গৌরিক বাংলায় মুসলিমদের কি করণীয়,সাচার কিমিটির রিপোর্টের পর বাম হারিয়ে,নজরুল ইসলামকে তোয়াক্কা না দেবার পর এবার অন্ততঃ ভাবুন যেহেতু বাংলায় কথা বলা মুসলমানদের নাগরিকত্বে এখন অনুপ্রবেশকারির তকমা সাঁটা এবং পরিবর্তন জমানায় ভোটব্যান্ক রাজনীতির পেয়াদা মুসলিমরা সেই তিমিরেই এই মা মাটি মানুষ সরকারের রাম রাজত্বের সীতায়ণেও!
বাংলায় টানা সাত দশক যাবত অখন্ড মনুস্মৃতিরাজ, পদ্মঅদৃশ্য রামরাজত্ব,যারই মুখর বিস্তার সারা ভারতবর্ষে!
আমি তুচ্ছাতিতুচ্ছ উদ্বাস্তু সন্তান,বাংলার বৌদ্ধকালীন ঐতিহ্য, বাংলার কৃষক আন্দোলন,বাংলার স্বাধীনতা সংগ্রাম,বাংলার মুসলিম লীগ প্রত্যাখ্যান,বাংলার ভাষা আন্দোলন,ওপার বাংলায় বাংলা ভাষার জন্য লাখো লাখো প্রাণ,ও লাখো নারীর ইজ্জত কুরবানি,এবং হরিচাঁদ গুরুচাঁদের আন্দোলন, ফজলুল হক ও যোগেন্দার নাথ মন্ডলের কথা মনে রেখে শুধু একবার নজরুল ইসলামের মুসলিমদের কি করণীয়,এবং মুলনিবাসীদের কি করণীয় বই দুটি পড়ে দেখুন।
পলাশ বিশ্বাস
ভাঙতে হলে জানতে হয়
প্রতিষ্ঠান বাধা দিয়েছিল। সুকুমারী ভট্টাচার্য (১৯২১-২০১৪) দমেযাননি। নিজের উদ্যমে সংস্কৃত পড়লেন। ঢুকলেন শাস্ত্র, কাব্য, পুরাণের অন্দরে। ভাঙলেন প্রাচীন ভারতের 'পবিত্র'একমাত্রিক ধারণা। বিশ্বজিত্ রায়।
বাংলায় টানা সাত দশক যাবত অখন্ড মনুস্মৃতিরাজ, পদ্মঅদৃশ্য রামরাজত্ব,যারই মুখর বিস্তার সারা ভারতবর্ষে!
গৌরিক বাংলায় মুসলিমদের কি করণীয,সাচার কিমিটির রিপোর্টের পর বাম হারিয়ে,নজরুল ইসলামকে তোয়াক্কা না দেবার পর এবার অন্ততঃ ভাবুন যেহেতু বাংলায় কথা বলা মুসলমানদের নাগরিকত্বে এখন অনুপ্রবেশকারির তকমা সাঁটা এবং পরিবর্তন জমানায় ভোটব্যান্ক রাজনীতির পেয়াদা মুসলিমরা সেই তিমিরেই এই মা মাটি মানুষ সরকারের রাম রাজত্বের সীতায়ণেও!
সারা ভারতে চল্লিশ বছরের পেশাগত সাংবাতিকতায় যতই লোকে চিনুক আমাকে দেশ বিদেশে, বিদুষী অহিন্দু শুদ্র সুকুমারী ভট্টাচার্যের বাংলা মুলিকে আমি কিন্তু কোনো ক্ষেতের মুলো নই৷উত্তর ভারতে থাকা কালীন কাগজে কাগজে রিক্রুটার হওয়ার সুবাদে শত শত সম্পাদক নিজ হাতে গড়লেও এই কলকাতার বর্ণ বৈষম্য চক্রব্যুহে আমি আজও বাস্তুহারা উদ্বাস্তু চাষা যশোরের নড়াল এলাকায় এককালে তেভাগা যোদ্ধা হওয়ার সুবাদে ভারত ভাগের আগে স্বভুমি থেকে উত্খাত মা ভূমির সন্ধানে রাজ্যে রাজ্যে উদ্বাস্তু আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়া,ওপার বাংলায় ভাষা আন্দোলনে জেল খাটা, দুই বাংলা এক করার স্বপ্নসন্ধানী,তেলেঙ্গানা আন্দোলনের পর পর অখন্ড উত্তর প্রদেশে ঢিমরি ব্লক কৃষক বিদ্রোহের হাত ভাঙ্গা নেতা যিনি মেরুদন্ডে ক্যান্সার নিয়ে সারা দেশে পাগলের মত স্বজনদের হাসি কান্নায় শরিক ছিলেন,এমন এক চন্ডালের অযোগ্য সন্তান৷
এই বাংলায় অক্ষরশঃ আমি একজন ভাড়াটিয়া। পাণিহাটিতে চল্লিশ বছর পর বাম জমানা শেষে আমায় জল কিনে খেতে হয়। চাল চুলো নেই। বাবা ক্ষমতার রাজনীতি করেননি।সারা জীবন আন্দোলন করেছেন। পৈতৃিক স্মপত্তি বলতে কিছুই নেই।চাকরি আর দুবছর,তারপর আশ্রয়হীন বাবার মতই উদ্বাস্তু হওয়ার হাতছানি।
