দুর্গাপূজা না নরমেধ যজ্ঞ
অসুরদেরকাছেবেধড়কমারখেয়েস্বর্গথেকেবিতাড়িতহওয়ারকাহিনীআর্যদেরপ্রতিটিগ্রন্থেই ক্ষোভেরসাথেউল্লেখআছে।এইস্বর্গেকিএমনমধুক্ষরাঢালাও ব্যবস্থাপনাছিলযেসেখানথেকেঅপমানিতহয়েবনবাদাড়েঘুরেবেড়ানোরগ্লানিআর্যরাকিছুতেইভুলতেপারেনা? এবং যার জন্যে এই ভূদেবতারা রাশিকৃত বাইয়ের পাহাড় তৈরি করে তাদের জিঘাংসাকে ব্যক্ত করেছে। ক্ষোভ উজাড়া করে দিয়েছে এবং অসুরদের নিধন করার জন্য অস্ত্র-শস্ত্র, ধর্ম-অধর্ম; অন্যায়-অপকর্ম এবং দুষ্কর্মের পথ গ্রহণ করতে কার্পণ্য করেনি! এই আজগুবি গাঁজাখুরি মাইথলজির চরিত্রগুলিকে ঐতিহাসিক চরিত্র বলে জণমানসের মধ্যে সঞ্চালিত করে দেবার মধ্যে কী এমন গূঢ়ার্থ রয়েছে যে এগুলি না থাকলে ভূদেবতারা অপাংক্তেয় হয়ে পড়বে বলে আশঙ্কা বোধ করছে! এই চালিয়াতি, ধাপ্পাবাজি ও চালাকিগুলি কালে মিথ্যে বলে প্রমানিত হওয়ার ঝুঁকি থাকা সত্যেও কেন তারা পাহাড় প্রমান পুঁথি তৈরি করে করে নিজেদের চৌর্য বৃত্তি, লাম্পট্য ও নীতিহীনতা লিপিবদ্ধ করে রাখল তার মূল রহস্য জানা দরকার। এই রহস্য উদ্ঘাটন করতে পারলেই বোধহয় দেবাসুরের মৌলিক লড়াই এবং নিরন্তর দ্বন্দ্বের রহস্যভেদ করা সম্ভব হবে।
স্বর্গকোথায়?
ভুদেবতাদেরবর্ণনাঅনুসারেস্বর্গেরঅবস্থানটা বেশহেঁয়ালিপূর্ণ।কিন্তু তারা প্রতিনিয়ত দাবী করেছে স্বর্গইদেবতাদেরআদিনিবাস।তাদের পিতৃভূমি। যেখান থেকে দেবতারা তিন ভূবনের কোথায় কি হচ্ছে দেখতে পায়। যেখানে কোনদিন রাত হয় না। সহস্র সূর্য আলোকিত করে রাখে। কিন্নরীদের নুপুর নিক্কন আর অনন্ত যৌবনা অপ্সরাদের দেহ মধু ভাণ্ড পান করে গন্ধর্ব, কিন্নর ও দেবতারা যেখানে অন্তহীন সুখ ভোগ করতে থাকে। দেবতাদের কাঙ্ক্ষিত এই অমর লোকের হদিসপেতেহলেঋকবেদেরদশমমণ্ডলেরপুরুষসূক্তের৯০শ্লোকথেকেখুঁজতেহবে।এতেবলাহয়েছেঃ
- পুরুষ নিজেই হল সমস্ত বিশ্ব। তিনি অমর জগতের প্রভু ...
