বৃটিশ সা্ম্রাজ্য বিরোধী যুদ্ধের দুই মহৎপ্রানসেনাপতি হযরত সূফী নুর মোহাম্মদ নিজামপুরী (চট্টগ্রাম) ও হযরত মাওলানা ইমামুদ্দীন বাঙ্গালী (নোয়াখালী)
- কমরেড মেহেদী
বৃটিশ ভারতের পাঞ্জাব ছিল শিখদের শাসনাধীন। রঞ্জিত সিংহের শাসনামলে মুসলমান প্রজাদের উপর নেমে আসে নির্মম অত্যাচার। প্রতিহিংসা এমন এক পর্যায়ে উঠে যার ফলশ্রুতিতে রক্তের বিনিময়ে বর্বরতম ভূমিসত্বের প্রবর্তন করা হয়েছিল। মুসলমান হোসেন খেল উপজাতিদের একশ মাথার বিনিময়ে সীমান্তে হিন্দু অধিবাসীদের গ্রাম পত্তনি পাট্টা দেওয়া হয়েছিল। ১৮২৪ খ্রীষ্টাব্দে শহীদ সৈয়দ আহমদ ব্রেরলবী পেশোয়ার সীমান্তে পার্বত্য অধিবাসীদের মধ্যে বিপ্লবের বাণী প্রচার করতে শুরু করেন। ১৮২৬ সালে বৃটিশ ভারতের পাঞ্জাব সীমান্তে বিপ্লবী শিবিরের গোড়া পত্তন করেন। ১৮২৭ থেকে ১৮৩০ খ্রীষ্টাব্দের মধ্যে বৃটিশ সাম্রাজ্যের বিরোধী যোদ্ধারা পাঞ্জাব সীমান্ত রাজধানী পেশোয়ার দখল করেছিল। ১৮৩১ খ্রীষ্টাব্দে রাজপুত্র শের সিংহের সেনাবাহিনী দ্বারা অর্তকিতে আক্রান্ত হয়ে সৈয়দ আহমেদ ব্রেরলবী সাহদাৎ বরণ করেন।
হয়রত সৈদয় আহম্মদ শহীদ ভারতের সীমান্ত প্রদেশের দিকে যাওয়ার সময় সূফি নূর মোহাম্মদ নিজামপুরী তাঁর সাথে ছিলেন এবং বিভিন্ন যুদ্ধে অংশগ্রহন করেন। ১৮৩১ সালের ৬ মে ঐতিহাসিক বালাকোট প্রান্তরে ইতিহাস বিখ্যাত বালাকোট যুদ্ধ সংগঠিত হয়। এ যুদ্ধে শহীদ সৈয়দ আহম্মদ ব্রেরলবি শহীদ হন। নেতার মৃত্যু এবং অস্ত্রের অভাবে বিপ্লবী যুদ্ধারা ক্রমশ: দুর্বল হয়ে পড়েন। কিন্তু শাহ সূফি নূর মোহাম্মদ নিজামপুরী বিন্দুমাত্র নিরাশ না হয়ে বীর বিক্রমে যুদ্ধ করে গাজী খেতাবে ভূষিত হন। নেতার মৃত্যুর পর তিনি সেনাপতির দায়িত্ব পালন করেন। এ যুদ্ধে তিনি গুরুতরভাবে আহত হন।
জনাব মোহাম্মদ সাইফুল হক সিরাজীলিখেন-"মজররদ শব্দ হযরত শাহ সূফি নূর মোহাম্মদ নিজামপুরী রাহঃ এর নামের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ ধরা হয়। মজররদ শব্দের অর্থ চিরকুমার। সূফি সাধক শাহ নূর মোহাম্মদ দার পরিগ্রহ করে সংসারের বেড়াজালে আবদ্ধ হতে চাননি। চিরকুমার থাকা অবশ্য আল্লাহর রাসুলের সুন্নাতের বরখেলাফ, তবে সূফি সাধকদের মধ্যে দেখা যায়, অনেকেই সংসার ত্যাগ করে আল্লাহর ধ্যানে জীবন কাটিয়ে দেন। দুর্গত মানবতার সেবায় যাঁরা আত্মোৎসর্গ করেন, তাঁদের পক্ষে নিজেদের আরাম-আয়েশ, সুখ-স্বাচ্ছান্দ্যের প্রবণতা ত্যাগ করার প্রয়োজন হতে পারে। তবে তাঁদের সংসার বিরাগকে তাঁরা অন্যদের জন্য আদর্শ হিসাবে তুলে ধরেন না। চিরকুমার ছিলেন বলেই শাহ নূর মোহাম্মদ মজররদ নামে খ্যাত ছিলেন। শাহ নূর মোহাম্মদ (রাঃ) এর জীবনের ব্রত ছিল যাহিলিয়াতের মধ্যে নিবদ্ধ মানুষের মধ্যে সত্য এবং সুন্দরের প্রতিষ্ঠা করা। দৃষ্টিহীন মানুষের কাছে ইসলামের সাম্য, ন্যায়ের বাণী