In Bangladesh,Indian PORN Star faces fierce protest against her show!Indian scenario of rape inflicted society is the hottest topic.Indian Show Blitz is branded as PORN in Bangladesh.Who is responsible?Cries media.
Palash Biswas
ভারতীয় পর্ন নায়িকার শো, এ লজ্জা কার?
ডক্টর তুহিন মালিক :
ණ☛ লজ্জায় যেন কেউ মুখ খুলতেই নারাজ! আবার কে না কী ভেবে বসে, ভয়টা যেন সেখানেই। অথচ চোখের সামনেই ঘটতে যাচ্ছে সব কিছু। সংবাদে প্রকাশ সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি ঢাকায় লাখ টাকার টিকিট দিয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ভারতীয় পর্ননায়িকার শো। ইতোমধ্যেই দেশের মানুষ ফুঁসে উঠেছে এই বেলেল্লাপনার বিরুদ্ধে। ঘরে ঘরে মা-বোনেরা পর্যন্ত এ নিয়ে একে অন্যের কাছে তাদের ক্ষোভের কথা জানাচ্ছেন। আলেম-ওলামারা প্রতিবাদ করছেন। অনেকেই আবার ঠাট্টা মশকারা করে বলে বেড়াচ্ছেন যে, হেফাজত মাওলানা হুজুরেরা তাকে চেনেন কী করে? আসলে শয়তানকে চেনার জন্য তাকে চোখে দেখার প্রয়োজন হয় না। এই ধরনের অনুষ্ঠান করতে নিশ্চয়ই সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়, এমনকি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েরও অনুমতি নিতে হয়। তাহলে প্রশ্ন জাগে যে, সংশ্লিষ্টরা কি ভারতীয় বিজাতীয় অপসংস্কৃতির এই পর্ননায়িকা সম্পর্কে কিছুই খোঁজখবর রাখেন না? আর যদি তাদের না-ই জানা থাকে, তবে কেন এত দিন ধরে তারা দেশজুড়ে এত সমালোচনার পরও কিছুই জানার চেষ্টা করলেন না? আমাদের দেশীয় সংস্কৃতিতে এমন কী দৈন্য এলো যে, একজন পর্ননায়িকাকে দিয়ে ঢাকঢোল পিটিয়ে নাচগানের জলসার আয়োজন করতে হবে? আমরা যারা নিত্যদিন বিজাতীয় সংস্কৃতির কথা বলে চিঁড়ে ভিজিয়ে দিই আজ তারা মুখে দই জমিয়ে রেখেছে কেন?
দুই :
সাম্প্রতিক সময়ে ভারতীয় সিনেমা ও নবসংস্কৃতিতে ব্যাপকভাবে অশ্লীলতা, বেহায়াপনা ও প্রতিনিয়ত ধর্ষণের অহরহ বীভৎসতার বিরুদ্ধে গোটা ভারতীয় সমাজ ফুঁসে উঠেছে। প্রগতিশীলতার নামে পাশ্চাত্য থেকে আমদানি করা পর্নতারকারা এখন ভারতীয় চলচ্চিত্রের শতকোটি দর্শকের কাক্সিক্ষত নায়িকা। তাদের সমাজ হয়তো এটাকে স্বাভাবিকভাবেই মেনে নিয়েছে। কিন্তু সেই নগ্ন পর্ননায়িকাকে যখন সাংস্কৃতিক বিনিময়ের নামে আমাদের সমাজে আমন্ত্রণ জানানো হয় তখন প্রশ্ন জাগে, আমরা এ কোন ধরনের সংস্কৃতির বিনিময় করতে যাচ্ছি?
