Mamata Banerjee arrives in Dhaka ahead of PM Narendra Modi's visit for an unprecedented JUGALBANDI in Indian Maggie Diplomacy!
Palash Biswas
West Bengal Chief Minister Mamata Banerjee arrived in Dhaka on Friday, a day ahead of Prime Minister Narendra Modi's two-day maiden visit to Bangladesh. State minister for foreign affairs Shahriar Alam received her at Hazrat Shahjalal International Airport in the evening.
Foreign Ministry officials said the West Bengal Chief Minister would witness the signing of documents on Land Boundary Agreement (LBA) to be exchanged between the two countries after talks between Modi and his Bangladeshi counterpart Sheikh Hasina on Saturday.
Bangladesh media prominently reported her Dhaka visit. Chief Ministers of other Indian states bordering Bangladesh are expected to accompany Modi during the tour.Foreign Ministry officials earlier said she preferred to stay in a separate hotel, though the Pan Pacific Sonargoan Hotel is booked for the Indian premier's entourage.
The West Bengal Chief Minister appeared to have stood in the way of inking of a crucial deal over sharing of the common Teesta River at the last minute during former premier Manmohan Singh's Dhaka tour in 2011.
Ahead of Prime Minister Modi's Bangladesh tour, India made it clear that the Teesta deal would not be signed during his visit this time as India was yet to reach an internal consensus on the matter.
During her previous Dhaka tour in February this year, Banerjee, however, assured Hasina of playing a "positive role" in resolving the outstanding Teesta river issue to protect interests of both sides.
Foreign relations analyst Professor Imtiaz Ahmed, however, said Banerjee's plan to visit Bangladesh separately did not necessarily indicates any negative notion. "If Mamata stays in Dhaka during Modi's visit that is 'good enough'…her decision to come separately may be linked to her preoccupation at home or she may show she's not like other chief ministers," he said.
The West Bengal chief minister, however, flagged off the new Kolkata-Dhaka-Agartala bus service ahead of her arrival calling it as "historic" step that would bring the people of Bangladesh and India together and strengthen the relationship between the two countries. Banerjee would join the two premiers at the flag-off of Kolkata-Dhaka-Agartala bus service at the Bangladesh prime minister's office on Saturday.
Modi to meet Khaleda!
মোদি-খালেদা বৈঠক রোববার বিকালে: জয়শঙ্কর
কূটনৈতিক রিপোর্টার | ৫ জুন ২০১৫, শুক্রবার, ৯:৩২
And the Teesta Music!
তিস্তা চুক্তি হচ্ছে না, ট্রানজিটে মাশুল পাবে ঢাকা
