ভুল জাতীয় সঙ্গীত নিয়ে নীরব বাংলাদেশের গণমাধ্যম সরব আনন্দবাজার!
এমন অভাবনীয় ঘটনা আগে কখনও ঘটেনি। বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ একটি ইস্যু নিয়ে এ দেশের গণমাধ্যম নীরবতা পালন করলেও ভারতীয় প্রভাবশালী বাংলা দৈনিক পত্রিকা আনন্দবাজার পত্রিকা সরব ভূমিকা পালন করেছে। একই সাথে পশ্চিমবঙ্গের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই নিয়ে চলছে নিন্দার ঝড়। গেল শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরের সময় গায়ক ও নব্য তৃণমূল নেতা ইন্দ্রনীল সেন নিয়ম ভেঙ্গে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়াকে নিয়ে হট্টগোল হলেও তা নিয়ে কোন সংবাদ প্রকাশ করেনি বাংলাদেশের গণমাধ্যম। কিন্তু আনন্দবাজার পত্রিকা এই নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করলে পশ্চিমবঙ্গে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। সেখানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও এই নিয়ে তর্ক-বিতর্ক করতে দেখা গেছে।
শুক্রবার আনন্দবাজার পত্রিকা "মাঝপথ থেকে 'সোনার বাংলা', ধমক ইন্দ্রনীলকে"শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ করে। আনন্দবাজার লিখেছে, অনেক গায়কই আজকাল পাড়ার জলসায় রবীন্দ্রসঙ্গীত গেয়ে থাকেন অন্তরা থেকে শুরু করে। শুক্রবার ঢাকায় দুই বাংলার সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বদের 'বৈঠকী'আড্ডার শেষ লগ্নে ইন্দ্রনীল সেনকে যখন বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত গাইতে বললেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী, তিনিও 'আমার সোনার বাংলা'ধরলেন মাঝখান থেকে। এক লাইন গাওয়ার পরেই শ্রোতাদের মধ্যে গুঞ্জন। বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক প্রতিনিধিদের মধ্যে এক জন বেশ জোরেই বলে উঠলেন, "বন্ধ করুন... গান বন্ধ করুন!"ইন্দ্রনীল গান থামিয়ে দেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানতে চাইলেন, কী ব্যাপার? ও-পার বাংলার আর এক বিশিষ্ট উঠে দাঁড়িয়ে বললেন, "এটা আমাদের জাতীয় সঙ্গীত। আমাদের আবেগের বিষয়। তা যে ভাবে খুশি গাওয়া যায় না!"আর এক জন বললেন, "রবীন্দ্রনাথ যে ভাবে লিখেছেন, তাঁর গান দয়া করে সে ভাবেই গান। মাঝখান থেকে শুরু করবেন না।"
আনন্দবাজার আরও লিখেছে, বিশিষ্ট জনদের কাছে ধমক খেয়ে তখন বেজায় বিড়ম্বনায় পড়েছেন গায়ক তথা নব্য তৃণমূল নেতা। পরিস্থিতি সামলাতে হাল ধরলেন মমতা। অতিথিদের বোঝালেন, ভুল হয়ে গিয়েছে। বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত পশ্চিমবঙ্গেও সমান প্রিয়। এর পর বাংলাদেশের গায়ক-গায়িকাদের উদ্দেশে মমতা বলেন, "আসুন, সবাই মিলে জাতীয় সঙ্গীত গাই। এ নিয়ে কোনও ভুল বোঝাবুঝি রাখবেন না।"সাবিনা ইয়াসমিন, রুনা লায়লা, রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা-রা তখন উঠে আসেন মমতা ও ইন্দ্রনীলের পাশে। সকলে গলা মেলান জাতীয় সঙ্গীতে।
সংবাদের শেষ অংশে আনন্দবাজার পত্রিকা লিখেছে, ইন্দ্রনীল অবশ্য সমালোচনা থেকে রেহাই পাননি। ও-পারের বিশিষ্টদের মতো তাঁর নিজের রাজ্যের অনেকেই বলেছেন, জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া ছেলেখেলা নয়। তার উপর ইন্দ্রনীল মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে যাওয়া প্রতিনিধিদলের অন্যতম সদস্য। মাঝখান থেকে সুর ধরে মোটেই ঠিক করেননি তিনি।
পত্রিকাটি চারজন বিশিষ্ট ব্যক্তিদের এই নিয়ে মতামতও ছাপিয়েছে। সংবাদের সাথে প্রকাশ হওয়া ছবিতে মতামতগুলো উল্লেখ করা হয়।
এদিকে এই সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর পশ্চিমবঙ্গের অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে এই কান্ডের জন্য ধিক জানিয়েছেন।
অঙ্কিতা দাস লিখেছেন, আমি ভারতীয় তবুও বলব এই বিষয়টা লজ্জাজনক। দেশের জাতীয় সঙ্গীত এর সাথে মানুষ এর আবেগ জড়িয়ে থাকে। আর তাকে নিয়ে পাণ্ডিত্য করা উচিত নয়। আজ আমাদের জন-গন-মনকে যে যা খুশি ভাবে গাইলে আমরাও মেনে নিতে পারতাম না।। shame on u Indranil Sen!!!