তিন :
আসলে কোনো জাতিকে যুদ্ধ ছাড়াই ধ্বংস করার অভিনব এক পন্থা হচ্ছে, সেই জাতির মধ্যে অশ্লীলতা ও ব্যভিচারের প্রচলন করে দেয়া। হিন্দি চলচ্চিত্রের মাধ্যমে এই প্রচলন তো এ দেশে বেশ আগেই চালু হয়ে গেছে। এবার এই পর্ননায়িকাকে আমরা নিজেরাই সরাসরি আমন্ত্রণ জানিয়ে লাখ টাকায় টিকিট দিয়ে তা উপভোগ করতে যাচ্ছি! আমাদের শিশুরা হিন্দি শিখে যাচ্ছে এই ভয়ে যারা হিন্দি কার্টুন বন্ধ করে দিলেন। অথচ দেশী ভাষা-কৃষ্টি-সংস্কৃতি আর মূল্যবোধের দোহাই দেয়া সেই লোকগুলো সমাজে আজ কোথায় হারিয়ে গেল?
চার :
প্রায়ই আমাদের ডিসি-র্যাব-পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেটরা অসামাজিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে আবাসিক হোটেল থেকে শুরু করে গ্রাম্য যাত্রাপালায় পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন। এটা অবশ্যই একটি প্রশংসনীয় কাজ। তা ছাড়া প্রশাসনের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে কোনো অনুষ্ঠান করা এ দেশে এখন আর সহজসাধ্য কোনো ব্যাপার নয়। অথচ বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত একজন এ দেশে আসছে, আর আমাদের প্রশাসন তার সম্পর্কে কিছুই জানে না, তা কী করে হয়? অবাকও লাগে! আবার দুঃখও লাগে! এতগুলো ইসলামি ব্যক্তিত্বের ওপর বাংলাদেশে প্রবেশে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছি আমরা। কিন্তু একজন পর্ননায়িকার বাংলাদেশে প্রবেশে কোনো নিষেধাজ্ঞা দিতে আমাদের সাহসেই কুলালো না!
পাঁচ :
আসলে এই পর্ননায়িকা কি আমাদের দেশে জোর করে আসছে? নাকি আমরা নিজেরাই তাকে দাওয়াত দিয়ে আনছি? অথচ আমরা কেন শুধু তাকেই প্রতিহত করার কথা বলছি। কিন্তু যারা কোটি কোটি টাকা দিয়ে এই পর্ননায়িকাকে দাওয়াত দিয়ে আনছি তাদেরকে কেন আমরা প্রতিহত করার ঘোষণা দিই না? যারা লাখ টাকার টিকিট কেটে একঝলক ব্যভিচারিতা দেখতে উদগ্রীব, আমরা তাদেরকে কেন জনসম্মুখে চিহ্নিত করছি না?
ছয় :
আসুন, আমরা পর্ননায়িকাকে প্রতিহতের ঘোষণার সাথে সামাজিক ও পারিবারিকভাবে প্রতিহত করি এর দর্শকদের, যারা লাখ টাকার টিকিট কিনে প্রকাশ্যে অশ্লীলতা দেখার জন্য ছটফট করছে। সাংবাদিক ভাইয়েরা চাইলে সেসব দর্শকের নাম-পরিচয় প্রকাশ করতে পারেন জনসম্মুখে। আমাদের অর্থ মন্ত্রণালয় ও এনবিআর সব সময়ই অভিযোগ করে যে, এ দেশে এত কোটিপতি আছেন অথচ আয়কর দেয় গুটিকয়েক লাখ মানুষ। তাই এনবিআরের জন্যও এবার সুবর্ণ সুযোগ চলে এসেছে। আর পদ্ধতিটাও একেবারেই সহজ। পূর্বঘোষণা দিয়ে এনবিআর আলোচিত পর্ননায়িকার অনুষ্ঠানস্থলে সকাল থেকে কাউন্টার বসিয়ে বসে যাবেন। যারা সর্বনিম্ন ১৫ হাজার টাকা থেকে লাখ টাকার টিকিট কেটে ব্যভিচার দেখতে ঢুকতে যাবেন তাদের প্রত্যেকের কাছে আয়কর ও টিন নম্বরের হিসাবটা জেনে নেবেন। যারা দেখাতে পারবেন না, সোজা আয়কর ফাঁকির মামলা ঠুকে দেবেন। তখন কতজন আনন্দ ফুর্তি করতে পারে, তা নিমেষেই দেখা যাবে।
