ভয়ংকর অপরাধ বাড়ছেই
আলাউদ্দিন আরিফ
প্রকাশ : ০৯ আগস্ট, ২০১৫
খুন, ধর্ষণ, অপহরণসহ ভয়ংকর অপরাধ বাড়ছেই। একের পর এক ব্লগার হত্যা, নির্মমভাবে শিশু হত্যা, গণধর্ষণ, গুম ও অপহরণের পর হত্যাসহ নির্বিচারে হত্যাকাণ্ড চলছে দেশজুড়েই। গত এক মাসে ৩ হাজার ৩৬টি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটলেও একটিরও বিচার শুরু হয়নি। শিশু ও নারী হত্যা ও নির্যাতন, পারিবারিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক সহিংসতা, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডসহ অধিকাংশ ঘটনার তদন্তও শেষ হয়নি। অপরাধীরাও ধরা পড়ছে না। তদন্তকারী সংস্থার উদাসিনতা, গাফিলতি ও ঘটনাগুলো গুরুত্বসহকারে না নেয়াতেই এ ধরনের অপরাধ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে মনে করছেন অপরাধ বিশেষজ্ঞরা।
- See more at: http://www.jugantor.com/last-page/2015/08/09/305079#sthash.qfPWhzc3.dpufগাড়িতে তুলে ধর্ষণ, বন্ধুর সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে কিংবা বাসার মধ্যেই স্বামীকে বেঁধে স্ত্রীকে ধর্ষণ করা হচ্ছে। নৃশংস নির্যাতনের মাধ্যমে হত্যা করা হচ্ছে শিশুদের। নিজ বাসার সামনে এবং সর্বশেষ ঘরের ভেতর প্রবেশ করে বেডরুমে হত্যা করা হয়েছে পাঁচজন ব্লগারকে। মানবাধিকার সংস্থা ও পুলিশের অপরাধ পরিসংখ্যান প্রতিবেদনে অপরাধ বৃদ্ধির এ চিত্র পাওয়া গেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইন্টারনেট ও ফেসবুকের অপব্যবহার, পর্নোগ্রাফি, তরুণ ও বেকার যুবকদের নানা ধরনের হতাশা, বিকৃত যৌনাচার, ধর্মীয় ও সামাজিক অনুশাসন না মানাসহ নানাবিধ কারণে অপরাধ প্রবণতা বাড়ছে। ক্ষমতাসীন দলের রাজনৈতিক আশ্রয়-প্রশ্রয়েও অনেক ঘটনা ঘটছে। এসব ক্ষেত্রে রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা থাকায় দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নিতে পারে না পুলিশ। অপরাধ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখন ইন্টারনেটে পর্নো সাইটগুলো শুধু যুবক তরুণ নয়, কিশোর এবং শিশুরাও দেখছে। এসব সাইটে বেপরোয়া যৌনক্রিয়ার চিত্র তরুণদের মনে গেঁথে যাচ্ছে। তার আবেগের মধ্যে সেই উপলব্ধি উপস্থিত হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে তারা নিজেদেরও সেভাবে উপস্থাপন করতে চায়। আর এতে বাধাপ্রাপ্ত হলে তারা হিংস্র হয়ে খুন, ধর্ষণের মতো গর্হিত অপরাধ ঘটাতে দ্বিধা করে না। এমনকি তুচ্ছ কারণে ঘটছে বড় ঘটনা। অভিমান করে, ঠুনকো কারণেও সম্প্রতি তরুণ ও প্রেমিক-প্রেমিকারা আত্মহত্যা করছে।মানবাধিকার সংস্থাগুলোর প্রতিবেদনে ভয়ংকর অপরাধ বৃদ্ধির চিত্র পাওয়া গেছে। বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের হিসাবে দেখা গেছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ৩০ জুলাই পর্যন্ত ৭ মাসে দেশে মোট ৩ হাজার ৬৩টি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। এর মধ্যে ধর্ষণের শিকার ১৩১ জন ও ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ৩২ জনকে। যৌতুকের কারণে ৪৯ জন, পারিবারিক সহিংসতায় ২৯৫ জন, সামাজিক সহিংসতায় ২৮৮ জন, রাজনৈতিক সহিংসতায় ১৯৫ জন ও রহস্যজনকভাবে নিহতের ঘটনা ৩৭৩টি। শিশু অধিকার ফোরাম সূত্র জানায়, চলতি বছরের সাত মাসে ১৯১ শিশু খুন হয়েছে। এ ছাড়া সাড়ে তিন বছরে মোট ৯৬৮ শিশু খুন হয়েছে। তার মধ্যে ২০১৪ সালে ৩৫০, ২০১৩ সালে ২১৮ ও ২০১২ সালে ৯৮৬ জন। গত সাড়ে তিন বছরে ধর্ষণ ও যৌন হয়রানির শিকার হয়েছে ১ হাজার ৭৪৮ শিশু। এদের মধ্যে চলতি বছর ৩৪৭, ২০১৪ সালে ২২৭, ২০১৩ সালে ১৮৩ ও ২০১২ সালে ৯১ জন।