বৈবাহিক ধর্ষণ
পঙ্কজ
ধর্ষণের সংজ্ঞা থেকে 'বৈবাহিক ধর্ষণ'মুছে ফেলার জন্য ইন্ডিয়া পেনাল কোডে সংশোধনী বিল আনতে হবে কিনা- এই ছিল কানীমোঝির প্রশ্ন। উত্তরে বর্তমান কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী হরিভাই পরতীভাই চৌধুরী রাজ্যসভায় ঘোষণা করেছেন, ভারতে 'বৈবাহিক ধর্ষণ'অপরাধ বলে পরিগণিত হবে না। কারণ ভারতে 'বিবাহ'হল অতি পবিত্র। 'বৈবাহিক ধর্ষণ'ভারতীয় সংস্কৃতির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।
ভারতে বিভিন্ন সংস্কৃতির মানুষ বাস করে- সেটা কি জানেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী? ওনার হিন্দু সংস্কৃতি যে মূলত ধর্ষণ সংস্কৃতি, নারীদের অবদমন করে রাখার সংস্কৃতি- এটা কি RSS আপনাকে বলেনি। কোনও পুরুষ যদি তার বউয়ের অনিচ্ছা সত্ত্বেও তাকে জোর করে সঙ্গম করে, ভারতীয় আইন বলে এটা ধর্ষণ। আপনার ভারতীয় সংস্কৃতি বিবাহিতা নারীকে পুরুষের দাসী, ভোগ্য বস্তু রূপেই দেখতে অভ্যস্ত। এজন্যেই কি আপনি মনে করেন নারীরা পুরুষের খেলার পুতুল! (তাই) 'বৈবাহিক ধর্ষণ ভারতীয় সংস্কৃতিতে প্রযোজ্য নয়'।
রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার হাইকমিশনার ১১৯৩-এর ডিসেম্বরে ঘোষণা করেন 'বৈবাহিক ধর্ষণ'মানবাধিকারকে লঙ্খন করে। বিশ্বের প্রায় সব দেশেই বৈবাহিক ধর্ষণকে অপরাধ হিসেবে দেখা হয়।
২০১৩-র ১৬ ডিসেম্বরের দিল্লীর গণধর্ষণের পর J.S. Verma কমিটি ভারতে বৈবাহিক ধর্ষণকে অপরাধ হিসেবে আইনের আওতায় আনার কথা বলেছিলেন।
রাষ্ট্রপুঞ্জের পরিসংখ্যান মতে বিবাহিতা ভারতীয় নারীদের ৭৫ শতাংশই বৈবাহিক ধর্ষণের শিকার।
এই ধর্ষণ প্রতিদিনই ঘটে চলে। তবে তারা সেই ধর্ষণের বিরুদ্ধে থানায় বা আদালতে জানাতে ভয় পায় সমাজ কী বলবে সে কারণে।
প্রাতিষ্ঠানিক বিয়ের ক্ষেত্রে এখানে পাত্র-পাত্রীরা একে অপরের 'স্ট্যাটাস সিম্বল'দেখে বিয়ে করে। গভীর বন্ধুত্ব, প্রেম থাকে অনুপস্থিত। তাই তাদের মধ্যে শুধুমাত্র যৌন স্বত্বাধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়। 'মাতৃত্বেই নারীদের চরম সার্থকতা'এমন লাগাতার প্রচার চালিয়ে নারীকে শুধু সন্তান উৎপাদনকারী এবং যৌন উত্তেজনা-ভোগকারী যন্ত্র হিসেবেই কাজে লাগাতে চেয়েছে এবং চাইছে পুরুষশাসিত এই সমাজ।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কোনও উত্তর দেওয়ার আগে ভেবে দেখুন কি পরিপ্রেক্ষিতে তা বলছেন। আপনি স্বৈরাচারী মন্তব্য করা বন্ধ করুন। আপনার মন্তব্য অত্যাচারী পুরুষদের আরও উৎসাহিত করবে এবং নারীদের যৌন নিপীড়ন করার সাহস যোগাতে পারে। আপনার এই বেকুব মন্তব্যের জন্য আপনাকে তীব্র ধিক্কার জানাই।
http://www.srai.org/%E0%A6%AC%E0%A7%88%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E…/
ভারতে বিভিন্ন সংস্কৃতির মানুষ বাস করে- সেটা কি জানেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী? ওনার হিন্দু সংস্কৃতি যে মূলত ধর্ষণ সংস্কৃতি, নারীদের অবদমন করে রাখার সংস্কৃতি- এটা কি RSS আপনাকে বলেনি। কোনও পুরুষ যদি তার বউয়ের অনিচ্ছা সত্ত্বেও তাকে জোর করে সঙ্গম করে, ভারতীয় আইন বলে এটা ধর্ষণ। আপনার ভারতীয় সংস্কৃতি বিবাহিতা নারীকে পুরুষের দাসী, ভোগ্য বস্তু রূপেই দেখতে অভ্যস্ত। এজন্যেই কি আপনি মনে করেন নারীরা পুরুষের খেলার পুতুল! (তাই) 'বৈবাহিক ধর্ষণ ভারতীয় সংস্কৃতিতে প্রযোজ্য নয়'।
রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার হাইকমিশনার ১১৯৩-এর ডিসেম্বরে ঘোষণা করেন 'বৈবাহিক ধর্ষণ'মানবাধিকারকে লঙ্খন করে। বিশ্বের প্রায় সব দেশেই বৈবাহিক ধর্ষণকে অপরাধ হিসেবে দেখা হয়।
২০১৩-র ১৬ ডিসেম্বরের দিল্লীর গণধর্ষণের পর J.S. Verma কমিটি ভারতে বৈবাহিক ধর্ষণকে অপরাধ হিসেবে আইনের আওতায় আনার কথা বলেছিলেন।
রাষ্ট্রপুঞ্জের পরিসংখ্যান মতে বিবাহিতা ভারতীয় নারীদের ৭৫ শতাংশই বৈবাহিক ধর্ষণের শিকার।
এই ধর্ষণ প্রতিদিনই ঘটে চলে। তবে তারা সেই ধর্ষণের বিরুদ্ধে থানায় বা আদালতে জানাতে ভয় পায় সমাজ কী বলবে সে কারণে।
প্রাতিষ্ঠানিক বিয়ের ক্ষেত্রে এখানে পাত্র-পাত্রীরা একে অপরের 'স্ট্যাটাস সিম্বল'দেখে বিয়ে করে। গভীর বন্ধুত্ব, প্রেম থাকে অনুপস্থিত। তাই তাদের মধ্যে শুধুমাত্র যৌন স্বত্বাধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়। 'মাতৃত্বেই নারীদের চরম সার্থকতা'এমন লাগাতার প্রচার চালিয়ে নারীকে শুধু সন্তান উৎপাদনকারী এবং যৌন উত্তেজনা-ভোগকারী যন্ত্র হিসেবেই কাজে লাগাতে চেয়েছে এবং চাইছে পুরুষশাসিত এই সমাজ।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কোনও উত্তর দেওয়ার আগে ভেবে দেখুন কি পরিপ্রেক্ষিতে তা বলছেন। আপনি স্বৈরাচারী মন্তব্য করা বন্ধ করুন। আপনার মন্তব্য অত্যাচারী পুরুষদের আরও উৎসাহিত করবে এবং নারীদের যৌন নিপীড়ন করার সাহস যোগাতে পারে। আপনার এই বেকুব মন্তব্যের জন্য আপনাকে তীব্র ধিক্কার জানাই।
http://www.srai.org/%E0%A6%AC%E0%A7%88%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E…/