মাননীয় আইপিএস অফিসার ও বরেণ্য সাহিত্যিক নজরুল ইসলামের পায়ের নখের যোগ্য নই।সেই তিনি বৃন্দাবন বনবীথিকার রোমান্চকর সুশীল সমাজের ঘোর কাটিয়ে সাচারোত্তর বামঅবসৃত মামাটি জমানায় লিখে ফেলেছেন মুসলিমদের কি করণীয়,সেও বহুদিন হল,নজরুলের তুলনায় আমার লেখা বাংলা ভদ্রলোকের পাতে দেওয়ার মত নয়,মানুষটিও আমি সে হিসেবে মোটেই সুবিধার নই।ভাগ্যক্রমে আমার বাবা যদি শরত মাণিক তারাশন্কর বিভুতি চর্চিত ব্রাত্য অন্ত্যজ সমাজের চরিত্র হতে পারতেন,আমার পক্ষে নিদেন শীর্ষেন্দুর ভুতুড়ে চোর চুয়াড় আখ্যানই কপালে লেখা।
সেই অক্ষর পরিচয়ের জমানায় রোজ উদ্বাস্তু উপনিবেশে ডাকে আসা দৈনিক বসুমতীতে শ্রদ্ধেয় বিবেকানন্দ মুখোপাধ্যায়ের সম্পাদকীয় বাবার নির্দেশে অবশ্য পাঠ ,এক খানি সন্চয়িতা ও একখানি অগ্নিবীণা হাতে নিয়ে সেই যে আ মরি বাংলা ভাষার টান,সেই টানে সুযগ পয়েই আগু পিছু না ভেবে চলে এলাম বাংলায় যে এবার বাংলায় লিখতে পড়তে পারব।সে গুড়ে বালি,তাও প্রায় তেইশ বছর।বড় আন্তর্জাতিক কাগজে আমি একজন সাব এডিটার,এই পরিচয় নিয়েই বেঁচে ছিলাম এতদিন।
বাংলা অভ্র সফ্টওয়ার আবিস্কারক যুগ যুগ জিও।অভ্রকল্যাণে বাংলা লেখার বর্ণ পরিচয় শিখছি। গুরু গম্ভীর বিষয়ে নিয়মিত লেখা আমার পেশা,ভাষা ঝরঝরে বাঙালিসুলভ না লিখতে পারা প্রতিবন্ধকতা।তবু যতদিন থাকতে পারছি বাংলায়,মানে উত্খাত হওয়ার আগে পর্যন্ত না লিখে পারছি না,এই আমার অপরাধ।
বাংলা ফজলুল হকের মত মনের মানুষকে ভুলে গেছে। ওসপার বাংলা কি ওসপার বাংলা ,ফজলুল সাহেবকে নিয়ে কোনো লেখা চোখে পড়ে না।বাংলা যোগেন্দ্রনাথ মন্ডলকে বিশ্বাসঘাতক তকমা দিয়েছে। বাংলায় নীল বিদ্রোহের সময় থেকে যাবতীয় কৃষক আন্দোলন,ভূমি সংস্কারের দাবি,অস্পৃশ্যতামোচন, শিক্ষা আন্দোলন,নারীর ক্ষমতায়ণ ইত্যাদিতে যে পহিচাঁদ গুরুচাঁদের আন্দোলন তাঁকে বাঙালি আম্বেডকর আন্দোলনের মতই ক্ষমতাদখলের এটিএম করে ফেলেছে।
অথচ অখন্ড ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রিত্বের সবচেয়ে যোগ্য প্রাথী ছিলেন ফজলুল হক,নেহরু ত ননই,জিন্নাও নন এবং নেতাজিও নন।বাংলার মাটিতে মুসলিম লীগ গঠন হওয়ার পরও বাংলার মুসলিম জনগণ সেদিন কৃষক প্রজা পার্টির ব্যানারে ভূমি সংস্কারের দাবি তুলেছিল,কিন্তু ফজলুল সাহেব শ্যামা হক মন্তরিসভা গড়ে সেই যে হিন্দু মহাসভাকে তোল্লাই দিলেন,বাংলায় ব্রাত্য মুসলিম লীগির দ্বিজাতি তত্ব ভারতবর্ষের ভবিষত্ হয়ে গেল যার মূল্যপবাঙালিকে দিতে হল সবচেয়ে বেশি। 47 এর রক্তপাতেই শেষ হল না বিধিলিপি,একাত্তরও ভুগতে হল।তারপর সেই শ্যামাপ্রসাদের উত্তরসুরিরা ভারত বর্ষে হিন্দু রাষ্ট্রের এজন্ডায় সবার উপরে রাখলেন বাঙালি জাতিকে ধ্বংস করার কার্যক্রম।প্রণয়ণ হল নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন।18 মে ,1948 এর পর ভারতে আসা বাঙালিরা যারা নাগরিকত্ব অর্জন করেননি তাঁরা সবাই সর্বদলীয় সম্মতিতে বেনাগরিক হয়ে গেলেন।শুধু বাঙালিরা।যোহেতু বারত ভাগের পর পান্জাব ও সিন্ধ থেকে আসা উদ্বাস্তুরা রিফুজে রেজিস্ট্রেশনের পর পর একযোগে শ্ক্ষতিপুরণ ও নাগরিকত্ব পেয়ে গিয়েছিলেন।বাংলার নেতারা দলিত উদ্বাস্তুদের সে সুযোগ না দিয়ে পত্রপাঠ তাঁদের সারা ভারতে ছড়িয়ে দিয়ে অখন্ড বাংলায় সংখ্যাগুরু মুসলিমদের সংখ্যালঘু সাজিয়ে পর পর টানা সাত দশক মুসলিমদের জন্য কিছু না করেই বর্ণ আধিপাত্যে বর্ণবৈষম্যে বাংলার জীবন যাপনে সুধু রাজনৈতিক ক্ষমতাদখলেই নয়,সর্বক্ষেত্রে মনুস্মৃতি রাজ জারী রাখলেন।