সাত :
আসলে গোটা বিশ্ব আজ মারাত্মক অশ্লীলতার মহামারীতে ভুগছে। আমাদের দেশেও আজ অভিজাত রাস্তায় নানা রকমের লাউঞ্জ, ক্লাব, হোটেল, পারলার আর সিসা ক্যাফেতে চলছে নারী-পুরুষের অবাধ বেহায়াপনা। বিয়েবাড়ি আর গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে মা-বাবা-মুরব্বিদের সাথে পর্যন্ত হিন্দি গানের সুরে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করে নাচানাচি করে আনন্দ করাটা এখন আর যেন দোষের কিছুই না! সবাই করছে, তাই আমি করতে অসুবিধা কোথায়? পাছে লোকে না আমাকে মৌলবাদী-রাজাকার বলে গালি দেয় এই ভয়ে মুরব্বিরা পর্যন্ত এখন মুখ খুলতে নারাজ। এ দেশে অ্যামিউজমেন্ট-রিক্রিয়েশন ক্লাবগুলোর নামে প্রকাশ্যে চলছে মদের বেচাকেনা। বড়লোকদের আভিজাত্যের কাছে যেন হালাল হয়ে গেছে এসব কিছু। গভীর রাত পর্যন্ত ছেলেমেয়েরা জম্পেশ আড্ডা দিয়ে রোমান্টিক আলোর মূর্ছনায় সেবন করছে মাদকের নীল নেশা। তরুণ সমাজের হাতের নাগালে চলে এসেছে দ্রুতগতির ইন্টারনেট জগৎ। শত-সহস্র পর্নসাইট দিয়ে ভরে গেছে এসব কিছু। সম্প্রতি ভারতে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে সব পর্নসাইট। কিন্তু আমরা ঠিকই চলছি নিয়ন্ত্রণহীন গতিতে। মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলোর কোটি কোটি টাকার বিজ্ঞাপন আর টাকার পাহাড়ের দাপটে সবাই যেন নিশ্চুপ! তাদের চোখ রাঙানিতে খোদ সরকার পর্যন্ত ঘায়েল হয়ে আছে। সমাজের উঁচু শ্রেণীর ক্লাবগুলো যেন নিরাপদ ও শান্তিতে মদ্যপানের অভয়াশ্রম! কোটি কোটি টাকা খরচ করে পাঁচতারকা হোটেলে নর্তকী নাচিয়ে যেন আমরা সম্ভ্রান্ত হতে চলেছি! সমাজের এই বিকৃত নব্যবিত্তবানদের জন্য নেই কোনো ড্রাগ, নারকোটিকস, লিকার আইন! র্যাব-পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেটরা অসামাজিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে এদের ক্লাবগুলোতে হানা দেয়ার কোনো ক্ষমতাই রাখেন না। সাধ্য নেই কারো এসব নিয়ে কোনো রকম প্রশ্ন করার। দেশের নীতিনির্ধারক ও কর্তাব্যক্তিরা এ ব্যাপারে যেন মুখে কুলুপ এঁটে বসে আছেন দিব্যি। সুশীলসমাজ বা রাজনীতিবিদদেরও যেন কিছুই করার নেই। আমরা সবাই হয়তো ভুলেই গেছি মহান আল্লাহর সতর্ক বার্তা, 'যারা পছন্দ করে যে, ঈমানদারদের মধ্যে অশ্লীলতার প্রসার লাভ করুক, তাদের জন্য ইহকাল ও পরকালে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি রয়েছে।'তাই আগে নিজেকেই বরং প্রশ্ন করি, আমি নিজে কোনটাকে পছন্দ করি?