- এই পুরুষকে উৎসর্গ করে দেবতারা যখন যজ্ঞ করলেন তখন বসন্ত ছিল তার মাখন, গ্রীষ্ম হল তার আগুন এবং শরৎ হল তার নৈবেদ্য।
- এই পুরুষকে দেবতারা ঘাসের উপর বলি দিলেন। ব্রাহ্মণ হল তার মুখ, রাজন্য হল তার বাহু, বৈশ্য হল তার উরু এবং পায়ের থেকে সৃষ্ট হল শূদ্র।
- নাভি থেকে উঠে এল বাতাস, মাথা থেকে আকাশ, পা থেকে পৃথিবী, কান থেকে চতুর্দিক।
- দেবতারা আকাশকে স্বর্গ ও পৃথিবীর মাঝখানে স্থাপন করলেন।
মনু সংযোজন করলেন, "স্বয়ম্ভু জীব সৃষ্টি করার জন্য প্রথমে জল ও তার মধ্যে বীজ (বীর্য) প্রথিত করলেন। সেটা ডিমের আকার নিল। এই ডিমের থেকে ব্রহ্মা জন্ম নিল। এই ডিম দুই ভাগে ভাগ হল। এক ভাগ হল স্বর্গ এবং অন্য ভাগ হল পৃথিবী। এই দুইয়ের মাঝখানে আকাশকে স্থাপন করা হল। অর্থাৎ বেদের দশম মণ্ডল ও মনুর সংযোজনের মধ্যে স্বর্গ ও পৃথিবীর অবস্থান নিয়ে একটি সাযুজ্য আমারা দেখতে পাচ্ছি। কিন্তু পরবর্তী কালের রচিত পুরাণ, শ্রুতি শাস্ত্র, রামায়ন, মহাভারত ইত্যাদি গ্রন্থগুলির বর্ণনাশুনেমনেহতেপারেযেস্বর্গটা হিমালয়েরকোনএকটিঅঞ্চল হবে। কৈলাসপাহাড়েরআসেপাসেকোনএলাকা, অথবা মানস সরোবরের সন্নিকটে অপূর্ব সুন্দর কোন এক বিস্তীর্ণ অঞ্চল। মহাভারতের পঞ্চ পান্ডব তো পায়ে হেঁটেই স্বর্গে পৌঁছে যাবার বন্দোবস্ত করেছিল। ধন্ধটাবেসমজাদার।যদি আমারাজায়গাটাকেহিমালয়েরকৈলাসেরআশেপাশেরকোনএলাকাধরিতবেবেজায়ফ্যাসাদেপড়েযেতেহবে।কেননা আর্যদেরআসারবহুকালআগেইএঅঞ্চলপ্রোটো অস্ট্রাল ও মঙ্গোলয়েডমানুষেরদখলেএসে গেছে।আবারযদিআকাশেরওপারেরকোনজায়গাধরিযে,সেখানেগিয়েঅসুরেরা দেবতাদেরঘাড়ধাক্কাদিয়েবেরকরেদিয়েছিল;এটাবড়বেমানানলাগবেএবংভীষণহাস্যরসেরউপাদানজোগাবে। এবং এই হাস্যরস শেষ পর্যন্ত নিজেদের অশিক্ষিত ও অসভ্য হিসেবে প্রতিপাদিত করবে।
তবেদেবতারাস্বর্গপ্রাপ্তিরজন্যএতলালায়িতকেন? কিএমনআলাদারসনালয়এইস্বর্গ?
এহেঁয়ালিরখানিকটালিখিতউপাদনজোগাতেপারেঅসিরিয় সভ্যতারঅসুরনগরী।সম্রাটঅসুরবাণীপালেরলাইব্রেরীতেপ্রাপ্ত২৫০০০ক্লেটেবলেটস।পৃথিবীর সর্ব প্রাচীন এই লাইব্রেরী থেকে জানা যায় যে, একদিকে অসুর নগরী যেমন শিল্প সভ্যতা ও স্থাপত্যে সর্বোচ্চতা লাভ করেছিল; অন্যদিকে এর তাক লাগিয়ে দেওয়া বৈভব বহু দস্যু, লুঠেরাদের আক্রমণ করার জন্য প্রলুব্ধ করেছিল। বাইবেলেরকালশুরুহওয়ারবহুআগেইএইঅসুরনগরীসুখ্যাতছিল।বাইবেলের old Testament-এরশুরুতেএইনগরীউল্লেখকরেছে।
"A river watering the garden flowed from EDEN, and from there it divided, had four head streams …….The name of the third is the Tigris, it runs along the east of ASSUR. And the fourth river is the Euphrates". ...Genesis, Old Testament, Holly Bible.
