বয়স লুকিয়ে বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছে কিশোরীরা
বয়স কিভাবে বাড়ানো হলো- এমন প্রশ্নে রুমা জানায়, আমাদের কিছুই করতে হয়নি, দালালই সব ব্যবস্থা করেছে।দালালের নাম বলতে অস্বীকৃতি জানায় রুমা। তবে মোট ৬০ হাজার টাকার বিনিময়ে দালাল তাকে বিদেশ আসতে সহায়তা করেছে বলে জানায় সে। অথচ একজন নারীকর্মীর বিদেশে আসতে কোনো অর্থই খরচ হওয়ার কথা নয়। কারণ, যাতায়াতসহ সব খরচ বহন করে তার নিয়োগকর্তা।নিজেকে একটু বয়স্ক প্রমাণের জন্য বোরকা পরে রুমা। সঙ্গে বড়সড় একটি স্কার্ফ। এসবই করা হয়েছে দালালের পরামর্শে।
শারজাহ বিমানবন্দরে অল্প বয়স্ক বাংলাদেশি মেয়েদের বিদেশ যাওয়ার হার চোখে পড়ার মতো। ট্রানজিট লাইন ক্রস করে জর্ডান, ওমান বা লেবানন যেতে বাংলাদেশি মেয়েদের লাইনে গিয়ে দেখা গেল, পাঁচ জনে এক জন করে কিশোরী দাঁড়িয়ে আছে। কিন্তু কারোরই পাসপোর্টে বয়স কম নয়। এদের সবারই গল্প এক। কোনো না কোনো দালালের হাত ধরে বয়স বাড়িয়ে অনেক আয়ের আশায় বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছে তারা।