বাকী ভারতবর্ষ রামরাজত্বের চাষ আজ দেখছে,পকুরের পদ্ম চোখে না পড়লেও বাংলায় টানা সাত দশক পদ্মসুগন্ধী রামরাজত্বই চলছে।যেখানে রোজানা সম্বুক হত্যা আয়োজন।প্রত্যহ সীতায়ণ। রোজই একলব্যের গুরুদক্ষিণা।
এই রামরাজত্বের পায়দল সেনা হলেন বাংলার তাবত মুসলমান এবং দলিতেরা ও অবশ্যই আদিবাসিরা এবং ওবিসি। বাংলার এই পদ্মঅদৃশ্য বৈজ্ঞানিক সোশাল ইন্জিনিযারিং থেকে অনুপ্রেরণা নিয়েই সঙ্ঘ পরিবারের ওবিসি প্রধানমন্ত্রিত্বের চালে বহিস্কৃত জনগণের পন্চাশভাগকে সরাসরি গৌরিক করে দেওয়ার ফলেই ভারতবর্ষে আজ রামরাজত্ব।যেখানে দলিত উদ্বাস্তুরা এবং বাংলায় কথা বলা মুসলমান অনুপ্রবেশকারি ছাড়া আর কিছু নয়ে।
আজকের এই সময়ের রিপোর্টখানি তুলে দিলাম।
আমি তুচ্ছাতিতুচ্ছ উদ্বাস্তু সন্তান,বাংলার বৌদ্ধকালীন ঐতিহ্য, বাংলার কৃষক আন্দোলন,বাংলার স্বাধীনতা সংগ্রাম,বাংলার মুসলিম লীগ প্রত্যাখ্যান,বাংলার ভাষা আন্দোলন,ওপার বাংলায় বাংলা ভাষার জন্য লাখো লাখো প্রাণ,ও লাখো নারীর ইজ্জত কুরবানি,এবং হরিচাঁদ গুরুচাঁদের আন্দোলন, ফজলুল হক ও যোগেন্দার নাথ মন্ডলের কথা মনে রেখে শুধু একবার নজরুল ইসলামের মুসলিমদের কি করণীয়,এবং মুলনিবাসীদের কি করণীযবই দুটি পড়ে দেখুন।
এই সময়: এ রাজ্যে মুসলিমদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার শোচনীয় ছবি উঠে এসেছিল সাচার কমিটির রিপোর্টে৷ সাত বছর আগের ওই রিপোর্ট নিয়ে রাজনৈতিক তরজা কিছু কম হয়নি৷ ২০০৮-এর পঞ্চায়েত ভোট থেকে এ পর্যন্ত বামফ্রন্টের সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্কে যে ধারাবাহিক ধস নেমেছে, সাচার কমিটির রিপোর্টকেই তার অন্যতম কারণ বলে মনে করে রাজনৈতিক মহলের একটা বড় অংশ৷ তবে রাজ্যে পালা বদলের পরও মুসলিমদের অবস্থার যে বিশেষ কোনও পরিবর্তন হয়নি, দু'টি বেসরকারি সংস্থার করা সমীক্ষায় তা স্পষ্ট৷ সমীক্ষার রিপোর্টে প্রকাশ, শিক্ষা ও আর্থ-সামাজিক দিক থেকে এখনও অনেকটাই পিছিয়ে এই রাজ্যের মুসলিমরা৷
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, মুসলিমদের উন্নয়নে ৯০ শতাংশ কাজই করে ফেলেছে তাঁর সরকার৷ তবে সমীক্ষায় উঠে আসা একটি তথ্যই বলে দিচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রীর সেই দাবি আদৌ ঠিক নয়৷ সমীক্ষায় দাবি, গ্রামে বসবাসকারী ৭৯ হাজার ৯১৩ মুসলিম পরিবারের মধ্যে ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ারের মতো পেশায় রয়েছেন মাত্র একজন৷ শনিবার ওই সমীক্ষার প্রাথমিক রিপোর্ট প্রকাশ করেন কবি শঙ্খ ঘোষ ও সাহিত্যিক নবনীতা দেবসেন৷
অ্যাসোসিয়েশন স্ন্যাপ এবং গাইডেন্স গিল্ড নামে ওই দু'টি সংস্থা প্রায় আড়াই বছর ধরে রাজ্যের ১৯টি জেলার ৩২৫টি গ্রাম এবং ৭৫টি শহরে সমীক্ষাটি চালিয়েছে৷ ৯৭ হাজারেরও বেশি বাড়িতে গিয়ে বিভিন্ন বয়সের সাড়ে চার লক্ষের বেশি মুসলিম পুরুষ-মহিলার সঙ্গে কথা বলেছেন সংস্থার প্রতিনিধিরা৷ শুধু সংখ্যাতত্ত্বের উপর নির্ভর না করে সরাসরি বাড়ি বাড়ি গিয়ে চালানো হয়েছে সমীক্ষাটি৷ তাই এই রিপোর্ট অনেক বেশি নির্ভরযোগ্য বলেও দাবি করেছেন দুই সংস্থার প্রতিনিধিরা৷
কী রয়েছে এই প্রাথমিক রিপোর্টে?
