Quantcast
Channel: My story Troubled Galaxy Destroyed dreams
Viewing all 6050 articles
Browse latest View live

You mean they actually found hearts of 6 dead persons to donate to him for this transplant? That too in the US where organs are not easy to find.


Privitisation ruined British Rail one of the best in the world. Our government is going to destroy this great public asset we all have Indian Railways.

साॅफ्ट पॉर्न फिल्‍मस्‍टार और बलात्‍कारी आसाराम के भक्‍त गजेन्‍द्र चौहान की पुणे के प्रतिष्ठित फिल्‍म एंड टेलीविज़न इंस्‍टीट्यूट (‪#‎FTII‬) के चेयरमैन के पद पर नियुक्ति के ख़‍िलाफ़ पुणे में शुरू हुए आन्‍दोलन की गूँज अब दिल्‍ली में भी सुनाई देने लगी हैं।

0
0
साॅफ्ट पॉर्न फिल्‍मस्‍टार और बलात्‍कारी आसाराम के भक्‍त गजेन्‍द्र चौहान की पुणे के प्रतिष्ठित फिल्‍म एंड टेलीविज़न इंस्‍टीट्यूट (‪#‎FTII‬) के चेयरमैन के पद पर नियुक्ति के ख़‍िलाफ़ पुणे में शुरू हुए आन्‍दोलन की गूँज अब दिल्‍ली में भी सुनाई देने लगी हैं। आज 16 जून को नई दिल्‍ली के शास्‍त्री भवन के सामने FTII के छात्रों, पूर्व छात्रों एवं संस्‍कृतिकर्मियों के साथ ही साथ विभिन्‍न छात्र व युवा संगठनों ने गजेन्‍द्र चौहान की नियुक्ति के ख़‍िलाफ़ प्रदर्शन किया। FTII के छात्राें के इस न्‍यायपूर्ण संघर्ष के प्रति समर्थन जताने के मक़सद से इस प्रदर्शन में नौजवान भारत सभा और दिशा छात्र संगठन ने भी हिस्‍सा लिया। प्रदर्शन में नौजवान भारत सभा की ओर से बात रखते हुए आनन्‍द सिंह ने कहा कि FTII में गजेन्‍द्र चौहान की नियुक्ति को देश में फ़ासीवादी उभार के सन्‍दर्भ में देखने की ज़रूरत है। फ़ासीवाद पैदा तो पूँजीवाद के आर्थिक संकट से होता है लेकिन वह संस्‍कृति के क्षेत्र को अपनी रणनीति का मुख्‍य हिस्‍सा बनाता है। यही वजह है कि मौजूदा सरकार विभिन्‍न शिक्षा संस्‍थानों एवं सांस्‍कृतिक संस्‍थाओं के मुख्‍य पदों पर खाकी निकरधारियों की नियुक्ति कर रही है। मिथक को यथार्थ बनाने की फ़ासिस्‍टों की रणनीति के तहत ही कहीं 'युधिष्ठिर' की नियुक्ति हो रही है तो कहीं 'भीष्‍म' को पद दिया जा रहा है। फ़ासीवादी उभार के इस दौर में प्रगतिशील नागरिकों के साथ ही साथ कलाकारों एवं संस्‍कृतिकर्मियों के सामने अब तटस्‍थ रहने का विकल्‍प नहीं बचा है, उन्‍हें अपना पक्ष चुनना ही होगा।




क्या पुलिस वाले इंसान नहीं होते हैं ?

0
0

क्या पुलिस वाले इंसान नहीं होते हैं 
दूसरों की सुरक्षा करने वाले कितनी असुरक्षा में रह रहे हैं
जी हाँ ये हाल है 
बनभूल पूरा थाने का 
टूटा फूटा टिन शेड झोपड़ 
दीवारों में दरारें 
सीलन बदबू 
मछरों का आतंक
हाथ की छू रहा पंखा
दीमक की चित्रकारी 
दीवारों से गिरता गारा 
टूटा फर्नीचर
एक ही अकेले थाना इंचार्ज कोई SI नहीं 
24 घंटे की ड्यूटी 
झुलसाती गर्मी 
नेकर बनियान में भी 24 घंटे की ड्यूटी को दे रहे है अंजाम 
रहने का कमरा एक कुर्सी एक चारपाई 
कभी भी छत नीचे न आ जाए 
कल किसी काम से गया था देख के दंग रह गया





Jammat call strike on wednesday in Bangladesh!জনাব মুজাহিদকে হত্যার সরকারী ষড়ন্ত্রের প্রতিবাদে দেশব্যাপী ২৪ ঘন্টার হরতাল ঘোষণা

0
0
Jammat call strike on wednesday in Bangladesh!
জনাব মুজাহিদকে হত্যার সরকারী ষড়ন্ত্রের প্রতিবাদে দেশব্যাপী ২৪ ঘন্টার হরতাল ঘোষণা
১৬ জুন ২০১৫, মঙ্গলবার,
সরকারের দায়ের করা মিথ্যা, বায়বীয় ও কাল্পনিক অভিযোগে ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারী জেনারেল জনাব আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদকে মৃত্যুদন্ড প্রদান করায় হতাশা প্রকাশ করে ও তিনি সহ আটক সকল নেতা-কর্মীর মুক্তির দাবীতে ১৭ জুন বুধবার সকাল ৬টা থেকে ১৮ জুন বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত দেশব্যাপী ২৪ ঘণ্টার শান্তিপূর্ণ হরতাল কর্মসূচী ঘোষণা করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর জনাব মকবুল আহমাদ আজ ১৬ জুন ২০১৫ নিম্নোক্ত বিবৃতি প্রদান করেছেন ঃ- 

"সরকার জামায়াতকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য জামায়াত নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও কাল্পনিক অভিযোগে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দায়ের করে বিচারের নামে প্রহসনের আয়োজন করে। সরকারী ষড়যন্ত্রের শিকার জনাব আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ। তার আপোষহীন নেতৃত্বে দিশেহারা হয়ে সরকার তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে তথাকথিত মানবতা বিরোধী অপরাধের মিথ্যা অভিযোগে মামলা দায়ের করে। মাননীয় ট্রাইব্যুনাল জনাব মুজাহিদকে ১, ৬, এবং ৭ নং অভিযোগে মৃত্যুদ-ে দ-িত করেন। জনাব মুজাহিদ এ রায়ের বিরুদ্ধে মহামান্য সুপ্রীম কোর্টে আপীল করেন। মাননীয় আপীল বিভাগ জনাব মুজাহিদের আপীল খারিজ করে ৬ নং অভিযোগে ট্রাইব্যুনাল প্রদত্ত মৃত্যুদ- বহাল রাখেন। এ রায়ে জনাব মুজাহিদ ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। দেশের জনগণ এ রায়ে হতাশ হয়েছে।

সরকারের দায়ের করা মামলাটি সম্পূর্ণ ষড়যন্ত্রমূলক। এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা স্বীকার করেছেন যে, স্বাধীনতার পর থেকে আজ পর্যন্ত মুজাহিদের বিরুদ্ধে ফরিদপুর জেলাধীন কোন থানায় বা বাংলাদেশের অন্য কোন থানায় ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে সংঘটিত কোন অপরাধের জন্য কোন মামলা হয়েছে, এমন কোন তথ্য তিনি তার তদন্তে পাননি। মামলার আইও এটাও স্বীকার করেছেন যে, জনাব মুজাহিদ আল বদর, শান্তি কমিটি, রাজাকার বা আল শামস বা এই ধরনের কোন সহযোগী বাহিনীর সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন, এমন কোন তথ্য তিনি তার তদন্তকালে পাননি। এর পরও জনাব আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদকে সরকারের সাজানো মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে মৃত্যুদ-ে দ-িত করা হলো। তিনি জুলুমের শিকার হয়েছেন। 

সরকারের দায়ের করা ৬ নং অভিযোগে জনাব মুজাহিদকে বুদ্ধিজীবী হত্যার সাথে জড়ানোর ষড়যন্ত্র করা হয়। সরকার অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে তাকে ফাঁসানোর জন্য বুদ্ধিজীবী হত্যার এই অপবাদ রচনা করে। তার বিরুদ্ধে দাখিল করা অভিযোগ পত্রের কোথাও একটি বারের জন্যও বলা হয়নি যে, জনাব মুজাহিদ কবে কিভাবে কোন বুদ্ধিজীবীকে হত্যা বা অপহরণ করেছেন। কোন অভিযোগেই সুনির্দিষ্ট দিন, তারিখ উল্লেখ নেই। বুদ্ধিজীবী পরিবারের কোন সদস্য, যারা ফিজিক্যাল ট্রেনিং ইন্সিটিটিউটের কথিত ঘটনার ভিক্টিম তাদের কারো স্ত্রী বা সন্তান-সন্ততি ট্রাইব্যুনালে এসে জনাব মুজাহিদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য প্রদান করেননি। অথচ সরকার জনাব মুজাহিদকে ফাঁসানোর জন্য যে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছে তার ভিত্তিতে তাকে মৃত্যুদ-ে দ-িত করা হলো। জনাব মুজাহিদ এ রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ দায়ের করবেন। রিভিউ আবেদনে ন্যায়বিচার নিশ্চিত হলে জনাব মুজাহিদ খালাস পাবেন বলে আমরা গভীরভাবে বিশ্বাস করি। 

দেশবাসী অবগত আছেন ১৯৭১ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় বুদ্ধিজীবী হত্যাকা-ের বিচারের কোন কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। স্বাধীনতা উত্তর আওয়ামী সরকারের আমলে বুদ্ধিজীবী হত্যার প্রমাণসহ জহির রায়হানকে অপহরণ করা হয়। তার রহস্য আওয়ামী সরকার উন্মোচন করেনি। অত্যন্ত সুকৌশলে তদানীন্তন আওয়ামী সরকার বুদ্ধিজীবী হত্যাকা-টি এড়িয়ে গিয়েছে। সেই বুদ্ধিজীবী হত্যার মিথ্যা অভিযোগ জনাব মুজাহিদের ঘাড়ে চাপিয়ে সরকার তার অতীতের কূটকৌশল বাস্তবায়ন করলো মাত্র। ভবিষ্যত প্রজন্ম ও সত্যানুসন্ধিৎসু ইতিহাস গবেষকদের নিকট বুদ্ধিজীবী হত্যার মূল রহস্য অবশ্যই উন্মোচিত হবে ইনশাআল্লাহ্।

জনাব আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদকে হত্যার সরকারী ষড়ন্ত্রের প্রতিবাদে, তিনিসহ আটক জামায়াতের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ ও নেতা-কর্মীর মুক্তির দাবীতে ১৭ জুন বুধবার সকাল ৬টা থেকে ১৮ জুন বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত দেশব্যাপী ২৪ ঘণ্টার হরতাল কর্মসূচী ঘোষণা করছি। ঘোষিত এ কর্মসূচী শান্তিপূর্ণভাবে সফল করার জন্য দেশের বুদ্ধিজীবী, পেশাজীবী, আইনবিদ, শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, কৃষক, শ্রমিক, মেহনতি মানুষসহ সর্বস্তরের জনগণের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।" 

বিঃদ্রঃ হাসপাতাল, এম্বুলেন্স, ফার্মেসী ইত্যাদি হরতালের আওতামুক্ত থাকবে

Compulsory Yoga Goes Against the Spirit of Our Constitution Says Jamaat

0
0
Compulsory Yoga Goes Against the Spirit of Our Constitution Says Jamaat
Posted on 16 June 2015 by Khalid
surya-namaskar
New Delhi, 15 June 2015: Jamaat-e-Islami Hind is strongly opposed to the compulsory implementation of Yoga, Surya Namaskar, Saraswati Vandana etc. by the Centre or state governments on all communities, as it goes against the spirit of the constitution of India. Secretary General of Jamaat Mohammed Salim Engineer said: "The constitution of India grants all its citizens the freedom to practice their own religion. Instead of solving the problems of the poor, economically deprived and the educationally backward and achieving social justice and communal harmony between various communities, the government is engaged in exercises that are highly damaging to the country."
He reiterated that, "The likes and dislikes of a particular religious community should not be enforced and made compulsory for all other communities and religious groups of secular India, as it is against our constitution and against the secular fabric of the country. The government must adopt a neutral stand on such issues and play an impartial role."
Mohammed Salim Engineer expressed the hope that the government will respect the constitution and will not allow attempts by certain vested interests to promote the supremacy of a particular culture. Government must promote unity, justice, mutual love, respect and tolerance in the country.