স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী বলেছেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আসন্ন বাংলাদেশ সফরের মধ্যদিয়ে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন অধ্যায়ের সূচনা হবে। তবে তিনি বলেছেন, মোদির এই সফরে তিস্তা চুক্তি স্বাক্ষরের সম্ভাবনা নেই।তবে এতে তিনি বাংলাদেশের কূটনৈতিক ব্যর্থতাকে নাকচ করে দিয়েছেন। ট্রানজিট সম্পর্কে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ট্রানজিট হলে বাংলাদেশ মাশুল পাবে।আমরা আন্ত:যোগাযোগের ওপর গুরুত্ব দিতে চাই।আগামীকাল শনিবার ৬ জুন থেকে নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফর শুরু হবে। আজ রাতে আসছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। এই সফর নিয়ে আজ শুক্রবার সকালে সচিবালয়ে পররাষ্ট্র দফতরে আয়োজিত আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, এই সফরে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে স্বাক্ষরিত স্থল সীমান্ত চুক্তির অনুসমর্থন দলিল বিনিময় হবে। তিনি বলেন, তিস্তা নিয়ে আমাদের মধ্যে আলোচনা ও কথা বার্তা হচ্ছে। তবে এ ব্যাপারে সবাইকে ধৈর্য ধরার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বাংলাদেশ সফরে আসছেন। এসবই তিস্তা নিয়ে আশাবাদী হওয়ার মতো বার্তা দিচ্ছে বলে তিনি ইঙ্গিত দেন।পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কূটনৈতিক তৎপরতা উন্মুক্ত ভাবে হয় না। অনেক কিছুই চোখের আড়ালে হয়। তিস্তা চুক্তি নিয়েও চোখের আড়ালে আলোচনা চলছে। এটা নিয়ে আমরা কাজ করছি। এটা নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। তিস্তা চুক্তির বিষয়ে সমঝোতায় পৌঁছানো গেলেই আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে। মাহমুদ আলী আরও বলেন, মোদি একা আসছেন না, তার সঙ্গে মমতা ব্যানার্জিও ঢাকায় আসছেন।এ থেকেই বোঝা যাচ্ছে তিস্তা চুক্তি নিয়ে আলোচনা চলছে। এ বিষয়ে সাফল্য এলেই জানানো হবে। মন্ত্রী বলেন, 'মোদির বাংলাদেশ সফরে সবচেয়ে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে বাণিজ্য ও যোগাযোগের ক্ষেত্রে। বাণিজ্য চুক্তিতে নতুন কিছু উপাদান থাকছে, স্বাক্ষরিত হবে বেশ কয়েকটি সমঝোতা চুক্তিও।'তিনি আরো বলেন, মানবপাচার বন্ধ ভারত-বাংলাদেশ একসঙ্গে কাজ করবে। এজন্য একটি প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো গড়ে তোলা হবে।'এছাড়া মোদির সফরে দ্বিপাক্ষিক ও আঞ্চলিক নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে বলেও জানান তিনি। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক, ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলীসহ আরও অনেকে। - See more at: http://www.dailyinqilab.com/details/13676/%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BE-%E0%A6%9A%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF-%E0%A6%B9%E0%A6%9A%E0%A7%8D%E0%A6%9B%E0%A7%87-%E0%A6%A8%E0%A6%BE,-%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A6%9F%E0%A7%87-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B6%E0%A7%81%E0%A6%B2-%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A7%87-%E0%A6%A2%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%BE-#sthash.r0b6chk6.dpuf
Read more at: http://www.dailyinqilab.com/details/13676/%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BE-%E0%A6%9A%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF-%E0%A6%B9%E0%A6%9A%E0%A7%8D%E0%A6%9B%E0%A7%87-%E0%A6%A8%E0%A6%BE,-%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A6%9F%E0%A7%87-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B6%E0%A7%81%E0%A6%B2-%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A7%87-%E0%A6%A2%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%BE-
মোদি আসায় তিস্তাপারের মানুষ খুশি, তারা চায় দ্রুত পানি চুক্তি
