রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়'স্থাপন গ্রহণযোগ্য হতে পারে?
শরাব ও পতিতালয়ের পয়সায় লালিত-পালিত রবীন্দ্র ঠগ তার মেজদা ম্লেচ্ছ অস্পৃশ্য উগ্রতাবাদী সত্যেন্দ্রর কাছে আসার আগে বড়দা, সেজদা, পিতা তথা পরিবারের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় পরিচালিত 'হিন্দুমেলা'র দীক্ষা নিয়েছিল। হিন্দুমেলার আদর্শ লক্ষ্য ধারণ করে শরাব ও পতিতালয়ের পয়সায় লালিত-পালিত রবীন্দ্র ঠগ কবিতা-গান লিখেছিল।
হিন্দুমেলা প্রকাশ্যই ছিল হিন্দুত্ব এবং হিন্দু জাতীয়তাবাদী জাগরণের মেলা। হিন্দুমেলায় স্বদেশ মুক্তি ও স্বদেশের নামে সব কথা থাকলেও সে স্বদেশ শুধু হিন্দুদের। 'হিন্দুমেলার ইতিবৃত্ত'গ্রন্থের লেখক ম্লেচ্ছ অস্পৃশ্য উগ্রতাবাদী যোগেশচন্দ্র বাগল লিখেছেÑ মেলার সম্পাদক (ম্লেচ্ছ অস্পৃশ্য উগ্রতাবাদী) গণেন্দ্রনাথ ঠাকুর মেলার দ্বিতীয় অধিবেশনে বলে যে, 'এই মেলার প্রথম উদ্দেশ্য, বৎসরের শেষে হিন্দু জাতিকে একত্রিত করা। যত লোকের জনতা হয় ততই ইহা হিন্দুমেলা ও ইহা হিন্দুদিগের জনতা- এই মনে হইয়া হৃদয় আনন্দিত ও স্বদেশানুরাগ বর্ধিত হইয়া থাকে।'
হিন্দুমেলার অন্যতম সংগঠক ম্লেচ্ছ অস্পৃশ্য উগ্রতাবাদী মনোমোহন বসু বলে যে, 'ধর্ম সংক্রান্ত মতভেদ তিরোহিত হইয়া সকলেই সৌভ্রাত্র ও সৌহৃদ্য শৃঙ্খলে আবদ্ধ হইবে- যেখানে বৈষ্ণব, শাক্ত, শৈব, গাণপত্য, বৌদ্ধ, জৈন, নাস্তিক, আস্তিক সকলেই আপনাপন মেলা ভাবিয়া নিঃসন্দিগ্ধ চিত্তে উৎসবের সমভাগী হইতে পারে।'
হিন্দুমেলার সাফল্যে অনুপ্রাণিত হয়ে ম্লেচ্ছ অস্পৃশ্য উগ্রতাবাদী নারায়ণ বসু ১৮৬৯ সালে মেদিনীপুরে 'জাতীয় গৌরব সম্পাদনী সভা'করে। এই সভার অন্যতম সদস্য ম্লেচ্ছ অস্পৃশ্য উগ্রতাবাদী মনোমোহন বসু। নামে জাতীয় হলেও এই সভা একান্তভাবে ছিল হিন্দুদের। এই প্রসঙ্গে ম্লেচ্ছ অস্পৃশ্য উগ্রতাবাদী নবগোপাল মিত্র সম্পাদিত ঘধঃরড়হধষ চধঢ়বৎ-এ ঝ. ই. ছদ্মনামে একজন লেখে যে, 'খ্রিস্টান ও মুসলমানদের অন্তর্ভুক্ত না করলে কেবলমাত্র হিন্দুদের নিয়ে গঠিত সভাকে জাতীয় সভা বলা যায় না।'
ম্লেচ্ছ অস্পৃশ্য উগ্রতাবাদী মনোমোহন বসু এই যুক্তি উড়িয়ে দেয়, 'খ্রিস্টান ও মুসলমানের অন্তর্ভুক্তির প্রশ্ন একেবারে অবান্তর এবং তাদের বাদ দিলেও জাতীয় সভার মর্যাদা ক্ষুণœ হয় না।'
