ফান্দ দ্যাখছে,ফান্দে পড়ছেও,ফান্দে পইড়্যা মরছেও-
কোন হালায় শুধাইছে মরচে কি মরে নাই,কোন হালায় কহিছে- বগা কাঁদতাছে?
সেই নক্সীকাঁথা কবরে পইড়্যা,সেই সোজন বাদিয়ার ঘাট এপার ওপার!
ভালোবাসা মরিয়াছে জলে ডুবেও যাহা মরে নাই,বাজারে কন্ডোম, তেল
হরেক রকম,রকেটও,খাট ভাঙ্গছে তিন দিনে তিন বার এতই দুষ্টু!
পলাশ বিশ্বাস
ফান্দ দ্যাখছে,ফান্দে পড়ছেও,ফান্দে পইড়্যা মরছেও- কোন হালায় শুধাইছে মরচে কি মরে নাই,কোন হালায় কহিছে- বগা কাঁদতাছে?
বগা হালায় কি জানেছো কি ফান্দ কি বটেক,ঠ্যালায় পরাণডা যায়,ঠ্যালা হালার পো হালায় বোঝে নাই-ফান্দের কলাডা কি বুঝবেক বটে বগায়?
পরাণডা হালায় হাড় হারামজাদা বটেক,গামচা দিয়া কাঁহাতক বান্দিযা
রাখি,আইতে যাইতে খাইতে ফতুর,পরাণডা কোনঠানে রাখিনু,কি জানি!
চোখে চোখে রাখিনু যাহারে জনম ইস্তক,যাহার জাতি ধর্ম বুঝিনু নাই,
হিরদ মাঝারে রাখিনু যাহারে,তাহারে পাইলামও,পাইলামওনা!
কবে কোনঠানে কুচু কুচি কাইট্যা তাহার বডিখানি পাচার করিনু,
ভাসাইছি কোতথায় কোন গাঙ্গে,কি বানে ভাসি গেইছে,কে জানে!
সেই রসগোল্লার কেচ্ছা ইন্দ্রাণিও না বটেক,না তাহার সিঁড়িটাও
ভাঙ্গা হইছে কোনো ঠানে,না সেই ভূমিকম্প কাহিনী লেখা হইল,না মরান বান্দিছে কেহ,না হাঁকিছে কেহ মাচান থেইক্যা,হে বেটি জানেই না বটেক
কি ভালোডা বাইস্যা তাহারে ভাসাইলাম কোন ঠানে,মারিলাম কোথা!
কেয়ামত ঠাড়াইছে মোড়েকে মোড়,তুফানে তুফানে মাঝগাঙ্গে নাও!
মাঝি গানও ভুলাইছে,পীরের দরগা বেমওকা বেবাক ফাঁকা!
বাউল টিভিতে,ফকির পীর বেপাত্তা,সন্যাসী সাধুরা দলে দলে গেরুআ!
আমরা হিন্দু রাষ্ট্রে হিন্দু হইয়া জনিমাই হিন্দু হইচি,আহা আনন্দ!
জীবনডা কাটাইলাম কি কাইট্যা গেলো,বুজিচি কই,কই জলে!
ইফতার বেবাক হইচে,ঈদ আসিছে বছরকে বছর,ঈদ কই?
ফান্দ দ্যাখছে,ফান্দে পড়ছেও,ফান্দে পইড়্যা মরছেও- কোন হালায় শুধাইছে মরচে কি মরে নাই,কোন হালায় কহিছে- বগা কাঁদতাছে?
কে কোন্ ঠাকুর কোথাকার শান্তিনিকেতনে ন্যাকা বানাইছে কি পাগলা হাওয়া বনে বনে মনে মনে,গানও গাহিছে,বুঝিছে না গানে কি আছে বটে!
হিরদ মাঝারে রাখিয়াও হারাইচি তারে,যার সনে চোকে চোকে চকাচকি!
মাখামাখি যাহা হইচে,তাহাতে পিরীত কাঁঠাল আঠা হইল মানিলাম-
সোনার গৌর কোতায় পাইব,অসুর ম্লেচ্ছ অছুত বাঙ্গাল উদ্বাস্তু বটি!
পোন্দে পন্দে ছাপ্পা মারিও দিল,বেবাক কার্ডে জান জন্জাল,খাক জাহান!
ভোটে ছাপ্পা মারিকে আপন রবও বানাইলাম বেবাক,ছ্যাকাও খাইলাম!
সোনার গৌর হারাইলো কোনঠানে,কোথায় পাই তারে,খুঁজিনু হালায়-
পাইয়াও খাইলাম না রসগোল্লা ,ছাতার মাতা কি শুগারে খাইচে দ্যাশ!
ঔ বেটি হিমালয় থেইক্যা আসে হরেক বছর,আসিলেো আহা আন্নদ!
বারে বারে মারিছে মহিষাসুর,বিঁধিচে বল্লম হিরদ মাঝারে,কি রক্ত!
সিংহ ব্যাটা সনে সনে, ঔ বেটি নারী বটে,হিমালয়ের বিটিও বটে!