রাজু মোস্তাফিজ, তিস্তাপারের বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে এসে ॥ তিস্তাপারের ইদ্রিস আলী নদীতে মাছ ধরতেন। বয়স প্রায় সত্তরের কাছাকাছি। মাছ ধরেই সংসার চালাতেন। নদীতে পানি না থাকায় এখন দিনমজুরি করেন। টানা বৃষ্টি আর নদীতে সামান্য পানি বাড়ায় মাছ ধরার নেশায় আবার নদীতে নেমেছেন। কিন্তু মাছ নেই। সারাদিনেও দুই কেজি মাছ ওঠে না। ইদ্রিস আলী জানান, তিস্তা নদীর ভাঙ্গনে তিন একর আবাদী জমিসহ বসত ভিটা ভেঙে আজ নিঃস্ব। ভাঙ্গা-গড়ার মাঝে শুধু ইদ্রিস আলী নন তিস্তাপারের হাজার হাজার মানুষের ঘরবাড়ি কৃষি জমি ছিল। ছিল সুখের সংসার। তিস্তার ভয়াল ভাঙ্গনের কারণে আজ তারা নিঃস্ব। একদিনের গৃহস্থ এখন দিনমজুর। তাদের ভিটা মাটি সব নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ওইসব মানুষ এক সময় তিস্তায় মাছ ধরার পেশা নিলেও পানির অভাবে মাছও হারিয়ে গেছে। সেই তিস্তা নদী এখন প্রায় মরা গাঙ্গ। শুষ্ক মৌসুমে প্রায় শুকিয়ে যায়। প্রায় দুশ'কিলোমিটার দীর্ঘ প্রশস্ত নদীর বুকে এখন ধু-ধু বালু চর। বিশাল নদীর বুক চিরে সরু ফিতার মতো বয়ে চলেছে ক্ষীণস্রোতা তিস্তা। এ অবস্থায় বন্ধ হয়ে যাবার উপক্রম হয়েছে ছোট বড় ৭৫টি খেয়াঘাট। অধিকাংশ এলাকায় চলাচলকারী ইঞ্জিনচালিত নৌকাগুলো বন্ধ হয়ে গেছে। শুষ্ক মৌসুমে নদীর পানিশূন্য হওয়ায় এ অঞ্চলের জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হওয়ার উপক্রম হয়েছে। নদীর আশপাশে বড় বড় গাছপালা অকালে মরে যাচ্ছে। তিস্তা পারের মানুষ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ সফরের খবর শুনে ভীষণ খুশি। তারা চায় সীমান্ত চুক্তির মতো তিস্তা পানি চুক্তি দ্রত করুক ভারত সরকার। তাহলে এ অঞ্চলের মানুষের জীবন বেঁচে যাবে। আর বেঁচে যায় জীববৈচিত্র্য। আশির দশকে পানি উন্নয়ন বোর্ড শুষ্ক মৌসুমে বিভিন্ন আবাদী জমিতে পানি ব্যবহারের জন্য নীলফামারী জেলার ডালিয়াতে তিস্তা নদীর উপর ব্যারাজ নির্মাণ করে। এখান থেকে তিস্তার মূল স্রোতের পানি ক্যানেল দিয়ে বিভিন্ন আবাদী জমিতে নিয়ে যাওয়া শুরু করে। পানি উন্নয়ন বোর্ড যখন ব্যারাজ নির্মাণ শুরু করে তখন ভারত তড়িঘড়ি করে জলপাইগুড়ি জেলার গজলডোবা নামক স্থানে উজানে তিস্তা নদীর উপর ব্যারাজ নির্মাণ করে। ফলে তিস্তার গতিকে থামিয়ে দেয়। এ নদীর মূল স্রোতধারাকে ব্যারাজের বিভিন্ন ক্যানেলের মাধ্যমে ঘুরিয়ে তারা তাদের উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় বিভিন্ন সেচ প্রকল্পে নিয়ে যায়। গজলডোবা ব্যারাজ থেকে শুষ্ক মৌসুমে যে পরিমাণ পানি ভাটিতে বাংলাদেশকে দেয়া হয়, তা প্রায় ৭০ কিলোমিটার অতিক্রম করে তিস্তা ব্যারাজে এসে যখন পৌঁছে তখন নদীর স্রোতধারা ক্ষীণ হয়ে সরু নালার আকার ধারণ করে। ভারতের একতরফাভাবে পানি প্রত্যাহার শুরু করার কারণে বাংলাদেশে এই ব্যারাজটির উপযোগিতা হারিয়ে ফেলে। ফলে পানি উন্নয়ন বোর্ড শত শত কোটি টাকায় নির্মিত তিস্তা ব্যারাজটি এক প্রকার অকার্যকর হয়ে পড়েছে। এতে কুড়িগ্রামের বিদ্যানন্দ, বুড়িরহাট, দলদলিয়া, ঠুটাপাইকর, চর বজরা ও গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জের বেলকা এলাকার প্রায় ২শ'কিলোমিটার দীর্ঘ তিস্তা নদী শুকিয়ে মরা নদীতে উপক্রম হয়েছে। আর এতে করে কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, গাইবান্ধা, নীলফামারী জেলার কয়েক লক্ষাধিক কৃষকের হাজার-হাজার হেক্টর জমি পতিত ছাড়াও জেলে পরিবারগুলো হয়ে পড়েছে বেকার। তিস্তা পারের পশ্চিম মিছপাড়া গ্রামের ইদ্রিস আলী, শহিদুল ইসলাম জানান, তিস্তা নদী এখন মরা গাঙ্গ। শুষ্ক মৌসুমে ধু-ধু