ভারতের জন্য করিডোর ও আত্মঘাত বাংলাদেশের ফিরোজ মাহবুব কামাল

0
0
ভারতের জন্য করিডোর ও আত্মঘাত বাংলাদেশের
ফিরোজ মাহবুব কামাল
ভারতের বিশাল বিজয়                          
ভারত যা চায় সেটি সহজেই পায়। কিন্তু বাংলাদেশ যা চায় সেটি পায় না। ভারত তাই করিডোর পেল, কিন্তু বাংলাদেশ পানি পায়নি। প্রভু রাষ্ট্র ও গোলাম রাষ্ট্রের মাঝে এটিই মূল পার্থক্য। একাত্তরে ভারতের সামরিক বিজয়ের পর থেকে এটিই হলো বাংলাদেশের জন্য নতুন বাস্তবতা। বাংলাদেশের এ অসহয়তা বুঝার জন্য তাই কি বেশী গবেষণার প্রয়োজন আছে? দীর্ঘদিন যাবত বাংলাদেশ তিস্তা নদীর ন্যয্য হিস্যা দাবী করে আসছে। কিন্তু আজও তা জুটেনি। ন্যয্য হিস্যা জুটেনি পদ্মার পানিরও। পানির অভাবে বাংলাদেশ আজ দ্রুত মরুভূমি হতে যাচ্ছে। অথচ কলকাতার হুগলি নদীতে ফারাক্কা বাঁধের মাধ্যমে পদ্মার পানি তুলে নেয়াতে বার মাস পাড় উপচানো জোয়ার। পদ্মা নদীতে নৌকা চলে না, কিন্তু হুগলী নদীতে সমুদ্রগামী জাহাজ চলে। হাসিনা সরকার তাতেই খুশি। বাংলাদেশকে ন্যয্য পাওনা দেয়া নিয়ে ভারত সরকারের কারোই কোন মাথা ব্যথা নেই। দিল্লির কেন্দ্রীয় সরকার বলছে, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সম্মতি ছাড়া পানি সমস্যার কোন সমাধান হবে না। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে পশ্চিমবঙ্গের প্রাদেশিক সরকারকে একত্রে বসাবে কে? পানি সমস্যার সমাধান নিয়ে মোদীর সাথে মমতা  বানার্জিকে একবারও একত্রে বসানো যায়নি। কিন্তু করিডোর আদায়ে নরেন্দ্র মোদীর আগেই পশ্চিম বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ঢাকায় এসে হাজির। কারণ গরজটি এখানে কিছু দেয়া নয়, বরং করিডোরের ন্যায় বাংলাদেশ থেকে বিশাল কিছু নেয়া নিয়ে।
ভারত এতদিন যা চেয়ে এসেছিল তা সহজেই পেয়ে গেল। অথচ এর আগে ভারত তা নিতে পারিনি। হেতু কি? কারণটি অতি সহজ। বাংলাদেশে থেকে কিছু সহজে আদায় করে নেয়ার ভারতের জন্য এটিই হলো সবচেয়ে মোক্ষম সময়। হাসিনা ও তার মিত্রগণ জনগণের ভোট নিয়ে ক্ষমতায় আসেনি। শতকরা ৫% ভোটকেন্দ্রে যায়নি। অর্ধেক সিটে একটি ভোটও ঢালা হয়নি। ফলে যে কোন বিচারে হাসিনার সরকার একটি অবৈধ সরকার। ফলে ক্ষমতায় থাকার জন্য হাসিনা সরকার বিদেশীদের উপর প্রচন্ড  নির্ভরশীল। ভারতহ দাবীর বিরুদ্ধে না বলার সামর্থ হাসিনার নেই। ভারত সেটি জানে। তাই বাংলাদেশের বুজ চিরে করিডোর নিতে ভারতীয় মন্ত্রীদের কোন দেনদরবার করতে হয়নি। বাংলাদেশের মধ্য ভারত করিডোর নিল যেমন রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক প্রয়োজনে, তেমনি সামরিক প্রয়োজনে। 
বাংলাদেশের বুকের উপর দিয়ে ভারতের করিডোর নেয়ার বিষয়টি বুঝতে হলে বুঝতে হবে দেশটির উচ্চবর্ণ ব্রাহ্মনদের আসমুদ্র-হিমাচল ব্যাপী এক হিন্দু সাম্রাজ্য গড়ার আগ্রাসী মানসিকতাকে। নিজ দেশের দরিদ্র মানুষদের প্রতি এসব বর্ণবাদী আগ্রাসী হিন্দুদের কোন দরদ নেই। তারা বেছে বেছে সেখানেই বিনিয়োগ বাড়ায় যা তাদের সে আগ্রাসী অভিলাষ পুরণে জরুরী। আর সেচিত্রটিই ফুটে উঠে বাংলাদেশের প্রতি তাদের বিদেশ নীতি ও স্ট্রাটেজীতে। বাংলাদেশ একটি দরিদ্র দেশ। এদেশের উন্নয়নে বহু দূরবর্তী দেশের পূঁজিপতিও বিনিয়োগ করেছে। পাকিস্তান আমলে বিনিয়োগ করেছে আদমজী, বাওয়ানী, ইস্পাহানী, আমিনের ন্যায় বহু অবাঙালীও। কিন্তু বাংলাদেশের ভারতীয়দের বিনিয়োগ যে ছিল না তা নয়। তবে সেটি কখনই শিল্প বা অর্থনীতিতে নয়, ছিল রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, বুদ্ধিবৃত্তিক ও মিডিয়ার  ময়দানে। ভারত আজও বিনিয়োগের সে ধারাই অব্যাহত রেখেছে।  ফলে বাংলাদেশের মাটিতে ভারতীয় শিল্প-পণ্য উৎপাদিত না হলে কি হবে, বিপুল ভাবে বেড়েছে ভারত-ভক্ত ও ভারতীয় স্বার্থের সেবাদাস।
ভারতের যুদ্ধে বাংলাদেশ
বাংলাদেশের মাটিতে ভারতের সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ ছিল একাত্তরের যু্দ্ধে। সেটি ছিল যেমন বিপুল অর্থের, তেমনি রক্তেরও। ৪ হাজারের বেশী ভারতীয় সৈনিক এ যুদ্ধে মারা যায়। এ বিষয়টি অস্বীকারের উপায় নেই,ভারতীয়দের সে বিনিয়োগ না হলে বাংলাদেশ সৃষ্টিই হত না। তবে ভারতের সে বিনিয়োগ কি ছিল বাংলাদেশের স্বার্থে? ভারত কোন বিদেশীদের স্বাধীনতার স্বার্থে কখনো কি একটি তীরও ছুঁড়েছে? একটি পয়সাও কি ব্যয় করেছে? বরং ভারতের ইতিহাস তো অন্যদেশে সামরিক আগ্রাসন ও স্বাধীনতা লুন্ঠনের। সে লুন্ঠনের শিকার কাশ্মির, সিকিম, মানভাদর, হায়দারাবাদের স্বাধীনতা। ভারতীয়দের কাছে একাত্তরের যুদ্ধটি ছিল শতকরা শতভাগ ভারতীয় যুদ্ধ। তাই সে যুদ্ধের ঘোষণা যেমন শেখ মুজিব থেকে আসেনি, তেমনি কোন বাংলাদেশী জেনারেলের পক্ষ থেকেও আসেনি। আরো সত্য হলো, একাত্তে সে যুদ্ধের কমাণ্ড শেখ মুজিব বা তার অনুসারিদের হাতেও ছিল না। ভারতীয় অর্থ, নেতৃত্ব ও পরিকল্পনা দ্বারা পরিচালিত এ যুদ্ধটি ছিল সর্বক্ষেত্রেই একটি ভারতীয় যুদ্ধ। মুজিব স্বাধিনতার ঘোষনা দিল কি দিল না, মূক্তি বাহিনী যুদ্ধ করলো কি করলো না - ভারত সে অপেক্ষায় ছিল না। এ যুদ্ধ পরিচালিত হয়েছিল ভারতীয় ভূমি থেকে,এবং ভারতীয় জেনারেলদের নেতৃত্বে। সে যুদ্ধে ব্যবহৃত হয়েছে ভারতীয় সেনানিবাস, বহু লক্ষ ভারতীয় সৈন্য এবং বহু ভারতীয় বিমান, কামান, ট্যাংক এবং গোলাবারুদ। বরং ভারতীয়দের সফলতা হলো, বহুদিনের কাঙ্খিত একান্ত নিজদের যুদ্ধটিকে তারা মুক্তিযুদ্ধ রূপে বাংলাদেশীদের ঘাড়ে চাপাতে সমর্থ হয়েছিল। মুক্তিবাহিনীকে তারা নিজ অর্থে গড়ে তুলেছিল স্রেফ নিজস্ব প্রয়োজনে। তারা সেদিন কইয়ের তেলে কই ভেজেছিল। বিশ্ববাসীর কাছেও সে সত্যটি কখনই গোপন থাকেনি। বরং সেটি প্রকাণ্ড ভাবে প্রকাশ পায় যখন পাকিস্তানী সেনাবাহিনী আত্মসমর্পণ করে শুধুমাত্র ভারতীয় সেনাবাহিনীর জেনারেলদের কাছে, কোন বাংলাদেশী জেনারেল বা মুক্তি যোদ্ধার কোন কমাণ্ডারের কাছে নয়। আরো প্রকাশ পায়, যখন পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর ফেলে যাওয়া বিপুল পরিমান যুদ্ধাস্ত্র যখন ভারতে নিয়ে যাওয়া হয়। একাত্তরে সে যুদ্ধটি যদি বাংলাদেশীদের দ্বারা বাংলাদেশের যুদ্ধ হত তবে পাকিস্তানের ফেলে যাওয়া বিপুল যুদ্ধাস্ত্র ভারতে যায় কি করে? পাকিস্তানী যুদ্ধবন্দীদেরকেই বা কেন ভারতে নেয়া হবে? এসব বিষয়গুলো বুঝার সামর্থ কি ভারতের সেবাদাসদের আছে?
একাত্তরে ভারতের অর্থ, রক্ত, শ্রম ও মেধার বিনিয়োগটি ভারতের কোন খয়রাতি প্রকল্পও ছিল না, ছিল নিজ সাম্রাজ্য বিস্তারের অনিবার্য প্রয়োজনে। ছিল পাকিস্তান ভাঙ্গার লক্ষে। এবং সে সাথে সামরিক দিক দিয়ে পঙ্গু, রাজনৈতিক ভাবে অধিকৃত এবং অর্থনৈতিক দিক দিয়ে ভারতনির্ভর এক বাংলাদেশ সৃষ্টির। এমন একটা যুদ্ধ নিজ খরচে লড়ার জন্য ভারত ১৯৪৭ সাল থেকেই দুপায়ে খাড়া ছিল। ভারত পাকিস্তানের সৃষ্টি যেমন চাইনি, তেমনি দেশটি বেঁচে থাকুক সেটিও চায়নি। তাই ভারতের সে বিনিয়োগটি যেমন একাত্তরে শুরু হয়নি, তেমনি একাত্তরে শেষও হয়নি। সেটির শুরু হয়েছিল সাতচল্লিশে, এবং চলছে আজও। তবে চলছে ভিন্ন ভিন্ন ক্ষেত্রে ও ভিন্ন ভিন্ন রণাঙ্গনে। বিশেষ করে সে সব খাতে যা আঞ্চলিক শক্তি রূপে প্রতিষ্ঠা লাভের জন্য তারা জরুরী মনে করে। করিডোর হল তেমনই এক গুরুত্বপূর্ণ খাত। তাই ভারত সরকারের পক্ষ থেকে করিডোরের দাবী, চট্রগ্রাম ও চালনা বন্দরসহ বাংলাদেশের নৌ ও বিমান বন্দর ব্যবহারের দাবি, বাংলাদেশের মিডিয়া খাতে ভারতীয়দের বিনিয়োগ, শত শত কোটি টাকা ব্যয়ে আওয়াম লীগ ও তার মিত্রদের লাগাতর প্রতিপালন এবিষয়গুলো বুঝতে হলে ভারতের সে আগ্রাসী মনভাব ও সামরিক প্রয়োজনটি অবশ্যই বুঝতে হবে। তখন সুস্পষ্ট হবে, যে দুই বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ নিয়ে ভারত এগিয়ে আসছে সেটিও কোন খয়রাতি প্রজেক্ট নয়। ভারত এর চেয়ে অনেক বেশী বিনিয়োগ করে তার পূর্ব সীমান্তের সামরিক বাহিনীর পিছনে। বাংলাদেশের মাটিতে ভারতের এ বিনিয়োগ আসছে দেশটির সে আগ্রাসী স্ট্রাটেজীর অবিচ্ছিন্ন অংশ রূপে। বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশীদের যে যাই বলুক,ভারতীয়দের মাঝে এর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে কোন অস্পষ্টতা নেই। সেটি তার খোলাখোলী ভাবেই বলে। এবং সেটিই ফুটে উঠেছে "ইন্ডিয়ান ডিফেন্স রিভিউ" জার্নালের সম্পাদক মি. ভরত ভার্মার লেখা এক নিবন্ধে। এ প্রবন্ধে মি. ভার্মার সে নিবদ্ধ থেকে উদ্বৃতি দিয়ে বিষয়টি আরো সুস্পষ্ট করা হবে। তবে এ নিয়ে কোন রূপ রাখঢাক নাই তাদের সহযোগী বাংলাদেশী আওয়ামী বাকশালীদের মনেও। তারাও চায় বাঙালীর জীবনে একাত্তর বার বার ফিরে আসুক। এবং বাঙালী আবার লিপ্ত হোক ভারতীয়দের নেতৃত্বে এবং ভারতীয়দের অস্ত্র নিয়ে আরেকটি যুদ্ধে।
ভারত চায় আগ্রাসনের অবকাঠামো
বিশ্ব রাজনীতিতে যে অবস্থান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের, ভারত সেটিই হতে চায় সমগ্র এশিয়ার বুকে। আর সে অবস্থায় পৌঁছতে হলে অন্যদেশের অভ্যন্তরে শুধু দালাল বুদ্ধিজীবী ও রাজনীতিবিদ প্রতিপালন করলে চলেনা। আগ্রাসনকে বিজয়ী ও স্থায়ী করতে নিজেদের বিশাল দূতাবাস, ঘাঁটি,সামরিক ও বেসামরিক স্থাপনায় স্পাই নেটওয়ার্কের পাশাপাশি সেনা ও রশদ সরবরাহের অবকাঠামোও গড়ে তুলতে হয়। প্রয়োজনে সামরিক আগ্রাসনও চালাতে হয়। শুধু হামিদ কারজাইদের মত ব্যক্তিদের কারণে আফগানিস্তান মার্কিনীদের হাতে অধিকৃত হয়নি। এলক্ষে ঘাঁটি, বন্দর ও সড়ক নির্মানও করতে হয়েছে। অবিরাম গতিতে রক্তক্ষয়ী একটি যুদ্ধও চালিয়ে যেতে হচ্ছে। ভারতও তেমনি শুধু শেখ মুজিব, শেখ হাসিনা বা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের প্রতিপালন নিয়ে খুশি নয়। পাকিস্তান ভাঙ্গার ভারতীয় প্রজেক্ট শুধু আগরতলা ষড়যন্ত্রের মাঝে সীমাবদ্ধ রাখলে তা কখনই সফল হত না। এ জন্য ভারতকে নিজের বিশাল বাহিনী নিয়ে একাত্তরে প্রকান্ড একটি যুদ্ধও লড়তে হয়েছে।
এটি এখন আর লুকানো বিষয় নয়, ২০০৮ সালের নির্বাচনে ভারত শত শত কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছিল তার অনুগত পক্ষকে বিজয়ী করার লক্ষ্যে। সে তথ্যটিই বিশ্বময় ফাঁস করে দিয়েছে ব্রিটিশ প্রভাবশালী পত্রিকা ইকোনমিস্ট। তবে ভারতের এ বিনিয়োগ শুধু ২০০৮ সালে নয়, প্রতি নির্বাচনেই। যেমন ১৯৭০ সালের নির্বাচনে, তেমনি ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালের নির্বাচনেও। তবে শুধু নির্বাচনী বিনিয়োগের মধ্য দিয়েই ভারতের আসল লক্ষ্য পূরণ হওয়ার নয়। ভারত ভাল ভাবেই জানে, শুধু নিজ দেশের সেনবাহিনীতে বিনিয়োগ বাড়িয়ে বাংলাদেশের উপর আধিপত্য বিস্তার সম্ভব নয়। সে জন্য চাই,বাংলাদেশের রাজনীতি, মিডিয়া, বুদ্ধিবৃত্তি ও যোগাযোগসহ নানা ক্ষেত্রে লাগাতর বিনিয়োগ। তাছাড়া তাদের কাছে যুদ্ধ আগামী দিনের কোন বিষয় নয়,বরং প্রতি দিনের। দেশটি এক আগ্রাসী যুদ্ধে লিপ্ত তার জন্ম থেকেই। উত্তর-পূর্ব ও উত্তর-পশ্চিম -এ দুই প্রান্তে দুটি রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের শুরু আজ থেকে প্রায় ৭০ বছর আগে। এখন তা অবিরাম গতিতে চলছে। ভারতে বহু সরকার ক্ষমতায় এসেছে, বিদায়ও নিয়েছে। কিন্তু সে যুদ্ধ দুটি থামার নামই নিচ্ছে না। ভারতের উত্তর-পূর্ব সীমান্তে চলমান যুদ্ধের প্রতিবেশী দেশ হল বাংলাদেশ। পাকিস্তানকে সংশ্লিষ্ট করা ছাড়া আফগান যুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্টের পক্ষে বিজয় দূরে থাক টিকে থাকাই যেমন অসম্ভব তেমনি অবস্থা ভারতের জন্য বাংলাদেশের সংশ্লিষ্টতা। পাকিস্তানের রাজনীতি, মিডিয়া, সামরিক বাহিনী ও যুদ্ধ-অবকাঠামোতে এ কারণেই মার্কিনীদের বিশাল বিনিয়োগ। জেনারেল  মোশাররফকে হটিয়ে পিপলস পার্টিকে ক্ষমতায় বসানোর মূল কারণ ছিল মার্কিনীদের সে যুদ্ধে পাকিস্তানীদের শামিল করার বিষয়টিকে নিশ্চিত করা। একই কারণে উত্তর-পূর্বের রণাঙ্গণে ভারত অপরিহার্য মনে করে বাংলাদেশকে সম্পৃক্ত করা।সে লক্ষেই বাংলাদেশের রাজনীতি, মিডিয়া, বুদ্ধিবৃত্তিতে ভারতের এত বিনিয়োগ। "শেখ হাসীনার ফারাক্কার পানিচুক্তিতে পদ্মায় পানি বেড়েছে বা টিপাইমুখ বাঁধের ফলে সুরমা, কুশিয়ারা ও মেঘনায় পানি থৈ থৈ করবে, বা একাত্তরের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার" বাংলাদেশী বুদ্ধিজীবীরা তো এমন কথা বলে সে পুঁজি বিনিয়োগের ফলেই। একাত্তরের হাতিয়ার যে ছিল ভারতীয় হাতিয়ার সে কথা কি অস্বীকারের উপায় আছে? এবং সে হাতিয়ার নির্মিত হয়েছে যে স্রেফ ভারতীয় বিজয় ও ভারতীয় আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যে তা নিয়েও কি কোন বিতর্ক আছে?  
ভারতীয়দের ভয় ও স্ট্রাটেজী
