদা-কাণ্ডের চক্রাম্তকারীদের খুঁজে বের করার যে কাজ শুরু করেছিল সি বি আই তা সঠিক পথেই চলছে৷‌ চলতি মাসেই বেশ কয়েকজন রথী-মহারথীকে গ্রেপ্তার করে সি বি আই প্রমাণ করতে চায় দেশ ও বিদেশে গরিবের টাকা সরিয়ে ফেলার কুশীলব কারা৷‌


http://www.aajkaal.net/12-09-2014/news/228523/

BJP demands Mamata Banerjee's resignation over Saradha Chit Fund scam

Thursday, 11 September 2014 - 5:23pm IST | Place: Kolkata | Agency: ANI

Bharatiya Janata Party (BJP) leaderSiddharth Nath Singh said here on Thursday that the party has decided to start a Saradha Chit Fund scam 'andolan' demanding West Bengal Chief MinisterMamata Banerjee's resignation. "The state unit has decided under the leadership of state secretary that from Friday, all BJP workers will demonstrate in front of every police station of the state. We are starting a Saradha Cit Fund scam 'andolan' and will give a memorandum to West Bengal Governor, and at every police station, we will demand Chief Minister Mamata Banerjee's resignation," said Singh.

Earlier on Wednesday, the TMC's women's wing staged a protest outside the Central Bureau of investigation (CBI) office in Kolkata against their party leaders being quizzed in connection with the multi-crore Saradha chit-fund scam. According to reports, the CBI has registered a total of 48 cases in the Saradha chit fund scam bringing under its lens regulatory body like the Securities Exchange Board of India (SEBI) and the Ministry of Corporate Affairs.

Trinamool Congress leader and Rajya Sabha member Kunal Ghosh have been named in one of the FIRs along with Sudipta Sen, chairman of the Saradha group. There are four FIRs against Saradha Group in which it is alleged that thousands of investors were allegedly duped by the company officials and their associates who swindled their deposits. The Supreme Court had in May directed the CBI to probe the Saradha scam.



Where from would you get smart people for the smart cities? Palash Biswas

$
0
0

Where from would you get smart people for the smart cities?

Palash Biswas

Here you are!The digital nation has to get foreign territories and the latest brand equity of these foreign territories is defined as smart city as privatisation is referred as disinvestment and divestment , as black money recycle is known as FDI,as ponzi economics is glorified as minimum governance of decontrolling and regulation.


'Smart leadership and smart people are essential pre-requisites for making cities smart' asserted the Minister of Urban Development and Housing & Urban Poverty Alleviation M.Venkaiah Naidu . He elaborated on the attributes of smart leadership and smart people while addressing the "National Conclave of States/UTs on Smart Cities" attended by the Ministers and Principal Secretaries in New Delhi .


Government is planning to set up 100 smart cities across the country that will provide all modern amenities, education and employment opportunities.


Mind you,Unanimously welcoming the Smart City initiative of the centre, states have demanded technical help to prepare project reports and higher financial assistance to execute the scheme.

West Bengal claims to get ten of the PM declared smart cities while anti SEZ,anti landacquisition movement installed the PPP government in Bengal which is defined popularly as MAA Maanush Sarkar ,which is indulged in Ponzi fraud top to bottom.

Does it mean the smart people needed for smart India`s smart cities should be experts of ponzi economics as well?



Urban Development Minister Venkaiah Naidu reviewed the suggestions and views from states and Union Territories expressed at the national conclave held in New Delhi and directed officials to examine the suggestions in detail.

He has also asked the concerned officials to prepare a proposal for discussion at an inter-ministerial meeting where Ministers of Finance and Defence, Highways and Surface Transport, Railways, Power, Environment and Forests are likely to attend.

Reiterating the importance of smart leadership in developing smart cities, Mr Naidu said he would write to all the Chief Ministers on the need for proper decision making to enhance revenues of urban local bodies and improving urban governance.

States have made ten broad suggestions for developing Smart Cities including seeking flexibility in implementation, capacity building, higher central assistance in view of the resource constraints of urban local bodies and expeditious clearances by the Centre, said a senior Urban Development official.

Higher level of Viability Gap Funding with respect to solid waste management and water supply projects, capital expenditure to be borne by central government since private operators can only manage the operations and maintenance with utility charges and Special Purpose Vehicles to be created for executing the projects are some of the suggestions made by states at the conclave.

Some states referred to the difficulties associated with adoption of Public Private Partnership model with respect to some urban projects in view of the complexities involved and levying of user charges.

It is very clear that the project is once again PPP mdel Gujarati for which the Prime Swayam Sevak has ensured free flow of yen thanks to new strategic partnership with Japan beside the existing one,led by USA,UK and Israel.


Varanasi, which Prime Minister Narendra Modi represents in the Lok Sabha, will be developed into a 'smart city' by using the experience of Kyoto, the 'smart city' of Japan, under a pact signed here on Saturday.


A partner city MoU was signed by Indian ambassador Deepa Wadhwa and Kyoto mayor Daisaka Kadokawa at a ceremony witnessed by Modi and his Japanese counterpart Shinzo Abe.


Hindustan times reports;

Delhi could get two of the smart cities — a brand new one in the city's outskirts to be developed by the Delhi Development Authority and a second in New Delhi Municipal Council area.

This has been proposed in the first blueprint of Modi government's ambitious project to develop 100 smart cities across India. Drafted by the urban development (UD) ministry, the concept note proposes to include 44 cities with a population between 1 to 4 million under the scheme.

As first reported by HT on August 27, the UD ministry's concept note has estimated an annual investment of Rs. 35,000 crore for developing the 100 smart cities.

However, the note stops short of elaborating on how the funds would be generated. The note, which was put online for public discussion, has knocked off parts from an earlier draft which proposed a host of measures for raising funds from the public.

It says that a large part of the financing for smart cities will have to come from private sector and mentions broadly mentions imposing of user charges for utilities and a betterment levy for "enhancing the resource pool" without specifying how much fund would be generated from these measures.

Some of the basic criteria proposed for selecting cities includes cities which have an approved Master Plan, which can commit to provide free right of way for laying optic fibre networks among others.

The note says that a smart city would have facilities ranging from uninterrupted power and water supply, online delivery of all public services, and an effective public transport system among others.


Bengal picks smart city contenders

A STAFF REPORTER



Calcutta, Aug. 16: The Bengal government has identified 10 locations in the state to be developed as smart cities and would make its representation to the Centre for development of these regions.

The development comes at a time the state government has unveiled an urban policy that seeks to promote growth of the real estate sector in the state.

"The central government has proposed the development of 100 smart cities. We have identified 10 locations in the state that could be developed as smart cities," said Debashis Sen, principal secretary in the urban development department of the Bengal government. He was speaking today at the sixth annual convention of NAR-India, the apex body of real estate brokers in the country.

Sen said the locations identified by the state includes New Town — Rajarhat, Bolpur, Durgapur, Kalyani, Baruipur, Raghunathpur, Jaigaon, Phulbari, Gangasagar and Debanandapur.

These smart cities in essence are existing mid-sized cities or satellite towns of large cities, which would be modernised to cater to urban housing and industrial requirements in the future.

Sen said these cities could be developed to provide modern infrastructure along with information technology-based civic amenities.

"These locations are identified on the basis of where urban population in Bengal is going to grow," said Sen, adding that the state government was working on the details.

The Union finance ministry has budgeted Rs 7,060 crore in the current year for development of smart cities. '

Real estate developers, however, said more clarity was required on the nature of infrastructure in these smart cities and the role of the government and that of real estate companies in developing such cities.

Alapan Bandhopadhyay, principal secretary in the housing and transport department of the Bengal government, said the state was exploring the provision of allowing faster clearances of housing projects even though it would be difficult to permit critical clearances such as fire on a single-window basis without physical inspection.

He said the state government was looking for inputs in this context from national bodies such as Credai and NAR-India.

http://www.telegraphindia.com/1140817/jsp/business/story_18728368.jsp#.VBSZLJSSzN8

DNA reports:

The 100 smart cities project, which defines the grand ambition of the Narendra Modi government may not fully come to fruition but about 10 projects are likely to start during the tenure of this government. The target is to have 30 cities in 15 years.

The project itself is conceived as a bypass to cut through the morbid mess that cities like Mumbai have become. The finance ministry has earmarked Rs7,000 crore for smart city projects this fiscal.

To ensure that every states gets a share, the ministry will pick up sub cities inside the state capitals to develop into smarter models. Besides state capitals, cities that have a religious pilgrimage circuits including Shirdi, Varanasi, Amritsar, Allahabad and Tirupati will also be given the smarter design. Some of the industrial towns will also be included in the smart city project. While all the states have been lobbying to get a bigger scoop of cities for themselves, the ministry has received a concrete proposal from the West bengal government to create New Kolkata as a smart project.

Kochi smart city being developed by Smart City Dubai in partnership with the government of Kerala is slated to be the first operational smart city in the country and the Dubai company is likely to develop another smart city in Madhya Pradesh after chief ministerShivraj Singh Chouhan met top officials of the company in Dubai on Friday.

"The smart city model has to be self sustainable with civic infrastructure. The city will also have its own IT network linking every resident of the city," said a senior officer of theUrban development ministry. Aspects of energy management, water management, transport and traffic, safety and security and solid waste management will be covered. The smart cities will have its own health care facility with education hub and community service centres.

Not all cities will be new cities. Several old cities will be brought into the smart circuit. In the case of bigger cities like Delhi, Mumbai or Bhopal, sub cities in a radius of 15km will be developed into smart cities.

The ministry of urban development is yet to finalise the design and definition of a smart city, but at level 1, Gujarat's GIFT looks like the ideal Indian smart model. The GIFT city of Gujarat was conceptualised by Narendra Modi during his tenure as chief minister. The greenfield project is being constructed on 500 acres of land between Ahmedabad and Gandhinagar in Gujarat. Divided into three phases, the city will have a global IT hub, a Special Economic Zone and a residential township.

IL&FS has invested close to Rs900 crore so far in GIFT City, according to RK Jha, the CEO & MD of GIFT City. He also said that the remaining Rs600 crore were raised by GIFT through internal accruals and debt.

"We have sold some 10 million sqft space in GIFT City project so far. The funds received are being invested in the project," he said.

"We have plans to develop 62 million sqft of built up area in GIFT City in three phases by 2023. We were targeting 10-12 million sqft in the first phase of the project, which we have already achieved. The second phase of the project will commence in March next year," Ramakant Jha, CEO & MD of GIFT City Limited, the project developer, told dna.

The project aims to create 1 million direct and indirect jobs on completion in 2023. GIFT City Limited is a equal joint venture between Gujarat government and IL&FS. Jha said that they have invested Rs1,500 crore in the project so far.

"The total investment will be to the tune of Rs50,000 crore, which includes Rs10,000 crore in infrastructure development and Rs30,000 crore in construction of buildings," he said.

On completion, GIFT City will be home to 120 buildings, which will be 70 metre to 250 metre tall. The project will be spread over 886 acre land."We also propose to have one building, which will be 400 metre high, but that will be in the third and final phase. Earlier, central financial institutions were not keen to take up space in GIFT City for political reasons. Now, that will not be the case," he said.

http://www.dnaindia.com/india/report-nda-government-s-gift-to-india-2012977

Search Results

  1. India Today

  2. States seek financial help to develop Smart Cities

  3. Hindu Business Line-5 hours ago

  4. Unanimously welcoming the Smart City initiative of the Centre, States have demanded technical help to prepare project reports and higher ...

  5. Narendra Modi's imprint on smart city project

  6. India Today-14 hours ago

  7. Centre prepares concept note on smart cities

  8. Livemint-11-Sep-2014

  9. States should take the lead in smart cities project: Venkaiah

  10. The Hindu-12-Sep-2014

  11. Explore in depth (80 more articles)

  12. GIFT of 100 smart cities begins here

  13. Ahmedabad Mirror-10-Sep-2014

  14. Prime Minister Narendra Modi's vision for a hundred smart cities in the ... Gujarat International Finance Tec-City Ltd (GIFTL), one of Modi's pet ...

  15. Arab News

  16. Govt to open discussion on '100 smart cities' via portal

  17. Hindu Business Line-08-Sep-2014

  18. In the recent Budget, Finance Minister Arun Jaitley allocated ₹7,060 crore for the smart cities project over the fiscal. The concept, which doesn't ...

  19. Singapore wants to make Andhra capital smart city

  20. Business Standard-3 hours ago

  21. ... from the 14th Finance Commission as a grant for building the new capital ... Goh said the city-state had sought clarification on thesmart cities ...

  22. Women in Business: Q&A with Jocelyn Gailliot, Co-Founder and ...

  23. Huffington Post-1 hour ago

  24. After graduation, she moved to New York City and worked as an investment banking ... With a background in finance and investing, Jocelyn is the ... because he focused on creating a collegiate culture of smart, driven people.

  25. Smart city program to lift IT to 7% of GDP

  26. ecns-10-Sep-2014

  27. Shanghai smart city project will propel its information technology ... key sectors such as integrated circuits, Internet finance and Internet video.

  28. A worldly scion of Spanish finance picks up the torch

  29. Financial Times-7 hours ago

  30. "She's very smart, very articulate and quite focused and determined. ... Known in theCity of London as an efficient networker, Ms Botín ...

  31. Modi's vision of 'smart cities' takes shape as government commits to ...

  32. Daily Mail-29-Aug-2014

  33. Smart cities is the catchphrase as Prime Minister Narendra Modi's ... In the NDA government's maiden Union Budget, Finance Minister Arun ...

  34. Modi gives tips for rejuvenating Varanasi

  35. The Hindu-29-Aug-2014

  36. Explore in depth (12 more articles)

  37. France's Consulate General assures to develop Nagpur as Smart City

  38. Nagpur Today-12-Sep-2014

  39. Therefore, all help will be provided to develop Nagpur as Smart Cityand ... City Engineer Sanjay Gaekwad, Chief Accounts and FinanceOfficer ...

  40. The 4th Smart City Exposition will open on Sept 12th

  41. Ningbo Expat Life-09-Sep-2014Share

  42. Smart City Exposition China 2014 will be held from September 12 to 14. ... "In this show, we will display 'Smart Mailbox for Convenient Financial Payment'.



More From Industries on NDTV Profit

What are smart cities?

ANUJ PURI


Construction workers at one of the earliest smart city projects in India in Kochi.

Construction workers at one of the earliest smart city projects in India in Kochi.

With everyone talking of the 100 smart cities announced in this year's budget, Anuj Puri takes a closer look

Across the world, the stride of migration from rural to urban areas is increasing. By 2050, about 70 per cent of the population will be living in cities, and India is no exception. It will need about 500 new cities to accommodate the influx.

Interestingly, urbanisation in India has for the longest time been viewed as a by-product of failed regional planning. Though it is inevitable, and will only change when the benefits of urbanisation overtake the costs involved, it is an opportunity for achieving faster growth.

With increasing urbanisation and the load on rural land, the government has now realised the need for cities that can cope with the challenges of urban living and also be magnets for investment. The announcement of '100 smart cities' falls in line with this vision.

A 'smart city' is an urban region that is highly advanced in terms of overall infrastructure, sustainable real estate, communications and market viability. It is a city where information technology is the principal infrastructure and the basis for providing essential services to residents. There are many technological platforms involved, including but not limited to automated sensor networks and data centres. Though this may sound futuristic, it is now likely to become a reality as the 'smart cities' movement unfolds in India.

In a smart city, economic development and activity is sustainable and rationally incremental by virtue of being based on success-oriented market drivers such as supply and demand. They benefit everybody, including citizens, businesses, the government and the environment.

The origin

The concept of smart cities originated at the time when the entire world was facing one of the worst economic crises. In 2008, IBM began work on a 'smarter cities' concept as part of its Smarter Planet initiative. By the beginning of 2009, the concept had captivated the imagination of various nations across the globe.

Countries like South Korea, UAE and China began to invest heavily into their research and formation. Today, a number of excellent precedents exist that India can emulate, such as those in Vienna, Aarhus, Amsterdam, Cairo, Lyon, Málaga, Malta, the Songdo International Business District near Seoul, Verona etc.

In India

The cities with ongoing or proposed smart cities include Kochi in Kerala, Ahmedabad in Gujarat, Aurangabad in Maharashtra, Manesar in Delhi NCR, Khushkera in Rajasthan, Krishnapatnam in Andhra Pradesh, Ponneri in Tamil Nadu and Tumkur in Karnataka. Many of these cities will include special investment regions or special economic zones with modified regulations and tax structures to make it attractive for foreign investment. This is essential because much of the funding for these projects will have to come from private developers and from abroad.

Challenges

The concept is not without challenges, especially in India. For instance, the success of such a city depends on residents, entrepreneurs and visitors becoming actively involved in energy saving and implementation of new technologies. There are many ways to make residential, commercial and public spaces sustainable by ways of technology, but a high percentage of the total energy use is still in the hands of end users and their behaviour. Also, there is the time factor — such cities can potentially take anything between 20 and 30 years to build.

http://www.thehindu.com/features/homes-and-gardens/green-living/what-are-smart-cities/article6321332.ece


  • Image result for smart city in india

  • Image result for smart city in india

  • Image result for smart city in india

  • Image result for smart city in india

More images for smart city in india


Mint reports:

The ministry of urban development has prepared a draft concept note on the smart city scheme. The government had announced a plan to develop 100 smart cities to provide better amenities in urban areas. The 100 smart cities will include all state capitals and union territories. It will also comprise 44 cities in the population range of 1-4 million people, nine satellite cities with a population of 4 million or more, 10 cities that are of religious and tourist importance and 20 cities in the 0.5 to 1 million population range. The Delhi Development Authority (DDA) will develop a smart city through a land pooling scheme as a demonstrative city. The New Delhi Municipal Corp. (NDMC) area is also being considered to demonstrate components of a smart city. Smart cities aim to provide reliable utility services, sanitation, solid waste management, storm water drainage, energy efficiency and improved access to information. The high-power expert committee on investment estimates that the annual fund requirement for smart cities will be Rs.35,000 crore. This estimate covers water supply, sewerage, sanitation and transport-related infrastructure. A large part of the funds will come from private investments. According to the scheme, this amount shall be covered by complete private investment or through public-private partnership. In the budget, finance minister Arun Jaitley had allocated Rs7,060 croreto develop 100 smart cities. The development of smart citiies was also a part of the Bharatiya Janata Party's election manifesto. "We welcome the initiative which is the need of the hour for the Indian economy. Cities are the growth enablers and current Indian cities are choking with the economic growth in India," said Jaijit Bhattacharya, partner, infrastructure and government services, at consultancy KPMG. Various states will have to submit proposals based on the reference framework to the central government. Minister for urban development Venkaiah Naidu will discuss the smart cities project with state development ministers on Friday.


Read more at: http://www.livemint.com/Politics/JrEighhFPgJaLLS5yqY9QN/Centre-prepares-concept-note-on-smart-cities.html?utm_source=copy


Mr Arif Jamal posted this report:

NEW DELHI----'Smart leadership and smart people are essential pre-requisites for making cities smart' asserted the Minister of Urban Development and Housing & Urban Poverty Alleviation M.Venkaiah Naidu . He elaborated on the attributes of smart leadership and smart people while addressing the "National Conclave of States/UTs on Smart Cities" attended by the Ministers and Principal Secretaries here .


After broadly defining the concept of 'Smart Cities', Naidu spoke at length on the state of urban governance in the country and the imperative need to uplift urban life to a higher level. He said, effective urban governance requires smart leadership that is 'bold, initiative bearing, willing and able to take hard decisions like raising, if required and recovering cost of services, implement reforms in governance, prevent unauthorized constructions besides removing encroachments and take on mafia'. Regarding the people, he said, 'they should be alert, able to question, pay the cost of services, prevent fellow citizens from violating rules and demand their due.' Shri Naidu emphasized that only then the task of developing smart cities can be realized.


Taking advantage of the presence of ministers and officials from different states and Union Territories, Shri Venkaiah Naidu invited their attention to the inadequacies in the implementation of Jawaharlal Nehru Urban Renewal Mission (JNNURM) that fell substantially short of physical and financial targets. He noted that the political leadership of urban entities at various levels failed to provide the required impetus to galvanize urban local bodies that adversely impacted implementation of JNNURM. Shri Naidu urged that this should not be allowed in respect of Smart Cities Project.


Shri Venakaiah Naidu broadly defined a Smart City as one that makes urban life comfortable and improves living standards through good governance, efficient health care services and education, 24 x 7 power and water supply, efficient transport, high quality sanitation, employment to the needy and robust cyber connectivity and benefits all irrespective of income, age and gender. 'The ultimate objective is building Wealthier, Healthier and Happier' cities, he said. He said the Draft Concept Note on Smart Cities made public would be revisited based on the suggestions/views of states/UTs and asked them to send their final views in a week's time. He made it clear that states/UTs/Cites which are willing to take smart/hard decisions alone will be qualified for inclusion in the Smart Cities project.


Reflecting on urbanization scenario,  Naidu said that at present 377 million people are living in urban areas of the country (31%). In the next 15 years, this will increase by another 157 millions and by another 500 millions by 2050, by when more than half of the country's population will be living in urban areas, for the first time. More than 70% of urban people live in 468 cities/towns with more than one lakh population. He said, this growing urbanization offered immense opportunities for converting it into 'engine of economic growth, since urbanization and economic development are interlinked. In support of this, the Minister said, though only 31% of the population lives in urban areas, they contribute over 60% of the country's GDP. It was in this context that the Prime Minister suggested building 100 Smart Cities besides improving amenities in other cities and towns.


Publish by Arif Jamal

http://www.newobserverpost.co.vu/2014/09/smart-leaders-smart-people-can-only.html


On Wednesday, the ministry unveiled a 'Concept Note on Smart Cities' giving broad contours about smart cities and their related aspects like financing and selection criteria. The Jawaharlal Nehru National Urban Renewal Mission, which was launched in 2005, had almost 40 per cent of its work incomplete at the time of its closure on March 31 this year.

"A smart city cannot have only a few hours of water supply a day, or electricity that goes off for several hours, or streets littered with garbage. The general appearance of the city has to be pleasing and clean. In Delhi, it is being proposed that the DDA will develop a new smart city through the land pooling scheme and in that, parts of the NDMC area may also be considered for demonstrating all the components of smart cities,'' Naidu added.

Using an average figure of 1 million people in each of the 100 smart cities, the High Power Expert Committee on Investment Estimates in urban infrastructure has assessed investment requirements for the services covered comes to Rs.7 lakh crore over 20 years. This translates into an annual requirement of Rs.35,000 crore. "A large part of the financing for smart cities will have to come from the private sector with the states/cities and central government only supplementing that effort," the document said.

A senior ministry official said that the ministry is deliberating on new models and various global cities in Korea, Canada, North America and some Nordic countries. The ministry has also started talking to states and asked them for proposals on which city they would nominate for the NDA's ambitious Smart City project.

"We're taking states along on this. A lot of state capitals and a few heritage and historic cities with a high spiritual value and tourism appeal have already made to the list,'' the official said. Most of these cities would thrive on high quality information accessible to citizens.

"A very important feature of all smart cities is good citizen access to information. Whether it be regarding city specific data or the measures being taken by municipal bodies or information relating to various service providers such as transport and similar information relevant for potential investors has to be conveniently available. This could be through multiple channels - internet, mobile apps, radio, TV, print media, etc,'' the official said.

In the Union Budget, Finance Minister Arun Jaitley had promised allocation of a sum of Rs.7,060 crore for the development of the smart cities.



Read more at: http://indiatoday.intoday.in/story/narendra-modi-imprint-on-smart-city-project/1/382571.html


URBAN PLANNING

The long and short of what we know about Modi's 100 smart cities

The government has allocated Rs 7,060 crore to the cities, but what will that money actually go towards?

Rohan Venkataramakrishnan· Jul 18, 2014 · 07:18 am





The grandiose promise of building 100 smart cities has been part of Modi's acche din vision from the outset, and it would have been surprising if the budget had not made some mention of it.


In the event, Jaitley did promise 100 cities to be built for what the Bharatiya Janata Party is calling the neo-middle class – those who have just emerged from above the poverty line and are striving to ensure they remain there.


Less promising was the amount he allocated to the project: Rs 7,060 crore, which is a little over Rs 70 crore per city. As with the Rs 100 crore club, the finance minister has insisted that this is simply seed money to get the projects going and more will be allocated once things have moved forward.


What are smart cities?

There's no simple definition for smart cities. The term encompasses a vision of an urban space that is ecologically friendly, technologically integrated and meticulously planned, with a particular reliance on the use of information technology to improve efficiency.


The Smart Cities Council, an industry-backed outfit that advocates the concept in India, describes them as cities that leverage data gathered from smart sensors through a smart grid to create a city that is livable, workable and sustainable.


What is smart about them?

According to the Smart Cities Council, all the data that is collected from sensors – electricity, gas, water, traffic and other government analytics – is carefully compiled and integrated into a smart grid and then fed into computers that can focus on making the city as efficient as possible.


This allows authorities to have real-time information about the city around them, and allows computers to attempt "perfect operations", such as balancing supply and demand on electricity networks, synchronising traffic signals for peak usage, and optimising energy networks.


Why do we need them?

India's is urbanising at an unprecedented rate, so much that estimates suggest nearly 600 million of Indians will be living in cities by 2030, up from 290 million as reported in the 2001 census.


Alongside the hordes of Indians go the jobs and the money as well: a McKinsey Global Institute study estimated that cities would generate 70% of the new jobs created by 2030, produce more than 70% of the Indian gross domestic product and drive a fourfold increase in per capita incomes across the country.


"The cost of not paying attention to India's cities is enormous," the MGI report said. "The speed of urbanisation poses an unprecedented managerial and policy challenge – yet India has barely engaged in a national discussion about how to handle the seismic shift in the makeup of the nation."


Are they going to be new cities?

In his budget speech, Jaitley listed out exactly why the government believes it needs to be spending money on 100 smart cities. He claimed that "unless new cities are developed to accommodate the burgeoning number of people, the existing cities would soon become unlivable."


That said, he also made it clear that the Rs 7,060 crore allocation would not all go into setting up brand new cities. Instead, the aim is to build satellite towns near existing urban areas on the smart city template, upgrade existing mid-sized cities, and to build settlements along industrial corridors.


Which cities have been picked out?

At the moment 100 cities remains a tentative figure, with much still to be pinned down. The budget speech only officially identified cities along the Amritsar-Kolkata Industrial Master Plan, which covers seven states. Although they weren't named in the budget, seven cities have also been named along the Delhi-Mumbai Industrial Corridor, some which would overlap with the Amritsar-Kolkata plan.


Officially, the budget only pointed out three cities in the Chennai-Bengaluru Industrial Corridor: Ponneri in Tamil Nadu, Krishnapatnam in Andhra Pradesh and Tumkur in Karnataka.


What about those cities that don't make the cut?

At a meeting regarding the smart cities in June, the urban development ministry secretary said that the focus will not be just 100 cities but all urban areas across the country. "There exists no valid reason to leave the 101st city in the process of development," he said.


The secretary, Sudhir Krishna, has asked the National Institute of Urban Affairs to work on the smart city project, based on a framework that covers overall smartness and sustainability. For now, though, the focus will be on a much smaller number of cities in states where conditions are amenable before the government even attempts to look at expanding to cover 100 urban areas.


Do we have any smart cities already (and who is building them)?

A quick Google search for India's "first smart city" produces more than 70,000 results, and many of them lead to different places. In Bangalore, Cisco is working to set up a smart grid-based Education City, where all the utilities will be integrated with data.


Outside Mumbai, the Lodha group has given IBM a contract to build all data systems in their Palava city project. Kochi has a special economic zone that seeks to replicate Dubai's smart city project. Gujarat has two projects, the Dholera urban area, which is part of the Delhi-Mumbai industrial corridor, and the Gujarat International Finance Tec-City, both of which have problems but are being touted as examples that could be scaled up across the country.


Who will pay for them?

Rs 70 crore per city will clearly not be enough, and even if more is added, it's unlikely the government will have the resources to pay for the cities. In the budget, the government announced that it was relaxing norms for foreign direct investment to make it easier for outside companies to invest in smart cities. In addition, India has spoken to France, Japan and Singapore about collaborating on the projects.


We welcome your comments at letters@scroll.in.

http://news.scroll.in/article/670881/The-long-and-short-of-what-we-know-about-Modi's-100-smart-cities


Girija PandeGirija PandeContributor

I write on business trends in China, India and ASEAN.

Opinions expressed by Forbes Contributors are their own.

FOLLOW

ASIA OUTLOOK 8/26/2014 @ 3:51AM 5,124 views

Building 100 Smart Cities In India, Can Singapore Seize This Once-In-A-Lifetime Opportunity?

Comment Now

Follow Comments

India's new BJP-led government has widely and correctly shown its desire to create 100 new smart cities in the country as satellite townships around the larger cities – many of which are along the Delhi Mumbai Industrial Corridor (DMIC) – though not restricted to the area. Stretching over 1,000km, the corridor between Delhi and Mumbai is expected to garner over $90 billion of overseas investment to develop manufacturing zones, business parks and new smart cities along a dedicated rail freight corridor.

Urbanization challenge in India and China:

India is expected to see massive urbanization along the same lines of what we have seen in China, where urbanization crossed 50% last year and is projected to cross 75% in the next 5 years. Statistically more people live in cities globally than in rural areas. India is nearly a third urbanized in comparison, but this trend will accelerate as the economy grows, becomes more sophisticated and is in need of more skilled labor. Concomitantly, there is a greater need to improve agricultural productivity by lessening manpower on farms and transferring them to areas of higher productivity in industry, resulting in an overall growth in productivity in the economy. After all, assembling Apple iPhones creates higher added value than growing rice!

This massive migration to urban areas will be the defining feature of the Indian economy in the coming decade – very much in line with the urbanization happening all over the globe. Smart cities need multidimensional, integrative thinking, and will not happen organically. They can only result from a central planning authority. Without any state level intervention, existing cities will become unlivable and chaotic, given the scale of the migration expected. Consequently, new cities have to be set up – many around existing urban areas as satellite towns. This has additional advantages of clustering and benefits of scale in creation of all kinds of urban infrastructure needed for a smart city.

Creation of such new satellite cities need to be closely tied to the concepts of sustainability. This requires these new cities to be "smart," i.e. creating new types of transport systems to avoid congestion that is currently so rampant in many Asian towns, construction using low energy housing materials, newer water harvesting techniques and extensive use of IT systems on cloud in running various urban functions and the provision of e-government services to its citizens. Moreover, such cities should be self-sufficient in being able to create gainful employment for residents so that cross city travel is minimized.

Singapore advantage:

Many countries in the world are moving towards creating such cities. Singapore has widely experimented with and successfully created various smart green corridors/urban townships within its limited land area of around 700 sq km. Its transport systems, water management, extensive use of IT and land use planning is world class and has won many accolades over the years and placed it in the top leagues of well-planned smart and liveable cities. Even though it is one of the densest cities in the world, it has created an ambient living environment with parks and gardens around concentrated mini townships all connected with an excellent metro system, which has reduced road congestion.

The Chinese government has extensively utilized Singapore's skills in such urban planning. In the mid-nineties, it created a model business park-cum-city in a joint venture with Singapore at Suzhou, which became the model for new business parks around China. Thereafter, JVs were created via Singbridge (a consortium of major Singaporean companies) for an Eco-city in Tianjin and Knowledge City in Guangzhou. All of these are examples of smart cities created as satellite towns in highly urbanized environments with sustainability being the principle driver and ability to create employment at the same time. In India, a Singapore government company, Ascendas, has been at the forefront of creating state of the art IT and business parks which have been role models for such facilities in India since the mid-nineties. This experience should be leveraged further in India.

One way to fast track planning and construction of such smart cities is to include the private sector in India within a given framework for such new townships by the government. This would need to be specific to the creation of such smart cities in designated areas, so that existing and outdated laws do not become a barrier. These activities would need to be undertaken by approved consortia (consisting of experts in smart city planning/consulting groups/infrastructure and urban developers/IT experts), which would assist in conceptualizing, designing world class smart city clusters. Such consortia with well-known Singaporean partners with proven expertise in smart city planning and development, would bring the latest techniques and would additionally project manage the construction of such smart cities via well-known developers. Creating such consortia is a prerequisite to planning and project managing the creation of such world class sustainable townships. Using Singapore based urban planning groups is recommended given their experience in Asia and its closeness to India.

India is going down the path to manage its urbanization better via the creation of 100 smart cities. Singapore with its closeness to India and with relevant skills and experience in creation of smart and liveable cities in Asia is ideally positioned. What it needs to do is to boldly seize the moment.

Girija Pande is the executive chairman of Apex Avalon Consulting Pte ltd, Singapore, which is a joint venture with Avalon Consulting, India's largest consulting and analytics group. Mr. Pande is the former chairman of Tata Consultancy Services Asia Pacific. He has also recently co-authored a book on Indian businesses in China -The Silk Road Rediscovered, published by John Wiley Inc.

http://www.forbes.com/sites/girijapande/2014/08/26/building-100-smart-cities-in-india-can-singapore-seize-this-once-in-a-lifetime-opportunity/

  1. ndia's smart city craze: big, green and doomed from the start?

  2. www.theguardian.comNewsCitiesSmart cities

  • Apr 17, 2014 - Ayona Datta: Twice the size of Mumbai, the "smart city" of Dholera is one of dozens of new cities planned in India– but will it just end in more ...

  • Smart cities to soon become a reality in India - Livemint

  • www.livemint.com/.../Smart-cities-to-soon-become-a-reality-in-India.ht...

  • Jun 18, 2014 - An aerial view of Palava city. A smart city is one that completely runs on technology—be it for electricity, water, sanitation and recycling, ...

  • Consultants start queuing up for helping in smart city... - DNA

  • www.dnaindia.comNewsIndia

  • Aug 29, 2014 - The smart cities will be equipped with all the utilities, including uninterrupted ... "It has a pyramidal approach and suits best in the Indian context.

  • India's push for 100 smart cities has tech firms scrambling ...

  • www.techrepublic.com/.../indias-push-for-100-smart-cities-has-tech-firm...

  • Jul 31, 2014 - As India looks to build smart cities to boost economic development, global tech firms, including IBM and Cisco, vie for a slice of the action.

  • Govt to open discussion on '100 smart cities' via portal - The ...

  • www.thehindubusinessline.com/...to...smart-cities.../article6391650.ece

  • 5 days ago - Progressive formats such as smart cities are the result of vast knowledge and know-how. In a developing country like India, where the more ...

  • Wave City - IBM Smart City

  • city.thewavegroup.com/ibm-smart-city.php

  • Wave City is one of India's largest Smart Cities based on the IBM Smart City Concept spread across 4500 acres and located 30 minutes away from Delhi situated ...

  • Smart Cities Summit 2014 - ASAPP Conferences

  • www.asappconferences.com/smartcities/

  • SM@RT CITIES SUMMIT 2014 will be hosted in Mumbai, the financial hub of India, in an impressive five star venue of Hotel Four Seasons on 22 & 23 August, ...

  • IBM bets big on India, excited about 'smart cities' project ...

  • www.moneycontrol.comNewsManagement Interviews

  • Sep 4, 2014 - IBM bets big on India, excited about 'smart cities' project. The company is also seeing a strong revival in the telecom sector and expects clients ...

  • Smart City Challenge | A Techfest Initiative

  • www.techfest.org/smart-city

  • What is the objective of Smart City Challenge? ... the state of urban infrastructure inIndia cannot withstand the population pressures of tomorrow's urban India.

  • India, Japan sign MoU to develop Varanasi into a 'smart city...

  • ibnlive.in.comIndia

  • Aug 30, 2014 - India and Japan on Saturday signed an agreement to develop the age-old Varanasi city using the experience of Kyoto, the 'smart city' of Japan, ...


  • Why these ads?

    1. Smart Cities

    2. Adwww.dholerametrocity.com/‎

    3. 097 12 951453

    4. Residential Plots, Villas,Bungalows Dholera SIR. For Best Deal Enquire

  • Smart City / SuperSmart - Top grade nutritional supplements‎

  • Adwww.super-smart.eu/‎

  • The Great European Vitamin Shop

  • Conference Smart Cities

  • Adwww.smartlivingcity.com/‎

  • High level speakers Workshops and masterclasses


  • झारखण्ड में जेलों में बंद आदिवासियों की सूची .

    Next: পশ্চিমবঙ্গে কিন্তু ক্ষমতা বেদখল বামেরা এখন সারদায় নিমজ্জিত মমতার পরিবর্তনকে বঙ্গোপসাগরে জলাজন্জলি দেওয়ার তালে আছেন এবং বাংলায় গৌরিক পতাকার বাড়বাড়ন্ত তৃণমুলের সর্বনাশ হলেও বামেরা পৌষমাসের আশায় আছেন৷ ফ্যাসিস্ট নাজি সাম্রাজ্যবাদী করপোরেট মুক্তবাজারি বিদেশ নীতির প্রশংসায় হামিদ সাহেবের মন্তব্যে তাই অনেক কিন্তু কিন্তু,থেকে যাচ্চে কিন্তু৷ বাবরি ধ্বংস যেমন য়েরশলুম মন্দির দখলের ড্রেস রিহার্সল, মোদী সরকারের নূতন বৈদেশিক সম্পর্ক বিন্যাস কিন্তু আসলে মধ্যযুগের শত বর্ষের ইসলাম বিরুদ্ধে ক্রুসেডেরই নামান্তর৷ পলাশ বিশ্বাস
    $
    0
    0

    झारखण्ड में जेलों में बंद आदिवासियों की सूची .
    राजनैतिक पार्टियां आदिवासियों की हत्याएं कर के और उन्हें जेलों में ठूंस कर जंगलों पर बंदूक के दम पर कब्ज़ा कर के उन जंगलों को देशी विदेशी कंपनियों को सौंपने में लगी हुई हैं .
    अभी एक मुकदमे में सर्वोच्च न्यायालय नेएक मुकदमे में पूछा था कि बताइए कि जेलों में कितने आदिवासी बंद हैं . सरकार ने कोई जवाब नहीं दिया .
    हमारे वरिष्ठ साथी स्टैन स्वामी ने यह नाम मीडिया रिपोर्ट से जमा किये हैं .
    सर्वोच्च न्यायालय इसका संज्ञान ले . इन आदिवासियों को रिहा करे और इन्हें फर्ज़ी मामलों में फंसाने वाले पुलिस अधिकारियों पर मुकदमा चलाया जाय .



















    পশ্চিমবঙ্গে কিন্তু ক্ষমতা বেদখল বামেরা এখন সারদায় নিমজ্জিত মমতার পরিবর্তনকে বঙ্গোপসাগরে জলাজন্জলি দেওয়ার তালে আছেন এবং বাংলায় গৌরিক পতাকার বাড়বাড়ন্ত তৃণমুলের সর্বনাশ হলেও বামেরা পৌষমাসের আশায় আছেন৷ ফ্যাসিস্ট নাজি সাম্রাজ্যবাদী করপোরেট মুক্তবাজারি বিদেশ নীতির প্রশংসায় হামিদ সাহেবের মন্তব্যে তাই অনেক কিন্তু কিন্তু,থেকে যাচ্চে কিন্তু৷ বাবরি ধ্বংস যেমন য়েরশলুম মন্দির দখলের ড্রেস রিহার্সল, মোদী সরকারের নূতন বৈদেশিক সম্পর্ক বিন্যাস কিন্তু আসলে মধ্যযুগের শত বর্ষের ইসলাম বিরুদ্ধে ক্রুসেডেরই নামান্তর৷ পলাশ বিশ্বাস

    $
    0
    0

    পশ্চিমবঙ্গে কিন্তু ক্ষমতা বেদখল বামেরা এখন সারদায় নিমজ্জিত মমতার পরিবর্তনকে বঙ্গোপসাগরে জলাজন্জলি দেওয়ার তালে আছেন এবং বাংলায় গৌরিক পতাকার বাড়বাড়ন্ত তৃণমুলের সর্বনাশ হলেও বামেরা পৌষমাসের আশায় আছেন৷


    ফ্যাসিস্ট নাজি সাম্রাজ্যবাদী করপোরেট মুক্তবাজারি বিদেশ নীতির প্রশংসায় হামিদ সাহেবের মন্তব্যে তাই অনেক কিন্তু কিন্তু,থেকে যাচ্চে কিন্তু৷

    বাবরি ধ্বংস যেমন য়েরশলুম মন্দির দখলের ড্রেস রিহার্সল, মোদী সরকারের নূতন বৈদেশিক সম্পর্ক বিন্যাস কিন্তু আসলে মধ্যযুগের শত বর্ষের ইসলাম বিরুদ্ধে ক্রুসেডেরই নামান্তর৷

    পলাশ বিশ্বাস





    আজকালের প্রতিবেদন: বিদেশ নীতির ক্ষেত্রে বুদ্ধিদীপ্ত পদক্ষেপ করেছে নরেন্দ্র মোদির সরকার৷‌ শনিবার কলকাতায় লেডিজ স্টাডি গ্রুপের এক আলোচনাচক্রে এ কথা বলেছেন ভারতের উপরাষ্ট্রপতি এম হামিদ আনসারি৷‌ তিনি বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশগুলির সঙ্গে সম্পর্ক আরও উন্নয়নে ভারত প্রতিনিয়ত প্রয়াস চালাচ্ছে৷‌ তিনি বলেন, স্কুল পর্যায় থেকেই খেলাধুলা শুরু করা উচিত৷‌ কিন্তু বহু স্কুলেরই নিজস্ব খেলার মাঠ নেই৷‌ সন্ত্রাসবাদ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সাহসের সঙ্গে সন্ত্রাসের মোকাবিলা করতে হবে৷‌ ভয়ের সঙ্গে নয়৷‌ আমাদের সমাজ বিশ্বের যে কোনও সমাজের মতোই নিরাপদ৷‌ রাজ্যসভায় এ'-অফিসিও চেয়ারম্যান পদ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই পদের ভূমিকা অনেকটা রেফারির মতো৷‌ তিনি সভা পরিচালনা করেন৷‌ কিন্তু নিজস্ব কোনও ভূমিকা নেই৷‌ অন্যদিকে, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অফ ফরেন স্টাডিজ আয়োজিত 'ইউরোপ অ্যান্ড এমার্জিং এশিয়া'শীর্ষক এক আম্তর্জাতিক আলোচনাচক্রের উদ্বোধন করে উপরাষ্ট্রপতি এশিয়া-ইউরোপের শতাব্দীপ্রাচীন সম্পর্কের কথা উল্লেখ করেন৷‌ বলেন, দু'টি মহাদেশের সমস্যা ও সুযোগ সম্বন্ধে সজাগ থাকলেই পারস্পরিক সহযোগিতার পথ গড়ে উঠবে৷‌ পাশ্চাত্য অর্থনীতি এশীয় অর্থনীতির অগ্রগতির কাছে হার মানছে৷‌ তা সত্ত্বেও ইউরোপ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নগুলি গুরুত্বপূর্ণ স্হান অধিকার করে রয়েছে৷‌ বিশ্বশাম্তি, নিরাপত্তা ও উন্নতির লক্ষ্যে দুই মহাদেশকেই এক হয়ে কাজ করতে হবে৷‌ এই অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্হিত ছিলেন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠি, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস প্রমুখ৷‌ এদিন ইন্ডিয়ান চেম্বার অফ কমার্স আয়োজিত 'ইমার্জিং ট্রেন্ডস অ্যান্ড চ্যালেঞ্জ ইন ইন্ডিয়া'শীর্ষক এক আলোচনাচক্রেও যোগ দেন হামিদ আনসারি৷‌

    আজকালের প্রতিবেদন: ঢাকা, ১৩ সেপ্টেম্বর– মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২৭ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে বসবেন৷‌ রাষ্ট্রপুঞ্জে নিযুক্ত বংলাদেশের স্হায়ী প্রতিনিধি আবুলকালাম আবদুল মোমেন জানিয়েছেন, দুই প্রধানমন্ত্রী সাধারণ পরিষদে ওই দিন ভাষণ দেওয়ার পরই বৈঠকে বসবেন৷‌ মোদি সাধারণ পরিষদের ওই অধিবেশনের ষষ্ঠ বক্তা, হাসিনা অষ্টম৷‌ নরেন্দ্র মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর এই প্রথম শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক হবে তাঁর৷‌ তবে সম্প্রতি ভারতের বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ বাংলাদেশ সফর করেছেন৷‌ ঢাকায় শেখ হাসিনার সঙ্গে সুষমা স্বরাজের বৈঠকও হয়েছে৷‌ দিল্লিতে তিন দিন আগে সুষমা জানিয়েছেন, ভূমিসীমা নির্ধারণ চুক্তি ও তিস্তার জলবণ্টন চুক্তি রূপায়ণে ভারত আম্তরিক চেষ্টা চালাচ্ছে৷‌ ভূমিসীমা নির্ধারণ (ছিটমহল বিনিময়) চুক্তির খসড়া এখন রয়েছে ভারতের রাজ্যসভার সিলে'কমিটিতে৷‌ ভূমিসীমা চুক্তি ও তিস্তা চুক্তি নিয়ে মোদি সরকার রাজনৈতিক ঐকমত্যের চেষ্টা চালাচ্ছে৷‌ সুষমার এ কথায় বাংলাদেশ আশাবাদী৷‌ নিউ ইয়র্কে রাষ্ট্রপুঞ্জের অধিবেশনের ফাঁকে মোদির সঙ্গে বৈঠকে হাসিনা এই দুই চুক্তির কথা তুলতে পারেন৷‌ ওদিকে দিল্লির খবর, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফও যাচ্ছেন নিউ ইয়র্কে রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ভাষণ দিতে৷‌ রাষ্ট্রপুঞ্জের ওই অধিবেশনের ফাঁকে মোদির সঙ্গে শরিফের বৈঠকের জন্য পাকিস্তান জোর চেষ্টা করছে৷‌ গত মাসে দিল্লির পাক দূতাবাসে কাশ্মীরি বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের ডেকে পাক হাইকমিশনার আবদুল বাসিত বৈঠক করায় ভারত দু'দেশের বিদেশ সচিবদের বৈঠক বাতিল করে দেয়৷‌ এতে দু'দেশের সম্পর্কে ফের যে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে, তা মেরামত করার চেষ্টা চালাচ্ছে পাকিস্তান৷‌ গতকাল দিল্লিতে বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ বলেছিলেন, দু'দেশের কূটনৈতিকতায় পূর্ণচ্ছেদ বলে কিছু নেই৷‌ এতে আশার আলো দেখছে পাকিস্তান৷‌



    বিদেশনীতিতে মোদী সরকারকে শংসাপত্র দিলেন উপরাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারি৷ তাঁর মতে, বিদেশনীতি রূপায়ণে সঠিক পদক্ষেপই নিয়েছে নরেন্দ্র মোদীর সরকার৷তাঁর মতে আন্ত্রজাতিক সম্পর্কের পুনর্বিন্যাসে এশিয়ার প্রতিপত্তি বাড়বে৷শনিবার কলকাতায় এক অনুষ্ঠানে বিদেশনীতির ধারাবাহিকতা  প্রসঙ্গে হামিদ স্যার এই মন্তব্য করেছেন৷


    হক কথা৷

    ডলার আধিপাত্য শেষ হতে চলেছে,এমনটা বুঝতে নাগপুরের সঙ্ঘ হেডকোয়ার্টারের ভূল হওয়ার কথা নয়৷সম্পর্কের পুনর্বিন্যাসে ভারতের পদক্ষেপ নিঃসন্দেহ স্বাগত৷এশিয়া ও বিশেষকরে  ভারতীয় উপমহাদেশগুলির সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক ভালো হলেই সবচেয়ে ভালো৷নিঃসন্দেহ আমেরিকা ও ডলারের পতন হওয়ার পর ভারতের বৈস্বিক কার্যকরি বিদেশনীতি থাকতেি হবে৷বিদেশনীতির ধারাবাহিকতার প্রসঙ্গ তুলে কিন্তু হামিদ সার নিজেকেই কন্ট্রাডিক্ট করলেন৷


    মুক্তবাজারি বৈদেশিক নীতি এখন দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্কে সামাবদ্ধ৷জাপানের ভারতে অর্থলগ্নি বা ভারতে চিনের অর্থলগ্নি বোঝায় না সার্বিক উন্নতি কতটা হল৷উপমহাদেশের মানুষ যদি সীমান্তের কাঁডাতারে আটকেই থাকে এবং সহযোগিতা সন্ত্রাসির বিরুদ্ধ মার্কিন যুদ্ধ গৃহযুদ্ধর হের ফের হয়,স্ট্র্যাটেজিক শয্যাসঙ্গী বদলে, যেমন ইজরাইলের জন্য প্যালাস্টাইন আন্দোলনে সমর্থন প্রত্যাহার বা মার্কিন আধিপাত্যর বদলে জাপানি আধিপাত্য অঙ্গীকার,তাহলে শেষ দশা পাকিস্তান,বাংলাদেশ,শ্রীলন্কা বা নেপালের চাইতে আলাদা কিছু হবে,আশা করার কোনো কারণ আপাততঃ দেখছি না৷


    হামিদ সাহেব বিদ্বান মানুষ কিন্তু তিনি বামপন্থী এবং বলাই বাহুল্য বামপন্থীদের চিন্তা ভাবনা শাসক শ্রেণীর স্বার্থের বাইরে অন্য খাতে চলার আজ অবধি কোনো প্রমাণ পাওয়া যায় নি৷


    পশ্চিম বঙ্গে ক্ষমতা ধরে রাখতে বামপন্থীরা দীর্ঘকাল কংগ্রেসের লেজুড় হয়ে বাম আন্দোলন,মতাদর্শ ওদায়বদ্ধতার দফা রফা করেছেন৷


    সেই পশ্চিমবঙ্গে কিন্তু ক্ষমতা বেদখল বামেরা এখন সারদায় নিমজ্জিত মমতার পরিবর্তনকে বঙ্গোপসাগরে জলাজন্জলি দেওয়ার তালে আছেন এবং বাংলায় গৌরিক পতাকার বাড়বাড়ন্ত তৃণমুলের সর্বনাশ হলেও বামেরা পৌষমাসের আশায় আছেন৷


    ফ্যাসিস্ট নাজি সাম্রাজ্যবাদী করপোরেট মুক্তবাজারি বিদেশ নীতির প্রশংসায় হামিদ সাহেবের মন্তব্যে তাই অনেক কিন্তু কিন্তু,থেকে যাচ্চে কিন্তু৷



    সারদার টাকায় জামাতকে মদদের ইস্যু কিন্তু আস্তে আস্তে ভারতব্যাপি পদ্মপ্রলয়ে সারদায় সর্বস্বান্ত মানুষদের টাকা ফেরত দেওয়া বা এই কেলেন্কারিতে শামিল দোষীদের শাস্তির চেয়ে বড় রাজনেতিক প্রশ্ন হয়ে উঠছে এপার ওপার বাংলায়৷


    মনে রাখা দরকার বিজেপি ও সঙ্ঘ পরিবার ধর্মীয অন্ধ জাতি সত্তার বিস্পাযণ মার্ফতে ক্ষমতায় এবং একই সঙ্গে মোদী ও দিদি,দু পক্ষই কিন্তু পিপিপি গুজরাতি মডলের দায়বদ্ধ অনুসারি,দুজনকে ক্ষমতায় আনতে বাজারের লগ্নি অনেক বেশি


    মমতা ব্যানার্জিও মুসলমান ভোটের রাজনীতি করছেন মুসলিমদের জন্য কিছু না করেইএক্কেবারে বামপন্থী রাস্তায়৷


    অন্যদিকে সারা দেশে সঙ্ঘ পরিবার সাম্প্রদায়িক মেরুকরণের জন্য ইতিহাস ভূগোল সবই ওলট পালট করছে যেমন অছুত বাল্মীকিদের ব্রাহ্মণ আখ্যা দিয়ে তাঁদের অস্পৃশ্যতার দায় চাপানো হচ্ছে মুসলিম আক্রমণকারিদের উপর,যেমন ভূসংস্কার.জাতি উন্মুলন ও নারী অধিকারের মূল এজেন্ডা যে হরিচাঁদ ঠাকুর নিয়ে ব্রাহ্মণ্যবাদকে খারিজ করে মতুয়া আন্দোলন শুরু করেচছিলেন নবজাগরণ সময়ে,তাঁকে হিন্দু মহাসভার উত্তরসুরিরা মৈষিলী ব্রাহ্মণ ও পরমব্রহ্ম সাজিয়ে নমশুদ্রদের ব্রাহ্মণ করে ছেড়েছে৷

    নমো ঋত্বিকরা ত পৈতা ধারণ করছেন হিন্দু মহাসভার বৈদিকী মতে বহুকাল আগে৷


    বাল্মীকিদের অস্পৃশ্যতা ও মুসলিম আগ্রাসনের তত্বের মতোই তাই সারদা জামাত যোগাযোগও সারা দেশে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধ মার্কিন যুদ্ধকে ত্বরান্বিত করার কান্ড কারখানা হতে চলেছে,যার পুঁজি মুসলমানদের সন্ত্রাসীই নয় শুধু,জাতি প্রথা,সামাজিক অন্যায়,বর্ণ বৈষম্য ঔর অন্যায় অসাম্যের জন্য দায়ী করে জঘন্যতম মুসলিম বিদ্বেষ তৈরি করা৷


    বাবরি ধ্বংস যেমন য়েরশলুম মন্দির দখলের ড্রেস রিহার্সল, মোদী সরকারের নূতন বৈদেশিক সম্পর্ক বিন্যাস কিন্তু আসলে মধ্যযুগের শত বর্ষের ইসলাম বিরুদ্ধে ক্রুসেডেরই নামান্তর৷


    ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির শাহরিয়ার কবির বলেছেন, জামায়াতে ইসলামীকে অর্থ যোগানে ইমরানের ভূমিকা আমরা জানি না। তবে নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের নির্বাচিত একটি সরকারকে উৎখাতে সিমির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ইমরানের সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল। আর পশ্চিমবঙ্গে একজন সিনিয়র মন্ত্রী ইমরানকে রক্ষার জন্য কিভাবে বলছেন, ইমরান মুসলিম বলেই তাঁকে টার্গেট করা হচ্ছে-প্রশ্ন করেন শাহরিয়ার কবির।

    ইতিমধ্যে মধ্যপ্রাচ্যে আবার পশ্চিমা সা্রাজ্যবাদী তেল যুদ্ধের বিভীষিকা ঘনিয়ে আসছে।গাজা গণসংহারে ইজরাইলকে নিঃশব্দ সমর্থন করার পর এি প্রসঙ্গে ভারতের অবস্থান বলাই বাহুল্য।


    অথচ পোপ ফ্রান্সিস তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ বাঁধতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে নিহত এক লাখের বেশি ইতালীয় সৈন্যের প্রতি সম্মান দেখাতে নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভ পরিদর্শনকালে শনিবার তিনি এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেন। খবর এএফপি ও টেলিগ্রাফ অনলাইনের।


    প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরুর ১শ'বছর পূর্তি উপলক্ষে শনিবার ইতালির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় রেদিপুগলিয়া সমাধি ক্ষেত্র পরিদর্শন করেন পোপ।


    উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে বলেন, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ বাঁধতে পারে বলে তিনি আশঙ্কা করছেন। এখন যারা 'সন্ত্রাসের যড়যন্ত্র'করছে তাদের নিন্দা করে তিনি বলেন, এরা ধ্বংস ও মৃত্যুর বীজ বপন করছে।


    পোপ বলেন, 'আজকের পৃথিবীতে স্বার্থ, ভূরাজনৈতিক কৌশল, অর্থ ও ক্ষমতার লিপ্সা ও অস্ত্র বাণিজ্য চলছে। আরেকটি বিশ্বযুদ্ধ আটকাতে না পারার ব্যর্থতার পরও আমরা তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আশঙ্কা থেকে নিরাপদ মনে করতে পারছি না। কেউ খাদ্যের জন্য, কেউ অপরাধের জন্য, কেউ গণহত্যার জন্য অথবা কেউ ধ্বংসের জন্য এই যুদ্ধ বাঁধাবে 'তিনি বলেন, 'মানবতা আজ কাঁদছে এবং এটা কাঁদারই সময়'।


    যুদ্ধকে একটি উন্মাদনা হিসাবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যুদ্ধ অযৌক্তিক, এটি কেবল ধ্বংসই ডেকে আনে। ধ্বংসের মধ্য দিয়েই যুদ্ধের পরিধি বাড়তে থাকে। যদিও যুদ্ধের আসল কারণ লোভ, অসহিষ্ণুতা ও ক্ষমতার লোভ... তবে অনেক সময় আদর্শবাদকেও এর একটি কারণ হিসাবে দেখান হয়।


    পোপ এমন সময় সমাধি ক্ষেত্রগুলো পরিদর্শন করলেন যখন ইরাক, সিরিয়া ও ইউক্রেনে সংঘাত অব্যাহত আছে।


    প্রসঙ্গতঃ উল্লেখ্য,গত মাসে পোপ ইরাকের ইসলামিক স্টেটের 'অযৌক্তিক আগ্রাসনের'বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের শক্তি প্রয়োগ বৈধ হতে পারে বলে মত দেন।


    জঙ্গী গ্রুপটির বিরুদ্ধে ইরাক ও সিরিয়ায় হাজার হাজার মানুষকে বাস্তুচ্যুত ও হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে, যাদের অধিকাংশই খ্রিস্টান। পোপ প্রায়শ ঈশ্বরের নামে যুদ্ধের ধারণার সমালোচনা করে থাকেন।


    সেøাভেনিয়ার সীমান্তবর্তী রেদিপুগলিয়ায় ফ্যাসিবাদী আমলে তৈরি হয়েছি ইতালির একটি সামরিক সমাধিক্ষেত্র। সেখানে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে এক লাখের বেশি সৈন্যের সমাধি রয়েছে।


    এর আগে পোপ কাছাকাছি আরেকটি যুদ্ধ স্মৃতিসৌধ পরিদর্শন করেন, যেখানে ১৫ হাজার সৈন্যের সমাধি রয়েছে। নিহত সৈন্যরা অস্ট্রো-হাঙ্গেরিয়ান সাম্রাজ্য অধীন পাঁচটি দেশের থেকে প্রথম বিশ্বযুদ্ধে যোগ দিয়েছিল। যুদ্ধে পরাজিত পক্ষে ছিল অস্ট্রো-হাঙ্গেরিয়ান সাম্রাজ্য।


    পোপের আপন পিতামহ প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ইতালির পক্ষে ১৯১৭ ও ১৮ সালে অংশ নিয়েছিলেন।



    জনকন্ঠের রিপোর্টঃপশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদের কাছ থেকে জামায়াতে ইসলামীকে অর্থ যোগান দেয়ার ঘটনায় চরম অস্বস্তিতে পড়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশেষ করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং এ ঘটনার তদন্তে আগ্রহের কথা জানার পর থেকে মমতা এখন চরম বিব্রত বোধ করছেন। এ কারণে কলকাতায় বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনার আবিদা ইসলামের সঙ্গে নিজেই বসতে চেয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। রবিবার কলকাতার টেলিগ্রাফ পত্রিকায় এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।



    টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রায় দুই বছর ধরে কলকাতার ডেপুটি হাইকমিশনার তাঁর সাক্ষাত চাইলেও সময় দেননি মুখ্যমন্ত্রী। তবে সারদা কেলেঙ্কারি এবং তৃণমূল নেতা আহমেদ হাসান ইমরানের জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগ উঠার পর এ বৈঠকে সম্মতি দিয়েছেন মমতা। সোমবারই তাঁদের সাক্ষাত হতে পারে বলে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।


    টেলিগ্রাফ উল্লেখ করেছে-নাম প্রকাশ না করে এক কর্মকর্তা বলেন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং তৃণমূলের এক নেতার বিরুদ্ধে বাংলাদেশে অস্থিরতা তৈরিতে জামায়াতে ইসলামীকে অর্থ দেয়ার অভিযোগ তদন্ত চলার ইঙ্গিত দেয়ার পর বিষয়টি নিয়ে চরম অস্বস্তিতে পড়েছেন মমতা। ঢাকা থেকে বিষয়টি তোলার পর ভারত সরকার তা তদন্ত করছে বলে খবর প্রকাশিত হওয়ায় ডেপুটি হাইকমিশনারের কাছে এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের মনোভাব জানতে চাইতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী।


    বাংলাদেশী কয়েকটি সংবাদপত্রে বলা হয়েছে-তৃণমূল সাংসদ আহমেদ হাসান ইমরানের সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর সম্পর্ক নিয়ে প্রকাশিত খবরের বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অবস্থান জানাতে ডেপুটি হাইকমিশনারকে তলব করেছেন মমতা। তবে মুখ্যমন্ত্রীর দফতর ও বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশন সূত্র জানায়, বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনার মমতার সাক্ষাত চাওয়ায় তাঁদের এ বৈঠক হচ্ছে।


    গত জুলাইয়ে ভারতে দায়িত্বের মেয়াদ শেষ হয়েছে আবিদা ইসলামের। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা ও আগামী ২০ সেপ্টেম্বর পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সঙ্গে দিল্লী সফর কেন্দ্র করে আবিদার মেয়াদ দুই মাস বাড়ানো হয়। চলতি মাসের শেষদিকে তিনি ঢাকায় ফিরবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।


    তৃণমূলের কয়েক নেতা জানান, আবিদা ইসলাম আগে মমতার সাক্ষাত চাইলে দুই বছরেও বাংলাদেশী কূটনীতিকের সঙ্গে দেখা করেননি মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্য সরকারের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি ও স্থলসীমান্ত চুক্তির মতো বিষয়গুলো থাকায় বাংলাদেশী কূটনীতিকের সঙ্গে বৈঠক এড়ানোর চেষ্টা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

    ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি সই এবং স্থলসীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিলেও তার বিরোধিতা করেন মমতা। কেউ কেউ বলছেন, মমতা এমন সময়ে বাংলাদেশী কূটনীতিকের সঙ্গে বসতে সম্মত হয়েছেন যখন জামায়াতের সঙ্গে তাঁর দলের নেতা ইমরানের সম্পর্ক নিয়ে সীমান্তের উভয় পাশে আলোচনা চলছে।


    সম্প্রতি বিজেপির মুখপাত্র সিদ্ধার্থ নাথ সিং এক নির্বাচনী সভায় সাবেক সিমি নেতা ইমরানের সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর সম্পর্কের বিষয়টি তুললে তা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়। ভারতে ২০০১ সাল থেকে নিষিদ্ধ স্টুডেন্টস ইসলামিক মুভমেন্ট অব ইন্ডিয়ার (সিমি) অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ইমরান বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভার সদস্য।


    বাংলাদেশ ও ভারতের কয়েকটি পত্রিকায় প্রকাশিত খবরের বরাত দিয়ে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা সিদ্ধার্থ বলেন, বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে জ্বালাও-পোড়াওয়ে সারদার টাকা পাঠিয়েছেন ইমরান। এ সব অভিযোগ অস্বীকার করে ভারতীয় টেলিগ্রাফকে ইমরান বলেছেন, ১৯৮৪ সালে আমি সিমি ছেড়েছি এবং জামায়াতের সঙ্গে আমার কিছু করার নেই।

    তৃণমূলের দুই প্রভাবশালী নেতা সুব্রত মুখার্জী ও ফিরহাদ হাকিমের মতো অনেক নেতাই ইমরানের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নাকচ করছেন। সোমবার অনুষ্ঠানরত উপনির্বাচন ঘিরে ভোটারদের মন ঘোরাতে বিজেপি কৌশল হিসেবে ইমরানের বিরুদ্ধে এ সব অভিযোগ তুলেছে বলে দাবি তাদের।

    তৃণমূল ভবনে ফিরহাদ হাকিম বলেন, ইমরান সন্ত্রাসী নয়। শুধু সংখ্যালঘু সম্প্রদায় থেকে আসায় তাঁকে টার্গেট করা হচ্ছে।