বালুচর। অথচ দুই দশক আগে এই নদীতে রুই, কাতল, আইর, পাবদা, বোয়াল, বেরালীসহ প্রচুর মাছ পাওয়া যেত। অথচ এখন মাছশূন্য রয়েছে নদী। জেলেরা এ পেশা ছেড়ে দিয়েছে। তাদের অনেকে ভিটেমাটি ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছে। খুব কষ্টে দিন কাটছে তাদের। একই গ্রামের রমজান আলী জানান, এক সময় তিস্তা নদীতে বড় বড় পাট, ধান, তামাক বোঝাই নৌকা চলাচল করত। অথচ এখন নদীর গভীরতা কমে গেছে। পানির অভাবে প্রায় ৭৫টি ঘাট বন্ধ হয়েছে। মোঃ ইয়াসিন জানান, তিস্তার পানি প্রবাহ না থাকায় নদীতে কোন পলি মাটি পড়ে না। তাই আবাদও ভাল হয় না। তিস্তা পারের মানুষরা জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশে আসছেন। এতে আমরা ভীষণ খুশি। সীমানা চুক্তির মতো এবার আমাদের আশা তিস্তা নদীর চুক্তি হবে। আমরা ন্যায্য পানি পাব।
জেলা প্রশাসক এবিএম আজাদ জানান তিস্তা চুক্তি বাস্তবায়ন হলে একদিকে যেন নৌ চলাচলের নতুন পথ তৈরি হবে তেমনি হাজার হাজার কৃষক ও জেলে পরিবারের আর্থ সামাজিক উন্নয়ন ঘটবে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড, নির্বাহী প্রকৌশলী মাহফুজার রহমান জানান, তিস্তার পানির অভাবে মানুষ চরম ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। দ্রুত এই চুক্তি বাস্তবায়ন হওয়া প্রয়োজন না হলে আগামীতে উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোর চাষাবাদকৃত জমিতে এর প্রভাবে মরুভূমিতে পরিণত আশঙ্কা রয়েছে।
http://allbanglanewspapers.com/janakantha/
FIRBI WELCOME MODI!See Awami supporter JANAKANTHA edit!
স্বাগত নরেন্দ্র মোদি
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দু'দিনের সফরে আজ শনিবার ঢাকা আসছেন। বাংলাদেশে এটি তার প্রথম সফর। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে তাঁর ঢাকায় আসা। দু'দেশের মধ্যে দীর্ঘদিনের অমীমাংসিত বিষয়গুলোর সমাধানে এই সফর ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা যায়। এ সফরে দু'দেশের বন্ধুত্ব আরও মজবুত হবে।
গত বছরের মে মাসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেয়ার পর নরেন্দ্র মোদিকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মোদি তখনই বাংলাদেশে আসার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। গত মে মাসের শুরুতে সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য ভারতের রাজ্যসভা ও লোকসভায় সংবিধান সংশোধনী বিল পাস হওয়ায় মোদির ঢাকা সফর কর্মসূচী চূড়ান্ত করা হয়। নরেন্দ্র মোদি রাজনৈতিক, ভৌগোলিক ও অর্থনৈতিক দিক বিবেচনায় ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী বাংলাদেশকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিচ্ছেন। এ সফরে পারস্পরিক সংযোগ, বাণিজ্য, বিনিয়োগ খাতে নতুন সম্ভাবনা ছাড়াও অমীমাংসিত ইস্যুগুলোর সম্মানজনক সমাধান করতে চাচ্ছে উভয়পক্ষ। বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্কে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর অবনতি ঘটে। সেই থেকে বাংলাদেশে ভারতবিরোধী রাজনীতির প্রচারণা শুরু হয়। সামরিক জান্তা শাসক ও স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি ভারতবিরোধী প্রচার চালিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করার কৌশল চালায়। এ ক্ষেত্রে ক্ষাণিকটা সফলও হয় তারা। মূলত ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর দু'দেশের মধ্যে বিদ্যমান সমস্যাগুলোর সমাধানের চেষ্টা শুরু হয়। এ সময় গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তির মধ্য দিয়ে দীর্ঘদিনের বিরাজিত সমস্যার সমাধানে অগ্রগতি অর্জিত হয়। সেই থেকে দু'দেশের মধ্যে সম্পর্ক গভীরতর হতে থাকে।
