পরিবেশ, জনস্বাস্থ্য,মানবিক কারণেই পাবলিক টয়লেট তৈরীতে বিশেষ পদক্ষেপ জরুরী
Abdullah Haider <monrosu1@gmail.com>
মানুষ জনসমাগমের স্থানে বা প্রকাশ্য স্থানে বসে-শুয়ে থাকতে পারে, অবস্থান করতে পারে; কিন্তু ইস্তিঞ্জা করতে পারে না। কিন্তু এমন একটি অতীব জরুরী বিষয়ে গণতন্ত্রের বিধানে কোনো গুরুত্ব নেই। অথচ যত্রতত্র ইস্তিঞ্জা করায় পবিত্রতা নষ্ট হয়। 'পবিত্রতা'সম্মানিত ঈমান উনার অঙ্গ। তাই একটি আদর্শ শহরে পর্যাপ্ত সংখ্যক পাবলিক টয়লেট বা হাম্মামখানা থাকা জরুরী।
পরিবেশ, জনস্বাস্থ্য,মানবিক কারণেই সরকারকে পাবলিক টয়লেট বিষয়ে বিশেষ পদক্ষেপ জরুরীজানা গেছে, রাজধানীতে অবস্থানকারী হাজার হাজার ভাসমান মানুষ সন্ধ্যার পর থেকে রাতে ইস্তিঞ্জা করে থাকে। রাজধানীর রাস্তা, ফুটপাত ও খোলা স্থানে অবস্থানকারী, ভাসমান মানুষ, ফকির, পাগল, ভবঘুরে, কুলি-মজুর, রিকশাচালকদের অনেকেই রাতের আঁধারে খোলা স্থানে এ কাজটি করছে। রাজধানীর যেসব এলাকায় ভাসমান ও ছিন্নমূল মানুষের চাপ বেশি, সেসব এলাকায় পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকা, খোলা স্থানে ইস্তিঞ্জা করায় পরিবেশ নষ্ট হওয়া ও পবিত্রতা নষ্ট হওয়া সম্পর্কে প্রয়োজনীয় সচেতনতার অভাব এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা ও অবহেলার কারণে এ ঘটনা ঘটছে।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, রাজধানীর এক কোটি ২০ লাখেরও বেশি মানুষের ৫০ শতাংশই থাকে বিভিন্ন বস্তিতে। সম্প্রতি জাতীয় সংসদে উত্থাপিত এক প্রশ্নের জবাবে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম জানিয়েছে, বর্তমানে ঢাকা শহরে বস্তির সংখ্যা প্রায় ৪ হাজার ৭২০টি। বস্তিবাসীর সংখ্যা প্রায় ৬০ লাখ। এছাড়া রাস্তাঘাটে চলা ভাসমান মানুষের সংখ্যাও কম নয়। এদের যেমন নেই নাগরিক অধিকার, তেমনি নেই পর্যাপ্ত ও স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট। এই ৬০ লাখেরও বেশি মানুষের জীবন-জীবিকা ও অধিকার নির্বোধ রাষ্ট্রযন্ত্রের বিবেচনায় থাকে না। নদীভাঙন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, কর্মসংস্থানের অভাব, গ্রামে চরম দারিদ্র্যের সাথে সংগ্রাম করে হাজার হাজার মানুষ শহরে এসে কেউ বস্তিবাসী, ছিন্নমূল ও ভাসমান মানুষে পরিণত হচ্ছে।
ঢাকাসহ সারাদেশে পাবলিক টয়লেটের সংখ্যা এত কম যে, এগুলোর অবস্থান কারো তেমন একটা চোখে পড়ে না। ইউনিসেফের রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১১ সালে দেশের মোট জনসংখ্যার ২৮ ভাগ নগরীতে বাস করছে, যা ৪ কোটি ১৭ লাখ। বর্তমানে এ সংখ্যা ৫ কোটি ছাড়িয়েছে। ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, বরিশাল, সিলেট বিভাগীয় শহরসহ গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনে বসবাসরত কয়েক কোটি নাগরিকের ব্যবহারের জন্য সর্বমোট মাত্র ১৭৩টি পাবলিক টয়লেট রয়েছে, যা অবিশ্বাস্য বটে। তাছাড়া এগুলোর বেশিরভাগই ব্যবহারের অযোগ্য। কাগজে-কলমে ১৭৩ পাবলিক টয়লেট থাকলেও অনেকগুলোই বাস্তবে চোখে পড়ে না। ক্ষমতাবানরা দখল করে টয়লেট ভেঙ্গে ব্যবসা পরিচালনা করছে- এমন নজিরও কম নয়। অনেক টয়লেট পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তাছাড়া স্থান থাকা সত্ত্বেও নতুন কোনো পাবলিক টয়লেট স্থাপনে সরকারের তেমন কোনো আগ্রহও দেখা যায় না। স্বাধীনতা পরবর্তী কোনো সরকারই পাবলিক টয়লেট সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসেনি। প্রতিনিয়ত এ অবস্থার অবনতি ঘটছে।
এক গবেষণায় দেখা গেছে, ঢাকার সিটি কর্পোরেশন এলাকায় মোট ৬৯টি পাবলিক টয়লেট রয়েছে। সে হিসেবে প্রায় পৌনে দুই লাখ মানুষের জন্য গড়ে একটি করে শৌচাগার রয়েছে। যার মধ্যে পাঁচটি মোটামুটি ব্যবহার উপযোগী। দুটি ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে, দশটি সম্পূর্ণরূপে বন্ধ রয়েছে, দশটিতে কোনো সেবা নেই। এরপরে টয়লেটে মেয়েদের এখন আর আলাদা ব্যবস্থা নেই। ৫০ ভাগ টয়লেটে নিয়মিত পানি থাকে না। ৭০ ভাগে প্রয়োজনীয় আলোর ব্যবস্থা নেই।
নোংরা ও নিরাপত্তাহীনতার কারণে টার্মিনালগুলোর পাবলিক টয়লেট কেউ ব্যবহার করতে চায় না। তাছাড়া পরিবহন সংশ্লিষ্ট কর্মচারীদের দখল, টয়লেট এলাকায় গাড়ির ধোঁয়াসহ নানা প্রতিবন্ধকতায় টয়লেটে যাওয়াই কঠিন। বিশেষ করে মহিলা ও শিশুরা সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার হচ্ছে টার্মিনালে টয়লেট ব্যবহারে।
তবে টয়লেটের অবস্থা যত খারাপই হোক না কেন, ইজারাদাররা টাকা নেয়ার ক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই। বরং তারা সিটি কর্পোরেশনের নির্ধারিত রেটের চেয়েও বেশি টাকা আদায় করে।
নিয়ম অনুযায়ী বড় ইস্তিঞ্জার জন্য ৩ টাকা এবং ছোট ইস্তিঞ্জার জন্য ২ টাকা করে আদায় করার কথা। কিন্তু আদায় করা হচ্ছে গড়ে ৫ টাকা করে।
এর সঙ্গে হাত-মুখ ধুলে আরো দুই টাকাসহ মোট দিতে হয় ৭ টাকা। এটা সাধারণ মানুষদের জন্য অনেক বড় যুলুম হয়ে যায়।
উল্লেখ্য, পরিবেশ, জনস্বাস্থ্য এবং অর্থনীতির উপর নেতিবাচক প্রভাব রোধে পাবলিক টয়লেট বিষয়ে বিশেষ পদক্ষেপ জরুরী। যেমন- পাবলিক টয়লেট বিষয়ক সুষ্ঠু নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা, প্রত্যেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মার্কেট, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, ঐতিহ্যবাহী স্থান, বাস-রেল-লঞ্চ টার্মিনাল, হাসপাতাল পাবলিক হল, সভাস্থল, গোরস্থান, অস্থায়ী বাজার ইত্যাদি স্থানে পর্যাপ্ত পরিমাণে স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেটের ব্যবস্থা করা। এছাড়া রেল, নৌ ও অন্যান্য পরিবহনের পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা উন্নত করা, সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে গণসচেতনতা বৃদ্ধিকল্পে বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে পাবলিক টয়লেট ব্যবহার বিষয়ে প্রচারণা বৃদ্ধি ও প্রতিটি জেলা শহরের জনসংখ্যা অনুপাতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক পাবলিক টয়লেট উপযুক্ত স্থানে স্থাপন করা, প্রতিটি টয়লেটে পানি, সাবান, তোয়ালে, টয়লেট টিস্যু/ক্লথ ইত্যাদির পর্যাপ্ত পরিমাণ নিশ্চিত করাসহ অন্যান্য অস্থায়ী স্থানে যেখানে জনসমাগম বেশি সেখানে 'মোবাইল টয়লেট'-এর ব্যবস্থা করা। পাবলিক টয়লেট নোংরা, অপরিচ্ছন্ন এবং অন্যান্য সুবিধা না থাকার প্রেক্ষিতে ইজারা বাতিল বা শাস্তিমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, বর্তমান কল্যাণমূলক রাষ্ট্রের দাবিদার গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার- এ বিষয়টি সম্পর্কে জাহেল (তথা অজ্ঞ ও উদাসীন) থাকলেও সম্মানিত ইসলামী খিলাফতে কিন্তু ঠিকই এর বিশেষ নজির রয়ে গেছে। পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার দ্বিতীয় খলীফা, আমীরুল মু'মিনীন, খলীফাতুল মুসলিমীন সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ'যম আলাইহিস সালাম উনার খিলাফতকালে ছোট সুফতাত শহরে মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন ৩৬টি। কিন্তু হাম্মামখানা নির্মাণ করেছিলেন ১১৭০টি। সুবহানাল্লাহ!
ঢাকা শহরে মসজিদগুলোর ইস্তিঞ্জাখানা কেবল নামাযের সময় খোলা হয়। যা সাধারণের হাজত পূরণে বাধা। মানবিক কারণেই সরকারকে এ সমস্যা সমাধানে সক্রিয় হতে হবে।
মানুষ জনসমাগমের স্থানে বা প্রকাশ্য স্থানে বসে-শুয়ে থাকতে পারে, অবস্থান করতে পারে; কিন্তু ইস্তিঞ্জা করতে পারে না। কিন্তু এমন একটি অতীব জরুরী বিষয়ে গণতন্ত্রের বিধানে কোনো গুরুত্ব নেই। অথচ যত্রতত্র ইস্তিঞ্জা করায় পবিত্রতা নষ্ট হয়। 'পবিত্রতা'সম্মানিত ঈমান উনার অঙ্গ। তাই একটি আদর্শ শহরে পর্যাপ্ত সংখ্যক পাবলিক টয়লেট বা হাম্মামখানা থাকা জরুরী।
পরিবেশ, জনস্বাস্থ্য,মানবিক কারণেই সরকারকে পাবলিক টয়লেট বিষয়ে বিশেষ পদক্ষেপ জরুরীজানা গেছে, রাজধানীতে অবস্থানকারী হাজার হাজার ভাসমান মানুষ সন্ধ্যার পর থেকে রাতে ইস্তিঞ্জা করে থাকে। রাজধানীর রাস্তা, ফুটপাত ও খোলা স্থানে অবস্থানকারী, ভাসমান মানুষ, ফকির, পাগল, ভবঘুরে, কুলি-মজুর, রিকশাচালকদের অনেকেই রাতের আঁধারে খোলা স্থানে এ কাজটি করছে। রাজধানীর যেসব এলাকায় ভাসমান ও ছিন্নমূল মানুষের চাপ বেশি, সেসব এলাকায় পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকা, খোলা স্থানে ইস্তিঞ্জা করায় পরিবেশ নষ্ট হওয়া ও পবিত্রতা নষ্ট হওয়া সম্পর্কে প্রয়োজনীয় সচেতনতার অভাব এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা ও অবহেলার কারণে এ ঘটনা ঘটছে।