সমীক্ষায় বলা হয়েছে, গ্রামের মুসলিমদের ৯১ শতাংশই বাংলাভাষী৷ তাঁদের মধ্যে ৭৫ শতাংশই খেটে খাওয়া মানুষ৷ শিক্ষা থেকে বঞ্চিত তাঁদের বড় অংশ৷ সমীক্ষায় প্রকাশ, গ্রামীণ এলাকার ১৯ শতাংশের বেশি মুসলিম নিরক্ষর৷ শহরাঞ্চলে এই হার সাড়ে সাত শতাংশের বেশি৷ আর গ্রামে বসবাসকারী সাড়ে ১২ শতাংশের বেশি মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের পড়াশোনা শেষ হয়ে যায় প্রাথমিক স্তরেরও আগে৷ শহর এলাকায় এই হার প্রায় সাড়ে আট শতাংশ৷ ১৯টি জেলার মধ্যে সাক্ষরতার হারে সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া জেলাগুলির শীর্ষে রয়েছে উত্তর দিনাজপুর৷ এর পর রয়েছে নদিয়া, পুরুলিয়া এবং কোচবিহার৷ খাস কলকাতাতেও চার শতাংশের বেশি মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ সাক্ষরতার আলো দেখেননি৷
যে ৩২৫টি গ্রামে এই সমীক্ষা চলেছে, সেগুলি শুধুই মুসলিম অধ্যুষিত গ্রাম, এমনটা নয়৷ এর মধ্যে যেমন উচ্চবর্ণের হিন্দু প্রধান গ্রাম রয়েছে, তেমনই রয়েছে তফসিলি, সংখ্যালঘু এবং মিশ্র বর্ণের মানুষ বাস করেন, এমন গ্রামও৷ তাতে দেখা যাচ্ছে, মুসলিম অধ্যুষিত ২৭ শতাংশ গ্রামেই রাস্তায় সারা বছর জল জমে থাকে৷ পাকা রাস্তা আছে তিন শতাংশেরও কম গ্রামে৷ আট শতাংশের বেশি গ্রামে এখনও বিদ্যুত্ পেঁৗছয়নি৷
পাশাপাশি পেশাগত দিক থেকেও যে মুসলিমরা রাজ্যে এখনও অবহেলিত, তা-ও পরিষ্কার ওই রিপোর্টে৷ সমীক্ষায় গ্রামীণ এলাকায় ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ারের মতো পেশাদার মিলেছে মাত্র একজন৷ আর শহরাঞ্চলে এই হার মাত্র দু'শতাংশ৷ মুসলিম জনসংখ্যার বেশিরভাগই এখনও খেতমজুরি বা দিনমজুরির কাজ করে সংসার চালান৷
কী বলছে সমীক্ষা
মুসলিমদের মধ্যে নিরক্ষরতার হার সব মিলিয়ে ১৭.৫৯ শতাংশ, ১২ শতাংশের শিক্ষা শেষ প্রাথমিক স্তরের আগেই স্নাতক স্তর পর্যন্ত পড়েছেন ৪.৮৫ শতাংশ, স্নাতকোত্তর মাত্র ১.৮৬ শতাংশমুসলিম সাক্ষরতার হারে সবচেয়ে পিছিয়ে উত্তর দিনাজপুর জেলামুসলিম অধ্যুষিত গ্রামগুলির ২৭.১৩ শতাংশে রাস্তায় জল জমে থাকে, পাকা রাস্তা মাত্র ২.৮৮ শতাংশ গ্রামে ৭৫ শতাংশ মুসলিমই শ্রমজীবীডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ারের মতো পেশাদার মাত্র ২.০২ শতাংশ, প্রাথমিক-মাধ্যমিক স্কুল বা কলেজ শিক্ষক এক শতাংশেরও কম
মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি ধারায় মামলা দায়ের নজরুল...
zeenews.india.com/bengali/zila/nazrul-islam-against-cm_15489.html
২৩ আগস্ট, ২০১৩ - এবার সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি ধারায় অভিযোগ দায়ের করলেন আইপিএস অফিসার নজরুল ইসলাম।
বই প্রকাশে আইপিএস নজরুল ইসলাম | কলকাতা ২৪x৭, বাংলায় সর্বাধিক ...
kolkata24x7.com/কলকাতা/বই-প্রকাশে-আইপিএস-নজরুল-ই.html
৩ মার্চ, ২০১৪ - কলকাতা: প্রাক্তন আইপিএস নজরুল ইসলামের বিতর্কিত তিনটি বইপ্রকাশ হল সোমবার। এদিন কলকাতা প্রেস ক্লাবে বইগুলির আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশিত হয়। এইদন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বইগুলি প্রকাশের ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিষোদগারের কথা উল্লেখ করেন। এই বইগুলির প্রকাশের ক্ষেত্রে সরকারের তরফে বিভাগীয় ...
সুপ্রিম কোর্টে গৃহীত নজরুলইসলামের মামলা | কলকাতা ২৪x৭
kolkata24x7.com/কলকাতা/সুপ্রিম-কোর্টে-গৃহীত-নজর.html
৪ এপ্রিল, ২০১৪ - কলকাতা: হাই কোর্টে সুবিচার না পেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন আইপিএস নজরুল ইসলাম। শুক্রবার এই মামলা গৃহীত হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। নজরুল ইসলাম পাঁচ আইপিএসের পদোন্নতি সংক্রান্ত যে মামলা করেছিলেন সেই মামলায় ঠিকমত বিচার না হওয়াতেই সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। সুপ্রিম কোর্টের তরফে রাজ্যের ...
পাঁচ আইপিএস-এর পদোন্নতি বাতিলের নির্দেশ - প্রথম পাতা
my.anandabazar.com› আমার কলকাতা
রাজ্যের পাঁচ আইপিএস অফিসারের ডিজি পদে পদোন্নতি বাতিলের নির্দেশ দিল সেন্ট্রাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনাল বা ক্যাট। এঁদের মধ্যে রয়েছেন রাজ্য পুলিশের ... এরপরই ৫ আইপিএসের পদোন্নতি প্রক্রিয়াকে চ্যালেঞ্জ করে সেন্ট্রাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনালের দ্বারস্থ হনআইপিএস অফিসার নজরুল ইসলাম। বর্তমানে তিনি এডিজি প্রভিশন পদে ...
EKolkata24 - #bigbreakingnews: আইপিএস নজরুলইসলামের দায়ের ...
https://eu-es.facebook.com/kolkata24x7/posts/654572834604112
bigbreakingnews: আইপিএস নজরুল ইসলামের দায়ের করা মামলার প্রেক্ষিতে রাজ্যের পাঁচ ডিজির নিয়োগ বাতিলের নির্দেশ দিল সেন্ট্রাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল...