মানবাধিকার সংগঠন অধিকার সূত্রে জানা গেছে, জানুয়ারি থেকে জুলাই মাসে দেশে ১১১ জন বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। এ ছাড়া একই সময় রাজনৈতিক সহিংসতায় ১৫৩ জন নিহত ও ৪ হাজার ৫৭৮ জন আহত হয়েছেন। যৌতুক সহিংসতায় ১১০, ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৩৬৬ জন। এ ছাড়া গণপিটুনিতে নিহতের সংখ্যা ৭৭ জন।বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের হিসাব অনুযায়ী, জুলাই মাসে ৩৬৮ জন নারী নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে ধর্ষণের ঘটনা হয়েছে ৮৩টি। গণধর্ষণ ১৫, ধর্ষণের পর হত্যা ৯, ধর্ষণের চেষ্টা ১৯ ও শ্লীলতাহানির শিকার ১০ জন। আত্মহত্যা করেছেন ২৬ জন নারী। মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) জানুয়ারি থেকে জুন মাসে আইনশৃংখলা বাহিনীর হেফাজতে ১০১ জন মারা যাওয়ার ঘটনা রেকর্ড করেছে। এ সময় ৬৬০টি রাজনৈতিক সহিংসতায় ১৩২ জন নিহত ও ৩ হাজার ৮৯২ জন আহত হয়েছেন।পুলিশ সদর দফতরের রেকর্ড অনুসারে, গত জানুয়ারি থেকে জুন মাস পর্যন্ত দেশে হত্যা মামলা হয়েছে ২ হাজার ৮০টি, নারী ও শিশু নির্যাতনের মামলা ১০ হাজার ৩২৪ ও অপহরণ মামলা হয়েছে ৪০০টি। এর আগে ২০১৪ সালে ৪ হাজার ৫১৪টি হত্যা মামলা, ২১ হাজার ২৯১টি নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা এবং ৯২০টি অপহরণ মামলা হয়েছিল। ২০১৩ সালে ৪ হাজার ৩৯৩টি হত্যা মামলা, ১৯ হাজার ৬০১টি নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা এবং ৮৭৯টি অপহরণ মামলা হয়েছিল। ২০১২ সালে ৪ হাজার ১১৪টি হত্যা মামলা, ২০ হাজার ৯৪৭টি নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা এবং ৮৫০টি অপহরণ মামলা হয়েছিল।গত ২১ জুন রাতে কুড়িলে এক গারো তরুণীকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে গণধর্ষণ করে দুর্বৃত্তরা। পরে র্যাব অভিযুক্ত দু'জনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠায়। এ মামলার চার্জশিট দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে ডিবি। গত ২২ জুলাই লালবাগে বন্ধুর সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হয় মিরপুরের এক স্কুলছাত্রী। ওই ঘটনায় পুলিশ সৈকত ইসলাম রানা নামে এক যুবককে গ্রেফতার করে। কিন্তু তার অপর সহযোগী এখনও পলাতক। পরদিন ২৪ জুলাই কোতোয়ালিতে নির্মাণাধীন বাড়িতে স্বামীকে বেঁধে রেখে গণধর্ষণ করা হয় ৬ মাসের গর্ভবতী স্ত্রীকে। ওই ঘটনায় পুলিশ এক মাদক ব্যবসায়ীসহ তিনজনকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠায়। গত ৪ আগস্ট ভাটারায় ধর্ষণের শিকার হয় ১২ বছরের এক গারো শিশু। এ ঘটনায় মামলা হলেও এখন পর্যন্ত অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। একই দিন যাত্রাবাড়ীতে