এখনে অনেক টা কাজ বাকি আছে। মেসোপটেমিয়ার ইতিহাসটি দিতে হবে।
ইউফ্রেটিসওটাইগ্রিসনদীদ্বয়েরমাঝেঅবস্থিতঅঞ্চলেগড়েউঠেছিলসুমহানঅসুরসভ্যতাবাআসিরিয়ানসভ্যতা।দক্ষিনেরঅংশটিসুমেরবাসুমের-আক্কাদ।গ্রীকলেখকেরাএইসভ্যতাকেমেসোপটেমিয়াহিসেবেউল্লেখকরেছেন।মেসোপটেমিয়াকথারঅর্থহলদুইনদীরমধ্যবর্তীদেশ।এইদেশেররাজধানী"অসুর" তাদেরসুমহানঈশ্বরেরনামেপরিচিতছিল।নিনেভশহরছিলউন্নতঅসুরসভ্যতারপ্রাণকেন্দ্রএকটিজাঁকজমকপূর্ণশহর।আরমেহেরগড়, হড়প্পাওমহেঞ্জোদড়োছিলএই সুউন্নতঅসুরসভ্যতার সহ নাগরিক , যাদেরযৌথপ্রচেষ্টায়গড়েগড়েউঠেছিলসম্মিলিতরাষ্ট্রপুঞ্জেরভাবনা।
অসুর রাজারা ছিলেন প্রজ্ঞাবান ও ন্যায় পরায়ণ। একদিকে তারা ছিলেন প্রজাবৎসল কিন্তু অন্যায়কারীদের কাছে বিভীষিকা। নিষ্ঠুর ও একরোখা। ক্লটেবলেটস ও পরবর্তী কালের জেন্দাবেস্তায় অসৎ অন্যায়কারী ও দুশ্চরিত্রদের আরিয়াম্যান-বারিয়্যাম্যান ("বার্যুয়া"শব্দটি এখনো চন্ডালী ভাষায় দুশ্চরিত্রকে বোঝায়) হিসেবে বর্ণনা করা হয়। এই সকল অকর্মা, অসৎ অন্যায়কারী ও দুশ্চরিত্র আরিয়াম্যান-বারিয়্যাম্যানদের নির্বাসন দেওয়াই ছিল অসুর নগরীর বিধান। অসুর রাজারা এদের কঠোর হাতে দমন করেছে এবং নির্বাসন দন্ড দিয়ে বিতাড়িত করেছে দূরে। কিন্তু সম্পত্তি লুন্ঠন ও লাম্পট্ট বজায় রাখার জন্যই আরিয়াম্যান-বারিয়্যাম্যানেরা সংগঠিত ভাবে বহুবার অসুর নগরী আক্রমণ করছে, নগর ধ্বংস করেছে, পুরুষদের খুন করেছে এবং মহিলাদের বন্দী করে দুর্গে নিয়ে গেছে। যথেচ্ছ যৌনাচার চালানো হয়েছে তাদের উপর। লুণ্ঠন করা সম্পদ, নারী ও সুরার এই ত্রয়ী সমন্বয়ে দুর্গ হয়ে উঠেছে স্বর্গের ছাউনি। অন্তহীন সুখসাগর। আর এই প্রক্রিয়ার মধ্যেই আরিয়াম্যান-বারিয়্যাম্যানদের ধর্ম, অর্থ, কাম ও মোক্ষের ভাবনা তাদের জীবন দর্শণের মধ্যে চিরস্থায়ী ভাবে প্রথিত হয়ে গেছে।
আরিয়াম্যান-বারিয়্যাম্যানদের এরকম একটি আক্রমণের প্রেক্ষাপ্ট ঐতিহাসিক গুস্তাভ তুলে ধরেছেনঃ
"About 2500 B.C. the Accaddian dybasty had reigned for long period in Babylon the Aryans invaded Chaldia and pressing at the same time on the Kannanites of the Persian Gulf and Dravidian in Persia, drove the formers towards North-west and the later to the South-East of India". Dr. BR Ambedkar, W &S-Vol-12 P. 14.