সাম্রাজ্য বিস্তারে ভারতের যেমন স্বপ্ন আছে, তেমনি ভয়ও আছে। দেশটির সাম্রাজ্য-লিপ্সু নেতাদের মাঝে যেমন রয়েছে প্রচণ্ড পাকিস্তানভীতি ও ইসলামভীতি, তেমনি রয়েছে চীনভীতিও। চীন দ্রুত অর্থনৈতিক ও সামরিক শক্তিসঞ্চয় করছে। প্রতিবেশী নেপালও এখন চীনের পক্ষে।  মধ্য ভারতের কয়েকটি প্রদেশে জুড়ে লড়াই করে চলেছে হাজার হাজার মাওবাদী বিপ্লবী। প্রাক্তন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের ভাষায় মাওবাদীদের এ যুদ্ধই ভারতীয় নিরাপত্তার বিরুদ্ধে বর্তমান কালের সবচেয়ে বড় হুমকি। অপরদিকে পাকিস্তানও এখন আর একাত্তরের দুর্বল পাকিস্তান নয়। তার হাতে এখন পারমাণবিক বোমা। রয়েছে দূরপাল্লার শত শত মিজাইল। রয়েছে হাজার হাজার আত্মত্যাগী ইসলামী বোমারু যোদ্ধা  যাদের মাত্র কয়েকজন মোম্বাই শহরকে কয়েকদিনের জন্য অচল করে দিয়েছিল। ১৯৪৮, ১৯৬৫ এবং ১৯৭১-এর যুদ্ধের কারণে অসম্ভব ও অচিন্তনীয় হয়ে পড়েছে পাকিস্তানের সাথে দেশটির বন্ধুত্ব। সম্প্রতি আফগানিস্তানে মার্কিনীদের সাথে ভারতের সহযোগী ভূমিকা ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানীদের সে ঘৃনা আরো তীব্রতর করছে। তাছাড়া লাগাতর যুদ্ধ চলছে কাশ্মীরে। সে যুদ্ধ থামার নাম নিচ্ছে না।  সেখানে ভারতের পক্ষে বিজয় অসাধ্য হয়ে উঠছে। সে সত্যটি ভারতীয় সমরবিদদের কাছেও দিন দিন স্পষ্টতর হচ্ছে। বিজয় একই ভাবে অসাধ্য হয়ে উঠছে উত্তরপূর্ব সীমান্তের প্রদেশগুলির যুদ্ধেও। ভারতের আরো ভয়, আফগানিস্তানের যুদ্ধেও মার্কিনীদের অনুগত সরকার দ্রুত পরাজিত হতে চলেছে। ফলে তাদের আশংকা, দেশটি পুনরায় দখলে যাচ্ছে তালেবানদের হাতে -যারা পাকিস্তানের মিত্র। ভারতীয়দের ভয়,তালেবানগণ কাবুলের উপর বিজয় অর্জনের পর মনযোগী হবে ভারত থেক কাশ্মীর আজাদ করতে। কাশ্মীরের মজলুল মুসলমানদের দুর্দশায় আফগানিস্তানের সেকুলার নেতৃবৃন্দ নিশ্চুপ থাকলেও ধর্মপ্রাণ তালেবানগণ সেটি সইবে না। বরং তাদের পক্ষে যুদ্ধ লড়াটি তারা ধর্মীয় ফরজ জ্ঞান করবে। সে সাথে ভারতীয়দের আতংক ধরেছে দেশটির উত্তর-পূর্ব সীমান্তের যুদ্ধে চীনের ক্রমঃবর্ধমান আগ্রহ দেখে।
ভারতীয়দের ভয়ের আরো কারণ, উত্তর-পূর্ব সীমান্তের ৭টি প্রদেশ তিনদিক দিয়েই শত্রু দ্বারা ঘেরাও। প্রদেশগুলি মূল ভারতের সাথে সংযুক্ত মাত্র ১৭ মাইল চওড়া শিলিগুড়ি করিডোর দিয়ে। মুরগির ঘাড়ের ন্যায় সরু এ করিডোরটি চীন যে কোন সময় বন্ধ করে দিতে পারে। বন্ধ করতে পারে পূর্ব সীমান্তের বিদ্রোহী বিচ্ছিন্ততাবাদীরাও। ভারতীয়দের সে ভয় ও আতংকের ভাবই প্রকাশ পেয়েছে মি. ভরত ভার্মার প্রবন্ধে। তবে তার লেখায় শুরুতে যেটি প্রকাশ পেয়েছে তা হলো আগ্রাসী ভারতীয়দের নিজ অভিলাষের কথা। তিনি লিখেছেন, "India has the potential to be to Asia, what America is to the world… Possibly India is the only country in Asia that boasts of the potential to occupy the strategic high ground gradually being vacated by the retreating western forces, provided it develops offensive orientation at the political level. অর্থঃ "মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে মর্যাদা অর্জন করেছে সমগ্র পৃথিবীতে, ভারতের সামর্থ রয়েছে এশিয়ার বুকে সে অবস্থায় পৌঁছার। সম্ভবতঃ ভারতই এশিয়ার একমাত্র দেশ যার সামর্থ রয়েছে পিছেহঠা পশ্চিমা শক্তিবর্গের ফেলে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ স্ট্রাটেজিক ক্ষেত্রগুলো দখলের। তবে সেটি সম্ভব হবে যদি দেশটি রাজনীতির ময়দানে আক্রমণাত্মক ছকে নিজেকে গড়ে তোলে।"
কোন বৃহৎ শক্তির একার পক্ষেই এখন আর বিশ্ব-রাজনীতি নিজ নিয়ন্ত্রনে রাখা সম্ভব নয়। একাজ অতি ব্যয়বহুল। আফগানিস্তানকে কবজায় রাখার বিপুল খরচ সোভিয়েত রাশিয়াকে শুধু পরাজিতই করেনি, টুকরো টুকরো করে ফেলেছে। তেমনি ইরাক ও আফগানিস্তান দখলদারির খরচ বিপাকে ফেলেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে। দেশটি আজ দুর্বল অর্থনৈতিক ভাবে। ফলে বিজয় দূরে থাক, তাদেরকে পিছু হটার রাস্তা খুঁজতে বাধ্য হতে হয়েছে। ভারতের খায়েশ, তারা সে শূণ্যস্থান দখলে নিবে। আর সে জন্য তারা এখন আগ্রাসী স্ট্রাটেজী নিয়ে এগুচ্ছে। অথচ একটি এশিয়ান শক্তি হওয়ার খরচও কম নয়। তবে এমন বাতিক শুধু হঠকারিই করে না, বিবেকশূণ্যও করে। তাই বিশ্বের সর্বাধিক দরিদ্র মানুষের বসবাস ভারতে হলে কি হবে, দেশটির বাতিক উঠেছে শত শত কোটি টাকার অস্ত্র কেনার। এবং প্রস্তুতি নিচ্ছে পাকিস্তান ও চীনের বিরুদ্ধে একটি প্রকান্ড যুদ্ধের। এ জন্যই প্রয়োজন পড়েছে বাংলাদেশের অভ্যন্তর দিয়ে করিডোরের। কারণ, ভারতীয় সমরবিদদের বিবেচনায় শিলিগুরি সরু করিডোরটি আদৌও নিরাপদ নয়। সম্ভব নয় এ পথ দিয়ে কোন যুদ্ধকালীন সময়ে ভারতের পূর্ব সীমান্তে লাগাতর রশদ সরবরাহ। সংকীর্ন এ গিরিপথের উপর ভরসা করে দীর্ঘকাল ব্যাপী কোন যুদ্ধ পরিচালনা অসম্ভব। ভারতীদের আতংক যে এ নিয়ে কতটা প্রকট সে বিবরণও পাওয়া যায় মি. ভার্মার লেখায়। তিনি লিখেছেন, "Beijing is likely to para-drop a division of its Special Forces inside the Siliguri Corridor to sever the Northeast. There will be simultaneous attacks in other parts of the border and linkup with the Special Forces holding the Siliguri Corridor will be selected. All these will take place under the nuclear overhang. In concert Islamabad will activate the second front to unhook Kashmir by making offensive moves across the IB in the plains... Meanwhile the fifth columnists supporting these external forces will unleash mayhem inside. অর্থঃ "বেইজিং উত্তর-পূর্ব অঞ্চলকে বিচ্ছিন্ন করার লক্ষ্যে শিলিগুরি করিডোরে এক ডিভিশন স্পেশাল ফোর্সকে প্যারাসুট যোগে নামাতে পারে। শিলিগুরি করিডোরের উপর স্পেশাল ফোর্সের দখলদারি বলবৎ রাখার জন্য সে সময় সীমান্তের অন্যান্য ক্ষেত্রেও একযোগে হামলা হতে পারে। সব কিছুই হবে এমন এক সময় যখন আনবিক বোমার ভয়ও মাথার উপর ঝুলতে থাকবে। এরই সাথে তাল মিলিয়ে কাশ্মীরকে বিচ্ছিন্ন করার লক্ষ্যে ইসলামাবাদ কতৃপক্ষ আন্তর্জাতিক সীমান্ত বরাবর দ্বিতীয় রণাঙ্গণ খুলবে। দেশের অভ্যন্তরে একই সময় চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে পঞ্চম বাহিনীর লোকেরা।"      
ভারতীয়দের মাথাব্যাথা শুধু শিলিগুড়ি, কাশ্মির বা আভ্যন্তরীন মাওবাদীদের নিয়ে নয়, আতংক বেড়েছে আফগানিস্তানকে নিয়েও। ভয়ের বড় কারণ, একমাত্র ব্রিটেশদের হামলা বাদে দিল্লি অভিমুখে অতীতের সবগুলি হামলা হয়েছে আফগানিস্তানের মধ্য দিয়ে। আর আফগানিস্তানের মধ্য দিয়ে প্রসারিত হল মধ্য এশিয়ার দেশগুলির যাওয়ার রাস্তা। সে আফগানিস্তান আজ দখলে যাচ্ছে পাকিস্তানপন্থি তালেবানদের হাতে! ভারতীয় এটি ভাবতেও ভয় হয়। মি. ভার্মা লিখেছেন, "With Afghanistan being abandoned by the West, Islamabad will craft a strategy to take over Kabul with the help of Islamic fundamentalist groups. The Taliban will initially concentrate on unraveling a soft target like India in concert with Beijing -Islamabad -Kabul or Chinese Communists- Pakistan Army- Irregular Forces axis." অর্থঃ পশ্চিমা শক্তিবর্গ যখন আফগানিস্তান ছেড়ে চলে যাবে তখন ইসলামাবাদ কর্তৃপক্ষ ইসলামী মৌলবাদীদের সাথে মিলে পরিকল্পনা নিবে কাবুল দখলের। তালেবানগণ তখন বেইজিং-ইসলামাবাদ-কাবুল অথবা চীনা কম্যুনিষ্ট-পাকিস্তান সেনাবাহিনী-অনিয়মিত সৈন্য এরূপ অক্ষীয় জোটের সাহায্য নিয়ে শুরুতে ভারতের ন্যায় সহজ টারগেটের উপর আঘাত হানতে মনযোগী হবে।"
ভারতীয়দের দৃষ্টিতে বাংলাদেশ ভারতের সীমান্ত প্রতিরক্ষা সীমানার বাইরের কোন দেশ নয়। বাংলাদেশকে সে পরিকল্পিত প্রতিরক্ষা বুহ্যের বাইরের দেশ ধরলে ভারতের জন্য কোন মজবুত ডিফেন্স স্ট্রাটেজী গড়ে তোলাই অসম্ভব। সেটি ভারত হাড়ে হাড়ে বুঝেছে ১৯৬২ সালে যখন চীনের সাথে ভারতের যুদ্ধ হয়। সে যুদ্ধে ভারত চরম ভাবে পরাজিত হয়। চীনের বিশাল বাহিনীর মোকাবেলায় ভারত প্রয়োজনীয় সংখ্যক সৈন্যসমাবেশই করতে পারেনি। কারণ সেরূপ রাস্তাই ভারতের জন্য সে সময় ছিল না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে দিয়ে ভারত তখন পাকিস্তানের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খানের উপর চাপ দিয়েছিল যাতে পূর্ব পাকিস্তানের মধ্য দিয়ে সৈন্য সমাবেশের সুযোগ দেয়। কিন্তু আইয়ুব খান সে চাপের কাছে নতি স্বীকার করেননি। কিন্তু একাত্তরে পাকিস্তানের পরাজয়ের পর ভারতের সামনে সম্ভাবনার রাস্তা খুলে যায়। এশিয়ায় প্রভূত্ব বিস্তারে ভারত আজ যে স্বপ্ন দেখছে সেটি মুলতঃ একাত্তরের বিজয়ের ফলশ্রুতিতেই।
অরক্ষিত বাংলাদেশ
একাত্তরের পর বাংলাদেশের ভূমি, সম্পদ ও জনগণ যে কতটা অরক্ষিত সেটি বুঝতে কি প্রমানের প্রয়োজন আছে? ২৩ বছরের পাকিস্তান আমলে যে দাবীগুলো ভারতীয় নেতাগণ মুখে আনতে সাহস পায়নি সেগুলি মুজিবামলে আদায় করে ছেড়েছে। পাকিস্তান আমলে তারা বেরুবাড়ির দাবী করেনি, কিন্তু একাত্তরে শুধু দাবিই করেনি, ছিনিয়েও নিয়েছে। এবং সেটি মুজিবের হাত দিয়ে। প্রতিদানে কথা ছিল তিন বিঘা করিডোর বাংলাদেশকে দিবে। কিন্তু সেটি দিতে ৪০ বছরের বেশীকাল যাবত টালবাহানা করেছে। টালবাহানা করেছে আঙরপোতা, দহগ্রামের ন্যায় বহু বাংলাদেশী ছিটমহল দিতে। ভারত সেগুলিতে যাওয়ার করিডোর দিতে গড়িমসি করলে কি হবে, এখন বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে করিডোর আদায় করে নিল। সেটি নিল প্রতিবেশীর প্রতি পারস্পরিক সহযোগিতার দোহাই দিয়ে। অথচ এমন সহযোগিতা কোন কালেই ভারত প্রতিবেশীকে দেয়নি। ষাটের দশকে পাকিস্তান সরকার তার পশ্চিম ও পূর্ব পাকিস্তানের সাথে যোগাযোগের স্বার্থে করিডোর চেয়েছিল। সেটিকে তৎকালীন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী জওয়ারলাল নেহেরু একটি অদ্ভুদ দেশের অদ্ভুত আব্দার বলে মস্করা করেছিলেন। বলেছিলেন, ভারতের নিরাপত্তার প্রতি এমন ট্রানজিট হবে মারাত্মক হুমকি। শুধু তাই নয়, একাত্তরে ভারতীয় ভূমির উপর দিয়ে তৎকালীন পাকিস্তানের পিআইয়ের বেসামরিক বাণিজ্য বিমান উড়তে দেয়নি। এমন কি শ্রীলংকার উপর চাপ দিয়েছিল যাতে পাকিস্তানী বেসামরিক বিমানকে কোন জ্বালানী তেল না দেয়। বাংলাদেশের সাথেই কি আচরন ভিন্নতর? একাত্তরের যুদ্ধে চট্টগ্রাম বন্দরে কয়েকটি জাহাজ ডুবিয়ে দেয়া হয়। ফলে গুরুতর ব্যাঘাত ঘটছিল বন্দরে মালামাল বোঝাই ও উত্তোলনের কাজে। এতে বাংলাদেশের আমদানি-রপ্তানি প্রচন্ড ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিল। দেশে তখন দুর্ভিক্ষের পদধ্বনি। ছিল নিতান্তই দুঃসময়। বাংলাদেশের জন্য চট্রগ্রাম বন্দরটিই ছিল মূল বন্দর। এমন দুঃসময়ে অন্য কেউ নয়, ভারতের অতি বন্ধুভাজন শেখ মুজিব অনুমতি চেয়েছিলেন অন্ততঃ ৬ মাসের জন্য কোলকাতার বন্দর ব্যবহারের। তখন ভারত সরকার জবাবে বলেছিল ৬ মাস কেন ৬ ঘন্টার জন্যও বাংলাদেশকে এ সুবিধা দেয়া যাবে না। এটিকেও নিজেদের নিরাপত্তার জন্য হুমকি মনে করেছিল। প্রতিবেশী সুলভ সহযোগিতার বুলি তখন নর্দমায় স্থান পেয়েছিল। এমনকি শেখ মুজিবকেও ভারত আজ্ঞাবহ এক সেবাদাস ভৃত্যের চেয়ে বেশী কিছু ভাবেনি। ভৃত্যকে দিয়ে ইচ্ছামত কাজ করিয়ে নেওয়া যায়, কিন্তু তার আব্দারও কি মেনে নেওয়া যায়?
প্রতিবেশীর প্রতি ভারতের এরূপ বৈরী আচরন নিত্যদিনের। প্রতিবেশী নেপাল ও ভূটানের সাথে বাণিজ্য চলাচল সহজতর করার জন্য ১৭ কিলোমিটারের ট্রানজিট চেয়েছিল বাংলাদেশ। নেপাল চেয়েছিল মংলা বন্দর ব্যবহারের লক্ষ্যে ভারতের উপর দিয়ে মালবাহি ট্রাক চলাচলের ট্রানজিট। ভারত সে দাবি মানেনি। অথচ সে ভারতই নিল বাংলাদেশের উপর দিয়ে প্রায় ছয় শত মাইলের করিডোর। ফলে বুঝতে কি বাঁকি থাকে, পারস্পারিক সহযোগিতা বলতে ভারত যেটি বুঝে সেটি হলো যে কোন প্রকারে নিজের সুবিধা আদায়। প্রতিবেশীর সুবিধাদান নয়। কথা হলো, বাংলাদেশের জন্য ১৭ কিলোমিটারের ট্রানজিট যদি ভারতের জন্য নিরাপত্তা-সংকট সৃষ্টি করে তবে সে যুক্তি তো বাংলাদেশের জন্যও খাটে। তাছাড়া বাংলাদেশের নিরাপত্তার বিরুদ্ধে ভারতের সৃষ্ট ষড়যন্ত্র নতুন নয়। ১৯৭৫ সালে মুজিব নিহত হওয়ার পর কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্ব অনেক আওয়ামী লীগ ক্যাডার ভারতে আশ্রয় নেয়। বাংলাদেশের সীমান্তে তারা সন্ত্রাসী হামলাও শুরু করে। তাদের হামলায় বহু বাংলাদেশী নিরীহ নাগরিক নিহতও হয়। ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থাগুলি তাদেরকে যে শুধু অর্থ, অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ দিয়েছে তাই নয়, নিজ ভূমিকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ব্যবহারেরও পূর্ণ সুযোগ দিয়েছে। আওয়ামী লীগের টিকেট পিরোজপুর থেকে দুই-দুইবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য চিত্তরঞ্জন সুতার ভারতে গিয়ে স্বাধীন বঙ্গভূমি আন্দোলন গড়ে তুলেছে সত্তরের দশক থেকেই। ভারত বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত এসব সন্ত্রাসীদের বাংলাদেশের হাতে তুলে দেয়া দূরে থাক তাদেরকে নিজভূমি ব্যবহারের পূর্ণ সুযোগ দিয়েছে। এসব কি প্রতিবেশী-সুলভ আচরণ? অথচ সে ভারতই দাবি তুলেছে আসামের উলফা নেতাদের ভারতের হাতে তুলে দেওয়ার। হাসিনা সরকার তাদেরকে ভারতের হাতে তুলেও দিচ্ছে। অথচ কাদের সিদ্দিকী ও চিত্তরঞ্জন সুতারের ন্যায় উলফা নেতাদের ভাগ্যে বাংলাদেশের মাটিতে জামাই আদর জুটেনি। ঘাঁটি নির্মান, সামরিক প্রশিক্ষণ ও বাংলাদেশের ভূমি থেকে প্রতিবেশী দেশের বিরুদ্ধে হামলা পরিচালনার সুযোগও জুটেনি। বরং জুটেছে জেল।