নজরুল ইসলাম - Oneindia Bengali
৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪ - নজরুল ইসলাম News - Get List of Updates on নজরুল ইসলাম news, নজরুল ইসলামbreaking news and নজরুল ইসলাম current news on bengali.oneindia.in. ... ৪ ফেব্রুয়ারি : আইপিএস নজরুল ইসলামের দায়ের করা মামলার প্রেক্ষিতে রাজ্যের পাঁচ ডিজির নিয়োগ বাতিলের নির্দেশ দিল সেন্ট্রাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল (ক্যাট)।
পাঁচ আইপিএস-এর পদোন্নতি বাতিলের নির্দেশ - Yahoo ...
https://bengali.yahoo.com/প-চ-আইপ-এস-এ-পদ-ন-নত-134714720.html
৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪ - Yahoo Anandabazar Bengali News তে 'পাঁচ আইপিএস-এর পদোন্নতি বাতিলের নির্দেশ'পড়ুন৷ রাজ্যের পাঁচ আইপিএস অফিসারের ডিজি পদে পদোন্নতি বাতিলের নির্দেশ দিল সেন্ট্রাল ... এরপরই ৫ আইপিএসের পদোন্নতি প্রক্রিয়াকে চ্যালেঞ্জ করে সেন্ট্রাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনালের দ্বারস্থ হন আইপিএস অফিসার নজরুল ইসলাম।
সুপ্রিম কোর্টে গৃহীত হল নজরুলের মামলা - SakalerVarta.com ...
www.sakalervarta.com/sn/2014/04/04/6095.html
৪ এপ্রিল, ২০১৪ - কলকাতা: হাইকোর্টে সুবিচার না পেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আইপিএস অফিসার নজরুল ইসলাম। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট নজরুল ইসলামের দায়ের করা এই মামলাটি গ্রহণ করেছে। নজরুল ইসলাম রাজ্যের পাঁচ আইপিএস অফিসারের পদন্নোতি সংক্রান্ত যে মামলাটি করেছিলেন, সেই মামলায় ঠিকমতো বিচার না হওয়াতে সুপ্রিম কোর্টে ...
cryfreedom: আইপিএসঅফিসার নজরুল ইসলামসাহিত্যিক।বাংলায় ...
kolkatacries.blogspot.com/2013/03/blog-post_5109.html
১২ মার্চ, ২০১৩ - মুখ্যমন্ত্রীকে বিস্ফোরক চিঠি দিলেন আইপিএস অফিসার নজরুল ইসলাম। তেসরা ফেব্রুয়ারি তাঁর জন্মদিনে মুখ্যমন্ত্রীর পাঠানো শুভেচ্ছাবার্তা অগ্রাহ্য করে তীব্র ক্ষোভ জানিয়ে চিঠি লিখেছেন তিনি। তাঁকে অপদস্থ করার জন্য সরাসরি অভিযোগ এনেছেন মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয়ের কার্যত প্রধান গৌতম সান্যালের বিরুদ্ধে।
সাচ টাইমস - মুখ্যমন্ত্রীকে বিস্ফোরক চিঠি নজরুলইসলামের।
ben.sachtimes.com/0bn2641idcontent.htm&print=1
১২ মার্চ, ২০১৩ - 12.03.2013, সাচ টাইমস, কলকাতা : মুখ্যমন্ত্রীকে বিস্ফোরক চিঠি দিলেন আইপিএস অফিসার নজরুল ইসলাম।
কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের হুমকি
তাপস প্রামাণিক
সন্দেশখলি: রাজ্যের শাসকদলের 'সন্ত্রাস' বন্ধ করার জন্য ২৪ ঘণ্টার চরমসীমা দিল কেন্দ্রের শাসকদল৷ না হলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের দ্বারস্থ হবে বিজেপি৷ এমনকি, প্রয়োজনে প্রধানমন্ত্রীরও হস্তক্ষেপ চাওয়া হতে পারে বলে জানিয়ে দিলেন দিল্লি থেকে আসা বিজেপি সংসদীয় দলের প্রতিনিধিরা৷
শনিবার সন্দেশখালিতে তৃণমূল কংগ্রেসের হাতে আক্রান্ত বিজেপি সমর্থকদের দেখতে এসে রীতিমতো হুমকির সুরে প্রতিনিধি দলের নেতা মুখতার আব্বাস নকভি বললেন, 'আমাদের সিপিএম ভাববেন না, আমরা বিজেপি! এভাবে আক্রমণ চলতে থাকলে বেশিদিন আমরা শান্ত থাকব না৷ সরকারকে সাবধান করছি!' মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে 'গণহত্যার সরকার' অভিহিত করে তাঁর মন্তব্য, 'আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব রাজ্যের৷ রাজ্য যদি তার দায়িত্ব পালন না করতে পারে, তা হলে কেন্দ্রকে হস্তক্ষেপ করতে হবে৷' মুখ্যসচিব সঞ্জয় মিত্রের সঙ্গে দেখা করে তাঁরা জানিয়ে দেন, সরকার শাসক দলের এই হিংসা বন্ধে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে উপযুক্ত ব্যবস্থা না নিলে বিজেপি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের দ্বারস্থ হবে৷ পরে সাংবাদিক সম্মেলনে দলের তরফে নাকভি এবং মীনাক্ষী লেখি জানান, তাঁরা সন্দেশখালিতে হিংসার যে নমুনা দেখলেন, তার বিস্তারিত বিবরণ দলের জাতীয় সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংকে রিপোর্ট দিয়ে জানাবেন৷
