এবার রাজপথে যোগাসন করবেন মোদি
ভারতের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে রাজপথে কখনোসখনো প্রাতর্ভ্রমণে যেতেন অটলবিহারী বাজপেয়ি। ইন্ডিয়া গেটের সামনে দাঁড়িয়ে রাজীব-সোনিয়া নবদম্পতির আইসক্রিম খাওয়ার ছবি কিংবদন্তি হয়ে আছে। কিন্তু রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে ইন্ডিয়া গেট পর্যন্ত প্রশস্ত এই সড়কের মধ্যে বসে কোনো প্রধানমন্ত্রীকে যোগাসন করতে কস্মিন কালেও দেখা যায়নি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবার সেটাই করে দেখাবেন। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
২১ জুনকে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে জাতিসংঘ। ওই দিন রাজপথজুড়ে ৩৫ মিনিটের আসনে ১৫টি যোগ করে দেখাবেন মোদি। তার সঙ্গে যোগ দেবেন ৪৫ হাজার ছাত্র-ছাত্রী, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, সেনাবাহিনী, আমলা, মন্ত্রী, নেতা ও সাংসদরা। থাকবেন করিনা, শিল্পা, সোনমের মতো তারকারাও। কারণ, মোদি চাইছে—বিশ্বের মানচিত্রে ভারতকে যোগ দিয়েও চেনা যায়। এ জন্য গিনেস বুক অব রেকর্ডসের কাছে সরকারিভাবে আবেদনও জানানো হয়েছে।
এ দিকে, সোনিয়া ও রাহুল গান্ধীকেও এ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে নিমন্ত্রণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। এমনকি ওই ১৫টি যোগাসন রপ্ত করার জন্য একটি সিডিও নাকি পাঠানো হয়েছে নিমন্ত্রণপত্রের সঙ্গে। কিন্তু সে নিমন্ত্রণের প্রাপ্তি স্বীকারের আগেই শুরু হয়ে গেছে নানা বিতর্ক।
কংগ্রেসের বক্তব্য—অর্থনৈতিক ও সামাজিক সুরক্ষার দিক থেকে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে ব্যর্থ হয়ে আরো একটা খেলনা হাতে দিয়ে 'ছেলে ভোলাতে'চাইছেন মোদি সরকার।
শুধু কংগ্রেস নয়, সমালোচনা করছেন অন্য বিরোধীদলগুলোও। সমাজবাদী পার্টির এক কেন্দ্রীয় নেতা বলেছেন, 'যোগাসন করা খুবই ভালো ব্যাপার। তবে যে রকম ঢাক-ঢোল পেটানো হচ্ছে, তা দেখে মনে হচ্ছে—নরেন্দ্র মোদি ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে কোনো ফারাক নেই। রাজ্যের উন্নয়ন হোক, না-হোক মমতা যেমন গান-বাজনা-উত্সব করে বাংলার মানুষকে খুশি রাখতে চান, মোদিও তেমন যোগাসন করিয়ে দেশের মানুষকে ভালো রাখতে চান।