পৌছে দেওয়ার জন্য তিনি মাতৃভূমি ত্যাগ করে অন্য রাজ্য ভ্রমণ করেন। ধর্ম নির্বিশেষে মানুষ শান্তির জন্য তাঁর কাছে আসতো। তাঁর কর্মজীবনে বিবাহ বন্ধন অনুকূল অবস্থা সৃষ্টি করবে বলে তিনি মনে করেননি। দুর্গত মানবতার সেবায় যাঁরা আত্মোৎসর্গ করেন, তাঁদের জন্যে স্ত্রী এবং সন্তান-সন্ততির প্রতি লক্ষ্য রাখার সময় কোথায়। অপরাপর সূফি সাধকের ঐতিহ্য রক্ষিত হয় তাঁর জীবনেও। যে বয়সে পুরুষেরা সাধারণত বিবাহ করে সে বয়সে তিনি বিভিন্ন স্বাধীনতা সংগ্রাম,যাদাহ, ফুলজ, ইয়াজার মায়ার, কাবুল কান্দাহার ও বালাকোট যুদ্ধসহ অসংখ্য যুদ্ধে অংশগ্রহণ ও নেতৃত্ব প্রদান করেন। কাজেই এদিক থেকে সূফি নূর মোহাম্মদ নিজামপুরী রাঃ এর বিবাহ না করার যৌক্তিকতা খুঁজে পাওয়া যায়।" (মোহাম্মদ সাইফুল হক সিরাজীর রচিত গাজীয়ে বালাকোট মুজাহিদে ইসলাম হযরত শাহ্ সূফি নূর মোহাম্মদ নিজামপুরী রাহঃ এর জীবনী পৃষ্টা ৮৩-৮৪।)
গাজীয়ে বালাকোট হযরত নিজামপুরী এর মাজার শরীফ চট্টগ্রাম জেলার নিজামপুর পরগানার মীরশরাই থানার অর্ন্তগত মিঠানালা (মালিয়াইশ) গ্রামে অবস্থিত।
হযরত মাওলানা ইমামুদ্দীন বাঙ্গালী হযরত নিজামপুরীর পীরভাই। তিনি বালাকোট যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তিনি নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ থানার হাজীপুরের অধিবাসী ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি নোয়াখালী সুধারামের নিকট সায়েদুল্লাহপুরে বসবাস করেন। বৃটিশ ঐতিহাসিক ডব্লিউ ডব্লিউ হান্টার তার রচিত 'দি ইন্ডিয়ান মুসলমানস' পুস্তকে লিখেছেন- বৃটিশ সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যোগদান করার জন্য বাংলাদেশ থেকে ২ হাজার মাইল পায়ে হেঁটে অসংখ্য স্বাধীনতা সংগ্রামী সীমান্ত শিবিরে উপস্থিত হয়েছিল। কারো কারো মতে হযরত ইমামুদ্দীন বাঙ্গালী এ সকল কাফেলার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। হযরত ইমামুদ্দীন বাঙ্গালী সম্পর্কে বিস্তারিত জানার সুযোগ হয়নি। ভবিষ্যতে গবেষণার মাধ্যমে আরও তথ্য পাওয়া যাবে বলে আশা করি।
উল্লেখিত মহাপুরুষগণ শুধুমাত্র আধ্যাতিক নেতা,পীর-আউলিয়া ছিলেন না, তাঁরা দেশপ্রেমিক স্বাধীনতা সংগ্রামীও ছিলেন। তাঁদের এ দিকটার কথা দেশবাসী ভুলে গেছে। দেশবাসী এ সকল মহাপুরুষদের মাজারে যান গুণাহসমূহ মাপ, রোগ-ব্যধি থেকে মুক্তি, ব্যবসা-বাণিজ্যে উন্নতি, সংসারের সুখ-শান্তি এককথায় প্রার্থীব সুযোগ-সুবিধার জন্য হুজুরের দোয়া চাইতে। এ সকল মহাপুরুষরা দেশের স্বাধীনতার জন্য যে বীরত্বপূর্ণ সংগ্রাম করেছেন, যে ত্যাগ স্বীকার করেছেন তার সেই ইতিহাস তুলে ধরার জন্যই আমার এই ক্ষুদ্রপ্রয়াস।