ষড়যন্ত্র ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার
বাংলাদেশের উপর দিয়ে ভারতের করিডোর যে কতটা আত্মঘাতি এবং কিভাবে সেটি বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিনত করবে সে বিষয়টিও ভাববার বিষয়। বাংলাদেশের উত্তর-পূর্ব সীমান্ত জুড়ে মেঘালয়, আসাম, ত্রিপুরা, অরুনাচল, মনিপুর, নাগাল্যান্ড ও মিজোরাম -ভারতের এ সাতটি প্রদেশ। এ রাজ্যগুলির জন্য এমন কিছু বিশেষ বৈশিষ্ট রয়েছে যা বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এক). সমগ্র এলাকার আয়তন বাংলাদেশের চেয়েও বৃহৎ অথচ অতি জনবিরল। দুই) সমগ্র এলাকাটিতে হিন্দুরা সংখ্যালঘিষ্ট। ফলে হিন্দু-মুসলমানের বিরোধ নিয়ে সমগ্র উপমহদেশে যে রাজনৈতিক সংঘাত ও উত্তাপ এ এলাকায় সেটি নেই। ফলে এখানে বাংলাদেশ পেতে পারে বন্ধুসুলভ প্রতিবেশী যা তিন দিক দিয়ে ভারত দ্বারা পরিবেষ্ঠিত বাংলাদেশের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের উত্তর-পূর্ব -এ দুই দিকের সীমান্ত অতি সহজেই নিরাপত্তা পেতে পারে এ এলাকায় বন্ধু সুলভ কোন সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে। অপরদিকে নিরাপত্তা চরম ভাবে বিঘ্নিত হতে পারে যদি কোন কারণে তাদের সাথে বৈরীতা সৃষ্টি হয়। তাই এ এলাকার রাজনীতির গতিপ্রকৃতির সাথে সম্পর্ক রাখাটি বাংলাদেশের কাছে অতি গুরুত্বপূর্ণ। পাকিস্তান যেমন আফগানিস্তানের রাজনীতি  থেকে হাত গুটাতে পারে না তেমনি বাংলাদেশের পক্ষে সম্ভব নয় এ বিশাল এলাকার রাজনীতি থেকে দূরে থাকা। যেহেতু এ এলাকায় চলছে প্রকাণ্ড এক জনযুদ্ধ তাই তাদের সাথে শত্রুতা সৃষ্টি করা হবে আত্মঘাতি।  অথচ ভারত চায়, বাংলাদেশকে তাদের বিরুদ্ধে খাড়া করতে। তিন). একমাত্র ব্রিটিশ আমল ছাড়া এলাকাটি কখনই ভারতের অন্তর্ভূক্ত ছিল না, এমনকি প্রতাপশালী মুঘল আমলেও নয়। হিন্দু আমলে তো নয়ই। মুর্শিদ কুলি খাঁ যখন বাংলার সুবেদার তথা গভর্নর, তখন তিনি একবার আসাম দখলের চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু সে দখলদারি বেশী দিন টিকিনি। আসামসহ ৭টি প্রদেশের ভূমি ভারতভূক্ত হয় ব্রিটিশ আমলের একেবারে শেষ দিকে। ভারতীয়করণ প্রক্রিয়া সেজন্যই এখানে ততটা সফলতা পায়নি। এবং গণভিত্তি পায়নি ভারতপন্থি রাজনৈতিক দলগুলি। চার). সমগ্র এলাকাটি শিল্পে অনুন্নত এবং নানাবিধ বৈষম্যের শিকার। অথচ এলাকাটি প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ। ভারতের সিংহভাগ তেল, চা, টিম্বার এ এলাকাতে উৎপন্ন হয়। অথচ চা ও তেল কোম্মানীগুলোর হেড-অফিসগুলো কোলকাতায়। কাঁচামালের রপ্তানীকারক প্রতিষ্ঠানগুলিও এলাকার বাইরের। ফলে রাজস্ব আয় থেকে এ এলাকার রাজ্যগুলি বঞ্চিত হচ্ছে শুরু থেকেই। শিল্পোন্নত রাজ্য ও শহরগুলো অনেক দূরে হওয়ায় পণ্যপরিহন ব্যয়ও অধিক। ফলে সহজে ও সস্তায় পণ্য পেতে পারে একমাত্র উৎস বাংলাদেশ থেকেই। ভারতকে করিডোর দিলে সে বাণিজ্যিক সুযোগ হাতছাড়া হতে বাধ্য। পাঁচ) যুদ্ধাবস্থায় অতি গুরুত্বপূর্ণ হল নিরাপদ যোগাযোগ ব্যবস্থা। কিন্ত এ এলাকায় সে সুযোগ ভারতের নেই। ভারতের সাথে এ এলাকার সংযোগের একমাত্র পথ হল পার্বত্যভূমি ও বৈরী জনবসতি অধ্যুষিত এলাকার মধ্য অবস্থিত ১৭ কিলোমিটার চওড়া করিডোর। এ করিডোরে স্থাপিত রেল ও সড়ক পথের কোনটাই নিরাপদ নয়। ইতিমধ্যে গেরিলা হামলায় শত শত সামরিক ও বেসামরিক ব্যক্তির সেখানে প্রাণনাশ হয়েছে। ছয়). নৃতাত্বিক দিক দিকে এ এলাকার মানুষ মাঙ্গোলিয়। ফলে মূল ভারতের অন্য যে কোন শহরে বা প্রদেশে পা রাখলেই একজন নাগা, মিজো বা মনিপুরি চিহ্নিত হয় বিদেশী রূপে। তারা যে ভারতী নয় সেটি বুঝিয়ে দেয়ার জন্য এ ভিন্নতাই যথেষ্ট। এ ভিন্নতার জন্যই সেখানে স্বাধীন হওয়ার জন্য মুক্তিযুদ্ধ চলছে বিগত প্রায় ৭০ বছর ধরে। ভারতীয় বাহিনীর অবিরাম রক্ত ঝরছে এলাকায়। বহু চুক্তি, বহু সমঝোতা, বহু নির্বাচন হয়েছে কিন্তু স্বাধীনতার সে যুদ্ধ থামেনি। ফলে বাড়ছে ভারতের অর্থনীতির উপর চাপ। সমগ্র এলাকা হয়ে পড়েছে ভারতের জন্য ভিয়েতনাম। যে কোন সময় অবস্থা আরো গুরতর রূপ নিতে পারে। আফগানিস্থানে একই রূপ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল রাশিয়ার জন্য। সে অর্থনৈতিক রক্তশূণ্যতার কারনে বিশাল দেহী রাশিয়ার মানচিত্র ভেঙ্গে বহু রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছিল। ভারত রাশিয়ার চেয়ে শক্তিশালী নয়। তেমনি স্বাধীনতার লক্ষ্যে এ এলাকার মানুষের অঙ্গিকার, আত্মত্যাগ এবং ক্ষমতাও নগণ্য নয়। ফলে এ সংঘাত থামার নয়। ভারত চায় এ অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে। কিন্তু ভারতের কাছে সংকট মুক্তির সে রাস্তা খুব একটা খোলা নাই।
ভারত করিডোর চাচ্ছে পণ্য-পরিবহন ও আভ্যন্তরীণ যোগাযোগের দোহাই দিয়ে। বিষয়টি কি আসলেই তাই? মেঘালয়, ত্রিপুরা, অরুনাচল, মনিপুর, নাগাল্যান্ড ও মিজোরামের সমুদয় জনসংখ্যা ঢাকা জেলার জনসংখ্যার চেয়েও কম। এমন ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠির জন্য পণ্যসরবরাহ বা লোক-চলাচলের জন্য এত কি প্রয়োজন পড়লো যে তার জন্য অন্য একটি প্রতিবেশী দেশের মধ্য দিয়ে করিডোর চাইতে হবে? সেখানে এক বিলিয়ন ডলার বিণিয়োগ করতে হবে? যখন তাদের নিজের দেশের মধ্য দিয়েই ১৭ কিলোমিটারের প্রশস্ত করিডোর রয়েছে। বাংলাদেশের বিগত সরকারগুলো দেশের আভ্যন্তরীণ সড়কের দুরবস্থার কথা জানিয়ে এতকাল পাশ কাটানোর চেষ্টা করেছে। এবার ভারত বলছে তারা সড়কের উন্নয়নে বাংলাদেশকে দুই বিলিয়ন ডলার লোন দিতে রাজী। এবার বাংলাদেশ যাবে কোথায়? অথচ এই এক বিলিয়ন ডলার দিয়ে ভারত তার ১৭ মাইল প্রশস্ত করিডোর দিয়ে একটি নয়, ডজনের বেশী রেল ও সড়ক পথ নির্মাণ করতে পারতো। এলাকায় নির্মিত হতে পারে বহু বিমান বন্দর। ভারতের সে দিকে খেয়াল নাই, দাবী তুলেছে বাংলাদেশের মাঝ খান দিয়ে যাওয়ার পথ চাই-ই। যেন কর্তার তোগলোকি আব্দার। গ্রামের রাস্তা ঘুরে যাওয়ায় রুচি নেই, অন্যের শোবার ঘরের ভিতর দিয়ে যেতেই হবে। গ্রামের ঝোপঝাড়ের পাশ দিয়ে রাস্তায় পথ চলতে অত্যাচারি কর্তার ভয় হয়। কারণ তার কুর্মের কারণে শত্রুর সংখ্যা অসংখ্য। না জানি কখন কে হামলা করে বসে। একই ভয় চেপে বসেছে ভারতীয়দের মাথায়। সমগ্র উত্তরপূর্ব ভারতের স্বাধীনতাকামী জনগণের কাছে তারা চিহ্নিত হয়েছে উপনিবেশিক ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের উত্তরাধিকারী রূপে। তারা চায় ভারতীয় শাসন থেকে আশু মুক্তি। এ লক্ষে জানবাজি রেখে তারা যুদ্ধে নেমেছে। ফলে ভারতের জন্য অবস্থা অতি বেগতিক হয়ে পড়েছে। একদিকে কাশ্মীরের মুক্তিযুদ্ধ দমনে যেমন ছয় লাখেরও বেশী ভারতীয় সৈন্য অন্তহীন এক যুদ্ধে আটকা পড়ে আছে তেমনি তিন লাখের বেশী সৈন্য যুদ্ধে লিপ্ত উত্তর-পূর্ব এ ভারতে। যুদ্ধাবস্থায় অতিগুরুত্বপূর্ণ হলো নিরাপদ যোগাযোগ ব্যবস্থা। ফলে যতই এ যুদ্ধ তীব্রতর হচ্ছে ততই প্রয়োজন বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে করিডোরের। করিডোর নিতান্তই সামরিক প্রয়োজনে তা নিয়ে কি কোন সন্দেহ আছে? আর বাংলাদেশের জন্য শংকার কারণ মূলত এখানেই। ভারত তার চলমান রক্তাত্ব যুদ্ধে বাংলাদেশকেও জড়াতে চায়। এবং সে সাথে কিছু গুরুতর দায়িত্বও চাপাতে চায়। কারো ঘরের মধ্য দিয়ে পথ চললে সে পথে কিছু ঘটলো সহজেই সেটির দায়-দায়িত্ব ঘরের মালিকের ঘাড়ে চাপানো যায়। তার বিরুদ্ধে আদালতে ফৌজদারি মামলাও দায়ের করা যায়। কিন্তু বিজন মাঠ বা ঝোপঝাড়ের পাশে সেটি ঘটলে আসামী খুঁজে পাওয়াই দায়। ভারত এজন্যই বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ৬ শত মাইলের করিডোর এবং সে করিডোরের নিরাপত্তার দায়-দায়িত্ব বাংলাদেশের কাঁধে চাপাতে চায়। তখন এ পথে ভারতীয়দের উপর হামলা হলে বাংলাদেশকে সহজেই একটি ব্যর্থ দেশ এবং সে সাথে সন্ত্রাসী দেশ রূপে আখ্যায়ীত করে আন্তর্জাতিক মহলে নাস্তানাবুদ করা যাবে। সে সাথে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভারতীয় সামরিক হস্তক্ষেপকে ন্যায়সঙ্গত বলার বাহানাও পাওয়া যাবে।
যে হামলা অনিবার্য
প্রশ্ন হলো, বাংলাদেশের অভ্যন্তর দিয়ে ভারতীয় যানবাহন চলা শুরু হলে সেগুলির উপর হামলার সম্ভাবনা কি কম? ভারতীয় বাহিনী কাশ্মীরের মুসলমানদের উপর নিষ্ঠুর বর্বরতা চালিয়ে যাচ্ছে দীর্ঘ ৬০ বছর যাবত। এক লাখের বেশী কাশ্মীরীকে সেখানে হত্যা করা হয়েছে, বহু হাজার মুসলিম নারী হয়েছে ধর্ষিতা। এখনও সে হত্যাকান্ড ও ধর্ষন চলছে অবিরাম ভাবে। জাতিসংঘের কাছে ভারত সরকার ১৯৪৮ সালে ওয়াদা করেছিল কাশ্মীরীদের ভাগ্য নির্ধারণে সেখানে গণভোট অনুষ্ঠিত করার অনুমতি দিবে। জাতিসংঘ নিরাপত্ত পরিষদ এ্যাডমিরাল নিমিটস্ এর উপর দায়িত্ব দিয়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতিও শুরু হয়েছিল। কিন্তু ভারত সে প্রতিশ্রুতি রাখেনি। নিছক গায়ের জোরে। এভাবে কাশ্মীরীদের ঠেলে দেওয়া হয়েছে রক্তাক্ষয়ী যুদ্ধের পথে। অপর দিকে ভারত জুড়ে মুসলিম হত্যা, ধর্ষণ, ঘরবাড়ীতে আগুণ, এমনকি মসজিদ ভাঙ্গার কাজ হয় অতি ধুমধামে ও উৎসবভরে। অযোধ্যায় বাবরী মসজিদ ভাঙ্গার কাজ হয়েছে হাজার পুলিশের সামনে দিন-দুপুরে। হাজার হাজার সন্ত্রাসী হিন্দুদের দ্বারা ঐতিহাসিক এ মসজিদটি যখন নিশ্চিহ্ন হচ্ছিল তখন ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নরসীমা রাও, বিরোধী দলীয় নেতা বাজপেয়ী এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তাগণ সম্ভবতঃ আনন্দ ও উৎসবভরে ডুগডুগি বাজাচ্ছিলেন। এটি ছিল বড় মাপের একটি ঐতিহাসিক অপরাধ। অথচ এ অপরাধ সংঘটিত হওয়ার পর ভারত সরকারের কোন পুলিশ কোন অপরাধীকেই গ্রেফতার করেনি। আদালতে কারো কোন জেল-জরিমানাও হয়নি। ভাবটা যেন, সেদেশে কোন অপরাধই ঘটেনি। ভারতীয়দের মানবতাবোধ ও মূল্যবোধের এটিই প্রকৃত অবস্থা। এমন একটি দেশ থেকে কি সুস্থ্য পররাষ্টনীতি আশা করা যায়? দেশটিতে দাঙ্গার নামে হাজার হাজার মুসলমানকে জ্বালিয়ে মারার উৎসব হয় বার বার। সাম্প্রতিক কালে আহমেদাবাদে যে মুসলিম গণহত্যা হল সংখ্যালঘূদের বিরুদ্ধে তেমন কান্ড পাকিস্তানের ৬০ বছরের জীবনে একবারও হয়নি। বাংলাদেশের ৪৫ বছরের জীবনেও হয়নি।
কংগ্রেস নেতা মাওলানা আবুল কালাম আযাদ লিখেছিলেন, ''আফ্রিকার কোন জঙ্গলে কোন মুসলমান সৈনিকের পায়ে যদি কাঁটাবিদ্ধ হয় আর সে কাঁটার ব্যাথা যদি তুমি হৃদয়ে অনুভব না কর তবে খোদার কসম তুমি মুসলমান নও।" -সুত্রঃ মাওলানা আবুল কালাম আযাদ রচনাবলী, প্রকাশক: ইসলামী ফাউন্ডেশন, ঢাকা। এমন চেতনা মাওলানা আবুল কালাম আযাদের একার নয়, এটিই ইসলামের বিশ্ব-ভাতৃত্বের কথা। যার মধ্যে এ চেতনা নাই তার মধ্যে ঈমানও নাই। বাস্তবতা হল, বাংলাদেশে যেমন সেকুলারিজমের জোয়ারে ভাসা ভারতপন্থি বহু ক্যাডার আছে, তেমনি প্যান-ইসলামের চেতনায় উজ্জিবীতত বহু লক্ষ মুসলমানও আছে। করিডোরের পথে সাক্ষাৎ চোখের সামনে তথা হাতের সামনে মুসলিম হত্যাকারি ও মসজিদ ধ্বংসকারি ভারতীয় সৈনিকদের কাছে পেয়ে এদের কেউ কেউ যে তাদের উপর বীরবিক্রমে ঝাঁপিয়ে পড়বে না সে গ্যারান্টি কে দেবে? তাছাড়া ১৯৪৭ সালে বাংলার মুসলমানগণ যে স্বাধীন পাকিস্তানের জন্ম দিয়েছিলেন তা নিজ বাংলার বাঙালী হিন্দুদের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নয়, বরং অবাঙালী মুসলমানদের সাথে কাঁধ মিলিয়ে। সে চেতনা ছিল প্যান ইসলামের। সেটি কি এতটাই ঠুনকো যে আওয়ামী বাকশালীদের ভারতমুখি মিথ্যা প্রচারনায় এত সহজে মারা মরবে? চেতনাকে শক্তির জোরে দাবিয়ে রাখা যায়, হত্যা করা যায় না। আর ইসলামি চেতনাকে তো নয়ই। ভারত সেটি জানে, তাই বাংলাদেশ নিয়ে তাদের প্রচণ্ড ভয়।
তাছাড়া বাংলাদেশীদের প্রতি ভারতীয় সৈনিকদের আচরণটাই কি কম উস্কানিমূলক? প্রতি বছরে বহু শত বাংলাদেশী নাগরিককে ভারতীয় বর্ডার সিকুরিটি ফোর্স তথা বিএসএফ হত্যা করছে। তারকাটার বেড়ায় ঝুলিয়ে রাখা হয় তাদের লাশ। এবং এর কোন প্রতিকার কোন বাংলাদেশী পায়নি। নিরীহ মানুষের এমন হত্যাকান্ড বিএসএফ পাকিস্তান সীমান্তে বিগত ৬০ বছরেও ঘটাতে পারিনি। এমনকি নেপাল বা ভূটান সীমান্তেও হয়নি। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব ভারত সরকারের কাছে যে কতটা মূল্যহীন ও তুচ্ছ এবং দেশের জনগণ যে কতটা অরক্ষিত -সেটি বোঝানোর জন্য এ তথ্যটিই কি যথেষ্ট নয়? বহুবার তারা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কয়েক কিলোমিটার ঢুকে হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে। ইচ্ছামত গরুবাছুড়ও ধরে নিয়ে গেছে। বাঁধ দিয়ে সীমান্তের ৫৪টি যৌথ নদীর পানি তুলে নিয়েছে বাংলাদেশের মতামতের তোয়াক্কা না করেই। ফারাক্কা নির্মান করেছে এবং পদ্মার পানি তুলে নিয়েছে এক তরফা ভাবেই। টিপাইমুখ বাধ দিয়ে সুরমা ও কুশিয়ারার এবং তিস্তার উপর উজানে বাঁধ দিয়ে বাংলাদেশকে পানিশূণ্য করার ষড়যন্ত্র করছে। এদের মুখে আবার প্রতিবেশী মূলক সহযোগিতার ভাষা?
