বাংলাদেশের ভিতর দিয়ে ভারতের শুল্কমুক্ত পণ্য পরিবহন অব্যাহত
ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলার মাসুলবিহীন ২৫ হাজার মেট্রিক টন খাদ্যপণের দ্বিতীয় চালান গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে জাহাজ থেকে কাভার্ড ভ্যানে খালাস শুরু হয়েছে। গত বুধবার রাতে ভারতের কোলকাতার বজবজ জেটি থেকে ৯৬৭ দশমিক ৫৯৩ মেট্রিক টন চাল নিয়ে এমভি সান মেরিনো আশুগঞ্জ বন্দরে আসে। এর মধ্যে ১৯ হাজার ৭৫০ বস্তা চাল আসে আশুগঞ্জ বন্দরে। এসব পণ্য জাহাজ থেকে খালাস করে সড়কপথে কাভার্ড ভ্যানে করে ভারতের ত্রিপুরা নিয়ে যাওয়া হবে।
২৫ হাজার টন চাল ত্রিপুরা নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে ভারতীয় পরিবহন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ডারসেল লজিস্টিক্স-এর কাছ থেকে দরপত্রের মাধ্যমে বাংলাদেশের পরিবহন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান আন বিজ ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডকে কার্যাদেশ দেয়া হয়। কোলকাতার বজবজ জেটি থেকে এসব চাল ত্রিপুরা রাজ্যে নিয়ে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশের ৩৫০ কিলোমিটার নৌপথ ও ৪৫ কিলোমিটার স্থলপথ ব্যবহার করা হচ্ছে।
শুধুমাত্র আশুগঞ্জ বন্দরের জাহাজের পাকিং চার্জ প্রতি মেট্রিক টনে ৩০ টাকা ছাড়া এসব পন্য থেকে আর কোনো প্রকার মাসুল পাচ্ছে না বাংলাদেশ সরকার। ১৯৭২ সালের নৌ-প্রটোকল চুক্তির আওতায় বিশেষ মানবিক কারণে মাসুলবিহীন এবার ২৫ হাজার মেট্রিক টন খাদ্যপণ্য যাচ্ছে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে। এর আগে গত ১৬ মার্চ ৯৩৭ দশমিক ০৫ মেট্রিক টন চাল নিয়ে এমভি নিউটেক-৬ আশুগঞ্জ আন্তর্জাতিক নৌ-বন্দরে এসে পৌঁছে এবং ভারতের ত্রিপুরায় পাঠানো হয়।
পরিবহন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান আন বিজ ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড-এর আশুগঞ্জ প্রতিনিধি নাছির উদ্দিন জানান, বুধবার রাতে ৯৬৭ মেট্রিক টন চাল নিয়ে একটি জাহাজ আশুগঞ্জ বন্দরে নোঙ্গর করে। এসব পণ্য আগামীকাল শনিবার সকালে কাভার্ড ভ্যানের মাধ্যমে আখাউড়া সীমান্ত দিয়ে ত্রিপুরায় পাঠানো হবে। আশুগঞ্জ নৌ-বন্দরের সহকারী পরিচালক সুব্রত রায় জানান, গত বুধবার রাতে আশুগঞ্জ বন্দরে দ্বিতীয় চালান নিয়ে একটি জাহাজ আসে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে জাহাজ থেকে খাদ্যপণ্য খালাস শুরু হয়েছে।