লেখক : সুপ্রিম কোর্টের আইনজ্ঞ ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ।
ই-মেইল : drtuhinmalik@hotmail.com
ණ☛ লজ্জায় যেন কেউ মুখ খুলতেই নারাজ! আবার কে না কী ভেবে বসে, ভয়টা যেন সেখানেই। অথচ চোখের সামনেই ঘটতে যাচ্ছে সব কিছু। সংবাদে প্রকাশ সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি ঢাকায় লাখ টাকার টিকিট দিয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ভারতীয় পর্ননায়িকার শো। ইতোমধ্যেই দেশের মানুষ ফুঁসে উঠেছে এই বেলেল্লাপনার বিরুদ্ধে। ঘরে ঘরে মা-বোনেরা পর্যন্ত এ নিয়ে একে অন্যের কাছে তাদের ক্ষোভের কথা জানাচ্ছেন। আলেম-ওলামারা প্রতিবাদ করছেন। অনেকেই আবার ঠাট্টা মশকারা করে বলে বেড়াচ্ছেন যে, হেফাজত মাওলানা হুজুরেরা তাকে চেনেন কী করে? আসলে শয়তানকে চেনার জন্য তাকে চোখে দেখার প্রয়োজন হয় না। এই ধরনের অনুষ্ঠান করতে নিশ্চয়ই সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়, এমনকি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েরও অনুমতি নিতে হয়। তাহলে প্রশ্ন জাগে যে, সংশ্লিষ্টরা কি ভারতীয় বিজাতীয় অপসংস্কৃতির এই পর্ননায়িকা সম্পর্কে কিছুই খোঁজখবর রাখেন না? আর যদি তাদের না-ই জানা থাকে, তবে কেন এত দিন ধরে তারা দেশজুড়ে এত সমালোচনার পরও কিছুই জানার চেষ্টা করলেন না? আমাদের দেশীয় সংস্কৃতিতে এমন কী দৈন্য এলো যে, একজন পর্ননায়িকাকে দিয়ে ঢাকঢোল পিটিয়ে নাচগানের জলসার আয়োজন করতে হবে? আমরা যারা নিত্যদিন বিজাতীয় সংস্কৃতির কথা বলে চিঁড়ে ভিজিয়ে দিই আজ তারা মুখে দই জমিয়ে রেখেছে কেন?
দুই :
সাম্প্রতিক সময়ে ভারতীয় সিনেমা ও নবসংস্কৃতিতে ব্যাপকভাবে অশ্লীলতা, বেহায়াপনা ও প্রতিনিয়ত ধর্ষণের অহরহ বীভৎসতার বিরুদ্ধে গোটা ভারতীয় সমাজ ফুঁসে উঠেছে। প্রগতিশীলতার নামে পাশ্চাত্য থেকে আমদানি করা পর্নতারকারা এখন ভারতীয় চলচ্চিত্রের শতকোটি দর্শকের কাক্সিক্ষত নায়িকা। তাদের সমাজ হয়তো এটাকে স্বাভাবিকভাবেই মেনে নিয়েছে। কিন্তু সেই নগ্ন পর্ননায়িকাকে যখন সাংস্কৃতিক বিনিময়ের নামে আমাদের সমাজে আমন্ত্রণ জানানো হয় তখন প্রশ্ন জাগে, আমরা এ কোন ধরনের সংস্কৃতির বিনিময় করতে যাচ্ছি?
তিন :
আসলে কোনো জাতিকে যুদ্ধ ছাড়াই ধ্বংস করার অভিনব এক পন্থা হচ্ছে, সেই জাতির মধ্যে অশ্লীলতা ও ব্যভিচারের প্রচলন করে দেয়া। হিন্দি চলচ্চিত্রের মাধ্যমে এই প্রচলন তো এ দেশে বেশ আগেই চালু হয়ে গেছে। এবার এই পর্ননায়িকাকে আমরা নিজেরাই সরাসরি আমন্ত্রণ জানিয়ে লাখ টাকায় টিকিট দিয়ে তা উপভোগ করতে যাচ্ছি! আমাদের শিশুরা হিন্দি শিখে যাচ্ছে এই ভয়ে যারা হিন্দি কার্টুন বন্ধ করে দিলেন। অথচ দেশী ভাষা-কৃষ্টি-সংস্কৃতি আর মূল্যবোধের দোহাই দেয়া সেই লোকগুলো সমাজে আজ কোথায় হারিয়ে গেল?