নকভি ছাড়াও দলে ছিলেন মীনাক্ষী লেখি, রাজ্যের দুই নবনির্বাচিত সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় এবং এস এস আলুওয়ালিয়া, বিজেপির রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহা এবং রাজ্য নেতা শমীক ভট্টাচার্য৷ সন্দেশখালিতে নির্যাতিত সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলার পরে বিজেপি নেতারা কলকাতায় ফিরে এসএসকেএম হাসপাতালে গুলিবিদ্ধ সমর্থকদের দেখতে যান৷ পরে তাঁরা নবান্নে মুখ্যসচিবের সঙ্গে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন৷ বিজেপি নেতাদের অভিযোগ, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বাম আমলের থেকেও খারাপ৷ তৃণমূলের আমলেও পুলিশ-প্রশাসন শাসক দলের দাসে পরিণত হয়েছে৷
নকভি বলেন, 'আমরা মুখ্যসচিবকে বলেছি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে মামলা করতে হবে৷ না হলে আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ করব৷ যা দেখলাম তা রিপোর্ট আকারে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে দেব৷ এখানে যা হয়েছে, তা হিংসা নয়, সন্ত্রাস৷ রাজ্য সরকারের মদতে পশ্চিমবঙ্গে বিশৃঙ্খলা, হিংসা চলছে৷ এটা হিংসার সরকার৷' বামফ্রন্ট সরকারের সঙ্গে তুলনা করে তাঁর অভিযোগ, আগের সরকারের থেকেও বেশি হিংসার শাসন কায়েম করেছে তৃণমূল৷ লেখি বলেন, 'রাজ্য যদি কোনও ব্যবস্থা না নেয়, আমরা প্রয়োজনে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাইব৷'
সন্দেশখালিতে আক্রান্তরা সকলেই তফসিলি জাতি এবং উপজাতিভুক্ত৷ বিজেপি নেতারা এদিন গ্রামবাসীদের কাছে জানতে চান, ঘটনার পর রাজ্য তফসিলি কমিশনের কোনও প্রতিনিধি এসেছিলেন কি না৷ তাঁরা জানান, কেউ আসেননি৷ এতে বিস্মিত নেতারা জানিয়ে দেন, দরকার হলে জাতীয় তফসিলি কমিশন এই ঘটনার তদন্ত করবে৷
বাম আমলে এনডিএ সরকারের জোটসঙ্গী থাকাকালীন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঠিক যে ভাবে হিংসার ইস্যুতে সিপিএমকে ৩৫৬ ধারা প্রয়োগের জুজু দেখাতেন এবং কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপ চাইতেন, কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পরে বিজেপিও তার প্রাক্তন জোটসঙ্গী তৃণমূলের বিরুদ্ধে সেই পথই নিয়েছে৷ স্পষ্টতই বোঝা যাচ্ছে, আগামী বছর কলকাতা-সহ অনেকগুলি পুরসভার এবং পরের বছর রাজ্য বিধানসভার নির্বাচনই বিজেপির পাখির চোখ৷ তাই দিল্লির ক্ষমতায় বসেই বিজেপি রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে চাপের মুখে রাখতে চাইছে৷
গত মঙ্গলবার সন্দেশখালির বেড়মজুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় হালদারঘেরিতে তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের হাতে বিজেপি সমর্থকরা আক্রান্ত হন বলে অভিযোগ৷ 'তৃণমূল-আশ্রিত' দুষ্কৃতীদের গুলিতে প্রায় ২১ জন দলীয় সমর্থক জখম হন৷ অভিযোগ, পুলিশের সামনেই এই হামলা চলে৷ আহতদের মধ্যে ১৩ জন এখনও এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিত্সাধীন৷ শনিবার সন্দেশখালির সেই ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে কার্যত তুলোধোনা করলেন মা-মাটি-মানুষের সরকার এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে৷ গ্রামবাসীদের আশ্বস্ত করে নকভি বলেন, 'আপনাদের সঙ্গে যে অন্যায় হয়েছে তার হিসাব দিতে হবে রাজ্য সরকারকে৷ তৃণমূল পুরো গুন্ডারাজ চালাচ্ছে৷ এই সরকারের ক্ষমতায় থাকার কোনও নৈতিক অধিকার নেই৷'
এদিন সকাল সোয়া ১১টায় কলকাতা বিমানবন্দরে নেমেই বিজেপি নেতারা সোজা সন্দেশখালি চলে যান৷ গাড়ি থেকে নেমে বৃষ্টির জল কাদায় থইথই কাঁচা রাস্তা ধরে তাঁরা দুপুর পৌনে দু'টো নাগাদ পূর্ব রামপুর আদিবাসী ফ্রি প্রাইমারি স্কুলে পেঁৗছন৷ অনেক আগে থেকেই সেখানে ভিড় করেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা৷ স্কুলে গিয়ে প্রথমে কেন্দ্রীয় নেতারা স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেন৷ তার পর স্কুলের বারান্দায় দাঁড়িয়ে তাঁরা মাইক হাতে নিয়ে গ্রামবাসীদের মুখোমুখি হন৷
প্রতিনিধিদের সামনেই ক্ষোভ উগরে দেন ঝুমা সর্দার৷ তাঁর অভিযোগ, '২৬ তারিখ প্রধানমন্ত্রী পদে নরেন্দ্র মোদীর শপথ উপলক্ষে এলাকায় লাড্ডু বিতরণ করা হয়৷ সেদিনই বিকালে এক গ্রামবাসীকে বেধড়ক মারধর করে তৃণমূল-আশ্রিত দুষ্কৃতীরা৷ তার প্রতিবাদে মঙ্গলবার রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ চলছিল৷ সেই সময়ে আচমকা দুটো গাড়ি করে দুষ্কৃতীরা বাইরে থেকে এসে আমাদের উপর গুলি চালায়৷' আর এক গ্রামবাসী কবিতা সর্দার বলেন, 'আমরা বিজেপি-কে ভোট দিয়েছি বলে তৃণমূলের গুন্ডারা গ্রামে ঢুকে হামলা করছে৷ বাড়ি-ঘর ভাঙচুর করছে৷ এমনকি মহিলা ও শিশুরাও রেহাই পাচ্ছে না৷ ওরা শাসিয়ে গিয়েছে, নেতারা চলে গেলেই আবার হামলা হবে৷ আমরা বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে কোথায় যাব?'