অর্থাৎ খ্রিষ্ট পূর্ব ২৫০০ বছর আগে থকেই আরিয়াম্যান-বারিয়্যাম্যানদের বেলেল্লাপনার ইতিহাস আমরা জানতে পারছি বিভিন্ন সূত্র থেকে। একই ভাবে খ্রিষ্ট পূর্ব ১৫০০ বছর আগে তারা যে খাইবার-বোলান গিরি পথ ধরে অনুপ্রবেশ করে হড়প্পা, মহেঞ্জোদড়োর, লোথাল, ধলাভিরা, কালিবঙ্গান প্রভৃতি সুমহান অসুর নগরগুলিকে লুণ্ঠন করে ধ্বংস করেছিল, পুরুষদের হত্যা করে নারীদের বন্দী করে দুর্গে নিয়ে এসে ভোগ করেছিল তা লিপিবদ্ধ হয়েছে বেদ, পুরান, উপনিষদ ও পরবর্তী কালে মহাকাব্যগুলিতে।বেদের ৭ম মণ্ডলে দেবাসুরের এমনই এক যুদ্ধের কথা বর্ণীত হয়েছে যা দশহরা (Battle of Ten Kings)বা দশেরা নামে পরিচিত।
Battle of Ten Kings -দশহরা বা দশেরা
এই যুদ্ধের বর্ণনা হিসেবে বেদের সপ্তম মণ্ডলের ১৮ তম লোকটি দেখুনঃ
purolaa it turvasho yakshur aasheed raaye matsyaaso nishitaa apeeva |
shrushtim cakrur bhrgavo druhyavash ca sakhaa sakhaayam atarad vishuco || 7.018.06
Eager for spoil was Turvaśa Purodas, fain to win wealth, like fishes urged by hunger.
The Bhṛgus and the Druhyus quickly listened: friend rescued friend mid the two distant peoples.
aa pakthaaso bhalaanaso bhanantaalinaaso vishaninah shivaasah |
aa yo anayat sadhamaa aaryasya gavyaa trstubhyo ajagan yudhaa nrn || 7.018.07
Together came the Pakthas, the Bhalanas, the Alinas, the Sivaas, the Visanins.
Yet to the Trtsus came the Ārya's Comrade, through love of spoil and heroes' war, to lead them.
arṇāṃsi cit paprathānā sudāsa indro gādhāni akṛṇot supārā |
śardhantaṃśimyum ucathasya navyaḥśāpaṃ sindhūnām akṛṇod aśastīḥ || 7.018.05
What though the floods spread widely, Indra made them shallow and easy for Sudās to traverse.
He, worthy of our praises, caused the Simyu, foe of our hymn, to curse the rivers' fury.
এই যুদ্ধে অসুরদের মধ্যে সুদাস দেবতাদের পক্ষ নেয়। দেবরাজ ইন্দ্র সুদাসের সহযোগিতায় অসুর রাজ দ্রুহু, ভৃগু, তুরবাস, পাক্তা, ভালানাস, আলিনা, ভিসানী ও শিবকে পরাজিত করে। বর্তমান পাঞ্জাবের রাবি নদীর তীরে এই যুদ্ধে দশ অসুর রাজাকে পরাজিত করে দেবতারা তাদের সমস্ত সম্পদ লুট করে নেয়। দাসসুলভ আনুগত্যের জন্য সুদাস কে পুরস্কৃত করা হয়। অসুর রাজাদের পরাজিত করে যে বিজয় উৎসব পালন করা হয় তার নাম দশহরা বা দশেরা। দশহরা মূলনিবাসিদের নিধন যজ্ঞ। ভূদেবতাদের বিজয় উল্লাস।
