Quantcast
Channel: My story Troubled Galaxy Destroyed dreams
Viewing all articles
Browse latest Browse all 6050

Bangladeshi MP alleged to be inflicted with scams! এমপি মোসলেমের কত কাহিনী

$
0
0
Bangladeshi MP alleged to be inflicted with scams!
এমপি মোসলেমের কত কাহিনী

* ফুলবাড়িয়া এখন জুয়াড়িদের উপজেলা * এলাকা চালান এমপির স্ত্রী-পুত্র


অ্যাডভোকেট মোসলেম উদ্দিন। তিনি ময়মনসিংহ-৬ আসনের (ফুলবাড়িয়া) ক্ষমতাসীন দলের নির্বাচিত এমপি। পাঁচবারের এই এমপিকে এখন আর এলাকার উন্নয়নে সব সময় পাওয়া যায় না। তার সব কাজ করেন তার স্ত্রী আর পুত্র। ফুলবাড়িয়ায় সব হয় তাদের কথাতেই। প্রশাসন থেকে দল- সবকিছুই চলছে তাদের ইশারায়। এলাকার মানুষ মনে করে, ফুলবাড়িয়ায় চলছে এখন তিন এমপির শাসন। উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগ বাণিজ্য থেকে শুরু করে সম্পত্তি ও জমি দখল, বিভিন্ন দফতরে চাকরি বাণিজ্য- সব ক্ষেত্রেই এমপির স্ত্রী-পুত্রের অবৈধ খবরদারিতে অতিষ্ঠ মানুষ। তাদের শেল্টারেই দলীয় লোকজন গোটা উপজেলাকে জুয়াড়িদের অভয়ারণ্যে পরিণত করেছেন। আর ফুলবাড়িয়া কুখ্যাতি পেয়ে হয়েছে জুয়ার উপজেলা। মাদক ইয়াবা ব্যবসাও এখন জমজমাট। এর পেছনেও স্থানীয়রা অ্যাডভোকেট মোসলেম উদ্দিনের রহস্যময় নীরবতাকেই দায়ী করেন। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পুরো সময় আর দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত নিজের পরিবারের কাছেই জিম্মি হয়ে পড়েছেন বয়সের ভারে ন্যুব্জ এ এমপি।
কয়েক দিন ধরে ফুলবাড়িয়ায় আলাপ হয় খেটে খাওয়া রিকশাচালক থেকে শুরু করে স্থানীয় রাজনীতিক, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে। প্রত্যেকেই ফুলবাড়িয়া আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে এমপি মোসলেম উদ্দিনের অবদানের কথা স্বীকার করেন। কিন্তু তারা বলেছেন, জীবনের শেষভাগে এসে কলঙ্কের কালিমা লেগেছে এমপি মোসলেমের গায়ে। তাদের মতে, মোসলেম উদ্দিন এখন আর কিছু নন। সর্বত্র কাজ চলে তার পুত্র সেলিম অথবা স্ত্রী হাসিনা উদ্দিনের কথায়। ঝক্কি-ঝামেলায় পড়ার আশঙ্কায় এ নিয়ে মুখ খোলেন না এলাকার লোকজন। 
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দাপট : এমপি মোসলেম উদ্দিন নিজেই উপজেলার চারটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি। ফুলবাড়িয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের গভর্নিং বডি এবং মোসলেম উদ্দিন আছিম ডিগ্রি কলেজ, ফুলবাড়িয়া পাইলট উচ্চবিদ্যালয় ও ফুলবাড়িয়া বালিকা উচ্চবিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। এসব স্কুল-কলেজে এমপির বিরুদ্ধে রয়েছে ব্যাপক নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ। ফুলবাড়িয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে গত সাড়ে ৬ বছরে ৭২ থেকে ৭৩ জন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়। স্থানীয় সূত্রগুলো