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, রাজধানীর এক কোটি ২০ লাখেরও বেশি মানুষের ৫০ শতাংশই থাকে বিভিন্ন বস্তিতে। সম্প্রতি জাতীয় সংসদে উত্থাপিত এক প্রশ্নের জবাবে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম জানিয়েছে, বর্তমানে ঢাকা শহরে বস্তির সংখ্যা প্রায় ৪ হাজার ৭২০টি। বস্তিবাসীর সংখ্যা প্রায় ৬০ লাখ। এছাড়া রাস্তাঘাটে চলা ভাসমান মানুষের সংখ্যাও কম নয়। এদের যেমন নেই নাগরিক অধিকার, তেমনি নেই পর্যাপ্ত ও স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট। এই ৬০ লাখেরও বেশি মানুষের জীবন-জীবিকা ও অধিকার নির্বোধ রাষ্ট্রযন্ত্রের বিবেচনায় থাকে না। নদীভাঙন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, কর্মসংস্থানের অভাব, গ্রামে চরম দারিদ্র্যের সাথে সংগ্রাম করে হাজার হাজার মানুষ শহরে এসে কেউ বস্তিবাসী, ছিন্নমূল ও ভাসমান মানুষে পরিণত হচ্ছে।
ঢাকাসহ সারাদেশে পাবলিক টয়লেটের সংখ্যা এত কম যে, এগুলোর অবস্থান কারো তেমন একটা চোখে পড়ে না। ইউনিসেফের রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১১ সালে দেশের মোট জনসংখ্যার ২৮ ভাগ নগরীতে বাস করছে, যা ৪ কোটি ১৭ লাখ। বর্তমানে এ সংখ্যা ৫ কোটি ছাড়িয়েছে। ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, বরিশাল, সিলেট বিভাগীয় শহরসহ গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনে বসবাসরত কয়েক কোটি নাগরিকের ব্যবহারের জন্য সর্বমোট মাত্র ১৭৩টি পাবলিক টয়লেট রয়েছে, যা অবিশ্বাস্য বটে। তাছাড়া এগুলোর বেশিরভাগই ব্যবহারের অযোগ্য। কাগজে-কলমে ১৭৩ পাবলিক টয়লেট থাকলেও অনেকগুলোই বাস্তবে চোখে পড়ে না। ক্ষমতাবানরা দখল করে টয়লেট ভেঙ্গে ব্যবসা পরিচালনা করছে- এমন নজিরও কম নয়। অনেক টয়লেট পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তাছাড়া স্থান থাকা সত্ত্বেও নতুন কোনো পাবলিক টয়লেট স্থাপনে সরকারের তেমন কোনো আগ্রহও দেখা যায় না। স্বাধীনতা পরবর্তী কোনো সরকারই পাবলিক টয়লেট সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসেনি। প্রতিনিয়ত এ অবস্থার অবনতি ঘটছে।
এক গবেষণায় দেখা গেছে, ঢাকার সিটি কর্পোরেশন এলাকায় মোট ৬৯টি পাবলিক টয়লেট রয়েছে। সে হিসেবে প্রায় পৌনে দুই লাখ মানুষের জন্য গড়ে একটি করে শৌচাগার রয়েছে। যার মধ্যে পাঁচটি মোটামুটি ব্যবহার উপযোগী। দুটি ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে, দশটি সম্পূর্ণরূপে বন্ধ রয়েছে, দশটিতে কোনো সেবা নেই। এরপরে টয়লেটে মেয়েদের এখন আর আলাদা ব্যবস্থা নেই। ৫০ ভাগ টয়লেটে নিয়মিত পানি থাকে না। ৭০ ভাগে প্রয়োজনীয় আলোর ব্যবস্থা নেই।
নোংরা ও নিরাপত্তাহীনতার কারণে টার্মিনালগুলোর পাবলিক টয়লেট কেউ ব্যবহার করতে চায় না। তাছাড়া পরিবহন সংশ্লিষ্ট কর্মচারীদের দখল, টয়লেট এলাকায় গাড়ির ধোঁয়াসহ নানা প্রতিবন্ধকতায় টয়লেটে যাওয়াই কঠিন। বিশেষ করে মহিলা ও শিশুরা সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার হচ্ছে টার্মিনালে টয়লেট ব্যবহারে।