মুসলমান ও খ্রিস্টানদের উপেক্ষা করে 'হিন্দুমেলা এবং জাতীয় সভা যে ধরনের স্বাদেশিকতা ও সব্বজাত্যভিমানের লালন করেছিল, তা পরিণতিতে একটি সাম্প্রদায়িক জাতীয়তাবোধ উদ্বোধনে সহায়তা করে। বরং পরবর্তীকালের হিন্দু-মুসলিম বিভেদের বীজ এই মেলা ও জাতীয় সভায়ই বপিত হয়েছিল।
এ মন্তব্যের সবচেয়ে বড় প্রমাণ এই যে, ১৮৬০ দশকের শেষে এবং ১৮৭০ দশকে বহু খ্যাত-অখ্যাত বাঙালি সাহিত্যিক হিন্দুমেলার কিংবা জাতীয় সভার আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে যে বিপুল সাহিত্য রচনা করে, তা হিন্দু-মুসলিম সম্পর্কে কেবল অবনত নয়, রীতিমতো স্থায়ীভাবে বিনষ্ট করেছিল। '... (রবি ঠাকুর) পরিবারেও হিন্দুমেলার বিষফল ধরেছিল।'
বিশিষ্ট গবেষক অধ্যাপক গোলাম মুরশিদের এই মন্তব্যের পক্ষে বড় উদাহরণ জ্যোতিরিন্দ্রনাথ। সে জীবনস্মৃতিতে লিখেছে, 'হিন্দুমেলার পর হইতে কেবলই আমার মনে হইতো কি উপায়ে দেশের প্রতি লোকের অনুরাগ ও স্বদেশপ্রীতি উদ্বোধিত হইতে পারে। শেষে স্থির করিলাম নাটকে ঐতিহাসিক বীরগাথা ও ভারতের গৌরব কাহিনী কীর্তন করিলে, হয়তো কতকটা উদ্দেশ্য সিদ্ধ হইলেও হইতে পারে। এইভাবে অনুপ্রাণিত হইয়া কটকে থাকিতে থাকিতেই আমি 'পুরু-বিক্রম'নাটকখানি রচনা করিয়া ফেলিলাম।'রচনাকাল ফেব্রুয়ারি ১৮৭৪।
কলকাতায় ফিরে স্বদেশী সাহিত্য সম্মিলনী 'বিদ্বজ্জন সমাগম'-এ ম্লেচ্ছ অস্পৃশ্য উগ্রতাবাদী জ্যোতিরিন্দ্র 'পুরু-বিক্রম'নাটকের তৃতীয় অঙ্কের প্রথম গর্ভাঙ্ক পড়ে শোনায়।
'ভারত সংস্কারক'-এর এক প্রতিবেদনে (২৪ এপ্রিল ১৮৭৪) এই গর্ভাঙ্ক সম্পর্কে মন্তব্য করে, '... জ্যোতিরিন্দ্র এক অঙ্ক নাটক পাঠ করিলো, তাহাতে পুরু রাজা সে যবন শত্রু (মুসলমান) নিপাত করিবার জন্য সৈন্যদলকে উত্তেজিত করিতেছে এবং সৈন্যদল তাহার বাক্যের প্রতিধ্বনি করিয়া বীরমদে মাতিতেছে।'
হিন্দুমেলার প্রেরণায় কথিত স্বদেশবোধে অনুপ্রাণিত নাটক 'পুরু-বিক্রম'-এ হিন্দু বীরের বিক্রম হলো 'যবন নিধনে'। অতি বীরত্বে বঙ্কিম ও ভ্রƒ বঙ্কিম করে বঙ্গদর্শনে (ভাদ্র ১২৮১) লেখে, 'গ্রন্থখানি বীররস প্রধান এবং বীরোচিত বাক্যবিন্যাস বিস্তর আছে বটে, কিন্তু সকল স্থানেই যেন বীররসের খতিয়ান বলিয়া বোধ হয়।'
এই বীররসের নমুনা হলো। তৃতীয় অঙ্ক, প্রথম গর্ভাঙ্কে পুরু সৈন্যদের উদ্দেশ্যে বলছেÑ
'ওঠ! জাগ! বীরগণ!