উদয় স্যানকার সরকার লিখেছেন, বাংলাদেশে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও ইন্দ্রনীল সেন বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীতের অবমাননা করায় আমি মর্মাহত। আমি একজন ভারতীয় এবং পশ্চিমবঙ্গের বাঙালি হিসেবে বাংলাদেশের কাছে ক্ষমা চাইছি। এদের জন্য এ লজ্জা আমাদের আজ বহন করতে হচ্ছে। এরা কিছু জানে না, এদের ক্ষমা করুন।
অসীম শিকদার লিখেছেন, পশ্চিমবঙ্গের ছেলেরা বিদেশে গিয়েও আমাদের ছোট্ট ভুলের ধারাটি বজায় রাখলো। একটা দেশের জাতীয় সঙ্গীত নিয়েও যে ছেলে খেলা করা যায় আর ছোট্ট ভুল হিসেবেই ধরে নেওয়া যায়.....ধন্য ধন্য ......।
দেবাশিস মুখার্জী লিখেছেন, আমি অন্ততঃ অবাক হইনি। মমতা ব্যানার্জীর ঘনিষ্ঠরা এমন মাথামোটাই হবে। না হলে কেউ ওনার সাথে থাকে? যত অশিক্ষিত দুর্বিত্রের দলই তৃনমূল করে।
আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদনটি দেখা যাবে এই ঠিকানায় এবং পশ্চিমবঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রতিবাদগুলো দেখা যাবে এই ঠিকানায়।
http://www.priyo.com/2015/02/24/135459.html
শুক্রবার আনন্দবাজার পত্রিকা "মাঝপথ থেকে 'সোনার বাংলা', ধমক ইন্দ্রনীলকে"শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ করে। আনন্দবাজার লিখেছে, অনেক গায়কই আজকাল পাড়ার জলসায় রবীন্দ্রসঙ্গীত গেয়ে থাকেন অন্তরা থেকে শুরু করে। শুক্রবার ঢাকায় দুই বাংলার সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বদের 'বৈঠকী'আড্ডার শেষ লগ্নে ইন্দ্রনীল সেনকে যখন বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত গাইতে বললেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী, তিনিও 'আমার সোনার বাংলা'ধরলেন মাঝখান থেকে। এক লাইন গাওয়ার পরেই শ্রোতাদের মধ্যে গুঞ্জন। বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক প্রতিনিধিদের মধ্যে এক জন বেশ জোরেই বলে উঠলেন, "বন্ধ করুন... গান বন্ধ করুন!"ইন্দ্রনীল গান থামিয়ে দেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানতে চাইলেন, কী ব্যাপার? ও-পার বাংলার আর এক বিশিষ্ট উঠে দাঁড়িয়ে বললেন, "এটা আমাদের জাতীয় সঙ্গীত। আমাদের আবেগের বিষয়। তা যে ভাবে খুশি গাওয়া যায় না!"আর এক জন বললেন, "রবীন্দ্রনাথ যে ভাবে লিখেছেন, তাঁর গান দয়া করে সে ভাবেই গান। মাঝখান থেকে শুরু করবেন না।"