    আজকালের প্রতিবেদন: নন্দীগ্রাম আন্দোলনে সোনাচূড়ায় যে-সব বেআইনি জিনিসপত্র কেনা ও ব্যবহার হয়েছিল তাতেও সারদার টাকা ঢুকে থাকতে পারে৷‌ ওই সময় যে-সব মাওবাদী কর্মী ও তৃণমূল কর্মীরা একযোগে কাজ করেছিলেন, পরবর্তীকালে যে-সব মাওবাদী আত্মসমর্পণ করেছেন বা জেলে আছেন তাদের সবাইকে অবিলম্বে জেরা করুক সি বি আই৷‌ অনেক তথ্য বেরিয়ে আসবে৷‌ শনিবার বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু সাংবাদিকদের এ কথা বলেছেন৷‌ পাশাপাশি এদিন বামফ্রন্টের বৈঠকে সমস্ত শরিকদল একমত যে যেটুকু তদম্ত হয়েছে তাতে পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে, সারদা ও অন্যান্য চিটফান্ডের সঙ্গে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস ওতপ্রোতভাবে জড়িত৷‌ সি বি আই তদম্তে যেটুকু তথ্য প্রকাশিত তাতেই মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে মন্ত্রী, সাংসদ, নেতা-কর্মীদের আচরণ, মুখের চেহারা ও কথাবার্তা বদলে গেছে৷‌ মানুষের কাছে স্পষ্ট হয়ে গেছে যে সারদা দুর্নীতিতে ডুবে আছে শাসকদল৷‌ তাই ২২ সেপ্টেম্বর রামলীলা ময়দান থেকে বড়সড় মিছিল, জমায়েত ও সভার ডাক দিয়েছে রাজ্য বামফ্রন্ট৷‌ বিমান বসু এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছেন, একজন নিজের গায়ে সততার প্রতীক লেবেল লাগিয়ে সারাদিন ধরে অসৎ কাজ করে চলেছেন, মিথ্যে কথা বলে চলেছেন৷‌ চোর, ডাকাত, গুন্ডা, বদমায়েশরা কপালে লেবেল লাগিয়ে কুকর্ম করে না৷‌ তেমনি সমাজে যাঁরা প্রকৃত সৎ মানুষ তাঁরা কপালে লেবেল লাগিয়ে কাজ করেন না৷‌ নীরবে সৎ জীবনযাপন করে থাকেন৷‌ আদালতের নির্দেশে সি বি আই তদম্তে আজ যখন একের পর এক তথ্য উঠে আসছে, প্রকৃত সত্য মানুষের কাছে স্পষ্ট হচ্ছে তখন ফের কপালে লেবেল লাগিয়ে গলাবাজি শুরু হয়ে গেছে৷‌ আইন মন্ত্রীর নেতৃত্বে সি বি আই অফিসের সামনে ধর্নার আয়োজন করে ফের মানুষকে বোঝাতে চাইছে তারা কত সৎ! এ জন্য আমরা বামফ্রন্ট মনে করছি রাস্তাই রাস্তা৷‌ রাস্তায় নেমে আমরাও মানুষের কাছে প্রকৃত তথ্য তুলে ধরব৷‌ এদিন সারদা, রাজ্য সরকার, পরিবহণ দপ্তর-সহ সমস্ত বিষয় নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু৷‌ তিনি বলেন, সারদা ও অন্যান্য চিটফান্ডের কালো টাকার সঙ্গে যে এই শাসকদল আষ্টেপৃষ্ঠে বাঁধা পড়ে গেছে তা জলের মতো পরিষ্কার হয়ে গেছে৷‌ তৃণমূলের সহসভাপতি, প্রাক্তন আমলা, যিনি এই মুহূর্তে সি বি আই হেফাজতে, তাঁর বাড়িতেই বৈঠক হয়েছে৷‌ বৈঠকে ছিলেন, দলের সর্বভারতীয় সম্পাদক, প্রাক্তন রেলমন্ত্রী মুকুল রায় ও সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন৷‌ সুদীপ্তের পালানোর ছকও ওখানে বসেই হয়েছিল৷‌ কোনও সম্পর্ক না থাকলে এমন ঘটবে কেন? তিনি বলেন, সবকিছু দেখে আমার মনে হয়েছে ক্ষমতায় আসার জন্য এবং ক্ষমতায় আসার পর সারদা নামক একটি কামধেনুকে দোহন করেছে এই তৃণমূল কংগ্রেস৷‌ ফলে, লাখ লাখ আমানতকারী আজ সব হারিয়ে রাস্তায় বসেছেন৷‌ শুধু কি অর্থ নয়ছয়, বাংলাদেশের একটি শক্তির মাধ্যমে অ্যাম্বুলেন্সে করে বস্তা বস্তা টাকা বিদেশে গেছে৷‌ এবং তা হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসেরই এক সাংসদের মাধ্যমে৷‌ বিমান বসু বলেন, শোনা যাচ্ছে বাংলাদেশের ওই শক্তির স্বার্থ বজায় রাখতেই শেষ মুহূর্তে বাংলাদেশে শেখ হাসিনার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের বৈঠকে না যাওয়ার সিদ্ধাম্ত নেন মুখ্যমন্ত্রী৷‌ যেখানে তিস্তা চুক্তি ও ছিটমহলের দীর্ঘ সমস্যার সমাধান হওয়ার কথা ছিল৷‌ দেশ-বিরোধী শক্তিকে আরও শক্তিমান করতে সারদাকে ব্যবহার করা হয়েছিল৷‌ এ তো দেশ-বিরোধী ষড়যন্ত্র! এরা তো জনগণের শত্রু৷‌ সি বি আইয়ের উচিত দেশের স্বার্থে এই তথ্যকে তদম্তের মাধ্যমে আরও সম্প্রসারিত করা৷‌ স্বাধীন ভারতে চিটফান্ড নিয়ে এত বড় অর্থনৈতিক কেলেঙ্কারি কখনও হয়নি, যে কেলেঙ্কারির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে তৃণমূল কংগ্রেস৷‌ এদিন বিমান বসু বলেন, রাত ১২টার পর উত্তরবঙ্গে ডেলো রিসর্টে মুখ্যমন্ত্রী শুধু সুদীপ্ত সেন নন, রোজভ্যালির কর্তার সঙ্গেও বৈঠক করেছেন৷‌ মুকুল রায় আর কুণাল ঘোষ সেখানে ছিলেন৷‌ বৈঠক চলে রাত দেড়টা পর্যম্ত৷‌ কোনও মুখ্যমন্ত্রী এত রাতে কেন বৈঠক করবেন? যাতে কাকপক্ষী টের না পায়! তার মানেই তো 'ডাল মে কুছ কালা হ্যায়!'অসৎ কাজ না করলে কেউ এত গোপনীয়তা রক্ষা করে? নিজেকে সততার প্রতীক বলে মুখ্যমন্ত্রী যত সব অসৎ কাজ করে চলেছেন৷‌ ফলে, রাজ্যে অসৎ কাজ আর মিথ্যে কথা বলার প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গেছে৷‌ এভাবে তো বেশিদিন চলতে পারে না! তাই আমরা রাস্তায় নেমে মানুষকে জানাবার পথ নিয়েছি৷‌ এদিন বিমান বসু প্রশ্ন তোলেন আদৌ সরকারটা চলছে? দিনের পর দিন ‌ট্যাক্সি চালকরা আন্দোলন করছেন, শহর অচল করে দিচ্ছেন, ধর্মঘট করছেন৷‌ সরকারের কোনও উদ্যোগ চোখে পড়েছে এই সমস্যা মেটানোর জন্য? সিঙ্গুরে যে তাপসী মালিকের মৃত্যুকে নিয়ে এত প্রচার করলেন, সেই তাপসীর বাবাও প্রতারিত সারদার কাছে৷‌ তাঁর ১ লক্ষ টাকা ফেরত পেতে জুতোর সুখতলা ক্ষয়ে গেছে৷‌ শ্যামল সেন কমিশন এক টাকাও ফেরাতে পারেনি৷‌ আর মুখ্যমন্ত্রী আমানতকারীদের টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে বলে গল্প শোনাচ্ছেন৷‌ তদম্তকারী সি বি আইয়ের কাছে আমাদের দাবি, অবিলম্বে শাসকদলের যোগসাজশে এই যে কোটি কোটি টাকা নয়ছয় হয়েছে তার যথাবিহিত সমাধান চাই৷‌ আমানতকারীদের টাকা ফেরত চাই৷‌ যারা যারা জড়িত ও টাকা নয়ছয় করেছে তাদের ধরে শাস্তি দিতে হবে৷‌ দরকারে তাদের সম্পত্তি উদ্ধার করে, বিক্রি করে আমানতকারীদের টাকা মেটাতে হবে৷‌ তিনি বলেন সি বি আইকে অবিলম্বে কার্যকরী ভূমিকা নিতে হবে৷‌ আইনমন্ত্রী আইন ভাঙছেন৷‌ সেটাও বন্ধ করতে হবে৷‌ এদিন বিমান বসু অন্য এক প্রশ্নে বলেন, নন্দীগ্রামে আন্দোলনের সময় মাওবাদী, চিটফান্ড, অন্যান্য সংগঠনের সঙ্গে তৃণমূলের জোট হয়েছিল৷‌ সোনাচূড়ায় যে বেআইনি জিনিসপত্র মজুত হয়েছিল ও ব্যবহার হয়েছিল তা সারদার কালো টাকায় কেনা হয়েছিল বলেই মনে হচ্ছে৷‌ নন্দীগ্রামের বহু আমানতকারী বার বার আবেদন-নিবেদন করেও শ্যামল সেন কমিশনের কাছে টাকা পাননি৷‌ তিনি বলেন, সি বি আইয়ের কাছে আমাদের আবেদন, যে সমস্ত মাওবাদী নেতা জেলে আছেন, তাদেরও জেরা করা হোক৷‌ যারা বন্ধু তৃণমূল সরকারের আনুকূল্যে আত্মসমর্পণ করে পুলিসি নিরাপত্তা নিয়ে দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছেন তাদেরও জেরা করুক সি বি আই৷‌ সারদার নয়ছয় হওয়া টাকার বেশ কিছু হদিশ মিলবে৷‌


    আজকালের প্রতিবেদন: কলকাতা ও বহরমপুর, ১৩ সেপ্টেম্বর– সারদা-কাণ্ড নিয়ে পথে নামছে কংগ্রেস৷‌ অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার, ক্ষতিগ্রস্তদের টাকা ফেরত, সুষ্ঠুভাবে তদম্তের দাবিতে ১৯ সেপ্টেম্বর শহিদ মিনারে সভা করবে কংগ্রেস৷‌ দুপুর ১টায় সভা শুরু হবে৷‌ তার আগে ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে জেলায় জেলায় আন্দোলন, প্রতিবাদ সভা করবে কংগ্রেস৷‌ শনিবার বহরমপুরে এ কথা জানিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরি৷‌ তিনি এদিন অভিযোগ করে বলেন, বাংলাদেশের মৌলবাদী সংগঠন জামাত-ই-ইসলামির হাত শক্ত করতেই তৃণমূল সরকার তিস্তা চুক্তির বিরোধিতা করেছে৷‌ ওই চুক্তি না হওয়ার জন্য জামাতের বড় হাত রয়েছে৷‌ ছিটমহল বিনিময়েরও বিরোধিতা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী৷‌ বি জে পি রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহা এদিন জানিয়েছেন, সারদা-কাণ্ডে জামাতের যোগ নিয়ে কেন্দ্রকে চিঠি দিয়েছেন তিনি৷‌ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংকে এই ঘটনা নিয়ে তদম্তের আবেদনও করেছেন তিনি৷‌ এদিকে, বাংলাদেশের জামাত-ই-ইসলামি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও যোগ নেই৷‌ এক প্রেস বিবৃতিতে ওই সংগঠনের প্রচার সচিব তসনিম আলম বলেছেন, তৃণমূলের সঙ্গে তাঁদের সম্পর্ক তো নেই-ই, এমনকি ওই দলের সাংসদ আহমদ হাসান ইমরানের কাছ থেকে টাকা নেওয়ারও প্রশ্ন ওঠে না৷‌ অন্যদিকে, তৃণমূল সাংসদ আহমদ হাসান ইমরানের সঙ্গে তাদের যোগাযোগের খবর ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছে স্টুডেন্টস অর্গানাইজেশন অফ ইন্ডিয়া৷‌


    আজকালের প্রতিবেদন: কেন্দ্রের নতুন বি জে পি সরকার আগুন নিয়ে খেলা করছে৷‌ রেগা কর্মসূচি সঙ্কোচন করার চেষ্টা হলে দেশে আগুন জ্বলবে৷‌ তেলিয়ামুড়ার সমাবেশে এই হুঁশিয়ারি দিলেন সি পি এম পলিটব্যুরো সদস্য মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার৷‌ গণতন্ত্র ও সমৃদ্ধ ত্রিপুরা গড়ার শক্তি সংহত করা এবং সারা দেশে দলিতদের অধিকার প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম মজবুত করার স্লোগান সামনে রেখে শনিবার শুরু হল ত্রিপুরা তফসিলি জাতি সমন্বয় সমিতির অষ্টম রাজ্য সম্মেলন৷‌ তেলিয়ামুড়ার চিত্রাঙ্গদা কলাকেন্দ্রে এই সম্মেলনকে সামনে রেখে টাউন হলের সামনে হয় ভিড় উপচে পড়া সমাবেশ৷‌ সি পি এম পলিটব্যুরো সদস্য মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার এই সমাবেশে 'আচ্ছে দিন'-এর নামে কেন্দ্রের ক্ষমতায় বসা প্রবঞ্চক বি জে পি, সম্রাসবাদীদের সুযোগ এবং রাজ্যভাগের ষড়যন্ত্রকারী আই পি এফ টি-আই এন পি টি সম্পর্কে সতর্ক করেন৷‌ তুলে ধরেন জনবর্জিত দুর্নীতিগ্রস্ত কংগ্রেস দেশের মানুষের কী সর্বনাশ করেছে৷‌ মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও দেশের জটিল রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরে সমাবেশে বক্তব্য পেশ করেন তফসিলি জাতি উন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী রতন ভৌমিক, সাংসদ ঝর্না দাস, সমবায়মন্ত্রী খগেন্দ্র জমাতিয়া, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বিধায়ক সুধন দাস৷‌ সি পি এম নেতা বিধানসভার মুখ্য সচেতক সমীর দেব সরকার, সুধীর সরকার-সহ বিভাগীয় নেতৃত্ব ছিলেন৷‌ বড়মুড়া থেকে আঠারমুড়া রাজ্য সম্মেলনে সামনে রেখে গোটা তেলিয়ামুড়া শহর সাজিয়ে তোলা হয়৷‌ জননেতা বৈদ্যনাথ মজুমদারের নামাঙ্কিত নগরে এদিন দুপুর ১টা থেকেই তেলিয়ামুড়ার বিভিন্ন জায়গার সংগঠনের কর্মী-সমর্থকরা লাল পতাকা, ফ্ল্যাগ ও ব্যানার নিয়ে মিছিল করে এসে পৌঁছতে থাকে তেলিয়ামুড়া টাউন হল প্রাঙ্গণে৷‌ এখানে তফসিলি জাতি সংগঠনের রাজ্যনেতা বিধুভূষণ মালাকারকে সভাপতি করে শুরু হয় প্রকাশ্য সমাবেশের কাজ৷‌ সমাবেশে প্রধান বক্তার ভাষণে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আকাশছোঁয়া দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষকে শোষণ করে পুঁজিপতিদের তোষামোদ করা, সঙ্গে দুর্নীতির জন্য মানুষ কংগ্রেসকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছে৷‌ একই নীতি নিয়ে নতুন ভারত গড়ার স্বপ্ন দেখিয়ে ক্ষমতায় বসেছে বি জে পি৷‌ কট্টর হিন্দুত্ববাদী আর এস এস পরিচালিত বি জে পি ক্ষমতায় বসেই ধর্ম-বর্ণের নামে দেশভাগের চেষ্টা করছে৷‌ জনগণকে বোকা বানিয়ে ক্ষমতায় বসা বি জে পি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম কমানোর উদ্যোগ নেয়নি৷‌ বৃদ্ধি করা হয়েছে পেট্রল, ডিজেলের দম৷‌ মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, বি জে পি সরকারের ১০০ দিন হল৷‌ ক্ষমতায় বসার পর পেট্রল, ডিজেলের দাম থেকে রেলভাড়া বৃদ্ধি করে জনগণের ওপর একের পর এক বোঝা কীভাবে চাপাচ্ছে, তা তুলে ধরেন৷‌ অসংখ্য দুর্নীতির কড়া সমালোচনা করেন৷‌ তিনি বলেন, আমাদের রাজ্যে ৫৮টি ব্লকের মধ্যে ১৫টি ব্লকে রেগার কাজ চলবে৷‌ বাকি ব্লকে রেগার কাজ চলবে না৷‌ আমরা প্রতিবাদ করছি৷‌ আমরা বলছি, আগুন নিয়ে খেলার চেষ্টা করবেন না৷‌ এই আগুন যদি জ্বালানোর চেষ্টা করেন৷‌ এই আগুন হনুমানের আগুনের মতো লঙ্কা যেমন ছাড়খাড় হয়েছে, এই বি জে পি সরকার পরিস্হিতি সেরকম হবে৷‌ সেই হুঁশিয়ারি দিচ্ছি৷‌ একইসঙ্গে কট্টর হিন্দুত্ববাদী এই দল ভারতের জাতীয় সংহতি বিনষ্ট করার চেষ্টা করছে৷‌ এই লোকসভা নির্বাচনের পর মোদি সরকার শপথ নেওয়ার পর ১০০ দিনের মধ্যে প্রায় ৩৫-৩৭টি দাঙ্গা সংগঠিত হয়েছে ভারর্তে৷‌ তিনি আরও বলেন, গরিবের ভোটে জয়ী হয়ে ধনীদের স্বার্থে রাস্তা করছে বি জে পি-র সরকার৷‌ আই পি এফ টি পৃথক তিপ্রাল্যান্ড গঠনের নামে রাজ্যের শাম্তি-সম্প্রীতি নষ্টের চেষ্টা করছে জনগণকে চোখ-কান খোলা রাখতে সতর্ক করেন৷‌ সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা করে সুসমৃদ্ধ ত্রিপুরার উন্নয়নকে এগিয়ে নিতে তফসিলি জাতি মানুষের প্রতি আহ্বান রাখেন৷‌ এছাড়া সমাবেশে আলোচনা করেন মন্ত্রী রতন ভৌমিক, তফসিলি সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক সুধন দাস, রাজ্যসভার সাংসদ ঝর্না দাস বৈদ্য প্রমুখ৷‌ রাজ্যের ২৩টি বিভাগ থেকে মোট ৭১০ জন প্রতিনিধি সম্মেলনে অংশগ্রহণ করছেন৷‌ সম্মেলনে আম্তর্জাতিক জাতীয় এবং রাজ্যের বর্তমান রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং সামাজিক প্রেক্ষাপট নিয়ে আলোচনা হবে৷‌ আলোচনা হবে সংগঠনের বিগত দিনের সফলতা-দুর্বলতাও৷‌ গৃহীত হবে আগামী দিনের কর্মসূচি৷‌ সম্মেলন চলবে তিনদিনব্যাপী৷‌


    আজকালের প্রতিবেদন: পশ্চিমবঙ্গে যে কারণে বিপর্যয় তা তুলে ধরেই ত্রিপুরার বাম শিক্ষক-কর্মচারী আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের সতর্ক করলেন প্রাক্তন সাংসদ সুকোমল সেন৷‌ শনিবার সারা ভারত সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির সভা শেষ হয় আগরতলায়৷‌ এরপর রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনের সামনে হয় বাম কর্মচারী সমাবেশ৷‌ এখানে বক্তব্য পেশ করতে গিয়ে সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি সুকোমল সেন পশ্চিমবঙ্গের বিপর্যয়ের কারণ তুলে সতর্ক করেন৷‌ তাঁর অভিযোগ পশ্চিমবঙ্গে এখন দুর্বৃত্তরাজ চলছে৷‌ ছাত্রী অবস্হায় পরীক্ষায় নকল করা থেকে দুর্বৃত্তায়ন যে করেছেন তিনি এখন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী৷‌ সারদা থেকে লুট করা আড়াই হাজার কোটি টাকা, গুন্ডা বাহিনী কাজে লাগিয়ে পুলিসকে দর্শক বানিয়ে দুর্বৃত্তায়ন চলছে৷‌ প্রাক্তন সাংসদ প্রবীণ বাম নেতা সুকোমল সেন বলেন, জনগণকে রাজনৈতিক সচেতন করা যায়নি বলেন পশ্চিমবঙ্গের ৩৪ বছরের বামফ্রন্ট সরকারের পর দুর্বৃত্তের সরকার এসেছে৷‌ তিনি শিক্ষক-কর্মচারীদের উদ্দেশে বলেন, শুধু কর্মসূচি গ্রহণ করলে হয় না৷‌ কর্মসূচি সম্পর্কে সচেতন ধারণা জন্ম দিতে হবে৷‌ কত টাকা ছেলের লেখাপড়ায় খরচ করলাম৷‌ কত ভাল জায়গায় মেয়ের বিয়ে ছিলাম৷‌ কত বড় বাড়ি বানালাম এই সব হিসেব-নিকেশ মাথায় থাকলে মূল লক্ষ্যে যাওয়া যাবে না৷‌ মেয়ের বিয়েতে পণ অন্য জাতে বিয়ে সমাজসংস্কারমূলক এই কাজগুলোকে গুরুত্ব না দিয়ে শ্রেণীহীন সমাজ ব্যবস্হা হবে না৷‌ সারা ভারত রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি অজয় মুখার্জিও এই বিষয়গুলো তুলে ধরেন৷‌ টি ই সি সি (এইচ বি রোড)-এর চেয়ারম্যান সুভাষচন্দ্র সাহা, সাধারণ সম্পাদক অসীম পাল-সহ হরিয়ানা, বিহার, উত্তরপ্রদেশের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা বিশাল এই কর্মচারী সমাবেশে বক্তব্য পেশ করেন৷‌ কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকারের তিন মাসের কাজে দেশের সাধারণ মানুষের কোনও উপকার হয়নি বলে মম্তব্য করেন প্রায় সব বক্তাই৷‌ শ্রম আইন সংশোধন করার উদ্যোগ নিয়ে এই সরকার প্রকৃতপক্ষে বৈদেশিক পুঁজিকে সুবিধা করে দিতে চাইছে বলে দাবি ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব৷‌ ব্যাঙ্ক, বিমা বেসরকারীকরণ, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, রেগা প্রকল্পের সঙ্কোচন-সহ কেন্দ্রের জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে জোর লড়াই করার ডাক দেওয়া হয় সমাবেশ থেকে৷‌ ত্রিপুরার বামফ্রন্ট সরকারের বিকল্প কর্মসূচি তুলে ধরে মানিক সরকারের নেতৃত্বে চলা রাজ্য সরকারের প্রশংসা করা হয়৷‌ রত্না সরকার, মহুয়া রায়-সহ রাজ্যের শীর্ষ কর্মচারী নেতৃত্বে ছিলেন৷‌


    শ্রীনগর, ১৩ সেপ্টেম্বর (পি টি আই)– বন্যা তিক্ততা ভুলিয়ে দিল এন সি এবং পি ডি পি-র মধ্যে৷‌ মিলিয়ে দিল বি জে পি আর কংগ্রেসকে৷‌ রাজনৈতিক মতভেদ সরিয়ে রেখে শনিবার শ্রীনগরে সর্বদলীয় বৈঠক থেকে দুর্গত মানুষকে সর্বতোভাবে সাহায্য করার ডাক দেওয়া হল৷‌ পি ডি পি নেত্রী মেহবুবা মুফতি, কংগ্রেস নেতা সইফুদ্দিন সোজ এবং বি জে পি নেতা যুগল কিশোর জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার সঙ্গে একযোগে উদ্ধার কাজে অনবদ্য উদ্যোগ নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ দিলেন সেনাকে, দুঃখপ্রকাশ করলেন জীবনহানিতে৷‌ রাজ্যের বিধায়ক, সাংসদদের এলাকা উন্নয়ন তহবিলের একাংশ পুনর্গঠনের কাজে দেওয়ার প্রস্তাবও এল সর্বদল বৈঠক থেকেই৷‌ বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রী বললেন, এন সি এবং পি ডি পি যদি একসঙ্গে বসে কথা বলতে পারে, কংগ্রেস আর বি জে পি যদি আলোচনা চালাতে পারে, তা হলে আর সব মানুষও এই দুর্যোগে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করতে পারবেন৷‌ তবে অন্য জায়গায় কমলেও উত্তর কাশ্মীরে বন্যার জল বাড়ায় কিছুটা চিম্তিত তিনি৷‌ এই বন্যার জন্য বছরের শেষে বিধানসভা নির্বাচনে আপনার সুবিধা হবে না অসুবিধা? কী ভাবছেন নির্বাচন নিয়ে? সাংবাদিকেরা প্রশ্ন করাতে সঙ্গে সঙ্গে উত্তর দিলেন, নির্বাচন নিয়ে ভাবার এখন কোনও সময় নেই৷‌ শ্রীনগরে সর্বদল বৈঠকের পাশাপাশি রাজ্যের মন্ত্রিসভার প্রতিনিধিদল এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করে৷‌ এই বন্যাকে জাতীয় বিপর্যয় বলে ঘোষণা করার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা৷‌ সব গৃহহারা মানুষকে অবিলম্বে প্রাথমিকভাবে ৫ লাখ টাকা করে সাহায্য করার দাবিও জানান মন্ত্রীরা৷‌ প্রধানমন্ত্রী নিজেই রাজ্যের বন্যা পরিদর্শন করার পর বলেছিলেন, এটা প্রায় জাতীয় বিপর্যয়৷‌ তবে জাতীয় বিপর্যয় ঘোষণার নির্দিষ্ট কিছু নিয়মনীতি না থাকায় এ নিয়ে কী করা হবে সেটা নিশ্চিত নয়৷‌ পাশাপাশি যোগাযোগ মন্ত্রী রবি শঙ্কর প্রসাদ ঘোষণা করেছেন, বি এস এন এল এক সপ্তাহ ধরে বিনামূল্যে পরিষেবা দেবে৷‌ রাজ্যসভার সি পি এম সাংসদ সীতরাম ইয়েচুরি রাজ্যের বাইরের সাংসদদেরও এই দুর্যোগে উন্নয়ন তহবিলের অর্থ দান করার সুযোগ করে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান হামিদ আনসারির কাছে৷‌


    এদিকে, এখনও পর্যম্ত প্রায় দেড় লাখ মানুষকে উদ্ধার করেছেন সেনা এবং জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর জওয়ানরা৷‌ সাহায্যের অপেক্ষায় প্রায় সম সংখ্যক মানুষ৷‌ ভোর চারটে থেকে রাত ১২টা পর্যম্ত চলছে উদ্ধার কাজ৷‌ রাত ১২টা থেকে ভোর ৪টে পর্যম্ত নৌকা এবং হেলিকপ্টারগুলো মেরামত করা হচ্ছে৷‌ তারপরে ফের ভোর ৪ থেকে উদ্ধার কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ছেন সেনারা৷‌ এখন জোর দেওয়া হচ্ছে জল শোধনের ট্যাবলেট বিলিতে, ছোট জল শোধনের প্ল্যান্ট বসানো, যোগাযোগ ব্যবস্হার উন্নতিতে টাওযার মেরামতি এবং বিদ্যুৎ সমস্যা মেটাতে ৩ থেকে ৫ কে ভি এ-র জেনারেটর বসানোর ওপর৷‌ এত কিছু করেও কিন্তু সেনার জিপ এবং হেলিকপ্টারের ওপর পাথর ছোঁড়া থামছে না৷‌ মাঝে-মধ্যেই এমন ঘটনা ঘটছে৷‌ নিচু দিয়ে উড়ে যাওয়া একটি হেলিকপ্টারের এতে অল্প ক্ষতিও হয়েছে৷‌ সেনারা অবশ্য দমে যেতে রাজি নন৷‌ বলছেন, বিচ্ছিন্নতাবাদীরা অনেক জায়গায় মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছেন বলেই এমন কাণ্ড ঘটছে৷‌ তবে মুখ্যমন্ত্রী আবদুল্লা নিন্দা করে বলেছেন, বন্যার ঘোলা জলে মাছ ধরতে চাইছে কিছু বিভেদকামী শক্তি৷‌ এখনই এ সব করতে হচ্ছে? ত্রাণ আর উদ্ধার কাজে বাধা দিতে হচ্ছে? পরেও তো অনেক সময় পাবেন ওরা! বিশ্বে সব থেকে বেশি সামরিকীকরণ হওয়া এই উপত্যকায় পরে কী হতে চলেছে তা নিয়ে চিম্তিত সেনাবাহিনীর কিছু কর্তাও৷‌ কারণ শ'য়ে শ'য়ে এ কে, ইনসাস, এবং এস এল আর রাইফেল জলের নিচে৷‌ বেশ কিছু রাইফেল নাকি জলে ভেসে গেছে৷‌ ভিজে জবজবে হ্যান্ড গ্রেনেড এবং বিস্ফোরকও৷‌ সব কিছু ব্যারাকে ফেলে কোনওরকমে প্রাণ হাতে নিয়ে পালিয়ে বেঁচ্ছেেন জওয়ানেরা৷‌ এইসব রাইফেল এবং তাদের কার্তুজ পরে অয়েলিং এবং সার্ভিসিং করালে ফের ব্যবহার করা যেতে পারে বটে৷‌ কিন্তু গ্রেনেড বা বিস্ফোরকের ক্ষেত্রে তা হবে না৷‌ উগ্রপম্হীরা এর সুযোগ নেবে না তো? চিম্তায় সেনাকর্তারা৷‌


    সেনাবাহিনীর পাশাপাশি বিধ্বংসী এই বন্যায় উদ্ধার কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া৷‌ আজ থেকে ২০ বছর আগে প্রথম যখন এদেশে এই মিডিয়া চালু হয় তখন বেজিং, মস্কোর পাশাপাশি দিল্লিও সন্দেহের চোখে দেখেছিল একে৷‌ বলেছিল, এতে সরকারের কর্তৃত্ব ক্ষুন্ন হবে৷‌ আজকে কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়া সম্পর্কে ধারণাটাই অনেক বদলে গেছে৷‌ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজে সাধারণ মিডিয়াকে পাশে সরিয়ে রেখে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে যোগাযোগ রক্ষার ওপর জোর দিচ্ছেন৷‌ কারণ এতে জনগণের মত খুব দ্রুত এবং সরাসরি পাওয়া যায়৷‌ এই ব্যাপারটা নীতি নির্ধারণ এবং দ্রুত কাজ পরিচালনার ক্ষেত্রে কতটা গুরুত্বপূর্ণ তার প্রমাণ মিলল কাশ্মীরের বন্যা থেকে৷‌ সাধারণ টেলিফোন, মোবাইল এবং ইন্টারনেট পরিষেবা স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল৷‌ কিন্তু অনেকটাই উপগ্রহ নির্ভর হওয়ায় চালু ছিল মোবাইলে ৩-জি ইন্টারনেট পরিষেবা৷‌ হাজার হাজার দুর্গত মানুষ টুইটার, ফেসবুক এবং হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠিয়েছেন৷‌ তা থেকে প্রায় ১২,০০০ মানুষকে উদ্ধার করতে সমর্থ হয়েছে সেনাবাহিনী৷‌


    আজকালের প্রতিবেদন: দিল্লি, ১৩ সেপ্টেম্বর– উত্তরপ্রদেশের মৈনপুরী, গুজরাটের বরোদা ও তেলেঙ্গানার মেডাক– এই ৩ লোকসভা আসন ও ১০ রাজ্যে ৩৩টি বিধানসভা আসনে আজ উপনির্বাচন হল মোটামুটি নির্বিঘ্নেই৷‌ শুধু মাওবাদী উপদ্রুত ছত্তিশগড়ের অম্তগড় বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন চলার সময় দুপুরে ওই এলাকার এদেঙ্গা গ্রামের কাছে আমাবেদা জঙ্গলে টহলদার পুলিস-কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের ওপর হামলার চেষ্টা করে সশস্ত্র মাওবাদীদের একটি দল৷‌ তারা বিস্ফোরণ ঘটায়, ঝাঁক ঝাঁক গুলি চালায়৷‌ সঙঘর্ষ বেধে যায়৷‌ জওয়ানরা ওই অঞ্চল ঘিরে ফেললে মাওবাদীরা গভীর জঙ্গলের ভেতর পালায়৷‌ কেউ হতাহত হননি৷‌ ভোটেরও কোনও ক্ষতি হয়নি৷‌ শুধু এই এলাকার কয়েকটি বুথে বেলা ১টা নাগাদ এ ঘটনায় কিছুক্ষণের জন্য ভোট থমকে গিয়েছিল৷‌ দিনের শেষে অম্তগড়ে ভোট পড়েছে ৫০ শতাংশ৷‌ এই বিধানসভা কেন্দ্রটির ২০২টি বুথের ১৯০টি বুথই ছিল মাওবাদী উপদ্রবের কারণে অতি স্পর্শকাতর৷‌ নির্বিঘ্নে ভোট করানোর জন্য দেড় লক্ষ ভোটারের এই বিধানসভা আসনে ছিল রাজ্য পুলিস ও কেন্দ্রীয় বাহিনীগুলির ১০ হাজার নিরাপত্তা কর্মীর পাহারা৷‌ এ ছাড়া তেলেঙ্গানার মেডাক লোকসভা কেন্দ্রের গঙ্গাপুরের ভোটাররা তাঁদের গ্রামে বুথ না হওয়ার ক্ষোভে ভোট বয়কট করেছেন৷‌ এই লোকসভা কেন্দ্রের পেড্ডাপুরে গ্রামের বেহাল রাস্তাঘাট সারানোর দাবিতে গ্রামবাসীরা ভোট দিতে যাননি৷‌ পশ্চিমবঙ্গের চৌরঙ্গি বিধানসভা কেন্দ্রে খুচরো সঙঘর্ষের ঘটনা ঘটলেও ভোট নির্বিঘ্নে হয়েছে চৌরঙ্গি ও বসিরহাট (দক্ষিণ) বিধানসভা কেন্দ্রে৷‌ মে মাসে নিরঙ্কুশ গরিষ্ঠতার বিপুল জয়ে ক্ষমতায় মোদি সরকার আসার পর গত মাসে প্রথম পরীক্ষায় বি জে পি ডাহা ফেল করে বিহার-সহ ৪ রাজ্যে ১৮ বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনে মাত্র ৭টিতে জিতে৷‌ বিহারে কংগ্রেস, নীতীশ, লালুর মহাজোটের ধাক্কায় ১০ বিধানসভা আসনের মাত্র ৪টিতে জেতে বি জে পি৷‌ আজকের উপনির্বাচন সবে ১০০ দিন উত্তীর্ণ মোদি সরকারের দ্বিতীয় পরীক্ষা৷‌ আজ যে ৩ লোকসভা আসনে ও ৩৩ বিধানসভা আসনের ভোট হল, তার ফল গণনা হবে ১৬ সেপ্টেম্বর৷‌ আজ যে আসনগুলিতে ভোট হল, তার মধ্যে গুজরাটের বরোদা আসনটি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ছেড়ে দিয়েছেন বারাণসীতে সাংসদ হওয়ায়৷‌ উত্তরপ্রদেশের মৈনপুরী লোকসভা আসনটিতে ভোট হল সমাজবাদী পার্টি নেতা মুলায়ম সিং যাদব আজমগড় আসনে জিতে মৈনপুরী ছেড়ে দেওয়ায়৷‌ তেলেঙ্গানার মেডাক লোকসভা কেন্দ্রে আজ পুনর্নির্বাচন হল চন্দ্রশেখর রাও তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী হয়ে এই লোকসভা কেন্দ্রটি ছেড়ে দেওয়ায়৷‌ মেডাকে ভোট পড়েছে ৬৫ শতাংশ৷‌ উত্তরপ্রদেশের ১১ বিধানসভা আসন-সহ ১০ রাজ্যে যে ৩৩ বিধানসভা আসনে আজ ফের নির্বাচন হল, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই জয়ী বিধায়করা গত লোকসভা নির্বাচনে দাঁড়িয়ে জিতে যাওয়ায় বিধানসভা আসনগুলি ছেড়ে দেওয়ায়৷‌ এই উপনির্বাচনে খুবই নজর করার উত্তরপ্রদেশের এই ১১ বিধানসভা কেন্দ্র৷‌ লোকসভা নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশের ৮০ লোকসভা কেন্দ্রের ৭১টিতেই জিতেছে বি জে পি৷‌ সঙ্গী আপনা দলও জিতেছে ২টিতে৷‌ বিধানসভা কেন্দ্রগুলির কী ফল হয় তা দেখতে উদগ্রীব সব দলই৷‌ প্রতিটি কেন্দ্রেই লড়াই মূলত ত্রিমুখী বি জে পি, কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টি৷‌ বহুজন সমাজ পার্টি নেত্রী মায়াবতী জানিয়ে দিয়েছিলেন তাঁর দল উপনির্বাচনে নীতিগতভাবে লড়েনি৷‌ দিনের শেষে উত্তরপ্রদেশে ভোট পড়েছে ৫২ শতাংশ৷‌ উপনির্বাচন হয়েছে গুজরাটে ৯ বিধানসভা কেন্দ্রে, রাজস্হানে ৪টি বিধানসভা কেন্দ্রে, পশ্চিমবঙ্গে ২টি বিধানসভা কেন্দ্রে, আসামে শিলচর-সহ ৩টি বিধানসভা কেন্দ্রে, ত্রিপুরায় ১টি বিধানসভা কেন্দ্রে, অন্ধ্রে ১টি বিধানসভা কেন্দ্রে ও সিকিমে ১টি বিধানসভা কেন্দ্রে৷‌ রাজস্হানে ভোট পড়েছে ৬৬ শতাংশ, আসামে ৭০ শতাংশ৷‌ সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে ত্রিপুরার সংরক্ষিত মনু বিধানসভা আসনে ৮৭ শতাংশ৷‌


    এবার ব্রিটিশ কর্মীর শিরচ্ছেদ

    ভিডিও প্রকাশ আইসিসের ॥ ঘাতককে বিচারের মুখোমুখি করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ক্যামেরন

    জঙ্গী সংগঠন ইসলামিক স্টেট অব ইরাক এ্যান্ড সিরিয়া (আইসিস) শনিবার তৃতীয় বিদেশী বন্দী ব্রিটিশ ত্রাণকর্মী ডেভিড ক্যাথর্ন হেইন্সের শিরñেদের ভিডিও প্রকাশ করেছে। এই ভিডিওতে আরেক ব্রিটিশ বন্দীকেও শিরñেদের হুমকি দেয়া হয়। এই হত্যাকাণ্ড ব্রিটেনের প্রতি আইসিসের একটি পরিষ্কার বার্তা। এই ইসলামী এই জঙ্গী সংগঠনের বিরুদ্ধে লড়তে দেশটি তার প্রধান মিত্র দেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আন্তর্জাতিক জোট গঠন করেছে। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন এই হত্যাকাণ্ডকে চরম নৃশংসতা বলে এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। খবর নিউইয়র্ক টাইমস, গার্ডিয়ান ও বিবিসি অনলাইনের।

    ৪৪ বছর বয়সী এই ব্রিটিশ ত্রাণকর্মীকে হত্যার আগে তাকে তার মৃত্যুর জন্য তার দেশের নেতারা দায়ী লেখা স্ক্রিপ্ট পড়তে বাধ্য করে এক আইসিস জঙ্গী। তিনি ভিডিওতে বলেন, আমি ঘোষণা করতে চাই আমার মৃত্যুর জন্য ডেভিড ক্যামেরন সম্পূর্ণ দায়ী। আইসিসের বিরুদ্ধে লড়তে আপনি স্বেচ্ছায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে জোটে যোগ দিয়েছেন। দুর্ভাগ্যবশত আমরা ব্রিটিশ জনগণ, আমাদের পার্লামেন্টের স্বার্থপর সিদ্ধান্তের কারণে শেষ পর্যন্ত আমাদেরই মাসুল দিতে হবে। ভিডিওর শেষে কালো মুখোশ পরা আইসিস জঙ্গী ব্রিটিশ উচ্চারণে ইংরেজীতে এলান হেইনিং নামে আরেক ব্রিটিশকে হত্যার হুমকি দিয়েছে। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সাইট ইন্টেলিজেন্ট বলেছে, এই ঘাতকই মার্কিন দুই সাংবাদিককে হত্যা করেছিল বলে মনে করা হচ্ছে। স্কটল্যান্ডে জন্ম নেয়া হেইন্সকে সিরিয়া থেকে ২০১৩ সালের মার্চ মাসে অপহরণ করা হয়। তিনি একটি আন্তর্জাতিক ত্রাণসহায়তাকারী প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন। 'যুক্তরাষ্ট্রের মিত্রদের প্রতি বার্তা'শিরোনামের ওই ভিডিওটির সময়কাল ছিল ২ মিনিট ২৭ সেকেন্ড। ২ সেপ্টেম্বর মার্কিন সাংবাদিক স্টিভেন সটলফের শিরচ্ছেদ করার পর প্রকাশিত ভিডিওতে হেইন্সকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছিল। এর আগে ১৯ আগস্ট প্রথম মার্কিন সাংবাদিক জেমস ফলির শিরচ্ছেদের ভিডিও প্রকাশ হয়। আইসিসের ওপর মার্কিন হামলা বন্ধ না হলে সটলফেকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছিল ওই ভিডিওতে। শুক্রবারই অপহরণকারীদের উদ্দেশে হেইন্সের পরিবার আবেদন জানিয়েছিল তাদের সঙ্গে যেন সরাসরি যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু এর কয়েক ঘণ্টা পরেই হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আইসিসের বিরুদ্ধে আমেরিকান হামলায় সহযোগিতা আর কুর্দিযোদ্ধাদের সহায়তা করার জবাবে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করা হচ্ছে বলে এক শিরচ্ছেদকারী ভিডিওতে বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে বলেছেন, আমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে আপনি স্বেচ্ছায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে জোট বেঁধেছেন। আপনার পূর্বসূরি টনি ব্লেয়ারও এমনটা করেছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রকে 'না'বলার সাহস ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীদের নেই। ক্যামেরন, আপনি ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে লড়তে পেশমার্গকে অস্ত্র সরবরাহের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তার মাসুল দিতে হবে এই ব্রিটিশকে। পরিহাসের বিষয় হলো, এই ব্যক্তি তার চাকরি জীবনের এক দশক ব্যয় করেছেন রয়্যাল এয়ার ফোর্সে। আর রয়্যাল এয়ার ফোর্সই কুর্দিদের কাছে অস্ত্র সরবরাহের জন্য দায়ী।

    এই হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়ে ক্যামেরন বলেছেন, যত সময়ই প্রয়োজন হোক না কেন, হত্যাকারীকে অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি করা হবে। নির্দোষ এই ত্রাণকর্মীকে হত্যাকরা ঘৃণ্য ও জঘন্য কাজ। আমার হৃদয় ডেভিড হেইন্সের পরিবারকে স্পর্শ করছে। যারা এমন কঠিন সময়েও অসাধারণ সাহস দেখিয়েছেন ও ধৈর্য ধারণ করেছেন। ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দফতর জানিয়েছে যে, তারা ওই ভিডিওটির সত্যতা যাচাইয়ের কাজ করছেন।



    অনিশ্চয়তার দোলাচলে যুক্তরাজ্যের ভবিষ্যত

    স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতার পক্ষে-বিপক্ষে সহস্র লোকের মিছিল

    স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতা প্রশ্নে এক ঐতিহাসিক গণভোটের চার দিন আগে যুক্তরাজ্যের ভাষ্য অস্পষ্ট হয়ে রয়েছে। কারণ তিনটি নতুন জরিপে ইউনিয়নের সমর্থকরা জনসমর্থনের দিক দিয়ে সামান্য ব্যবধানে এগিয়ে আছেন বলে দেখা যায়, কিন্তু একটিতে বিচ্ছিন্নতাবাদী শিবির এগিয়ে যাচ্ছে বলে উল্লেখ করা হয়। প্রচার অভিযানের শেষ সপ্তাহান্তে উভয় পক্ষের হাজার হাজার সমর্থক স্কটল্যান্ডের রাজধানী এডিনবরা ও সবচেয়ে বড় শহর গ্রাসগোর রাস্তায় নেমে আসে। প্রতিদ্বন্দ্বী নেতারা এখনও সিদ্ধান্ত নেননি এমন ভোটারদের সপক্ষে টানতে দেশজুড়ে জোর চেষ্টা চালাচ্ছেন। খবর ইয়াহুনিউজ, এএফপি ও বিবিসি অনলাইনের।

    গণভোটে কেবল স্কটল্যান্ডের ভবিষ্যতই নয়, যুক্তরাজ্যের ভাগ্যও নির্ধারিত হবে। ৩০৭ বছর আগে স্কটল্যান্ড ইংল্যান্ডের সঙ্গে ইউনিয়নভুক্ত হওয়ার ফলে যুক্তরাজ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। রবিবার প্রকাশিত চারটি জনমত জরিপে ইউনিয়নিস্টরা শতকরা ২ থেকে ৮ পয়েন্টে এগিয়ে আছেন বলে দেখা যায় আর ইন্টারনেটযুগে পরিচালিত আইসিএমের এক জরিপে দেখানো হয় যে, স্বাধীনতার সমর্থকরা শতকরা ৫৪ ভাগ ভোট এবং ইউনিয়নিস্টরা শতকরা ৪৬ ভাগ ভোট পেতে যাচ্ছেন। সেপ্টেম্বরের আগপর্যন্ত ২০১৩ সালের পরিচালিত একটি জরিপ ছাড়া অন্য সব জরিপেই ইউনিয়নিস্টরা সহজেই জয়ী হতে পারেন বলে দেখানো হয়।

    কিন্তু চলতি মাসে পরিচালিত কয়েকটি জরিপে বলা হয়, জাতীয়তাবাদীরা স্কটল্যান্ডের ৪০ লাখ ভোটারের মধ্যে কয়েক লাখ ভোটারের মন জয় করেছেন। স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতা প্রশ্নে বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠেয় গণভোটকে কেন্দ্র করে প্রচার অভিযানের চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে।

    আইসিসের বিরুদ্ধে লড়তে আমিরাতে ৬শ'সেনা পাঠাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া

    জঙ্গী সংগঠন ইসলামিক স্টেট অব ইরাক এ্যান্ড সিরিয়ার (আইসিস) বিরুদ্ধে চলমান লড়াই জোরদার করতে মার্কিন নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক জোটে যোগ দিতে সংযুক্ত আরব আমিরাতে ছয় শ'সেনা পাঠাচ্ছে অস্টেলিয়া। দেশটির প্রধানমন্ত্রী টনি এ্যাবোট রবিবার এ কথা বলেছেন। খবর এএফপি ও বিবিসি অনলাইনের।

    এই আন্তর্জাতিক জোটে ১০টি আরব দেশসহ প্রায় ৪০টি দেশ এতে যোগ দিয়েছে। ফ্রান্স সোমবার আঞ্চলিক নিরাপত্তাবিষয়ক একটি সম্মেলনের আয়োজন করেছে। এতে যোগ দিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি চার দিনের মধ্যপ্রাচ্য সফর শেষে শনিবার রাতে প্যারিস পৌঁছেছেন। গত সপ্তাহে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ইরাক ও সিরিয়ায় এই জিহাদী সংগঠনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের একটি পরিকল্পনা তুলে ধরেন। এ্যাবোট বলেন, ইরাক পরিষ্কার করে জানিয়েছে তারা দেশের নিরাপত্তা পুনরুদ্ধারে সামরিক সাহায্যকে স্বাগত জানাবে।

    আইএস মোকাবেলায় মহাজোট

    যুগান্তর ডেস্ক

    প্রকাশ : ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

    ইসলামিক স্টেট (আইএস) হুমকি মোকাবেলায় পশ্চিমা বিশ্ব। অস্ট্রেলিয়াসহ মোট ৪০টি দেশ ইতিমধ্যে আইএসবিরোধী মার্কিন জোটে যোগ দিয়েছে। এর মধ্যে আছে ১০টি আরব দেশও। এসব দেশ একজোট হয়ে মহাজোট গঠন করছে। জোটের মোড়ল যুক্তরাষ্ট্রর ডাকে সাড়া দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে সেনা ও যুদ্ধবিমান পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। রোববার এক বিবৃতিতে দেশটির প্রধানমন্ত্রী টনি অ্যাবোট এ ঘোষণা দেন। অ্যাবোট বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ৬০০ সেনা ও আটটি যুদ্ধবিমান শিগগিরই পাঠানো হবে। যুক্তরাষ্ট্রের আইএসবিরোধী যুদ্ধের অংশীদার হতেই মধ্যপ্রাচ্যে সেনা পাঠানোর এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ৪০০ বিমান ও ২০০ বিশেষ বাহিনীর সমন্বয়ে গড়া সেনারা সংযুক্ত আরব আমিরাত ও যুক্তরাষ্ট্রের পরিচালিত হেডকোয়ার্টারে মোতায়েন করা হবে। আগামী সপ্তাহেই এ সেনাদের একটি অংশ সংযুক্ত আরব আমিরাতে পৌঁছবে। পাশাপাশি আটটি সুপার হরনেট যুদ্ধবিমানও পাঠানো হচ্ছে।

    এরপর ইরাকসহ ধাপে ধাপে অন্যান্য আরব দেশেও সেনা পাঠানো হবে বলে জানান অস্ট্রেলীয় প্রধানমন্ত্রী। সরকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অস্ট্রেলিয়ার এ সিদ্ধান্তকে স্বাগতম জানিয়েছে ইরাক।

    জোট গঠনে এবার ফ্রান্সে কেরি

    ইরাক ও সিরিয়ায় সুন্নিপন্থী জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) প্রতিরোধে শক্তিশালী জোট গঠনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি এখন ফ্রান্সে অবস্থান করছেন। চার দিনের মধ্যপ্রাচ্য সফর শেষে রোববার তিনি প্যারিসে পৌঁছেছেন। ইতিমধ্যে ১০টি আরব দেশসহ ৪০টি দেশ যুক্তরাষ্ট্রের আইএসবিরোধী এই পরিকল্পনায় সমর্থন দিতে জোটবদ্ধ হয়েছে। এসব দেশের প্রতিনিধিরা আজ সোমবার সিকিউরিটি সামিট-এ যোগ দিতে সমবেত হবেন ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে।

    এই সামিটে ইরানের অংশ নেয়ার কথা থাকলেও দেশটিকে অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে রাজি নয় যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াশিংটন মনে করে, শুধু আলোচনা পণ্ড করার জন্যই ইরান এই সামিটে যোগ দিতে ইচ্ছুক। বিবিসি, সিএনএন, আলজাজিরা

    ফ্রান্সে ৯৩০ জন জিহাদের

    সঙ্গে জড়িত : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    ফ্রান্সের নাগরিক ও অভিবাসী মিলিয়ে মোট ৯৩০ জন ইরাক ও সিরিয়ায় জিহাদের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত রয়েছে অথবা জিহাদে যোগ দিতে সেখানে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে। ওই ৯৩০ জনের মধ্যে কমপক্ষে ৬০ জন নারী রয়েছেন।

    ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বার্নাড কাজেনুভে রোববার সাপ্তাহিক লা জার্নাল দ্য ডিমানসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ফ্রান্সের নাগরিক ও অভিবাসী মিলিয়ে মোট ৯৩০ জন ইরাক ও সিরিয়ায় সম্পূর্ণভাবে জিহাদের সঙ্গে জড়িত রয়েছে। এর মধ্যে ৬০ নারীসহ ৩৫০ জন জিহাদে লিপ্ত রয়েছে। আনুমানিক ১৮০ জন সিরিয়া থেকে ফিরে এসেছে এবং ১৭০ জন ওই এলাকার পথে রয়েছে।

    - See more at: http://www.jugantor.com/ten-horizon/2014/09/15/147811#sthash.6tsEHi5T.dpuf





    সারদার মহিলা কর্মী ও রজতের মুখোমুখি জেরা

    সোমনাথ মণ্ডল

    রাজ্য পুলিসের প্রাক্তন ডিরেক্টর জেনারেল রজত মজুমদারকে সারদার এক মহিলা কর্মীর মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হল৷‌ আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে ওই মহিলা কর্মী সি বি আই-কে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিলেও, রজতবাবু জেরায় বেশি কিছু বলতে চাননি৷‌শুধু বলেছেন, সময় এলে ঠিক বলব৷‌ জানা গেছে, রজতবাবুকে জেরা করতে দিল্লি থেকে সি বি আইয়ের একটি বিশেষ দল কলকাতায় আসছে৷‌ এদিকে, সারদা রিয়েলটি মামলায় জামিন পেলেন সুদীপ্ত সেন, কুণাল ঘোষ-সহ ৬ অভিযুক্ত৷‌ সারদার অন্যতম কর্তা সোমনাথ দত্তের বিরুদ্ধে আর কোনও মামলা না থাকায়, তিনি শনিবার রাতেই হাওড়া জেল থেকে ছাড়া পান৷‌ বাকি অভিযুক্তরা আপাতত জেলেই থাকবেন বলে আদালত সূত্রে খবর৷‌ রজতবাবু তদম্তে অসহযোগিতা করছেন বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দারা৷‌ শনিবার দিনভর রজতবাবুকে বিধাননগরের সি জি ও কমপ্লেক্সে জেরা করা হয়৷‌ সারদা-কাণ্ডে আর্থিক তছরুপের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে, তিনি সঠিকভাবে কোনও উত্তর দেননি৷‌ বারবারই বয়ান বদল করেছেন৷‌ সারদা-কাণ্ডে সুদীপ্ত সেনের কাছ থেকে কোন কোন প্রভাবশালী টাকা পেয়েছেন? সুদীপ্ত সেনের সঙ্গে তাঁর কীভাবে পরিচয়? লাস ভেগাসে বঙ্গসম্মেলনের জন্য ৪ কোটি টাকা তিনি কীভাবে খরচ করেছিলেন– এই সব জানতেই রজতকে জেরা করবে ওই বিশেষ দল৷‌ এদিন আলিপুর আদালতে অভিযুক্তদের আইনজীবী সওয়াল করেন, এই মামলায় ৯০ দিন হয়ে গেলেও সি বি আই চার্জশিট দিতে পারেনি৷‌ তাই অভিযুক্তদের জামিন দেওয়া হোক৷‌ অন্যদিকে, সি বি আইয়ের আইনজীবী বিরোধিতা না করে বলেন, চার্জশিট দিতে আরও দেরি হবে৷‌ তদম্ত বাকি রয়েছে৷‌ বিচারক দু'পক্ষের সওয়াল-জবাব শুনে প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন দেন৷‌ এর পাশাপাশি আসামের গায়ক সদানন্দ গগৈ-এর ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যম্ত সি বি আই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত৷‌ আইনজীবী শ্যামলকাম্তি বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, 'শর্তসাপেক্ষে সোমনাথ দত্তকে জামিন দেওয়া হয়েছে৷‌ দেশ ছেড়ে কেউ যেতে পারবেন না৷‌ তদম্তকারীরা যখনই ডাকবেন যেতে হবে৷‌'আইনজীবী অনির্বাণ গুহঠাকুরতা বলেন, 'সারদা রিয়েলটির মামলায় সুদীপ্ত, কুণাল, সোমনাথ ছাড়াও মনোজ নাগেল ও অরবিন্দ সিং চৌহান জামিন পান৷‌'তাঁর বক্তব্য, পশ্চিমবঙ্গে সারদা-কাণ্ডে দায়ের হওয়া ৫৫ এফ আই আর একত্রিত করে সি বি আই একটি মামলা দায়ের করে তদম্ত শুরু করে৷‌ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ছিল, সারদা তদম্তে সব ক'টি অভিযোগকে একত্রিত করে তদম্ত করতে হবে৷‌ যদিও সে পথে না হেঁটে কয়েকটি এফ আই আর-কে একত্রিত করে মামলা দায়ের করেছে সি বি আই৷‌ যে মামলাগুলিতে চার্জশিট হয়ে গেছে, সেগুলিকেও সি বি আই নতুন মামলার সঙ্গে যুক্ত করেছে, যা আইনের পরিপম্হী৷‌'এদিকে, এদিন রাতে জেল থেকে জামিনে ছাড়া পাওয়ার পর সোমনাথ দত্ত সাংবাদিকদের বলেন, সি বি আই ভাল তদম্ত করছে৷‌ আমি সম্পূর্ণ নির্দোষ৷‌ আমাকে জড়ানো হয়েছে৷‌ আমি শুধুমাত্র মিডিয়া সংক্রাম্ত বিষয়টা দেখাশোনা করতাম৷‌ সারদার অন্যান্য ব্যবসা সম্পর্কে আমার কিছু জানা নেই৷‌


    প্রাক্তন মন্ত্রী হেমম্ত বিশ্ববর্মাকে তলব?


    এদিন রাতেই সদানন্দ গগৈকে জেরা করা হয়৷‌ বয়ানে অসঙ্গতি মিলেছে৷‌ সারদা গোষ্ঠীর বিজ্ঞাপনের ভিডিও সিডি তৈরির জন্য কত টাকার চুক্তি হয়েছিল? সে-বিষয়ে কোনও স্পষ্ট তথ্য দিতে পারেননি আসামের এই লোকসঙ্গীত গায়ক৷‌ গগৈ আসামের প্রাক্তন মন্ত্রী হেমম্ত বিশ্ববর্মার ঘনিষ্ঠ ছিলেন৷‌ জেরায় তাঁর নাম নিয়েছেন গগৈ৷‌ বিজ্ঞাপনের ভিডিও সিডি তৈরি ছাড়াও বিভিন্ন বিষয়ে টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে৷‌ পাশাপাশি ওই রাজ্য দিয়ে প্রতিবেশী রাষ্ট্রে টাকা গেছিল কিনা, তা নিশ্চিত হতে আরও তদম্তেরপ্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা৷‌ তাই আসামের কয়েকজন প্রভাবশালীকেও তলব করা হতে পারে৷‌


    ফের বিস্ফোরক কুণাল


    ফের বিবৃতি দিয়ে গুরুতর অভিযোগ আনলেন কুণাল ঘোষ৷‌ তাঁর অভিযোগ, চলচ্চিত্র উৎসবে বিধাননগরে যে নৈশভোজের আয়োজন করা হয়েছিল, তার দায়িত্বে ছিল সারদা গোষ্ঠী৷‌ শহরে যে হোর্ডিং দেওয়া হয়েছিল, তার অনেকটাই সারদার টাকায় হয়েছিল৷‌ তাই ওই ঘটনা ধামাচাপা দিতে সি বি আইয়ের বিরুদ্ধে মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের ধর্নায় উপস্হিত ছিলেন বিধাননগরে দলের প্রভাবশালী নেত্রী৷‌ কুণালের আরও অভিযোগ, দক্ষিণ কলকাতার এক প্রভাবশালীর পুজোয় বেশ কয়েকটি চিটফান্ড কর্পোরেটের তকমা লাগিয়ে টাকা দিয়েছিল৷‌ তাই তাদেরও সি বি আইয়ের জেরা করা উচিত৷‌ তিনি বিবৃতিতে বলেছেন, সি বি আই তদম্তে সাধ্যমতো সাহায্য করছি৷‌ কিন্তু তার পরেও তদম্ত প্রভাবিত করার চেষ্টা চলছে৷‌ আইনমন্ত্রী যেভাবে রাস্তায় নেমেছেন, তার ফলে তদম্ত প্রভাবিত হতে পারে৷‌ যদি এই রাজনৈতিক চাপ মেনে নেয় সি বি আই, তাহলে অনশন করবেন বলে হুমকি দিয়েছেন কুণাল৷‌


    সারদার স্কুল, তলব প্রাক্তন মালিককে


    সারদা-কাণ্ডে এবার এক স্কুলের প্রাক্তন মালিককে ডেকে পাঠাল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ই ডি)৷‌ শিলিগুড়ির ওই স্কুলের মালিক সারদা-কর্তা সুদীপ্ত সেনকে স্কুলটি বেচে দেন৷‌ স্কুল কত টাকায় বিক্রি করা হয়েছিল, তা খতিয়ে দেখার জন্য প্রাক্তন মালিককে ডেকে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে৷‌ এই বেচাকেনায় জড়িয়েছে কয়েকজন প্রভাবশালীর নামও৷‌ ই ডি-র অফিসারেরা শিলিগুড়িতে গিয়ে প্রাক্তন মালিকের সঙ্গে দেখা করেন৷‌ তাঁর কথায় অসঙ্গতি ধরা পড়ায় এবার তাঁকে তলব করা হয়েছে৷‌ সুদীপ্ত সেন দাবি করেছিলেন, কয়েক কোটি টাকার বিনিময়ে স্কুলটি সারদা গোষ্ঠীকে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছিল৷‌ যদিও ওই প্রাক্তন মালিক অভিযোগ তুলেছেন, প্রতিশ্রুতি দিয়েও প্রায় ১ কোটি টাকা দেননি সারদা-কর্তা৷‌

    অসহযোগিতার আড়ালেই তদন্তে সিবিআইকে সাহায্য করছেন রজত মজুমদার! EXCLUSIVE

    Last Updated: Sunday, September 14, 2014 - 17:18
    Inline image 1
    অসহযোগিতার আড়ালেই তদন্তে সিবিআইকে সাহায্য করছেন রজত মজুমদার! EXCLUSIVE

    ওয়েব ডেস্ক: অসহযোগিতার আড়ালেই কি তদন্তে সিবিআইকে সহযোগিতা করছেন রজত মজুমদার? প্রাক্তন এই পুলিসকর্তা প্রকাশ্যে জানিয়েছেন, সিবিআইকে তিনি কোনও সহযোগিতা করবেন না। রীতিমতো চ্যালেঞ্জ করেছেন সিবিআইকে। যদিও তদন্তকারীদের ইঙ্গিত, প্রাক্তন এই পুলিসকর্তার হাত ধরেই মিলছে প্রভাবশালী রাজনীতিকদের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণ। সিবিআইয়ের দাবি যে মিথ্যে নয় তার প্রমাণ মিলেছে কুণাল ঘোষের চিঠিতেও। কুণালের দাবি, আদালতে রজত মজুমদার যে দাবি করেছেন তা ঠিক নয়। আদালতে রজত যাঁদের নাম করেছেন, মুখোমুখি জেরার সময় তাঁদের নাম আদৌ উল্লেখ হয়নি। তাহলে ভরা আদালতে কেন মুখ্যমন্ত্রীর নাম উল্লেখ করলেন রজত মজুমদার, তা নিয়েই শুরু হয়েছে জল্পনা।

    চিঠিতে কুণালের দাবি-

    দেখলাম রজত মজুমদার বলেছেন সুদীপ্তর টাকা ওঁকে (রজত মজুমদার) দিয়ে মমতাকে পাঠানো হয়েছে। এটা নাকি জেরার সময় আমি বলেছি। সিবিআই কর্তারা সাক্ষী, এই প্রসঙ্গটিতে মমতার নাম পর্যন্ত উল্লেখ হয়নি। রজতদা কেন এমন বললেন, বুঝলাম না।

    বৃহস্পতিবার আদালতে দাঁড়িয়ে রজত মজুমদার কী বলেছিলেন?