অধিকৃত বাংলাদেশ 
ভারতের আগ্রাসী ভূমিকার কারণ ভারতবিরোধী চেতনা এখন বাংলাদেশের ঘরে ঘরে। বেতনভোগী কয়েক হাজার র'এর এজেন্ট দিয়ে এমন চেতনাধারিদের দমন অসম্ভব। সেটি ভারতও বুঝে। তাই চায়, বাংলাদেশ সরকার ভারত বিরোধীদের শায়েস্তা করতে বিশ্বস্ত ও অনুগত ঠ্যাঙ্গারের ভূমিকা নিক। শেখ হাসিনার সরকার সে ভূমিকাই বিশ্বস্ততার সাথে পালন করছে দেশের শত শত ইসলামপন্থি নেতা কর্মীদের গ্রেফতার ও নির্যাতন এবং ইসলামী বইপুস্তক বাজয়াপ্ত করার মধ্য দিয়ে। অথচ এটি কি কখনো কোন মুসলমানের এজেণ্ডা হতে পারে? শেখ হাসিনার সরকার রীতিমত যুদ্ধ শুরু করেছে দেশের ইসলামপন্থিদের নির্মূলে। সেটি শুধু জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে নয়, সকল ইসলামী দলের বিরুদ্ধেই। কে বা কোন দল একাত্তরে অখণ্ড পাকিস্তানের পক্ষ নিয়েছিল সেটি তাদের কাছে বড় কথা নয়, বরং কারা এখন ইসলামের পক্ষ নিচ্ছে সেটিই তাদের বিবেচনায় মূল। এবং তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধেও নামছে। আওয়ামী বাকশালী পক্ষটি এমন একটি যুদ্ধের হুংকার বহু দিন থেকে দিয়ে আসছিল এবং এখন সেটি শুরুও হয়ে গেছে। বাংলাদেশের ঘাড়ে এভাবেই চাপানো হয়েছে একটি অঘোষিত ভারতীয় যুদ্ধ। এ যুদ্ধের ব্যয়ভার যেমন ভারতীয়রা বহন করছে, তেমনি কমাণ্ডও তাদের হাতে। বাংলাদেশ বস্তুত এ পক্ষটির হাতেই আজ  অধিকৃত।
হাসিনা জনগণের সমর্থণ নিয়ে ক্ষমতায় আসেনি। জনপ্রিয়তা হারানো নিয়েও তার কোন দুর্ভাবনা নেই। সে দুর্ভাবনা ও দায়ভারটি বরং ভারতীয়দের। শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হলে আওয়ামী লীগের চেয়েও বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হবে ভারত। তখন বিপদে পড়বে ভারতের প্রায় বহু বিলিয়ন ডলারের বিশাল বাজার। বিপদে পড়বে উত্তর-পূর্ব ভারতে তাদের যুদ্ধ।  চট্টগ্রাম বন্দরে আটককৃত ১০ট্রাক অস্ত্র নিয়ে হাসিনা সরকার প্রমাণ করে ছেড়েছে তাঁর সরকার ভারতীয়দের কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ। বলা হচ্ছে, সে ১০ট্রাক চীনা অস্ত্র আনা হয়েছিল উলফা বিদ্রোহীদের হাতে পৌছানোর জন্য। হাসিনা ক্ষমতাচ্যুৎ হলে ভবিষ্যতে ১০ ট্রাক নয় আরো বেশী অস্ত্র যে বিদ্রোহীদের হাতে পৌছবে তা নিয়ে কি ভারতীয়দের মনে কোন সন্দেহ আছে? ভারতীয় নেতারা কি এতই শিশু যে তারা সেটি বুঝে না? তাই ভারত চায়, শেখ হাসিনার আওয়ামী-বাকশালী সরকার শুধু ক্ষমতায় থাকুক তাই নয়, বরং ভারতের সাথে উলফা বিরোধী যুদ্ধে পুরাপুরি সংশ্লিষ্ট হোক। এ যুদ্ধে যোগ দিক সক্রিয় পার্টনার রূপে, যেমনটি দিয়েছিল একাত্তরে। 
অনিবার্য হবে ভারতের সামরিক হস্তক্ষেপ
কাউকে নিজ ঘরে দাওয়াত দিলে তাকে নিরাপত্তাও দিতে হয়। মেহমানদারির এ এক মহা দায়ভার। নিজ গৃহে অন্যের উপর হামলা হলে সেটি আর তখন আভ্যন্তরীণ বিষয় থাকে না। তাকে বাঁচাতে অন্যরা তখন ঘরে ঢুকার বৈধতা পায়। তাছাড়া শত শত মাইল ব্যাপী করিডোরে শত শত ভারতীয় যানবাহন ও হাজার হাজার ভারতীয় নাগরিকদের নিরাপত্তা দেয়ার দায়ভার কি এতই সহজ? পাকিস্তান, ইরাক, আফগানিস্তান, ইয়েমেনসহ বিশ্বের বহু দুর্বল দেশে নিজেদের নিরাপত্তার দায়ভার মার্কিনীরা নিজ হাতে তুলে নিয়েছে। এখন সেসব দেশে মার্কিনীরা লাগাতর ড্রোন হামলা চালাচ্ছে। ফলে ভারতকে করিডোর দেয়ার ফলে সে করিডোরে চলমান ভারতীয় যানবাহনের উপর হামলা হলে তখন নিরাপত্তার দায়ভারও ভারতীয়রা নিজ হাতে নিতে চাইবে। তখন বাংলাদেশে ভারতীয় সৈন্য সমাবেশ যেমন বাড়বে, তেমনি বাড়বে তাদের উপর হামলাও। এর ফলে তীব্রতর হবে যুদ্ধও। এভাবেই বাংলাদেশের কাঁধে চাপবে ভারতের যুদ্ধ।
ভারত জানে, করিডোর দিলে ভারতের যুদ্ধে বাংলাদেশকে নামানো সহজতর হবে। কারণ করিডোর দিয়ে চলমান ভারতীয় যানের উপর হামলা রোধে বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা বাহিনী তখন সীমান্ত ছেড়ে কামানের নলগুলি নিজ দেশের জনগণের দিকে তাক করতে বাধ্য হবে। দেশটি তখন পরিণত হবে আরেক ইরাক,আরেক আফগানিস্থান বা কাশ্মীরে। করিডোরে চলমান ভারতীয় যানবাহনের উপর হামলা হলে বাংলাদেশের রাজনীতিতে ভারতীয় হস্তক্ষেপও বাড়বে। বাড়বে ভারতীয় সৈন্য সমাবেশও। কারণ, ভারতীয় যানবাহন ও নাগরিকদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হলে ভারত নিশ্চিয়ই চুপচাপ বসে থাকবে? ভারত তখন বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্র আখ্যা দিয়ে নিজেদের যানবাহন ও নাগরিকদের নিরাপত্তা নিজ হাতে নিতে আগ্রহী হবে। যে অজুহাতে মার্কিনী বাহিনী পাকিস্তানের অভ্যন্তরে ঢুকে যাকে ইচ্ছা তাকে গ্রেফতার করছে বা হত্যা করছে, এবং যখন তখন ড্রোন হামলা করছে, সেটিই যে ভারত বাংলাদেশের অভ্যন্তরে করবে তা নিয়ে কি কোন সন্দেহ আছে? ভারতীয় বিএসএফ যেটি বাংলাদেশের সীমান্তে করছে সেটিই করবে দেশের ভিতরে ঢুকে। ভারতীয় বাহিনীর সে কাজে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকার ও তার পশ্চিমা মিত্রগণও যে ভারতকে অকুণ্ঠ সমর্থন দিবে -তা নিয়েও কি কোন সংশয় আছে?  মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তো ইতিমধ্যে জানিয়ে দিয়েছে, ভারত দক্ষিণ এশিয়ায় আঞ্চলিক শক্তি রূপে দায়িত্ব পালন করুক। অর্থাৎ আফগানিস্তান এবং ইরাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যা কিছু করছে সেটিই ভারত বাংলাদেশ এবং পাশ্বর্ব্তী অন্যান্য দেশে পালন করুক। ভারত একই ভাবে মার্কিনীদের পাশে দাড়িয়েছে আফগানিস্তানে। বরং ভারতের আব্দার, মার্কিন বাহিনী যেন পুরাপুরি আফগানিস্তান ত্যাগ না করে।  
ভারতের বিদেশ নীতিতে সম্প্রতি আরেক উপসর্গ যোগ হয়েছে। ভারতের যে কোন শহরে বোমা বিস্ফোরণ হলে তদন্ত শুরুর আগেই ভারত সরকার পাকিস্তানীদের পাশাপাশি বাংলাদেশীদের দায়ী করে বিবৃতি দিচ্ছে। যেন এমন একটি বিবৃতি প্রচারের জন্য পূর্ব থেকেই প্রস্তুত থাকে। কিন্তু এ অবধি এমন কাজে বাংলাদেশীদের জড়িত থাকার পক্ষে আজ অবধি কোন প্রমান তারা পেশ করতে পারিনি। এমন অপপ্রচারের লক্ষ্য একটিই। করিডোরসহ ভারত যে সুবিধাগুলো চায় সেগুলি আদায়ে এভাবে প্রচন্ড চাপসৃষ্টি করা। ভারতীয় পররাষ্ট্রনীতির এটিই হলো এখন মূল স্ট্রাটেজী। লক্ষ্যনীয় হল, সেদেশে বার বার সরকার পরিবর্তন হলেও বাংলাদেশের প্রতি তাদের এ নীতিতে কোন পরিবর্তন নেই। কিন্তু বাংলাদেশের জন্য বিপদ বাড়বে যদি এ লড়ায়ে বালাদেশ ভারতের পক্ষ নেয়। পণ্যের পাশাপাশি সৈন্য ও সামরিক রশদ তখন রণাঙ্গণে গিয়ে পৌঁছবে বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে। ফলে পূর্ব এলাকার মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে প্রতিপক্ষ রূপে চিহ্নিত হবে বাংলাদেশ। আজ অবধি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যারা একটি তীরও ছুঁড়েনি তারাই পরিণত হবে পরম শত্রুরূপে। তখন সসস্ত্র হামলার লক্ষ্যে পরিণত হবে বাংলাদেশের সামরিক ও বেসামরিক স্থাপনা। তখন অশান্ত হয়ে উঠবে দেশের হাজার মাইল ব্যাপী উত্তর ও পূর্ব সীমান্ত। অহেতুক এক রক্তাক্ষয়ী যুদ্ধে জড়িয়ে পড়বে বাংলাদেশ। কথা হলো, যে গেরিলা যোদ্ধাদের মোকাবিলা করতে গিয়ে বিশাল ভারতীয় বাহিনীই হিমসিম খাচ্ছে সেখানে বাংলাদেশের মত দেশ কি সফলতা পাবে? তখন বাংলাদেশের সম্ভাব্য বিচ্ছিন্নতাবাদীরা বিশেষ করে পার্বত্য চট্টগ্রামের চাকমা বিদ্রোহীগণ বন্ধু ও নিরাপদ আশ্রয় খুঁজে পাবে এ এলাকায়। এ কারণেই বাংলাদেশের জন্য অতিশয় আত্মঘাতি হলো ভারতের জন্য ট্রানজিট দান।
খাল কাটা হচ্ছে কুমির আনতে
খাল কাটলে কুমির আসাবেই। সেটি শুধু স্বাভাবিকই নয়, অনিবার্যও। অথচ বাংলাদেশ সরকার সে পথেই এগুলো। করিডোর দেয়াতে আগ্রাসী শক্তির পদচারণা হবেই। এখন শুধু মালবাহী ভারতীয় ট্রাকই আসবে না, সৈন্যবাহী যানও আসবে। তাদের বাঁচাতে ড্রোন হামলাও হবে। বাংলাদেশ প্রকৃত অর্থেই তখন ভারতের এক অধিকৃত দেশে পরিনত হবে। ফলে আজকের আফগানিস্তান ও কাশ্মীরের যে অধিকৃত দশা সেটি বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও ঘটবে। এবং সে পরাধীনতাকে স্বাধীনতা বলার মত লোকের অভাব যেমন আফগানিস্তান ও কাশ্মীরে হয়নি, তেমনি বাংলাদেশেও হবে না। "ফারাক্কার পানিচুক্তির ফলে বাংলাদেশ লাভবান হয়েছে""টিপাই মুখ বাঁধ দেয়াতে সুরমা, কুশিয়ারা ও মেঘনায় পানি থৈ থৈ করবে" এবং "ভারতকে করিডোর দিলে হাজার হাজার কোটি টাকার অর্থ লাভ হবে" এমন কথা বলার লোক কি বাংলাদেশে কম? তারাই সেদিন ভারতের পক্ষে তাদের গলা জড়িয়ে প্রশংসা গীত গাইবে।
আরো লক্ষ্যণীয় হলো, বাংলাদেশের পার্শ্ববর্তী এ এলাকাটিতে ভূ-রাজনৈতিক ও ধর্মীয় পরিবর্তন হচ্ছে অতি দ্রুতগতিতে। মেঘালায়, মিজোরাম ও ন্যাগাল্যান্ড রাজ্যগুলি ইতিমধ্যেই পরিণত হয়েছে খৃষ্টান সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজ্যে। খৃষ্টান ধর্ম জোরে সোরে প্রচার পাচ্ছে পাশ্ববর্তী প্রদেশগুলিতেও। ফিলিপাইনের পর সমগ্র এশিয়ায় এটিই এখন সর্ববৃহৎ খৃষ্টান অধ্যুষিত এলাকা। তাছাড়া ভারতীয় সংখ্যাগরিষ্ট হিন্দুদের আচরণে এ ধর্মমতের অনুসারিরাও অতি অতিষ্ট। উগ্র হিন্দুদের কাছে হিন্দু ধর্ম ছাড়া অন্য ধর্মে দীক্ষা নেওয়া এক অমার্জনীয় অপরাধ। ফলে অতি জোরদার হচেছ খৃষ্টান অধ্যুষিত এলাকা নিয়ে একটি অখন্ড খৃষ্টান রাষ্ট্র নির্মানের ধারণা। পশ্চিমা খৃষ্টান জগতে এমন রাষ্ট্রের পক্ষে আগ্রহ দিন দিন বাড়বে সেটিই স্বাভাবিক। ইন্দোনেশিয়া থেকে পূর্ব তিমুরকে আলাদা করার পিছনে যে যুক্তি দেখানো হয়েছিল সে যুক্তির প্রয়োগ হবে ভারতের বিরুদ্ধেও। ফলে খৃষ্টান জগত এবং চীনের ন্যায় বৃহৎ শক্তিবর্গও তখন নিজ নিজ স্বার্থে স্বাধীনতাকামীদের পক্ষ নিবে।
এ অবস্থায় ভারতের পক্ষ নেওয়ার খেসারত দিতে হবে অন্যান্য আঞ্চলিক ও বৃহৎ শক্তির বিরাগ-ভাজন হয়ে। বাংলাদেশের জন্য সেটি হবে আত্মঘাতি। কিন্তু ভারতের জন্য চরম সুখের বিষয়টি হল, বাংলাদেশের মানুষের গলায় এ ঘাতক ফাঁসটি তাকে নিজে পড়িয়ে দিতে হচ্ছে না। দেশবাসীর গলায় সে ফাঁসটি পড়ানোর সে দায়িত্ব নিয়েছে বাংলাদেশের সরকার নিজে। ভারতীয়দের সৌভাগ্য যে,সে কাজে তারা একটি সেবাদাস সরকারও পেয়ে গেছে। এ মুহুর্তে ভারত সরকারের কাজ হয়েছে, সে পরিকল্পিত ফাঁসটি এ নতজানু সরকারের হাতে তুলে দেওয়া। একাত্তরের যুদ্ধের ফসল যেভাবে তারা নিজেরা ঘরে তুলেছিল,তারা একই কৌশল নিয়ে এগুচ্ছে এবারও। একাত্তরের যুদ্ধ শেষে তারা বাংলাদেশীদের উপহার দিয়েছিল স্বাধীনতার নামে ভারতের পদানত একদলীয় একটি বাকশালী সরকার, রক্ষিবাহিনীর নৃশংসতা, "ভিক্ষার তলাহীন ঝুড়ি" এবং ভয়ানক দুর্ভিক্ষ। উনিশ শ' সত্তরের নির্বাচন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার নামে হলেও দেশবাসীর ভাগ্যে সে গণতন্ত্র জুটেনি। সে নির্বাচনে যারা সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন তার বাংলাদেশীদের ভবিষ্যত নিয়ে একাত্তরে একদিনের জন্যও কোন বৈঠকে বসেননি। তারা স্বাধীনতার ঘোষনা যেমন দেননি, তেমনি একাত্তরের যুদ্ধের ঘোষণা ও সে যুদ্ধের পরিচালনাও করেননি। সবই করেছে ভারত সরকার, ভারতীয় পার্লামেন্ট, ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থা ও সেনাবাহিনী। মুজিবামলে গণতন্ত্রকেই বধ করা হয়েছিল শেখ মুজিবের স্বৈরাচারি বাকশালী শাসনকে স্থায়ীরূপ দিতে। একই ভাবে গণতন্ত্র অকার্যকর করা হয়েছে ২০০৮ সালের নির্বাচনের পরও। বিরোধী দলীয় রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের গ্রেফতার এবং তাদের উপর অত্যাচার, এমন কি সংসদ সদস্যদের রাজপথে পিটানো এখন রাজনীতির সংস্কৃতিতে পরিণত করা হয়েছে।
লড়াই দেশ ও ঈমান বাঁচানোর
একাত্তরে যুদ্ধ থেকে ৯ মাসে মুক্তি মিললেও এবারে সেটি মিলছে না। বরং বাংলাদেশীদের কাঁধে চাপানো হচ্ছে এমন এক লাগাতর যুদ্ধ যা সহজে শেষ হবার নয়। তাছাড়া এ যুদ্ধটি আদৌ তাদের নিজেদের যুদ্ধ নয়। বরং সর্ব অর্থেই ভারতীয় এবং সেটি ভারতের স্বার্থ সংরক্ষণের।একাত্তরের যুদ্ধে ভারতের যে উদ্দেশ্য অসম্পূর্ণ থেকে যায়, ভারত এবার কোমর বেঁধেছে সেটিই পুরণ করতে। তাই ভারতের লক্ষ্য শুধু করিডোর লাভ নয়। সীমান্ত চুক্তি, সীমান্ত বাণিজ্য বা রাস্তাঘাট নির্মানে কিছু বিনিয়োগও নয়ও। বরং তার চেয়ে ব্যাপক ও সূদুর প্রসারী। সেটি যেমন দেশের ইসলামি চেতনার নির্মূল ও ইসলামপন্থি দেশপ্রেমিকদের কোমর ভাঙ্গার,তেমনি দেশটির উপর পরিপূর্ণ অধিকৃতি জমানোর। মি. ভার্মার ন্যায় ভারতীয় বুদ্ধিজীবীরা সে অভিলাষের কথা গোপন রাখেনি, তেমনি গোপন রাখছেন না বহু ভারতীয় রাজনৈতিক নেতাও। বিজেপির এক কেন্দ্রীয় নেতা তো সিলেট থেকে খুলনা বরাবর বাংলাদেশের অর্ধেক দখল করে নেয়ার দাবীও তুলেছেন। শরিয়তের প্রতিষ্ঠা, জিহাদের ন্যায় ইসলামের মৌল শিক্ষার প্রচারের উপর নিষেধাজ্ঞা এবং ইসলামী সংগঠনগুলির নেতাকর্মীদের উপর নির্যাতন দিন দিন তীব্রতর হচ্ছে বস্তুত একই ভারতীয় স্ট্রাটেজীর অবিচ্ছেদ্দ অংশরূপে। বাংলাদেশীদের সামনে লড়াই এখন তাই শুধু গণতন্ত্র উদ্ধারের নয় বরং তার চেয়েও গুরুতর। সেটি দেশ বাঁচানোর। এবং সে সাথে ঈমান ও ইসলাম বাঁচানোর। ১১/০৬/২০১৫