মহিষাসুর মারিছে কেন হরেক বছর,কোন মন্ত্র বলে অসুরডাও বগা!
ফান্দ দ্যাখছে,ফান্দে পড়ছেও,ফান্দে পইড়্যা মরছেও- কোন হালায় শুধাইছে মরচে কি মরে নাই,কোন হালায় কহিছে- বগা কাঁদতাছে?
পুজোর ঠ্যালা বড় ঠ্যালা,অসুরডার পুজোর নেশা হইছে হালায়!
বেবাক হুল্লোড়,অসুরডাও পাকা অভিনেতা,রোলে মানানসই!
বধিছে বারম্বার প্রতিবার,তবুও বুঝিল না কাহারে বধিছে কেবা!
কাহার রক্তপানি হইচে,বরষায় ঝরিল কাহার চোখের পানি বেবাক!
কহিলাম না কোনো দিন যাহারে চোখে চোখে রাখিলাম,ভালোবাসি!
এত্তো জন্জাল কাঁহাতক ঝাড়ু মারিব,কি ঘেন্না,ক্যামন অস্পৃশ্যতা-
জীবনডাই অছুত কাইট্যা গেইলো,সে জানিলও না কি ভালোবাসি!
নদীর দ্যাশ,বাদা বনের দ্যাশ,সেই খ্যাতের আলধার আজি আঁধার!
আধার নিরাধার সীমান্ত রহিছে মাঝখানে,আছে কাঁডাতার,ওপারে বঙ্গ
এপারে রঙ্গ রং বাহার,বসন্ত বাহার,রং বেরং তামাশা যতেক,কি আনন্দ!
একচালাতেই অসুর ব্যাটা মরিয়াও আশ মেটে নাই এখনো,বারে বারে মরে,ফের জ্যান্ত সাপের মতই প্যান্ডালে প্যান্ডালে ধূপ ধুনিতে মন্তরজাপে,রোগে ভোগে মরিতেই আছে,নরবলি বন্ধ যদিও বটে
তবুও বলি হড়তালে, বন্ধ ডাকিলেই বলি,ভোটে বলি,বলি রাজনীতিতে!
বলি হাটে ঘাটে মাঠে বাটে,বলি এপারে ওপারে,এত্তো ভালোবাসা বৃথা!
কাটিয়াও সাধ মেটেনা মারিবার,মারিয়াও সাধ মেটে না,ভালোবাসা কুচি কুচি,মাতৃত্ব পিতৃত্ব বন্ধুত্ব মানবতা ,সবেতে ই ওম নমো স্বাহা,কি আনন্দ,আহা কি আনন্দ,লাশ পাচার লাখো চোখের সামনে,কি আনন্দ!
ফান্দ দ্যাখছে,ফান্দে পড়ছেও,ফান্দে পইড়্যা মরছেও- কোন হালায় শুধাইছে মরচে কি মরে নাই,কোন হালায় কহিছে- বগা কাঁদতাছে?
মুক্ত বাজার হইছে একন এপারে ,সীমান্তের ওপার সেই আলখ্যাতেও,মুক্ত বাজার হইচে একখান এপারে যেমন তেমন,ওপারেও সমান সমান!
এপারে মাংস,ওপারে গোশ্ত,কে বধিছে কাহারে কোনখানে,কেহ না জানে!
পাচার হইছে মাগ মাগী,ব্যাটা বেটি কাঁটাতারে হরেক নেশা,তস্করি পেশা,ছোট ছোট শিল্প বোমা বাঁধিবার,কে মরিবে,কে মরিছে,কে জানে!
চোখের জল,চাখের পানি,নূন কতটা কোনখানে ,সেটাও না জানি!
কোন হালায় কয়,নরবলি নিষেধ বটে,নরবলি আজিও উত্সব- সেই জলসাঘর,নহবতখানা,কাছারি নাই,নায়েব নাই,জমিদার তবু মরে নাই!
সেই নক্সীকাঁথা কবরে পইড়্যা,সেই সোজন বাদিয়ার ঘাট এপার ওপার!
ভালোবাসা মরিয়াছে জলে ডুবেও যাহা মরে নাই,বাজারে কন্ডোম, তেল
হরেক রকম,রকেটও,খাট ভাঙ্গছে তিন দিনে তিন বার এতই দুষ্টু!
দ্যাশটা ভাঙ্গচে বহুকাল,পরাণডারে মারিছে বহুকাল,খাট ভাঙ্গচে এখন!
খবরে খবরে শিরোনাম শুধু একটাই কে মুতেছে কোথায়,কোথায় কে হাগিছে বটে,কে কাহার মুন্ডুপাত করিল,কে কাহার সনে শুতেছে!
জীবন জীবিকার কথা,হাটে বাটে মাঠে ঘাটে মরিছে যাহারা- হারাইছে যাহারা মাতৃভাষা- তাহাদের কথা লেখা হইতাছে না,কি আনন্দ!
কত গান,কত নদী,কত ক্ষেত,কত বন্ধু,কত পরাণ ক্যামনে হারাইলাম!
কাহারে কাহারে কুচু কুচি কাইট্যা কোন গাঙ্গে কে ভাসাইছে,কে জানে!