দুর্দান্ত- যবনগণ
গৃহে দেখ করেছে প্রবেশ।
হও সবে একপ্রাণ,
মাতৃভূমি কর ত্রাণ,
শত্রুদলে করহ নিঃশেষ
... যবনের রক্তে ধরা হোক প্লাবমান
যবনের রক্তে নদী হোক বহমান
যবন-শোণিতবৃষ্টি করুক বিমান
ভারতের ক্ষেত্র তাহে হোক ফলবান।'
সৈন্যগণ উৎসাহের সহিত প্রতিধ্বনি করে,
'যবনের রক্তে ধরা হোক প্লাবমান ...।'
সৈন্যগণ পুরুর প্রতিধ্বনি করে যায়,
'ক্ষত্রিয়-বিক্রমে আজ কাঁপুক মেদিনী
জ্বলুক ক্ষত্রিয় তেজদীপ্ত দিনমণি
ক্ষত্রিয়ের অসি হোক জ্বলন- অশনি।
সৈন্যগণ আবারও পুরুর প্রতিধ্বনি করে,
'মরণশরণ কিম্বা যবননিধন
যবননিধন কিম্বা মরণশরণ
শরীরপতন কিম্বা বিজয়সাধন।'
হিন্দুমেলার প্রেরণায় মুসলমানবিদ্বেষী 'পুরু বিক্রম'নাটকের পর ম্লেচ্ছ অস্পৃশ্য উগ্রতাবাদী জ্যোতিরিন্দ্র লেখে 'সরোজিনী'বা 'চিতোর আক্রমণ'নাটক। মুসলিমবিদ্বেষের সঙ্গে হিন্দু কুসংস্কার ও ঐতিহ্যের জয়ঢাক পিটানো 'সরোজিনী'নাটককে শরাব ও পতিতালয়ের পয়সায় লালিত-পালিত রবীন্দ্র ঠগও বাহবা দিয়েছিল।
এখানে মুসলমানদেরকে উপস্থাপন করা হয় চারিত্রিক দোষে কলূষিত হিসেবে।
হিন্দুমেলা প্রকাশ্যই ছিল হিন্দুত্ব এবং হিন্দু জাতীয়তাবাদী জাগরণের মেলা। হিন্দুমেলায় স্বদেশ মুক্তি ও স্বদেশের নামে সব কথা থাকলেও সে স্বদেশ শুধু হিন্দুদের। 'হিন্দুমেলার ইতিবৃত্ত'গ্রন্থের লেখক ম্লেচ্ছ অস্পৃশ্য উগ্রতাবাদী যোগেশচন্দ্র বাগল লিখেছেÑ মেলার সম্পাদক (ম্লেচ্ছ অস্পৃশ্য উগ্রতাবাদী) গণেন্দ্রনাথ ঠাকুর মেলার দ্বিতীয় অধিবেশনে বলে যে, 'এই মেলার প্রথম উদ্দেশ্য, বৎসরের শেষে হিন্দু জাতিকে একত্রিত করা। যত লোকের জনতা হয় ততই ইহা হিন্দুমেলা ও ইহা হিন্দুদিগের জনতা- এই মনে হইয়া হৃদয় আনন্দিত ও স্বদেশানুরাগ বর্ধিত হইয়া থাকে।'
হিন্দুমেলার অন্যতম সংগঠক ম্লেচ্ছ অস্পৃশ্য উগ্রতাবাদী মনোমোহন বসু বলে যে, 'ধর্ম সংক্রান্ত মতভেদ তিরোহিত হইয়া সকলেই সৌভ্রাত্র ও সৌহৃদ্য শৃঙ্খলে আবদ্ধ হইবে- যেখানে বৈষ্ণব, শাক্ত, শৈব, গাণপত্য, বৌদ্ধ, জৈন, নাস্তিক, আস্তিক সকলেই আপনাপন মেলা ভাবিয়া নিঃসন্দিগ্ধ চিত্তে উৎসবের সমভাগী হইতে পারে।'