জানিয়েছে, ৭ থেকে ১২ লাখ টাকায় এসব শিক্ষককে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। মেধা থাকা সত্ত্বেও যোগ্যদের অনেকে টাকা দিতে না পারায় শিক্ষক পদে নিয়োগ পাননি। নিয়োগ বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ করতে কলেজটির গভর্নিং বডিতে সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে এমপিপুত্র সেলিমকে।সূত্র জানায়, এ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ১০ থেকে ১২ জন। এ থেকে এমপি ও তার আত্মীয়রা জনপ্রতি হাতিয়ে নিয়েছেন ৫ থেকে ৭ লাখ টাকা। এমপিপুত্র অ্যাডভোকেট সেলিমের ভায়রা নাছির উদ্দিন এ কলেজের প্রিন্সিপাল। এমপি নিজের ক্ষমতাবলে কন্যা ফারজানা শারমিন বিউটি ও পুত্রবধূ বিলকিস খানম পাপড়িকে নিয়োগ দিয়েছেন এ কলেজে। এমপির এ আত্মীয়রাই এ কলেজের সর্বেসর্বা। তাদের দুর্নীতি আর অযাচিত হস্তক্ষেপে অতিষ্ঠ কলেজের সাধারণ শিক্ষকরা। এমপিপুত্র অ্যাডভোকেট ইমদাদুল হক সেলিম নিজেও বদরউদ্দিন ইউনিয়ন উচ্চবিদ্যালয়, বেগম ফজিলাতুন্নেছা মহিলা মহাবিদ্যালয়, ফুলবাড়িয়া কে আই ফাজিল সিনিয়র মাদ্রাসা ও সন্তোষপুর কান্দুরবাজার দাখিল মাদ্রাসার গভর্নিং ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও নিয়োগ বাণিজ্যের বিস্তর অভিযোগ এখন সাধারণ মানুষের মুখে মুখে। সূত্রমতে, ফুলবাড়িয়া কে আই ফাজিল সিনিয়র মাদ্রাসায় জাল নিবন্ধন দিয়ে সেলিম চাকরি দিয়েছেন পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফার স্ত্রী সুলতানা পারভিনকে। তিনি এ মাদ্রাসার কৃষি শিক্ষক। এ নিয়ে স্থানীয় এলাকাবাসী শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, ডিজিসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন অফিসে লিখিত অভিযোগ করেও কোনো ফল পায়নি। এ নিয়ে স্থানীয় জনসাধারণের মাঝে প্রচণ্ড ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সূত্র জানায়, বেগম ফজিলাতুন্নেছা মহিলা মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে সাইদুল হক হীরা নামের এক ব্যক্তিকে। স্থানীয়দের কাছে তিনি জামায়াত নেতা হিসেবে পরিচিত। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নের সময় তিনি ছিলেন সক্রিয় শিবির নেতা। মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষ দলের রাজনীতি করে সেলিম কীভাবে একজন জামায়াত নেতাকে তার কলেজের অধ্যক্ষ করলেন, এ নিয়েও এলাকাবাসীর মনে সৃষ্টি হয়েছে নানা প্রশ্ন। 
