Quantcast
Channel: My story Troubled Galaxy Destroyed dreams
Viewing all articles
Browse latest Browse all 6050

রামের নামে পিতৃ পরিচয় না হলেই বাকি ভারতবাসীরা হারামজাদা !! শরিদিন্দু উদ্দীপন

$
0
0

রামের নামে পিতৃ পরিচয় না হলেই বাকি ভারতবাসীরা হারামজাদা !! শরিদিন্দু উদ্দীপন

গত সোমবার দিল্লীর এক নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি বাকি ভারতবাসীদের এরকম কদর্য ভাষাতেই আক্রমণ করেছিলেন। ঘটনা প্রসঙ্গে এদিনই দিল্লীর একটি গির্জাতে একদল দুষ্কৃতী আগুন ধরিয়ে দেয়। পরদিন থেকে পার্লামেন্টের উভয় কক্ষেই প্রচণ্ড নিন্দার মুখে পড়ে শাসক দল। লোকসভা এবং রাজ্যসভা অচল করে দেন বিরোধী সাংসদেরা। দাবী ওঠে সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতিকে পদত্যাগ করতে হবে। দাবী ওঠে তার বিরুদ্ধে পুলিশকে এফআইআর করতে হবে এবং তাকে গ্রেপ্তার করতে হবে। এমন জটিল পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কড়া প্রতিক্রিয়াতে সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি দোষ স্বীকার করে ক্ষমা চাইলেও বিরোধীরা তার গ্রেপ্তারের জন্য এককাট্টা মনোভাব দেখাচ্ছেন। এটা নিঃসন্দেহে সংসদীয় গণতন্ত্রের একটি শুভ দিক। কিন্তু এই ঘটনা থেকে আর একটি বীভৎস দিক এমন ভাবে উন্মোচিত হয়ে পড়েছে যা গণতন্ত্রের পক্ষে ভয়ঙ্কর পরিণতি ডেকে আনতে পারে। নিঃসন্দেহে বলা যায় যে এই ভয়ঙ্কর বার্তা হঠাত মুখ ফসকে বেরিয়ে আসা কোন আলটপকা বুলি নয় বরং এটি ভাগুয়া সন্ত্রাসের একটি সর্বজন জ্ঞাত সুপরিকল্পিত বার্তা। মহাপ্রলয়ের অমৃত বাণী। মিশন ২০৩০ এর ব্লুপ্রিন্ট। রাম রাজ্য প্রতিষ্ঠা করার গোপন এজেন্ডা। 
২০০৬ সালে বাবরি মসজিদ ধ্বংস করার পর হিন্দু ধর্ম সংসদ দ্বারা অনুমোদিত এমনি এক গোপন দস্তাবেজ তৈরি করেছিলেন ভারতের সম্মিলিত ভাগুয়া বাহিনী। তথাকথিত হিন্দুত্বের পবিত্র দেবভূমি প্রয়াগে আয়োজিত এই ভাগুয়া সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছিল আরএসএস, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, বজরং দল এবং অখিল ভারতীয় ব্রাহ্মণ মহাসভা। এই সম্মেলনে সংগঠিত ভাবে সংকল্প করা হয়েছিল যে ভাগুয়া বাহিনীর আগামী দিনের প্রয়াস হবে সংরক্ষণ তুলে দেওয়া, ভারতীয় সংবিধান ধ্বংস করা, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, শিখ ও মুসলিম ধর্মের প্রভাব ধ্বংস করে দেওয়া এবং দলিত আন্দোলনগুলির মধ্যে ভেজাল মিশিয়ে তাকে বিভাজিত করে ফেলা। এই কাজগুলিকে সুচারু ভাবে কার্যকরী করার জন্য অস্ত্র-সস্ত্র, ধর্ম, কর্ম, অধর্ম, কূটনীতি এবং রণনীতি গ্রহণ করা এবং রাজনৈতিক ভাবে বিজেপিকে সমর্থন করা। এই ঘোষণায় এটাও দাবী করা হয় যে নিরঙ্কুশ ভাবে বিজেপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসীন হলে রামরাজ্য প্রতিষ্ঠা করতে আর কোন বাঁধা থাকবে না। এই গোপন দস্তাবেজের ২০টি ধারায় সংসদে ভাগুয়া ধ্বজ উত্তোলন করা ভারতীয় সংবিধানকে ধ্বংস করে মনুর শাসন কায়েম করা এবং রামরাজ্য প্রতিষ্ঠা করার রণকৌশলগুলি বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। বিজেপি এখন নিরঙ্কুশ ভাবে রাষ্ট্র ক্ষমতায় সমাসীন। ভাগুয়া বাহিনীর এমন ধারনাটাই স্বাভাবিক যে রামরাজ্য প্রতিষ্ঠা করার আর কোন বাঁধা নেই। সুতরাং সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতির এই রামধুন হঠাৎ মুখ ফসকে বেরিয়ে আসা অমৃতবর্ষণ না ও হতে পারে। হতে পারে এটি একটি পরিকল্পিত ভাষণ। তাই আমারা শঙ্কিত। এ সংকট মোচনের দায়িত্ব কিন্তু দেশের প্রধান সেবক নরেন্দ্র দামোদর মোদির। তাকেই নিতে হবে উপযুক্ত ব্যবস্থা। আশ্বস্ত করতে হবে বাকি দেশভক্ত ভারতবাসীদের যারা রামজাদা না হলেও হারামজাদা নয়।