তবে টয়লেটের অবস্থা যত খারাপই হোক না কেন, ইজারাদাররা টাকা নেয়ার ক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই। বরং তারা সিটি কর্পোরেশনের নির্ধারিত রেটের চেয়েও বেশি টাকা আদায় করে।
নিয়ম অনুযায়ী বড় ইস্তিঞ্জার জন্য ৩ টাকা এবং ছোট ইস্তিঞ্জার জন্য ২ টাকা করে আদায় করার কথা। কিন্তু আদায় করা হচ্ছে গড়ে ৫ টাকা করে।
এর সঙ্গে হাত-মুখ ধুলে আরো দুই টাকাসহ মোট দিতে হয় ৭ টাকা। এটা সাধারণ মানুষদের জন্য অনেক বড় যুলুম হয়ে যায়।
উল্লেখ্য, পরিবেশ, জনস্বাস্থ্য এবং অর্থনীতির উপর নেতিবাচক প্রভাব রোধে পাবলিক টয়লেট বিষয়ে বিশেষ পদক্ষেপ জরুরী। যেমন- পাবলিক টয়লেট বিষয়ক সুষ্ঠু নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা, প্রত্যেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মার্কেট, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, ঐতিহ্যবাহী স্থান, বাস-রেল-লঞ্চ টার্মিনাল, হাসপাতাল পাবলিক হল, সভাস্থল, গোরস্থান, অস্থায়ী বাজার ইত্যাদি স্থানে পর্যাপ্ত পরিমাণে স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেটের ব্যবস্থা করা। এছাড়া রেল, নৌ ও অন্যান্য পরিবহনের পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা উন্নত করা, সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে গণসচেতনতা বৃদ্ধিকল্পে বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে পাবলিক টয়লেট ব্যবহার বিষয়ে প্রচারণা বৃদ্ধি ও প্রতিটি জেলা শহরের জনসংখ্যা অনুপাতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক পাবলিক টয়লেট উপযুক্ত স্থানে স্থাপন করা, প্রতিটি টয়লেটে পানি, সাবান, তোয়ালে, টয়লেট টিস্যু/ক্লথ ইত্যাদির পর্যাপ্ত পরিমাণ নিশ্চিত করাসহ অন্যান্য অস্থায়ী স্থানে যেখানে জনসমাগম বেশি সেখানে 'মোবাইল টয়লেট'-এর ব্যবস্থা করা। পাবলিক টয়লেট নোংরা, অপরিচ্ছন্ন এবং অন্যান্য সুবিধা না থাকার প্রেক্ষিতে ইজারা বাতিল বা শাস্তিমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, বর্তমান কল্যাণমূলক রাষ্ট্রের দাবিদার গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার- এ বিষয়টি সম্পর্কে জাহেল (তথা অজ্ঞ ও উদাসীন) থাকলেও সম্মানিত ইসলামী খিলাফতে কিন্তু ঠিকই এর বিশেষ নজির রয়ে গেছে। পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার দ্বিতীয় খলীফা, আমীরুল মু'মিনীন, খলীফাতুল মুসলিমীন সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ'যম আলাইহিস সালাম উনার খিলাফতকালে ছোট সুফতাত শহরে মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন ৩৬টি। কিন্তু হাম্মামখানা নির্মাণ করেছিলেন ১১৭০টি। সুবহানাল্লাহ!
ঢাকা শহরে মসজিদগুলোর ইস্তিঞ্জাখানা কেবল নামাযের সময় খোলা হয়। যা সাধারণের হাজত পূরণে বাধা। মানবিক কারণেই সরকারকে এ সমস্যা সমাধানে সক্রিয় হতে হবে।