Now, Pratapgarh: Dalits and Muslims clash over bathing in river, ‘spoiling’ of graveyard-

0
0

Dalits Media Watch

News Updates 16.06.15

 

Now, Pratapgarh: Dalits and Muslims clash over bathing in river, 'spoiling' of graveyard- The Indian Express

http://indianexpress.com/article/cities/lucknow/now-pratapgarh-dalits-and-muslims-clash-over-bathing-in-river-spoiling-of-graveyard/

Families Shunned for Employing Dalits defying Kangaroo court - The New Indian Express

http://www.newindianexpress.com/states/tamil_nadu/Families-Shunned-for-Employing-Dalits-defying-Kangaroo-court/2015/06/16/article2868900.ece

 'No additional aid to kin of dead sewage workers'- The Indian Express

http://indianexpress.com/article/cities/chandigarh/no-additional-aid-to-kin-of-dead-sewage-workers/

NHRC dissatisfied over Uttar Pradesh's response to electrocution of two minor dalit girls- The Financial Express

http://www.financialexpress.com/article/miscellaneous/nhrc-dissatisfied-over-uttar-pradeshs-response-to-electrocution-of-two-minor-dalit-girls/85106/

Study shows NCR homeowners turn away Dalits and Muslims- The Indian Express

http://indianexpress.com/article/india/india-others/rentals-ncr-homeowners-turn-away-dalits-muslims/99/

Workers in the shadows - Citizen Matters

June 16th is designated as International Domestic Workers Day.

http://bangalore.citizenmatters.in/articles/workers-in-the-shadows-international-domestic-workers-day

 

Please find attachment for DMW Hindi (PDF)

 

The Indian Express

Now, Pratapgarh: Dalits and Muslims clash over bathing in river, 'spoiling' of graveyard

http://indianexpress.com/article/cities/lucknow/now-pratapgarh-dalits-and-muslims-clash-over-bathing-in-river-spoiling-of-graveyard/

 

By: Express News Service | Allahabad | Updated: June 16, 2015 1:47 am

 

Three persons from Jamtali village were referred to Swaroop Rani Nehru Hospital in Allahabad, police said, adding the condition of all the injured was stable.

 

Two incidents of clashes between the Dalits and Muslims- the first over taking bath in a river, and the second over some children "unknowingly" entering a graveyard to attend nature's call- in two separate villages in Pratapgarh district on Sunday had the police on their toes throughout Monday. Both the villages fall under the the Raniganj police station area of the district.

 

While four Dalits sustained gunshot injuries in the clash at Basaha Jamtali village and several others sustained minor injuries in the first incident that took place in the afternoon, nearly half-a-dozen persons, from both the communities, were hurt in the clash that occurred at Bhagipur village in the evening.

 

Three persons from Jamtali village were referred to Swaroop Rani Nehru Hospital in Allahabad, police said, adding the condition of all the injured was stable.

 

While no arrests have been made, the PAC and the local police carried out several raids to on the hideouts of the suspects. The Circle Officers were camping in the villages to prevent any untoward development. The police also claimed that the situation was under control, even as senior officials held several meetings regarding the incident.

 

Giving details about the first incident, the police said the Jamtali village is located on the banks of Sai river. The residents use its water for drinking and bathing purposes. On Sunday noon, a group of women from the Dalit basti were taking bath in the river, when some youngsters from Muslim community belonging to Budhaura Kumbhapur village reached there to take bath.

 

A couple of youngsters from Jamtali, citing the presence of women, asked them to take bath some distance away. This, however, led to an argument and fisticuffs. Some elders intervened and the matter appeared to have been sorted out.

 

Nearly half-an-hour later, however, some people from the other group riding bikes and carrying arms, reached the Dalit basti and began firing. Subhash Saroj, Lalit Kishore Saroj, Pradeep (in their mid-20s) and Chauhraja (60) sustained gunshot injuries in the attack. A few others also sustained injuries in the clash that followed. As the residents of the basti gathered to retaliate, the assailants fled.

 

Superintendent of Police (Pratapgarh), Balikaran Singh Yadav, later reached the spot, along with police force, but the residents blocked the road for a couple of hours demanding arrest of the accused.

 

The police had to use mild force to disperse the crowd. Heavy police deployment was done to control the situation. Later, an FIR was registered against seven named, including Mubin, Meraj, Wahab and others, and seven unnamed persons.

 

Contacted, the SP said things were in control and raids were going on. The other incident occurred at Bhagipur village late on Sunday evening. "One Vijay Bahadur's sister's marriage was to be held in the village and a large number of relatives had come to his house. Late in the evening, the women and some children went out to answer the nature's call. Some childre, unknowingly, ventured into a graveyard area situated in between Bhagipur and neighbouring Muni Ka Purwa.

 

A group of Muslims from the neighbouring village objected to this. It led to an argument, which soon turned into a clash with lathis. The injuries were not very serious. The situation was brought under control soon," said a police spokesperson.


An FIR in this regard has been registered against over a dozen persons by name, besides several others. "Raids are being conducted at various places. More than one company of PAC has been deployed at both the places and at other strategic points to maintain calm," said the spokesperson.

 

He added that raids were being conducted, but no arrests have been made so far. A few persons have been detained for questioning in connection with the two cases.

 

The New Indian Express

Families Shunned for Employing Dalits defying Kangaroo court

http://www.newindianexpress.com/states/tamil_nadu/Families-Shunned-for-Employing-Dalits-defying-Kangaroo-court/2015/06/16/article2868900.ece

 

By Express News Service

Published: 16th June 2015 06:00 AM

 

THANJAVUR:Defying the diktat of a Kangaroo court not to employ Dalit labourers has led to the ostracisation of five caste Hindu families, including that of the village panchayat president of Kakkarai under Orathanadu taluk in the district.

 

The discriminatory order of the Kangaroo court came to light recently when the village panchayat president Akilandeswari lodged a complaint with police alleging that five families, including hers, had been ostracised for employing Dalit workers in defiance of a diktat of the parallel court.

 

Speaking to Express, Kumar, Akilandeswari's husband, claimed the Kangaroo court order was the fallout of a temple festival row. "Recently, during a festival, the Dalits had taken out a kavadi. However, the caste Hindus objected to this and the matter was brought before the panchayat president, who said the Dalits had every right to participate in the festival, as they had been doing it for the past 11 years.

 

Unhappy with the decision, a group of caste Hindus organised a Kangaroo court and passed a decree ordering community members not to engage Dalits on their farms," said Kumar.

 

Recently, Kumar along with four other persons employed Dalit workers on their farms. Angered by their defiance, the caste Hindu group formed a Kangaroo court again on June 9 and ordered the excommunication of the five families.

 

"The group has even passed an order forbidding tea stall owners from serving us and has announced a fine of `10,000 to discourage dissenters," Kumar said, adding that the group had ordered caste Hindus against having any ties with the five families and even announced a cash prize for any information on violation of the order.

 

Based on the panchayat president's complaint, the Orathanadu police on Saturday registered a case under section 7 (1) (a) of Protection of Civil Rights Act against eight persons — G Jayakumar, V Murugesan, R Sugumaran, A Prakash, T Arul Kannan, N Dinesh, D Samikannu and T Panneerselvam.

 

Meanwhile, the Orathanadu tahsildar was expected to chair a peace meeting soon, sources said.

 

They added that the heads of the banished families — Shanmugam, Balasubramanian, Karunanidhi and Varadarajan along with Kumar — would attend it.

 

The Indian Express

'No additional aid to kin of dead sewage workers'

http://indianexpress.com/article/cities/chandigarh/no-additional-aid-to-kin-of-dead-sewage-workers/

 

By: Express News Service | Chandigarh | Updated: June 16, 2015 5:07 am

 

The judgment said, "entering sewer lines without safety gear should be a made a crime. For each such death, a compensation of Rs 10 lakh should be given to the family of the deceased."

 

The families of the three sewage workers who suffocated to death recently while cleaning a sewer line would not get enhanced compensation, Municipal Commissioner Bhawna Garg said on Monday.

 

The civic body has paid Rs 2 lakh each as compensation to the victims' families. However, the National Commission for Safai Karamchari and Dalits welfare association had raised the issue of enhancing the compensation to Rs 10 lakh, citing a judgment passed by the Supreme Court.

 

The judgment said, "entering sewer lines without safety gear should be a made a crime. For each such death, a compensation of Rs 10 lakh should be given to the family of the deceased."

 

Garg told Newsline, "As the workers were not employed directly under the MC but were employed by a contractor, the corporation was not liable for any negligence that led to their death. The responsibility of enhancing the compensation is the contractor's, who is facing criminal charges."

 

Garg added that the civic body, in its report sent to the UT Administration, clearly said that it had been the responsibility of the contractor to provide safety equipment to the labourers who died. The report also mentioned that the firm, Deol Engineering Works, which had carried out the cleaning work, was blacklisted. MC staffer Sukh Raj, posted in the Public Health Department, has been suspended as the firm was reportedly owned by his wife.

 


The Financial Express

NHRC dissatisfied over Uttar Pradesh's response to electrocution of two minor dalit girls

http://www.financialexpress.com/article/miscellaneous/nhrc-dissatisfied-over-uttar-pradeshs-response-to-electrocution-of-two-minor-dalit-girls/85106/

 

The National Human Rights Commission has issued a notice to the Principal Secretary of the Department of Energy of the Uttar Pradesh government to enquire into the inaction and delay in the payment of an additional amount of Rs.2 lakh each to next of kin of two minor dalit girls here in Pradhanpur village, who were electrocuted.

 

By: ANI | June 15, 2015 9:08 pm

 

The National Human Rights Commission has issued a notice to the Principal Secretary of the Department of Energy of the Uttar Pradesh government to enquire into the inaction and delay in the payment of an additional amount of Rs.2 lakh each to next of kin of two minor dalit girls here in Pradhanpur village, who were electrocuted.

 

Rs.1 lakh each had been paid to the next of kin of both the deceased minor girls.

 

Kajal, aged nine and Shikha, aged ten were electrocuted on July 11, 2011, due to failure on the part of a junior engineer and a lineman of the electricity department of the state.

 

The commission has also asked the Superintendent of Police of Jaunpur to conduct an enquiry into the inaction and delay in not filing a charge sheet in the court against the concerned junior engineer and the lineman accused in the matter.

 

Both the officers have been given six weeks time to submit the proof of payment along with the action taken report on the inaction and delay in the matter by their respective departments.

 

Justice D. Murugesan, member of the Commission, expressed dissatisfaction over the response of the concerned State authorities to the show cause notice issued by the Commission that the junior engineer had retired and the lineman was put under suspension.

 

The commission observed that the sequence of events spoke volumes of the state of governance, particularly in the state electricity department.

 

During the course of enquiry, the commission had found that a 200 meter iron wire was drawn by the villagers of Harijan Basti (East) of Pradhanpur village to use the electricity illegally.

 

On the fateful day, the illegally drawn iron wire broke up and fell down in the field. The two minor girls came in its contact when they went towards the field to answer the call of nature and died on the spot.

 

The junior engineer and the lineman were found guilty of having violated provisions of Rule 29 (1) of Indian Electricity Manual, 1956 in non-maintaining the transmission lines properly.

 

The Indian Express

Study shows NCR homeowners turn away Dalits and Muslims

http://indianexpress.com/article/india/india-others/rentals-ncr-homeowners-turn-away-dalits-muslims/99/

 

In both the methodologies, the home-seekers had the same credentials but for their names that indicated their caste and religion.

 

Written by Seema Chishti | New Delhi | Updated: June 16, 2015 9:17 am

 

A study on discrimination in urban housing rental preferences, to be published in a forthcoming issue of Economic and Political Weekly, shows high levels of exclusion of Dalits and Muslims in the five metropolitan areas of NCR.

 

The team of researchers, led by Prof S K Thorat, chairman of the Indian Council of Social Science Research, and comprising scholars such as Anuradha Banerjee, Vinod K Mishra and Firdaus Rizvi, covered attempts to get houses on rent in Delhi, Faridabad, Ghaziabad, Gurgaon and Noida between January and March 2012.


The methodologies included contacting the "home-providers" via telephone or meeting them face to face. In both the methodologies, the home-seekers had the same credentials but for their names that indicated their caste and religion.

