বন্ধ ঠেকাতে গেলে আগুন জ্বলবে
৪৮ ঘণ্টা পরেও হদিশ নেই বস্তা ভর্তি প্রশ্নের, টেট কেলেঙ্কারিতে 'দিদি'র ভাইপোকে দায়ী করলেন বিমান
ব্যুরো: টেটের প্রশ্ন ভর্তি বস্তা উধাওযের পর কেটে গিয়েছে আটচল্লিশ ঘন্টার ও বেশি সময়। এখনও বস্তার হদিশ নেই। এরই মধ্যে আগামিকাল নবান্নে ফের বৈঠকে বসছেন শিক্ষামন্ত্রী। সেক্ষেত্রে পরবর্তী পরীক্ষার ক্ষেত্রে ডাক বিভাগকে ফের দায়িত্ব দেওয়া হবে কিনা সেবিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হতে পারে।
টেটের প্রশ্নফাঁস কাণ্ডে দুই তৃণমূল সাংসদ অভিষেক ব্যানার্জি ও কল্যাণ ব্যানার্জির দিকে আঙুল তুললেন বিমান বসু। তাঁর অভিযোগ, প্রশ্নফাঁস কাণ্ডে গ্রেফতার করা হয়েছে ডাক বিভাগের দুই কর্মীকে। ওই দুজন আইএনটিটিইউসির নেতা এবং তৃণমূল সাংসদ অভিষেক ব্যানার্জি ও কল্যাণ ব্যানার্জির ঘনিষ্ঠ। প্রশ্নফাঁসের গোটা ঘটনাই সাজানো বলে অভিযোগ করেছেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান।
উধাও বস্তাভর্তি প্রশ্নপত্র। ঘটনার পরদিনই থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিল ডাক বিভাগ। তারও একদিন পর মধ্যশিক্ষা পর্ষদ অভিযোগ দায়ের করে । কিন্তু অভিযোগ করাই সার। এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি। এমনকি প্রশ্নের বস্তা কোন জায়গা থেকে উধাও হল তারও উত্তর নেই। কিন্তু কেন । একটা এত বড় পরীক্ষা যেখানে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ২২ লক্ষ সেখানে কেন এই ঢিলেমি।
প্রথমত- ঘটনার একদিন পরে অভিযোগ দায়ের করছে ডাক বিভাগ
দ্বিতীয়ত- মধ্যশিক্ষা পর্ষদ যখন গুনে দেখল একটা বস্তা প্রশ্ন কম , তখন সেখানে উস্থিত ছিল পুলিস। কিন্তু পর্ষদ তখন কোনও অভিযোগ দায়ের করল না। ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর অর্থাত্ বস্তা হাপিস হওয়ার দুদিন পর থানায় অভিযোগ দায়ের করল।
তৃতীয়ত --বস্তার হদিশ তো দূরের কথা, কোন জায়গা থেকে বস্তা হারিয়েছিল তাও এখনও স্পষ্ট হয়নি।
আর স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে কেন এই ঢিলেমি? এত বড় কান্ড যাতে রাজ্যের মুখ পুড়ল তাতে যে গুরুত্ব দেওয়া উচিত ছিল তার ছিটে ফোঁটাও কেন দেখা যাচ্ছেনা। কারিগরি শিক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের পর সিআইডি তদন্তে উঠে এসেছিল একের পর এক তৃণমূল নেতার নাম । অনেকেরই অনুমান, এক্ষেত্রেও বিষয়টা তেমন কিছু নয় তো? সেজন্যই এই ঢিলেমি। কারণ সেদিন বাসে ছিলেন ছ-জন লোক। যার মধ্যে দু-জন পুলিশ কর্মী, দু জন ডাক বিভাগের লোক আর চালক এবং খালাসি। এতগুলো লোকের মাঝখান থেকে হঠাত্ অত বড় বাসের পিছনের কাঁচ ভেঙে আস্ত একটা বস্তা পড়ে গেল, তাও কি সম্ভব?