    কুণালের মুখোমুখি হলাম। তখন কুণাল এই কথা বলল যে মমতা-মুকুলকে নাকি ভোটের আগে টাকা দিতাম সুদীপ্তর থেকে নিয়ে। ওই যে সিবিআইয়ের যে অফিসার পিছনে দাঁড়িয়ে আছেন তাঁকে বলছি, আমার নাম রজত মজুমদার। আমার মুখ থেকে একটাও কথা বের করতে পারবেন না। মুকুল-মমতাকে টাকা দিয়েছি এটা বলাতে পারবেন না। মমতা-মুকুলকে টাকা দিয়েছি? সাতদিন পরে বলবেন, মুকুলকে টাকা দিয়েছি। তারও সাতদিন পরে বলবেন মমতাকে টাকা দিয়েছি। সাতদিন কেন সত্তর দিনেও প্রমাণ করতে পারবেন না। আপনি কোনওদিন মুখ থেকে বার করতে পারবেন না মুকুল-মমতাকে টাকা দিয়েছি।

    সুদীপ্ত সেনকে রজত কী বলেছিলেন---

    তুমি কুণালকে বলেছ আমার হাত দিয়ে মুকুল-মমতাকে টাকা পাঠাতে? চালাকির একটা সীমা থাকা উচিত।


    মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতারের দাবি করলেন বিরোধী দলনেতা

    মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতারের দাবি করলেন বিরোধী দলনেতা

    ওয়েব ডেস্ক: সারদাকাণ্ডে এখনও পর্যন্ত যারা গ্রেফতার হয়েছেন তাঁরা নেহাতই চুনোপুঁটি। আসল রাঘব বোয়ালের কাছে এখনও পৌছতেই পারেননি তদন্তকারীরা। সারদাকাণ্ডে ফের শাসকদলের শীর্ষনেতৃত্বের বিরুদ্ধে তোপ দেগে আজ এই মন্তব্য করলেন বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র। একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতারের দাবি করেছেন বিরোধী দলনেতা।

    এদিকে, শনিবার সুরেন্দ্রনাথ কলেজে এসএফআই কর্মীদের উপর হামলার প্রতিবাদে পথে নামল সিপিআইএম। আজ শিয়ালদহ অঞ্চলে প্রতিবাদ মিছিল করেন সিপিআইএম কর্মী সমর্থকরা। মিছিলের শেষে  সুরেন্দ্র নাথ কলেজের সামনে বেশ কিছুক্ষণ পথ অবরোধ করে বামেরা।

    মিছিলে ছিলেন চৌরঙ্গির বাম প্রার্থী ফৈয়াজ আহমেদ খান সিপিআইএম নেতা অনাদি সাহু।  পুলিসের বিরুদ্ধে নিস্ক্রিয়তার অভিযোগ এনেছেন তাঁরা।গতকাল সুরেন্দ্রনাথ কলেজে  ভাঙচুর করা হয় সিপিআইএমের বুথ। ওই হামলায় আহত হন এসএফআই  নেত্রী ডোনা গুপ্ত।  বন্দুকের বাঁট দিয়ে আঘাত করা হয় তাঁকে এবং তাঁর সঙ্গে থাকা অনন্যাকে।  মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দুজনের চিকিত্সা চলছে।  আজ ডোনা ও অনন্যাকে হাসপাতালে দেখতে যান গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতি নেতৃত্ব।


    বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থার বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যবস্থা নিতে হবে রাজ্যকে, বললেন সেবির চেয়ারম্যান

    Last Updated: Sunday, September 14, 2014 - 22:32
    বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থার বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যবস্থা নিতে হবে রাজ্যকে, বললেন সেবির চেয়ারম্যান

    ওয়েব ডেস্ক: বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থার বাড়বাড়ন্ত রুখতে প্রথমে ব্যবস্থা নিতে হবে রাজ্যকেই। এমনই মত সেবি চেয়ারম্যান ই উকে সিনহার। তাঁর বক্তব্য, ভারতবর্ষের মতো বড় দেশের প্রতিটি কোণায় নজরদারি চালানো সেবির মতো কেন্দ্রীয় সংস্থার পক্ষে কার্যত অসম্ভব। পঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশ বা পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্যে কোনও বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থা  বাজার থেকে টাকা তুললে তা প্রথমে নজরে আসে সংশ্লিষ্ট রাজ্য প্রশাসনেরই।

    সেবির চেয়ারম্যানের মতে, রাজ্য সরকারের হাতে যে ক্ষমতা রয়েছে তা যথাযথ ব্যবহার করলে সহজেই বড়বড় আর্থিক কেলেঙ্কারি আটকানো সম্ভব।

    সম্প্রতি বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যসচিব, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর ও সেবির আধিকারিকদের নিয়ে একটি বৈঠকও করেছেন তিনি।  মুখ্যসচিবদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, বাজার থেকে পঞ্জি স্কিমের মাধ্যমে যাঁরা টাকা তুলছেন  তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে। পাশাপাশি, এবিষয়ে রাজ্য সরকারকে সবরকম সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সেবির চেয়ারম্যান।

    ঝিলামের বাঁধ ভাঙল, দাঁড়িয়ে দেখলেন ডাক্তার বাবু, তারপর একটা লড়াই

    কার্যত মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে ফিরে এসেছেন। কিন্তু, এখনও তাড়া করে বেড়ায় আতঙ্কের সেই স্মৃতি। কীভাবে ভেঙে পড়েছিল ঝিলাম নদীর বাঁধ? কীভাবে কেটেছে তিন-তিনটে দিন? তবে সব ছাপিয়ে উঠে এসেছে সেনাবাহিনীর প্রশংসা। সবটাই শোনালেন কিষামগঞ্জ মেডিক্যাল কলেজের চক্ষু চিকিত্সক ডক্টর পরিমল।

    উত্তর কাশ্মীরের জলস্তর চিন্তায় রেখেছে মুখ্যমন্ত্রীকে উত্তর কাশ্মীরের জলস্তর চিন্তায় রেখেছে মুখ্যমন্ত্রীকে

    উত্তর কশ্মীরের বাড়তে থাকা জলস্তর চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার কপালে। তিনি মনে আশা করছেন দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, মধ্য কাশ্মীরে জল অনেকটা নামলেও উত্তর কাশ্মীরে জলস্তর বিপদসীমার নিচে নামার অপেক্ষায় রয়েছে প্রশাসন।

    ধীরে ধীরে কাশ্মীরে স্বাভাবিক হচ্ছে যোগাযোগ ব্যবস্থা, বিনামূল্যে টেলিফোন করার সুবিধা দেবে বিএসএনএল ধীরে ধীরে কাশ্মীরে স্বাভাবিক হচ্ছে যোগাযোগ ব্যবস্থা, বিনামূল্যে টেলিফোন করার সুবিধা দেবে বিএসএনএল

    জল কমতেই পুরোদমে শুরু হয়েছে উদ্ধারকাজ। বন্যা পরিস্থিতির ক্রমশ উন্নতি হচ্ছে জম্মু ও কাশ্মীরে।  সেনা ও এনডিআরএফের উদ্ধারকারীরা ইতিমধ্যেই প্রায় দেড় লাখ দুর্গত মানুষকে উদ্ধার করেছেন। বন্যা বিধ্বস্ত এলাকায় জল পরিশোধনের জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে এক সেনা মুখপাত্র জানিয়েছেন।

    ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে বন্যা বিধ্বস্ত ভূস্বর্গের যোগাযোগ ব্যবস্থা ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে বন্যা বিধ্বস্ত ভূস্বর্গের যোগাযোগ ব্যবস্থা

    ধীরে ধীরে স্বাভাবিক জীবন যাত্রা ফিরে আসছে জম্মু-কাশ্মীরে। এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে টেলিকম্যুনিকেশন ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়ার পর ৮০% নেটওয়ার্ক পুনরুদ্ধারে সক্ষম হয়েছে বিএসএনএল। অনান্য বেসরকারি মোবাইল সার্ভিস প্রোভাইডার সংস্থাও বন্যা বিধ্বস্ত কাশ্মীর উপত্যকার বিভিন্ন অংশে তাদের নেটওয়ার্ক পুনরুদ্ধারে সক্ষম হয়েছে।

    সারা দেশে ৩৩টি বিধান সভা ও ৩টি লোকসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনের জন্য শুরু ভোট গ্রহণ সারা দেশে ৩৩টি বিধান সভা ও ৩টি লোকসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনের জন্য শুরু ভোট গ্রহণ

    দেশের দশটি রাজ্যের তেত্রিশটি বিধানসভা আসন ও তিনটি লোকসভা আসনে আজ উপনির্বাচন। তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গুজরাতের ভদোদরা আসনটি। লোকসভা নির্বাচনে এই আসন থেকেই জিতেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু বারাণসী আসনটি রেখে ভরোদরা আসনটি ছেড়ে দেন তিনি।

    মাদুরাইয়ে ২  ছাত্রীর ওপর অ্যাসিড হামলামাদুরাইয়ে ২ ছাত্রীর ওপর অ্যাসিড হামলা

    তামিলনাডুর মাদুরাইয়ে কলেজের বাইরে দুই ছাত্রীকে অ্যাসিড হামলা করল এক ব্যক্তি। গুরুতর আহত অবস্থায় দু'জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মাদুরাই কামরাজ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি কলেজে ইংরাজি বিভাগের স্নাতক স্তরের দুই ছাত্রী পরীক্ষা দিয়ে বেরনোর পর তাঁদের ওপর হামলা চালানো হয়।

    সুপ্রিম কোর্টে পিছল টেট মামলার শুনানি সুপ্রিম কোর্টে পিছল টেট মামলার শুনানি

    মামলাকারীদের আইনজীবীর আর্জিতে পিছিয়ে গেল সুপ্রিম কোর্টে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে টেট মামলার শুনানি। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত যেসব চাকরিপ্রার্থী প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে স্কুলে চাকরি পাননি, তাঁরা রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। প্রশিক্ষণ না পাওয়া প্রার্থীদের নিয়োগের বিরোধিতা করেছিলেন তাঁরা। আজ বিচারপতি AK সিকরি ও J চেলমেশ্বরের বেঞ্চে মামলাকারীরা আবেদন জানান SSC টেট সংক্রান্ত মামলার সঙ্গেই তাঁদের মামলাটি জুড়ে দেওয়া হোক।

    ক্যান্সার-যুদ্ধে হার, চলে গেলেন সৈফুদ্দিন

    মারণ-রোগের সঙ্গে লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত হেরে গেলেন প্রাক্তন সাংসদ সৈফুদ্দিন চৌধুরী। দিল্লির একটি বেসরকারি হাসপাতালে রবিবার রাতে মৃত্যু হল সিপিএমের এই প্রাক্তন নেতার। ক্যানসারে আক্রান্ত সফি বেশ কিছু দিন ধরেই ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। গত কয়েক দিনে তাঁর অবস্থার অবনতি হয়েছিল। তাঁর মৃত্যুতে ভারতীয় রাজনীতি যে এক সুভদ্র নেতা এবং ভাল মানুষকে হারাল, এই বিষয়ে সফির কাছের মানুষ বা প্রতিপক্ষ দল, কারওরই কোনও দ্বিমত নেই।

    নিজস্ব সংবাদদাতা
    ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
    e e e

    হরেকৃষ্ণ শতবর্ষেই প্রয়াত বিনয় কোঙার

    কৃষক নেতা হরেকৃষ্ণ কোঙারের জন্মশতবর্ষ চলাকালীনই প্রয়াত হলেন তাঁর ভাই, সিপিএমের প্রবীণ নেতা বিনয় কোঙার। কিছু দিন ধরেই অসুস্থ হয়ে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। অবস্থার অবনতি হওয়ায় কয়েক দিন আগে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল আইসিইউ-এ। ওই হাসপাতালেই রবিবার বিকালে মারা যান বিনয়বাবু। ঘটনাচক্রে, দাদা হরেকৃষ্ণবাবুর জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে গত মাসে রাজ্য সিপিএমের অনুষ্ঠানেই শেষ বার জনসমক্ষে বক্তৃতা করেছিলেন বিনয়বাবু।

    নিজস্ব সংবাদদাতা
    ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
    e e e

    এ বার ব্রিটিশ নাগরিকের মাথা কাটল জঙ্গিরা

    ড্যানিয়েল পার্ল, জেমস ফোলি, স্টিভেন সটলফ-এর পরে ইসলামিক স্টেট (আইএস)-এর জঙ্গিদের হত্যার তালিকায় ঢুকে পড়লেন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মী ডেভিড হাইনেস। প্রকাশ করা হল জেভিডের মুণ্ডচ্ছেদের একটি ভিডিও। ব্রিটিশ নাগরিক ডেভিড ফ্রান্সের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের হয়ে কাজ করতেন। এক বছর আগে সিরিয়া থেকে তাঁকে অপহরণ করা হয়।

    সংবাদ সংস্থা
    ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
    e e e

    ডেল্টার পর এ বার বন্ধ কাঁকিনাড়ার নফরচাঁদ জুটমিল

    রাজ্যে চটশিল্পের পরিস্থিতি ক্রমশ ঘোরালো হয়ে উঠছে। বন্ধ হয়ে যাচ্ছে একের পর এক জুটমিল। গত ৯ সেপ্টেম্বর শ্রমিক অসন্তোষের কারণ দেখিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয় সাঁকরাইলের ডেল্টা জুটমিল। সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতেই সেই ছায়া এসে পড়ল ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে। রবিবার সকালে বন্ধ হয়ে গেল কাঁকিনাড়ার নফরচাঁদ জুটমিল।

    নিজস্ব সংবাদাতা
    ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
    e e e

    ফের বৃষ্টির চোখরাঙানি, ত্রস্ত ভূস্বর্গ

    জম্মু-কাশ্মীরে রবিবার ফের বৃষ্টি শুরু হওয়ায় প্রশাসন ও বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। রাজ্য আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, এ দিন সকাল সাড়ে আটটা থেকে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বৃষ্টির মাত্রাও বাড়বে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে দফতর। তার সঙ্গে দোসর হয়েছে বজ্র-বিদ্যুত্। গত তিন দিন ধরে আকাশ-ভাঙা বৃষ্টি থেমে গিয়েছিল। ফলে উদ্ধার কাজের গতিও বেড়েছিল। এত দিন ধরে টানা বৃষ্টিতে প্লাবিত এলাকাগুলিতে জলস্তর বাড়ায় উদ্ধারকাজে প্রচণ্ড বেগ পেতে হয় সেনাবাহিনীকে।

    সংবাদ সংস্থা
    ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
    e e e

    অকাল ভোটে ছবি বদল, খুশি বিরোধীরা

    চাপে তা হলে কাজ হল! খাস কলকাতার চৌরঙ্গি এবং উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রে শনিবার সারা দিন উপনির্বাচনের ছবি দেখে এমনই মনে হচ্ছে অধিকাংশ বিরোধী রাজনৈতিক দল এবং আম জনতারও। গোলমাল বা অশান্তির প্রভূত আশঙ্কা সত্ত্বেও প্রায় নির্বিঘ্নেই উতরে গেল ভোটযজ্ঞ।

    নিজস্ব প্রতিবেদন
    ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
    e e e

    মর্যাদা বাঁচাতে তৃণমূল সেনাপতি বসিরহাটেই

    কন্ট্রোল রুমে নেই প্রধান সেনাপতিই! প্রতি বার তপসিয়ায় তৃণমূল ভবন থেকেই ভোট পরিচালনার দায়িত্ব থাকে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের উপরে। চৌরঙ্গি ও বসিরহাট দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের গুরুত্বপূর্ণ উপনির্বাচন হয়ে গেল শনিবার। একে বিজেপি-র উত্থানের বিপদ, তার উপরে সারদা-কাণ্ডে প্রবল অস্বস্তিতে শাসক দল। এমন চাপের পরিস্থিতিতে কোথায় তিনি?

    নিজস্ব সংবাদদাতা
    ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
    e e e

    ইমরান-কাণ্ডে আরও চাপ বাড়াল বিরোধীরা

    তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ আহমেদ হাসানকে জড়িয়ে যে অভিযোগ উঠেছে, তার জেরে শাসক দলের উপরে আরও চাপ বাড়াতে সক্রিয় হল বিরোধীরা। নাম না করে ওই তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগ করেছেন বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু। ইমরানের মদতেই তিস্তা জল চুক্তিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাধা দিয়েছেন বলেও বিমানবাবুর অভিযোগ।

    নিজস্ব সংবাদদাতা
    ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
    e e e

    Click Here!

    অ্যাম্বুল্যান্সের গায়ে সরকারি তকমা, আমানতে বাজিমাত

    মহাকরণের মঞ্চে রিমোট কন্ট্রোলের বোতাম টিপলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের জঙ্গলমহল ও লাগোয়া অঞ্চলের মানুষের জন্য স্বাস্থ্য-পরিষেবার সূচনা হয়ে গেল। কয়েকটি বৈদ্যুতিন মাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচারিত অনুষ্ঠানটি পুরুলিয়া-বাঁকুড়া-পশ্চিম মেদিনীপুরের হাজারো মানুষকে দেখানো-ও হল। ওই সব তল্লাটে বিশেষ এক সংস্থার খোলা দেড়শো শাখা অফিসের সামনে, এলসিডি স্ক্রিন খাটিয়ে।

    শুভাশিস ঘটক
    ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
    e e e

    এত ওজন কমছে কেন, খুঁজতে বোর্ড

    একই সঙ্গে দু'জনে ধরা পড়েছিলেন কাশ্মীরের সোনমার্গ থেকে। পুলিশি হেফাজতে গিয়ে প্রাথমিক ভাবে স্বাস্থ্য ভেঙে পড়েছিল দু'জনেরই। ইদানীং এক জনের স্বাস্থ্যের হাল কিছুটা ফিরেছে। জেল থেকে আদালতে যাতায়াতের পথে দেবযানী মুখোপাধ্যায়ের চেহারায় দেখা যাচ্ছে পরিপাটি প্রসাধনের চিহ্ন। আর অন্য জনের চেহারা চোখে পড়ার মতো শুকিয়ে গিয়েছে গত দেড় বছরে। ওজন কমে গিয়েছে ১৮ কেজি। সুদীপ্ত সেনের ভগ্নস্বাস্থ্য নিয়ে এতটাই উদ্বিগ্ন সিবিআই, যে তাদের অনুরোধেই সারদা কর্তার জন্য এসএসকেএমের বিশেষ মেডিক্যাল বোর্ড গড়তে রাজি হয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর।

    নিজস্ব প্রতিবেদন
    ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
    e e e

    নীরবতা ভেঙে সিবিআইকে তথ্য দিলেন রজত

    বৃহস্পতিবার প্রকাশ্যে বলেছিলেন, কিছুই বলবেন না সিবিআই-কে। সেই ভোল বদলাতে লাগলো মোটে ৪৮ ঘণ্টা। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার তদন্তকারীদের প্রশ্নের জবাবে প্রাক্তন ডিজি তথা তৃণমূলের সহ-সভাপতি রজত মজুমদার জানিয়েছেন, সারদায় তাঁর দায়দায়িত্ব ও কাজের ধরন কী ছিল। মুখ যে তিনি খুলবেন, তার ইঙ্গিত দিয়ে এ দিন সকালে সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআই দফতরে ঢোকার সময় বলে গেলেন, "সময় এলেই বলব।"

    নিজস্ব সংবাদদাতা
    ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
    e e e

    সারদা-আতঙ্কে তটস্থ অসমের প্রভাবশালীরা

    শুরু হল গায়ক সদানন্দ গগৈকে দিয়ে। কিন্তু এর পর কে? তদন্তে নেমে সিবিআই সারদা কেলেঙ্কারির অসম-যোগে যাঁকে প্রথম গ্রেফতার করেছে, তিনি ওই সদানন্দ। গত কাল গ্রেফতার হওয়া সদানন্দকে আজ আলিপুর আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক তাঁকে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।

    রাজীবাক্ষ রক্ষিত
    ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
    e e e

    চাণক্য জেটলিকে দিয়েই চন্দ্রগুপ্ত শ্রীনির সাম্রাজ্য ধ্বংসের উদ্যোগ

    নতুন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড প্রেসিডেন্ট হিসেবে অপ্রত্যাশিত উঠে এসেছে অরুণ জেটলির নাম। অবশ্যই যদি জেটলি তাঁর মন্ত্রিত্বের গুরুদায়িত্ব সামলে বোর্ড প্রধান হতে রাজি থাকেন! জেটলির ঘনিষ্ঠমহলের ধারণা, অর্থ এবং প্রতিরক্ষা দুটো এত গুরুত্বপূর্ণ দফতর সামলে ভারতীয় ক্রিকেট প্রশাসনের দায়িত্ব নিতে তিনি রাজি হবেন না। ভারতীয় বোর্ডের বিরোধী শিবিরের আবার বিশ্বাস, তাঁকে যদি বোঝানো যায় যে চার মাসে মাত্র একটা বৈঠক করলেই চলবে। কাজগুলো অন্যরাই দেখে নেবে। কেবল ভাবমূর্তি উদ্ধারের জন্য তাঁর আসা প্রয়োজন, তা হলে জেটলি রাজি হয়ে যাবেন।

    গৌতম ভট্টাচার্য
    ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
    e e e


    সকালে বচসা ছাড়া দিনভর অফিসেই ইকবাল

    খানিক আগেই গোলমাল বেধেছিল ৬২ নম্বর ওয়ার্ডের ওয়েলেসলি পাড়ায়। শনিবার ভোট শুরুর ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই চৌরঙ্গি কেন্দ্রে প্রথম উত্তেজনার আঁচ। স্থানীয় বরোর চেয়ারম্যান এবং খানাকুলের তৃণমূল বিধায়ক ইকবাল আহমেদের খাসতালুক এটা। সেখানেই বুথের সামনে ভিড় করা নিয়ে কংগ্রেস প্রার্থী সন্তোষ পাঠকের সঙ্গে তাঁর বচসা, দু'দলে ধাক্কাধাক্কি। খবর পেয়ে ছুটে গেলেন তৃণমূল প্রার্থী নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়। ইকবাল তত ক্ষণে রিপন স্ট্রিটে। দু'জনের দেখা হল সেখানেই। ভিড় থেকে সরে নিচু গলায় কিছু কথাও হল।

    নিজস্ব সংবাদদাতা
    ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
    e e e

    মেয়েদের ফেলে মার, দাপাল বাইক বাহিনী

    শনিবার ভরদুপুরে শহরের রাস্তায় পড়ে কাতরাচ্ছেন দুই যুবতী। অথচ তাঁদের উদ্ধারে এগিয়ে আসতে দেখা যাচ্ছে না কাউকে। কেন? কারণ, শাসক দলের বাইক বাহিনী তখনও দাপিয়ে বেড়াচ্ছে গোটা এলাকা। শেষমেশ এগিয়ে এলেন পাঁচ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান অপরাজিতা দাশগুপ্ত। তিনিও তৃণমূলের। ডোনা গুপ্ত ও অনন্যা দে নামে গুরুতর জখম ওই দুই যুবতীকে রাস্তা থেকে তোলার চেষ্টা করতে করতে বললেন, "এটা আমার কর্তব্য।"তার অনেক পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ এল। তারাই আহতদের নিয়ে গেল মেডিক্যাল কলেজে।

    নিজস্ব প্রতিবেদন
    ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
    e e e

    মাটির বাঁধ উজিয়ে ভোট দিয়ে যান ওঁরা

    ভাদ্রের ভরা বেলায় খাঁ খাঁ করছে উত্তরপাড়া। ছড়িয়ে ছিটিয়ে কাঁঠাল-জামরুলের ছায়া। গ্রামের বুক চিরে ধুলো ঢাকা একটা আদ্যন্ত মেঠো রাস্তা এঁকেবেঁকে ঠোক্কর খেয়েছে যেখানে, গ্রামের লোকজন চিনিয়ে দেন, 'অবতারের ভেড়ি'। মানে? মুখে আঁচল চাপা দিয়ে উত্তরপাড়ার মাঝবয়সী মহিলা বলেন, "আমাগো দ্যাশে যেমন কাঁটাতার, বাংলাদ্যাশের তেমনই অবতার কোম্পানির বাঁধ।"

    নির্মল বসু
    ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
    e e e

    কড়া নজরদারি, বহিরাগতেরা রইলেন বাইরেই

    রাত দুপুরে লজের ঘরের দরজায় 'ঠকঠক'। ভিতরের বাসিন্দা দরজা খুলতেই মুখোমুখি হলেন সশস্ত্র বাহিনীর। বাহিনীর সঙ্গে থাকা পদস্থ অফিসারেরা জানতে চাইলেন পরিচয়। ছাড় দিলেন চিত্র সাংবাদিক পরিচয় সম্পর্কে নিঃসন্দেহ হয়ে। লজের বাগানে পায়চারিরত এক যুবকও একই প্রশ্নের মুখে পড়লেন ও ছাড়া পেলেন নির্বাচনী দায়িত্ব নিয়ে আসা সরকারি আধিকারিক বলে। হলটা কী?

    অরুণাক্ষ ভট্টাচার্য ও নির্মল বসু
    ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
    e e e

    সাইকেলের বদলে গাড়িতে ভোট দিতে গেলেন দীপেন্দু

    বৃদ্ধাকে রিকশা থেকে নামাচ্ছিলেন আত্মীয়েরা। অসুস্থ শরীরে এসেছেন ভোট দিতে। দেখতে পেয়ে এগিয়ে গেলেন প্রার্থী। মশকরা করে বললেন, "এই যে বুড়ি, চিনতে পারছ?""কে বাবা?"চোখ তুলে তাকালেন অশীতিপর বৃদ্ধা। একগাল হেসে বললেন, "ও মা, এ যে আমাদের মিঠু। ভাল আছিস তো?""দেখলেন, এরপরে আমাকে কি কেউ আর বহিরাগত বলবে?"— বললেন প্রার্থী।

    অরুণাক্ষ ভট্টাচার্য ও নির্মল বসু
    ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
    e e e

    তৃণমূলে বড় ছেলে, ভাঙন প্রয়াত বিধায়কের ঘরে

    ভাইয়ের সঙ্গে কথা বন্ধ করে দেয় ভাই। মা আর মুখ দেখেন না ছেলের। মানুষে-মানুষে এমন বিচ্ছেদ করাতে পারে কেবল তিনটে জিনিস। প্রেম, সম্পত্তি, আর রাজনীতি। বসিরহাটের প্রয়াত বিধায়ক নারায়ণ মুখোপাধ্যায়ের পরিবার ভেঙেছে রাজনীতি। ৮ বার বিধানসভা নির্বাচনে জিতেছেন এই সিপিএম নেতা। তাঁর মৃত্যুর জেরেই বসিরহাটে দক্ষিণ কেন্দ্রে এই নির্বাচন হচ্ছে। নারায়ণবাবুর বড় ছেলে উৎপলকে শনিবার দেখা গেল তৃণমূলের ক্যাম্পে। ছোট ছেলে জ্যোতিপ্রকাশ নারায়ণবাবুর বাড়ির পাশেই সিপিএমের ক্যাম্পে বসে ভোট সামলাতে ব্যস্ত।

    অরুণাক্ষ ভট্টাচার্য
    ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
    e e e

    ফের অনুব্রতর হুমকি, পুলিশ শাসালেন মনিরুল

    আবার স্বমহিমায় অনুব্রত। সঙ্গে দোসর মনিরুল। এক জন বিরোধীদের প্রাণে মারার হুমকি দিলেন, অন্য জন পুলিশকর্মীদের বুঝিয়ে দিলেন শাসক দলের কথা না শুনলে জঙ্গলমহলে বদলি করে দেবেন। বীরভূম পাড়ুই থানা এলাকার ক্ষতিপুর গ্রামে বিজেপি ও সিপিএমের 'যৌথ সন্ত্রাসের'বিরুদ্ধে তৃণমূলের প্রতিবাদসভা ছিল শনিবার।

    নিজস্ব সংবাদদাতা
    ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
    e e e

    শহরে আল কায়দার কারা, তদন্তে গোয়েন্দা

    ভারতীয় উপমহাদেশে আল কায়দার শাখা খোলার ঘোষণা সম্বলিত আয়মান আল জাওয়াহিরির ভিডিও টেপটির অস্তিত্ব জানা গিয়েছে গত সপ্তাহে। কিন্তু ইনটেলিজেন্স ব্যুরো (আইবি) ও কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)-এর সন্দেহ, ওই জঙ্গি সংগঠনের একটি 'ঘুমন্ত'শাখা কলকাতায় রয়েছে বেশ কিছুদিন ধরেই।

    সুরবেক বিশ্বাস
    ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
    e e e

    মৃতের পাশেই রোগীর ঠাঁই, ওয়ার্ডই যেন মর্গ

    মুমূর্ষু যক্ষ্মা রোগীরা হাসপাতালের শয্যায় শুয়ে ধুঁকছেন। আর ঠিক তাঁদের পাশে ওয়ার্ডের মধ্যেই একটি শয্যায় পড়ে রয়েছে সাদা চাদরে ঢাকা অন্য এক রোগীর মৃতদেহ! প্রত্যন্ত জেলায় নয়, খাস কলকাতার যাদবপুরে কে এস রায় যক্ষ্মা হাসপাতালে এমনই অবস্থা চলছে। হাসপাতালে মৃতদেহ রাখার মর্গ প্রায় তিন বছর ধরে অচল।

    পারিজাত বন্দ্যোপাধ্যায়
    ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
    e e e

    রোগিণীকে নগ্ন করে বন্দি রেখে 'শান্তি রক্ষা'র চেষ্টা

    পাভলভ আছে পাভলভেই! গত এক মাস ধরে এক মানসিক রোগিণীকে এই মানসিক হাসপাতালের একটি ঘরে নগ্ন অবস্থায় তালাবন্ধ করে রেখে দেওয়া হয়েছে। দিনে দু'বার সেই ঘরে শুধু খাবারটুকু পৌঁছে দেওয়া হয়। ভাঙা তারের জাল লাগানো ঘরটিতে বেশির ভাগ সময়েই গরাদ ধরে দাঁড়িয়ে থাকেন আঁখি নামের ওই রোগিণী।

    সোমা মুখোপাধ্যায়
    ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
    e e e

    স্বাস্থ্য

    নিজেদের পরীক্ষাতেই সন্দিহান স্বাস্থ্য দফতর

    প্রথমে জানিয়েছিল, সিরাপের মান ঠিক নেই। পরে নিজেদের পরীক্ষা-পদ্ধতি নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে তারা! স্বাস্থ্য দফতরের এই আচরণে রাজ্যে স্থগিত হয়ে গেল শিশুদের সিরাপ খাওয়ানোর প্রকল্প। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, জন্মের পরেই বহু শিশু রক্তাল্পতায় ভোগে। সরকারি হিসেবে, রাজ্যে পাঁচ বছরের কম বয়সিদের মধ্যে সংখ্যাটা শতকরা ৭০ জন।

    ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
    e e e

    জীবজগৎ

    হাতিকে বিস্কুট খাওয়াতে গিয়ে মৃত ট্রাকচালক

    বন দফতরের একটি কুনকি হাতির পায়ে পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা গেলেন এক ট্রাকচালক। অশোক শেরপা (৪৯) নামে জয়গাঁ-র বাসিন্দা ওই চালক শনিবার সকালে ট্রাক নিয়ে কোচবিহার যাচ্ছিলেন। হাসিমারার কাছে কোদালবস্তি এলাকায় কুনকি হাতিটিকে দেখে ট্রাক থামিয়ে তাকে বিস্কুট খাওয়াতে গিয়েছিলেন অশোক।

    ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
    e e e

    বিদেশ

    জিপিএস বিকলের আশঙ্কা

    কয়েক কোটি আলোকবর্ষ দূরে একটি তারার দু'টি বিস্ফোরণে বিকল হতে বসেছে প্রযুক্তি! সূর্যের মধ্যে দু'টি বিস্ফোরণে তৈরি হওয়া সৌর ঝড় ধেয়ে এসেছে পৃথিবীর দিকে। তৈরি হয়েছে এক ধরনের 'ইলেকট্রো ম্যাগনেটিক'রশ্মি। যা কি না ইতিমধ্যেই স্পর্শ করেছে ভূপৃষ্ঠ।

    1
    ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
    e e e

    দেশ

    পাহাড়ে সেনাবাহিনীর ভরসা চারপেয়েরা

    জম্মু-কাশ্মীর থেকে অরুণাচল—হিমালয় ঘেরা রাজ্যগুলির পাহাড়ে-পাহাড়ে বহাল জওয়ানদের 'বন্ধু'ওরা। সেনাবাহিনীর অবিচ্ছেদ্য 'অঙ্গ'ও। খচ্চর আর পাহাড়ি কুকুরের দল! গোলা-বারুদ, খাদ্যসামগ্রী পিঠে নিয়ে চড়াই-উৎরাই রাস্তায় মাইলের পর মাইল হেঁটে খচ্চররা পৌঁছায় দুর্গম সামরিক ছাউনিতে।

    ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
    e e e

    দেশ

    কাজ চাই, আরও কাজ, ৪ সূত্র মোদীর

    শুধু কাজ শুরু নয়। হাতেনাতে ফলও চাই। ভোটের আগে ভূরি-ভূরি প্রতিশ্রুতি দিলেও প্রথম একশো দিনে যে খুব বেশি কিছু মানুষের সামনে মেলে ধরা যায়নি, সেটা বুঝছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। আর সেই কারণেই আগামী দিনগুলোয় দ্রুত কাজ চাইছেন প্রধানমন্ত্রী।

    ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
    e e e

    মেদিনীপুর

    ক্লাসঘর জবরদখল আধিকারিকের

    স্কুলের কম্পিউটার রুম, অথচ সেখানে কম্পিউটার নেই একটিও। বদলে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ওই ঘরে পরিপাটি করে পাতা বিছানা। দেওয়ালে টাঙানো আয়না। ঘটনাস্থল অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতর পরিচালিত আদিবাসী স্কুল 'ঝাড়গ্রাম একলব্য আদর্শ আবাসিক বিদ্যালয়'।

    1
    ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
    e e e

    মুর্শিদাবাদ

    যন্ত্রে পাট ছাড়ানোর পরামর্শ নিগমের

    যন্ত্রের সাহায্যে পাট ছাড়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন জুট কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া-র আধিকারিকেরা। তাঁদের দাবি, যন্ত্রের সাহায্যে পাট ছাড়ানো হলে তাতে পাটের গুণগত মান ভাল হয়। পাট ছাড়াতে খরচও কম হয়। পাট পচাতে জলেরও প্রয়োজন হয় কম। ফলে সব দিক থেকেই লাভবান হবেন চাষিরা।

    ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
    e e e

    উত্তরবঙ্গ

    দুর্গাপুজোয় নজরমিনার চালু বক্সায়

    তিন তলা বাড়ির সমান উঁচু নজরমিনারের চার দিক জঙ্গলে ঘেরা। এক পাশ দিয়ে তিরতির করে বয়ে যাচ্ছে বালা নদী। মিনারে উঠলে স্পষ্ট দেখা যায়, নদীর এক পাশের কাশ বাগান এখন ফুলে ভরে গিয়েছে। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গলে 'সম্বর'নজর মিনারে এত দিন শুধুমাত্র বনকর্মীরাই উঠতে পারতেন। মিনার থেকে নজরদারির কাজ করা হত।

    1
    ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
    e e e

    আল্লা,ম্যাঘ দে আল্লা ,পানি দে আল্লা,অন্ধ যেজন,তাহাদের চক্ষু ফুটাইয়া দে শারদোত্সবে বসন্তের আগমণী আমি দেখেছি নন্দিনীকে কলরবে উথাল পাথাল বৃষ্টিতে, শুনেছি তাঁর মধু কন্ঠস্বর পলাশ বিশ্বাস

    Previous: পশ্চিমবঙ্গে কিন্তু ক্ষমতা বেদখল বামেরা এখন সারদায় নিমজ্জিত মমতার পরিবর্তনকে বঙ্গোপসাগরে জলাজন্জলি দেওয়ার তালে আছেন এবং বাংলায় গৌরিক পতাকার বাড়বাড়ন্ত তৃণমুলের সর্বনাশ হলেও বামেরা পৌষমাসের আশায় আছেন৷ ফ্যাসিস্ট নাজি সাম্রাজ্যবাদী করপোরেট মুক্তবাজারি বিদেশ নীতির প্রশংসায় হামিদ সাহেবের মন্তব্যে তাই অনেক কিন্তু কিন্তু,থেকে যাচ্চে কিন্তু৷ বাবরি ধ্বংস যেমন য়েরশলুম মন্দির দখলের ড্রেস রিহার্সল, মোদী সরকারের নূতন বৈদেশিক সম্পর্ক বিন্যাস কিন্তু আসলে মধ্যযুগের শত বর্ষের ইসলাম বিরুদ্ধে ক্রুসেডেরই নামান্তর৷ পলাশ বিশ্বাস
    $
    0
    0

    আল্লা,ম্যাঘ দে

    আল্লা ,পানি দে

    আল্লা,অন্ধ যেজন,তাহাদের চক্ষু

    ফুটাইয়া দে

    শারদোত্সবে বসন্তের আগমণী আমি দেখেছি নন্দিনীকে

    কলরবে উথাল পাথাল বৃষ্টিতে, শুনেছি তাঁর মধু কন্ঠস্বর

    পলাশ বিশ্বাস

    Souvik Chakrabarty

    1 hr

    https://soundcloud.com/banglarock/hok-kolorob-rupam-islam‪#‎hokkalorob‬............

    Hok Kolorob - Rupam Islam

    SOUNDCLOUD.COM|BY BANGLAROCK

    LikeLike·  · Share

    adav pure vc er baktobbo sunun.........

    Happy To Disturb - VC Jadavpur University

    SOUNDCLOUD.COM|BY RJ-SAYAN

    LikeLike·  · Share


    কলরবে উথাল পাথাল বৃষ্টিতে, শুনেছি তাঁর মধু কন্ঠস্বর

    আরব বসন্তের হাল হকীকতে ওয়েল ওয়াকিফ হওয়ার পর বসন্ত বলতে বসন্তের মহামারিকেই ভয় পাইবাংলার কৃষি বিদ্রোহকে সত্তর দশকে চিন আখ্যা দিয়েছিল,বসন্তের বজ্রনির্ঘোষ,সেই গ্রাম দিয়ে শহর ঘেরার পরিকল্পনায় আজও থমকে আছে ভুমি সংস্কার,যার সুচনা দু শো বছর আগে হরিচাঁদ ঠাকুরের আসলি নবজাগরণে,ব্রাহ্মণ্যবাদের বজ্র আটুনি থেকে বৌদ্ধময় ভারতের জ্বল জ্বল প্রতিচ্ছবি যেন, আদিবাসী কৃষক বিদ্রোহ সারি সারি ঔপনিবেশিক উত্পাদনপ্রণালির গন্ডি পেরিয়ে অধুনা মুক্তবাজারেও সেই দাবিতে সমানে সোচ্চার কৃষিজীবী জাতপাতে,বর্ণ বৈষম্যে খন্ডিত বিখন্ডিত লোক গ্রাণীণ ভারত


    জাতি ব্যবস্থা ও বর্ণবৈষম্যের রাজনীতি ক্ষমতা দখল লাড়াইয়ের মধ্যেও এপার বাংলা ওপার বাংলা পরবাসী উদ্বাসুত বাংলার ভূগোল ইতিহাসে যে সহজাত প্রগতিবাদ,সহঅস্তিত্ব ও মনুষত্বের জয়গান,সহজিযা বাউল বৈষ্ণব জীবন যাপন ভোগ ষাঁড় সংস্কৃতিকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে,বাঙালি ও বাংলার সেই উদ্বুদ্ধ প্রবুদ্ধ ঐতিহ্যেই বসবাস বাঙালি জাতিসত্তার


    বর্ণ জাতি ভেদ ডিঙিয়ে ঔপনিবেশিক কাল থেকে সেই শুরু,তেভাগা খাদ্য আন্দোলন নক্সাল জমানায সেই সত্তর দশক পর্যন্ত জাত বজ্জাতির বিরুদ্ধে যা বঙ্গীয মানসবিবেক,তার প্রতিচ্ছবি দেখলাম কলকাতার জলমগ্ন রাজপথে প্রবল বৃষ্টিতে ভিজে থাকা লিঙ্গোর্ধ শ্রেণীচেতস যুব মুখে মুখে

    মিছিলের শহরে মিছিলের ফিরে আসার সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি বোধ হয় এটাই


    বিদেশি কোনো তত্ব দিয়ে এই ছোট্ট মোডকে চিন্হিত না করে সভাষ মুখোপধ্যায়ের পদাতিকে নবান্নের সুগন্ধে চাপানি মার্কি জৌলুস থেকে এক্কেবারে আলাদা এই মিছিলের অরাজনৈতিক মুখ,যা ক্ষমতার চোখে এমনকি অন্ধ ভক্তবৃন্দের চোখে বহিরাগতের রাজনৈতিক আস্ফালন


    আল্লা,ম্যাঘ দে

    আল্লা ,পানি দে

    আল্লা,অন্ধ যেজন,তাহাদের চক্ষু

    ফুটাইয়া দে

    চক্ষুষ্মান চক্ষুষ্মতী বাঙালি বাঙালিনীর বড়ই আকাল


    দশ হাতে তশটি রত্নপাথর,তাবিজ ধাগা রুদ্রাক্ষ ভুষিত শপিং মলে যে বাঙালির অধিষ্ঠান,টিভি তেখ অন্দরমহলে যার জ্যোতিষ বসতি,বিপদে রক্ষার জন্য তেত্রিশ কোটি দেব দেবি ছাড়াও রোজই নূতন দেব দেবি,অবতার, বাবা,তান্তরিকে যার সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন,সহবাসে যার জাপানি তৈল চাইই,উত্পাদণ প্রণালির মহাশ্মশানে,জনপদের গোরস্থানে,গণসংহার কালে অন্ধকারের শাসনে এই মগের মুলুকে চক্ষুষ্মানরা সবাই একযোগে নিরুদ্দেশে


    তাঁরা যেন এই প্রবলে বৃষ্টিপাতে ফিরে এল আবার



    ভেবেছিলাম,লড়াকু সেদিনের সেই জননেত্রী পরবল বডষ্টিতে ক্ষমতার সব সমীকরণ উলটে পালটে দিয়ে উথাল জনপথে এসে দাঁড়িয়ে বলবেন,কি সমস্যা,এই ত আমি তোমাদের মুখ্যমন্ত্রী


    ঔ পথের ঠিকানা ভুলেছেন দিদি,পথি একন তাঁকে পথ দেখাবে

    কেমন পথ দেখছেন তিনিঃ

    যাদবপুরকে জবাব দিতে কাল পাল্টা মিছিল তৃণমূলের

    Last Updated: Sunday, September 21, 2014 - 11:29

    27

    SHARES

    Share on Facebook

    Share on Twitter

    যাদবপুরকে জবাব দিতে কাল পাল্টা মিছিল তৃণমূলের

    কলকতা: যাদবপুরে ছাত্রমিছিলের পাল্টা মিছিল এবার তৃণমূলের। সোমবার রাজভবন অভিযান করবে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের অভিযোগ, যাদবপুরে নৈরাজ্য চলছে। সেই বক্তব্যই রাজ্যপালের কাছে জানাবে তারা।

    অন্যদিকে সোমবার দুপুরে মিছিল করবেন তৃণমূল সমর্থক শিক্ষাকর্মীরা। দুপুর একটায় যাদবপুর থেকে শুরু হবে মিছিল। কোনও দলীয় পতাকা ছাড়াই গোলপার্ক পর্যন্ত যাবে মিছিল।

    রাজ্যপালের অনুরোধে সোমবার দুপুর পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত রেখেছেন যাদবপুরের ছাত্রছাত্রীরা। তবে, উপাচার্যকে সরানো না হলে আন্দোলন যে আরও বৃহত্তর আকার নেবে তাও রাজ্যপালকে জানিয়ে এলেন আট সদস্যের প্রতিনিধিদল।

    ছাত্রদের দাবি, রাজ্যপাল কথা দিয়েছেন তাঁদের সমস্ত বক্তব্য বিবেচনা করবেন। তবে, আন্দোলন স্থগিত থাকলেও ক্লাস, বয়কটের সিদ্ধান্তে কিন্তু এখনও অনড় ছাত্রছাত্রীরা।নন্দন থেকে রাজভবন। ঝমঝম বৃষ্টি যেন জনসুনামি হয়ে আছড়ে পড়ল রাজপথে। স্লোগান আর  গানে এ যেন এক অন্য মহানগর। বৃষ্টির সঙ্গে তাল মিলিয়ে বেড়েছে মিছিল। চেনা-অচেনার গণ্ডি ছেড়ে রাজপথের ঠিকানা যেন তখন কেয়ার অফ মেয়ো রোড।

    লক্ষ্য ছিল রাজভবন। কিন্তু, মিছিল আটকে দেওয়া হল মেয়ো রোডে। পুলিসের ব্যারিকেডের সামনেই রাস্তায় বসে পড়লেন ছাত্রছাত্রীরা। আরও তীব্র হল পুলিস-বিরোধী স্লোগান।


    গত কয়েকদিন ধরেই ফেসবুক, টুইটার ইত্যাদি সামাজিক আলাপচারিতার ক্ষেত্রগুলো মুখর হয়ে উঠেছিল শনিবার দুপুরের এই বিক্ষোভ মিছিলে যোগ দেওয়ার আহ্বানে৷ নানা পোস্টার, ছবি, কার্টুন, ছড়া আর কবিতা দিয়ে শানিয়ে তোলা হচ্ছিল প্রতিবাদকে৷


    সবকটি পোস্টেই ছিল যাদবপুরের আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীদের হ্যাশট্যাগ– হোক কলরব! শনিবার সকাল থেকে প্রায় একটানা বৃষ্টি সত্ত্বেও দুপুর দুটো নাগাদ ভরে উঠতে থাকে রবীন্দ্রসদন-নন্দন চত্বর৷ রাস্তা জুড়ে ছাত্রছাত্রীদের ঢল এবং তাদের সমবেত কলরব আদতেই মনে করিয়ে দিচ্ছিল, এটা আর পাঁচটা বাঁধা গতের বিক্ষোভ নয়, বরং এক অন্য ধারার প্রতিবাদ জন্ম নিচ্ছে এই শহরে৷ যেখানে স্লোগান বাঁধা হচ্ছে – লাঠির বদলে গানের সুর, দেখিয়ে দিচ্ছে যাদবপুর৷ - See

    খবর যেরকমঃকলকাতার রাজপথে প্রতিবাদী যৌবনের ঢল৷ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশি তাণ্ডবের প্রতিবাদে এবং ঘটনার দায়ে অভিযুক্ত উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ দেখাল ছাত্র-ছাত্রীরা৷


    কলকাতার ঐতিহ্যমণ্ডিত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়েছে শিক্ষকরা। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সঙ্গে একত্মা প্রকাশ করে শুক্রবার থেকে শিক্ষকদের একাংশ কোনো ধরনের প্রশাসনিক কাজ করবেন না বলে জানিয়েছেন।

    এছাড়া কলকাতারা প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় ও দিল্লির জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে।

    অপরদিকে, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পক্ষে রাস্তায় নেমেছেন কলকাতার বুদ্ধিজীবী মহলের একটি অংশ।

    উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ে এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানির ঘটনা নিয়ে গঠিত তদন্ত কমিটি সঠিকভাবে কাজ করছে না- এ অভিযোগে গত ২৮ আগস্ট থেকে আন্দোলন চালাচ্ছিলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।


    শেষ কবে এমন বিশাল ছাত্র-মিছিল দেখেছে কলকাতা, অনেকেই মনে করতে পারছেন না৷ সঠিকভাবে বলতে গেলে, এমন অরাজনৈতিক বিক্ষোভ মিছিলের নজির প্রতিবাদী এই শহরেও খুব বেশি নেই৷ ঘটনা যদিও যাদবপুরের কিন্তু অন্যান্য কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সহমর্মী ছাত্র-ছাত্রীরা দলে দলে এই বিক্ষোভে শামিল হয়েছিলেন৷ অসমর্থিত সূত্রে তাঁদের সংখ্যাটা প্রায় ৩৬ হাজার৷ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ছাত্র-ছাত্রীদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন এখানকার প্রাক্তনীরাও৷ রয়েছেন প্রেসিডেন্সি কলেজের মতো বিখ্যাত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পড়ুয়ারা৷ অন্যদিকে নয়াদিল্লি-তে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় এবং আরও কিছু নামী কলেজের ছাত্রছাত্রীরা ভৌগোলিক দূরত্বকে কার্যত অস্বীকার করে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন দিল্লির রাজপথে৷


    গত কয়েকদিন ধরেই ফেসবুক, টুইটার ইত্যাদি সামাজিক আলাপচারিতার ক্ষেত্রগুলো মুখর হয়ে উঠেছিল শনিবার দুপুরের এই বিক্ষোভ মিছিলে যোগ দেওয়ার আহ্বানে৷ নানা পোস্টার, ছবি, কার্টুন, ছড়া আর কবিতা দিয়ে শানিয়ে তোলা হচ্ছিল প্রতিবাদকে৷ সবকটি পোস্টেই ছিল যাদবপুরের আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীদের হ্যাশট্যাগ– হোক কলরব! শনিবার সকাল থেকে প্রায় একটানা বৃষ্টি সত্ত্বেও দুপুর দুটো নাগাদ ভরে উঠতে থাকে রবীন্দ্রসদন-নন্দন চত্বর৷ রাস্তা জুড়ে ছাত্রছাত্রীদের ঢল এবং তাদের সমবেত কলরব আদতেই মনে করিয়ে দিচ্ছিল, এটা আর পাঁচটা বাঁধা গতের বিক্ষোভ নয়, বরং এক অন্য ধারার প্রতিবাদ জন্ম নিচ্ছে এই শহরে৷ যেখানে স্লোগান বাঁধা হচ্ছে – লাঠির বদলে গানের সুর, দেখিয়ে দিচ্ছে যাদবপুর৷


    রবীন্দ্রসদন থেকে বিক্ষোভ মিছিলের গন্তব্য ছিল রাজভবন৷ উদ্দেশ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, সহ উপাচার্য এবং রেজিস্ট্রারের ইস্তফার দাবি জানানো রাজ্যপালের কাছে৷ বিধি মোতাবেক, রাজ্যের যিনি রাজ্যপাল, তিনিই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য৷ যে কারণে রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠি ঘটনার পর পরই রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং বিতর্কিত উপাচার্য অভিজিৎ চক্রবর্তী-কে ডেকে পাঠিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট নিয়েছিলেন৷ কিন্তু ছাত্রছাত্রীদের কোনও বক্তব্য যেহেতু জানার চেষ্টা হয়নি রাজ্যপাল বা সার্বিকভাবে প্রশাসনের তরফ থেকে, তাই বিক্ষোভের আওয়াজ রাজভবন পৌঁছে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়৷


    প্রত্যাশিতভাবেই সেই বিক্ষোভ মিছিলকে রাজভবন পর্যন্ত যেতে দেওয়া হয়নি৷ বরং মাঝপথেই পুলিশের এক ত্রি-স্তর ব্যারিকেড সেই মিছিলের রাস্তা আটকে দাঁড়িয়েছিল৷ ঘটনাচক্রে এই জায়গার অদূরেই রয়েছে মহাত্মা গান্ধীর মূর্তি, যে জননায়ক সারা বিশ্বকে অহিংস আন্দোলনের পথ দেখিয়েছিলেন৷ যাদবপুরের ছাত্র-ছাত্রীরাও আগাগোড়া অহিংস রাস্তাতেই এই আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন৷ বাধা পেয়ে মিছিল সটান বসে পড়ে রাস্তাতেই৷ শুরু হয় সমবেত স্লোগান, গান৷ আটজন ছাত্রছাত্রীর একটি দল পুলিশের পাহারায় দেখা করতে যান রাজ্যপালের সঙ্গে৷


    রাজ্যপাল ত্রিপাঠি প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে ছাত্র-প্রতিনিধিদের বক্তব্য শোনেন, উপাচার্যকে অপসারণের দাবির নৈতিকতা স্বীকার করেন, সমর্থন জানান এবং প্রতিশ্রুতি দেন, পুরো বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার৷ তবে এর জন্য রাজ্যপাল সোমবার পর্যন্ত সময় চেয়ে নিয়েছেন ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে৷ রাজ্যপাল ছাত্র-বিক্ষোভ সম্পর্কে কোনও বিরূপ প্রতিক্রিয়া জানাননি, বরং নৈতিক সমর্থন জানিয়েছেন, এই খবরেই উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠেন অবস্থানরত ছাত্র-ছাত্রীরা৷ সিদ্ধান্ত হয়, আন্দোলন চললেও অবস্থান তুলে নেওয়া হবে৷


    এদিকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য এখনও একইরকম অনুতাপহীন৷ শনিবার হঠাৎই বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে উপাচার্যের পাতায় দেখা গিয়েছিল, তিনি সকলের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন৷ বলেছেন "আই অ্যাম সরি"৷ কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই ওই ওয়েব পাতাটি ব্লক করে দিয়ে জানানো হয়, কে বা কারা নাকি হ্যাকিং করে ওই কথা লিখে দিয়ে গেছে৷ এর পরই গোটা ঘটনার পিছনে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র দেখতে শুরু করেন উপাচার্য অভিজিৎ চক্রবর্তী৷ কিন্তু তিনি দেখতেও পান না, রাজ্যপাল যে সহানুভূতি দেখালেন ক্ষুব্ধ ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতি, শুধু সেই বিচক্ষণতা দেখাতে পারলেই আজ এই পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হতো না তাঁকে৷ বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হত না এই অচলাবস্থা৷


    যাদবপুরে পুলিশ লাঠি চালায়নি। যথেষ্ট সংবেদনশীলতার সঙ্গে ও ধৈর্য্য ধরেই কাজ করেছে তারা। আজ এক সাংবাদিক বৈঠক করে এমনই দাবি করলেন পুলিশ কমিশনার সুরজিত কর পুরকায়স্থ। তাঁর দাবি, পুলিশ যা করেছে, আইন মেনেই করেছে। পুলিশ কমিশনার দাবি করেছেন, বহিরাগতদের কাছে মারাত্মক অস্ত্র ছিল, এমনই খবর ছিল পুলিশের কাছে।


    ইন্টারন্যাশনাল লাইভ: ভারতের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপর হামলার প্রতিবাদে আন্দোলনে উত্তাল ক্যাম্পাস।

    বুধবার দুপুরে প্রতীকি অবরোধ পালন করেছেন এসএফআই (স্টুডেন্টস ফেডারেশন অব ইন্ডিয়া) সমর্থকরা। তাদের অভিযোগ, পুলিশের সঙ্গে তৃণমূলের বহিরাগতরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকে ছাত্রছাত্রীদের ওপর যে তাণ্ডব চালিয়েছে তা ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ।

    যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীর শ্লীলতাহানির ঘটনা ধামাচাপা দিতেই এই কাজ করা হয়েছে বলে অভিযোগ বাম ছাত্র সংগঠনের। তাঁদের পক্ষ থেকে ভিসি অভিজিত্‍ চক্রবর্তীর অবিলম্বে অপসারণ দাবি করা হয়েছে।

    বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশের লাঠিচার্জের সময় হঠাৎ বিদ্যুত চলে যায়। ছাত্রদের অভিযোগ, রাতে সুপরিকল্পিত ভাবে লাইট নিভিয়ে দিয়ে হামলা চালায় পুলিশ।

    ঘটনার সূত্রপাত মঙ্গলবার দুপুরে। অরবিন্দ ভবনের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা। কর্মসমিতির বৈঠক চলাকালীনই অরবিন্দ ভবনের সামনে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। তাদের অভিযোগ, যাদবপুর শ্লীলতাহানি কাণ্ডে তদন্ত কমিটি নিরপেক্ষ নয়।

    নজিরবিহীন ঘটনার স্বাক্ষী রইল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। ঘেরাওমুক্ত হতে ক্যাম্পাসে পুলিশ ডাকলেন ভিসি। ঘেরাও তুলতে গেলে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে আহত হন ৩৩ জন ছাত্র। সূত্র: এনডিটিভি

    ঢাকা/এমএল, ১৭ সেপ্টেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমএইচ

    - See more at: http://www.campuslive24.com/campus.64163.live24/#sthash.GYCcpVqM.dpuf


    যাদবপুর কাণ্ডে উপাচার্যের দুঃখপ্রকাশ ঘিরে বিতর্ক


    Jadavpur-University-ranked-76th-in-Asia

    যাদবপুর কাণ্ডে উপাচার্যের 'দু:খপ্রকাশ'ঘিরে বিতর্ক দেখা দিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে তাঁর ছবির তলায় লেখা, তিনি দুঃখিত। যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রদীপ ঘোষ অভিযোগ করেছেন, উপাচার্য এমন কোনও কথা লেখেননি। ওয়েবসাইট হ্যাক করা হয়েছে বলে জানান রেজিস্ট্রার। পুলিশের কাছে এই ব্যাপারে অভিযোগ জানানো হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। এদিন সকালে থেকেই গতকালের মত আজও অব্যহত ছিল অচলাবস্থা। উপাচার্য, রেজিস্ট্রারের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন চলছে গতকালের মতই। সকালে যাদবপুর কাণ্ডের প্রতিবাদে মিছিল করেন শহরের বেশ কয়েকটি কলেজের পড়ুয়ারা। এরই মধ্যেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে দেখা যায় উপাচার্য অভিজিৎ চক্রবর্তীর ছবির তলায় লেখা 'তিনি দুঃখিত'। উপাচার্যের ক্ষমা চাওয়াকে স্বাগতও জানায় ছাত্র সংগঠনগুলি। তারপরই রেজিস্ট্রার জানিয়ে দেন ক্ষমা চাননি উপাচার্য। যা ঘিরে দেখা দিয়েছে নতুন বিতর্ক।


    কলরবে উত্তাল জনমন

    ভিজে একসা ব্যানার। জল ছিটে ধেবড়ে গিয়েও তবু জ্বলজ্বল করছে লালরঙা অক্ষরগুলো। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে লক্ষ্য করে তাতে স্পষ্ট চ্যালেঞ্জ: এক্সপেক্ট রেজিস্টেন্স! ছাত্রছাত্রীদের মর্যাদা না-দিলে প্রতিরোধ হবেই। শনিবার বিকেলে মিছিলের একেবারে পুরোভাগে এই ঘোষণাই জনজোয়ারের মেজাজটা বুঝিয়ে দিল। আশ্বিনে খেপা শ্রাবণের মতো ঝমঝমে বৃষ্টিও সেই ঝাঁঝ ভোঁতা করতে পারেনি।



    যাদবপুর: ছাত্রজোয়ার শাম্ত হল আশ্বাসে


    Google plus share

    Facebook share

    Twitter share

    LinkedIn share


    অভিজিৎ বসাক




    হোক কলরব৷‌ বৃষ্টি ভেঙে মহানগরীর রাজপথে এই স্লোগানে প্রতিবাদে পন্ধয়ারা৷‌ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিবাদীদের পাশে রাজ্যের বিভিন্ন প্রাম্তের ছাত্রছাত্রীরা৷‌ আচার্য-রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর সঙ্গে কথা বলে, আশ্বাস পেয়ে মেয়ো রোডে অবস্হান তুলে নিলেও আন্দোলন জারির বার্তা দিলেন সেই অবস্হান থেকে৷‌ ছাত্রদের দাবি ছিল উপাচার্য অভিজিৎ চক্রবর্তীর পদত্যাগ-সহ দোষীদের শাস্তি৷‌ রাজ্যপালের আশ্বাসে বিক্ষোভ আপাতত শাম্ত হলেও সোমবার আন্দোলনের পরবর্তী অভিমুখ ঠিক করতে বৈঠকে বসবেন ছাত্ররা৷‌ থাকবেন অন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্র প্রতিনিধিরাও৷‌ কারণ শ্লীলতাহানি, পন্ধয়া নিগ্রহ শুধু যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনা নয়, এই মুহূর্তে এটা এক সামাজিক সমস্যা৷‌ পন্ধয়াদের সঙ্গে আলোচনার আগে শনিবার কলকাতায় এক অনুষ্ঠানের ফাঁকে যাদবপুর-কাণ্ড নিয়ে সাংবাদিকেরা প্রশ্ন করলে রাজ্যপাল বলেন, কী হয়েছে, কে দায়ী, আপনারা ভালই জানেন৷‌ আচার্যের সঙ্গে দেখা করে বেরিয়ে এসে পড়ুয়াদের পক্ষে চিরঞ্জিত ঘোষ বলেন, রাজ্যপাল স্যর তাঁদের প্রতিটি কথা শুনেছেন৷‌ সব দাবির কথা জানিয়েছি৷‌ ধৈর্য ধরে তিনি সবই শুনেছেন৷‌ উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করেছি৷‌ চিরঞ্জিতের দাবি, রাজ্যপাল তাঁদের আশ্বস্ত করেছেন৷‌ তিনি নিজে বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন৷‌ তথ্য সংগ্রহ করছেন৷‌ তদম্ত করেও দেখবেন৷‌ ভুল খুঁজে পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্হা নেবেন৷‌ কিন্তু উনি কয়েকদিন সময় চেয়েছেন৷‌ রাজ্যপাল সোমবার থেকে ক্লাস বয়কট তুলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠনপাঠনের স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার অনুরোধ করেন৷‌ যেহেতু তিনি বিষয়টি নিজে দেখছেন বলে জানিয়েছেন, তাই তাঁর অনুরোধ মেনে আমরা অবস্হান তুলে নিচ্ছি৷‌ এবং আন্দোলনের পরের পদক্ষেপ কী হবে তা ঠিক করতে সোমবার বৈঠকে বসছি৷‌ ২৮ আগস্টের শ্লীলতাহানির ঘটনারও নিরপেক্ষ ও পূর্ণাঙ্গ তদম্তের দাবি জানিয়েছি৷‌ এই দাবিগুলি নিয়েই শনিবার মহামিছিলের ডাক দিয়েছিলেন যাদবপুরের প্রতিবাদীরা৷‌ নন্দন থেকে মেয়ো রোডের গান্ধীমূর্তির পাদদেশ পর্যম্ত৷‌ সকাল থেকেই অঝোরে বৃষ্টি পড়ছে৷‌ জনমানসে সংশয় ছিল মিছিল নিয়ে৷‌ দুপুর ২টোর কিছু পর নন্দন-চত্বর থেকে প্রতিবাদে পা মেলান পড়ুয়ারা৷‌ তখনও বৃষ্টি পড়ছিল৷‌ মিছিল শুরুর পরেও একের পর এক ম্যাটাডোর, মিনিডোরে চেপে জমায়েত হন ছাত্রছাত্রীরা৷‌ সংহতি জানাতে আসেন রাজ্যের বিভিন্ন প্রাম্তের পড়ুয়ারা৷‌ রাস্তাজোড়া ঠাসা মিছিল৷‌ যেন জোয়ারের ঢেউ উঠছে, নামছে৷‌ ছিলেন এস এস কে এম, এন আর এস, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ, প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়, আই আই এম কলকাতা, দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়, আই এস আই বরানগর, স্কটিশ চার্চ-সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীরা৷‌ যে পুলিস মধ্যরাতে পড়ুয়াদের ওপর লাঠি চালিয়েছিল, এদিন সেই পুলিস পড়ুয়াদের অনুরোধ করল সহযোগিতা করতে৷‌ যাদবপুরের বহু প্রাক্তনীও পা মেলান প্রতিবাদের এই মিছিলে৷‌ স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত তিলোত্তমার রাজপথ৷‌ নন্দন-চত্বর থেকে শুরু হওয়া মিছিল পার্ক স্ট্রিট উড়ালপুলের কাছে আসতে সময় নিল প্রায় ঘণ্টাখানেক৷‌ তখনও থামেনি বৃষ্টি৷‌ গালে কালো-লাল কালি মেখে মাথায় ছাতাওয়ালা মিছিল ধীর পায়ে এগিয়ে চলছে৷‌ বৃষ্টি যেন জেদ বাড়িয়ে দিয়েছে মিছিলের৷‌ একটা সময় পার্ক স্ট্রিট উড়ালপুল দিয়ে যান-চলাচল বন্ধ করতে হল৷‌ কালো টিশার্ট-পরা অসংখ্য পড়ুয়া সামিল হয়েছিলেন মিছিলে৷‌ অনেকের মাথায় ছিল কালো ফেট্টি৷‌ মিছিলে দেখা গেল অভিনেতা চন্দন সেন, নাট্যব্যক্তিত্ব সুমন মুখোপাধ্যায়, কামদুনির শিক্ষক প্রদীপ মুখার্জি, অভিনেতা জয়জিৎ ব্যানার্জি, অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখার্জি, গায়ক অনিন্দ্য বসু-সহ বিশিষ্টরা৷‌ গান্ধীমূর্তির বেশ কিছুটা আগে চার স্তরীয় ব্যারিকেড করে রাখা ছিল পুলিসের৷‌ ছিল কলকাতা পুলিসের বিশাল বাহিনী৷‌ দায়িত্বে বেশ কয়েকজন উপনগরপালও৷‌ সেখানেই অবস্হানে বসে পড়েন পড়ুয়ারা৷‌ শুরু হয় স্লোগান, গান৷‌ অবস্হান থেকে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবি তোলা হয়৷‌ এখান থেকেই সাত জন পড়ুয়ার এক প্রতিনিধিদল যায় রাজভবনে৷‌ রাজ্যপালের সঙ্গে প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে চলে আলোচনা৷‌ তখন সন্ধে নেমে গেছে৷‌ থেমে থেমে বৃষ্টিও হচ্ছে৷‌ কিন্তু কাকভেজা হয়েও গান, স্লোগানে খামতি নেই পড়ুয়াদের৷‌ ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলতে দেখা গেল বিজ্ঞানী পার্থসারথি রায়কে৷‌ রাজভবন থেকে বেরিয়ে এসে এই প্রতিনিধিদলটি যায় অবস্হানের জায়গায়৷‌ রাজ্যপালের বার্তা এবং তাঁর আশ্বাসের কথা জানায় অবস্হানকারীদের৷‌ রাজ্যপালের আশ্বাসে অবস্হান তুলে নেওয়ার সিদ্ধাম্ত হয়৷‌ তবে এখনই আন্দোলনে ছেদ টানতে নারাজ প্রতিবাদীরা৷‌ মধ্যরাতে পুলিস দিয়ে ছাত্র পেটানোর ঘটনায় উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে অনড় তাঁরা৷‌ পুলিস ডাকার ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকলে সহ-উপাচার্য সিদ্ধার্থ দত্ত ও রেজিস্ট্রার প্রদীপ ঘোষের পদত্যাগের দাবিও ওঠে৷‌ মহামিছিলকে অভিনন্দন জানিয়েছে এস ইউ সি আই৷‌ এদিকে, এদিন যাদবপুরে ছাত্রদের ওপর পুলিসি অত্যাচারের বিরুদ্ধে মৌন মিছিল করলেন বিভিন্ন কলেজের পড়ুয়ারা৷‌ গোলপার্ক থেকে সকালে শুরু হওয়া মিছিলটি শেষ হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে৷‌


    যাদবপুরের আঁচ গিয়ে পড়ল এবার বেঙ্গালুরুতে, প্রতিবাদে মুখর 'গার্ডেন সিটি'

    ওয়েব ডেস্ক, এবিপি আনন্দ

    Sunday, 21 September 2014 02:41 PM

    submit to reddit

    প্রথমে দিল্লি। তারপর বেঙ্গালুরু।

    যাদবপুরকাণ্ডে প্রতিবাদের ঢেউ ক্রমেই আছড়ে পড়ছে রাজ্যের বাইরে। শনিবার রাজধানীর পর, রবিবার গর্জে উঠল বেঙ্গালুরু।

    রবিবাসরীয় সকালে গানে-স্লোগানে মুখর হয়ে উঠল বেঙ্গালুরুর টাউন হল,  কারও হাতে ছিল গিটার, কেউবা শুধুই দিল তালি।

    নিজেদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটে যাওয়া এমন ঘটনায় বাকরুদ্ধ যাদবপুরের প্রাক্তনীরা।

    মঙ্গলবার মধ্যরাতে পড়ুয়াদের উপর পুলিশি বর্বরতার প্রতিবাদে, যাদবপুরের প্রাক্তনীদের পাশে দাঁড়ালেন বেঙ্গালুরুর বাসিন্দারাও।

    যাদবপুরকাণ্ডের প্রতিবাদে শনিবার কলকাতায় পথে নামেন পড়ুয়ারা। বৃষ্টি উপেক্ষা করে রাজপথ ভাসে জনস্রোতে। প্রতিবাদের আঁচ পৌঁছয় রাজধানী দিল্লিতেও। সেখানে বঙ্গভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখান প্রাক্তনীরা। দিল্লির পর এবার যাদবপুরের পাশে দাঁড়াল বেঙ্গালুরু।

    সময় চাইলেন রাজ্যপাল, 'আশ্বাসে' উঠল অবস্থান, সোমবার বৈঠক যাদবপুরের পড়ুয়াদের

    কৃষ্ণেন্দু অধিকারী ও অর্ণব মুখোপাধ্যায় এবিপি আনন্দ

    Saturday, 20 September 2014 02:36 PM

    submit to reddit

    কলকাতা: পুলিশি নিগ্রহের অভিযোগ ও তাঁদের দাবি নিয়ে আচার্য রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর সঙ্গে কথা বললেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের প্রতিনিধিরা। ছাত্রদের দাবি, উপাচার্যকে অপসারণের দাবি শুনে সময় চেয়েছেন রাজ্যপাল। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। তারপরই  মেয়ো রোড থেকে অবস্থান প্রত্যাহার করেছেন ছাত্রছাত্রীরা। সোমবার থেকে ক্যাম্পাসে আইনশৃঙ্খলা বজায় ও পঠনপাঠনের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ফেরানোর পরামর্শ দিয়েছেন কেশরীনাথ। আগামী সোমবার জিবি বৈঠকের পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে ছাত্ররা।

    সব মিলিয়ে যাদবপুরকাণ্ডে বিশ্ববিদ্যালয়ের অচলাবস্থা অব্যাহত।

    যাদবপুরকাণ্ডে আগেই সক্রিয় হয়েছেন রাজ্যপাল। শিক্ষামন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রসচিব, উপাচার্যকে তলবের পর কথা বলেছেন পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে। কথা বলতে চেয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গেও। সেইমতো মহামিছিলের পর মেয়ো রোডের অবস্থান বিক্ষোভের মঞ্চ থেকে শনিবার রাজভবনে যায় আন্দোলনকারী ছাত্রদের সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। প্রায় দেড় ঘণ্টা কথা হয় রাজ্যপালের সঙ্গে। আলোচনা শেষে ছাত্র প্রতিনিধিরা দাবি করেন, রাজ্যপালের কাছে গোটা বিষয়টি সবিস্তার জানানো হয়েছে। রাজ্যপাল তাঁদের দাবির প্রতি সহানুভূতিশীল। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি। মেয়ো রোডের অবস্থান তুলে নিলেও আচার্যর পরামর্শমতো ক্লাস বয়কটের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হবে কিনা, ভবিষ্যৎ আন্দোলনের রূপরেখাই বা কী হবে, তা ঠিক করতে সোমবার বৈঠক ডেকেছে ছাত্রছাত্রীরা।

    রাজভবন সূত্রে খবর, আচার্যর সঙ্গে দেখা করে অভিযোগ জানিয়েছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭ ছাত্র প্রতিনিধি। ছাত্রদের কথা মন দিয়ে শুনেছেন আচার্য। পাশাপাশি, সোমবার থেকে ক্যাম্পাসে আইনশৃঙ্খলা বজায় ও পঠনপাঠনের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ফেরানোর জন্য ছাত্রদের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। এর আগে অবশ্য সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রাজ্যপাল বলেন, ওখানে কী হয়েছে, তা আপনারা আরও ভাল জানেন।

    যাদবপুরকাণ্ডের প্রতিবাদে রাজ্যপালের দফতরে গিয়ে নিজের গোল্ড মেডেল ফেরত দিয়েছেন তপোব্রত ঘড়ুই নামে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের এক গোল্ড মেডেলিস্ট।

    এদিন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশি নির্যাতনের প্রতিবাদে  পথে নামেন পড়ুয়ারা। বৃষ্টি উপেক্ষা করে শহরের রাজপথে জনজোয়ার নামে। নন্দন চত্বর থেকে মিছিল বের হয়। স্লোগানে-প্রতিবাদে মুখর পড়ুয়ারা। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি মিছিলে সামিল অন্যান্য কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়দের ছাত্রছাত্রীরাও। দুপুর ২টো নাগাদ মিছিল শুরু হয় নন্দনের সামনে থেকে। গন্তব্য ছিল রাজভবন। বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ, মিছিল যখন জওহরলাল নেহরু রোডে, তখনও মিছিলের শেষ অংশ অ্যাকাডেমির কাছে। তখনও মিছিলে যোগ দিচ্ছেন পড়ুয়ারা। এদিকে, মিছিল মেয়ো রোডের কাছে মিছিল আটকে দিয়েছে পুলিশ। ছাত্রদের একটি প্রতিনিধিদল রাজ্যপালের কাছে যাবে। কিন্তু পড়ুয়ারা সাফ জানিয়েছেন, উপাচার্য, সহ উপাচার্য এবং রেজিস্ট্রার পদত্যাগ না করা পর্যন্ত তাঁরা মেয়ো রোডেই অবস্থান করবেন।

    যাদবপুরকাণ্ডের প্রতিবাদে অব্যাহত রয়েছে গোটা শহরেই। এদিন সকাল থেকেই প্রতিবাদে সোচ্চার কলেজ পড়ুয়ারা। যাদবপুরের উপাচার্যের অপসারণ ও পুলিশি বর্বরতার নিন্দায় মৌন মিছিল। সকালে গোলপার্ক থেকে এই মিছিল শুরু হয়।  যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে থেকে ঘুরে গোলপার্কের কাছে মিছিল শেষ হয়। মিছিলে পা মেলান বিভিন্ন কলেজের পড়ুয়ারা। মুখে কালো কাঁপড় বেঁধে ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন তাঁরা।

    এদিকে, যাদবপুরের ঘটনার প্রতিবাদে দিল্লিতেও জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারাও মিছিল করছেন বলে জানা গেছে।

    N PICS: Jadavpur University students hold march, demand VC's resignation, fresh probe http://iexp.in/vDi113276(4 photos)

    Indian Express's photo.