সহীদ সৈয়দ আহমদ ব্রেরলবির ইন্তেকালের পর স্বাধীনতা সংগ্রামীরা সিন্ধুর ওপারে 'সিত্তানা' নামক মহাপনে ঘাঁটি স্থাপন করেন এবং হানাদার বৃটিশ বাহিনীর বিরুদ্ধে মহাপরিক্রমে যুদ্ধ শুরু করেন। এ প্রচন্ড যুদ্ধ সর্ম্পকে বৃটিশ ঐতিহাসিক ডব্লিউ ডব্লিউ হান্টারের বিবরণ নিম্নে প্রদান করলাম। এখানে বলে রাখা দরকার লিখক স্বাধীনতা সংগ্রামীদের বিরুদ্ধে ধর্মান্ধ, বিশ্বাসঘাতক ইত্যাদি অসৌজন্যমূলক শব্দ ব্যবহার করেছেন। যেহেতু একজন লেখকের উব্ধৃতি দিচ্ছি তাই কোন পরিবর্তন করি নাই।
ডব্লিউ ডব্লিউ হান্টার তার 'দি ইন্ডিয়ান মুসলমানস'পুস্তকে লিখেন- "১৮৫০ থেকে ১৮৫৭ খ্রীষ্টাব্দ পর্যন্ত আমরা ষোলটি অভিযান পরিচালনা করতে বাধ্য হয়েছিলাম এবং তাতে মোট ৩৩,০০০ নিয়মিত সৈন্য প্রেরণ করতে হয়েছিল। ১৮৫০ থেকে ১৮৬৩ খ্রীষ্টাব্দ পর্যন্ত পরিচালিত অভিযানের সংখ্যা উঠেছিল কুড়িতে,এবং তাতে নিয়োজিত নিয়মিত সৈন্যর সংখ্যা ছিল ৬০,০০০। তাছাড়া আরো বহু সংখ্যক অনিয়মিত এবং অতিরিক্ত সৈন্য ও পুলিশ। এ সময় সিত্তানা উপনিবেশ থেকে ক্রমাগতভাবে সীমান্ত এলাকায় ধর্মীয় গোঁড়ামীর উস্কানী দিতে থাকা হলেও তারা আমাদের সৈন্য বাহিনীর সঙ্গে সরাসরি সংঘর্ষ এড়িয়ে চলেছে। যেসব উপজাতীয়দের তারা আমাদের বিরুদ্ধে উস্কানী দিয়েছে, তাদের হয়ত গোপনে সাহায্য করেছে তারা। কিন্তু তারা নিজে আমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে সাহস পায়নি। কিন্তু ১৮৫৭ খ্রীষ্টাব্দে তারা আমাদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য আঁতাত গঠন করেছে, এমনকি তাদের অসাধু উদ্দেশ্য সাধনের জন্য বৃটিশ কর্তৃপক্ষের সাহায্য দাবী করার দুঃসাহস পর্যন্ত দেখিয়েছে। আমাদের অস্বীকৃতিতে ক্ষিপ্ত হয়ে তারা সদপে আমাদের ভূখন্ড আক্রমন করেছে এবং এ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার লেফ্টেনেন্ট হর্ণের শিবিরে রাত্রিকালে হামলা করলে তিনি কোন রকমে পালিয়ে প্রাণ বাঁচিয়েছেন। এই হামলার প্রতিশোধ গ্রহণে বিলম্ব করা আর সম্ভব ছিল না। জেনারেল স্যার সিডনী কটন অবিলম্বে ৫,০০০ সৈন্য নিয়ে পাহাড় অঞ্চলে প্রবেশ করেছিলেন। ধর্মান্ধ শিবির আমাদের সীমান্তে যে কতিপয় যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছিল, এটাই ছিল তার প্রথম। এ সম্পর্কে সংক্ষেপে এইটুকু উল্লেখ করেই আমি এ ধরনের যুদ্ধের নিদর্শন স্বরূপ ১৮৬৩ খ্রীষ্টাব্দে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় যুদ্ধটি সম্পর্কে আলোচনা করব। প্রাথমিক কিছু অসুবিধা অতিক্রম করার পর আমাদের সৈন্যরা বিদ্রোহ সমর্থনকারীদের গ্রাম জ্বালিয়ে দেয়, দুইটি গুরুত্বপূর্ণ দূর্গ ভষ্মীভূত করে অথবা উড়িয়ে দেয় এবং সিত্তানায় অবস্থিত বিশ্বাসঘাতকদের বসতি ধ্বংস করে ফেলে। ধর্মান্ধরা অবশ্য পশ্চাদপসরন করে মহাবন পর্বতের অন্তরালে আশ্রয় গ্রহণ করে। এ যুদ্ধে তাদের শক্তি কিছুমাত্র খর্ব হয় না এবং পার্শ¦বর্তী উপজাতীয়রা অনতিকাল মধ্যেই মুলকা নামক স্থানে বিদ্রোহীদের নতুন বসতি স্থাপন করতে দেয়।