আনন্দবাজার আরও লিখেছে, বিশিষ্ট জনদের কাছে ধমক খেয়ে তখন বেজায় বিড়ম্বনায় পড়েছেন গায়ক তথা নব্য তৃণমূল নেতা। পরিস্থিতি সামলাতে হাল ধরলেন মমতা। অতিথিদের বোঝালেন, ভুল হয়ে গিয়েছে। বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত পশ্চিমবঙ্গেও সমান প্রিয়। এর পর বাংলাদেশের গায়ক-গায়িকাদের উদ্দেশে মমতা বলেন, "আসুন, সবাই মিলে জাতীয় সঙ্গীত গাই। এ নিয়ে কোনও ভুল বোঝাবুঝি রাখবেন না।"সাবিনা ইয়াসমিন, রুনা লায়লা, রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা-রা তখন উঠে আসেন মমতা ও ইন্দ্রনীলের পাশে। সকলে গলা মেলান জাতীয় সঙ্গীতে।
সংবাদের শেষ অংশে আনন্দবাজার পত্রিকা লিখেছে, ইন্দ্রনীল অবশ্য সমালোচনা থেকে রেহাই পাননি। ও-পারের বিশিষ্টদের মতো তাঁর নিজের রাজ্যের অনেকেই বলেছেন, জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া ছেলেখেলা নয়। তার উপর ইন্দ্রনীল মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে যাওয়া প্রতিনিধিদলের অন্যতম সদস্য। মাঝখান থেকে সুর ধরে মোটেই ঠিক করেননি তিনি।
পত্রিকাটি চারজন বিশিষ্ট ব্যক্তিদের এই নিয়ে মতামতও ছাপিয়েছে। সংবাদের সাথে প্রকাশ হওয়া ছবিতে মতামতগুলো উল্লেখ করা হয়।
এদিকে এই সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর পশ্চিমবঙ্গের অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে এই কান্ডের জন্য ধিক জানিয়েছেন।
অঙ্কিতা দাস লিখেছেন, আমি ভারতীয় তবুও বলব এই বিষয়টা লজ্জাজনক। দেশের জাতীয় সঙ্গীত এর সাথে মানুষ এর আবেগ জড়িয়ে থাকে। আর তাকে নিয়ে পাণ্ডিত্য করা উচিত নয়। আজ আমাদের জন-গন-মনকে যে যা খুশি ভাবে গাইলে আমরাও মেনে নিতে পারতাম না।। shame on u Indranil Sen!!!
উদয় স্যানকার সরকার লিখেছেন, বাংলাদেশে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও ইন্দ্রনীল সেন বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীতের অবমাননা করায় আমি মর্মাহত। আমি একজন ভারতীয় এবং পশ্চিমবঙ্গের বাঙালি হিসেবে বাংলাদেশের কাছে ক্ষমা চাইছি। এদের জন্য এ লজ্জা আমাদের আজ বহন করতে হচ্ছে। এরা কিছু জানে না, এদের ক্ষমা করুন।
অসীম শিকদার লিখেছেন, পশ্চিমবঙ্গের ছেলেরা বিদেশে গিয়েও আমাদের ছোট্ট ভুলের ধারাটি বজায় রাখলো। একটা দেশের জাতীয় সঙ্গীত নিয়েও যে ছেলে খেলা করা যায় আর ছোট্ট ভুল হিসেবেই ধরে নেওয়া যায়.....ধন্য ধন্য ......।
দেবাশিস মুখার্জী লিখেছেন, আমি অন্ততঃ অবাক হইনি। মমতা ব্যানার্জীর ঘনিষ্ঠরা এমন মাথামোটাই হবে। না হলে কেউ ওনার সাথে থাকে? যত অশিক্ষিত দুর্বিত্রের দলই তৃনমূল করে।
আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদনটি দেখা যাবে এই ঠিকানায় এবং পশ্চিমবঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রতিবাদগুলো দেখা যাবে এই ঠিকানায়।
http://www.priyo.com/2015/02/