বন্ধুর বাসায় বেড়াতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হয় এক কলেজছাত্রী। ওই ঘটনায় তিন ধর্ষককে গ্রেফতারের পর রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। গত ১২ জুন পশ্চিম রামপুরার ১৯২ নম্বর পলাশবাগ ইমান আলীর বাড়িতে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে গণধর্ষণ করে দুর্বৃত্তরা। ওই মামলার আসামিদের গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। ৬ আগস্ট পল্লবীর ১২ নম্বর সেকশনে ও চকবাজারে ধর্ষণের শিকার হয় দুই শিশু। পৃথক এই দু'ঘটনায় দু'জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ ছাড়া গত শুক্রবার ঢাকার মগবাজারে গহবধূকে গণধর্ষণের অভিযোগে হাশেম আলী নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গতকাল শনিবারও তুরাগে ৫০ বছর বয়স্ক এক নারীকে ধর্ষণ করার অভিযোগে একজনকে আটক করেছে পুলিশ।নারী ধর্ষণের মতোই শিশু হত্যা ও ধর্ষণ এক ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। ৩ আগস্ট খুলনার টুটপাড়ার রাকিব (১৩) নামের এক শিশুকে কম্প্রেসর মেশিন দিয়ে মলদ্বার দিয়ে বাতাস ঢুকিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। একই দিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কম্পাউন্ডে লাগেজের ভেতর আনুমানিক ৯ বছর বয়সের এক শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়। তার শরীরে ইস্ত্রির ছ্যাঁকাসহ ৫৭টি আঘাতের চিহ্ন ছিল। এখনও তার পরিচয় শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ। এর আগে ২৩ জুলাই মাগুরায় ছাত্রলীগ নেতার গুলিতে মাতৃগর্ভেই গুলিবিদ্ধ হয় এক শিশু। জšে§র পর তার নাম রাখা হয় সুরাইয়া। ১৭ দিন বয়সী শিশুটি এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গত ৮ জুলাই চুরির অপবাদ দিয়ে সিলেটের শহরতলির কুমারগাঁওয়ে শিশু রাজনকে চার ঘণ্টা নির্যাতন করে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। ২৮ মিনিট ধরে এ হত্যাকাণ্ডের ভিডিও চিত্র ধারণ করে ফেসবুকে আপলোড করা হয়। একইভাবে ১৩ এপ্রিল রাজধানীর খিলক্ষেতের মস্তুল এলাকার ২০-২২ জনের একটি দল কবুতর চুরির অপবাদ দিয়ে ১৬ বছরের কিশোর নাজিমের ওপর বর্বর নির্যাতন করে। রশি দিয়ে তার হাত-পা বেঁধে বেধড়ক পেটানোর পর অচেতন অবস্থায় লাথি দিয়ে তাকে বালু নদে ফেলে দেয়া হয়। পানিতে রাজন ডুবে গেলে অট্টহাসিতে ফেটে পড়ে ঘাতকরা। মর্মান্তিক এ নির্যাতনের ভিডিও ফেসবুকে আপলোড করা হয়।এদিকে সোমবার বাসায় ঢুকে জবাই করে হত্যা করা হয় ব্লগার নীলাদ্রি চট্টোপাধ্যায় নিলয়কে। ৩০ জুলাই ধানমণ্ডিতে ঈদগাহ মসজিদের খাদেম দুলাল গাজীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। একই দিন দুপুরে তেজকুনি পাড়ার একটি আবাসিক মেসে গলায় গামছা পেঁচিয়ে খুন করার পর কান কেটে ফেলে দেয়া হয় ইউসিসি কোচিং সেন্টারের ছাত্র মো. কামরানকে। ওই ঘটনায় তারই রুমমেট ও বন্ধ মইনুলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এসব ঘটনা সবার মনে এক ধরনের ভীতির সঞ্চার করে।