১৮৬৩ খ্রীষ্টাব্দের ১৮ই অক্টোবর জেনারেল স্যার নেভিল চেম্বারলিনের অধীনে ৭,০০০ সৈন্যসমৃদ্ধ এক বৃটিশ বাহিনী যুদ্ধ যাত্রা করে। এই বাহিনীর সঙ্গে ছিল বিরাট সাঁজোয়া বহর, আর রসদ বহনের জন্য ছিল ৪,০০০ খচ্চর ও অন্যান্য ভারবাহী পশু,সারা পাঞ্জাব তছনছ করে এই রসদ সংগ্রহ করা হয়েছিল। পরের দিন সন্ধ্যায় এই সৈন্যবাহিনীর একটি ব্যুহ জংগলাকীর্ণ বৃক্ষ আচ্ছাদিত বিপদ সংকুল এক গিরিপথে উপস্থিত হয়। এই গিরিপথ আম্বেলা পাস্ নামে অভিহিত। আমাদের আক্রমন ঘাঁটি সুরক্ষিত করা হয়েছিল শক্তিশালী সৈন্য বেষ্টনী দ্বারা। এই বেষ্টনীর পশ্চাতে ছিল অশ্বারোহী,পদাতিক ও গোলন্দাজ বাহিনীর সৈন্যে পরিপূর্ণ সীমান্ত ঘাঁটি সমূহ। আক্রমনকারী সৈন্য বাহিনীর পশ্চাতে উপরোক্ত সামরিক ঘাঁটি সমূহের সমর্থন ছিল, এটা খুবই সৌভাগ্যের বিষয়। কারণ ২০ শে অক্টোবর জেনারেল চেম্বারলিন লক্ষ্য করলেন যে,যে সব উপজাতিকে তিনি মিত্র বলে মনে করেছিলেন, তারা দ্বিধাগ্রস্থ হয়ে পড়েছে। দু'দিন পরে তিনি সরকারের নিকট এই মর্মে তারবার্তা প্রেরণ করেন যে, গিরিপথ থেকে বের হওয়ার আগে তাঁর সৈন্য বাহিনীর বিশ্রাম প্রয়োজন। ২৩শে অক্টোবর উপজাতীয়রা প্রকাশ্য বিরোধীতা শুরু করে। বোনাইর উপজাতীয়রা এই দিন একটি বৃটিশ পরিদর্শক বাহিনীকে আক্রমন করে। এর অল্প কয়েক দিনের পরই সোয়াত রাজ্যে ধর্মীয় প্রধান শত্রুপক্ষে যোগদান করে। ইতিমধ্যে সীমান্তে আরও সৈন্য প্রেরণের আবেদন সংবলিত তারবার্তার পর তারবার্তা সরকারের হস্তগত হতে থাকে। আমাদের সৈন্যবাহিনী বিপদসংকুল গিরিপথে আটকা পড়ে থাকে। ফিরোজপুর রেজিমেন্টের একটি অংশকে সীমান্তে যাওয়ার আদেশ দেয়া হয়। পেশোয়ার থেকে আরও এক রেজিমেন্ট বাহিনীকে দ্রুত পশ্চিম দিকে প্রেরণ করা হয়। শিয়ালকোট থেকে ৯৩তম হাইল্যান্ডার বাহিনী ও রাহোর থেকে ২৩শ ও ২৪শ পদাতিক বাহিনীও দ্রুত অগ্রসর হয়। তিন সপ্তাহের মধ্যেই পাঞ্জাবের সেনানিবাসসমূহ এমনভাবে সৈন্যহীন হয়ে পড়ে যে, লেফটেন্যান্ট গভর্ণরকে গার্ড দেওয়ার জন্য মাত্র চল্লিশজন বেয়নেটধারী সৈন্য যোগাড় করা মিয়ামিররের সেনাপতির পক্ষে কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে।" (দি ইন্ডিয়ান মুসলমানস,ডব্লিউ ডব্লিউ হান্টার, পৃষ্ঠা- ১৪, ১৫, ২১ ও ২২)
এত রক্ত, এত ঘাম, এত ত্যাগের পরেও সংগ্রাম সাফল্যমন্ডিত হয়নি। কারণ হিসাবে স্বয়ং বৃটিশ কর্তৃপক্ষের মতে, "অস্ত্রবলে আমরা যে সাফল্য লাভ করতে পারিনি কুটনীতির মাধ্যমে ঐক্যজোটে ভাঙ্গন ধরিয়ে আমাদের সে উদ্দেশ্য সফল হতে লাগল"।
কমরেড মেহেদী
প্রতিষ্ঠাতা- গরিবী হটাও আন্দোলন
সভাপতি- গণতান্ত্রিক কর্মী শিবির।
ওয়েব সাইট: http://comrademehdibangladesh.com/
ফেইসবুকে লিখাটির উপর মতামত পাঠানোর জন্য বন্ধুদের প্রতি অনুরোধ রইল।