জামায়াতপ্রীতি : মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর আর ভালো নেই স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াত-শিবির। কিন্তু ফুলবাড়িয়ায় ঘটেছে উল্টো ঘটনা। এখানে জামায়াত-শিবির নেতা-কর্মীরা বেশ ভালোই আছেন, জানান স্থানীয় অনেক নেতা-কর্মী ও লোকজন। এমপি মোসলেম উদ্দিনের সঙ্গে গভীর সখ্য রয়েছে উপজেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক জসিম উদ্দিনের। সূত্রমতে, বাবার বদৌলতে নেতা বনে গেছেন এমপিপুত্র অ্যাডভোকেট ইমদাদুল হক সেলিম। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক। জামায়াত নেতা শাহজাহানের ছোট ভাই আলম ব্যবসায়িক পার্টনার সেলিমের। ঢাকা-ফুলবাড়িয়া রুটে চলাচলকারী আলম এশিয়া প্রাইভেট লিমিটেড চালাচ্ছেন সেলিম আর আলম। দুজনে করেছেন পেট্রল পাম্প। রয়েছে সারের ডিলারশিপ। এমপি ও এমপিপুত্রের জামায়াতপ্রীতির বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম খায়রুল বলেন, 'এমপির সঙ্গে জামায়াতের সম্পর্ক নতুন কিছু নয়। এটি সবারই জানা।' 
নৈশপ্রহরী নিয়োগে বাণিজ্য : ২০১৩ সাল থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত উপজেলার ১০৪টি স্কুলে ৯৯ জন দফতরি কাম নৈশপ্রহরী নিয়োগ দেওয়া হয় হয়। এসব নিয়োগে এমপি ও তার পুত্র জনপ্রতি নিয়েছেন ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা। এমন অভিযোগ ফুলবাড়িয়ার মানুষের মুখে মুখে উচ্চারিত হচ্ছে। এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোবাখখারুল ইসলাম মিজান কৌশলে বলেন, নিয়োগ বাণিজ্য ঢালাওভাবে হয়নি। বাইরে অনেক কিছু হতে পারে। কিন্তু অফিশিয়ালি কিছু হয়নি। 
খাস জমি ও মন্দিরের জায়গা দখল : উপজেলার পশ্চিম বাজারে রয়েছে শতবর্ষ পুরনো কেন্দ্রীয় কালী মন্দির। প্রথমে ৭৪ শতাংশ জায়গায় এ মন্দির থাকলেও দিন দিন কমে আসছে জায়গার পরিমাণ। এখন মন্দিরটি মাত্র ১১ শতাংশ জায়গার ওপর দাঁড়িয়ে। বছরে চারটি বড় পূজার পাশাপাশি নিয়মিত অন্যান্য পূজাও হয় এ মন্দিরে। হিন্দুধর্মাবলম্বী হাজার হাজার লোক এসব পূজায় শরিক হন। কিন্তু মন্দিরের জায়গা দখল হয়ে যাওয়ায় কমে যাচ্ছে লোকজনের উপস্থিতি। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, বছর দুয়েক আগে মন্দিরের ৩ শতাংশ জায়গা দখল করে নিয়েছেন এমপি মোসলেম উদ্দিনের স্ত্রী হাসিনা উদ্দিন। পরে ওই জায়গায় নির্মাণ করা হয় বড় গোডাউন। বাদবাকি জায়গা খাস সম্পত্তি দাবি করে নিয়ে গেছে ফুলবাড়িয়া পৌরসভা। এ পৌরসভার মেয়র গোলাম কিবরিয়ার বিরুদ্ধেও রয়েছে নানা অভিযোগ। মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভের পেছন থেকে উপজেলা সমাজসেবা অফিস সরিয়ে দিয়েছেন এমপিপুত্র সেলিম। সেখানে চলছে ৪ শতাংশ জায়গার ওপর বাউন্ডারি নির্মাণকাজ। মন্দির কমিটির সভাপতি বাবলু সাহা বলেন, মন্দিরের জায়গা দিন দিন সংকুচিত হওয়ায় ধর্মকর্মে ব্যাঘাত ঘটছে। মন্দিরে লোকজনের উপস্থিতিও কমে এসেছে। লালচিনি খ্যাত এ উপজেলার সন্তোষপুরে ১৯৯৬-এ আওয়ামী লীগ শাসনামলে পুলিশের সহযোগিতায় ১০০ একর জমি দখলে নেন এমপিপুত্র সেলিম। খাস জমি দখল নিতে গিয়ে পুলিশ গুলি চালালে এক ব্যক্তি নিহত হন। সে ঘটনা নিয়ে তৎকালীন ওসি জহিরুল হককে আসামি করে মোট ১৫-১৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলা হয়। পরে এমপির মধ্যস্থতায় বাদীকে চাপ দিয়ে আপস-মীমাংসা করা হয়। 