কৃষ্ণ ও ইন্দ্রের যুদ্ধ ঃ
এই যুদ্ধের কথা এখানে উল্লেখ না করলে আলোচনাটি অসম্পূর্ণ থেকে যাবে বলে মনে করি। সম্ভবত এরকম একটি যুদ্ধের পরেই ভূদেবতাদের কায়েমী দর্শন ভারতবর্ষে প্রসারিত হতে আর তেমন বাঁধা থাকেনি । এটি "অংশুমতি"র যুদ্ধ নামেও পরিচিত। বেদঅনুশারেকৃষ্ণছিলেনঅসুররাজাযিনিতারমাতৃভূমিরস্বাধীনতারক্ষারজন্যঅংশুমতিনদীরতীরেদশহাজারসৈন্যসহআর্যসেনাপতিইন্দ্রেরবিরুদ্ধেলড়াইকরার প্রস্তুতি নেন।ইন্দ্রতারমহিলাগুপ্তচরদেরকাছ থেকেকৃষ্ণেরঅবস্থানজানতেপারে (৮/৯৬/১৩-১৪ঋকবেদ) সরাসরিআক্রমণনাকরেঘুরপথেকৃষ্ণেররাজধানীআক্রমণকরেএবংরাজাহৃজিশ্বনসহকৃষ্ণেরগর্ভবতীস্ত্রীদেরহত্যাকরে (১/১০১/১ঋকবেদ)।এরপরইন্দ্র কৃষ্ণকে আক্রমণকরেতারসৈন্যদেরহত্যাকরেএবংতাঁকেপুড়িয়েমেরেফেলে (১/১৩০/৮ঋকবেদ)।
কিন্তুকৃষ্ণ, ভারতবর্ষেরএমনকিংবদন্তিরাজাছিলেনযে,তারপ্রজাবর্গদীর্ঘদিনধরেবৈদিকশাসনগ্রহণকরেনি।বিশেষকরেনাগ, চন্ডাল, কোল,মুন্ডাপ্রভৃতিপ্রাগার্যমূলনিবাসীজনপুঞ্জএতশক্তিশালীছিলযে, তারাআর্যদেরশাসনওসংস্কৃতিবর্জনকরেছিল।খ্রিস্টপূর্ব১৮৭সালেসম্রাটঅশোকেরপ্রোপৌত্রঅসুর-চন্ডালরাজাবৃহদ্রথকেহত্যাকরেপুষ্যমিত্রশুঙ্গমূলনিবাসীদেরবিরুদ্ধেপ্রতিশোধমূলকআক্রমণম্ভকরে।
এই আক্রমণ রাজা পুষ্যমিত্রের অশ্ব মেধ যজ্ঞ নামে পরিচিত।
ধ্বংসকরেদেয়মূলনিবাসীবহুজনেরদর্শন,সংস্কৃতিওসভ্যতারইমারত।পুড়িয়েফেলেবিশ্বেরসর্বচ্চজ্ঞানেরসম্পদশাস্ত্ররাশি।মূলনিবাসীররক্তস্নানেরপূণ্যেপ্রতিষ্ঠিতহয়নরমেধ যজ্ঞের চিরস্থায়ী বন্দবস্ত। চতুর্বর্ণসমাজ।পুষ্যমিত্রশুঙ্গেরপৃষ্ঠপোষকতায়রচিতহয়রামায়ণ,মহাভারত,মনুস্মৃতিনামকআর্যসমাজেরঅমৃতকথা।ফিরিয়েআনাহয়কৃষ্ণকে।অসুরেরবেশেনয়, একেবারেব্রাহ্মণদেরবিধাতাঈশ্বরহিসেবে।তারমুখদিয়েইঅমৃতবর্ষণকরাহয়
"yada yada hi dharmasya glanir bhavati bharata
abhyutthanam adharmasya tadatmanam srjamy aham"।
paritranaya sadhunam vinasaya ca duskrtam
dharma-samsthapanarthaya sambhavami yuge yuge"।
TEXT 7(চতুর্থঅধ্যাআয়, গীতা)
ব্রাহ্মন্যবাদীকৃষ্ণকেদিয়েশুরুহয়অসুরবধেরমহাযজ্ঞ।মানুষকেহত্যাকরাহয়েওঠেধর্মযুদ্ধ।ধর্মের নামেই চলতে থাকে অবাধ নরমেধ।
"dharma-ksetre kuru-ksetre samaveta yuyutsavah
mamakah pandavas caiva kim akurvata sanjaya"।
