গরম থেকে বাঁচতে, চুমুক দাও আস্তে আস্তে
সোনা চাই দানা চাই
মিছরির পানা চাই
এসি চাই ফ্রিজ চাই
ব্যাপক দাবদাহে এখনও ভারতে ৪০০ জন মানুষ মারা গেছেন বলে জানা যাচ্ছে । পারাদ্বীপ বন্দরের কাছে ওড়িশার উপকূল জুড়ে লাখ লাখ গাছ কেটে দেওয়ার ফলে কবছর আগে বিশাল ঘূর্ণি ঝড়ে প্রান হারিয়েছিলেন হাজার হাজার মানুষ । ওই গাছ গুলো উপকূলে ঝড়ের ব্যারিকেড করতো ।
বড় বাঁধের ফলে বহু জায়গা আজ বন্যা কবলিত । নদীর স্বাভাবিক গতিপথে বড় বাঁধ তৈরি করে তার গলায় বকলস পরিয়ে নদীকে শাসনের যে ইতিহাস শুরু হয়েছিলো, নদী তা ফিরিয়ে দিয়েছে ।
কদিন আগে নেপালে যে ভুমিকম্প হয়েছে, বহু পেটোয়া সংবাদপত্র, আবহাওয়া বিজ্ঞানী তারস্বরে চিৎকার করছে এর সঙ্গে মানুষের কোন সম্পর্ক নেই । ঠিক ভুমিকম্পের পরেই এই আওয়াজ তীব্রতর হয়েছে । কিন্তু যে পরিমানে গড় তাপমাত্রা বাড়ছে, সেখানে বরফ গলছে এবং তা এসে জমা হচ্ছে উপকূল অঞ্চলে, বন্যার প্রবনতা বাড়ছে এবং সে চাপ দিচ্ছে লিথোস্ফিয়ারে । হয়তো বরফ পিণ্ড গলতই কিন্তু আমরা তাকে তরান্বিত করছি । এরকম কারনেও ভুমিকম্প হতেই পারে ।
এখন দেখছি এই প্রবল গরম থেকে বাঁচতে সকলেই চাইছে পাহাড়ে যেতে । ট্রেনের টিকিট বুকিং চলছে । পাহাড়ে গিয়ে কি হবে, সেখানে বারুন থাকা সত্ত্বেও গড়ে উঠবে ১০ তলা বাড়ি । যেখানে সবসময় বিদ্যুৎ জোগানের জন্য নদীতে বাঁধ দিয়ে তৈরি হবে জল বিদ্যুৎ । পর্যটকদের জন্য থাকবে হেলিকপ্টার রাইড এবং এরই পরিনতিতে ঘটবে উত্তরাখণ্ড ।
পাহাড়, নদী, জঙ্গল বাঁচানোর যখন চেষ্টা করবে ভারতের ভুমিপত্ররা তখন তাদের গুদুম গুদুম করে মারা হবে । তারা যখন গাছ বাঁচাতে রাতের পর রাত গাছ জড়িয়ে ধরে দাঁড়িয়ে থাকবেন তখন গাছের সাথেই তাদের চেরা হবে করাত দিয়ে । তারা যখন নিয়মগিরি, গন্ধমারদন পাহাড় লুঠতে দেবেন না, তখন তাদের জেল বন্দী করা হবে । তারা যখন নর্মদায় বাঁধ দিতে দেবেন না বলে, কুদানকুলামে নিউক্লিয়ার পাওয়ার বানাতে দেবেন না বলে গলা পর্যন্ত বালিতে, জলে ডুবে প্রতিবাদ করবেন তখন শহুরে বানচোত'রা মধুচন্দ্রিমা করবেন, মৌজ করবেন । খিস্তি করবেন ।
শালবন, পাহাড়, ঝর্না, নদী, উপকূল সব সব সব থাকুক জারোয়া দের জন্য । অসভ্য বর্বর লুঠেরা শহুরেদের জন্য একচিলতে বসুন্ধরাও নয় ।