অপরাধ বৃদ্ধি ও ব্লগার হত্যাকারীসহ অপরাধীদের গ্রেফতারে ব্যর্থতা প্রসঙ্গে পুলিশের ভূমিকার সমালোচনা করেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান। তিনি শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক অনুষ্ঠানে বলেন, আর কতকাল আমাদের আইনশৃংখলা বাহিনী ঘুমিয়ে থাকবে এবং দেখবে একের পর এক ব্লগারদের হত্যা করা হচ্ছে। নারী ধর্ষিত হচ্ছে। শিশুদের নির্যাতন করে হত্যা করা হচ্ছে। ব্লগার খুন হলে আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা শুধু বলবেন, আমরা চেষ্টা করে দেখছি। চেষ্টা করে দেখছি কারা এটার সঙ্গে জড়িত। তদন্ত হচ্ছে, মোটিভ কিন্তু এক। তিনি বলেন, মোটিভ যদি এক হয়ে থাকে, এতগুলো হত্যাকাণ্ডের এতদিন পর্যন্ত আপনারা কী করে আসছেন? এর প্রতিটি প্রশ্নের জবাব আপনাদের দিতে হবে। কেন মানুষকে এ রকম নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাতে হবে?অপরাধ ও সহিংসতা বৃদ্ধি প্রসঙ্গে বিশিষ্ট মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মোহিত কামাল যুগান্তরকে বলেন, বিশ্বায়নের প্রভাবে অপসংস্কৃতি আমাদের যুব সমাজকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। তাদের মধ্যে নানা ধরনের হতাশা ও যৌন প্রবৃত্তি থেকে তারা অপরাধ করতে দ্বিধা করছে না। এমনকি সামান্য কারণেও তারা আত্মহত্যা করছে। তিনি ধর্ষণের বিষয় উল্লেখ করে বলেন, ধর্ষণের অন্যতম কারণ প্রবৃত্তিগত তাড়না। এর মোটিভ হচ্ছে প্রবৃত্তির ওপর অনিয়ন্ত্রণ। বর্তমানে ধর্ষণের যেসব ঘটনা ঘটছে তার নেপথ্যে বৈশ্বিক (গ্লোবাল) সংস্কৃতির নেতিবাচক প্রভাব রয়েছে। পুরুষরা নারীকে ভোগের বস্তু মনে করছে। এখন ইন্টারনেটে সর্বাধিক হান্টিং হয় পর্নো সাইটগুলো। সেখানে পেশাদার মেয়েদের কার্যকলাপ, তাদের বেপরোয়া যৌনক্রিয়ার চিত্র আমাদের তরুণদের মনে গেঁথে যাচ্ছে। তরুণ যুবকরা পর্নো ছবিতে যেসব দৃশ্য দেখছে; তার আবেগের মধ্যে সেই উপলব্ধি উপস্থিত হচ্ছে। সে নিজেকেও তাদের উপস্থাপন করতে চায়। ফলে যারা তার বোন, যারা তার মা হতে পারে তাদের ওই তরুণ সেই শ্রদ্ধার চোখে দেখতে পারছে না। তারা হিংস্র হয়ে ধর্ষণের মতো গর্হিত অপরাধ ঘটাচ্ছে। আর তাতে বাধা পেলে খুন-খারাবি করতেও দ্বিধা করে না।পুলিশ সদর দফতরের স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের প্রধান অতিরিক্ত ডিআইজি জহিরুল ইসলাম ভূঁইয়া যুগান্তরকে বলেন, খুন, অপহরণ, নারী ও শিশু নির্যাতন, ধর্ষণসহ যে কোনো অপরাধ ঘটলে আইনের প্রয়োগ পুলিশের কাজ। পুলিশ কোনো অভিযোগ পাওয়ার পর মামলা নিয়ে ঘটনার তদন্ত করে। চার্জশিট দেয়ার পর বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়। হত্যা, নারী ও শিশু নির্যাতনের প্রতিটি মামলা তদারকির জন্য সংশ্লিষ্ট জেলার এসপি ও মেট্রোপলিটন এলাকার উপপুলিশ কমিশনারদের নির্দেশনা দেয়া রয়েছে। এরপরও ধর্ষণ এবং শিশু নির্যাতনের মতো ভয়াবহ অপরাধ প্রতিরোধের বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে এসব মামলা তদারকির জন্য আলাদা সেল রয়েছে। তিনি বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতনকারী কোনো সমাজ বা এলাকার নয়, এরা এক বা একাধিক ব্যক্তিবিশেষ। কর্মজীবী শিশুরাই বেশি নির্যাতনের শিকার হয়।
Pl see my blogs;
Feel free -- and I request you -- to forward this newsletter to your lists and friends!