    Indian Express's photo.

    Indian Express's photo.

    Indian Express's photo.

    57 SharesLikeLike·  · Share


    উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি অধ্যাপক সংগঠনের  

    ঘরের মধ্যেই কোণঠাসা যাদবপুর বিশ্ববিদালয়ের উপাচার্য। যাদবপুর ক্যাম্পাসে পুলিশি তাণ্ডবের প্রতিবাদে তাঁর পদত্যাগের দাবিতে সরব পড়ুয়ারা। এবার সেই একই দাবিতে সরব যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের সংগঠন জুটা। ...  আরও»

    যাদবপুরের পাশে প্রেসিডেন্সি ছাত্রদের লালবাজার অভিযান, মিছিল এপিডিআর-এরও  

    যাদবপুরকাণ্ডের প্রতিবাদে ক্রমেই সুর চড়াচ্ছে গোটা শহর। একদিকে, যাদবপুরের আন্দোলনকারীদের পাশে প্রেসিডেন্সির পড়ুয়ারা। আরেকদিকে উপাচার্যের অপসারণের দাবিতে রাজপথে এপিডিআর। ...  আরও»



    আনন্দবাজারের খবর

    পথ চেনাতে পথেই প্লাবন

    কলরবে উত্তাল জনমন

    1

    ভিজে একসা ব্যানার। জল ছিটে ধেবড়ে গিয়েও তবু জ্বলজ্বল করছে লালরঙা অক্ষরগুলো। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে লক্ষ্য করে তাতে স্পষ্ট চ্যালেঞ্জ: এক্সপেক্ট রেজিস্টেন্স! ছাত্রছাত্রীদের মর্যাদা না-দিলে প্রতিরোধ হবেই।

    শনিবার বিকেলে মিছিলের একেবারে পুরোভাগে এই ঘোষণাই জনজোয়ারের মেজাজটা বুঝিয়ে দিল। আশ্বিনে খেপা শ্রাবণের মতো  ঝমঝমে বৃষ্টিও সেই ঝাঁঝ ভোঁতা করতে পারেনি। উপাচার্য ও পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভের পারদ এ বার খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই নিশানা করল।


    তবে এ রাগ ঠিক রাজনীতির চেনা বুলির ছকে-বাঁধা রাগ নয়! বরং কোনওরকম দলীয় পতাকার ফাঁদে না-পড়ার শপথই বারবার শোনা গিয়েছে। ফিচেল হাসির মেজাজে হাততালি দিয়ে ছড়া কাটা হয়েছে, 'এই শতকের দু'টি ভুল / সিপিএম ও তৃণমূল / আলিমুদ্দিন শুকিয়ে কাঠ / শত্রু এখন কালীঘাট!'

    বাম জমানায় নন্দীগ্রাম-কাণ্ড বা রিজওয়ানুরের ঘটনার পরে বারবার দলমত নির্বিশেষে রাজনীতির পতাকাহীন মিছিল দেখেছে কলকাতা। পরিবর্তনের পরে গত বছর জুনে কামদুনি-কাণ্ডের ধাক্কায় সংস্কৃতি-জগতের বিশিষ্টজনেদের ডাকেও পথে নেমেছিল এ শহর। সে-বারও সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভ দানা বাঁধতে দেখা যায়। এ বার আরও স্পষ্ট ভাবে শোনা গিয়েছে সেই প্রতিবাদী স্বর। স্লোগান উঠেছে 'কালীঘাটের হাওয়াই চটি, সাদা শাড়ি, বাংলা থেকে দূর হটো!'

    ফেসবুকের সরস টিপ্পনীর ঢঙেও মুখে-মুখে ফিরেছে রঙ্গব্যঙ্গ। মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ উপাচার্য তাই হয়ে উঠেছেন 'কালীঘাটের ময়না'। মিছিল বলেছে, 'কালীঘাটের ময়না / তোমার দ্বারা হয় না!'সুকুমার রায়কে স্মরণ করে পুলিশকেও রেয়াত করা হয়নি। পার্ক স্ট্রিটের মোড়ের কাছে কতর্ব্যরত উর্দিধারীদের দেখেই সহাস্য স্লোগান উঠল, 'পুলিশ দেখে জাপ্টে ধরে / গান শোনাব বিশ্রী সুরে।'

    যাদবপুরে পুলিশি অত্যাচারের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে নেটজগতেই সমকালের একটি জনপ্রিয় বাংলা গানের লাইন ধার করে শুরু হয়েছিল এই প্রতিবাদ। 'হোককলরব', শব্দটি তার পর থেকেই আন্দোলনের সহমর্মীদের মন্ত্র হয়ে উঠেছে। নন্দন থেকে রাজভবনের পথেও তাই বারবার রোল, হোক, হোক, হোক, হোককলরব! এবং এই কলরব স্রেফ ছাত্রছাত্রী বা তরুণ সমাজের মধ্যেই আটকে থাকেনি।

    ৭৫ বছরের অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী দিলীপ দাস এই ভিড়ের গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র। 'ফিয়ার নাথিং'লেখা চুপচুপে ভিজে গেঞ্জির যুবকের পাশেই হাঁটছিলেন তিনি। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক মহিলার চটি ছিঁড়ে গিয়েছে। সেই চটি হাতে নিয়ে শাড়ি সামলে হাঁটছেন দৃপ্ত ভঙ্গিতে।

    গলার শিরা ফুলিয়ে শিখ যুবক স্লোগান দিচ্ছিলেন, 'ছিন লেঙ্গে আজাদি!'তাঁর খুব কাছে হাঁটতে থাকা কলেজ-তরুণীর মাথার ফেট্টিতে লেখা 'বহিরাগত'। সেন্ট জেভির্য়াস কলেজের ছাত্রীটি হাসতে হাসতে বললেন, "যাদবপুরের ঘটনা যখন, তা হলে আমিও তো বহিরাগত!"

    সপসপে ভিজে টি-শার্ট, কুর্তি, শর্টসের তরুণদের ফুর্তির শেষ নেই। রোগা চেহারার চশমা-নাকে একটি মেয়েকে দেখে তাঁর সহপাঠীদের ঠাট্টা: কী রে, তুই তো কলেজের ক্লাসের বাইরে কিচ্ছু জানিস না! মেয়েটির চোখা জবাব: যাদবপুরে যা ঘটেছে, তার পরেও কী বসে থাকব!

    স্রেফ নেট-প্রচার নির্ভর অসংগঠিত মিছিলের ডাকে ঘরে বসে থাকতে পারেননি অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ও। বললেন, "জীবনে এর আগে কখনও এমন সিরিয়াসলি মিছিলে হাঁটতে পথে নামিনি!"স্বস্তিকা যাদবপুরের ইতিহাস বিভাগের প্রাক্তনী।

    নাটক-সিনেমার অঞ্জন দত্ত, সুমন মুখোপাধ্যায়, শান্তিলাল মুখোপাধ্যায়রাও এই মিছিলেরই মুখ! ছাত্রদের পাশে দাঁড়াতে পথে নেমেছেন চেনা-অচেনা মাস্টারমশাইরা। যাদবপুরের শিক্ষক ইংরেজির চান্দ্রেয়ী নিয়োগী, ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মধুবন্তী মৈত্র বা বাংলা বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষক সৌমিত্র বসু (বর্তমানে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক)-ও ঘরে বসে থাকতে পারেননি। যাদবপুরের প্রাক্তনী এক দম্পতি সুপ্রিয়া ও অরূপ চক্রবর্তীও আগাগোড়া হাঁটলেন মিছিলে। সুপ্রিয়া বললেন, "আমার মেয়েও ফার্স্ট ইয়ারে ভর্তি হয়েছে। এখন বিকেল পাঁচটা বাজলেই ওর জন্য চিন্তা হয়। আমাদের সময়ে নির্ভয়ে কত রাত পর্যন্ত ক্যাম্পাসে থাকতাম!"

    পুলিশ অবশ্য খাতায়-কলমে এই ভিড়কে ছ'হাজারের বেশি বলে মানতে চায়নি। তবে বিকেল চারটেয় মিছিলের মুখ মেয়ো রোডের কাছাকাছি এসে পৌঁছনোর সময়েও দেখা গেল শেষ ভাগ অ্যাকাডেমি অব ফাইন আর্টসের কাছে। পুলিশের একাংশই ঠারেঠোরে মানছেন, লালবাজার যা বলছে মিছিলের বহর তার দু'-তিন গুণের কম নয়!

    বেলা আড়াইটেয় মিছিলের পথ চলা শুরুর সময়ে বৃষ্টি পড়ছিল মুষলধারে। সেই বৃষ্টিই যেন মিছিলকে আরও খেপিয়ে তুলল। তাৎক্ষণিক স্লোগান উঠল, 'আয় বৃষ্টি ঝেঁপে, যাদবপুর গেছে খেপে!'আর এই খ্যাপামির শরিক কলকাতার সঙ্গে গোটা দেশের ছাত্রসমাজ।

    মেয়ো রোডের মুখে পুলিশি ব্যারিকেডের সামনে থামাতে হয় মিছিল। বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ সাত সদস্যের প্রতিনিধিদলকে পুলিশ রাজভবনে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করাতে নিয়ে যায়। তত ক্ষণ অপেক্ষমান ভিড়কে পথনাটকে মাতিয়ে রাখলেন স্কটিশ চার্চ কলেজ, প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা।

    প্রতিনিধিরা ফিরে এসে সহযোদ্ধাদের জানালেন, তাঁদের রাজভবন অভিযান সফল। রাজ্যপালের সঙ্গে কথা বলে তাঁরা খুশি। শুনেই ফের উল্লাস। তখন সন্ধে সাতটা। বৃষ্টি থেমেছে। আন্দোলনকারীদের চুপচুপে ভেজা পোশাক শুকিয়েছে গায়েই। বিদায়বেলায় ফের স্লোগান, 'পুলিশ যত মারবে / মিছিল তত বাড়বে'। ক্লান্তি ছাপিয়ে লড়াইয়ের উত্তাপ তখন ছড়িয়ে-পড়ছে জনতার চোখেমুখে।

    পথ চেনাতে পথেই প্লাবন

    1

    মিছিলে দেখেছিলাম একটি মুখ....

    সুমন মুখোপাধ্যায়


    3

    প্রথম মিছিলে হেঁটেছিলাম, তা সেই এগারো-বারো বছর বয়সে। যুদ্ধবিরোধী মিছিল। বাবার হাত ধরে। আর আজ আবার যেন সেই 'যুদ্ধবিরোধী'মিছিলেই পা মেলালাম!

    ছেলেবেলার সেই মিছিলে 'পাপেট'নিয়ে গিয়েছিলাম, কণ্ঠে ছিল,

    'মেরি বাবা মেরি বাবা মেরি বাবা

    খাবা খাবা খাবা আমি, খাবা সবই খাবা

    থলিতে ভরব যা হাতের কাছে পাবা।'

    তখন আমেরিকার যুদ্ধনীতির প্রতিবাদে সেই মিছিলে সামিল হয়ে মনে হয়েছিল, ইতিহাসে ঠাঁই করে নিলাম! তখনই ভেবেছিলাম, 'কমিটমেন্ট'কথাটা নিছক একটা শব্দ নয়, এটা আদপে 'অ্যাক্ট'।

    ভুল ভেবেছিলাম! ভাবিনি, সেই 'থলিতে ভরব যা হাতের কাছে পাবা'র বিরুদ্ধে, আর এক 'যুদ্ধনীতি'র প্রতিবাদে আবার পথে নামব আরও অজস্র ছেলেমেয়ের সঙ্গে, আরও অনেক সহমর্মী মানুষের সঙ্গে!

    অবশ্য, এটাই দ্বিতীয় বার মিছিলে হাঁটা নয়। এর আগেও নন্দীগ্রাম-কাণ্ডের পরের দিনই, চলচ্চিত্র উৎসবের সময় ছোট মিছিলে হাঁটি। এর পরেই নন্দীগ্রামের ছায়ায় কলেজ স্কোয়ার থেকে সেই মহামিছিল। গিয়েছিলাম ধর্মতলা পর্যন্ত। সেই মৌন মিছিলের শব্দতরঙ্গ বুঝিয়ে দিয়েছিল, পরিবর্তন আসতে চলেছে। তখনও ভাবতে পারিনি, এর মাত্র দু'বছরের মধ্যেই 'পরিবর্তিত'এক সরকারের বিরুদ্ধে আবার পথে নামতে হবে।

    কামদুনির গণধর্ষণ ও হত্যার প্রতিবাদে সেই মিছিল থেকে প্রথম পাওয়া গেল মা-মাটি-মানুষের সরকারের বিরোধী স্বর। তার পর থেকে একের পর এক ঘটনা ঘটে চলেছে এই রাজ্যে। যা আমাদের ক্রমাগত বিষাদে জর্জরিত করছে। কোনও দিনই তো বুঝিনি যে নির্ভরতার একটা বিশ্বস্ত জায়গা এত দ্রুত ভঙ্গুর হয়ে পড়বে!

    প্রতিবাদ মিছিলে সুমন মুখোপাধ্যায় ও স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। শনিবার শহরে।

    মার্কস বলেছিলেন, ইতিহাস পুনরাবর্তিত হয়। প্রথম বার তা হয় ট্র্যাজেডি হিসেবে, দ্বিতীয় বার প্রহসন। আর ইতিহাসবিদ হবসবম এর সঙ্গে যুক্ত করেছিলেন তৃতীয় পুনরাবর্তনের মাত্রা: হতাশা। যাদবপুরের ঘটনার পরে অমোঘ সেই তৃতীয় মাত্রার কথাই মনে পড়েছিল। কিন্তু আজকের মিছিলে যখন ছাত্রদের প্রতিবাদী মুখ দেখলাম, প্রতিবাদী স্বর শুনলাম, তখন মনে পড়ে গেল সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের আর এক অমোঘ পঙক্তি:

    'মিছিলে দেখেছিলাম একটি মুখ,

    মুষ্টিবদ্ধ একটি শাণিত হাত

    আকাশের দিকে নিক্ষিপ্ত...'

    এই মিছিলের জ্যান্ত, উজ্জ্বল মুখগুলোর দিকে তাকিয়ে, এই উদ্যমী, উৎসাহী, নাছোড়বান্দা ছাত্রছাত্রীদের স্লোগানের ছন্দে ছন্দে পা মিলিয়ে যখন হেঁটে চলেছি রবীন্দ্র সদন থেকে রাজভবনের দিকে, তখন বার বার মনে প্রশ্ন উঠেছে, আমি তো শিং ভেঙে বাছুরের দলে ঢুকেছি! এই মিছিলে আমার কী ভূমিকা? ইতিহাসের স্মৃতি খুঁড়ে বৃষ্টিস্নাত রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে ভেসে উঠছিল ইতিহাসের নানা সময়ের, নানা মুহূর্তের কোলাজ! আচমকাই দৃশ্যমান হল, জাদুঘরের পাশে, পার্ক স্ট্রিট মোড়ে লিফলেট বিলোচ্ছেন জাঁ পল সার্ত্র! পার্ক স্ট্রিটের মোড় যেন আজ ষাটের দশকের ছাত্রবিক্ষোভে বিস্ফারিত প্যারিসের রাজপথ! যেন ঘুম ভেঙেছে সুপ্ত আগ্নেয়গিরির! সেই লাভাস্রোতে ডুবে যাচ্ছে শাসনতন্ত্রের ইমারত! তারুণ্যের সেই আগুনে নিজেকে প্রজ্জ্বলিত করতে পেরেছিলেন সার্ত্রের মতো বিশ্ববরেণ্য তাত্ত্বিক। তাঁর সেই অবদান এবং অংশগ্রহণ পৃথিবীর ছাত্র আন্দোলনের ইতিহাসে এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে রয়েছে। আর এক প্রখ্যাত তাত্ত্বিক আলথুজার অবশ্য সার্ত্রের মতো রাস্তায় নেমে পড়তে পারেননি। ইতিহাস তির্যক ভঙ্গিতে সে কথাও মনে রেখেছে। আসলে, আমাদের সমাজে এক জন চিন্তাবিদ বা 'ইন্টেলেকচুয়াল'-এর সামাজিক ও রাজনৈতিক ভূমিকা কী, সেটা বোধহয় সার্ত্র এবং আলথুজার-এর এই সক্রিয়তা (অ্যাক্ট) বনাম নির্লিপ্ততার নিরিখে আন্দাজ করা যেতে পারে।

    সার্ত্রের মতো লিফলেট বিলোতে হয়তো আমি পারিনি, কিন্তু মিছিলে পা মেলাতে পেরেই তখন মনে হচ্ছিল, আমিও ওদের প্রতিবাদের শরিক হতে পারলাম! আজকে যখন মিছিলে মাথায় ফেট্টি বাঁধা, জামায় স্লোগান আঁকা, হাতে ফেস্টুন ধরা মুখগুলো দেখছিলাম, মনে পড়ে যাচ্ছিল সাম্প্রতিক ইতিহাসে দেখা তিয়েনানমেন স্কোয়ারের চিত্রাবলি, বাংলাদেশের শাহবাগের ছবির মন্তাজ! মনে পড়ে যাচ্ছিল, দুনিয়া কাঁপানো সেই ফ্রেম! তিয়েনানমেন স্কোয়ারে আগুয়ান ট্যাঙ্কের সামনে উদ্ধত একক শরীরের ব্যারিকেড!

    শুরু হল পৃথিবীর ইতিহাসে প্রতিবাদের এক নতুন চিহ্ন, যার ক্যানভাস বিস্তৃত হল তাহরির স্কোয়ার পর্যন্ত। এর অভিঘাতে বদলে গেল শাসকের মুখ, খুলে গেল শাসনযন্ত্রের মুখোশ! শুধু তাই নয়, পুনর্বিন্যস্ত হল রাজনৈতিক প্রতিরোধী এবং শাসকের সম্পর্কের সমীকরণ!

    আজকের মিছিলে হাঁটতে হাঁটতে এলোমেলো ভাবে মনে পড়ছিল আইজেনস্টাইনের 'ব্যাটলশিপ পোটেমকিন', জন রিডের 'দুনিয়া কাঁপানো দশ দিন', হেমিংওয়ে-র 'ফর হুম দ্য বেল টোল্স'এবং পন্টেকর্ভো-র 'ব্যাটল অফ আলজিয়ার্স'। এগুলোর সঙ্গে কোনও না কোনও ভাবে সম্পর্ক আছে স্বৈরতান্ত্রিক শাসনের বিরুদ্ধে মানুষের সংগ্রাম। আবার মনে পড়ে যাচ্ছিল, সত্তরের দশকের তুমুল রাজনৈতিক ডামাডোলের মাঝখানে উৎপল দত্তকে যখন কার্যত লুকিয়ে লুকিয়ে করতে হচ্ছে 'দুঃস্বপ্নের নগরী'বা বাসে কংগ্রেসিদের বোমা মারার প্রতিবাদে করেছিলেন 'পেট্রল বোমা'। ভাবছিলাম, উৎপল দত্ত আজ থাকলে কী করতেন?

    উৎপলবাবু সম্পর্কে কতগুলি পরস্পরবিরোধী গল্প শোনা যায়। তিনি যেমন সক্রিয় ভাবে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ও সামাজিক বিষয় নিয়ে চটজলদি নাটক লিখে ফেলতে পারতেন বা প্রযোজনাও করে ফেলতেন, আবার তেমনই শোনা যায়, মিছিলে হাঁটার জন্য তিনি কুঁজোর মধ্যে পাঞ্জাবি-পাজামা ভরে রাখতেন! বা যখন পুলিশ নাট্যদলের অভিনেতা বা পরিচালককে খুঁজছে, তখন তিনি সহ-অভিনেতাদের এসে বলতেন, 'কমরেডস, পুলিশ আসছে, পালান!'এগুলো হয়তো গল্পকথাই! কিন্তু, আমি নিশ্চিত, কমরেড উৎপল দত্ত রাতারাতি 'নিশিরাতে পুলিশের লাঠি'নামে কোনও নাটকও করে ফেলতে পারতেন!

    আমাদের সময়ের শিল্পীদের অবশ্য এর কোনও ক্ষমতাই নেই। সে কথা স্বীকার করে নেওয়া ভাল। না হলে আজকের মিছিলে অন্তত আরও কিছু মুখ দেখা যেত।

    আবার কি আমরা সেই দুঃস্বপ্নের নগরীতে ফিরে যাচ্ছি? আবার কি আমাদের লুকিয়ে লুকিয়ে নাটক করতে হবে? আবারও কি ক্ষমতাসীনদের বিরুদ্ধে কোনও কথা বললেই কি দেখতে হবে, আমার ভাগ্যে পুলিশের চোখরাঙানি? বা চড়চাপড়ও বটে! বা লাঠির গুঁতো? বা থানায় অনির্দিষ্ট অপেক্ষা? এত সব এলোমেলো আকাশপাতাল ভাবনার মধ্যে চেতনা আবার ফিরিয়ে দিল বাস্তবভূমিতে, কানে ভেসে এল 'হোক কলরব'স্লোগান!

    দেখলাম, উদ্ধত বুকে, সাহসের সঙ্গে ছাত্রছাত্রীরা চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছেন রাষ্ট্রশক্তির আস্ফালনকে।

    ঝঞ্ঝাক্ষুব্ধ জনসমুদ্রের ফেনিল চূড়ায়

    ফসফরাসের মতো জ্বলজ্বল করতে থাকল

    মিছিলের সেই মুখ

    পথ চেনাতে পথেই প্লাবন

    logo

    প্রতিবাদ দেশ জুড়েই


    3

    যাদবপুর কাণ্ডের প্রতিবাদে দিল্লির বঙ্গভবনের সামনে বিক্ষোভ। ছিলেন জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া-সহ অনেকেই। ছবি: প্রেম সিংহ

    উত্তেজনায় থরথর কাঁপছিল অধুনা প্রবাসী বাঙালি তরুণের গলা। "বহিরাগত কাকে বলছে ওরা? ধরুন আমি প্রেসিডেন্সিতে পড়ি। আমি যাদবপুর ক্যাম্পাসে গেলেই কি বহিরাগত হয়ে যাব! আর বহিরাগত মানেই আমি কি গুন্ডা, যে পুলিশ দিয়ে পেটাতে হবে?"

    নয়াদিল্লির হেইলি রোডে বঙ্গভবনের উল্টোদিকের ফুটপাথ। কেউ কেউ সেখানেই বসে আর্ট পেপারের রোল খুলে ফেল্ট পেনে পোস্টার লিখছিলেন, কেউ খুলে বসেছিলেন ল্যাপটপ। তরুণটির সঙ্গে দেখানেই দেখা। যাদবপুরের প্রাক্তনী, কর্মসূত্রে এখন গুড়গাঁওয়ে। শনিবার তিনি ও তাঁর মতো আরও বেশ কয়েক জন দুপুর গড়ানোর আগেই হাজির হয়ে গিয়েছেন রাজধানীতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অতিথিশালার সামনে।

    জমায়েতটা ওখানেই। হঠাৎ বৃষ্টিতে ভেজা কলকাতার রাজপথে যখন পা বাড়াচ্ছে যাদবপুরের মিছিল, তখন জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরের গঙ্গা ধাবা-র সামনে জড়ো হচ্ছিলেন সেখানকার ছাত্রছাত্রীরা। কেউ প্রাক্তন যাদবপুর, আবার কেউ কোনও দিন কলকাতাই চোখে দেখেননি। কিন্তু হাজার দেড়েক কিলোমিটার উজিয়ে কলকাতার কলরব ঠিকই পৌঁছেছে।

    যাদবপুরের উপাচার্য অভিজিৎ চক্রবর্তীর পদত্যাগের দাবিতে বৃহস্পতিবারই পশ্চিমবঙ্গ সরকারের রেসিডেন্ট কমিশনারকে স্মারকলিপি দেয় ছাত্র সংগঠন আইসা। আজ আইসা, এসএফআই, ডিএসএফ-সহ দলমত নির্বিশেষে মোট সাতটি ছাত্র সংগঠন যাদবপুরের ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ জমায়েতের ডাক দেয়। জেএনইউ ক্যাম্পাস থেকে বাসে-অটোয়-ম্যাটাডরে ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে সেই দলটাই পৌঁছে যায় বঙ্গভবনের সামনে। যেখানে অপেক্ষা করছিলেন ওই প্রাক্তনী তরুণের মতো বেশ কিছু প্রতিবাদী।

    জেএনইউ ক্যাম্পাসের যে কোনও প্রতিবাদী মিছিলেরই চালু স্লোগান 'হাল্লা বোল'। সেই স্লোগান উঠল বঙ্গভবনের সামনেও। মাঝে মাঝে হাততালি দিয়ে নাটকের গান। বাংলা, হিন্দি, ইংরেজিতে লেখা পোস্টার 'পুলিশি নির্যাতন কেন হবে ক্যাম্পাসে?''কেন এর পরেও পদত্যাগ করবেন না উপাচার্য?'তারই মধ্যে বেশ কিছু পোস্টারে নতুন লব্জ 'বাউন্সার'। 'ক্যাম্পাস থেকে বাউন্সার হটাও'। লক্ষ্য কি মঙ্গলবার রাতের 'গেঞ্জি পুলিশ'বাহিনী? আর শুধু জেনএনইউ নয়, চোখে পড়ল দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়েরও কিছু মুখ। ছাত্রছাত্রীরা তো বটেই, ছিলেন কিছু শিক্ষকও। ইতিমধ্যে খবর আসে, বঙ্গভবনে আসার পথে তুঘলক রোড থানার সামনে জেএনইউ-এর বাস আটকে দিয়েছে পুলিশ। বাস থেকে নাকি প্রতিবাদীদের নামতেও দেওয়া হচ্ছে না। তা নিয়ে বেশ খানিকক্ষণ উত্তপ্ত কথা চালাচালি চলে।

    প্রতিবাদী জমায়েত যে হবে, খবর ছিল পুলিশের কাছে। তবে হিসেবে ভুল হয়েছিল তার কলেবর নিয়ে। বঙ্গভবনের সামনে তাই প্রথম দিকে কতকটা আলসে মেজাজেই দাঁড়িয়েছিল একটিমাত্র পুলিশ জিপ। ভিড় ক্রমেই বাড়ছে দেখে বসে লোহার ব্যারিকেড। খবর যায় পুলিশ কন্ট্রোলে, 'চল্লিশ নয়, অন্তত চারশো লোক জমেছে।'পৌঁছয় র্যাফ। তবে পরিস্থিতি আয়ত্তের বাইরে যায়নি। উত্তেজনায় লোহার ব্যারিকেড ধরে ঝাঁকুনি দিতে দেখা গিয়েছে অনেককে। তবে মাথা ঠান্ডা রেখেই পরিস্থিতি সামলেছে পুলিশ।

    গোটা সময়টায় আগাগোড়া ছবি তুলে সোশ্যাল সাইটে আপলোড করে যাচ্ছিলেন অনেকে। খবর আসছিল কলকাতার মিছিল নিয়েও। বঙ্গভবনের সামনে থেকে অশোক রোড ধরে যন্তরমন্তরে গিয়ে শেষ হয় মিছিল। মিছিল শেষে দু-এক জন জানালেন, আজকের কর্মসূচি শেষ হলেও জারি থাকবে প্রতিবাদ। যাদবপুরের প্রাক্তনীদের অধিকাংশ শহরেই শাখা রয়েছে। উপাচার্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে আচার্য-রাজ্যপালের কাছে চিঠি লিখছেন তাঁরাও।

    কাল, রবিবার বেঙ্গালুরুর টাউন হলে অবস্থান বিক্ষোভ করবেন যাদবপুর-সহ কলকাতার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রাক্তনীরা। আজ আবার হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় এবং হায়দরাবাদের 'ইংলিশ অ্যান্ড ফরেন ল্যাঙ্গুয়েজ ইউনিভার্সিটি'-র ছাত্রছাত্রীরা যাদবপুর কাণ্ডের প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখান।

    উত্তর থেকে দক্ষিণ ভারত হয়ে উত্তরবঙ্গ। সেই যাদবপুর ঢেউ। কলকাতার মতোই বৃষ্টি মাথায় করে মিছিল এগোচ্ছিল শিলিগুড়ির রাস্তায়। মূলত ছাত্রছাত্রীদের সেই মিছিলের সামনে ব্যানার 'যাদবপুরে মার খেয়েছি, শিলিগুড়িতে জোট বেঁধেছি'। সেই মিছিলও যত এগিয়েছে, সাধারণ মানুষের ভিড়ে কলেবর বেড়েছে তার। সেবক রোড ঘুরে মিছিল পৌঁছয় হিলকার্ট রোডে। এ দিকে, প্রতিবাদে সরব হয়েছে পাহাড়ের ছাত্র সংগঠন ও ডুয়ার্সের আদিবাসী সংগঠনগুলিও। দার্জিলিঙে পথে নামার কথা জানিয়েছে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার ছাত্র সংগঠন বিদ্যার্থী মোর্চা। তাদের মুখপাত্র সন্দীপ ছেত্রী বলেছেন, "যাদবপুরের যা ঘটেছে, তার দায় রাজ্য সরকারকে নিতে হবে।"আদিবাসী বিকাশ পরিষদের রাজ্য সম্পাদক তেজকুমার টোপ্পোর কথায়, "প্রতিবাদ করার অধিকারও সকলের রয়েছে। এ কোন রাজ্যে আমরা রয়েছি, লড়াই করে কোন পরিবর্তন আনলাম!"


    রাজ্যপালের আশ্বাসে উঠল অবস্থান

    ঘোষণা ছিল, রাজভবন থেকে সদর্থক বার্তা না-মিললে মেয়ো রোড ছেড়ে নড়বেন না ছাত্রছাত্রীরা। রাজ্যপালের সঙ্গে কথা বলে প্রতিনিধি দল ফিরে আসার পরে অবস্থান তুলে নেওয়ারই সিদ্ধান্ত হল। কেশরীনাথ ত্রিপাঠী যে ভাবে তাঁদের কথা শুনেছেন, ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন, তাতে খুশি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত পড়ুয়ারা।

    নিজস্ব সংবাদদাতা

    ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

    eee


    বহিরাগত হটাতে চায় না কোনও দল

    যাদবপুরে অশান্তির পিছনে বহিরাগতদের ভূমিকার কথা শনিবারেও জোর দিয়ে বলেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অভিজিৎ চক্রবর্তী। বস্তুত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিতে বহিরাগতদের উপস্থিতির জেরে অশান্তির ঘটনা নেহাত কম নয়। এবং সেই বহিরাগতদের বেশির ভাগই কোনও না কোনও রাজনৈতিক দলের ছত্রচ্ছায়ায় থাকেন।

    নিজস্ব সংবাদদাতা

    ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

    eee


    দুই যাদবপুর

    কর্তৃপক্ষ বুঝেছেন, এই স্বাধীন মনোভাব চিন্তার স্তরে বিনষ্ট করতে পারলে আর ছাত্র পিটিয়ে বদনাম কুড়োতে হবে না, আপনিই সব পোষ মেনে যাবে। সুকান্ত চৌধুরী


    2

    পরিবর্তন। ভূতপূর্ব উপাচার্য শৌভিক ভট্টাচার্য ও বর্তমান (অস্থায়ী) উপাচার্য অভিজিত্‌ চক্রবর্তীয়

    যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে মঙ্গলবার রাতের ছবি দেখতে দেখতে ভাবছিলাম দু'বছর আগে সেখানে আর একটা রাতের কথা। আড়াইটে নয় অবশ্যই, ন'টা নাগাদ। কোনও গণ্ডগোল নয়: দিনভ'র কাজের পর ষাট-সত্তর জন অধ্যাপক ছ'টা থেকে ন'টা আলোচনা করছিলেন, ইউজিসি ঘোষিত এক নতুন গবেষণা-অনুদানের কী করে সদ্ব্যবহার করা যায়। নির্ভেজাল উচ্চতর গবেষণা নিয়ে এই আলোচনায় নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তত্‌কালীন উপাচার্য শৌভিক ভট্টাচার্য। ক'মাস মাত্র যাদবপুরে এসেছেন তখন, কিন্তু তাঁর গোড়ার ভাষণ ও সভা পরিচালনা থেকে স্পষ্ট, তার মধ্যেই তিনি সাঁইত্রিশটা বিভাগ আর একুশটা স্কুল-এর গবেষণা-বৃত্তান্ত গুলে খেয়েছেন, ভবিষ্যত্‌ পদক্ষেপের একটা পরিকল্পনাও ছকে এনেছেন।

    বেরিয়ে ধন্য মনে হচ্ছিল, এমন একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে আছি যেখানে এমন আলোচনা সম্ভব। আর ধন্যবাদ দিলাম তখনও-নতুন সরকারকে, যার তত্‌কালীন নিয়োগনীতির দৌলতে এমন উপাচার্য পাওয়া গেছে যিনি এই চর্চার নেতৃত্ব দিতে সক্ষম।

    কিছু দিন বাদেই শৌভিকবাবু পদত্যাগ করে চলে গেলেন, ছাত্র আন্দোলনের ফলে নয়, কিছু বয়স্কের উত্‌পাত আর বাধাসৃষ্টিতে। ইতিমধ্যে সরকার উপাচার্য-নিয়োগের রীতি দু'বার বদলেছে, তার ফলে সারস্বত নেতৃত্বের নিরিখে নিয়োগের সম্ভাবনা হয়ে পড়েছে ক্ষীণ থেকে ক্ষীণতর।

    পঠনপাঠনের যাদবপুর, গবেষণার যাদবপুর কিন্তু এখনও বিদ্যমান ও সক্রিয়। এই মুহূর্তে প্রাঙ্গণের যে উত্তাল অবস্থা, পাঁচ-সাত বছর বাদে-বাদে এমন এক একটা বিপর্যয় কিছু দিনের জন্য এই অন্য যাদবপুরকে একটু সঙ্কুচিত করে ফেলে, শীঘ্রই তা ফিরে যায় নিজের খাতে।

    এ বার কিন্তু ভয় হচ্ছে, সেই ফিরে যাওয়ার পথে কাঁটা পড়বে। কারণ এ বার বিশ্ববিদ্যালয়কে অভ্যস্ত ছন্দে ফিরে যাওয়ার স্বাধীনতা দেওয়া হচ্ছে না। সরকার তথা উপাচার্যের স্পষ্ট বার্তা, এই বেয়াড়া বিদ্যায়তনটিকে ভালরকম শিক্ষা দিতে হবে।

    অতএব ছাত্র পেটানো হচ্ছে, প্রস্তাব হচ্ছে পুলিশ পিকেট বসাবার। এ সব নিয়ে অন্তত প্রতিবাদ হয়। কিন্তু একই সঙ্গে একটা সমান্তরাল প্রক্রিয়া চলছে, যা অদৃশ্য ও অহিংস, অথচ যার বিধ্বংসী প্রভাব আরও স্থায়ী ও সুদূরপ্রসারী। এর ফলে প্রচুর শিক্ষকপদ দীর্ঘদিন খালি পড়ে আছে। বহু অপরিহার্য কাজের ভিত্তি যে স্ট্যাটিউট ও অর্ডিন্যান্স, সেগুলি দীর্ঘকাল সরকারি অনুমোদনের অপেক্ষায়। যে আন্তর্বিষয়ক স্কুলগুলি যাদবপুরের শ্রেষ্ঠ গবেষণার একটা মস্ত অবলম্বন, সেগুলিকে অনাথ অবস্থায় নিয়ে আসা হচ্ছে।

    তেইশ বছর আগে সরকারি কলেজের হাঁফধরা আবহাওয়া থেকে যাদবপুরে এসে উদ্দীপ্ত হয়েছিলাম তার মুক্ত পরিবেশে। এর খারাপ দিক অবশ্যই ছিল: কিছু উচ্ছৃঙ্খলতা, প্রচুর শৌখিন পল্লবগ্রাহিতা। কিন্তু সঙ্গে ছিল ভাল দিকটা; স্বাধীন চিন্তা ও উদ্ভাবনী শক্তির বিকাশ, সেগুলি কাজে পরিণত করার জন্য বেশ কিছু প্রশাসনিক স্বাচ্ছন্দ্য। যাদবপুরে যে প্রাণবন্ত বিদ্যাচর্চার পরিবেশ পেয়েছি, তার মূলে এই মুক্ত বায়ুর সঞ্চার। তার শ্রেষ্ঠ প্রকাশ আর্ন্তবিষয়ক স্কুলগুলিতে, যার নজির ভারতে আর কোথাও নেই।

    এই স্বাধীন স্বকীয় মনোভাব নিয়েই যেন কর্তৃপক্ষ সন্দিগ্ধ ও চিন্তিত। তাঁরা ঠিক ধরেছেন, এটাই নষ্টের গোড়া। চিন্তার স্তরে, রূপায়ণের স্তরে এটি বিনষ্ট করতে পারলে আর ছাত্র পিটিয়ে বদনাম কুড়োতে হবে না, আপনা-আপনিই সবাই পোষ মেনে যাবে।

    শিক্ষায়তন রাজনীতির আখড়া নয়, পঠনপাঠন গবেষণার স্থান। গত ক'দিনের প্রেক্ষিতে শিক্ষামন্ত্রী এ কথা যাদবপুরের সদস্যদের বলেছেন। তাঁকে সভয় ও সনির্বন্ধ অনুরোধ, দয়া করে যাদবপুরকে সেই চোখে দেখুন। যদি তাকে দেখেন স্রেফ বিরোধী শক্তির আখড়া হিসাবে, সেইমত তার উপর পুলিশ-প্রশাসন চাপিয়ে দেন, প্রত্যুত্তরে সেই দিকটাই বেশি করে ফুটে উঠবে, দেশের একটি শ্রেষ্ঠ বিদ্যাস্থানের সঙ্গে সরকারের সম্পর্ক হবে বিপক্ষীয়।

    তার বদলে তাকে দেখুন বিদ্যাকেন্দ্র হিসাবে। খোঁজ নিন, না হয় এসেই দেখে যান সেখানকার নানা দিকে প্রাগ্রসর গবেষণা, দেশি-বিদেশি অসংখ্য যোগ ও সম্মান, রাজনীতির বাইরে (ও অনেক বেশি মাত্রায়) ছাত্রছাত্রীদের অন্য হরেক চিন্তা ও বিনোদন। শেষ অবধি হয়তো আপনিও একমত হবেন, রাজনৈতিক যাদবপুরের যে জুজু পুলিশ-প্রশাসন নিজস্বার্থে গড়ে তুলেছে, তা গৌণ ও বহুলাংশে কাল্পনিক। জায়গাটার মুখ্য পরিচয় অন্যত্র, অন্য রূপে। এই খেয়ালি অস্বস্তিকর যাদবপুরকে বাগে আনার স্থূল তাত্‌ক্ষণিক উপায় পুলিশের লাঠি, সূক্ষ্ম ও সামগ্রিক উপায় আইনি ও প্রাতিষ্ঠানিক পুনর্গঠন। সেটাই আড়ালে-আবডালে অনেক দূর এগিয়েছে।

    তিন শ্রদ্ধেয় অধ্যাপক ক'দিন আগে এই পাতায় আবেদন জানিয়েছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয় যেন না হয়ে ওঠে রাষ্ট্রশক্তির করদ রাজ্য। সেটা করতে পারলে অনেক আপদ বাঁচে ঠিকই, কিন্তু আমাদের উত্তরাধিকারের অবমাননা ও উত্তরাধিকারীদের বঞ্চনা করা হয়।

    যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগে এমেরিটাস অধ্যাপক


    বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েব সাইট হ্যাক! ক্ষমা চাননি উপাচার্য, জানালেন রেজিস্ট্রার বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েব সাইট হ্যাক! ক্ষমা চাননি উপাচার্য, জানালেন রেজিস্ট্রার

    ১১টা ৫৪: উপাচার্যের ক্ষমা চাওয়া বিতর্কের পর বল্ক করে দেওয়া হয় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েব সাইটের VC's Desk পেজ। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের তরফে এই সিদ্ধান্ত। ওই পেজেই আজ সকালে ক্ষমা চেয়ে উপাচার্য মন্তব্য করেছিলেন, "I am sorry'.

    রাজ্য সরকারের বেশিরভাগ দফতরের কাজে খুশি মমতারাজ্য সরকারের বেশিরভাগ দফতরের কাজে খুশি মমতা

    রাজ্য সরকারের বেশিরভাগ দফতরের কাজে খুশি মুখ্যমন্ত্রী  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ টাউন হলে বিভাগীয় মন্ত্রী ও সচিবদের নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক করেন তিনি।  হাজির ছিলেন  জেলাশাসক এবং পুলিস সুপাররা।  চলতি বছরে এ পর্যম্ত অর্থবরাদ্দের নিরিখে বিভিন্ন দফতরের কাজের মূল্যায়ন করেন মুখ্যমন্ত্রী।

    সংখ্যালঘু ছাত্রছাত্রীদের আন্দোলনের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হন সংখ্যাগুরু পড়ুয়ারা, যাদবপুর প্রসঙ্গে বিতর্কিত মন্তব্য বিচারপতিরসংখ্যালঘু ছাত্রছাত্রীদের আন্দোলনের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হন সংখ্যাগুরু পড়ুয়ারা, যাদবপুর প্রসঙ্গে বিতর্কিত মন্তব্য বিচারপতির

    শিক্ষাক্ষেত্রে আন্দোলন করে কুড়ি শতাংশ ছাত্রছাত্রী। কিন্তু তার জন্য আশি শতাংশ ছাত্রছাত্রীর ক্ষতি হয়। যাদবপুরকাণ্ড নিয়ে জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে আজ এই মন্তব্য করেছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি মঞ্জুলা চেল্লুর। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে অচলাবস্থা কাটাতে রাজ্য সরকার কী ব্যবস্থা নিয়েছে, তা জানতে চেয়েছেন তিনি।  বুধবারের মধ্যে এবিষয়ে হলফনামা দিতে হবে রাজ্যকে।

    সারদা কাণ্ডে রবীন দেবকে জিজ্ঞাসাবাদ করল সিবিআইসারদা কাণ্ডে রবীন দেবকে জিজ্ঞাসাবাদ করল সিবিআই

    সারদাকাণ্ডে আজ সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হন  সিপিআইএম নেতা রবীন দেব। বৃহস্পতিবারই তাঁকে ডেকে পাঠায় সিবিআই।  আর আজ  দলের নির্দেশেই সূচি কাটছাঁট করে  সিবিআই দফতরে যান এই সিপিআইএম নেতা। প্রায় তিন ঘণ্টা তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সিবিআই সূত্রে খবর, প্রয়োজনে ফের তাঁকে ডাকা হতে পারে।

    নগরপালের 'সশস্ত্র বহিরাগত' তত্ত্ব উড়িয়ে দিয়ে যাদবপুরের পাশে দাঁড়ানোর শপথ নিল প্রেসিডেন্সি  নগরপালের 'সশস্ত্র বহিরাগত' তত্ত্ব উড়িয়ে দিয়ে যাদবপুরের পাশে দাঁড়ানোর শপথ নিল প্রেসিডেন্সি

    আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীদের পাশে দাঁড়াতেই সেদিন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছিলেন প্রেসিডেন্সির ছাত্ররা। তবে বহিরাগত হিসেবে কোন গণ্ডগোল করেননি তাঁরা। বহিরাগত বিতর্কে এমনই দাবি যাদবপুরের ছাত্রদের। এমনকি তাঁদের হাতে কোন অস্ত্র ছিল না বলেও দাবি ছাত্রদের।

    যাদবপুর কাণ্ডের প্রতিবাদে প্রেসিডেন্সির মিছিল আটকে দিল পুলিসযাদবপুর কাণ্ডের প্রতিবাদে প্রেসিডেন্সির মিছিল আটকে দিল পুলিস

    যাদবপুরে পুলিসি সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের বিশাল মিছিল বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিটে আটকে দিল পুলিস। প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা জানিয়েছেন ঘটনার দিন তাদের কয়েকজন যাদবপুরে উপস্থিত ছিলেন। তাদের বন্ধুদের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সমর্থন জানাতেই সেখানে ছিলেন তারা। উপাচার্য ও পুলিস কমিশনার যে সশস্ত্র বহিরাগতদের উপস্থিতির দাবি করেছেন তা সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন তারা। তারা দাবি করেছেন সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ অবস্থানে তাদের উপস্থিতি ছিল।

    উত্তাল যাদবপুর: শিক্ষামন্ত্রীর কাছে উপাচার্যের ইস্তফা দাবি জুটার, উপাচার্যের নিন্দায় সরব নির্যাতিতা ছাত্রীর বাবা উত্তাল যাদবপুর: শিক্ষামন্ত্রীর কাছে উপাচার্যের ইস্তফা দাবি জুটার, উপাচার্যের নিন্দায় সরব নির্যাতিতা ছাত্রীর বাবা

    শিক্ষামন্ত্রীর কাছে উপাচার্য অভিজিত চক্রবর্তীর ইস্তফার দাবি জানাতে গেলেন জুটার সদস্যরা। আজ বিধানসভায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন তাঁরা। শিক্ষামন্ত্রীর কাছে যাদবপুরের ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত দাবি করেছে জুটা।  

    উত্তাল যাদবপুর: অবশেষ সহ উপাচার্য ও রেজিস্টারকে দফতরে ঢুকতে দিলেন আন্দোলনকারীরা উত্তাল যাদবপুর: অবশেষ সহ উপাচার্য ও রেজিস্টারকে দফতরে ঢুকতে দিলেন আন্দোলনকারীরা

    দিনভরের টালবাহানার অবসান। অবশেষে যাদবপুরের সহ উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারকে দফতরে ঢুকতে দিলেন আন্দোলনকারী ছাত্রছাত্রীরা। মঙ্গলবার রাতের ঘেরাওয়ে অংশ নেওয়া ছাত্রছাত্রীদের বিরুদ্ধে যে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে তা তোলার বিষয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দিতেই আজকের অবরোধ তুলে নেন ছাত্রছাত্রীরা।

    উত্তাল যাদবপুর: অবশেষে সহউপচার্য ও রেজিস্টারকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে দিতে সম্মত হল পড়ুয়ারা  উত্তাল যাদবপুর: অবশেষে সহউপচার্য ও রেজিস্টারকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে দিতে সম্মত হল পড়ুয়ারা

    বহু টালবাহানার পর সহউপাচার্য ও রেজিস্টারকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকটে দিল ছাত্র-ছাত্রীরা।

    Students' Federation of India - West Bengal's photo.

    Students' Federation of India - West Bengal's photo.

    Students' Federation of India - West Bengal's photo.

    Students' Federation of India - West Bengal's photo.

    Students' Federation of India - West Bengal added 4 new photos.

    রাজাবাজারে ভাঙলে তুমি, মারলে তুমি যাদবপুরে...

    বুকচিতিয়ে এস.এফ.আই ব্যারাকপুরের রাস্তাজুড়ে...

    ‪#‎bukchitiesfi‬

    Tintin Banerjee shared Students' Federation of India - West Bengal's status update.

    2 hrs

    Students' Federation of India - West Bengal's photo.

    Students' Federation of India - West Bengal's photo.

    Students' Federation of India - West Bengal's photo.

    Students' Federation of India - West Bengal's photo.

    Students' Federation of India - West Bengal added 13 new photos.

    মারবে মারো লড়াই তবু চলবে,

    রক্ত ঝরুক পাল্টা আগুন জ্বলবে।

    ‪#‎bukchitiesfi‬




    ध्रूवीकरण की राजनीति से छात्र आंदोलन के बेजां इस्तेमाल की कोशिशें तेज,फिर छात्रों युवाओं को सत्ता संघर्ष की बलि बनाने की तैयारी

    Next: বন্ধু,থেমো না,তোমার গানের ডোরে বাঁধা আমার প্রাণ বন্ধু, মিছিলের অভিমুখ যথাযথ রাখো বন্ধু,মাঝধারে যেন না ডোবে নাও বন্ধুরা, ইতিপূর্বে এই দেশে যাবতীয় ছাত্র আন্দোলনের অভিমুখ কিন্তু শেষ পর্যন্ত ক্ষমতার রাজনীতি হয়ে গেছে,জেপির জিপের বোনটে দাঁড়ে ছড়ছড় প্রস্রাবের পরেও কিন্তু ক্ষমতার রাজনীতিতে তরতরিয়ে সিঁড়ি ভাঙা অসম্ভব নয় রাজনীতির ধান্দায় ছাত্র যুবদের রাজনৈতিক মেরুকরণের ষড়যন্ত্রে বলি হবেন না প্লীজ পলাশ বিশ্বাস
    $
    0
    0

    ध्रूवीकरण की राजनीति से छात्र आंदोलन के बेजां इस्तेमाल की कोशिशें तेज,फिर छात्रों युवाओं को सत्ता संघर्ष की बलि बनाने की तैयारी

    एक्सकैलिबर स्टीवेंस विश्वास

    जादवपुर विश्वविद्यालय परिसर में निर्मम पुलिस आपरेशन के सारे फुटेज सार्वजनिक हैं।परिसर में वर्दीधारी और सादा पोशाक की पुलिसिया जुल्म किसी भी नागरिक के आंखें खोलने के लिए काफी है और जनमास में इसका पुरजोर असर भी हो रहा है।


    कोलकाता में सत्तरदशक के बाद नंदन से मेयो रोड तक जो अभूतपूर्व जुलूस निकला उसके भी चित्र और वीडियो फुटेज सार्वजनिक हैं और दिल्ली से लेकर बंगलूर तक देशभर में नये सिरे से छात्र युवाशक्ति के सड़कों पर उतरने के आसार दीख रहे हैं।


    जैसे भारी बरसात में छात्र बारिश में भीगते हुए दोपहर तीन बजे से देर शाम तक गीत गाते हुए शांतिपूर्ण तरीके से सड़क की ताकत दिखायी है,उससे मुक्तबाजारी राजनीति के सक्रिय होकर इस आंदोलन को अराजनीतिक से राजनीतिक बना देने की खतरनाक गतिविधियां तेज हो गयी हैं।


    रजनीतिक तत्व चात्रों के बीच घुसपैठ  करके नालेज इकोनामी और मुक्तबाजार जमाने के इस पहले आंदोलन को सत्ता संघर्ष का हथियार बनाने की कोशिश में हैं।


    बंगल की मुख्यमंत्री कटघरे में हैं और मौका होने के बावजूद वे अपना पुराना करिश्मा दोहरा नहीं पा रही हैं।प्रशासनिक पहल करके वे फिर महानायिका बन सकती थी अगर वे छात्रों से संवाद करने की पहल कर पातीं या जुलुस के अंत में छात्रों से मुखातिब हो पातीं।


    उनके बदले बंगाल के भाजपाई राज्यपाल ने राजभवन से मिलकर आंदोलनस्थल पर छात्रों से बात की और प्रशासनिक हस्तक्षेप करने का वायदा करवाकर छात्रों का अनिश्चित कालीन धरना खतम करवा दिया।ममता बनर्जी वही हार गयीं।


    लेकिन बिना हार माने ममता बनर्जी सुबह होते ही तृणमूल समर्थक छात्रों को सड़क पर उतारने जा रही है और यह राजनीतिक ध्रूवीकरण का खेल हैं जो काफी हिंसक भी हो सकता है।


    छात्रों को इस दुश्चक्र से बचने की कोशिश करनी होगी और ख्याल रखना होगा कि शारदा चिटफंड घोटाले में पूर्व वित्तमंत्री चिदंबरम की पत्नी से पूछताछ और वाम नेताओं को सीबीआई तलब से एक नया गाटअप गेम इस मामले को रफा दफा करने का शुरु हो गया है।


    राजनीतिक तत्व छात्र आंदोलन की आड़ में अपने गिरेबां बचाने की जुगत न निकालें ,इसका ख्याल रखना बेहद जरुरी है।


    अतीत में भी बार बार जब छात्रों और युवाओं ने व्यवस्था के खिलाफ भारी संख्या में देशभर में सड़कों पर आवाज बुलंद की है,शातिर खुदगर्ज राजनीति ने उस आंदोलन की दिशा बदलकर छात्र युवशक्ति का बेजां इस्तेमाल किया है और राजनीतिक ध्रूवीकरण इस खेल का अहम हिस्सा है।


    বন্ধু,থেমো না,তোমার গানের ডোরে বাঁধা আমার প্রাণ বন্ধু, মিছিলের অভিমুখ যথাযথ রাখো বন্ধু,মাঝধারে যেন না ডোবে নাও বন্ধুরা, ইতিপূর্বে এই দেশে যাবতীয় ছাত্র আন্দোলনের অভিমুখ কিন্তু শেষ পর্যন্ত ক্ষমতার রাজনীতি হয়ে গেছে,জেপির জিপের বোনটে দাঁড়ে ছড়ছড় প্রস্রাবের পরেও কিন্তু ক্ষমতার রাজনীতিতে তরতরিয়ে সিঁড়ি ভাঙা অসম্ভব নয় রাজনীতির ধান্দায় ছাত্র যুবদের রাজনৈতিক মেরুকরণের ষড়যন্ত্রে বলি হবেন না প্লীজ পলাশ বিশ্বাস

    $
    0
    0

    বন্ধু,থেমো না,তোমার গানের ডোরে বাঁধা আমার প্রাণ

    বন্ধু, মিছিলের অভিমুখ যথাযথ রাখো

    বন্ধু,মাঝধারে যেন না ডোবে নাও


    বন্ধুরা, ইতিপূর্বে এই দেশে যাবতীয় ছাত্র আন্দোলনের অভিমুখ কিন্তু শেষ পর্যন্ত ক্ষমতার  রাজনীতি হয়ে গেছে,জেপির জিপের বোনটে দাঁড়ে ছড়ছড় প্রস্রাবের পরেও কিন্তু ক্ষমতার রাজনীতিতে তরতরিয়ে  সিঁড়ি ভাঙা অসম্ভব নয়


    রাজনীতির ধান্দায় ছাত্র যুবদের রাজনৈতিক মেরুকরণের ষড়যন্ত্রে বলি হবেন না প্লীজ



    পলাশ বিশ্বাস

    প্রসঙ্গঃযাদবপুরে ছাত্রমিছিলের পাল্টা মিছিল এবার তৃণমূলের। সোমবার রাজভবন অভিযান করবে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের অভিযোগ, যাদবপুরে নৈরাজ্য চলছে। সেই বক্তব্যই রাজ্যপালের কাছে জানাবে তারা।

    চোখ যাদের নেই,তাঁদের অন্ধ বলা নিষেধ



    বন্ধুরা, ইতিপূর্বে এই দেশে যাবতীয় ছাত্র আন্দোলনের অভিমুখ কিন্তু শেষ পর্যন্ত ক্ষমতার  রাজনীতি হয়ে গেছে,জেপির জিপের বোনটে দাঁড়িয়ে ছড়ছড় প্রস্রাবের পরেও কিন্তু ক্ষমতার রাজনীতিতে তরতরিয়ে  সিঁড়ি ভাঙা অসম্ভব নয়জেপির সম্পূর্ণ বিপ্লব আজ মুক্তবাজারি ভারত বর্ষ,মার্কিন উপনিবেশ মগের মুল্লুক হিন্দু রাষ্ট্র




    রাজনীতির ধান্দায় ছাত্র যুবদের রাজনৈতিক মেরুকরণের ষড়যন্ত্রে বলি হবেন না প্লীজ



    মানবতার তাকীদে সে কথা বলতে নেই,অন্ধ বলা তাই নিষিদ্ধ



    চোখ যাদের আছে,তারা যদি দেখতে না পান.চোখের ডাক্তার আছে হর মোহল্লায়,নাম লিখিয়ে ভিজিট দিয়ে,এক্ষুনি চোখ পরীক্ষা করিয়ে নিন



    চোখ যাদের নেই,তাঁরা কিন্তু না দেখেও জন্মজাত সহজাত অভ্যাসে বুঝতে পারেন সবকিছুই,গন্ধে গন্ধে সতর্ক হয়ে বিপদ এড়াতে পারেন


    কিন্তু যাদের চোখ আছে,দৃষ্টিভ্রমে তাঁদের বড়ই বিপদ,পায়ে পায়ে বিপদ আপদ কোন দিশা থেকে আইস্যা মাইরা যাইব,বুঝব না কোনো মতে,সাধু সাবধান



    যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয পাড়ায পাড়ায় হঠাত গজিয়ে ওঠা নলেজ ইকোনোমির মশরূম নয় আদৌ


    বিশ্বের অন্যতম ঐতিহ্যশালী বিশ্ববিদ্যালয যাদবপুর


    ভারতবর্ষে কিবা কহি,বিশ্বের কোনো প্রান্তে ভিসির আমন্ত্রণে বিশ্ববিদ্যালয় পরিসরে এমন তান্ডব ঘটেছে কিনা ,জানা থাকলে,জানিয়ে আলোকিত করবেন


    প্রাণসঙ্কটে পুলিশ ডাকিয়ে নিজের ছেলেমেয়দের লাটি পেটা ও শ্লীলতাহানির এই মহোত্সব গিনিজ বুক অফ রেকর্ডে ঠাঁই পেলেও পেতে পারে,আশ্চার্যি মশাই চেষ্টা কইরেন





    বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যে গণসংহার অনুষ্ঠিত হয় তার পিছনে উপাচার্য়ের আমন্ত্রণের প্রমাণ পেলে যাদবপুরের ভিসিকেও বেকসুর খালাস দেওয়ার বন্দোবস্ত হতে পারে


    ইহা লইয়া অব্শ্য রিসার্চ হইতেই পারে

    রিসার্চ হইতেই পারে কি সত্যিই কি গণসংহার ঘটেছিল,সত্যিই কি অধ্যপকদের ছাত্র ছাত্রীদের নির্বিচারে হত্যা করা হয়েছিল


    রিসার্চ হইতেই পারে কি যুদ্ধ অপরাধীরা সত্যি সত্যি অপরাধী কিনা বা জাহানারা ইমাম যা কিছু লিখেছেন,সেই রক্ত ঝরা দিনগুলিতে রক্তপাত হয়েছিল কিনা


    দালে ত হামেসাই কালা কুছ কুছ হোতা হ্যায়



    রিসার্চ যে হইতেছে না ,তাহাও বলা মুশ্কিল


    এপারে এবং অবশ্যই জামায়েত হিফাজত যুদ্ধঅপরাধের কলন্ক মুছতে রক্তনদী বইয়ে দিচ্ছেন


    এপারে বাংলাদিশী হিফাজত জমায়েতের সঙ্গী যারা,তারাও উপাচার্যের ক্ষমাহীন অপরাধ ঔর ক্ষমতার নিরন্কুশ হারমাদ মস্তানিকে ঝুঠা বলতে রক্তনদী বইয়ে দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে,সকাল হতে না হতে বঙ্গবাসিরা হাড়ে হাড়ে টের পাইবন



    অথচ যাদবপুরের তান্ডবে চক্ষু কর্ণে বিবাদের অবকাশ নেই



    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনা খবরে প্রকাশিত হয়েছিল,তার যথাযথ ভিডিও ফুটেজ নেই



    যাদবপুরে অন্ধকারের শাসনে যারা বাত্তি গুল করে নন্দীগ্রাম রবীন্দ্রসরোবর এক করে দিয়েছেন ,তাঁদের আধুনিক প্রযুক্তি সম্পর্কে সম্যক ধারণা আছে বলে মনে হয় না


    আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির কল্যাণে হাতে হাতে মোবাইল ছাত্রদের ঔ তান্ডবের সাক্ষ্য জ্যান্ত রাখতে সাহায্য করেছিল,বিশ্ববিদ্যালয় খতরনাক অস্ত্র শস্ত্র উদ্ধার করতে যে বাহিনীকে মরুঝড় যুক্তিতে  পাঠানো হয়েছিল,তাঁরা বুঝতেও পারলেন না সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরা ভেঙে দিলেই সব তথ্য প্রমাণ লোপাট করা যায় না এবং যা কিছু বলে দিলেই বোকা বানাওইং অসম্ভব



    বহিরাগতদের আজও খোঁজ নেই


    বহিরাগতদের খুঁজে দেখা হচ্ছে এবং শোনা যায় বহিরাগতরা নাকি মিছিল করেছিল,ছাত্রেরা নয়,কিন্তু তাঁদের তক্ষুনি গেরফ্তার করলে পালটা আন্দোলন বা অযথা রক্তবপাত সন্ত্রাস আয়োজনের হিফাজতি জামায়েতু ইন্তেজাম করার জরুরতই পড়ে না



    এখন শুনতে পাই,শুধু বহিরাগত নয় গোটা আন্দোলনই একযোগে সিপিএম বিজেপি মাখামাখি


    হতেও পারে বশিরহাটের মতই ক্ষমতার রাজনীতিতে সে ত অসম্ভব নয় এবং বামপন্থী দক্ষিনপন্থিরা দিদির মতই জোট বাঁধতে এবং জোট ভাঙতে সমান পারদর্শী,বলে রাজ্যবাসিরা বেশই জানেন



    এখন শুনতে পাই,যাদপুর বিস্ববিদ্যালয়ই নয় শুধু সারা বাংলায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র ছাত্রীরা নয়,রাজনৈতিক কর্মিদেরএ বসবাস, এবং তাঁদেরই হাল্লাবোলকে আন্দোলন বলে চালানো হচ্ছে


    মানে আমাদের ছেলেমেয়েরা আর পড়ুয়া থাকছে না,তাই যেমন সর্বত্র রাজনৈতিক সন্ত্রাস আম জনতার ভোগ দুর্ভোগ, তেমনিই হরেক বিশ্ববিদ্যালয়ে, হরেক শিক্ষা কেন্দ্রে সলওয়া জুড়ুমের ঢালাও বন্দোবস্ত করতেই হয়,এবং সত্যারখাতির উপাচার্যকে দায়ী করা চলে না


    নাগরিক আশু কর্তব্য,বিশেষ করে যারা সুশীল সমাজের স্টার মেগাস্টার আইকন, ইত্যাদি তাঁদের ঈষত চটিচাটায় চোখ টাটানো বেহদ গুনাহ,এমনি ফতোয়া জারি হলে হতেই পারে


    যারা যারা ফেসবুকে যাতা পোস্ট করছেন তাঁরা অচিরে পার পাবেন না

    হাতি কাদায় পড়ে,তা বলে কি পিপিলিকাও লাথি ঝাড়বে,বিভীষণ অন্যায়



    সবকিছু না হয় হজম করা যায়,যাদবপুর কান্ডের সব ছবি,সব জ্যান্ত প্রমাণ মিথ্যা,মিছিলের সব ছবি ভিডিও প্রযুক্তির কারসাজি,তর্কের খাতিরে রিসার্চের প্রয়োজনে,সিবিআই তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত না হয় মেনেই নিলাম, কিন্তু আমাদের বাঙালি অবাঙালি ফার্স্ট ইয়ারের ছাত্র ছাত্রীরা টাকা নিয়ে গাঁজা চরস মদ হেরোইন গিলে বৃষ্টিতে পথে নামতে পারে ,এই অতিশয আশ্চর্য তথ্য প্রমাণের কুত্সা কুচেষ্টা মানতে পারছি না



    বন্ধুরা,রাজনীতি হইতে সাবধান


    সত্তর দশকে লুম্পেন ঘুসপৈঠ বজরিয়ে বাড়ি বাড়ি ছাত্র যুবক যুবতীদর গণহত্যার ইতিহাস কিন্তু আমাদেরই