রামের নামে পিতৃ পরিচয় না হলেই বাকি ভারতবাসীরা হারামজাদা !!    গত সোমবার দিল্লীর এক নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি বাকি ভারতবাসীদের এরকম কদর্য ভাষাতেই আক্রমণ করেছিলেন। ঘটনা প্রসঙ্গে এদিনই দিল্লীর একটি গির্জাতে একদল দুষ্কৃতী আগুন ধরিয়ে দেয়। পরদিন থেকে পার্লামেন্টের উভয় কক্ষেই প্রচণ্ড নিন্দার মুখে পড়ে শাসক দল। লোকসভা এবং রাজ্যসভা অচল করে দেন বিরোধী সাংসদেরা। দাবী ওঠে সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতিকে পদত্যাগ করতে হবে। দাবী ওঠে তার বিরুদ্ধে পুলিশকে এফআইআর করতে হবে এবং তাকে গ্রেপ্তার করতে হবে। এমন জটিল পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কড়া প্রতিক্রিয়াতে সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি দোষ স্বীকার করে ক্ষমা চাইলেও বিরোধীরা তার গ্রেপ্তারের জন্য এককাট্টা মনোভাব দেখাচ্ছেন। এটা নিঃসন্দেহে সংসদীয় গণতন্ত্রের একটি শুভ দিক। কিন্তু এই ঘটনা থেকে আর একটি বীভৎস  দিক এমন ভাবে উন্মোচিত হয়ে পড়েছে যা গণতন্ত্রের পক্ষে ভয়ঙ্কর পরিণতি ডেকে আনতে পারে। নিঃসন্দেহে বলা যায় যে এই ভয়ঙ্কর বার্তা হঠাত মুখ ফসকে বেরিয়ে আসা কোন আলটপকা বুলি নয় বরং এটি ভাগুয়া সন্ত্রাসের একটি সর্বজন জ্ঞাত সুপরিকল্পিত বার্তা। মহাপ্রলয়ের অমৃত বাণী। মিশন ২০৩০ এর ব্লুপ্রিন্ট। রাম রাজ্য প্রতিষ্ঠা করার গোপন এজেন্ডা।   ২০০৬ সালে বাবরি মসজিদ ধ্বংস করার পর হিন্দু ধর্ম সংসদ দ্বারা অনুমোদিত এমনি এক গোপন দস্তাবেজ তৈরি করেছিলেন ভারতের সম্মিলিত ভাগুয়া বাহিনী। তথাকথিত হিন্দুত্বের পবিত্র দেবভূমি প্রয়াগে আয়োজিত এই ভাগুয়া সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছিল আরএসএস, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, বজরং দল এবং অখিল ভারতীয় ব্রাহ্মণ মহাসভা। এই সম্মেলনে সংগঠিত ভাবে সংকল্প করা হয়েছিল যে ভাগুয়া বাহিনীর আগামী দিনের প্রয়াস হবে সংরক্ষণ তুলে দেওয়া, ভারতীয় সংবিধান ধ্বংস করা, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, শিখ ও মুসলিম ধর্মের প্রভাব ধ্বংস করে দেওয়া এবং দলিত আন্দোলনগুলির মধ্যে ভেজাল মিশিয়ে তাকে বিভাজিত করে ফেলা। এই কাজগুলিকে সুচারু ভাবে কার্যকরী করার জন্য অস্ত্র-সস্ত্র, ধর্ম, কর্ম, অধর্ম, কূটনীতি এবং রণনীতি গ্রহণ করা এবং রাজনৈতিক ভাবে বিজেপিকে সমর্থন করা। এই ঘোষণায় এটাও দাবী করা হয় যে নিরঙ্কুশ ভাবে বিজেপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসীন হলে রামরাজ্য প্রতিষ্ঠা করতে আর কোন বাঁধা থাকবে না। এই গোপন দস্তাবেজের ২০টি ধারায় সংসদে ভাগুয়া ধ্বজ উত্তোলন করা ভারতীয়  সংবিধানকে ধ্বংস করে মনুর শাসন কায়েম করা এবং রামরাজ্য প্রতিষ্ঠা করার রণকৌশলগুলি বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। বিজেপি এখন নিরঙ্কুশ ভাবে রাষ্ট্র ক্ষমতায় সমাসীন। ভাগুয়া বাহিনীর এমন ধারনাটাই স্বাভাবিক যে রামরাজ্য প্রতিষ্ঠা করার আর কোন বাঁধা নেই। সুতরাং সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতির এই রামধুন হঠাৎ মুখ ফসকে বেরিয়ে আসা অমৃতবর্ষণ না ও হতে পারে। হতে পারে এটি একটি পরিকল্পিত ভাষণ। তাই আমারা শঙ্কিত। এ সংকট মোচনের দায়িত্ব কিন্তু দেশের প্রধান সেবক নরেন্দ্র দামোদর মোদির। তাকেই নিতে হবে উপযুক্ত ব্যবস্থা। আশ্বস্ত করতে হবে বাকি দেশভক্ত ভারতবাসীদের যারা রামজাদা না হলেও হারামজাদা নয়।
Like ·  · Share

Viewing all articles
Browse latest Browse all 6050

Trending Articles