চার :
প্রায়ই আমাদের ডিসি-র্যাব-পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেটরা অসামাজিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে আবাসিক হোটেল থেকে শুরু করে গ্রাম্য যাত্রাপালায় পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন। এটা অবশ্যই একটি প্রশংসনীয় কাজ। তা ছাড়া প্রশাসনের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে কোনো অনুষ্ঠান করা এ দেশে এখন আর সহজসাধ্য কোনো ব্যাপার নয়। অথচ বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত একজন এ দেশে আসছে, আর আমাদের প্রশাসন তার সম্পর্কে কিছুই জানে না, তা কী করে হয়? অবাকও লাগে! আবার দুঃখও লাগে! এতগুলো ইসলামি ব্যক্তিত্বের ওপর বাংলাদেশে প্রবেশে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছি আমরা। কিন্তু একজন পর্ননায়িকার বাংলাদেশে প্রবেশে কোনো নিষেধাজ্ঞা দিতে আমাদের সাহসেই কুলালো না!
পাঁচ :
আসলে এই পর্ননায়িকা কি আমাদের দেশে জোর করে আসছে? নাকি আমরা নিজেরাই তাকে দাওয়াত দিয়ে আনছি? অথচ আমরা কেন শুধু তাকেই প্রতিহত করার কথা বলছি। কিন্তু যারা কোটি কোটি টাকা দিয়ে এই পর্ননায়িকাকে দাওয়াত দিয়ে আনছি তাদেরকে কেন আমরা প্রতিহত করার ঘোষণা দিই না? যারা লাখ টাকার টিকিট কেটে একঝলক ব্যভিচারিতা দেখতে উদগ্রীব, আমরা তাদেরকে কেন জনসম্মুখে চিহ্নিত করছি না?
ছয় :
আসুন, আমরা পর্ননায়িকাকে প্রতিহতের ঘোষণার সাথে সামাজিক ও পারিবারিকভাবে প্রতিহত করি এর দর্শকদের, যারা লাখ টাকার টিকিট কিনে প্রকাশ্যে অশ্লীলতা দেখার জন্য ছটফট করছে। সাংবাদিক ভাইয়েরা চাইলে সেসব দর্শকের নাম-পরিচয় প্রকাশ করতে পারেন জনসম্মুখে। আমাদের অর্থ মন্ত্রণালয় ও এনবিআর সব সময়ই অভিযোগ করে যে, এ দেশে এত কোটিপতি আছেন অথচ আয়কর দেয় গুটিকয়েক লাখ মানুষ। তাই এনবিআরের জন্যও এবার সুবর্ণ সুযোগ চলে এসেছে। আর পদ্ধতিটাও একেবারেই সহজ। পূর্বঘোষণা দিয়ে এনবিআর আলোচিত পর্ননায়িকার অনুষ্ঠানস্থলে সকাল থেকে কাউন্টার বসিয়ে বসে যাবেন। যারা সর্বনিম্ন ১৫ হাজার টাকা থেকে লাখ টাকার টিকিট কেটে ব্যভিচার দেখতে ঢুকতে যাবেন তাদের প্রত্যেকের কাছে আয়কর ও টিন নম্বরের হিসাবটা জেনে নেবেন। যারা দেখাতে পারবেন না, সোজা আয়কর ফাঁকির মামলা ঠুকে দেবেন। তখন কতজন আনন্দ ফুর্তি করতে পারে, তা নিমেষেই দেখা যাবে।
সাত :