লেখি বলেন, 'মমতাজি নিজেকে মা-মাটি-মানুষের নেত্রী বলে দাবি করেন৷ অথচ, তফসিলিদের প্রতি ওনার কোনও সহানুভূতি নেই৷' সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় প্রশ্ন তোলেন, 'মা-মাটি-মানুষের সরকারের মুখ্যমন্ত্রী কি এখানে এসেছিলেন?' জনতার জবাব আসে, 'না'৷ বাবুল বলেন, 'গ্রামবাসীদের রক্ষা করার দায়িত্ব পুলিশের৷ পুলিশ কেন তদন্ত করতে আসেনি? তৃণমূল ভয়ের বাতাবরণ তৈরির চেষ্টা করছে৷ আপনারা রুখে দাঁড়ান৷ বদল শুরু হয়ে গিয়েছে৷ পুলিশ যদি রক্ষা না করে মানুষ নিজেদের রক্ষা কী ভাবে করতে হয়, তা জানে৷'
ঘটনার জন্য বিজেপি-র পক্ষ থেকে সরাসরি অভিযোগ আনা হয়েছে শাজাহান শেখ নামে এক স্থানীয় তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে৷ ঘটনার পিছনে ওই নেতার সক্রিয় মদত রয়েছে বলে গ্রামবাসীরা অভিযোগ জানিয়েছেন৷ ওই নেতার নাম করে লেখি বলেন, 'শাজাহানের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে হবে৷' লেখি এবং আলুওয়ালিয়া বুলেটের খোল তুলে দেখিয়ে বলেন, 'এই সব জিনিস তদন্তের স্বার্থে পুলিশের আটক করা উচিত ছিল৷ কিন্ত্ত পুলিশ তার দায়িত্ব পালন করেনি৷ এটা বরদাস্ত করা হবে না৷'
জুলুমের হিসেব দিতে হবে, হুঁশিয়ারি রাজ্যকে
সকাল থেকেই টানা বৃষ্টি চলছিল। রাস্তায় থকথকে কাদা। তবু শনিবারের বারবেলায় সেই জলকাদা ভেঙে বিজেপি নেতারা যখন গ্রামে ঢুকলেন, তাঁদের ঘিরে উপচে পড়ল ভিড়। দলের কয়েকশো কর্মী-সমর্থক তো ছিলেনই, সিপিএমেরও প্রচুর লোকজন তাঁদের সঙ্গে জুটে যান। এঁদের একটা বড় অংশ যে ইতিমধ্যে বিজেপির দিকে ঝুঁকে গিয়েছেন, তা-ও কার্যত স্পষ্ট।
জ্যাকেট-বোমা জঙ্গিদের হাতে, নিশানায় মোদীও
বাচ্চা মেয়েটির গায়ে একটি হাতকাটা জ্যাকেট। সেই জ্যাকেটে আটকানো আইইডি। নায়কোচিত শৌর্যেই শিশুটিকে বাঁচালেন শাহরুখ খান। আব্বাস-মাস্তানের 'বাদশা'ছবিতে। শেষ পর্যন্ত ওই 'বম্ব ভেস্ট'বিস্ফোরণে মারা গেল দুষ্কৃতীরাই। সেলুলয়েডের পর্দাকে হার মানিয়ে 'বম্ব ভেস্ট'-এর বদলে বাস্তবে হাজির 'জ্যাকেট-বোমা'। মানববোমারই রকমফের। দেখলে মনে হবে, নেহাতই সাদামাঠা ফুলহাতা জ্যাকেট। সাদা চোখে তো নয়ই, হরেক রকম সন্ধানী যন্ত্র দিয়ে সামনে-পিছনে-ভিতরে পরীক্ষা চালিয়েও অনেক সময়ে চট করে ধরা যায় না সেই পরিধানের কালান্তক রূপ।
আপনারা গেলে কে বাঁচাবে, প্রশ্ন বিমানকে
আপনাদের ডাকিনি। কেন এসেছেন? আপনারা চলে যাবেন। ওরা আসবে। কে বাঁচাবে আমাদের? মহিলার একের পর এক ঝাঁঝালো প্রশ্ন ভেসে আসছিল বাইরের চাতাল থেকে। দলীয় কর্মীর ভাঙচুর হওয়া ঘরে দাঁড়িয়ে তাঁর স্ত্রীর ওই প্রশ্ন শুনে থ বিমান বসু-সহ বামফ্রন্টের রাজ্য নেতৃত্ব। ভাবতেই পারেননি শনিবার আরামবাগে তৃণমূলের 'হামলা'য় দলীয় কর্মীদের ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘর দেখতে গিয়ে এমন পরিস্থিতির মুখে পড়তে হবে তাঁদের!
মোদী এখনই সঙ্ঘের মাথাব্যথা
দিগন্ত বন্দ্যোপাধ্যায়
নয়াদিল্লি, ১ জুন, ২০১৪, ০২:২৩:৫৪
তাদের পরামর্শ শিরোধার্য করে গোয়েন্দা শিরোমণি অজিত ডোভালকে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা করেছেন নরেন্দ্র মোদী। সাভারকরের জীবনী স্কুলপাঠ্য করার পক্ষে সওয়াল করেছে তাঁর দফতর। কিন্তু তাও নতুন প্রধানমন্ত্রীর কার্যকলাপ নিয়ে কপালের ভাঁজ মেলাচ্ছে না সঙ্ঘ পরিবারের। মোদী যে ভাবে বিজেপির উপরে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করতে উঠে পড়ে লেগেছেন, তাতেই লাগাম হারানোর আতঙ্কে ভুগছেন সঙ্ঘের নেতারা।
বিজেপিতে যখন নেতৃত্বের লড়াই তুঙ্গে, জনপ্রিয়তার কারণেই সে সময়ে মোদীকে প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী বেছেছিল সঙ্ঘ। জনপ্লাবনে ভেসে আজ তিনি কুর্সিতে। প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেওয়ার পর আজ শনিবার ছিল প্রথম ছুটির দিন। দিনটা কাটালেন দলের সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে বৈঠক করে। বিকেলে আলোচনা সারলেন রাজনাথ সিংহ, অরুণ জেটলি, নিতিন গডকড়ীর মতো শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে। দলীয় নেতাদের প্রধানমন্ত্রী নিজের বাসভবনে ডেকে পাঠিয়ে আলোচনা করছেন এটাও দিল্লির রাজনীতিতে একটা নতুন নজির, যাকে দলের ওপর নিরঙ্কুশ আধিপত্য কায়েমের চেষ্টা বলেই মনে করছে আরএসএস।