একই ভাবাবে পৌরাণিক যুগে মহাজ্ঞানী গোতমের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ফিরিয়ে আনা হয় অসুর শিবকে। পৌরাণিক কাহিনীতে শিব আর দাস বা অসুর রাজা নন তিনি দেবাদিদেব মহাদেব।
অপসরা মেনকার বিনিময়ে ইন্দ্রপ্রস্তের সন্ধি ঃ
(মহাভারতের বনপর্ব বা মার্কেন্ডেয় পুরান অনুশারে)
যুদ্ধ, নরহত্যা, সম্পদ লুন্ঠন, নারীদের বন্দী বানিয়ে দুর্গে নিয়ে এসে তাদের উপর যথেচ্ছ যৌন নির্যাতন চলতে থাকে নির্বিচারে। বেদের অমৃত বাণী (যে যত অসুরদের হত্যা করতে পারবে, তাদের সম্পদ লুণ্ঠন করতে পারবে স্বর্গে তার তত বেশি সুখ ভোগের ব্যবস্থা হবে। ইন্দ্র তাকে নারী, সুরা ও সম্পদ দান করবে) এই সকল নরমেধকে উৎসাহিত করতে থাকে।
"হে ইন্দ্র, আমাদের পাপ সকল লঘু করো। আমাদের ঋকের শক্তি দাও, যেন ঋক হীন মানুষদের আমরা বধ করতে পারি। যারা ঋক শূন্য যজ্ঞ শূন্য ও ব্রাহ্মণ হীন তাদের শেষ করো"। ঋক ১০/১০৫/৮
নরমেধের এই মহামন্ত্র ধ্বনিত করে ইন্দ্রের বাহিনী অসুর মহামতি গিরিরাজের অঙ্গরাজ্যে অনুপ্রবেশ করে। গিরিরাজ ইন্দ্রকে চতুর্দিক থেকে ঘিরে ফেলে। বাঁচার উপায় না দেখে ইন্দ্র যুদ্ধ বিরামের প্রতীক হিসেবে শ্বেত পতাকা উড়িয়ে দিয়ে সন্ধির প্রস্তাব দেয়। এই সন্ধির বিনিময়ে গিরিরাজ ইন্দ্রকে এক খন্ড ভূমি প্রদান করেন যা ইন্দ্রপ্রস্ত নামে পরিচিত। আর স্বর্গের প্রধান অপসরা মেনকাকে পান গিরিরাজ। এই যুদ্ধে গিরিরাজ ইন্দ্রকে বন্দী করতে পারতেন, হত্যা করতে পারতেন। কিন্তু তাতে যুদ্ধের নীতি লঙ্ঘিত হতো। প্রজ্ঞাবানেরা তা করতে পারেন না। তাদের শীল, পারমিতা ও মার্গ দর্শনের মধ্যে জিঘাংসা অনুপস্থিত। ভূদেবতাদের দর্শনের সাথে অসুর দর্শনের এটাই মূলগত পার্থক্য।
মেনকা দান আসলে অসুর নিধনের সামাজিক প্রকৌশল ঃ
এ আর এক নতুন যুদ্ধ। নতুন প্রকৌশল। যে কৌশলের মধ্যদিয়ে ভূদেবতারা অসুর পুরীর একেবারে অন্দরে ঢুকে তাদের কায়েমী স্বার্থ চরিতার্থ করতে সক্ষম হয়েছিল। বিষকন্যা ও সেক্স গার্লদের ব্যবহার করার উল্লেখও পাওয়া যায় বিভিন্ন গ্রন্থে। প্রজনন বিদ্যাকে কাজে লাগিয়ে বর্ণ সংকর তৈরি করে চতুর্বর্ণ প্রথা কায়েম রাখাই ছিল ভূদেবতাদের উদ্দেশ্য। এই ভাবেই ভুদেবতারা ধ্বংস করে দিতে সক্ষম হয়েছিল অসুরদের বল, বীর্য ও মেধা।