 

The telephonic audit had a total of 1,469 home-seekers, 493 each bearing upper-caste Hindu, Dalits and Muslim names. While not one of the 493 high-caste home-seekers received a negative response, about 18 per cent of Dalits and 31 per cent of Muslims faced outright rejection, found the study. Together those receiving either a negative response or a positive one with conditions attached worked out to 41 per cent in the case of Dalits, and around 66 per cent for Muslims.

 

The face-to-face audit covered 198 home-seekers, with 66 high-caste Hindus, Dalits and Muslims each. While 97 per cent of upper-caste Hindus got a positive response, 44 per cent of Dalits and 61 per cent of Muslims faced rejection. Together those receiving either a negative response or a positive one with conditions attached worked out to 51 per cent in the case of Dalits, and 71 per cent for Muslims.

 

In other words, the chances of Dalits and Muslims finding a house fell in the case of face-to-face contact. It also means that a significant number of Dalits and Muslims have to spend much more to stay in accommodations in NCR than their upper-caste counterparts.

 

"This indicates a clear case of market failure," says Thorat, "where even prosperity does not allow you to buy your way out of discrimination… The studies do reveal that Muslims are even worse off than Dalits as far as the rental housing market goes."

 

"Non-monetary motive often prevails among landlords renting out houses," says the study, which chose Delhi for the research as it is often considered amongst the most migrant-friendly and cosmopolitan cities in India.

 

"While about 18 per cent of Dalits faced outright refusal from upper-caste landlords due to their caste, 23 per cent of them did get houses on rent but with differential terms and condition such as high rents and other restrictions. In case of Muslims, about one-third of them faced outright refusal from the landlords due to their religion, another 35 per cent managed to get houses on rent but with differential terms and conditions."


The study focused on identifying discrimination in the NCR areas from both the supply and demand ends. The demand side included Dalit and Muslim home-seekers facing unequal treatment; and the supply side included discrimination practised by the "house providers", including landlords, real estate agents and brokers.

 

While the broad results were categorised as positive and negative, positive was further broken down into differential demands (in terms of rents and security).

 

Tenants rejected

After phone interaction:

Upper caste Hindus: 0%
Dalits: 18%
Muslims: 31%

After meeting:
Upper caste Hindus: 3%
Dalits: 44%
Muslims: 61%

 

Citizen Matters

 

Workers in the shadows

June 16th is designated as International Domestic Workers Day.

http://bangalore.citizenmatters.in/articles/workers-in-the-shadows-international-domestic-workers-day

 

While they play a vital role in most middle and upper class families, most domestic help continue to work on the fringes of society. Pinky Chandran, 16 Jun 2015 , Citizen Matters 0 SHARE inShare Email_pngg Caregivers, housekeepers, maids, nannies, cooks or domestic help - call them by any name, domestic workers in the country are still in the fringes. Why, one may ask? The phrase 'domestic work' conjures images of household work associated domesticity – the one of cleaning and caring, and hence relationships that exist within this frame remain in the shadows. There has always been a gendered stigma attached to domestic work especially in India, and the work is always viewed through the lens of power and authority, submission and suppression.

 

 Of memsahib, her maid and India's colonial past

 "This can be traced back to colonial India", says Geeta Menon, Secretary Stree Jagruthi Samithi. Domestic workers formed an indispensible part for most British families in India and it was common for most of them to have large staff of domestic workers. The relationship was that of a master-servant and it was quite common for hostile criticisms of household helps, to pave way for public conversations, thus shaping popular discourse on domestic workers. From being branded unclean, dishonest to untrustworthy and lazy, the adjectives have stood the test of time. Domestic workers continue to be the silent backbone of the middle and upper class, in present India, yet 'domestic work', is not seen as 'productive' and is rarely seen as a world of toil, harassment and drudgery. The equation between the employer and employee is also arbitrary and individual, in the privacy of households.

 

Acidity and heart burn

 "Most employers want us to come early in the morning. We have a family, we have to first finish our household chores, and send our kids off, before going to the employers place. Given that we have to report by 7 am or so, we mostly don't eat and by the time we finish, we are starving. Many a times the employers don't offer us food too, and sometimes unable to bear, we request for coffee or tea and it is much diluted. At times when left-over food from the previous day is heated up in the microwave and offered to us, we cannot do anything but thank them. This is not to generalise or categorise all employers as bad, but this happens in a majority of cases. I know of employers, who first serve the help and then eat, or invite the help to eat together. In my case, I started packing my own box and started eating. My employers were shocked, and feeling guilty, told me not to bring food, and that they would offer," says Chitra, a domestic worker of 15 years.

 

Caste, toilets, separate lifts and dignity

 "Caste plays an import role in the mindset of people, and denying one the right to use the toilet, adds to the indignity of the work", says Geeta Menon. The story of Pushpa, is a classic case. A domestic worker for 20 years, and a resident of Ragiguda, she is always denied the use of toilets, at a house, belonging to the upper caste. "I report to work early in the mornings and it takes almost two hours to complete my work. Once I had to pee very badly, and unable to control, I requested my owners. They refused to let me use the toilet. Till date, they have refused to let me use the toilet. When I wash clothes or vessels, they will rinse it again and use it. What is my crime? Is it just that I belong to a low social hierarchy". Most apartments in the city also have a separate lift for domestic workers. "I feel hurt that dogs and people like us have a separate lift. Why is there a need for segregation", questions Pushpa.

 

 Lies, stories, leaves and crèches

"They take too many holidays, disrupting our schedule, and when questioned, will weave different stories", says Aarti (name changed), an IT professional. With the growing middle class working women, the dependency on domestic workers for household chores is high. However, what escapes the obvious is that women in the informal economy also face similar problems, that of nuclear families, or single women having to raise children. With lack of state support for facilities such as crèches, day care, or anganwadis, most women are forced to apply for leave. Kaliamma, 50, had to take her children to work wherever she went. Pic: Yogaraj S Mudalgi Geeta Menon, brings in the gender dimension, saying that it is strange for a woman not to understand another woman. She does not mean to brand all women with little or no understanding of their domestic workers. As Meetali Mukherjee, a business-woman says "These delinquencies must be examined differently. Being judgmental is not the solution. There are days when I am mad that Sunitha hasn't turned up, but looking at the situation, I realise that for single woman, taking care of two children and an aging mother is not easy. I only wish that she calls and informs, but again there are problems, that of currency or phone being dropped somewhere". She further goes on to add, "Domestic workers enter our personal domains - our homes, our families and get glimpses of our intimate lives. Therefore, the conventional HR rules do not apply. We often develop bonds with them and feel hurt when there is a spat or they leave. We do want to understand their problems and vice versa. The fact that most of our domestic workers are women helps us empathise with their domestic problems."

 

Gender, old age and insecurity

Old age significantly increases vulnerability for domestic workers. This significantly decreases earning power and levels of economic activity; this coupled with limited or no savings, lack of family support networks, increasing health issues, adds to the insecurity. As Pankajamma shares, "My husband left me early on. I worked as a domestic worker and raised my two daughters. While I am proud that I got them married and settled, I am left with no savings. I put everything for the family. I am old and live alone; I cannot walk or sit for long. People look at me, and think twice before giving me a job. Some people who offer me a job out of sympathy get irritated with my inability to complete tasks quickly. If I fall sick, I have to go to the hospital, and I easily spend up to Rs 500. For all my 35 years of service, shouldn't I be eligible for pension scheme?" Visibility and voice A domestic workers protest in progress.Pic: Navya P K The Domestic Workers Rights Union, evolved in response to the needs and priorities of the working condition of these invisible workers and in order to break the culture of silence. In 2010, for the first time, a domestic workers' public hearing was organised in Bangalore which sought to visibilise voices. In 2011, the International Labour Organisation (ILO) Convention on Decent Work recognised Domestic Work and passed a resolution that national governments need to ratify. The Domestic Workers Convention (C 189) requires governments to provide domestic workers with the same basic labour rights, as those available to other workers, including weekly days off, limits to hours of work, minimum wage coverage, overtime compensation, social security, and clear information on the terms and conditions of employment, to protect domestic workers from violence and abuse, to regulate private employment agencies that recruit and employ domestic workers, and to prevent child labour in domestic work.


………………………………………………………………………………..

News monitored by Girish Pant & AJEET

.Arun Khote
On behalf of
Dalits Media Watch Team
(An initiative of "Peoples Media Advocacy & Resource Centre-PMARC")

Pl visit on FACEBOOK : https://www.facebook.com/DalitsMediaWatch 
...................................................................
Peoples Media Advocacy & Resource Centre- PMARC has been initiated with the support from group of senior journalists, social activists, academics and  intellectuals from Dalit and civil society to advocate and facilitate Dalits issues in the mainstream media. To create proper & adequate space with the Dalit perspective in the mainstream media national/ International on Dalit issues is primary objective of the PMARC.

सिर्फ परछार्इं पड़ने पर कर दी आदिवासी लड़की की पिटाई

0
0

सिर्फ परछार्इं पड़ने पर कर दी 

आदिवासी लड़की की पिटाई
गढ़ीमलहरा (मध्य प्रदेश). यहां के गनेशपुरा गांव में दलित समुदाय की एक लड़की की यादव समाज के कुछ लोगों ने इसलिए पिटाई कर दी क्योंकि इस लड़की की परछाई यादव समाज के एक आदमी द्वारा ले जाए जा रहे खाने पर पड़ गई थी। लड़की के परिजनों की शिकायत पर पुलिस ने मामला दर्ज कर लिया है और आरोपियों की तलाश की जा रही है।
जान से मारने की धमकी भी दी थी
11 साल की लड़की शनिवार को गांव के हैंडपंप पर पानी लेने गई थी। तभी वहां से यादव समाज (ओबीसी) का एक आदमी खाना लेकर निकला। बताया जाता है कि लड़की की परछाई इस आदमी के खाने पर पड़ी तो वह नाराज हो गया और उसने कुछ लोगों के साथ मिलकर लड़की की पिटाई कर दी। सोमवार को लड़की ने परिजनों और अपने समुदाय के कुछ लोगों के साथ जाकर एसपी से घटना की शिकायत की। लड़की ने अपनी शिकायत में कहा है कि आरोपियों ने उसे जान से मारने की धमकी भी दी। पुलिस ने कहा है कि चार लोगों के खिलाफ केस दर्ज कर लिया गया है और उनकी तलाश की जा रही है। आज भी हमारे देश के नागरिक बहुत अशिक्षित है। ऐसे जाति धर्म मानने वालों के लिए हमारा एक सवाल है, क्या यदि वे कभी बिमार हो और उनका ब्लड ग्रुप उनके किसी सगे-संबंधी से ना मिले तो उसके बाद डॉ. बोले कि भाई साहब हमारे पास आपके जाति, धर्म को मानने के अनुसार हमारे पास आपके धर्म के किसी भी व्यक्ति का ब्लड ग्रुप नहीं है और जो हमारे पास ब्लड ग्रुप है वो एक रिक्शा चालक का है जो आपके अनुसार बहुत ही छोटे जाति के होते है परन्तु हमारे अनुसार वो भी एक हमारी तरह इंसान है, तो क्या हम आपको उसका ब्लड ग्रुप न चढ़ाये। तो आप लोग क्या सोचेंगे क्या वह आदमी ब्लड लेने से मना कर देगा, नहीं क्योंकि उस समय उसे अपने जान बचाने की फिक्र होती है और वह उस समय जाति,धर्म को भूल जाता है।
इसलिए हम सिर्फ इतना ही कहेंगे कि हम सभी को एक दुसरे मानवता को अपनाना चाहिए जो पूरी दुनिया में एक ही धर्म के रूप में है और हममें से प्रत्येक को सुधार करना चाहिए। जिससे हमारे पूरे समाज में एक नई दिशा की जागृति होगी।

Dalit Adivasi Dunia's photo.

রোজার আগে বাজার গরম!

0
0

'প্রতিটি জিনিসেরই দাম বেড়েছে। রোজা এলেই একটা নিয়ম হয়ে গেছে জিনিসের দাম বাড়বে। আর এর ভোগান্তি পোহাতে...

রোজাকে সামনে রেখে বেশ কিছু নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে বিক্রেতারা। কিন্তু আমদানি কর্তৃপক্ষ বলছেন পণ্যের সরবরাহ ঠিক আছে।সরেজমিনে রাজধানীর ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, কাঁঠালবাগান, হাতিরপুল, মিরপুরসহ কয়েকটি এলাকার বাজার ঘুরে দেখা গেছে রোজার সময় বেশি ব্যবহৃত হয় এমন...

This news reveals that the Chief Justice of Bangladesh Supreme court is a Hindu,Surendra Kumar Sinha,who upheld the judgement to hang Razakar leader Md.Mijahid.Jammat has called 24 hour nationwide strike against this judgement.

0
0

This news reveals that the Chief Justice of Bangladesh Supreme court is a Hindu,Surendra Kumar Sinha,who upheld the judgement to hang Razakar leader Md.Mijahid.Jammat has called 24 hour nationwide strike against this judgement.


প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার সদস্যের বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার সকালে এ রায় ঘোষণা করেন।

একাত্তরে বুদ্ধিজীবী নিধনের পরিকল্পনা ও সহযোগিতার দায়ে আলবদর বাহিনীর নেতা আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ বহাল রেখেছেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত।প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার সদস্যের বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার...

Minister,Dhaka University Vice Chancellor and 23 other get Death Threat in Bangladesh!

0
0
Minister,Dhaka University Vice Chancellor and 23 other get Death Threat in Bangladesh!


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ ২৫ জনকে হত্যার হুমকি
www.prothom-alo.com/bangladesh/article/554950

তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকসহ আরও ২৩ জন বিশিষ্ট নাগরিককে চিঠি পাঠিয়ে হত্যার হুমকি দিয়েছে আনসারুল্লাহ বাংলা টিম-১৩।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর এম আমজাদ আলী প্রথম আলোকে বলেন, আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপাচার্য আ আ...

राजस्थान सरकार ने बीड़ी-सिगरेट और अन्य तंबाकू उत्पादों से 20 फीसदी टैक्स कम कर दिया है। साथ ही दलील दी गई है कि जनहित में यह फैसला लिया गया है। पढ़ें...

0
0

राजस्थान सरकार ने बीड़ी-सिगरेट और अन्य तंबाकू उत्पादों से 20 फीसदी टैक्स कम कर दिया है। साथ ही दलील दी गई है कि जनहित में यह फैसला लिया गया है। पढ़ें...

राजस्थान सरकार ने 'जनहित' में सस्ते किए सिगरेट-गुटखा

"I make this statement in support of any immigration application that Lalit Modi makes, but do so on the strict condition that my assistance will not become known to the Indian authorities."

वैसे भी यह समय बहुत खतरनाक हैं , सत्ता को वोट /और समर्थन देने वाले रामजादे कहलाते हैं और बाकी ....जादे

0
0





जाए तो जाए कहाँ .....

इन दिनों उत्तर प्रदेश में जिस तरह पत्रकारों पर हमले हो रहे हैं ऐसा शायद आपातकाल के समय में भी नहीं हुआ था . मैं सोच रहा हूँ देश और प्रदेश की अदालतें और मानवाधिकार संगठन भी इस मामले में कुछ कहेंगे या नहीं ? 
वैसे भी यह समय बहुत खतरनाक हैं , सत्ता को वोट /और समर्थन देने वाले रामजादे कहलाते हैं और बाकी ....जादे . तो कोई मंत्री कहता है वोट नहीं देना तो जाओ पाकिस्तान ...ऐसे में हमारी ख़ामोशी और भी घातक सिद्ध होगा . बात किसी एक प्रदेश की पुलिस की नहीं है , यह नज़ारा मैंने अपने हाल ही के बंगाल प्रवास के दौरान भी देखा था जब प्रदेश में नगर पालिका के चुनाव हो रहे थे . और नाम भी देखिये इन प्रदेशों की मुखियाओं के एक ममता दुसरे मुलायम .....और काम एकदम नाम के विपरीत ....इसलिए सही कहा था शेक्सपियर ने नाम में क्या रखा है ? नाम का कोई अर्थ नहीं होता ...यह सिर्फ किसी को संबोधन के लिए एक शब्द मात्र है .