আসলে গোটা বিশ্ব আজ মারাত্মক অশ্লীলতার মহামারীতে ভুগছে। আমাদের দেশেও আজ অভিজাত রাস্তায় নানা রকমের লাউঞ্জ, ক্লাব, হোটেল, পারলার আর সিসা ক্যাফেতে চলছে নারী-পুরুষের অবাধ বেহায়াপনা। বিয়েবাড়ি আর গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে মা-বাবা-মুরব্বিদের সাথে পর্যন্ত হিন্দি গানের সুরে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করে নাচানাচি করে আনন্দ করাটা এখন আর যেন দোষের কিছুই না! সবাই করছে, তাই আমি করতে অসুবিধা কোথায়? পাছে লোকে না আমাকে মৌলবাদী-রাজাকার বলে গালি দেয় এই ভয়ে মুরব্বিরা পর্যন্ত এখন মুখ খুলতে নারাজ। এ দেশে অ্যামিউজমেন্ট-রিক্রিয়েশন ক্লাবগুলোর নামে প্রকাশ্যে চলছে মদের বেচাকেনা। বড়লোকদের আভিজাত্যের কাছে যেন হালাল হয়ে গেছে এসব কিছু। গভীর রাত পর্যন্ত ছেলেমেয়েরা জম্পেশ আড্ডা দিয়ে রোমান্টিক আলোর মূর্ছনায় সেবন করছে মাদকের নীল নেশা। তরুণ সমাজের হাতের নাগালে চলে এসেছে দ্রুতগতির ইন্টারনেট জগৎ। শত-সহস্র পর্নসাইট দিয়ে ভরে গেছে এসব কিছু। সম্প্রতি ভারতে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে সব পর্নসাইট। কিন্তু আমরা ঠিকই চলছি নিয়ন্ত্রণহীন গতিতে। মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলোর কোটি কোটি টাকার বিজ্ঞাপন আর টাকার পাহাড়ের দাপটে সবাই যেন নিশ্চুপ! তাদের চোখ রাঙানিতে খোদ সরকার পর্যন্ত ঘায়েল হয়ে আছে। সমাজের উঁচু শ্রেণীর ক্লাবগুলো যেন নিরাপদ ও শান্তিতে মদ্যপানের অভয়াশ্রম! কোটি কোটি টাকা খরচ করে পাঁচতারকা হোটেলে নর্তকী নাচিয়ে যেন আমরা সম্ভ্রান্ত হতে চলেছি! সমাজের এই বিকৃত নব্যবিত্তবানদের জন্য নেই কোনো ড্রাগ, নারকোটিকস, লিকার আইন! র্যাব-পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেটরা অসামাজিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে এদের ক্লাবগুলোতে হানা দেয়ার কোনো ক্ষমতাই রাখেন না। সাধ্য নেই কারো এসব নিয়ে কোনো রকম প্রশ্ন করার। দেশের নীতিনির্ধারক ও কর্তাব্যক্তিরা এ ব্যাপারে যেন মুখে কুলুপ এঁটে বসে আছেন দিব্যি। সুশীলসমাজ বা রাজনীতিবিদদেরও যেন কিছুই করার নেই। আমরা সবাই হয়তো ভুলেই গেছি মহান আল্লাহর সতর্ক বার্তা, 'যারা পছন্দ করে যে, ঈমানদারদের মধ্যে অশ্লীলতার প্রসার লাভ করুক, তাদের জন্য ইহকাল ও পরকালে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি রয়েছে।'তাই আগে নিজেকেই বরং প্রশ্ন করি, আমি নিজে কোনটাকে পছন্দ করি?
লেখক : সুপ্রিম কোর্টের আইনজ্ঞ ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ।
ই-মেইল : drtuhinmalik@hotmail.com
Pl see my blogs;
Feel free -- and I request you -- to forward this newsletter to your lists and friends!