সঙ্ঘের এই মনোভাব মোদীও বিলক্ষণ বুঝছেন। আগামী দিনে সঙ্ঘের সঙ্গে সংঘাতের আশঙ্কাও করছেন। কিন্তু সেই সংঘাত যাতে মাত্রা না-ছাড়ায়, সে বিষয়ে সতর্ক পদক্ষেপই করতে চাইছেন নরেন্দ্র মোদী। কার্যত, সংঘাত আঁচ করেই সরকার গড়ার পরে সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতেই দলের সঙ্গে যোগসূত্র নিবিড় করতে চাইছেন তিনি। নিজের বাসভবনে দলের সাধারণ সম্পাদক ও অন্য নেতাদের ডেকে বোঝাতে চাইছেন, সরকার ও দল একে অপরের পরিপূরক। আজ সাধারণ সম্পাদকদের মোদী বলেন, ভোটের সময় যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, তা পূরণ করার জন্য দলও যেন সরকারকে সাহায্য করে। সরকারের ভুল-ত্রুটি তারা যেন ধরিয়ে দেয়। সরকার ও সংগঠন মিলেমিশেই কাজ করবে।
আবার এটাও ঠিক, সরকারের রাশ নিজের হাতে তুলে নেওয়ার পর এ বারে দলে নিয়ন্ত্রণ চান মোদী। পরবর্তী সভাপতি পদে নিজের পছন্দের লোক অমিত শাহই তাঁর প্রথম পছন্দ। কিন্তু তাতে ঘোর আপত্তি সঙ্ঘের। প্রথমত, অমিত শাহের বিরুদ্ধে মামলার নিষ্পত্তি হয়নি। তা ছাড়া সঙ্ঘ জানে, অমিত সভাপতি হওয়া মানে সরকার ও দল উভয়েরই নিয়ন্ত্রণ মোদীর হাতে চলে যাওয়া। তারা এখন বলছে, প্রধানমন্ত্রী ও দলের সভাপতি উভয়েই গুজরাত থেকে হলে দেশের অন্য অংশের নেতারা ক্ষুব্ধ হতে পারেন। তাই সঙ্ঘ এখন বিকল্প নাম নিয়ে আলোচনা করছে।
অটলবিহারী বাজপেয়ী যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, সেই সময়ও আরএসএসের সঙ্গে সংঘাত নেহাত কম হয়নি সরকারের। সরকারের নানা সিদ্ধান্তের পদে পদে আপত্তি তুলতেন তৎকালীন সরসঙ্ঘচালক কে সুদর্শন। বাজপেয়ী সরকারের উদার অর্থনীতির বিরোধী ছিলেন তিনি। বিমা, টেলিকম বেসরকারিকরণের বিরোধিতাও করা হয়েছিল। স্বদেশি জাগরণ মঞ্চে বাজপেয়ী সরকারের উদার অর্থনীতির বিরুদ্ধে প্রস্তাব গ্রহণ করে সরকারকেই অস্বস্তির মুখে ফেলে দেন গোবিন্দাচার্য। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় সরকারের অবস্থানের বিরোধিতাতেও সরব হন সঙ্ঘ নেতা কুশাভাও ঠাকরে। যশোবন্ত সিংহকে বাজপেয়ী যখন অর্থমন্ত্রী করে নিয়ে আসেন, সেই সময়ও সঙ্ঘ তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিল। কিন্তু সে সময়ে সঙ্ঘের সঙ্গে যোগসূত্র বজায় রেখে সরকারের পক্ষে সব সামলে চলতেন লালকৃষ্ণ আডবাণী।
মোদীর কাছে সঙ্ঘের প্রত্যাশার তালিকাও ছোট নয়। এই বিপুল জয়ের পর মোদী সংবিধানের ৩৭০ ধারা বিলোপ, রামমন্দির নির্মাণ, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি, গো-হত্যা নিবারণের মতো বিষয়গুলি কার্যকর করতে সক্রিয় হবেন, সঙ্ঘের অনেক নেতাই সেই আশা করেন। মুরলীমনোহর জোশী মানব-সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী থাকার সময় যে ভাবে শিক্ষায় গৈরিকিকরণে উদ্যোগী হয়েছিলেন, সঙ্ঘ চায় মোদী সরকারও তা অনুসরণ করুক।
কিন্তু এখনও পর্যন্ত মোদী সঙ্ঘের আশাপূরণের কোনও ইঙ্গিত দিচ্ছেন না। প্রধানমন্ত্রী দফতরের প্রতিমন্ত্রী হয়ে জিতেন্দ্র সিংহ যখন ৩৭০ ধারা বিলোপ নিয়ে আলোচনার দাবি তুললেন, সঙ্ঘ নেতৃত্ব সে'টি লুফে নেয়। আরএসএস নেতা রাম মাধবও বিষয়টি নিয়ে গোটা দেশে বিতর্ক দাবি করেন। মোদী কিন্তু সেই মন্ত্রীকে ধমকে বক্তব্য প্রত্যাহার করান। সঙ্ঘ চায়, পাকিস্তানের সঙ্গে চড়া সুরে কথা বলুন মোদী। মোদী উল্টে শান্তির পায়রা ওড়াচ্ছেন। ভোটের আগে যে যশোবন্ত সিংহকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল, তাঁকেই আবার ফিরিয়ে আনতে চাইছেন নতুন প্রধানমন্ত্রী।
তাদের পরামর্শ মেনে মোদী ডোভালকে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা করেছেন বটে, কিন্তু তার পরেও তাঁর কাজে স্বস্তি পাচ্ছে না আরএসএস।
বাজপেয়ী-সঙ্ঘ সংঘাত |
• উদার নীতির বিরুদ্ধে সরব হয় সঙ্ঘ • বিমা-টেলিকম বিনিয়ন্ত্রণেরও বিরোধিতা • পাকিস্তান নিয়ে কড়া অবস্থানের চাপ • বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা নিয়ে বিপরীত অবস্থান • যশোবন্ত সিংহকে মন্ত্রী করার বিরোধিতা |
মোদীর কাছে সঙ্ঘের প্রত্যাশা |
• রামমন্দির নির্মাণ • ৩৭০ ধারা বিলোপ • অভিন্ন দেওয়ানি বিধি • গো-হত্যা নিষিদ্ধ • শিক্ষায় গৈরিকিকরণ |