হিন্দুমেলার সাফল্যে অনুপ্রাণিত হয়ে ম্লেচ্ছ অস্পৃশ্য উগ্রতাবাদী নারায়ণ বসু ১৮৬৯ সালে মেদিনীপুরে 'জাতীয় গৌরব সম্পাদনী সভা'করে। এই সভার অন্যতম সদস্য ম্লেচ্ছ অস্পৃশ্য উগ্রতাবাদী মনোমোহন বসু। নামে জাতীয় হলেও এই সভা একান্তভাবে ছিল হিন্দুদের। এই প্রসঙ্গে ম্লেচ্ছ অস্পৃশ্য উগ্রতাবাদী নবগোপাল মিত্র সম্পাদিত ঘধঃরড়হধষ চধঢ়বৎ-এ ঝ. ই. ছদ্মনামে একজন লেখে যে, 'খ্রিস্টান ও মুসলমানদের অন্তর্ভুক্ত না করলে কেবলমাত্র হিন্দুদের নিয়ে গঠিত সভাকে জাতীয় সভা বলা যায় না।'
ম্লেচ্ছ অস্পৃশ্য উগ্রতাবাদী মনোমোহন বসু এই যুক্তি উড়িয়ে দেয়, 'খ্রিস্টান ও মুসলমানের অন্তর্ভুক্তির প্রশ্ন একেবারে অবান্তর এবং তাদের বাদ দিলেও জাতীয় সভার মর্যাদা ক্ষুণœ হয় না।'
মুসলমান ও খ্রিস্টানদের উপেক্ষা করে 'হিন্দুমেলা এবং জাতীয় সভা যে ধরনের স্বাদেশিকতা ও সব্বজাত্যভিমানের লালন করেছিল, তা পরিণতিতে একটি সাম্প্রদায়িক জাতীয়তাবোধ উদ্বোধনে সহায়তা করে। বরং পরবর্তীকালের হিন্দু-মুসলিম বিভেদের বীজ এই মেলা ও জাতীয় সভায়ই বপিত হয়েছিল।
এ মন্তব্যের সবচেয়ে বড় প্রমাণ এই যে, ১৮৬০ দশকের শেষে এবং ১৮৭০ দশকে বহু খ্যাত-অখ্যাত বাঙালি সাহিত্যিক হিন্দুমেলার কিংবা জাতীয় সভার আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে যে বিপুল সাহিত্য রচনা করে, তা হিন্দু-মুসলিম সম্পর্কে কেবল অবনত নয়, রীতিমতো স্থায়ীভাবে বিনষ্ট করেছিল। '... (রবি ঠাকুর) পরিবারেও হিন্দুমেলার বিষফল ধরেছিল।'
বিশিষ্ট গবেষক অধ্যাপক গোলাম মুরশিদের এই মন্তব্যের পক্ষে বড় উদাহরণ জ্যোতিরিন্দ্রনাথ। সে জীবনস্মৃতিতে লিখেছে, 'হিন্দুমেলার পর হইতে কেবলই আমার মনে হইতো কি উপায়ে দেশের প্রতি লোকের অনুরাগ ও স্বদেশপ্রীতি উদ্বোধিত হইতে পারে। শেষে স্থির করিলাম নাটকে ঐতিহাসিক বীরগাথা ও ভারতের গৌরব কাহিনী কীর্তন করিলে, হয়তো কতকটা উদ্দেশ্য সিদ্ধ হইলেও হইতে পারে। এইভাবে অনুপ্রাণিত হইয়া কটকে থাকিতে থাকিতেই আমি 'পুরু-বিক্রম'নাটকখানি রচনা করিয়া ফেলিলাম।'রচনাকাল ফেব্রুয়ারি ১৮৭৪।