সব ব্যাটা বেটি রাজনীতি বোজে,কিছু বোজে না আর,সব্বাই কথিছে,
সব্বাই করিছে রাজনীতি,কাজ আর কিছু করিবার নেই,সবই বন্ধ!
বোম ফাটিছে রোজই,প্যাট থেক্যে খসিতেই ব্যাটা সাক্ষাত অভিমন্যু বাঙালির ব্যাটা বেটি,আজ রাজনীতি ছাড়া অন্ক বিজ্ঞান বোঝে না!
সব্বাই হানড্রেড পারসেন্ট গাধা ঘোড়াতে ফারাক নাই,এমন মেধা!
রাজনীতিতে অর্থনীতিও,কিছুটা অন্ক,কিছুটা বিজ্ঞান সেটাও লাগে- আনাড়ির মত রং পালটায় বেবাক,মস্তানিতে মারিছে আপনজন স্বজন!
বেতন ডবল হইতাছে,সব্জিও সেন্টচুরি হাঁকিছে ইচ্ছেমতন,টিভিতে রান্না
অথছ চুলোতে আগুন নিভু নিভু,ধানের শীষে পেস্টিসাইড,জিএম ফুডে,শীতল বিষে,সহিংস পরিবেশে মরণও হরেক রকম রান্না,রিয়েলিটি!
রুজি রোজগারের খোঁজে কত রাজধানী,কত দুরন্ত ছুটিছে দেশান্তর!
হাওয়াবদলে,তীর্থাটনে,পর্যটনে নহে,রোজগার সন্ধানে দেশান্তর- তবু রাজনীতি মাথা কাটিবার,বোম বাঁধিবার,বন্ধ ও বন্ধ ঠেকাইবার!
সবই প্রাইভেট,সবাই ব্যাটা বন্ধুয়া আজি,তেভাগা মরিয়াচে কবে!
কমরেড তবু মরে নাই,রাজধানিতে কমরেড বসে আছে জমে দই!
কোনো ব্যাটা বলে নাই দ্যাশে মুক্ত বাজারের কারোবার আজও
মনুস্মৃতি একইরকম,জমিদার গ্যাছে বনে,জমিদারিই রাজ্যতন্ত্র!
ব্যাটা অসুর যেমনি ছিলি,মর হালায় তেমনি হরেক রকম,দুগ্গা এবার আকাশ ছোঁওয়া,আরও না জানি খবরের শিরোনামে কতই না দুগ্গা!
দুগ্গা আমদানি,মরিবার শখও আজব বটে,মরিয়াও শ্যাষ নাই,মর মর!
ব্যাটা ম্লেচ্ছ যেমন ছিলি ,ত্যামনই থাকবি,আল্লার নামে ভোটটা দিবি!
তরপর সারা কায়নাত কেয়ামত বটে,মরিবি ত কি, আছে রাজনীতি!
মেহনতী মানুষের হকহকুক কোন ব্যাটা কোন বিটি চাহিবে আবার!
এ পক্ষ ও পক্ষ সব পক্ষই দ্যাখতাছি,উহারা মরে না কোথাও,কোনো হানে!সব পক্ষই ক্যামনে কারেই বা মারিবে কোনকানে,এই তালে!
মরতাছি আমরাই সীমান্ত ডিঙ্গিয়েই মরতাছি অসুর অছুত ম্লেচ্ছ আমরাই!মরতাছি আমরাই ওপারেও তেমনি অসুর অছুত ম্লেচ্ছ!
উন্নয়নের রাজনীতিতে মুক্তবাজারে নরবলি রোজ রোজ,কি আনন্দ!
ফান্দ দ্যাখছে,ফান্দে পড়ছেও,ফান্দে পইড়্যা মরছেও- কোন হালায় শুধাইছে মরচে কি মরে নাই,কোন হালায় কহিছে- বগা কাঁদতাছে?
যাহারা উদ্বাস্তু হইছে দ্যাশভাগে,নাগরিকত্ব জোটেনি যাদের কপালে
হরক মুলুকে মগের মুলুকে বসবাস যাদের,মরিচঝাঁপি যাহারা আজও!
মাতৃভাষা বন্চিত মাতৃদুগ্ধ বন্চিত সেই হাড় হাভাতেরা সারা ভারতে
হিন্দুত্বের খাতিরে ছন্নছাড়া যাহারা,হিন্দুত্বের অধিকারে বন্চিত অছুত!
সারা দ্যাশে তাহার মাতৃভাষার জিগির তুলিতেছে,আবার ভাষা আন্দোলন,আ মরি বাংলা ভাষা,মরিযাও সে মরে নাই!দন্ডকারণ্যে,
আন্দামানে,উত্তরাখন্ডে,কর্নাটকে,তামিলনাডু,অন্ধ্রেতেও বাংলা মরে নাই!
তাই চাই মাতৃভাষার অধিকার,চাই নাগরিকত্ব,চাই সংরক্ষণ,হা কপাল
ডঃ সুবোধ বিশ্বাস নিখিল ভারত উদ্বাস্ত নেতা ছত্তিশগড়ের ফটো দিছেঃ