    আমরা সাদা আমি কালো আমি পড়তে পেয়েছি

    আবার যখন এসপি ছিলাম পড়তে পারছি

    ভবিষ্যতে এমনি গোছের কালজয়ী লেখা আমি উপাচার্য ছিলাম,আমি ডিসি হনু,আমি শিক্ষামন্ত্রী ছিলাম ,আরো কত কচু ঈলিশ উত্সবে খেয়ে যেতে হবে জানা নেই,ইন্তেজার করেন


    সময়মত স্বাদ বিস্বাদ চাকতেই পারবেন,কিন্তু পরিবর্তন,উলটে পালটে দেওয়ার রাজনীতিতে শিক্ষা যদি এখনো না হয়,যথেষ্ট কেলো ত হবেই,ক্যালানিও কম হব না,যাদবপুর তো মহাশয় ঝলত দিখলা যা



    বন্ধুরা, ইতিপূর্বে এই দেশে যাবতীয় ছাত্র আন্দোলনের অভিমুখ কিন্তু শেষ পর্যন্ত ক্ষমতার  রাজনীতি হয়ে গেছে,জেপির জিপের বোনটে দাঁড়ে ছড়ছড় প্রস্রাবের পরেও কিন্তু ক্ষমতার রাজনীতিতে তরতরিয়ে  সিঁড়ি ভাঙা অসম্ভব নয়



    রাজনীতির ধান্দায় ছাত্র যুবদের রাজনৈতিক মেরুকরণের ষড়যন্ত্রে বলি হবেন না প্লীজ



    বন্ধুরা,থেমো না, তোমার গানের ডোরে বাঁধা আমাদের প্রাণ


    যাদবপুরকাণ্ডের প্রতিবাদে ছাত্রছাত্রীদের পর এবার পথে অধ্যাপকরা

    রাজর্ষি দত্তগুপ্ত ও নিমাই পাণ্ডা, এবিপি আনন্দ

    Sunday, 21 September 2014 05:54 PM

    submit to reddit

    যাদবপুরকাণ্ডে পড়ুয়াদের পাশে শিক্ষকরা। রাজপথে প্রতিবাদ মিছিল।

    ছাত্রছাত্রীদের পরে এবার যাদবপুরকাণ্ডের প্রতিবাদে পথে নামলেন অধ্যাপকরাও। ওয়েবকুটার ডাকে ঢাকুরিয়া থেকে এইট বি বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত মিছিলে সামিল হলেন ভিনরাজ্যের অধ্যাপকরাও৷

    মধ্যরাতে আলো নিভিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশি তাণ্ডবের যাবতীয় দায় নিতে হবে উপাচার্যকে, ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করতে হবে এবং পঠনপাঠনের স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে, এই তিন দফা দাবিতে রবিবার পথে নামলেন বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকরা।

    রাজ্যের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সংগঠন- ওয়েবকুটার ডাকে যাদবপুরকাণ্ডের প্রতিবাদ মিছিলে যোগ দিতে ঢাকুরিয়ায় দক্ষিণাপনের সামনে ভিড় জমান পশ্চিমবঙ্গ-সহ দেশের বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকরা।

    দক্ষিণাপণ থেকে মিছিল শুরু হয়। প্রতিবাদ মিছিলে পা মেলান যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালের প্রাক্তন উপাচার্য অশোকনাথ বসুও।

    মিছিল শেষে এইট-বি বাসস্ট্যান্ডের সামনে প্রতিবাদ সভা করেন অধ্যাপকরা।


    সুর চড়াচ্ছে বিজেপি, যাদবপুরে ছাত্রী নিগ্রহকাণ্ডে এবার জাতীয় মহিলা কমিশনে বিজেপি

    অর্ণব মুখোপাধ্যায়, এবিপি আনন্দ

    Sunday, 21 September 2014 05:30 PM

    submit to reddit

    ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ।

    সুবিচার চেয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে অবস্থান-বিক্ষোভ পড়ুয়াদের। শান্তিপূর্ণ সেই বিক্ষোভের উপরই নেমে আসে পুলিশি আক্রমণ। এবার ছাত্রী নিগ্রহের সেই অভিযোগ নিয়ে জাতীয় মহিলা কমিশনের কাছে যাচ্ছে বিজেপি। রবিবার কলকাতায় একটি দলীয় কনভেনশনে যোগ দিয়ে, এমনই জানালেন বিজেপি সাংসদ মীনাক্ষি লেখি।

    যাদবপুরে ছাত্রদের উপর পুলিশি বর্বরতার পরই, উপাচার্যের অপসারণের দাবি উঠেছে সমাজের সব স্তর থেকে। এদিন সেই দাবি শোনা গিয়েছে বিজেপির রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহের গলাতেও।

    যাদবপুরকাণ্ডের প্রতিবাদে শনিবার শহরের রাজপথে নামে প্রতিবাদী জনস্রোত। তার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই এবার আক্রমণে বিজেপি।



    শঙ্কুদেবকে নিয়ে যাদবপুরের নির্যাতিতার বাড়িতে পার্থ, শিক্ষামন্ত্রী তাঁকেই সঙ্গ করায় প্রশ্ন উঠছে শিক্ষকমহলে

    ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী, কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, এবিপি আনন্দ

    Sunday, 21 September 2014 06:25 PM

    submit to reddit

    চাপে পড়ে শেষমেশ যাদবপুরকাণ্ডের নিগৃহীতার বাড়িতে শিক্ষামন্ত্রী। দোসর অবশ্য তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি শঙ্কুদেব পণ্ডা। কাল যেখানে শাসক দলের ছাত্র সংগঠনের ডাকে মিছিল, তার আগের দিন নিগৃহীতার বাড়িতে কেন সংগঠনের সভাপতি শঙ্কুদেব? প্রশ্ন শিক্ষামহলের একাংশের। ২৮ অগাস্ট, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের মধ্যেই নির্যাতনের শিকার হন কলাবিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। বয়েজ হস্টেলের একটি ঘরে নিয়ে গিয়ে কয়েকজন ছাত্র তাঁকে মারধর ও শ্লীলতাহানি করে বলে অভিযোগ। তারপর এতদিন কেটে গেলেও শিক্ষামন্ত্রী কিন্তু অভিযোগকারী ছাত্রীর বাড়িতে একদিনের জন্যও যাননি। হঠাৎ‍ তিনি রবিবার বিকেলে সেখানে হাজির হল, তবে একা নন, সঙ্গে ছিল তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি। মিনিট কুড়ি তাঁরা নিগৃহীতার বাড়িতে ছিলেন। কথা বলেন ছাত্রী ও তাঁর বাড়ির লোকজনের সঙ্গে। কিন্তু কী কথা হল, তা নিয়ে সাংবাদিকদের সামনে মুখ খোলেননি শিক্ষামন্ত্রী।

    সাংবাদিকদের প্রশ্নের সামনে শঙ্কুদেবও মুখ খোলেননি। অভিযোগকারিণীর বাবা জানিয়েছেন, দোষীরা শাস্তি পাবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।

    কিন্তু শ্লীলতাহানিকাণ্ড তো হয়েছিল ২৮ অগাস্ট। তা হলে, হঠাৎ‍, এতদিন পরে কেন অভিযোগকারিণীর বাড়ি গেলেন শিক্ষামন্ত্রী? আর গেলেনই যখন, তখন সঙ্গে কেন নিলেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি শঙ্কুদেব পণ্ডাকে? শিক্ষামহলের একাংশ এই প্রশ্ন তুলছে। তাদের দাবি, এর নেপথ্যে রয়েছে গত কয়েকদিনের ঘটনাক্রম।

    শ্লীলতাহানিকাণ্ডে গঠিত তদন্ত কমিটির নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের ঘরের বাইরে মঙ্গলবার বিক্ষোভ অবস্থানে বসেছিলেন পড়ুয়ারা। তাঁদের আন্দোলন রুখতে সে দিন রাতেই ক্যাম্পাসে ঢুকে তাণ্ডব চালায় পুলিশ। সেই ঘটনার প্রতিবাদে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। শনিবার, শহরের রাজপথে দেখা গিয়েছে প্রতিবাদের ঢেউ। দিল্লি, বেঙ্গালুরুও পাশে দাঁড়িয়েছে যাদবপুরের। এতেই চাপে পড়ে সোমবার পাল্টা মিছিলের কথা ঘোষণা করেছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। তার আগে, এ দিন নিগৃহীতার বাড়িতে গিয়ে কি রাজনৈতিক মোকাবিলার চেষ্টা করলেন শঙ্কুদেব পাণ্ডা? না কি ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টা? প্রশ্ন শিক্ষামহলের একাংশের।  

    যাদবপুরকাণ্ড নিয়ে দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় বয়ে গেলেও শিক্ষামন্ত্রী কিন্তু ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে একবারও কথা বলেননি। রাজ্যপাল অবশ্য রাজভবনে ডেকে পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলেছেন, এতে কি আরও চাপে পড়ে গিয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়? মিছিলে জনজোয়ার, রাজ্যপালের সক্রিয়তা, এ সব দেখেই টনক নড়েছে শিক্ষামন্ত্রীর? এই প্রশ্নও তুলছেন অনেকে।


    মুক্তবাজার এই উপমহাদেশে নারী শিকার শিশু শিকারের ধর্ষণ ষাঁড় সংস্কৃতিই শাসনের চাবিকাঠি, মুনাফার আরবপতি মালামাল লটারি। পলাশ বিশ্বাস

    Previous: বন্ধু,থেমো না,তোমার গানের ডোরে বাঁধা আমার প্রাণ বন্ধু, মিছিলের অভিমুখ যথাযথ রাখো বন্ধু,মাঝধারে যেন না ডোবে নাও বন্ধুরা, ইতিপূর্বে এই দেশে যাবতীয় ছাত্র আন্দোলনের অভিমুখ কিন্তু শেষ পর্যন্ত ক্ষমতার রাজনীতি হয়ে গেছে,জেপির জিপের বোনটে দাঁড়ে ছড়ছড় প্রস্রাবের পরেও কিন্তু ক্ষমতার রাজনীতিতে তরতরিয়ে সিঁড়ি ভাঙা অসম্ভব নয় রাজনীতির ধান্দায় ছাত্র যুবদের রাজনৈতিক মেরুকরণের ষড়যন্ত্রে বলি হবেন না প্লীজ পলাশ বিশ্বাস
    $
    0
    0

    মুক্তবাজার এই উপমহাদেশে নারী শিকার শিশু শিকারের ধর্ষণ ষাঁড় সংস্কৃতিই শাসনের চাবিকাঠি, মুনাফার আরবপতি মালামাল লটারি।

    পলাশ বিশ্বাস

    মুক্তবাজার এই উপমহাদেশে নারী শিকার শিশু শিকারের ধর্ষণ ষাঁড় সংস্কৃতিই শাসনের চাবিকাঠি,মুনাফার আরবপতি মালামাল লটারি।

    নারী ও শিশু পাচার হচ্ছে অবাধে।প্রাচীনকালে জীবিত মানুষকে শৃঙ্খলিত দাসে পরিণত করা হতো। দাসত্বের সেই শৃঙ্খল আমাদের দেশের নারী ও শিশুদের স্কন্ধে আমরা চাপিয়ে দিয়েছি নিজেরাই। যার ফলে মুক্তির আশায় তারা বন্দি হয়ে পড়ছে দাসত্বে। এই উপমহাদেশ থেকে নারী ও শিশু পাচারের সঙ্গে জড়িত সিন্ডিকেট প্রচণ্ড প্রভাবশালী। এরা এতই প্রভাবশালী যে, বিএসএফ,র‌্যাব বা পুলিশ এদের টিকিও স্পর্শ করার ক্ষমতা রাখে না।


    রুজি রোজগার হীন বাঙালিক ভূগোলে রাজনৈতিক সীমান্ত ডিঙিয়ে নারী ও শিশু পাচার হচ্ছে অবাধে।দেহ ব্যবসা,যৌণকর্ম বলা যায় সরাসরি এবং বন্ধুয়া শিশুশ্রমে এপার বাংলা ওপার বাংলার রাজনৈতিক সংরক্ষণে আন্তরজাতিক সীমা এখন কার্যতঃ দেহ মন্ডী,জ্যান্ত মাংসের প্রবাহমান দরিয়া।বিগত কয়েক দশকে সমগ্র বিশ্বজুড়ে নারী ও শিশু পাচারের মাত্রা আশংকাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ নারী ও শিশু পাচারের একটি উত্স এবং ট্রানজিট রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত৷ প্রতিদিন এদেশ থেকে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নারী ও শিশু বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত দিয়ে অথবা বিমান যোগে পাচার হয়ে যাচ্ছে৷ পাচারকৃত নারী ও শিশুদের নিয়োগ করা হচ্ছে পতিতালয়ে বা অন্যান্য ঝুঁকিপূর্ণ এবং শ্রমঘন অমানবিক কর্মক্ষেত্রে,যা আধৌ পৃথীবীর কোনো দেশে শ্রম আইন,নাগরিক ও মানবাধিকারের আওতায় পড়ে না।ভারত বা বাংলাদেশে ত প্রশ্নই উঠছে না।


    সীমান্ত এলাকাগুলিতে সীমান্তরক্ষীদের নজরদারিতে,রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় মানব তস্করি এখন কার্যতঃ কুটির শিল্প এবং এই ব্যবসায় যুক্ত যারা সেই গরুচোরের দল ধরা ছোঁযার বাইরে বসবাসকারি রাঘব বোয়াল।


    না ভারতবর্ষের হিন্দু বাদী সরকার না বাংলাদেশের কার্যতঃ ইসলামি শাসণতন্ত্রে পণ্য হয়ে যাওয়া নারী ও শিশুর প্রতি কোনো দরদের সবুত পাওয়া যাচ্ছে নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে,পুরুষতান্ত্রিক আধিপাত্যের ফাঁকা বুলির রঙিন চাঁদমারিতে।




    সংঘবদ্ধ পাচার চক্রের খপ্পরে পড়ে প্রতারিত হয়ে প্রতিদিন ভারতের বোম্বেসহ মধ্যপ্রাচ্যে পাচার হচ্ছে হাজার হাজার নারী, শিশু ও বালক। মানব পাচারের নিরাপদ রুটে পরিণত হয়েছে স্থলবন্দর বেনাপোল। ২০১৪ সালে সাড়ে ৮ মাসে বেনাপোল সীমান্তে ভারতে পাচারকালে ৮৭৮ জন নারী, শিশু ও পুরুষকে উদ্ধার করেছে বিজিবি।



    উল্লেখ্য, এই উপদেশের যে সব নারী শ্রমিক শ্রম বিক্রি করে অর্থ উপার্জনের জন্য দেশের মাটি ছেড়ে বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছেন তাদের উপর যে অমানবিক নির্যাতন চলছে তার খবর ভারত বাংলাদেশ সরকার রাখছে না।অসৎ প্রশাসনের সদস্যদের যোগসাজশে সময় ও সুযোগ বুঝে জল ও স্থলপথে সীমান্তের চোরাগলি দিয়ে পাচার করা হচ্ছে মানব নামের নারী-শিশু। বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়েও বৈধ ও জাল পাসপোর্টে পাচারকরা হচ্ছে নারী, পুরুষ ও শিশু। সংঘবদ্ধ দালালচক্রসহ প্রশাসনের সদস্যরা লুটছেন মোটা অঙ্কের অর্থ। দেশের মানব সম্পাদ পাচার হওয়ায় দেশের অবক্ষয়সহ পরিবেশ ও সংসারে অশান্তি বাড়ছে। এ যেন দেখার কেউ নেই। রাজনৈতিক আশ্রয়েসহ আইনের ফাঁক-ফোকর দিয়ে পার পেয়ে যাচ্ছে পাচারের সঙ্গে সড়িত রাঘব বোয়ালরা।


    বাংলাদেশ মহিলা অভিবাসী নারী শ্রমিক সংস্থার সূত্রে জানা গেছে, ভয়াবহ নির্যাতনের কবল থেকে রক্ষা পেতে বাংলাদেশী নারী শ্রমিকরা বিদেশে স্বেচ্ছায় কারাবরণের পথ বেছে নিতে বাধ্য হচ্ছেন। এ পর্যন্ত স্বেচ্ছায় কারাবরণকারী বাংলাদেশী নারী শ্রমিকের সংখ্যা শত শত। স্বেচ্ছা কারাবরণ ছাড়াও নির্যাতন সহ্য করতে না পারায় প্রতিবছর হাজার হাজার নারী শ্রমিক শূন্য হাতে দেশে ফিরে আসতে বাধ্য হচ্ছেন।


    বাংলাদেশেই সরকারি বিভিন্ন সংস্থা ও বেসরকারি সংস্থার কাছে বিদেশে কর্মরত নারী শ্রমিকদের উপর নির্যাতনের অভিযোগ জমা পড়ছে গড়ে ৪ হাজার। প্রবাসে নারী শ্রমিকদের উপর নির্যাতনের খবর অহরহই পাওয়া যাচ্ছে। প্রতিদিনই বুড়ো গৃহকর্তার এমনকি তার ছেলেদের একান্তবাসের লালসার শিকার হয়ে অনেকে সন্তানসম্ভাবাও হয়ে পড়ছেন।


    খবরে প্রকাশ, অনেকেই শিকার হচ্ছে বিকৃত ও নির্মম একান্তবাসের। কিন্তু চাকরি ও মানসম্মানের ভয়ে তা বাইরে প্রকাশ করছেন না। নীরবে মুখ বুঁজে সব নিপীড়ন সহ্য করে যাচ্ছেন। অনেক নারী শ্রমিক দেশে ফিরেছে গর্ভে অবৈধ সন্তান নিয়ে। এরকম ঘটনা আজকাল হরদম ঘটছে।


    বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে বাংলাদেশী নারী শ্রমিকরা সম্ভ্রম লুণ্ঠনের শিকার হয়ে থাকে সবচেয়ে বেশি কিন্তু এর কোনো প্রতিকার পায় না তারা।




    প্রবাসীদের নিয়ে কাজ করে এমন শ্রমিক সংগঠনগুলো জানিয়েছে, বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যের জর্ডানে বাংলাদেশী নারী শ্রমিকরা সবচয়ে বেশ নিপীড়ন-নির্যাতনের শিকার। এ তালিকায় পরের স্থানে রয়েছে লেবানন ও দুবাই। অন্য দেশগুলোতেও নির্যাতিত হচ্ছে নারী শ্রমিকরা।


    বাংলাদেশে ঘরে ফেরা নারী শ্রমিকরা জানিয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যে তাদের উপর নির্যাতনের মাত্রা দিন দিন বাড়ছেই। শারীরিক, মানসিক ও অর্থনৈতিক বঞ্চনা, নির্যাতন চলে তাদের উপর। কর্মীর সঙ্গে নিয়োগকর্তারা ক্রীতদাসের মতো আচরণ করে।



    বাংলাদেশে নির্যাতনের শিকার হয়ে ও সম্ভ্রম হারিয়ে ভারত থেকে দেশে ফেরে অধিকাংশ নারী। ভারতে যেয়ে অনেক নারী রয়েছে নিখোঁজ। অনেক পরিবারের সদস্যদের চাপা কান্না যেন থামার নয়।


    ভারতের মহানাগরিক সংস্কৃতিতে দেহদাসী ভোগে শাসক শ্রেণির এই নারকীয় উল্লাস নিযে উচ্চ বাটচ্য নেই কিন্তু ভদ্র সমাজে।


    এদিকে মধ্যপ্রাচ্যের দুবাইয়ে বাংলাদেশী নারী কর্মীদের দেহব্যবসায় বাধ্য করছে একটি চক্র। ওই চক্রটি ভালো কাজ দেয়ার কথা বলে বিভিন্ন ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে নারী কর্মীদের দুবাই পাঠায়। তারপর নির্যাতন করে ওই নারীদের অসামাজিক কাজ করতে বাধ্য করে।



    উদ্বেগের বিষয় হলো, প্রবাসে বাংলাদেশে নারী শ্রমিক ও গৃহকর্মীরা নানাভাবে নির্যাতনের শিকার হয়ে দুর্বিষহ জীবনযাপন করছেন। তারা ঠিকমতো খাবার পান না, ক্ষুধার্ত থাকেন অধিকাংশ সময়। দিনের পর দিন কাজ করেন, কিন্তু নিয়মিত বেতন-ভাতা তারা পান না। এমনকি নিত্যদিন সম্ভ্রম লুণ্ঠনের শিকার হন।


    বাংলাদেশি জনপ্রিয় সংবাদপত্র যুগান্তরে প্রকাশিত তথ্য রোমহর্ষকদেশ থেকে নারী ও শিশু পাচারের ঘটনা কমছে না। এর অন্যতম কারণ নারী ও শিশু পাচারের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার কিংবা বিচারে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিদানে ব্যর্থতা। এ ব্যর্থতার কারণে নারী ও শিশু পাচার ক্রমাগত বেড়েই চলেছে।

    বাংলাদেশ পুলিশের এক হিসাব মতে, প্রতিবছর প্রায় ১০ হাজার নারী ও শিশু পাচার হয়ে যাচ্ছে বিদেশে। আর এ কাজে জড়িত রয়েছে প্রভাবশালী চক্র দেশে ও দেশের বাইরের।


    যে কোনো দেশ ও সমাজের কাছে সবচেয়ে যত্ন ও মনোযোগের দাবিদার যারা, সেই নারী ও শিশুদের অবস্থা আমাদের দেশে সবচেয়ে করুণ, এটা দুর্ভাগ্যজনক।


    তারাই সবচেয়ে বেশি তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য এবং সহিংসতার শিকার। এর কারণ সামাজিক পশ্চাৎপদতা তথা সাংস্কৃতিক বিপর্যয়।


    দেশে যে কোনো দৈব-দুর্বিপাক কিংবা দুর্ঘটনার প্রথম ও প্রধান শিকার হয় নারী ও শিশুরা।


    যেখানে সর্বোচ্চ যত্ন ও সুরক্ষা নিশ্চিত করা প্রয়োজন নারী ও শিশুদের, সেখানে আমাদের সমাজে তাদের জন্যই সঞ্চিত সবচেয়ে বেশি বঞ্চনা।


    বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার এক হিসাব থেকে জানা যায়, দেশের শহরাঞ্চলের ৫৩ শতাংশ এবং গ্রামাঞ্চলের ৬২ শতাংশ নারী পরিবারে তাদের স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন দ্বারা শারীরিক, মানসিক এবং যৌন নির্যাতনের শিকার।


    বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতি পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, দেশের ৪৩ শতাংশ নারী পারিবারিক সহিংসতার শিকার। এর ভেতর ১২ শতাংশ যৌতুক বিষয়ক নির্যাতনের শিকার।


    নারীদের ওপর সংঘটিত সামাজিক নিষ্ঠুরতার এ চিত্র উদ্বেগজনক।


    এ থেকে মুক্তির চেষ্টায় যেসব নারী পরিচিত গণ্ডির বাইরে পা রাখে, তারা প্রায়ই সহজ শিকার হয়ে পড়ে পাচারকারী চক্রের।


    পাচারকারীরা নির্যাতনমুক্ত জীবনের প্রলোভন দেখিয়ে নারীদের ঠেলে দেয় আরেক অন্ধকার জগতে। এভাবেই বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া নারীদের স্থান হচ্ছে ভারত, পাকিস্তান, ওমান, সৌদি আরব, আরব আমিরাত, সিঙ্গাপুর ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশের পতিতালয়ে।


    আর শিশুরা ব্যবহৃত হচ্ছে উটের জকি হিসেবে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে। এসব শিশু পরবর্তী জীবনে আর স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারে না। একই নিয়তির করুণ শিকার হয় পাচার হয়ে যাওয়া নারীরা।


    মঙ্গলবার যুগান্তরে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে। প্রভাবশালী এ সিন্ডিকেটের সঙ্গে নতুন নতুন চক্র যোগ হচ্ছে। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে একটি শক্তিশালী চক্র এ নারী ও শিশু পাচার কাজে সহযোগিতা করছে বলে জানা যায়। আমরা দেশ থেকে নারী ও শিশু পাচারের এ শক্তিশালী সিন্ডিকেটের মূলোৎপাটন চাই। একই সঙ্গে দেশে পারিবারিক সহিংসতার বিরুদ্ধে সবার সচেতনতাও প্রত্যাশা করি। -



    धर्मावतार का फलाहार प्रवासी मीडिया का यह धर्मोन्मादी जनविरोधी तेवर मुक्त बाजार का सबसे बड़ा अभिशाप पलाश विश्वास

    Next: যাদবপুর কিন্তু কামদুনি হচ্ছে না,না না না পাশে আছি যাদবপুর কলরব থামছে না,আন্দোলন থামছে না,সারা বিশ্বজুড়ে প্রতিবাদ এবার আবার মহামিছিলের আয়োজন,মদ গাঁজা তত্বে ক্ষমতার কেরামতি শেষ শাসকের মিছিলে রুদ্ধ হবে না গণসঙ্গীত বিদ্রোহের,অন্যায় প্রতিরোধ রাজনীতির ঐ লৌহ প্রাচীর ভাঙ ভাঙ রে বেটি ভাঙ রে বেটা ভাঙ পলাশ বিশ্বাস
    $
    0
    0

    धर्मावतार का फलाहार प्रवासी

    मीडिया का यह धर्मोन्मादी जनविरोधी तेवर मुक्त बाजार का सबसे बड़ा अभिशाप

    पलाश विश्वास

    आज राष्ट्रीय मीडिया पर ब्रेकिंग न्यूज है कि कैसे अपनी अमेरिकी यात्रा के दौरान भारत के प्रधानमंत्री कैसे नवरात्र मनायेंगे और किसतरह विशुद्ध शाकाहारी धर्मावतार में फलाहार पर वे अमेरिकी राष्ट्रपति के साथ मुक्त बाजार भारत का डिजिटल बुलेट कायाकल्प करेंगे।मेड इन इंडिया का कायाकल्प मेक इन कर गुजरेंगेऔर बाकी सारे सुदारों को किसी खूबी से अंजाम देंगे।पन्ने दर पन्ने रंगे जारहे हैं।


    चौबीसों घंटे लाइव।एकाध पन्ना जनता के लिए भी छोड़ो।


    एकाध घंटा जनता की भी फिक्र कर लो भइये।

    मुखपन्ने पर बन्नू को रहने दो बहाल,स्क्रालिंग पर बताओ हमारा हाल।


    प्रधानमंत्री के डांडिया रिहर्सल पर अभी कोई खबर नहीं बनी है क्योंकि शायद अमेरिका से सीधे उस कार्यक्रम का लाइव प्रासारण होना है।


    वीजा की फिलहाल कोई समस्या नहीं है तो टीआरपी बढ़ाने के लिए सिनेमायी गाशिप फार्मेट अपनाता मीडिया तो टीआरपी में और इजाफा होता।चाहे तो कपिल शर्मा के वहां प्रोमो डलते या बिग बास में ही धर्मावतार का आसन जमा देते।


    मीडिया युद्ध क्या होता है,किसी भी महानगर,नगर और गांव तक की फिजां को सूंघ कर बताया जा सकता है।


    मीडिया युद्ध का बार बार यूपी से वास्ता पड़ा है,गाय पट्टी गोबर प्रदेस वगैरह वगैरह बदनामियों के बावजूद जहां मुख्यमंत्री एक बंगालिन रही हैं साठ के दशक में और कमलापति त्रिपाठी तक हुए तमाम मुख्यमंत्रियों की पहचान राष्ट्रीय हुआ करती थी।


    देश को एक के बाद एक प्रधानमंत्री देने के बावजूद जो खुद पिछड़ा रहा,लेकिन बाकी देश को संसाधनों के बंटवारे में जिसने चूं तक नहीं की।रेल मंत्री बनकर किसी यूपी वाले ने यूपीरेल नहीं बनाया। बिहार रेल बंगाल रेल की तरह।


    यूपी आज भी अस्मिताओं के गृहयुद्ध में घिरे होने के बावजूद वाराणसी के गंगाघाट की तरह किसी भी मुष्य के स्वागत में पलक पांवड़े बिछा सकता है ।


    गनीमत है कि यूपी वाले अपने को मराठी बंगाली गुजराती उत्तराखंडी पंजाबी तामिल की तरह  यपीअइया नहीं कहते अब भी।


    उस यूपी को आग में शिक कबाब बना देने की कोई कसर नहीं छोड़ी मीडिया ने।


    मीडिया क्या कुछ कर सकता है,पिछले चुनावों में जनमतशून्य जनादेशों के निर्माण में उसकी निर्णायक भूमिका के मद्देनजर खुलासा करने की शायद जरुरत नहीं है।


    मीडिया कारपोरेट मार्केटिंग बतौर बाजार का विस्तार ही नहीं कर रहा है,धर्मोन्माद का युद्धक कारोबार कर रहा है।


    भारत में मीडिया उसीतरह युद्ध गृहयुद्ध कारोबार कर रहा है जैसे अमेरिका की युद्धक अर्थव्यवस्था वैश्विक इशारों के बहाने दुनियाभर में करती है।


    गनीमत है कि मीडिया अब भी मुकम्मल अमेरिका बन नहीं सका है वरना वह सीधे कारपोरेट देशी विदेशी कंपनियों के हित में जब जाहे तब भारत पाकिस्तान,भारत चीन, भारत नेपाल,भारत बांग्लादेश युद्ध शुरु करवा देता।


    लेकिन कौन माई का लाल उस एफडीआईखोर  महाबलि जनता को आत्मघाती अस्मिता धर्मोन्मादी गृहयुद्ध में जनता को उलझाने से रोक सकता है,हमें नहीं मालूम।


    मीडिया का ही कमाल है जैसे बंगाल बाजार की शक्तियों के हवाले है वैसे ही पूरे देश में देश बेचो पीपीपी है।


    यही परिवर्तन है जिसके तहत जनता का धरमन्मादी ध्रूवीकरण हो जाये।उस महान संघ परिवारी कार्यभार को पूरी निष्ठा के साथ अंजाम दे रहा है मीडिया।


    बंगाल में हर अखबार का सच अलग है,एक के मुकाबले दूसरे का उलट।हर चैनल का सत्यमेव जयते सत्तापक्ष का सच है।


    सबसे बड़ा धमाका तो अब हुआ है कि राष्ट्रीय मीडिया ने कोलकाता में भारी वर्षा में भीगते करीब एक लाख छात्रों के महाजुलूस को राष्ट्रीय बनने नहीं दिया,उसके बारे में यह अभिनव सच का खुलासा कर रहा सत्तापक्ष ममता बतीजा सांसद अभिषेक बनर्जी के फेसबुकवाल  हवाले कि उस महाजुलूस में शामिल हर छात्र छात्रा को शराब गांजा हेरोइन के नशे में सड़क पर उतारा गया था।उन्हे नकद भुगतान भी किया सीपीएम और भाजपा ने।जबकि जुलूस का नारा था बुलंग,इतिहासेर भूल सीपीएम तृणमूल।


    अब मीडिया का सच यह भी है कि जादवपुर के वीडियो फुटेज और छात्रों के एतकताबद्द अविराम अक्लांत आंदोलन के फुटेज के सच को भले ही झुठला दें वह,मां माटी मानुष के इस छात्र आंदोलन के खिलाफ दिया जा रहा हर प्रवचन वाक्य युधिष्ठिर सुवचन सत्य है और आंदोलनकारी छात्रों को सबक सिखाने के लिए सिनेमा सितारों की चकाचौंध और विद्वतजनों की सुर तालबद्ध संगत में जिन बाहुबली छात्रों को दीदी सड़क पर उतार रही है,वे भले ही दिवंगत जेपी की जीप के बोनट पर खड़े होकर पेशाब कर दें,गांधी की लंगोट वे तमाम लोग न सिर्फ नशामुक्त हैं बल्कि फलाहार पर हैं।


    यह फलाहारी वृत्त चप्पल चाट का जायका है स्वादिष्ट इलिशिया।


    हम जब नैनीताल डीएसबी कालेज में पढ़ते थे सात के दशक में,तब लखनऊ और दिल्ली तो क्या बरेली से छपने वाले अखबारों के लिए भी दोपहर तक इंतजार करना पड़ता था और पहाड़ों की बड़ी से बड़ी खबर चंद पंक्तियों में निपटा दी जाती थी।


    तराई की तो खबर छापने के लिए कलेजा चाहिए था,खबरची की कभी भी शामत तय थी।उसका मारा जाना तय था।सत्तर के दशक में मेरे इलाके में मैं तड़ीपार था पत्रकारिता की खातिर।


    उसवक्त पूरा उत्तराखंड एकजुट था।पहाड़ और तराई एक दूसरे से नत्थी थे।


    देवभूमि होने के बावजूद तब पहाड़ों में धर्मोन्माद न था।


    आस्था और सांप्रदायिकता पर्यायवाची शब्द न थे।


    हम बचपन से रोजाना बंगाल के बंगाली  अखबार पढ़ते रहे हैं।जैसे हिंदी और अंग्रेजी के अखबार।मेरे पिता अपढ़ थे लेकिन कोई भी भारतीय भाषा अबूझ नहीं थी उनके लिए।


    वे यायावरी तरीके से देशाटन नहीं करते थे,जनता की लड़ाइयों में अपनी सक्रिय हिस्सेदारी के लिए देश के खेतों खलिहानों,नदियों पहाड़ों जगलों में जनता के बीच अलख जगाते थे और उन्हें एक दूसरे से जोड़ते थे।


    जब भी वे घर लौट आते थे,उनके साथ जिस राज्य से वे आये हों,वहां के तमाम अखबार वहां की भाषा में होते थे और वे अपेक्षा रखते थे कि मैं उन्हें बांच लूं।


    मराठी गुजराती उड़िया गुरमुखी तामिल तेलुगु वगैरह वगैरह के अखबार बंसतीपुर में ही हम देखते रहते थे।भले ही पढ़ न पाते हों।तस्वीरे देश की तस्वीरें थीं।


    उन अखबारों में भारत एक अखंड देश हुआ करता था ।बहुलता के बावजूद आस्था और पहचान,संस्कृति और भाषा की भिन्नताओं के बावजूद एक सूत्र में पिरोया हुआ देश।


    लता मंगेशकर के ऐ मेरे वतन के लोगों गीत सिर्फ शब्द भर नहीं थे।वे प्रधानमंत्री से लेकर आम लोगों की भावनाओं को ध्वनि सुर ताल लय में बांधने का चरमोत्कर्ष है तो आधुनिक संगीतकारों के वंदेमातरम से लेक जय हो में वैज्ञानिक चमत्कार की चकाचौंध चाहे जितने प्रलयंकर हों,राष्ट्रवाद का वह स्थाईभाव नहीं है और उसी तरह,उस बुनियादी फर्क की तरह,जिसे आज सूचना तकनीक के सौजन्य से हम मान रहे हैं राष्ट्रवाद,वह दरअसल धर्मोन्माद है।


    फलाहार इसीलिए बड़ा समाचार है क्योंकि उससे धर्मावतार को केंद्रित धर्मोन्माद को अश्वमेधी जनसंहार का थीमसांग बनाया जा सकें।


    सूचना प्राद्योगिकी आने से पहले गायत्री मंत्र सुनने वाले लोग इस देश में कितने रहे होंगे,इसकी गणना की जा सकती थी।


    अब तो लग रहा है कि भारत में कम से कम सूचना महाविस्फोट का एकमेव एजंडा धर्मोन्मादी परमाणु विस्फोरण है।


    जैसे तमाम अकादमी,विश्वविद्यालय और विद्वतजन रोज नयी नयी अस्मिता और नये नये अवतार पैदा कर रहे हैं,मीडिया का पूरा फोकस इन अस्मिताओं को धर्मक्षेत्रे कुरुक्षेत्रे एक दूसरे के खिलाफ खड़ा कर दिया जाये।


    मीडिया का यह धर्मोन्मादी जनविरोधी तेवर मुक्त बाजार सबसे बड़ा अभिशाप है।


    कई दिनों से महाराष्ट्र को शाही फोकस में रखा गया है।

    कश्मीर बाढ़ अब बिलावल भुट्टो हैं।

    अपने तरफ के लाखोंलाख  बावला बिलावल के दावे और उनके भड़काये युद्धोन्मादी धर्मोन्मादी अंध राष्ट्रवाद पर किसी प्रबुद्ध मतिमंद को लेकिन शर्म नहीं आती।


    भारत चीन सीमा विवाद का मसला भी काफुर है।

    त्योहारी बाजार है।

    धन लक्ष्मी की लाटरी खुल रही हैकई दिनों से महाराष्ट्र को शाही फोकस में रखा गया है।

    कश्मीर बाढ़ अब बिलावल भुट्टो हैं।


    अपने तरफ के लाखोंलाख  बावला बिलावल के दावे और उनके भड़काये युद्धोन्मादी धर्मोन्मादी अंध राष्ट्रवाद पर किसी प्रबुद्ध मतिमंद को लेकिन शर्म नहीं आती।



    तमाम ज्योतिष केंद्रे भाग्य बांच रहे हैं मीडियकर्मी और फिलहाल यूपी को बख्शे हुए हैं,लेकिन समाजवादियों को बेदखल किये बिना अश्वमेध थमेगा ,इसके आसार नहीं हैं।


    सारे अखबार चैनल महाराष्ट्र में जनादेश बनाने के लिए सत्ता समीकऱ बनाने बिगाड़ने के खेल में डंडा लेकर दौड़ पड़े हैं कि सामने जो मिले पहले उसका सिर फोड़ दें।


    महाराष्ट्र के उन खेतों में जहां अब भी थोक भाव से किसान खुदकशी कर रहे हैं या मराठवाडा़ में जहां जब तब दुष्काल की आहट है,किसी की नजरे इनायत है ही नहीं।


    যাদবপুর কিন্তু কামদুনি হচ্ছে না,না না না পাশে আছি যাদবপুর কলরব থামছে না,আন্দোলন থামছে না,সারা বিশ্বজুড়ে প্রতিবাদ এবার আবার মহামিছিলের আয়োজন,মদ গাঁজা তত্বে ক্ষমতার কেরামতি শেষ শাসকের মিছিলে রুদ্ধ হবে না গণসঙ্গীত বিদ্রোহের,অন্যায় প্রতিরোধ রাজনীতির ঐ লৌহ প্রাচীর ভাঙ ভাঙ রে বেটি ভাঙ রে বেটা ভাঙ পলাশ বিশ্বাস

    $
    0
    0

    যাদবপুর কিন্তু কামদুনি হচ্ছে না,না না না


    পাশে আছি যাদবপুর

    কলরব থামছে না,আন্দোলন থামছে না,সারা বিশ্বজুড়ে প্রতিবাদ এবার

    আবার মহামিছিলের আয়োজন,মদ গাঁজা তত্বে ক্ষমতার কেরামতি শেষ

    শাসকের মিছিলে রুদ্ধ হবে না গণসঙ্গীত বিদ্রোহের,অন্যায় প্রতিরোধ

    রাজনীতির ঐ লৌহ প্রাচীর ভাঙ

    ভাঙ রে বেটি

    ভাঙ রে বেটা ভাঙ


    পলাশ বিশ্বাস

    রাজনীতির ঐ লৌহ প্রাচীর ভাঙ

    ভাঙ রে বেটি

    ভাঙ রে বেটা ভাঙ


    পাশে আছি যাদবপুর


    কলরব থামছে না,আন্দোলন থামছে না,সারা বিশ্বজুড়ে প্রতিবাদ এবার


    আবার মহামিছিলের আয়োজন,মদ গাঁজা তত্বে ক্ষমতার কেরামতি শেষ


    শাসকের মিছিলে রুদ্ধ হবে না গণসঙ্গীত বিদ্রোহের,অন্যায় প্রতিরোধ


    ফেসবুক সংলাপ আবহ প্রস্তুতিতে অবরুদ্ধ জ্বালামুখি এই বঙ্গ বহুত দিন বাদ বাংলার কন্ঠে সেই বিদ্রোহী সংলাপঃ


    মাননীয় উপাচার্য, সম্বোধনটা কি ঠিক করলাম? না করলে নিজ গুণে ক্ষমা করে দেবেন । আসলে আপনি সব সৌজন্য, মনুষ্যত্ব হারিয়ে ... কিন্তু যে আঘাত যাদবপুরবিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের উপর নেমে এসেছিল, সেই আঘাত আহত করেছে আমাকেও, আমাদের সকলকে, সারা বাংলার সব ছাত্রছাত্রীকে ।


    পাশে আছি যাদবপুর... We're on to victory, We're on to victory, We're on to victory someday; Oh, deep in my heart, I do believe, We're on to victory someday. We'll walk hand in hand, we'll walk hand in hand, We'll walk hand in hand someday; Oh, deep in my heart, I do believe, We'll walk hand in hand someday. We are not …


    যাদবপুর কিন্তু কামদুনি হচ্ছে না



    সারা বিশ্বের একশো শহরে দেশে বিদেশে একযোগে প্রতিবাদ

    ছাত্র আন্দোলনের পথেই সমাজ বাস্তবের আগুন আজ দাবানল

    মুন্না ভাই লগে রহো,গোলাপের পাহাড় জমছে উপাচার্যের ঘরে

    সহিংস নয়,অহিংস এই আন্দোলন,এই গণ প্রতিবাদ, যার রাজনৈতিক কোনো রং নেই,তবু রাজনৈতিক চুনকামে পিঠ বাঁচাবার প্রচেষ্টাযশাসকের কুত্সা প্রচারে আরো আরো ইন্ধন


    যাদবপুর কিন্তু কামদুনি হচ্ছে না



    নির্যতিতার বাবা শিক্ষা মন্ত্রী ও ছাত্র পরিষদ নেতার আশ্বাসনে

    নরম হয়েছেন,বলেছেন উপাচার্যের ইস্তীফা চাই না,কিন্তু গণকনভেনশন হবে যাদবপুরে আবার

    যাদবপুর কিন্তু কামদুনি হচ্ছে না



    দেখা যাক কোথায় কোথায় আলো নিভিয়ে হয় তান্ডব আযোজন

    দেখা যাক, আরো কত নন্দিনীর হতে পারে শ্লীলতা হানি


    যাদবপুর কিন্তু কামদুনি নয়


    যাদবপুর কিন্তু কামদুনি হচ্ছে না


    গ্রেপ্তার ছাত্র ছাত্রীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রত্যাহারে উপাচার্যের ক্ষমা নেই,বুঝিয়ে দিচ্ছে যাদবপুর,তাঁকে সুস্থ হতেই হবে,তাই ফুল দিয়ের তাঁর  সুস্থতার শুভেচ্ছা,সুস্থ হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসুন ক্ষমাহীন অপরাধের জন্য পদত্যাগ করুন


    যাদবপুর কিন্তু কামদুনি হচ্ছে না



    তদন্তের জন্য সরকার কমিটি গড়ছেন,বেশ,ভালো কথা


    নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ীর মত সম্মানীয়রা সেই সমিতিতে আছেন,ভালো কথা

    শিক্ষা মন্ত্রী বলছেন,যেহেতু আগস্ট  মাসে নির্যাতিতার পরিবার মুখ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছেন,তাই স্বতন্ত্র তদন্ত কমেটি,ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে যোগাযোগ নেই,তারপর ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধ শাসকের মহামিছিল আযোজন,যা শেষ অবধি ফতোয়া জারি করার পরও শুধু শাসকের মিছিল থেকে গেল,কিনা শিক্ষা ক্ষেত্রে নৈরাজ্যের প্রতিবাদে


    যাদবপুর কিন্তু কামদুনি হচ্ছে না



    মানে পুলিশ ডাকিয়ে লাঠি পেটা আর শ্লীলতাহানির জন্য কোনও অনুশোচনা নেই কারও,যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অনুশোচনা নেই কারো,একজন নিগৃহিতার জন্য ন্যায় দাবি করে যে নন্দিনীরা নিগৃহিতা হলেন,তাঁদের ন্যায় দিতে সরাসরি অস্বীকার শাসক যাদবপুরকে কামদুনি করতে চাইছে


    যাদবপুর কিন্তু কামদুনি হচ্ছে না

    মহামিছিলে যারা বোঝেন নি,তাঁরা গণ কনভেনসানে বুঝবেন


    যারা অন্ধ তাঁরা আবার দৃষ্টিপাতে অস্বীকার করবেন,কিন্তু এবার মহামিছিল লালবাজারে যাবে,হয়ত শেষ পর্যন্ত মহামিচিলের গন্তব্য নবান্ন হবে


    যাদবপুর কিন্তু কামদুনি হচ্ছে না


    পিসির মতই সাংসদ ভাইপো লিখচছেন কবিতা,তাও বেশ ভালো

    বই বেরোলে পুজোয় পিসির মতই বিকোবে ভালো


    কবিতার কি ছিরি,অন্ত্যমিল তবু চমত্কার


    মদ গাঁজা ভাঙ্গ বন্ধ

    তাই আন্দোলনের গন্ধ


    মানেটা কি দাঁড়ালো


    যারা বৃষ্টিতে ভিজেছিল

    তাঁরা সব্বাই মাতাল


    আমাদের ঘরের ছেলে মেয়েরা

    জনে জনে মাতাল


    মাতলামি যদি হয় এই কলরব

    হোক কলরব হোক কলরব


    যারা বৃষ্টিতে ভিজেছিল

    তাঁরা সব্বাই গাঁজাখোর


    জানা নাই বুঝি

    গাঁজা না হলে গাজন হয় না


    গাজনের অতি প্রয়োজন আজ

    হোক কলরব কলরব হোক


    মনাে যারা বৃষ্টিতে ভিজেছিল

    তাঁরা খেয়েছিল ভাঙ্গ


    ভাঙ্গ খেয়েই ওরা বৃষ্টিতে

    ভিজেছিল জলমগ্ন রাজপথে


    শাসকের অহন্কার ভাঙ্গতে

    যদি ওরা খেয়ে থাকে ভাঙ্গ


    তবে আনো রাজ্যের ভাঙ্গ

    জনে জনে খাক সেই ভাঙ্গ


    প্রতিবাদে


    বিশ্বজুড়ে


    ভাঙ্গের আসর বসবে এবার


    নেশা হবে প্রতিবাদ


    গাজাখোর সব নেমে

    হবে প্রতিবাদ

    প্রতিবাদ


    অন্যায়ের এই মগের মুল্লুকে  

    যত পারিস খেয়ে নে ভাঙ্গ


    প্রতিবাদে ঐ পাষাণপুরি ভাঙ

    বইছে প্রাণের গাঙ্গ


    রাজনীতির ঐ লৌহ প্রাটীর ভাঙ

    ভাঙ রে বেটি

    ভাঙ রে বেটা ভাঙ


    যাদবপুর কিন্তু কামদুনি হচ্ছে না


    যাদবপুর কিন্তু কামদুনি হচ্ছে না



    মৌসুমী সরকার লিখেছেন খবর ইমেজ কোলকাতায়

    চূড়ান্ত আন্দোলনের পঞ্চম দিনে কতকটা 'রাবড়ি প্রসেস'নিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, শাসক দল ও সরকার। রাবড়ি প্রস্তুতিতে যেভাবে নিচে থেকে আঁচ দিয়ে উপরের পাখার বাতাস দিতে হয় ঠিক সেভাবেই নরমে–গরমে ছাত্রদের আন্দোলনকে বাগে আনতে উদ্যোগ নিতে দেখা গেল। ইঙ্গিতটা অবশ্য পাওয়া গিয়েছিল চতুর্থ দিনেই। সেদিন মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি শঙ্কুদেব পণ্ডা পৌঁছে গিয়েছিলেন নির্যাতিতার সল্টলেকের বাড়িতে। শিক্ষামন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছিলেন নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। সেই মতো আজ সকালেই ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটির নামধাম ঘোষণা করেন শিক্ষামন্ত্রী। পাশাপাশি ছাত্রীর বাবাকে নবান্নে ডেকে পাঠান মুখ্যমন্ত্রী। তবে ৪৮ ঘন্টা আগের অবস্থান থেকে একেবারে ঘুরে গেলেন তিনি। নবান্ন ঘুরে এসে নিজের অবস্থান থেকে কার্যত ইউ টার্ন নিলেন নির্যাতিতার বাবা। এদিন টিএমসিপির পালটা মিছিলের পাশাপাশি অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হয়ে তিনি জানান, মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে তিনি মুগ্ধ। সুতরাং ছাত্রছাত্রীদের এই অবস্থান বিক্ষোভের কোনও দরকার নেই। তাঁরা যেন আন্দোলনের পথ ছেড়ে পঠনপাঠনে মন দেয়।

    একদিকে যখন এভাবেই ছাত্রছাত্রীদের ক্ষোভ প্রশমণের একটি সূক্ষ্ম চেষ্টা লক্ষ্য করা যাচ্ছিল তখনই আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকে দেখলেন তাঁদের লাগানো পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে, মুছে দেওয়া হয়েছে দেওয়াল লিখন। জানলেন উপাচার্যর বাড়ির লিফলেটকাণ্ড তদন্তে অভিজিৎ চক্রবর্তীর বাড়িতে পৌঁছেছে বিধাননগর থানার পুলিশ। এর সঙ্গে সঙ্গেই পূর্ব ঘোষিত পালটা মিছিল ও রাজভবন অভিযান তো ছিলই। সেই মিছিল যখন রাজভবনমুখী তখন হঠাৎই, খুব আকস্মিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সন্ধির সাদা পতাকা ওড়ালেন। রেজিস্ট্রার প্রবীর ঘোষ জানালেন, ১৭ তারিখের রাতের ঘটনায় যে ৩৭ জন ছাত্রছাত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়েছিল তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে। পাশাপাশি আহত ছাত্রছাত্রীদের চিকিৎসার খরচ বহন করবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। একইসঙ্গে প্রবীর বাবু ছাত্রছাত্রীদের কাছে আবেদন রাখলেন অনতিবিলম্বের তাঁরা যেন পঠনপাঠনে যোগ দেন।

    একদিকে নরমপন্থা ইন্যদিকে চরমপন্থা, এর মাঝে দাঁড়িয়েও আন্দোলনকারী ছাত্রছাত্রীরা নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড়। তাঁদের দাবিও সেই একই, অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে উপাচার্যকে। একইসঙ্গে তাঁরা জানালেন, তাঁদের পরবর্তী কর্মসূচি। সেই কর্মসূচির মধ্যে একদিকে যেমন রয়েছে সোমবার বিকেলের ভিডিও কনফারেন্স, অন্যদিকে রয়েছে বুধবার নাগরিক কনভেনশন ও বৃহস্পতিবারের লালবাজার অভিযান। এছাড়াও বৃহস্পতিবারই ১০০ দেশে সংগঠিত হবে প্রতিবাদ মিছিল। প্রসঙ্গত, সোমবার সাংবাদিক বৈঠক করে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, ছাত্রছাত্রীদের দাবি অনুযায়ী মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কিন্তু শিক্ষা দফতরের গঠিত এই তদন্ত কমিটিকে দিয়েও নিরপেক্ষ তদন্ত সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। অপরদিকে এদিনই বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রবীর ঘোষ বিক্ষোভরত ছাত্রছাত্রীদের আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছেন। আন্দোলনকারীদের মতে, চাপে পড়েই অবশেষে আলোচনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ছাত্রছাত্রীরা এটিকে তাঁদের কিছুটা হলেও নৈতিক জয় বলে মনে করছেন।


    গত কাল আজকালের প্রতিবেদন: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী শ্লীলতাহানির ঘটনায় নিরপেক্ষ তদম্তের সিদ্ধাম্ত নিল রাজ্য সরকার৷‌ মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির নির্দেশে একটি নিরপেক্ষ তদম্ত কমিটি গড়া হবে বলে রবিবার শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জি জানিয়েছেন৷‌ আজ, সোমবার তিন বা চার সদস্যের এই তদম্ত কমিটি ঘোষণা করা হবে৷‌ যত তাড়াতাড়ি, সম্ভব হলে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে শিক্ষা দপ্তরের কাছে এই রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য সদস্যদের কাছে অনুরোধ করা হবে৷‌ পার্থবাবু এদিন নির্যাতিতা ওই ছাত্রীর বাড়ি যান৷‌ সঙ্গে ছিলেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি শঙ্কুদেব পন্ডা৷‌ সেখান থেকে শিক্ষামন্ত্রী যান রাজভবনে৷‌ সেখানে প্রায় এক ঘণ্টা রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর সঙ্গে বৈঠক করেন৷‌ পরে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জানান, ওই ছাত্রী এবং তাঁর পরিবার নিরপেক্ষ তদম্তের দাবি জানিয়ে আসছিল৷‌ মুখ্যমন্ত্রী নিজেই এই ধরনের তদম্তের জন্য বলেছেন৷‌ তাঁরই কথা মতো তদম্ত কমিটি গঠন করছে শিক্ষা দপ্তর৷‌ তদম্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরই রাজ্য সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্হা নেবে৷‌ তবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আলাদা ভাবে যে তদম্ত করছে, সেটা তারা চালিয়ে যেতে পারে৷‌ এদিন দুপুরে নিগৃহীতা ওই ছাত্রীর বাড়িতে যান শিক্ষামন্ত্রী৷‌ ছাত্রীটির পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেন এবং দোষীদের শাস্তির আশ্বাস দেন৷‌ পরে ছাত্রীটির বাবা বলেন, শিক্ষামন্ত্রী দোষীদের শাস্তির আশ্বাস দিয়েছেন৷‌ রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছিলেন তিনি৷‌ তার মাঝে আমাদের বাড়িতে এসেছিলেন৷‌ ২৫ মিনিট কথা হয়৷‌ ছাত্রীর বাবা জানান, দোষীদের শাস্তি চাই৷‌ মেয়ের জন্য আন্দোলন হচ্ছে৷‌ দোষীদের শাস্তির দাবিতে আন্দোলনে পাশে আছি৷‌ এদিকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিবাদী ছাত্ররা প্রশ্ন তুলেছেন ছাত্রীর বাড়িতে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতির যাওয়া নিয়ে৷‌ তাঁদের বক্তব্য, শিক্ষামন্ত্রী ওই ছাত্রীর বাড়িতে যেতেই পারেন৷‌ কিন্তু 'বহিরাগত'শঙ্কুদেব পন্ডা কেন? যাদবপুরের পঠন-পাঠন স্বাভাবিক করা নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে বলে জানা গেছে৷‌ বৃহস্পতিবারও রাজ্যপাল-শিক্ষামন্ত্রীর বৈঠক হয়৷‌ আচার্য দ্রুত সমস্যা মিটিয়ে ফেলার পরামর্শ দেন পার্থবাবুকে৷‌ এদিকে এদিন যাদবপুর-কাণ্ডের প্রতিবাদে রাস্তায় নামলেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, প্রাক্তন উপাচার্য, শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরাও৷‌ ওয়েবকুটার ডাকে প্রতিবাদ মিছিলে সামিল হয়েছিলেন অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও প্রাক্তন উপাচার্যরা৷‌ ভিনরাজ্য থেকে আসা কয়েকজন অধ্যাপককেও এদিন এই প্রতিবাদ মিছিলে পা মেলাতে দেখা গেছে৷‌ একজন উপাচার্যের বিরুদ্ধে এদিন অন্য উপাচার্য ও অধ্যাপকদের রাস্তায় নেমে প্রতিবাদে গর্জে উঠতে দেখলেন যাদবপুরের মানুষ৷‌ রবিবার বিকেল ৪টে নাগাদ ঢাকুরিয়ার দক্ষিণাপণের সামনে থেকে এই মিছিল শুরু হয়৷‌ মিছিলের সামনের সারিতে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অশোকনাথ বসু, ছিলেন বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য আনন্দদেব মুখোপাধ্যায়, ওয়েবকুটার নেতা শ্রুতিনাথ প্রহরাজ, হরিয়ানা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ইকবাল সিং সিন্ধু প্রমুখ৷‌ যাদবপুরের ৮বি বাস স্ট্যান্ডে মিছিল শেষ হওয়ার পর অংশগ্রহণকারীরা সেখানে একটা সভা করেন৷‌ সভায় অধ্যাপক ও প্রাক্তন উপাচার্যরা তাঁদের ক্ষোভ উগরে দেন৷‌


    উপাচার্যকে গোলাপ


    এদিন যাদবপুর সংহতি মঞ্চের তরফ থেকে একদল ছাত্র প্রতিনিধি উপাচার্য অভিজিৎ চক্রবর্তীর সল্টলেকের বাড়িতে যান৷‌ ঘটনার সুবিচার চেয়ে তাঁরা অভিনব প্রতিবাদ করেন৷‌ উপাচার্যের দ্রুত আরোগ্য কামনা করে একটি চিঠি এবং ৪০টি গোলাপ ফুল দিয়ে তৈরি একটা ফুলের তোড়া তাঁর বাড়িতে দিয়ে আসেন৷‌ তাঁরা জানান, ৩৭ জন পড়ুয়া গ্রেপ্তার এবং ৩ জন ছাত্র হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল৷‌ তাই উপাচার্যকে এই ফুলের তোড়া দেওয়া হয়৷‌ আর এত ঘটনার পরও উপাচার্য মুখ খোলেননি বা পদত্যাগ করেননি৷‌ তাই তিনি অসুস্হ হয়েছেন বলেই আমাদের মনে হয়েছে৷‌ তাই স্যরের দ্রুত আরোগ্য কামনা করে আমরা তাঁকে একটি চিঠি দিয়েছি৷‌ আমরা চাই উনি দ্রুত সুস্হ হয়ে তাড়াতাড়ি পদত্যাগ করুন৷‌ এদিন সন্ধ্যায় উপাচার্যের বাসভবনের সামনে হুমকি দেওয়া কিছু পোস্টারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ায়৷‌ তাতে উপাচার্যকে কটূক্তি করা হয়েছে৷‌ অভিযোগ উপাচার্যের বাড়িতে কেউ বা কারা ঢিল ছোঁড়ে৷‌ গালিগালাজ করে৷‌


    প্রতিবাদে প্রাক্তন উপাচার্য, আজ সিদ্ধাম্ত ছাত্রদের


    গৌতম চক্রবর্তী জানাচ্ছেন, রবিবার বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ছাত্র-ছাত্রীরা জড়ো হয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা চালিয়ে যান৷‌ তবে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে ছাত্ররা তাঁদের দাবি জানিয়ে আসলেও যাদবপুরের অচলাবস্হা কাটবে কিনা, তা ঠিক হবে আজ সোমবার বেলা ১২টার পর ছাত্রদের নিজেদের মধ্যে বৈঠকের পর৷‌ ছাত্র সংগঠন ফেটসুর সাধারণ সম্পাদক চিরঞ্জিত ঘোষ বলেন, আন্দোলন কোন পথে যাবে, ক্লাস বয়কট তুলে নেওয়া হবে কিনা– এ সবই ঠিক হবে সোমবারের দুপুরের বৈঠকে৷‌ রাজ্যপালের কাছে যে-সব ছাত্র প্রতিনিধি গিয়েছিলেন তাঁরা বৈঠকে যোগ দিয়ে আন্দোলনরত ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে গোটা পরিস্হিতি জানাবেন৷‌ তা নিয়ে আমাদের মধ্যে পর্যালোচনা হবে৷‌ তার পরই সিদ্ধাম্ত নেওয়া হবে পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে৷‌ তার আগে পর্যম্ত ছাত্র-ছাত্রীরা যে সিদ্ধাম্ত নিয়েছেন সেটাই তাঁরা মেনে চলবেন৷‌ অন্য দিকে এদিন যাদবপুর বাস স্ট্যান্ডে ওয়েবকুটার সভায় প্রাক্তন উপাচার্য অশোকনাথ বসু বলেন, কয়েক বছর ধরে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদ সামলেছি৷‌ ছাত্রদের অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে৷‌ কখনও পুলিস ডেকে ছাত্র-ছাত্রীদের নির্মমভাবে মারার কথা ভাবিনি৷‌ আলোচনার মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান হয়েছে৷‌ এই উপাচার্য যা করেছেন তা অন্যায়৷‌ কেউ অন্যায় করলে তার প্রতিবাদ তো করতেই হবে৷‌ বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আনন্দদেব মুখোপাধ্যায় বলেন, যাদবপুরে পড়াশোনা করার সময় অনেক উপাচার্যকে দেখেছি৷‌ ত্রিগুণা সেনের মতো উপাচার্যকে একবার বলতে শুনেছি বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিস ঢুকতে দেব না৷‌ যদি পুলিস ঢোকে তবে আমার বুকের ওপর দিয়ে ঢুকবে৷‌ আমি নিজেও বহুবার ছাত্রদের ঘেরাওয়ের আন্দোলনে পড়েছি৷‌ কিন্তু কখনও পুলিস ডেকে রাতের অন্ধকারে তাদের মারধর করে ঘেরাওমুক্ত হওয়ার কথা ভাবিনি৷‌ শ্রুতিনাথ প্রহরাজ বলেন, ছাত্রদের ওপর অত্যাচার করে তাদেরই দোষী করার চেষ্টা চলছে৷‌ ভিনরাজ্যের অধ্যাপক ইকবাল সিং সিন্ধু বলেন, যাদবপুরের ঘটনা শুধু এই রাজ্যের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই৷‌ সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে৷‌ গোটা দেশের মানুষ প্রতিবাদ করছেন৷‌ আমি তাতেই সামিল হয়েছি৷‌ ছাত্র সংগঠন ডি এস ও-র তরফ থেকে অবশ্য এই দিন যাদবপুর, নাকতলা, টালিগঞ্জ, ঢাকুরিয়া প্রভৃতি জায়গায় অটো প্রচার করা হয়েছে৷‌ যাদবপুর-কাণ্ডে সাধারণ মানুষকে প্রতিবাদের জন্য আবেদন করা হয়েছে৷‌


    উপাচার্যের পদত্যাগ চাইলেন বৃন্দা


    বাঁকুড়া থেকে আলোক সেন জানাচ্ছেন: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভি সি-র পদত্যাগ চাইলেন সি পি এমের পলিটব্যুরো সদস্য বৃন্দা কারাত ও দলের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অমিয় পাত্র৷‌ যাদবপুর-কাণ্ডের প্রতিবাদে রবিবার মহামিছিলের ডাক দিয়েছিল জেলা সি পি এম৷‌ বিকেলে লালবাজার থেকে বিশাল মিছিল শহর পরিক্রমা করে আসে মাচানতলায়৷‌ সেখানে বৃন্দা কারাত বলেন, ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভি সি গভীর রাতে আলো নিভিয়ে পুলিসকে লেলিয়ে দিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের ওপর যে ধরনের অত্যাচার করিয়েছেন, তার কোনও ক্ষমা নেই৷‌ তাঁকে পদত্যাগ করতে হবে৷‌ অমিয় পাত্র বলেন, শনিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা প্রতিবাদের ইতিহাস গড়েছেন৷‌ তিনি বলেন, ওই প্রতিবাদ কোনও একটা ঘটনার জন্য নয়৷‌ এই সরকার ক্ষমতায় আসার পর যেভাবে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করছে, রাজ্য জুড়ে দমন-পীড়ন চালাচ্ছে, ওই প্রতিবাদ তারও বহিঃপ্রকাশ৷‌


    সিউড়ি থেকে অনুপম বন্দ্যোপাধ্যায়: যাদবপুরের পাশে দাঁড়াল সিউড়ি৷‌ 'পাশে আছি যাদবপুর'আওয়াজ তুলে রবিবার সিউড়িতে বীরভূম ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি (ডিগ্রি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ) এবং শ্রীরামকৃষ্ণ শিল্প প্রতিষ্ঠানের (পলিটেকনিক) শ'দুয়েক ছাত্র মিছিল করলেন৷‌ তিলপাড়ায় ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ চত্বর থেকে বের হয়ে মিছিল শেষ হয় সিউড়ি বিদ্যাসাগর কলেজের সামনে৷‌ মিছিলে অংশগ্রহণকারী ছাত্রদের বক্তব্য, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ন্যায্য দাবিতে আন্দোলনরত ছাত্র-ছাত্রীদের ওপর নির্মম হামলার দৃশ্য দেখে তাঁরা ধিক্কার জানাতে রাস্তায় না নেমে পারলেন না৷‌


    WE DID IT!! Largest. Climate. March. In History.

    Previous: যাদবপুর কিন্তু কামদুনি হচ্ছে না,না না না পাশে আছি যাদবপুর কলরব থামছে না,আন্দোলন থামছে না,সারা বিশ্বজুড়ে প্রতিবাদ এবার আবার মহামিছিলের আয়োজন,মদ গাঁজা তত্বে ক্ষমতার কেরামতি শেষ শাসকের মিছিলে রুদ্ধ হবে না গণসঙ্গীত বিদ্রোহের,অন্যায় প্রতিরোধ রাজনীতির ঐ লৌহ প্রাচীর ভাঙ ভাঙ রে বেটি ভাঙ রে বেটা ভাঙ পলাশ বিশ্বাস
    $
    0
    0

    WE DID IT!! Largest. Climate. March. In History.


    Dear amazing Avaazers, 

    Months ago, our community decided on a crazy goal - the largest mobilisation on climate change in history. Yesterday, we blew past our wildest expectations, with a climate march *6 times* the size of anything before it!!! This was 80 city blocks of New York

    People's Climate March

    And this was London, Berlin, Bogota, Paris, Delhi, and Melbourne... 




    Over 675,000 of us marched around the world. It was a beautiful expression of our love for all that climate change threatens, and our hope that we can save this world and build a society powered by 100% safe, clean energy. Click to see more pictures from the day: 

    https://secure.avaaz.org/en/climate_march_reportback/?bWUthib&v=46379 

    Together, we made history, but it's just the beginning. The crucial Paris climate summit is 15 months from now -- that's where we need a global deal. By March next year, countries have pledged to make their national commitments -- so our movement will divide to focus on these national targets. But every few months until Paris we'll come together globally again and again, bigger and bigger, to beat a drum for change, for 100% clean energy, that our leaders can only follow. The movement we've been waiting for has begun. 