কলকাতায় ফিরে স্বদেশী সাহিত্য সম্মিলনী 'বিদ্বজ্জন সমাগম'-এ ম্লেচ্ছ অস্পৃশ্য উগ্রতাবাদী জ্যোতিরিন্দ্র 'পুরু-বিক্রম'নাটকের তৃতীয় অঙ্কের প্রথম গর্ভাঙ্ক পড়ে শোনায়।
'ভারত সংস্কারক'-এর এক প্রতিবেদনে (২৪ এপ্রিল ১৮৭৪) এই গর্ভাঙ্ক সম্পর্কে মন্তব্য করে, '... জ্যোতিরিন্দ্র এক অঙ্ক নাটক পাঠ করিলো, তাহাতে পুরু রাজা সে যবন শত্রু (মুসলমান) নিপাত করিবার জন্য সৈন্যদলকে উত্তেজিত করিতেছে এবং সৈন্যদল তাহার বাক্যের প্রতিধ্বনি করিয়া বীরমদে মাতিতেছে।'
হিন্দুমেলার প্রেরণায় কথিত স্বদেশবোধে অনুপ্রাণিত নাটক 'পুরু-বিক্রম'-এ হিন্দু বীরের বিক্রম হলো 'যবন নিধনে'। অতি বীরত্বে বঙ্কিম ও ভ্রƒ বঙ্কিম করে বঙ্গদর্শনে (ভাদ্র ১২৮১) লেখে, 'গ্রন্থখানি বীররস প্রধান এবং বীরোচিত বাক্যবিন্যাস বিস্তর আছে বটে, কিন্তু সকল স্থানেই যেন বীররসের খতিয়ান বলিয়া বোধ হয়।'
এই বীররসের নমুনা হলো। তৃতীয় অঙ্ক, প্রথম গর্ভাঙ্কে পুরু সৈন্যদের উদ্দেশ্যে বলছেÑ
'ওঠ! জাগ! বীরগণ!
দুর্দান্ত- যবনগণ
গৃহে দেখ করেছে প্রবেশ।
হও সবে একপ্রাণ,
মাতৃভূমি কর ত্রাণ,
শত্রুদলে করহ নিঃশেষ
... যবনের রক্তে ধরা হোক প্লাবমান
যবনের রক্তে নদী হোক বহমান
যবন-শোণিতবৃষ্টি করুক বিমান
ভারতের ক্ষেত্র তাহে হোক ফলবান।'
সৈন্যগণ উৎসাহের সহিত প্রতিধ্বনি করে,
'যবনের রক্তে ধরা হোক প্লাবমান ...।'
সৈন্যগণ পুরুর প্রতিধ্বনি করে যায়,
'ক্ষত্রিয়-বিক্রমে আজ কাঁপুক মেদিনী
জ্বলুক ক্ষত্রিয় তেজদীপ্ত দিনমণি
ক্ষত্রিয়ের অসি হোক জ্বলন- অশনি।
সৈন্যগণ আবারও পুরুর প্রতিধ্বনি করে,
'মরণশরণ কিম্বা যবননিধন
যবননিধন কিম্বা মরণশরণ
শরীরপতন কিম্বা বিজয়সাধন।'
হিন্দুমেলার প্রেরণায় মুসলমানবিদ্বেষী 'পুরু বিক্রম'নাটকের পর ম্লেচ্ছ অস্পৃশ্য উগ্রতাবাদী জ্যোতিরিন্দ্র লেখে 'সরোজিনী'বা 'চিতোর আক্রমণ'নাটক। মুসলিমবিদ্বেষের সঙ্গে হিন্দু কুসংস্কার ও ঐতিহ্যের জয়ঢাক পিটানো 'সরোজিনী'নাটককে শরাব ও পতিতালয়ের পয়সায় লালিত-পালিত রবীন্দ্র ঠগও বাহবা দিয়েছিল।
এখানে মুসলমানদেরকে উপস্থাপন করা হয় চারিত্রিক দোষে কলূষিত হিসেবে।