মোদির এই সফরের সময় ভারতের সঙ্গে কিছু গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি, প্রটোকল ও সমঝোতা স্মারক সই হবে। ভারত চায় বাংলাদেশ তথা এই অঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতে। এ সফরে মুক্তিযুদ্ধে অনন্য অবদানের জন্য ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর সম্মাননা নরেন্দ্র মোদির হাতে তুলে দেবে বাংলাদেশ। দুই নিকটপ্রতিবেশীর অর্থনৈতিক সম্পর্ককে আরও ঘনিষ্ঠ করতে নতুন একটি ঋণচুক্তি হতে যাচ্ছে। এই চুক্তির আওতায় যোগাযোগ অবকাঠামো ও সামাজিক উন্নয়ন খাতের প্রকল্প গ্রহণের ওপর জোর দেবে বাংলাদেশ। বাংলাদেশে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে ভারতকে একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল নির্দিষ্ট করে দেয়ার বিষয়ে আলোচনা হবে। আকাশপথে বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের পর্যটকদের জন্য অন-এ্যারাইভাল ভিসা দেবে ভারত। দুই দেশই জঙ্গীবাদের হুমকির মধ্যে রয়েছে। জঙ্গীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দু'দেশের মধ্যে সমঝোতা জোরদার করতে কিছু সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন। দু'দেশের জেলে বন্দী অপরাধীদের আদান-প্রদান নিয়েও সিদ্ধান্ত হতে পারে। সফরকালে দু'দেশের মধ্যে স্বাক্ষরের জন্য উপকূলীয় জাহাজ চলাচল চুক্তি, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য চুক্তি নবায়ন, অভ্যন্তরীণ নৌ-প্রটোকল নবায়ন, সামুদ্রিক অর্থনীতি, জলবায়ু পরিবর্তন, দুর্যোগ মোকাবেলা, শিক্ষা, সংস্কৃতি, দুই দেশের মান নিয়ন্ত্রণ সংস্থার মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হবে। দ্বি-পক্ষীয় সহযোগিতাকে আরও নিবিড় করতে এবার প্রথমবারের মতো প্রকল্প বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত হবে। বাংলাদেশ ও ভারত দুই প্রতিবেশী দেশের রয়েছে ইতিহাস ও সংস্কৃতির অভিন্ন ঐতিহ্য। এই সম্পর্ককে আরও জোরদারের ক্ষেত্রে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর এই সফর নিঃসন্দেহে ইতিবাচক। মূলত প্রতিবেশীর সঙ্গে কার্যকর অংশীদারিত্ব সম্পর্ক ছাড়া উন্নয়ন সম্পূর্ণ ও টেকসই হয় না। সবার নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা ও উন্নয়ন নিশ্চিত করতে এই সফর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। দু'দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক নতুন মাত্রা পাবে মোদির এই সফরে। এই সফর হোক সমৃদ্ধ দক্ষিণ এশিয়া গড়ার নতুন দিগন্তের উন্মোচন। স্বাগত নরেন্দ্র মোদি।
ঢাকা-দিল্লী গভীর ও বহুমাত্রিক সম্পর্ক গড়াই লক্ষ্য ॥ মোদি আসছেন আজ
- ঐতিহাসিক স্থলসীমান্ত চুক্তিসহ ১৯টি চুক্তি স্বাক্ষর হচ্ছে
- উদ্বোধন হবে নয়টি কর্মসূচী
- বিকেলে শেখ হাসিনা-মোদি বৈঠক
তৌহিদুর রহমান ॥ ঢাকা ও দিল্লীর মধ্যে গভীর সম্পর্ক গড়ার লক্ষ্যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আজ শনিবার ঢাকা আসছেন। এই সফরের মধ্যে দিয়ে দুই দেশের মধ্যে বহুমাত্রিক সম্পর্ক বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে দুইদিনের সফরে ঢাকা আসছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। মোদির সফরে দুই দেশের মধ্যে ১৯টি চুক্তির প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। এছাড়া মোদির সফরের সময় দুই দেশের মধ্যে ৯টি কর্মসূচীর উদ্বোধন হবে। এদিকে মোদির সফর সামনে রেখে তিস্তা চুক্তির