ক্ষমতাধর এমপির স্ত্রী : এমপির স্ত্রী হাসিনা উদ্দিন এমপির মতোই ক্ষমতা প্রয়োগ করেন। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, চাকরি বা অন্য কোনো কিছুর সুপারিশের জন্য প্রথমেই ধরনা দিতে হয় এমপির স্ত্রীর কাছে। স্ত্রী টাকার বিনিময়ে লিখিত কিংবা মৌখিক সুপারিশ নিয়ে দেন। এ ছাড়া নির্বাচনী এলাকার ১৩টি ইউনিয়ন পরিষদের জন্য আসা বিভিন্ন প্রকল্প থেকে অর্থ আদায় করেন এমপির স্ত্রী।জুয়ার উপজেলা : মাকড়সার জালের মতো জুয়ার বিস্তার ঘটেছে একসময়কার শান্ত জনপদ ফুলবাড়িয়ায়। বছরের পর বছর উপজেলার কমপক্ষে ১০টি স্পটে বসে বড় আকারের জুয়ার আসর। এমপির শ্বশুরবাড়ি এলাকা লাহেড়িপাড়া থেকে শুরু করে কুশমাইল উজানের পুলপাড়, দেওখোলা কালি বাজার, আছির বাজার, জয়পুর-মহেশপুর, শিবগঞ্জ, রাধাকানাই ইউনিয়নের পলাশতলী বাজার, রঘুনাথপুর, ধুরধুরিয়া ও রাধাকানাই বাজার হয়ে উঠেছে জুয়াড়িদের নিরাপদ অভয়ারণ্য। শাসক দলের এমপি অ্যাডভোকেট মোসলেম উদ্দিনের মেয়েজামাই শিমুল তরফদার কমপক্ষে চারটি স্পটের জুয়া নিয়ন্ত্রণ করেন। বাদবাকি স্পটগুলো কব্জায় নিয়েছেন ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী নেতারা। এসব স্পটে লাখ লাখ টাকার ভাগ যায় এমপি মোসলেম, তার পরিবার ও স্থানীয় পুলিশের পকেটে। এ কারণে উঠতি বয়সী তরুণ ও যুব সমাজ দিন দিন বিপথগামী হয়ে উঠছে। ঘরে ঘরে ছড়িয়ে পড়েছে অশান্তি। অনুসন্ধানে জানা গেছে, বিকাল গড়াতেই এসব জুয়ার স্পটে এসে জড় হয় জুয়াড়ির দল। ময়মনসিংহের ত্রিশাল, ভালুকা, সদর, মুক্তাগাছা এবং পাশের জেলা টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলা থেকেও আসে জুয়াড়িরা। রাতভর জমজমাট এসব জুয়ার আসরে কখনই পুলিশ হানা দেয় না বলেও অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, স্থানীয় এমপি অ্যাডভোকেট মোসলেমের শ্বশুরবাড়ির এলাকা লাহেড়িপাড়া খালপাড়ে জুয়ার স্পটের নিয়ন্ত্রক স্থানীয় পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা।কুশমাইল উজানের পুলপাড় এলাকায় দিনের পর দিন জুয়া চালিয়ে যাচ্ছেন পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি সফর আলী বুলু। জুয়ার আসর নিয়ে জানতে চাইলে সফর আলী বুলু জানান, আগে জুয়া চলত। কিন্তু জুয়ার আসর পরিচালনাকারীদের সঙ্গে তার নাম উঠলে তিনি তা বন্ধ করে দেন। তিনি এও বলেন, লাহেড়িপাড়ার খালপাড় এলাকায় জুয়ার আসর এখনো চলছে। এর সঙ্গে পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা জড়িত রয়েছেন বলে শুনেছি। কিন্তু দেখিনি। দেওখলার কালিবাজার এলাকায় নিয়ন্ত্রণ করেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও এমপির সাবেক পিএস তাজুল ইসলাম বাবলু। বিভিন্ন কারণে আলোচিত-সমালোচিত এ ইউপি চেয়ারম্যান জুয়া চালিয়ে কামিয়ে নিচ্ছেন কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা। আছিম বাজার এলাকায় জুয়া নিয়ন্ত্রণ করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক গোলাম ফারুক। জুয়া ব্যবসায় কোটিপতি ফারুক নিজের আছিম বাজার এলাকায় গড়ে তোলেন তিন তলা বাড়ি। যোগাযোগ করা হলে গোলাম ফারুক জুয়ার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে বলেন, আছিম বাজার এলাকায় এখন আর জুয়ার আসর চলে না। আগে ছিল। আমি এর বিরুদ্ধে সব সময় প্রতিবাদ করে আসছি। আমার জড়িত থাকার প্রশ্নই ওঠে না। সূত্র জানায়, স্থানীয় জয়পুর-মহেশপুর এলাকায় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ওমরের নেতৃত্বে বসে রাতভর জুয়ার আসর। ওমর জানান, জুয়ার আসর আগে বসত। স্থানীয় ছেলেপুলেরা চালাত। পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে জুয়ার আসর ভেঙে দেওয়া হয়েছে। নিজের জড়িত থাকার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন। শিবগঞ্জের জুয়ার নিয়ন্ত্রণ করেন সাবেক চেয়ারম্যান ময়েজ উদ্দিন তালুকদার আর রাধাকানাই ইউনিয়নের পলাশতলী বাজার, রঘুনাথপুর, ধুরধুরিয়া ও রাধাকানাই বাজার নিয়ন্ত্রণ করেন এমপির মেয়েজামাই শিমুল তরফদার। এ বিষয়ে ময়েজ উদ্দিন তালুকদার বলেন, জুয়ার আসরের সঙ্গে আমার জড়িত থাকার প্রশ্নই ওঠে না। এ ছাড়া শিবগঞ্জে এখন আর কোনো জুয়ার আসর নেই। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা এমন অপপ্রচার চালাতে পারে বলে মনে করেন শিবগঞ্জের সাবেক এই চেয়ারম্যান। ফুলবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিফাত খান রাজিব দাবি করেন ঠিক উল্টো। তিনি বলেন, এখন আর কোথাও জুয়ার আসর নেই। 
ইয়াবার স্বর্গরাজ্য : কদিন আগে ৪০০ পিস ইয়াবাসহ এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করে পুলিশ। ফুলবাড়িয়ায় এত বিপুলসংখ্যক ইয়াবা উদ্ধারের ঘটনা এবারই প্রথম। এ ঘটনার পরই ফুলবাড়িয়ায় ইয়াবা স্বর্গরাজ্যের বিষয়টি আলোচনায় আসে। ইয়াবাসেবীদের মধ্যে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের সংখ্যাও দিন দিন বাড়ছে। কিন্তু ইয়াবা ব্যবসার মূল হোতারা থেকে যাচ্ছেন আড়ালে। রহস্যজনক কারণে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করছে না বলেও অভিযোগ রয়েছে। সূত্র জানায়, প্রায় ছয় বছর আগে টাঙ্গাইলের মধুপুর পয়েন্ট দিয়ে ফুলবাড়িয়ায় প্রথম ইয়াবা প্রবেশ করে। এখন এ ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন স্থানীয় পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফার ভাতিজা আমজাদ, তার সহযোগী বাদল, আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বল। তাদের নেতৃত্বেই গড়ে উঠেছে শক্তিশালী ইয়াবা নেটওয়ার্ক। আর স্থানীয়দের মাঝে এটি ইয়াবার ডিপো হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।


--
Pl see my blogs;


Feel free -- and I request you -- to forward this newsletter to your lists and friends!

Viewing all articles
Browse latest Browse all 6050

Trending Articles