অনশনকারী দের একটু ফ্রেস জল পর্যন্ত দিতে দিচ্ছে না পুলিশ । আজ অনশন ৪ দিনে পড়ছে । অনশন যারা করেন তাদের দিনে অন্তত ৩-৪লিটার জল খেতে বলা হয় । কিন্তু SSC ভবনের ট্যাঙ্কের নোংরা জল খেতে বাধ্য করা হচ্ছে । অর্ধেক অনশনকারী বমি করছেন, পেট খারাপ হয়েছে ভয়ানক । তাদের ওষুধ দিতে দেওয়া হচ্ছে না ।
অনশন এই নিয়ে তৃতীয়বার । এনারা চাকরীর হক দাবীদার । সকলের কাছেই খুব পরিষ্কার, শাসকদলের নেতারা লক্ষ লক্ষ টাকায় এক একটা চাকরী বিক্রি করেছেন বলেই এনাদের প্যানেলে নাম থাকবার পরেও চাকরী হচ্ছে না ।
এই ভয়ানক কষ্টে তিন জন মারা গেছেন । ডিপ্রেশনে আগেও একজন আত্মহত্যা করেছেন, কাল রাতেও ওখানে ছিলাম অশ্রুদি'র নার্ভের অসুবিধা আছে । বারবার অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার পরেও কোন ব্যবস্থা করছে না পুলিশ । অশ্রুদি কে টেনে হিঁচড়ে হসপিটালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে । অশ্রুদি একটা সুইসাইড নোট লিখেছিলেন, তার চাকরী না পাওয়া এবং জীবনের আসা টুকু ক্ষীণ হয়ে যাওয়ার জন্য প্রশাসন দায়ী থাকবে । সেই নোট পুলিশ ছিঁড়ে দিয়েছে । এবং অশ্রুদি'কে প্ররোচনা দেবার জন্য ফারুক এবং মোহন দা কে গ্রেপ্তার করেছে । একজন আন্দোলন কারী বাধা দিতে গেলে অনশনরত অবস্থায় মেরে আঙুল ফাটিয়ে দিয়েছে ।
এদের মধ্যে কেউ মারা গেলে কিন্তু দায়ী থাকবো আমরাই। কারন এতো দায়িত্বশীল কলকাতাবাসী আমরা সহায় সম্বলহীন হবু শিক্ষকদের পাশে দাঁড়াতে পারলাম না । আমরা বই মেলা নিয়ে হয়তো বিজি...
হতেই পারে, অনিতা দেওয়ানের সময়েও আমরা কলকাতা ফিল্ম উৎসব নিয়েই ব্যাস্ত ছিলাম । কলকাতা এক ব্যাস্ত থাকার ইতিহাস...