বিষয়ে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় একটি বিশেষ বিমানে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছবেন। বিমানবন্দরে নরেন্দ্র মোদিকে স্বাগত জানাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সফর সঙ্গী হিসেবে আসছেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল, পররাষ্ট্র সচিব ড. এস জয়শঙ্কর। এছাড়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মোদির সফর উপলক্ষে শুক্রবার ঢাকা এসেছেন। মোদির সফরে সরকারী প্রতিনিধি দলে মাত্র ১২ জন সদস্য রয়েছেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফর উপলক্ষে রাজধানীতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। এছাড়া রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর ছবি দিয়ে সুসজ্জিত করা হয়েছে। ঢাকা সফরের মধ্যে দিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নতুন অধ্যায় শুরু করতে চলেছেন বলে মনে করছেন। ঢাকা আসার আগে নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে মধুর সম্পর্ক দক্ষিণ পূর্ব-এশিয়ার এই বিস্তীর্ণ অঞ্চলে শান্তি এবং স্থায়িত্ব নিয়ে আসবে। সমস্ত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কথা বলে সংসদের অনুমোদন নিয়েই বাংলাদেশের সঙ্গে স্থলসীমান্ত চুক্তিটি করতে চলেছে ভারত। ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের পর থেকে এই সীমান্ত নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছিল। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ গঠনের পরেও সেই বিতর্ক বহাল রয়ে গেছে। আমরা এই বিতর্কের অবসান ঘটানোর চেষ্টা করছি এবং সেটা সর্বসম্মতির ভিত্তিতে। এটা আদৌ সামান্য ঘটনা নয়।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়ে গত এক বছরে মোদি এ পর্যন্ত ১৯টি দেশ সফর করেছেন। প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে ভুটান, নেপাল ও শ্রীলঙ্কায় গেছেন। বাংলাদেশে অনেক আগেই আসতে চেয়েছিলেন মোদি। তবে সীমান্ত চুক্তি বিল পাসের জন্য তার সফরে দেরি হয়। ভারতের পার্লামেন্টে স্থলসীমান্ত চুক্তি বিল পাস হওয়ার পরে তিনি এখন ঢাকা আসছেন।
তিস্তা নিয়ে ধৈর্য ধরার আহ্বান ॥ তিস্তা চুক্তি নিয়ে 'ধৈর্য ধরার'পরামর্শ দিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেছেন, সব কিছু 'রাতারাতি হয় না'। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরের আগের দিন শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন মন্ত্রী। শনি ও রবিবার মোদির ঢাকা সফরে যে বহু আলোচিত তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি হচ্ছে না, তা আগেই ভারতের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করা হয়েছিল। মাহমুদ আলীও সংবাদ সম্মেলনে সে কথাই জানিয়েছেন। এটা নিয়ে আলোচনা চলছে। তবে সফরের সময় তিস্তা চুক্তি হওয়ার কথা নয়। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তিস্তা নিয়ে দুই দেশের মধ্যে এই আলোচনা চলছে কূটনৈতিক পর্যায়ে। ডিপ্লোমেসিতে সব কিছু তো পাবলিকলি হয় না। অনেক কিছুই চোখের আড়ালে হয়। তিস্তা চুক্তি নিয়েও আলোচনা চলছে। এটা নিয়ে আমরা কাজ করছি।
