চলে গেলেন ফরিদা ইয়াসমিন
স্টাফ রিপোর্টার ॥ না ফেরার দেশে চলে গেলেন ষাটের দশকের জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী ফরিদা ইয়াসমিন। শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে সত্তরোর্ধ এই শিল্পী ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি... রাজিউন)। তার মৃত্যুর খবরে সঙ্গীতাঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ফরিদা ইয়াসমিনের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, ডেপুটি স্পীকার মোঃ ফজলে রাব্বী মিয়া ও চীফ হুইপ আ স ম ফিরোজ গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে, বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যার কারণে দুই সপ্তাহ আগে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ফরিদা। ফরিদা ইয়াসমিন কণ্ঠশিল্পী নীলুফার ইয়াসমিন ও সাবিনা ইয়াসমিনের বোন। তাদের পৈত্রিক বাড়ি সাতক্ষীরায়। তারা পাঁচ বোনের মধ্যে চার বোনই সঙ্গীত শিল্পী। তারা হলেনÑ ফরিদা ইয়াসমিন, ফাওজিয়া খান, নীলুফার ইয়াসমিন ও সাবিনা ইয়াসমিন। সেবা প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী ও থ্রিলার সিরিজ 'মাসুদ রানা'র লেখক কাজী আনোয়ার হোসেন তার স্বামী। লেখক কাজী মোতাহার হোসেন তার শ্বশুর। কাজী আনোয়ার হোসেন ও ফরিদা ইয়াসমিনের দুই ছেলে কাজী শাহনূর হোসেন ও কাজী মায়মুর হোসেন লেখালেখি ও সেবা প্রকাশনীর সঙ্গে রয়েছেন।
ফরিদা যখন দুর্গাপ্রসাদ রায়ের কাছে গান শিখতেন, তখন ছোট্ট সাবিনাও উপস্থিত থাকতেন। ছোট বোনকে গানের ব্যাপারে সবসময় উৎসাহ দিয়েছেন তিনি। সাবিনা ইয়াসমিনের মেয়ে ইয়াসমিন ফায়রুজ বলেন, উনি হাফ কোমায় ছিলেন। অনেক দিন আগে থেকেই কিডনি কাজ করছিল না, ডায়ালাইসিস চলছিল। এছাড়া থ্যালাসেমিয়া ছিল, একবার হার্ট এ্যাটাক হয়েছিল।
ফরিদা ইয়াসমিনের লাশ বারডেম হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছে জানিয়ে তার ছেলে শাহনূর বলেন, রবিবার মরদেহ বাসায় আনা হবে।
সেখানে জানাজার পর বনানী করবস্থানে তাকে দাফন করা হবে। ১৯৫৮ থেকে ১৯৬৮ সাল পর্যন্ত সিনেমা আর রেডিওর গানের জনপ্রিয় শিল্পী ছিলেন ফরিদা ইয়াসমিন। আধুনিক বাংলা গান, উর্দু গান ও গজল গেয়েছেন তিনি। পরে সংসার নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ায় তিনি গান থেকে অনেকটা দূরে সরে যান।
ছেলে শাহনূর বলেন, মা পরে মাঝে মাঝে বিশেষ কোন উপলক্ষে গান গাইতেন। নব্বইয়ের দশকের শেষের দিকে উনি একেবারেই গান ছেড়ে দেন।