आदिवासियों को जंगलों पर अपने अधिकार को करना होगा बुलंद

0
0
आदिवासियों को जंगलों पर अपने

 अधिकार को करना होगा बुलंद

कोरबा/ जंगलों पर आदिवासियों के अधिकार को बुलंद करते हुए कांग्रेस उपाध्यक्ष राहुल गांधी ने केंद्र की मोदी सरकार और राज्य की रमन सरकार पर हमला किया और उन पर महज दो तीन उद्योगपतियों के लिए काम करने और विकास का लाभ स्थानीय लोगों तक नहीं पहुंचाने के आरोप लगाए।
राहुल ने कोरबा के खदान क्षेत्र में भूमि अधिग्रहण का मुद्दा उठाते हुए प्रधानमंत्री के विकास के मॉडल पर सवाल खड़ा किया और आरोप लगाया कि इससे आदिवासियों को कोई लाभ नहीं मिल रहा। उन्होंने भाजपा को घेरने के लिए कोयले के खनन से होने वाले विस्थापन और भूमि अधिग्रहण पर मुआवजा अदायगी जैसे मुद्दे उठाए।
कांग्रेस उपाध्यक्ष ने आदिवासियों से वादा किया कि वह जिस तरह किसानों के पक्ष में खड़े हैं, उसी तरह वह उनके साथ भी खड़े होंगे। उन्होंने कहा कि राष्ट्रीय मीडिया आदिवासियों के मुद्दों को महत्व नहीं देता है। राहुल ने कहा कि मोदीजी विकास पर बहुत लेक्चर देते हैं। विकास होना चाहिए, लेकिन मेरा सवाल है कि उस प्रक्रिया में आदिवासियों की क्या हिस्सेदारी है, विकास सभी के लिए होना चाहए। यह महज दो-तीन उद्योगपतियों के लिए नहीं होना चाहिए।
कांग्रेस उपाध्यक्ष ने कहा कि यह नहीं होना चाहिए कि उनके उद्योग खड़े हों, वे हजारों करोड़ रुपये के मुनाफे कमाएं और दूसरी तरह आदिवासी बच्चों का कोई भविष्य नहीं हो, हम भारत के आदिवासियों के लिए ऐसा भविष्य नहीं चाहते।
मोदी और भाजपा पर लगातार हमले करते हुए राहुल ने आरोप लगाए, चाहे दिल्ली में चलने वाली सरकार हो या छत्तीसगढ़ की सरकार, समूची सरकारी मशीनरी दो-तीन उद्योगपतियों को बढ़ावा देने के लिए चल रही है। उन्होंने मोदी सरकार के भूमि अधिग्रहण अध्यादेश का जिक्र किया, जिसमें भूमि के अधिग्रहण के लिए किसानों से सहमति लेने और अधिग्रहण से पहले सामाजिक लेखा-जोखा करने के प्रावधान हटा लिए गए हैं। इसमें उस प्रावधान में भी संशोधन किया गया है कि अगर पांच साल के अंदर जमीन का उपयोग नहीं किया गया तो जमीन वापस कर दी जाएगी। उन्होंने चुटकी लेते हुए कहा, मोदी जी कहते हैं कि विकास की जरूरत है। इस लिए किसी से पूछने की कोई जरूरत नहीं है।
राहुल ने मोदी पर हमला करते हुए चुटकी ली, यह कोई मायने नहीं रखता कि पांच साल के अंदर जमीन का उस मकसद से इस्तेमाल नहीं हुआ, जिसके लिए उसका अधिग्रहण किया गया था। एक बार जब जमीन ले ली गई तो यह ले ली गई। सामाजिक लेखा-जोखा (सोशल ऑडिट) छोड़ें। इसका क्या मानी-मतलब है।
कांग्रेस उपाध्यक्ष ने जल, जंगल, जमीन पर आदिवासी बहुल प्रांत के लोगों के अधिकार को बुलंद किया और कहा कि जब उत्खनन के लिए जमीन का अधिग्रहण किया जाता है तो उनकी जीवन-रेखा जंगल उनसे छूट जाता है। इसलिए विकास में उन्हें अवश्य ही भागीदार बनाया जाना चाहिए। राहुल ने छत्तीसगढ़ का दो दिन का अपना दौरा कोरबा जिले के कुदमुरा गांव से शुरू किया। वहां उन्होंने जंगली हाथियों का प्रकोप झेल रहे लोगों से मुलाकात की। उन्होंने हासदेव-अरण्ड कोयलाक्षेत्र का आघात झेल रहे वनवासियों और ग्रामीणों से भी मुलाकात की

Assam:কৃষক মুক্তি সংগ্ৰাম সমিতিৰ ধৰ্ণা,APSC ৰ দুৰ্নীতিৰ বিৰুদ্ধে,অখিল গগৈ আতক।খানাপাৰাৰ পি�ছত আকৌ সৰু হোজাইত বিশাল আন্দোলন

0
0

কৃষক মুক্তি সংগ্ৰাম সমিতিৰ ধৰ্ণা,APSC ৰ দুৰ্নীতিৰ বিৰুদ্ধে,অখিল গগৈ আতক।খানাপাৰাৰ পি�ছত আকৌ সৰু হোজাইত বিশাল আন্দোলন




Assam Bandh Today,demand citizenship for everyone and opposing Hindu citizenship.বাংলাদেশী ও অসমত নাগৰিকত্ব বিছাৰি অসম বন্ধ দিব পৰা হ'ল । হায় ৰে আমাৰ অসম !!!! লাজেই লাগিল, নাকটো বাৰু ক'ত থওঁ !!!!

0
0
Assam Bandh Today,demand citizenship for everyone and opposing Hindu citizenship!

বাংলাদেশী ও অসমত নাগৰিকত্ব বিছাৰি অসম বন্ধ দিব পৰা হ'ল । হায় ৰে আমাৰ অসম !!!! লাজেই লাগিল, নাকটো বাৰু ক'ত থওঁ !!!!


ललित मोदी के पीछे काहे पड़े हैं? Why are you after Lalit Modi?

বর্তমান সংসদ কি গণতন্ত্রের প্রতীক?

0
0

বর্তমান সংসদ কি গণতন্ত্রের প্রতীক?

গোলাম মোহাম্মদ কাদের 
কয়েক দিন আগে একজন গুণী ব্যক্তির একটি সুন্দর বক্তব্য শুনলাম। একপর্যায়ে তিনি বলেছেন, 'সংসদ গণতন্ত্রের প্রতীক'। অত্যন্ত মূল্যবান কথা। রাষ্ট্রীয় কাঠামোয় গণতন্ত্রের চর্চার যে কয়েকটি ব্যবস্থা বিদ্যমান, তার মধ্যে সংসদীয় পদ্ধতি অন্যতম। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের শাসনব্যবস্থায় এ কাঠামো ব্যবহার করা হয়েছে এবং এতে করে ওই সব দেশের গণতন্ত্রায়ণের চর্চা ও উৎকর্ষ সাধন সম্ভব হয়েছে। প্রচলিত সংসদীয় পদ্ধতির পথিকৃৎ বলা যায় যুক্তরাজ্যকে। ভারত এ বিষয়ে একটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হিসেবে গণ্য হতে পারে। যেকোনো গণতন্ত্রেÿ ক্ষমতার মূল মালিক জনগণ এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা জনগণের স্বার্থে এ ক্ষমতা ব্যবহার করবেন, এটাই লক্ষ্য।
সংসদীয় পদ্ধতির শাসনব্যবস্থায় ক্ষমতা ও দায়িত্ব বিকেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে দেওয়া হয় বিভিন্ন স্তরে অনেক ধরনের প্রতিষ্ঠানের সাহায্যে। সংসদের উদ্দেশ্য থাকে সকল প্রকার ক্ষমতা ও দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানসমূহের সমন্বয় সাধন, পরস্পরের মধ্যে জবাবদিহির মাধ্যমে দায়বদ্ধতার সংস্কৃতি সৃষ্টি ও সার্বিকভাবে ক্ষমতার ভারসাম্য তৈরি। লক্ষ্য থাকে সংবিধান সংশোধন, আইন প্রণয়ন ও অন্য যেকোনো প্রকারে এ বিষয়টি নিশ্চিত করা, যাতে করে কেউই এককভাবে ক্ষমতাধর হয়ে অন্য সবার ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম না হন। একনায়কতন্ত্রের বিপরীত অবস্থান গণতন্ত্রের। সংসদীয় ব্যবস্থায় গণতন্ত্রের চর্চার পরিবেশ সৃষ্টি ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার মুখ্য দায়িত্ব থাকে সংসদের ওপর। এ দায়িত্ব পালন সুষ্ঠু ও সহজতর করার জন্য দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ বা একটির জায়গায় দুটি সংসদ রাখার বিধানও পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে রয়েছে।
বাংলাদেশের শাসনপদ্ধতি বা সরকারব্যবস্থা এককক্ষবিশিষ্ট সংসদীয় কাঠামোর বলে দাপ্তরিকভাবে বলা হয়। সংসদ এলাকাভিত্তিক, সরাসরি জনগণের ভোটে ৩০০টি আসন ও সাংসদদের ভোটে বর্তমানে ৫০টি মহিলা সংরক্ষিত আসনে নির্বাচিত সদস্যদের দ্বারা গঠিত হয়। সাংসদদের সংখ্যাগরিষ্ঠের সমর্থনে দেশের প্রধানমন্ত্রী বা সরকারপ্রধান নিয়োগ পান। তাঁর ইচ্ছা অনুযায়ী মন্ত্রিপরিষদ গঠিত হয়। সংসদ নির্বাচনে যে দল সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জয়লাভ করে, তারাই সাধারণত তাদের দলীয় প্রধানকে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করে। প্রচলিত রীতি অনুযায়ী তিনি আবার সেই দলের সংসদীয় নেতা নির্বাচিত হন।
সংসদের প্রায় সব সিদ্ধান্ত সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে গৃহীত হয়। সংবিধানের বিধান (৭০ অনুচ্ছেদ) অনুযায়ী দলীয় সাংসদেরা দলীয় যেকোনো প্রস্তাবে সমর্থন দিতে বাধ্য থাকেন। প্রধানমন্ত্রী একই সঙ্গে দলীয় প্রধান ও দলীয় সংসদীয় দলের প্রধান। তিনি তাঁর দলীয় সাংসদদের সমর্থন লাভে নিশ্চিত থাকেন। ফলে নির্বাহী বিভাগের বা এককথায় প্রধানমন্ত্রীর যেকোনো প্রস্তাব সংসদে পেশ করলে সংখ্যাগরিষ্ঠ দলীয় সাংসদদের সমর্থনে তা অনুমোদিত হবে, এটা স্বাভাবিক এবং তাই হয়ে আসছে।
সরকারি দলের সংখ্যাগরিষ্ঠতা ও দলীয় প্রধান প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবে সমর্থনের বাধ্যবাধকতা থাকায় সংসদপ্রধান (স্পিকার) নির্বাচন সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটের ব্যবহারকারী হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর নিয়ন্ত্রণে থাকে। একই পদ্ধতিতে অপসারণও প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ারভুক্ত হওয়ায় সংসদের স্পিকারের কার্যকালের স্থায়িত্বও প্রধানমন্ত্রীর হাতে থাকে। রাষ্ট্রপতির নিয়োগও একইভাবে হয় এবং সে কারণে প্রধানমন্ত্রীর আওতাভুক্ত। অবশ্য রাষ্ট্রপতির অপসারণে দু-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা আবশ্যক। বর্তমান সংসদে প্রধানমন্ত্রীর সে সংখ্যার অধিক দলীয় সাংসদ আছেন। ফলে পদে থাকতে হলে মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে প্রধানমন্ত্রীর সন্তোষভাজন হতে ও থাকতে হবে, এটাই অনেকের ধারণা।
উচ্চ আদালতের বিচারক, নির্বাচন কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন, সরকারি কর্মকমিশন, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, মানবাধিকার কমিশন ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানের সাংবিধানিক পদসমূহ সরকারপ্রধান (প্রধানমন্ত্রী) কর্তৃক নিয়োগের জন্য নির্বাচন করা হয় বা তাঁর প্রভাব বিস্তারের সুযোগ থাকে। ওই নিয়োগপ্রাপ্ত পদসমূহের অপসারণ দু-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠ সাংসদের দ্বারা করার বিধান বর্তমান সংসদে করা হয়েছে। এখন সংসদে সরকারি দলের এ সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে। ফলে প্রধানমন্ত্রী তাঁদের শুধু নিয়োগ নয়, অপসারণ করার কর্তৃত্বের অধিকারী।
৫ জানুয়ারি, ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচন ও তার ফলে সৃষ্ট সংসদ বর্ণিত পরিস্থিতির জন্য অনেকাংশে দায়ী। কিছু কারণ আগে থেকেই বিদ্যমান ছিল। কিন্তু ওগুলো সংশোধন না করে বরং বর্তমানে সমস্যা বাড়ানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে
সংসদের একটি প্রধান কাজ সরকার ও সরকারপ্রধানের জবাবদিহির ব্যবস্থা করা। বিরোধী দল এ দায়িত্বে মুখ্য ভূমিকা পালনের কথা। বর্তমান সংসদে প্রধান বিরোধী দল (জাতীয় পার্টি) মন্ত্রিপরিষদে প্রতিনিধিত্ব থাকার কারণে একই সঙ্গে সরকারের অংশীদার। ওই দলের নেতা প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত। ফলে সরকারবিরোধী কোনো ভূমিকা রাখা তা সে সংসদেই হোক বা সংসদের বাইরেই হোক, ওই দলের পক্ষে সম্ভব নয়।
সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদের কারণে সংসদে প্রধান বিরোধী দল সরকারের কোনো প্রস্তাবে না ভোট দিলে, সংবিধানের ৫৫ (৩) অনুচ্ছেদে বর্ণিত উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন সম্ভব করার জন্য সে বিরোধীদলীয় মন্ত্রীদের সাংসদ পদ বাতিল হবে। ফলে প্রধান বিরোধী দল সাংবিধানিক কারণে সংসদে সরকারের বিরোধিতা করতে অক্ষম। বিরোধী দলপ্রধান প্রধানমন্ত্রীর অধীনে হওয়ায় সংসদের বাইরের এ দলের সরকারবিরোধী ভূমিকা গ্রহণযোগ্য হয় না।
বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা বা দায়িত্বপ্রাপ্ত অন্য সব প্রতিষ্ঠানকে কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণে সক্ষম।
প্রধানমন্ত্রীকে জবাবদিহির আওতায় আনা বা দায়বদ্ধ করার প্রতিষ্ঠানসমূহ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে তাঁর নিয়ন্ত্রণে থাকায় তিনি তাঁরÿ ক্ষমতা ব্যবহারে অপ্রতিরোধ্য। ক্ষমতার এই ভারসাম্যহীনতা কোনোক্রমেই গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় কাম্য নয়। প্রাতিষ্ঠানিকভাবে এ পদ্ধতি একনায়কতন্ত্রের যেকোনো সংজ্ঞার মধ্যে পড়ে বলা যায়।
৫ জানুয়ারি, ২০১৪ সালের নির্বাচন যে প্রক্রিয়ায় ও যে পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে, তাকে স্বাভাবিক বলা যায় না। গঠিত সংসদের অর্ধেকের বেশি সদস্য বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষিত হয়েছেন। তাঁদের সমর্থনে সরকারপ্রধান নির্বাচিত হয়েছেন। সে কারণে, প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জনগণের সম্পৃক্ততা কতটুকু ছিল, সে বিষয়ে সংশয়ের অবকাশ আছে।
যে আসনগুলোতে নির্বাচন হয়েছে, সেখানে বাস্তবে অধিকাংশ ভোটার ভোট দিতে যাননি বা যেতে পারেননি বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়। তা ছাড়া, নানা ধরনের অনিয়মের অভিযোগ ব্যাপকভাবে আলোচিত ও সমালোচিত হয়েছে। প্রজাতন্ত্রের ক্ষমতার মালিক জনগণ। বেশির ভাগ ভোটার তাঁদের ক্ষমতা ব্যালটের মাধ্যমে অন্য কাউকে ব্যবহারের জন্য হস্তান্তর করার সুযোগ পাননি। তারপরও সেটার ব্যবহার কতটুকু নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য, সে প্রশ্নও থেকে যায়।
নির্বাচনের মাধ্যমে সরকারপ্রধান বা সার্বিকভাবে সরকারকে দায়বদ্ধ করার যে সুযোগ ও অধিকার জনগণের ছিল, ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে তা তাঁরা হারিয়েছেন বলে বেশির ভাগ মানুষের ধারণা। তাঁদের আশঙ্কা, খুব শিগগির বা খুব সহজে এ অধিকার তাঁরা ফিরে পাবেন কি না। বর্তমান নির্বাচনব্যবস্থা পরিবর্তন ছাড়া এটা সম্ভব মনে হচ্ছে না।
৫ জানুয়ারি, ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচন ও তার ফলে সৃষ্ট সংসদ বর্ণিত পরিস্থিতির জন্য অনেকাংশে দায়ী। কিছু কারণ আগে থেকেই বিদ্যমান ছিল। কিন্তু ওগুলো সংশোধন না করে বরং বর্তমানে সমস্যা বাড়ানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সংসদের মুখ্য দায়িত্ব গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও মূল্যবোধকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। সংসদ সে দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ। বরং এখন একনায়কত্বের সহায়ক হিসেবে অবতীর্ণ বলা যায়।
ফলে বর্তমান সংসদ গণতন্ত্রের প্রতীক নয়। বরং মৃত গণতন্ত্র সংরক্ষণের কফিনের প্রতীক হিসেবে অনেকের কাছে প্রতীয়মান হচ্ছে।
শান্তিপূর্ণভাবে এ সমস্যা উত্তরণে দেশপ্রেমিক নাগরিকসহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে এগিয়ে আসতে হবে। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে ঐকমত্যের ভিত্তিতে সংবিধানের প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনতে হবে। নির্বাচন কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন, সরকারি কর্মকমিশনসহ অন্য সব গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে সংস্কার করে নিরপেক্ষ ও অধিকতর কার্যকর করার ব্যবস্থা নিতে হবে। অন্যথায় সুশাসনের অভাব, রাজনৈতিক অস্থিরতা ও বিপর্যয়ের আশঙ্কা থেকেই যাবে।
গোলাম মোহাম্মদ কাদের: সাবেক মন্ত্রী, প্রেসিডিয়াম সদস্য, জাতীয় পার্টি।
Viewing all 6050 articles
Browse latest View live




Latest Images