মেনকা ও গিরিরাজের কন্যা উমা। শিবের সাথে তার বিয়ে হয়। এই শিবের আবার বহু পত্নী। বহুগামী সে। ব্রহ্মবৈবর্ত পুরান মতে আবার শিবের দুই পত্নী গৌরী ও উমা। গৌরি ফর্সা আর উমা কালো। শিব গৌরীকে বেশি পছন্দ করে। এই নিয়ে দুই সতীনের চুলোচুলি। শিব উমাকে অপমান করলে সে জঙ্গলে চলে আসে। সাধনা শুরু করে। তার রুদ্রমূর্তি দেখে ব্রহ্মা তাকে দুর্গে নিয়ে আসে। তাকে "দুর্গা রূপেন সংস্থিতায়"রূপান্তরিত করা হয়। দেবতারাতাকেইমহিশাসুরনিধনেরজন্যবিষকন্যাহিসেবেপ্রেরণকরে।কেননা মহিসাসুর নাকি দেবতাদের পেদিয়ে স্বর্গ থেকে বিদায় করে দিয়েছে। কিন্তুদুর্গামহিশাসুরেররূপ,গুনওখ্যাতিদেখেতারপ্রতিআকৃষ্টহয়।তার গুন, শীল, পারমিতায় মুগ্ধ হয়ে সধর্মিণীহিসেবেঅসুরপুরীতেসন্তানদেরনিয়েদিনকাটায়।কাপালিকইন্দ্রওব্রহ্মাএতেভয়ানকক্ষেপেযায়।এরপরেইঘটেবালকশুম্ভ-নিশুম্ভের হত্যালীলাওমহিশাসুরবধ।দুর্গাকে মহিসাসুরকে ভুলিয়ে তাদের ছাউনির কাছে নিয়ে আসতে বাধ্য করে দেবতারা। দুর্গা এখানে মহামায়া। কাত্যায়নী, ভৈরবী। তার মোহ জালে আচ্ছন্ন তিন ভূবন। দেবতাদের কথামত কাজ করে দুর্গা। মহিসাসুর সেনা ছাউনির কাছে এলে দেব সেনাপতি কার্তিক পিছন থেকে তীর মেরে তাকে হত্যা করে। (মহাভারত, বন পর্ব)।
ধম্ম বিজয়ার দিনে কেন এই দশেরা বা দশহরা ?
কলিঙ্গবিজয়সম্রাটঅশোকেরজীবনেধম্মানুভুতিরএকটিমাইলস্টোন।শোকাহতরাজাঘোষণাকরলেনতিনিআরযুদ্ধবিজয় করবেননাকরবেনধম্ম-বিজয়। মানবতা ও সখ্যতার মাধ্যমেগুড়িয়েদেবেনজাত-পাতেরপ্রাচীর ও দেশ কালেরসীমানা।বিশ্বভ্রাতৃত্বএবংবসুধৈবকুটুম্বকমএর নিবিড়বন্ধনেসবমানুষেরমনজয়করবেন।
১৩নংরকএডিক্ট -এঘোষণাকরেন'অসুপুত্তপপৌত্তমেনবম্বিজয়মবিজিতব্যম'।আমারপুত্রএবংপ্রপৌত্ররাওকোননতুনরাজ্যযুদ্ধবিজয়করবেনা।যদিবিজয়করতেহয়তাহবেধম্ম-বিজয়।
এদিনেইঅশোকধম্মবিজয়পালনকরেছিলেন।অসুর দর্শনের এই মূল বাণীকে ধ্বংসকরারজন্যই ভুদেবতারা এইদিনেদশেরাবাবিজয়াদশমীপালন করার সিদ্ধান্ত নেয়।
আজওএইমূলনিবাসীগণনায়কেরপ্রতিকীপুতুলপুড়িয়েব্রহ্মণ্যবাদীবর্বরেরাবিজয়উল্লাসপালনকরে।রাষ্ট্রীয়ব্যবস্থাপনায়৮৫% অসুরভারতবাসীররক্তশুষেএইপৈশাচীকউৎসবমূলনিবাসীদেরআত্মমর্যাদা, আত্মপরিচয়ওস্বধম্মেরউপরএকসামাজিকবলাৎকারএবংঘৃণ্যচক্রান্ত।মানুষকেজ্বালানো, মানুষকেহত্যাকরারএইপ্রতীকিউৎসব পালন করতে ওরা কুন্ঠিত হয় না কেননা মূলনিবাসী অসুরদের পরাজয়ের মধ্যেই দেবতাদের বিজয় উল্লাস প্রতিষ্ঠিত হয়।
আত্মবিস্মৃতঅসুরবাঙ্গালীরা আবার ভৈরবীরমোহেআচ্ছন্ন।ঢাকেরগগনভেদীগর্জনেঢাকাপড়েগেছেতাঁদেরপূর্বপুরুষেরআর্তনাদ। ধুপেরধোঁয়াআরফুলবেলপাতারগন্ধেঝাপসাহয়েগেছেদৃষ্টি।ব্রাহ্মন্যবাদেরহাড়িকাঠেঅসুরবাঙ্গালীরনির্বীর্যকরনেরএটাইএখন সবথেকেশক্তিশালীনিধনযজ্ঞ।