ভারতীয় চাকরির বাজারে সবচেয়ে বেশি বঞ্চনার শিকার মুসলিমরাই।
Indian Muslims are most deprived of Job in India ,Bangladesh Media exposes Secular Democratic India!ভারতে জনসংখ্যার ১৪% মুসলিম, চাকরি ক্ষেত্রে মাত্র ৩%
ভারতের জনসংখ্যার মোট ১৪.২ শতাংশ মুসলিম, অথচ চাকরিক্ষেত্রে উচ্চপদে অধিষ্ঠিত এঁদের মধ্যে মাত্র ৩.১৪ শতাংশ। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশাসনের বৈমাত্রেয়সুলভ আচরণ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।প্রবল বঞ্চনার শিকার ভারতের মুসলিম সম্প্রদায়। গত সোমবার প্রশাসনকে এই বিষয়ে কটাক্ষ করেন উপরাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারি। তার দাবি, বঞ্চিত সংখ্যালঘুদের প্রতি প্রশাসন এবং অন্যান্য সামাজিক সংস্থাকে ইতিবাচক পদক্ষেপ করতে হবে।
সাম্প্রতিক এক অর্থনৈতিক সংস্থার সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, দেশের বিভিন্ন বিএসই ৫০০ সংস্থায় কমর্রত শীর্ষ আধিকারিকদের মধ্যে মোট ২.৬৭ শতাংশ মুসলিম। অর্থাৎ ২৩২৪ জনের মধ্যে মাত্র ৬২ জন। সামগ্রিক ভাবে তারা এই সমস্ত সংস্থায় প্রাপ্ত বেতনের মোট ৩.১৪ শতাংশ আয় করেন। অন্য দিকে, বিএসই ১০০ সংস্থাগুলিতে এই হার সামান্য বেশি। এই সমস্ত সংস্থায় কমর্রত মুসলিম শীর্ষ আধিকারিকদের হার ৪.৬০ শতাংশ। সামগ্রিক ভাবে তারা সংস্থায় প্রাপ্ত মোট বেতনের ২.৫৬ শতাংশ রোজগার করেন।
এক কথায়, ভারতীয় চাকরির বাজারে সবচেয়ে বেশি বঞ্চনার শিকার মুসলিমরাই। কর্পোরেট সংস্থায় তাদের উপস্থিতির হার নগণ্য। বেসরকারি ক্ষেত্রে গত শতকে সংখ্যালঘুদের জন্য নির্ধারিত প্রকল্পগুলি সবই প্রায় দলিত শ্রেণির কথা মাথায় রেখে তৈরি হয়েছে। চাকরিক্ষেত্রে মুসলিম বঞ্চনার সমস্যা সম্পর্কে সচেতন পুণের ফোর্বস মার্শাল গ্রুপের কর্তা তথা সিআইআই ন্যাশনাল কমিটি অন অ্যাফার্মেটিভ অ্যাকশন-এর চেয়ারম্যান ফারহাদ ফোর্বস। তার মতে, বেসরকারি সংস্থাগুলি শুধুমাত্র তপশিলি জাতি ও উপজাতিদের ক্ষেত্রেই ইতিবাচক পদক্ষেপ করেছে। এমনকি দলিত বণিকসভার পরামর্শদাতা তথা সক্রিয় দলিত কর্মী চন্দ্রভান প্রসাদও জানিয়েছেন, ওদের (মুসলিমদের) ধারাবাহিক ভাবে ব্রাত্য করে রাখা সুস্থ সমাজের পক্ষে হানিকর। এই ব্যাপারে ব্যতিক্রম অবশ্যই টাটা গ্রুপ এবং ফোর্বস মার্শাল গ্রুপ। পরিসংখ্যান বলছে, সদর্থক পদক্ষেপের বিষয়ে মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতি এই দুই সংস্থা যথেষ্ট সহানুভূতিশীল। তবে তাদের উদ্যোগও সাম্প্রতিক।
দিল্লির ইনস্টিটিউট অফ হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট-এর অধ্যাপক অমিতাভ কুণ্ডুর মতে, চাকরির বাজারে মুসলিমরাই সবচেয়ে বঞ্চিত। শহরাঞ্চলে তাদের অবস্থা তপশিলি জাতি ও উপজাতীয়দের থেকেও খারাপ। প্রসঙ্গত, তার নেতৃত্বেই ২০১৪ সালে কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু মন্ত্রক গঠিত উত্তর-সাচার মূল্যায়ণ কমিটি মুসলিমদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিচার করে রিপোর্ট জমা দেয়। অমিতাভবাবুর মতে, মুসলিম সম্প্রদায়ের এই বঞ্চনার মূলে রয়েছে প্রশাসনের সংরক্ষণ নীতি। তার দাবি, অবিলম্বে ভারতীয় মুসলিমদের স্বার্থে শিক্ষা ও চাকরি ক্ষেত্রে সমতা আনা প্রয়োজন। কুণ্ডু কমিটির প্রস্তাবে প্রশাসন আদৌ কর্ণপাত করে কি না, সেদিকেই নজর রয়েছে ব্রাত্যজনের।
__._,_.___
Pl see my blogs;
Feel free -- and I request you -- to forward this newsletter to your lists and friends!