    With gratitude, 

    Ricken, Emma, Alice, Iain, Nataliya, Patri, Oliver, Diego, Rewan and the whole Avaaz team 


    PS - We worked with thousands of organisations to make this day happen and particularly love our friends at 350. But our community deserves to celebrate the step we've taken. The Avaaz team and community played a central role in almost all the marches and events held. The Guardian called it "an organising triumph" for Avaaz and the BBC said "the marches brought more people on to the streets than ever before, thanks to the organisational power of the social media site Avaaz." We fielded hundreds of organisers and thousands of volunteers, and donations from our community provided millions in funding to the effort. The challenges of our time call us to be better, and together we've done that, growing and changing into a new and more effective kind of movement, a movement that is now both online, and offline. Huge gratitude to everyone who made it happen. 

     
    Avaaz.org is a 38-million-person global campaign network
     that works to ensure that the views and values of the world's people shape global decision-making. ("Avaaz" means "voice" or "song" in many languages.) Avaaz members live in every nation of the world; our team is spread across 18 countries on 6 continents and operates in 17 languages. Learn about some of Avaaz's biggest campaigns here, or follow us on Facebook or Twitter.

    You are getting this message because you signed "Community Petitions Site" on 2014-08-12 using the email address palashbiswaskl@gmail.com.

    List of Students' Colleges who are protesting with Jadavpur University oh mamata, is this a small incident ? oh VC, are these all maoists and naxalites?

    $
    0
    0
    List of Students' Colleges who are protesting with Jadavpur University
    oh mamata, is this a small incident ?
    oh VC, are these all maoists and naxalites?
    ‪#‎hokkolorob‬
    WEST BENGAL
    1. Presidency University 
    2. Ashutosh College 
    3. St. Xaviers College 
    4. Maulana Azad College 
    5. Goenka College 
    6. IEM 
    7. Heritage Institute 
    8. Indian Statistical Institute, Kolkata 
    9. North Bengal University 
    10. Kalyani University 
    11. Calcutta Medical College 
    12. Vishwa Bharati University 
    13. IIT- Kharagpur 
    14. Jalpaiguri Government Engineering College 
    15. Techno Group India 
    16. Vidya Sagar College 
    17. Gokhale memorial girls college
    18. Bethune college,
    19. Loreto college
    20. Brabourne college
    21. Scottish Church (they have braved violent attacks on individuals)
    22. Shri Shikshayatan 
    23. Andrews College 
    24. Indian Institute of Engineering Science and Technology, Shibpur
    25. Rabindra Bharati College of Education 
    26. Serampore College 
    27. RG Kar Medical College 
    28. Hoogly Mohsin College 
    29. MCKV Institute of Engineering 
    30. Burdwan Medical College 
    31. BCET Durgapur
    32. B.C.Roy Durgapur
    33. SKF Institute 
    34. Bhawanipore Education Society College 
    35. Netaji Subhash Engineering College
    36. City College 
    37. Victoria College 
    38. Surendranath College 
    39. Sarojini Naidu College 
    40. South Calcutta Girls College
    41. National Institute of Technology, Durgapur
    42. Vidyasagar Univeristy, Mednipur
    43. Dr. SC Sur Degree Engg College 
    44. Ramakrishna Mission Residential College, Narendrapur
    45. Razabazar Science College 
    46. Ballygunj Science College
    47. Ramakrishna Mission Vivekananda Centenary college, Rahara
    48. Guru Nanak Institute of Technology
    49. Biddhanagar College 
    50. NHSM Knowledge Centre, Kolkata 
    51. RCC
    52. Calcutta Institute Of Engineering & Management
    53. Future Institute of Engineering & Management 
    54. Basanti Devi
    55.Techno biems.batanagar
    56.B.P.Podder
    57.Kallyani Ideal Institute
    58.CMC
    59.ACADEMY OF TECHNOLOGY
    60.Women's college, Calcutta
    BANGALORE
    1. Indian Institute for Science, IISc
    2. National Law School of India University, NLSIU
    3.MVJCE
    4.RVCE
    5.Christ College
    HYDERABAD
    1. University of Hyderabad, UoH
    2. English and Foreign Language University, EFLU
    3. Tata Institute for Social Science, TISS, Hyderabad
    BOMBAY
    1. IIT Bombay 
    2. Tata Institute for Social Science, TISS, Mumbai
    3. Tata Institute for Fundamental Research, TIFR, Mumbai
    PUNE
    1.FTII, Pune
    DELHI
    1. Jawaharlal Nehru Univeristy, JNU
    2. Lady Sri Ram College, University of Delhi 
    3. Kirori Mal College, University of Delhi 
    4. Ramjas College, University of Delhi 
    5. Miranda House, University of Delhi 
    6. Khalsa College, University of Delhi 
    7. Indian Institute of Mass Communication, IIMC
    8. Ambedkar University, AUD
    BIHAR
    1. BITT Polytechnic, Ranchi 
    2. Ranchi University
    ASSAM
    1. IIT Guwahati

    RSS branded Love Jihad enters the White House!

    $
    0
    0

    RSS branded Love Jihad enters the White House!


    VISA no problem,Now President Obama faces unique  menu problems!Quite funny it may sound but the RSS branded Love Jihad enters the White House,perhaps waiting first Indian American President not to mention Mr Bobby Jindal,the most potential Republican candidature Indian.


    If Chinese,Japanese companies takes over the greatest emerging market as well as the backoffice of the world,what should be the eligible menu for a US President engaged in yet another oil war,that`s the Billion Billion Dollar question just before the demise of Dollar.


    Palash Biswas

    Oh friends,sorry to remind the latest global status unprecedented as well,White House in food-related disarray after Prime Minister Modi confirms he will be fasting for the duration of his trip to the US, in accordance with Navratri traditions!


    VISA no problem,Now President Obama faces unique  menu problems!Quite funny it may sound but the RSS branded Love Jihad enters the White House,perhaps waiting first Indian American President This.Yes, it is the latest item theme song of Modi,the Dharmavtar`s US visit imminent after the so much so hyped Chinese intrusion which ,of course,had an earlier default cloud software named Japanese bullet technology plus delayed Indo Japan nuclear treaty.


    If Chinese,Japanese companies takes over the greatest emerging market as well as the backoffice of the world,what should be the eligible menu for a US President engaged in yet another oil war,that`s the Billion Billion Dollar question just before the demise of Dollar.

    Modi's US visit: Obama's menu problems (© Reuters)

    Reuters

    Prime Minister Modi's decision to fast during the Navratri seasons, something he is known to do, has thrown the US government into a tizzy. What can they possibly serve to the Indian head of state during state dinners on September 29 and September 30, when President Barack Obama will host the PM?

    More troublingly, how can Obama tuck into his meal when his guest sips only fresh lime water?


    The problem for the White House is that the Hindu festival of Navratri begins on September 25 and ends with Dussehra on October 3; Modi will be in the US from September 26 to September 30… right in the middle of the festival. And all of this has thrown Washington's plans into disarray.


    "The question is what will they serve Modi? Nimbu pani [fresh lime water] and more nimbu pani… or may be nimbu pani with some different flavor? Things are still being worked out... everyone is extremely busy with the visit," a source told IANS.


    Prior to New Delhi's announcement, the rumour was that the White House was planning a strictly vegetarian menu, including Indian dishes. Now though, Obama and his aides will likely have to be content with fruit juices and the like!


    S Jaishankar, the Indian envoy, is part of the team busily working out the details. In the larger picture, Modi arrives in the US on September 26 and addresses the UN General Assembly on the following afternoon; this will be his first global speech – to an audience of nearly 200 world leaders and foreign ministers.

    He is also expected to address the Indian-American community the following day at Madison Square Garden, which will probably be telecast live. The official itinerary is, of course, still to be released, but on September 28, Modi is expected to attend a private reception hosted by the Indian ambassador to the UN, Asoke Mukerji. The following day, the PM is to fly to Washington to meet leaders of the US Congress, India Caucus. And on the final two days of his visit, when cuisine issues are likely to rear their heads, is when Modi and Obama are scheduled to meet.


    बवासीर को तो फूटना ही था।अब चांदसी इलाज से काम नहीं चलेगा आपरेशन जरुरी है देश को बचाना है तो हिंदी समाज का नवजागरण जरुरी है इस नवजागरण के लिए,अस्मिताओं की दीवारें ढहाने के लिए आइये सबसे पहले भारतीय भाषाओं के झगड़े निपटायें पलाश विश्वास

    Next: সম্মুখসমরে ডরাইব ক্যানে, দ্যাশটাই ত কুরুক্ষ্যাতরো? … আরও আছেন মাথার উপরে রবীন্দ্রনাথের সেই অমোঘ বক্তব্য,যা আবৃত্তি করতে বাঙালি পৃথীবী সময় অসময় জ্ঞান করে না ,তবু শাসকের রক্ত চক্ষুকে ভয়? চিত্ত যেথা ভয়শূণ্য, উচ্চ যেথা শির, জ্ঞান যেথা মুক্ত, যেথা গৃহের প্রাচীর আপন প্রাঙ্গণতলে দিবসশর্বরী বসুধারে রাখে নাই খন্ড ক্ষুদ্র করি, যেথা বাক্য হৃদয়ের উৎসমুখ হতে উচ্ছ্বাসিয়া উঠে,যেথা নির্বারিত স্রোতে… পশ্চিম বঙ্গ ও বাংলাদেশেই শুধু নয়,সারা মহাদেশে ধর্মোন্মাদী প্রতারক রাজনীতিবিদদের আধিপাত্য। মানুষ মারার কল সর্বত্র সমান্তরালে সমানতালে চলছে ত চলছে। আসল নৈরাজ্যের অংশীদার এই ধর্ষণের সংস্কৃতিতে হেফাজত জামায়েত রাজনীতির মহাজোট। পলাশ বিশ্বাস
    $
    0
    0

    बवासीर को तो फूटना ही था।अब चांदसी इलाज से काम नहीं चलेगा आपरेशन जरुरी है

    देश को बचाना है तो हिंदी समाज का नवजागरण जरुरी है

    इस नवजागरण के लिए,अस्मिताओं की दीवारें ढहाने के लिए आइये सबसे पहले भारतीय भाषाओं के झगड़े निपटायें


    पलाश विश्वास

    http://www.hastakshep.com/category/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B2%E0%A6%BE

    বাংলা | HASTAKSHEP

    Content filed under the বাংলা category.

    HASTAKSHEP.COM



    बवासीर को तो फूटना ही था।अब चांदसी इलाज से काम नहीं चलेगा आपरेशन जरुरी है।

    देश को बचाना है तो हिंदी समाज का नवजागरण जरुरी है।

    इस नवजागरण के लिए,अस्मिताओं की दीवारें ढहाने के लिए आइये सबसे पहले भारतीय भाषाओं के झगड़े निपटायें।


    लाल धागा नीला धागा।


    इस बायोमेट्रिक डिजिटल अमेरिकी उपनिवेश के सामंती परिवेश में तिलस्मी अस्मिताओं के चक्रब्यूह में फंसे लाल धागे नीले धागे निकलते रहने का अहसास क्या है,देहात और जनपदो से कटे लोक मुहावरों से अनजान लोगों को समझाना बेहद मुश्किल है।


    जिनके निकलते हैं,वे भी इलाज के बजाय टोटका करवाते करवाते आखिरकार कैंसर में मारे जाते हैं।


    कुल मिलाकर किस्सा तोता मैना बैलगाड़ी और बुलेट ट्रेन मंगलयान का मुकाबला है।आजका अल्हा उदल भी वही है।


    हर लोकथा का सार भी वही है।


    उस जमीन पर हमारे पांव हैं नहीं।

    दिलोदिमाग में रक्त मांस है ही नहीं,न खून पसीने का अता पता है।


    क्लाउड साफ्टवेयर और स्मार्ट ऐप्प्स के जरिये हम सारे लोग अनबने स्मार्ट सिटियों के दूर नियंत्रित नागरिक हैं और कीचड़ से लथपथ जमीनी उबड़ खाबड़ पथरीली पगडंडी जैसे उतारु चढाऊ समस्याओं और मुद्दों से हमारा अब कोई वास्ता है ही नहीं है।


    मोबाइल काम नहीं कर रहा था।दुकान पर गया।

    एक नौंवीं में पढ़ने वाली बच्ची ने कह दिया कि फेंक दीजिये।

    मैंने पूछा कि उसके बाद क्या।

    बच्ची ने कहा स्नैप डील फ्लिपकर्ट से सस्ते में इंटेक्स टु ले लीजिये या फिर गुगल एंड्रोय़ड वन।

    सारा सामान घर पहुंच रहा है।

    आर्डर दीजिये,माल डेलीवरी होने पर भुगतान करिये।कोई लफड़ा है ही नहीं।सारे गेजेट विजेट मोबाइल स्मार्टफोन साड़ी वाड़ी सारे उपभोक्ता सामान ईटेलिंग से उपलब्ध हैं।अब किराना भी मोबाइल जरिये मिलेगा कैश ट्रेंजेक्शन भी मोबाइल से।


    अब तक किसानों की खुदकशी पर हम कायदे से बात भी नहीं कर पाये हैं,बिजनेस में इबोला फूटने वाला है और त्योहारी कारोबार में मशगुल खुदरा बाजार में आती हुई मौत की कोई दस्तक किसी को सुनायी ही नहीं पड़ रही है।


    अमाजेन आ गया गया है।वालमार्ट छा रहा है।धर्मावतार अलीबाबा के साथ लौटेंगे।

    हीरक चतुर्भुज का निर्माण इसीतरह होना है।


    अच्छे दिन इसी तरह आयेंगे कि हमारा वजूद तो आधार में दर्ज होगा बाकी हम निराधार होंगे।त्रिशंकु कोई मिथक नहीं,अब समसामयिक समाजवास्तव है।जिससे सत्यमेव कहते हुए हम आँखें चुरा रहे हैं।


    यह तो परिवेश है।मुखबंद है।


    असली रोजनामचा हिंदी समाज और हिंदी के मुद्दे को लेकर है।


    सीसैट तूफान वोटबैंक समीकरण की शाही लव जिहाद इंजीनियरिंग में गुम है मेतो शायद मौका भी है।


    जादवपुर में छात्र युवाओं की जो गोलबंदी है,आप के छलावा के बाद यह उम्मीद की नई किरण भी है।सौ देशों में एकमुश्त प्रतिवाद ग्लोबल वार्मिंग और जलवायु संकट के एनजीओ जमावड़ा से कहीं ज्यादा सकारात्मक है।


    सत्ता की राजनीति में फिर बेदखल न हो युवा पीढ़ी,वर्गीय ध्रूवीकरण का रास्ता फिर राजनीतिक चौराहे के अंधेरे में भटक न जाये,इसके लिए हम सबकी जनपक्षधर सक्रियता जरुरी है,जिससे हम बार बार कन्नी काटते रहे हैं।


    अब हिंदी समाज को लीजिये।


    हमारा अब भी मानना है कि हिंदी में कबीरदास एक अपवाद है ।बाकी जनजागरण हुआ नहीं है। वह त्रिशंकु की तरह अधर में लटक रहा है।


    उसे फौरन जमीन पर पटककर हिंदुत्व पुनरूथान के मुकाबले मोर्चाबंद कर सकें शायद हम मुक्तबाजारी तामझाम टोटका ज्योतिष शेयर बाजार सांढ़ संस्कृति कर्मकांड यज्ञ महायज्ञ योगाभ्यास के लव जिहाद से मुक्त होकर सही मायने में मुक्ति कामी जनता का हीरावल दस्ता बना सकते हैं हिंदी समाज को।


    हमारा साफ मानना है कि सारी गड़बड़ी जो गायपट्टी और गोबर प्रदेशों से शुरु हुई है,तो इलाज वहां के  वनस्पतियों में ही खोजना होगा।


    वे वनस्पति हमारे सफाये अभियान से सिरे से गायब हैं,उन्हें नये सिरे से रोपना होगा।सींचना होगा।उनमें औषधिगुण विकसित करना होगा और तब जाकर देश को संजीवनी दी जा सकती है वरना इस मृत्यु उपत्यका में जीवन का कोई अवशेष है ही नहीं।


    वाम आंदोलन की त्रासदी है कि हिंदी पट्टी के आधार को खत्म करके पार्टी और आंदोलन को क्षेत्रीय अस्मिताओं का बंधुआ बना दिया गया है।


    बंगाल में जो हो रहा है ,केरल और त्रिपुरा में जो हो रहा है,उसके लिए और बाकी भारत में भी जो हो रहा है,उसके लिए वाम विश्वासघात का अपराध असल में किसी युद्ध अपराध से कम नहीं है।


    गो पट्टी और गोबर प्रदेशों को बाकी देश से अलग करके अजेय दुर्ग जो तास के महलों के मानिंद बना दिये गये,वह हरहराकर अप्राकृतिक मुक्ताबाजारी पीपीपी आपदा में बह निकले हैं और मुट्ठी में बंद सारे तोते उड़ गये हैं।


    लाल धागा का किस्सा कुल मिलाकर यही है।


    नीला धागा तो नजर में ही नहीं आ रहा है।


    लाल न हुआ तो नीला भी असंभव है जैसे नीला भी लाल न हुआ तो सिरे से असंभव है।


    लाल पीले केसरिया न जाने क्या क्या होते रहे और देश भर में बवासीर का नेटवर्क दिनोंदिन दशकों से मजबूत से मजबूत होता रहा।


    न लाल को समझ आयी बात और नीले को समझने की तमीज है।


    बात सिर्फ अस्मिता की हो रही है।


    बात सिर्फ पहचान की हो रही है।


    मनुष्यता पर कोई बात नहीं हो रही है और हम अप्राकृतिक मुक्तबाजीरी पीढ़यों के जड़ों से कटे लोग प्रकृति के मध्य तो कही  हैं ही नहीं,सीमेंट की गुफाओं में हम तंत्र साधना कर रहे हैं।


    बवासीर को तो फूटना ही था।


    अब पहल हिंदी समाज को ही करनी है।


    हिंदी को शत्रु हिंदी राजनीति ने तैयार किये हैं।


    हिंदी के शत्रु सत्ता के केंद्रीयकरण ने किये हैं।बहिस्कार और दमन ,अत्याचार और उत्पीड़न की सत्ता राजनीति ने हिंदी को बाकी भारत में शत्रु बना दिये हैं।


    हिंदी का असली दुश्मन है सलवा जुड़ुम।


    हिंदी का असली दुश्मन है सशस्त्र बल विशेषाधिकार अधिनियम।


    हिंदी का असली दुश्मन है युद्धक अंध राष्ट्रवाद और धर्मोन्मादी युद्धोन्माद।


    हिंदी का असली दुश्मन है अस्मिताबद्ध सता की राजनीति।


    हिंदी का असली दुश्मन है  धर्मोन्मादी ध्रूवीकरण का यह लव जिहाद।


    वरना हमने जन्मजात हिंदी प्रदेशों में आस्था के चरमोत्कर्ष के बावजूद वैसा कट्टरपन देखा नहीं है जो बाकी प्रदेशों में है।दूसरे प्रदेशों के लोगों को हिंदीवाल खदेड़ते नहीं हैं।


    तंत्र मंत्र टोटका ताबीच के मिर्चमसाला का असर बाकी भारत में कहीं बहुत ज्यादा है,मसलन प्रगतिशील वाम वैटारिक बंगाल और केरल में भी।ब्राह्मणवाद के खिलाफ जो मुक्ताचंल महाराष्ट्र और तमिलनाडु है,वहां तो सबसे ज्यादा धार्मिक ध्रूवीकरण है।


    इसके उलट तो असली प्रगतिशील और धर्मनिपेक्ष लोग तो गोबर प्रदेशों में ही बसते हैं। हिमालय के उत्तुंग शिखरों से लेकर विंध्य और अपरबली के आर पार।


    मध्ययुगीन अंधकार को औढ़कर हिंदी वाले खुद ब खुद खुद को पिछड़ा जो साबित कर रहे हैं,वे अपनी लोक परंपराओं और जनपदों की गौरवगाथाओं से अनजान हैं।


    वरना हिंदी हमेशा जनता की भाषा रही है वह राष्ट्र के बनने से पहले राष्ट्र भाषा  थी।


    गांधी, नेहरु,नेताजी,टैगोर,सुनीति कुमार चट्टोपाध्याय,पटेल,राजगोपालाचारी से लेकर अंबेडकर तक और नवउदारवाद जमाने के पहले प्रधानमंत्री नरसिंहा राव से लेकर देवेगौड़ा,गुजराल, डा. मनमोहन सिंह से लेकर नरेंद्र मोदी तक कोई भी हिंदी भाषी नहीं हैं तो मुक्ताबोध और पराड़कर भी हिंदीभाषी नहीं थे।

    नेहरु  उत्तर प्रदेश के थे लेकिन वे उससे ज्यादा कश्मीर के रहे हैं।


    नेहरु को अगर आप हिंदी भाषी मानते हैं उत्तर प्रदेश की वजह से तो पलाश विश्वास तो उत्तराखंड और उत्तर प्रदेश दोनों राज्यों का है,उसे अबे ओ बंगाली या बांग्लादेशी घुसपैठिया कहकर चालीस साल की हिंदी पत्रकारिता रचनाधर्मिता के बावजूद गाली क्यों देते हैं।


    आज रोजनामचे में यह लिखता नहीं था।


    जब तकनीक नहीं थी तो हम अंग्रेजी में ही लिखा करते थे। तकनीक आये तो अहिंदी प्रदेशों को संबोधित करने की गरज से ही लिखते हैं।


    बांग्ला में लिखने की आदत भी नहीं है।लेकिन बंगाल के जादवपुर विश्वविद्यालय में जो युवाशक्ति गोलबंद हो रही है,वह मूलतः बांग्लाभाषी है और एक नयी सुनामी बन रही है।बदलाव की सुनामी।तो भइये,इस मुद्दे को बांग्ला में संबोधित करने में हर्ज क्या है।


    हम करीब एक दशक तक सिर्फ अंग्रेजी में लिखते रहे तो हिंदी के किसी माई के लाल ने ऐतराज नहीं किया,दो चार लेख बांग्ला में लिख दिया तो महाभारत अशुद्ध हो गया।


    मजा यह है कि बंगालियों को भी अंग्रेजी से तकलीफ नहीं है लेकिन बाकी भारतीय भाषाओं से उन्हें कोई मतलब है ही नहीं।


    अंग्रेजी के वर्चस्व की असली वजह यही है कि बाकी भारतीय भाषाएं एक दूसरे को अपनी सौत से कम नहीं समझतीं।


    अंग्रेजी से सही मायने में किसी को तकलीफ नहीं है। हिंदीवालों को भी नहीं।


    दो दिन पहले मैंने अमलेंदु से कहा कि हम तो चाहते हैं कि हस्तक्षेप पर हर भारतीय भाषा के पेज हों।बाकी सोशल मीडिया में भी भारतीय भाषाओं की दीवारें तोड़ दी जाये।


    हमने कहा तमिल तेलुगु मलयालम कन्नड़ हम नहीं जानते लेकिन अन्य भारतीय भाषाओं में एक साथ संवाद करें तो शायद हम अस्मिताओं के इस तिलिस्म से बाहर निकल सकते हैं।


    आप दिल्ली में हैं और गुरमुखी में संवाद करने में आपको ऐतराज हो,इससे बड़ी शर्म कोई दूसरी है नहीं।अंग्रेजी जो न भी जनता हो अपनी हिंग्लिश से वह धाक जमाने से लेकिन बाज नहीं आता।


    हमने अमलेंदु को कहा था कि मैं तो आजकल बांग्ला में नियमित लिख ही रहा हूं तो हम हस्तक्षेप में बांंग्ला पेज से एक पहल तो अभी शुरु कर सकते हैं। फिर आहिस्ते आहिस्ते सहयोगी साथ आयेंगे तो मराठी,गुरमुखी,असमिया,गुजराती वगैरह वगैरह में एक साथ संवाद की शुरुआत कर सकते हैं।पेज बन गया तो लोग जुड़ते रहेंगे।


    मैं आभारी हूं कि हस्तक्षेप पर अमलेंदु ने बांग्ला पेज शुरु कर दिया है और इसका असर पूरे बंगाल में हो रहा है।मैं कोई स्थापित बांगाल लेखक हूं नहीं।बांग्ला में तो क्या हिंदा या अंग्रेजी में भी बंगाल में किसी ने आजतक नहीं छापा।शुरु से लेकर आखिर तक मैं हिंदी का लेखक हूं और हिंदी समाज से अलग मेरा कोई वजूद है ही नहीं।चाहे तमिल तेलुगु मराठी बांग्ला या अंग्रेजी में लिखता रहूं।


    अब अमलेंदु के कलेजे की दाद दीजिये कि एक मामूली हिंदी लेखक के बांग्ला लेखन के भरोसे उसने यह महाप्रयत्न कर डाला।


    हमें तो बाकी लोगों को जल्द से जल्द इस मुहिम में जोड़ना चाहिए क्योंकि यह तो कुल मिलाकर हिंदी समाज की तरफ से बाकी भारतीय भाषाओं के साथ सेतुबंधन का प्रयत्न है।



    हम चाहेंगे कि बाकी भारतीय भाषाओं में हिंदी के साथ साथ हिंदी के सेतुबंधन महाप्रयास के तहत हम एकसाथ संवाद शुरु करें।जो जिस भी भारतीय  भाषा में संवाद कर सकता हो वह हिंदी के साथ साथ चलें तो अंग्रेजी की तो बाट लग ही गयी समझो।


    जनपक्षधर मोर्चे का काम भाषा बंधन है और हमारे अति प्रिय कवि नवारुणदा  आजीवन बंगाल से यह काम करते रहे हैं।हिंदी के अद्यतन साहित्य और दूसरी भाषाओं केनवतम संयोजन को वे बांग्ला में छापते रहे हैं।


    बतौर नवारुण दा को श्रद्धाजलि हम इस एजंडा के एपिसेंटर बतौर हिंदी जनता को नेतृत्वकारी भूमिका में ला सकें तो बवासीर का इलाज संभव है वरना कैंसर बन रहा यह बवासीर तो प्राण लेकर ही रहेंगा।


    সম্মুখসমরে ডরাইব ক্যানে, দ্যাশটাই ত কুরুক্ষ্যাতরো? … আরও আছেন মাথার উপরে রবীন্দ্রনাথের সেই অমোঘ বক্তব্য,যা আবৃত্তি করতে বাঙালি পৃথীবী সময় অসময় জ্ঞান করে না ,তবু শাসকের রক্ত চক্ষুকে ভয়? চিত্ত যেথা ভয়শূণ্য, উচ্চ যেথা শির, জ্ঞান যেথা মুক্ত, যেথা গৃহের প্রাচীর আপন প্রাঙ্গণতলে দিবসশর্বরী বসুধারে রাখে নাই খন্ড ক্ষুদ্র করি, যেথা বাক্য হৃদয়ের উৎসমুখ হতে উচ্ছ্বাসিয়া উঠে,যেথা নির্বারিত স্রোতে… পশ্চিম বঙ্গ ও বাংলাদেশেই শুধু নয়,সারা মহাদেশে ধর্মোন্মাদী প্রতারক রাজনীতিবিদদের আধিপাত্য। মানুষ মারার কল সর্বত্র সমান্তরালে সমানতালে চলছে ত চলছে। আসল নৈরাজ্যের অংশীদার এই ধর্ষণের সংস্কৃতিতে হেফাজত জামায়েত রাজনীতির মহাজোট। পলাশ বিশ্বাস

    $
    0
    0

    সম্মুখসমরে ডরাইব ক্যানে, দ্যাশটাই ত কুরুক্ষ্যাতরো?

    আরও আছেন মাথার উপরে রবীন্দ্রনাথের সেই অমোঘ বক্তব্য,যা আবৃত্তি করতে বাঙালি পৃথীবী সময় অসময় জ্ঞান করে না ,তবু শাসকের রক্ত চক্ষুকে ভয়?


    চিত্ত যেথা ভয়শূণ্য, উচ্চ যেথা শির, জ্ঞান যেথা মুক্ত, যেথা গৃহের প্রাচীর আপন প্রাঙ্গণতলে দিবসশর্বরী বসুধারে রাখে নাই খন্ড ক্ষুদ্র করি, যেথা বাক্য হৃদয়ের উৎসমুখ হতে উচ্ছ্বাসিয়া উঠে,যেথা নির্বারিত স্রোতে…


    পশ্চিম বঙ্গ ও বাংলাদেশেই শুধু নয়,সারা মহাদেশে ধর্মোন্মাদী প্রতারক রাজনীতিবিদদের আধিপাত্য

    মানুষ মারার কল সর্বত্র সমান্তরালে সমানতালে চলছে ত চলছে।

    আসল নৈরাজ্যের অংশীদার এই ধর্ষণের সংস্কৃতিতে হেফাজত জামায়েত রাজনীতির মহাজোট।

    পলাশ বিশ্বাস

    কাজে এল না প্রশাসনিক পদক্ষেপ। নিজেদের দাবিতে অনড় থেকে সম্মুখসমরেই হাঁটলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনকারী ছাত্র-ছাত্রীরা।


    যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রী নিগ্রহের ঘটনায় আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর প্রতিবাদ জানাবে ১০০টি শহরে৷‌ পৃথিবীর বিভিন্ন প্রাম্তে থাকা প্রাক্তনীরা ছাত্রী নিগ্রহ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্পাসে পড়ুয়াদের ওপর পুলিসি অত্যাচারের ঘটনায় সহমর্মিতা জানিয়ে প্রতিবাদে সামিল হবেন৷‌ প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যে যাদবপুরের ঘটনায় শুধু কলকাতা নয়, দেশের বিভিন্ন শহরে প্রতিবাদে সরব হয়েছে পড়ুয়া থেকে সমাজের সব স্তরের মানুষ৷‌


    সম্মুখসমরে ডরাইব ক্যানে,দ্যাশটাই ত কুরুক্ষ্যাতরো?


    প্রতিষ্ঠানের সমন্তরাল ক্ষমতার রাজনীতি ও শাসকের চোখরাঙাণিতে চলা বিবেকহীন প্রতিষ্ঠানের এই দুঃসময়ের নাম আজকের যাদপুরের প্রতিরোধ।


    যাদবপুরকে সমর্থন না জানানোটাই হয়ত সব চেয়ে বড় অপরাধ।

    পাশে আছি যাদবপুর।


    আজকালের প্রতিবেদন: যাদবপুর-কাণ্ডের প্রতিবাদে মেডেল ফিরিয়ে দিয়ে গেলেন সেখানকার এক কৃতী পড়ুয়া৷‌ সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে অহনা পন্ডা তাঁর পদক ফিরিয়ে দিলেন৷‌ তিনি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ছাত্রী ছিলেন৷‌ ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট হয়েছিলেন৷‌ এই কৃতিত্বের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁকে দিয়েছিলেন সোনার মেডেল৷‌ এদিন তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করতে যান৷‌ কিন্তু উপাচার্য ছিলেন না৷‌ পরে তিনি সহ-উপাচার্য সিদ্ধার্থ দত্ত, রেজিস্ট্রার প্রদীপ ঘোষের সঙ্গে দেখা করেন৷‌ যাদবপুরে ছাত্রদের ওপর পুলিসের লাঠিচার্জের প্রতিবাদে ফিরিয়ে দেন সেই মেডেল৷‌


    নজরুলের কথায়ঃ

    আমি চিরদূর্দম, দুর্বিনীত, নৃশংস,

    মহা- প্রলয়ের আমি নটরাজ, আমি সাইক্লোন, আমি ধ্বংস!

    আমি মহাভয়, আমি অভিশাপ পৃথ্বীর,

    আমি দুর্বার,

    আমি ভেঙে করি সব চুরমার!

    আমি অনিয়ম উচ্ছৃঙ্খল,

    আমি দ'লে যাই যত বন্ধন, যত নিয়ম কানুন শৃঙ্খল!

    আমি মানি না কো কোন আইন,

    আমি ভরা-তরী করি ভরা-ডুবি, আমি টর্পেডো, আমি ভীম ভাসমান মাইন!

    আমি ধূর্জটি, আমি এলোকেশে ঝড় অকাল-বৈশাখীর

    আমি বিদ্রোহী, আমি বিদ্রোহী-সুত বিশ্ব-বিধাতৃর!

    বল বীর -

    চির-উন্নত মম শির!


    আরও আছেন মাথার উপরে রবীন্দ্রনাথের সেই অমোঘ বক্তব্য,যা আবৃত্তি করতে বাঙালি পৃথীবী সময় অসময় জ্ঞান করে না ,তবু শাসকের রক্ত চক্ষুকে ভয়?


    চিত্ত যেথা ভয়শূণ্য, উচ্চ যেথা শির, জ্ঞান যেথা মুক্ত, যেথা গৃহের প্রাচীর আপন প্রাঙ্গণতলে দিবসশর্বরী বসুধারে রাখে নাই খন্ড ক্ষুদ্র করি, যেথা বাক্য হৃদয়ের উৎসমুখ হতে উচ্ছ্বাসিয়া উঠে,যেথা নির্বারিত স্রোতে...



    বাংলা কবিতার পাতা খুললেই হয়,বাঙালি স্বভাব কবি

    হরেক রকমের বাঙালি

    অন্যমিল দিলেই,ভক্তকুল পেলেই কবি

    তাঁদের জন্যই নিবেদনঃ

    নিত্য তব চিত্তে জাগিছে হৃদয়, বিশ্ব ধরনীতে অপূর্ন যাহা তাই । কৃশ আধারে শঙ্খের আওয়াজ জাগিলো যেথা হায় তব বিনিদ্র সে রজনী তাহার তরে পুরে হল ছাই । হৃদয়ের সাথে আজি এ মন করিছে যেথাখেলা হায় কত বিচিত্র সে হৃদয়, খুঁজে দেখো তাহা মাঝে আছে কি আমার ঠায় । তব এ প্রান আজ সখা উথলিয়া উঠে ঐ মন দুয়ারে, হৃদয় দুয়ার খুলে লও …

    আরও আছেন মাথার উপরে রবীন্দ্রনাথের সেই অমোঘ বক্তব্য,যা আবডত্তি করতে বাঙালি পৃথীবী সময় অসময় জ্ঞান করে না ,তবু শাসকের রক্ত চক্ষুকে ভয়


    চিত্ত যেথা ভয়শূণ্য, উচ্চ যেথা শির, জ্ঞান যেথা মুক্ত, যেথা গৃহের প্রাচীর আপন প্রাঙ্গণতলে দিবসশর্বরী বসুধারে রাখে নাই খন্ড ক্ষুদ্র করি, যেথা বাক্য হৃদয়ের উৎসমুখ হতে উচ্ছ্বাসিয়া উঠে,যেথা নির্বারিত স্রোতে


    লণ্ডনের ইণ্ডিয়া সোসাইটি থেকে একই নামে কবি উইলিয়াম বাটলার ইয়েটস এর লেখা ভূমিকা নিয়েরবীন্দ্রনাথের নিজের ইংরেজীতে অনুবাদ করা বইটি প্রকাশিত হয় ১০৩টি গান .... ক্লান্ত চিত্তে নাহি তুলি ক্ষীণ কলরব তোমার পূজার অতি দরিদ্র উত্সব | রাত্রি এনে দাও তুমি ... উচ্ছ্বসিয়া উঠে, যেথা নির্বারিত স্রোতে দেশে দেশে দিশে দিশে কর্মধারা ধায়


    আমার চিত্তে তোমার সৃষ্টিখানি রচিয়া তুলিছে বিচিত্র এক বাণী। তারি সাথে প্রভু মিলিয়া তোমার প্রীতি জাগায়ে তুলিছে আমার সকল গীতি, আপনারে তুমি ... যেথা আসনের মূল্য না হয় দিতে, যেথা রেখা দিয়ে ভাগ করা নেই কিছু যেথা ভেদ নাই মানে আর অপমানে, স্থান দাও সেথা সকলের মাঝখানে। যেথা বাহিরের আবরণ নাহি রয়, যেথা আপনার উলঙ্গ পরিচয়।


    খবরে ক্রমশঃ প্রকাশ্য,অন্যায়ের বিরুদ্ধে ছাত্ররা গর্জে উঠলে কী হতে পারে, বৃষ্টিভেজা মিছিল থেকেই তা অনেকটা পরিষ্কার। যাদবপুরের উপাচার্য পদত্যাগ না করা পর্যন্ত প্রতিবাদের এই গর্জন যে থামবে না, তাও সাফ বুঝিয়ে দিলেন যাদবপুরের পড়ুয়ারা।


    শাসকের রক্তচক্ষু ক্ষমতার রাজনীতির স্রবশক্তির বিরুদ্ধে অতএব  আন্দোলনকে বৃহত্তর আকার দিতে সোমবার তাঁরা ঘোষণা করলেন আরও একগুচ্ছ কর্মসূচি।


    শাসক সাবধান,এই কর্মসুচির মধ্যেই রয়েছে- চানা ক্লাস বয়কট, গণ কনভেনশন, লালবাজার অভিযান এবং বিশ্ব প্রতিবাদ দিবস।


    ইতিমধ্যে যাদবপুরকাণ্ডে প্রতিবাদের ঢেউ আছড়ে পড়েছে দেশজুড়ে।


    সেই ঢেউকে গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে উদ্যোগী হয়েছেন পড়ুয়ারা।


    বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে থাকা প্রাক্তনীদের মাধ্যমে বৃহস্পতিবার ডাক দেওয়া হয়েছে গ্লোবাল প্রটেস্ট ডে-র। সেদিন বিশ্বের ১০০টি শহরে একসঙ্গে আয়োজন করা হবে প্রতিবাদ কর্মসূচির।


    বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অবশ্য সোমবার থেকে অবিলম্বে ক্লাস শুরুর জন্য নোটিস জারি করেছে। জট কাটাতে আলোচনায় বসার আহ্বানও জানিয়েছেন তাঁরা। যদিও রেজিস্ট্রার প্রদীপকুমার ঘোষের সেই আর্জি খারিজ করে দিয়েছেন ছাত্ররা।


    আন্দোলনের দাবি ন্যায়ের দাবি।

    অন্যায়ের সঙ্গে বোঝাপড়া নয়।


    আন্দোলনের গন্ধে এখনও মদ গাঁজা ভাঙ্গের অবদান খুঁজছে যে অন্ধ ভক্তকুল,তাদের বোঝার খথা নয় যে আমাদেরই ঘরের ছেলেমেয়ে,পড়ুয়াদের  দাবি একটাই, যে উপাচার্য পুলিশ ডেকে তাঁদের লাঠিপেটা করেছেন, তাঁর অপসারণ।


    যতদিন তা না হচ্ছে, ততদিন প্রতিবাদ চলবে।

    ধামাচাপা দিয়ে এই বিদ্রোহের আগুন নেভানো অসম্ভব,সর্বশক্তিমান বর্ণ আধিপাত্যের ক্ষমতা রাজনীতির বিবেক জগবে না কোনো দিন।

    কোনো দিনই না।



    অথছ বলা হচ্ছে ,যাদবপুরকাণ্ড, সুরঞ্জন দাসকে চেয়ারম্যান করে ৬ জনের তদন্ত কমিটি গড়ল রাজ্য সরকার।সরকার এবার যাদবপুর কাণ্ডে কিছুটা নমনীয় হল ।যেহেতু গতকাল রাতে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়েছেন ছাত্রী নিগ্রহের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হচ্ছে।


    তারপর সোমবারই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে চেয়ারম্যান করে এই তদন্ত কমিটি গঠন করল। সাংবাদিক সম্মেলনে একথা জানান রাজ্যের শিক্ষ‌ামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।


    তবে ছাত্রদের দাবি মত উপাচার্যের অপসারণ প্রশ্নে নীরব শিক্ষামন্ত্রী।


    ইতিমধ্যে কোলকাতায কামদুনি আমদানি প্রশাসনিক দক্ষতার আবার আরেকটি নিদর্শন।


    মজার কথা হল,যাদবপুরে নির্যাতিতা ছাত্রীর বাবা শুক্রবার আশঙ্কা প্রকাশ করেন, মেয়ের শ্লীলতাহানির ঘটনা ধামাচাপা পড়ে যেতে পারে।


    তাত্পর্য্যপূর্ণ ভাবে গোটা ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করেন তিনি।


    জ্ঞাতব্য, এই ঘটনার দুদিন পর রবিবার যাদবপুরকাণ্ডের নির্যাতিতার সঙ্গে দেখা করে ন্যায় বিচারের আশ্বাস দেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এরপর রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন তিনি।


    এবং রাতে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার পর পার্থ চট্টোপাধ্যায় যাদবপুরকাণ্ডে নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য কমিটি গড়ার কথা ঘোষণা করেন।


    শিক্ষা মহলের একাংশের ধারণা, যাদবপুরকাণ্ডে ব্যাপক আন্দোলনের জেরে তদন্ত কমিটি তৈরি করে কিছুটা নমনীয় হল রাজ্য। কারণ এই তদন্ত কমিটি নিয়েই দিন কয়েক আগেই ভিন্ন সুর শোনা গিয়েছিল শিক্ষামন্ত্রীর গলায়।


    তবে উপাচার্য পদত্যাগ না করলে ছাত্ররা ক্লাস বয়কট চালিয়ে যাবেন শুধু না, উপাচার্যকে ঢুকতে দেওয়া হবে না বলে সাফ জানিয়ে দেন।


    এপার বাংলায় রাজনৈতিক মেরুকরণের যথাসম্ভব ক্ষমতার রসায়নে এসিডজ্বলা ছাত্রসমাজের চেহারা,শিক্ষাক্ষেত্রের নৈরাজ্য ঠিক কোন জাযগায় যেতে পারে,শাহবাগের উজ্জ্বল ছবির পাশাপাশি তার একটি চিত্রঃচট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় ঘণ্টাব্যাপী গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। রোববার মধ্যরাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্বশান্তি প্যাগোডা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।


    এ সময় ছাত্রলীগ কর্মীরা স্থানীয় নুর কটেজ ও বিশ্বশান্তি প্যাগোডা হোস্টেলের বেশ কয়েকটি কক্ষে ভাংচুর চালিয়েছে বলে জানা গেছে। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।


    হাটহাজারী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ইসমাইল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, রাকিব নামে এক ছাত্রলীগ নেতা আদিবাসী শিক্ষার্থীদের জন্য রক্ষিত ছাত্রবাস প্যাগোডায় অবস্থান করছে বলে খবর পেয়ে ছাত্রলীগের একটি গ্রুপ সেখানে গেলে উভয় গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলি হয়। এতে কোনো হতাহত হয়নি।


    বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক সুমন মামুন বলেন, ভিএক্সের কর্মীরা বিনা উসকানিতে বিশ্বশান্তি প্যাগোডার দুইটি ও স্থানীয় নুর কটেজের চারটি কক্ষে ভাংচুর চালিয়েছে। তারা এ সময় ২০-২৫ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে এবং কটেজের কক্ষে থাকা শিক্ষার্থীদের সনদে আগুন দেয়।


    বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক দফতর সম্পাদক জালাল আহমেদ বলেন, প্যাগোডা হচ্ছে আদিবাসী শিক্ষার্থীদের জন্য রক্ষিত। কিন্তু সুমন মামুনের নেতৃত্বে ছাত্রলীগ নামধারী বহিরাগতরা প্যাগোডার বৈধ শিক্ষার্থীদের বের করে দিয়ে বেশ কয়েকটি কক্ষ দখল করে নেয়।


    নৈরাজ্যের আর একটি চিত্র সেটাও ওপার বাংলার।সোনাকান্তি বরুআর চিত্রার্পণেঃ আমরা কি মানুষ না আমাদেরকে ধর্মের নামে অধর্মের ভূতে পেয়েছে। বাংলাদেশে অর্পিত সম্পত্তি বা শত্রু সম্পত্তির অর্থ কি? মানুষ জাতি বা আশরাফুল মাকলুকাত শয়তানের গোলাম হয়ে পাকিস্তানের লাল মসজিদ রক্ত গঙ্গায় ভাসানোর দরকার ছিল না।


    ধর্মের নামে নর নারী হত্যা কোন ধর্মেরই পবিত্র বাণী নয়।


    ধর্মের নামে যে পশু আমাদের অন্তরে প্রবেশ করেছে সেই পশুকে মানবতার অস্ত্র দিয়ে ধ্বংস করে মানবতার দেশ গড়ে তুলতে হবে।


    অহিংসার মহব্বতই মানবিক কর্মযজ্ঞ।


    অপেক্ষার সময় ফুরিয়ে গেছে। সময় এসেছে সামপ্রদায়িক ও ধর্মভিত্তিক রাজনীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবার।


    বাংলাদেশে প্রতারক রাজনীতিবিদগণের চরিত্র কয়লার মত শত ধু'লে ও ময়লা যায় না। প্রতারণার রাজনীতিতে দেশ ও জাতি স্বাধীনতায় অমৃতের সাধ ভোগ করতে করতে ও করতে পারেন নি।


    বিগত দুর্নীতিবাজ জোট সরকারের পৈশাচিক উল্লাসনৃত্যের আমলে ৫০০ বোমার প্রতিধ্বনিতে আলকায়দার হায়নারা চট্টগ্রামের গহন বনে প্রবেশ করে কোথায় হারিয়ে গেল?


    মা মাটি মানুষের সরকার ,শুনছেন কি?


    পশ্চিম বঙ্গ ও বাংলাদেশেই শুধু নয়,সারা মহাদেশে ধর্মোন্মাদী প্রতারক রাজনীতিবিদদের আধিপাত্য


    মানুষ মারার কল সর্বত্র সমান্তরালে সমানতালে চলছে ত চলছে।


    আসল নৈরাজ্যের অংশীদার এই ধর্ষণের সংস্কৃতিতে হেফাজত জামায়েত রাজনীতির মহাজোট।


    সহবাগ আন্দোলন ঠেকাবার মরিয়া চেষ্টায় জামাত হেফাজতের এই কারসাজির আলোকে পশ্চিম বঙ্গের ভবিষ্যত ও ভবিতব্য যে একই খাতে বইছে,হালের ঘটনাবলী সেই অশনিসংকেতই করছে।


    যাদবপুরের ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে ক্ষমতার রাজনীতি ও শাসকের সংলাপহীন  অতি সক্রিয়তা যে কত বড় সর্বনাশ ডেকে আনতে পারে,সারা রাজ্যে ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে দাবানলের মত ছড়িয়ে পড়া সন্ত্রাস আস্তরণ তারই বনজির নজির।


    প্রতিষ্ঠানের সমন্তরাল ক্ষমতার রাজনীতি ও শাসকের চোখরাঙাণিতে চলা বিবেকহীন প্রতিষ্ঠানের এই দুঃসময়ের নাম আজকের যাদপুরের প্রতিরোধ।


    যাদবপুরকে সমর্থন না জানানোটাই হয়ত সব চেয়ে বড় অপরাধ।

    পাশে আছি যাদবপুর।


    ইতিমধ্যে যাদবপুরের নিগৃহীতা ছাত্রীর অভিযোগ সত্য কিনা তা খতিয়ে দেখার কাজ শুরু করে দিল সরকার গঠিত কমিটি। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করলেন চেয়ারম্যান সুরঞ্জন দাস। পরে কমিটির দুই সদস্য দেখা করেন নির্যাতিতার সঙ্গে। অন্যদিকে, কমিটির বিরুদ্ধে পক্ষপাতের যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন চেয়ারম্যান।

    গত ২৮ অগাস্ট যাদবপুরের হস্টেলের মধ্যে তাঁকে নিগ্রহ করে তারই কয়েকজন সহপাঠী। ছাত্রীর অভিযোগ, অধ্যক্ষের ভূমিকা, প্রতিবাদে বিক্ষোভ  পুলিসের লাঠিচার্জ। সবমিলিয়ে সংবাদ শিরোনামে যাদবপুর।

    ঘটনার ২৫ দিন পরও নীরব ছিল সরকার। কিন্তু, ছাত্রছাত্রীর রাজপথে কলরব, রাজ্যপালের হস্তক্ষেপের জেরে বাড়তে থাকে চাপ। শেষপর্যন্ত সুরঞ্জন দাসের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন হয়। মঙ্গলবার থেকে কাজ শুরু করে দিল সেই কমিটি।

    দুপুরে তদন্ত কমিটির দুই সদস্য প্রথমে নির্যাতিতার বাবা ও পরে নির্যাতিতার সঙ্গে দেখা করেন। কমিটি গঠনের পরই নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ছাত্রছাত্রীরা। তাঁদের অভিযোগ, কমিটির অধিকাংশ সদস্যই শাসকদলের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। কেন বিশাখার সুপারিশ মেনে কোনও মহিলাকে কমিটির চেয়ারম্যান করা হলনা প্রশ্ন ওঠে তানিয়েও। যদিও অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাশ।

    এদিন সরকারের পক্ষে সরব হয়েছিলেন আরও কয়েকজন। যাদবপুরকাণ্ডে ছাত্রবিক্ষোভকে ঠেকাতে সরকার যে কতটা মরিয়া উপাচার্যদের সাংবাদিক  সম্মেলন তার আরও একটা প্রমাণ বলেই মত রাজনৈতিক মহলের।

    প্রতিষ্ঠানের সমন্তরাল ক্ষমতার রাজনীতি ও শাসকের চোখরাঙাণিতে চলা বিবেকহীন প্রতিষ্ঠানের এই দুঃসময়ের নাম আজকের যাদপুরের প্রতিরোধ।


    যাদবপুরকে সমর্থন না জানানোটাই হয়ত সব চেয়ে বড় অপরাধ।

    পাশে আছি যাদবপুর।


    24 ঘন্টার খবরঃযাদবপুরকাণ্ডে নাটকীয় মোড়। তৃণমূলের মিছিলে যোগ দিলেন নিগৃহীতা ছাত্রীর বাবা। গত শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক করে যাদবপুরকাণ্ডের জন্য উপাচার্যকেই কাঠগড়ায় তুলে ছিলেন তিনি। কিন্তু, শিক্ষামন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রী তাঁর সঙ্গে কথা বলার পরই  আজ তৃণমূলের অবস্থান বিক্ষোভে যোগ দিয়ে বললেন, উপাচার্যের বিরুদ্ধে আন্দোলনের আর কোনও প্রয়োজন নেই।

    তখনও উত্তাল কামদুনি। শাস্তির দাবিতে দেশজুড়ে আন্দোলন।সরব নির্যাতিতার পরিবার।

    এরপরই ক্যামেরার আড়ালে ঘটে গেল বেশকিছু ঘটনা। নির্যাতিতার পরিবারের একাধিক সদস্য  সরকারি চাকরি পেলেন।  সরকারি ব্যবস্থাপনায় বাড়ি। তারপরই বদলে গেল পরিবারের সুর। এখন সরকারের পাশেই  নির্যাতিতার পরিবার।

    এবারও সেই একই স্ক্রিপ্ট। শুধু স্থান কাল আর পাত্রের পরিবর্তন। যাদবপুরের নিগৃহীতা ছাত্রীর বাবা এই সেদিনও ছিলেন সরকারের বিরুদ্ধে সরব।

    তার মেয়ের পাশে দাঁড়াতে রাস্তায় ছাত্রছাত্রীরা।

    রবিবার তার বাড়ির দুয়ারে হাজির লালবাতির গাড়ি। প্রায় ঘণ্টাখানের রুদ্ধদ্বার বৈঠক। সোমবার সকালে  সোজা নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আরও একপ্রস্ত আলোচনা। তারপর সেখান থেকে সোজা মেয়ো রোডের অবস্থানে।

    এখানেই শেষ নয়। যে উপাচার্যের বিরুদ্ধে সংবাদমাধ্যমের সামনে বাছাই বাছাই শব্দ ব্যবহার করতেন তিনি এবার সেই তিনিই আর আন্দোলনের কোনও যৌক্তিকতা খুঁজে পাচ্ছেন না।

    অবশ্য এমন সুর বদল দেখে একেবারেই অবাক নন ছাত্রছাত্রীরা। কারণ গত তিনবছর ধরে শুধু সুর বদল নয় বহু দলবদল দেখতেও এখনও অভ্যস্ত মহানগরী। আর তাই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের দাবি আন্দোলন চলবে।

    এবিপি আনন্দের প্রতিবেদনঃশিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় আগেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অভিজিৎ চক্রবর্তীর পাশে দাঁড়িয়েছেন। এবার যাদবপুরের উপাচার্যর পাশে তৃণমূল আমলে নিযুক্ত রাজ্যের সাত উপাচার্য। তাঁরা হলেন,বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রঞ্জন চক্রবর্তী, কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রতনলাল হাংলু, উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোমনাথ ঘোষ, বর্ধমান  বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য স্মৃতিকুমার সরকার, সিধো-কানহু-বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সমিতা মান্না, কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অনুরাধা মুখোপাধ্যায় এবং প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রঞ্জন ভট্টাচার্য। সঙ্গে ছিলেন উচ্চশিক্ষা সংসদের ভাইস চেয়ারম্যান মলয়েন্দু সাহাও।

    তৃণমূল আমলে নিয়োগপত্র পাওয়া এই সাত উপাচার্যর কাছে ছাত্রদের ঘেরাও বেদনাদায়ক। কিন্তু, সন্তানতুল্য ছাত্রদের ওপর পুলিশের নির্বিচারে অত্যাচার তাঁদের বিশেষ ভাবায় না। তাই ছাত্রপেটানো নিয়ে তেমন কোনও বাক্য খরচ করলেন না তাঁরা। দ্বিধা করলেন না অভিজিত চক্রবর্তীকে ক্লিনচিট দিতেও।

    রঞ্জন চক্রবর্তী বলেছেন, ওই দিন রাতে ছাত্রদের ঘেরাওয়ে তিনি বেদনাহত। তাঁরা যাদবপুরের উপাচার্যের পাশেই রয়েছেন।

    তাৎপর্যপূর্ণভাবে অনেকেই এই উপাচার্যদের বক্তব্যের সঙ্গে মিল খুঁজে পাচ্ছেন সরকার, শাসক দল এমনকী পুলিশ কমিশনারের সাফাইয়ের। যদিও খোদ উপাচার্যদের সাফাই, কোনও দলের হয়ে নয়, যাদবপুরে শিক্ষার পরিবেশ ফেরাতেই ছাত্রদের কাছে তাঁদের এই আর্জি। কোনও কোনও উপাচার্য তো আবার নিজের যুক্তি জোরাল করতে গিয়ে অতীতের পুলিশি তাণ্ডবের প্রসঙ্গও টেনে আনলেন।

    উপাচার্যদের এই যুক্তিতে অনেক শিক্ষাবিদই প্রশ্ন তুলছেন, এটা কি ৩৪ বছর বনাম তিন বছরের রাজনৈতিক ফিরিস্তির লড়াই চলছে? তবে তৃণমূল আমলে নিযুক্ত সাত উপাচার্য অবশ্য সেসব জটিলতায় ঢুকতে চাননি। তাঁরা ব্যস্ত ছিলেন অভিজিৎ চক্রবর্তীর পদত্যাগের দাবি খারিজ করতেই।রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেছেন, এধরনের দাবি অযৌক্তিক।

    শিক্ষাবিদরা বলছেন, উপাচার্য নিরপেক্ষ হবেন, এটাই অভিপ্রেত, বাঞ্ছনীয়। শিক্ষার পক্ষে সেটাই মঙ্গল। কিন্তু, এদিন তৃণমূল আমলে নিযুক্ত উপাচার্যদের বক্তব্য যেভাবে শিক্ষামন্ত্রী বা পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে কার্যত হুবহু মিলে গেল, তারপর কি আর উপাচার্যদের কাছে নিরপেক্ষতা আশা করা যায়? উপাচার্যদের এই বক্তব্য কি শাসকের প্রতি তাঁদের আনুগত্যের প্রকাশ? অনেকে আবার প্রশ্ন তুলছেন, ছাত্রদের দাবিকে নস্যাৎ করে, পুলিশের তাণ্ডবকে কৌশলে এড়িয়ে, ঘেরাওকে বড় করে দেখানোর মধ্যে কি কোনও বিশেষ রাজনীতি আছে? নাহলে তৃণমূলের পাল্টা মিছিল সাড়া ফেলতে না পারার পরদিনই উপাচার্যদের ময়দানে নামানো কেন?




    আজকালের প্রতিবেদন: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের প্রতিবাদের লড়াইকে সংহতি জানিয়ে দেশ জুড়ে 'যাদবপুর সংহতি দিবস'পালন করতে চলেছে এস এফ আই৷‌ ২৬ সেপ্টেম্বর দেশ জুড়ে এই সংহতি দিবস পালন করা হবে৷‌ ক্যাম্পাসে গণতন্ত্র রক্ষা ও শাম্তি বজায় রাখার আহ্বানই হবে সংহতি দিবসের মূল স্লোগান৷‌ এস এফ আইয়ের স্লোগান: ছাত্রদের মনের উঠোন রাঙিয়ে তুলুক, যাদবপুরের অন্ধকারে আগুন জ্বলুক৷‌ এস এফ আইয়ের রাজ্য সম্পাদক দেবজ্যোতি দাস বলেন, যাদবপুরের ছাত্রছাত্রীরা যে লড়াইটা শুরু করেছেন, সেটা আজ শুধু রাজ্য নয়, সারা দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছে৷‌ এই প্রতিবাদের মূল দাবিটাই হল ক্যাম্পাসে গণতান্ত্রিক অধিকারকে প্রতিষ্ঠা করা৷‌ আমাদের বক্তব্য ক্যাম্পাসটা পড়ুয়াদের৷‌ সমাজবিরোধী বা পুলিসের নয়৷‌ এস এফ আই ক্যাম্পাসে এই গণতান্ত্রিক পরিবেশকে বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর৷‌ এর জন্য এস এফ আই চায় ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন৷‌ দেবজ্যোতি বলেন, ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনের জন্য আইসা, ডি এস ও, ছাত্র পরিষদ–সব ছাত্র সংগঠনের কাছেই আমরা আবেদন করছি৷‌ ক্যাম্পাসের দখল যাতে ছাত্রদের হাতেই থাকে, কোনও সমাজবিরোধী বা পুলিসের কাছে নয়, তার জন্য প্রয়োজনে এস এফ আই নিজেদের পতাকাটাকেও তুলে রাখবে বলেও জানান দেবজ্যোতি৷‌ এস এফ আইয়ের বক্তব্য, যাদবপুরে মধ্যরাতে পুলিসি আক্রমণের পর সমস্ত ছাত্র সমাজের মধ্যে একটা ঐক্যের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে৷‌ এই ঘটনার পর রাজ্য জুড়ে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে৷‌ বিক্ষোভ, সমাবেশ, মিছিলে তোলপাড় হয়েছে রাজ্য৷‌ প্রতিবাদের ঝড় আছড়ে পড়েছে ভিনরাজ্যেও৷‌ গত শনিবার রাজপথে যাদবপুরের সঙ্গে মিছিলে বিভিন্ন সংগঠনের ছাত্ররা যেমন ছিলেন, তেমনি এমন অনেকেও যুক্ত হয়েছিলেন যাঁরা সংগঠিত ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত নন৷‌ দেবজ্যোতি বলেন, আমরা এই ঐক্যটা ধরে রাখতে বদ্ধপরিকর৷‌ এই আন্দোলনকে ভেঙে দেওয়ার চক্রাম্তও চলছে৷‌ আন্দোলনকে ছোট করতে গাঁজা-চরসের তত্ত্বও খাড়া করা হচ্ছে৷‌ যার প্রতিবাদে এস এফ আইয়ের সংহতি দিবস৷‌ ওই দিন সিমলায় হিমাচল বিশ্ববিদ্যালয়ে যাদবপুরের সমর্থনে এবং ক্যাম্পাসে শাম্তি ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ বজায় রাখতে সমাবেশ করা হবে বলেও জানান দেবজ্যোতি৷‌


    প্রতিষ্ঠানের সমন্তরাল ক্ষমতার রাজনীতি ও শাসকের চোখরাঙাণিতে চলা বিবেকহীন প্রতিষ্ঠানের এই দুঃসময়ের নাম আজকের যাদপুরের প্রতিরোধ।


    যাদবপুরকে সমর্থন না জানানোটাই হয়ত সব চেয়ে বড় অপরাধ।

    পাশে আছি যাদবপুর।




    বিদ্রোহী – কাজী নজরুল ইসলাম


    বল বীর -

    বল উন্নত মম শির!

    শির নেহারি'আমারি নতশির ওই শিখর হিমাদ্রির!

    বল বীর -

    বল মহাবিশ্বের মহাকাশ ফাড়ি'

    চন্দ্র সূর্য গ্রহ তারা ছাড়ি'

    ভূলোক দ্যুলোক গোলক ভেদিয়া

    খোদার আসন 'আরশ'ছেদিয়া,

    উঠিয়াছি চির-বিস্ময় আমি বিশ্ববিধাতৃর!

    মম ললাটে রুদ্র ভগবান জ্বলে রাজ-রাজটীকা দীপ্ত জয়শ্রীর!

    বল বীর -

    আমি চির উন্নত শির!


    আমি চিরদূর্দম, দুর্বিনীত, নৃশংস,

    মহা- প্রলয়ের আমি নটরাজ, আমি সাইক্লোন, আমি ধ্বংস!

    আমি মহাভয়, আমি অভিশাপ পৃথ্বীর,

    আমি দুর্বার,

    আমি ভেঙে করি সব চুরমার!

    আমি অনিয়ম উচ্ছৃঙ্খল,

    আমি দ'লে যাই যত বন্ধন, যত নিয়ম কানুন শৃঙ্খল!

    আমি মানি না কো কোন আইন,

    আমি ভরা-তরী করি ভরা-ডুবি, আমি টর্পেডো, আমি ভীম ভাসমান মাইন!

    আমি ধূর্জটি, আমি এলোকেশে ঝড় অকাল-বৈশাখীর

    আমি বিদ্রোহী, আমি বিদ্রোহী-সুত বিশ্ব-বিধাতৃর!

    বল বীর -

    চির-উন্নত মম শির!


    আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি,

    আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি'।

    আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ,

    আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ।

    আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল,

    আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি'ছমকি'

    পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি'

    ফিং দিয়া দিই তিন দোল;

    আমি চপলা-চপল হিন্দোল।

    আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা,

    করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা,

    আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা!

    আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর;

    আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর!

    বল বীর -

    আমি চির উন্নত শির!


    আমি চির-দুরন্ত দুর্মদ,

    আমি দুর্দম, মম প্রাণের পেয়ালা হর্দম হ্যায় হর্দম ভরপুর মদ।


    আমি হোম-শিখা, আমি সাগ্নিক জমদগ্নি,

    আমি যজ্ঞ, আমি পুরোহিত, আমি অগ্নি।

    আমি সৃষ্টি, আমি ধ্বংস, আমি লোকালয়, আমি শ্মশান,

    আমি অবসান, নিশাবসান।

    আমি ইন্দ্রাণী-সুত হাতে চাঁদ ভালে সূর্য

    মম এক হাতে বাঁকা বাঁশের বাঁশরী আর রণ-তূর্য;

    আমি কৃষ্ন-কন্ঠ, মন্থন-বিষ পিয়া ব্যথা-বারিধীর।

    আমি ব্যোমকেশ, ধরি বন্ধন-হারা ধারা গঙ্গোত্রীর।

    বল বীর -

    চির – উন্নত মম শির!


    আমি সন্ন্যাসী, সুর-সৈনিক,

    আমি যুবরাজ, মম রাজবেশ ম্লান গৈরিক।

    আমি বেদুঈন, আমি চেঙ্গিস,

    আমি আপনারে ছাড়া করি না কাহারে কুর্ণিশ!

    আমি বজ্র, আমি ঈশান-বিষাণে ওঙ্কার,

    আমি ইস্রাফিলের শিঙ্গার মহা হুঙ্কার,

    আমি পিণাক-পাণির ডমরু ত্রিশূল, ধর্মরাজের দন্ড,

    আমি চক্র ও মহা শঙ্খ, আমি প্রণব-নাদ প্রচন্ড!

    আমি ক্ষ্যাপা দুর্বাসা, বিশ্বামিত্র-শিষ্য,

    আমি দাবানল-দাহ, দাহন করিব বিশ্ব।

    আমি প্রাণ খোলা হাসি উল্লাস, – আমি সৃষ্টি-বৈরী মহাত্রাস,

    আমি মহা প্রলয়ের দ্বাদশ রবির রাহু গ্রাস!

    আমি কভূ প্রশান্ত কভূ অশান্ত দারুণ স্বেচ্ছাচারী,

    আমি অরুণ খুনের তরুণ, আমি বিধির দর্পহারী!

    আমি প্রভোন্জনের উচ্ছ্বাস, আমি বারিধির মহা কল্লোল,

    আমি উদ্জ্বল, আমি প্রোজ্জ্জ্বল,

    আমি উচ্ছ্বল জল-ছল-ছল, চল-ঊর্মির হিন্দোল-দোল!


    আমি বন্ধন-হারা কুমারীর বেণু, তন্বী-নয়নে বহ্ণি

    আমি ষোড়শীর হৃদি-সরসিজ প্রেম উদ্দাম, আমি ধন্যি!

    আমি উন্মন মন উদাসীর,

    আমি বিধবার বুকে ক্রন্দন-শ্বাস, হা হুতাশ আমি হুতাশীর।

    আমি বন্চিত ব্যথা পথবাসী চির গৃহহারা যত পথিকের,

    আমি অবমানিতের মরম বেদনা, বিষ – জ্বালা, প্রিয় লান্চিত বুকে গতি ফের

    আমি অভিমানী চির ক্ষুব্ধ হিয়ার কাতরতা, ব্যথা সুনিবিড়

    চিত চুম্বন-চোর কম্পন আমি থর-থর-থর প্রথম প্রকাশ কুমারীর!

    আমি গোপন-প্রিয়ার চকিত চাহনি, ছল-ক'রে দেখা অনুখন,

    আমি চপল মেয়ের ভালোবাসা, তা'র কাঁকন-চুড়ির কন-কন!

    আমি চির-শিশু, চির-কিশোর,

    আমি যৌবন-ভীতু পল্লীবালার আঁচড় কাঁচলি নিচোর!

    আমি উত্তর-বায়ু মলয়-অনিল উদাস পূরবী হাওয়া,

    আমি পথিক-কবির গভীর রাগিণী, বেণু-বীণে গান গাওয়া।

    আমি আকুল নিদাঘ-তিয়াসা, আমি রৌদ্র-রুদ্র রবি

    আমি মরু-নির্ঝর ঝর ঝর, আমি শ্যামলিমা ছায়া-ছবি!

    আমি তুরীয়ানন্দে ছুটে চলি, এ কি উন্মাদ আমি উন্মাদ!

    আমি সহসা আমারে চিনেছি, আমার খুলিয়া গিয়াছে সব বাঁধ!


