"যুক্তি এবং প্রতিযুক্তির চুলচেরা বিচারে যাওয়াই যায়। কিন্তু সেটা না গেলেও একটা কথা বুঝতে অসুবিধে হয় না। ইয়াকুবের সূত্রে ভারতীয় মুসলিমদের প্রান্তিকীকরণের বিষয়টি আবার নতুন করে নাড়া দিচ্ছে এ দেশকে। বিশেষত এ দেশের মুসলিম সমাজকে। ভুল হোক, ঠিক হোক, এই রকম একটা কথা উঠছে, আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে। খুব একটা কাঙ্ক্ষিত নয় ব্যাপারটা। রাষ্ট্রের কোন ধরনের কাজকর্মের জন্য এমনটা ঘটছে, সেটা হয়তো ভাবার সময় এসেছে। জম্মু ও কাশ্মীর অঞ্চলে আরও কয়েক ধাপ এগিয়েছে ব্যাপারটা। নতুন আঁচে জ্বলে উঠছে দিল্লি-বিরোধিতার আগুন। হয়তো স্বাভাবিক— জম্মু ও কাশ্মীরই তো এ দেশের একমাত্র মুসলিম-সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজ্য। যে সব প্রশ্ন উঠছে, আর যে ভাবে সেগুলো উঠছে, দুটো জিনিস থেকেই পরিষ্কার, কাশ্মীরের মুসলিমরা মনে করছেন, এ দেশটা মুসলিমদের জন্য তত নিরাপদ নয়। এমনকী এ দেশের বিচারব্যবস্থার মধ্যেও পক্ষপাতিত্ব। রাজিন্দর সাচার কমিটি কয়েক বছর আগে ভারতের মুসলিমদের পশ্চাদপরতার যে ছবি এঁকেছিল, কিছুই পাল্টাতে দেখা গেল না তার পর। শুধু এক-একটি ঘটনায় আবার নতুন করে মুসলিমদের নিরাপত্তাবোধের অভাব প্রবল হয়ে উঠছে। আর কে না জানে, দুনিয়া-জোড়া ইসলামি জঙ্গিরা ঠিক এটাই চায়, এই মনোভাবটাকে কাজে লাগাতেই তারা তাক করে বসে আছে। হয়তো না জেনেবুঝে, কিংবা হয়তো বাধ্য হয়ে, তাদের ফাঁদেই পা দিচ্ছে ভারতীয় রাষ্ট্র।" |
|