২০১১ সালে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহনের ঢাকা সফরের সময় তিস্তা চুক্তি সই হওয়ার কথা থাকলেও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শেষ মুহূর্তে আপত্তি তোলায় বিষয়টি আটকে যায়। এর প্রায় সাড়ে তিন বছরের মাথায় গত ফেব্রুয়ারিতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ঢাকা এসে 'শিগগিরই তিস্তার জট খোলার'আশা দেন মমতা। এরপর মোদির ঢাকা সফরের সময় মমতারও আসার আলোচনা শুরু হলে পুরনো কাঠামোতে তিস্তা চুক্তি নিয়ে আপত্তি জানিয়ে আবারও বেঁকে বসেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ঢাকা সফরে 'তিস্তা চুক্তি না করার'আশ্বাস দিয়েই প্রধানমন্ত্রী মোদি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে সফরে আসতে রাজি করান বলে জানা গেছে।
গত ১ জুন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ স্পষ্টই জানিয়ে দেন মোদির সফরে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি সই হচ্ছে না। শুক্রবার মোদির সফর নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে এলেও তিস্তা নিয়ে নানা প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয় তাকে।'চোখের আড়ালে'তিস্তার আলোচনা প্রসঙ্গে মাহমুদ আলী বলেন, এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। আর এ জন্য একসঙ্গে কাজ করতে হবে। আমরা অনেক সমস্যার সমাধান করেছি। আর আমাদের সম্পর্ক একটি ঐতিহাসিক উচ্চতায় পৌঁছেছে। আমরা নিশ্চই এ বিষয়ে আরও আলোচনা করব।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর এই সফরে দুই দেশের আলোচনায় আঞ্চলিক যোগাযোগের বিষয়টিই প্রাধান্য পাবে। ঢাকা সফর নিয়ে উচ্ছ্বসিত মোদিও বৃহস্পতিবার রাতে এক টুইটে লিখেছেন, আমি দৃঢ়ভাবে আশাবাদী যে আমার বাংলাদেশ সফর আমাদের বন্ধন আরও মজবুত করবে এবং তাতে দুই দেশের জনগণই উপকৃত হবে।
বাংলাদেশ-ভারত স্থল সীমান্ত চুক্তি কার্যকরের সব বাধা কাটিয়ে ওঠার পর নরেন্দ্র মোদির এই সফর। ৪১ বছর ধরে ঝুলে থাকা সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নের পথ তৈরি হওয়ায় দুই দেশের ১৬২টি ছিটমহলের প্রায় ৫ হাজার মানুষ জীবন বদলের স্বপ্ন দেখছে। সেই স্থল সীমান্ত চুক্তির প্রোটোকলে দুই দেশের অনুসমর্থনের দলিল মোদীর সফরে বিনিময় হবে বলে মাহমুদ আলী সংবাদ সম্মেলনে জানান।
১৯ চুক্তির প্রস্তুতি ॥ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরে আন্তঃযোগাযোগ, সীমান্ত নিরাপত্তা, বাণিজ্য সহযোগিতার মতো অন্তত ১৯টি বিষয়ে চুক্তি ও আলোচনা হওয়ার কথা, যার মধ্য দিয়ে দুই দেশের সম্পর্ক আরও এগিয়ে যাবে বলে আশা করছে বাংলাদেশ। দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে স্থল সীমানা নির্ধারণ সংক্রান্ত চুক্তির অনুসমর্থনের দলিল বিনিময় হবে। মোদির সফরে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি, অভ্যন্তরীণ নৌ প্রটোকল, উপকূলীয় নৌ চলাচল চুক্তি, পণ্যের মান স্ট্যান্ডার্ডাইজেশন সংক্রান্ত সহযোগিতা চুক্তি, সাংস্কৃতিক বিনিময় চুক্তি হবে। এছাড়াও দুই দেশের উপকূলীয় অঞ্চল নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত বাহিনীর মধ্যে সহযোগিতা, মানবপাচার প্রতিরোধ, জাল নোট পাচার প্রতিরোধ, সমুদ্র অর্থনীতি বিকাশে সহযোগিতার জন্য সমঝোতা স্মারক সই হবে।
৯ কর্মসূচী উদ্বোধন ॥ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরে ৯টি কর্মসূচীর উদ্বোধন হবে বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এসব কর্মসূচীর মধ্যে রয়েছে কলকাতা-ঢাকা-আগরতলা বাস সেবা, ঢাকা-শিলং-গুয়াহাটি বাস সেবা চালু। এছাড়া খুলনা-মংলা রেল লাইন, কুলাউড়া-শাহাবাজপুর রেল সংযোগ পুনর্বহাল, শিলাইদহের কুঠিবাড়ীতে রবীন্দ্রভবন, সারদা পুলিশ একাডেমিতে একটি মৈত্রী ভবন, ফেনী নদীর ওপর সেতু নির্মাণ প্রকল্প, বিএসটিআই-এর একটি পরীক্ষাগার ও একটি সীমান্ত হাট উদ্বোধন করা হবে।