    আমি উথ্থান, আমি পতন, আমি অচেতন-চিতে চেতন,

    আমি বিশ্ব-তোরণে বৈজয়ন্তী, মানব-বিজয়-কেতন।

    ছুটি ঝড়ের মতন করতালি দিয়া

    স্বর্গ মর্ত্য-করতলে,

    তাজী বোররাক আর উচ্চৈঃশ্রবা বাহন আমার

    হিম্মত-হ্রেষা হেঁকে চলে!


    আমি বসুধা-বক্ষে আগ্নিয়াদ্রি, বাড়ব-বহ্ণি, কালানল,

    আমি পাতালে মাতাল অগ্নি-পাথার-কলরোল-কল-কোলাহল!

    আমি তড়িতে চড়িয়া উড়ে চলি জোর তুড়ি দিয়া দিয়া লম্ফ,

    আমি ত্রাস সন্চারি ভুবনে সহসা সন্চারি'ভূমিকম্প।


    ধরি বাসুকির ফণা জাপটি' -

    ধরি স্বর্গীয় দূত জিব্রাইলের আগুনের পাখা সাপটি'।

    আমি দেব শিশু, আমি চঞ্চল,

    আমি ধৃষ্ট, আমি দাঁত দিয়া ছিঁড়ি বিশ্ব মায়ের অন্চল!

    আমি অর্ফিয়াসের বাঁশরী,

    মহা- সিন্ধু উতলা ঘুমঘুম

    ঘুম চুমু দিয়ে করি নিখিল বিশ্বে নিঝঝুম

    মম বাঁশরীর তানে পাশরি'

    আমি শ্যামের হাতের বাঁশরী।

    আমি রুষে উঠি'যবে ছুটি মহাকাশ ছাপিয়া,

    ভয়ে সপ্ত নরক হাবিয়া দোজখ নিভে নিভে যায় কাঁপিয়া!

    আমি বিদ্রোহ-বাহী নিখিল অখিল ব্যাপিয়া!


    আমি শ্রাবণ-প্লাবন-বন্যা,

    কভু ধরনীরে করি বরণীয়া, কভু বিপুল ধ্বংস-ধন্যা-

    আমি ছিনিয়া আনিব বিষ্ণু-বক্ষ হইতে যুগল কন্যা!

    আমি অন্যায়, আমি উল্কা, আমি শনি,

    আমি ধূমকেতু-জ্বালা, বিষধর কাল-ফণী!

    আমি ছিন্নমস্তা চন্ডী, আমি রণদা সর্বনাশী,

    আমি জাহান্নামের আগুনে বসিয়া হাসি পুষ্পের হাসি!


    আমি মৃন্ময়, আমি চিন্ময়,

    আমি অজর অমর অক্ষয়, আমি অব্যয়।

    আমি মানব দানব দেবতার ভয়,

    বিশ্বের আমি চির-দুর্জয়,

    জগদীশ্বর-ঈশ্বর আমি পুরুষোত্তম সত্য,

    আমি তাথিয়া তাথিয়া মাথিয়া ফিরি স্বর্গ-পাতাল মর্ত্য!

    আমি উন্মাদ, আমি উন্মাদ!!

    আমি চিনেছি আমারে, আজিকে আমার খুলিয়া গিয়াছে সব বাঁধ!!


    আমি পরশুরামের কঠোর কুঠার

    নিঃক্ষত্রিয় করিব বিশ্ব, আনিব শান্তি শান্ত উদার!

    আমি হল বলরাম-স্কন্ধে

    আমি উপাড়ি'ফেলিব অধীন বিশ্ব অবহেলে নব সৃষ্টির মহানন্দে।

    মহা-বিদ্রোহী রণ ক্লান্ত

    আমি সেই দিন হব শান্ত,

    যবে উত্‍পীড়িতের ক্রন্দন-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না -

    অত্যাচারীর খড়গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না -

    বিদ্রোহী রণ ক্লান্ত

    আমি সেই দিন হব শান্ত।


    আমি বিদ্রোহী ভৃগু, ভগবান বুকে এঁকে দিই পদ-চিহ্ন,

    আমি স্রষ্টা-সূদন, শোক-তাপ হানা খেয়ালী বিধির বক্ষ করিব ভিন্ন!

    আমি বিদ্রোহী ভৃগু, ভগবান বুকে এঁকে দেবো পদ-চিহ্ন!

    আমি খেয়ালী-বিধির বক্ষ করিব ভিন্ন!


    আমি চির-বিদ্রোহী বীর -

    বিশ্ব ছাড়ায়ে উঠিয়াছি একা চির-উন্নত শির!





    দৈনিক আজকালে লিখেছেন গৌতম চক্রবর্তী: যাদবপুর-কাণ্ড -কাণ্ড কি সমাধানের পথে এগোচ্ছে? আন্দোলনের জট কি এবার খুলতে চলেছে? সোমবার বিকেলে আন্দোলনরত ছাত্র-ছাত্রীদের ডেকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনায় বসার প্রস্তাব দেওয়াতে এবার সেই প্রশ্নই সামনে চলে এসেছে৷‌ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সুর নরম করছে! যে উপাচার্য পুলিস ডেকে ছাত্র-ছাত্রীদের ওপর নির্মম অত্যাচার করেছেন বলে অভিযোগ, সেই অভিজিৎ চক্রবর্তী এবার আন্দোলনরত ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চাইছেন৷‌ আন্দোলনকারীদের পছন্দমতো দিনে এবং সময়ে৷‌ এই প্রস্তাব বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতিনিধিদের জানানো হয়েছে৷‌ এর আগে এদিন দুপুরে আন্দোলনরত ছাত্র-ছাত্রীরা নিজেদের মধ্যে গ্রুপ বৈঠক করে তাঁদের আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে ঠিক করেন৷‌ তাঁদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যম্ত আন্দোলন চালানোর সঙ্গে সঙ্গে একগুচ্ছ কর্মসূচিরও তাঁরা ঘোষণা করেন৷‌ এর মধ্যে নাগরিক কনভেনশন, গ্লোবাল প্রোটেস্ট ডে পালন, লালবাজার অভিযান, ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দেশ-বিদেশের প্রাক্তনীদের সঙ্গে কথা বলা প্রভৃতি কর্মসূচি পালন করার কথা জানানো হয়৷‌ এর পরই বিকেল ৪টে নাগাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য সিদ্ধার্থ দত্ত, রেজিস্ট্রার প্রদীপ কুমার ঘোষ, বিজ্ঞান বিভাগের ডিন সুব্রত মুখোপাধ্যায় আন্দোলনকারীদের ডেকে পাঠান৷‌ ৪ সদস্যের ছাত্র প্রতিনিধিরা সহ-উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করেন৷‌ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ অধিকর্তার সঙ্গে ছাত্র প্রতিনিধিদের কথা হয়৷‌ সেখানেই কর্তৃপক্ষ আন্দোলনকারী ছাত্র প্রতিনিধিদের কাছে উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনায় বসার প্রস্তাব দেন৷‌ ছাত্রনেতা চিরঞ্জিত ঘোষ জানান, সহ-উপাচার্য সিদ্ধার্থ দত্ত আমাদের বলেছেন, উপাচার্য ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চান৷‌ উচ্চ শিক্ষা সংসদের কার্যালয়ে তিনি এই বৈঠক করতে চেয়েছেন৷‌ ছাত্র-ছাত্রীরা যেদিন এবং যে সময় বসতে চাইবে, তাতেই তিনি রাজি৷‌ আমরা কর্তৃপক্ষের কাছে সময় চেয়েছি৷‌ বলেছি, এই প্রস্তাব নিয়ে আমরা গ্রুপ বৈঠকে আলোচনা করব৷‌ তার পরই সিদ্ধাম্ত জানাব৷‌ মঙ্গলবারই গ্রুপ বৈঠক ডাকা হয়েছে৷‌ সেখানেই উপাচার্যের আলোচনার প্রস্তাব নিয়ে আমরা আলোচনায় বসব৷‌ এদিন আন্দোলনকারীরা অবশ্য রাজ্য সরকারের তদম্ত কমিটির প্রতি তাঁদের কোনও আস্হা নেই বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন৷‌ তাঁদের বক্তব্য, প্রাক্তন বিচারপতি, মানবাধিকার কর্মী, মনোরোগ বিশেষ: এবং ছাত্র প্রতিনিধিবিহীন কোনও কমিটি তৈরি করা হলে তা তাঁরা মানবেন না৷‌ এদিকে এদিন সকাল থেকেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পঠন-পাঠন বন্ধ ছিল৷‌ অচলাবস্হা জারি ছিল৷‌ তার মধ্যেই আচমকা পুলিসকর্মী বিশ্ববিদ্যালয়ের অরবিন্দ ভবনের সামনে এলে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে৷‌ ফের কেন পুলিস ক্যাম্পাসে ঢুকেছে তা নিয়ে তাঁরা প্রশ্ন তোলেন৷‌ যদিও পুলিসকর্মীরা চারিদিকে পরিদর্শন করে চলে যান৷‌ ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে আশঙ্কা হয়, হয়ত উপাচার্য অভিজিৎ চক্রবর্তী বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতে পারেন৷‌ তাই পুলিস পরিস্হিতি দেখতে এসেছে৷‌ তাঁরা উপাচার্য এলে তাঁকে বিক্ষোভ দেখানোর প্রস্তুতি নিতে থাকেন৷‌ সকাল থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গেটে ছাত্র আন্দোলনের সমর্থনে বিভিন্ন সংগঠনের তরফে লিফলেট বিলি শুরু হয়৷‌ এর মধ্যেই খবর আসে সল্টলেকে উপাচার্যের বাড়ির সামনে কারা হুমকি পোস্টার মেরেছেন৷‌ অভিযোগের আঙুল ওঠে আন্দোলনকারী ছাত্রদের বিরুদ্ধে৷‌ আবার তৃণমূল নেতা এবং সাংসদ নিজের ফেসবুকে বিতর্কিত মম্তব্য পোস্ট করেন৷‌ বিশ্ববিদ্যালয়ে গাঁজা, চরস, মদ বন্ধ হওয়ার জন্যই ছাত্ররা আন্দোলনে নেমেছেন বলে তিনি মম্তব্য করেন৷‌ এই দুটি বিষয় নিয়েই ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে৷‌ ছাত্র-ছাত্রীরা স্পষ্ট জানান, তাঁরা অহিংস আন্দোলন করছেন৷‌ কাজেই উপাচার্যকে হুমকি দেওয়ার কোনও প্রশ্ন নেই৷‌ এই পোস্টার তাঁদের কারও নয়৷‌ তাঁদের আন্দোলনকে ভাঙতেই এই কাজ করা হয়েছে৷‌ অভিষেক ব্যানার্জির মম্তব্য সম্পর্কে ছাত্ররা বলেন মাদক বন্ধ হয়ে যাওয়া নিয়ে এই আন্দোলন নয়৷‌ কেউই মাদক নিয়ে কোনও স্লোগান দেননি৷‌ আমরা একটি ঘটনার সুবিচার চেয়ে আন্দোলন করছিলাম৷‌ যিনি এই মম্তব্য করেছেন তিনি যাদবপুরের ছাত্র-ছাত্রীদের অসম্মান করেছেন৷‌ এদিন 'বহিরাগত'নিয়ে হাইকোর্টে যে মামলা হয়েছে তার জন্য ছাত্র-ছাত্রীরা নিজেদের পরিচয়পত্র জের'করে তাতে সই করে তা আদালতে জমা দেওয়ার জন্য পাঠিয়েছেন৷‌ তাঁরা বলেন, আন্দোলনে ৮০ শতাংশই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা অংশ নিয়েছেন এটা প্রমাণ করতেই এই পদক্ষেপ৷‌ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দুপুরে এক সাংবাদিক সম্মেলন করেন৷‌ প্রদীপকুমার ঘোষ এই সম্মেলনে জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে পঠন-পাঠন ও পরিবেশ স্বাভাবিক করতে ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে অনুরোধ করা হয়েছে৷‌ প্রতি বিভাগে নোটিস পাঠানো হয়েছে৷‌ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতেও বলা হয়েছে৷‌ এ ছাড়া আহত ছাত্র-ছাত্রীদের চিকিৎসার খরচও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বহন করবে বলে ছাত্র-ছাত্রীদের নোটিস দিয়ে জানানো হয়েছে৷‌ এর মধ্যেই দুপুর ১টা নাগাদ ছাত্র-ছাত্রীরা গ্রুপ বৈঠক শুরু করেন৷‌ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে এই বৈঠকে যোগ দেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরাও৷‌ বৃষ্টির মধ্যেও বৈঠক চলে৷‌ বৈঠক শেষে ছাত্রনেতা চিরঞ্জিত ঘোষ জানান, দাবি মানা না হওয়া পর্যম্ত ক্লাস বৈঠক চলবে৷‌ উপাচার্যকে পদত্যাগ করতে হবে৷‌ সহ-উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারকে বিবৃতি দিয়ে জানাতে হবে তাঁরা সেদিনের ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না৷‌ নতুবা তাঁদেরও পদত্যাগ করতে হবে৷‌ যাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছিল সেই ৩৬ জনের বিরুদ্ধে কোনও কেস করা যাবে না৷‌ নিরপেক্ষ তদম্ত কমিটি গঠন করে সব ঘটনার স্বচ্ছ, পূর্ণাঙ্গ তদম্ত করতে হবে৷‌ আমরা বুধবার এই ঘটনা নিয়ে নাগরিক কনভেনশন করব৷‌ বৃহস্পতিবার লালবাজার অভিযান হবে৷‌ মূলত, ছাত্রদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে এবং যাঁরা আমাদের আন্দোলনে সমর্থন দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় আক্রাম্ত হচ্ছেন তাঁদের নিরাপত্তার দাবিতে৷‌ ওই দিনই বিশ্বের ১০০টি দেশে এই ঘটনার প্রতিবাদ দিবস পালন করা হবে৷‌ প্রাক্তনীরাও সর্বত্র এই প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করবেন৷‌

    আজকালের প্রতিবেদন: শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জি সোমবার আবার রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর সঙ্গে দেখা করেন৷‌ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র নিগ্রহের ঘটনার সিডি রাজ্যপালের কাছে পৌঁছেছে৷‌ সেই সিডি নিয়ে রাজ্যপাল ও শিক্ষামন্ত্রীর কথা হয়৷‌ শিক্ষামন্ত্রী রাজ্যপালকে বলেছেন, ওই দিন পুলিসের সঙ্গে ছাত্রদের ধস্তাধস্তি হয়েছে, কিন্তু পুলিস লাঠিচার্জ করেনি, মারধর করেনি৷‌ তিনি এদিন রাজ্যপালকে যাদবপুরের ছাত্রীর শ্লীলতাহানির ঘটনা নিয়ে যে তদম্ত কমিটি গড়া হয়েছে, সে সম্পর্কে জানান৷‌ এদিকে এদিন নির্যাতিতার বাবা মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে দেখা করেন৷‌ তিনি মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে খুশি৷‌ সোমবার রাজভবনে রাজ্যপাল যাদবপুরের ঘটনা নিয়ে রীতিমতো ব্যস্ত ছিলেন৷‌ প্রথমে তৃণমূলের যাঁরা এই ঘটনা নিয়ে মিছিল করেন, তাঁরা রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে যান৷‌ পার্থ চ্যাটার্জি এবং নির্যাতিতার বাবা আলাদা আলাদা ভাবে রাজ্যপালের সঙ্গে কথা বলেন৷‌ পার্থ চ্যাটার্জি বলেন, তিনি রাজ্যপালকে যে রিপোর্ট দিয়েছেন তাতে রাজ্যপাল খুশি৷‌ শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ঘটনার সিডি-ই প্রমাণ দিচ্ছে যে, ছাত্রদের পুলিস মারধর করেনি৷‌ তবে দু'পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি অবশ্যই হয়েছে৷‌ সুরঞ্জন দাসকে ছাত্রী নিগ্রহের ঘটনার তদম্ত কমিটির প্রধান করে সরকার নিরপেক্ষতার পরিচয় দিয়েছে৷‌ সুরঞ্জন দাসকে বাম আমলে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ করা হয়েছিল৷‌ অন্য যাঁদের এই কমিটিতে রাখা হয়েছে, তাঁদেরও শিক্ষা মহলে যথেষ্ট সুনাম আছে৷‌ এ কথা পার্থ চ্যাটার্জি রাজ্যপালকে জানিয়েছেন৷‌ এদিকে নির্যাতিতার বাবা এদিন রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে বলেন, তিনি নবান্নে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন৷‌ তিনি উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করেছিলেন৷‌ কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার পর তিনি সেই দাবি প্রত্যাহার করছেন৷‌ তিনি এখন উপাচার্যের প্রতি তাঁর আস্হা ফিরে পেয়েছেন৷‌ মুখ্যমন্ত্রী নিরপেক্ষ তদম্ত এবং দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্হা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন৷‌ মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে বলেছেন, তিনি ন্যায়বিচার পাবেন৷‌ এ কথা তিনি রাজ্যপালকে জানিয়েছেন৷‌ এ ছাড়া তিনি রাজ্যপালকে বলেছেন, আমার মেয়ের সঙ্গে অন্যায়ের জন্য যে-সব পড়ুয়া বিক্ষোভ দেখিয়েছেন, তারা তাঁর সম্তানের মতো৷‌ পড়ুয়ারা কতদিন আর ক্লাস করবে না? পড়ুয়ারা যাতে ক্লাসে যোগ দেয়, তার জন্য তিনি রাজ্যপালকে হস্তক্ষেপ করতে অনুরোধ জানিয়েছেন৷‌ এদিকে এদিন তিনি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার আগে বিধানসভায় পার্থ চ্যাটার্জির সঙ্গে কথা বলেন৷‌ পার্থ চ্যাটার্জি এদিন ফোনে জানান, বিমান বসু এই ঘটনা নিয়ে সোমবার যা বলেছেন, তাতে বোঝাই যাচ্ছে এর পেছনে রাজনৈতিক মতলব আছে৷‌ ছাত্ররা যা যা বলছে, বিমান বসু ঠিক তাই বলছেন৷‌ সি পি এমের এখন অবস্হা সঙ্গিন, তাই তারা যা পাচ্ছে, তাকেই খড়কুটো হিসেবে আঁকড়ে ধরছে৷‌


    আজকালের প্রতিবেদন: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনা নিয়ে তোলপাড়ের মাঝেই রাজাবাজার সায়েন্স কলেজে ক্লাস বয়কটের ডাক দিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠন কুটা৷‌ কুটার তরফে জানানো হয়েছে, ১৮ সেপ্টেম্বরের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ২৪ সেপ্টেম্বর বুধবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যম্ত রাজাবাজার সায়েন্স কলেজের কোনও শিক্ষক ক্লাসে যাবেন না৷‌ ক্যাম্পাসে থাকলেও তাঁরা ক্লাস নেবেন না৷‌ এই প্রসঙ্গে কুটার সাধারণ সম্পাদক দিব্যেন্দু পাল বলেন, রাজাবাজার সায়েন্স কলেজে একটার পর একটা ঘটনা ঘটেই চলেছে৷‌ এখনও অধ্যাপক ভাস্করচন্দ্র দাসের নিগ্রহের ঘটনার কোনও তদম্ত হল না৷‌ এর মাঝে শারীরবিদ্যা বিভাগের এক শিক্ষিকাকেই লাঞ্ছিত করা হয়৷‌ যার প্রতিবাদে জুলাই মাসে অবস্হানে বসেছিল কুটা৷‌ সেই সময়ই আমরা বিশ্ববিদ্যালয়কে জানিয়েছিলাম, আবার এই ধরনের কোনও ঘটনা ঘটলে কুটা কর্মবিরতির পথে যাবে৷‌ ১৮ সেপ্টেম্বর আবার একই ঘটনা ঘটল এবং একই বিভাগের পড়ুয়াদের ওপর হামলা হল৷‌ যার প্রতিবাদে আমরা বুধবার রাজাবাজার ক্যাম্পাসে 'পেন ডাউন'-এর সিদ্ধাম্ত নিয়েছি৷‌ গত শুক্রবারই উপাচার্যকে এই সিদ্ধাম্তের কথা লিখিতভাবে জানানো হয়েছে৷‌ ১৮ সেপ্টেম্বরের ঘটনার পর উপাচার্য সুরঞ্জন দাস, সহ-উপাচার্য ছশিক্ষাগ্গ ধ্রুবজ্যোতি চট্টোপাধ্যায় ক্যাম্পাসে এসেছিলেন৷‌ তার জন্য আমরা কর্তৃপক্ষকে সাধুবাদ দিচ্ছি৷‌ কিন্তু ঘটনাগুলো ঘটেই চলেছে৷‌ কোনওভাবেই আটকানো যাচ্ছে না৷‌ তার প্রতিবাদেই 'পেন ডাউন'৷‌ প্রসঙ্গত, ১৮ সেপ্টেম্বর রাজাবাজার ক্যাম্পাসে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ছটি এম সি পিগ্গ সভাপতি শঙ্কুদেব পন্ডার একটি সভা ছিল৷‌ তার পরই গোলমাল হয়৷‌ অভিযোগ, টি এম সি পি-র সমর্থকদের সঙ্গে কিছু বহিরাগত তৃণমূল কর্মী শারীরবিদ্যা বিভাগের কয়েকজন পড়ুয়ার ওপর চড়াও হয়৷‌ তাঁরা তখন একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মহড়া দিচ্ছিলেন৷‌ অভিযোগের তীর টি এম সি পি-র নেতা সৌরভ অধিকারীর দিকে৷‌ যিনি ভাস্কর দাসের ঘটনার সঙ্গেও যুক্ত বলে অভিযোগ৷‌ যদিও টি এম সি পি-র পক্ষ থেকে সব অভিযোগ উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে৷‌




    প্রথম নারী শহীদ প্রীতিলতার আজ ৮২তম প্রয়াণ দিবস

    Previous: সম্মুখসমরে ডরাইব ক্যানে, দ্যাশটাই ত কুরুক্ষ্যাতরো? … আরও আছেন মাথার উপরে রবীন্দ্রনাথের সেই অমোঘ বক্তব্য,যা আবৃত্তি করতে বাঙালি পৃথীবী সময় অসময় জ্ঞান করে না ,তবু শাসকের রক্ত চক্ষুকে ভয়? চিত্ত যেথা ভয়শূণ্য, উচ্চ যেথা শির, জ্ঞান যেথা মুক্ত, যেথা গৃহের প্রাচীর আপন প্রাঙ্গণতলে দিবসশর্বরী বসুধারে রাখে নাই খন্ড ক্ষুদ্র করি, যেথা বাক্য হৃদয়ের উৎসমুখ হতে উচ্ছ্বাসিয়া উঠে,যেথা নির্বারিত স্রোতে… পশ্চিম বঙ্গ ও বাংলাদেশেই শুধু নয়,সারা মহাদেশে ধর্মোন্মাদী প্রতারক রাজনীতিবিদদের আধিপাত্য। মানুষ মারার কল সর্বত্র সমান্তরালে সমানতালে চলছে ত চলছে। আসল নৈরাজ্যের অংশীদার এই ধর্ষণের সংস্কৃতিতে হেফাজত জামায়েত রাজনীতির মহাজোট। পলাশ বিশ্বাস
    $
    0
    0
    প্রথম নারী শহীদ প্রীতিলতার আজ ৮২তম প্রয়াণ দিবস

    আজ প্রীতিলতার ৮২তম প্রয়াণ দিবস। ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদবিরোধী আন্দোলনের প্রথম নারী শহীদ 'প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার'।

    ১৯১১ সালের ৫ মে চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার ধলঘাট গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার। প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের ৮২তম আত্মাহুতি দিবস উপলক্ষে আজ সকাল ১০টায় চট্টগ্রামের পটিয়ার ধলঘাট নিজ গ্রামে বীরকন্যা প্রীতিলতা ট্রাস্টসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে তাঁর আবক্ষমূর্তিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করার কার্যক্রম চলছে। এছাড়া তার আত্মত্যাগের কথা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বোঝাতে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও প্রীতিলতা নামে নাটকের মহড়া অনুষ্ঠিত হবে।

    মাস্টারদা সূর্য সেনের নির্দেশ পেয়ে ১৯৩২ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর রাতে কয়েকজন বিপ্লবীকে সঙ্গে নিয়ে প্রীতিলতা চট্টগ্রামের পাহাড়তলী ইউরোপিয়ান ক্লাবে ইংরেজদের ওপর আক্রমণ করেন। অভিযান শেষে গুলিবিদ্ধ হলে ইংরেজদের হাতে ধরা পড়ার আশঙ্কায় তিনি নিজের পকেটে থাকা পটাশিয়াম সায়ানাইড খেয়ে আত্মহনন করেন।

    কিন্তু অগ্নিকন্যা প্রীতিলতা দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছেন বিস্মৃতির অতলে। প্রীতিলতার জন্মস্থান পটিয়ায় তার স্মরণে হওয়ার কথা প্রীতিলতা কমপ্লেক্স। গত বছরের ৯ জানুয়ারি পটিয়ায় এসে এই কমপ্লেক্সের ভিত্তিপ্রস্তরও স্থাপন করেন তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি। কিন্তু এখন পর্যন্ত আলোর মুখ দেখেনি ১ কোটি ৪০ লাখ টাকার সেই প্রকল্প। আবার চলতি বছরের ৫ মে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এসে বীরকন্যার সম্মানে প্রীতিলতা সাংস্কৃতিক ভবন, বিদ্যালয়, স্মৃতি জাদুঘর ও পাঠাগার নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এতে ৪ কোটি ৩৪ লাখ টাকা প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়। ৫ মাস পার হলেও নির্মাণকাজই শুরু হয়নি। সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রীর সেই ঘোষণা অনুষ্ঠানে প্রীতিলতার স্মরণে এক লাখ টাকা অনুদানের একটি চেক দিয়েছিলেন মুক্তবাণী পত্রিকার প্রকাশক ববিতা বড়ূয়া। কিন্তু পরে ডিজঅনার হয় সে চেকটিও!

     

    প্রীতিলতা ট্রাস্টের সভাপতি পঙ্কজ চক্রবর্ত্তী সংবাদমাধ্যমে বলেন, প্রীতিলতার স্মরণে যে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করা হয়, তা বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত। তাছাড়া সরকারিভাবে এ পর্যন্ত তেমন কোনো অনুদান পাইনি।

    বীরকন্যা প্রীতিলতার ৮২তম আত্মাহুতি দিবস উপলক্ষে পটিয়া গৌরব সংসদ ও প্রীতিলতা ট্রাস্টের উদ্যোগে সকাল ৮টায় ধলঘাটে বীরকন্যার আবক্ষমূর্তিতে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন, আলোচনা সভা, বীরকন্যা প্রীতিলতা নাটকের শুভ মহরত, দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় বলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন প্রীতিলতা ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক অরুণ বিকাশ চৌধুরী।

    চবির প্রীতিলতা হলে ভূরিভোজ প্রসঙ্গে প্রভোস্ট ড. মাহবুবুল হক বলেন, প্রীতিলতাকে স্মরণ করে আত্মাহুতি দিবসে কোনো আলোচনা অনুষ্ঠান রাখা হয়নি। কারণ বেশিরভাগ শিক্ষার্থীই ঈদ ও পূজা উপলক্ষে বাড়িতে চলে গেছে।

    কলকাতার বেথুন কলেজে বিএ পরীক্ষা শেষে প্রীতিলতা স্থায়ীভাবে চলে আসেন চট্টগ্রামে। এখানে তিনি নন্দকানন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে (বর্তমান অপর্ণা চরণ সিটি করপোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজ) প্রধান শিক্ষক হিসেব যোগ দেন। সংগ্রামের মাঝেও স্থানীয় শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন করে গেছেন প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার অথচ আজ তার ইতিহাস ধীরে ধীরে তলিয়ে যাচ্ছে বিস্মৃতির অতলে।

    - See more at: http://news.zoombangla.com/bangladesh/2014-09-24-07-17-39-1-21557#sthash.3HpkcCXl.dpuf


    Photo: প্রথম নারী শহীদ প্রীতিলতার আজ ৮২তম প্রয়াণ দিবস    আজ প্রীতিলতার ৮২তম প্রয়াণ দিবস। ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদবিরোধী আন্দোলনের প্রথম নারী শহীদ 'প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার'।    ১৯১১ সালের ৫ মে চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার ধলঘাট গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার।  মাস্টারদা সূর্য সেনের নির্দেশ পেয়ে ১৯৩২ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর রাতে কয়েকজন বিপ্লবীকে সঙ্গে নিয়ে প্রীতিলতা চট্টগ্রামের পাহাড়তলী ইউরোপিয়ান ক্লাবে ইংরেজদের ওপর আক্রমণ করেন। অভিযান শেষে......    http://www.somoyerkonthosor.com/news/124358

    युवाशक्ति को तोड़ने के लिए छात्रों को नशा देकर जादवपुर आंदोलन के खिलाफ तैनात करने लगी राजनीति एक्सकैलिबर स्टीवेंस विश्वास

    $
    0
    0

    युवाशक्ति को तोड़ने के लिए छात्रों को नशा देकर जादवपुर आंदोलन के खिलाफ तैनात करने लगी राजनीति

    एक्सकैलिबर स्टीवेंस विश्वास


    सार्वजनिक यह वीडियो फुटेज देखें और फिर जादवपुर के छात्रो के साथ न्याय करें।


    एक तरफ तो दुनिया के सौ देशों के छात्रों की गोलबंदी हो रही है जादवपुर विश्वविद्यालय परिसर में पुलिसिया राजनीतिक तांडव के खिलाफ तो दूसरी ओर युवाशक्ति को तोड़ने के लिए सत्ता की राजनीति छात्रों को नशाखोर बनाने लगी है।


    विश्वविद्यालय परिसर में पुलिस पहरे के इंतजाम के लिए उपकुलपति आज कोलकाता हाईकोर्ट में सख्त सुरक्षा इंतजाम के मध्य पिछले दरवाजे से पेश हुए और उन्हींकी गुहार पर जादवपुर विश्वविद्यालय के गेटो पर पुलिस चौकी बनाने का हाईकोर्ट ने आदेश दे दिया ताकि बिना परिचयपत्र के कोई छात्र भी परिसर में घुस न सकें।


    गौरतलब है कि आंदोलनकारी छात्रों ने आज दोपहर दो बजे विश्वविद्यालय परिसर में आंदोलन के समर्थकों की आम सभा बुलाई थी।इस आम सभा में आंदोलन जारी रखने का फैसला हुआ है।


    इसीके बीच कामदुनि की तर्ज पर अग्स्त में विश्वविद्यालय परिसर के हास्टल में पीड़ित छात्रा मुख्यमंत्री से न्याय की गुहार करते हुए सत्तादल की रैली में शामिल हुए।इसके बावजूद आंदोलन जारी है,कामदुनि की तरह आंदोलन खत्म नहीं हुआ है।


    अगस्त की पीड़िता के लिए न्याय मांग रही दर्जनं छात्रा के साथ बत्ती गुल करके जो रवींद्र सरोवर को दोहराया गया और पुलिस की वर्दी में कमांडो और बिना वर्दी के पुलिसिया भेष में गुंडे भेजकर जो नंदीग्राम बनाया गया,उसके लिए सभी पिताओं और सभी परिजनों ने अभीतक पाला बदला नहीं है।न उन्हंने मुक्यमंत्री से न्याय की गुहार लगायी है।


    शारदा कांड का फंडा अलग है और रंगबिरंगे राजनीतिक चेहरे और सितारों की सीबीआई पेशी क बावजूद जनरोष थम गया सा नजर आ रहा है।


    वीरभूम के पाड़ुई में जिला तृणमूल अध्यक्ष अनुव्रत मंडल के भड़कव में जो हत्याकांड कराये जाने काअभियोग है,हाईकोर्ट ने उस सिलसिले में सीबीआई जांच का आदेस दे दिया है।



    गनीमत है कि इन राजनीतिक मामलों से परे अब भी आंदोलनकारी छात्र नार लगा रहे हैं,सीपीएम तृणमूल इतिहासेर भूल और देश दुनिया में छात्रो का यह आंदोलन अब भी फोकस पर है।


    जादवपुर के छात्रों के प्रतिवाद में सत्ता की जबरदस्ती रैली फेल हो गयी थी जबकि इस रैली में अपनी बुआ की तुकबंद कविता की तर्ज पर सांसद अभिषेक बंदोपाध्याय ने लिखा था, मद गांजा भांग बंद,ताइ बूझि आंदोलनेर गंध।


    इस मामले में ममता बनर्जी ने अभी जुबान नहीं खोली जबकि तृणमूली प्रचार का महालयी मुखड़ा यही रहा है,कुत्सा पक्ष शसमाप्त,देवि पक्ष आरंभ।


    दीदी फेसबुक पर भी खुलकर कुछ कह नहीं रही हैं।


    हालांकि उनकी ताजा किताब कुत्सा कांड के खिलाफ है और फेसबुक में अपनी ईमानदारी और जनप्रतिबद्धता का हवाला देते हुए उन्होंने आरोप लगाया है कि विपक्ष उनकी हत्या की साजिश कर रहा है और इसी सिलसिले में उनकी छवि धूमिल की जा रही है।


    दूसरी तरफ सत्ता प्रचार का मुद्दा यह है कि उपकुलपति चूंकि विश्वविद्यालय में ऩशे की अनुमति नही देते,इसीलिए नशेड़ु छात्रों का यह आंदोलन है।


    देशभर के शिक्षा संस्थानों के छात्र और छात्राएं अगर नशाखोर है,तो इससे बुरी कोई दूसरी खबर नहीं सकती है।


    जादवपुर कांड के प्रतिवाद में वैश्विक मानवबंधन को भी नशाखोरकहा जा सकता है।


    शिक्षामंत्री और सत्ता की राजनीति विश्वविद्यलय में अंधकार के तांडव के वीडियो फुटेज को डिफेंड करते हुए इसके लिए जिम्मेदार उपकुलपति को नशाविरोधी जिहादी बतौर महिमामंडित करने लगे हैं।


    छात्रों की मुख्य मांग को सिरे से खारिज करते हुए शिक्षा मंत्री ने ऐलान कर दिया है कि उपकुलपति को हटाने का सवाल ही उठता नहीं है।


    दूसरी ओर,विशिष्ट जनों की बना दी गयी राज्य सरकार की जांच समिति की भी सिटदशा है। स्पेशल जांच का क्या मतलब है,शारदा पारुई और तमाम मामलो में साफ है।


    जादवपुर विश्वविद्यालय परिसर में छात्राओं के साथ अगस्त और सितंबर में जो हुआ,उसकी जांच के लिए बनायी कमिटी के पुरुष वर्चस्वपर सवाल उठने लगे हैं और कानून विशेषज्ञों के मुताबिक ऐसी कमिटी की अध्यक्षता किसी महिला को करनी चाहिए जबकि बिशाखा कमिटी की सिफारिशें किनारे पर रखकर एक और विश्वविद्यालय के पसंदीदा आधिकारिक को इस सिट जांच कमिटी का  अध्यक्ष बना दिया गया है मनचाहा जांच नतीजा 72 घंटे में निकानलने के लिए।


    इसी बीच  फेल सत्ता रैली में गैर छात्र पार्टी कर्मियों की व्यापक हिस्सेदारी और हिस्सेदारों की चेहरा छुपात तस्वीरें कुछ और बयान करती हैं।


    अब खबर है कि राजनीति,जिसे रंग से चिन्हित करने की जरुरत भी नही है,जो हमेशा छात्रों क क्रांति की भ्राति से दुहती रहती है,छात्रों आंदोलन तोड़ने के लिए शैक्षिक संस्थानों में मादकद्वव्यों की सप्लाई कर रही है व्यापक पैमाने पर और उस पर कोई पुलिसिया पहरा नहीं है।पहरा तो आंदोलनकारियों पर है।


    सीमाई इलाके तो नशाखोरी के मुक्तांचल बन ही गये हैं अब परिवर्तन का तूफान ऐसा है कि शिक्षा संस्थान भी नशाखोरी के अड्डे बनाये जा रहे हैं। बंगाल में जाहिर है मदक द्रव्यों का कारोबार शबाब पर है।


    যেহেতু অশ্বিনী নক্ষত্রের কবির দেশে আমরা পূর্ণিমার চাঁদে বাস করি !যাদবপুরের আন্দোলনে আইনের শেকল!

    $
    0
    0

    যেহেতু অশ্বিনী নক্ষত্রের কবির দেশে আমরা পূর্ণিমার চাঁদে বাস করি !যাদবপুরের আন্দোলনে আইনের শেকল!


    আইন আইনের পথে চলছে আর রাজ্যটা মগের মুল্লুক হয়ে গেল দেখতে দেখতে৷রোজ নেতা নেত্রীদের সুবাচ্যে বাংলা ভাষার দশ দিগন্ত আবিস্কার হছ্ছে খিস্তি ও খেউড়ের আভিজাত্যে, আধিপাত্যে, সন্ত্রাসে৷

    আসলে আমরা কোন রাজ্যে বাস করছি,বলতে পারেন বাবু মশাই? সুশীল বাবু?

    রাজনৈতিক মেরুকরণ কোন ধ্বংসাবশেষে পরিণত করছে আমাদের যে মুখ্যমন্ত্রীর কবিতার বই বেস্টসেলার,সুকান্ত ভট্টাচার্য কেউ পড়ছেই না,যেহেতু সে কম্যুনিস্ট

    সুকান্তকে মনে পড়ে?

    মনে পড়ে সেই পূর্ণিমার চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি ?

    ফের নবান্নে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অভিজিৎ চক্রবর্তী। হাইকোর্টের রায়ের প্রেক্ষিতে লালবাজার অভিযান হচ্ছে না,যাদবপুরের পাশে প্রসিডেন্সীর পরে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ও।আর এই ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে ভাইফোঁটার পর থেকে লাগাতার আন্দোলনের ডাক দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস৷



    পলাশ বিশ্বাস

    সৌজন্যে কলকাতা 24 x7


    আগামিকাল লালবাজার অভিযান হচ্ছে না। একথা জানিয়ে দিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা। তবে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে অনড় ছাত্র-ছাত্রীরা।  কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে আন্দোলন করার নির্দেশ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিচয় পত্র দেখিয়ে প্রবেশের নির্দেশ মানতে রাজি নন তাঁরা।


    আইন আইনের পথেই চলছে কিন্তু যদিওপাড়ুই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্টতবু কি আশা করা যায় এই মগের মুল্লুকে বিস্তর টালবাহানার পর এ বার কি ন্যায়বিচার পাবেন হৃদয় ঘোষ? আর তাঁর মতোই বিচারের আশায় আরও অনেককে বাধ্য হয়ে আদালতে যেতে হয়েছে,তাঁদের কি হবে? রাজ্য পুলিশের তদন্তে তাঁরা অসন্তুষ্ট। তাঁদের কেউ ছেলেকে হারিয়েছেন, কেউ স্বামীকে। বিচারের অপেক্ষায় তাঁদের আইনি লড়াই চলছে। 

    আরও একটা সিবিআই তদন্ত চায় না সরকার, পাড়ুইকাণ্ডে হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ আরও একটা সিবিআই তদন্ত চায় না সরকার, পাড়ুইকাণ্ডে হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ

    পাড়ুইকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ রাজ্য সরকারের। সিটের তদন্তে অসঙ্গতির কারণে তদন্তের গতিপ্রকৃতিতে খুশি নয় আদালত। সেই কারণেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে দিয়ে সাগর ঘোষ হত্যা মামলার তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছে কোলকাতা হাইকোর্ট।


    মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর অভিযোগ,তাঁর অভিযোগ, বাংলায় খুন, সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বিরোধীরা৷ সিপিএম, বিজেপি ও অতি বামেরা ছাত্রদের এই অন্যায়ে মদত দিচ্ছে বলে মনে করেছেন পার্থবাবু৷আর উৎসবের মুখে ইচ্ছে করে একদল ছাত্র অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করেছে৷ তা তৃণমূল কখনই হতে দেবে না বলে সাফ জানিয়ে দেন তিনি৷ আর এই ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে ভাইফোঁটার পর থেকে লাগাতার আন্দোলনের ডাক দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস৷ এদিন একথা ঘোষণা করেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷


    পাড়ুই কান্ডে সিবিআই,হাইকোর্টের রায়ে অস্বস্তিতে রাজ্য সরকার৷ সারদায় সিবিআইযের কল্যাণে রং বেরং রাজনৈতিক ইন্দ্রধনুষ সৃষ্টি হয়েছে ইতিমধ্যেই,যাদবপুর কান্ডে জনগণের সারদাবিরোধী রোষানল অনেকটা কমেছে৷ইতিমধ্যে আজই মিডল্যান্ড পার্কে সারদার অফিস বাজেয়াপ্ত করল ইডি। মিডল্যান্ড পার্কের একতলায় পনেরশো স্কোয়্যার ফুটের অফিস কিনেছিল সারদাগোষ্ঠী। বহুতলের বাকি তলাগুলি ভাড়ায় নেয় সারদা। একতলার অফিসটিই আজ বাজেয়াপ্ত করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এনিয়ে এখনও পর্যন্ত সারদার প্রায় সাড়ে চারশো কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছেন ইডি গোয়েন্দারা।   


    বিস্ফোরক অভিযোগ সারদার আধিকারিক অরবিন্দ সিং চৌহানের। তাঁর অভিযোগ, কলকাতা ছেড়ে পালানোর আগে ২০১৩-র পাঁচই এপ্রিল মুকুল রায়ের সঙ্গে বৈঠক হয়েছিল  সুদীপ্ত সেনের। নিজাম প্যালেসের সেই বৈঠকে হাজির ছিলেন রজত মজুমদারও। তাঁর আরও অভিযোগ, বৈঠকের দুদিন পর রাতে সারদার মিডল্যান্ড পার্কের অফিসে এসেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বুম্বা ওরফে অরিন্দম দাস। অবরিন্দ সিং চৌহানের দাবি তিনি নির্দোষ,   আসল দোষীরা এখনও গ্রেফতার হয়নি।


    আইন আইনের পথে চলছে আর রাজ্যটা মগের মুল্লুক হয়ে গেল দেখতে দেখতে৷রোজ নেতা নেত্রীদের সুবাচ্যে বাংলা ভাষার দশ দিগন্ত আবিস্কার হছ্ছে খিস্তি ও খেউড়ের আভিজাত্যে,আধিপাত্যে,সন্ত্রাসে৷


    বৃহস্পতিবার লালবাজার অভিযান হচ্ছে না বলে জানিয়ে দিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা। হাইকোর্টের রায়ের প্রেক্ষিতেই এই স্থগিতের নির্ণয় বলে মনে করা হচ্ছে৷

    ক্যাম্পাসে পড়াশুনার পরিবেশ ফিরুক তাঁরাও এটা চান। কিন্তু ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে যে আচরণ করা হয়েছে ,তার বিচার পেতে গেলে আন্দোলন-বিক্ষোভ ছাড়া পথ নেই। আজ যাদবপুরের গণ কনভেনশনে এমনই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ছাত্রছাত্রীরা। কনভেনশনে যোগ দিয়েছেন অন্যান্য কলেজ বিশ্ববিদ্যালযের ছাত্রছাত্রীরা।যোগ দিয়েছেন যাদবপুরের আন্দোলনের পাশে দাঁড়ানো বিশিষ্টজনেরাও। অন্যদিকে আজ স্বরাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে দেখা করেন যাদবপুরের উপাচার্য অভিজিত্‍ চক্রবর্তী। মনে করা হচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি নিয়েই কথা হয় দুজনের মধ্যে।

    মদ, গাঁজা, চরস বন্ধ, তাই কি প্রতিবাদের গন্ধ। তাঁর ফেসবুকের এই মন্তব্য নিয়ে বিতর্কের ঝড় উঠলেও পিছু হঠতে রাজি নন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, তিনি সঠিক মন্তব্যই করেছেন। যাদবপুরের উপাচার্যকে কেন ইস্তফা দিতে হবে সেই প্রশ্নও তুলেছেন তিনি।


    সরকার যখন ছাত্র আন্দোলনকে শিক্ষাক্ষেত্রে নৈরাজ্য বা মদ,গাজা,ভাঙ বন্ধ ,তাই আন্দোলনের গন্ধ বলে পাল্টা ছাত্র রাজনীতির নেশা মদ গাজাভাঙ দিয়ে মোকাবিলা করার চেষ্টা করছে,ঠিক তখনই  যাদবপুর কাণ্ডে নিয়ে বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবি জানিয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্যপালকে চিঠি দিয়েছেন প্রাক্তন মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ও বিচারপতি অশোক গঙ্গোপাধ্যায়৷


    তবু ঘটনা হল,কর্তৃপক্ষের আগাম অনুমতি নিয়েই বিক্ষোভ-আন্দোলন করতে পারবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা। ক্যাম্পাসে যেখানে সেখানে আন্দোলন-বিক্ষোভ করা যাবে না। সেজন্য নির্দিষ্ট জায়গা চিহ্নিত করতে হবে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে অচলাবস্থা নিয়ে আজ এই অন্তর্বর্তী নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি। সেই সঙ্গে নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে বহিরাগতদের প্রবেশও।  প্রধান বিচারপতির নির্দেশ, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি গেটের বাইরেই রাখতে হবে অস্থায়ী পুলিস ফাঁড়ি। বসাতে হবে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা।


    ছাত্র আন্দোলনের জেরে যাদবপুরের পঠন পাঠনের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে । এই মর্মে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন শিক্ষাবিদ বিমলশঙ্কর নন্দ। সেই মামলায়  বুধবার অন্তবর্তী নির্দেশ দিলেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি মঞ্জুলা চেল্লুর। নির্দেশে বিচারপতি বলেছেন

    কর্তৃপক্ষের আগাম অনুমতি নিয়ে বিক্ষোভ-আন্দোলন করতে পারবে ছাত্ররা

    ক্যাম্পাসে যেখানে সেখানে আন্দোলন-বিক্ষোভ করা যাবে না

    কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে   নির্দিষ্ট জায়গা চিহ্নিত করতে হবে

    নিয়ন্ত্রিত হবে বহিরাগতদের প্রবেশও

    বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি গেটের বাইরেই রাখতে হবে অস্থায়ী পুলিস ফাঁড়ি, বসাতে হবে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা

     হাইকোর্টের  অন্তবর্তী নির্দেশে  অখুশি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা। আদালতের নির্দেশে মেনে কর্মসূচি পরিকল্পনা করলেও, উপাচার্যের পদত্যাগের দাবি থেকে কোনওমতেই সরছেন না তাঁরা। আদালতের নির্দেশ দুঃখজনক বলছেন বিশিষ্টরা। বুধবার যাদবপুরে একটি গণকনভেনশনের আয়োজন করা হয়েছিল।  কনভেনশনে যোগ দিয়েছিলেন অন্যান্য কলেজ বিশ্ববিদ্যালযের ছাত্রছাত্রীরাও।


    অন্যদিকে শহর কোলকাতার আরও একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনীরা যাদবপুরের পাশে এসে দাঁড়াল৷ এবার রাজাবাজার থেকে কলেজ স্ট্রীট পর্যন্ত মিছিল করবে  কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা৷ বৃহস্পতিবার এই মিছিলের কথা জানাল যাদবপুরের গণ-কনভেনশনে যোগ দেওয়া কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিরা৷প্রেসিডেন্সী কলেজের ছাত্র ছাত্রীরা যাদবপুরে অন্ধকারের রাজত্বের বিরুদ্ধে আগেই লাল বাজার অভিযান করেছেন৷


    যাদবপুরের গেটে পুলিশ ফাঁড়ির বসানোর নির্দেশ দিল হাইকোর্ট৷ বহিরাগতদের রুখতেই আদালতের এই নির্দেশ৷


    বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি মঞ্জুলা চেল্লুর ডিভিশন বেঞ্চে  যাদবপুর-কাণ্ডে জনস্বার্থ মামলার শুনানি ছিল৷ সেখানে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে তিনটি পুলিশ ফাঁড়ি বসানোর নির্দেশ দেওয়া হয়৷ এছাড়াও বহিরাগতদের জন্য বিশেষ পরিচয়পত্রের ব্যবস্থার নির্দেশ দেওয়া হয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে৷গত বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি মঞ্জুলা চেল্লুর ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলাটি দায়ের করা হয়৷

    এই পরিবেশের মধ্যেই কলকাতা 24 x7 এর প্রতিবেদনে খবর,ফের নবান্নে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অভিজিৎ চক্রবর্তী। সংবাদমাধ্যমের নজর এড়িয়ে বুধবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ রাজ্যের প্রশাসনিক সদর দফতরে আসেন তিনি। যদিও শেষ রক্ষা হয়নি। নবান্ন থেকে বের হওয়ার সময় সংবাদমাধ্যমের কাছে ধরা পড়ে যান সাম্প্রতিক সময়ে রাজ্যের সবথেকে বিতর্কিত এই ব্যক্তিত্ব।

    সূত্রের খবর, এদিন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনা করেন অভিজিতবাবু। রাতের অন্ধকারে বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশি অভিযানের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে স্বরাষ্ট্রসচিবকে এদিন তিনি বোঝানোর চেষ্টা করেন। এর পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা সংক্রান্ত অন্যান্য দিক নিয়েও উভয়ের মধ্যে দীর্ঘক্ষণ কথা হয়। সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রেখেই নবান্ন ছাড়েন যাদবপুরের উপাচার্য।


    অন্যদিকে,যাদবপুর-কাণ্ড নিয়ে কুৎসা করছে বিরোধীরা, রাজ্য সরকারের ভাবমূর্তি কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে, বুধবার শিলিগুড়িতে দলের এক সভায় এই অভিযোগ করলেন দলের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ,বাংলার নবীনতম প্রজন্মার অন্ত্যমিল কবি পিসি ঘরানার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পান থেকে চুন খসলেই বিরোধীরা একজোট হয়ে সরকার বিরোধী প্রচার শুরু করে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।


    খবরে প্রকাশ,কর্তৃপক্ষের আগাম অনুমতি নিয়েই বিক্ষোভ-আন্দোলন করতে পারবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা। ক্যাম্পাসে যেখানে সেখানে আন্দোলন-বিক্ষোভ করা যাবে না। সেজন্য নির্দিষ্ট জায়গা চিহ্নিত করতে হবে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে অচলাবস্থা নিয়ে আজ এই অন্তর্বর্তী নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি মঞ্জুলা চেল্লুর। সেই সঙ্গে নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে বহিরাগতদের প্রবেশও। প্রধান বিচারপতির নির্দেশ, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি গেটের বাইরেই রাখতে হবে অস্থায়ী পুলিস ফাঁড়ি। বসাতে হবে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরাও। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে রাজ্য সরকারকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে পর্যাপ্ত সংখ্যায় পুলিশ মোতায়েনের ব্যবস্থা করতে হবে। ক্যাম্পাসে ঢুকতে গেলে ছাত্রছাত্রী, শিক্ষাকর্মী, অধ্যাপক সকলকেই পরিচয়পত্র দেখাতে হবে


    যেহেতু অশ্বিনী নক্ষত্রের কবির দেশে আমরা পূর্ণিমার চাঁদে বাস করি !


    আমরা কোন রাজ্যে বাস করছি,বলতে পারেন বাবু মশাই?

    সুশীল বাবু?


    রাজনৈতিক মেরুকরণ কোন ধ্বংসাবশেষে পরিণত করছে আমাদের যে মুখ্যমন্ত্রীর কবিতার বই বেস্টসেলার,সুকান্ত ভট্টাচার্য কেউ পড়ছেই না,যেহেতু সে কম্যুনিস্ট


    সুকান্তকে মনে পড়ে?

    মনে পড়ে সেই পূর্ণিমার চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি ?


    হে মহাজীবন আর এ কাব্য নয়,

    এবার কঠোর কঠিন গদ্যে আনো।

    পদলালিত্য ঝংকার মুছে যাক,

    গদ্যের কড়া হাতুড়িকে আজ হানো।

    প্রয়োজন নেই কবিতার স্নিগ্ধতা,

    কবিতা তোমায় দিলাম আজকে ছুটি।

    ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়,

    পূর্ণিমা চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি।


    মনে পড়ে?


    মনে পড়ে,বনগাঁ লাইনের গণিতজ্ঞ এক নমোশুদ্র কবি নিজেকে অশ্বিনী নক্ষত্রের কবে হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছিলেন?


    তাহা এবং বাকি যাহা বাঙালিত্ব বা বাংলা ভাষা,সবকিছুি কি শেষ পর্যন্ত পাড়ুই কান্ড ও অধুনা শাসক দলেক নেতা সাংসদের সুবচন যেমন রেপ করিয়ে দেব, মুন্ডু ছিঁড়ে নেব,তোকে শালা কেউ বাঁচাতে পারবে না,আন্দোলনে মদের গন্ধ, ইত্যাদি ইত্যাদি?


    ফেসবুকের মন্তব্য বিবেচনীয়ঃগতকাল তৃনমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি শ্রী গৌরিশঙ্কর দত্ত বলেছেন"সুশাম্ত ঘোষের মতো সিপিএম নেতারা আমাদের নেত্রীর সমালোচনা করলে মুন্ডুটা ছিঁড়ে নেবেন। বিজেপি মাথা উঁচু করে চোখ রাঙালে মাথা ছিঁড়ে নেবেন।"এই মন্তব্য শোনার পর এমনটা ভাবার কারন নেই যে আগামীকাল থেকেই তৃনমূলের সমর্থক-কর্মীরা বিরোধীদের মুণ্ডু ছেদন শুরু করে দেবেন। এই ধরনের মন্তব্য না করলে ঐ দলে নিজের অবস্থানকে উন্নিত করা যায় না। এ ছাড়াও একটা দল যখন নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় থাকে তাদের এই ধরনের মন্তব্য কারার অর্থ তারা ভিত হয়ে পরেছে। বর্তমান অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে নিজেদের সংগঠনকে ধরে রাখতে এই ধরনের গরম গরম বক্তব্য রাখতে হচ্ছে। শহর কৃষ্ণনগর বিধান সভায় শাসক দল বিগত লোকসভা নির্বাচনে মানুষের মনে দাগ কাটতে পারেনি। সেই হতাশা থেকেই কি জেলা সভাপতির এই রকম মন্তব্য না এই ধরনের মন্তব্য করলে দলের নেক নজরে পরার জন্য এই ধরনের মন্তব্য তা আগামি দিনই বলবে। আমরা অপেক্ষায় থাকবো।



    আমরা আমাদের মাতৃভাষা নিয়ে সবচেয়ে বেশি গর্ব করিবাংলাভাষার জাতিসত্তাকে মুলধন করে বাঙালিক গোটা একটা দেশকয়েকদশক আগে যে দেশ  অবধি আমাদের দেশ ছিল,যে দেশে গাঙচিল হযে জন্ম নেওয়ার সাধ ছিল আধুনিক বাংলা কবি জীবনানন্দ দাসের, যে দেশের পল্লীজীবনের নক্সী কাঁথা বুনেছিলেন একজন মুসলমান কবি জসিমুদ্দীন,গানে সুর যুগিয়েছেন আব্বাসুদ্দীন তো আর এক মোছলমানের ছেলে কাজি নজরুল ইসলাম আমদের অগ্নিবীণার ঝন্কার, বন্কিম আমাদের সাহিত্যসম্রাট এবং এখনো শরত্চন্দর এই উপমহাদেশে শুধু সাহিত্যেই নয়, হলিউডি ভারতীয় সিনেমাতেও বেস্ট সেলার


    এশিযার সব চেয়ে বড় দুজন সিনেমার মানুষ ঋত্বিকঘটক ও সত্যজিত রায়আমাদের গৌরব নেতাজি আমাদের,বিবেকানন্দও আমাদের,তারও পরে সাবর উপরে আছেন রবীন্দ্রনাথ- এরাঁ সবাই মিলে বাংল ভাষাকে যে উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন,বৌদ্ধময় ভারতের ঐতিহ্য,অনার্য জনগোষ্ঠি,ইসলামি শাসনের পর ইংরেজ আগমন এবং তারপর মার্ক্সবাদী প্রগতি বিচারধারা, ফকীর বাউলের দেহতত্ব,চৈতন্য মহাপ্রভুর বৈষ্ণব আন্দোলন, মতুয়া আন্দোলন,কৃষক আদিবাসী বিদ্রোহের ইতিহাস, অশ্পৃশ্যতা মোচন,নবজাগরণ,এই সব নিয়েই ত বাংলা ভাষা,বাংলা সংস্কৃতি,বাঙালি পরিচিতি,বাংলার ইতিহাস ভুগোল যা ভাগ হয়েও ভাগ হয়নি


    এই পরম্পরায় আজ চ্যানেলে চ্যানেলে যে ভাষার সঙ্গে সহবাস আমাদের,ষাঁড় সংস্কৃতির যে দেহগাথা,অসহিষ্ণুত জাত বজ্জাতির যে সমাজ বাস্তব,যে শাসকশ্রেণীর এক চেটিয়া আধিপাত্য- সেই নিরিখে একবার আমাদের বর্তমান অতীত ও ভবিষ্যতকে বিবেচনা করে দেখুন ,কতটা ঠিক লিখেছিলেন নীরদ সি চৌধুরি- আত্মঘাতী বাঙালি?


    রাষ্ট্রজীবনে বাঙালির কোনো ভূমিকা নেই


    বাঙালির পল্লী,বাঙালির জনপদ নিশ্চিহ্ন।ক্ষেত শ্মশান।কলকারখানা জুট মিল চা বাগান পর্যটন বন্ধ।ব্যবসা বানিজ্য শিল্প লাটে।শুধু বংস পরম্পরায় লাটসাহেবি, গুলবাজি এবং সার্বজনীন মদ মাগি মাংস তন্ত্র বিধান।


    বাঙালির লোক সংস্কৃতি বাজারে পণ্য


    বাঙালি মেয়েরা সতীদহন,বহুবিবাহ.অশিক্ষার অন্ধাকার ডিঙিয়ে আজ বিপর্যস্ত,ধর্ষিতা ঘরে বাইরে,রাস্তায় ঘাটে এমকি রবীন্দ্রনাথের শান্তিনিকেতনেও


    তারওপরে রবীন্দ্রসঙগীতের ন্যাকামি করার অধিকার, নজরুলের ছোখের জলের ভাগ আমরা দাবি করতে পারুন কিনা ভাবুন

    রাজনৈতিক মেরুকরণ কোন ধ্বংসাবশেষে পরিণত করছে আমাদের যে মুখ্যমন্ত্রীর কবিতার বই বেস্টসেলার,সুকান্ত ভট্টাচার্য কেউ পড়ছেই না,যেহেতু সে কম্যুনিস্ট


    সুকান্তকে মনে পড়ে?


    মনে পড়ে সেই পূর্ণিমার চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি ?


    কমরেডদেরও সুকান্তের কবিতা পড়ার সময় আছে কিনা জানিনা,যধি ঔ কবিতা পড়ার অপরাধে কেউ রেপ করিয়ে দেয়,কেউ ঘরে আগুন লাগিযে দেয়,যদি ঘাতকের হাতে প্রাণ যায়, যদি আততায়ীরসুখের সংসারে ঝাঁপিয়ে পড়ে,যদি সন্তানের বিপদ হয়.যদি রুজি রোজগার চাকরি বাকরি নিষিদ্ধ হয়ে যায় বা সালিশি করে জরিমানা বাবদ রেপ করে গাছে ঝুলিয়ে দেয়, প্রাণ বা ইজ্জত নিয়ে নেয়- এই হল ভয়?


    বাঙালিরা সবাই তাই উটপাখি এখন


    রাস্তা ঘাটে ঘরে বাইরে স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে য়াঁড়ের দাপট চলছে- এতটাই যে পুলিশ ডাকিয়ে,দশ দিক অন্ধকার করে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে ছাত্রদের লাঠিপেটা করাত হয়,ছাত্রীদের শ্লীলতা হানির ঢালাও বন্দোবস্ত করতে হয,তার প্রতিবাদে আন্দোলন হলে কোনো এক সাংসদ,ঘটনাচক্রে যিনি আবার কবি মুখ্যমন্ত্রীর প্রোমোটার ভাইপো কবিতা লিখে রবীন্দ্র নজরুল সুকান্তদের কবিতা ছাপিয়ে লিখে ফেলেন ঐতিহাসিক আরেকটি কবিতা- মদ গাজা ভাঙ বন্ধ,তাই বুঝি আন্দোলনের গন্ধ


    বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের আন্দোলনের মোকাবিলা স্কুল পড়ুযা পার্টি কর্মীদের মিছিল করতে হয়,নির্যাতিতার বাবাকে বাধ্য করা হয আন্দোলনের বিরুদ্ধে কামদুনি হয়ে যেতে - এবং তারও পর শিক্ষাম্ন্ত্রী বহিরাগতদের আন্দোলনের বিপক্ষে উপাচার্যকে বরখাস্ত করার দাবি নসাত করে অবলীলাক্রমে বলেই ফেলেন- উপাচার্যকে সরানোর প্রশ্ন ওঠে না


    নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুডির মত বরেণ্য ব্যাক্তিকে শ্লীলতাহানির তদন্তে নিয়োগ করতে হয় এবং নিগৃহিতার বিচারের ভার পুরুষ আধিপাত্যেরই হাতে তুলে দিতে হয়


    যাদবপুরের নিগৃহীতা ছাত্রীর অভিযোগ সত্য কিনা তা খতিয়ে দেখার কাজ শুরু করে দিল সরকার গঠিত কমিটি। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করলেন চেয়ারম্যান সুরঞ্জন দাস। পরে কমিটির দুই সদস্য দেখা করেন নির্যাতিতার সঙ্গে। অন্যদিকে, কমিটির বিরুদ্ধে পক্ষপাতের যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন চেয়ারম্যান।

    অন্যদিকে,ধূপগুড়ি কাণ্ডে ফের অস্বস্তিতে রাজ্য সরকার৷ উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব ও তৃণমূলের জেলা নেতৃত্বের আবেদন প্রত্যাখ্যান করল ধূপগুড়ির মৃতার পরিবার। মুখ্যমন্ত্রী নয় প্রয়োজনে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করার কথা জানালেন মৃতার বাবা৷ জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল সভাপতি সৌরভ চক্তবর্তী ধূপগুড়ি কাণ্ডে মৃতা ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে বলেছে মন্তব্য করলেন বুধবার। প্রতিবাদে সোচ্চার হলেন জেলার ডিওয়াইএফআই এবং এসএফআই কর্মী সমর্থকরা৷ এরই মধ্যে  দুই মহিলাকে গাছে বেঁধে মারারা ঘটনায়  অভিযোগ দায়ের করা হল পাঁচজনের বিরুদ্ধে।  নিগৃহীত মহিলার নামে মারধর এবং তাঁর স্বামী সহ আরও ছয় জনের নামে পাল্টা ছিনতাই ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের করেছেন তাঁদের দুই প্রতিবেশী। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। ফালাকাটা থানার ঘটনা।



    ক্যাম্পাসে পড়াশুনার পরিবেশ ফিরুক, চান প্রতিবাদী পড়ুয়ারাও। কিন্তু ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে যে আচরণ করা হয়েছে ,তার বিচার পেতে গেলে তো আন্দোলন-বিক্ষোভ ছাড়া পথ নেই, বলে জানাল গণ-জাগরন মঞ্চের ছাত্র-ছাত্রীরা৷ কনভেনশনে যোগ দিয়েছেন অন্যান্য কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা। যোগ দিয়েছেন যাদবপুরের আন্দোলনের পাশে দাঁড়ানো বিশিষ্টজনেরাও। প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে কবি শঙ্খ ঘোষ বলেছেন, আত্মমর্যাদাবোধ থাকলে পদত্যাগ করতেন উনি। যাদবপুরকাণ্ডের তীব্র নিন্দা করেছেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অশোক মিত্রও।

    তবে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে অনড় গণ-কনভেনশন যোগ দেওয়া ছাত্র-ছাত্রীরা। কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে আন্দোলন করার নির্দেশ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিচয় পত্র দেখিয়ে প্রবেশের নির্দেশ মানতেও নারাজ তাঁরা। ফেটসুর সাধারণ সম্পাদক চিরঞ্জিৎ ঘোষ জানিয়েছেন, লালবাজার অভিযান স্থগিত রাখা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার বৈঠকের মাধ্যমে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে তিনি জানিয়েছেন৷

    তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে খুনের হুমকি দেওয়া পোস্টার কাণ্ডের সমালোচনা করলেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷


    বুধবার তিনি তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন, খুনের হুমকি দিয়ে সাংসদ অভিষেকের মুখ বন্ধ করা যাবে না৷খুনের রাজনীতি বরদাস্ত করা হবে না বলেই এদিন জানিয়ে দেন তিনি৷


    তাঁর অভিযোগ, বাংলায় খুন, সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বিরোধীরা৷ সিপিএম, বিজেপি ও অতি বামেরা ছাত্রদের এই অন্যায়ে মদত দিচ্ছে বলে মনে করেছেন পার্থবাবু৷আর উৎসবের মুখে ইচ্ছে করে একদল ছাত্র অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করেছে৷


    তা তৃণমূল কখনই হতে দেবে না বলে সাফ জানিয়ে দেন তিনি৷ আর এই ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে ভাইফোঁটার পর থেকে লাগাতার আন্দোলনের ডাক দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস৷ এদিন একথা ঘোষণা করেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷


    আজকালের প্রতিবেদনঃ

    দবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীদের ওপর পুলিসি নির্যাতনের ঘটনাকে অবশেষে 'দুর্ভাগ্যজনক'বলে মম্তব্য করলেন উপাচার্য অভিজিৎ চক্রবর্তী৷‌ বিশ্ববিদ্যালয়ে অচলাবস্হা কাটাতে শেষ পর্যম্ত নিজেই তিনি মুখ খুললেন৷‌ মঙ্গলবার উপাচার্য বলেন, ঘটনাটি দুর্ভাগ্যজনক৷‌ ছাত্রছাত্রীরা আলোচনায় বসুক৷‌ আলোচনাতেই সব সমাধান উঠে আসবে৷‌ ইতিমধ্যে তিনি চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলেছেন৷‌ খুব শিগগিরই কাজে যোগ দেবেন বলেও জানিয়েছেন উপাচার্য৷‌ এদিকে, নজরুল মঞ্চে এক অনুষ্ঠানে এদিনই শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জি সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পরিষ্কার বুঝিয়ে দিয়েছেন, অভিজিৎবাবুকে সরানোর কথা ভাবছে না শিক্ষা দপ্তর৷‌ পার্থবাবু বলেছেন, উপাচার্য যদি স্বেচ্ছায় সরে যেতে চান, যেতেই পারেন৷‌ না হলে তাঁকে সরানো হচ্ছে না৷‌ আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক পরিস্হিতি ফিরে আসুক৷‌ পঠনপাঠন চালু হোক৷‌ অন্যদিকে, আন্দোলনে এখনও পর্যম্ত অনড় মনোভাব ছাত্রছাত্রীদের, তাই গণকনভেনশনের প্রস্তুতিই নিচ্ছেন তাঁরা৷‌ আজ, বুধবার এই গণকনভেনশন হবে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে৷‌ কনভেনশনে যোগ দেবেন বহু বিশিষ্ট মানুষ এবং যাদবপুর-কাণ্ডের প্রতিবাদে সরব অন্যান্য কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা৷‌ এই কনভেনশন উপলক্ষে আজ একটি মিছিল করবেন ছাত্রছাত্রীরা৷‌ গড়িয়াহাট থেকে তাঁরা যাদবপুর আসবেন৷‌ তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে আলোচনায় বসার জন্য সহ-উপাচার্যের মাধ্যমে যে প্রস্তাব দিয়েছেন, তা নিয়ে আন্দোলনকারী ছাত্রছাত্রীরা এদিন কোনও বৈঠক করেননি বলে খবর৷‌ ছাত্রদের তরফ থেকে বলা হয়, মহালয়া উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় ছুটি থাকায় তাঁরা এদিন অন্য ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেননি৷‌ ফলে উপাচার্যের প্রস্তাবের ব্যাপারে কোনও সিদ্ধাম্ত নেওয়া যায়নি বলে খবর৷‌ আন্দোলনকারী ছাত্রদের একাংশের স্পষ্ট বক্তব্য, উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনায় আমাদের তেমন উৎসাহ নেই৷‌ যে উপাচার্য ছাত্রছাত্রীদের ওপর পুলিস দিয়ে এভাবে মারধর করতে পারেন, তাঁর পদত্যাগই আমরা দাবি করেছি৷‌ এছাড়া আলোচনার কোনও জায়গা নেই৷‌ উপাচার্যের বক্তব্য নিয়েও অবশ্য ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে আবার বিতর্ক শুরু হয়েছে৷‌ তাঁরা বলেন, উপাচার্য ঠিক কোন ঘটনাকে দুর্ভাগ্যজনক বলতে চেয়েছেন, তা স্পষ্ট করেননি৷‌ ছাত্রীর যৌন নিগ্রহের ঘটনা? না, তা নিয়ে ছাত্রছাত্রীদের আন্দোলন এবং তার জন্য পুলিসের লাঠিচার্জ, মারধর! কাজেই যতক্ষণ না এটা পরিষ্কার হচ্ছে, ততক্ষণ উপাচার্যের এই দুঃখপ্রকাশের বিষয়টা নিয়ে ধোঁয়াশা থেকেই গেল৷‌ তবে ছাত্রছাত্রীদের শুভবুদ্ধির উদয় হোক এবং তারা আলোচনায় বসুক– এ কথা বলায় ছাত্রছাত্রীদের আন্দোলনের বিষয়টিকেই উপাচার্য দুর্ভাগ্যজনক বলেছেন বলে মনে করছেন আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীদের কেউ কেউ৷‌ ছাত্রনেতা চিরঞ্জিত ঘোষ বলেন, আগমী দু'দিন কয়েকটি বড় বড় কর্মসূচি রয়েছে৷‌ তা নিয়ে আলোচনা চলছে৷‌ তার মধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আলোচনায় বসার প্রস্তাব দিয়েছেন৷‌ সব বিষয়টা নিয়েই আন্দোলনরতদের সঙ্গে কথাবার্তা চলছে৷‌ বৈঠক করে বিষয়টার সিদ্ধাম্ত নেওয়া হবে৷‌ প্রসঙ্গত, রাজ্যপালের কাছে ডেপুটেশন দেওয়ার পর যাদবপুরের ছাত্রছাত্রীরা সোমবার একটি গ্রুপ বৈঠক করেন৷‌ সেখানেই আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধাম্ত হয়৷‌ বুধবার গণকনভেনশন এবং বৃহস্পতিবার লালবাজার অভিযান ও গ্লোবাল প্রোটেস্ট ডে পালনের সিদ্ধাম্ত নেওয়া হয়েছে৷‌ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের আশা, ছাত্রছাত্রীদের ক্লাসে যোগ দেওয়া, আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং আলোচনায় বসার প্রস্তাব দিয়েছে সেদিনই৷‌


    আসানসোল থেকে দেবব্রত ঘোষ জানাচ্ছেন: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীদের ওপর পুলিসের আক্রমণ এবং উপাচার্যের অন্যায় আচরণের প্রতিবাদ জানাল আসানসোল সিভিল রাইটস অ্যাসোসিয়েশন৷‌ মঙ্গলবার বেলা ১১টা নাগাদ আসানসোলের রবীন্দ্রভবন প্রাঙ্গণে প্রায় ২০০ মানুষের ওই প্রতিবাদসভায় বক্তব্য পেশ করেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রাক্তন ছাত্রী সুদীপ্তা পাল৷‌ তিনি বলেন, ছাত্রছাত্রীদের শাম্তিপূর্ণ আন্দোলনের ওপর শাসক দলের পুলিস যে আক্রমণ করেছে, তা প্রতিবাদের কোনও ভাষা নেই৷‌ উপাচার্য নিজেকে নিশ্চিম্ত করতে ছাত্রছাত্রীদের পুলিসের লাঠির সামনে ফেলে দিয়ে পালিয়েছেন৷‌ ওই সভায় অন্য বক্তাদের মধ্যে ছিলেন ডাঃ স্বাতী ঘোষ, ডাঃ মুক্তেশ ঘোষ ও সোমনাথ চ্যাটার্জি৷‌


    চন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়: শাম্তিনিকেতন, ২৩ সেপ্টেম্বর– অনুমতি ছাড়া সাংবাদিক ও বহিরাগতদের ঢোকার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ৷‌ বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসচিব ড. ডি গুণশেখরণ এক নির্দেশিকায় সব অধ্যক্ষ ও বিভাগীয় প্রধানদের জানিয়েছেন, এ ধরনের অবাঞ্ছিত ঘটনা ঘটলে সঙ্গে সঙ্গে যেন কর্মসচিবকে জানানো হয়৷‌ কর্মসচিবের এই নিষেধাজ্ঞাকে বিশ্বভারতীর সাংস্কৃতিক জাতীয়তাবাদী শিক্ষক সংগঠন সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ বলে দাবি করেছেন৷‌ বি জে পি সমর্থিত এই সংগঠন অধ্যাপক সভা নির্বাচন নিয়ে কেন্দ্রীয় পাঠাগারে মঙ্গলবার এক সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করে৷‌ সংগঠনের পক্ষে অধ্যাপক বিপ্লব লোহ চৌধুরি জানান, নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাঁরা কর্মসচিবের অনুমতি নিয়েই সাংবাদিকদের ডেকেছেন৷‌ তিনি বলেন, যে কোনও জায়গায় যদি স্বাধীনতা হরণের চেষ্টা হয় তা হলে তাঁদের সংগঠন সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের পাশেই থাকবেন৷‌ বিপ্লববাবু জানান, অধ্যাপক সভার নির্বাচনে তাঁরা পাঁচটি আসনে লড়ছেন৷‌ অন্যদিকে কর্মসচিবের নিষেধাজ্ঞাকে ঘিরে দেশ-বিদেশ থেকে আসা পর্যটকেরা কীভাবে বিশ্বভারতীতে ঢোকার অনুমতি পাবেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে৷‌ হাজার হাজার পর্যটকদের (বহিরাগত) এই অনুমতি দেওয়ার পদ্ধতি কী হবে? কোথা থেকে পাওয়া যাবে সেটাও পরিষ্কার নয়৷‌ কারণ বিশ্বভারতীতে আগে থেকেই ক্যামেরা নিয়ে আশ্রম চত্বরে বা বিশ্বভারতীর এলাকায় ঢুকতে অনুমতি লাগত৷‌ জনসংযোগ অফিসে নির্দিষ্ট ফি জমা দিয়ে রবীন্দ্রভবন ব্যতীত ছবি তোলার অনুমতি দেওয়ার প্রথা আজও চালু আছে৷‌ আশ্রম চত্বরে ক্লাস চলাকালীন ভেতরে ঢোকার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি আছে উপাচার্য রজতকাম্ত রায়ের আমল থেকেই৷‌ তা হলে নতুন করে এই নিষেধাজ্ঞা কেন? বিশেষ করে কলাভবনে সম্প্রতি ছাত্রী নিগ্রহের ঘটনার পরে-পরেই এই নিষেধাজ্ঞাকে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ বলেই মনে করা হচ্ছে৷‌ যদিও বিশ্বভারতী সূত্রে খবর, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করার কোনও উদ্দেশ্য বিশ্বভারতীর নেই৷‌ কিন্তু বিশ্বভারতীতে খোলা আকাশের নিচে ক্লাস হয়৷‌ সেই ক্লাস চলাকালীন অনেকেই ক্যামেরা নিয়ে ছবি তুলতে ঢুকে পড়েন৷‌ সেখানে কে সাংবাদিক আর কে নয় তা বোঝা যায় না৷‌ সে জন্যই ক্যাম্পাসে ঢোকার আগে কর্মসচিবের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় অনুমতি নেওয়ার কথা বলা হয়েছে৷‌


    আজকালের প্রতিবেদন: যে ভাষায় ঘেরাওয়ের সমালোচনা করলেন, সে ভাষায় মধ্যরাতে যাদবপুরের পড়ুয়াদের ওপর পুলিসি নির্যাতনের নিন্দা শোনা গেল না তাঁদের মুখে৷‌ এ বিষয়ে সরাসরি প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে গিয়ে কী পরিস্হিতিতে পুলিস ডাকা হয়েছিল তার ব্যাখ্যাই দিলেন উপাচার্যরা৷‌ অনেকে আবার অতীতে ঘটনার প্রসঙ্গও উত্থাপন করেন৷‌ তবে ভিন্ন সুর শোনা গেল প্রেসিডেন্সির উপাচার্যের গলায়৷‌ বিশেষ কাজ থাকায় সাংবাদিক বৈঠকে ছিলেন না প্রেসিডেন্সির উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়া৷‌ এদিন সি আই আইয়ের এক অনুষ্ঠানে ঘেরাওয়ের পাশাপাশি পুলিসি নির্যাতনের সমালোচনা করেন তিনি৷‌ বলেন, এভাবে এতক্ষণ ধরে ঘেরাও চলাটা দুর্ভাগ্যজনক৷‌ তার থেকেও বেশি দুর্ভাগ্যজনক ক্যাম্পাসে পুলিস ঢোকা৷‌ আলাপ-আলোচনার মধ্যে দিয়ে সমস্যার সমাধান সম্ভব৷‌ প্রেসিডেন্সিতে আমরা এ বিষয়ে যথেষ্টই সতর্ক৷‌ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের মিছিলের পর এবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পাশে এসে দাঁড়ালেন রাজ্যের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা৷‌ মঙ্গলবার প্রেস ক্লাবে রীতিমতো সাংবাদিক বৈঠকও করেন তাঁরা৷‌ ছিলেন বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রঞ্জন চক্রবর্তী, কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রতনলাল হাংলু, প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রঞ্জন ভট্টাচার্য, উত্তরবঙ্গের উপাচার্য সোমনাথ ঘোষ, বর্ধমানের উপাচার্য স্মৃতিকুমার সরকার, কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অনুরাধা মুখার্জি, সিধু-কানহু-বীরসার উপাচার্য শমিতা মান্না ও উচ্চশিক্ষা সংসদের ভাইস চেয়ারম্যান মলয়েন্দু সাহা৷‌ যে যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা ছিলেন না তাঁরা বিশেষ কাজ পড়ে যাওয়ায় আসতে পারেননি বলে জানান রঞ্জন চক্রবর্তী৷‌ তিনি দাবি করেন, প্রত্যেকেই তাঁদের সঙ্গে আছেন৷‌ উপাচার্যদের বক্তব্য হিসেবে যেটি বিলি করা হয় তার মূল বক্ত্যবটি হল, সেদিন এতরাত পর্যম্ত উপাচার্য-সহ কার্যকরী সমিতির সদস্যদের ঘেরাও করে রাখার ঘটনায় তাঁরা গভীরভাবে বেদনাহত৷‌ ঘেরাও না করে শাম্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করা যেত৷‌ যাদবপুরের মতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এখনকার পরিস্হিতিতে তাঁরা গভীরভাবে বিচলিত বোধ করছেন৷‌ উপাচার্য অভিজিৎ চক্রবর্তী একজন প্রসিদ্ধ শিক্ষক এবং গবেষকই শুধু নন, তিনি একজন ভাল প্রশাসকও বটে৷‌ নিগৃহীতা ছাত্রীর অভিযোগের যথার্থতা অনুসন্ধানের উচ্চশিক্ষা দপ্তর ইতিমধ্যেই একটি কমিটি করেছে৷‌ মেয়েটির বাবা এই কমিটির ওপর আস্হা রেখেছেন৷‌ তাই ছাত্রদের প্রতি আমাদের অনুরোধ তারা যেন ক্লাসে ফিরে যায়৷‌ বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠনপাঠনের স্বাভাবিক অবস্হা যেন ফিরে আসে৷‌ আলাপ-আলোচনার মাধ্যমেই যে কোনও সমস্যার সমাধান সম্ভব৷‌ তাঁরা ঘেরাওকে সমর্থন করছেন না আবার মাঝরাতে ছাত্রদের ওপর পুলিসি আক্রমণ নিয়েও স্পষ্ট কিছু বলছেন না৷‌ তাহলে কি তাঁরা পুলিসি হামলাকে সমর্থন করছেন? জবাবে বিদ্যাসাগরের উপাচার্য রঞ্জন চক্রবর্তী সরাসরি উত্তর না দিয়ে বলেন, কঠিন প্রশ্ন৷‌ উপাচার্যরাও শিক্ষক৷‌ তাঁরা কখনোই পুলিস ডাকতে চান না৷‌ কারণ পুলিস যখন তার 'অ্যাকশন'শুরু করে তখন তার ওপর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কোনও নিয়ন্ত্রণ থাকে না৷‌ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে পুলিস কাজ করে না৷‌ তাদের নিজস্ব পম্হা রয়েছে৷‌ আমি এ বিষয়ে কোনও মম্তব্য করব না৷‌ সেদিন বিশেষ অবস্হার মধ্যে দিয়ে অভিজিৎবাবুকে পুলিস ডাকতে হয়েছিল৷‌ উনি নিরাপত্তার অভাব বোধ করেছিলেন৷‌ অসুস্হ বোধ করছিলেন৷‌ এই ধরনের ঘটনার নিজস্ব বৈশিষ্ট্য আছে৷‌ অভিজিৎবাবু অত্যম্ত ছাত্রদরদি শিক্ষক৷‌ ৩০ বছর শিক্ষকতা করছেন৷‌ আমরা ওঁর সহকর্মী৷‌ উনি নিরুপায় হয়েই পুলিস ডেকেছিলেন বলে আমাদের বিশ্বাস৷‌ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পুলিস আসা বাঞ্ছনীয় তা বলছি না, কিন্তু কোন পরিস্হিতিতে ডাকা হয়েছিল সেটাও দেখতে হবে৷‌ এর আগেও অনেক ঘেরাও হয়েছে৷‌ সম্প্রতি বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিগ্রহের মতো ঘটনা ঘটেছে৷‌ তখন কেন তাঁরা সরব হননি, এখন কেন? কোনও চাপে পড়ে কি তাঁদের এই সাংবাদিক বৈঠক? জবাবে রঞ্জন চক্রবর্তী, রঞ্জন ভট্টাচার্য ও সোমনাথ ঘোষরা বলেন, তাঁরা কেউ যাদবপুরের প্রাক্তনী, কেউ শিক্ষকতা করেন, এখন লিয়েনে আছেন৷‌ তাই যাদবপুরে ছাত্র আন্দোলনের জন্য পঠনপাঠন যেভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে তাঁদের অনুরোধ, স্হিতাবস্হা ফিরে আসুক৷‌ কারণ, যে অবস্হা চলছে তাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মান নেমে যাচ্ছে৷‌ ৮ দিন হয়ে গেছে৷‌ কোথাও তো এর শেষ হওয়া দরকার৷‌ শ্লীলতাহানির ঘটনা সামনে আসার পর তাঁরা কেন কিছু বলেননি? এক্ষেত্রে উপাচার্যদের বক্তব্য, বিশ্ববিদ্যালয় একটা পদক্ষেপ করেছে৷‌ তদম্ত কমিটি হয়েছে৷‌ তার রিপোর্ট আসার আগেই সেই কমিটির নিরপেক্ষতার দোহাই দিয়ে ঘেরাও-আন্দোলন শুরু হল৷‌ ঘেরাও কোনও সমস্যার সমাধান হতে পারে না৷‌ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে সমস্যা থাকবেই৷‌ কিন্তু ঘেরাও কোনও সমাধান নয়৷‌ কোর্ট, ই সি-র মতো কমিটিগুলিতে অনেক বাইরের সদস্য থাকেন৷‌ এভাবে ঘেরাও হলে তাঁরা কোনও বৈঠকে আসতে চাইবেন না৷‌ কমিটিগুলো কাজ করতে সমস্যা হবে৷‌ রতনলাল হাংলু বলেন, এ রাজ্যের বাইরে কোনও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ঘেরাও হয় না৷‌ জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ধর্ষণের মতো ঘটনা ঘটলেও কোনও ছাত্র আন্দোলন বা ঘেরাও হয়নি৷‌ কর্তৃপক্ষ তদম্ত কমিটি করে এবং দোষীদের শাস্তি হয়৷‌ যাদবপুরের উপাচার্যের পদত্যাগ নিয়ে প্রশ্ন করলে সোমনাথ ঘোষ বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অচলাবস্হা নিয়ে উদ্বিগ্ন৷‌ পদত্যাগের দাবি অযৌক্তিক৷‌ বারবার উপাচার্যদের কাছে কর্তৃপক্ষের আরও ধৈর্য ধরা উচিত ছিল কিনা, পুলিস ডেকে ঘেরাও তোলা সমর্থন করেন কিনা, পুলিসের হাতে ছাত্রদের মার খাওয়াকে সমর্থন করেন কিনা নিয়ে প্রশ্ন করলে প্রত্যেকবারই তাঁরা স্পষ্ট কোনও উত্তর দেননি৷‌ বারবারই বলেন, পরিস্হিতি বিবেচনা করতে হবে৷‌ ওই পরিস্হিতিতে ছিলাম না তাই মম্তব্য করব না৷‌ ঘেরাও এবং ক্যাম্পাসে পুলিস ডাকা নিয়ে কর্মশালা করার অবকাশ রয়েছে বলেও মম্তব্য করেন তাঁরা৷‌


    আজকালের প্রতিবেদন: কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজাবাজার ক্যাম্পাসের শারীরবিদ্যা বিভাগের শিক্ষিকা রোশনারা মিশ্রর নামে এবার অভিযোগ দায়ের হল আমহার্স্ট স্ট্রিট থানায়৷‌ ১৮ সেপ্টেম্বরের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ছাত্র সংসদের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ করা হয়েছে বলে জানা গেছে৷‌ উল্লেখ্য, ছাত্র সংসদ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দখলে৷‌ যদিও ওই দিন রোশনারাদেবী ক্যাম্পাসে ছিলেন না৷‌ বিশ্ববিদ্যালয়ের সল্টলেক ক্যাম্পাসের ন্যানো সেন্টারে আয়োজিত একটি সেমিনারে অংশ নেন তিনি৷‌ তা সত্ত্বেও তাঁর বিরুদ্ধে 'রাজনৈতিক'উদ্দেশ্যে এই অভিযোগ করা হয়েছে৷‌ প্রসঙ্গত, রোশনারাদেবী রাজ্যের বিরোধী দলনেতা ডাঃ সূর্যকাম্ত মিশ্রের মেয়ে৷‌ এই প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠন কুটার সম্পাদক দিব্যেন্দু পাল বলেন, যে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তার প্রত্যেকটি মিথ্যে৷‌ যে যে ধারায় অভিযোগ জানানো হয়েছে, তার মধ্যে দু-একটি জামিন অযোগ্য৷‌ ওই দিন রোশনারা ক্যাম্পাসেই ছিলেন না৷‌ বিষয়টি আমরা উপাচার্যকে জানিয়েছি৷‌ ১৮ সেপ্টেম্বরের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যম্ত রাজাবাজার ক্যাম্পাসে 'পেন ডাউন'-এর সিদ্ধাম্ত নেওয়া হয়েছে৷‌ উপাচার্য এই সিদ্ধাম্ত প্রত্যাহারের অনুরোধ জানিয়েছেন৷‌ আমরা আজ, বুধবার সকালে ক্যাম্পাসের গেটে দাঁড়িয়ে সিদ্ধাম্ত নেব৷‌ প্রসঙ্গত, ১৮ সেপ্টেম্বর রাজাবাজার ক্যাম্পাসে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি শঙ্কুদেব পন্ডার একটি সভা ছিল৷‌ অভিযোগ, এই সভার পরই গোলমাল হয়৷‌ টি এম সি পি-র কিছু সমর্থকের সঙ্গে কিছু বহিরাগত তৃণমল কর্মী শারীরবিদ্যা বিভাগের পড়ুয়াদের ওপর চড়াও হয়৷‌ তাঁরা তখন একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মহড়া দিচ্ছিলেন৷‌ খবর পেয়ে ক্যাম্পাসে আসেন উপাচার্য সুরঞ্জন দাস৷‌


    আজকালের প্রতিবেদন: চিটফান্ড ও স্হানীয় বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আন্দোলনে মানুষের অনেক বেশি স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া পাওয়া যাচ্ছে৷‌ ফলে এই আন্দোলনের ওপর জোর দিতে হবে৷‌ মঙ্গলবার সি পি এম রাজ্য কমিটির বৈঠকে সদস্যদের আলোচনায় এই মত উঠে এসেছে৷‌ পাশাপাশি এদিন সদ্য শেষ হওয়া উপনির্বাচনে দলের ব্যর্থতা নিয়েও আলোচনা হয়৷‌ এদিন রাজ্য কমিটির সভায় সভাপতিত্ব করেন ডাঃ সূর্যকাম্ত মিশ্র৷‌ গত রাজ্য সম্মেলনের পরবর্তী সময়ে দলের রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক কাজের পর্যালোচনা শুরু হয়েছে৷‌ উল্লেখ্য, আগামী বছর এপ্রিল মাসে সি পি এম পার্টি কংগ্রেসের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হয়ে গেছে৷‌ ফলে তার আগে এ রাজ্যে দলের শাখা সম্মেলন থেকে শুরু করে রাজ্য সম্মেলন শেষ করতে হবে৷‌ গত বিধানসভা নির্বাচনে বামপম্হীদের পরাজয়ের পর থেকেই দলের মধ্যে এবং বাইরে নেতৃত্ব বদলের দাবিতে একাংশ সোচ্চার৷‌ কমিউনিস্ট পার্টিতে নেতা বদলে সংগঠনকে চাঙ্গা করে তোলার একমাত্র পথই হল সম্মেলন৷‌ আগামী মাস থেকেই শুরু হয়ে যাবে শাখা ও আঞ্চলিক সম্মেলন৷‌ তারপর জেলাগুলোর সম্মেলন শেষ করে রাজ্য সম্মেলন করা হবে৷‌ স্বভাবতই জেলায় জেলায় কর্মী-নেতারা ইতিমধ্যেই তৎপর হয়ে উঠেছেন৷‌ শুরু করে দিয়েছেন সম্মেলনের প্রস্তুতি৷‌ সম্মেলনের দিনক্ষণ নিয়ে আজ বুধবার বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হবে বলে জানা গেছে৷‌ সেপ্টেম্বর মাস জুড়ে যে আন্দোলন-কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল এদিন তার পর্যালোচনা করা হয়৷‌ জেলাগুলি যা রিপোর্ট দিয়েছে তা থেকে জানা যাচ্ছে, স্হানীয় সমস্যা ও চিটফান্ড নিয়ে আন্দোলনের প্রতি কর্মী-সমর্থকেরা বেশি আগ্রহী৷‌ বিভিন্ন জেলায় মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে অংশ নিয়েছেন৷‌ এদিন বৈঠকে বেশ কিছু সদস্য রবীন দেবকে সি বি আই দপ্তরে ডাকার ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন৷‌ জানতে চান, সারদার মতো ঘটনায় কোন সূত্রে রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর এই নেতার নাম উঠল? প্রকৃত অবস্হা কী? পাশাপাশি এদিন সদস্যদের আলোচনায় উঠে এসেছে চিটফান্ড নিয়ে বিক্ষোভ-অবস্হানে বহু নতুন মানুষের সমাবেশ ঘটেছে৷‌ দেখা যাচ্ছে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে জনগণের অসম্তোষ ক্রমশ বাড়ছে৷‌ এই পরিস্হিতিকে কাজে লাগাতে হবে৷‌ চা-শ্রমিক, পরিবহণ শ্রমিক, গ্রামে রেগায় মজুরি না-পাওয়া নিয়ে মানুষ আরও বিস্তৃত আন্দোলন চাইছেন বলে মনে করছে রাজ্য কমিটি৷‌ বিশেষ করে চিটফান্ডে প্রতারিত মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে এই আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়াতে চায় সি পি এম৷‌ এদিন রাজ্য কমিটির সভায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পুলিসি হামলার ঘটনা নিয়ে রাজ্যর সর্বত্র যে বিক্ষোভ তৈরি হয়েছে তা বিভিন্ন জেলার সদস্যদের কথায় উঠে এসেছে৷‌ এদিন সভার বাইরে সাংবাদিকদের প্রশ্নে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী কাম্তি বিশ্বাস জানান, এই ঘটনা গোটা দেশের কাছে পশ্চিমবঙ্গের মুখে চুন-কালি লাগিয়ে দিয়েছে৷‌ বলেন, আমি ২৫ বছর এ রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ছিলাম৷‌ কখনও শিক্ষাক্ষেত্রে ছাত্রছাত্রীদের ওপর এভাবে পুলিসকে লাঠি চালাতে হয়নি৷‌ নৃশংস ঘটনা ঘটিয়েছে সেদিন৷‌ অন্যান্য রাজ্য থেকে আমার পরিচিত শিক্ষাবিদেরা ফোন করে জানতে চাইছেন, কী ভাবে এমনটা ঘটল? উপাচার্যের যদি মানবিকবোধ থাকে তা হলে এখুনি তাঁর পদত্যাগ করা উচিত৷‌






    গতকাল তৃনমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি শ্রী গৌরিশঙ্কর দত্ত বলেছেন

    সারদা অর্থ লগ্নি সংস্থার মিডল্যান্ড পার্কের অফিস বাজেয়াপ্ত করল ইডি৷ এটি সংস্থার হেড অফিস৷ বুধবার সকালে মিডল্যান্ড পার্কের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলের তল্লাশি চালায় ইডির গোয়েন্দাকারীরা৷ বাজেয়াপ্ত করা হয় অফিসটিকে৷ একই সঙ্গে তল্লাশি চালানো হচ্ছে উত্তরবঙ্গেও৷

    ইতিমধ্যে উত্তরবঙ্গের ২৪ থেকে ২৫টি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছেন  ইডি কর্তার৷ জানা গিয়েছে, বুধবারই লাটাগুড়ির 'অরণ্য ভিউ'নামের একটি রিসর্টে হানা দেন ইডি কর্তারা দেবব্রত করের নেতৃত্বে চার সদস্যের এক দল৷ ২০০৮ সালের পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিত্ত নিগম থেকে লোন নিয়ে তিন ব্যবসায়ী এই রিসর্টটি কেনেন৷ কিন্তু লোনের টাকা শোধ না হওয়ায় সুদীপ্ত সেনকে আট কোি টাকা মূল্যের ওই সম্পত্তিটি হস্তান্তর করে দেন তাঁরা৷ সেই সূত্র ধরেই লাটাগুড়িতে হনা দেয় ইডি৷ এখনও সারদার সম্পত্তির খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে উত্তরবঙ্গে৷জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় রিসর্টের কেয়ার টেকার দিলওয়ার হোসেনকেও৷

    একই সঙ্গে  ডুয়ার্সের বানারহাটের কলাবাড়ী এলাকায় সারদার আমার ডেয়ারী দুগ্ধ প্রকল্পে হানা দেয় ইডি৷ এছাড়াও জলপাইগুড়ি জেলার বেশ কিছু জায়াগায় তল্লাশি চালায় বলে খবর৷এদিন তারা ডুয়ার্সের বেশ কিছু এলাকাতেও তল্লাশি চালায়৷ জানা গিয়েছে, সুদীপ্ত সেন ওই এলাকার বেশ কিছু আদিবাসী জমি কিনেছে৷ যা আইন বিরুদ্ধ কাজ৷ সেই ঘটনার তদন্ত করা হয় এদিন৷

    শুভেন্দু-মুকুল রুদ্ধদ্বার বৈঠক

    Suvendu-

    স্টাফ রিপোর্টার, কলকাতা: সিবিআই দফতর থেকে বেরিয়ে তৃণমূল ভবনে গেলে সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী। সূত্রের খবর, তৃণমূল ভবনে পৌঁছে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসেছেন শুভেন্দু অধিকারী ও তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়। সূত্রের খবর, সারদা কাণ্ড নিয়ে মুখ খুলতে বারণ করা হয়েছে শুভেন্দুকে।

    বুধবার সল্টলেক সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআইয়ের জেরার মুখে পড়তে হয় তাঁকে। গত সপ্তাহে তাঁকে তলব করেছিলেন গোয়েন্দারা। সিবিআই সূত্রে খবর, ২৩ তারিখ পর্যন্ত সময় চেয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ। যদিও সিবিআই দফতরে যেতে চান বলে মঙ্গলবার রাতে ফোন করেন  নিজেই।  সেইমতো বুধবার দুপুরে সিজিও কমপ্লেক্সে যান তিনি। সারদাকাণ্ডে এই তৃণমূল সাংসদকে শুভেন্দু অধিকারীকে জেরা করল সিবিআই। সিবিআই সূত্রের খবর, মেদিনীপুরে সারদার সম্পত্তি কেনা-বেচার ক্ষেত্রে শুভেন্দুর যোগ রয়েছে। এসব বিষয়ে জানতে আজ তাঁকে সওয়া এক ঘণ্টা জেরা করেন গোয়েন্দারা।

    জানা গিয়েছে, মিডল্যান্ড পার্কে প্রায়ই যেতেন তিনি। গোয়েন্দাদের প্রশ্ন, কেন যেতেন? সুদীপ্ত সেনের সঙ্গে তাঁর কী সম্পর্ক ছিল? এসব প্রশ্নের উত্তরের খোঁজেই তাঁকে এদিন জেরা করেন গোয়েন্দারা। যদিও জেরার পর সুদীপ্ত সেনের সঙ্গে তাঁর পরিচয় বা মিডল্যান্ড পার্কে যাওয়ার বিষয় সুকৌশলে এড়িয়ে যান শুভেন্দু। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে খবর, মেদিনীপুরে সারদার বিভিন্ন সম্পত্তি কেনাবেচার ক্ষেত্রে তাঁর যোগসূত্র রয়েছে। শুধু তা-ই নয়, দেবযানী মুখোপাধ্যায়-সহ সারদাকর্মীদের জেরায় শুভেন্দুর নাম উঠে আসে বলে দাবি সিবিআইয়ের।

    মঙ্গলবার সারদাকর্তার গাড়ি চালক অরবিন্দ সিংহ চৌহান দাবি করেন, নিজাম প্যালেসে মুকুল রায়র সঙ্গে বৈঠকের দু'দিন পর রাতে মিডল্যান্ড পার্কে যান তৃণমূল সাংসদ শুভেন্দু। এ প্রসঙ্গ এড়িয়ে চৌহানের বিরুদ্ধে মানহানির মামলার হুঁশিয়ারি দেন তিনি। সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরিয়েই তৃণমূল বভনে যান শুভেন্দু। রাজনৈতিক মহলের অনুমান, সারদা নিয়ে বিরোধীদের লাগাতার আক্রমণের মুখে নয়া স্ট্র্যাটেজি স্থির করতেই মুকুল রায়ের সঙ্গে বৈঠক করে হোমওয়ার্ক সারলেন শিশির-পুত্র।

    ========================

    http://kolkata24x7.com/kolkata-news/subhendu-mukul-closed-door-meeting.html#.VCM6ypSSxJk

    কলকাতা 24x7এর খবর

    পাড়ুইকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ রাজ্যের

    কলকাতা| Edited By Dipendu Paul |Updated:September 24, 2014 3:52 IST |

    high court kolkata

    স্টাফ রিপোর্টার, কলকাতা: পাড়ুইকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ রাজ্য সরকারের। সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যাচ্ছে রাজ্য, জানালেন রাজ্যের আইনজীবী কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়। সিটের তদন্তে অসঙ্গতির কারণে তদন্তের গতিপ্রকৃতিতে খুশি নয় আদালত। সেই কারণেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইকে দিয়ে সাগর ঘোষ হত্যা মামলার তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।

    বুধবার পাড়ুইকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। গত বছর পঞ্চায়েত ভোটের সময় খুন হন বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মী, নির্দল প্রার্থী হৃদয় ঘোষের বাবা সাগর ঘোষ। বারবার রাজ্যের তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে কলকাতা হাই কোর্ট। আজ রায় ঘোষণার সময় বিচারপতি ট্যান্ডনের পর্যবেক্ষণ, এসআইটি বা সিট একপেশে এবং প্রভাবিত হয়ে তদন্ত করেছে। এফআইআরে নাম থাকা সত্বেও অনুব্রত মণ্ডলের গোপন জবানবন্দি রেকর্ড করার কেন প্রয়োজন বোধ করল না সিট, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতি।

    অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়ে ডিজির ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট হতে পারেনি আদালত। তদন্ত রিপোর্ট নিয়ে সরকারি আইনজীবীর সঙ্গে ডিজির আলোচনা করাও উচিত হয়নি বলে বিচারপতির পর্যবেক্ষণ। এ সমস্ত কারণেই এই মামলার তদন্তভার সিবিআইকে দেওয়া হল বলে জানিয়েছেন বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন। নির্দিষ্ট সময় অন্তর আদালতে সিবিআইকে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।


    আইন আইনের পথে চলবে'প্রতিক্রিয়া অনুব্রতর

    এপার বাংলা, দক্ষিণবঙ্গ| Edited By Swastika Chowdhury |Updated:September 25, 2014 12:02 IST |

    Anubrata 7

    সিউড়ি: দশ মাস ধরে মামলা চলার পর অবশেষে বুধবার পাড়ুই-কাণ্ডে রায়দিল কলকাতা হাই কোর্ট। রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে বীরভূমের জেলা সভাপতি তথা মুখ্যমন্ত্রী ঘনিষ্ঠ অনুব্রত মণ্ডলের প্রতিক্রিয়া, 'আইন আইনের পথে চলবে'৷কোর্টের রায়কে মাথা পেতে নেবেন বলেও জানিয়েছেন তৃনমূল নেতা অনুব্রত৷ঘোষ পরিবারের প্রত্যাশামতই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিলেন হাই কোর্টের বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন। সিটের তদন্তের আস্থা না থাকায় এই তদন্তভার সিবিআইকে দেওয়া হয়েছে বলে আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে।




    আঠারো বছর বয়স-সুকান্ত ভট্টাচার্য



    আঠারো বছর বয়স কী দুঃসহ

    র্স্পধায় নেয় মাথা তোলবার ঝুঁকি,

    আঠারো বছর বয়সেই অহরহ

    বিরাট দুঃসাহসেরা দেয় যে উঁকি।


    আঠারো বছর বয়সের নেই ভয়

    পদাঘাতে চায় ভাঙতে পাথর বাধা,

    এ বয়সে কেউ মাথা নোয়াবার নয়–

    আঠারো বছর বয়স জানে না কাঁদা।


    এ বয়স জানে রক্তদানের পুণ্য

    বাষ্পের বেগে স্টিমারের মতো চলে,

    প্রাণ দেওয়া-নেওয়া ঝুলিটা থাকে না শূন্য

    সঁপে আত্মাকে শপথের কোলাহলে।


    আঠরো বছর বয়স ভয়ঙ্কর

    তাজা তাজা প্রাণে অসহ্য যন্ত্রণা,

    এ বয়সে প্রাণ তীব্র আর প্রখর

    এ বয়সে কানে আসে কত মন্ত্রণা।


    আঠারো বছর বয়স যে দুর্বার

    পথে প্রান্তরে ছোটায় বহু তুফান,

    দুর্যোগে হাল ঠিক মতো রাখা ভার

    ক্ষত-বিক্ষত হয় সহস্র প্রাণ।


    আঠারো বছর বয়সে আঘাত আসে

    অবিশ্র্রান্ত; একে একে হয় জড়ো,

    এ বয়স কালো লক্ষ দীর্ঘশ্বাসে

    এ বয়স কাঁপে বেদনায় থরোথরো।


    তব আঠারোর শুনেছি জয়ধ্বনি,

    এ বয়স বাঁচে দুর্যোগে আর ঝড়ে,

    বিপদের মুখে এ বয়স অগ্রণী

    এ বয়স তবু নতুন কিছু তো করে।


    এ বয়স জেনো ভীরু, কাপুরুষ নয়

    পথ চলতে এ বয়স যায় না থেমে,

    এ বয়সে তাই নেই কোনো সংশয়–

    এ দেশের বুকে আঠারো আসুক নেমে।।


    असली त्योहार अब मेड इन इंडिया,किल किल खिल खिल इंडिया मेरी जान जय हो जोहार हो ... लड़ाई आरपार हो!मतुआ कहने से कोई मतुआ हो नहीं जाता जैसे क्रोनी कैपिटल पर प्रहार कहने से प्रहार लेकिन होता नहीं है आलिशा मेरी जान,प्रकट हो जा कहीं से भी,कम से कम आखिरी बार गाकर सुना-मेड इन इंडिया पलाश विश्वास

    $
    0
    0

    असली त्योहार अब मेड इन इंडिया,किल किल खिल खिल इंडिया मेरी जान

    जय हो जोहार हो ... लड़ाई आरपार हो!मतुआ कहने से कोई मतुआ हो नहीं जाता जैसे क्रोनी कैपिटल पर प्रहार कहने से प्रहार लेकिन होता नहीं है

    आलिशा मेरी जान,प्रकट हो जा कहीं से भी,कम से कम आखिरी बार गाकर सुना-मेड इन इंडिया

    पलाश विश्वास

    असली त्योहार अब मेड इन इंडिया,किल किल खिल खिल इंडिया मेरी जान


    आलिशा मेरी जान,प्रकट हो जा कहीं से भी,कम से कम आखिरी बार गाकर सुना-मेड इन इंडिया


    विनिवेश और डिजिटल देश,आर्थिक सुधार,विकास और वृद्धि दर,वित्तीय घाटा और इंफ्रास्ट्रक्चर, पीपीपी गुजराती माडल की तर्ज पर एक और नई परिभाषा अब अबाध कालाधन पूंजी प्रवाह सुनिश्चित करने के लिए।


    अब समझ लो बच्चों,प्रधान स्वयंसेवक ने कह दिया है कि एफडीआई माने फर्स्ट डेवेलप इंडिया,विदेशी पूंजी को खुली छूट नहीं।जैसे पीपीपी माने बुलेट ट्रेन और स्मार्ट सिटी यानी खुल्ला खेल फर्रूखाबादी यानी निरंकुश बेदखली।


    पीपीपी माने सेज महासेज देश के अंदर विदेश।


    सरकारी उपक्रमों का सत्यानाश और अंबानी अडानी राज तो एफडीआई के फर्स्ट डेवेलप इंडिया का मतलब भी समझ लीजिये।


    मेक इन माने मेड इन सारा कुछ खारिज।विदेशी पूंजी मेक इन करेगी और हम कर्मकांडी तौर तरीके से भोग लगायेंगे,हम यानि जो सत्ता वर्ग के क्रयशक्ति संपन्न उपभोक्ता है और बाकी हैव्स नाट के लिए बचेगा महज तिरंगा झंडा और फूट गया अंडा।


    किया छूं चूं गूटरगूं तो सर पर पड़ेगा डंडा। सब हो जाओगे ठंडा जब होगा सलवा जुड़ुम या लागू हो जाये आफसा दसदिगंते।


    सारे युद्धों का मदर अगर तेल युद्ध अमेरिकी तो सारे सुधारों,सारे नरमेध राजसूय का फादर यह मेक इन त्योहार है।


    अब गाओ रे भाया,आईला रे आईला,केदार रे केदार,अलीबीबी आला।


    खुल जी सिम सिम,खुल जा सिम सिम खुल जीजा सिम सिम।

    विकास की देहगाथा की खुली रे खुली जिम,सिक्स पैक सिम।


    बरहाल त्योहार है कि गुजरात नरसंहार के दाग धुल गये जैसे सिखों का नरसंहार अमेरिकी नजरिये से नरसंहार नहीं ठहरा,जैसे कि भोपाल गैस त्रासदी त्रासदी नहीं है जैसे कि विधर्मियों और आदिवासियों के खिलाफ अमेरिका का आंतकविरोधी युद्ध है.


    शाही गंगा शुद्ध अभियान बहुराष्ट्रीय पापमोचन में सारी खून की नदिया दूध घी की हो गयी।राजस्थान में तो गणपति बप्पा ने दूध नहीं पिया अबकी दफा, लेकिन दूध की नदी बह निकली है कि वीजा संकट मुक्त प्रधान स्वयंसेवक शाही लव जिहाद लेकर चले दस्तक देने ओबाामा के दुआरे और मंगल अभियाने चमत्कार सफल महाशक्ति झंडा पत पत उड़े अमेरिकी आकाश कि वहां भी बाबी जिंदल का हो सके तो हो जाये राज्याभिषेक हो पूरा ग्लोबल हिंदुत्व का मिशन पूरा।


    गीता की बिक्री भी बढ़ानी है और फलाहार का व्रत नवरात्रि मेनु है लेकिन नरमेध राजसूय तो तेज हो गइलन बाड़ा।


    मेक इन इंडिया लांच करिके चले रघुकुल तिलक भाया

    झाड़ू लगाइके कर लियो कायाकल्प गंधियन काया

    अब जो होई सो होई,होइंहे सोई जो ओबामा रचि राखा


    लड़िहन भारत चीन आउर पाकिस्तान कि

    बांग्लादेश में भी सत्ता पलट रचि राखा


    नाच्यो गोपाल बहुतै माओवादी जो नेपालन में

    वह भी ससुरे हिंदू राष्ट्र बनिहें बाडा़

    बाकी बच्यो हियां वही सूअरबाडा़


    सूअरबाड़न का सूअरन जहां तहां जो गंदगी

    रचि राखा,नयका गुजराती गांधीअन पीपीपी

    का सबै हिटलरशाही से रफा दफा कर देंगे

    सबै को होउ के बदले डंडा कर देंदंगे या गंगे दंगे



    इंटर नेट से बुरबक बनाओंइंग मनाही है

    थ्रीजीएक्स फोर जीएक्स फाइव जीएक्स सांढ़ संस्कृति

    के मीडिया महाविस्श्पोट में जो प्रबल सुनामी छायो

    उसका का करोगे भाया


    बहरहाल खबर यह है कि प्रधानमंत्री नरेंद्र मोदी अमेरिका की अपनी महत्वपूर्ण यात्रा के लिए रवाना हो गए हैं।


    गौरतल ब है मेकइन अंब्रेला से उन्होंने अमेरिका को बहुत महत्वपूर्ण भागीदार बताते हुए विश्वास जताया कि उनकी इस यात्रा से बहुत सी दूरियां खत्म होंगी और रणनीतिक रिश्तों में एक नया इतिहास शुरू होगा।


    अपनी पांच दिन की अमेरिका यात्रा पर रवाना होने से पूर्व प्रधानमंत्री ने कहा कि वह राष्ट्रपति बराक ओबामा के साथ इस बात पर विचार विमर्श करेंगे कि आपसी और वैश्विक हित में दोनों देश कैसे अपने संबंधों को नई ऊंचाई पर पहुंचा सकते हैं।


    मोदी के भाषण की कुछ और प्रमुख बातें- अच्छी सरकार से नहीं प्रभावी सरकार से विकास को गति मिलती है।

    - भारत में डिमांड, डेमॉक्रेसी और डेमोग्रैफिक डिविजन तीनों हैं।

    - मैं आपको विश्वास दिलाता हूं, आपका पैसा नहीं डूबेगा।

    - ब्यूरोक्रेसी सरकार के कार्यक्रमों को लागू कराने के लिए पूरी मेहनत कर रही है।

    - जरूरत के हिसाब से होना चाहिए स्कील मैनपावर।

    - देशवासी पर भरोसा करना सरकार का मंत्र है।

    - सवा सौ करोड़ देशवासियों पर निर्णय से बड़ा कोई निर्णय नहीं है।

    - सरकार चाहे तो 135 की बजाय दुनिया के 50वें नंबर होगा अपना देश।

    - मेक इंडिया आपके उत्पादन के लिए एक बड़ा बाजार उपलब्ध कराएगा।

    - मेक इन इंडिया से भारत के नौजवानों को रोजगार मिलेगा।

    - गरीब को रोजगार मिलेगा तो अर्थव्यवस्था बढ़ेगी।

    - मैन्युफैक्चर के लिए जितना ज्यादा जरूरी उसका उत्पाद है, उतना ही ज्यादा जरूरी ऐसे ग्राहक भी हैं, जो उसे खरीद सकें।

    कोयला की काजल कोठरी से बेदाग निकले हैं सारे चेहरे वैसे ही शरदामाता के आश्रम से भी बेदाग निकलेंगे सारे चेहरे जैसे अब तक के सारे घोटालों का हश्र हुआ है,सीबीआई सीबीाई खेल हुआ है,संसद में हुआ हंगामा और अदालतों में हुए फैसले किसी का कुछ उखड़ा नहीं।

    बेहद खुश।


    लेकिन आइते जाइते बारो आना ,उसूल होइलो ना

    बंधु तोमार देखा पाइलाम ना


    चोर निकलकर भागा बचा रहा धागा

    अब ससुरों ,धागा का रंग देखो

    धागा का नशा जायका देखो

    और बवासीर के मजे लेते रहो


    कोयला आबंटन सबै खारिज भयो ता कालिया तेलक्षेत्रों के आबंटन का क्या होगा रे

    दुबारा नीलामी होगी

    जो धनपशु लोगों को महा मुनाफा हुआ उनका का होगा


    क्या वही लोग फिर नीलामी दंव खेलेंगे


    या नयका खलाड़ी लबै खुल्लम खुल्ला पेलेंगे


    उन बैंकों का तरणहार कौन जो लाखों करोड़ का खैराज कर्जा बांटकर सुर धुनैं हैं।


    अकेले भारतीय स्टेट बैंक को सत्तर हजार का चूना लगा है क्योंकि आबंटित कोयला ब्लाक विकसित हुआ नहीं और कर्ज डूब गयो रे,वसूली का चांस नहीं कोई


    फिर जो देस को कत्तै किततै लाख करोड़ का घाटा हुआ,उसका क्या

    बिजली के लिए कोयला आयात जो होना है,उसका दाम कौन भरेगा

    और कोयला संकट के बहाने ग्रिड संकट की कोख से निजी कंपनियां जो करंट मारेंंगी,उस सर्पदंश का इंजेक्शन क्या अमेरिका से मेक इन होकर आयेगा


    आज के रोजनामचे की काजल कोठरी का यह खुल जा सिम सिम है। डकैत गिरोहों का जलवा देखने के लिए इंतजार करें।


    त्योहारी सीजन शुरु हो गया है।मुझे धर्म अधर्म से कोई फर्क नहीं पड़ता।

    अगर धर्म कुछ हुआ तो वह मेरे लिए खांटी 24 कैरेट विशुद्ध मनुष्यता है।

    उससे कम ज्यादा मुझे कुछ भी स्वीकार नहीं है।

    एक डिसक्लेमर यही से।

    आपकी आस्था आपका अधिकार।

    हमें उसपर कुछ कहना नहीं है।

    सिर्फ निजी आस्था की स्वतंत्रता का आनंद लीजिये, अंध धर्मोन्मादी राष्ट्रवादी पैदस फौज में न खुद शामिल हो और न हमें शामिल होने का न्यौता दें।


    त्योहारों में लेन देन में मेरी आस्था नहीं है,न औकात है।


    रिश्तेदारी और लेन देन,दावे प्रतिदावे की झंझट से बचने के लिए जिस जमीन में बहती है,मेरी रक्तधारा,उसे स्पर्श करना भी विलंबित हो रहा है।


    जाहिर है कि मैं नास्तिक हूं।नवजागरण होता तो म्लेच्छ करार दिया जाता।


    पापी हूं।जन्म जन्मांतर का कर्मफल,नरक,अस्पृश्यता,बहिस्कार के भोग से घिरा हूं।


    स्वर्ग से नर्क में घगिरा अभिशप्त शैतान हूं मैं और स्वर्ग के खिलाफ युद्ध घोषणा है मेरी।


    स्वर्गदखल करने का कोई इरादा नहीं है,नर्क के हक हकूक की लड़ाई मेरे सरोकार हैं।


    कोई ईश्वर या देवमंडल अवतार गिरोह से मेरा कुछ भी लेना देना नहीं है।जन्मजात हिंदू जरुर हूं लेकिन यह मेी पहचान नहीं है।


    दरअसल मैं मतुआ हूं जो धर्म नहीं,इस देश की आम जनता की विरासत की असली पहचान है।


    जनविद्रोहो और जमीन के हक हकूक की विरासत।


    स्वर्ग पर मेरा कोई लोभ नहीं है।ययाति नहीं हूं कि भोग को प्रलंबित कर सकूं।विश्वसुंदरी के प्रेम को भी स्वीकार करने लायक इंद्रियां हैं नहीं बहरहाल।


    मैं इस नर्क के हालात बदलने की लड़ाई में बिजी हूं।स्वर्ग के वाशिंदों,मुझे स्वर्ग दिखाने की कोशिश न करें।


    अपनी शुभकामनाओं के वृष्टिपात से मुझे निजात दें।

    सुषमा असुर का जोहार

    जोहार.

    आप सभी को महिषासुर और रावण की शहादत याद रहे. याद रहे कि समान और सुंदर दुनिया का लडाई खतम नहीं हुआ है. हमारे असुर पुरखा-पूर्वजों ने, बूढ़े-बुढ़ियों ने धरती को इंसानों को रहने लायक बनाया था. कुछ लोगों ने इसे गंदा कर दिया. हमें फिर से दुनिया के आंगन को साफ कर और बढ़िया से लीप-पोतकर सजाना है. सिरजना है.


    भाई एके पंकज की ललकारः

    हम असुरों की हत्या का उत्सव मनाओ. पर तैयार रहो जवाब झेलने के लिए. तब मत कहना हमारे बाप-दादाओं ने जो किया उसकी सजा हमको क्यों?

    जय हो जोहार हो ... लड़ाई आरपार हो!

    हमारे राजनेता बेहद भोले हैं।पब्लिक को बेवकूफ बनाने की आदत से मजबूर हैं।गरीबी उन्मूलन की कथा अनंत का प्रवचन,यावतीय सत्ता समीकरण और जनता के लिए अबूझ बोली झांसा की गोली दागो पोस्टर बनते बनते सुर ताल लय में कुछ भी राग बेमौसम अलापने लगते हैं।


    त्योहार क्रोनी केपिटेल का कार्निवाल हैं और वे दावा कर रहे हैं क्रोनी कैपिटल पर प्रहार।

    इंडरनेट से बुरबक बनाओइंग भले बंद होता हो,देश बेचो अभियान तेज हुआ है जैसे,वैसे कर्मकांडी सांढ़ संस्कृति में हम तीज त्योहार की शुभकामनाएं जो दे रहे हैं,वह इस अनंत मृत्यु उपत्यका में मारे जाने का अमोघ संदेश ही है।


    मतुआ आंदोलन हरिबोल नहीं है और आदिवासी विद्रोह सिर्फ जोहार नहीं है।न अस्मिताएं हैं ये हमारी साझे चूल्हों की लोक विरासतें।अस्मिताओं को जोड़कर जो जनविद्रोह हुए इंसानी हक हकूक के लिए,अरण्य के अधिकार के लिए,भूमि सुधार के लिए,शोषण के खिलाफ,उत्पीड़न दमन अत्याचार अस्पृश्यता बहिस्कार जाति वर्ण वर्चस्व और नस्ल भेद के खिलाफ,सामंतवाद और साम्राज्यवाद के खिलाफ नवजागरण के नील विद्रोह का अनंत सिलसिला हैं ये शब्द बंध जिसकी नसों में है जनपक्षधर मोर्चा और जनहित के लिए जनयुद्ध की अनिवार्य शर्त।


    सत्ता और बाजार,राजनीतिक,आर्थिक,सामाजिक सांस्कृतिक भाषायी ब्रांडों में कैद किसी को भी इन शब्दों से खिलवाड़ करते रहने की इजाजत देते रहकर अब तक हमने मौत का गोदामघर गैस चैंबर बना चुके हैं इस देश को।


    ब तो बाज आओ।

    खेत हुए बेदखल,कहां हल चलाओगे

    कारोबार अब फ्लिपकर्ट,स्नैप डील, वालमार्ट,अमाजेन और अलीबाबा है

    कहां कहां पूंजी श्रम खपा जुआड़ी बन दीवालिया हो जाओगे

    रोजगार छिना,नौकरी छिनी,बदले में बाजार दिया

    घर छिना गांव छिना परिवार छिना समाज छिना

    अब देश छीनकर क्या मंगल में बसाओगे

    मेड इन इंडिया अब कभी नहीं कभी नहीं

    मेक इन मौका सबके लिए,विदेशी पूंजी के लिए

    आपके लिए कच्चा केला और उसका ठेला

    न बचेगा हाट,न बचेगा घाट

    न बचेगी नदीन बचेगा समुंदर और न बचेंगे पहाड़

    जल थल एकाकार मेक इन इंडिया

    परमाणु ऊर्जामेक इन इंडिया सेज महासेज मेक इन इंडिया

    नासा नाटो पेंटागन मेक इन इंडिया

    अमेरिका इजराइल चीन जापान मेक इन इंडिया

    हम सीमा विवाद पर उछलते रहेंगे बांसों

    पदक खुशी,उड़ान बहक में,महुआ महक में छलांगे समुंदर पार

    लांघ जायेंगे हिमाद्रि शिखर अंटांर्कटिका पार

    चांद तो पास है,मंगल को बनाएंगे उपनिवेश

    सिर्प अपने गांव घर खेत खलिहान रोटी रोजी से बेदखल होना है

    बाकी कवच कुंडल ताबीच तंत्र मंत्र यंत्र का त्योहार हमारा है


    प्रधानमंत्री नरेंद्र मोदी ने गुरुवार को केंद्र की महत्वाकांक्षी योजना 'मेक इन इंडिया' की शुरुआत की। इस अभियान की लांचिंग के दौरान मोदी मंत्रिमंडल के सदस्य व देशभर व दुनिया के कई नामचीन उद्योगपति भी मौजूद थे। इस दौरान विकास के 25 क्षेत्रों से संबंधित विवरणिका भी जारी की गई। गौरतलब है कि प्रधानमंत्री मोदी ने स्वतंत्रता दिवस के अपने भाषण में मेक इन इंडिया का सबसे पहले जिक्र किया था। इस मौके पर प्रधानमंत्री मोदी ने कहा कि देश के लिए एफडीआइ का अर्थ 'फ‌र्स्ट डेवलप इंडिया' है।

    देश को वैश्रि्वक विनिर्माण के मानचित्र पर लाने, नए उद्योग व पूंजी के प्रवाह को बढ़ावा देने, लाखों नौकरियों का सृजन करने करने के उद्देश्य से शुरू किए गए मेक इन इंडिया अभियान की लांचिंग पर प्रधानमंत्री ने कहा कि यह सिर्फ एक सोच नहीं है बल्कि इस सोच पर खरा उतरना हम सब की जिम्मेदारी भी है। इस मौके पर उन्होंने एक वेबपोर्टल 'मेकइनइंडियाडॉटकॉम' भी लॉन्च किया। इस पोर्टल पर निवेशकों की मदद के लिए कई सवालों के जवाब उपलब्ध कराए जाएंगे। उन्होंने इस अभियान को पंडित दीन दयाल उपाध्याय को समर्पित किया। साथ ही यहां मौजूद सभी प्रतिनिधियों को नवरात्र की भी बधाई दी।

    अपने भाषण में उन्होंने जहां भारत की मैन पावर का जिक्र किया वहीं ई-क्षेत्र, डिजिटल इंडिया और इससे जुड़े तमाम क्षेत्रों के साथ लिंक वेस्ट का एक नया नारा भी दिया। मोदी ने कहा कि लिंक वेस्ट के तहत सरकार देश में निकले कचरे के जरिए देश का विकास करेगी। इसको पीपीपी मॉडल के तहत किया जाएगा। उन्होंने उद्योगपतियों को इस प्रोजेक्ट के लिए आगे आने को कहा। अपने भाषण में उन्होंने मंगलयान की कामयाबी के लिए भारत के इंजीनियरों की पीठ भी थपथपाई।

    प्रधानमंत्री ने टूरिज्म और हॉस्पिटल इंडस्ट्री के लिए भी संभावनाएं तलाशने के लिए उद्योगपतियों को आगे आने का न्यौता दिया। पीएम ने कहा कि सरकार की पूरी कोशिश है कि देश में मौजूद नियमों को कम से कम कर उद्योगों को मजबूत किया जाए। पीएम मोदी ने कहा कि आज विश्व के देशों को यह बताने की जरूरत नहीं है कि उनके लिए बाजार कहां मौजूद है। भारत एक ऐसा देश है जहां दुनिया के उद्योगपतियों को हर तरह की सुविधा उपलब्ध है। इस सोच और विचार को पूरे विश्व में फैलाना है।

    अपने भाषण की शुरुआत में मोदी ने बैठक में उद्योगपतियों को जगह नहीं मिलने पर माफी मांगी। विज्ञान भवन में आयोजित इस कार्यक्रम में उन्होंने विदेश पलायन को रोकने पर बल दिया। साथ ही कहा कि उद्योगपतियों को सरकार पर भरोसा करना जरूरी है। उन्होंने कहा कि जनता की हाथों की शक्ति को बढ़ाना हम सभी की जिम्मेदारी है।

    मोदी ने देश के विकास के लिए राज्यों से केंद्र के साथ कंधे से कंधा मिलाकर चलने का भी आह्वान किया। उन्होंने कहा कि यदि राज्यों का विकास होगा या वहां उद्योग लगेंगे तो यह देश का ही विकास है। मोदी ने कहा कि राज्यों के रास्ते ही देश का विकास संभव है। मंच से उन्होंने अपनी सरकार और अपनी प्रशासनिक व्यवस्था की भी तारीफ की।

    उन्होंने कहा कि उनके साथ काम करने वाले वाले सभी अफसर उनसे अधिक सकारात्मक सोच वाले हैं जो एक कदम आगे बढ़कर काम करते हैं। उन्होंने देश और विदेश के उद्योगपतियों से भारत के विकास में सहयोग करने की अपील की।

    कार्यक्रम की शुरुआत करते हुए वाणिज्य मंत्री निर्मला सीतारमण ने इस अभियान और केंद्र सरकार के नजरिए को वहां मौजूद उद्योगपतियों के समक्ष पेश किया। उन्होंने कहा कि मेक इन इंडिया एक मिशन है, जिसके तहत लालफीताशाही से छुटकारा पाना सरकार का लक्ष्य है। सीतारमण ने 'मेक इन इंडिया' की शुरुआत पर कहा कि यह सिर्फ एक स्लोगन नहीं, बल्कि एक कमिटमेंट है। उन्होंने इसको केंद्र की डी-लाइसेंसिंग, डी-रेगुलाइजेशन योजना की ओर एक शुरुआत बताया। निर्मला ने कहा कि हम भारत को ग्लोबल मैन्युफैक्चरिंग का हब बनाने का सपना देखते हैं। सरकार का सपना है कि देश में होने वाले उत्पादन को 15 फीसद से बढ़ाकर 25 प्रतिशत तक किया जाए। यह तब तक जारी रहेगा जब तक कि हम अपने मिशन को पूरा नहीं कर लेते।

    रिलायंस समूह के चेयरमैन मुकेश अंबानी ने कहा कि भारत में प्रधानमंत्री मोदी जैसे नेतृत्व के आने से देश के कई बड़े सपने पूरे होंगे, ऐसी मैं उम्मीद करता हूं। इसका फायदा करोड़ो लोगों को होगा। उन्होंने कहा कि मेक इन इंडिया की मुहिम की शुरुआत इससे बेहतर नहीं हो सकती जब भारत ने मार्स मिशन की सफल शुरुआत की है। जिस तरह से भारत ने इतने कम खर्च में मंगल मिशन को पूरा किया है वो काबिले तारीफ है। उन्होंने कहा कि डिजिटल इंडिया के माध्यम से मेक इन इंडिया को नई बुलंदियों पर पहुंचेगा। इस मौके पर उन्होंने कहा कि यह देश का सौभाग्य है कि उसे नरेंद्र मोदी जैसा प्रधानमंत्री मिला है। उन्होंने इस अवसर पर रिलायंस द्वारा सवा लाख नौकरियां देने का भी वादा किया।

    मेक इन इंडिया की लॉचिंग पर मौजूद अजीम प्रेमजी ने मैन्युफैक्चरिंग क्षेत्र को बढ़ावा देने के लिए निरंतर प्रयास करते रहने पर बल दिया। उद्योगपति कुमार मंगलम बिड़ला ने विकास के लिए उत्पादन को अहम बताया। उन्होंने केंद्र के इस अभियान की जमकर तारीफ करते हुए कहा कि इस अभियान से देश में विकास की रफ्तार तेज होगी। इस कार्यक्रम में करीब तीस देशों के उद्योगपति भाग ले रहे हैं।

    मेक इन इंडिया अभियान के तहत केंद्र सरकार ने देश में मैन्युफैक्चरिंग हब बनाने के लिए 25 क्षेत्रों की पहचान की है। सरकार ने ऐसे प्रमुख उद्योग क्षेत्र चुने हैं जिनमें भारत आगे चलकर मैन्युफैक्चरिंग के लिहाज से दुनिया भर में अगुआ देश बन सकता है।









    ধন্যবাদ মিলনসাগর milansagar.com

    $
    0
    0
    ধন্যবাদ
    আজই মিলনসাগরের পাতায় নজর পড়ল
    খূব সুন্দর কাজ
    আপনি হয়ত আমাকে চিনবেন না
    আমার বাংলা,হিন্দী ও ইংরেজি ব্লগ বাংলা আছে
    আমি বাংলা লেখক নই,বাংলা লেখাতে অভ্যস্তও নইতবে দেশে বিদেশে ইংরেজী ও হিন্দীতে মআমার পাঠক আছে
    আমি করপোরেট মীডিযার জন্য লিখিনা
    আমার সবগুলি ব্লগ প্রতিবাদ ও প্রতিরোধের মন্চ
    দিল্লীথেকে সবচাইতে বেশি পাছক সংখ্যার ব্লগ হস্তক্ষেপের আমি নিযমিত লেখক
    বাংলার অধুনা সঙ্কটে তাঁরা পাশে দাঁড়াবার জন্য,হোক কলরবের জন্য বাংলা পাতা শুরু করেছে
    আপাতত আমিই একমাত্র লেখক
    আমাদের শক্তি সীমাবদ্ধ,আমাদের সক্তি সংহত করা উচিত ও্ পরস্পর সমন্বয় সবচেয়ে বেশি জরুরি
    আমি বিকল্প মীডিযার সঙ্গে চল্লিশ বছর ধরে যুক্ত
    দিল্লীতে বাংলা পাতার কলরবের জন্য বংলার প্রতিরোধকে সঠিক ভাবে তুলে ধরা দরকার
    তার জন্য আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন
    আমি নাম ধরে ধরে টাইমলাইনে গিয়ে সবাইক কলরবের ডাক দিয়ে যাচ্ছি
    মিসলনসাগরের এই কলরব আমরা দিল্লীতে ও বাকি দেশে, সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে চাই
    অন্য ভারতীয়
    ভাষায় বিশেষকরে হিন্দীতে কলরবে প্রতিধ্বনি না হলে কিন্তু ক্ষমতার রাজনীতি বাংলার সন্ত্রাসে এই আন্দলনকে সেষ করে দেবে,সেটা হতে দেওয়া যায় না,আপনারা এটা বুঝতে পারবেন বলে মনে হয়
    আপনারা দিল্লীতে আমাদের পাতাকে লেখা যুগিয়ে আমায় দাযমুক্ত করলে বাধিত হব
    বাংলায় রোজ লেখার জন্যআমি আগের মত নিযমিত হিন্দিতে লিখতে পারছি না
    ইংরেজিত লিখতে পারছি না
    আমার ব্যক্তিগত সমস্যা নয় যে এটা,প্রতিরোধের সব কামানগুলোকে সমানতালে চালানোর প্রয়োজন
    আপনাকে লেখা এই ধন্যবাদ অনুরোধ সহকারে সমস্ত প্রতিবাদী মানুষের জন্য,যাঁরা এখনও সুশীলে থেমে নেই এবং জনগণের অধিকারের পক্ষে নিরপেক্ষ ভাবে অবাণিজ্যিক লেখা লিখতে পারেন
    আপনি এই মেল পাবেন কিনা জানা নেই,তবে এই চিঠি আমি আমার ব্লগে পোস্ট করছি 
    Viewing all 6050 articles
    Browse latest View live