মোদির সফরসূচী ॥ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকা পৌঁছার পর শাহজালাল বিমানবন্দরে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীকে রাষ্ট্রীয় সম্মান দেয়া হবে। বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে স্বাগত জানাবেন। ঢাকা পৌঁছার পর নরেন্দ্র মোদি সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে যাবেন মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে। সেখান থেকে তিনি যাবেন ধানম-িতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে। শনিবার দুপুরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সঙ্গে বৈঠক হবে নরেন্দ্র মোদির। একই দিন বিকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কার্যালয়ে দ্বি-পক্ষীয় বৈঠক হবে। ওই বৈঠকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও থাকবেন। রবিবার সকালে ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শন ছাড়াও বিকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বক্তৃতা দেবেন মোদি। এরপর সন্ধ্যায়ই তিনি ঢাকা ছাড়বেন।
১০০ প্রকার নিরামিষ ॥ ঢাকায় প্রথমবারের মতো আসছেন মোদি। আর অতিথি পরায়ণ দেশ হিসেবে বাংলাদেশের সুনাম রয়েছে বিশ্ব জুড়ে। তাই মোদিকে আপ্যায়নের জন্য বিশেষ প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। মোদির সফরে অনন্ত ১০০ রকমের নিরামিষ রান্নার আয়োজন করা হয়েছে। খাদ্য তালিকায় থাকছে মসুর ডাল ও নানা ধরনের সবজি দিয়ে তৈরি 'মসলা খিচুরি'। সঙ্গে থাকবে নানা ধরনের এবং স্বাদের ডালনা, সর্ষে দিয়ে সজনে ডাঁটা, আমের চাটনি। মোদির নিজস্ব পছন্দ 'ভে-ি কড়ি', ভে-ি অর্থাৎ ঢেঁড়স আর দুধ দিয়ে তৈরি। মোদির পছন্দের গুজরাটি খাবার 'সাদা খাট্টা ধোকলা'ও থাকবে। এ সবের সঙ্গে থাকবে তাজা ফল, আর অবশ্যই বাংলাদেশের বিখ্যাত পিঠেপুলি, পায়েস, ক্ষীর, সন্দেশ। এগুলোর পাশাপাশি ঢাকা থেকে মোদির খাবারের পছন্দের তালিকা জানতে চাওয়া হয়। সেই হিসেবেই এসব রান্নার আয়োজন করা হয়েছে।
http://allbanglanewspapers.com/janakantha/
West Bengal Chief Minister Mamata Banerjee arrives in Dhaka
State Minister for Foreign Affairs Md Shahriar Alam received her at the airport after a regular Air India flight landed at about 8:40pm, his aide told bdnews24.com.
From the airport, she drove straight to Radisson Blu Water Garden Hotel where she will stay.
Modi with his entire entourage will stay at Pan Pacific Sonargoan.
She earlier said she would leave on Saturday after witnessing the exchange of instruments on ratification of the Land Boundary Agreement at the Prime Minister's Office.
Before that, she will call on Modi at his hotel.
It is due to Banerjee's resistance that the much-talked-about Teesta water-sharing deal would not be inked this time like it was not during Manmohan Singh's 2011 visit.
She came back within three months of her first Bangladesh visit as Chief Minister.
Dhaka is keeping hopes alive of getting the Teesta deal inked in future.
Foreign Minister Abul Hassan Mahmood Ali told reporters on Friday that they were working on it, and that "everything does not come overnight".
Modi will arrive at about 10:30am on Saturday in a special Indian Air Force flight.
He will return on Sunday evening, ending a 36-hour whirlwind tour when a range of instruments would be signed to enhance trade and connectivity.